Dakta Thako

Dakta Thako “Education is what remains after one has forgotten what one has learned in school.”

এশিয়া কাপের জন্য ভারতের 17 জনের স্কোয়াড ঘোষণা হল 🇮🇳🏆অধিনায়ক রোহিত৷ কিপার হিসেবে থাকছেন রাহুল এবং ইশান। তিনজন স্পিনার হলে...
22/08/2023

এশিয়া কাপের জন্য ভারতের 17 জনের স্কোয়াড ঘোষণা হল 🇮🇳🏆
অধিনায়ক রোহিত৷ কিপার হিসেবে থাকছেন রাহুল এবং ইশান। তিনজন স্পিনার হলেন জাদেজা, অক্ষর এবং কুলদীপ। পাঁচজন পেসার হলেন শামি, সিরাজ, বুমরাহ, শার্দুল এবং কৃষ্ণা। সারপ্রাইজ সিলেকশন তিলক। ব্যাকআপ কিপার হিসেবে থাকছেন সঞ্জু।
বেস্ট অফ লাক টিম ইন্ডিয়া 😊

কিংবদন্তি চিত্রপরিচালক সত্যজিৎ রায় রসিকতার সুরে বলেছিলেন "মহানগর" ছবির জন্য বাঙালিরা তাঁকে যে প্রশংসা করেছেন তার তুলনা ...
22/02/2023

কিংবদন্তি চিত্রপরিচালক সত্যজিৎ রায় রসিকতার সুরে বলেছিলেন "মহানগর" ছবির জন্য বাঙালিরা তাঁকে যে প্রশংসা করেছেন তার তুলনা হয় না। সত্যি কথা হল ছবির শেষ দৃশ্যে চৌরঙ্গীর রাস্তার সাবেকি আমলের একটা ল্যামপোস্টের তিনটে হোল্ডারওলা এনামেলের তৈরি গোলাকার ল্যাম্প শেডের অবস্থা কার্যত বিতর্কে জড়িয়েছিলেন ছবির দর্শক থেকে সাধারণ মানুষ। মানিক বাবু হাসি চাপতে চাপতে বলেছিলেন " কাগজে কাগজে সে একেবারে জয়জয়কার মশাই। এমন নির্ভেজাল প্রশংসা আর কখনও এর আগে পাইনি "।

জয়পুরের অফিসে ঢুকলে বাঙালি ভদ্রলোক কে রাজস্থানী পিওন বললেন "সত্যদেও রাও"নামে একজন ফোন করেছিলেন। তিনি অফিসে এসে যেন একবার খাসাকোটি প্যালেসে ফোন করেন। একটু যেন ধাঁধার মত লাগছে,আর সে নিজে "সত্যদেও রাও"নামের কাউকে চেনেন না।যাই হোক ফোন করার অনুরোধ যখন এসেছ তখন পাল্টা ফোন করতে হয়। সেই সময় তাঁর জন্মান্তর প্রসঙ্গে একটি বই প্রকাশিত হয়।বইটি তিনি জয়পুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারাসাইকোলজি বিভাগের অধ্যক্ষ বিজ্ঞানী ড.হেমেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের গবেষণার ভিত্তিতে লিখেছিলেন।

পরামনোবিদ্যা সম্পর্কে আলোচনা প্রসঙ্গে সিধু জ্যাঠা ফেলুদাকে যে ম্যাগাজিনটি ট্রেনে পড়ার জন্য দিয়েছিলেন সেটির জন্যই মানিকবাবু তাঁকে টেলিফোন করেছিলেন। হ্যাঁ লেখক ভদ্রলোক টেলিফোন ব্যাক করে শুনলেন গম্ভীর স্বরে উল্টোদিকের মানুষটি বলেছেন "হ্যাঁ আমি জয়পুরে 'সোনার কেল্লা'র শুটিং করতে এসেছি, আমার জন্মান্তরবাদের ওপরে কিছু বিদেশী ম্যাগাজিন চাই।

নিবন্ধের লেখক জ্যোতির্ময় দাশ লিখেছেন "মানিকদার কাছে গল্প শোনা এক বিরল সৌভাগ্যের মত।অমন জমিয়ে মজলিশি ঢংয়ে গল্প বলা আমি আর কারও কাছে শুনিনি"। রসিকতার সুরে বলেছিলেন "তবে বাঙালিদের মত অমন ইন্টেলেকচুয়াল দর্শক আর হুজুগে মানুষ আমি বিশ্বের কোথাও পাইনি "। সঙ্গে আরও কিছু বলেছিলেন সে গল্প না হয় আপাতত অন্যদিনের জন্য তোলা থাকুক।

