ঢাকার হালচাল - Dhakar Halchal

ঢাকার হালচাল - Dhakar Halchal রাজধানী ঢাকার প্রতিদিনের তরতাজা খবর! রাজধানী ঢাকার প্রতিদিনের তরতাজা খবর এবং ভিডিও পাবেন এ পাতায়। তাই খবর জানতে আমাদের সাথে থাকুন।
(1)

24/12/2024

প্রিয় বাংলাদেশ আমার । My Dear Bangladesh ।
হিফজুল কুরআন অ্যাওয়ার্ড-২০২৪ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত অভিভাবক সম্মেলন ও দোয়া মাহফিলে যৌথ ভাবে ইসলামী সংগীত পরিবেশন করছেন নিদাউল কুরআন ওয়াস সুন্নাহ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার মেধাবী শিক্ষার্থীরা। গত ১৯ শে ডিসেম্বর দুপুর বেলায় কামরাঙ্গীরচর পাকাপুলস্থ নিদাউল কুরআন ওয়াস সুন্নাহ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে ইসলামী সংগীত পরিবেশন করা হয়। জানা গেছে.জাতীয় পর্যায়ে ১ম স্থান অর্জন সহ একাধিক বার সেরা দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি প্রাপ্ত নিদাউল কুরআন ওয়াস সুন্নাহ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসা। যার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক হচ্ছেন দ্বীনি এবং আধুনিক শিক্ষায় বেড়ে উঠা তরুণ আলেমেদ্বীন হাফেজ মাওলানা ক্বারী শহীদুল ইসলাম। উল্লেখ্য যে.এই মাদ্রাসায় ভর্তি চলছে। যোগাযোগ :- ০১৮৭৮৫৭৯৪৫১।

স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে এদেশের ইসলামী শক্তির উপর দিয়ে পার হওয়া কঠিন দু:সময়ে সর্বজনশ্রদ্ধেয় বুজুর্গ হযরত হাফেজ্জী হুজুর রহ...
24/12/2024

স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে এদেশের ইসলামী শক্তির উপর দিয়ে পার হওয়া কঠিন দু:সময়ে সর্বজনশ্রদ্ধেয় বুজুর্গ হযরত হাফেজ্জী হুজুর রহ. ইসলামী রাজনীতির কাজ শুরু করেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী।

সোমবার (২৩ ডিসেম্বর ২০২৪) সন্ধ্যা ৭ টায় বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন ঢাকা মহানগর আয়োজিত এক সাংগঠনিক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, হাফেজ্জী হুজুর রহ. প্রতিষ্ঠিত সংগঠন বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন একটি ইলহামী সংগঠন। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে যখন উলামায়ে কেরামকে রাজাকার আল-বদর বলে গালি দেয়া হত এমন এক দু:সময়ে হাফেজ্জী হুজুর রহ. খেলাফত আন্দোলনের কাজ শুরু করেন।

তিনি বলেন, ইসলামী অঙ্গনের কেউ যখন এই ময়দানে এগিয়ে আসতে রাজি ছিলেন না তখন হাফেজ্জী হুজুর কাজ শুরু করেন এবং তাঁর এই সংগঠন বিশাল রুপ ধারণ করে। কিন্তু আন্দোলনের বিস্তৃতির সাথে সাথে শত্রæদের শত্রæতাও বাড়তে থাকে। খেলাফত আন্দোলন কারো কোন ক্ষতি না করা সত্তে¡ও অনেকেরই দুশমনির শিকার হয়েছে। তবে খেলাফত আন্দোলনের কর্মীদের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য যদি ঠিক থাকে, দ্বীনি চেতনা যদি মজবুত থাকে তাহলে কোন সমালোচকের সমালোচনা, কারো দুশমনি আমাদের কোন ক্ষতি করতে পারবে না। সমসাময়িক বিষয়ে আমাদেরকে কথা বলা, অন্যায়ের প্রতিবাদ করা অব্যাহত রাখতে হবে।

কামরাঙ্গীরচরস্থ মারকাজুল খেলাফত জামিয়া নূরিয়া ইসলামিয়ায় নগর সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতী আবুল হাসান কাসেমী ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুফতী রুহুলআমীনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন খেলাফত আন্দোলনের কেন্দ্রীয় তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এবং ঢাকা মহানগর আমীর মাওলানা মাহবুবুর রহমান। প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন নায়েবে আমীর মাওলানা সাঈদুর রহমান। কর্মশালায় প্রশিক্ষণ প্রদান করেন আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর সেক্রেটারি মোফাচ্ছির হোসাইন এবং নগর সাংগঠনিক সম্পাদক ও যাত্রাবাড়ী থানা আমীর মুফতী মাহফুজুর রহমান।

মাওলানা সাঈদুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের প্রতিটি কর্মীকে আল্লাহর বান্দা হিসেবে, রাসুলের সৈনিক হিসেবে, খেলাফত আন্দোলনের কর্মী হিসেবে সর্বপ্রথম নিজেকে পরিশুদ্ধ করতে হবে এবং আল্লাহ তা’আলার সাথে মজবুত সম্পর্ক তৈরি করতে হবে। তাদের প্রচুর পড়াশোনা করতে হবে। মানুষের মৃত্যু পরবর্তী জীবন এবং পার্থিব সকল সমস্যার সমাধান যে একমাত্র ইসলামী জীবনব্যবস্থার মধ্যেই রয়েছে সে বিষয়টি সাধারণ মানুষের বোধগম্য ভাষায় তাদের কাছে তুলে ধরতে হবে এবং ইসলামের শত্রæদের মোকাবেলায় সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে ও বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে নাস্তিক্যবাদকে মোকাবেলা করার যোগ্যতা অর্জন করতে হবে।

কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন খেলাফত আন্দোলন ঢাকা মহানগর নায়েবে আমীর মাওলানা মোফাজ্জল হোসাইন, মুফতী আখতারুজ্জামান আশরাফী, যুগ্ম সম্পাদক মাওলানা সাইফুল ইসলাম জামালী, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জাকির হুসাইন, অর্থ সম্পাদক মাওলানা জাফর আহমদ, প্রচার সম্পাদক মুফতি জসিম উদ্দিন খান, সহ প্রচার সম্পাদক শরিফুল ইসলাম, বিচার ও আইন সম্পাদক মুফতি আবু বকর, সহ শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুফতি জাকির হুসাইন, দাওয়াত ও তাবলিগ সম্পাদক মাওলানা তানযিল হাসান, সহ দাওয়াত তাবলিগ সম্পাদক মুফতি মাহমুদুর রহমান, সমাজকল্যাণ সম্পাদক মাওলানা মোহাম্মাদুল্লাহ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আব্দুস সবুর খান সুমনসহ ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন থানার দায়িত্বশীলবৃন্দ।

