ঈমান -𝔼𝕄𝔸𝓝

ঈমান -𝔼𝕄𝔸𝓝 “আমার প্রতিপালক তোমাদের একটুও পরোয়া করবেন না যদি তোমরা ‘ইবাদাত না কর”

اَلۡخَبِيۡثٰتُ لِلۡخَبِيۡثِيۡنَ وَالۡخَبِيۡثُوۡنَ لِلۡخَبِيۡثٰتِ​ۚ وَالطَّيِّبٰتُ لِلطَّيِّبِيۡنَ وَالطَّيِّبُوۡنَ لِلطّ...
13/07/2024

اَلۡخَبِيۡثٰتُ لِلۡخَبِيۡثِيۡنَ وَالۡخَبِيۡثُوۡنَ لِلۡخَبِيۡثٰتِ​ۚ وَالطَّيِّبٰتُ لِلطَّيِّبِيۡنَ وَالطَّيِّبُوۡنَ لِلطَّيِّبٰتِ​ۚ اُولٰٓٮِٕكَ مُبَرَّءُوۡنَ مِمَّا يَقُوۡلُوۡنَ​ؕ لَهُمۡ مَّغۡفِرَةٌ وَّرِزۡقٌ كَرِيۡمٌ‏ ٢٦

চরিত্রহীনা নারী চরিত্রহীন পুরুষদের জন্য, আর চরিত্রহীন পুরুষ চরিত্রহীনা নারীদের জন্য, চরিত্রবতী নারী চরিত্রবান পুরুষের জন্য, আর চরিত্রবান পুরুষ চরিত্রবতী নারীর জন্য। লোকেরা যা বলে তাত্থেকে তারা পবিত্র। তাদের জন্য আছে ক্ষমা ও সম্মানজনক জীবিকা।

وَقُلْ لِّـلۡمُؤۡمِنٰتِ يَغۡضُضۡنَ مِنۡ اَبۡصَارِهِنَّ وَيَحۡفَظۡنَ فُرُوۡجَهُنَّ وَلَا يُبۡدِيۡنَ زِيۡنَتَهُنَّ اِلَّا مَا ظَهَرَ مِنۡهَا​ وَلۡيَـضۡرِبۡنَ بِخُمُرِهِنَّ عَلٰى جُيُوۡبِهِنَّ​ وَلَا يُبۡدِيۡنَ زِيۡنَتَهُنَّ اِلَّا لِبُعُوۡلَتِهِنَّ اَوۡ اٰبَآٮِٕهِنَّ اَوۡ اٰبَآءِ بُعُوۡلَتِهِنَّ اَوۡ اَبۡنَآٮِٕهِنَّ اَوۡ اَبۡنَآءِ بُعُوۡلَتِهِنَّ اَوۡ اِخۡوَانِهِنَّ اَوۡ بَنِىۡۤ اِخۡوَانِهِنَّ اَوۡ بَنِىۡۤ اَخَوٰتِهِنَّ اَوۡ نِسَآٮِٕهِنَّ اَوۡ مَا مَلَـكَتۡ اَيۡمَانُهُنَّ اَوِ التّٰبِعِيۡنَ غَيۡرِ اُولِى الۡاِرۡبَةِ مِنَ الرِّجَالِ اَوِ الطِّفۡلِ الَّذِيۡنَ لَمۡ يَظۡهَرُوۡا عَلٰى عَوۡرٰتِ النِّسَآءِ​ وَلَا يَضۡرِبۡنَ بِاَرۡجُلِهِنَّ لِيُـعۡلَمَ مَا يُخۡفِيۡنَ مِنۡ زِيۡنَتِهِنَّ​ ؕ وَتُوۡبُوۡۤا اِلَى اللّٰهِ جَمِيۡعًا اَيُّهَ الۡمُؤۡمِنُوۡنَ لَعَلَّكُمۡ تُفۡلِحُوۡنَ‏ ٣١

আর ঈমানদার নারীদেরকে বলে দাও তাদের দৃষ্টি অবনমিত করতে আর তাদের লজ্জাস্থান সংরক্ষণ করতে, আর তাদের শোভা সৌন্দর্য প্রকাশ না করতে যা এমনিতেই প্রকাশিত হয় তা ব্যতীত। তাদের ঘাড় ও বুক যেন মাথার কাপড় দিয়ে ঢেকে দেয়। তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভাই, ভাই-এর ছেলে, বোনের ছেলে, নিজেদের মহিলাগণ, স্বীয় মালিকানাধীন দাসী, পুরুষদের মধ্যে যৌন কামনামুক্ত পুরুষ আর নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ বালক ছাড়া অন্যের কাছে নিজেদের শোভা সৌন্দর্য প্রকাশ না করে। আর তারা যেন নিজেদের গোপন শোভা সৌন্দর্য প্রকাশ করার জন্য সজোরে পদচারণা না করে। হে মু’মিনগণ! তোমরা আল্লাহর নিকট তাওবাহ কর, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার।

#ইসলামিক #দাওয়াত #মুসলিম #হেদায়েত #হাদিস

Impact Of Boycott!!!      #ইসলামিক
11/07/2024

Impact Of Boycott!!!

#ইসলামিক

মৃত্যু-পরবর্তী প্রথম ধাপই হলো কবর। কবর থেকে পুনরুত্থান পর্যন্ত জীবনকে বলা হয় আলমে বারজাখ। বারজাখের ভয়াবহতা থেকে মুক্তি প...
11/07/2024

মৃত্যু-পরবর্তী প্রথম ধাপই হলো কবর। কবর থেকে পুনরুত্থান পর্যন্ত জীবনকে বলা হয় আলমে বারজাখ। বারজাখের ভয়াবহতা থেকে মুক্তি পেলে পরবর্তী পরীক্ষাগুলো হালকা হবে। উসমান (রা.) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, ‘কবর হচ্ছে আখিরাতের প্রথম পর্ব।

যে এর আজাব থেকে মুক্তি পাবে, তার জন্য পরবর্তী পর্বগুলো সহজ হয়ে যাবে। আর যে মুক্তি পাবে না, তার জন্য পরবর্তী ধাপগুলো আরো কঠিন হবে।’ (তিরমিজি, হাদিস : ২৩০৮ )
কবরের অবস্থা

কারো কবর জাহান্নামের একটি গর্ত। কারোটা জান্নাতের একটি বাগিচা।
কবরের আজাব কোরআন-সুন্নাহ ও ইজমা দ্বারা প্রমাণিত। দুই পাশের মাটির চাপ, সাপ-বিচ্ছুর দংশন, হাতুড়ি দিয়ে ফেরেশতাদের বিশাল আঘাত ও প্রজ্বলিত অগ্নির মতো ভয়ংকর শাস্তি আছে কবরে। (তিরমিজি, হাদিস : ২৪৬০)
তবে মুমিন বান্দার জন্য কবর হবে প্রশান্তির বিছানা। জান্নাতের বাগান।
এক শান্তিময় ঘুমে কেটে যাবে তার বারজাখের জীবন। (মুসনাদ আহমদ, হাদিস : ১৮৫৩৪)
তোমার রব কে

কবরের প্রথম প্রশ্নটি আপাতদৃষ্টিতে খুবই সহজ মনে হয়। কিন্তু প্রশ্নটি জটিল। বেশির ভাগ মানুষ এ ব্যাপারে উদাসীন। দুনিয়ায় আমরা যদি তাওহিদুর রুবুবিয়্যা (প্রতিপালনে একত্ববাদ) স্বীকার না করি, তাহলে সেদিন এ প্রশ্নের জবাব দেওয়া সম্ভব হবে না।

যারা মানুষকে রবের আসনে বসিয়েছে তারাও এ প্রশ্নের জবাবে বলবে, লা আদরি অর্থাৎ আমি কিছুই জানি না। মানুষ মানুষকে কিভাবে রব বানায়? আল কোরআনে এসেছে, ‘তারা তাদের ধর্মীয় গুরু ও নেতাদের (মান্য করার দিক থেকে দেবতা) হিসেবে গ্রহণ করেছে।’ (সুরা তাওবা, আয়াত : ৩১)
তোমার দ্বিন তথা জীবনব্যবস্থা কী

