ঢাকার হালচাল - Dhakar Halchal

  • Home
  • Dhaka
  • ঢাকার হালচাল - Dhakar Halchal

ঢাকার হালচাল - Dhakar Halchal রাজধানী ঢাকার প্রতিদিনের তরতাজা খবর! রাজধানী ঢাকার প্রতিদিনের তরতাজা খবর এবং ভিডিও পাবেন এ পাতায়। তাই খবর জানতে আমাদের সাথে থাকুন।
(13)

25/11/2024

পুরান ঢাকায় ভন্ডামি নেই কেন ?
ইমাম সমাজ বাংলাদেশের উদ্যোগে পুরান ঢাকার ঐতিহাসিক চকবাজার শাহী জামে মসজিদ চত্বরে গত ২২-২৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিত আযমতে রেসালাত মহাসম্মেলনের প্রথম দিন আলোচনা করছেন রাজধানী ঢাকার বঙ্গবাজারস্থ কেন্দ্রীয় পশু হাসপাতাল জামে মসজিদের খতিব,দেশের ঐতিহ্যবাহী বড় কাটারা মাদ্রাসার মুহাদ্দিস, ইমাম সমাজ বাংলাদেশ বংশাল জোন শাখার সাধারণ সম্পাদক.গাজীপুর জেলার কৃতিসন্তান,প্রতিবাদী কন্ঠস্বর,তরুণ আলেম সমাজের অহংকার,নাস্তিক,মুরতাদ,বাতেল ফেরকা,পীর পূজারী,মাজার পুজারী,মূর্তি পুজারী,দেওয়ানবাগী,কুতুববাগী,আরামবাগী,আটরশি,মাইজ ভান্ডারী,গাঁজা বাবা,দয়াল বাবা লেংটা বাবা,বদনা বাবা,ছালা বাবা,হজ¦ বাবা,তালা বাবা,ও হুক্কা বাবা সহ সকল ইসলাম বিরোধী অপশক্তি গোষ্ঠীর মূর্তিমান আতংক আলহাজ¦ হযরত মাওলানা মুফতী মীর মুহাম্মদ হেদায়েতুল্লাহ গাজী ।

25/11/2024

প্রথম আলো-ডেইলি ষ্টার পত্রিকা কেন বয়কট করতে হবে ?
ইমাম সমাজ বাংলাদেশের উদ্যোগে পুরান ঢাকার ঐতিহাসিক চকবাজার শাহী জামে মসজিদ চত্বরে গত ২২-২৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিত আযমতে রেসালাত মহাসম্মেলনের প্রথম দিন আলোচনা করছেন সারা বাংলার আলোচিত বক্তা ও নবাবগঞ্জ বড় মসজিদের খতিব হযরত মাওলানা জুনায়েদ কাসেমী।

25/11/2024

লালবাগের ত্রাস বিলকিস বানুর বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীরা ফুঁসে উঠেছে !
বিদ্যালয়ে ত্রাস সৃষ্টি করে আসা জনৈকা বিলকিস বানুর উপযুক্ত শাস্তির দাবীতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠা লালবাগ সরকারি মডেল স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা ক্লাস এবং পরীক্ষা বর্জন করে আন্দোলনে নেমে পড়ে। গত ২৪ শে নভেম্বর দুপুর বেলায় শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করেন। এ সময় শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও স্থানীয় সাবেক কমিশনার আলহাজ¦ মোশাররফ হোসেন খোকন।


24/11/2024

খুনি হাসিনা কোথায় গেছে ?
ইমাম সমাজ বাংলাদেশের উদ্যোগে পুরান ঢাকার ঐতিহাসিক চকবাজার শাহী জামে মসজিদ চত্বরে গত ২২-২৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিত আযমতে রেসালাত মহাসম্মেলনের শেষ দিন আলোচনা করছেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের সাবেক সিনিয়র পেশ ইমাম.ইমাম সমাজ বাংলাদেশের সভাপতি ও প্রখ্যাত ক্বারী আলহাজ¦ হাফেজ মাওলানা আবুল হুসাইন।

24/11/2024

লালবাগ সরকারি মডেল স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা কেন আন্দোলন করছেন ?
বিদ্যালয়ে ত্রাস সৃষ্টি করে আসা জনৈকা বিলকিস বানুর উপযুক্ত শাস্তির দাবীতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠা লালবাগ সরকারি মডেল স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা ক্লাস এবং পরীক্ষা বর্জন করে আন্দোলনে নেমে পড়ে। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ঘোষণা দিয়েছেন ত্রাস সৃষ্টি করা বিলকিস বানুর উপযুক্ত শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত তারা ক্লাসে ফিরে যাবেন না। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সমর্থন জানিয়েছেন শিক্ষকবৃন্দ এবং বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা স্থানীয় সাবেক কমিশনার আলহাজ¦ মোশাররফ হোসেন খোকন। গত ২৪ শে নভেম্বর দুপুর বেলায় শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করেন। এ সময় শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা স্থানীয় সাবেক কমিশনার আলহাজ¦ মোশাররফ হোসেন খোকন।


ইলিয়াছ আহমদ বাবুল.এডমিন.ঢাকার হালচালঢাকা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক আইন প্রতিমন্ত্রী পরবর্তীতে খাদ্যমন্ত্রী বনে যা...
21/11/2024

ইলিয়াছ আহমদ বাবুল.এডমিন.ঢাকার হালচাল

ঢাকা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক আইন প্রতিমন্ত্রী পরবর্তীতে খাদ্যমন্ত্রী বনে যাওয়া গমরুলের নির্দেশে স্থানীয় আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী একটি অংশ কামরাঙ্গীরচরের ৩শ বছরের পুরনো সরকারি প্রাকৃতিক জলাধারটি ২০১২ সালের জানুয়ারী মাসে ড্রেজার লাগিয়ে বুড়িগঙ্গার উত্তোলনকৃত বর্জ্য দিয়ে প্রকাশ্যে ভরাট করে। পরে তা প্লট আকারে বিক্রি করার পর সেখানে পর্যায়ক্রমে ঘর-বাড়ী এবং স্থাপনা গড়ে উঠে। এহেন অবস্থায় জলাশয়ের জমি বিক্রি করা টাকার ভাগবাটোয়ারা নিয়ে দ্ব›দ্ব তৈরি হলে আওয়ামী লীগের অপর একটি অংশ ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এবং রাতের আধাঁরে তারা গড়ে উঠা স্থাপনা গুলো গুঁড়িয়ে দেয়। পরে জনসমর্থন ধরে রাখতে গমরুল সেখানে কেন্দ্রীয় ঈদগাহ গড়ে তুলতে বাধ্য হয়।

জানা গেছে,কামরাঙ্গীরচর মাদবর বাজার প্রাইমারী স্কুলের পিছনে চরকামরাঙ্গী মৌজার সিএস ও এস.এ. দাগের ১ নং খাস খতিয়ানে ১.৪০ একর আয়তন বিশিষ্ট একটি প্রাকৃতিক জলাধার ছিল। যার আনুমানিক বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ১০০ কোট টাকা। এই জলাধারটি ঐ এলাকার ১০-১২ লাখ মানুষের পয়ঃনিষ্কাশনের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছিল।
২০০৯ সালে স্থানীয় গমরুল বাহিনী জাল দলিল সৃজন করে জলাশয়টি ভরাট করার জন্য তৎপর হয়ে উঠলে মনির চেয়ারম্যান সরকারি সম্পত্তি রক্ষার জন্য গমরুল বাহিনীল বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন যা বর্তমানে বিচারাধীন। এছাড়াও তিনি তখন জলাধারটি রক্ষার জন্য গমরুল বাহিনীর জাল দলিল বাতিলের জন্য সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) ধানমন্ডি সার্কেল বরাবরে মিস কেইস মামলা নংÑ ৬৭/২০০৫ দায়ের করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) ধানমন্ডি সার্কেল গমরুল বাহিনীর জাল দলিল বাতিল করে উক্ত প্রাকৃতিক জলাধারটি পুনরায় ১ নং খাস খতিয়ানে অন্তর্ভুক্ত করেন। ৩শ’ বছরের এই জলাধারটি ভরাটকে কেন্দ্র করে গত এক যুগে ৩ জন খুন হয়। এরা হচ্ছেন মিজান মেম্বার,প্রতিবন্ধী ওপর আলী ও কিশোর হাসান। মিজান মেম্বারের চেম্বারে গুলি বর্ষণ করা হয় মনির চেয়ারম্যানের ওপর। তার শরীরে ৭টি গুলি বিদ্ধ হয়। বিদেশে চিকিৎসা করার পর সুস্থ্য হয়ে দেশে ফিরলেও যন্ত্রণা এখানো বয়ে বেড়াচ্ছেন।