"মহানগর "ছবির একটা গল্প বলেছিলেন মানিকবাবু। বলেছিলেন বাঙালিরা তাঁকে"মহানগরের "যে প্রশংসা করেছেন তার তুলনা হয় না। ছবির দুই মুখ্য চরিত্র মাধবী ও অনিল চট্টোপাধ্যায় অফিসপাড়া দিয়ে হাঁটছেন। সন্ধ্যা নেমে আসছে,অনিলের ব্যাঙ্ক ফেল করেছে, ওদিকে মাধবী চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন।সদ্য চাকরি হারানো স্বামী,স্ত্রী পাশাপাশি পথ চলতে চলতে শেষ সংলাপ বলে "এত বড় শহরে আমরা কী আবার চাকরি পাবো না"? তারা জনতার স্রোতে মিশে যায় আর ক্যামেরা চৌরঙ্গীর রাস্তার সাবেকি আমলের একটা ল্যামপোস্টের তিনটে হোল্ডারওলা এনামেলের তৈরি গোলাকার ল্যাম্প শেডে এসে ফ্রিজ হয়।
সিনেমার পর্দায় ক্লোজ আপ শটে দেখা গেল তিনটে বাল্বের মাত্র একটা জ্বলছে,আর একটায় বাল্ব আছে কিন্তু জ্বলছে না,আর তৃতীয় হোল্ডারে কোনও বাল্ব নেই।

তবে এই নিয়ে খবরের কাগজে উঠল আলোচনার ঝড়, সবাই মুক্তকণ্ঠে সত্যজিৎ রায়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। নানা ব্যঞ্জনায় হলেও লেখার সুর এক।কেউ লিখলেন সত্যজিৎ রায় ক্যালকাটা কর্পোরেশন কে যে ভাবে সাইলেন্টলি জুতো মারলেন তুলনা নেই।কেউ অতি উৎসাহে প্রশ্ন তোলেন একেবারে পুকুর চুরির মত ঘটনা ইন্সপেক্টররা সব বাড়িতে ঘুমোয়। অনেকেরই আফশোস রোজ অফিসে গেলেও এটা তারা খেয়ালই করেন নি। নরেন মিত্তিরের গল্পেও এই ঘটনা নেই, কিন্তু সত্যজিৎ রায় সকলের টনক নাড়িয়ে দিলেন।এই না হলে ওয়ার্ল্ড ফেমাস ডাইরেক্টর। মানিক বাবু হাসি চাপতে চাপতে বললেন " কাগজে কাগজে সে একেবারে জয়জয়কার মশাই। এমন নির্ভেজাল প্রশংসা আর কখনও এর আগে পাইনি।

পরাধীন ভারতেও অপরাজয় মহারাষ্ট্রের জাঞ্জিরা জলদ দুর্গপ্রায় দুশো বছর ব্রিটিশরা ভারতের ওপর রাজত্ব কায়েম করলেও এমন এক স্থ...
18/02/2023

পরাধীন ভারতেও অপরাজয় মহারাষ্ট্রের জাঞ্জিরা জলদ দুর্গ

প্রায় দুশো বছর ব্রিটিশরা ভারতের ওপর রাজত্ব কায়েম করলেও এমন এক স্থান আছে যেখানে ইংরেজ পর্তুগিজ ডাচ ওলনদাজ বটেই এমনটি ছত্রপতি শিবাজী বা তার পুত্র ও অধিকার কায়েম করতে পারেনি । স্থানটি হল মহারাষ্ট্রের জাঞ্জিরা দুর্গ । মুম্বাই থেকে ১৬২ কিমি দূরে ৪৫ একর জায়গা নিয়ে অবস্থিত ৯০ ফুট উচ্চতার ৩৫০ বছরের পুরনো। এটি মূলত হাপসি দের হাতে তৈরি এটি। নির্মাণের ক্ষেত্রে চুন গুড় সিসা নুড়ি পাথরের মিশ্রণ ব্যবহার করা হয় ঐতিহাসিকরা বলেন ব্রিটিশরা বাইশ একর জায়গা নিয়ে ২২ বছর ধরে ২২ টি সৈন্য ঘাঁটি তৈরি করে রেখেও এই দুর্গ অধিকার করতে ব্যর্থ হন । এই দুর্গের ভেতর গাইড ছাড়া প্রবেশ সম্ভব নয়। কারণ এর ভেতর একটি ভুলভুলাইয়ার মতন। এর ভেতরে প্রায় 550 টি পরিবার বসবাস করতে পারবে। অন্যতম দর্শনীয় দ্রষ্টব্য হল আহমেদ গঞ্জ দত্তা ও কোটেশ্বভরি মন্দির। এখানে একজন পীর বাবার মাজারও আছে।দুর্গটি ঘুরে দেখতে গেলে জলপথে বোটের সাহায্য নেন পর্যটকরা। যদিও এখানে রাতে প্রবেশ নিষিদ্ধ। দুর্গটি দেখতে প্রায় সারা বছর পর্যটকরা ভিড় জমান।

