HBM. TV

HBM. TV ইসলাম-দেশ ও মানবতার কথা বলে
(3)

এখনকার ছেলেমেয়েরা কখনো কোনদিন জানতে বা অনুভব করতেই পারবে না যে আগেকার দিনে গরমকালের সন্ধ্যাবেলায় ছাদে মাদুর পেতে বিশ্র...
23/04/2024

এখনকার ছেলেমেয়েরা কখনো কোনদিন জানতে বা অনুভব করতেই পারবে না যে আগেকার দিনে গরমকালের সন্ধ্যাবেলায় ছাদে মাদুর পেতে বিশ্রাম নেওয়া এখনকার A.C. ঘরে বসে আরাম করার থেকে কত গুণ সুখকর ও মধুর ছিল। 😢😢

শিক্ষায় ১৩৭ টা দেশের মধ্যে ১২৪ তমফুটবলে ২০৪ টা দেশের মধ্যে ১৯২ তমবিশ্বের অবাসযোগ্য শহরের মধ্যে ঢাকা ২য়দুর্নীতিতে ২০৪ ট...
14/04/2024

শিক্ষায় ১৩৭ টা দেশের মধ্যে ১২৪ তম
ফুটবলে ২০৪ টা দেশের মধ্যে ১৯২ তম
বিশ্বের অবাসযোগ্য শহরের মধ্যে ঢাকা ২য়
দুর্নীতিতে ২০৪ টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ৭ম
স্বাস্থ্যসেবায় ১৬৭ টা দেশের মধ্যে ১০৬ তম
সুখী দেশের তালিকায় ১৩৭ দেশের মধ্যে ১১৮ তম

আর বোকাচন্দ্ররা এসেছে আল্পনা এঁকে রেকর্ড গড়তে!
দেশ গোল্লায় যাক, তোরা চেতনা আর সংস্কৃতি চর্চা কর!

আমরা রেকর্ড চাইনা, দেশের উন্নতি চাই। আমি চাই আমার দেশ জিরো দুর্নীতিতে রেকর্ড করুক, অর্থনীতিতে ১ নম্বর হোক, সামরিক ক্ষেত্রে ১ নম্বর হোক! রেকর্ড পরিমাণ পেপারস পাবলিশ হোক আমার দেশ থেকে, রেকর্ড পরিমাণ পেটেণ্ট থাকুক আমাদের! আমি এমন একটা দেশের স্বপ্ন দেখি।

আর আগামী ২০০-৫০০ বছর পরে আমাদের উত্তরসূরীরা যাতে বলতে পারে “Excellence is our culture” এমন এক সমৃদ্ধ কালচার চাই!

উম্মুল মাদারিস কর্তৃক ফেতরার নির্দিষ্ট করণ।আপনার উপর যাকাত ফরজ হয়েছে কিনা জেনে নিন।
17/03/2024

উম্মুল মাদারিস কর্তৃক ফেতরার নির্দিষ্ট করণ।
আপনার উপর যাকাত ফরজ হয়েছে কিনা জেনে নিন।

13/02/2024

আমরা অনেকেই জানিনা, কোন নবীর উপর কোন কিতাব নাযিল হয়েছে।
⬇️কমেন্ট দেখুন ⬇️

22/11/2023

بَلۡ تُؤۡثِرُوۡنَ الۡحَیٰوۃَ الدُّنۡیَا ۫ۖ
কিন্তু তোমরা পার্থিব জীবনকে প্রাধান্য দাও,
وَالۡاٰخِرَۃُ خَیۡرٌ وَّاَبۡقٰی ؕ
অথচ আখেরাত কত বেশি উৎকৃষ্ট ও কত বেশি স্থায়ী।

31/10/2023

আর ১ টাকা যোগ করলে তো আমরা ৭১ এর
স্বাধীনতার ঘ্রাণ পাবো।
উৎসর্গঃ প্রিয় আলু

18/10/2023

আফগানিস্তানে কল দিয়ে ফিলিস্তিনি এক বোনের আত্মচিৎকার।




16/10/2023

সেফুদার নতুন মোনাজাত ভাইরাল 😃😃😃

অফিসার নিখোঁজ 🐸উন্নয়নের জিকির 🙃
22/09/2023

অফিসার নিখোঁজ 🐸

উন্নয়নের জিকির 🙃

উন্নয়নের জিকির হবে 🙃উন্নয়নউন্নয়নউন্নয়ন
22/09/2023

উন্নয়নের জিকির হবে 🙃
উন্নয়ন
উন্নয়ন
উন্নয়ন

22/09/2023

অধিকাংশ শিল্পীরা পরকীয়ায় লিপ্ত 💃👩‍❤️‍👨
হিন্দি গানের টানে বাংলা গজল মারে🐸

15/08/2023

ব্যক্তি উপযোগী কথা বলুন | Speak in person | Episode18 | সুখময় জীবনের সন্ধানে | সিজন ১ | পর্ব ১৮

#সুখময়_জীবনের_সন্ধানে #নববী_আদর্শের_আলোকে #اسلام #ইসলাম #صلاتك

সুযোগ পেয়েছেন, শক্তি আছে, ক্ষমতা আছে, অপব্যবহার করবেন না। সব জায়গায় সবসময় মাথা ঢুকাবেন না।একবার জায়গামতো মাথা আটকে য...
25/07/2023

সুযোগ পেয়েছেন, শক্তি আছে, ক্ষমতা আছে, অপব্যবহার করবেন না। সব জায়গায় সবসময় মাথা ঢুকাবেন না।
একবার জায়গামতো মাথা আটকে যায় শেষ পরিণতি ভোগ করতেও বেশি সময় লাগবে না !