কবরের দ্বিতীয় প্রশ্নের জবাব তো সবারই জানা। কিন্তু এর বাস্তবতা অতটা সহজ নয়। তারাই এর জবাব দিতে পারবে, যারা পরিপূর্ণভাবে ইসলামকে আঁকড়ে ধরেছে। আর যারা দুনিয়ায় ইসলামকে জীবনব্যবস্থা হিসেবে গ্রহণ করেনি তারা বলবে, লা আদরি অর্থাৎ আমি কিছুই জানি না। আমরা তো সবাই নামধারী মুসলিম। নামেমাত্র ইসলাম পালন করি। কিন্তু বাস্তব জীবনে মানবরচিত বিধান জীবনব্যবস্থা হিসেবে গ্রহণ করেছি। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যে ব্যক্তি ইসলাম ছাড়া অন্য কিছু জীবনব্যবস্থা হিসেবে গ্রহণ করবে, তা কখনো কবুল করা হবে না, বরং সে আখিরাতে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে।’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত : ৮৫)

আমরা কি পারব উক্ত প্রশ্নের জবাবে উত্তীর্ণ হতে? আজ দুনিয়ায় ইসলামী জীবনব্যবস্থা উপেক্ষা করে চললে সেদিন এ কথা জবান দিয়ে বের হবে না, দ্বিনি আল ইসলাম অর্থাৎ আমার জীবনব্যবস্থা ইসলাম।

তোমার নবী কে

কবরের সর্বশেষ প্রশ্নে আমরা কি কামিয়াব হতে পারব? দুজন ফেরেশতা এসে জিজ্ঞেস করবে, তোমার নবী কে, আদর্শ পুরুষ কে ছিল, তুমি কার সুন্নত তথা রীতিনীতির অনুসরণ করতে? যারা গায়ক-গায়িকা, নায়ক-নায়িকা ও খেলোয়াড়দের আদর্শ অনুসরণ করছে তারাও এ প্রশ্নের জবাবে বলবে, লা আদরি। যারা নবীর সুন্নাহ বাদ দিয়ে বিধর্মীদের লাইফস্টাইল গ্রহণ করছে তারাও এ পর্বে অনুত্তীর্ণ হবে। শুধু যারা রাসুল (সা.)-এর সিরাত ও সুন্নাহ গ্রহণ করেছে এবং বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করেছে, তারাই এ প্রশ্নের জবাব দানে সক্ষম হবে।

মুমিনের করণীয়

কবরের তিন প্রশ্নের জবাব আরবিতে মুখস্থ করে নিলেই যথেষ্ট নয়। যারা এ তিন প্রশ্নের বিষয়বস্তুর ওপর দুনিয়াতে আমল করেছে তাদের জবান থেকে আল্লাহ তাআলা জবাব বের করে দেবেন। প্রশ্নোত্তর জানারও প্রয়োজন নেই। আর যারা আল্লাহকে এক রব বলে স্বীকার করেনি, ইসলামকে পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা হিসেবে মেনে নেয়নি এবং মুহাম্মদ (সা.)-কে আদর্শ পুরুষ হিসেবে গ্রহণ করেনি, তাদের জবান থেকে সেদিন একটি বাক্যই উচ্চারিত হবে, লা আদরি অর্থাৎ আমি কিছুই জানি না। (মুসতাদরাক হাকেম, হাদিস : ১০৭)

সুতরাং কবরের আজাব থেকে বাঁচতে একজন মুসলমানকে প্রকৃত মুসলমানের জীবন গ্রহণ করতে হবে। মহান আল্লাহ আমাদের তাওফিক দান করুন।

#ইসলামিক #হেদায়েত #দাওয়াত #মুসলিম

আল্লাহর সাথে বান্দাহর সম্পর্ক হলো ‘মহব্বতের’। আল্লাহ মহব্বত করে বান্দাহকে সৃষ্টি করেছেন তাঁর এবাদত করার জন্য। আল কুরআনে ...
11/07/2024

আল্লাহর সাথে বান্দাহর সম্পর্ক হলো ‘মহব্বতের’। আল্লাহ মহব্বত করে বান্দাহকে সৃষ্টি করেছেন তাঁর এবাদত করার জন্য। আল কুরআনে ইরশাদ হয়েছে : ‘আমি জিন ও ইনসানকে একমাত্র আমার এবাদতের জন্যই সৃষ্টি করেছি’। (সূরা যারিয়াত : আয়াত ৫৬)। এই এবাদত করতে হবে তাঁর প্রিয় হাবীব মোহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাত তরীকা অনুসারে তাঁকে ভালোবেসে। আল কুরআনে ঘোষণা করা হয়েছে : ‘হে নবী? আপনি বলে দিন, তোমরা যদি আল্লাহর সাথে মহব্বত কায়েম করতে চাও, তবে আমার অনুসরণ করো, তাহলে আল্লাহপাক তোমাদের ভালোবাসবেন।’ (সূরা আলে ইমরান : আয়াত ৩১)।

মহব্বত দুই প্রকার যথা- ১. স্বকাম মহব্বত এবং ২. নিষ্কাম মহব্বত। এই মহব্বতের প্রতিটি প্রকার আবার দু’ভাগে বিভক্ত। মোটকথা, এক দেহের প্রতি অপর দেহের যে প্রেম, ভালোবাসা, আকর্ষণ প্রতিষ্ঠিত ও বাস্তবায়িত হয়, তাকে স্বকাম মহব্বত বলে। এই মহব্বত (ক) বৈধ এবং (খ) অবৈধ উভয় পন্থায়ই হতে পারে।

আর একে অপরের প্রতি আত্মিক ও রূহানী যে আকর্ষণ প্রতিষ্ঠিত হয় এবং যাতে কোনো কাম রিপুর ভাব বা তাড়না নেই, তাকে বলে নিষ্কাম মহব্বত। এই মহব্বতেরও দু’টি রূপ আছে। যথা- (ক) বান্দাহর প্রতি আল্লাহর মহব্বত এবং আল্লাহর প্রতি বান্দাহর মহব্বত। আল কুরআনে ইরশাদ হয়েছে : ‘আল্লাহ তাদের (বান্দাহদের) ভালোবাসেন এবং তারাও আল্লাহকে ভালোবাসে।’ (সূরা মায়েদাহ : আয়াত ৫৪)।

(খ) উম্মতের প্রতি রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর মহব্বত এবং রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর প্রতি উম্মতগণের মহব্বত। আল কুরআনে ইরশাদ হয়েছে : ‘তোমরা (মহব্বতের সাথে) আমার অনুসরণ করো, আল্লাহ তোমাদের ভালোবাসবেন।’ (সূরা আলে ইমরান : আয়াত ৩১)।

তবে মহব্বত পয়দা হওয়ার জন্য সঙ্গ, সাহচর্য, সম্পর্ক ও পরিচয়ের একান্ত দরকার। তা নাহলে মহব্বত পয়দা হওয়ার কল্পনা ও করা যায় না। আর যায় না বলেই আল্লাহর সঙ্গ ও সাহচর্য বান্দাহর জন্য সর্ব উত্তম নেয়ামত। আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জত সঙ্গ দানের গুণে গুণান্বিত। আল্লাহর ‘সাথে থাকা’ অথবা ‘নিকটে থাকা’ সৃষ্টিকুলের সঙ্গে থাকা বা নিকটে থাকার মতো নয়। এই হাকীকতটি বুঝতে হলে আল্লাহর সঙ্গদানের প্রকারভেদ সম্পর্কে অবহিত হওয়া দরকার। আসুন, এবার সেদিকে নজর দেয়া যাক।

আল্লাহ জাল্লা শানুহুর সঙ্গদান দু’ভাগে বিভক্ত। যথা- ১. সাধারণ সঙ্গদান বা ব্যাপক সঙ্গদান। এই নিরিখে ‘আল্লাহ সাথে আছেন’ বাণীর মর্ম হলো-চিরঞ্জীব ও সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী আল্লাহপাক স্বীয় জ্ঞান, দর্শন, শ্রবণ, পরিবেষ্টন, প্রতিপালন, রক্ষণাবেক্ষণ, জীবন দান, মৃত্যুদান ইত্যাদি সর্বদিক দিয়ে মানুষ ও সকল সৃষ্টির সাথে আছেন। একে সাধারণ সঙ্গদান ও ব্যাপক সঙ্গদান বলে।