সুইডিশ যুদ্ধজাহাজ ভাসা।  এটি 1628 সালে তার প্রথম সমুদ্রযাত্রার এক মাইলেরও কম সময়ে ডুবে যায় এবং 333 বছর পর প্রায় সম্পূ...
14/02/2023

সুইডিশ যুদ্ধজাহাজ ভাসা। এটি 1628 সালে তার প্রথম সমুদ্রযাত্রার এক মাইলেরও কম সময়ে ডুবে যায় এবং 333 বছর পর প্রায় সম্পূর্ণ অক্ষত অবস্থায় সমুদ্রের তল থেকে উদ্ধার করা হয়। এখন স্টকহোমের ভাসা মিউজিয়ামে রাখা হয়েছে, এটি 17 শতকের বিশ্বের সেরা সংরক্ষিত জাহাজ।

১৮৭০ সালে রেড রোড এই রকম ছিল। আজকের দিনে বসে রেড রোড দিয়ে গরুর গাড়ী - ঘোড়ার গাড়ী চলছে সেটা কল্পনা করাও কষ্টকর। দূরে দেখা...
14/02/2023

১৮৭০ সালে রেড রোড এই রকম ছিল। আজকের দিনে বসে রেড রোড দিয়ে গরুর গাড়ী - ঘোড়ার গাড়ী চলছে সেটা কল্পনা করাও কষ্টকর। দূরে দেখা যাচ্ছে ফোর্ট‌ উইলিয়াম।

রেড রোড আর ফোর্ট‌ উইলিয়াম,কলিকাতা,১৮৭০
Red Road & Fort William, Calcutta, 1870
---------

‘রানী মুদিনীর গলির কথা’                                    একদা পুরানো কলকাতার যে গলিটির নাম ছিল ‘রানী মুদিনীর গলি’, পরব...
11/02/2023

‘রানী মুদিনীর গলির কথা’

