Spark

Spark বিজ্ঞানের নতুন নতুন গবেষণাকে সহজবোধ্য করে উপস্থাপনার জন্য এই পেজ।
(1)

26/01/2020

ব্রেস্ট ক্যান্সার সনাক্তকরনের ক্ষেত্রে ডাক্তারদের চেয়ে এগিয়ে গিয়েছে Artificial intelligence বা কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা !!

বিজ্ঞানীরা পরীক্ষামূলকভাবে গুগল হেলথ এর কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তাকে ক্যান্সার সেল সনাক্ত করতে শিখিয়ে একটি পরীক্ষা করেন। সেখানে ডাক্তারদের চাইতেও ভালোভাবে কাজটি করে AI। এই ফলাফল নেচারে প্রকাশিত হয়েছে।

সামনের দিনগুলোতে কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার অভূতপূর্ব অগ্রগতি হতে চলেছে। কয়েক দশকের মধ্যেই কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তাই হবে পৃথিবীর মূল চালিকা শক্তি।

25/01/2020

চীনের নতুন ভাইরাস আসলে কী??

পৃথিবীতে বহু রকমের ভাইরাস আছে। এর মধ্যে এক দলের নাম করোনাভাইরাস। কারন এই ভাইরাসগুলো দেখতে সূর্যের মত গোলাকার এবং এদের বাইরের দিকে সূর্যের করোনার মত দেখতে এক ধরণের জিনিস আছে। এই করোনাভাইরাসের আবার বহু প্রজাতি আছে। এর মধ্যে মাত্র 7টি ভাইরাস মানুষ ও স্তন্যপায়ী প্রাণীদের মধ্যে রোগ ছড়ায়। এখন চীনে যে ভাইরাসটা রোগ ছড়াচ্ছে তারাও এক ধরণের করোনাভাইরাস। কিন্তু এটা সম্পূর্ণ নতুন প্রজাতির ভাইরাস। যার সম্পর্কে কোন আইডিয়া বিজ্ঞনিদের এই মুহূর্তে নেই। ফলে বিজ্ঞানীদের এখন নতুন করে গবেষণা করতে হচ্ছে। কারন ইতোমধ্যে 40 জনেরও বেশি লোক মারা গিয়েছে, আক্রান্ত হয়েছে ১২০০ এরও বেশি ।

নতুন করে গবেষণা করে বিজ্ঞানীরা দেখতে পেলেন- এই ভাইরাসটা আসলে বাদুরের শরীরে থাকা একটা ভাইরাস এবং নতুন অজানা একটা ভাইরাসের মিলিত রূপ। এগুলা তারা জানতে পেরেছেন বিভিন্ন প্রজাতির ভাইরাস এবং সেই ভাইরাসের পোষকের DNA বিশ্লেষণ করে। যে প্রোটিনের সাহায্যে ভাইরাসগুলো পোষকের কোষের সাথে যুক্ত হয়, সেই প্রোটিনের গঠন বিশ্লেষণ করে তারা আরও জানতে পারেন যে এই ভাইরাসগুলো সম্ভবত বাদুর থেকে সাপ, তারপর সাপ হয়ে মানুষের শরীরে পৌঁছেছে। তবে অন্য আরেকদল বিজ্ঞানী এই সাপের সম্পৃক্ততার কোন খোঁজ পাননি। এটি সম্পূর্ণ নতুন একটি ভাইরাস। তাই এর ঠিকুজি কুষ্ঠি বের করতে বিজ্ঞানীদের আরও কিছুদিন সময় লাগবে।

ভাইরাসটি যেহেতু নতুন এবং মানুষের মৃত্যু ঘটাচ্ছে, তাই আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। ইতোমধ্যে এই ভাইরাস চীন থেকে অ্যামেরিকাতেও পৌঁছে গেছে। এই রোগের এই মুহূর্তে কোন ভ্যাকসিন বা চিকিৎসা নেই। লক্ষণ হলো জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্ট।

24/01/2020

ছবির এই সাপগুলো খেয়েই সম্ভবত চীনের মানুষদের মধ্যে মারাত্মক ভাইরাসগুলো ছড়িয়েছে !!

