Ꮇuhammad Ꭼηamul Hσuqe aηam - মুহাম্মদ এনামুল

  • Home
  • Bangladesh
  • Mirpur
  • Ꮇuhammad Ꭼηamul Hσuqe aηam - মুহাম্মদ এনামুল

Ꮇuhammad Ꭼηamul Hσuqe aηam - মুহাম্মদ এনামুল প্রতিদিন আমাদের এমন ভাবে কাটানো উচিত, যেন আজ জীবনের শেষ দিন ।
— সেনেকা

নারীদের অধিকার নিয়ে এক জনপিয় পতিবাদি বেডির উর্ধ্বমূখী চিন্তা-ভাবনা!-🙄😏
24/05/2022

নারীদের অধিকার নিয়ে এক জনপিয় পতিবাদি বেডির উর্ধ্বমূখী চিন্তা-ভাবনা!-🙄😏

“অশ্লীলতা ও চোখের গোনাহ থেকে বেচেঁ থাকার যার আত্মবিশ্বাস নেই, তার জন্য মোবাইল ব্যবহার করা জায়িয নয়।”এই উক্তিটি আমাদের ...
24/05/2022

“অশ্লীলতা ও চোখের গোনাহ থেকে বেচেঁ থাকার যার আত্মবিশ্বাস নেই, তার জন্য মোবাইল ব্যবহার করা জায়িয নয়।”
এই উক্তিটি আমাদের কারো নয়, শাইখুল ইসলাম মাওলানা মুফতি তাকী উসমানী হাফি. এর।
একটু গভীর ভাবে চিন্তা করলে দেখা যায়, মোবাইলে যে কোন সফটওয়্যার খুলেন সেখানেই আপনার চোখের সামনে অশ্লীলতার দৃশ্য এসে হামাগুড়ি দিবে আর আপনাকে আলোড়িত করবে সেই আগুনে নিজের দেহটাকে অবগাহন করার। উঠতি বয়সের তরুণ বলেন, অথবা থুত্থুরে বুড়ো!

কেউ এই গুনাহ থেকে নিজেকে সহজে বাঁচিয়ে রাখতে পারে না। এর পেছনে মূল কারণ আমাদের দুর্বল ঈমান। তাই অনেক উলামাগণ গুরুত্ব দিয়েছেন ঈমানকে শক্তিশালী করার।

আর এই ধরনের অশ্লীলতা থেকে নিজেকে এবং নিজের চোখকে বাঁচানোর। অনেকে এই ক্ষেত্রে নিজের ছেলে মেয়েদেরকে সঠিক সময়ে বিয়ে দিয়ে দেওয়ার উপর তাগাদা দিয়ে থাকেন আমাদের উলামাগণ।
তবে সর্বোপরি আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার নিকট আশ্রয় চাওয়া দুয়ার মাধ্যমে।

©️- ଏନାମୁଲ ହୁକେ ଅନାମ

কিছু সম্পর্ক চাইলেও গড়া যায় না!আবার কিছু সম্পর্ক চাইলে ছাড়া-ও যায় না!-🥲 তেমনই এক বন্ধু শাহ্জালাল! ভিন্ন ডিপার্টমেন্ট...
20/05/2022

কিছু সম্পর্ক চাইলেও গড়া যায় না!
আবার কিছু সম্পর্ক চাইলে ছাড়া-ও যায় না!-🥲

তেমনই এক বন্ধু শাহ্জালাল! ভিন্ন ডিপার্টমেন্টের হয়েও একমাত্র ফ্রেন্ড যার সাথে কোন না কোন ভাবে সবসময়ই কানেক্টেড থাকি আলহামদুলিল্লাহ।-🙂🙂

ইসলাম হচ্ছে চলমান সমস্যা ও সংকটে বাস্তবসম্মত সমাধানের নাম। এ সমাধান আমরা জাতির সামনে যতো বেশি হাজির করতে পারবো, ততোই মান...
20/05/2022

ইসলাম হচ্ছে চলমান সমস্যা ও সংকটে বাস্তবসম্মত সমাধানের নাম। এ সমাধান আমরা জাতির সামনে যতো বেশি হাজির করতে পারবো, ততোই মানুষ ইসলামের প্রতি ঝুঁকবে এবং সেটা হচ্ছেও আলহামদুলিল্লাহ।

আমার দৃষ্টিতে ইতিমধ্যে প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশে ইসলামের নীরব বি*প্লব ঘটে গিয়েছে। সাধারণ লোকদের ইসলামকে জেনে-বুঝে মানার চেষ্টা, আরবি ভাষা শিক্ষার প্রতি আগ্রহ, ইসলামিক কন্টেন্টের সহজলভ্যতা, বাংলা ভাষায় আরব বিশ্বের স্কলারদের গুরুত্বপূর্ণ বইগুলোর সরল অনুবাদ, মৌলিক ইসলামি সাহিত্য রচনা -

ইসলামি বইমেলাগুলোতে উপচেপড়া ভিড়, তাফসির মাহফিলগুলোতে বিপুল জনস্রোত, সুস্থধারার ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার টিভি শো ও অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলো এবং হাল আমলের তরুণ-তরুণীদের ইসলামের প্রতি বিশেষ আকর্ষণবোধ ইত্যাদি সব একাকার হয়ে বাংলাদেশে একটি সফট ইস*লামিক রেভোলুশন হয়ে গিয়েছে। আর এটাই সেকু সমাজের গাত্রদাহের প্রধান কারণ।

জ*ঙ্গী, জি*হাদী, দেশ বি*রোধী, স্বাধীনতা বি*রোধী ইত্যাদি বলে যে ট্যাগিং কালচার চালু করা হয়েছে, এগুলো মানুষ আর আগের মতো গিলছে না। ফলে সমাজ ও রাষ্ট্র থেকে দ্বীন ও ধর্মকে আলাদা করার প্রজেক্ট ইতিমধ্যেই লস প্রজেক্ট বলে বিবেচিত হচ্ছে।

জনসাধারণের মাঝে ইসলামকে সঠিকভাবে জানার এবং প্র্যাকটিস করার প্রবণতা ব্যাপকভাবে বেড়েছে। এখন আমাদের কাজ হলো ইসলামের প্রকৃত রূপ ও সৌন্দর্য মানুষের কাছে যৌক্তিকভাবে তুলে ধরার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা। ইসলামের বুনিয়াদী শিক্ষা প্রচার ও প্রসারে দীর্ঘমেয়াদী টেকসই প্রকল্পে মনোনিবেশ করা।

ইসলামি শারিয়ার প্রাণসত্তাকে জনপরিসরে যৌক্তিকভাবে হৃদয়ে ধারণ করাতে মানুষকে বোঝাতে হবে যে— ইসলামের পরিধি অনেক ব্যাপক। যেকোনো কিছুকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে একোমোডেট করার ক্ষমতা ইসলামের আছে।

ইসলামের বিধান সর্বসময় ও সর্বকালের উপযোগী, গতিশীল এবং দুনিয়ার শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত বহমান। মানুষকে আরো বোঝাতে হবে— জি*হাদ হল মজলুমকে উদ্ধার করার মিশন। ইস*লামি আইনগুলো তুলনামূলক বেশি মানবিক।

ইসলামি লাইফস্টাইল মানেই স্মার্টনেস, সুস্বাস্থ্য, উন্নয়ন এবং সমৃদ্ধি। শিক্ষা, উন্নয়ন, বিনোদনসহ কোন কিছুতেই ইসলাম বাধ সাধে না বরং ইসলাম সকল ক্ষতিকর, অকল্যাণকর বা হারাম বিষয়ের বিকল্প ব্যবস্থা হাজির করে। ইসলামের এই অল্টারনেটিভ ডাইমেনশনকে আমরা যতো জনপ্রিয় করে তুলতে পারবো ততোই সেটা ধীরে ধীরে মানুষের মনে শেকড় গেড়ে জায়গা করে নিবে।

পরিশেষে বলব, কিছু ইনফ্লুয়েনশিয়াল আলেমদের লিস্ট করে, তাদের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে, মিথ্যা অভিযোগ তুলে কৌশলে জনগণকে ইসলাম থেকে দূরে সরানো যাবে না। ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’-র বাণী স্বমহিমায় সদা সমুজ্জ্বল থাকবে ইনশাআল্লাহ। কারণ, এ কালিমা নামক বৃক্ষের গোড়া মাটির গভীরে, আর শাখা-প্রশাখা আল্লাহর আরশে। এ বৃক্ষ উপড়ে ফেলা এতো সোজা না!