ইলিয়াছ আহমদ বাবুল.এডমিন.ঢাকার হালচালনাজিমুদ্দিন রোডের কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বের হয়েই পিতা মরহুম হাজী আনসার আলীর লাশ কাঁ...
21/11/2024

ইলিয়াছ আহমদ বাবুল.এডমিন.ঢাকার হালচাল

নাজিমুদ্দিন রোডের কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বের হয়েই পিতা মরহুম হাজী আনসার আলীর লাশ কাঁধে নিয়ে নিজামবাগের বাড়ীর দিকে আসছেন কামরাঙ্গীরচর সুলতান ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হাজী মনির হোসেন। পরে পিতার জানাজার নামাজ চেয়ারম্যান নিজেই পড়ান।
২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় পর মনির চেয়ারম্যানকে আওয়ামী লীগে যোগদান করতে বলেন গমরুল। এতে চেয়ারম্যান রাজি না হওয়ায় গমরুল ক্ষেপে যান। পরে মনির চেয়ারম্যান শহর থেকে কামরাঙ্গীরচরে আসার পথে লোহার ব্রিজের ঢালে গমরুল বাহিনী তার ওপর হামলা চালায়।

গমরুল বাহিনীর গুলিতেই সে সময় লোহার ব্রিজের ঢালে থাকা কাঠের দোকানে কর্মচারী হাসান মারা যায়। চেয়ারম্যান আত্মরক্ষার্থে নিজামবাগের গ্যারেজে পাজেরো গাড়ী রেখে কেরানীগঞ্জে চলে যান। গমরুল বাহিনী সেখানেও হামলা চালায়। চেয়ারম্যানকে না পেয়ে তার পাজেরো গাড়ী এবং গ্যারেজে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ ঘটনায় কামরাঙ্গীরচর থানায় গমরুল বাহিনীর বিরুদ্ধে মামলা না হলেও চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে হাসান হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। সেই হত্যা মামলায় চেয়ারম্যান ৫ বছর ৩ মাস ১৩ দিন জেল খাটেন।

একসময় ঢাকা সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে দাঁড়িয়ে শোচনীয় পরাজয় বরণ করেন অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। তবে এর প্রায় দেড় ...
20/11/2024