এতদ প্রসঙ্গে আল কুরআনে ইরশাদ হয়েছে : (ক) ‘সৃষ্টিকুল তো মানুষ থেকে আত্মগোপন করতে পারে, কিন্তু আল্লাহ থেকে আত্মগোপন করতে পারে না। তিনি সর্বদা সৃষ্টির সাথেই আছেন’। (সূরা নিসা : আয়াত ১০৮)। (খ) ‘তোমরা যেখানেই থাক না কেন তিনি (আল্লাহ) তোমাদের সাথেই আছেন, তিনি তোমাদের আমল প্রত্যক্ষ করেন’। (সূরা হাদীদ : আয়াত ৪)।

(গ) রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন : ‘হে লোক সকল! তোমরা থাম, নিশ্চয়ই তোমরা কোনো বধিরকে বা অনুপস্থিত সত্তাকে আহ্বান করছ না। তিনি (আল্লাহ) তোমাদের সাথেই আছেন, তিনি সর্বশ্রোতা, অতিনিকটে। (সহীহ বুখারী : ১/৪২০)।

২. বিশেষ সঙ্গদান : এই সঙ্গদান মুমিন বান্দাহদের জন্য নির্ধারিত। যারা ধৈর্যশীল, মুত্তাকীন, সৎকর্মশীল, তাওবাহকারী ও পবিত্রতা অর্জনকারী। এ পর্যায়ে ‘আল্লাহ সাথে আছেন, বাণীর অর্থ হলো- তিনি (আল্লাহ) মুমিন বান্দাহদের হেফাজত ও সাহায্য করছেন। তিনি তাদের মারেফাত ও নৈকট্য দান করছেন এবং আল্লাহর রঙ্গে বিরঞ্জিত করছেন।

এতদপ্রসঙ্গে আল কুরআনে ইরশাদ হয়েছে : (ক) ‘আল্লাহপাক ধৈর্যশীলদের সঙ্গে আছেন’। (সূরা বাক্বারাহ : আয়াত ১৫৩)। (খ) ‘আল্লাহপাক মুত্তাকীনদের সঙ্গে আছেন।’ (সূরা বাক্বারাহ : আয়াত ১৯৪)। (গ) ‘আল্লাহ পাক মুহসেনীনদের (পুণ্যবানদের) সঙ্গে আছেন’। (সূরা নাহল : আয়াত ১২৮)। (ঘ) আল্লাহপাক তাওবাহকারী ও পবিত্রতা অর্জনকারীদের ভালোবাসেন’। (সূরা বাকারাহ : আয়াত ১২২)।

#ইসলামিক #হেদায়েত #দাওয়াত

- দুইজন ই ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজের - দুইজন ই সরকারি চাকরিজীবী - দুইজনের পিতাই বড় সরকারি কর্মকর্তা ছিলেন - দুইজনই বই পড়েন...
09/07/2024

- দুইজন ই ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজের
- দুইজন ই সরকারি চাকরিজীবী
- দুইজনের পিতাই বড় সরকারি কর্মকর্তা ছিলেন
- দুইজনই বই পড়েন...
- একজন নাস্তিকতার পক্ষে কলম ধরেছেন, আরেকজন ধরেছেন নাস্তিকতার বিরুদ্ধে...
- একজন ইসলাম বি/দ্বেষী, আরেকজন ইসলামের পক্ষে বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে খেদমত দিয়ে যাচ্ছেন।

“আল্লাহ যাকে ইচ্ছা হিদায়াত দেন, যাকে ইচ্ছা গোমরাহ করেন।” (সূরা মুদ্দাছ্ছির: ৩১)

#মুসলিম #দাওয়াত #ইসলামিক #হেদায়েত

🥲😅 আহহ সায়েখ আহহ্‌,...🤔একটা মানুষের দুইটা রূপ🧐 একটা ভিতরে একটা বাহিরে। 🥲নফস😟   #মুসলিম
09/07/2024

🥲😅 আহহ সায়েখ আহহ্‌,...

🤔একটা মানুষের দুইটা রূপ🧐 একটা ভিতরে একটা বাহিরে। 🥲নফস😟

#মুসলিম

👉একদিন আমার এক ছাত্র এসে বলল, উস্তাদ! গান শোনা তো জায়েয হয়ে গিয়েছে। এই বলে সে একটি মাসিক পত্রিকার রেফারেন্স দেখাল। আরেক ...
09/07/2024

👉একদিন আমার এক ছাত্র এসে বলল, উস্তাদ! গান শোনা তো জায়েয হয়ে গিয়েছে। এই বলে সে একটি মাসিক পত্রিকার রেফারেন্স দেখাল। আরেক ছাত্র বলল, উস্তাদ! ড. ইউসুফ কারযাভী তো বাদ্যসহ গানকে জায়েয বলেছেন! গান-বাজনার পক্ষে কেউ এই যুক্তি দেন যে, দফ ছিল তৎকালীন আরবের বাদ্যযন্ত্র। আধুনিকতার ছোঁয়ায় এখন তা আরো উন্নত হয়েছে। এমনকি কেউ কেউ এমন কথাও বলেন যে, বিয়ে-শাদিতে গান-বাজনা করা সুন্নত। কিছুদিন পর আমার সেই ছাত্র এসে বলল, উস্তাদ! বাদ্যসহ গান জায়েয, এটা শোনার পর গানের প্রতি আমার সংকোচ কেটে গেছে। কেমন আনন্দ আনন্দ লাগছে। এই বিষয়ে আপনি কিছু একটা বলুন।

👉বিষয়টি আমি অনুধাবন করলাম এবং সুস্পষ্টভাবেই বুঝতে পারলাম যে, এ অবস্থায় কুরআন তিলাওয়াত শোনার চেয়ে প্রিয় শিল্পীর গান শোনাই তার কাছে বেশি ভালো লাগবে। আর ইবলিস শয়তান তো এটাই চায় যে, আল্লাহর বান্দা কুরআন থেকে দূরে থাকুক। এজন্যই তো আবু বকর রা. গানবাদ্যকে শয়তানের বাঁশি বলে আখ্যায়িত করেছেন। হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালার চেয়েও এটা ভয়ঙ্কর।🙄

কুরআনের ভাষ্য : আল্লাহ তাআলা সূরা লুকমানে আখেরাত-প্রত্যাশী মুমিনদের প্রশংসা করার পর দুনিয়া-প্রত্যাশীদের ব্যাপারে বলছেন,

আর একশ্রেণীর লোক আছে, যারা অজ্ঞতাবশত খেল-তামাশার বস্তু ক্রয় করে বান্দাকে আল্লাহর পথ থেকে গাফেল করার জন্য।-সূরা লুকমান : ৬ উক্ত আয়াতের শানে নুযূলে বলা হয়েছে যে, নযর ইবনে হারিস বিদেশ থেকে একটি গায়িকা বাঁদী খরিদ করে এনে তাকে গান-বাজনায় নিয়োজিত করল। কেউ কুরআন শ্রবণের ইচ্ছা করলে তাকে গান শোনানোর জন্য সে গায়িকাকে আদেশ করত এবং বলত মুহাম্মদ তোমাদেরকে কুরআন শুনিয়ে নামায, রোযা এবং ধর্মের জন্য প্রাণ বিসর্জন দেওয়ার কথা বলে। এতে শুধু কষ্টই কষ্ট। তার চেয়ে বরং গান শোন এবং জীবনকে উপভোগ কর।-মাআরিফুল কুরআন ৭/৪

এরই পরিপ্রেক্ষিতে আল্লাহ তাআলা উক্ত আয়াত নাযিল করেন।

সাহাবী ও তাবেয়ীদের ব্যাখ্যা
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. কে উক্ত আয়াতের ‘লাহওয়াল হাদীস’-এর ব্যাখ্যা জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘তা হল গান।’ আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা., আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. একই কথা বলেন। তাবেয়ী সায়ীদ ইবনে যুবাইর থেকেও অনুরূপ মত বর্ণিত হয়েছে। বিখ্যাত তাবেয়ী হাসান বসরী রাহ. বলেন, উক্ত আয়াত গান ও বাদ্যযন্ত্রের ব্যাপারে নাযিল হয়েছে, যা বান্দাকে কুরআন থেকে গাফেল করে দেয়।-তাফসীরে ইবনে কাসীর ৩/৪৪১

কুরআন মজীদের অন্য আয়াতে আছে, ইবলিস-শয়তান আদম সন্তানকে ধোঁকা দেওয়ার আরজী পেশ করলে আল্লাহ তাআলা ইবলিসকে বললেন,