©️Mizanur Rahman Azhari

এক স্বাধীন নারীর গল্প!-😳আমার বাবা গ্রামের সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন সহকারী শিক্ষক। ছোটবেলা থেকেই দেখে এসেছি- আমরা ...
18/05/2022

এক স্বাধীন নারীর গল্প!-😳
আমার বাবা গ্রামের সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন সহকারী শিক্ষক। ছোটবেলা থেকেই দেখে এসেছি-
আমরা তিন ভাই-বোনসহ মোট পাঁচজনের সংসারের খরচ চালাতে বাবাকে ডাঙায় তোলা কাতাল মাছের মতো খাবি খেতে।

অভাব কখনও আমাদের পিছু ছাড়েনি।-🥺
আশপাশের স্কুলের সব বন্ধু-বান্ধবীদেরকে দেখতাম তারা পরিবারের সাথে এদিক-সেদিক ঘুরতে যায়, নতুন নতুন জামা-কাপড় পরে, ভালো ভালো খাবার খায়...এসব দেখে আমার খুব কষ্ট লাগতো।

তখন থেকেই আমি মনে মনে সংকল্প করি যে আমাকে অনেক বড়লোক হতে হবে এবং তা খুব দ্রুত। দেখতে দেখতে আমি এসএসসি পাশ করে ফেললাম। আমাকে ভালো পড়াশোনা করানোর জন্যে আমার বাবা বাড়ীর পেছনের পুকুরটি বন্ধক দিয়ে টাকা জোগাড় করে আমাকে ঢাকার গোল্ডেন ক্রস কলেজে ভর্তি করিয়ে দিলেন; এটি ঢাকার একটি ঐতিহ্যবাহী ও অন্যতম ব্যয়বহুল কলেজ।-🙂🙃

চাঁদপুর মতলবের এক অজোপাড়া থেকে হুট করে ঢাকায় এসে দামী প্রতিষ্ঠানের নতুন নতুন বন্ধু-বান্ধবীদের সাথে মিশতে শুরু করার পর আমি নতুন করে অনেক কিছুই শিখতে ও জানতে শুরু করলাম পড়ার বাইরেও আসলে এক নতুন পৃথিবী বলতে কিছু আছে। -😎

ঢাকায় এসে আমি শিখেছি কিভাবে বড়লোক ছেলেদের সাথে একটু গা ঘেঁষাঘেঁষি করে জীবনের অর্থের সংকট দূর করার সহজ রাস্তা।

একেকদিন একেক ছেলের সাথে ঘুরে ঘুরে আমার জীবনে সাকরাইন, ডিজে পার্টি, পুলসাইড পার্টি, ব্যাচেলর পার্টি, সেন্টমার্টিন ট্যুর, সাজেক ট্যুর, হ্যাংআউট, নাইটআউট, লং ড্রাইভ, বারবিকিউ নাইট, সাকুরা বার, রিজেন্সী, উত্তরা ক্লাব, চিল করা, হাই হওয়া- এজাতীয় নিত্যনতুন শব্দের আমদানী ঘটতে লাগলো।-😎

গাড়ীর পেছনের সীটে বা নাইটক্লাবের বেডরুমে ওদেরকে আধা ঘন্টা, এক ঘন্টা আনন্দ দেয়ার বিনিময়ে যদি রোজ রোজ ফাইভ স্টার হোটেলে লাঞ্চ-ডিনার করা যায়, তিন দিনের সেন্টমার্টিন ট্যুরে যাবার বিনিময়ে যদি লেটেস্ট মডেলের ফোন উপহার পাওয়া যায়, নিত্যনতুন কাপড় কিনতে পারা যায়- তাহলে মন্দ কি? -😏

এভাবেই একদিন আমাদের ক্লাসের অমিতের সাথে একটি নাইটক্লাবে গিয়ে আমার পরিচয় হয় এক স্বনামধন্য গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নায়েম গোফরান তাকবীর সাহেবের সাথে; যিনি আমার দ্বিতীয় বাবা।-🙂

প্রথম দেখাতেই তাকবীর সাহেবের সৌম্যকান্তি চেহারায় আমার মন আটকে গেলো, উনার চেহারায় কেমন যেন এক অদ্ভূত প্রশান্তি আছে...সেদিনের পর থেকে তাকবীর সাহেবের সাথে আমার বাবা-মেয়ের সম্পর্ক ধীরে ধীরে গভীর হতে শুরু করলো, আমি উনাকে 'ড্যাডি' বলে ডাকতে শুরু করি। -🤭

উনার নাকি আমার মুখে এই ডাক খুব আদুরে লাগে! ড্যাডি আমাকে পল্লবীর ঘিঞ্জি ব্যাচেলর বাসা থেকে নিয়ে গিয়ে গুলশানের এক প্রাসাদোপম ডু-প্লেক্স বাসায় থাকার বন্দোবস্ত করে দেন।এটি ড্যাডি'র অনেকগুলো বাসার মধ্যে একটি। ড্যাডি কখনও আমাকে উনি নিজে যে বাসায় থাকেন, সেখানে নিয়ে যান না। -😁

বরঞ্চ উনিই সপ্তাহে তিন-চারবার এই বাসায় আসেন, আমার সাথে গল্পগুজব করেন, খেলাধূলা করে এরপর চলে যান। বাকিটুকু সময় একান্তই আমার। আমি সে বিশাল বাসায় মনের আনন্দে ছুটোছুটি করি, মাঝেমাঝে কলেজের বন্ধুদেরকে নিয়ে পার্টির আয়োজন করি, কখনও বা মন চাইলে ড্যাডি'র ব্যবহার করতে দেয়া মার্সিডিজে করে ঘুরে আসি, শপিং করি, রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাই...😍🥰

আমার জীবনে অভাব বলতে আর কিছুই রইলো না। আমি একবার বাবাকে কিছু টাকা পাঠাতে চেয়েছিলাম, উনি শুনে খুব অবাক হলেন। আমি এতো টাকা কোথা থেকে পেয়েছি, সে সম্পর্কে প্রশ্ন করতে লাগলেন। -😡

আমি তাকে ঝাড়ি দিয়ে বললাম "টাকার গায়ে ঠিকানা লেখা থাকেনা যে কোথা থেকে আসছে। মেয়ের কামাই, খেতে চাইলে খাও, নাইলে বাদ দাও।"বাবা আমার টাকা নিলেন না। নিজের কথিত আত্মসম্মান নিয়ে ফকিরী হালতে পড়ে রইলেন বাড়ীতে।-😡

কলেজে এখন আমার স্ট্যাটাস অন্য সব ছাত্র-ছাত্রীর চেয়ে উঁচুতে পৌঁছে গিয়েছে। সবাই আমাকে অন্য চোখে দেখে। মেয়েরা অবাক হয়ে আমার হাতের পান্না খচিত ঘড়ির দিকে তাকিয়ে থাকে, কেওবা আবার আমার লুই ভুইতন ব্যাগ হাতে নিয়ে নাড়াচাড়া করে দেখে, কলেজ ছুটির সময় আমাকে কালো মার্সিডিজে করে চলে যেতে দেখে হয়তো দীর্ঘশ্বাস ফেলে...কে জানে।এগুলো সবই ড্যাডি'র অবদান। আমার আসল বাবা আমাকে যা দিতে পারেন নি, সেগুলো সবই আমাকে দিয়েছেন ড্যাডি। -🤗

তবে আজকাল ড্যাডি'র আচরণে কেমন যেন একটু পরিবর্তন এসেছে। আমি গতবার উনার কাছ থেকে হাতখরচের জন্যে পাঁচ লাখ টাকা চাওয়ায় উনি আমাকে রেগেমেগে খানকি, মাগী এজাতীয় অশ্রাব্য ভাষায় গালাগালি করেন। আমি সব চুপ করে শুনে যাই, দুধ দেয়া গরুর লাথি খাওয়াও ভালো। -😌

এরপর একদিন ড্যাডি উনার তিনজন বন্ধু নিয়ে বাসায় আসলেন। উনারা চারজন মিলে সারা রাত আমাকে উল্টেপাল্টে নানারকম শারীরিক কসরত করালেন, সকাল হতে না হতে ব্যথায় আমার জ্বর চলে আসলো। যাবার সময় ড্যাডি'র বন্ধুদের একজন আমাকে উনার কার্ড দিয়ে গেলেন, কোন কিছু দরকার হলে যেন উনাকে জানাই।-🥲

কার্ডটি হাতে নিয়ে আমি একটু মুচকি হেসেছিলাম, আমার সে হাসি চোখে পড়ে যায় ড্যাডি'র। উনার বন্ধুরা চলে যাবার পর ড্যাডি আমার জ্বরের শরীরে বেল্ট খুলে বেদম পিটুনী দিলেন, বলতে লাগলেন "চুতমারানি মাগী, ড্যাডিরে আর ভাল্লাগেনা, নতুন নাগর জুটানোর ধান্ধা?"-😒