একসময় ঢাকা সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে দাঁড়িয়ে শোচনীয় পরাজয় বরণ করেন অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। তবে এর প্রায় দেড় দশক পর এই কামরুলই আওয়ামী লীগের মনোনয়নে টানা চারবার এমপি ও দুই মেয়াদে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। এমপি-মন্ত্রী হয়েই বেপরোয়া দুর্নীতি ও অনিয়মে জড়ান তিনি। গত ১৫ বছরে দুর্নীতি-লুটপাটের মাধ্যমে বিপুল অর্থসম্পদের মালিক বনে যান। তাঁর নিজের নামে রাজধানীতে রয়েছে একাধিক বাড়ি, ফ্ল্যাট ও বেশ কয়েক কাঠা জমি। নিজ নামে ও সন্তানদের নামে দেশ-বিদেশে গড়েছেন অঢেল সম্পদের পাহাড়ও। পাচার করেছেন বিপুল অর্থ।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে আত্মগোপনে ছিলেন সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এই সদস্য। গত সোমবার রাতে রাজধানীর উত্তরা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের টানা সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে যে কয়েকজন বেপরোয়া এমপি-মন্ত্রী ছিলেন, তাদের অন্যতম এই কামরুল। তিনি এতটাই বেপরোয়া ছিলেন, প্রায় সময়ই তাঁর ঔদ্ধত্যপূর্ণ ও বেপরোয়া বক্তব্য এবং অতিকথন জনমনে বিরক্তি তৈরি করেছে। বিরোধী দল ও মত দমনের ‘মহাস্ত্র’ হিসেবে কাজ করার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। আইন প্রতিমন্ত্রী থাকাকালে নিম্ন আদালতে অধিকাংশ কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতি-অনিয়মের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা ঘুষ নিতেন। আবার খাদ্যমন্ত্রী থাকাকালে ব্রাজিল থেকে ‘পচা গম’ কিনে আত্মসাৎ করেন সরকারের কয়েকশ কোটি টাকা। সেই সময় তাঁর নামকে বিকৃত করে ‘গমরুল’ উপাধি দেওয়া হয়।
এ ছাড়া ক্ষমতায় থাকতে বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুম ও মামলা-হামলায় ইন্ধনের অভিযোগও ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। মন্ত্রী-এমপি হয়েই হঠাৎ তাঁর নামের আগে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ লেখা নিয়েও রয়েছে গুরুতর প্রশ্ন।
যেভাবে উত্থান কামরুলের
১৯৬৯ সালে ছাত্রলীগ ও ১৯৯৪ সালে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যুক্ত হন তিনি। পর্যায়ক্রমে অবিভক্ত ঢাকা মহানগর শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান তিনি। সেই সময় অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের পুরান ঢাকার লালবাগ থেকে ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে দাঁড়িয়ে শোচনীয় পরাজয় ঘটে।
ওয়ান-ইলেভেনের সময় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা গ্রেপ্তার হলে সুচতুর কামরুল অনেকটা ‘কৌশলী ভূমিকা’ নিয়ে দলীয় নীতিনির্ধারক নেতাদের নজরে আসেন। বিশেষ করে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলার হাজিরার দিনগুলোতে আদালতে হাজির হয়ে দলীয় প্রধানের বিশেষ দৃষ্টি কাড়েন। এতেই তাঁর কপাল খুলে যায়। ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে ঢাকা-২ আসন থেকে তিনি দলীয় মনোনয়ন পেয়ে যান। অবশ্য দলীয় প্রার্থী ঘোষণার দিন শেখ হাসিনার ধানমন্ডির বাসভবন সুধাসদনের সামনে ‘বিতর্কিত কাউকে কাউকে দলীয় মনোনয়ন পাইয়ে দেওয়ার’ অভিযোগে দলীয় নেতাকর্মীর হাতে চরম লাঞ্ছিত হন কামরুল।
২০০৮ সালের নির্বাচনে ঢাকা-২ আসনে জিতে আওয়ামী লীগ সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ প্রতিমন্ত্রী এবং ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে খাদ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পান তিনি। পরে ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনেও অনায়াসে জিতে যান। এই সময় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদে প্রথমে সদস্য ও পরে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হলে দলের মধ্যে তাঁর প্রভাব আরও বেড়ে যায়।
আইন প্রতিমন্ত্রী হয়েই দুর্নীতি-লুটপাট
২০০৯-১৪ মেয়াদে কামরুল যখন আইন প্রতিমন্ত্রী, তখন আইনমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ। সে সময় সাব-রেজিস্ট্রার নিয়োগ-বদলি, সরকারি পিপি-জিপি নিয়োগ ও কাজি নিয়োগ, বদলি এবং পদোন্নতি সবই হয়েছে কামরুলের কথায়। সাব-রেজিস্ট্রারদের দুর্নীতিরোধে মন্ত্রী ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও প্রতিমন্ত্রীর কারণে কার্যকর করতে পারেননি। এ নিয়ে একাধিকবার উষ্মা প্রকাশ করেন শফিক আহমেদ। এ ছাড়া আইন প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনকালে সরকার গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, বিচার বিভাগ ও উচ্চ আদালতের কো-অর্ডিনেটর হিসেবে কাজ করেছেন। সে সময় যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে নানা বিতর্কিত মন্তব্যে সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি।
কামরুল থেকে ‘গমরুল’
২০১৪ সালের নির্বাচনে জিতে আওয়ামী লীগ সরকারের পূর্ণমন্ত্রী ও খাদ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়ে আরও বেপরোয়া হয়ে পড়েন কামরুল। সে সময় প্রায়ই নিয়োগ, বদলি ও খাদ্য আমদানিসহ নানা কাজে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে।
২০১৫ সালের জুনে ব্রাজিল থেকে ৪০০ কোটি টাকা মূল্যের দুই লাখ টন পচা গম আমদানির ঘটনায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। এই গম চট্টগ্রাম বন্দরে পরীক্ষার সময়ই গলদ ধরা পড়ায় আটকে যায়। কিন্তু খাদ্য অধিদপ্তরের নীতিনির্ধারকদের চাপে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে এসব গম ছাড় দেওয়া হয়। পরে পুলিশসহ বিভিন্ন সংস্থার রেশনের জন্য পাঠানো হলে তারাও এসব গম খাওয়ার অযোগ্য জানিয়ে ফেরত নিতে খাদ্য মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানায়। কিন্তু মন্ত্রণালয় সাড়া না দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়কে বিষয়টি জানায় পুলিশ। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশে বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের (বিসিএসআইআর) খাদ্যবিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের নমুনা পরীক্ষায় আমদানিকৃত গম নিম্নমানের বলে প্রমাণ হয়। এ নিয়ে একটি পত্রিকায় কামরুলকে নিয়ে কার্টুন প্রকাশ করলে ব্যাপক আলোচিত হয়। আর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ সব মহলে তাঁর নাম ‘গমরুল’ হিসেবে ছড়িয়ে পড়ে।
এ ছাড়া খাদ্যমন্ত্রী থাকাকালেও বিএনপিসহ বিরোধী জোটের বিরুদ্ধে নানা সময়ে তিরস্কার ও উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে কামরুল আলোচিত-সমালোচিত হয়েছেন।
যত সম্পদ এই সাবেক খাদ্যমন্ত্রীর
গত সোমবার গ্রেপ্তারের আগেই ১৪ অক্টোবর সাবেক খাদ্যমন্ত্রী ও আইন প্রতিমন্ত্রী এবং ঢাকা-২ আসনের সাবেক এমপি কামরুল ইসলামের বিরুদ্ধে তথ্যানুসন্ধানে নামে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদকের এই অনুসন্ধান ও সমকালের কাছে থাকা তথ্য বলছে, কামরুল ইসলাম নিজের এবং স্ত্রী-সন্তানদের নামে দেশে-বিদেশে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ গড়ে তুলেছেন। তার নিজ নামে রাজধানীর ৪৮/১ নম্বর আজগর লেনে চারতলা বাড়ি নির্মাণ, মিরপুর আবাসিক এলাকায় দুটি ফ্ল্যাট, নিজ নামে মিরপুর হাউজিং এস্টেটে ৪ কাঠা জমি, নিউ টাউনে ১০ কাঠা জমি এবং তার দুটি টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজার গাড়ি রয়েছে। তিনি ও তাঁর অন্য আত্মীয়স্বজনের নামে-বেনামে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে প্রচুর জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের মালিক হয়েছেন।
কামরুলের বিরুদ্ধে বিদেশে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচারের অভিযোগও দুদকের গোয়েন্দা অনুসন্ধানে প্রাথমিকভাবে প্রমাণ হয়েছে। এই কারণে দুদক তাঁর দুর্নীতির প্রকাশ্য অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানান সংস্থাটির কর্মকর্তারা।
মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় নিয়েও প্রশ্ন
২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে পরিচয় দিতে শুরু করেন কামরুল ইসলাম। তবে তাঁর এই পরিচয় নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন। উইকিপিডিয়াসহ বিভিন্ন গ্রন্থে প্রকাশিত তথ্য বলছে– মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ঢাকায় শান্তি কমিটি গঠনের অন্যতম উদ্যোক্তা ও নেজামে ইসলাম পার্টির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক হাকিম হাফেজ আজিজুল ইসলাম ছিলেন কামরুলের বড় ভাই। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তিনি তাঁর ভাইয়ের মালিকানাধীন প্রিন্টিং প্রেসে ম্যানেজার হিসেবে কাজ করতেন। সে সময় মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে ‘ইবলিশের দিনলিপি’ নামে সাপ্তাহিক বিশেষ সম্পাদকীয় প্রকাশ করতেন তিনি। যুদ্ধে অংশগ্রহণের প্রমাণও নেই। অথচ তিনি মুক্তিযোদ্ধা তালিকাভুক্ত হয়ে ভাতাও পেতেন।
নির্বাচনী হলফনামায় সম্পদ বৃদ্ধি ৫৫ গুণ
ঢাকা-২ আসনের চারবারের এমপি কামরুল গত নির্বাচনের আগে দেওয়া হলফনামায় তাঁর অর্থসম্পদের যে তথ্য দিয়েছিলেন, সেখানেই ১৫ বছরে বিপুল পরিমাণ সম্পদ ও আয় বৃদ্ধির কথা স্বীকার করেন। তাঁর চারটি নির্বাচনের হলফনামা বিশ্লেষণ করেও এমন তথ্যের সত্যতা মিলেছে।
দেখা গেছে, ২০০৮ সালে নবম জাতীয় নির্বাচনের আগে কামরুলের অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ছিল ৮ লাখ ৫৫ হাজার টাকা। ২০২৪ সালে এসে সেটা দাঁড়ায় ৪ কোটি ৬৯ লাখ ৪৭ হাজার ৪১১ টাকা। অর্থাৎ ১৫ বছরে তাঁর অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে প্রায় ৫৫ গুণ। আবার প্রথমবার এমপি হওয়ার সময় তাঁর বার্ষিক আয় ছিল ৪ লাখ ৬৫ হাজার টাকা। ২০২৪-এ এসে সেটা বেড়ে দাঁড়ায় ১ কোটি ৩১ লাখ টাকার বেশি। অর্থাৎ ১৫ বছরের ব্যবধানে তাঁর আয় বেড়েছে ২৮ গুণ। অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া, আইন পেশা, ব্যাংক সুদ, টেলিভিশনের টকশো, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা ও সংসদ সদস্য হিসেবে সম্মানি থেকে তাঁর এই আয় হয় বলে হলফনামায় উল্লেখ করেন তিনি।
প্রথমবার এমপি হওয়ার আগে কামরুলের কোনো গাড়ি ছিল না। এখন তাঁর দুটি টয়োটা ল্যান্ডক্রুজার গাড়ি রয়েছে। গত নির্বাচনের আগে দাখিল করা হলফনামায় গাড়ি দুটির দাম উল্লেখ করা হয়েছে ১ কোটি ৪৮ লাখ ৬০ হাজার ৪৬২ টাকা। এর মধ্যে একটি গাড়ির মালিক হন ২০১৮ সালের আগে, যা একাদশ সংসদ নির্বাচনের সময় হলফনামায় উল্লেখ করেছিলেন।
এ ছাড়া ১৫ বছর আগে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে কামরুলের ছিল ৩ লাখ ৮৮ হাজার টাকা আর তাঁর স্ত্রীর নামে ছিল ১০ হাজার টাকা। বর্তমানে সেটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ কোটি টাকার বেশি।
কামরুলের সাঙ্গোপাঙ্গরা এলাকাছাড়া
কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি জানান, কামরুল ইসলাম গ্রেপ্তারের আগে থেকেই তাঁর সাঙ্গোপাঙ্গরা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে স্কুলছাত্র জিহাদ হোসেন নিহত হওয়ার ঘটনায় কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় কামরুলসহ ১১৮ জন ও অজ্ঞাতপরিচয়ের আরও ১৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার পর থেকে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন সাবেক এই মন্ত্রীর সহযোগীরা।
সূত্র মতে, বিগত সরকারের সময় কামরুলের প্রভাব খাটিয়ে নির্বাচনী এলাকা কেরানীগঞ্জ, সাভার, হেমায়েতপুর, ভাকুর্তা, হেমায়েতপুর ও আমিনবাজারে আধিপত্য বিস্তার করতেন ঢাকা জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি সফিউল আযম খান বারকু, কেরানীগঞ্জ মডেল থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইউসুফ আলী চৌধুরী সেলিম, সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসেন বিপ্লব, কেরানীগঞ্জ মডেল থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মনির হোসেন মনির, শাক্তা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হাবিব, কেরানীগঞ্জ মডেল থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবু সিদ্দিক ও আইকে শাহীনসহ অনেকেই। ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর কামরুলসহ তাঁর সহযোগীরা আত্মগোপনে চলে যান।
অভিযোগ রয়েছে, কামরুলের প্রভাব খাটিয়ে এসব নেতা পৃথকভাবে উপজেলার টিআর, কাবিখা ও এডিবির কাজের ওয়ান পার্সেন্ট ভাগবাটোয়ারা করে লুটপাট, মধুসিটি হাউজিং কোম্পানি খুলে ব্যবসা, কোরবানির সময় কেরানীগঞ্জের সর্ববৃহৎ পশুর হাট হজরতপুর (পারাগ্রাম) বাজারসহ ১০-১৫টি হাট গোপনে টেন্ডার দিয়ে লুটপাট, সরকারি বরাদ্দের অর্থ লুটপাট, কালীগঙ্গা নদী থেকে সরকারি বালু উত্তোলনের নামে কোটি টাকা ভাগবাটোয়ারার অভিযোগ রয়েছে। কামরুলের পেটোয়া বাহিনীর কাছে কেরানীগঞ্জের মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছিল। সম্প্রতি পেটোয়া বাহিনীর সদস্য আবু সিদ্দিক, কামরু ইসলাম কামু ও মোহাম্মদ পিনু পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন।
আট দিনের রিমান্ডে, সালাম দেওয়ায় নাজিরের কার্যালয় ভাঙচুর
গতকাল মঙ্গলবার কামরুল ইসলামকে আট দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ১৯ জুলাই নিউমার্কেট এলাকায় ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদ নিহতের ঘটনায় এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মহানগর হাকিম আদালত।
এদিকে, দুপুরে রিমান্ড শুনানির সময় সাবেক মন্ত্রী কামরুলকে সালাম দিয়ে কুশল বিনিময়ের জেরে ঢাকা মহানগর আদালতের নাজির শাহ মামুনের কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
রিমান্ড শুনানির সময় কামরুল ইসলাম আদালতে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, হত্যার ঘটনার সময় তিনি সেখানে উপস্থিত ছিলেন না। এক পর্যায়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এই দিন দিন নয়, আরও দিন আছে। সব দিন তো একরকম যায় না। সামনে ভালো দিন আসবে।’ এ সময় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা হইচই শুরু করেন। উৎসুক কিছু আইনজীবী কামরুলকে গালাগালও করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত কামরুল ইসলামের আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ২৩৪ বছরের পুরনো ৩ কাঠা জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত বকশীবাজার জামে মসজিদটি ভেঙ্গে ফেলার নেপথ্যে ছিলেন কামর...
19/11/2024

পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ২৩৪ বছরের পুরনো ৩ কাঠা জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত বকশীবাজার জামে মসজিদটি ভেঙ্গে ফেলার নেপথ্যে ছিলেন কামরুল। রাস্তা সম্প্রসারণের নামে তার ইন্ধনে ২০২২ সালের জুন মাসে মসজিদটি ভেঙে ফেলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। মুসল্লিদের আন্দোলনের মূখে বছরখানেক পর ফের ঐ মসজিদটি নির্মাণের উদ্যোগ নেয় দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।

ঢাকা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ছিলেন গায়েবী মামলার মহানায়ক। বাকপটু কামরুল ইসলাম এলাকার ...
19/11/2024

ঢাকা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ছিলেন গায়েবী মামলার মহানায়ক। বাকপটু কামরুল ইসলাম এলাকার উন্নয়ন করতে পারুক বা না পারুক তার নির্বাচনী এলাকা থেকে বিএনপি’র নেতা-কর্মীদের তাড়াতে গায়েবী মামলা দিতেন নির্বিচারে।

ইলিয়াছ আহমদ বাবুল.এডমিন.ঢাকার হালচালকামরাঙ্গীরচরের আওয়ামী লীগ নেতা শাহজাহান সাহেবের সাক্ষাৎকারটি একটি অনলাইন পত্রিকায় প্...
19/11/2024

ইলিয়াছ আহমদ বাবুল.এডমিন.ঢাকার হালচাল

কামরাঙ্গীরচরের আওয়ামী লীগ নেতা শাহজাহান সাহেবের সাক্ষাৎকারটি একটি অনলাইন পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম তৎকালীন সময় আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। ২০১৩ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর কামরুল ইসলাম তার বাসায় ডেকে নিয়ে আমার ওপর ক্ষিপ্ত হন এবং আমাকে লাঞ্চিত করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সহ প্রায় ৫০ জন নেতা-কর্মী। আমার বিরুদ্ধে তার অভিযোগ.আমি না কি তার বিরুদ্ধে নিউজ করেছি যে.তিনি টাকার বিনিময়ে পদ দেন। যা আমি অস্বীকার করি এবং সেটা শাহজাহান সাহেবের কথা.আমার কথা নয়। তার পরেও তিনি কথা মানছিলেন না। সেখান থেকে আমি আসার পর বিচার হয় এক নেতার। সেই নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ.তিনি না কি কামরুল ইসলামকে ৩০ লাখ টাকা দিয়ে ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদ পদ নিয়েছেন।

নিম্নে প্রকাশিত প্রতিবেদনটি হুবহু দেয়া হল

আ’লীগের সুবিধাভোগী নেতা নামধারী কিছু ভূমিদস্যু-লুটেরা
কামরাঙ্গীরচরে মাদক ব্যবসায়ীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছে!

আ’লীগের সুবিধাভোগী নেতা নামধারী কিছু ভূমিদস্যু-লুটেরা কামরাঙ্গীরচরে মাদক ব্যবসায়ীদেরকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে আ’লীগের ভাবমূর্তি নষ্ট করছেন বললেন রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরের আওয়ামী রাজনীতির দূর্দিনের কান্ডারী মোঃ শাহজাহান। স্থানীয় আওয়ামী রাজনীতির অন্যতম প্রধান ত্যাগী নেতা মোঃ শাহজাহান যাঁকে বলা যায় আ’লীগের খাঁটি সোনা। কামরাঙ্গীরচর বড়গ্রাম তিন রাস্তার মোড়ে তাঁর বাড়ী,রবিবার আছরের পর তাঁর বাড়ীর সামনে দেখা হলে এই প্রতিবেদকের কাছে উপরোক্ত মন্তব্য করেন।

২ পুত্র,১ কন্যা সন্তানের জনক মোঃ শাহজাহান (৬৫) ৪৪ বছর ধরে আওয়ামী রাজনীতির সাথে ওঁতপ্রোত ভাবে জড়িত। এক সময় কামরাঙ্গীরচর সুলতানগঞ্জ ইউনিয়ণ পর্যায়ক্রমে তেজগাঁও,মোহাম্মদপুর ও লালবাগ থানার আওতাভূক্ত ছিল। তৎকালীন সময় চর এলাকায় ৩০ হাজারের মত মানুষ বাস করত,ভোটার সংখ্যা ছিল ৩ হাজারের মত। ১৯৯৮ সালে কামরাঙ্গীরচরকে থানায় রূপান্তর করা হয়।
১৯৭০ সালে মোঃ শাহজাহান সুলতানগঞ্জ ইউনিয়ণের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং ১৯৮০ সালে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ১৯৮৮ সাল থেকে ২০১৪ সালের ৮ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত আ’লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। এই ৪৪ বছরের রাজনৈতিক জীবনে ২ বার তাঁকে জেলে যেতে হয়েছে।

