অমৃতাক্ষর -Amritakshar

অমৃতাক্ষর -Amritakshar বাংলা সাহিত্য পত্রিকা

ছাদ / --------- প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়                    আমার  মেসোমশায় যামিনী  দেবনাথ ছিলেন  একজন নামকরা  আয়ুর্বেদাচার্য্...
27/11/2020

ছাদ / --------- প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়

আমার মেসোমশায় যামিনী দেবনাথ ছিলেন একজন নামকরা আয়ুর্বেদাচার্য্য।তাঁর বসার ঘরের সামনে একটা লম্বা বারান্দায় দড়ির একটা দোলনায় তিনি বসে থাকতেন।একটা প্রকাণ্ড স্ট্যান্ডফ্যানের হাওয়ায় তাঁর কাঁধ পর্যন্ত লম্বা চুলগুলো ফুরফুর করে উড়ত,রোগীর নাড়ি টিপে চোখ বুজে তিনি মৃদু মৃদু হাসতেন,আর তারপরই বজ্রগর্ভে হাঁক দিতেন,"প্যাংলা,বেরজো,
তোরা গেলি কোথায়?"প্যাংলা অর্থাৎ প্রলয়দেব এবং বেরজো অর্থাৎ ব্রজ ছিল মেসোমশায়ের শিক্ষানবীশ।তারা যে যেখানে থাকতো সেখান থেকেই দৌড়ে আসত।মেশোমশায় তাদের নির্দেশ দিতেন কোন রোগীকে কি কি ওষুধ দিতে হবে ।তাদের রোগ তো সারতই কিন্তু বিপদ হয়েছিল মেশোমশায়ের। রোগীর সংখ্যা যেহারে বেড়ে যাচ্ছিল তাতে নাওয়াখাওয়া বন্ধ হওয়ার যোগাড় হয়েছিল ।
মেসোমশায়ের একমাত্র ছেলে স্বপন ছিল একেবারে অন্যরকম।হয়তো আমরা সবাই মেসোমশায়ের কাছে বসে গল্প করছি। সবাই রয়েছে কিন্তু স্বপন কোথায়?কোথাও স্বপনকে পাওয়া যাচ্ছেনা।আমি অবশ্য জানতাম ওর গোপন ডেরাগুলো।সোজা হাজির হতাম ওদের বাড়ির পেছনে পুকুরপাড়ে,কিংবা পুকুরের ধার দিয়ে সরুপথটা ধরে হেঁটে গেলে যেখানে জলাজঙ্গল মতো একটা জায়গা আছে,সেখানে।প্রায় প্রত্যেকবারই অপরিবর্তিতভাবে আবিষ্কার করতাম স্বপন বসে আছে নিবিষ্ট হয়ে।তার স্বপ্নময় চোখদুটি গাছগুলির বাতাসে শিরশির করা পাতাগুলির দিকে স্থির নিবদ্ধ।মুখে একটা করুণভাব ফুটে উঠেছে।দুতিনবার ডেকেও যখন সাড়া পেতাম না তখন ঝাঁকি দিতাম,আর তখনি যেন সে ঘুম থেকে জেগে উঠত।কিছু ক্ষণ ফ্যালফ্যাল করে চেয়ে থেকে যেন সম্বিত ফিরে পেয়ে বলত,"বলতো কী দেখছিলাম?"আমি বলতাম,"সেটাই তো জিজ্ঞাসা করছি। কী এতো ভাবছিলি যে এতবার ডেকেও সাড়া পাচ্ছিলাম না?"ও বলত,"ঐযেএকফালি রোদ দেখা যাচ্ছে,ও পাতাগুলোকে বলছিল ওর সাথে খেলতে,কিন্তু পাতাগুলো রাজি হচ্ছিলনা।তারা মাথা নেড়ে বলছিল ,না না,এখন আমাদের রান্নাকরার সময়,আমাদের গাছমাকে খাওয়াতে হবে,তোমার সঙ্গে পরে খেলব।"এই সময় ওকে আমার ভীষণ ভাল লাগত।মনে হ'ত যেন কোন স্বপ্নপুরীর রাজকুমার এইমাত্র বাস্তব পৃথিবীতে নেমেছে।একটু পরেই ডাক পড়ত আমাদের দুজনারই।মেসোমশায়ের রোগী দেখা শেষ হয়েছে;মাসিমা আমাদের সকলের জন্য থালায় সাজিয়ে রেখেছেন সাদা সাদা ময়দার লুচি,কাই কাই আলুরদম আর ভুরভুরে গন্ধ সুজির হালুয়া।এর কিছুক্ষণ পরেই জানি আসবে সরু চালের ফুরফুরে ভাতের সঙ্গে মাসিমার হাতের অপূর্ব রান্না কচি পাঁঠার মাংস । গুরুগম্ভীর গলায় মেসোমশায় জিজ্ঞাসা করতেন,"কি দীপুবাবু,কোথায় গিয়েছিলে?"মিথ্যে বলতে গিয়েও বলতে পারতামনা,এতো ব্যক্তিত্বের সামনে ।বলেই ফেলতাম এতক্ষণ কোথায় ছিলাম । মেসোমসায় বলতেন,"ঠিক আছে,যেখানে খুসি যেতে পার,শুধু ছাদে যেওনা।"মেসোমশায় এত রাশভারি মানুষ যে জিজ্ঞাসা করার সাহস হ'তনা কেন ছাদে যাওয়া যাবেনা।মসিমাকে জিজ্ঞাসা করেছি,স্বপনকেও,কিন্তু কেউই বলতে পারেনি।
কী আছে ছাদে যে সেখানে যাওয়া যাবেনা?ছাদে যাবার দরোজায় বিরাট এক তালা। চাবি থাকে মেসোমশায়ের কাছে। ঠিক করলাম,নকল চাবি তৈরী করাব। স্বপন আপত্তি করেছিল,কিন্তু আমি খুব জোর দিয়ে বলেছিলাম , "আরে আমরা তো চুরি করতে যাচ্ছিনা,শুধু দেখতে চাই কি এমন আছে যার জন্যে আমরা ছাদে যেতে পারবনা?"
যাইহোক অঘোর চাবিওয়ালাকে দিয়ে চাবি করান হল।দুপুরবেলা । এখন স্কুলে গরমের ছুটি চলছে।মেসোমশায় বাড়িতে নেই,মাসিমা রেডিও শুনতে ঘুমিয়ে পড়েছেন । এই সুযোগ,চুপিচুপি সিঁড়ি দিয়ে উঠে ছাদের দরজাটা নকল চাবি দিয়ে খুলে ফেললাম। কিন্তু এ কি দেখছি!!!ছাদে একটা নিচু ছাউনি,তার তলায় মনের সুখে চোখ বুজে জাবর কাটছে একটা বিশাল গরু। ভগবতীর শাবকটি মাঝে মাঝে ঢুঁ মারছে তার মাকে।ছাদের ওপর মেসোমশায় গরু পুষেছেন?কি আশ্চর্য!তবে আশ্চর্যের কিছু নেই । নিশ্চয় গড়ানে কোন তক্তা পেতে তার ওপর দিয়ে বাইরে থেকে গরু ও বাছুরকে তোলা হয়েছে ।মহান চিকিৎসক জানেন যে কবিরাজি ওষুধ তৈরী করতে অনেক গাছগাছড়ার সাথে মাঝে মাঝে গরুর খাঁটি দুধ দরকার হয়,যা গোয়ালার জল মেশান দুধে পাওয়া যায় না।তাই রোগীদের স্বার্থে পৌরসভার খাটাল উচ্ছেদ আইন বাঁচিয়ে এরকম একটা ঝুঁকি নিয়েছেন।