তোর আওয়াজ দ্বারা তাদের মধ্য থেকে যাকে পারিস পদস্খলিত কর।-সূরা ইসরা : ৬৪

এ আয়াতের ব্যাখ্যায় আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. বলেন, যে সকল বস্তু পাপাচারের দিকে আহ্বান করে তাই ইবলিসের আওয়াজ। বিখ্যাত তাবেয়ী মুজাহিদ রাহ. বলেন, ইবলিসের আওয়াজ বলতে এখানে গান ও বাদ্যযন্ত্রকে বোঝানো হয়েছে। আল্লামা ইবনুল কাইয়্যিম রাহ. বলেন, এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, যেসব বস্তু পাপাচারের দিকে আহ্বান করে তার মধ্যে গান-বাদ্যই সেরা। এজন্যই একে ইবলিসের আওয়াজ বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে।-ইগাছাতুল লাহফান ১/১৯৯

সাহাবী ও তাবেয়ীদের ভাষ্য অনুযায়ী বহু গুনাহর সমষ্টি হল গান ও বাদ্যযন্ত্র। যথা :
ক) নিফাক এর উৎস খ) ব্যভিচারের প্রেরণা জাগ্রতকারী গ) মস্তিষ্কের উপর আবরণ ঘ) কুরআনের প্রতি অনিহা সৃষ্টিকারী ঙ) আখিরাতের চিন্তা নির্মূলকারী চ) গুনাহের প্রতি আকর্ষণ সৃষ্টিকারী ও ছ) জিহাদী চেতনা বিনষ্টকারী।-ইগাছাতুল লাহফান ১/১৮৭ বস্তুত গান বাজনার ক্ষতিকর প্রভাব এত বেশি যে, তা নাজায়েয হওয়ার জন্য আলাদা কোনো দলীল খোঁজার প্রয়োজন পড়ে না। এতদসত্ত্বেও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বহু হাদীসের মাধ্যমে তা প্রমাণিত।
হাদীসের ভাষ্য
গান-গায়িকা এবং এর ব্যবসা ও চর্চাকে হারাম আখ্যায়িত করে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-

তোমরা গায়িকা (দাসী) ক্রয়-বিক্রয় কর না এবং তাদেরকে গান শিক্ষা দিও না। আর এসবের ব্যবসায় কোনো কল্যাণ নেই। জেনে রেখ, এর প্রাপ্ত মূল্য হারাম।-জামে তিরমিযী হাদীস : ১২৮২; ইবনে মাজাহ হাদীস : ২১৬৮

বর্তমানে গান ও বাদ্যযন্ত্রের বিশাল বাজার তৈরি হয়েছে যাতে কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হচ্ছে। মনে রাখতে হবে, এর সকল উপার্জন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর হাদীস অনুযায়ী সম্পূর্ণ হারাম।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও ইরশাদ করেন, আমার উম্মতের কিছু লোক মদের নাম পরিবর্তন করে তা পান করবে। আর তাদের মাথার উপর বাদ্যযন্ত্র ও গায়িকা রমনীদের গান বাজতে থাকবে। আল্লাহ তাআলা তাদেরকে যমীনে ধ্বসিয়ে দিবেন।-সুনানে ইবনে মাজাহ হাদীস : ৪০২০; সহীহ ইবনে হিব্বান হাদীস : ৬৭৫৮

হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. বলেন, পানি যেমন (ভূমিতে) তৃণলতা উৎপন্ন করে তেমনি গান মানুষের অন্তরে নিফাক সৃষ্টি করে।-ইগাছাতুল লাহফান ১/১৯৩; তাফসীরে কুরতুবী ১৪/৫২

উপরোক্ত বাণীর সত্যতা এখন দিবালোকের ন্যায় পরিষ্কার। গান-বাজনার ব্যাপক বিস্তারের ফলে মানুষের অন্তরে এই পরিমাণ নিফাক সৃষ্টি হয়েছে যে, সাহাবীদের ইসলামকে এ যুগে অচল মনে করা হচ্ছে এবং গান-বাদ্য, নারী-পুরুষের মেলামেশা ইত্যাদিকে হালাল মনে করা হচ্ছে। সহীহ বুখারীতে আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন,

আমার উম্মতের মধ্যে এমন কিছু লোক সৃষ্টি হবে, যারা ব্যভিচার, রেশম, মদ ও বাদ্যযন্ত্রকে হালাল সাব্যস্ত করবে।-সহীহ বুখারী হাদীস : ৫৫৯০ মুসনাদে আহমদের হাদীসে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন,

আল্লাহ তাআলা আমাকে মুমিনদের জন্য হিদায়াত ও রহমত স্বরূপ প্রেরণ করেছেন এবং বাদ্যযন্ত্র, ক্রুশ ও জাহেলি প্রথা বিলোপসাধনের নির্দেশ দিয়েছেন।

হাদীসের আলোয় সাহাবীদের জীবন
দু’একটি ক্ষেত্রে শুধু দফ বাজানোর বিষয়টি ব্যতিক্রম থাকলেও যে কোনো বাদ্যযন্ত্রই হারাম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর হাদীস এবং সাহাবীদের বাস্তব আমল তা প্রমাণ করে।

বিখ্যাত তাবেয়ী হযরত নাফে’ রাহ. থেকে সহীহ সনদে বর্ণিত, তিনি বলেন, একবার চলার পথে আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. বাঁশির আওয়াজ শুনলেন। সঙ্গে সঙ্গে তিনি দুই কানে আঙ্গুল দিলেন। কিছু দূর গিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন, হে নাফে’! এখনো কি আওয়াজ শুনছ? আমি বললাম হ্যাঁ। অতঃপর আমি যখন বললাম, এখন আর আওয়াজ শোনা যাচ্ছে না তখন তিনি কান থেকে আঙ্গুল সরালেন এবং বললেন, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চলার পথে বাঁশির আওয়াজ শুনে এমনই করেছিলেন। -মুসনাদে আহমদ হাদীস : ৪৫৩৫; সুনানে আবু দাউদ হাদীস : ৪৯২৪ বিখ্যাত তাবেয়ী মুজাহিদ রাহ. থেকেও এমন একটি হাদীস বর্ণিত হয়েছে।-ইবনে মাজাহ হাদীস : ১৯০১

একটু ভেবে দেখুন তো, যে আওয়াজ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং সাহাবায়ে কেরাম মুহূর্তের জন্যও কানে তুলতে রাজি ছিলেন না সেই ইবলিসী আওয়াজের অনুকূলে কথা বলার দুঃসাহস আমরা দেখাতে পারি কি না?

বাজনাদার নুপুর ও ঘুঙুরের আওয়াজও সাহাবায়ে কেরাম বরদাশত করতেন না। তাহলে গান ও বাদ্যযন্ত্রের প্রশ্নই কি অবান্তর নয়? নাসাঈ ও সুনানে আবু দাউদে বর্ণিত আছে, একদিন হযরত আয়েশা রা.-এর নিকট বাজনাদার নুপুর পরে কোনো বালিকা আসলে আয়েশা রা. বললেন, খবরদার, তা কেটে না ফেলা পর্যন্ত আমার ঘরে প্রবেশ করবে না। অতঃপর তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন,

যে ঘরে ঘণ্টি থাকে সেই ঘরে রহমতের ফেরেশতা প্রবেশ করে না।-সুনানে আবু দাউদ হাদীস : ৪২৩১; সুনানে নাসাঈ হাদীস : ৫২৩৭ সহীহ মুসলিমে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, ঘণ্টি, বাজা, ঘুঙুর হল শয়তানের বাদ্যযন্ত্র।-সহীহ মুসলিম হাদীস : ২১১৪ মৃদু আওয়াজের ঘণ্টি-ঘুঙুরের যদি এই অবস্থা হয় তাহলে আধুনিক সুরেলা বাদ্যযন্ত্রের বিধান কী হবে তা খুব সহজেই বুঝা যায়। চার ইমামের ভাষ্য

গান ও বাদ্যযন্ত্রের ব্যাপারে ইমাম আবু হানীফা, ইমাম মালেক, ইমাম শাফেয়ী ও ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল রাহ.-অভিন্ন সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন। সকলেই গান-বাদ্যকে হারাম বলে আখ্যায়িত করেছেন।

