Afroja Akter Nodi

Afroja Akter Nodi Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Afroja Akter Nodi, Digital creator, mirpur 4, Mirpur.

24/11/2023

ইসলাম আছে.. ইসলাম থাকবে কিয়ামত পর্যন্ত

23/11/2023

সবাই কেমন আছেন..?

23/11/2023

এই দ্বীন ইসলাম বিজয়ী হবেই ইনশাআল্লাহ।।

04/11/2023

কি গো কেমন আছো..?

02/11/2023

কি হইছে বল..?

02/11/2023

তুমি কি চাও বল..?

02/11/2023

কি খবর..?

02/11/2023

আপনারা সবাই কেমন আছেন..?

01/11/2023

আসো সবাই কথা বলি।।

01/11/2023

পূজা কেমন কাটল সবার..?

01/11/2023

সবাই কেমন আছো..?

25/10/2023

Ohh baby please come hear

মা যখন দ্বিতীয়বার বিয়ে করেছিলেন,তখন তিন্নির বয়স চার বছর।তিন্নির নতুন দাদী তাকে মা'র বাসর ঘর থেকে টেনে নিজের ঘরে নিয়ে গিয়...
22/10/2023

মা যখন দ্বিতীয়বার বিয়ে করেছিলেন,তখন তিন্নির বয়স চার বছর।তিন্নির নতুন দাদী তাকে মা'র বাসর ঘর থেকে টেনে নিজের ঘরে নিয়ে গিয়েছিলেন। তবে বেশিক্ষণ আটকে রাখতে পারেননি। তিন্নি কোনোমতে নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে মা'র কাছে চলে গিয়েছিল।

মা'কে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে কাঁদতে বলেছিলো,
– “ আমি তোমার কাছে থাকব, মা। তুমি ছাড়া আমার ঘুম আসে না। ”

মা তিন্নির মাথায় হাত বুলিয়ে হেসেছিলেন।বলেছিলেন,
– “ আচ্ছা, তুমি আমার কাছেই থাকো। ”

তিন্নির নতুন বাবা আরাফাত হাসান ঘরে প্রবেশ করেই মা'কে বলেছিলেন,
– “ তিন্নি এখানে কেন? ওঁকে মা'র কাছে পাঠিয়ে দাও। ”

মা বলেছিলেন,
– “ কান্নাকাটি করছে। থাক না আমার কাছে! ”

তিন্নি বলেছিল,
– “ এই লোক, আপনি এখানে কেন?মা'র ঘরে আপনি কেন?বেরিয়ে যান।এ ঘরে আমি আর মা থাকব। ”

সেদিন আরাফাত হাসান মা'র কথা শুনেননি। তিন্নিকে টেনে নিয়ে গিয়েছিলেন।তিন্নি কত কেঁদেছিল।লোকটার গালে গলায় নখের আঁচড় বসিয়েছিল।তা-ও শেষ রক্ষা হয়নি।লোকটা তিন্নিকে একটা অন্ধকার ঘরে বন্দি করে দিয়েছিলো।

নতুন বাবা তিন্নিকে কখনোই দেখতে পারতেন না। সামনে পড়লেই দূর দূর করে তাড়িয়ে দিতেন। তিন্নিও তার সামনে যেত না। তবে সুযোগ পেলেই লুকিয়ে লুকিয়ে মা'র কাছে চলে যেত। মা'কে জড়িয়ে রাখত অনেক্ষণ। মা-ও তিন্নিকে মন ভরে আদর করে দিতেন। অল্প সময়ের আদরে তিন্নির সব দুঃখ শেষ হয়ে যেত।

বছরখানেক বাদেই তিন্নির ছোটো ভাইয়ের জন্ম হয়।তার নাম রাখা হয় আবু হাসান।তার পর থেকে শুরু হয় তিন্নির জীবনের দুর্দশা। মা সব সময় আবু হাসানকে নিয়ে পড়ে থাকতেন।তাকে আদর করতেন।রাতের বেলা তাকে পাশে নিয়ে ঘুমাতেন।অপরদিকে তিন্নিকে দেখা মাত্রই গালাগাল করতেন।দূর দূর করে তাড়িয়ে দিতেন।তিন্নির খুব রাগ হত।হিংসে হত।

একদিন মা তাকে বিনা কারণে মারধর করেছিলেন।তিন্নি রেগে গিয়ে কোলের শিশু আবু হাসানের হাত কামড়ে দিয়েছিল।যার শাস্তি হিসেবে মা তিন্নির হাত মুখ বেঁধে চামড়ার বেল্ট দিয়ে পি'টিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, এ ঘটনার পর টানা চারদিন তাকে খাবার দেওয়া হয়নি।
আঠারো বছর বয়স হতেই তিন্নিকে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হলো।বাবা-মা চাইলেই তিন্নিকে ভালো জায়গায় বিয়ে দিতে পারতেন।কিন্তু তারা তা করেননি।তারা চাননি তিন্নির দুঃখ, দুর্দশা কমুক। আর তাই তাকে বিয়ে দিয়েছিলেন রিকশা চালকের কাছে।সেই রিকশা চালক কাউসার মিয়া। চব্বিশ বছর বয়সের রোগা-সোগা একটা ছেলে।ঘরে অসুস্থ মা।ছোটো ছোটো চারটি বোন। কাউসার রিকশা চালিয়ে যা পায়, তা দিয়ে নুন আনতে পান্তা ফুরোয় অবস্থা।তার উপর তিন্নি নতুন সদস্য যুক্ত হলো।

সেই ছোটোবেলা থেকে অযন্ত, অবহেলা আর অত্যাচার সহ্য করে করে তিন্নির গা সওয়া হয়ে গেছে।শরীর ও মন দু'টোই অভ্যস্ত হয়ে গেছে।তাই তিন্নিও সাতপাঁচ ভাবেনি।হয়তো দিনের পর দিন না খেয়ে থাকতে হবে।অসুস্থ শাশুড়ির বকাঝকা শুনতে হবে।রিকশা চালক স্বামীর মার খেতে হবে।