ছবির এই সাপের নাম বাংলা করলে হবে ইন্দো-চাইনিজ ইদুরখেকো সাপ। এগুলো চীনের কিছু অঞ্চলের মানুষ সাপের সুপের জন্য প্রচুর পরিমানে খায়। বিজ্ঞানীদের একটি গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে যে সম্প্রতি চীনে যে মারাত্মক ভাইরাসের পাদুর্ভাব হয়েছে তা এই সাপ থেকেই ছড়িয়েছে।

এখানে উল্লেখ করার মত একটি বিষয় হলো- সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের গবেষণার পদ্ধতিতে আকাশ ছোঁয়া অগ্রগতি হয়েছে । বিজ্ঞানীরা এক্ষেত্রে সরাসরি ভাইরাসের জিনোম বিশ্লেষণ করে দেখেছেন যে কোন প্রাণী থেকে এই ভাইরাস মানুষের শরীরে ছড়াতে পারে। আধুনিক বিজ্ঞান এখন জীবের দেহের মধ্যে থাকা DNA কোডকে একটি বইয়ের মতই পড়তে পারে। এই গবেষণার ধরন থেকে সেটাই বোঝা যাচ্ছে।

24/01/2020
23/01/2020

অক্টোপাসের ৩ টি হৃদপিণ্ড, ৯ টি মস্তিষ্ক এবং রক্তের রঙ নীল !!

ওদের মস্তিষ্ক মূলত একটি, কিন্তু ওদের প্রত্যেকটি বাহুর স্নায়তন্ত্র সতন্ত্রভাবে কাজ করতে পারে। তাই অনেকে এদের ৯ টি মাথা আছে বলেন। তবে এদের মস্তিক্স ও স্নায়ুতন্ত্র অনেক উন্নত। অমেরুদণ্ডীদের মধ্যে এরাই সবচেয়ে বুদ্ধিমান। এরা উন্নত মেরুদণ্ডী প্রাণীদের মত বড়দের দেখে দেখে অভিজ্ঞতা, পরিকল্পনা ইত্যাদি করতে পারে।

আমাদের রক্তে লোহা থাকে, তাই আমাদের রক্তের রঙ লাল হয়, কিন্তু ওদের রক্তে লোহার বদলে থাকে তামা। ফলে রক্তের রঙ হয় নীল। [রেফারেন্স কমেন্টে]

ছবির উৎসঃ ইন্টারনেট

23/01/2020

অ্যান্টার্কটিকাতে এক সময় ছিল সবুজ শ্যামল বনাঞ্চল !!!

অ্যান্টার্কটিকার পূর্ব অংশের মাটি খুড়ে যে ফসিল পাওয়া গিয়েছে তা থেকে দেখা যাচ্ছে- এটি এক সময় গ্রীষ্মমণ্ডলীয় বনাঞ্চলের মত সবুজ শ্যামলে ভর্তি ছিল। সমুদ্র তল থেকে প্রায় আধা মাইল নিচে বিজ্ঞনীরা এমন ধরণের ফসিল খুজে পেয়েছেন যার মধ্যে গাছের পরাগ রেনু রয়েছে। এই ধরণের পরাগ শুধুমাত্র গ্রীষ্মমণ্ডলীয় বনাঞ্চলের গাছেই পাওয়া যায়। অর্থাৎ এই অঞ্চল এক সময় ছিল বাংলাদেশের মতই উষ্ণ আবহাওয়া ও সবুজ শ্যামলে পরিপূর্ণ।