হারানিধি / ------ -কনককান্তি মজুমদারজীবনটা যখন এলোমেলো আগোছালো হয়ে যায়, সন্ধ্যেটা রাতের মতো বিদঘুটে ;তুমি শাড়ির আঁচলে...
21/11/2020

হারানিধি / ------ -কনককান্তি মজুমদার

জীবনটা যখন এলোমেলো
আগোছালো হয়ে যায়,
সন্ধ্যেটা রাতের মতো বিদঘুটে ;
তুমি শাড়ির আঁচলে গিঁট বেঁধে
চাবির গোছাতে লটপটানি,
ঘরের দাওয়াতে ন্যাঙটো বাচ্চাটা
আখ চিবোয়,
হা ভাতে পৃথিবীর বুক শুকিয়ে
ফুটিফাটা চৌচির
বৃষ্টির মুখ চেয়ে চাষা আশমান দ্যাখে ।
অমন করে এই কালের পুটিরাণী
আজ আর চুল বাঁধে না,
শাড়ি কোমড়ে পেঁচিয়ে
ঘোমটায় মুখ ঢেকে
হাত ধরে রাস্তা পারাপার
উঁহু তেমনটি আর পাবেনা।
কালের আবর্তে কাল এগিয়েছে
লাহাদের গেট পেড়িয়ে,
জমিদার বাবুর ভাঙা হাবেলি টপকে
ঝোপ-জঙ্গলে ভরা ঝিঁঝি ডাকা মেঠো পথ
ফেলে রেখে ;
গড়াই নদীকে পাশ কাটিয়ে
রং বাহারি চকচকে বাগান গো
এককালের বড়লাটের বাড়ি।
আজ আমাদের মানুষের সেবক
মানুষ থাকে,
গরমে ঠান্ডা শীতে গরম
হাঁটেনা মটর গাড়ি চড়ে
ওরা সব্বাই ;
কেউবা সর্বহারা বলে নিজেকে
আর কেউ বাস্তুহারা,
আমরা হলুমগে অন্নহারা
কেমন হারা হারাদের মিলনে
হারানিধিদের দেশ বটে!

একলা মানব /------- নূপুর সেনগুপ্তআজ তুমি একলা মানবএকলা চলো একলা পথেকিন্তু কেন বলতে পারো!তোমার  শস্যভরা  দিগন্ত ছিল , ছিল...
20/11/2020

একলা মানব /------- নূপুর সেনগুপ্ত

আজ তুমি একলা মানব
একলা চলো একলা পথে
কিন্তু কেন বলতে পারো!
তোমার শস্যভরা দিগন্ত ছিল , ছিল আকাশ , ছিল নির্মল বাতাস।
ছিল ভালো বাসা, পরম মমতায় ভরা যাপন।
আর ছিল অনাবিল সহজিয়া প্রেম।
তবে কী সন্ন্যাস নিতে ভুলে ছিলে!

আজ সন্ন্যাসীর ভূমিকায় স্বয়ং ধরিত্রী...
রুদ্ধশ্বাস মানবজীবন শঙ্কিত মুহুর্তে গুণে চলেছে
আপন কর্মের ক্ষতিয়ান....
আজ আঁধার গুহামাঝে যাপন একাকী....
অমানিশার প্রতীক্ষায় গুপ্তচর....

আত্মা ভুলতে চেয়েছে
আগামীর নিস্ফলতা
ভুলতে চেয়েছে সৃষ্টির বিফলতা...
ভুলতে চেয়েছি দীর্ঘ শতাংশ মানবজীবনের বিপন্নতা...
অস্বীকার করেছি বিজ্ঞান...
কিন্তু সুযোগ সন্ধানী গুপ্তচর সদা সতর্ক...
আমি চোখ বুজেছি নিজ গণ্ডী আবৃত করে...

আত্ম অসহায়তা আজ ছিন্নভিন্ন, ধিকৃত!
পারি নি তোমার ব্যাকুল হাত ছুঁতে।
শুধু স্পর্শ করতে, সাহায্য! সে তো
অনেক গভীর ভাবনায়।
আমি নিজের প্রতি চেয়ে থাকি,
করুণাঘন সে দৃষ্টি, লজ্জিত।
পারলাম না সহযোগিতার প্রশ্নে অগ্রসর হতে।
পারছি না নিজের অক্ষমতাকে ক্ষমা করতে,
বন্ধন ছিন্ন করতে। আমার ক্ষয়িষ্ণু দিনলিপি
আজ পরিত্যাজ্য। হে ধরিত্রী,
হে নিদারুণ রুদ্রতা―হে ভয়ংকর,
হে বিপন্নতা―আমাকে ক্ষমা করো।

হে ভৈরব, প্রসন্ন হও।

ইচ্ছে / ------ কলমশ্রমিকইচ্ছে আমার প্রবল জেনোতোমার কাছে হাত পেতেছিএক মুঠোতে মন ভরেনাঅনেক অনেক অনেকটা চাইভালবাসার ঘর গেরস...
22/06/2020

ইচ্ছে / ------ কলমশ্রমিক

ইচ্ছে আমার প্রবল জেনো
তোমার কাছে হাত পেতেছি
এক মুঠোতে মন ভরেনা
অনেক অনেক অনেকটা চাই
ভালবাসার ঘর গেরস্থ
ভীষন রকম হিসেবি হয়
আমি বাপু বেহিসাবি
চাওয়ার কালে লজ্জাটি নাই
দেওনা ওগো মানবি মন
তোমার মনের এক কোনা
প্রেম-পিরীতি সময় বুঝে
কবেই বলো করবে সোনা
দেবোই যখন তোমায় আমি
এক বসন্ত এক সকাল
তুমি ওগো দেওনা তোমার
ফুল বসন্তের ফুল বাহার।

কালো মানুষ / ---------সঞ্জিত মণ্ডল কী বলো বন্ধু, কালো মানুষেরা বাঁচবে না পৃথিবীতে? বারবার ওরা শেষ হয়ে যাবে সাদাদের দৌলতে...
21/06/2020

কালো মানুষ / ---------সঞ্জিত মণ্ডল

কী বলো বন্ধু, কালো মানুষেরা বাঁচবে না পৃথিবীতে?
বারবার ওরা শেষ হয়ে যাবে সাদাদের দৌলতে!
বিক্ষোভে আজ উত্তাল আমেরিকা -
কালো মানুষেরা একতাবদ্ধ ওদের যাবেনা রোখা।
বরাবরই কালো বিদ্বেষের শিকার-
জর্জ ফ্রয়েডকে মেরে ফেলে দিলো সাদা ডেরেক শোভার!
কুখ্যাত হলো বিশ্ব নিরিখে শত্রু সে মানবতার -
বিদ্বেষ বিষে ঘাড় গলা চাপে হাঁটু তার হাতিয়ার!