ড্যাডি'র আচরণে এসব পরিবর্তন আমার সুবিধার লাগছেনা। এধরণের রাঘব-বোয়ালদের মাথায় একটু ছিট থাকে বলে শুনেছি, রাগের মাথায় আমাকে খতমও করে দিতে পারে যেকোন সময়...তাই আপাতত একটু ভয় ভয় করছে সারাক্ষণ, মনের ভেতর কু ডাকছে।-😔

তবে যতো খারাপই হোক, এই ড্যাডি'র কারণেই আমি জীবনে যতো রকমের সুখ আছে, সব ভোগ করেছি, স্বাধীনতার স্বাদ ভোগ করেছি। আমি গ্রামে থাকতে কখনও ভাবতে পারিনি যে আমার নিজের আলাদা একটি রুম থাকবে, সেই আমাকে ড্যাডি গুলশানের ছয় হাজার স্কোয়ার ফিটের ট্রিপ্লেক্স বাসায় থাকতে দিয়েছেন। -😊

আমি গ্রামে থাকতে কখনও রিকশায় করে স্কুলে যাবার সাহস করতাম না, সেই আমাকে ড্যাডি দেড় কোটি টাকা দামের মার্সিডিজ দিয়েছেন ব্যবহারের জন্যে।

যে আমি কখনও বছরে এক ঈদ বাদে অন্যসময় নতুন কাপড় চোখে দেখতাম না, সেই আমার আলমারীতে এখন কমপক্ষে পনের লক্ষ টাকার কাপড় ও জুতো সাজানো...আমার আপন বাবা আমাকে গরীব করে জন্ম দিয়েছে, আমার দ্বিতীয় বাবা যদি আমাকে কোন কারণে মেরেও ফেলে, তাহলেও আমি ধনী হয়েই মারা যাবো।-😏

তাই মেয়েরা, তোমরা যারা গ্রাম থেকে নতুন নতুন ঢাকায় এসেছো- খুব সতর্কতার সাথে মানুষের সাথে মিশবে। গরীব-ফকিন্নী মার্কা ছেলে-মেয়েদের সাথে মিশে সময় নষ্ট করবেনা... প্রেম-পিরিতি করেও নিজেকে আটকে ফেলার দরকার নেই, মনে রাখবে যে এক পুরুষে আসক্ত নারী সবসময় ঠকে যায়। -😒

ঠিক পথে আগাতে থাকলে একদিন তোমাদের কপালেও হয়তো আমার ড্যাডি'র মতো একজন ড্যাডি জুটে যাবে, তখন বুঝবে সুখ-শান্তি কাকে বলে!-🥲

©️লেখা সংগৃহিত - তাজরিন

17/05/2022

যানজট নিরসনে সকল দোকান-পাট মার্কেট রাত ৮টার মধ্যে বন্ধ করতে নির্দেশ - মেয়র তাপস।

16/05/2022

- ক্ষমতা থাকলে মিথ্যা কথাও বাণী!🙂
শক্তি আর টাকা থাকলে মূর্খও জ্ঞানী!😏

অনেক বছর পর নিজ গ্রামে -💚যেখানে রয়েছে দিগন্ত জোড়া সবুজের মাঠ, মেঘাচ্ছন্ন বিশাল নীল আকাশ, আর বর্ষার জমে রাখা স্বচ্ছ মেঘ...
15/05/2022

অনেক বছর পর নিজ গ্রামে -💚
যেখানে রয়েছে দিগন্ত জোড়া সবুজের মাঠ, মেঘাচ্ছন্ন বিশাল নীল আকাশ, আর বর্ষার জমে রাখা স্বচ্ছ মেঘনার পানি।

কাল থেকে ভালো হয়ে যাবো!কাল থেকে নামাজ শুরু করবো!কাল থেকে হিজাব শুরু করবো!কাল থেকে ফজর আর মিস হবে না!কাল থেকে দুআ করবো!ক...
15/05/2022

কাল থেকে ভালো হয়ে যাবো!
কাল থেকে নামাজ শুরু করবো!
কাল থেকে হিজাব শুরু করবো!
কাল থেকে ফজর আর মিস হবে না!
কাল থেকে দুআ করবো!
কাল থেকে কুরআন তিলাওয়াত করবো!
কাল থেকে আর বেপর্দা থাকবো না!.
এই ‘কাল’ শব্দটি আসলে বেমানান অনেক ক্ষেত্রেই। বিশেষ করে ইসলামের বিধান পালনের ক্ষেত্রে। এই ‘কাল’ আদৌ আমাদের জীবনে আসবে কিনা সেটা কি আমরা শতভাগ নিশ্চিত করে বলতে পারি! আর এই ‘কাল’ কি আমাদের ভাগ্যে রেখেছেন কিনা আল্লাহ, তাও তো বলতে পারি না আমরা! তাহলে কিসের উপর ভিত্তি করে আমরা এই ‘কাল করবো’, ‘কাল করবো’ বলছি? আমরা কি আমাদের ভাগ্য লিখি, নাকি তা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা লিখে রেখেছেন?
ইসলামে ‘কাল’ বলতে আমাদের জীবনে নিশ্চিত নয়, তবে কেনো আমরা আজ এখনই না করে, কালকের জন্য কেন অপেক্ষা করি আর কতদিন কে অপেক্ষা করবে? আমরা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালাকে খুশি করার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ কি এই দুনিয়ায়?
আমাদের আদৌ কি এই বুঝ টুকু আসবে না? নিজেকে এক বার কবরস্থানে ভ্রমণ করিয়ে নিয়ে আসুন। দেখুন গিয়ে উনাদের সবার কি আগামীকাল এসেছিল জীবনে আর! পারলে জিজ্ঞেস করুন কবরবাসীদের সেই আগামীকাল কি আপনার পেয়েছিলেন?
❛কবরস্থানে নীরবে নিভৃতে শুয়ে আছেন এমন অনেক মানুষ, যাদের আগামীকাল নামাজ শুরু করার কথা ছিল।❜
যেহেতু আপনি এখনো বেঁচে আছেন, তাহলে আর আগামীকাল এর অপেক্ষায় না থেকে এখনই পরিবর্তন করে ফেলুন নিজেকে আল্লাহর জন্য!

14/05/2022

মনের অশান্তিগুলোই সকল সুখের মৃত্যু ঘটায়!-💔

14/05/2022

অল্পতেই ইমোশনাল হয়ে যাওয়া মানুষগুলো, লাইফে অনেক বেশি ঠকে!💔🥺

14/05/2022

মাত্র ৩ সপ্তাহে ভোজ্যতেলের সংকট সৃষ্টি করে জনগণের ১৬০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিল কারা ?
আর আপনি আছেন আলেমদের দূর্নীতি নিয়ে!!

13/05/2022

১০০০ মাদ্রাসা বন্ধের ও ১১৪ আলেমের দূর্নীতি ও রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিস্ট তৈরি করা ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজের অতীত ইতিহাস ও পরিচয়!-🙂🙂

13/05/2022

সিলিং ফ্যান মাথায় পড়ে ডঃ মুরাদের মাথায় তিনটা সেলাই!-🙂বিস্তারিত- কমেন্টসে....