ইমাম মালেক রাহ. কে গান-বাদ্যের ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, কেবল ফাসিকরাই তা করতে পারে।-কুরতুবী ১৪/৫৫ ইমাম শাফেয়ী রাহ. বলেছেন যে, গান-বাদ্যে লিপ্ত ব্যক্তি হল আহমক।

তিনি আরো বলেন, সর্বপ্রকার বীণা, তন্ত্রী, ঢাকঢোল, তবলা, সারেঙ্গী সবই হারাম এবং এর শ্রোতা ফাসেক। তার সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে না।-ইগাছাতুল লাহফান ১/১৭৯; কুরতুবী ১৪/৫৫

হাম্বলী মাযহাবের প্রখ্যাত ফকীহ আল্লামা আলী মারদভী লেখেন, বাদ্য ছাড়া গান মাকরূহে তাহরীমী। আর যদি বাদ্য থাকে তবে তা হারাম।-আহসানুল ফাতাওয়া ৮/৩৮৮

ইমাম শাফেয়ী রাহ. শর্তসাপেক্ষে শুধু ওলীমা অনুষ্ঠানে দফ বাজানোর অবকাশ আছে বলে মত দিয়েছেন। কেননা বিয়ের ঘোষণার উদ্দেশ্যে ওলীমার অনুষ্ঠানে দফ বাজানোর অবকাশের বর্ণনা হাদীসে রয়েছে।-জামে তিরমিযী হাদীস : ১০৮৯; সহীহ বুখারী হাদীস : ৫১৪৭, ৫১৬২ মনে রাখতে হবে, এখানে দফ বাজানোর উদ্দেশ্য হল বিবাহের ঘোষণা, অন্য কিছু নয়।-ফাতহুল বারী ৯/২২৬

দফ-এর পরিচয়
যারা সরাসরি আরবে দফ দেখেছেন, তাদের বর্ণনা থেকে জানা যায়, দফ-এর এক পাশ খোলা। বাজালে ঢ্যাব ঢ্যাব আওয়াজ হয়। প্লাস্টিকের গামলা বাজালে যেমন আওয়াজ হবে তেমন। আসলে দফ কোনো বাদ্যযন্ত্রের পর্যায়ে পড়ে না।

আওনুল বারী গ্রন্থে দফ-এর পরিচয় দিতে গিয়ে লেখা হয়েছে যে, এর আওয়াজ স্পষ্ট ও চিকন নয় এবং সুরেলা ও আনন্দদায়কও নয়। কোনো দফ-এর আওয়াজ যদি চিকন ও আকর্ষণীয় হয় তখন তা আর দফ থাকবে না; বাদ্যযন্ত্রে পরিণত হবে।-আওনুল বারী ২/৩৫৭ আর দফ-এর মধ্যে যখন বাদ্যযন্ত্রের বৈশিষ্ট্য এসে যাবে তখন তা সর্বসম্মতিক্রমে নাজায়েয বলে পরিগণিত হবে।-মিরকাত ৬/২১০ এখন কেউ যদি বলেন, তৎকালীন যুগে দফ ছিল আরবের সর্বোচ্চ বাদ্যযন্ত্র, বর্তমানে আধুনিকতার ছোঁয়ায় তা-ই উন্নত হয়েছে। তাহলে একে অজ্ঞতাপ্রসূত অবাস্তব কথা ছাড়া আর কিছুই বলতে পারি না। কেননা একাধিক হাদীসে ঢোল, তবলাসহ অনেক বাদ্যযন্ত্রের নাম এসেছে। বাস্তবে না থাকলে এসব বাদ্যযন্ত্রের নাম আসবে কোত্থেকে? তাছাড়া মুহাদ্দিসদের ভাষ্য অনুযায়ী দফ বাদ্যযন্ত্রের পর্যায়ে পড়ে না, যা ইতিপূর্বে আমরা জেনেছি। আরবে এখনো দফ বিদ্যমান আছে।

দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের সুদানী উস্তাদকে ছাত্ররা এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেন, দফ তো বাচ্চাদের জন্য, আর বড়দের জন্য হল কুরআন। পরিণত ব্যক্তিদের জন্য কুরআন ছেড়ে এসবের মধ্যে লিপ্ত হওয়ার কোনো অবকাশ নেই। এরপরও যদি মেনে নেওয়া হয় যে, তৎকালীন যুগে দফ সর্বোচ্চ বাদ্যযন্ত্র ছিল তবে তাতেই বা লাভ কী? বাদ্যযন্ত্রকে তো আর জায়েয বানানো যাচ্ছে না। হাদীসে রাসূলই তাকে হারাম বলে আখ্যায়িত করেছে। ইসলামকে আধুনিক বানানোর ‘সদুদ্দেশ্যে’ আজ কেউ কেউ ফতোয়া দিচ্ছেন যে, মেয়েদের সাথে হাত মেলানো জায়েয, নারী-পুরুষের মাঝে পর্দা বিধানের এত কড়াকড়ির প্রয়োজন নেই, গান-বাদ্য, সিনেমা, টেলিভিশন এসব তো বিনোদনেরই অংশ। ক্লীন শেভে কোনো সমস্যা নেই, দাড়ি ইসলামের কোনো জরুরি বিষয় নয় ইত্যাদি বহুবিধ ‘আধুনিক’, ‘অতি আধুনিক’ ফাতাওয়া আজ শুনতে পাওয়া যায়। মনে রাখা উচিত যে, ইসলাম অন্যান্য ‘ধর্মে’র মতো নয়; বরং তা আল্লাহ প্রদত্ত চির আধুনিক আদর্শ, একে নিজেদের পক্ষ থেকে আরো অতি আধুনিক বানানোর কোনো প্রয়োজন নেই। ইসলামে যেমন বাড়াবাড়ির অবকাশ নেই, তেমন ছাড়াছাড়িরও সুযোগ নেই। ইসলাম হল মধ্য পন্থা। যে বিধান যতটুকু দেওয়া প্রয়োজন আল্লাহ তাআলা তা ততটুকুই দিয়েছেন। এর পূর্ণ অনুসরণই যে সকল কল্যাণের সূত্র সাহাবায়ে কেরামের পুণ্যযুগই তার বাস্তব প্রমাণ। আমরাও যদি কল্যাণের প্রত্যাশা করি তাহলে আমাদেরকেও ইসলামের সকল বিধানের পূর্ণ অনুসরণ করতে হবে এবং আমাদের ঈমান, আমল ও ফতোয়া সবকিছুকে যাচাই করতে হবে তাদেরই মানদণ্ডে।

আমরা কেউ তো এ দাবি করতে পারি না যে, সাহাবীদের চেয়ে ইসলামকে ও রাসূলের হাদীসকে চেপ্টা করে আমরা বেশি বুঝে ফেলেছি। বাদ্যসহ কাওয়ালি

সুফী সাধকের নাম ব্যবহারকারী একটি জগতেও আজ আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে। তাই আধুনিক কিছু সুফী বলে থাকে, বাদ্যসহ যিকির ও কাওয়ালি জায়েয। দলীল হিসেবে তারা সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিম এ বর্ণিত দুটি বালিকার দফ বাজিয়ে কবিতা গাওয়ার হাদীসটি উপস্থাপন করে। এ প্রসঙ্গে আল্লামা ইবনে হাজার আসকালানী রাহ. লেখেন, উক্ত হাদীসে আয়েশা রা.-এর বর্ণনাই তাদের অবাস্তব দাবির বিরুদ্ধে উৎকৃষ্ট জবাব। গান-বাদ্য যে নাজায়েয এই বিষয়টি স্পষ্ট করার জন্য হাদীসের রাবী হযরত আয়েশা রা. বলছেন, উক্ত বালিকাদ্বয় কোনো গায়িকা ছিল না। তারা কোনো গান গায়নি।-ফাতহুল বারী ২/৪৪২

ইমাম কুরতুবী রাহ. বলেন, গান বলতে যা বুঝায়, বালিকাদ্বয় তা গায়নি। পাছে কেউ ভুল বুঝতে পারে তাই আয়েশা রা. বিষয়টি স্পষ্ট করে দিয়েছেন। ইমাম কুরতুবী আরো বলেন, বর্তমানে একশ্রেণীর সুফীরা যে ধরনের গান ও বাদ্যযন্ত্রের প্রচলন ঘটিয়েছে তা সম্পূর্ণ হারাম।-তাফসীরে কুরতুবী ১৪/৫৪ বিখ্যাত সাধক হযরত জুনাইদ বাগদাদী রাহ. তার যুগে কাওয়ালি শোনা বন্ধ করে দিয়েছিলেন। লোকেরা জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেন, বর্তমানে কাওয়ালি শোনার শর্তগুলো পালন করা হয় না। তাই আমি এর থেকে তওবা করছি।-আহসানুল ফাতাওয়া ৮/৩৯২