২০০৪ সালের ২১ আগষ্টের গ্রেনেড হামলার সময় তিঁনি ঘটনাস্থলে ছিলেন। সেদিন নিজের চোখে দেখেছেন স্বরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার দৃশ্য। তাঁর পাশে থাকা ইসলামবাগের আ’লীগ নেতা হাজী সিরাজুল ইসলাম রাডো,কামরাঙ্গীরচরের শাহজাহান,আলীসহ অনেকে গুরুতর আহত হন। এই সময় পুলিশী ধাওয়ার মূখে নিরাপদ স্থানে তিঁনি সরে যান। পরে আহতদেরকে নিয়ে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যান। চলতি বছরের ২৪ জুন সকাল ১০ টায় নিজ বাড়ীতে উঠার সময় পা পিছলে সিঁড়ি থেকে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হন। কোমরের নিচে ডান পায়ের বাটি (হাড়) সংযোগ স্থল থেকে সরে যায়।
সেই হতে তিঁনি ক্রেজ এবং হুইল চেয়ারে করে চলাফেরা করছেন। চিকিৎসকগণ জানিয়েছেন আগামী ৩ মাস তাঁকে বিশ্রামে থাকতে হবে।

বড়গ্রাম এলাকায় ১৯২৬ সালে প্রতিষ্ঠিত কামরাঙ্গীরচর প্রাথমিক সরকারী বিদ্যালয়ের জমি রক্ষার্থে তিঁনি আইনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন ৮ বছর ধরে। স্কুলের জমি রক্ষার্থে গত তারিখে তিঁনি এ্যাম্বুলেন্সে করে আদালতে হাজিরা দিয়েছেন। তিঁনি ঐ স্কুলের দাতা সদস্য এবং ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি। এ ছাড়া স্কুলের পাশে বাইতুল একরাম জামে মসজিদ (বড় মসজিদ) কমিটির সাধারণ সম্পাদক। মোঃ শাহজাহান জানান,স্কুলের জমি ছিল ৪২ শতাংশ এখন আছে ২৬ শতাংশ বাকী জমি বে-দখল হয়ে গেছে। স্কুলের ৪২ শতাংশ জমির দাতা ছিলেন ৪ জন এর মধ্যে এক জন দাতার দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তানরা ২৬ শতাংশ স্কুলের জমির মধ্যে তারা দাবী করছেন ২৫ শতাংশ।

তিঁনি কামরাঙ্গীরচরের আওয়ামী রাজনীতি সম্পর্কে বলেন,কামরাঙ্গীরচরের আওয়ামী রাজনীতির যাঁরা দূর্দিনের কান্ডারি ছিলেন তাঁরা আজ উপেক্ষিত,তাঁদেরকে মূল্যায়ণ করা হচ্ছে না,সম্মানজনক কোন পদে রাখা হয়নি তাদের। সুবিধাভোগী,ভূমিদস্যু ও লুটেরাদেরকে বড় বড় পদে রাখা হয়েছে মোটা টাকার বিনিময়ে। সুবিধাভোগীরা বড় বড় পদ পেয়ে মাদক ব্যবসায়ীদেরকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছেন এবং দখল বাণিজ্য করছেন। তিঁনি আরো বলেন,কামরাঙ্গীরচরে মহিলা আ’লীগের কিছু নেত্রী আছেন যারা বিতর্কিত। তাদের মধ্যে কেউ কেউ আছেন মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত।

ইলিয়াছ আহমদ বাবুল.এডমিন.ঢাকার হালচালপ্রায় ২০ লক্ষাধিক জনসংখ্যা অধ্যুষিত ও ৫ বর্গমাইল আয়তনের কামরাঙ্গীরচরের বিভন্ন এলাকায়...
19/11/2024

ইলিয়াছ আহমদ বাবুল.এডমিন.ঢাকার হালচাল

প্রায় ২০ লক্ষাধিক জনসংখ্যা অধ্যুষিত ও ৫ বর্গমাইল আয়তনের কামরাঙ্গীরচরের বিভন্ন এলাকায় গত ১৭/১৮ বছর ধরে বিরাজমান তীব্র গ্যাস সংকটের কারণে মানুষজনকে সীমাহীন দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে! জানা গেছে,রহমতবাগ,কুমিল্লা পাড়া,নিজামবাগ,নূরবাগ,কয়লাঘাট,মুসলিমবাগ,করিমাবাদ,ছাতা মসজিদ এলাকা,মাদবর বাজার,মমিনবাগ,ইসলামনগর,আচারওয়ালার ঘাট,হুজুরপাড়া, মাদ্রাসা পাড়া,খোলামোড়া ঘাট এলাকা,নবীনগর,আলী নগর,বড় গ্রাম ও মুন্সীহাটি এলাকায় সকাল ৬টা হতে রাত ১টা পর্যন্ত গ্যাস থাকে না। এ অবস্থা চলছে প্রায় ১৭/১৮ বছর ধরে।
কামরাঙ্গীরচরের ৬০-৭০ ভাগ বাসিন্দা ভাড়াটিয়া। অধিকাংশ বাড়িতে ৫ থেকে ৫০টি করে ভাড়াটিয়া পরিবার থাকেন। গভীর রাতে যখন পাইপ লাইনে গ্যাসের প্রবাহ স্বাভাবিক হয় তখন লাইনে দাঁড়িয়ে তাদেরকে পর্যায়ক্রমে পরের দিনের জন্য রান্না করতে হয়। আর যখন গ্যাস থাকে না তখন তাদেরকে পঁচা-বাসি খাবার খেতে হয় নতুবা হোটেল থেকে খাবার কিনে খেতে হয়। এবার শীত মৌসুম শুরু হওয়ার আগে থেকেই রাতে গ্যাস থাকছে না। গ্যাস সংকটের কারণে বিকল্প ব্যবস্থায় সিলিন্ডারে রান্না করতে গিয়ে মানুষের মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে কামরাঙ্গীর চরে। ২০১৩ সালের ২৯ মার্চ সিলিন্ডার বিস্ফোরণে মজিবরের ঘাটে এক নোয়াখাইল্যার বাড়ীতে মা,মেয়ে ও নাতি অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।
দিনের বেলায় অনেক পরিবার লাকড়ি বা এলপি গ্যাসে রান্না করে। গৃহিনীদের অভিযোগ.তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ আমাদেরকে দিনের বেলায় গ্যাস দিচ্ছে না অথচ মাস শেষে গ্যাসের বিল ঠিকই নিচ্ছে। তাদের এই মনোপলি ব্যবসা বন্ধ করা উচিৎ।
গ্যাস সংকট কবলিত কামরাঙ্গীরচরের বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ গ্যাস সংযোগের ছড়াছড়ির খবর পাওয়া গেছে। অবৈধ গ্যাস সংযোগ নিয়ে প্রায় সহা¯্রাধিক র‌্যাক, ঢালাই ও ষ্টীরের খানাডুলির কারখানা চলছে ধুমছে! খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,তিতাস গ্যাসের এক শ্রেণীর কর্মকর্তা-কর্মচারী,থানা-পুলিশ ও স্থানীয় প্রভাবশালী রাজনৈতিক দলের এক শ্রেণীর নেতা-কর্মীদের ছত্রছায়ায় এসব কারখানা চলছে গ্যাস চুরির মহোৎসব!