13/05/2022

সত্যিকারের গণমানুষের সমাবেশ বলতে যা বুঝায় এদেশের ওয়াজ মাহফিলগুলো তার সবচেয়ে উৎকৃষ্ট উদাহরণ। এমন স্বতঃস্ফূর্ততা অন্য কোনো গণজমায়েতে বিরল। কোনোরূপ পার্থিব স্বার্থ ছাড়া এই সমাবেশগুলোতে হাজার হাজার নয়, বরং লাখো মানুষ স্বপ্রণোদিতভাবে অংশগ্রহণ করে এবং যাওয়ার আগে পকেটের টাকা দিয়ে আয়োজনের সহযোগী হয়ে যায়।

যে কোনো বড় সমাগমে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য বিপুল পরিমাণ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যের উপস্থিতির প্রয়োজন হয়। ব্যতিক্রম ওয়াজ মাহফিল। হাজারো মানুষ ঘণ্টার পর ঘণ্টা শান্তিপূর্ণভাবে উপস্থিত থেকে কুরআন-সুন্নাহর আলোচনা শোনেন। ওয়ায়েজরা যদি শান্তি-শৃঙ্খলা বিনষ্ট করার মতো বক্তব্য দিতেন, তাহলে শান্তিপূর্ণভাবে ওয়াজ মাহফিল হতো না।

দরিদ্র ও শিক্ষিতের হার কম সত্ত্বেও এদেশে অপরাধ প্রবণতা যেটুকু নিয়ন্ত্রণে আছে তার জন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর পাশাপাশি এদেশের মসজিদ ও মাহফিলের মিম্বরগুলোর ভূমিকাও অনস্বীকার্য। বরং উলামায়ে কেরামকে এর নেপথ্য নায়ক বলা যায়। তাঁরা ঈমান-আমল, সচ্চরিত্র ও নীতি-নৈতিকতা সম্পর্কে নিয়মিত আলোচনা করেন। এর ইতিবাচক প্রভাব আমাদের সমাজে রয়েছে।

গুটিকয় বক্তা-বিশেষের অসংস্কৃত ও অসৌজন্যমূলক আচরণ-উচ্চারণের সমালোচনা সব শ্রেণি-ঘরানার বিজ্ঞ আলেমরা করেন; তাঁরা সবসময় করবেন।

কিন্তু তথাকথিত গণকমিশন যে ১১৬ আলেমের কথিত তালিকা প্রকাশ করেছে তা যুগ যুগ ধরে চলে আসা গণমানুষের এই পবিত্র জমায়েতকে বিতর্কিত করা এবং আলেম সমাজের ভাবমূর্তি নষ্ট করার অপচেষ্টা মাত্র। নানা সময়ে অনিয়ম, উচ্ছৃঙ্খলতা, উগ্রতা ও নৈতিক স্খলনের জন্ম দেওয়া বিতর্কিত লোকদের দ্বারা গঠিত তথাকথিত গণকমিশন মূলত গণমানুষের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।

আমরা মনে করি এর মধ্য দিয়ে এই ভূঁইফোড় সংগঠনটির কর্তা-ব্যক্তিদের ইসলাম-বিদ্বেষী চেহারাই উন্মোচিত হয়েছে। তাদের বিগত দিনের কর্মকাণ্ড ও কথাবার্তা এর প্রমাণ। এদেশের দীনি শিক্ষা-ব্যবস্থা, আলেম-উলামা ও ওয়াজ মাহফিলের বিরুদ্ধে চিহ্নিত একটা শ্রেণি প্রায়ই বিতর্ক সৃষ্টির চেষ্টা করে। আমরা মনে করি, এটি তারই ধারাবাহিকতা মাত্র।

এর মাধ্যমে তারা এদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট ও স্বাভাবিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে অশান্তি সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে বলে আমাদের প্রবল সন্দেহ। তাদের এই হীন চেষ্টা বুমেরাং হবে ইন-শা-আল্লাহ।

10/05/2022

Such Mai Dil lut Lia Larkene 🥺♥️
Nabi ke liye peyar tho asahi hona chaiye....

10/05/2022

-প্রিয় নবীজির পছন্দের কিছু অভ্যাস ও সুন্নাহ!
হয় আমরা জানিইনা নয়তো করতে অভ্যস্ত নই।
চলুন জেনে নিয়ে অভ্যাস করি..

○১। মাঝে মাঝে বৃষ্টিতে ভিজা।
-(সহীহ মুসলিম- ৮৯৮)

○২। রাতে স্ত্রীকে সাথে নিয়ে নির্জনে হাঁটা।
-(বুখারী- ৫২১১)

○৩।বৃষ্টি আসলে দোয়া করা।
-(সহীহ বুখারী- ১০৩২)

○৪। স্ত্রীর রান্না করা হালাল খাবারের দোষ না ধরা।
খেতে মন না চাইলে চুপ থাকা।
-(মুসলিম- ২০৬৪)

○৫। কোনো কিছু জানা না থাকলে স্বীকার করা যে, আমি জানি না।
-(বায়হাকী- ১৭৫৯৫)

○৬। মাঝে মাঝে বিপদে আকাশের দিকে মাথা তোলা।
আকাশের দিকে তাকিয়ে নিজের কষ্টগুলো আল্লাহকে বলা। -(মুসলিম- ২৫৩১)

○৭। খুব খুশি হলে সিজদায় লুটিয়ে পড়া।
-(মুখতাসার যাদুল মা' আদ- ১/২৭)

○৮। ধোঁয়া ওঠা(উত্তপ্ত) গরম খাবার ঠান্ডা না হওয়া পর্যন্ত না খাওয়া।
-(বায়হাকি-৪২৮)

○৯। নফল ও সুন্নাহ সালাতগুলো নিজের ঘরে পড়া।
-(বুখারী- ৭৩১)

১০। সফরে বের হওয়ার সময় এবং বাসায় ফিরে দুই রাকাআত সালাত আদায় করা।
-(মুসনাদে বাযযার- ৮৫৬৭)

১১। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে পায়ের পাতা আবৃতকারি জুতা না পরা। (শু জুতা, স্যান্ডেল না)।
-(আবু দাউদ- ৪১৩৫)

১২। যতই ভালো খাবার হোক ভরা পেটে না খাওয়া।
-(তিরমিযী- ২৪৭৮)

১৩। দ্বীনের দাওয়াত প্রচার ও সহজ করার উদ্দেশ্যে নতুন একটি ভাষা শিখা।
-(মুসনাদে আহমাদ- ২১৬১৮)

১৪। বাড়িতে অজু করে রুমাল দিয়ে হাত-পা মুছে মসজিদে জামায়াতে যাওয়া।
-(তাবরানী- ৬১৩৯)

১৫। রাতে অজু অবস্থায় ঘুমানো।
-(ফাতহুল বারি- ১১/১১০)

১৬। মাঝে মাঝে খালি পায়ে হাঁটা।
-(আবু দাউদ- ৪১৬০)

১৭।যে মানুষের উপকার করে, সেই সবচেয়ে ভালো মানুষ। নিজেকে উপকারী হিসেবে গড়ে তোলা
-(সুনানে দারাকুতনি)

©️fb.com/abdulhimd.saifullah

পরিচয় দেওয়ার সময় নাই!তোগো বড় ভাইগো জিগা- এনামুল কিডা-🤭🤭অনেক দিন পর নাজিরা বাজারে কিছু সময়। ধন্যবাদ তোমাদেরকে - তোমর...
10/05/2022

পরিচয় দেওয়ার সময় নাই!
তোগো বড় ভাইগো জিগা- এনামুল কিডা-🤭🤭

অনেক দিন পর নাজিরা বাজারে কিছু সময়।
ধন্যবাদ তোমাদেরকে - তোমরা আমার থেকেও ভালো মানুষ।

10/05/2022

মোনাজাতটি শেষ করে যেতে পারলে বিশেষ পুরষ্কার রয়েছে!-😉😉

বি:দ্র: আমি কিন্তু পারিনি.........

তবে......
রাসূল ﷺ আরও বলেছেনঃ “তোমরা আঁমাকে মন্দ জিনিস সম্পর্কে জিজ্ঞেস করো না বরং ভাল জিনিস সম্পর্কে জিজ্ঞেস করো।তিঁনি এই কথা তিনবার বললেন।পরে বললেনঃ ‘তোমরা জেনে রাখ সব খারাপের মাঝে সবচেয়ে বড় খারাপ হচ্ছে আলেমদের মাঝে যারা খারাপ তারা আর সব ভালোর মাঝে সবচেয়ে ভাল হলো আলেমদের মাঝে যারা ভালো তারা।”
[দারেমী,মিশকাত আল মাসাবীঃ পৃষ্ঠাঃ ৩৭]

⏩হযরত আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ রাসূল ﷺ বলেছেনঃ ”অচিরেই আমার উম্মতের উপর এমন একটি সময় আসার আশংকা করছি যখন কেবলমাত্র নাম ইসলাম ছাড়া আর কিছুই থাকবে না এবং কুরআনের লিখিত রূপটি ছাড়া তার বাস্তবায়ন থাকবে না। মসজিদগুলো চাকচিক্যে ভরপুর হলেও হিদায়াত থেকে বঞ্চিত হবে।

ঐ সময়কার আলেমরা হবে আসমানের নিচে বিচরণকারী সর্ব নিকৃষ্ট জীব।তাদের থেকেই বিভিন্ন ফিৎনা ছড়াবে এবং তারা নিজেরাও সেই ফিৎনায় আবর্তিত হবে।”
[বায়হাকী,শু’আবুল ঈমান।হাদিস সহীহ]

10/05/2022

|| ধনীর গুরুত্বহীন ,
অতিথি হবার চেয়ে..!
-গরিবের প্রধান অতিথি হওয়া ,
অনেক দামী ||

কি লাভ এই মন্ত্রীত্ব দিয়ে! -😥যদি না মন্ত্রীর আত্মীয়-সজনই বিনা টাকায় ট্রেন ভ্রমন করতে পারলো ??টিকিটের আর কয় টাকাই বা ...
07/05/2022

কি লাভ এই মন্ত্রীত্ব দিয়ে! -😥
যদি না মন্ত্রীর আত্মীয়-সজনই বিনা টাকায় ট্রেন ভ্রমন করতে পারলো ??