একদা পুরানো কলকাতার যে গলিটির নাম ছিল ‘রানী মুদিনীর গলি’, পরবর্তীকালে সেটারই নাম হয়েছিল ‘ব্রিটিশ ইন্ডিয়ান স্ট্রীট’, আর সেটারই বর্তমান নাম হল ‘সিরাজুদ্দৌল্লা সরণি’। কলকাতার কিছু রাস্তার নাম অতীত থেকে বর্তমান পর্যন্ত বেশ কয়েকবার পরিবর্তন হলেও, অতীতের কিছু নাম আজও ইতিহাস অনুসন্ধিৎসু ব্যক্তিদের মনে জিজ্ঞাসার ছাপ রেখে যায়। খুব বেশি দিন আগে নয়, ১৯৭০-এর দশকের কলকাতাতেও রাইটার্স বিল্ডিংয়ের প্রায় গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে থাকা ‘সেইন্ট এন্ড্রুজ’ নামের স্কচ গির্জার মাথার ঘড়িটি ঘন্টা বাজিয়ে সময় জানান দিত। ওই ঘড়িটিই তখন ডালহৌসি স্কোয়ারে কর্মরত কেরাণীকুলের ভাগ্যবিধাতা ও হৃদপিণ্ড ছিল। ওই সময়ে ডালহৌসিতে সকাল দশটায় হাজার হাজার লোক পদার্পন করেই প্রথমে ওই ঘড়িটির দিকে নজর দিতেন। তারপরে সেই ঘড়ির নির্দেশানুযায়ী তাঁদের পা দ্রুত অথবা লঘু হত। আবার বিকেলে কাজ সেরে বাড়ী ফেরবার সময়েও তাঁদের দৃষ্টি একবারের জন্য হলেও ওই ঘড়িটির দিকে নিবদ্ধ হত। একটা দীর্ঘ সময় ধরে পথচলতি কত মানুষের দৃষ্টিকে ওই ঘড়িটি যে নীরবে হজম করেছে, তার কোন হিসাব নেই। চার্চের মাথায় সেই ঘড়িটি আজও থাকলেও, সেটি এখন আর নির্ভুল সময় বলে না; এখন আর ঘন্টাও বাজে না। ওই চার্চের কাছেই রয়েছে সেই গলিটি, সুদূর অতীতে যেটার নাম ছিল - রানী মুদিনীর গলি। সেখানে ডান পাশে আজও গ্রেট ইষ্টার্ণ হোটেলের প্রাসাদতম অট্টালিকাটি টিকে রয়েছে। ’৭০-এর দশকে সেটার নীচের তলায় ওই গলির মুখে দ্বাররক্ষীর মত নিউম্যানের বইয়ের দোকানটা দাঁড়িয়ে থাকত। বাঁ পাশে থাকা বৃটিশ ইনফরমেশন সার্ভিসের নতুন সুদৃশ্য বাড়ীটা তখন সবে জন্মগ্রহণ করেছিল। আজও ওল্ড কোর্ট হাউস দিয়ে সেই গলিটিতে ঢুকতে গেলে ওই বাড়িটি দেখে একবার হলেও দাঁড়াতে হয়। তারপরে তো কলকাতার ইতিহাস বিখ্যাত গ্রেট ইস্টার্ন হোটেল রয়েছেই।
ওই গলির মুখে দাঁড়িয়ে একটু কল্পনার আশ্রয় নিলেই অনায়াসে ১৭৫৭ সালের মধ্যভাগে চলে যাওয়া যায়। সেই বছরই সিরাজ কলকাতা আক্রমণ করেছিলেন। ইতিহাসটা জানা থাকলে, ওই গলির মুখে দাঁড়িয়ে চোখ বুজে একটু কল্পনা করলেই সেদিনের দৃশ্যপট অনায়াসেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে। আজকের কলকাতার জেনারেল পোষ্ট অফিসের সংলগ্ন জায়গাটি জুড়ে তখন পুরানো ফোর্ট উইলিয়ম কেল্লা দাঁড়িয়ে ছিল। সিরাজ ইংরেজদের অধিকারে থাকা সেই কেল্লা আক্রমণ করবার জন্যই কলকাতায় হানা দিয়েছিলেন। এখন যেখানে রাইটার্স বিল্ডিং রয়েছে, তখন সেটার ঠিক পিছনে একটি প্লে-হাউস ছিল। সেখানেই নবাবের সৈন্যেরা একটি ব্যারাক তৈরী করে কেল্লার উদ্দেশ্যে তোপ দাগতে শুরু করেছিলেন। ওদিকে সিরাজকে বাধা দেওয়ার জন্য সেই দুর্গের ভেতর থেকে কলকাতার গভর্নর ‘ড্রেক’ সাহেব ও ‘হলওয়েল’ মিলে ইংরেজ সৈন্যদের নিয়ে প্রাণপনে দুর্গটি রক্ষা করবার চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছিলেন। সেই সময়ে নবাবের সৈন্যবাহিনীকে বাধা দেওয়ার জন্য লালদীঘির চারপাশে থাকা বিরাট বিরাট বাড়ীগুলিকে ভেঙ্গে ফেলা হয়েছিল, ও সেখানে একটি অস্থায়ী খাতও খনন করা হয়েছিল। সে খাতের একদিকে ছিলেন নবাবের সৈন্যরা, অপরদিকে ছিলেন সৈন্যরা, আর তাঁদের উভয়ের সঙ্গী ছিল কামানের জ্বলন্ত গোলা। উভয় পক্ষের মধ্যে গলা ছোঁড়াছুঁড়িতে সেই সময়ে ওখানে যে কয়টা বড় বড় বাড়ী ছিল, সেগুলোর অধিকাংশই হয় কামানের গোলার কবলে পড়ে ধরাশায়ী হয়েছিল, আর নয়ত পুড়ে খাক হয়ে গিয়েছিল। তখন ইংরেজরাও ওই অঞ্চলের চারিদিকে তোপমঞ্চ তৈরী করে কামান দেগে নবাবের সৈন্যদের তাড়াবার তোড়জোড় করেছিলেন। লালদীঘির চারিদিকেই তখন তোপমঞ্চ তৈরী করা হয়েছিল। ওই সময়ে ওল্ড কোর্ট হাউস স্ট্রীটেই দুটো তোপমঞ্চ ছিল। এখন যেখানে অতীতের ক্লাইভ স্ট্রীট বা বর্তমানের নেতাজী সুভাষ সরণি, সুদূর অতীতে যেখানে কোম্পানীর সোরার গুদাম ছিল, সেখানেও একটি তোপমঞ্চ তৈরী করা হয়েছিল। তাছাড়া অতীতের হেষ্টিংস হাউস স্ট্রীট, কাউন্সিল হাউস স্ট্রীট আর গভর্ণমেন্ট প্লেসের সন্ধিস্থলেও ইংরেজরা তখন একটি তোপমঞ্চ বানিয়েছিলেন। আর ওই রানী মুদিনীর গলির মুখেও একটি তোপমঞ্চ ছিল। কিন্তু তখন অত কিছু করেও ইংরেজরা