উত্তাল দেশ উত্তাল লোক সুবিচার দাবী করে -
ফেটে পড়ে তারা গোটা মহাদেশে নিদারুণ ক্ষোভে পুড়ে।
জানিনা কি দোষ করেছিল জর্জ প্রাণ কেড়ে নিতে হলো,
সাদা চামড়ার নিষ্ঠুর লোক বিনা দোষে মেরে দিলো!
প্রশাসন বুঝি ঘুমিয়ে পড়েছে তাপ উত্তাপ নেই-
বাহিনী নামিয়ে ধরপাকড়েই কাজ সারে নিমেষেই।
থার্ড ডিগ্রির খুনি চার্জের দাবী ওঠে দিকে দিকে -
খুন প্রতিবাদে ঝাঁপিয়ে পড়েছে স্বতঃস্ফূর্ত লোকে।
আগুন হামলা লুটপাট চলে সুযোগীরা আটখানা-
জ্বলে গেছে থানা পোস্টাপিসেও আগুন দিয়েছে হানা।

প্রতিবাদে যারা গর্জে উঠেছে তারা যে মানুষ কালো -
সাদা মানুষের উদ্ধত ভাবে কতো লোক মারা গেলো!
কালোরাই হলো জগতের আলো কালোরাই করে কাজ-
কালোরা যেখানে অন্যায় দেখে করে তারা প্রতিবাদ।
কালো রাত্তিরে শান্তির ঘুম কালোরাই খাঁটি সোনা-
সম্পদ যত কালো মহাদেশে সাদারা লুটেছে কিনা।
লুটপাট করে ছিনিয়ে নিয়েছে কালোদের সম্পদ-
সাদা মানুষেরা অত্যাচারী উদ্ধত উদ্ভট!
কালো দেখি যত কোকিল ময়না আর কালো দেখি কেশ-
অত্যাচারীত বারবার কালো যত ঘুরি মহাদেশ।
ক্লু-ক্লুক্স-ক্ল্যান কি এখনো রয়েছে পুরাতন বিদ্বেষে-
জর্জ ফ্রয়েডের হত্যা ঘটনা প্রমাণিত অবশেষে।।

(রচনা ১৭ জৈষ্ঠ রবিবার ১৪২৭, ৩১/০৫/২০)

কপিরাইট @সঞ্জিত মণ্ডল

এক পঙক্তির গুচ্ছকবিতা / -------সুধাংশুরঞ্জন সাহা(এক)যোগবিয়োগে সাঁকোর প্রাপ্তি শূন্য ।(দুই)স্বপ্ন কখনও ঘুমতে দেয় না মান...
20/06/2020

এক পঙক্তির গুচ্ছকবিতা / -------সুধাংশুরঞ্জন সাহা

(এক)
যোগবিয়োগে সাঁকোর প্রাপ্তি শূন্য ।

(দুই)
স্বপ্ন কখনও ঘুমতে দেয় না মানুষকে ।

(তিন)
শুধুমাত্র গাছই জানে বৃন্তচ্যুত ফুলের আর্তনাদ ।

(চার)
ঘুণপোকা জানে কাঁচা কাঠের আত্মদংশন ।

(পাঁচ)
জীবন এক ভুলের সংকলন ।

অন্ধ-আলোর বাসিন্দা  / ---স্বপন দেবনাথ-------------------------------সবার শত্রু আসলে এরাই :রোগ-জ্বালা-ব্যাধি আর শোকঅর্ধশত...
18/06/2020

অন্ধ-আলোর বাসিন্দা / ---স্বপন দেবনাথ
-------------------------------
সবার শত্রু আসলে এরাই :
রোগ-জ্বালা-ব্যাধি আর শোক
অর্ধশতাংশের এই কমন-শত্রু ছাড়াও
চিতাবাঘের মত ঘাড়ে চেপে অভাব-অনটন আর ক্ষুধা ! ----
দুঃখ নামক এই আসল গণশত্রুর বিরুদ্ধে না ল'ড়ে
জীব-শ্রেষ্ঠ 'মানুষ' এতকাল যুদ্ধ করেছে শুধু নিজেদের মধ্যে, ভায়ে-ভায়ে !
লোভ-ঈর্ষা দ্বন্দ-বিদ্বেষে এতকাল শুধু খেয়োখেয়ি, রক্তারক্তি---
অনাদরে-অবহেলায় মাটিতে গড়াগড়ি হৃদয়-কলসির অমৃত-সুধা!

শুধু জানলাটা খুললেই, শুধু দরজাটা খুললেই
এববুক তাজা-হাওয়া, একবুক আলোর ফুলঝুরি
তবু কেন-যে সাধ ক'রে সবাই বন্ধ রাখি হৃদয়-কপাট !---
শিক্ষায় এত অন্ধকার! প্রগতির এত দৈন্যতা
আধুনিকতা এত ধ্বংসাত্মক!
শুধু জ্বালানির কাঠ!

যেখানে 'অ-আ-ক-খ' র প্রাথমিক পাঠও স্বপ্নবৎ, হৃদয় ঝর্ণাধারা
যাদের জানলা-দরজার কোন বালাই নেই, পুরোটাই খোলা---
মাঠে আর জলে,আকাশে-বাতাসে ভালোবাসা মাখামাখি
সেখানে আলো আর হাওয়ার দৌড়োদৌড়ি নির্মল-আপনভোলা।

এত ঠোকেও তবু কেন শত্রু চিনতে এত ভূল এত ভুল ?
বড়-বড় শিক্ষালয়, ভারি-ভারি পুঁথি, কুবেরের ধন-সম্পদ
সবই কি বৃথা ? সবই কি গেল অতল জলে?
জান্তব নখ-দন্ত নেই তবু ব্যাঘ্র ! ফণা নেই তবু সর্প !
সভ্যতা নামক জঙ্গল পশুর জঙ্গলের চেয়ে আরো বেশি ভয়ঙ্কর---
আজ অন্ধ-আলোর বাসিন্দারাই
সাধের এই পৃথিবী পাঠাচ্ছে রসাতলে !

০১/০৪/২০২০
রাত্রি ১২-৪০

প্রশ্ন / -----অমিয় কুমার জানাও পুরোহিত,কেন থেমে গেল  তোমার মন্ত্রপাঠ?ও ফাদার,কোথায় গেল তোমার বানী?ও ইমাম,কেন বন্ধ তোমা...
13/05/2020

প্রশ্ন / -----অমিয় কুমার জানা

ও পুরোহিত,
কেন থেমে গেল তোমার মন্ত্রপাঠ?
ও ফাদার,
কোথায় গেল তোমার বানী?
ও ইমাম,
কেন বন্ধ তোমার দরজা?
কে থামালো সব্বাইকে?
এখুনি ছেড়ে দাও মানুষের ওপর সকল অধিকার।
আর ঠকিও না তাদের।
করোনা বোধ হয় এটাই বলে গেল।

বন্ধুত্বের জয় / ------- সারভার আলমভালোবাসার চেয়ে মধুর হয় বন্ধুর বন্ধুত্বতা,সব সম্পর্কের থেকে উঁচু হয় বন্ধুত্বের সম্পর্ক ...
11/05/2020

বন্ধুত্বের জয় / ------- সারভার আলম

ভালোবাসার চেয়ে মধুর হয় বন্ধুর বন্ধুত্বতা,
সব সম্পর্কের থেকে উঁচু হয় বন্ধুত্বের সম্পর্ক টা।
বন্ধুত্বে থাকে তুই , তুমি , আপনি করে বলার অনুমোদনতা।।

বন্ধু হয়ে বন্ধু কে বাঁশ দিয়ে ঠাট্টা করা আবার বিপদে আপদে বন্ধুকে সব দিয়ে সাহায্য করা এদের কর্মকান্ডতা।

সময়ে অসময়ে হয়ে ওঠে মিষ্টির চেয়ে মিষ্টি, তেতুলের থেকে বেশি টক, লঙ্কার চেয়ে অনেক ঝাল।
প্রহর শেষে সব কিছু ভুলে আবার একসাথে খুনসুটির মাধ্যমে চলে এদের দিনকাল।।

রক্তের সম্পর্ক না থাকা সত্ত্বেও এরা একে অপরের প্রাণ,
ভালোবাসা , খুনসুটির মাধ্যমে কেটে যায় এদের দিনখান।

শুধুমাত্র রক্তের সম্পর্ক কী আপন হয়? বন্ধুর সম্পর্ক রক্তের সম্পর্কে র চেয়ে বেশি শ্রেয় হয়।
এ জন্য মন আমার কয় বন্ধুত্বের জয় , বন্ধুত্বের জয়।।

(২৭/০৭/২০১৮)

রবি প্রণাম.....
08/05/2020

রবি প্রণাম.....