টিকিটের আর কয় টাকাই বা দাম - না নিলে কি এমন লস হয়ে হতো? আমরা সাধারন মানুষতো দিচ্ছি! তাতে কি হয় না? একটু আগে দেখলাম বরিশালেও মাননীয় এমপি হেলেন আপার ছেলের কাছে টোল চাওয়ার নিউজ -হতাহত ১০ জন।-😟

কি হচ্ছে এসব ?
কোথায় চলে যাচ্ছে বাঙ্গালিদের আথিতিয়তা-পনা ?
যারা আমাদের জন্য দিনরাত কষ্ট করছেন, তাদের আমরা কি এতটুকুও সম্মাননা দিতে পারবো না।

তীব্র নিন্দা জানাই। -🙄🙄

রেলমন্ত্রীর স্ত্রীর ভাগনে পরিচয় দেওয়ার পর তিন যাত্রীকে বিনা টিকিটে ভ্রমণের জন্য জরিমানা করেছিলেন, এরপর ওই টিটিক...

Actually This is United States - কোথায় যেনো একবার শুনেছিলাম আমেরিকা নাকি যার বন্ধু তার নাকি শত্রুর প্রয়োজন নেই- 🙄©️ଏନା...
02/05/2022

Actually This is United States -
কোথায় যেনো একবার শুনেছিলাম আমেরিকা নাকি যার বন্ধু তার নাকি শত্রুর প্রয়োজন নেই- 🙄

©️ଏନାମୁଲ ହୁକେ ଅନାମ .......

22/04/2022

কেমন করে তোমরা কুফরী অবলম্বন করছ? অথচ তোমরা ছিলে নিষ্প্রাণ।
অতঃপর তিনিই তোমাদেরকে প্রাণ দান করেছেন, আবার মৃত্যু দান করবেন।
(আল বাকারা - ২৮)

20/04/2022

কি উদ্দেশ্যে কোরআন নাজিল হয়েছে? বিপরীতে আমরা কি করছি?

আল্লাহ বলেন: ‘কোরআন সমগ্র মানব জাতির জন্য হেদায়াত, সুস্পষ্ট পথ-নির্দেশ এবং সত্য-মিথ্যার পার্থক্যকারী ’(বাকারা:১৮৫) ‘তোমরা এর অনুসরণ কর এবং নিষিদ্ধ সীমা পরিহার করে চল।’(আনআম:১৫৫) ‘বুদ্ধিমান লোকেরা যেন একে গভীর ভাবে অধ্যয়ন ও চিন্তা-ভাবনা করে।’(সোয়াদ:২৯)

কিন্তু আমরা যারা আরবী ভাষা জানিনা। কোরআনের অর্থ বুঝিনা। তারা কিভাবে কোরআনের নির্দেশনাকে ’’অনুসরণ’’ করবো? আর কিভাবেই বা কোরআনকে ’’গভীর ভাবে অধ্যয়ন ও চিন্তা-ভাবনা’’ করবো?

অর্থ না বোঝার কারনে আমাদের জীবন পরিচালনার এই ঐশী ম্যানুয়ালটি আমাদের কাছে আজ জটিল ও দুর্বোধ্য! অথচ আল্লাহ বলছেন: ‘নিঃসন্দেহে এ কোরআন এমন পথ প্রদর্শন করে, যা একেবারেই সহজ-সরল।’(বনি ইসরাঈল:৯)

কেউ যদি নিয়মিতভাবে এমন একটি বই পড়ে যে বইটির ভাষা সে জানে না। কি লেখা আছে কিছুই বোঝে না। কিন্তু গ্রন্থটি সে খুবই শুদ্ধ করে পড়তে পারে। অথচ তার অর্থ কিছুই জানে না। জানার চেষ্টাও করে না।

আবার সেই ব্যক্তি দাবী করে যে, সে ঐ গ্রন্থকে এবং গ্রন্থের লেখককে সবচেয়ে বেশী ভালোবাসে। অথচ লেখকের কোন নির্দেশনাই বোঝে না। না বোঝার কারনে গ্রন্থের নির্দেশনাসমূহ মানতেও পারে না। এমতাবস্থায় ঐ গ্রন্থ ও গ্রন্থ-প্রণেতার প্রতি তার শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার দাবী কতটা গ্রহণযোগ্য হবে?

আমরা যারা আরবি ভাষা জানি না। আরবি ভাষার অর্থও জানি না। তারা যদি শুধুই কোরআন তেলাওয়াত করি। আলহামদুলিল্লাহ তাহলেও অফুরন্ত সওয়াব হবে নিঃসন্দেহে। এটা আল্লাহর অপার নেয়ামত।

এটা বরকতপূর্ণ এই ঐশীগ্রন্থের একটি অন্যতম মোজেজা। মহাগ্রন্থ আল কোরআন বিশুদ্ধ করে তেলাওয়াত করাও প্রত্যেকের জন্য ফরজ। কিন্তু তাতে কোরআন নাজিলের মূল উদ্দেশ্য বা কোরআন পড়ার হক কতটুকু আদায় হবে -তা কি কখনও ভেবে দেখেছি?

আল্লাহ কোরআন নাজিল করেছেন এর শিক্ষা ও নির্দেশনাকে জেনে, বুঁঝে, মেনে চলার জন্য। কোরআনের শিক্ষা ও নির্দেশনাকে যদি না-ই জানি। না-ই বুঝি। তাহলে কোরআন থেকে কি করে হেদায়াত নেয়া সম্ভব?

আল্লাহ নিজেই বলছেন: ‘এটা কি করে সম্ভব হতে পারে যে, যে ব্যক্তি তোমার আল্লাহর এই কিতাবকে, যা তিনি তোমার প্রতি নাযিল করেছেন, সত্য বলে জানে; আর যে ব্যক্তি এ মহাসত্য সম্পর্কে অজ্ঞ-অন্ধ; তারা দুজনই সমান হতে পারে? উপদেশ তো বুদ্ধিমান লোকেরাই কবুল করে থাকে।’(সূরা রা’দ:২০)

আজকে আমরা আল্লাহর ঐশী গ্রন্থ না বোঝার কারণে কোরআনকে সঠিক মর্যাদা দিতে পারছিনা। কোরআনের শিক্ষা ও নির্দেশনা না বুঝার কারনে আল্লাহর হুকুমকে বাদ দিয়ে দূর্ভাগ্যজনকভাবে যতসব ভন্ড পীর, ফকির, নেতা, ধনবান, ক্ষমতাবান, দুনিয়ার বাহাদুরদের হুকুমের অধীনে চলে যাচ্ছি!

অথচ এ সম্পর্কে আমাদের ভাবাবেগটা পর্যন্ত যেন আজ মরে গেছে। যেমনটা আল্লাহ বলেছেন: ‘আমি যদি এই কোরআনকে কোন পাহাড়ের উপরও নাযিল করতাম, তাহলেও তুমি দেখতে যে, সে পাহাড় আল্লাহর ভয়ে কেমন বিদীর্ণ হয়ে যাচ্ছে! এই দৃষ্টান্ত গুলো আমি এ জন্য দেই, যেন লোকেরা নিজেদের অবস্থা সম্পর্কে চিন্তা-ভাবনা করে।’(হাশর:২১)

ইসলাম জীবনমুখি ও বুদ্ধিবৃত্তিক একটি পূর্নাঙ্গ বাস্তবিক জীবন বিধান। মূর্খতা ও বৈরাগ্যবাদের সাথে ইসলামের কোনরকমের সম্পর্ক নেই। তাই আমাদেরকে আত্মজিজ্ঞাসা করতে হবে। চিন্তা-গবেষণা ও বিবেক-বুদ্ধিকে কাজে লাগাতে হবে। কারণ যারা জ্ঞান-বিমুখ তারা আল্লাহর সৃষ্টি সম্পর্কে কি করে ভাববে?