কিন্তু তেমন কিছু হলো না। বিয়ের এক বছর হয়ে গেল, এই এক বছরে কেউ তিন্নিকে তুই করেও বলেনি। তিন্নির শাশুড়ি তাকে নিজের মেয়ের মতোই দেখেন। আর কাউসার। কাউসার তিন্নিকে মন প্রাণ দিয়ে ভালোবাসে। হয়তো দামি কাপড় কিনে দিতে পারে না। হয়তো দামি গাড়ি চড়াতে পারে না। হয়তো ভালো রেস্তোরাঁয় ডিনারে নিয়ে যেতে পারে না। তবে প্রতিদিন ঘরে ফেরার সময় কিছু না কিছু নিয়ে আসে। আজ চকোলেট তো কাল গোলাপ। পরশু নতুন কিছু। সেই নতুন কিছু কী, তা তিন্নি জানে না। সে সারাদিন কাউসারের অপেক্ষায় থাকে। দিনশেষে কাউসার আসে। পেছনে হাত লুকিয়ে রেখে বলে, – “ কউ তো, আজ তোমার জন্য কী আনছি? ”

একদিন রাতে তিন্নি ঘরের বাইরে দাঁড়িয়ে চাঁদ দেখছিল। কাউসার হঠাৎ ঘুম থেকে উঠে এসে তিন্নির পাশে দাঁড়াল।

তিন্নির চোখ দিয়ে বয়ে যাওয়া জলের ফোঁটা চোখে পড়তেই আঁতকে উঠেছিল,
– “ কাঁনতাছো ক্যান, বউ? কী হইছে তোমার? ”

তিন্নি মুখ তুলে তাকিয়ে বলেছিল,
– “ অট্টালিকায় শুয়ে যা পাইনি, তুমি ভাঙা ঘরে রেখে তার থেকেও বেশি দিয়েছো।সত্যি, ভালোবাসতে টাকা লাগে না।লাগে সুন্দর মন আর উদার মানসিকতা। ”

#ছোটগল্প
#ভাঙা_ঘরে_চাঁদ
Saran Khan

আজকে চার মাসের এক অন্তঃসত্ত্বাকে বিয়ে করলাম যদিও সে সন্তানের পিতা আমি না।কিন্তু নিয়তির এই খেলায় বিয়েটা আমাকে করতেই হল...
22/10/2023

আজকে চার মাসের এক অন্তঃসত্ত্বাকে বিয়ে করলাম যদিও সে সন্তানের পিতা আমি না।কিন্তু নিয়তির এই খেলায় বিয়েটা আমাকে করতেই হল।বিয়ের আগে যখন মেয়েটার সাথে আমার কথা হয়েছিল তখন প্রথমেই মেয়েটা আমাকে প্রশ্ন করেছিল,,,,

আমি অন্তঃসত্ত্বা এটা জানার পরেও আপনি আমাকে বিয়ে করতে কেন রাজী হলেন ?

- টাকার জন্য রাজী হয়েছি।আপনার বাবার সাথে আমার কথা হয়েছে।আর ওনি আমাকে বলেছেন আমি যদি আপনাকে বিয়ে করি তাহলে ওনি ওনার সম্পত্তির অধের্ক অংশ আমার নামে লিখে দিবেন।তাই এই বিয়েটা করতে আমি রাজী হয়েছি।

সামান্য টাকার জন্য আপনি আমাকে বিয়ে করতে রাজী হয়ে গেলেন,,,সত্যিই যে পুরুষ মানুষরা স্বার্থপর হয় আপনাকে দেখে আবার সেটা বুঝতে পারলাম।

- আচ্ছা এখন যদি এই একই প্রশ্ন আমি আপনাকে করি তাহলে,,,

আমি শুধু আমার সন্তানের একটা পরিচয়ের জন্য এই বিয়েটাতে রাজী হয়েছি।আমার সন্তানের জন্মের পর কেউ যেন তার বাবার পরিচয় জানতে না চায় এটা ভেবেই আপনার সাথে বিয়েটা করে নিচ্ছি।

- টাকার জন্য আপনাকে বিয়ে করতে রাজী হওয়ায় আমি আপনার কাছে স্বার্থপর হয়ে গেলাম।আর আপনি অন্তঃসত্ত্বা হয়েও আমাকে বিয়ে করতেছেন আপনার সন্তানের পরিচয়ের জন্য তো আপনি কি স্বার্থপর নন।

মেয়েটা আর আমার কথার কোন উত্তর দিল না।
কিছু সময় নিরব থেকে আবার বলল,,,

আমার এই অবস্থা কি করে হল এটা জানবেন না ?

- এখন জানতে ইচ্ছে করছে না।যদি কখনো জানতে ইচ্ছে হয় তখন না হয় আপনার থেকে জেনে নিব।

ওপাশে শুয়ে আছে আমার নতুন বউ।আজকেই প্রথম ওর নামটা জানতে পারলাম।ওর নাম নিনিতা

দূরত্ব আর অসহায়ত্ব জিনিসটা কি সেটা আজকে ঠিক অনুধাবন করতে পারলাম।চোখ দিয়ে না চাইতেও কেন জানি জল গড়িয়ে পড়ছে,হয়তো অতীত গুলো আজ খুব মনে পড়ছে।

বয়স তখন উনিশ কি বিশ, রিনা নামের একটা মেয়ের প্রেমে পড়লাম ভদ্র ছেলের মতো অপেক্ষা করতে থাকলাম, কখনও তাকে ভালো করে দেখিনি, এভাবে তিনটা বছর পার হয়ে
গেলো...

সব ঠিক ঠাক যাচ্ছিলো, জানতাম পড়া শেষ করে যে কোন একটা চাকুরী পেলে সে মেয়েকে হয়তো পাবো, কারণ ছেলে হিসাবে আমার একটা ভালো সুনাম আছে।

কিন্তু একদিন আমি টাকার কাছে হেরে গেলাম, যে মেয়ে পড়া শেষ না করে বিয়ে করবে না বলেছিল, সে মেয়ে হুট করেই রাতের অন্ধকারে বিয়ে করে নিলো, আমার কাছে সব কিছু কেমন জানি স্বপ্ন মনে হলো, পরে বূঝলাম এটা স্বপ্ন না এটাই বাস্তবতা।

সেদিন আমি বুঝলাম টাকার ক্ষমতা কতখানি।ছেলে নাকি মাসে ষাট হাজার টাকা বেতন পায়, আর মধ্যবিত্ত ঘরে ষাট হাজার টাকা বেতন লটারির টিকিটের মতো, তাই রিনার বাবাও আর দ্বিতীয় বার ভাবলো না,যেখানে টাকা আছে সেখানে সুখ আছে, তাই রিনাও রাতের অন্ধকারে এভাবে বিয়ে করে নিলো।