নতুন গবেষণা থেকে দেখা যাচ্ছে যে সেই ডেভোনিয়ান পিরিয়ড থেকেই অর্থাৎ ৪২০ মিলিয়ন বছর আগে থেকেই এখানে উষ্ণ তাপমাত্রা ছিল। মাটির বিভিন্ন স্তর থেকে বিজ্ঞানীরা বড় ধরণের গাছ, কয়েক ধরণের স্তন্যপায়ী প্রাণীর হাড়, দাঁত, লেজের হাড় ইত্যাদি পেয়েছেন। এইসব প্রাণীর মধ্যে বেশিরভাগই ছিল তৃণভোজী, ফলে ধারণা করা যায় যে সেইসব গাছপালাও ছিল। অর্থাৎ এক সময় জীব বৈচিত্র্যে ভর্তি ছিল আজকের এই বরফে ঢাকা মহাদেশ।

৫০০ - ১৮০ মিলিয়ন আগে বছর পর্যন্ত অ্যান্টার্কটিকা ছিল গন্ডোয়ানা নামে এক মহা মহাদেশের অংশ। অর্থাৎ সেই সময়টায় বর্তমান সময়ের মত সাতটি আলাদা আলাদা মহাদেশ ছিল না। এটি তখন অ্যামেরিকা, আফ্রিকা, ভারত, আরব ও অস্ট্রেলিয়ার সাথে সংযুক্ত ছিল। এক পর্যায়ে অ্যামেরিকা মহাদেশ অ্যান্টার্কটিকা থেকে বিচ্ছিন্ন হতে শুরু করে, আর তার প্রায় ১৬ মিলিয়ন বছর পর অস্ট্রেলিয়া। ফলে এটি পৃথিবীর একদম মেরুতে চলে আসে, আর সাথে এই মহাদেশের চারপাশে একটি নতুন সমুদ্রস্রোত সৃষ্টি হয়। কারন তখন এর চারপাশে স্থলের কোন বাধা ছিল না। এই স্রোত একে আরও শীতল করে রাখে। ফলে ধীরে ধীরে এটি বর্তমান বরফ ঢাকা রূপ পেতে থাকে। [রেফারেন্স কমেন্টে]

ছবির উৎসঃ ইন্টারনেট

22/01/2020

মানুষ কেন বামহাতি হয় ??

আমাদের গায়ের রঙ, উচ্চতা, চুলের ধরণের মত আমরা বামহাতি হব নাকি ডানহাতি হব সেটাও আমাদের DNA এবং জিনের উপর নির্ভর করে। ২০০৭ সালে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক LRRTM- 1 নামক একটি জিন সনাক্ত করেন।গঠন বিকারগ্রস্ত একটি শিশুর শরীর পরীক্ষা করার সময় তারা এটি খুজে পান।পরে দেখা যায় বামহাতি হবার পেছনে এই বিশেষ জিনটির যথেষ্ট অবদান রয়েছে।

আপনি হয়ত এটা জেনে অবাক হবেন যে, সেই প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকেই আমাদের সমাজে বামহাতি লোকের সংখ্যা ১০০ জনের মধ্যে ১০ জন। আদিমকালের মানুষ গুহাচিত্র অঙ্কন করত, আর সেই যুগের মানুষ কোন হাতে বর্শা ধরত, কোন হাতে আঁকত সেটা দেখে এবং প্রত্নতাত্ত্বিক জিনিসপত্রের বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা এই সিদ্ধান্তে উপনিত হয়েছেন। কিন্তু বামহাতি হলে আপনার অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার চান্স বেশি :D, কারন বিগত ৭ জন মার্কিন প্রেসিডেন্ট এর ৪ জনই ছিলেন বামহাতি। এরা হল- জেরাল্ড ফোর্ড,বুশ,ক্লিনটন ও বারাক ওবামা।

এই বামহাতি হওয়ার জন্য শুধু এই একটি জিনই যে পুরোপুরি দায়ী সেটা কিন্তু বলিনি। এই বামহাতি হওয়ার জন্য জেনেটিক ফ্যাক্টরের পাশাপাশি এপিজেনেটিক ফ্যাক্টর, মস্তিস্কের গঠন, diethylstilbestrol নামে একটি হরমোন, আল্ট্রাসাউন্ড এরও বেশ খানিকটা ভূমিকা রয়েছে। বিজ্ঞানীদের সাম্প্রতিক গবেষণা অনুযায়ী এর মধ্যে এপিজেনেটিক ফ্যাক্টরের ভূমিকাটা হলো প্রধান। রেফারেন্স কমেন্টে।

[ছবিঃ বামহাতি টেনিস খেলোয়ার Petra Kvitová, ছবির উৎসঃ ইন্টারনেট]

21/01/2020

মানুষের ঘ্রানশক্তি দিন দিন কমে যাচ্ছে !!!