কলকাতাকে রক্ষা করতে পারেন নি। সিরাজ অনায়াসে তাঁদের হাত থেকে কলকাতা ছিনিয়ে নিয়েছিলেন। তারপরে তিনি সেই সময়ের কলকাতায় থাকা ইংরেজদের বড় বড় গির্জাগুলিকে ধূলিস্যাৎ করে দিয়েছিলেন। বিখ্যাত সেইন্ট এন্ড্রুজ গির্জাও সেই সময়ে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। সে দিনের সেই রানী মুদিনী গলিই পরবর্তীকালে বৃটিশ ইণ্ডিয়ান স্ট্রীট হয়ে এখন সিরাজুদ্দৌল্লা সরণি। একদা ওই পথের পাশেই বৃটিশ ইণ্ডিয়ান বা জমিদার সভার অবস্থান ছিল বলে রাস্তাটির নাম হয়েছিল ব্রিটিশ ইন্ডিয়ান স্ট্রীট। ওই গলিটিই এখনো প্রমান করে যে সুদূর অতীতে কলকাতা শহরে সিরাজের সঙ্গে ইংরেজদের তুমুল একটা যুদ্ধ হয়েছিল। তখন ইংরেজরা ওই গলির মধ্যে ঢুকে লুকিয়ে লুকিয়ে নবাব সৈন্যদের ওপরে গোলাবর্ষণ করেছিলেন, আর নবাবের সৈন্যরাও ইংরেজদের নিধন করবার জন্য সেই গলির মধ্যেই ঢুকে পড়েছিলেন। এই প্রসঙ্গে সুপ্রসিদ্ধ প্রত্নতত্ত্ববিদ ‘এ. কে. রায়’ ও ইংরেজ ঐতিহাসিক ‘মিঃ কটন’ বলেছিলেন যে, সেই থেকেই ওই গলির নাম হয়েছিল - ‘রণ মর্দ গলি’। আর সেই রণ মর্দ থেকেই নাকি পরবর্তীকালে রানী মুদি নামটি হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু কোনটা যে ঠিক সেটা নিয়ে আজও সন্দেহ রয়েছে। রানী মুদি থেকে রণ মর্দ, নাকি রণ মর্দ থেকে রানী মুদি? রণ মর্দ যদি নাম হয় তাহলে সেই নামের একটা অর্থ পাওয়া যায়। কিন্তু রানী মুদিনীর গলি হলে সেই রানী মুদিনীর অস্তিত্ব এখন কোথায়? ওই গলির মধ্যে কোথায় সেই মেয়ে মুদিনীর মুদির দোকান ছিল? এখন ওখানে সেসবের কোন চিহ্ন পাওয়া অসম্ভব। ওই পথটি ধরে সামনে এগিয়ে গেলে দেখা যাবে যে সেটা ক্রমে সরু হয়ে বেন্টিঙ্ক স্ট্রীটের সঙ্গে মিশে গিয়েছে। আগে ওখানে অনেক পুরানো বাড়ী ছিল। এখন দু’-একটা বাদে বেশিরভাগই নতুন বাড়ী। শোনা যায় যে, অতীতে ওই সব বাড়ীতে নাকি ইহুদীরা বাস করতেন, তাঁরা নাকি রাতের অন্ধকারে ওই সব বাড়ীর দরজায় দাঁড়িয়ে পথচারীদের প্রলুব্ধ করে নিজেদের ঘরে নিয়ে যেতেন। একদিন কলকাতার ওই জায়গাটি যে বারবনিতাদের আস্তানা হয়ে উঠেছিল - সে কথাও এখন গল্প। অতীতে ওই রানী মুদিনী গলির মুখে একটি কাঠের বন্ধনী ছিল। ’৭০-এর দশকে ওই গলিতে যেখানে কুক এণ্ড কেলভে কোং ছিল, ঠিক সেটার পাশ দিয়েই তখন লারকিন্স লেন শুরু হত। তখন ওয়েলেসলী প্লেস পার করে সেই লারকিন্স লেন দিয়ে একটা কাঠের রক্ষা বন্ধনী রাণী মুদিনীর গলি পর্যন্ত প্রসারিত ছিল। অতীতে ওই ধরণের রক্ষা বন্ধনী সারা কলকাতার চারিদিকে ছিল। আসলে, সেকালের কলকাতাকে কেবলমাত্র দুর্গ দিয়ে সুরক্ষিত করা সম্ভব ছিল না বলেই শহরের চারিদিকে একটি সুদীর্ঘ কাঠের রক্ষা বন্ধনী দিয়ে শহরকে সুরক্ষিত করবার একটা চেষ্টা করা হয়েছিল। তাতে আর কিছু না হোক, তখনকার দিনের কলকাতা শহরে অন্ততঃপক্ষে চোর ডাকাতের ঢোকবার অসুবিধে হয়েছিল। কিন্তু রানী মুদিনী কোথায় তাঁর দোকান তৈরী করেছিলেন? কোথায় সেই সুন্দরী মহিলা মুদিনী দোকানের পাটায় বসে দাড়িপাল্লায় ওজন করে জিনিষ বিক্রী করতেন, আর ওই চত্বরের সব লোক তাঁর দোকানে ভীড় জমিয়ে জিনিষ সওদা করতেন? হয়ত শুধু জিনিষ কেনাই তাঁদের উদ্দেশ্য ছিল না, রানী মুদিনীর মিষ্টি কথা, চটুল চাউনি, মধুভরা হাসি - সে সবও হয়ত তাঁদের উপরি পাওনা ছিল। এসবই অবশ্য কল্পনা। কিন্তু তবুও যদি চিন্তার আরো গভীরে ঢোকা যায় তাহলে প্রশ্ন জাগে যে, রানী মুদিনীর বয়স কত ছিল? তিনি কি দেখতে সুন্দরী ছিলেন? তা না হলে কলকাতার ইতিহাসের বিখ্যাত রানী মুদিনী তখনকার দিনে কেমন করে ইংরেজদের করুণা লাভে ধন্য হয়েছিলেন? তিনি কি যাদু জানতেন? কোন আকর্ষণে তিনি কোম্পানীর কাছ থেকে অত বড় উপাধিটা পেয়ে গিয়েছিলেন? তিনি সেই সময়ের কোন সম্মানী ইংরাজের মনের মানুষ ছিল কিনা - সেটার কোন ইতিহাস সেই সময়ের ঐতিহাসিকেরা লিখে যান নি। তাই সবই এখন প্রশ্ন হয়ে রয়ে গিয়েছে। তবে এটুকু বলা যেতে পারে যে, চন্দ্রনাথ পাল যেমন চাঁদ পাল ঘাটে মুদির দোকান করে বিখ্যাত হয়েছিলেন, তেমনি ওই গলিতে রানী মুদিনী। তবে কারণ যেটাই হোক না কেন, এটাই সত্যি যে রানী মুদিনী আজও প্রাচীন কলকাতার ইতিহাসের একটি উল্লেখযোগ্য চরিত্র হয়ে বেঁচে রয়েছেন, আর ভবিষ্যতেও থাকবেন।