24/12/2024

মাদ্রাসার হাফেজ ছাত্রদের পাগড়ী প্রদান ।
হিফজুল কুরআন অ্যাওয়ার্ড-২০২৪ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত অভিভাবক সম্মেলন ও দোয়া মাহফিলে হাফেজ ছাত্রদের পাগড়ী পরিয়ে দিচ্ছেন বিশে^র অন্যতম সেরা ক্বারী শায়েখ আহমাদ বিন ইউসুফ আল আযহারী.কামরাঙ্গীরচরের সাবেক চেয়ারম্যান হাজী মনির হোসেন ও বিএনপি নেতা মোহাম্মদ নাঈম সহ বিজ্ঞ ওলামায়ে কেরামগণ। গত ১৯ শে ডিসেম্বর দুপুর বেলায় কামরাঙ্গীরচর পাকাপুলস্থ নিদাউল কুরআন ওয়াস সুন্নাহ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে পাগড়ী প্রদান করা হয়। জানা গেছে.জাতীয় পর্যায়ে ১ম স্থান অর্জন সহ একাধিক বার সেরা দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি প্রাপ্ত নিদাউল কুরআন ওয়াস সুন্নাহ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসা। যার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক হচ্ছেন দ্বীনি এবং আধুনিক শিক্ষায় বেড়ে উঠা তরুণ আলেমেদ্বীন হাফেজ মাওলানা ক্বারী শহীদুল ইসলাম। উল্লেখ্য যে.এই মাদ্রাসায় ভর্তি চলছে। যোগাযোগ :- ০১৮৭৮৫৭৯৪৫১।

24/12/2024

নিদাউল কুরআন ওয়াস সুন্নাহ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসায় ইংরেজি ভাষায় বিতর্ক অনুষ্ঠান।
হিফজুল কুরআন অ্যাওয়ার্ড-২০২৪ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত অভিভাবক সম্মেলন ও দোয়া মাহফিলে ইংরেজি বিতর্ক অনুষ্ঠান পরিচালনা করছেন নিদাউল কুরআন ওয়াস সুন্নাহ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ইংরেজি বিভাগের প্রধান শিক্ষক হাফেজ মাওলানা ইব্রাহীম বিন আবুল কালাম। গত ১৯ শে ডিসেম্বর দুপুর বেলায় কামরাঙ্গীরচর পাকাপুলস্থ নিদাউল কুরআন ওয়াস সুন্নাহ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে এ ইংরেজি বিতর্ক অনুষ্ঠান হয়। জানা গেছে.জাতীয় পর্যায়ে ১ম স্থান অর্জন সহ একাধিক বার সেরা দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি প্রাপ্ত নিদাউল কুরআন ওয়াস সুন্নাহ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসা। যার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক হচ্ছেন দ্বীনি এবং আধুনিক শিক্ষায় বেড়ে উঠা তরুণ আলেমেদ্বীন হাফেজ মাওলানা ক্বারী শহীদুল ইসলাম। উল্লেখ্য যে.এই মাদ্রাসায় ভর্তি চলছে। যোগাযোগ :- ০১৮৭৮৫৭৯৪৫১।

লেখক : মুহাম্মদ ফারুক হোসেন.যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক.ঢাকাস্থ চট্টগ্রাম ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতিদেশের বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রা...
24/12/2024

লেখক : মুহাম্মদ ফারুক হোসেন.যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক.ঢাকাস্থ চট্টগ্রাম ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি

দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামের রয়েছে হাজার বছরের পুরাতন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। বারো আউলিয়ার পুণ্যভূমি, প্রাচ্যের রাণী বীর প্রসবিনী, আধ্যাত্মিক রাজধানী, বন্দরনগরী, আন্তর্জাতিক পর্যটন নগরী, কল্যাণময় নগরী এমন অসংখ্য নামে পরিচিত এই চট্টগ্রাম।
চট্টগ্রাম নামের উৎপত্তি:
চট্টগ্রামের প্রায় ৪৮টি নামের সন্ধান পাওয়া গেছে। এর মধ্যে রম্যভূমি, চাটিগাঁ, চাতগাও, রোসাং, চিতাগঞ্জ, জাটিগ্রাম, আদর্শদেশ, চট্টল, চৈত্যগ্রাম, সপ্তগ্রাম, পেন্টাপোলিস প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।
চট্টগ্রাম নামের উৎপত্তি নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে। পণ্ডিত বার্নোলির মতে, আরবি ‘শ্যাত (খন্ড) অর্থ বদ্বীপ, গাঙ্গ অর্থ গঙ্গা নদী থেকে চট্টগ্রাম নামের উৎপত্তি।
অপর এক মতে ত্রয়োদশ শতকে এ অঞ্চলে ইসলাম প্রচার করতে এসেছিলেন বার জন আউলিয়া। তারা একটি বড় বাতি বা চেরাগ জ্বালিয়ে উঁচু জায়গায় স্থাপন করেছিলেন। চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় ‘চাটি’ অর্থ বাতি বা চেরাগ এবং গাঁও অর্থ গ্রাম। এ থেকে নাম হয় “চাটিগাঁও”।
এশিয়াটিক সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা স্যার উইলিয়াম জোন্সের মতে, এ এলাকার একটি ক্ষুদ্র পাখির নাম থেকে চট্টগ্রাম নামের উৎপত্তি। ১৬৬৬ খ্রিস্টাব্দে চট্টগ্রাম মোঘল সম্রাজ্যের অংশ হয়। আরাকানদের পরাজিত করে মোঘল এর নাম রাখেন ইসলামাবাদ। ১৭৬০ খ্রিস্টাব্দে মীর কাশিম আলী খান ইসলামাবাদকে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কাছে হস্তান্তর করেন। পরে কোম্পানি এর নাম রাখেন চিটাগাং।

প্রাচীন ইতিহাস:
১৬৬৬ সালে চট্টগ্রাম জেলা প্রতিষ্ঠিত হয়। তখন তিন পার্বত্য জেলা এ জেলার অন্তর্ভুক্ত ছিল। ১৮৬০ সালে পার্বত্য এলাকা নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলা গঠন করা হয়। পরবর্তীতে এ জেলা ভেঙ্গে কক্সবাজার জেলা গঠিত হয়।
প্রাচীন গ্রিক ও মিসরীয় ভৌগোলিকদের বর্ণনায় চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিভিন্ন স্থানের কিছু কিছু উল্লেখ পাওয়া যায়। খ্রিস্টীয় প্রথম শতকের গ্রিক ভৌগোলিক প্লিনির লিখিত ‘পেরিপ্লাসে’ ক্রিস’ বলে যে স্থানটির বর্ণনা আছে খ্যাতনামা ঐতিহাসিক স্যার ড. নলিনীকান্ত ভট্টশালীর মতে তা সন্দ্বীপে সঙ্গে অভিন্ন। ল্যাসেনের মতে, পেন্টাপোলিস চট্টগ্রামেরই ক্লাসিক্যাল নাম।
আরব ভৌগোলিকদের বিবরণে ‘সমন্দর’ বলে যে বন্দরটির উল্লেখ আছে তা চট্টগ্রাম। সমন্দর বন্দরটি পালবংশীয় দিগ্বিজয়ী রাজা ধর্মপালের অধীনে ছিল। এ থেকে মনে হয়, ধর্মপালের রাজ্যের বিস্তৃতি চট্টগ্রাম পর্যন্ত ঘটেছিল।
প্রাচীন হরিকেল রাজ্যের কয়েকটি শিলালিপি চট্টগ্রাম জেলার উত্তরাংশে আবিষ্কৃত হওয়ায় পণ্ডিতরা মনে করেন, চট্টগ্রাম জেলার উত্তরাংশ প্রাচীন হরিকেল রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিল।

যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাস নির্ণয়ের ক্ষেত্রে সেই অঞ্চলের প্রত্ন সম্পদের ওপর নির্ভর করে ইতিহাস রচিত হয়। সেক্ষেত্রে চট্টগ্রামের পুরাকীর্তির প্রথম উল্লেখ পাওয়া যায় মোগল ঐতিহাসিক শিহাব উদ-দিন তালিশের বিবরণে তিনি চট্টগ্রামের দুর্গ এবং দুর্গের আঙিনায় পীর বদরের আস্তানার কথা উল্লেখ করেন।
তালিশের সূত্রে আরও জানা যায় যে, ১৩৪০ খ্রিস্টাব্দে সোনারগাঁর সুলতান ফখরুদ্দিন মুবারক শাহ চট্টগ্রাম জয় করে চাঁদপুর থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত একটি বাঁধ নির্মাণ করেছিলেন। এই সুলতানের রাজত্বকালে চট্টগ্রামে নির্মিত মসজিদ এবং সমাধিসৌধ সম্পর্কেও তালিশে উল্লেখ আছে। তিনি এখানে কিছু পুরাকীর্তির খোঁজ পান।
মধ্যযুগের পুঁথি সাহিত্যের শহর চট্টগ্রামের বর্ণনায় পুরাকীর্তির উল্লেখ লক্ষ করা যায়। আনুমানিক ১৬০০-১৬০৭ খ্রিস্টাব্দে রচিত দৌলত উজির বাহরাম খানের লায়লী-মজনু কাব্যে এই বিবরণ রয়েছে। তা থেকে জানা যায় যে, এ সময়ের মনোরম চট্টগ্রাম নগরে অনেক সাধু-সজ্জনের নিবাস ছিল। উঁচু-উঁচু পর্বতে দুর্গের সীমানার মধ্যে ‘বদর আলম’-এর সমাধিসৌধের উপস্থিতির বিষয়টিও কবির নজর এড়ায়নি।
তালিশের পরে প্রায় দু’শো বছর সাহিত্যে বা লিখিত বিবরণে চট্টগ্রামের পুরাকীর্তির আর কোনো হদিস পাওয়া যায় না।

প্রাচীন মুসলিম নিদর্শন:
ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন পগসন ১৮৩১ খ্রিস্টাব্দে ‘ডিউরিং এ ট্যুর টু চাটিগাঁও’ প্রকাশিত হয়। পগসন পরিদর্শিত পুরানিদর্শনগুলি হলো- ১. পীর বদরের সমাধি, ২. নবাব আমির-উল-উমরার পাথরে তৈরি মসজিদ, ৩. ইয়াসিন খাঁর মসজিদ, ৪. সুলতান বায়েজিদ বোস্তামির দরগাহ।
এছাড়া তিনটি শিলালিপিবিহীন মসজিদের নাম উল্লেখ করেন তিনি। এগুলো হলো ১. ওয়ালি বেগ খান, ২. মির ইয়াহিয়া এবং ৩. মোল্লা সাঁই মসজিদ। পগসন তৎকালীন চট্টগ্রাম শহরের চার মাইল উত্তরে জাফরাবাদে স্যার উইলিয়াম জোন্সের বাড়ির ধ্বংসাবশেষ পরীক্ষা করে বাড়িটির ভূমি-নকশা ও লেখচিত্র তৈরি করেন। এছাড়া তিনি শহরে ইউরোপীয়দের কবরখানা এবং সীতাকুণ্ড পরিদর্শনের বিবরণ লিপিবদ্ধ করেন।
আয়তন ও সীমানা:
বর্তমানে চট্টগ্রাম জেলার মোট আয়তন ৫,২৮৩ বর্গ কিলোমিটার। আয়তনের দিক থেকে এটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম জেলা। ২০১১ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী চট্টগ্রাম জেলার মোট জনসংখ্যা ৭৯,১৩,৩৬৫ জন।
বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বে ২১°৫৪´ থেকে ২২°৫৯´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯১°১৭´ থেকে ৯২°১৩´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ জুড়ে চট্টগ্রাম জেলার অবস্থান। রাজধানী ঢাকা থেকে এ জেলার দূরত্ব প্রায় ২৫৯ কিলোমিটার। এ জেলার দক্ষিণে কক্সবাজার জেলা; পূর্বে বান্দরবন জেলা, রাঙ্গামাটি জেলা ও খাগড়াছড়ি জেলা; উত্তরে ফেনী জেলা এবং ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য এবং পশ্চিমে নোয়াখালী জেলা ও বঙ্গোপসাগর অবস্থিত। এছাড়া দ্বীপাঞ্চল সন্দ্বীপ চট্টগ্রামের অংশ।

চট্টগ্রাম জেলা ৪১ ওয়ার্ড বিশিষ্ট ১টি সিটি কর্পোরেশন, ১৫টি উপজেলা, ৩২টি থানা (উপজেলায় ১৬টি ও ১৬টি মেট্রোপলিটন থানা), ১৫টি পৌরসভা, ১৯০টি ইউনিয়ন, ৮৯০টি মৌজা ১২৬৭টি গ্রাম ও ১৬টি সংসদীয় আসন নিয়ে গঠিত।
১৮৬৩ সালের ২২শে জুন চট্টগ্রাম মিউনিসিপ্যালিটি'র যাত্রা শুরু। তবে এর প্রশাসন ও কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ১৮ জন কমিশনার সমন্বয়ে পরিষদ গঠন করা হয় ১৮৬৪ সালে। ঐসময়ে চট্টগ্রাম শহরের সাড়ে চার বর্গমাইল এলাকা মিউনিসিপ্যালিটির আওতাধীন ছিল। প্রথমে ৪টি ওয়ার্ড থাকলেও ১৯১১ সালে ৫টি ওয়ার্ড সৃষ্টি করা হয়। চট্টগ্রাম মিউনিসিপ্যালিটি ১৯৮২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর সিটি কর্পোরেশনে রুপান্তরিত হয়। বর্তমানে ওয়ার্ড সংখ্যা ৪১টি। চট্টগ্রাম শহর এলাকা চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন-এর অধীনস্থ।
ভাষা ও ঐতিহ্য:
বাংলাদেশের অন্যান্য জেলার মত চট্টগ্রাম জেলার জাতীয় ভাষা 'বাংলা' হলেও এ জেলার একটি নিজস্ব আঞ্চলিক ভাষা রয়েছে, যেটি 'চাঁটগাঁইয়া ভাষা' নামে পরিচিত। এ ভাষার নিজস্ব বৈশিষ্ট্য রয়েছে। চট্টগ্রাম জেলার অধিকাংশ লোক এ ভাষায় কথা বলে। চট্টগ্রাম জেলা নানান লোকসংস্কৃতিতে সমৃদ্ধ। মুসলমান সম্প্রদায়ের মেজবান এ জেলার একটি ঐতিহ্য।