কি করে চিন্তা-গবেষণা করবে? যেমনটা আল্লাহ রাব্বুল আ’লামীন বলছেন: ‘....তাদের অন্তর আছে কিন্তু তারা তার সাহায্যে চিন্তা-ভাবনা করে না; তাদের চোখ আছে কিন্তু তা দিয়ে তারা দেখে না; তাদের শ্রবনশক্তি আছে, কিন্তু তা দিয়ে তারা শোনে না(আরাফ:১৭৯)।

‘....তাদের মত হয়ে যেয়ো না, যারা বলে, আমরা শুনলাম; কিন্তু আসলে তারা শোনে না। নিশ্চিত জেনো, আল্লাহর নিকট নিকৃষ্টতম পশু, বধির ও বোবা হচ্ছে সেসব মানুষ, যারা নিজেদের বিবেক ও বুদ্ধিকে কাজে লাগায় না..।’ (আনফাল : ২০-২৩)

বিশ্বব্যাপী আজ মুসলমানদের যে বিপর্যয়। তা আল্লাহর কালামকে তার ন্যয্য ও কাঙ্ক্ষিত মর্যাদা না দেবার কারনে।

আমরা যখন থেকে কোরআনকে ছেড়ে দিয়েছি, বিজয়ও তখন থেকেই আমাদেরকে ছেড়ে দিয়েছে।

©️Dr. Tuhin Malik (সংগৃহিত)

15/04/2022

[] সূরা লাহাব []

কে ছিল এই আবু লাহাব? তার নামে কেন একটি সূরা নাজিল হয়েছিল? জানার ইচ্ছা নিশ্চয়ই সবার আছে? আসুন, জেনে নেই-

আবু লাহাব ছিলেন রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর আপন চাচা। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর পিতা এবং এই আবু লাহাব ছিল একই পিতার সন্তান। আবু লাহাব ছিলেন কুরায়েশ নেতা আব্দুল মুত্ত্বালিবের দশজন পুত্রের অন্যতম। তার আসল নাম আব্দুল ওযযা। অর্থ, ‘ওযযা দেবীর গোলাম’। লালিমাযুক্ত গৌরবর্ণ ও সুন্দর চেহারার অধিকারী হওয়ায় তাকে ‘আবু লাহাব’ বা ‘অগ্নিস্ফুলিঙ্গওয়ালা’ বলা হ’ত। তার আসল নাম কুরআনে উল্লেখ করা হয়নি। কেননা তা ছিল তাওহীদের সাথে সরাসরি সাংঘর্ষিক। তাছাড়া মূল নামের পরিবর্তে ডাক নামেই সে বেশী পরিচিত ছিল। এ সূরায় তার যে পরিণতি বর্ণনা করা হয়েছে তার সাথে তার এ ডাক নামই বেশী সম্পর্কিত।

আবু লাহাব রাসূল (সাঃ)-এর নিকটতম শত্রু প্রতিবেশীও ছিলেন। উল্লেখ্য যে, রাসূল (সাঃ)-এর আপন চাচাদের মধ্যে তিন ধরনের মানুষ ছিলেন। ১. যারা উনার উপরে ঈমান এনেছিলেন ও উনার সাথে জিহাদ করেছিলেন। যেমন হামযাহ ও আববাস (রাঃ)। ২. যারা উনাকে সাহায্য করেছিলেন। কিন্তু জাহেলিয়াতের উপর মৃত্যুবরণ করেন। যেমন আবু তালিব। ৩. যারা শুরু থেকে মৃত্যু অবধি শত্রুতা করেন। যেমন আবু লাহাব।

আবু লাহাব কখনোই তার ভাতিজার রাসূল (সাঃ)-এর সুনাম-সুখ্যাতি ও নবুয়ত লাভের মত উচ্চ মর্যাদা অর্জনের বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি। যেমন মেনে নিতে পারেননি উনার অন্যতম বংশীয় চাচা আবু জাহেল ও তার সাথীরা। ফলে শুরু হয় শত্রুতা। তার পক্ষে সম্ভব কোনরূপ শত্রুতাই তিনি বাকী রাখেননি।

যখন রাসূল (সাঃ)-এর প্রতি নিম্নোক্ত আয়াতটি নাযিল হল,
“আর আপনি আপনার গোত্রের নিকট আত্মীয়দের ভীতি প্রদর্শন করুন।”[সূরা আশ-শু’আরা ২৬: ২১৪]

তখন রাসূল (সাঃ) সাফা পর্বতে উঠে সকলকে ডাক দিয়ে একত্রিত করলেন। রাসূল (সাঃ) বললেন, “আমি যদি বলি যে একটি শত্রুদল ক্রমশই এগিয়ে আসছে এবং সকাল বিকাল যে কোনো সময় তোমাদের উপর ঝাপিয়ে পড়বে। তোমরা কি আমার কথা বিশ্বাস করবে? সবাই এক বাক্যে বলে উঠল, ‘হ্যাঁ, অবশ্যই করবো।’ তখন রাসূল (সাঃ) বললেন, “আমি (শিরক ও কুফরের কারণে আল্লাহ্‌র পক্ষ থেকে নির্ধারিত শাস্তি) এক ভীষণ আযাব সম্পর্কে তোমাদেরকে সতর্ক করছি।” একথা শুনে আবু লাহাব বলল, “ধ্বংস হও তুমি! এজন্যই কি আমাদেরকে একত্রিত করেছো?” একথা বলে তিনি রাসূল (সাঃ)-কে পাথর মারতে উদ্যত হয়। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সূরা লাহাব অবতীর্ণ হয়।

আবু লাহাবের স্ত্রী ছিলেন আবু সুফিয়ানের বোন ‘আওরা বিনতে হারব উম্মে জামীল’। কুরায়েশদের নেতৃস্থানীয় মহিলাদের অন্যতম এই মহিলা রাসূল (সাঃ)-এর বিরুদ্ধে সকল প্রকার চক্রান্তে ও দুষ্কর্মে তার স্বামীর পূর্ণ সহযোগী ছিলেন। সর্বদা রাসূল (সাঃ)-এর বিরুদ্ধে গীবত, তোহমত ও চোগলখুরীতে লিপ্ত থাকতেন। কবি হওয়ার সুবাদে ব্যঙ্গ কবিতার মাধ্যমে তার নোংরা প্রচারণা অন্যদের চাইতে বেশী ছিল। চোগলখুরীর মাধ্যমে সংসারে ভাঙ্গন ধরানো ও সমাজে অশান্তির আগুন জ্বালানো দু’মুখো ব্যক্তিকে আরবরা ‘ইন্ধন বহনকারী বা খড়িবাহক’ বলত। সে হিসাবে এই মহিলাকে কুরআনে উক্ত নামেই আখ্যায়িত করা হয়েছে। নিকটতম প্রতিবেশী হওয়ার সুযোগে উক্ত মহিলা রাসূল (সাঃ)-এর যাতায়াতের পথে বা উনার ‏বাড়ীর দরজার মুখে কাঁটা ছড়িয়ে বা পুঁতে রাখতেন। যাতে রাসূল (সাঃ) কষ্ট পান।

সূরা লাহাব নাযিল হ’লে রাগে অগ্নিশর্মা হয়ে উক্ত মহিলা হাতে প্রস্তরখন্ড নিয়ে রাসূল (সাঃ)-কে মারার উদ্দেশ্যে কা‘বা চত্বরে গমন করেন। কিন্তু আল্লাহর ইচ্ছায় রাসূল (সাঃ) সামনে থাকা সত্ত্বেও তিনি তাঁকে দেখতে পাননি।

আবু লাহাবের মৃত্যুও ছিল বড়ই ভয়াবহ ও শিক্ষাপ্রদ। বদর যুদ্ধে পরাজয়ের দুঃসংবাদ মক্কায় পৌঁছবার সপ্তাহকাল পরে আবু লাহাবের গলায় গুটিবসন্ত দেখা দেয় এবং তাতেই সে মারা পড়ে। রোগ সংক্রমণের ভয়ে পরিবারের লোকেরা তাকে ছেড়ে পালিয়ে যায়। কুরায়েশরা এই ব্যাধিকে মহামারী হিসাবে দারুণ ভয় পেত। মরার পরও তিন দিন পর্যন্ত তার ধারে কাছে কেউ ঘেঁষেনি। ফলে তার লাশে পচন ধরে। চারদিকে দুর্গন্ধ ছড়াতে থাকে। শেষে লোকেরা তার ছেলেদেরকে ধিক্কার দিতে থাকে। একটি বর্ণনা অনুসারে তখন তারা মজুরীর বিনিময়ে তার লাশ দাফন করার জন্য কয়েকজন হাবশীকে নিয়োগ করে এবং তারা তার লাশ দাফন করে।