মৃত্যুঃ- ২৫/০৬/২০২২মায়ের মৃত্যুর আজ এক বসর পূর্ণ হলো।মায়ের প্রতিটা স্মৃতি চোখের সামনে ভেসে ওঠে, আর আমি ধুকে ধুকে মরি।মায়...
25/06/2023

মৃত্যুঃ- ২৫/০৬/২০২২
মায়ের মৃত্যুর আজ এক বসর পূর্ণ হলো।
মায়ের প্রতিটা স্মৃতি চোখের সামনে ভেসে ওঠে, আর আমি ধুকে ধুকে মরি।
মায়ের মৃত্যুর পর অনেক কাজে বা কথায় এমনটাই হয়েছে যে,মাকে গিয়ে এই কথাটা বলি বা এই কাজটা করবো জানাই। বাসায় গিয়েই কথাটা বলি।
কিন্তু তার পরই মনে পড়ে যে মা তো বেঁচে নেই। এমন অনেক বারই ধোকা খেয়েছি। মনের ভিতর এখনো মনে হয় মা বুঝি বেঁচে আছে। আর মনের অজান্তেই চোখ দিয়ে পানি বেয়ে বেয়ে পড়ছে।
গত বসর জুন মাসের ১৩ তারিখ রাত এগারটায় অথবা সাড়ে এগারটায় আমার চাচাতো ভাই শাকিল ফোন দিয়ে বলে যে, মহিন এর বাবা ( আমাদের জেঠা) মারা গিয়েছে। শাকিলের কল পেয়ে হঠাৎ করেই চুপ হয়ে গেলাম। তখন আমি কেরাণীগঞ্জ অবস্থান করছিলাম। যেখানে রাত ৮টার পরে গাড়ি পেতে কষ্ট হয়ে যায়। সেখানে রাত সাড়ে এগারটার মত। পরে বল্লাম ভাই! আমি ফজরের পর ছাড়া বের হতে পারছি না। এমন এলাকায় থাকি সম্পূর্ণ রিস্ক নিয়ে বের হতে হবে। আর গাড়িতো পাওয়াই যাবে না। যাইহোক, ফজর নামাজ পরেই বের হয়ে যাই জানাজা পড়ার উদ্দেশ্যে। ২ হাজার টাকা নিয়ে বের হলাম কিন্তু রাস্তা ঘাটের অবস্থা দেখে এক হোন্ডা ওয়ালাকে জিজ্ঞাসা করলাম নোয়াখালী যাবেন? উত্তরে সে বলল, ৪৫০০ টাকা লাগবে। উত্তরে শুনে সায়দাবাদ গিয়ে বাসে উঠলাম আল্লাহর উপর ভরসা করে। মনে মনে দোয়া করতেছি আল্লাহ! দ্রুত বাড়িতে পৌঁছে দাও যেন জানাজা পড়তে পারি। কিন্তু আর হলো না জানাজা পড়া। বাড়িতে গিয়ে দেখি যে যার মত করে কাজে ব্যস্ত। অনেক আপসোস করে বিকেলে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলাম। অনেক রাত হওয়াতে নারায়নগঞ্জে শ্বশুর বাড়িতে চলে গেলাম। রাত গিয়ে ফজর নামাজের পর একটু ঘুম দিলাম। গতকাল সারা দিনের ক্লান্তি মনে হচ্ছে ছাড়ছেই না আমাকে। যোহর নামাজের পর খাবার খেতে বসা মাত্রই ছোট বোন কল দিয়ে বলল, মায়ের অবস্থা ভাল না। স্ট্রোক করেছে। আমরা হসপিটালে নিয়ে যাচ্ছি, আপনি দ্রুত আসেন। কোন রকম খাবার শেষ করে বের হয়ে গেলাম। চলে গেলাম হসপিটালে। গিয়ে দেখি মাকে শুইয়ে রাখছে বেডে। কোন কথা নেই। হসপিটালের প্রধান ডাক্তার আমার পরিচিত হওয়ায় ডিউটিরত ডাক্তারকে জিজ্ঞাসা করলাম রোগীর এখন কি অবস্থা? সে বলল, আমাদের ডাক্তারকে জানিয়েছি আর আমরা বর্তমানে যে মেডিসিন দেয়া দরকার সেটা করেছি। বললাম, ডাক্তারকে আমি কল দেই? তারা বলল, আমরা কল দিচ্ছি। এরপর তারা কল দিয়ে ডাক্তারের সাথে কথা বলার পর আমাদেরকে জানালো, আপনারা নিউরো সায়েন্সেস হসপিটালে নিয়ে যান। অবশেষে তাই করা হলো। এম্বুলেন্সে করে চলে গেলাম নিউরোতে। সেখানে প্রথম দিন থেকে দুই -একদিন ছাড়া আমি প্রতিদিন হসপিটালে যেতাম। সারাদিন কর্মস্থলে থাকতাম আর সন্ধার পর হসপিটালে চলে যেতাম। আইসিউতে থাকার কারণে শুধু ডাক্তারদের সাথেই কথা হত মায়ের সাথে দেখা করতে পারতাম না। কিন্তু প্রতিদিন একজন করে দেখা করার সুযোগ দিত। দিনের বেলা না যেতে পারায় দেখা করতে পারতাম না। সিকিউরিটির সাথে কত দুঃখের সাথে বলতাম, কত অনুনয় বিনয় করে বলতাম ভাই! আমি মসজিদে নামাজ পড়াই, তাই দিনের বেলা আসতে পারি না, আমাকে একটু সুযোগ করে দিন না। হৃদয়ের যত যাতনা দিয়েই বলতাম না কেন, মহিলা ইউনিট হওয়ায় কোন ভাবেই দেখার সুযোগ হয়নি। শেষ যেদিন রিলিস দিয়ে দিবে, তার আগের দিন রাতে এসে আর যাইনি। কাল যেভাবেই হোক দেখা করবো। পরে শুনি যে, রিলিস দিয়ে দিবে। ডাক্তাররা বলল, আপনাদের রোগী এখন বাসায় নিয়ে যেতে পারেন। বাকিটা বাসায় থেকেই সুস্থ হয়ে যাবে। তখন মা শুধু কথা বলতে পারে পরিপূর্ণ না। স্ট্রোক করা রোগী যেমন কথা বলে। কিন্তু প্যারালাইসেস আর ঠিক হলো না। আমি আর বড় ভাই মিয়ে মাকে এম্বুলেন্স করে বাসার দিকে রওনা দিলাম। গাড়িতে শুধু এততুকু কথা বলার সুযোগ হয়েছে যে, বললাম, মা! আমাকে মাফ করে দিয়েন। বাসায় নিয়ে আসার পর আত্নীয়-স্বজন সবাই আসতে লাগলো। দেড় দিন পর্যন্ত মানুষ আসা-যাওয়ার মধ্যেই ছিল। মায়ের অবস্থা আসতে আসতে অবনতির দিকে চলে যাচ্ছে। মায়ের পাশেই বসে থাকতাম কেউ কিছু বললে মায়ের কানের সামনে গিয়ে বলতাম যে , মা! অমুক-তমুক ইত্যাদি। মা শুধু মাথা কোন রকম কথা বলত যা মুখের সামনে কান