আমি সেদিন একটা জিনিস শিখলাম, আপনার কাছে যদি টাকা থাকে তবে সব আছে, সেই টাকাই আপনাকে দিবে ভালো মানুষের সার্টিফিকেট,সেই টাকাই দিবে সুখ, আর সত্যিই তো মেয়েটাকে আমার সাথে বিয়ে দিলে হয়তো সারাজীবন বাসের ধাক্কা খেয়ে খেয়ে জীবন পার করতে হতো।

আর এখন হয়তো ওর স্বামী ওর জন্য গাড়ী কিনবে, আমার সাথে থাকলে তাকে সারা জীবন ভাড়া বাড়ীতে থাকতে হতো, দুই ঈদের মধ্যে ভাগ করে নিতে হতো,কোন টা নিজের জন্য আর কোন টা পরিবারের জন্য, কিন্তু এখন সেটা করতে হবে না,সত্যিই তো টাকাই সব।

সেদিন থেকে আমি সিদ্ধান্ত নিলাম, আমিও টাকাকে বিয়ে করবো, হোক সে মেয়ে কালো, বা অন্ধ বা ডিভোর্সি।বড়লোকের মেয়ে হলেই হবে।

দুই বছর আগে, আমি এই কোম্পানিতে জয়েন্ট করি।আমি যে কোন দিন নিনিতাকে(কোম্পানির মালিকের মেয়ে) বিয়ে করবো সেটা আমি স্বপ্নেও কখনো ভাবি নি, কারণ স্বপ্নেরও কিছু সীমানা থাকা উচিৎ।

কিন্তু কয়েকদিন আগে হটাৎ স্যার(নিনিতার বাবা) এসে ওনার মেয়ের সম্পর্কে সবকিছু আমাকে বলল।তারপর বলল এ বিয়ে তোমাকে করতেই হবে, না হলে আমার মান সম্মান কিছুই থাকবে না।

প্রয়োজনে উনি কোম্পানির ৫০% সহ ওনার সম্পত্তির অধের্ক আমার নামে লিখে দিবে।

মনে মনে ভাবলাম এই সুযোগ হয়তো হাত ছাড়া করা ঠিক হবে না,আর নিনিতা দেখতেও অনেক সুন্দরী। আর বাচ্চা ওটা ব্যাপার না নিজের বলে চালিয়ে দিবো।

ব্যাস হয়ে গেলো বিয়ে কি অদ্ভুত ব্যাপার! কাবিন-নামা তে তারিখ এক বছর আগের। সাক্ষী কাজী সাহেব সবাই খুশী, আমার স্যার কাজী সাহেব কে ১ লক্ষ টাকা দিয়ে দিলো, উনি খুশী হয়ে চলে গেলো,উনি বলল,স্যার আপনি চিন্তা করবেন না,আমি সব ব্যাবস্থা করে দিবো, এই বিয়ে আজ না আজ থেকে ১ বছর আগে এই তারিখে হয়েছে।

এই হচ্ছে টাকার ক্ষমতা নিয়ম শুধু গরিবের সময় গরিবের মেয়ে পালিয়ে গেলে সেটা মানুষ বলে রহিমের মেয়ে বাড়ী থেকে পালিয়েছে, আর বড়লোকের মেয়ে পালিয়ে গেলে বলে, আরে বন্ধুর সাথে কক্সবাজার ঘুরতে গেছিলো।টাকা থাকলে সব নিয়ম-কানুন পকেটে চলে যায়।

পরের দিন সকালে,,,

স্যার:- বাবা, নীরব,আজ সন্ধ্যায় একটা পার্টি আছে, আর দুপুরে তোমাকে অফিসে দায়িত্ব দেওয়া হবে, তাই ১২ টার মধ্যে অফিস চলে আসো।

আমি:- জি আচ্ছা!

বিয়ে হওয়ার পরে এখন পর্যন্ত আমি নিনিতার সাথে একবারও কথা বলেছি কি না ঠিক মনে পড়ছে না।

বড়লোক বাবার মেয়েদের প্রতি আমার ধারণা আগে থেকেই ভালো না, হয়তো ছবি আর খবর দেখে এই মনোভাব আর নিনিতাকে কে দেখে সে ভাবনা যেন ১০০% সত্যি হয়ে গেলো।

যাক আমার এসব ভেবে লাভ নাই,আমার টাকা চাই,আমি সেটা পেয়ে গেছি।দুপুরে অফিস গেলাম আমাকে নতুন এমডি করা হলো।

আমি:- একটা কথা বলবো ?

স্যার:- হা বলো বাবা!

আমি:- আমার বেতন কতো ?

স্যার:- তুমি হয়তো বুঝো নি।আজ থেকে আমার কোম্পানির ৫০% মালিক তুমি নিজে।আর প্রতি মাসে এই কোম্পানি থেকে যা লাভ আসবে তার অধের্কটা তোমার।

আমি:- এই পদের বেতন কতো ?

স্যার:- আগের জন কে আমি ৪ লক্ষ ৫০ টাকা দিতাম।

আমি:- আমাকেও তাই দিবেন। আর কোম্পানির যে লাভ হবে সেটা কোম্পানিতেই থাক।

সন্ধ্যায় স্থানীয় একটা বড় কমিউনিটি সেন্টারে আমাদের বিয়ের অনুষ্ঠান করা হলো।সবাই জানলো, আমারা ১ বছর আগে পালিয়ে বিয়ে করি, কিছু দিন হল আমার শ্বশুর জানতে পারে তাই আজকে অনুষ্ঠান।

হাজার হলেও এক মাত্র মেয়ে বলে কথা।
শ্বশুর এক কোটি টাকার একটা নতুন গাড়ী আমাকে উপহার দিলো।সাথে থাকার জন্য একটা বাড়িও দিল।বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে আমি নিনিতাকে নিয়ে নতুন বাড়ীতে উঠলাম।

মাস দুয়েক পরের কথা,,,

সন্ধ্যায় হটাৎ করে নিনিতা মাথা ঘুরে পড়ে গেলো, আমি খবর পেয়ে অফিস থেকে সোজা হাসপাতাল গেলাম ডাক্তার আমাকে বলল যে নিয়মিত না খাওয়ার কারণে সে অনেক
দুর্বল হয়ে গেছে, তার ওপর সে সব সময় চুপচাপ থাকে।

সত্যিই তো এই দুই মাসে আমার মনে পড়ে না যে ঠিক মতো প্রয়োজন ছাড়া তার সাথে দুই মিনিট কথা বলেছি কিনা…