ইলিয়াছ আহমদ বাবুল.এডমিন.ঢাকার হালচালআওয়ামী লীগ ২০০৮ সালের ১৫ই ডিসেম্বরের নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার পর তাদের প্রদত্...
19/11/2024

ইলিয়াছ আহমদ বাবুল.এডমিন.ঢাকার হালচাল

আওয়ামী লীগ ২০০৮ সালের ১৫ই ডিসেম্বরের নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার পর তাদের প্রদত্ত নির্বাচনী প্রতিশ্রæতি অনুযায়ী কামরাঙ্গীরচর-খোলামোড়া ও মুসলিমবাগ-কামালবাগের ব্রীজ নির্মাণ করতে পারেনি। এ নিয়ে আশাহত জনগণ স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের ওপর ক্ষুদ্ধ।
খোলামোড়া ঘাটে ব্রীজ নির্মিত হলে ঢাকা-২ আসনের কেরাণীগঞ্জ অংশকে পরিকল্পিত আধুনিক আদর্শ উপ-শহর হিসেবে গড়ে তোলা যেত। তখন ম্যাগাসিটির রাজধানী ঢাকার উপচে পড়া চাপ হ্রাস পেত। এ ছাড়া কেরাণীগঞ্জ অংশের ৭টি ইউনিয়নে গড়ে উঠা শিল্প-কারখানা এবং গার্মেন্টসে সৃষ্টি হত হাজার হাজার বেকার যুবক-যুবতীর কর্মসংস্থান।
কর্মস্থল রাজধানী ঢাকা হওয়ায় হযরতপুর,তারানগর ও সাক্তা ইউনিয়নের প্রায় ৩ লক্ষাধিক কর্মজীবি নারী-পুরুষ প্রতিদিন খোলামোড়া ঘাট দিয়ে নৌকা যোগে কামরাঙ্গীরচর দিয়ে পারাপার হয়ে রাজধানীতে যাতায়াত করে আসছেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং স্থানীয় সাবেক সংসদ সদস্য ও খাদ্যমন্ত্রী এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন কালে কামরাঙ্গীরচর কুড়ারঘাট বালুর মাঠে নির্বাচনী এক জনসভায় ঐ স্থানে একটি ব্রীজ নির্মাণের প্রতিশ্রæতি দেন। ব্রীজ নির্মিত না হওয়ায় প্রায় ৩ লক্ষাধিক যাত্রী প্রতিদিন নৌকায় ৫ টাকা এবং ঘাটে ৫ টাকা দিয়ে পারাপার হচ্ছেন। এ ছাড়া দিনের বেলায় রিজার্ভ ২০ টাকা এবং রাতের বেলায় ৩০ টাকা দিয়ে যাত্রীদের যাতায়াত করতে হচ্ছে।
জানা যায়.নাগরিক সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির জন্য কামরাঙ্গীরচরের মুসলিমবাগ এবং চকবাজারের কামালবাগের মাঝে বুড়িগঙ্গার শাখা নদীর ওপর একটি ব্রীজ নির্মাণের উদ্যোগ নেয় বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার।
২০০৫ সালের ২৪ এপ্রিল প্রস্তাবিত ব্রীজের ফলক উন্মোচন করা হয়। ৪ কোটি ২৫ লক্ষ ১০ হাজার ২১০ ব্যয়ে ২০০৬ সালের ২১ মার্চ হতে ২০০৭ সালের ২১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করার শর্তে এলজিইডি এর নির্মাণ দেয় রোড এ্যান্ড ব্রীজকে। কিন্তু কাজটি করেন তৎকালীন সংসদ সদস্য আলহাজ্ব নাছির উদ্দিন আহমেদ পিন্টুর মালিকানাধীন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান আশা এন্টার প্রাইজ।
সে সময় নদীর দুই পাড়ে ৮টি স্তম্ব নির্মাণ করে ৩৫ লক্ষ ৬৯ হাজার ১৬৬ টাকা বিল তোলার পর ব্রীজ নির্মাণের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। উল্লেখ্য যে,মুসলিমবাগের নৌ-ঘাট দিয়ে প্রতিদিন প্রায় লক্ষাধিক লোক যাতায়াত করে আসছে।

ইলিয়াছ আহমদ বাবুল.এডমিন.ঢাকার হালচালতিলোত্তমা রাজধানী ঢাকার পশ্চিমের বুড়িগঙ্গা শাখা নদীর বুকে বালু দিয়ে ভরাট করে দখলের ম...
19/11/2024

ইলিয়াছ আহমদ বাবুল.এডমিন.ঢাকার হালচাল

তিলোত্তমা রাজধানী ঢাকার পশ্চিমের বুড়িগঙ্গা শাখা নদীর বুকে বালু দিয়ে ভরাট করে দখলের মহোৎসব চালাচ্ছে প্রভাবশালী ভূমিদস্যুরা। উচ্চ আদালতের বার বার বারণের পরও ঢাকার খোলা জানালা হিসেবে পরিচিত বুড়িগঙ্গা নদীর শাখা-প্রশাখার দুই তীর দখলে মেতে উঠেছে চিহ্নিত প্রভাবশালী ভূমিদস্যুরা।

দখলের কারণে বুড়িগঙ্গা দেশের মানচিত্র থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে। দীর্ঘ দুই যুগ ধরে রাজধানীর মোহাম্মদপুর,লালবাগ,হাজারীবাগ ও কামরাঙ্গীরচর এলাকার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া রাজধানীর পশ্চিমের বুড়িগঙ্গার শাখা নদীর প্রায় ২৪ হাজার ৫০০ কাঠা (৩৫০ একর) দখল করে নিয়েছে ভূমিদস্যূরা। যার অনুমানিক মূল্য ৪ শত ৯০ কোটি টাকা।

বুড়িগঙ্গা নদী রক্ষাণাবেক্ষণের কোন উদ্যোগ নেই কর্তপক্ষের। বেওয়ারিশ লাশের মত পড়ে থাকা নদীর বুক বালু দিয়ে ভরাট করে রাতারাতি দখল করে নিচ্ছে চিহ্নিত ভূমি দস্যুরা। জেলা প্রশাসক ও ভূমি জরিপ অফিসের এক শ্রেনীর দূনীর্তিবাজ কর্মকর্তাদের যোগসাজশে এসব ভূমিদস্যুরা মালিকানা কাজগপত্র সৃজন করে নদীর জমি রেজেস্ট্রি করার পর তা বিক্রি করে পার পেয়ে যাচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন,যেভাবে বুড়িগঙ্গার শাখা-প্রশাখা দখল করছে নগরবাসীর দুশমন ভূমিদস্যুরা,তাতে করে এক সময় রাজধানীর নিম্নাঞ্চলে দীর্ঘস্থায়ী জলবদ্ধতা সৃষ্টি হবে। এতে লাখ লাখ মানুষের বিষ ফোঁেড় পরিণতে হবে।

অচিরেই একজন ম্যাজিস্ট্রেট নেতৃত্বে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও আইনশৃংখলা বাহিনীর সম্বন্বয়ে নদী রক্ষা টিম গঠন করা জরুরী। গঠিত নদী রক্ষা টিম এসব ভূমিদস্যু ও সংশ্লিষ্ট অফিসের দূর্নীতিবাজ কর্মকতা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে জেল-জরিমানাসহ কঠোর শাস্তি কার্যকর করবে। তাতে কিছুটা হলেও নদী দখলমুক্ত হতে পারে। দখল উচ্ছেদ করে অচিরেই নদীর পাড়ে ওয়ার্কওয়ে করতে হবে তা না হলে এক সময় দেশের মানচিত্র থেকে বুড়িগঙ্গার শাখা-প্রশাখা মুছে যাবে। অভিজ্ঞ মহল মনে করেন,বুড়িগঙ্গার মরা শাখা নদীটি দখলমূক্ত করে হাতিরঝিলের অনুকরণে দৃষ্টিনন্দন লেক করা হলে প্রাকৃতিক পরিবেশ ও নদী দুটোই রক্ষা পাবে অন্যথায় দখল প্রক্রিয়া চলতেই থাকবে।
এ ব্যাপারে পরিবেশ বাচাঁও আন্দোলনের (পবা) চেয়ারম্যান আবু নাসের চৌধুরী জানান, বুড়িগঙ্গার পশ্চিমের শাখা নদীটি পুরনো চ্যানেল ছিল। এখান দিয়ে এক সময় লঞ্চ, স্ট্রিমার,বড় বড় ইঞ্জিন বোর্ডসহ নানা নৌযান চলাচল করত। নদীর স্রোতের কল কল ধ্বনির আওয়াজ এক থেকে দুই মাইল দূর থেকে শোনা যেত। অথচ গত দুই যুগের ওপরে দখলে মেতেছে রাজনৈতিক দলের প্রভাবশালী নেতা ও চিহ্নিত ভূমিদস্যুরা। এজন্য দায়ী জেলা প্রশাসক ও ভূমি জরিপ রেকর্ড অফিসের এক শ্রেনীর দূনীতিবাজ কর্মকর্তা ও কর্মচারী। তিনি জানান,আমরা বহুবার সরকারের নদী ও বন্দর রক্ষা কমিটির সঙ্গে যোগাযোগ ও লিখিত অভিযোগ করেছি কিন্তু কোন কাজ হয়নি তবে আমরা মামলা করেছি। আর সরকার যদি বুড়িগঙ্গা নদী দখল করতে চাইলে এটি রুখবে কে?