পেতে শুনতে হত। সন্ধার পর আসতে আসতে মায়ের অবস্থা খারাপের দিকে যেতে লাগলো। দ্রুত এম্বুলেন্স এনে প্রথমে গেলাম শিকদার মেডিকেল কলেজ হসপিটালে। রাস্তায় জ্যামে থাকার কারণে দেরী হয়ে যায় আর ততক্ষণে মায়ের মুখ ফেনা ফেনা হয়ে যায়। সেখান থেকে ইবনে সিনা হসপিটাল ধানমন্ডি শংকর শাখায় নিয়ে যাই। ডাক্তাররা দেখে দ্রুত আইসিউতে ভর্তি করে দেয়। (অন্যান্য মানুষদের জন্য হসপিটালে ছুটাছুটি করছি কিন্তু নিজের মায়ের জন্য যেভাবে ডাক্তারদের সাথে কথা বলা এখানে-সেখানে যাওয়া ফার্মেসীতে যাওয়া আগে এমন কখনো হয়নি। তবে ডাক্তারদের সাথে কথা বলা, দৌড়াদোড়ী করেছি মনে হলো আমার জীবনে এমন বহুবার করেছি।) চলে গেলাম আইসিউতে ডাক্তারদের সাথে কথা বলার জন্য। ডাক্তার একটা কথাই বার বার এই বলে বুঝাচ্ছে যে, আমাদের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি এমন রোগী খুবই কম মানুষ শেষ পর্যন্ত বেঁচে ফিরেছে। আবার দেখা গেছে যে, বাঁচার সম্ভাবনা নাই তারাও ২-৩ মাস বেঁচে ছিল। আপনাদের রোগীকে এখানে না রেখে অক্সিজেন দিয়ে বাসায় নিয়ে যান। আত্নীয় স্বজনরা দেখুক শেষ বারের মত। ডাক্তাররা তাদের বক্তব্য দিয়ে গেল। তারপরও মনটাকে কোন ভাবেই বুঝাতে পারছি না। মনে মনে ঠিকই বুঝে গিয়েছি যে, আর মনে হয় দেখতে পারবো না। কিন্তু সবাই বড় ডাক্তারের জন্য অপেক্ষা করতেছে। বড় ডাক্তার এসে রোগীকে দেখে কি বলে সেই অপেক্ষায় সবাই আছে। ডিউটিরত ডাক্তারদের কথা সবাইকে জানাইলাম, তারপরও সবাই বড় ডাক্তার বড় ডাক্তার করেই গেল। এর মধ্যে কিছুক্ষণ পর পর আইসিউতে যাচ্ছি। সাধারণ আইসিউতে বহিরাগত মানুষকে ঢুকতে দেয় না। কিন্তু আমার কাকুতি-মিনতি দেখে ডাক্তাররাও না করতে পারলো। রাতের সোয়া একটার দিকে বড় ডাক্তার এসে মাকে দেখে বলল, আপনাদের রোগী আশাকরি ভাল হয়ে যাবে। (এটা হলো ডাক্তারদের কমন ডাইলগ) একে একে সবাই চলে গেল, আর রয়ে গেলাম আমি এবং আমার বড় ফুফাতো ভাই রুবেল। সব কাজ শেষ করে এশার নামাজ পড়ার পর ডাক্তারদের সাথে কথা বলে নিচে গিয়ে টেবিলে বসলাম। আবার উপরে-নীচে উঠা নামায় রইলাম। আর মাঝে মাঝে ডাক্তারদের সাথে কথা বলতে লাগলাম। এক পর্যায়ে আর থাকতে পারছিলাম না ঘুমের জন্য। কারণ গত দুই দিন যাবৎ চোখে ঘুম ছিল না। শুইয়ে গেলাম নিচ তলার একটা টেবিলে। ততক্ষণে রাত ৪টা বাজে। সকাল ভোরে ভোরে আবার ফুফাতো ভাই ডেকে বলল, ঔষধ কিনতে হবে। ফার্মেসীতে গিয়ে ঔষধ কিনে দিলাম। তারপর জিজ্ঞাসা করলাম, আমার মায়ের এখন কি অবস্থা? তাদের বক্তব্য এখানে না রেখে বাসায় নিয়ে যান। তিন দিনের অঘুমা ব্যক্তির অবস্থা কেমন হতে পারে সেটা সবাই ভাল বুঝবেন। সকাল থেকেই কিছুক্ষণ পর পর আইসিউতে যাচ্ছি আর ডাক্তারদের সাথে কথা বলছি। কমবেশ সবাই আইসিউতে গিয়েছে, ডাক্তারদের সাথে কথা বলেছে, মাকেও দেখেছে, কিন্তু কেউই জিজ্ঞাসা করেনি যে, মায়ের এই অবস্থা কেন? মানে যখন আইসিউতে ভর্তি করায় তখনতো তারা লাইফ সাপোর্টে রেখে যা যা করা দরকার তা করল। কিন্তু নাক, গলা দিয়ে রক্ত বের হয়েছে কেন এটা কেউ জিজ্ঞাসা করেনি। যখনই আমার চোখে পড়ল, তখন নার্সকে ডেকে বললাম, আমার মায়ের এই অবস্থা কেন? তারা বলল, মুখে পাইপ ঢোকানোর কারণে একটু ব্লাড বের হয়। এটা ভয়ের কিছু নেই। আমি বললাম, তাহলে বুঝি এত ব্লাড বের হবে? তারা কোন উত্তর দিতে পারলো না। ( যখন একজন মানুষ স্বাভাবিকভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণ করতে পারেন না তখন ইনটেনসিভ কেয়ারে লাইফ সাপোর্টের মাধ্যমে কৃত্রিমভাবে তার শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যবস্থা করা হয়। ফলে রোগীর ব্রেন, হার্ট ও কিডনিসহ আরও গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলো তখন সচল থাকে।) এজন্যই পাইপ লাগানো হয়। জুমার নামাজের সময় হলে নামাজ পড়তে যাই। কিন্তু অঘুমা থাকার কারণে হুজুর কি বয়ান করেছে টেরই পাইনি। আত্নীয়-স্বজনরা আসতে শুরু করল। সবার কথা হলো যেহেতু ডাক্তাররা বলছে নিয়ে যাওয়ার জন্য তাহলে বাসায় নিয়ে রোগীকে কষ্ট দিব নাকি? বরং আমরা মিটফোর্ড হসপিটালে নিয়ে আইসিউতে ভর্তি করাই। আমি বললাম, সেখানে নেয়া মানে মাকে আরো বেশি কষ্ট দেয়া ছাড়া আর কিছুই না। আমি জানি মিটফোর্ড হসপিটাল কেমন? আপনারা কি জানেন সেটা আমি বলতে পারবো না। আপনারা হসপিটালে নেন তাহলে অন্য হসপিটালে নিয়ে যান, তারপর মিটফোর্ড নিয়েন