অথচ আমি সেই ছেলে যাকে বড় ভাইয়ারা বউ পাগল বলতো,কারণ আমি ওদের বলতাম বিয়ে করে বউকে সময় দেন, টাকা না দিতে পারেন ভালোবাসা দেন, সময় দেন।সত্যি মানুষ পরিবর্তনশীল। তাই তো আমিও এই রকম হয়ে গেছি।

নিনিতা কে নিয়ে আমি হাসপাতাল থেকে বের হলাম, ডাইভার কে আমি আগে ছেড়ে দিয়েছিলাম, তাই গাড়িটা আমি চালাচ্ছিলাম! রাস্তার এক পাশে থামলাম।যায়গাটা আমার খুব পরিচিত,কারণ ১০ বছর আগে একবার
যখন একটা ট্রেনিং এর জন্য ঢাকা এসেছিলাম তখন স্বপ্ন অন্যরকম ছিল।জানতাম আমার কাছে কোটি টাকা আসবে না আমি লাখ টাকা বেতন পাবো না।সময়ের সাথে সাথে সব কিছু আবছা হয়ে গেছে।

আমি গাড়িটা থামালাম।

নিনিতা:- এখানে গাড়ী থামালেন কেন ?

আমি:- নামেন।

নিনিতা:- কেন?

আমি:- এতো প্রশ্ন কেন ? নামেন !



চলবে.......
সাড়া পেলে নেক্স দিব

গল্পঃনিয়তি

সুচনা পর্ব
পরবর্তী পর্ব পেতে ফলো দিয়ে রাখুন
ধন্যবাদ সবাইকে Saran Khan

রুমের মধ্যে বাতি বন্ধ করে শুয়ে আছি। একটু পরে বড় ভাইয়া আমার রুমে এসে বললো, - কি করিস মিরাজ? - কিছু করি না ভাইয়া, কিছু বলব...
22/10/2023

রুমের মধ্যে বাতি বন্ধ করে শুয়ে আছি। একটু পরে বড় ভাইয়া আমার রুমে এসে বললো,

- কি করিস মিরাজ?

- কিছু করি না ভাইয়া, কিছু বলবা?

- তোর চাকরির কি অবস্থা? যেখানে ইন্টারভিউ দিলি সেখান থেকে কিছু জানায়নি?

- না ভাইয়া।

- তোকে একটা কথা বলার জন্য এসেছি।

- বলো।

- আমার শাশুড়ী গ্রাম থেকে শহরে আসবেন কিছু দিনের জন্য বেড়াতে। সঙ্গে হয়তো আমার শশুড় ও আসতে পারে।

- আচ্ছা।

- তুই জানিস আমাদের এই একটা মাত্র ফ্ল্যাট। থাকার যে কি ব্যবস্থা করবো সেটা নিয়ে গতকাল রাত থেকে টেনশনে আছি।

- হুম, টেনশন করারই কথা।

- আমি একটা উপায় বের করতে পেরেছি।

- কি?

- তোর তো চাকরি হচ্ছে না। তাই বলছিলাম যে তুই যদি মাকে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে কিছুদিন ঘুরে আসিস তাহলে দুটো রুম ফাঁকা হয়ে যাবে।

আমি ভাইয়ার মুখের দিকে তাকিয়ে রইলাম। সে হয়তো পুরোপুরি চাইছে মাকে নিয়ে আমি এই বাড়ি ছেড়ে চলে যাই। এর আগে ভাবির সঙ্গে এসব নিয়ে অনেক ঝগড়া করতে শুনেছি।

আমি বললাম,
- মা যদি রাজি হয় তাহলে আমার আপত্তি নেই।

- সেখানে তো সমস্যা, মা তো রাজি হচ্ছে না। সে গ্রামের বাড়িতে যেতে চায় না, বলে তার শরীর নাকি খুব অসুস্থ।

- হ্যাঁ এটা ঠিক, আমাকেও প্রতিদিন বলে তার শরীর ভালো নেই। বাবাকে নাকি প্রতি রাতে স্বপ্নে দেখেন, বারবার মৃত্যুর কথা বলে।

- অসুস্থ হলে এরকম সবারই হয়। মৃত্যু যদি আসে সেটা তো শহর গ্রাম সবজায়গা আসবে তাই না? তাছাড়া শহরের দূষিত খাদ্য আর আবহাওয়ার চেয়ে গ্রামে গেলে শরীর ভালো হতে পারে।

আমি কিছু বললাম না। কারণ আমি বুঝতে পারছি ভাইয়া যেভাবেই হোক মাকে বাসা থেকে গ্রামের বাড়িতে পাঠাবেই। আর সেই কাজটা সে আমাকে দিয়ে করতে চাইছে। কিন্তু মায়ের কথা মনে পড়লে আমারই খারাপ লাগে। দিন দিন মা বেশ অসুস্থ হয়ে গেছে, বিছানা থেকে এখন শুধু নামাজ পড়তে আর বাথরুমে যাবার জন্য ওঠে।

- বললাম, তুমি চিন্তা করো না। মাকে বুঝিয়ে বলে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাবার দায়িত্ব আমার।

- ধন্যবাদ ভাই, টাকাপয়সা যা লাগে আমার কাছ থেকে নিয়ে যাবি সমস্যা নেই। আর সেখানে গিয়ে টাকার দরকার হলে কল দিলেই হবে। মাত্র তো কয়েকটা দিন, তারপর আবার ফিরে আসবি।

- ঠিক আছে সমস্যা নেই।

ভাইয়া উঠে দরজা পর্যন্ত গেল। আমি পিছন থেকে ডাক দিয়ে বললাম,

- আমার কি মনে হয় জানো?

- ভাইয়া পিছনে ফিরে তাকিয়ে বললো, কি?

- আমার মনে হয় মাকে আর কোনদিন তোমাকে এই বাসাতে আসতে হবে না। এটাই হয়তো শহর থেকে তার শেষ বিদায়।

- তুই ও মায়ের মতো কথা বলিস কেন?

- আচ্ছা যাও তুমি।

|
|

মা বিছানায় শুয়ে আছে। আমি তার কাছে গিয়ে বিছানার পাশে বসলাম। মা আমার দিকে তাকিয়ে আছে। মা বললো,

- কিরে মন খারাপ নাকি?

- না মা, একটা কথা বলতে এসেছি।

- কি কথা?

