19/09/2024
এরপর যখন আপনারা ক্ষুধার্ত অবস্থায় ভাতের থালা নিয়ে বসবেন, গ্লাসে ঢেলে জল খাবেন, তখন যেন তফাজ্জলের এই ম্লান, বিষন্ন, মনমরা মুখটা আপনাদের চোখের সামনে ভাতের বদলে ফিরে ফিরে আসে। আপ্নারা যেন এই মানসিক ভারসাম্যহীন তরুণের মৃত্যুর অভিশাপে আর কখনো ভাত মুখে দিতে না পারেন।
যে ছেলেটা সমাজবিজ্ঞানে অনার্স মাস্টার্স করেছে, একসময় যে ছাত্রনেতাও ছিল, যার একটা পরিবার ছিল, সেই ছেলেটা বাবা মা ভাইকে হারিয়েছে, প্রেম হারিয়েছে, মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছে, স্বাভাবিক জীবন হারিয়েছে। ওর আসলে আর হারানোর কিছুই ছিল না। কিন্তু পেটের খিদের দায় বড় দায়। তাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ঘুরে ও খাবার চেয়ে বেড়াত।
হ*ত্যা করার আগে ওকে পেটপুরে খাইয়ে দিয়েছেন। এই বা কম কী সে! এই ভাতের থালায় থাকা প্রতিটা অন্ন ওর শরীরের ভেতরেই জমে ছিল, যখন ওকে আপনারা মার*ছিলেন। এই তো আমাদের গর্বের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। এই ত আমাদের স্বাধীন দেশ। তোমাদের যা যা ভালো লাগে, করে যাও পিও। আমরা তো আছিই চেয়ে দেখার জন্য....