জুনাইদ বাগদাদী রাহ.-এর যুগেরই যদি এই অবস্থা হয় তাহলে আমাদের যুগের অবস্থা কেমন হবে তা ভাববার বিষয়। এক বিদ্যান ব্যক্তি একটি শিক্ষণীয় উক্তি করেছিলেন যে, তোমরা আধুনিক হও ভালো কথা, কিন্তু আধুনিক হতে গিয়ে মনুষ্যত্বের সীমানা অতিক্রম করো না এবং শয়তানের দোসর বনে যেও না।

#মুসলিম #হাদিস #দাওয়াত #হেদায়েত #ইসলামিক

১৩২৫ হিজরী। পৃথিবীর অনেক জায়গাতেই তখন বিদ্যুতের সংযোগ স্থাপন শুরু হয়েছে৷ঐ সময়ে উসমানী সালতানাতের মসনদে ছিলেন সুলতান দ্বি...
08/07/2024

১৩২৫ হিজরী। পৃথিবীর অনেক জায়গাতেই তখন বিদ্যুতের সংযোগ স্থাপন শুরু হয়েছে৷

ঐ সময়ে উসমানী সালতানাতের মসনদে ছিলেন সুলতান দ্বিতীয় আবদুল হামিদ৷ পাশাগণ সুলতানকে রাজপ্রাসাদে বিদ্যৎ সংযোগ স্থাপণের পরামর্শ দিলেন।

সুলতান তাদের পরামর্শ মেনে তো নিলেন, তবে মদীনাতুল মুনাওয়ারার প্রেমে ডুবে থাকা সুলতান ঘোষণা দিলেন যে, উসমানী সালতানাতের মধ্যে সর্বপ্রথম মদীনাতুল মুনাওয়ারায় মসজিদে নববীতে বিদ্যৎ সংযোগ স্থাপিত হবে। এরপর আমার প্রাসাদে বিদ্যুৎ আসবে।

সুলতানের কথামত তাই করা হলো৷ সুলতানের প্রাসাদে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার পূর্বেই মদিনায় মসজিদে নববীতে বিদ্যুৎ সংযোগ স্থাপিত হলো৷ আর এইদিকে মদীনায় বিদ্যুত সংযোগের এই খবরে হায়দ্রাবাদের নিজাম বৈদ্যুতিক বাতি হাদিয়া পাঠিয়েছিলেন৷ যা দ্বারা মসজিদে নববী সর্বপ্রথম বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত হয়েছিল।

ছবিতে আপনারা সৈই বৈদ্যুতিক বাতি গুলোর একটি দেখতে পাচ্ছেন।

[সূত্র : প্রসিদ্ধ সিরিয় আলেম Mohammed Aslam এর পেইজ ]

👉ক্ষণস্থায়ী এ দুনিয়ার মোহে একটি চিরন্তন সত্য আমরা ভুলে যাই। আর তা হলো "মৃত্যু"। আমরা দুনিয়াবী সবকিছুর প্রস্তুতি নিতে ...
05/07/2023

👉ক্ষণস্থায়ী এ দুনিয়ার মোহে একটি চিরন্তন সত্য আমরা ভুলে যাই। আর তা হলো "মৃত্যু"। আমরা দুনিয়াবী সবকিছুর প্রস্তুতি নিতে অপারগ। কিন্তু যখনি পরকালের কথা আসে তখনই আমরা কেনো যেন উদাসীন হয়ে যাই। যেন এই দুনিয়ার জীবনই আমাদের সব, যেন এই দুনিয়ায় বুঝি আমাদের স্থায়ী আবাস্থল।

দুনিয়াকে জয় করতে গিয়ে আখিরাত কে ভুলে গেলে চলবে কি করে? বরং দুনিয়াকে পাথেয় করেই আখিরাতকে জয় করতে হবে।

👉আল্লাহ বলেন,

كُلُّ نَفْسٍ ذَائِقَةُ الْمَوْتِ وَإِنَّمَا تُوَفَّوْنَ أُجُورَكُمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فَمَنْ زُحْزِحَ عَنِ النَّارِ وَأُدْخِلَ الْجَنَّةَ فَقَدْ فَازَ وَمَا الْحَيَاةُ الدُّنْيَا إِلاَّ مَتَاعُ الْغُرُورِ- ‘প্রত্যেক প্রাণীই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে এবং ক্বিয়ামতের দিন তোমরা পূর্ণ বদলা প্রাপ্ত হবে। অতঃপর যাকে জাহান্নাম থেকে দূরে রাখা হবে ও জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে, সে ব্যক্তি সফলকাম হবে। বস্তুত পার্থিব জীবন প্রতারণার বস্তু ছাড়া কিছুই নয়’ (আলে ইমরান ৩/১৮৫)।

ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞাসা করা হলো- হে আল্লাহর রাসুল! (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ! সবচাইতে বুদ্ধিমান লোক কে ? তিনি বললেন, যে ব্যক্তি অধিকহারে মৃত্যুকে স্মরণ করে এবং মৃত্যু পরবর্তী জীবনের প্রস্তুতি গ্রহণে ব্যস্ত থাকে। (ইবনে মাজাহ)

হে আমার ভাই, আসুন! আমরা মৃত্যুর আগেই সাবধান হই। আল্লাহ আমাদেরকে তাঁর জান্নাতী বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত করুন- আমীন! 🤲🏻🤲🏻
#হাদিস #মুসলিম #মৃত্যু

👉আখেরাতের জবাবদিহিতা থেকে কেউই মুক্ত নয়!প্রতিটি মানুষকে আখেরাতের জীবনে দুুনিয়াদারির জীবনের জন্য জবাবদিহির সম্মুখীন হতে হ...
10/11/2022

👉আখেরাতের জবাবদিহিতা থেকে কেউই মুক্ত নয়!
প্রতিটি মানুষকে আখেরাতের জীবনে দুুনিয়াদারির জীবনের জন্য জবাবদিহির সম্মুখীন হতে হবে। এ জবাবদিহিতা থেকে কেউই মুক্ত নয়। আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বর্ণিত, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : (কিয়ামতের দিন) আদম সন্তানের পা (স্বস্থান থেকে) একটুও নড়তে পারবে না যতক্ষণ না পাঁচটি বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসা করা হবে- ১. সে তার জীবনকালটা কি কাজে ব্যয় করেছে ২. তার যৌবনকাল কি কাজে ব্যয়িত হয়েছে ৩. সে তার ধন-সম্পদ কোন পন্থায় উপার্জন করেছে ও ৪. কোন কাজে ব্যয় করেছে এবং ৫. সে অর্জিত জ্ঞানানুযায়ী কতটা আমল করেছে (তিরমিজী, আবওয়াবু সিফাতিল কিয়ামাহ)।

👉মৃত্যুচিন্তা মানুষকে দুনিয়াদারির মোহ থেকে কিছুটা হলেও দূরে থাকতে সাহায্য করে। পার্থিব জগতের লোভ-লালসা থেকে নিজেকে সংযত রাখতে সবারই আখেরাতের কথা ভাবা উচিত। রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামও এ বিষয়ে তাগিদ দিয়েছেন।

👉আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বর্ণিত, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন : আমি কবর জিয়ারত করতে তোমাদের নিষেধ করেছিলাম। (এখন) তোমরা তা জিয়ারত কর। কেননা কবর জিয়ারত পার্থিব জগতের প্রতি অনাসক্তি সৃষ্টি করে এবং আখেরাতের কথা স্মরণ করিয়ে দেয় (ইবনে মাজা, মিশকাত) আমরা দুনিয়াদারির জীবনকে কতই না মূল্যবান বলে ভাবি। অথচ এ জীবন ক্ষণস্থায়ী। যারা এ জীবনের মোহে ভুগবে তাদের পরকালে খেসারত দিতে হবে।
👉আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) বর্ণিত, তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার কাঁধে হাত রেখে বললেন : দুনিয়াতে এমনভাবে বসবাস কর যেন তুমি একজন ভিনদেশি (আগন্তুক) অথবা মুসাফির। ইবনে উমর (রা.) বলতেন, তুমি সন্ধ্যা পর্যন্ত জীবিত থাকলে ভোরের অপেক্ষায় থেক না এবং ভোর পর্যন্ত জীবিত থাকলে সন্ধ্যার অপেক্ষায় থেক না, সুস্থ অবস্থায় অসুস্থতার সময়ের জন্য (নেক কাজের পাথেয়) এবং জীবনকালে মৃত্যুর সময়ের জন্য (পুঁজি) সংগ্রহ করে নাও (বুখারি, মিশকাত, অনুচ্ছেদ : তামান্নাল মাওত)।