- ভাইয়া তোমাকে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যেতে বলেছে জানো?

- হ্যাঁ আমাকেও বলেছিল। কিন্তু আজকাল শুধু মনে হয় যেকোনো সময় মারা যাবো। তাই মৃত্যুর সময় নিজের বড় সন্তান বৌমা নাতি নাতনী কেউ কাছে থাকবে না এটা হয় নাকি? সেজন্য আমি রাজি হইনি।

- কিন্তু ভাইয়া তো আমাকে গিয়ে অনুরোধ করেছে তোমাকে নিয়ে যাবার জন্য।

- তুই বলিসনি কিছু?

- হ্যাঁ বলেছি যে আমি তোমাকে নিয়ে আজই গ্রামের বাড়িতে চলে যাবো।

- কেন বলেছিস?

- মা তুমি বোঝার চেষ্টা করো, ভাইয়া তোমাকে কিছুতেই রাখতে চাইছে না। হয়তো ভাবির সঙ্গে এ নিয়ে ঝামেলা হচ্ছে তার। তোমার জন্য তোমার সন্তানের পরিবারে ঝামেলা হচ্ছে। তারা তোমাকে তাদের সংসারে বোঝা মনে করে।

- একটা কথা বলি মিরাজ?

- বলো মা।

- তোর ভাইয়া যখন বিয়ে করে তখন তো বললো বৌমা নাকি খুব ভালো মেয়ে। কিন্তু এখন সেই মেয়ে আমাকে সহ্য করতে পারে না কেন? আমার ছেলের বাসায় থাকি তাহলে সেখান থেকে আমাকে তাড়িয়ে দিচ্ছে কেন?

- এসব নিয়ে কষ্ট পেও না মা। তুমি যদি এখানে থাকো তাহলে এদের ঝামেলা দিন দিন বাড়বে। ভাবি তার উদ্দেশ্যে সফল হতে না পেরে আরও ঝামেলা বাড়াবে৷ তখন তুমিও কষ্ট পাবে। তারচেয়ে বরং তুমি আমার সঙ্গে চলো, আমি তো আছি মা। গ্রামের বাড়িতে বাবার কতো স্মৃতি। সেখানে গেলে তোমার মন ভালো হয়ে যাবে। বাবা একা একা আমাদের গ্রামের বাড়িতে কবরে ঘুমিয়ে আছে। তার কবরটা দেখতে পাবো।

- আমাকে কবে নিয়ে যাবি মিরাজ?

- আজকে বিকেলেই রওনা দেবো।

- ঠিক আছে তুই ব্যবস্থা কর।

|
|

গ্রামের বাড়িতে এসেছি বেশ কিছুদিন হলো। কিন্তু মায়ের অসুস্থতা দিন দিন বাড়ছে। প্রথম প্রথম সপ্তাহ খানিক ভালো ছিল কিন্তু তারপর হঠাৎ করে একদিন জ্বর হলো। সেই থেকে মা বিছানা ছেড়ে উঠতে পারে না।
আজকে সকালে আমাকে ডেকে বললেন,

- আমি মনে হয় খুব শীঘ্রই মারা যাবো বাবা।

- চুপ করো তো মা, সবসময় এরকম করো কেন?

- তোর ভাইকে একটু খবর দে না। মৃত্যুর আগে সবাইকে একসঙ্গে দেখতাম, ওরা সবাই যেন গ্রামে আসে। বলে দেখ না।

মায়ের বলার আগেই আমি গতকাল ভাইয়ার কাছে কল দিয়েছিলাম। কারণ মায়ের শরীর সত্যি খুব খারাপ। কিন্তু ভাইয়া বললেন তার অফিসে কাজ আছে অনেক। তাছাড়া সামনের সপ্তাহে নাকি তাদের বিবাহবার্ষিকী। তাই এরকম সময় ভাবি নাকি কিছুতেই রাজী হবে না।
কিন্তু এসব কথা মায়ের কাছে বলার কোনো মানে হয় না। অসুস্থ মানুষ মন খারাপ করে আরও বেশি অসুস্থ হয়ে যাবে।

- বললাম, ঠিক আছে মা আমি ভাইয়ার কাছে আজই কল দিয়ে জানাবো।

- ঠিক আছে, আর আমার সঙ্গে একটু মোবাইলে কথা বলিয়ে দিস তো।

আমি ঘর থেকে বেরিয়ে গেলাম। ভাইয়ার কাছে আবারও কল দিলাম। বারবার রিং বাজার পরও রিসিভ করছে না। আমি আবারও কল দিলাম,

- রিসিভ করে বিরক্ত গলায় বললো, বারবার কল দিচ্ছিস কেন? ব্যস্ত আছি তো।।

- ভাইয়া মায়ের অবস্থা ভালো না।

- হাসপাতালে নিয়ে যা, টাকা লাগলে সন্ধ্যা বেলা কল করিস৷

- মা হাসপাতালে যাবে না। তিনি তোমাকে সবাই কে বাড়িতে আসতে বলছেন।

- আমি গিয়ে কি করবো? আমি কি ডাক্তার?

- তুমি বড় সন্তান ভাইয়া, তোমার প্রতি মায়ের অনেক ভালোবাসা আছে। তোমাকে দেখে একটু শান্তি পেতে চায়।

- ঠিক আছে সময় নিয়ে আসবো, এখন রাখি।

আমি কল কেটে দিয়ে দীর্ঘশ্বাস ছাড়লাম। ভাইয়া আর আসবে বলে মনে হয় না। আমিও সিদ্ধান্ত নিলাম যে আর কোনদিন ভাইয়াকে কল দিয়ে বিরক্ত করবো না।

|
|

১৫ দিন পর।
ভাইয়া কাজ করেছে, আমি তার অফিসে এসে দরজা খুলে ভিতরে ঢুকলাম। আমাকে দেখে তিনি বললেন,

- গ্রাম থেকে কবে আসলি?

- আজই এসেছি।

- মা কোথায়?

- গ্রামের বাড়িতে।

- অসুস্থ মাকে রেখে চলে এলি? তোর তো দায়িত্ব বলতে কিছু নেই মনে হচ্ছে।

- হাহাহা, তুমি আমাকে মায়ের দায়িত্বের কথা বলছো ভাইয়া? তুমি কতটুকু পালন করছো?

- তো কি? আমি পালন করিনি? তার খাবার টাকা কাপড়ের টাকা সব আমি দেইনি?

- এগুলো দিলেই দায়িত্ব শেষ?