ফিরে দেখা ইন্ডিয়া গেটের ইতিহাস -ইন্ডিয়া গেট ভারতের জাতীয় স্মৃতিসৌধ। এটি ভারতের রাজধানী নতুন দিল্লির কেন্দ্রস্থলে অবস্...
11/02/2023

ফিরে দেখা ইন্ডিয়া গেটের ইতিহাস -

ইন্ডিয়া গেট ভারতের জাতীয় স্মৃতিসৌধ। এটি ভারতের রাজধানী নতুন দিল্লির কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত। এটি দিল্লির অন্যতম দ্রষ্টব্য স্থান। প্যারিসের আর্ক দে ত্রিম্ফের আদলে ১৯৩১ সালে নির্মিত এই সৌধটির নকশা করেন স্যার এডউইন লুটিয়েনস। আগে এর নাম ছিল "অল ইন্ডিয়া ওয়ার মনুমেন্ট"। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ ও তৃতীয় ইঙ্গ-আফগান যুদ্ধে নিহত ৯০,০০০ ভারতীয় সেনা জওয়ানদের স্মৃতিরক্ষার্থে এই স্মৃতিসৌধটি নির্মিত হয়। এটি লাল ও সাদা বেলেপাথর ও গ্র্যানাইট পাথরে তৈরি।

এই গেটের চূড়ায় বড় বড় অক্ষরে লেখা ভারত, ইন্ডিয়া। খিলানের গায়ে ১৩ হাজারেরও বেশি ভারতীয় সেনার নাম খোদাই করা আছে। দিল্লিতে অবস্থিত এই স্মৃতি সৌধে আগে পঞ্চম জর্জের একটি মূর্তি ছিল। তবে সেই স্থান এখন ফাঁকাই রয়েছে। সেই মূর্তি এখন রাখা রয়েছে দিল্লির কনোনেশন পার্কে। ভারতের স্বাধীনতা অর্জনের পর এখানে অমর জওয়ান জ্যোতি স্থাপন করা হয়। কেবলমাত্র ইতিহাস ও ঐতিহ্য নয়, দেশের রাজধানীর পর্যটনকেও তুলেধরেছে এই স্থাপত্য।

গুরুত্বপূর্ণ_তথ্যঃ১। চিত্র (১) যদি বিভাজিত, মাঝে মাঝে কাটা কাটা সাদা দাগ থাকে তাহলে বুঝবেন আপনি ওভারটেক করতে পারবেন।২। চ...
04/02/2023

গুরুত্বপূর্ণ_তথ্যঃ

১। চিত্র (১) যদি বিভাজিত, মাঝে মাঝে কাটা কাটা সাদা দাগ থাকে তাহলে বুঝবেন আপনি ওভারটেক করতে পারবেন।

২। চিত্র (২) যদি দাগ এক টানা হয়ে থাকে তাহলে বুঝবেন ওভার টেক করা ঝুঁকিপূর্ণ।

৩। চিত্র (৩) যদি দাগ ডাবল ভাবে দেওয়া থাকে তাহলে ভুলেও ওভারটেক করার চেষ্টা করবেন না। এটা বিপদজনক হতে পারে।

ধন্যবাদ।

🫡👍
02/02/2023

🫡👍

সানগ্লাস মোটেও রোদ আটকানোর জন্য তৈরি হয়নি, এর জন্ম আদালতে.              রোদচশমা বা সানগ্লাস পরা হয় রোদ থেকে চোখকে রক্ষা ...
22/01/2023