23/12/2024

ঢাকা-৭ আসনে খোকন চেয়ারম্যানকে কেন দরকার ?
থার্টি ফাস্ট নাইট ২০২৪ উপলক্ষে মরহুম দেলোয়ার হোসেন স্মৃতি ফুটবল নাইট টুর্নামেন্টের শুভ উদ্ধোধন কালে বক্তব্য রাখছেন সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার ও ঢাকা-৭ আসনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী আলহাজ¦ মোশাররফ হোসেন খোকন সাহেবের জ্যেষ্ঠ পুত্র বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এবং সমাজ সেবক প্রিন্স রবিন হোসেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রিন্স রবিন সাহেবের বন্ধু স্বনামধন্য আলাউদ্দিন সুইটমিটের স্বত্বাধিকারী মারুফ আহমেদ।

23/12/2024

খেলা-ধুলা করা কেন জরুরী প্রয়োজন ?
কামরাঙ্গীরচরস্থ সিরাজনগর বন্ধু সংঘের উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে শহীদ জিয়াউর রহমান স্মৃতি মিনি বার নাইট ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন কামরাঙ্গীরচর থানা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি হাজী মো: দেলোয়ার হোসেন.৫৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি’র আহবায়ক শহীদুল হক.৫৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি’র আহবায়ক গোলাম রসুল শামীম.৫৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি’র সদস্য সচিব জুবায়ের আহমেদ পলাশ.বাংলাদেশ শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম.কামরাঙ্গীরচর থানা জাসাস এর আহবায়ক শরীফুল ইসলাম প্রিন্স ও কামরাঙ্গীরচর থানা শ্রমিক দলের আহবায়ক কাজল খান। গত ২০ শে ডিসেম্বর রাতের বেলায় আল হেরা কমিউনিটি সেন্টারের সামনে শহীদ জিয়াউর রহমান স্মৃতি মিনি বার নাইট ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়।

সৈয়দ আবদাল আহমদ.দৈনিক আমারদেশ.প্রকাশ : ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ক্ষমতায় থাকার শেষ চেষ্টা হিসেবে ভারতে পালানোর আগে শেখ হাসিনা ৫ আগ...
22/12/2024

সৈয়দ আবদাল আহমদ.দৈনিক আমারদেশ.প্রকাশ : ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

ক্ষমতায় থাকার শেষ চেষ্টা হিসেবে ভারতে পালানোর আগে শেখ হাসিনা ৫ আগস্ট সকালে সে দেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালকে ফোন করে ঢাকার ওপর দিল্লির হস্তক্ষেপ চেয়েছিলেন। দিল্লির সহায়তা চাওয়ার আগে তিনি দেশে সামরিক শাসন কিংবা জরুরি অবস্থা জারির চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। কারণ, বাংলাদেশের সেনাপ্রধানসহ শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তারা তার প্রস্তাব নাকচ করে দেন। সংশ্লিষ্ট নির্ভরযোগ্য একাধিক সূত্র থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

অনুসন্ধানে আরও জানা গেছে, শেখ হাসিনার ভারতে পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি খুব গোপনীয়তার সঙ্গে করা হয়। ভারতীয় নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ নিরাপত্তা কর্মকর্তারা সমন্বয় করে ৪ আগস্টের মধ্যেই পরিকল্পনাটি তৈরি করেন। পরিকল্পনার সঙ্গে ছিলেন তৎকালীন এসএসএফের ডিজি মেজর জেনারেল একেএম নাজমুল হাসান এবং সেনাবাহিনীর কিউএমজি লে. জেনারেল মুজিব।

অনুসন্ধানে আরও জানা যায়, শেখ হাসিনা ৪ আগস্ট বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন চুপ্পুকে ফোন করে জরুরি অবস্থা জারির জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেছিলেন। সেনাপ্রধানকে নির্দেশ দিয়েছিলেন গুলিবর্ষণ করে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ দমনের। তেমনি বিমানবাহিনী প্রধানকে হেলিকপ্টার থেকে গুলি চালাতেও বলেছিলেন। কিন্তু শেখ হাসিনার কোনো অভিপ্রায় বা হুকুম তামিল হয়নি। শেষ পর্যন্ত তাকে প্রাণরক্ষার জন্য স্যুটকেস গুছিয়ে নিরাপদ অবস্থানে যেতে ৪৫ মিনিট সময় বেঁধে দেওয়া হয়। গণভবনে দুপুরের খাবার রান্না করা ছিল। কিন্তু খাওয়ার সময়ও ছিল না। বিমানবাহিনীর ‘সি-১৩০ জে’ বিমানে করে ভারতে পালিয়ে যেতে হয়েছে। এ সময় তিনি ১৪টি স্যুটকেস সঙ্গে করে নিয়ে যান এবং স্যুটকেসগুলো ঠিকঠাকভাবে বিমানে উঠেছে কি না, সে ব্যাপারে নিশ্চিত হন। শেখ হাসিনার সঙ্গে বিমানে করে আরও পালিয়েছেন তার বোন শেখ রেহানা, জেনারেল (অব.) তারেক সিদ্দিকী ও তার স্ত্রী এবং একটি শিশু মেয়ে।

‘শেখ হাসিনা পালায় না’ এই দম্ভোক্তির দশ দিনের মাথায় শেখ হাসিনা এভাবে পালিয়ে যান ভারতে। সাড়ে পনেরো বছর দোর্দণ্ড প্রতাপে ক্ষমতায় টিকে থাকা একজন প্রধানমন্ত্রী এভাবে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাবেন, এটা কেউ ভাবতেই পারেননি। বাংলাদেশের ইতিহাসে এর আগে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর কোনো ব্যক্তি এভাবে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন, তার নজির নেই।