- একটু পরে আমার একটা মিটিং আছে। তোর সাথে বাসায় গিয়ে কথা বলবো।

- আমি থাকতে আসিনি, একটু পরেই ট্রেনে করে চলে যাবো গ্রামের বাড়িতে।

- ওহ্ আচ্ছা।

আমি আমার পকেট থেকে দুটো সোনার চুড়ি বের করে বললাম,

- মৃত্যুর সময় মা এগুলো তোমার জন্য দিয়ে গেছে ভাইয়া। তোমার মেয়ের জন্য মায়ের উপহার।

ভাইয়া আমার মুখের দিকে তাকিয়ে রইল। মা মারা গেছে এই কথাটা বিশ্বাস করতে পারছে না।

- কি বললি? মা মারা গেছে?

- হ্যাঁ মারা গেছে, তোমাকে শেষ যেদিন আমি কল দিলাম তার চারদিন পরে মা মারা গেছে। কিন্তু তুমি এমনই দায়িত্বশীল সন্তান, মায়ের অসুস্থতার কথা শুনেও আর খবর নিলে না।

- আসলে এতো ব্যস্ততা যাচ্ছে যে।

- মৃত্যুর আগ পর্যন্ত মানুষের ব্যস্ততা থাকে ভাই। আমরা দুনিয়ার পিছনে ছুটতে ছুটতে মৃত্যুর দার প্রান্তে গিয়ে উপস্থিত হই। তবুও আমাদের ব্যস্ততা কমে না, কিন্তু জীবন ফুরিয়ে যায়।

ভাইয়া মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে। আমি বললাম,

- গ্রামের বাড়িতে পাশের গ্রামের একটা স্কুলে ছোট্ট একটা চাকরি পেয়েছি। বাড়িতেই থাকবো আর সেখানে চাকরিটা করবো। অন্তত প্রতিদিন সকালে ফজরের নামাজ পড়ে মা-বাবার কবর জিয়ারত করতে পারবো।

ভাইয়া বসে আছে, আমি বের হবার জন্য পা বাড়ালাম। তারপর আব পিছনে ফিরে বললাম,

- তুমি কোনদিন গ্রামের বাড়িতে যেও না ভাই। গ্রামের বাড়িতে তোমার ভাগের যতটুকু জমি আছে সেই জমির দাম অনুযায়ী টাকা আমি তোমাকে দিয়ে দেবো। তবুও কোনদিন আমার মা-বাবার বাড়িতে যাবে না। কারণ তোমাকে যদি ওই গ্রামের মধ্যে দেখি তাহলে সেদিন হয় তুমি মরবে নাহয় আমি মরবো।

এ কথা বলে আমি বেরিয়ে গেলাম। রাস্তায় নেমে হাঁটতে লাগলাম। আমাকে এখনই গ্রামের বাড়িতে ফিরতে হবে। মা-বাবার কাছে।
পৃথিবীতে আল্লাহ রাসূলের পরে মা-বাবার স্থান। ছোট্ট জীবনে আমরা নিজেদের সম্মানিত করতে গিয়ে মা-বাবাকে লাঞ্ছিত করি। অথচ একবারও চিন্তা করি না যে এই মা-বাবা একদিন আমাকে সম্মানিত করার জন্য নিজেদের সকল সুখ নষ্ট করেছেন।

----- সমাপ্ত -----

গল্পঃ- ের_কথা

ভালো লাগলে শেয়ার করবেন। সাথে থাকবেন। Saran Khan

Pride in Israel at the holy Western WallIsraelium Jewelers
22/10/2023

Pride in Israel at the holy Western Wall

Israelium Jewelers

বাসর রাতে অত্র নিজের রুমে ঢুকতেই দেখলো তার বিয়ে করা বউ আভা শাড়ি ফেলে ব্লাউজ আর পেটিকোট পরে দাড়িয়ে আছে..বাসর ঘরে ঢুকেই এর...
21/10/2023

বাসর রাতে অত্র নিজের রুমে ঢুকতেই দেখলো তার বিয়ে করা বউ আভা শাড়ি ফেলে ব্লাউজ আর পেটিকোট পরে দাড়িয়ে আছে..
বাসর ঘরে ঢুকেই এরকম একটা দৃশ্য দেখতে অত্র তার জন্য মোটেই প্রস্তুত ছিলো না। না চাইতেও অত্রের চোখ চলে যায় আভার পেটের বাম পাশে থাকা অসম্ভব সুন্দর তিলটার দিকে। তার চোখ আটকে যায় সেখানে। ফর্সা পেটের উপর কালো তিলটা চুম্বক এর মতো আকর্ষন করছে তাকে, ধিরে ধিরে সে একটা ঘোরের মধ্যে চলে যাচ্ছে। হঠাৎ করেই হুস ফিরে আসায় অত্র কোনো মতো নিজেকে সামলে নিয়ে বলে ওঠে
এই মেয়ে তোমার কি লজ্জা নেই..
আভা পিছন ফিরে অত্রকে দেখে বিশাল বড় একটা শক খায় ও দরজা লক করতে ভুলে গিয়েছে।
আভা তারাতারি নিজের ৩ পিজ নিয়ে বাথরুমে ছুটে চলে যায়..!

