28/06/2024
বক্সনগর রামপ্রসাদ দেবের পর এবার বিশালগড়ে চিনির গাড়ির নিচে চাপা পড়ে মৃ*ত্যু বিষ্ণু লোধ, প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ।
বিশালগড় বক্সনগর বিশালগড় সড়কে বৃহস্পতিবার সড়কে আবারো কেড়ে নিলো একটি তরতাজা প্রাণ,আহত ১,সড়ক অবরোধে এলাকাবাসী। ভারত থেকে বাংলাদেশের চিনি পাচার করে কোটি কোটি টাকা কামাই করে নিচ্ছেন একাংশ বিশালগড় নিচের বাজারে ব্যবসায়ীরা। আর অন্যদিকে চিনি বুঝাই গাড়ির চাপায় খালি হচ্ছে অনেক মায়ের কোল। মোটা অংকের টাকা দিয়ে পুলিশ প্রশাসনকে ম্যানেজ করে একই জিএসটি বিল দিয়ে একাধিক গাড়ি দিয়ে চিনি ছুটে আসে বিশালগড় নিচের বাজারে।সেখান থেকে চিনি প্রতিনিয়ত বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে প্রচার হচ্ছে। বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে পাচার করার লক্ষ্যে চিনি বোঝাই গাড়িগুলি দ্রুতগতিতে বিশালগড় থেকে বক্সনগর সীমান্ত এলাকায় ছুটে যাওয়ার লক্ষ্যে রাস্তায় থাকা পথচারী ,বাইক চালকদের চাকা নিচে পৃষ্ঠ করে গন্তব্যস্থলে পৌছার লক্ষ্যে প্রতিনিয়ত মায়ের কুল খালি করে নিচ্ছে। ঠিক তেমনি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চেলিখলা বাজার এলাকায় TR07C5150 নাম্বারে একটি বাইক নিয়ে মামা ভাগিনা বিষ্ণু লোধ ও বিজয় দাস বিশালগড়ের উদ্দেশ্যে আসার পথে অপর দিক থেকে তিনি বুঝায় বোলরো গাড়ি দ্রুতগতিতে চিনি পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়ার পথে বাইক সহ মামা বিষ্ণু লোধ ও ভাগিনা বিজয় দাস কে স্বজোরে ধাক্কা মেরে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে মৃ*ত্যু হয় মামা বিষ্ণু লোধের,আহত ভাগিনা বিজয় দাস। আহতদের দ্রুত বিশালগড় মহাকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মামা বিষ্ণু লোধকে মৃ*ত বলে ঘোষণা করে, আহত ভাগিনা বিজয় দাস কে উন্নত চিকিৎসার জন্য আগরতলা জিবিপি হাসপাতালে রেফার করে। অপরদিকে ঘটনাস্থলে সমস্ত এলাকাবাসী ঘাতক গাড়িটিকে আটক করার লক্ষ্যে পাশাপাশি এই রোড দিয়ে চিনি পাচার বাণিজ্য বন্ধ করার দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বসেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে চলে যায় বিশালগড় থানা পুলিশ। জানাযায় প্রতিনিয়ত সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে চিনি পাচার করার লক্ষ্যে নাম্বার বিহীন বাইক,মারুতি, বোলোরো,লড়ি গাড়িতে কোটি কোটি টাকার চিনি বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে পাচার হচ্ছে। আর এই চিনি পাচারের পথে কখনো বিশালগড় কখনো বক্সনগর সড়কে প্রতিনিয়ত এই দ্রুতগতিতে থাকা চিনি বোঝাই গাড়ির নিচে পৃষ্ঠ হয়ে মৃ*ত্যু হচ্ছে একাধিক ব্যক্তির। বক্সনগর এলাকায় গত ৯ জুন রামপ্রসাদ দেব মৃত্যুর ঘটনার রেস্ট কাটতে না কাটতে বিশালগড়ে ঘটে গেল দ্বিতীয় ঘটনা। ঘাতক গাড়িতে আটক করতে মাঠে নামে বিশালগড় বক্সনগর থানার পুলিশ।