21/05/2024
*"আমি তোমার মুখ মনে রাখতে চাই যাতে স্বর্গে তোমার সাথে দেখা হলে আমি তোমাকে চিনতে পারি এবং আবারো ধন্যবাদ দিতে পারি।"*
ভারতীয় ধনকুবের স্যার রতনজি টাটাকে যখন টেলিফোন সাক্ষাত্কারে রেডিও উপস্থাপক জিজ্ঞাসা করেছিলেন:
"স্যার, আপনি যখন যখন জীবনের সবচেয়ে সুখী হয়েছেন, সেই সেই সময় গুলি আপনার কী মনে আছে"?
রতনজি টাটা বলেছিলেন:
"আমি জীবনে সুখের চারটি ধাপ অতিক্রম করেছি, এবং অবশেষে আমি প্রকৃত সুখের অর্থ বুঝতে পেরেছি।"
প্রথম পর্যায়ে ছিল সম্পদ ও সম্পদ আহরণ।
কিন্তু এই পর্যায়ে আমি যে সুখ চেয়েছিলাম তা পাইনি।
এরপর আসে মূল্যবান জিনিসপত্র সংগ্রহের দ্বিতীয় পর্যায়।
কিন্তু বুঝলাম এই জিনিসের প্রভাবও সাময়িক এবং মূল্যবান জিনিসের দীপ্তি বেশিদিন থাকে না।
এরপর আসে বড় প্রকল্প পাওয়ার। তৃতীয় পর্ব। তখন ভারত ও আফ্রিকায় আমার 95% ডিজেল সরবরাহ হত।
আমি ভারত ও এশিয়ার বৃহত্তম ইস্পাত কারখানার মালিকও ছিলাম। কিন্তু এখানেও যে সুখ কল্পনা করেছিলাম তা পাইনি।
চতুর্থ ধাপটি ছিল যখন আমার এক বন্ধু আমাকে কিছু প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য হুইলচেয়ার কিনতে বলেছিল।
প্রায় 200 শিশু।
এক বন্ধুর নির্দেশে সাথে সাথে হুইলচেয়ার কিনলাম।
কিন্তু বন্ধুটি জোর দিয়েছিল যে, আমি যেন তার সাথে যাই এবং বাচ্চাদের হুইলচেয়ারগুলি হস্তান্তর করি। আমি রেডি হয়ে ওর সাথে গেলাম।
সেখানে এই শিশুদের আমি নিজ হাতে এই হুইল চেয়ার দিয়েছি। এই শিশুদের মুখে এক অদ্ভুত আনন্দের আভা দেখলাম। আমি তাদের সবাইকে হুইলচেয়ারে বসে হাঁটতে এবং মজা করতে দেখেছি।
যেন তারা একটি পিকনিক স্পটে পৌঁছেছে, যেখানে তারা একটি বিজয়ী উপহার ভাগ করছে।
আমি আমার ভিতরে প্রকৃত সুখ অনুভব করলাম। যখন আমি চলে যাবার সিদ্ধান্ত নিলাম, তখন একটা বাচ্চা আমার পা চেপে ধরল।
আমি ধীরে ধীরে আমার পা ছেড়ে দেওয়ার চেষ্টা করলাম, কিন্তু শিশুটি আমার মুখের দিকে তাকিয়ে আমার পা শক্ত করে ধরে রাখল। আমি ঝুঁকে শিশুটিকে জিজ্ঞাসা করলাম: তোমার কি আর কিছু দরকার?
এই শিশুটি আমাকে যে উত্তর দিয়েছিল তা আমাকে শুধু হতবাক করেনি বরং জীবনের প্রতি আমার দৃষ্টিভঙ্গিও পুরোপুরি বদলে দিয়েছিল।
ওই শিশুটি বলেছিল :
*"আমি তোমার মুখ মনে রাখতে চাই যাতে তোমার সাথে স্বর্গে দেখা হলে আমি তোমাকে চিনতে পারি এবং তোমাকে ধন্যবাদ দিতে পারি।"*
।। সংগৃহীত ।।