আভা বের হতেই অত্র তাকে খুব জোরে দেওয়ালের সাথে চেপে ধরে বলে কান খুলে শুনে রাখো আমি তোমাকে নিজে ইচ্ছে করে বিয়ে করি নি। পরিবারের চাপে পরে বিয়ে করতে বাধ্য হয়েছি। আজ একটু আগে যেটা করেছো ভুলেও দ্বিতীয়বার যেনো এটা আর না হয়.. তোমার এই চেহারায় আমার বাবা মাকে ফাসাতে পারলেও এই অত্রকে ফাসাতে পারবে না। আমি অাফরাকে ভালোবাসি...
বলেই খুব জোরে আভাকে ধাক্কা মারে।
আভা টাল সামলাতে না পেরে নিচে পরে যায়।
অত্রর এই ব্যাপারে আভা একটুও ঘাবরায় নি। ও তো এটাই চেয়েছিলো। সংসার করার কোনো ইচ্ছে আভার নেই।
আভা উঠে দাড়িয়ে অত্রকে বললো
ধন্যবাদ। আপনি আমার অনেক বড় একটা উপকার করলেন.🙂🙂
আভার কথা শুনে অত্র অবাক হয়।
আভা আবার বলতে থাকে অনেক রাত হয়েছে আপনার পাশে এক খাটে সোয়ার আমার কোনো ইচ্ছে নেই। খাটে কেনো বলছি এক রুমেই থাকার কোনো ইচ্ছে আমার নেই আপনি বরং আপনার নিজের রুমে নিজের খাটে ঘুমান আমি বেলকনিতে ঘুমাচ্ছি। আমাকে একটা কাথা আর বালিশ দিলেই চলবে।
এবার আভার কথায় অত্র খুব অবাক হলো এই মেয়ে বলে কি..
যাই হোক অত্র আভাকে একটা বালিশ আর একটা কাথা দিয়ে দিলো।
আচ্ছা আমি তাহলে যাই good night
অত্র আভার চলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে রইল..
একটু পর ফ্রেস হয়ে নিজেও সুয়ে পরলো...
কি অদ্ভুত এই মেয়েটা.. আমি এতো রুড বিহেভ করলাম ও কোনো রিয়েকশনই দেখালো না.. কোনো তো রহস্য আছেই ওর মধ্যে.. ধুর আমি এই মেয়ের কথা কেনো এতো ভাবছি.. আমি তো আফরাকে ভালোবাসি.. দেখি আমার বেবিকে একটা কল করি... ✆✆✆
কি হলো পাগলিটা কল রিসিভ করছে না কেনো ও কি আমাকে ভুল বুঝলো.. এসব ভাবতে ভাবতে অত্র ঘুমিয়ে পরলো..
এদিকে আভার আজ অনেক ভালো লাগছে.. বাবা মা তাকে বোঝা মনে করতো জোর করে তাকে বিয়ে দিলো.. কতোই না ভয় পেয়েছিলো সে এই বিয়েতে আভার একটুও মত ছিলো না...
অত্র তাকে মেনে নেয় নি এটাই অনেক। এখন সে নিজের মতো করে বাচতে পারবে...

সকালে
ঘুম থেকে উঠে বেলকনি থেকে রুমে চলে আসে। তারপর একবার অত্রের দিকে তাকিয়ে চোখ ফিরিয়ে নেয়। তারপর লাগেজ থেকে একটা শাড়ি বেড় করে ওয়াশরুমে চলে যায় গোসল করার জন্য। কিছুক্ষণ পরে একটা নীল শাড়ি পরে ভেজা চুলে বেড় হয়ে ড্রেসিং টেবিল এর সামনে বসে চুলে চিরুনী করার জন্য।
হঠাৎ মুখের উপর পানির ছিটা পড়ায় ঘুম ভেঙে যায় অত্রের, তারপর বিরক্তি নিয়ে চোখ মেলে তাকায়, কিন্তু চোখ মেলে তাকানোর পর তার সব বিরক্ত যেনো এক নিমিষেই দূর হয়ে যায়, সে চুপিচুপি দেখতে থাকে আভাকে, হঠাৎ আভার মনে হয় পেছন থেকে অত্র তাকে দেখছে তাই সে পেছনের দিকে তাকায় কিন্তু দেখে অত্র ঘুমিয়ে আছে, তারপর আভা উঠে আর একবার অত্রের দিকে তাকিয়ে নিচে কিচেনে চলে যায়।

আভা চলে যাওয়ার পরে অত্র চোখ মেলে তাকায় আর নিজেই নিজেকে গালি দিতে থাকে,
স্টুপিড অত্র কি হয়েছে তোর বার বার কেনো ঐ মেয়ের দিকে এভাবে তাকাচ্ছিস, আর একটু হলেই তো ধরা পরে যাচ্ছিলি,

তারপর অত্র টাওয়েল নিয়ে ওয়াশরুমে চলে যায়

আভা কিচেনে গিয়ে দেখে তার শাশুড়ি মা রান্না করছে। আভা তার কাছে গিয়ে তাকে সালাম করলো.. আর বললো

মা আমি কি রান্না কাজে আপনাকে হেল্প করবো?
না মা তুমি এতো সকালে এখানে কেনো..

চলবে.....
শেষ_ভালোবাসা Saran Khan

নিজের ১৮বছর বয়সী মেয়েকে বাঁচাতে মাত্র ৬বছর বয়সী মেয়ের হাতে খুনের অস্ত্র তুলে দিলেন নুহাশ জামান। মেঝেতে তার ১৮বছর বয়সী মে...
21/10/2023

নিজের ১৮বছর বয়সী মেয়েকে বাঁচাতে মাত্র ৬বছর বয়সী মেয়ের হাতে খুনের অস্ত্র তুলে দিলেন নুহাশ জামান। মেঝেতে তার ১৮বছর বয়সী মেয়ে আরুশি রক্তমাখা হাতে বসে আছে। তার একহাত সামনেই পড়ে আছে ১৫বছর বয়সী একটা মেয়ের লাশ যাতে অত্যন্ত নির্মমভাবে ছুড়ি চালানো হয়েছে।
একটু দূরেই দাঁড়িয়ে তার স্ত্রী আরশি জামান কাঁদছেন।
ছোট আয়ুশি পিটপিট চোখে আশেপাশের পরিস্থিতি দেখার চেষ্টা করছিলো। নুহাশ সাহেব আয়ুশি কে ডেকে নিয়ে বললেন,

>>শুন আম্মু। আমরা সবাই মিলে একটা গেইম খেলছি বুঝেছো?

>>কেমন গেইম বাপি? আর তুবা আপু এভাবে শুয়ে আছে কেনো? উনার গায়ে লাল লাল কেন?

>>শুন আম্মু বাপি বুঝিয়ে বলছি। তুবা আপু হলো আমাদের শত্রু। আমাদের গেইম হলো তুবা আপুকে মারা। তুবা আপুকে যে মারবে সে অনেক বড় গিফট পাবে। তুবা আপুকে কে মেরেছে জানো তোমার আপুই। আর বাপি চাই না তোমার আপুই গিফট টা পাক। তাই তুমি গিয়ে ওই ছুড়িটা হাতে নাও। কেউ জিজ্ঞাস করলে বলবা আমিই তুবা আপুকে মেরেছি। বুঝলে?

>>ওকে বাপি কিন্তু কি গিফট পাবো?