প্রশ্নের কোলাজ / ------অমিয় কুমার জানাকার ভাববার কথা জোনাকি জ্বলা অন্ধকারের মন?কেমন করে ভাববার কথা অক্ষরমালার গতি?কোন ক...
05/05/2020

প্রশ্নের কোলাজ / ------অমিয় কুমার জানা

কার ভাববার কথা জোনাকি জ্বলা অন্ধকারের মন?
কেমন করে ভাববার কথা অক্ষরমালার গতি?
কোন কোন শেয়ালের মুখে কথার ধারালো ফলা
বিষধর ছোবল-- সংক্রমন--
বড় বাঁধের কোথাও যেন চোরা ঘোঘ
চোরা শিকারিদের চালাকি রুপরেখা
একই স্হলভাগের জরায়ুতে জায়গা পেলেও
কার কৌশলে আহত হয় জীবীকা?

অহেতুক / ------কলমশ্রমিকঅহেতুক বিরম্বনায় গুটিয়ে থাকামুখ লুকিয়ে নির্জন বাসঅক্ষমতার লজ্জা নিয়েনিজের ওপর অভিমানরাশিরাশি...
04/05/2020

অহেতুক / ------কলমশ্রমিক

অহেতুক বিরম্বনায় গুটিয়ে থাকা
মুখ লুকিয়ে নির্জন বাস
অক্ষমতার লজ্জা নিয়ে
নিজের ওপর অভিমান
রাশিরাশি হতাশার স্বীকার
লুকিয়ে রাখা নিজেকে
পালিয়ে বেড়ানো
সাফল্যের চকচকে হাসি আনন্দের
সুখী সুখী মানুষের ভিড়ে
একার একায় হাতড়ে বেড়ানো
ব্যর্থতার কারণ কিন্তু
চারপাশে দেখা অপদার্থের
উর্দ্ধারোহনের উত্তর মেলেনা
সমাজ ব্যবস্থায় বিতৃষ্ণা আসে
শোধনের অক্ষমতার লজ্জা
জীবনকে ব্যতিব্যস্ত করে।

বিষণ্ণ / ---- সৌরভ দেবনাথশূণ্য চোখে আকাশটা আজচুপ করে বসে হায়!বাতাসের দেখি মনটা খারাপএলোমেলো বয়ে যায়।মেঘেরা আছে ছড়িয়ে ছিট...
03/05/2020

বিষণ্ণ / ---- সৌরভ দেবনাথ

শূণ্য চোখে আকাশটা আজ
চুপ করে বসে হায়!
বাতাসের দেখি মনটা খারাপ
এলোমেলো বয়ে যায়।

মেঘেরা আছে ছড়িয়ে ছিটিয়ে
ওদেরও মনটা ভার,
সূর্যও অছে বন্ধ ঘরে
লুকিযেছে মুখ তার।

চাঁদের পুরোনো হাসিটাও বুঝি
গিয়েছে কোথাও হারিয়ে!
পৃথিবীর ব্যথা তারাদেরও যেন
দিয়েছে হৃদয় নাড়িয়ে।

সাগর হয়তো বোঝেনি এখনো
ঢেউয়েরা যায়নি থেমে
নদীও এখনো আপনভোলা
বৃষ্টি আসছে নেমে।

বাদলা পোকা /  ------- অভিজিৎ আচার্য্যফিকে হয়ে এসেছে হলদে বিকেলের আলো, ঈশান কোণ দখল করেছে নীলচে কালো মেঘেদের দল, বৃষ্টি ...
02/05/2020

বাদলা পোকা / ------- অভিজিৎ আচার্য্য

ফিকে হয়ে এসেছে হলদে বিকেলের আলো, ঈশান কোণ দখল করেছে নীলচে কালো মেঘেদের দল, বৃষ্টি নামবে। পুবের জানলা খোলা পেয়ে দামাল বাতাস হুড়মুড়িয়ে ঢুকে এলো ভিতরে, নিমেষে সমস্ত ওলোট পালট করে দিতে চাইলো, সারা ঘর ঘুরে শেষে থামলো এলো চুলে। টুপটুপিয়ে বৃষ্টি নামলো।

বাতাস এখন অনেক শান্ত, ঠান্ডা। খোলে চুলে সে গিয়ে দাঁড়ালো খোলা জানলার কাছে। ঝিরঝিরে জল ফোঁটা ভিজিয়ে যাচ্ছে তার মুখ, ঠোঁট, চোখ। হঠাৎ কতগুলো পতঙ্গ উড়ে এলো ঘরে। একসাথে অনেক গুলো। ও বলল এরা বাদলা পোকা, আলোর খোঁজে এসেছে। চেয়ে দেখলাম ঘন কালো আকাশের বুকে ফুটে উঠেছে আলোর রেখা। কত গুলো পোকা দল বেঁধে উড়ে চলেছে আলোর বৃত্তে, ওরা বাদলা পোকা। বাদলা করলে ওরা আলো খোঁজে। আলোর খোঁজে ওরা ছুটে চলে দিগন্ত পেরিয়ে। মাঠের সবুজে ওদের প্রাণ ভরে না, ওরা আগুন খোঁজে। দেখলাম বিদ্যুত রেখা ছুয়ে যাচ্ছে আগুনকে। ওরা ওই বিদ্যুৎ পিয়াসী, মরার আগে একবার চুমু এঁকে যায় আগুনের ঠোঁটে ঠোঁট রেখে।

এখন আমার ঘর ময় বাদলা পোকা, হাজার হাজার লাখ লাখ। কোন অমোঘ টানে ওরা উড়ে যাচ্ছে আগুনের দিকে, পুড়ে যাচ্ছে, শেষ নিঃশ্বাস অবধি ছুয়ে যাচ্ছে জ্বলন্ত শিখা।

এক জীবন্ত আগুনের টানে ছুটে চলেছে অগুনতি বাদলা পোকা, পুড়ে যাচ্ছে তাদের ডানা, দেহ, চোখ, আগুন ছুয়ে নিমেষে মিলিয়ে যাচ্ছে বাতাসে। আমি দেখতে পাচ্ছি আগুন থেকে উঠে আসছে এক একটা বাদলা পোকা, এখন আর তারা পোকা নয়, এক একটা পরী। সাদা তাদের ডানা, গায়ে ঝলমলে পোশাক, মাথায় ঝকঝকে মুকুট। তারা হাসছে আর মিলিয়ে যাচ্ছে হাওয়ার সাথে সাথে। আরও কালো আরও নীলচে কালো হয়ে আসছে আকাশ, আরও আগুন চাইছে অসংখ্য বাদলা পোকা।

আমার ঘরময় এক অদ্ভুত আগুন, ক্রমশ ঝলসে যাচ্ছি আমি। দু হাত, দু পা, দু চোখ পুড়ে যাচ্ছে সব। পুড়তে পুড়তে গজাচ্ছে চারটে ডানা, দু জোড়া পুঞ্জাখি। তারপর উড়ে যাচ্ছি জীবনের টানে আগুনের কাছাকাছি।

পরশমণি / ------সুদীপ্তএকটু পাশ ফিরলেই খাদ,এপাশ ফিরলেই তুমি,মাঝে উদ্বেগের নিরাভরণ ঝিলিক।আমি কোনো দিকেই তাকাতে পারি না,ক্ষ...
01/05/2020

পরশমণি / ------সুদীপ্ত

একটু পাশ ফিরলেই খাদ,এপাশ ফিরলেই তুমি,
মাঝে উদ্বেগের নিরাভরণ ঝিলিক।
আমি কোনো দিকেই তাকাতে পারি না,
ক্ষয়িষ্ণু প্রহরের জালিয়াত সময়,
আমার নারী টিপে বুঝতে চাইছে
আমার মতবাদের ঝোঁক কোন দিকে!