না। বাসায় নিয়ে চলেন। অবশেষে তাই করা হল। বাসায় নিয়ে আনতে আনতে সন্ধ্যা হয়ে গেল। আত্নীয়-স্বজন একে একে সবাই এসে শেষ বারের মত দেখতেছে আর বলতেছে আমাকে মাফ দিয়েন। সবাই মাফ চাচ্ছে। মায়ের কাছে যা শুনেছি বা দেখেছি অনেক কষ্ট দিয়েছে পিছনে পিছনে বদনাম করেছে। ছোট কাল থেকেই দেখে আসছি তারা কেমন কষ্ট দিয়েছে। আজ তারা মৃত মানুষটার কাছে সবাই মাফ চাচ্ছে। কিন্তু জীবিত থাকা অবস্থায় সবাই বিরোধীতা করেছে, তখন তো কেউই মাফ চায়নি। অথচ গ্রামে গেলে এখনও সবাই বলে, তোর মায়ের মত আমগো বাড়িতে কোন বউ আসেনি আর আসবেও না। অক্সিজেন চলছে তারপরও হসপিটাল থেকে আনার সময় শ্বাস কষ্টটা যেমন ছিল এর চেয়ে বেশি বেড়ে গেছে। আবার সবাই হসপিটালে নেয়ার জন্য এম্বুলেন্স খবর দিল। তখনও আমি মায়ের মাথার পাশেই বসা। কানের কাছে মুখটা নিয়ে বললাম মা! আমার সাথে যিকির করেন। ইবনে সিনা হসপিটালে নেয়ার আগেই জবান বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তারপরও আমার কাছে কেমন যেন লাগছে, মা হয়ত গের গের করে কী যেন বলছে। শুরু করে দিলাম যিকির। এমন পরিস্থিতিতে নিজেকে কন্ট্রল রাখতে পারব কখনও কল্পনাতে করতে পারিনি। পায়ের দিকে ছোট বোনেরা, মেজো ফুফু বসে আছে। কি করব কিছুই বুঝতে পারতেছিনা। তিন তাসবিহ পড়াতে লাগলাম, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ যিকির পড়াতে লাগলাম, কালেমা পড়াতে লাগলাম। যখন বুঝেই ফেল্লাম আর মনে হয় বেশিক্ষণ থাকবে না তখন ছোট বোনদের বললাম, তোরা সূরা ইয়াসিন পড়তে থাক। বোন, ফুফু তারা কিছুটা বুঝতে পারছে। তারপরও আমি তাদের অভয় দিয়ে বললাম, আরে মা তো এখন সুন্দর করে নিশ্বাস নিতে পারছে। সুস্থ হয়ে যাচেছ। এদিকে ছোট মামা এসে বলল, আপাতো এখন দেখি নিশ্বাস নিতে পারছে। অন্যরুমে বাবা মানুষদের সাথে কথা বলতেছে আর এম্বুলেন্স এর জন্য কথা বলতেছে। শ্বাস কষ্টটা যখন পুরা বেড়েই গেছে তখন কমবেশ সবাই হয়ত হয়ত হয়ত বুঝতে পেরেছে। তখন বাবাও এসে বলল, আমাকে মাফ করে দিস ইত্যাদি ইত্যাদি। ওদিকে দাদী, বড় ফুফু, ছোট ফুফু গ্রাম থেকে আসতেছে। রাত তখন ১টার মত। আমার মনে জানা হয়ে গেছে আর মনে বেশিক্ষণ মাকে পাবো না। কালিমা পড়ানো শুরু করলাম। আমি যততুকু বুঝলাম শেষ সময় এসে জবান কিছুটা ক্লিয়ার হয়ে গেছে। এততুকু বুঝলাম আমি যা বলছি মা তা বলছে। নিশ্বাস ভারী থেকে ভারী হতে লাগলো। এক পর্যায়ে অনেক বড় বড় নিশ্বাস নিতে লাগলো। কয়েক সেকেন্ড পর অনেক লম্বা লম্বা নিশ্বাস নিতে লাগলো। দাদী, বড় ও ছোট ফুফু বাসায় ঢুকে যখন মাকে দেখল, এরপর মা নামক মানুষটা চুপ হয়ে গেল....................................................................................।
মেজো ফুফু বুঝতে পেরে কান্না শুরু করে দিয়েছে, কিন্তু বোনেরা কুরআন শরীফে মগ্ন থাকায় বুঝতে পারেনি। পরিস্থিতি সাভাবিক রাখার জন্য তাকে অন্য রুমে পাঠাইয়া দিলাম। তাদের কান্নাকাটি দেখে বাকিরাও দৌড়ে এসে দেখে................।
কেউ বুঝতে পারছে না মারা গিয়েছে নাকি ঘুমাচ্ছে। যখন ডাক্তারের খোঁজ করছে, তখন আমাদের এলাকার হাবিব ভাইকে কল দিয়ে বললাম, ভাই! একটু দ্রুত আসেন। ছোট ভাইদেরকে পাঠাইয়া তাকে নিয়ে আসলাম।উনি বিপি দেখে বলল, আর নেই..............................। শুরু হল সবার কান্নাকাটি। কাউকেই থামানো যাচ্ছে না। বাবার চোখে পানি টলমল করতেছে আর বলছে, আমার চাইতে কি তোদের দরদ বেশী? কেউ কান্নাকাটি করবি না। মুর্দার কষ্ট হবে। এম্বুলেন্সওয়ালা কলা দিয়ে বলল, আমরা আসছি, বাবা বলল, যাকে নেয়ার জন্য আসছেন, সে আর নেই। ফজরের আগেই মাকে নিয়ে বের হয়ে গেলাম নোয়াখালীর উদ্দেশ্যে। বাড়িতে গোছল দিয়ে আত্নীয়-স্বজনরা দেখে নিচ্ছে শেষ বারের মত। আর আমি অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছি মায়ের দিকে। কারণ এই মানুষটা ছাড়া আমার সাথে মনের যত কথা বলার মত ফ্যামিলিতে আর কেউ ছিল না। জানাজা নামাজ শেষে দাফন করার জন্য নিজের কাধে করে নিয়ে চললাম কবরস্থানে। কবরে আমি, ছোট ভাই, বড় ভাই, নামলাম। আমাদের পূর্বের অভিজ্ঞতা না থাকার কারণে বেশিক্ষণ থাকতে পারলাম না। পরে মামারা নেমে ভাল করে বাঁশ ও কলাপাতা দিয়ে দেয়। দাফন শেষে দোয়া করলাম, তারপর সবাই যার যার মতে করে চলে গেল। আল্লাহতো তার বান্দিকে নিয়ে গেছে আর আমি হয়ে গেলাম সবার কাছে দোষী।
Photo click: Sk Shakib