আমাদের নাকের ছিদ্রের মধ্যে অসংখ্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কোষ আছে (১)। এই কোষগুলোই মূলত গন্ধ ও ঘ্রান সনাক্ত করতে পারে। এই কোষগুলোকে বলা হয় ঘ্রান গ্রাহক বা olfactory receptors বা সংক্ষেপে OR। এই ঘ্রান গ্রাহকগুলো মূলত অনেক ধরণের প্রোটিন দিয়ে তৈরি হয়। আর প্রতিটি প্রোটিন তৈরির জন্য আমাদের DNA এর মধ্যে রয়েছে আলাদা আলাদা জিন। এই জিনগুলো মূলত DNA এর মধ্যে লেখা সফটওয়ারের কোডের মত কোড, যা আমরা এখন বইয়ের লেখার মতই পড়তে পারি।

বিজ্ঞানিদের গবেষণায় দেখা গিয়েছে আমাদের DNA এর মধ্যে ৯০০ এর বেশি OR জিন রয়েছে। কিন্তু এর মধ্যে ৬৩% জিনই তাদের কার্যকারিতা হারিয়েছে (Pseudogenes)। জীবের শরীরের মধ্যে এমন একটি প্রক্রিয়া রয়েছে যে প্রকৃয়ায় সে কম প্রয়োজনীয় জিনগুলোকে অকার্যকর করে ফেলে, আর এক সময় পুরোপুরি ঝেড়ে ফেলে দেয়। তবে প্রক্রিয়াটা পুরোপুরি র‍্যান্ডম এবং পরিবেশ পরিবর্তনের উপর নির্ভর করে। মানুষ কয়েক লক্ষ বছর বনে জঙ্গলে ঘুরে বেরিয়ে খাদ্য সংগ্রহ করেছে, তখন তারা ছিল যাযাবর। মাত্র ১২০০০ বছর আগে তারা স্থায়ীভাবে বাস করা শুরু করে, আর মাত্র ৬০০০-৭৫০০ বছর আগে সভ্যতা নির্মান করতে শেখে। বন্য অবস্থায় অনেকগুলো ঘ্রাণ গ্রহণ করার ক্ষমতা টিকে থাকার জন্য খুবই প্রয়োজনীয় ছিল, কিন্তু এখন ঘ্রাণের উপর নির্ভরতা কমেছে, আর বেড়েছে মস্তিষ্কের উপর নির্ভরতা। তাই দিন দিন ঘ্রাণ শক্তি কমে যাচ্ছে, আর বৃদ্ধি পাচ্ছে মস্তিষ্কের ক্ষমতা। [কমেন্টে রেফারেন্স দেওয়া হল]

১। এগুলো মূলত অলফ্যাক্টরি স্নায়ুর কোষ ঝিল্লি। লেখার জটিলতা কমানোর জন্য উপরে কোষ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

20/01/2020

পিগমেন্টবিহীন গরিলার হাত !!!

আটলান্টা চিড়িয়াখানার এই গরিলাটার নাম আনাকা। বয়স ছয় বছর। এর বাম হাতের আঙ্গুলের সামনের অংশে কোন পিগমেন্ট নেই। যে জিন গরিলাদের পিগমেন্টের জন্য দায়ী সেই জিনে সামান্য মিউটেশনের কারনে এমনটি হয়েছে। পিগমেন্ট ছাড়া গরিলাদের হাত দেখতে হুবহু মানুষের হাতের মত। এদের প্রত্যেকের হাতের ফিঙ্গারপ্রিন্ট আলাদা, যার কারনে এই ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়েও এদের সনাক্ত করা যায়।