আমি একটা দীর্ঘশ্বাসকে স্প্রিংয়ের মতো
ছড়িয়ে দিতেই
শুরু হল পৌরাণিক দড়ি টানাটানি খেলা।
ধর্মান্ধ পুরোহিত- মৌলবী- যাজক সবাই
দোল খেতে লাগল ওই স্প্রিং ধরে,
তলায় অতলান্ত খাদ আর অনিবার্য মৃত্যু।

এই প্রথম তুমি হাসলে। ভুল করে ফুল ভেবে
সেই হাসি কুড়িয়ে ওদের হাতে দিতেই
একটা গীতা-একটা কোরান-একটা বাইবেল
জন্ম নিল।
দীর্ঘশ্বাসটি ছোট হয়ে ফিরে এলো আমার বুকে
তখন তুমি আকাশ দেখছ,আর গুনগুন করছ--
"আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে..."

মেহগনি কারুকাজ / ----- নূপুর সেনগুপ্তহাজার হাজার পইঠা  পাড় হয়ে ...জীবন শ্রান্ত পথ খোঁজে...সেখানেই পায় মুক্তি....যখনন যাপ...
30/04/2020

মেহগনি কারুকাজ / ----- নূপুর সেনগুপ্ত

হাজার হাজার পইঠা পাড় হয়ে ...জীবন শ্রান্ত পথ খোঁজে...
সেখানেই পায় মুক্তি....যখনন যাপন বলে,
না আরো চলো... চলো আরো আছে বাকি...
একটি অহং তোলে অনুরণন।

পিছনে দৃষ্টি মেলে ঝাপসা আলোর কুয়াশা সরাতে
সরাতে ....সরাতে সরাতে প্রজ্ঞার কিছু আসে...
তবু গৃহের জানালা গুলো নকল ঠেকে....
অনুভবে ঘুণ পরা কয়েকটি দরজা....

অথচ ভাবনায় ছিল মেহগনি কারুকাজ...
যা বলেছিল দেখো তো পারো কিনা!!

শ্রান্ত পথিক স্নিগ্ধ ক্লান্ত নয়ন তুলে
বলেছিল ...জীবনের সবটুকুই মেহগনি কারুকাজ...
কেবল অনুভব।
আজ বড় ভাবায়।

'লকডাউন এবং লুক ডাউন' / - দূর্গাদাস মিদ্যা ভাবতেই গা শিউরে ওঠে আমরা সকলে মৃত্যুপুরীতে বসে আছি,। নিস্তব্ধ নিরুপায়। শুধু ...
29/04/2020

'লকডাউন এবং লুক ডাউন' / - দূর্গাদাস মিদ্যা

ভাবতেই গা শিউরে ওঠে আমরা সকলে মৃত্যুপুরীতে বসে আছি,। নিস্তব্ধ নিরুপায়। শুধু হাত কামড়াচ্ছি আমাদের কৃত ভুলের মাশুল দিতে। সমাজ সভ্যতা সব বিপন্ন শুধু অপরিমেয় লোভ আর লালসায়। আমার পৃথিবী যাকে আমরা কতবার মা বলে ডেকেছি যে কত স্নেহ ভরে আমাদের সকলকে কোল দিয়েছিল দিয়েছিল বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় শুদ্ধ বাতাস জল জমি চোখের আরামের জন্য পাহাড় পর্বত সমুদ্র অরণ্যানী সহচর হিসেবে দিয়েছিল পশুপাখি নানা প্রকার জীবজন্তু শুধুমাত্র লোভের বশবর্তী হয়ে কিভাবে আমরা ডেকে আনলাম আমাদের ধ্বংস।হ্যাঁ পরস্পর আধিপত্য বিস্তারের জন্য ধন সম্পদ লুন্ঠনের জন্য কতবার কতবার যুদ্ধ বিগ্রহ করেছি। ঈর্ষাতে পুড়তে পড়তে কতবার ভাই হয়ে ভাইয়ের গলায় ছুরি বসিয়েছি বোধবুদ্ধি শূন্য হয়ে কতবার প্রকৃতির বুকে আঘাত হেনেছি সজ্ঞানে । আমরা ভুলে গেছি সেই পরম প্রিয় আশ্রয়দাতা এই পৃথিবী কে । এই অবিমৃষ্যকারিতার দাম মেটাতে হবে একদিন একথা বারে বারে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন কিছু মানুষ যাদের আমরা ব্যতিক্রমী মানুষ বলে মান্যতা দিয়েছি , শ্রদ্ধা জানিয়েছি ক্লান্ত অবসরে। কিন্তু কর্ণপাত করিনি সেইসব সুধা বাক্যকে। মত্ত হস্তী মতো দলে চলে গেছি প্রকৃতির সব রস রূপ গন্ধ সভ্যতা ও প্রগতির প্রয়োজনে। দৈনন্দিন প্রয়োজন সে তো থাকবেই সে যেমন মানুষের অর্থাৎ আমাদের আছে তেমনি আছে তাদের যাদের আমরা পশু বলে অকিঞ্চিতকর মনে করেছি ।তাছাড়া সভ্যতার আগ্রাসনে নির্দয় নির্বিচারে ধ্বংস করেছি সবুজ বনরাজি। নদী-নালা-খাল-বিল এসবকে বিড়ম্বনা মনে করেছি পৃথিবীর তিনভাগ জলজ সম্পদ তার সমস্ত হিসেবে আমরা গুলিয়ে দিয়েছি শুধুমাত্র নিজেদের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য। কত ছোট ছোট টিলা পাহাড় নির্মম ভাবে উড়িয়ে দিয়েছি অগ্রগতির পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে ভেবে। এসবের ফসল তো একদিন ফলবেএ সত্যি জানা ছিল না তা নয় তবু সব জামার আস্তিন গুটিয়ে রেখে অকাতরে খেলে গেছি মারণ খেলা এক পক্ষীয় ভাবে। প্রতিপক্ষ যে কেউ থাকতে পারে সে কথা জেনেও না জানার ভান করে এড়িয়ে গেছি মদগর্ব হয়ে। এর উপরে আছে অপরিমিত লোভ আছে পারস্পরিক আধিপত্যের দ্বন্দ্ব যা জন্ম দিয়েছে আসুরিক প্রতিহিংসার চলমান প্রগতির নামে দখলের যে বিরাট উন্মত্ততা তাকে ভুলে গেলে চলবে না। মানুষে মানুষে ভাগাভাগি ঈর্ষা হিংসা-দ্বেষ তার ফলস্বরূপ আজ ঘন কালো মেঘে ঢেকেছে সারা পৃথিবীকে। দমবন্ধ পরিবেশ সে তো আর এমনি এমনি হয়নি। হিসেবের খাতায় যত পাপ জমা হয়েছে তার ফল ভোগ করতে হবে না তা তো নয়। নানা শিবিরে বিভক্ত মানব সম্প্রদায় ক্রমাগত সচেষ্ট থেকেছে কে কাকে কেমন করে দমন করে শ্রেষ্ঠত্বের দাবীদার হবে তাই আজ এই বিষময় ফল। এখন গৃহবন্দী সমস্ত মানব সন্তান। বুদ্ধিমান মানব সন্তান! ভাবতে অবাক লাগে ক্ষণিকের মোহ যে দুর্ঘটনা ঘটে গেল তার ফল সুকৌশলে চাপানো হচ্ছে প্রকৃতির বুকে তা কিন্তু সত্য নয়। ফ্রাংকেনস্টাইনের কথা তো আমরা বিস্মৃত হতে পারি না। সে কথা জেনেও আধিপত্য বিস্তারের অন্ধ মোহে এমন এক অপকর্ম করে ফেলেছি যা সাহস করে আমরা স্বীকার করতে ভয় পাচ্ছি। ভয় তো পেতেই হবে। মহাকাল আজ সুযোগ পেয়েছে চেপে ধরেছে শত্রুর কণ্ঠ। বুঝে নিতে চাইছে ন্যায্য হিসেব যে হিসেবের খাতায় তাদেরও অংশীদারিত্ব রয়েছে সৃষ্টির আদিকাল থেকে। অংকে ভুল হলে ভুলের মাশুল তো দিতেই হবে একদিন না একদিন। তা না হলে কেনইবা ধ্বংস হবে রোমান সভ্যতা মহেঞ্জোদারো সভ্যতা সিন্ধু সভ্যতা অথবা ব্যাবিলনীয় সভ্যতা। জানিনা কবে কাটবে এই দুর্দিন? নিষ্ক্রিয় পৃথিবী আবার কবে সক্রিয় হবে। নাকি অদ্ভুত এক আঁধার এসে চিরতরে গ্রাস করবে মানবের ইতিহাসকে যা আজ চোখের সামনে ঘনিয়ে এসেছে মহাদুর্যোগের মতো। জে প্রাণশক্তিতে এগিয়ে চলেছিল মানব সভ্যতার রথ তা আজ স্তব্ধ । সেই ভাবনায় ঘুম ছুটে যায়। এত অসহায় বোধ এর আগে আর কখনও হয়নি মানব সংসারে। লকডাউনের বর্ম হয়তো খুলে যাবে একদিন কিন্তু যে বিশ্বাসভঙ্গের আবহ তৈরি হলো তার থেকে মুক্তি পেতে জানিনা কত সময় লাগবে। স্বাভাবিক জীবন যা ছিল বর্তমান এই কিছুদিন আগেও তা কি আর ফিরে পাওয়া যাবে কোন দিন?নাকি এই দুঃসহ দুর পনেয় আবহে নাক চোখ মুখ ডেকে এক অদ্ভুত আজব প্রাণী হয়ে বেঁচে থাকতে হবে অভাবনীয় ভুলের দুঃসহ জালানিয়ে। শুধরাবো কি আমরা কোনদিন নাকি আবার কোন এক মহা ভুলে জড়িয়ে শেষের সেদিনে পৌঁছে যাব যেখান থেকে আর ফেরা যাবে না কোনদিন ।