শেখ হাসিনার ভারতে পালিয়ে যাওয়া এবং ৩ থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত গণভবন ও ঢাকা সেনানিবাসে কী ঘটেছিল, সে বিষয়ে অনুসন্ধান চালায় আমার দেশ। গণভবনের প্রত্যক্ষদর্শী নিরাপত্তা কর্মকর্তা, সেনা ও বিমানবাহিনীর সংশ্লিষ্ট সূত্র, প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর ও বঙ্গভবন সূত্রে এবং কয়েকজন উপদেষ্টার কাছ থেকে পাওয়া তথ্যে অজানা সব কথা বেরিয়ে আসে। বিষয়গুলো স্পর্শকাতর হওয়ার কারণে নাম উল্লেখ করা হয়নি। অনুসন্ধানে আরও জানা গেছে, ভারতের নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে শেখ হাসিনার অন্তত দুবার কথা হয়। দোভাল অন্যান্য কর্মকর্তার সঙ্গেও কথা বলেন এবং শেখ হাসিনার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার তাগিদ দেন। ৫ আগস্ট বেলা ১১টার দিকে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে ভারতীয় সেনাপ্রধান টেলিফোনে কথা বলেছেন বলেও অনুসন্ধানে জানা গেছে।

যেভাবে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, শেখ হাসিনা তেজগাঁও কুর্মিটোলা বিমানবন্দর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি বিমানবাহিনীর ‘সি-১৩০ জে’ বিমানে করে দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে ফ্লাই করেন। বিমানটির পাইলট ছিলেন গ্রুপ ক্যাপ্টেন শামীম রেজা ও উইং কমান্ডার গোলাম রসূল চৌধুরী।

গণভবন থেকে গাড়িতে করে কুর্মিটোলা যাওয়ার জন্য প্রথমে জেদ ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তাকে নিষেধ করা হলেও গাড়িতে ওঠেন এবং গাড়িবহর গণভবন থেকে কুর্মিটোলার উদ্দেশে যেতে থাকে। গাড়িবহরের অগ্রগামী ক্লিয়ারিং অফিসার (কর্নেল পদমর্যাদার) জানান, সামনে বড় মিছিল আছে, গাড়িবহর নিয়ে যাওয়া যাবে না। তখন গাড়িবহরে থাকা এসএসএফের একজন অপারেশন অফিসার বলেন, ‘আমরা গুলি করে করে এগিয়ে যাব।’ কিন্তু গাড়িবহরে থাকা জুনিয়র অফিসাররা বলেন, ‘ঝুঁকি নেওয়া আমাদের ঠিক হবে না। মবের সামনে পড়লে সবাই মারা যেতে পারি। ফলে গাড়িবহর ঘুরিয়ে গণভবনের পেছনে বাণিজ্যমেলার মাঠে (আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের পশ্চিম পাশে) নেওয়া হয়। এরই মধ্যে রাশিয়ার তৈরি হেলিকপ্টার (এমআই-১৭) কল করে এনে প্রস্তুতও রাখা হয়। হেলিকপ্টারে ওঠেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা, জেনারেল (অব.) তারেক সিদ্দিকী ও তার স্ত্রী এবং একটি মেয়েশিশু (সম্ভবত তারেক সিদ্দিকীর পরিবারের হতে পারে)। হেলিকপ্টারটি সেখান থেকে কুর্মিটোলায় যায়। পাইলট ছিলেন এয়ার কমোডর আব্বাস ও গ্রুপ ক্যাপ্টেন রায়হান কবির। হেলিকপ্টারটি ১২টা ৩০ মিনিটে কুর্মিটোলায় পৌঁছালে বেস কমান্ডার হিসেবে দায়িত্বে থাকা এয়ার ভাইস মার্শাল এবিএম আউয়াল তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে রিসিভ করেন। এ সময় উইং কমান্ডার জাকি আনোয়ার গণভবন থেকে সঙ্গে আনা শেখ হাসিনার ১৪টি স্যুটকেস বিমানে উঠিয়ে দেন। এ সময় শেখ হাসিনা কারো সঙ্গে কোনো কথা বলেননি। শুধু স্যুটকেসগুলোর খোঁজ নেন, সবগুলো বিমানে উঠেছে কি না। সঙ্গে বিমানে আরও ওঠেন ডিজি এসএসএফ, এসএসএফের তিন থেকে চারজন কর্মকর্তা এবং ফ্লাইট লে. পদবির একজন লেডি কর্মকর্তা। কুর্মিটোলা পৌঁছার ১০ মিনিটের মধ্যেই শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা ও তারেক সিদ্দিকীকে নিয়ে বিমানটি উড্ডয়ন করে। এ সময় সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষ শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সব ধরনের বিমানের ওঠানামা বন্ধ করে দেয়। ‘সি-১৩০ জে’ বিমানটি ট্রান্সপন্ডার বন্ধ করে উড্ডয়ন করে, যাতে রাডারের সঙ্গে যোগাযোগ সংযোগ না হয়। সাধারণত বিমান উড্ডয়ন করে নর্থবেঙ্গল হয়ে ঘুরে যায়। কিন্তু এ বিমানটি আকাশে উঠেই নর্থবেঙ্গলে না গিয়ে ত্রিপুরার (আগরতলা) দিকে চলে যায়, যাতে খুব অল্প সময়ে সীমান্ত পার হতে পারে। এরই মধ্যে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের ক্লিয়ারেন্স পেয়ে বিমানটি সরাসরি দিল্লি চলে যায় এবং নামে দিল্লির উপকণ্ঠে উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের হিন্দন বিমানঘাঁটিতে। সেখানে ভারতের নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল শেখ হাসিনাকে অভ্যর্থনা জানান। জানা গেছে, হাসিনা সেখানেও অজিত দোভালকে ঢাকায় আক্রমণ করতে বলেন। শেখ হাসিনাকে হিন্দন ঘাঁটিতে নামানোর পর রিফুয়েলিং করে বিমানটি কর্মকর্তাদের নিয়ে ঢাকায় ফিরে আসে।

গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, ভারতের নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল এর আগেও দফায় দফায় ঢাকায় এসেছেন। বিশেষ বিমানে করে তিনি আসতেন। গণভবনে যেতেন কিন্তু তার আসা-যাওয়ার কথা গোপন রাখা হতো।

কঠোর গোপনীয়তায় পালানোর পরিকল্পনা

নির্ভরযোগ্য সূত্রগুলো থেকে আমার দেশ নিশ্চিত হয়েছে যে, শেখ হাসিনার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ তৎকালীন এসএসএফের ডিজি মেজর জেনারেল একেএম নাজমুল হাসান এবং সেনাবাহিনীর কিউএমজি জেনারেল মুজিব হাসিনার পালানোর পরিকল্পনা করেন। জেনারেল (অব.) তারেক সিদ্দিকী এ ব্যাপারে ভারতের নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের প্রয়োজনীয় গাইডলাইন নেন। শেখ হাসিনা বাংলাদেশের কোনো বিমানে করে যেতে চাচ্ছিলেন না। তিনি ভারত থেকে বিমান এনে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সে দেশের কর্তৃপক্ষ থেকে জানানো হয়, ভারত বিমান পাঠাতে পারবে না। এটা করা হলে আন্তর্জাতিক ক্রাইসিস সৃষ্টি হবে। এরপর সিদ্ধান্ত হয় বিমানবাহিনীর বিমানে করেই শেখ হাসিনা পালাবেন। আরও সিদ্ধান্ত হয়, সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে ঢাকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কিছু সময়ের জন্য অন্যান্য বিমান ওঠানামা বন্ধ রাখা হবে। রাডারে যাতে বিমানটি ধরা না পড়ে, সে জন্য এর ট্রান্সপন্ডার অফ রাখা হবে। এছাড়া বিমানটি ফ্লাই করার আগে যাতে খবরটি ‘লিক’ হয়ে না যায় এবং শেখ হাসিনার গতিবিধি যাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে না পড়ে, সে জন্য আগে থেকেই ইন্টারনেটও বন্ধ রাখা হয়। ওইদিন সকাল সাড়ে ৯টা থেকে ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হয়।

শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টে কিংবা গোপালগঞ্জে যাচ্ছেন বলে দুটি খবরও ছড়িয়ে দেওয়া হয়। ভারতে পালিয়ে যাচ্ছেন- এই আসল খবরটি যাতে জানাজানি না হয়, সে জন্যই এভাবে প্রতারণা করে দৃষ্টি অন্যদিকে নেওয়ার চিন্তা করা হয়।

গণভবনে কী ঘটেছিল

গণভবনে ৪ আগস্টের রাতটি ছিল খুবই উত্তেজনাপূর্ণ ও ভয়ংকর। ওই রাতে নিরাপত্তা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কয়েক দফা বৈঠক হয়। তিনি বৈঠক করেন মন্ত্রী, দলের শীর্ষ নেতা ও বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তির সঙ্গে। বৈঠকে রাগারাগি ও উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়।

রাত ১২টা থেকে সোয়া ১২টার দিকে তিন বাহিনীপ্রধানের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন তার নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেনারেল (অব.) তারেক সিদ্দিকী। সে বৈঠকে পদত্যাগের বিষয়টি ওঠানো হলে প্রধানমন্ত্রী ক্ষুব্ধ হয়ে বলতে থাকেন, যা হওয়ার হবে, তিনি ক্ষমতা ছাড়বেন না। শেখ হাসিনা সেনাপ্রধানকে মেরুদণ্ড শক্ত করে কঠোর হয়ে বিক্ষোভ দমনের জন্য বারবার বলতে থাকেন। জেনারেল তারেক সিদ্দিকী শেখ হাসিনাকে সমর্থন জানিয়ে বলতে থাকেন, সেনাবাহিনী গুলি চালিয়ে কিছু লোককে মেরে ফেললে বিক্ষোভ এমনিতেই দমন হয়ে যাবে। বিমানবাহিনীকে হেলিকপ্টার থেকে গুলি চালানোর কথাও তিনি বলেন। এমন পরিস্থিতিতে বৈঠকে উপস্থিত বিমানবাহিনীপ্রধান তারেক সিদ্দিকীর ওপর ভীষণ রেগে যান এবং প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে বলেন, এই লোকটিই আপনাকে ডুবিয়েছে এবং আরও ডোবাবে। ঠিক এ সময় একজন অপরিচিত ব্যক্তি (যাকে ডিউটিরত এসএসএফ সদস্যরা চেনেন না) গণভবনে প্রবেশ করলে শেখ হাসিনা সভা শেষ করে দেন। রাত ১২টা ৪০ মিনিটে তিন বাহিনীপ্রধান গণভবন ত্যাগ করেন। রাতে গণভবনে পুলিশের আইজি আবদুল্লাহ আল মামুন এবং এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) জামালউদ্দিনও ছিলেন।

৫ আগস্ট সকাল ৯টায় তিন বাহিনীপ্রধান আবার গণভবনে আসেন। এ সময় পুলিশের আইজি এবং মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুবুর রহমানও গণভবনে ছিলেন। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী পুলিশের আইজি আবদুল্লাহ আল মামুনকে দেখিয়ে বলেন, ওরা (পুলিশ) ভালো কাজ করছে। সেনাবাহিনী পারবে না কেন? এ সময় পুলিশের আইজি বলেন, পরিস্থিতি যে পর্যায়ে গেছে, তাতে পুলিশের পক্ষেও আর বেশি সময় এ রকম কঠোর অবস্থান ধরে রাখা সম্ভব নয়। কারণ আমাদের আর কিছু করার সামর্থ্য নেই। অস্ত্র, গোলাবারুদ আর অবশিষ্ট নেই। ফোর্সও টায়ারড হয়ে পড়েছে।

সামরিক কর্মকর্তারা প্রধানমন্ত্রীকে আবারও ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়ার পরামর্শ দেন। একপর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী রেগে গিয়ে বলেন, তাহলে তোমরা আমাকে গুলি করে মেরে ফেল এবং গণভবনে কবর দিয়ে দাও। সামরিক কর্মকর্তারা শেখ রেহানাকে অন্য একটি কক্ষে নিয়ে গিয়ে সামগ্রিক পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করে প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগে রাজি করাতে অনুরোধ করেন। তারা এ কথাও বলেন যে, সময় দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের ডাকে ‘লংমার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচির কারণে গণভবন অভিমুখে ঢাকার চারপাশ থেকে মিছিল আসছে। এ পর্যায়ে শেখ রেহানা প্রধানমন্ত্রীকে বোঝানোর চেষ্টা চালান। একপর্যায়ে বড় বোন শেখ হাসিনার পা জড়িয়ে ধরেন রেহানা। কিন্তু শেখ হাসিনা রাজি হচ্ছিলেন না। পরে জয়ের সঙ্গে কথা বলেন শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা। জয়কে বলা হয়, প্রাণে বাঁচাতে হলে তার মাকে পদত্যাগ করা ছাড়া উপায় নেই। টাইম একটা ফেক্টর। এখনই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। জয় পরিস্থিতি জানার পর মায়ের সঙ্গে কথা বলেন। অবশেষে জয়ের কথায় ক্ষমতা ছেড়ে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন শেখ হাসিনা। তিনি টেলিভিশনে প্রচারের জন্য একটি ভাষণ রেকর্ড করার ইচ্ছা প্রকাশ করলে সামরিক কর্মকর্তারা অপারগতা প্রকাশ করেন। এ সময় তারা প্রধানমন্ত্রীকে ব্যাগ গোছাতে ৪৫ মিনিটের সময় দেন। কারণ গণভবন অভিমুখে লাখ লাখ ছাত্র-জনতার যে মিছিল আসছে, সে সময়ের মধ্যে পৌঁছে যাবে। ছাত্র-জনতার এই স্রোত ছিল ৩৬ দিনের অভাবনীয় আন্দোলনের চূড়ান্ত রূপ- চব্বিশের বিপ্লব, ছাত্র-গণঅভ্যুত্থান।

বিদায়ঘণ্টা বেজে যায় ৩ আগস্ট

‘সেনাবাহিনী ছাত্র-জনতার ওপর গুলিবর্ষণ করবে না’- ৩ আগস্ট সেনাপ্রধান এ কথা জানিয়ে দেওয়ার পরই মূলত শেখ হাসিনার রাজত্বের বিদায়ঘণ্টা বেজে যায়।