#দ্বিতীয়_পর্বে_আসছে_
আত্নীয়-স্বজনদেরও চিনা হলো।

শোক সংবাদ!অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের চেয়ারম্যান,দারুল উলুম নদওয়াতুল উলামার চ্যান্সেলার,বিশ্ববিখ্যাত আলেমেদ্বী...
13/04/2023

শোক সংবাদ!
অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের চেয়ারম্যান,দারুল উলুম নদওয়াতুল উলামার চ্যান্সেলার,বিশ্ববিখ্যাত আলেমেদ্বীন মাওলানা রাবে হাসান নদভী ইন্তেকাল করেছেন।
ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

12/04/2023

আত্মমর্যাদাবোধসম্পন্ন পুরুষ বেগানা নারীর সাথে তর্কে জড়ায় না। আত্মসম্ভ্রমবোধসম্পন্ন নারী কখনো বেগানা পুরুষের সাথে তর্কে জড়ায় না।

আলহামদুলিল্লাহ, এইমাত্র ফলাফল প্রকাশ রাত ১২.০৫ মিনিট। দুবাই আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগীতায় বাংলাদেশের গৌরব কওমী ম...
04/04/2023

আলহামদুলিল্লাহ, এইমাত্র ফলাফল প্রকাশ রাত ১২.০৫ মিনিট। দুবাই আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগীতায় বাংলাদেশের গৌরব কওমী মাদ্রাসার উজ্জ্বল নক্ষত্র হাফেজ সালেহ আহমদ তাকরীম ভাই ১ম স্থান অর্জন করেছে।

ইন্না-লিল্লাহগুলিস্তান ফুলবাড়ীয়া বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী বঙ্গ মার্কেটে ভয়াবহ আগুন লেগেছে হাজার হাজার মানুষের স্বপ্ন শেষ...
04/04/2023

ইন্না-লিল্লাহগুলিস্তান ফুলবাড়ীয়া বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী বঙ্গ মার্কেটে ভয়াবহ আগুন লেগেছে হাজার হাজার মানুষের স্বপ্ন শেষ 😭
ঈদের মৌসুম এখন ব্যবসায়ীদের ভরপুর ব্যবসার সময় ঠিক এই সময়টা এমন একটা দুর্ঘটনা আসলে হাজার হাজার পরিবার নিঃশেষ হয়ে যাবে। মহান আল্লাহ নিজ কুদরত সবাইকে হেফাজত করেন আমিন 🤲
যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন সবাইকে ধৈর্য ধারণ করার তৌফিক দান করেন দ্রুত রিকভারের ব্যবস্থা করে দেন আমিন 🤲
সময় আজ সকাল ৬ টা বাজে ০৪/০৪/২০২৩

01/03/2023

...................................আজকের হাদিস..............