(২৭।০৪।২০২০)

গদ্য কবিতা  'প্রশ্ন' / ------ লেখক সঞ্জিত মণ্ডল (রচনা ২৩/০৪/২০১৯)প্রশ্ন তুমি কোরো নাকো আর--যদি চাঁদ ডুবে যায় যাক--অদ্ভূত...
28/04/2020

গদ্য কবিতা 'প্রশ্ন' / ------ লেখক সঞ্জিত মণ্ডল
(রচনা ২৩/০৪/২০১৯)

প্রশ্ন তুমি কোরো নাকো আর--
যদি চাঁদ ডুবে যায় যাক--
অদ্ভূত আঁধারের গ্রাসে ধ্রুবতারা যদি পড়ে খসে
ছায়াপথ যতদূরে সরে যায় যাক।
কৃষ্ণগহ্বর যদি সব কিছু গ্রাস করে তার,
আলো আর আঁধারের যা কিছু ভ্রুকুটি থাকে থাক
সবকিছু আঁধারেই ডুবে যাবে নাকি?
এক জীবনেই দেখি বারবার কতো অন্ধকার!
কে আছে বাঁচাবে বলো কোথা আছে সে দুনিয়াদার।

অপেক্ষায় থাকি আরবার--
সূর্যোদয়ের ভোর দিগন্তের পার হতে দেখা দেবে নাকি!
বিস্ময়ে তাই জেগে থাকি।
যে মহাসাগর পারে যত আশা ডুবে যেতে দেখি,
বিরহ দগ্ধ দিন অপেক্ষার মায়াজালে
তবু বেঁচে থাকবেই যদি--
ফুরাবে কি চাওয়া পাওয়া আর !
মেরু রেখা আরবার বদলাবে কি?
পৃথিবীর উষ্ণায়ন থেমে যাবে নাকি"
সুশীতল জলবায়ু পাবো কি আবার?

জীবনের যত গান প্রাণ পায় অফুরান
প্রখর দিনের তাপে তা শুকাবে নাকি?
প্রশ্ন তুমি কোরো নাকো আর--
ভালোবাসা যদি দরকার প্রাণে প্রাণ মেলাও আবার।
হাওয়ায় হাওয়ায় প্রাণে সাড়া জাগবে কি?
কেউ ফিরে তাকাবে কি আর?
সময় আসবে যবে দিনকাল পাল্টাবে
সুদিন দুচোখ ভরে দেখবো আবার।
ভয় কেটে ঘুচে যাবে সকল আঁধার
এসো করি জয়ধ্বনি তার।।

জানিনা / -----কলমশ্রমিকএকটা পাহাড়ের পাদদেশে দাঁড়িয়েবলেছিলাম হয়ত তোমার উচ্চতায় পৌঁছতে পারব না কোনদিনমনুষ্যত্বে-মননে-...
27/04/2020

জানিনা / -----কলমশ্রমিক

একটা পাহাড়ের পাদদেশে দাঁড়িয়ে
বলেছিলাম হয়ত তোমার উচ্চতায়
পৌঁছতে পারব না কোনদিন
মনুষ্যত্বে-মননে- মানবিকতায় (!)
নদীর তীরে এসে উদ্বেল স্রোতের তীব্রতা
সামনা করতে পারিনি পারদর্শিতায়
পারিনি ভালোবাসা ছুঁয়ে দেখতে
কাউকে আপন করে নিজেকে
কাঙাল করতে
তেমন করে কেউ ভালবাসেনি বলে
এমনি কতো কতো পারিনি হিসাব করতে
আক্ষেপ কি জমে আছে মজ্জায়-মননে(?)
কেউ বলে জীবন তো একটাই
আবার কেউবা জন্মান্তর
আমি বিশ্বাস অবিশ্বাসের দোলাচলে
বলি কতোইতো জানিনা
রয়ে গেছি টিকে আছি
অবোধ আনারির মতো ! !