সন্তানের DNA আসে বাবা মায়ের DNA থেকে। অনেক সময়
পিতামাতার জননকোষের (শুক্রাণু ও ডিম্বানুকে জননকোষ বলা হয়) DNA ফটোকপি হওয়ার সময় সামান্য কিছু ভুল হয়ে যায়। আর এমনটা হলে এই ধরণের অদ্ভুদ ঘটনা ঘটে। কোন কোন ক্ষেত্রে একটার যায়গায় দুটি মাথা, পাচটির যায়গায় ছয়টি আঙ্গুল এমন বড় কোন পরিবর্তনও হতে পারে।

19/01/2020

২০ ফুট লম্বা ফিতা কৃমি !!!

২০১৬ সালের শুরুর দিকে চিন দেশে অদ্ভুত এক ঘটনা ঘটে। ডাক্তাররা এক ব্যক্তির অন্ত্রে ২০ ফুট লম্বা এক ফিতাকৃমি খুঁজে পান। দুই বছর ধরে এই কৃমিটি বাস করছিল ঐ লোকের দেহে।

জানা যায় আক্রান্ত ব্যক্তি কাঁচা মাংস খেতে ভালোবাসেতেন। এই কাচা মাংস খেয়েই এক তিনি পর্যায়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর দুই বছর ধরে লেগেই থাকে অসুস্থতা। এক পর্যায়ে তিনি ডাক্তারের শরণাপন্ন হন। ডাক্তার তার মলের নমুনা পরীক্ষা করে দেখতে পান তার মধ্যে কৃমির ডিম রয়েছে। ডাক্তার তাকে কৃমিনাশকের চিকিৎসা দেন। ওষুধ খাবার পর মাত্র ৩ ঘণ্টা পর বেরিয়ে আসে ২০ ফুট ৪ ইঞ্চি লম্বা ফিতাকৃমি। এই খবর এতই বিখ্যাত হয়েছিল যে তা দ্য নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিন-এ প্রকাশিত হয়।

18/01/2020

তাত্ত্বিক পদার্থবিদেরা তৈরি করেছেন পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট্ট ইঞ্জিন! এটা আসলে একটা ক্যালসিয়াম আয়ন, যা কি না আকারে একটি গাড়ির ইঞ্জিনের প্রায় ১০০০ কোটি ভাগের ১ ভাগ মাত্র!

যেহেতু ইঞ্জিনটি একটা একক ক্যালসিয়াম আয়ন, তাই এটা নিজেই ইলেক্ট্রিকালি চার্জিত। ইলেক্ট্রিক ক্ষেত্র দিয়ে এটাকে আটকে ধরে রাখা সহজ। এই ছোট্ট ইঞ্জিনের চালিকাশক্তি বা জ্বালানী হল আয়নটির কৌণিক-ভরবেগ বা স্পিন (intrinsic spin)। এই স্পিন ব্যবহৃত হয় তাপ রূপান্তরের কাজে, লেজার রশ্মি থেকে পাওয়া শক্তি আয়নের স্পন্দনে আনে পরিবর্তন।
ফিজিকাল রিভিউ লেটার্স জার্নালের লিঙ্ক -
https://journals.aps.org/prl/abstract/10.1103/PhysRevLett.123.080602

16/01/2020

একটানা দুই মিলিয়ন বছর বৃষ্টি !!!

আজ থেকে ২৩৪ মিলিয়ন বছর আগের কথা। তখন পৃথিবী ছিল প্রচণ্ড উত্তপ্ত। সাগরের পানি প্রায় চুলার পানির মত। কিন্তু সেই উত্তপ্ত পৃথিবী একদিন হঠাৎ করেই রূপ বদল করে। শুরু হয় টানা বৃষ্টি। আর তা চলে একটানা দুই মিলিয়ন বছর জুড়ে। তখন আজকের দিনের মত ৭ টি আলাদা মহাদেশ ছিল না। সবগুলো জোড়া লেগে একটা বিশাল মহাদেশ ছিল। তাকে এখন আমরা প্যানজিয়া বলি।