গত তত্ত¡াবধায়ক সরকারের আমলে পুরো জমিটি তাদের বুঝিয়ে দেয়া হয়। ২০১২ সালে প্রবাহমান নদীর ওপর এই জমির বরাদ্দ বাতিলের জন্য ভূমি মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে কঠোর ব্যবস্থা নিতে বদ্ধপরিকর। সরকারী দলের লোকজন দখল করলেও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পিছ পা হবে না মন্ত্রণালয়।
বিগত জোট সরকারের আমলে গাবতলী থেকে শুরু করে লালবাগ নবাবগঞ্জ সেকশন পর্যন্ত পশ্চিমের শাখা নদীর বুকে বালু দিয়ে ভরাট করে দখল নিয়েছে ভূমিদস্যুরা।

হাক্কুল এবাদ লোহার ব্রিজ থেকে ব্যাটারীঘাট,কুড়ারঘাট ও শহীদনগর বালুর ঘাট সংলগ্ন বুড়িগঙ্গার শাখা নদীর প্রায় ৩২৫ কাঠা জায়গা (যার মূল্য প্রায় শত কোটি টাকা ) বালু দিয়ে ভরাট করার পাঁতারা করছে ভূমিদস্যুরা। জমি গুলো সরকারী খাস খতিয়ান (যার দাগ নম্বর ১১৬০.১১৮১,৭২৯,৭৪৪) অন্তর্ভুক্ত। বেড়িবাঁধ ঘেঁেষ নদীর জায়গা বালু দিয়ে ভরাট করা হচ্ছে। আর বালু দিয়ে ভরাটের সঙ্গে সঙ্গে নদীর এই জমি বেশীর ভাগই নাম মাত্র মূল্যে ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করে দিচ্ছে তারা।

বুড়িগঙ্গার এই নদী দখলকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতাকর্মী ও এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ ও অসন্তোষের দানা বেধেঁ উঠেছে। সূত্র জানায়,২০১২ সালের জুন মাসে সরকারী খাস জমিটি বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার বহুমূখী সমবায় সমিতি কর্তৃক উক্ত জায়গা থেকে ৫ একর জায়গা লিজের জন্য ঢাকা জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত আবেদন করেন। তাতে ঐ বছর ৫ জুন তৎকালীন স্থানীয় সাংসদ আইন প্রতিমন্ত্রী এ্যাডঃ কামরুল ইসলাম সুপারিশ করেন। বর্তমানে আবেদনটি প্রক্রিয়াধীন আছে।

ঢাকা জেলা প্রশাসন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, লালবাগ হাজারীবাগ এবং কামরাঙ্গীচরের মধ্যে দিয়ে গত শতকের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত বুড়ীগঙ্গা দিয়ে স্বচ্ছ পানি প্রবাহিত হতো। ১৯১২ থেকে ১৯২৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রথম ভূমি জরিপে (ক্যাডেষ্ট্রাল সার্ভে সিএস) এটা প্রবাহমান নদী হিসাবে চিহ্নিত।

চল্লি¬শের দশকে বুড়ীগঙ্গা দখল শুরু হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা শুষ্ক মৌসুমে নদীগর্ভে ধান চাষ করে তাদের প্রাথমিক দখলদারিত্ব প্রতিষ্ঠা করে। এ সময় সিএস রেকর্ডে পরিবর্তন এনে বিভিন্ন দাগের দখলদার হিসাবে তাদের নাম বসিয়ে দিতে সক্ষম হয়। সিএস রেকর্ডের এ পরিবর্তনকে ভূমি বিভাগ পেটি সি এস বলে থাকে এ কারণে ১৯৫৪ সালে এস (সার্বে অব আর্টিকেল) রেকর্ড প্রণয়ণ কালে সিএস রেকর্ডে অনেক পরিবর্তন ধরা পড়ে।

পেটি সিএস এ নিজেদের অবস্থান দেখিয়ে দখলদাররা সংশ্লি¬ষ্ট দাগের জমি ঢাকা জেলা প্রশাসন থেকে ইজারা নেন এবং এস.এ রেকর্ডে তা লিপিবদ্ধ করিয়ে নেয়। ১৯৭২ সালের সংশোধিত দখল জরিপের রিভাইসড সার্ভে (আরএস) দখলদাররা নদীর জমি তাদের দখলে দেখায় এবং তাদের মালিকানা পাকাপোক্ত করে ফেলে। এর আগে ওপরে ইজারাপত্র দেখিয়ে অনেকে জমি বিক্রি করে দেয়।

আশির দশক থেকে বুড়ীগঙ্গা নদীর বুক ভরাট করে ঘরবাড়ি নির্মাণের হিড়িক পড়ে। ১৯৯৭ থেকে ২০০০ সালের মধ্যে মিটফোর্ড হাসপাতালের পেছন (দক্ষিণ) থেকে নবাবগঞ্জ হাজারীবাগ,গাবতলী,মিরপুর হয়ে টঙ্গী ব্রিজ পর্যন্ত বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণ করায় বাঁধটির ভেতরে বুড়িগঙ্গার বিশাল এলাকা পড়ে যায়। জালিয়াতরা বাঁধের ভেতরে পড়া নদীর জমি পুরোটা গ্রাস করে। আশির দশকে তুরাগের ডান তীরে মরা বুড়িগঙ্গার প্রবেশ মুখে সিকদার মেডিক্যালের পাকা হাসপাতাল নির্মিত হলে বুড়ীগঙ্গার এ অংশটির অপমৃত্যু ঘটে।

এর দেখাদেখি আশপাশের দখলদাররাও ঘরবাড়ি তুলে ফেলে। বিগত বছরগুলোর মধ্যে বুড়ীগঙ্গা দখলের মহোৎসব চলে জোট সরকারের আমলে। এ সময়ে কতিপয় সাংসদ ও প্রভাবশালীরা গায়ের জোরে বুড়ীগঙ্গা জবরদখল করে নেয়।

বুড়ীগঙ্গার কি পরিমাণ জমি বেহাত হয়েছে তার সঠিক হিসাব ঢাকা জেলা প্রশাসন থেকে পাওয়া যায়নি। অথচ নদী তথা সরকারের খাস জমি দেখভাল করার দায়িত্ব জেলা প্রশাসনের। একটি সূত্র আনুমানিক হিসাব দিয়ে বলেছে,লালবাগ,হাজারীবাগ,ও কামরাঙ্গীরচর এলাকায় বেহাত হওয়া জমির পরিমাণ প্রায় ৩৫০ একর। এর মধ্যে ২৫০ একর জমি বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের বাইরে এবং ১০০ একর জমি বাঁধের ভেতরে।