।। জয় হবে, হবে জয় ॥                 - ফুল্লরা ধর খেলছি এখন ঘরে বসেই যুদ্ধ খেলা সারাটা দিন এ খেলাতেই যাচ্ছে বেলা ।তফাৎ রে...
26/04/2020

।। জয় হবে, হবে জয় ॥
- ফুল্লরা ধর

খেলছি এখন ঘরে বসেই
যুদ্ধ খেলা
সারাটা দিন এ খেলাতেই
যাচ্ছে বেলা ।

তফাৎ রেখে সময়ে কেউ
সাহস দিলে
রোগটাকে যে তাড়িয়ে দেবার
শক্তি মিলে

মনের ভেতর রাখতে হবে
ভীষণ জোর
আসবে তখন রাত পোহাতেই
নতুন ভোর ।

করোনার ওই মারণ খেলা
যাবেই দূরে
সে কথাটা বলতে পারি
সঠিক জোরে ।

মুখোমুখি একদিন তো
হবোই সবে
দিনটা শুধু জানে না কেউ
আসছে কবে!

শেষমেশ তো মানুষেরাই
করবে জয়
থাকবে না আর মহামারী
সরবে ভয় ।

মুখোশেই বাঁচি / ----বনশ্রী চক্রবর্তী কখনো কখনো মুখোশও পরতে হয় ।সব মুখোশই মুখ লুকোনোরনয়।একটু আড়াল একটু আবডাল একটু ছোঁয়াছু...
25/04/2020

মুখোশেই বাঁচি / ----বনশ্রী চক্রবর্তী

কখনো কখনো মুখোশও পরতে হয় ।
সব মুখোশই মুখ লুকোনোর
নয়।
একটু আড়াল একটু আবডাল
একটু ছোঁয়াছুঁই,
নিশ্বাসে বিষ তাই বুঝি আজ
মুখোশে মুখ লুকোই।
প্রকৃতি এখন গৌণ জীবনে,
মূল্য কে দেয় তার?
কৃত্রিমতায় বেশ থাকা যায়,
ওতেই সুখ বাঁচার ।
মাটির সপর্শ থাক থাক দূরে,
মাটি যে আবর্জনা,
ঘাস মাটি কাদা তাই তো যে আজ একেবারে মানা।
মাটির বুকে শহর গড়েছি
মাটির বুকেই ঘর,
অবিবেকী মন অলস স্বপ্ন
ভুলে যায় বারবার ।
দূষণ শমন স্পর্ধা দেখায়,
মাটি বায়ু জলে তার,
নিজের বলে ভাবিনি কিছুই,
ঘরটুকুই আমার ।
তাই শেষমেষ মুখ ঢাকা পড়ে,
মুখোশেই হয় শেষ,
চেতনার মুখে কালি লেপে সুখে,
বেঁচে তো আছি বেশ ।।

সমাজ সেবক   /    ----স্বপন দেবনাথ এখনও দলাদলি, এখনও জ্বলাজ্বলি এ-দল,ও-দল,-সে-দলএখনও দলবাজি, এখনও কোঁদল---এখনও জার্সি গায়...
24/04/2020

সমাজ সেবক / ----স্বপন দেবনাথ

এখনও দলাদলি, এখনও জ্বলাজ্বলি
এ-দল,ও-দল,-সে-দল
এখনও দলবাজি, এখনও কোঁদল---
এখনও জার্সি গায়ে, এখনও ছলাছলি
যখন পৃথিবীই যেতে চলেছে রসাতল!
দেখে আর শেখেনা কেউ
ঠেকেও আজ শিখছেনা মানুষ
'ঘুঁটে পোড়ে, গোবর হাসে'র মতো
ধিকি-ধিকি জ্বলতে শুরু করেছে তুষ!
আগুন লেগেছে গ্রাম-নগরের চারিদিকে
দেবালয় যাবে নাকি বাদ---
যদি এখনও ক্রমাগত ভুল ক'রে যাও
বিপদের দিনে ভাই ভাইকে ছিঁড়েখুঁড়ে খাও
তবে অচিরেই ঘটবে যেন পরমাদ!

এর চেয়ে খেটে খাওয়া মানুষ ঢের ভালো
তাদের কোনো রং নেই
তাদের কোনো জার্সি নেই
তাদের শুধু হৃদয় আছে---
তাই যতই অন্ধকার হোক্ দিন
নিজেদের যতই থাক্ না অভাব
খেটে খাওয়াদের সহজে নষ্ট হয়না স্বভাব
তারাই দাঁড়াচ্ছে অসহায় মানুষের কাছে!
কোন-কোন মানুষ দেবতার মতো বাড়াচ্ছে হাত
বিপদ মাথায় নিয়েও দিন-রাত!

অনেক ঠেলাওয়ালা, রিক্সাওয়ালা, সব্জিওয়ালা
ভারতের অধিকাংশ নেতা ও মন্ত্রীর চেয়ে
আমি জানি, সৎ-স্বাধীন ও মানবসাধক---
অনেক বিড়িবাঁধক, মুদি, ঝাড়ুদার, জুতোর দোকানি
ভারতের অধিকাংশ নেতা ও মন্ত্রীর চেয়ে
ঢের বেশি দায়িত্বশীল নাগরিক ও সমাজসেবক!

।। সাদা কালো ।।               ------ সুদীপ্ত বন্দ্যোপাধ্যায়যে কৌণিক পরম্পরায় আলো আসছে আমাকে সেদিকে রাখুন,কনসার্ট শুরু কর...
23/04/2020

।। সাদা কালো ।।
------ সুদীপ্ত বন্দ্যোপাধ্যায়

যে কৌণিক পরম্পরায় আলো আসছে আমাকে সেদিকে রাখুন,কনসার্ট শুরু করুন।
অন্য কুশীলবদের প্রস্তুত হতে বলুন, পালাকার!
যে মরা সৈনিকের চরিত্র ছাড়া কিস্যু পায়নি জীবনে, তাকে আপনি দিয়েছেন নায়কের চরিত্র,
আপনি মহানুভব অথবা বুদ্ধু!

আমার সাজসজ্জা জয়ী বীরের মতো না পরাজিত বীরের মতো ? কাহিনীতে কী আছে ?আমাকে মঞ্চে দেখে দর্শকমণ্ডলী হাপুস নয়নে
কাঁদবে--এই সুড়সুড়িটুকু কী না থাকলে নয় ?

তবু সমস্ত কেন্দ্রীভূত আলো যেন আমাকে ঘিরে
আবর্তিত হয় দেখবেন, আসলে যা আমি বলিনি-
আমি চাই সাদা কালোর যাচাই পর্ব !