৬৬- প্রতিবেশীকে কষ্ট দিবে না

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، قَالَ‏:‏ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ، قَالَ‏:‏ حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، قَالَ‏:‏ حَدَّثَنَا أَبُو يَحْيَى مَوْلَى جَعْدَةَ بْنِ هُبَيْرَةَ قَالَ‏:‏ سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ يَقُولُ‏:‏ قِيلَ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم‏:‏ يَا رَسُولَ اللهِ، إِنَّ فُلاَنَةً تَقُومُ اللَّيْلَ وَتَصُومُ النَّهَارَ، وَتَفْعَلُ، وَتَصَّدَّقُ، وَتُؤْذِي جِيرَانَهَا بِلِسَانِهَا‏؟‏ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم‏:‏ لاَ خَيْرَ فِيهَا، هِيَ مِنْ أَهْلِ النَّارِ، قَالُوا‏:‏ وَفُلاَنَةٌ تُصَلِّي الْمَكْتُوبَةَ، وَتَصَّدَّقُ بِأَثْوَارٍ، وَلاَ تُؤْذِي أَحَدًا‏؟‏ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم‏:‏ هِيَ مِنْ أَهْلِ الْجَنَّةِ‏.‏

হযরত আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলা হইবে যে, ইয়া রাসূলাল্লাহু ! অমুক নারী সারা রাত নফল নামায পড়ে এবং সারা দিন নফল রােযা রাখে, আমল করে এবং সাদাকা-খয়রাত করে এবং সাথে সাথে প্রতিবেশীদিগকে মুখে পীড়া দেয়। তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ফরমাইলেন ঃ তাহার মধ্যে কোন মঙ্গল নাই, সে জাহান্নামী। উপস্থিত সাহাবীগণ তখন বলিলেন ঃ আর অমুক নারী নামায আদায় করে এবং বস্তু দান করে; কিন্তু কাহাকেও পীড়া দেয় না। তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ফরমাইলেনঃ সে বেহেশতী। - (আল আদাবুল মুফরাদ - হাদিস নং: ১২১)

হজ যদিও মুসলমানদের জন্যে পবিত্র বিধান; কিন্তু বাংলাদেশ বিমান ও বাংলাদেশ সরকারের জন্যে এটি ছিল সোনার ডিমপাড়া হাস। যেই বিম...
28/02/2023

হজ যদিও মুসলমানদের জন্যে পবিত্র বিধান; কিন্তু বাংলাদেশ বিমান ও বাংলাদেশ সরকারের জন্যে এটি ছিল সোনার ডিমপাড়া হাস। যেই বিমান সারাবছর লস করে বেড়ায়, তাদের সেই লসের অনেকটাই পুষিয়ে দেয় এই হজ। কিন্তু অতিরিক্ত লোভের কবলে পড়ে সেই হাসটাকে এ বছর চেপে ধরে প্রায় মেরে ফেলা হয়েছে। যার কারণে এ বছর এখন পর্যন্ত মাত্র ২৫ হাজার হাজি নিবন্ধন করেছেন। অর্থাৎ বিগত বছরগুলোর তুলনায় যা অনেক কম।
এ বছর বাসা ভাড়া ধরা হয়েছে, ২ লক্ষ ৫ হাজারের মতো। যারা হজে গিয়েছেন, তারা নিশ্চয়ই দেখেছেন যে, বাংলাদেশি হাজিদেরকে থাকার জন্যে মক্কা-মদিনায় যেসব রুম দেওয়া হয়, সেগুলোকে হোটেল বললে হোটেল শব্দের অপমান হবে। এগুলোকে পুরাতন ঢাকার ‘মেস’ বলা যায়। সংকীর্ণ গলির ভেতরে ঘুপচি হোটেল। তার ভেতরে ছোট্ট রুমে গাদাগাদি করে হাজিদের থাকতে হয়। সেই রুমে একটা লোহার চৌকিই আপনার বাসস্থান। এই চৌকির উপরেই ঘুমাবেন, এর উপরেই খাবেন।
ঠিক কবর সাইজের একটি চৌকিই যদি আপনার বাসস্থান হয়, আর তার ওপর প্রায় ৪০ দিন অবস্থান বাবদ যদি ২লক্ষাধিক টাকা ভাড়া গুনতে হয়, তাহলে এর অর্থ দাঁড়ায়- একটা চৌকিতে শুধু একরাত ঘুমানোর জন্যে প্রতিরাতে আপনাকে পাঁচ হাজার প্লাস টাকা ভাড়া গুনতে হচ্ছে।
এরচেয়ে বড় জুলুম আর হতে পারে না।
ঢাকা টু জেদ্দা ফ্লাইটের সারা বছর যেই দাম থাকে, হজের সময় এলে তার ভাড়া ডবল হয়ে যায়। কী অবাক কাণ্ড! সারা পৃথিবীতে এভাবে নির্দিষ্ট উপলক্ষ্যে বিমানভাড়া দ্বিগুণ-ত্রিগুণ হয়ে যাওয়ার কোনো নজির নেই। কিন্তু হাজিদের ধর্মীয় ভাবাবেগকে পুঁজি করে বিভিন্ন এয়ারলাইন্স এভাবে মনোপলি বিজনেস করে যাচ্ছে।
হজ ও উমরার সফরে তেমন একটা পার্থক্য নেই। অতিরিক্ত বলতে আরাফা-মুযদালিফায় অবস্থান আর কুরবানি। যার জন্যে বড়জোর ২০/৩০ হাজার টাকা বেশি খরচ হওয়ার কথা। অথচ আপনি এখন দেড়লাখ টাকায় উমরা করে আসতে পারলেও হজ করার জন্যে ৭ লাখ টাকা খরচ করতে হবে। কী অবাক কাণ্ড!
হজ ইসলামের অন্যান্য বিধানের জন্যে নিঃশর্ত নয়। হজ ফরয হওয়ার জন্যে যাতায়াত ভাড়া বহনের আর্থিক সঙ্গতিও থাকতে হয়।
বাংলাদেশের মতো গরিব রাষ্ট্রের জনগণের জীবন নির্বাহ করা যেখানে কষ্টকর, সেখানে সারা জীবন কষ্ট করে ৭/৮ লাখ টাকা সঞ্চয় করা চাট্টিখানি বিষয় নয়। তিন-চার লাখ টাকা জোগাড় করতেই তো অনেকের জীবনীশক্তি নিঃশেষ হয়ে যায়। প্রিয়রাসুলের প্রতি ভালোবাসা আর ইসলামের স্মৃতিবিজড়িত মক্কা-মদিনার প্রতি গভীর ভালোবাসা থেকেই মানুষ হন্যে হয়ে হজ-উমরায় ছুটে যায়।
বাংলাদেশ ও সৌদি আরব, উভয় রাষ্ট্রের কর্ণধারদের কাছে আবেদন থাকবে যে, আপনারা অসহায় জনগণের সেই আবেগ নিয়ে এভাবে খেলতে যাবেন না। যে করেই হোক, হজের সফরের ব্যয়ভার কমিয়ে আনুন। প্রয়োজনে ভর্তুকি দিন। কিন্তু প্লিজ, হজের মতো আবেগঘন বিধানকে আপনাদের একচেটিয়া ব্যবসার হাতিয়ার বানাবেন না।