জানা গেছে,পুরানো ঢাকার লালবাগের সোয়ারীঘাট থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমে কামরাঙ্গীরচরের মূল প্রবেশদ্ধার হাক্কুল এবাদ ব্রিজ থেকে একটু এগিয়ে গেলেই বড়গ্রাম,কুড়ারঘাট,পূর্ব রসূলপুর,পশ্চিম রসূলপুর এলাকার কোল ঘেঁষে বুড়িগঙ্গা নদীর একটি শাখা বেরিয়ে গেছে যা লালবাগ,নওয়াবগঞ্জ বড় মসজিদ ঘাট বেড়িবাঁধ বাজার,হাজারীবাগের ট্যানারী,রায়েরবাজার , বসিলা,কাটাসূর হয়ে আবার মূল নদীতে এসে পড়েছে। বেরিয়ে যাওয়া এই অংশটি বুড়িগঙ্গার পশ্চিমের শাখা নদী হিসেবে পরিচিত।

আশির দশকে তৎকালিন এরশাদ সরকারের আমলে বুড়িগঙ্গা নদীর কল স্রোত থেকে রাজধানী বাসীকে বাচাঁর জন্য গাবতলী হয়ে তুরাগ নদী পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটার বাধঁ নির্মাণ করে। যাতে রাজধানীকে বন্যামুক্ত করার পাশাপাশি বুড়িগঙ্গার সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা। এজন্য বাধেঁর ওপর কংক্রিটের রাস্তা নির্মাণ করে যাতে করে দেশী-বিদেশী পর্যটক এসে বুড়িগঙ্গার ঝকঝকে পানির কলকল ধ্বনি আর নির্মল বাতাসের আমেজ নিয়ে যেতে পারে।

এক সময় ভাবা হয়েছিল বুড়িগঙ্গাকে টিকিয়ে রাখার জন্য নদীর দুই পাড়ে এভাবে বেড়িবাঁধ নির্মাণ (ওয়ার্কওয়ে ) করা হবে। আর নদীর বুক ঘিরে ফ্লাইওভার নির্মাণ করে রাজধানীর সৌর্ন্দয্য বৃদ্ধি করা হবে। ৯০ দশকে তৎকালিন বিএনপি সরকারের আমলে বুড়িগঙ্গার এই শাখা নদীতে দখলের মহোৎসব শুরু হয়। নদীর দখলদারদের চাপে পশ্চিমের শাখা নদী বেড়িবাঁধ ঘেষেঁ নদীর বুকে সিটি কর্পোরেশনে ময়লা আবর্জনা ফেলে দখল করা হচ্ছে। এর ফলে এর আশপাশে কয়েকটি মহল্লার লাখ লাখ বাসিন্দারা দূগর্ন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে।
একই উপায়ে ২০০১ সালে বিএনপি জামায়াত-জোট সরকারের আমলে এই শাখা নদীর বুকে বালু ভরাট করে নির্বিচারে দখল চালিয়েছে ভূমিদস্যুরা। তখন সরকার দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে কয়েক দফা সংঘর্ষ হয়েছে। এতে কয়েক জন মারা যায়। খেলতে গিয়ে অনেক শিশু বালু চাপায় মারা যায় তার পর থেমে থাকেনি নদী দখলের মহোৎসব।

৯ জানৃয়ারী সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে,কামরাঙ্গীরচর ২ নম্বর পূর্ব রসূলপুর হাফেজ মুসা পাঁকা ব্রীজ ঘেঁেষ নদীর বুকে বালু মাটি দিয়ে ভরাট করে দোকানপাট গড়ে তোলা হয়েছে। এই ব্রীজের ১’শ গজ দূরে নওয়াবগঞ্জ সেকশন ও কামরাঙ্গীরচর রনি মার্কেট সংযোগ স্থলে নির্মিত পাকা ব্রিজ ঘেষেঁ নদীর বুকের বিশাল অংশ দখল করে মার্কেট ও বসত ঘর নির্মাণ করে ভাড়া দিয়ে মোটা অংকের ভাড়া হাতিয়ে নিচ্ছে একটি মহল। এই নদীর বুকের ওপর জেলা প্রশাসকের নির্দেশে বক্স কালভার্ট নির্মাণ করায় পশ্চিমের নদীর বুক দখলের মহোৎসব আবার শুরু হয়।

নদীর বুকের ও বিদ্যুৎকেন্দ্র ঘেঁষে জোট সরকারের আমলে লোকমান হাজী বুড়িগঙ্গার নদীর বিশাল অংশ জুড়ে প্রথমে বাঁেশর খুঁিট দিয়ে দখল করে নেয়। ইতোমধ্যে বালু দিয়ে ভরাট করা জায়গায় তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পান্না ব্যাটারী ও ভলভো ব্যাটারীর কারখানা তৈরীর করেছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা গেছে,অবৈধভাবে মোটা পাইপ দিয়ে গ্যাস টেনে তার কারখানায় সংযোগ নিয়েছেন। সেখানে তার বাহিনীরা দিনরাত পাহারা দিয়ে রাখছে। কামরাঙ্গীরচরের ৪-৫ লাখ বাসিন্দার অভিযোগ,৯ বছর ধরে তারা চরম গ্যাস সংকটে ভূগছেন।

তার পাশে মেটাডোর কোম্পানী নদীর বুকে বালু ভরাট করে বিশাল জায়গা দখল করে নির্মাণ করেছে বিশাল ফ্যাক্টরী। পুলিশকে ব্যবহার করার জন্য পান্না ব্যাটারী ও মেটাডোর কোম্পানী টহল দেয়ার জন্য কামরাঙ্গীরচর থানায় ২টি গাড়ী কিনে দিয়েছে। এই দুই ভূমিদস্যুর দেখাদেখি অনেকে হাজারীবাগ বসিলা পর্যন্ত বিস্তৃত অংশ বেড়িবাঁধ ঘেঁষে নদীর বুক দখল করে বালু ভরাট করে দখল পাকাপোক্ত করেছে।

এ ছাড়া বসিলা থেকে গাবতলী পর্যন্ত শাখা নদীর বুকে আধুনিক বহুতল এবং কল-কারখানা ছাড়া আর কিছুই চোখে পড়ে না । বর্তমান সরকার রায়ের বাজার এলাকায় নদীর বিশাল এলাকা জুড়ে আধুনিক কবরস্থান নির্মাণ করছে। নগরবাসীরা অভিযোগ করেন,অচিরেই বুড়িগঙ্গার শাখা নদী দখল মুক্ত করে নদীর নব্যতা ফিরিয়ে আনা ও শহর রক্ষা বাধেঁর ১৫টি সুইজ গেট পুণরুদ্ধার করা ইউক । তা না হলে নগরবাসীকে স্থায়ী জলবদ্ধতার কবলে পড়তে হবে।
আ’লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ২০০০ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদে ৩৬ নম্বর জলাধার সংরক্ষণ আইনের ২ এর (চ) ধারা পাশ হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর বুড়িগঙ্গা নদী সহ দেশের ৪টি নদী,খাল-বিল দখলমুক্ত করার জন্য উচ্চ আদালতের নির্দেশনা থাকার পরেও চিহ্নিত ভূমিদস্যূরা বুড়িগঙ্গার পশ্চিমের শাখা নদীর বুকে রাতের আধাঁরে ড্রেজারের মাধ্যমে পাইপ টেনে বালু ভরাট করে নদীর গতিপথে প্রতিবন্ধতা সৃষ্টি করে দখল প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছে।

Address

Kamrangir Char Ashrafabad Main Road
Dhaka
1211

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when ঢাকার হালচাল - Dhakar Halchal posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to ঢাকার হালচাল - Dhakar Halchal:

Videos

Share

আসসালামুয়ালাইকুম, প্রিয় দর্শক আমাদের ফেইসবুক পেইজ-এ আপনাদের স্বাগতম।

আসসালামুয়ালাইকুম

প্রিয় দর্শক আপনাদের স্বাগতম,আমাদের ফেইসবুক পেইজ-এ। আপনারা রাজধানী ঢাকার প্রতিদিনের তরতাজা খবর এবং ভিডিও পাবেন এই পেইজ-এ। তাই খবর জানতে আমাদের পেইজ-এ লাইক দিয়ে সাথে থাকুন এবং অবশ্যই আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন।

https://www.youtube.com/channel/UCfYJdnQbQKNEZUICJDiOWOQ

Nearby media companies