ছাত্রদের আন্দোলন নিয়ন্ত্রণে আনতে দেশব্যাপী সেনাবাহিনী মোতায়েন ছিল। আন্দোলন পরিস্থিতি মূল্যায়ন ও ফিডব্যাক নিতে ওইদিন সেনাসদরে বিভিন্নস্তরের সামরিক কর্মকর্তার সঙ্গে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান মতবিনিময় করেন। দেশের অন্যান্য ফরমেশনের কর্মকর্তারাও ভার্চুয়ালি ওই সভায় যোগ দেন। শুরুতে আধঘণ্টার একটি উদ্বোধনী বক্তৃতা করেন সেনাপ্রধান।

তিনি সরকারের নির্দেশনায় সিভিল প্রশাসনের সহায়তায় কেন সেনাবাহিনী নিয়োগ করা হয়েছে, তা ব্যাখ্যা করেন। সভায় তিনি এ কথাও বলেন, ‘আমাদের দেশে ১৯৭০ সালের পর এমন গণবিক্ষোভ আর কখনো হয়নি। তাই আমাদের এই পরিস্থিতি ধৈর্যের সঙ্গে মোকাবিলা করতে হবে।

সেনাপ্রধানের বক্তব্যের পর উপস্থিত কর্মকর্তাদের বক্তব্য আহ্বান করা হয়। বক্তব্যের জন্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এবং এর চেয়ে ঊর্ধ্বতন কয়েকজন কর্মকর্তা হাত তুললেও সেনাপ্রধান তরুণ কর্মকর্তাদের কথা শুনতে চান। সভায় সেদিন ছয় থেকে সাতজন কর্মকর্তা নিজেদের বাস্তব অভিজ্ঞতা শোনান।

রাজশাহীর একজন নারী সেনাকর্মকর্তা বাংলায় আবেগপূর্ণ ভাষায় বলেন, দেশের সব মাকে মৃত্যু স্পর্শ করেছে এবং সব মা কাঁদছেন। তিনি মীর মুগ্ধর প্রতিবেশী ছিলেন, যে মুগ্ধ ঢাকার উত্তরায় ছাত্রমিছিলে পানি বিতরণ করতে গিয়ে প্রাণ বিসর্জন দেন। নারী কর্মকর্তা মেজর হাজেরা জাহান এ ঘটনায় শিশুদের প্রাণহানি ও এর ন্যায্য বিচার হওয়ার ওপর গুরুত্ব দেন। তিনি সেনাবাহিনীর ওপরও অসন্তোষ বাড়তে থাকা নিয়ে উদ্বেগ জানান। সেনাপ্রধান তার মনোভাবের সঙ্গে একমত হন। ঢাকার মোহাম্মদপুরে একটি গুলির ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছিল। ওই ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একজন ক্যাপ্টেন বর্ণনা করেন সেদিন কীভাবে কর্তব্যরত সেনাসদস্যদের জনতা ঘিরে ধরেছিল এবং তিনি পরিবার ও বন্ধুদের কাছ থেকে সমালোচিত হয়েছিলেন।

তেমনি সেনাবাহিনীর ওপর জনগণের সমর্থন কমে যাওয়ার কথা তুলে ধরে সেনাসদস্যদের ব্যারাকে ফিরিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দেন পাঁচ এয়ার ডিফেন্স রেজিমেন্টের কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল মাহবুব। এ ধরনের বেশ কিছু বক্তব্য সভায় আসে।

সেনাপ্রধান কর্মকর্তাদের বক্তব্য শোনার পর সিদ্ধান্ত দেন, যে কোনো উসকানিতেও সেনাবাহিনী ছাত্র-জনতার ওপর গুলিবর্ষণ করবে না। শিক্ষার্থীদের মিছিলকে প্রতিহত কিংবা বাধা দেবে না। মিছিল চলাকালে সেনাসদস্যরা বরং সরে গিয়ে তাদের জায়গা করে দেবে।

সেনাপ্রধান সভার এ সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে জানিয়ে দেন। এ সিদ্ধান্তে শেখ হাসিনা সেনাবাহিনীর ওপর ক্ষুব্ধ হন। ৪ আগস্ট রাওয়া ক্লাবে অনুষ্ঠিত সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বৈঠকটিও ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। ওই বৈঠকে সাবেক সেনাপ্রধান লে. জেনারেল নূরউদ্দিনসহ কয়েকজন প্রাক্তন সেনাপ্রধান উপস্থিত ছিলেন। তারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের আন্দোলনের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে সেদিন মিছিলও করেছিলেন।

গণভবনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে স্পিকারের পরামর্শ

৪ আগস্ট দুপুরে গণভবনে শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। তিনি আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন নেতার বার্তা পৌঁছে দেন শেখ হাসিনাকে। তাকে অনুরোধ করেন জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে পদত্যাগ করার। সরকারের একজন গুরুত্বপূর্ণ উপদেষ্টাকে শিরীন শারমিন চৌধুরী এ কথা জানান। তিনি এও জানান, তার পরামর্শ ও প্রবীণ নেতাদের বার্তায় শেখ হাসিনা পদত্যাগে রাজি হয়েছিলেন। কিন্তু গণভবনে তখন উপস্থিত আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও তথ্য প্রতিমন্ত্রী আরাফাত এর তীব্র বিরোধিতা করেন। রাতে ‘গ্যাং অব ফোর’ নামে পরিচিত ওবায়দুল কাদের, আনিসুল হক, সালমান এফ রহমান ও আসাদুজ্জামান কামাল শেখ হাসিনাকে কঠোর অবস্থানে নিয়ে যান। তারা হাসিনাকে বলেন, এখন কোনোভাবেই নরম হওয়া যাবে না, নতিস্বীকার করা যাবে না।

ভাষণ রেকর্ড করতে গণভবনে বিটিভির ওভি ভ্যান

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে ৪ আগস্ট বাংলাদেশ টেলিভিশনের ডিজিকে ফোন করে জানানো হয় শেখ হাসিনা ৫ আগস্ট দুপুর ১২টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন। ৪ আগস্ট রাতে ভাষণ রেকর্ড করার জন্য গণভবনে বিটিভির অভি ভ্যান টিম পাঠানো হয়। ৫ আগস্ট সকালে বিটিভির স্ক্রলেও প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ প্রচারের কথা দেখানো হয়। কিন্তু ৫ আগস্ট বেলা ১১টায় আইএসপিআর থেকে বিটিভির মহাপরিচালককে জানানো হয়, সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বেলা ২টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন। আইএসপিআর থেকে অভি ভ্যান চাওয়া হলে বিটিভি থেকে বলা হয়, অভি ভ্যান গণভবনে রয়েছে, সেখান থেকে নেওয়া সহজ হবে। সেনাপ্রধানের সেই ভাষণ প্রচার করা হয় বিকাল ৪টায়।