👉প্রতিটি মানুষ যদি সচেতন হয়, বর্তমান অবস্থার সদ্ব্যবহারে যত্নবান হয়, তবে তার পক্ষে অকল্যাণকে এড়ানো সহজতর হয়।

👉আমর ইবনে মায়মূন আল-আওদী (রা.) বর্ণিত। তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক ব্যক্তিকে উপদেশ দিতে গিয়ে বললেন : পাঁচটি অবস্থার মুখোমুখি হওয়ার পূর্বে পাঁচটি জিনিসকে অতীব মূল্যবান মনে কর : (১) বার্ধক্যে উপনীত হওয়ার পূর্বে যৌবনকে (২) রোগাক্রান্ত হওয়ার পূর্বে সুস্থতাকে (৩) দরিদ্রতার শিকার হওয়ার পূর্বে সচ্ছলতাকে (৪) ব্যস্ততার পূর্বে অবসর সময়কে এবং (৫) মৃত্যুর পূর্বে জীবনকালকে (তিরমিজী, মিশকাত, কিতাবুর রিকাক)।
#বুখারি #বুখারিশরিফ #হাদিস

بَابٌ مِنَ الْقَضَاءِحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ يَحْيَى، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى...
09/11/2022

بَابٌ مِنَ الْقَضَاءِ

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ يَحْيَى، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى بْنِ حَبَّانَ، عَنْ لُؤْلُؤَةَ، عَنْ أَبِي صِرْمَةَ، قَالَ: غَيْرَ قُتَيْبَةَ فِي هَذَا الْحَدِيثِ، عَنْ أَبِي صِرْمَةَ - صَاحِبِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ: مَنْ ضَارَّ أَضَرَّ اللَّهُ بِهِ، وَمَنْ شَاقَّ شَاقَّ اللَّهُ عَلَيْهِ حسن
৩৬৩৫। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথী আবূ সিরমাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কেউ অপরের ক্ষতি করলে আল্লাহ তার ক্ষতিসাধন করবেন। কেউ অযৌক্তিকভাবে কারো বিরোধিতা করলে আল্লাহ তার বিরোধী হবেন।
#বুখারি #বুখারিশরিফ #হাদিস

👉আল্লাহ তাআলা বলেন, 'হে মুমিনগণ! ধৈর্য ও সালাতের মাধ্যমে তোমরা সাহায্য প্রার্থনা করো, নিশ্চয়ই আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সহিত আ...
09/11/2022

👉আল্লাহ তাআলা বলেন, 'হে মুমিনগণ! ধৈর্য ও সালাতের মাধ্যমে তোমরা সাহায্য প্রার্থনা করো, নিশ্চয়ই আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সহিত আছেন। ' (সুরা-২ বাকারা, আয়াত: ১৫৩)। তাই আমরা বিপদ-আপদে পড়ি, 'ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন' (নিশ্চয় আমরা তো আল্লাহরই এবং নিশ্চিতভাবে আমরা তাঁর নিকটেই প্রত্যাবর্তনকারী)।

👉জীবন সমস্যার সমাধানে আল্লাহর সাহায্য লাভের উপায়

মানুষের দুনিয়ার জীবন অত্যন্ত কন্টকাকীর্ণ। তা সব সময়ই বিপদ সংকুল, কখনো ফুল শয্যা নয়। এখানে ভালো ও মন্দের প্রতিযোগিতা রয়েছে। এখানে প্রত্যেকটি কাজেই বিপদ-আপদ ও বাধা-বিপত্তি আছে। এ বিপদ-আপদ হতে পারে দুনিয়ার কাজে অথবা পরকালের আমলি জিন্দেগি তৈরিতে।

তাই আল্লাহ তাআলা বান্দার জীবন সমস্যার সমাধানে তাঁর সাহায্য লাভে সুনির্দিষ্ট দিক-নির্দেশনা দিয়েছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন- ‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা ধৈর্য এবং নামাজের দ্বারা সাহায্য প্রার্থনা কর। নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা ধৈর্যশীলদের সঙ্গে রয়েছেন। (সুরা বাক্বারা : আয়াত ১৫৩)

এ আয়াতের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা ঈমানদার বান্দাকে দুনিয়া ও পরকালের সকল সমস্যার সমাধানে এ কথা জানিয়ে দেন, হে ঈমানদারগণ! দুশমনরা ইসলামের ওপর বা তোমাদের ব্যক্তি জীবনের কার্যক্রমের ওপর যতই বাঁধা প্রদান করুন, যতই প্রশ্নই করুন কিংবা তোমাদের জীবন-সমস্যা যত কঠিন ও জটিলই হোক, তাতে তোমরা ভীত-সন্ত্রস্ত হইও না; বরং জীবনের সকল সমস্যার সমাধানে আল্লাহ তআলার সাহায্য কামনা কর সবর এবং নামাজ দ্বারা।

কেননা সবর অবলম্বন এবং নামাজের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার নৈকট্য লাভে ধন্য হওয়া যায়। সবর অবলম্বন এবং নামাজের কারণে তাদের অন্তরে জাগতিক ও পরকালের বিষয়ে ভয়ের কোনো কারণ থাকতে পারে না। কারণ আল্লাহ তাআলা সবর অবলম্বনকারী ও নামাজীর সঙ্গে সাহায্যকারী হিসেবেই থাকেন।

👉লক্ষ্যণীয় বিষয়-
কোনো সাধারণ মানুষের সঙ্গে যদি কোনো সম্পদশালী বা সমৃদ্ধশালী ব্যক্তির সম্পর্ক থাকে আর বিপদের সময় যদি ক্ষমতাধর ব্যক্তি ঐ সাধারণ মানুষের পাশে থাকে, তখন সাধারণ ব্যক্তির মনে এক ধরনের সান্তনা আসে বা শক্তির সঞ্চার হয়।

আবার মরণব্যাধিতে আক্রান্ত কোনো মানুষ বেঁচে থাকার আশা ছেড়ে দেয়া সত্ত্বেও তার চিকিৎসায় যদি কোনো বিশেষজ্ঞ ডাক্তারকে এগিয়ে আসতে দেখে, তখণ মরণব্যাধি আক্রান্ত রোগীর মাঝেও শান্তি ফিরে আসে।

তদ্রুপ এমনি অবস্থায় যদি কোনো মানুষ আল্লাহ তাআলা আনুগত্য, ধৈর্য ও নামাজের মাধ্যমে তাঁর নৈকট্য অর্জন করতে সমর্থ হয়; তবে ঐ ব্যক্তির জন্য দুনিয়া ও পরকালের কোনো সমস্যাই থাকতে পারে না। সুতরাং সুখে-দুঃখে, বিপদে-আপদে সকল সমস্যার সমাধানে সর্বাবস্থায় আল্লাহ তাআলা সকল বিধি-বিধান পালনে ধৈর্যের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে নামাজের মাধ্যমে শক্তি সঞ্চয় করা জরুরি।

👉পরিশেষে...
বিপদে ধৈর্যহারা হলে চলবে না; বরং যে কোনো অবস্থায় ধৈর্যের মুকুট পরিধান করতে হবে। নিজেদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথ পালনে সচেষ্ট থাকতে হবে। আল্লাহ তাআলার আদেশের প্রতি সুদৃঢ় এবং পূর্ণ আস্থাশীল হতে হবে।

যে কোনো বিপদ-আপদে ধৈর্য ধারণের মাধ্যমে পর্বতের ন্যায় অবিচল ও অটল থাকতে হবে এবং নামাজের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার নৈকট্য লাভের শক্তি সঞ্চয় করতে হবে। এ জন্যই আল্লাহ তাআলা কুরআনে বলেছেন, ‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা সবর এবং নামাজ দ্বারা সাহায্য প্রার্থনা কর।’

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে জীবন সমস্যার সমাধানকল্পে সর্বাবস্থায় সবর ও নামাজ দ্বারা তাঁর বিধি-বিধান পালন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
#বুখারি #বুখারিশরিফ #হাদিস

75:1 لَا أُقْسِمُ بِيَوْمِ الْقِيَامَةِআমি শপথ করি কেয়ামত দিবসের,75:2 وَلَا أُقْسِمُ بِالنَّفْسِ اللَّوَّامَةِআরও শপথ কর...
09/11/2022

75:1 لَا أُقْسِمُ بِيَوْمِ الْقِيَامَةِ

আমি শপথ করি কেয়ামত দিবসের,
75:2 وَلَا أُقْسِمُ بِالنَّفْسِ اللَّوَّامَةِ

আরও শপথ করি সেই মনের, যে নিজেকে ধিক্কার দেয়-

75:3 أَيَحْسَبُ الْإِنْسَانُ أَلَّنْ نَجْمَعَ عِظَامَهُ
মানুষ কি মনে করে যে আমি তার অস্থিসমূহ একত্রিত করব না?