>>সেটা সারপ্রাইজ। তুমি কাউকে এটা বলোনা যে তুবা আপুকে তোমার আপুই মেরেছে। সবাইকে বলবা তুমি মেরেছো। নাহয় গিফট পাবেনা কিন্তু।

ছোট্ট আয়ুশি বাপির গালে খুশিতে আত্মহারা হয়ে চুমু খাই। তারপর দৌড়ে গিয়ে লাশের উপর থেকে ছুড়িটা নিজের হাতে নিয়ে নেয়। কৌতূহলী হয়ে কিছুটা রক্ত হাতেও মেখে নেয়। আরশি জামান কান্নাই ফেটে পড়েন। নুহাশ সাহেব গলা খাকিয়ে বলেন,

>>তোমার বড় মেয়েকে নিয়ে গিয়ে পরিষ্কার করে দাও। আর বুঝিয়ে দাও। কেউ কিছু জানতে চাইলে বলবে আয়ুশিই করেছে এমন টা।

বলে নুহাশ সাহেব বেড়িয়ে যান ঘর থেকে। আরশি জামান বড় মেয়েকে নিয়ে গিয়ে ফ্রেশ করে দেয়। এরপর ঘুমের ঔষধ খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে দেয়। যাতে ওর উপরে কারো সন্দেহ না পড়ে।
ছোট্ট আয়ুশি তুবার লাশটা খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছে আর বিড়বিড় করে বলছে,

>>দেখেছো তুবাপু আমরা জিতে গিয়েছি। এবার আমি গিফট পাবো। ইয়েএএহ কি মজা।

এমন সময় তুবার মা তুর্না বেগম হন্তদন্ত হয়ে ঢুকে পড়েন ঘরে কাঁদতে কাঁদতে। তুবার লাশের পাশে ছোট আয়ুশিকে দেখে নিমিষেই যেন তিনি বরফের মত জমে যান।
তুবার মা মেয়ের লাশ জড়িয়ে বিলাপ করে কাঁদতে থাকেন। তা দেখে আয়ুশি ভ্রু কুঁচকাই। তুবার মায়ের কান্নার শব্দে আরশি জামান বেড়িয়ে আসেন। আশ্চর্য হওয়ার ভং ধরেন।
নুহাশ জামান ঘরে ঢুকতেই আয়ুশি ছুড়িটা ফেলে বাবাকে গিয়ে জড়িয়ে ধরে কেঁদে দেয়। নুহাশ সাহেব মেয়েকে জড়িয়ে নিতেই আয়ুশি বাবার গলা জড়িয়ে কাঁদতে থাকে। আর বলে,

>>বাপি ওরা কাঁদছে কেনো?

নুহাশ সাহেব বিড়বিড় করে মেয়ের কানে বলেন,
>>ওরা গেইমে হেরে গিয়েছে তো তাই কাঁদছে। তুমি কিন্তু বাপির কথামত সব বলবে কেমন,নাহয় গিফট পাবে না?

>>জি বাপি।

এই বিষয়টা নিয়ে বেশ ঝামেলা বাধে। তুবার মা না চাইলেও তুবার পরিবার মামলা করেন। তাদের সন্দেহ আরুশির উপর। কিন্তু ছোট্ট আয়ুশি জোরগলায় সবাইকে বলে বেড়াচ্ছে যে, তুবাকে ও ই মেরেছে।

নুহাশ সাহেব ভেবেছিলেন হয়তো আয়ুশি ছোট বলে কোন শাস্তি হবেনা। কিন্তু কোর্ট আয়ুশি কে জুভেনাইল জেইলে রাখার আদেশ দেয় এক 'বছরের জন্যে।

নুহাশ সাহেব হতাশ হয়ে পড়েন, বড় মেয়েটা ড্রাগ এডিক্ট হয়ে পড়েছিল কয়েকদিন আগে থেকেই তাকে শুধরানোর জন্য তিনি আর তার স্ত্রী চেষ্টা করতে থাকেন। কিন্তু মেয়েটা খিটখিটা হয়ে গিয়েছিল। ভালো কথাতেও চটে যেতো। অহেতুক রেগে যেতো,
সেদিন তুবা মিষ্টি নিয়ে এসেছিলো ছোট ভাইয়ের খৎনার। আরুশিকে দেখে তুবা কিছুটা জোড় করে মিষ্টি খেতে।ব্যাস আরুশি রেগেমেগে ছুড়ি নিয়ে তুবাকে শেষ করে দেয়।
নুহাশ সাহেব ভেবেছিলেন মেয়েটার অবস্থা এমনিতেই তেমন ভালোনা। মামলা খেলে শাস্তি নিশ্চিত।তাই সব দোষ আয়ুশির কাঁধে তুলে দেন। কিন্তু তাতেও কাজ হলোনা।
আয়ুশির ও শাস্তি হলো। ছোট্ট আয়ুশি জানেও না তার সাথে কি হতে চলেছে।
কিন্তু যেদিন মা-বাবা তাকে জেইলে রেখে চলে আসেন সেদিন তার কি কান্না। তাও আয়ুশির ছোট্ট মস্তিষ্কের আন্দাজের বাহিরে ছিলো সব।
নুহাশ সাহেব বুঝিয়ে সুজিয়ে রেখে যান আয়ুশি কে। তিনি আয়ুশিকে বলেন,

>>তোমাকে এখানে থাকতে হবে কয়েকদিন। তাহলেই গিফট পাবে। গিফট টা বেশ বড় আর দামী। যদি তুমি এখানে ভালো বাচ্চাদের মত থাকো তবেই পাবে।

বাপির কথা আয়ুশি ভালোভাবে বুঝে নেয়। সে ভালোভাবে থাকার চেষ্টা করে এখানে। জেইলে সব বাচ্ছাই বড় আয়ুশিই সবার ছোট তাই জেইলের কর্মকর্তা রা ওকে বেশ আদরে রাখে। কিন্তু কিছু বাচ্চারা তা দেখে হিংসে করে আর পরে আয়ুশিকে একা পেলে মারে।
আয়ুশি মা-বাবার জন্যে রোজ কাঁদে।
মা-বাবা রোজ আসতো তাকে দেখতে।
এভাবে মাস দুয়েক পেরিয়ে যায়।কিন্তু হুট করেই একদিন তারা আসা বন্ধ করে দেয়।

চলবে..

স্মৃতির_মাঝে
Saran Khan

The Jewish Homeland of IsraelIsraelium Jewelers
18/10/2023

The Jewish Homeland of Israel

Israelium Jewelers

Address

Mirpur 4
Mirpur
1000

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Afroja Akter Nodi posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Afroja Akter Nodi:

Share

Nearby media companies