@100008123536108

একটি মধ্যবিত্ত পরিবারের মিনিমাম মাসিক খরচের তালিকা: ১। চাউল ১ বস্তা = ৩৫০০/-২। তৈল ৫ লিটার = ১০০০/-৩। বাসা ভাড়া      = ১...
20/02/2023

একটি মধ্যবিত্ত পরিবারের মিনিমাম
মাসিক খরচের তালিকা:
১। চাউল ১ বস্তা = ৩৫০০/-
২। তৈল ৫ লিটার = ১০০০/-
৩। বাসা ভাড়া = ১৫০০০/-
৪। তরকারী =৩৫০০/-
৫। মাছ =৫০০০/-
৬।গ্যাস সিলিন্ডার = ১৮০০/-
৭।প্রসাধনী = ১০০০/-
৮।মুদি বাজার =৫০০০/-
৮। বিদ্যুৎ বিল = ২০০০/-
৯।মোবাইল খরচ = ১০০০/-
------------------------------------------------
সর্বমোট = ৩৮,৮০০/-
সাথে বাচ্চাদের পড়াশুনা, চিকিৎসা খরচ, যাতায়াত একটা খরচ আরও কিছু নাই বা বললাম।।
যাদের বেতন ১৫০০০
যাদের বেতন ২০০০০
যাদের বেতন ২৫০০০
যাদের বেতন ৩০০০০
যাদের বেতন ৩৫০০০
কি করবে তারা???
হাত খরচ, যাতায়াত খরচ বাদ দিলাম।। 🥲
দাবি আমাদের একটাই
""নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম কমান""
দেশ বাচাঁন, দেশের মানুষ বাচাঁন!!""
#এক মধ্যবিত্ত পরিবারের (নিজ) বাস্তব জীবনের সত্য কথা।
# সংগৃহীত পোস্ট

স্নেহ-ভালোবাসা পাওয়া ছোটদের অধিকার..............................................................................শিশু-কিশ...
19/02/2023

স্নেহ-ভালোবাসা পাওয়া ছোটদের অধিকার..............................................................................

শিশু-কিশোরদের মন খুবই সরল, কোমল ও পবিত্র। মহানবি (সা.) শিশুদের মনপ্রাণ দিয়ে ভালোবাসতেন। যে কোনো শিশুকে তিনি নিজের সন্তানের ন্যায় আদর-সোহাগ করতেন। শিশুদের কোনো ধরনের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন না করে তাদের সঙ্গে সব সময় ভালো ব্যবহারের মাধ্যমে ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষা দানের কথা উল্লেখ করেছেন তিনি। বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আমাদের ছোটদের প্রতি স্নেহ প্রদর্শন করে না এবং বড়দের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে না, সে আমাদের কেউ নয়।’ (আত-তিরমিজি, হাদিস নং : ১৮৪২, খণ্ড ৭, পৃষ্ঠা ১৫৫)

একবার আকরা ইবনে হাবিস (রা.) রাসুলুল্লাহর (সা.) কাছে এসে দেখতে পেলেন, তিনি তাঁর দুই নাতি ইমাম হাসান ও হুসাইনকে চুমু দিচ্ছেন। তিনি নবিজিকে (সা.) বললেন, আপনি আপনার মেয়ের ছেলেদের চুমু দিচ্ছেন? আল্লাহর শপথ, আমার দশ দশটি সন্তান রয়েছে, এদের কাউকেই আমি কোনো দিন চুমু দেইনি। তখন রাসুলুল্লাহ (সা.) তাকে বললেন, ‘আল্লাহ তোমার অন্তর থেকে রহমত ছিনিয়ে নিয়েছেন, তাতে আমার কী দোষ?’ (সহিহ বুখারি :৫৫৩৯, খণ্ড : ১৮, পৃষ্ঠা :৪০৪)