অন্য এক বর্ণনা অনুসারে, তারা গর্ত খুঁড়ে লম্বা লাঠি দিয়ে তার লাশ তার মধ্যে ফেলে দেয় এবং ওপর থেকে তার ওপর মাটি চাপা দেয়। এবং তার সন্তানরাও তাকে অসহায়ভাবে মৃত্যুবরণ করার জন্য ফেলে রেখে দিয়েছিল। ইসলাম বিদ্বেষী আল্লাহ ও রাসূলের শত্রু এইসব অহংকারী যালেমের পতন এভাবেই হয়। এই সূরার ভবিষ্যতবাণী সত্যে প্রমানিত হয়েছে। আর কুরআনের কথা এভাবেই সত্য প্রমাণিত হয়। আবু লাহাবের মাল-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি তার কোন কাজেই আসেনি। এভাবে এ সূরায় আবু লাহাব সম্পর্কে যে ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছিল মাত্র কয়েক বছরের মধ্যেই তা সত্য হতে দেখলো।

আসুন, এবার সূরাটি পড়ে নেই-

(১) تَبَّتْ يَدَا أَبِي لَهَبٍ وَتَبَّ
“তাব্বাত ইয়াদা আবী লাহাবিওঁ ওয়াতাব্বা”
‘ধ্বংস হোক আবু লাহাবের হস্তদ্বয় এবং ধ্বংস হোক সে নিজেও।’

এখানে ‘তাব্‌বাত’ অর্থ ধ্বংস হোক। ‘ইয়াদা আবী লাহাব’ অর্থ আবু লাহাবের দুই হস্ত। অর্থাৎ আবু লাহাব স্বয়ং। আবু লাহাব রাসুল (সাঃ)কে আঘাত করার জন্য হাতে পাথর তুলে নিয়েছিলো। তাই এখানে বিশেষ করে উল্লেখ করা হয়েছে তার হস্তদ্বয়ের কথা। এখানে হস্তদ্বয় অর্থ ইহজগত ও পরজগত। অর্থাৎ তার ইহকাল-পরকাল দুই কালই ধ্বংসের মধ্যে নিপতিত। অথবা এখানে হস্তদ্বয় কথাটির দ্বারা ইঙ্গিত করা হয়েছে তার বিত্ত ও প্রভুত্বকে।

(২) مَا أَغْنَىٰ عَنْهُ مَالُهُ وَمَا كَسَبَ
“মা আগনা আনহু মালুহু ওয়ামা কাছাব”
‘তার ধন-সম্পদ আর সে যা অর্জন করেছে তা তার কোন কাজে আসল না’।

রাসূল (সাঃ) যখন উনার স্বজনদেরকে ইসলাম গ্রহণের আমন্ত্রণ জানালেন, তখন আবু লাহাব বললো, ভাতিজা! তুমি আমাকে শাস্তির ভয় দেখাচ্ছো। কিন্তু আমি তো শাস্তির পরোয়াই করি না। প্রয়োজন হলে আমি আমার সন্তান-সন্ততি-ধন-সম্পদ সবকিছুর বিনিময়ে তোমার কথিত শাস্তি থেকে পরিত্রাণ লাভ করবো। তখন এই আয়াত অবতীর্ণ হয়। তার ধন সম্পদ ও তার উপার্জন তার কোনো কাজে আসেনি। অর্থাৎ তার সঞ্চিত বিপুল বিত্ত-বৈভব ও উপার্জিত সম্পদ তাকে আল্লাহ্‌র শাস্তি থেকে রক্ষা করতে পারবে না।

(৩) سَيَصْلَىٰ نَارًا ذَاتَ لَهَبٍ
“সাইয়াছলা না রান যা তালাহাবিওঁ”
‘অচিরেই সে শিখা বিশিষ্ট জাহান্নামের আগুনে প্রবেশ করবে’।

"জাতা লাহাব" অর্থ লেলিহান অগ্নি। অর্থাৎ সেদিন আর বেশী দূরে নয়, যখন আবু লাহাব দগ্ধীভূত হতে থাকবে দোজখের লেলিহান আগুনে।

(৪) وَامْرَأَتُهُ حَمَّالَةَ الْحَطَبِ
“ওয়ামরাআতুহু, হাম্মা লাতাল হাত্বোয়াব”
‘এবং তার স্ত্রীও; যে ইন্ধন বহনকারিণী’।

এখানে ‘ওয়াম্‌রাআতুহু’ অর্থ তার স্ত্রীও অর্থাৎ আবু লাহাবের স্ত্রী উম্মে জামিলকেও ভোগ করতে হবে একই পরিণতি। এবং ‘হাম্‌মালাতাল হাত্বব’ (অর্থ যে ইন্ধন বহন করে) আরবী ভাষায় পরনিন্দুককে বলা হয় কাষ্ঠ, বা ইন্ধন বহনকারিণী। অর্থাৎ পর নিন্দাকারিণী।

(৫) فِي جِيدِهَا حَبْلٌ مِّن مَّسَدٍ
“ফী-জী-দিহা হাবলুম মিম মাসাদ”
‘তার গলদেশে খর্জুরপত্রের পাকানো রশি’।

অর্থাৎ খেজুরপাতা দিয়ে পাকানো রশি দিয়ে কাঁটাযু্ক্ত লতাগুল্ম বেঁধে ঘাড়ে করে বা গলায় ঝুলিয়ে সে বহন করে আনত। ‘মাসাদ’ হ’ল ইয়ামনে উৎপন্ন এক প্রকার গাছের পাকানো রশি। যা গাছের ছালপাতা দিয়ে বা চামড়া দিয়ে বা অন্যকিছু দিয়ে তৈরী হ’তে পারে। ঐ রশিই ক্বিয়ামতের দিন তার জন্য আগুনের রশি হবে। আবু লাহাবের স্ত্রীর মণিমুক্তাখচিত বহু মূল্যবান একটি কণ্ঠহার ছিল। যেটা দেখিয়ে সে লোকদের বলত, ‘লাত ও ওযযার কসম! এটা আমি অবশ্যই ব্যয় করব মুহাম্মাদের শত্রুতার পিছনে’। অথচ এ কণ্ঠহারই তার জন্য ক্বিয়ামতের দিন আযাবের কণ্ঠহার হবে।

••••এই সূরা থেকে আমাদের জন্য কি ম্যাসেজ আছে??

কালের বিবর্তনে হাজারো ইসলাম বিদ্বেষী ও আল্লাহ রাসূলের শত্রু আবু লাহাবের চরিত্রের লোক আসতেই থাকবে। আর এইরকম ধ্বংস তাদের জন্যও প্রযোজ্য হবে।

এই সূরায় আল্লাহ আবু লাহাবের সমস্ত চেষ্টা সাধনা ও উপায় উপকরন (হাত, কর্ম, ধন-সম্পদ, আয়-উপার্জন)সহ তার ধ্বংসের কথা বলেছেন। এমনকি তার স্ত্রীর কথাও। যে ছিলো ইসলামের বিরোধিতায় তার সহযোগী। ইসলাম বিদ্বেষী এবং তাদের সহযোগীরা যে শুধু এই দুনিয়ায় পরাজিত হবে তা নয় বরং আখিরাতেও একে অপরের সহায়তা করতে করতে ভয়াবহ পরাজয়ের স্বাদ পাবে।

আল্লাহ ও তাঁর রাসুল(সাঃ) এর সাথে শত্রুতা ও বিদ্রোহের পরিনতি যে কী হতে পারে, এই সুরা তো তারই সাক্ষ্য বহন করছে। আল্লাহর রাসুলের(সাঃ) শত্রুর ভয়ঙ্কর পরিনতির ব্যাপারে এখানে একটি ভবিষ্যতবাণী রয়েছে। এবং ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় যে এ ভবিষ্যতবাণী সত্যে পরিনত হচ্ছে।

সেদিনের মত হাজারো আবু লাহাব ও উম্মে জামীলের ন্যায় ইসলামের প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য শত্রু চিরকাল থাকবে। এবং তারা অবশ্যই জাহান্নামী হবে। কিন্তু আল্লাহর নিকটে মযলূম মুমিনরাই প্রকৃত বিজয়ী এবং যালেমরা সর্বদাই পরাজিত।

15/04/2022

আসক্তের মতো ভালবাসবেন না - আবার ধ্বংসাত্মকভাবে কাউকে ঘৃণাও করবেন না!