75:4 بَلَىٰ قَادِرِينَ عَلَىٰ أَنْ نُسَوِّيَ بَنَانَهُ

পরন্ত আমি তার অংগুলিগুলো পর্যন্ত সঠিকভাবে সন্নিবেশিত করতে সক্ষম।

75:5 بَلْ يُرِيدُ الْإِنْسَانُ لِيَفْجُرَ أَمَامَهُ

বরং মানুষ তার ভবিষ্যত জীবনেও ধৃষ্টতা করতে চায়

75:6 يَسْأَلُ أَيَّانَ يَوْمُ الْقِيَامَةِ

সে প্রশ্ন করে-কেয়ামত দিবস কবে?

75:7 فَإِذَا بَرِقَ الْبَصَرُ

যখন দৃষ্টি চমকে যাবে,

75:8 وَخَسَفَ الْقَمَرُ

চন্দ্র জ্যোতিহীন হয়ে যাবে।

75:9 وَجُمِعَ الشَّمْسُ وَالْقَمَرُ

এবং সূর্য ও চন্দ্রকে একত্রিত করা হবে-

75:10 يَقُولُ الْإِنْسَانُ يَوْمَئِذٍ أَيْنَ الْمَفَرُّ

সে দিন মানুষ বলবেঃ পলায়নের জায়গা কোথায় ?

75:11 كَلَّا لَا وَزَرَ

না কোথাও আশ্রয়স্থল নেই।

75:12 إِلَىٰ رَبِّكَ يَوْمَئِذٍ الْمُسْتَقَرُّ

আপনার পালনকর্তার কাছেই সেদিন ঠাঁই হবে।

75:13 يُنَبَّأُ الْإِنْسَانُ يَوْمَئِذٍ بِمَا قَدَّمَ وَأَخَّرَ

সেদিন মানুষকে অবহিত করা হবে সে যা সামনে প্রেরণ করেছে ও পশ্চাতে ছেড়ে দিয়েছে।

75:14 بَلِ الْإِنْسَانُ عَلَىٰ نَفْسِهِ بَصِيرَةٌ

বরং মানুষ নিজেই তার নিজের সম্পর্কে চক্ষুমান।

75:15 وَلَوْ أَلْقَىٰ مَعَاذِيرَهُ

যদিও সে তার অজুহাত পেশ করতে চাইবে।

75:16 لَا تُحَرِّكْ بِهِ لِسَانَكَ لِتَعْجَلَ بِهِ

তাড়াতাড়ি শিখে নেয়ার জন্যে আপনি দ্রুত ওহী আবৃত্তি করবেন না।

75:17 إِنَّ عَلَيْنَا جَمْعَهُ وَقُرْآنَهُ

এর সংরক্ষণ ও পাঠ আমারই দায়িত্ব।

75:18 فَإِذَا قَرَأْنَاهُ فَاتَّبِعْ قُرْآنَهُ

অতঃপর আমি যখন তা পাঠ করি, তখন আপনি সেই পাঠের অনুসরণ করুন।

75:19 ثُمَّ إِنَّ عَلَيْنَا بَيَانَهُ

এরপর বিশদ বর্ণনা আমারই দায়িত্ব।

75:20 كَلَّا بَلْ تُحِبُّونَ الْعَاجِلَةَ

কখনও না, বরং তোমরা পার্থিব জীবনকে ভালবাস

75:21 وَتَذَرُونَ الْآخِرَةَ

এবং পরকালকে উপেক্ষা কর।

75:22 وُجُوهٌ يَوْمَئِذٍ نَاضِرَةٌ

সেদিন অনেক মুখমন্ডল উজ্জ্বল হবে।

75:23 إِلَىٰ رَبِّهَا نَاظِرَةٌ

তারা তার পালনকর্তার দিকে তাকিয়ে থাকবে।

75:24 وَوُجُوهٌ يَوْمَئِذٍ بَاسِرَةٌ

আর অনেক মুখমন্ডল সেদিন উদাস হয়ে পড়বে।

75:25 تَظُنُّ أَنْ يُفْعَلَ بِهَا فَاقِرَةٌ

তারা ধারণা করবে যে, তাদের সাথে কোমর-ভাঙ্গা আচরণ করা হবে।

75:26 كَلَّا إِذَا بَلَغَتِ التَّرَاقِيَ

কখনও না, যখন প্রাণ কন্ঠাগত হবে।

75:27 وَقِيلَ مَنْ ۜ رَاقٍ

এবং বলা হবে, কে ঝাড়বে

75:28 وَظَنَّ أَنَّهُ الْفِرَاقُ

এবং সে মনে করবে যে, বিদায়ের ক্ষণ এসে গেছে।

75:29 وَالْتَفَّتِ السَّاقُ بِالسَّاقِ

এবং গোছা গোছার সাথে জড়িত হয়ে যাবে।

75:30 إِلَىٰ رَبِّكَ يَوْمَئِذٍ الْمَسَاقُ

সেদিন, আপনার পালনকর্তার নিকট সবকিছু নীত হবে।

75:31 فَلَا صَدَّقَ وَلَا صَلَّىٰ

সে বিশ্বাস করেনি এবং নামায পড়েনি;

75:32 وَلَٰكِنْ كَذَّبَ وَتَوَلَّىٰ

পরন্ত মিথ্যারোপ করেছে ও পৃষ্ঠ প্রদর্শন করেছে।

75:33 ثُمَّ ذَهَبَ إِلَىٰ أَهْلِهِ يَتَمَطَّىٰ

অতঃপর সে দম্ভভরে পরিবার-পরিজনের নিকট ফিরে গিয়েছে।

75:34 أَوْلَىٰ لَكَ فَأَوْلَىٰ

তোমার দুর্ভোগের উপর দুর্ভোগ।

75:35 ثُمَّ أَوْلَىٰ لَكَ فَأَوْلَىٰ

অতঃপর, তোমার দুর্ভোগের উপর দূর্ভোগ।

75:36 أَيَحْسَبُ الْإِنْسَانُ أَنْ يُتْرَكَ سُدًى

মানুষ কি মনে করে যে, তাকে এমনি ছেড়ে দেয়া হবে?

75:37 أَلَمْ يَكُ نُطْفَةً مِنْ مَنِيٍّ يُمْنَىٰ

সে কি স্খলিত বীর্য ছিল না?

75:38 ثُمَّ كَانَ عَلَقَةً فَخَلَقَ فَسَوَّىٰ

অতঃপর সে ছিল রক্তপিন্ড, অতঃপর আল্লাহ তাকে সৃষ্টি করেছেন এবং সুবিন্যস্ত করেছেন।

75:39 فَجَعَلَ مِنْهُ الزَّوْجَيْنِ الذَّكَرَ وَالْأُنْثَىٰ

অতঃপর তা থেকে সৃষ্টি করেছেন যুগল নর ও নারী।

75:40 أَلَيْسَ ذَٰلِكَ بِقَادِرٍ عَلَىٰ أَنْ يُحْيِيَ الْمَوْتَىٰ

তবুও কি সেই আল্লাহ মৃতদেরকে জীবিত করতে সক্ষম নন?
#বুখারি #বুখারিশরিফ #হাদিস

Address

Mirpur, Dhaka
Mirpur
1216

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when ঈমান -𝔼𝕄𝔸𝓝 posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Share