রাষ্ট্রপতিকে জরুরি অবস্থা জারির জন্য তৈরি থাকা

বঙ্গভবন সূত্রে জানা গেছে, ৪ আগস্ট শেখ হাসিনা রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন চুপ্পুকে ফোন করে জানান, দেশব্যাপী জরুরি অবস্থা জারি হতে পারে, তিনি যেন তৈরি থাকেন। ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর মিলিটারি সেক্রেটারি রাষ্ট্রপতির মিলিটারি সেক্রেটারিকে ফোন করে জানান, প্রধানমন্ত্রী যে কোনো সময় বঙ্গভবনে আসতে পারেন।

22/12/2024

কেরানীগঞ্জ উপজেলার কোনাখোলার পশ্চিমে বাস্তা তিন রাস্তার মোড়ে গ্রামীণ পরিবেশে গড়ে উঠা ঢাকা কুঞ্জ কনভেনশন সেন্টার উদ্ধোধন করা হয়। এর মালিক হচ্ছেন পুরান ঢাকার কৃতিসন্তান হাজী সমির উদ্দিন ঢাকাইয়া। গত ২০ শে ডিসেম্বর বাদ জুমা উদ্ধোধনের পর তিঁনি বক্তব্য রাখছেন। বুকিং দিতে ফোন করুন :- ০১৬৭৬৯৪২৭১০/০১৮১৭০১৭৫১৮/০১৭৭৫৬৩১৬১৫/০১৮৩০৭৭৪৯৫২

22/12/2024

নির্বাচনের জন্য সবাই তৈরি হোন ।
কামরাঙ্গীরচরস্থ সিরাজনগর বন্ধু মহলের উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে শহীদ জিয়াউর রহমান স্মৃতি মিনি বার নাইট ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে (ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে) বক্তব্য রাখছেন ঢাকা জেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিষ্টার ইরফান ইবনে আমান অমি। গত ২০ শে ডিসেম্বর রাতের বেলায় শহীদ জিয়াউর রহমান স্মৃতি মিনি বার নাইট ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কামরাঙ্গীরচর থানা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন।

21/12/2024

আগামী সমাজ হবে কুরআনী সমাজ ।
হিফজুল কুরআন অ্যাওয়ার্ড-২০২৪ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত অভিভাবক সম্মেলন ও দোয়া মাহফিলে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখছেন বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের নায়েবে আমীর আলহাজ¦ হযরত মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী। গত ১৯ শে ডিসেম্বর দুপুর বেলায় কামরাঙ্গীরচর পাকাপুলস্থ নিদাউল কুরআন ওয়াস সুন্নাহ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। জানা গেছে.জাতীয় পর্যায়ে ১ম স্থান অর্জন সহ একাধিক বার সেরা দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি প্রাপ্ত নিদাউল কুরআন ওয়াস সুন্নাহ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসা। যার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক হচ্ছেন দ্বীনি এবং আধুনিক শিক্ষায় বেড়ে উঠা তরুণ আলেমেদ্বীন হাফেজ মাওলানা ক্বারী শহীদুল ইসলাম। উল্লেখ্য যে.এই মাদ্রাসায় ভর্তি চলছে। যোগাযোগ :- ০১৮৭৮৫৭৯৪৫১।

21/12/2024

লালবাগে ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্ধোধন করলেন সাবেক কমিশনার খোকন।
থার্টি ফাস্ট নাইট ২০২৪ উপলক্ষে মরহুম দেলোয়ার হোসেন স্মৃতি ফুটবল নাইট টুর্নামেন্টের শুভ উদ্ধোধন করেন ৬০ নম্বর ওয়ার্ড (২৪ নম্বর ওয়ার্ড) এর সাবেক কমিশনার.ঢাকা-৭ আসনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী আলহাজ মোশাররফ হোসেন খোকন ও তাঁর জ্যেষ্ঠ পুত্র বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এবং সমাজ সেবক প্রিন্স রবিন হোসেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রিন্স রবিন সাহেবের বন্ধু স্বনামধন্য আলাউদ্দিন সুইটমিটের স্বত্বাধিকারী মারুফ আহমেদ। উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে কে কে ফাইটার্স বনাম হাবিব গøাস হাউজ এর মধ্যে খেলা অনুষ্ঠিত হয়।



19/12/2024

মাদ্রাসা শিক্ষা কেন জরুরী ?
হিফজুল কুরআন অ্যাওয়ার্ড-২০২৪.অভিভাবক সম্মেলন ও দোয়া মাহফিলে বক্তব্য রাখছেন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি বিজেপি’র কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাগির আহমেদ সুজন। গত ১৯ শে ডিসেম্বর দুপুর বেলায় কামরাঙ্গীরচর পাকাপুলস্থ নিদাউল কুরআন ওয়াস সুন্নাহ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

19/12/2024

যে মাদ্রাসাটি গোটা কামরাঙ্গীরচরের গর্ব -নাঈম।
হিফজুল কুরআন অ্যাওয়ার্ড-২০২৪.অভিভাবক সম্মেলন ও দোয়া মাহফিলে বক্তব্য রাখছেন কামরাঙ্গীরচর থানা বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নাঈম। গত ১৯ শে ডিসেম্বর দুপুর বেলায় কামরাঙ্গীরচর পাকাপুলস্থ নিদাউল কুরআন ওয়াস সুন্নাহ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

19/12/2024

কামরাঙ্গীরচরের প্রভাবশালী বিএনপি নেতা মনির চেয়ারম্যান কেন খুশি ?
হিফজুল কুরআন অ্যাওয়ার্ড-২০২৪.অভিভাবক সম্মেলন ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখছেন আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দল থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী.ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি’র যুগ্ম-আহবায়ক হাজী মুহাম্মদ মনির হোসেন (সাবেক চেয়ারম্যান)। গত ১৯ শে ডিসেম্বর দুপুর বেলায় কামরাঙ্গীরচর পাকাপুলস্থ নিদাউল কুরআন ওয়াস সুন্নাহ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

Address

Kamrangir Char Ashrafabad Main Road
Dhaka
1211

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when ঢাকার হালচাল - Dhakar Halchal posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to ঢাকার হালচাল - Dhakar Halchal:

Share

আসসালামুয়ালাইকুম, প্রিয় দর্শক আমাদের ফেইসবুক পেইজ-এ আপনাদের স্বাগতম।

আসসালামুয়ালাইকুম

প্রিয় দর্শক আপনাদের স্বাগতম,আমাদের ফেইসবুক পেইজ-এ। আপনারা রাজধানী ঢাকার প্রতিদিনের তরতাজা খবর এবং ভিডিও পাবেন এই পেইজ-এ। তাই খবর জানতে আমাদের পেইজ-এ লাইক দিয়ে সাথে থাকুন এবং অবশ্যই আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন।

https://www.youtube.com/channel/UCfYJdnQbQKNEZUICJDiOWOQ