(ছবি: সংগৃহীত)

।। করোনাবর্ষ ।।                   - সুব্রত  দেবনিয়ম মেনেই  এসেছে সে এসেছে নববর্ষ করোনার ভয়ে কাঁপছে বলেইকারো মনে নেই হর্ষ...
22/04/2020

।। করোনাবর্ষ ।।
- সুব্রত দেব

নিয়ম মেনেই এসেছে সে
এসেছে নববর্ষ
করোনার ভয়ে কাঁপছে বলেই
কারো মনে নেই হর্ষ ।

কারো মতে, ঘরে থেকে
তালি থালি ঘণ্টা
বাজালে পরে কাটতে পারে
বিপর্যয়ের ক্ষণটা ।

কেউ বলছে, পেটটি ভরে
গো-মূত্র খাও
নেচে -কেঁদে কেউ বলছে
' Go Corona' গাও ।

কারো মতে রৌদ্র স্নান,
কারো মতে, শঙ্খ
বাজাও যদি, করোনা থেকে
হবে নিঃশঙ্ক ।

কারো মতে, যাগযজ্ঞ
দিতে পারে মুক্তি
কেউবা বলেন , সতর্কতার
সাথেই করো চুক্তি ।

কার কথা ঠিক, কারটা বেঠিক
লাগে যদি ধন্দ,
কিছুটা দিন মেলামেশা
করে দিয়ে বন্ধ,
তাই করো , যা ডাক্তারেরা
থেকে থেকে বলে
লেজ গুটিয়ে করোনা তবে
যাবেই অস্তাচলে।

।। দেহদান ।।                   -সোমনাথ বেনিয়ামৃত‍্যুর পর দেহদানের অঙ্গীকার করে চুক্তিপত্রে স‌ই করলো অভিষেক। এখন সে ভীষণ ...
21/04/2020

।। দেহদান ।।
-সোমনাথ বেনিয়া

মৃত‍্যুর পর দেহদানের অঙ্গীকার করে চুক্তিপত্রে স‌ই করলো অভিষেক। এখন সে ভীষণ খুশি ...আনন্দিত ...উত্তেজিত! তার স্বপ্নপূরণ হবে। মৃত‍্যুর পর তার দেহের অঙ্গ-প্রত‍্যঙ্গ নিয়ে মুমূর্ষু মানুষ নতুন করে বাঁচার স্বপ্নে বিভোর হবে। এখন সে এক স্বর্গীয় শান্তিতে চোখ বন্ধ করে শুয়ে আছে। এর কিছু দিন পর সঙ্গত কারণেই অভিষেক শেষ নিশ্বাস ত‍্যাগ করে হাসপাতালে। তার মুখের উপর ভেসে থাকা স্নিগ্ধছায়া দেখে সেখানে উপস্থিত অনেকের মনে হলো সে যেন শুধু মৃত‍্যুর জন‍্য‌ই অপেক্ষা করছিলো। চুক্তিপত্র অনুযায়ী তার দেহ নিয়ে যাওয়ার সময় বাড়ির ঘনিষ্ট লোকেদের এক সম্মিলিত দীর্ঘশ্বাস যেন এটাই বলে যে অন্তরের অলীক কোনো শক্তির আভায় এতটা আলোকিত হয়ে থাকতে পারা জন্মান্ধ একটি মানুষে কাউকে তার অন্তরের আলো চোখে এনে দিতে পারবে না ...

ঠিকানা - ১৪৮, সারদা পল্লি বাই লেন
ডাক + থানা - নিমতা
জেলা - উত্তর ২৪ - পরগনা
কলকাতা - ৭০০ ০৪৯)

(ছবি: সংগৃহীত)

।। আশার আলো ।।               - শর্বাণী চ্যাটার্জি  আশার আলোয় এসোজুড়ে যাই আলোকময় খোঁজে....যা কিছু ভালো এসো  ভালোবাসি ।  র...
20/04/2020

।। আশার আলো ।।

- শর্বাণী চ্যাটার্জি

আশার আলোয় এসো
জুড়ে যাই আলোকময় খোঁজে....
যা কিছু ভালো
এসো ভালোবাসি ।

রাস্তার ধারে
দাঁড়িয়ে কিংবা বসে;
মাস্ক এ ঢাকা
দেশে কিংবা বিদেশে;
ক্ষুধার্ত ভয়ার্ত বিবর্ণ অবয়ব
বন্ধু ভেদাভেদহীন ;নয় ভিন্ন ছবি।
বেসুরো বাতাসে ....বুঝুক এ অবুঝ মন ...
এই মুহুর্তে সুস্স্থ থাকাটাই ;
একান্ত প্রয়োজন ।

স্রোতধারার বহমান স্রোতে।
মানবজোটের বিশুদ্ধ আলোকময়
এ ধরা
শান্তি ও খুশির আগমনী
সাজাবেই
আগামী প্রজন্মের বুকে।।

(চিত্র: সংগৃহীত)

।। কবিতার চেষ্টা ।।                        - নূপুর সেনগুপ্তএকটি আস্ত উপন্যাস লেখা যায়!স্মৃতির ঝাঁপিতে তোমার ছায়া পড়লে।আম...
14/04/2020

।। কবিতার চেষ্টা ।।

- নূপুর সেনগুপ্ত

একটি আস্ত উপন্যাস লেখা যায়!
স্মৃতির ঝাঁপিতে তোমার ছায়া পড়লে।

আমি অপারক,
পারিনি সংক্ষিপ্তসার তৈরি করে নিতে,
তাই হল না কবিতা লেখা।

কবিতা লেখা হল না। তবু কেবলই
কবিতায় কথা বলে আনন্দ পাই,
কবিতায় ভালবেসে তৃপ্তি পাই,
না-পাওয়া বেদনা! তাও খুঁজি কবিতার ভাষায়!
আর যত বার উথলে উঠেছে ভাললাগা,
ততবার কবিতার ভাষা সৃষ্টি করেছে নিজেকে!
আমি হারিয়েছি কী! না, নতুন করে পেয়েছি আপন
আত্ততা, আপন হৃদয়ের সীমাবদ্ধতার মুক্তি।
কখনো ভাবনার বাস্তবায়ন, কখনো বা যাবতীয় ভ্রান্তি! আবার কখনো বা সাংকেতিক অস্তিত্বহীন
বন্ধন! যে শূন্য হয়েও শেষ নয়।

তাই প্রতিটি প্রভাতের নীল মুহূর্তের আকূল পিয়াসী
হয়ে থাকি। সমুদ্রের কূলে ফিরে ফিরে যাই প্রবল আকর্ষণে। ক্ষণ গুলি আলিঙ্গনে কাছে টানে।
কখনও ফিরিয়ে দেয় না।

(ছবি: সংগৃহীত)

14/04/2020

* অমৃতাক্ষর * পত্রিকার
আজ থেকেই শুরু হচ্ছে নববর্ষর অনলাইন সংস্করণ।

একলা বৈশাখ থেকে
একলা চলো-র কর্মধারায়
দেখে নেব
এ-লড়াইকে কে থামায়।
যদিও বন্ধ দুয়ার
মনের তো রয়েছে হাজার রন্ধ
যে-ফুল ফুটছে মনন-বাগানে
তার ছড়াবেই সুগন্ধ।

09/04/2020

৪৭ বছরের "অমৃতাক্ষর" সাহিত্য পত্রিকা
"Facebook online"- এও প্রবেশ করল। এই আপদকালীন বন্দীদশায় বাহির যেখানে স্তব্ধ, অন্তর সেখানে প্রবলভাবে জাগ্রত।
সুতরাং স্মরণাপন্ন হতেই হলো
"করায়ত জগৎবন্ধু"র।
ভাবনার শতদল ও সৃষ্টির স্ফুলিঙ্গ
ঢেউ-র মত উচ্ছল-উত্তাল। সে উন্মাদনা বর্ণাক্ষরে প্রকাশ-প্রয়াসেই এ নব- উদ্যম ।
সকল কলম-বন্ধুকে এই শুভযাত্রায় হার্দিক-আমন্ত্রণ।

লেখা পাঠানোর জন্য 'send message' এ click করুন, অথবা ৯৯০৩৩৫০৫৪১ এ WhatsApp করুন।

-স্বপন দেবনাথ (সম্পাদক)

Address

Kolkata

Telephone

+919903350541

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when অমৃতাক্ষর -Amritakshar posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to অমৃতাক্ষর -Amritakshar:

Share

Category

Nearby media companies



You may also like