মক্কা বিজয়ের পর রাসুলুল্লাহ (সা.) যখন বিজয়ী বেশে মক্কা নগরীতে প্রবেশ করেন, তখন উটের ওপর তাঁর সঙ্গে ছিল এক শিশু এবং এক কিশোর। শিশুটি ছিল রাসুলুল্লাহর (সা.) বড় মেয়ে জয়নবের (রা.) শিশুপুত্র আলী (রা.) ও কিশোরটি ছিল উসামা (রা.)। নবি নন্দিনী ফাতিমার (রা.) শিশুপুত্র হাসান ও হুসাইনকে (রা.) রাসুলুল্লাহ (সা.) যে কত গভীর ভালোবাসতেন, ইতিহাসে এর বহু ঘটনা উল্লেখ আছে। রাসুলুল্লাহর (সা.) এ শিশুপ্রীতি কেবল নিজ পরিবারের বা অতি প্রিয় সাহাবিদের শিশুর মাঝেই সীমাবদ্ধ ছিল না; বরং সব শিশুর ব্যাপারেই তাঁর ছিল সমান দরদ। নবিজি (সা.) শিশুদের কান্না শুনতে পেলে নামাজ সংক্ষিপ্ত করতেন এবং বলতেন, ‘আমি নামাজ দীর্ঘায়িত করার ইচ্ছায় দাঁড়াতাম; কিন্তু যখন কোনো শিশুর কান্না শুনতাম, তখন সংক্ষিপ্ত করতাম..।’ (সহিহ বুখারি :৮২১, খণ্ড :৩, পৃষ্ঠা :৩৭৭)

মহানবি (সা.) শিশুদের গভীরভাবে ভালোবাসতেন, যে কোনো শিশু পেলে তাকে জড়িয়ে ধরতেন ও আদর-স্নেহ করতেন। তিনি মুসলিম-অমুসলিম সব শিশুকেই ভালোবাসতেন। ইরশাদ করেছেন, ‘প্রতিটি নবজাতকই জন্মলাভ করে ফিতরাতের উপর। এরপর তার মা-বাপ তাকে ইয়াহুদি বা খ্রিস্টান বা অগ্নিপূজারি রূপে গড়ে তোলে।’ (সহিহ বুখারি : ৪৪০, খন্ড ২, অধ্যায় ২৩)

অতএব, ছোটদের প্রতি বড়দের প্রথম করণীয় হলো তাদের স্নেহ করা। কথায় কথায় তাদের ধমক দেওয়া ও তিরস্কার করা উচিত নয়। ছোটদের ভুলত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখা উচিত। প্রথম পর্যায়ে দু’একবার নম্রভাবে বুঝিয়ে দেওয়ার পর তাতে কাজ না হলে তখন কঠোরতা গ্রহণ করলে অসুবিধা নেই।

ছোটদের সাধ্যের বাইরে তাদের কাছ থেকে কাজ নেওয়া যাবে না। তাদের আরাম, নিদ্রা প্রভৃতির প্রতিও খেয়াল করা চাই।
কখনো ছোটদের প্রতি অতিরিক্ত রাগ বা ক্ষোভ প্রকাশ করলে বা শাসন করলে পরবর্তী সময়ে তাদের মন খুশি করে দেওয়া দরকার। তবে কোনো শিশুকে এতটা নৈকট্য প্রদান করবে না বা এতটা প্রশ্রয় দেবে না, যাতে সে মাথায় চড়ে যায়।
ছোটদেরও সত্য কথা বলার অধিকার রয়েছে, কাজেই ছোটদের কেউ কোনো ন্যায়ের কথা বললে তাকে খারাপ মনে করার অবকাশ নেই। অবশ্য আদব রক্ষা করে না বললে তার জন্য স্বতন্ত্র উপদেশ দেওয়া যেতে পারে।
ছোটদের হেয় করা যাবে না। কেননা, ছোট হওয়া সত্ত্বেও তার মধ্যে এমন কোনো বৈশিষ্ট্য থাকতে পারে, যা তার (বড়দের) মধ্যে নেই।
নিজেরা শরিয়তসম্মত কাজ করে ছোটদের জন্য শিষ্টাচারের মডেল হতে হবে।
ছোটরা যদি অধীনস্থ হয়, তাহলে তাকে শরিয়ত মোতাবেক গড়ে তোলা এবং পরিচালনা করা বড়দের দায়িত্ব।

18/02/2023

..............................আজকের হাদিস.........................
..............................ফিতনার বিবরণ..........................

عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " يَأْتِي عَلَى النَّاسِ زَمَانٌ يَخْتَلِفُونَ إِلَى الْقُبُورِ، فَيَضَعُونَ بُطُونَهُمْ عَلَيْهِ، وَيَقُولُونَ: وَدِدْنَا لَوْ كُنَّا صَاحِبَ هَذَا الْقَبْرِ، قِيلَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، وَكَيْفَ يَكُونُ؟ قَالَ: لِشِدَّةِ الزَّمَانِ وَكَثْرَةِ الْبَلَايَا وَالْفِتَنِ "

হযরত আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: মানুষের উপর এমন একটি যুগ বা সময় আগমণ করবে যে, অসংখ্য লোক কবরে যাতায়াত করবে, কবরের উপর স্বীয় পেট রাখবে এবং বলবে, হায়! আমি যদি এ কবরবাসীর স্থানে হতাম। জিজ্ঞাসা করা হলো, হে আল্লাহর রাসূল! এরূপ কেন হবে? হুযূর (ﷺ) তখন বলেন যমানার ভয়াবহতা এবং বিপদ-আপদ ও বিশৃংখলার আধিক্যের কারণে এরূপ হবে। - (মুসনাদে আবু হানিফা রহঃ - হাদিস নং: ৪৯৯)

10/02/2023

হৃদয় জুড়ানো সূরা মূলক | Surah Mulk | Recitation Of Quran Like Mishary Rashid Alafasy | Quran Tilawat

29/10/2022

اَلۡحَمۡدُ لِلّٰہِ رَبِّ الۡعٰلَمِیۡنَ ۙ

সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর, যিনি জগতসমূহের প্রতিপালক।

অদ-ভুত না?
27/10/2022

অদ-ভুত না?

Address

Kamrangir Char, Dhaka
Kamrangir Char
1211

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when HBM. TV posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to HBM. TV:

Videos

Share

Category

Nearby media companies