সানগ্লাস মোটেও রোদ আটকানোর জন্য তৈরি হয়নি, এর জন্ম আদালতে.
রোদচশমা বা সানগ্লাস পরা হয় রোদ থেকে চোখকে রক্ষা করার জন্য। এটাই সকলে জানেন। কিন্তু রোদচশমার জন্মবৃত্তান্ত মোটেও রোদের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত নয়।রোদচশমা রোদ আটকাতে তৈরি করা হয়নি। যদিও তার নাম এখন সানগ্লাস। যা সান বা সূর্যের প্রখর রশ্মি থেকে চোখকে রক্ষা করে। চোখকে কড়া রোদে আরাম দেয়। সেইসঙ্গে সানগ্লাস বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে আধুনিক ফ্যাশন বা স্টাইলেরও বাহক।
কিন্তু রোদ থেকে রক্ষা করার এই রঙিন কাচ আদৌ রোদ থেকে আটকানোর জন্য তৈরি করা হয়। এর জন্ম হয়েছিল সম্পূর্ণ অন্য প্রয়োজনকে সামনে রেখে। যার সঙ্গে সূর্য বা রোদের কোনও সম্পর্ক নেই। সানগ্লাসের জন্ম চিনে। দ্বাদশ শতাব্দীর চিনে এই চশমা তৈরি হয়েছিল। তার আগে এমন কিছু যে চোখে দেওয়ার জন্য হতে পারে সেটাই কারও জানা ছিলনা। দ্বাদশ শতাব্দীতে চিনে যখন আদালত বসত, সেখানে যিনি বিচারক তিনি কোনও এক পক্ষের কথা শুনতেন, তখন তিনি ধোঁয়াটে স্ফটিকের একটি চশমা জাতীয় জিনিস চোখে পরে থাকতেন। যাতে যিনি বক্তব্য রাখছেন তাঁর বক্তব্য শুনে বিচারকের অভিব্যক্তির পরিবর্তন কারও চোখে না পড়ে।বিচারকদের যাবতীয় অভিব্যক্তি সেখানে উপস্থিত বাকিদের থেকে লুকিয়ে রাখার জন্য এই ধরনের চশমা জাতীয় ধোঁয়াটে স্ফটিকের বস্তু চোখে পরার রীতি চালু ছিল।
সেই থেকেই রোদ চশমার জন্ম বলে মনে করা হয়। যার সঙ্গে রোদের কোনও সম্পর্ক ছিলনা। যা পরা হত আদালতের পরিসরে। আর সেখানে রোদ এসে পড়ত না।

দেশেই রয়েছে বিশ্বের দীর্ঘতম রেল প্ল্যাটফর্ম, তবে খড়গপুর নয়,               একটা সময় পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা প্ল্যাট...
22/01/2023

দেশেই রয়েছে বিশ্বের দীর্ঘতম রেল প্ল্যাটফর্ম, তবে খড়গপুর নয়,
একটা সময় পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা প্ল্যাটফর্ম বলা হত খড়গপুরকে। যদিও তা এখন অতীত। এখনও অবশ্য বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা রেলস্টেশনের প্ল্যাটফর্ম রয়েছে এ দেশেই।ভারতের রেল যোগাযোগ বিশ্বের অন্যতম উল্লেখ্য বিষয়। দেশজুড়ে জালের মত ছড়িয়ে থাকা রেল যোগাযোগ কোটি কোটি মানুষকে পরিষেবা দিয়ে চলেছে।

একটা সময় পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের খড়গপুর স্টেশনে ছিল বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা প্ল্যাটফর্ম। ১ হাজার ৭২ মিটার লম্বা এই স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম বহুদিন বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা প্ল্যাটফর্ম হয়ে থেকে গিয়েছিলপরে খড়গপুরের চেয়েও লম্বা রেলস্টেশনের প্ল্যাটফর্ম তৈরি হয় উত্তরপ্রদেশে। রাজ্যের গোরক্ষপুর স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম খড়গপুরের চেয়েও লম্বা প্ল্যাটফর্ম হিসাবে বিশ্বের ১ নম্বর স্থান দখল করে। যা ১ হাজার ৩৬৬ মিটার লম্বা। সেই গোরক্ষপুর স্টেশনের প্ল্যাটফর্মকেও পিছনে ফেলে দিল ভারতেরই আর একটি স্টেশন।কর্ণাটকের হুবলি জংশন এখন বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা রেলস্টেশনের প্ল্যাটফর্মের তকমা পেয়েছে। হুবলি স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম লম্বায় ১ হাজার ৫০৫ মিটার। ফলে তা গোরক্ষপুরের চেয়েও অনেকটাই দীর্ঘ।বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা রেলস্টেশনের প্ল্যাটফর্ম এখন হুবলি স্টেশনে। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতেরই গোরক্ষপুর স্টেশন। এমনকি তৃতীয় স্থানেও রয়েছে ভারতের স্টেশনই। কেরালার কোল্লাম জংশনের প্ল্যাটফর্ম ১ হাজার ১৮০.৫ মিটার দৈর্ঘ্য নিয়ে বিশ্বের তৃতীয় দীর্ঘতম প্ল্যাটফর্ম হিসাবে জায়গা করে নিয়েছে। খড়গপুর এখন চতুর্থ দীর্ঘতম রেলস্টেশনের প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়েছে।বিশ্বের সব দেশেই রেল যোগাযোগ এক অন্যতম যোগাযোগ মাধ্যম হয়ে আছে। তবে ভারতে রেলের রুটের সংখ্যা অনেক বেশি।ভারতে এখনও বিমান পরিষেবা সেই পর্যায়ে পৌঁছতে পারেনি যে তা উন্নত দেশগুলির মত রেলের বিকল্প হিসাবে সামনে আসবে। তাই ভারতের সিংহভাগ মানুষের এখনও ট্রেনই দূরে যাওয়ার একমাত্র ভরসা।

ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক বীর সেনানী হলেন শ্রী শচীন্দ্রনাথ সান্যাল। ওনার জন্ম ১৮৯০ সালে বেনারসের এক বাঙালী পরিবারে।১...
18/01/2023

ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক বীর সেনানী হলেন শ্রী শচীন্দ্রনাথ সান্যাল। ওনার জন্ম ১৮৯০ সালে বেনারসের এক বাঙালী পরিবারে।
১৯১২ সালে রাশবিহারী বোসের সাথে লর্ড হার্ডিনজের ওপরে বোমা ছোঁড়েন। এতে হার্ডিনজ আহত হন ও লেডি হার্ডিনজের মৃত্যু হ​য়। ১৯১৩ সালে পাটনায় অনুশীলন সমিতির শাখা খোলেন। গদর বিদ্রোহের সাথে ওনার যোগ প্রমাণ হবার পরে ওনাকে সেলুলার জেলে পাঠানো হ​য়। সেলুলার জেলে বসেই লেখেন তার আত্মজীবনী মূলক বন্দী জীবন (১৯২২)।
উনি ছিলেন মহাত্মা গান্ধীর ঘোরতর বিরোধী। ১৯২০ থেকে ১৯২৪ অবধি দীর্ঘদিন গান্ধীর নীতির বিরোধীতা করেন ইয়ং ইন্ডিয়া ম্যাগাজিনে।
সেলুলার জেল থেকে মুক্তি পেতেই রাম প্রসাদ বিসমিলের সাথে সূচনা করেন হিন্দুস্থান রিপাবলিকান এসোসিয়েশনের। কাকোরি ট্রেন লুট মামলায় আবার ধরা প​ড়েন ও প্র​য়াগরাজের নৈনী কারাগারে বন্দী হন। পরে আবার ওনাকে পাঠানো হ​য় সেলুলার জেলে।
১৯৪২ সালে সেলুলার জেল থেকে পাঠানো হ​য় গোরক্ষপুর কারাগারে যেখানে টিবিতে ১৯৪২ সালেই ওনার মৃত্যু হ​য়।
ওনার সমসাম​য়িক বহু স্বাধীনতা সংগ্রামী ছিলেন ধর্ম বিরোধী। অথচ শ্রী সান্যাল ছিলেন গভীর ভাবে শাক্ত। এবং ওনার লেখা, ওনার চিন্তাধারায় হিন্দুত্বের প্রচন্ড প্রভাব পাওয়া যায়।
দ্বিতীয়বার ওনার সেলুলার জেল বন্দী হবার পরেই ওনার বেনারসের পৈতৃক সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে ব্রিটিশ সরকার।
এমন ধর্মপ্রাণ কঠিন স্বাধীনতা সংগ্রামী হারিয়ে গেছেন কালের গভীরে। স্বাধীনতা পরবর্তীকালে, গান্ধীবিরোধী বাদবাকি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের মতন সান্যাল মশাইয়ের এত ব​ড় কর্মকান্ড ইতিহাসের একটা ফুটনোট হিসাবেই থেকে যায়।
এখন আসতে আসতে মানুষ ওনার মতন ঘোরতর শাক্ত এবং গর্বিত ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামীর ব্যাপারে জানতে পারছেন।
ইতিহাসের পাতায় হারিয়ে যাওয়া বাঙালী বীরদের নিয়ে আমার লেখা চলবে।

15/01/2023
Geometry
15/01/2023

Geometry

15/01/2023

If you Like this Page,then U can Change your Life
🫠

Address

Ratna, Hatar, Magrahat, South 24 Parganas
Baruipur
743610

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dakta Thako posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Dakta Thako:

Share


Other Baruipur media companies

Show All