©️উমার ইবনুল খাত্তাব ( রাঃ)

14/04/2022

[] সূরা কাফিরুন []

মিলেমিশে একে অন্যের ধর্ম পালনের পদ্ধতি। কিংবা মিলেমিশে একে অন্যের ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান উদযাপনের পদ্ধতি। এগুলো নতুন কোন কৌশল নয়। রাসূল (সাঃ) মক্কায় তাওহীদের দাওয়াত দেয়া মাত্রই মক্কার কুরাইশগণ উনার উপর অমানষিক নির্যাতন শুরু করে। জুলুম নির্যাতন করেও যখন ইসলামের অগ্রযাত্রা রুখতে ব্যর্থ হয়।

তখন তারা এক নতুন কৌশল আবিস্কার করে। আর সেটা হলো মিলেমিশে একে অন্যের ধর্ম পালন করার কৌশল। এটা ছিল অনেকটা বর্তমান সময়ের অনুরুপ তাওহীদ (আল্লাহর একত্ববাদ) ও কুফরীর মধ্যে একটা গোজামিলের ধর্মীয় আপোষ ও মীমাংসার প্রস্তাব।

কুরাইশদের কাফের সম্প্রদায় তখন রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ)কে আহবান করেঃ তিনি এক বছর তাদের মূর্তির পূজা করবেন। আর তারাও এক বছর আল্লাহর ইবাদত করবে (নাউজুবিল্লাহ)।

আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) বর্ণনা করেছেন, কুরাইশদের কাফের সম্প্রদায় রাসূলুল্লাহ (সাঃ)কে বললো : আমরা আপনাকে এত বেশী পরিমাণ ধন- সম্পদ দেবো যার ফলে আপনি মক্কার সবচেয়ে ধনাঢ্য ব্যক্তি হয়ে যাবেন। যে মেয়েটিকে আপনে পছন্দ করবেন তার সাথে আপনার বিয়ে দিয়ে দেবো। আমরা আপনার পিছনে চলতে প্রস্তুত ।

আপনি শুধু আমাদের একটি কথা মেনে নেবেন — আমাদের উপাস্যদের বিরোধিতা করা থেকে বিরত থাকবেন। এ প্রস্তাবটি আপনার পছন্দ না হলে আমরা আরও একটি প্রস্তাব পেশ করছি। এ প্রস্তাবে আপনার লাভ এবং আমাদেরও লাভ। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) জিজ্ঞেস করেন, সেটি কি? এক বছর আপনি আমাদের উপাস্যদের ইবাদাত করবেন এবং আমরাও এক বছর আপনার উপাস্যকে ইবাদাত করবো। এর জবাবে মহান আল্লাহ সুরা কাফিরুন নাজিল করেন।

ইবনে আব্বাস (রাঃ)এর অন্য একটি রেওয়ায়াতে বলা হয়েছে, কুরাইশরা রাসূলুল্লাহ (সাঃ)কে বললো : “যদি আপনি আমাদের উপাস্য মুর্তিগুলোকে চুম্বন করেন তাহলে আমরা আপনার মাবুদের ইবাদাত করবো।” একথায় এই সূরাটি নাজিল হয়। (আবদ ইবনে হুমাইদ)

ওহাব ইবনে মুনাব্বাহ রেওয়ায়াত করেন, কুরাইশদের কাফের সম্প্রদায় রাসূলুল্লাহ (সাঃ)কে বলে, যদি আপনি পছন্দ করেন তাহলে এই বছর আমরা আপনার দ্বীনে প্রবেশ করবো এবং এক বছর আপনি আমাদের ধর্ম পালন করবেন। (আবদ ইবনে হুমাইদ ও ইবনে আবী হাতেম)

এই অনৈতিক ও হাস্যকর প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে মহান আল্লাহ তায়ালা রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ)এর উপর পবিত্র এই সূরাটি নাজিল করেন। এবং আল্লাহ তায়ালা নির্দেশ দেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) যেন তাদের প্রস্তাব, তাদের আকিদা ও তাদের ধর্ম থেকে সম্পূর্ণভাবে নিজেকে মুক্ত ঘোষণা করেন।

আল্লাহ্ তা’আলা নির্দেশ দিচ্ছেন তাঁর নবী (সাঃ)কে। তিনি যেন সুষ্পষ্ট ও প্রকাশ্য ভাবে কাফেরদের সামনে ঘোষণা করে দেন যে- আল্লাহকে বাদ দিয়ে প্রকাশ্যে বা গোপনে তারা যাদের ইবাদত করে থাকে তা থেকে তিনি সম্পূর্ণ মুক্ত ও পবিত্র। শির্কের সাথে মিশ্রিত ইবাদত আল্লাহর কাছে কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ কারণে আল্লাহ্ তা’আলা দু’দলের মধ্যে এভাবে পার্থক্য করে দিয়েছেনঃ (لكم دينكم ولي دين) “তোমাদের দ্বীন তোমাদের জন্য, আমার দ্বীন আমার জন্য।”

এই সূরায় যারা বিভিন্ন ধর্মের মাঝে দূরুত্ব কমিয়ে পরষ্পরের নিকটবর্তী হওয়ার কথা বলে। তাদেরকে সুস্পষ্টভাবে জানিয়ে দেয়া হয়েছে যে, ইসলামই একমাত্র হক ধর্ম। তা ছাড়া অন্যান্য সকল ধর্ম বাতিল। ইমাম শাফেয়ী (রঃ) (لكم دينكم ولي دين) “তোমাদের দ্বীন তোমাদের জন্য, আমার দ্বীন আমার জন্য” - এ আয়াতটি থেকে এ দলিল নিয়েছেন যে, সকল কাফেরের ধর্ম একই। আসুন, এবার পুরো সূরাটি দেখে নেই:-

১।
قُلْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُونَ
‘ক্কুল ইয়া- আইয়্যূহাল কা-ফিরূন।’
বলুন, হে কাফের দল!

২।
لَا أَعْبُدُ مَا تَعْبُدُونَ
‘লা- ‘আবুদু মা- ‘তাবুদূন।’
আমি তার ইবাদত করি না, যার ইবাদত তোমরা কর।

৩।
وَلَا أَنْتُمْ عَابِدُونَ مَا أَعْبُدُ
‘ওয়ালা- আন্তুম ‘আ-বিদূনা মা- ‘আবুদ।’
এবং তোমরাও তাঁর ইবাদতকারী নও, যাঁর ইবাদত আমি করি।

৪।
وَلَا أَنَا عَابِدٌ مَا عَبَدْتُمْ
‘ওয়ালা- আনা ‘আবিদূম্ মা- ‘আবাত্তুম।’
এবং আমি ইবাদতকারী নই তার, যার ইবাদত তোমরা করে থাক।

৫।
وَلَا أَنْتُمْ عَابِدُونَ مَا أَعْبُدُ
‘ওয়ালা- আন্তুম ‘আ-বিদূনা মা- ‘আবুদ।’
এবং তোমরা তাঁর ইবাদতকারী নও, যাঁর ইবাদত আমি করি।

৬।
لَكُمْ دِينُكُمْ وَلِيَ دِينِ
‘লাকুম দ্বীনুকুম ওয়া লিয়া দ্বীন।’
তোমাদের দ্বীন (শিরক) তোমাদের জন্য এবং আমার দ্বীন (ইসলাম) আমার জন্য।

এ সূরায় শিক্ষনীয়:-
১) এককভাবে একমাত্র আল্লাহর জন্য সমস্ত ইবাদতকে খালেছ বা একনিষ্ঠ করাকে বাধ্যতামূলক বলা হয়েছে।
২) সব ধরনের শির্ক এবং শির্কের অনুসারীদের থেকে সম্পূর্ণ সম্পর্কচ্ছেদ করাকে অতি অত্যাবশ্যক বলা হয়েছে।
৩) যারা বিভিন্ন ধর্মের মাঝে দূরুত্ব কমিয়ে, পরষ্পরের ধর্মীয় উৎসব ও ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানকে সার্বজনীন দাবী করে।

একে অন্যের ধর্মের নিকটবর্তী হওয়ার দাওয়াত দেয় তাদেরকে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। কেননা আল্লাহ্ তা’আলা হক ও বাতিলের মাঝে সুষ্পষ্ট পার্থক্য নির্ধারণ করে দিয়েছেন। সুতরাং ইসলামই একমাত্র হক ধর্ম। তা ছাড়া অন্যান্য সকল ধর্ম বাতিল। হকের সাথে বাতিলের সামান্য মিশ্রণও যদি হয়, সেটা শির্ক। আর আল্লাহ সকল গুনাহ মাফ করে দিবেন, শির্কের গুনাহ ছাড়া।

Address

মিরপুর ঢাকা
Mirpur
1216

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Ꮇuhammad Ꭼηamul Hσuqe aηam - মুহাম্মদ এনামুল posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Ꮇuhammad Ꭼηamul Hσuqe aηam - মুহাম্মদ এনামুল :

Videos

Share

Category

Nearby media companies



You may also like