এই দীর্ঘ বৃষ্টি প্রচুর পরিমাণ সরীসৃপ প্রাণীকে পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়। টিকে থাকে অল্প কয়েক প্রজাতির ডায়নোসর জাতীয় প্রাণী। সেই টিকে থাকা ডাইনোসর জাতীয় প্রাণীদের থেকেই পরবর্তীতে বিভিন্ন জাতের প্রচুর সংখ্যক ডাইনোসরের উদ্ভব ঘটে। পৃথিবীতে চলতে থাকে ডাইনোসরদের একক আধিপত্য। এই দীর্ঘ সময় বৃষ্টির ঘটনাকে বলা হয় The Carnian pluvial episode। পৃথিবীর ইতিহাসে এমনভাবে অনেকবার পৃথিবীর আবহাওয়া নাটকীয়ভাবে পরিবর্তিত হয়েছে। আর এর সাথে হারিয়ে গেছে লক্ষ কোটি প্রজাতির জীব।

13/01/2020

মানুষের শরীরের সবগুলো কোষের DNA অনুকে যদি লম্বা করে জোড়া দেওয়া হয় তবে তার দৈর্ঘ্য হবে প্রায় ১০ বিলিয়ন মাইল। পৃথিবী থেকে সূর্যের দূরত্ব ৯৩ মিলিয়ন মাইল। ফলে আপনার শরীরের DNA দিয়ে ৬১ বার সূর্যে যাওয়া-আসা করা যাবে। যদি পৃথিবীর সব প্রাণীর DNA একত্রে যোগ করা হয় তাহলে সেটা কত বড় হবে? আসলে এটা হিসেব করা খুবই কঠিন। কিন্তু আপনি যদি শুধু পৃথিবীর সমস্ত ব্যাকটেরিয়ার DNA একত্র করেন সেটা হবে ৬৪০ বিলিয়ন আলোকবর্ষ। আমাদের অবজার্ভেবল মহাবিশ্ব মাত্র ৯৩ বিলিয়ন আলোক বর্ষ। অর্থা এটা অবজার্ভেবল মহাবিশ্বের চেয়েও প্রায় ৭ গুন বড় হবে।

12/01/2020
শ্বেত রক্ত কনিকা একটি জীবাণুকে ধাওয়া করেছে!

আমাদের পৃথিবীতে যত প্রকার প্রান আছে তার সবই সৃষ্টি হয়েছিল আজ থেকে প্রায় ৩৫০ কোটি বছর আগে এক ধরনের আদি এক কোষী জীব থেকে। প্রথমে এই এককোষীদের নিউক্লিয়াস আলাদা করে মেম্ব্রেন দিয়ে ঢাকা ছিল না। এদের বলা হতো আদিকোষী বা প্রাককোষী জীব। সেই আদিকোষীদের মধ্যে বড় কোন এককোষী জীব, ছোট এককোষী জীব (এরা মূলত এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া) মাইটোকন্ড্রিয়াকে গিলে নিয়েছিল, খাওয়ার জন্য। ফ্যাগোসাইটোসিস পক্রিয়ায়। কিন্তু মাইটোকন্ড্রিয়াদের যে মেম্ব্রেন ছিল তা সেই বড় এককোষী জীবটির এনজাইম গলিয়ে ফেলতে পারেনি। ফলে তারা ওই কোষের মধ্যেই বাচতে শুরু করে। কিন্তু এতে এক মজার ঘটনা ঘটে। মাইটোকন্ডিয়ারা কোষের পরিবেশে শুধু যে বেচেই গেল তা নয়, বরং তারা পেল প্রচুর পরিমাণ পুষ্টি। তাও ফ্রী অফ কস্ট। কারন কোষের
যে সাইটোপ্লাজমের মধ্যে তারা থাকছে সেখানে অনেক পুষ্টি উপাদান। অন্যদিকে মাইটোকন্ড্রিয়ারা বাই প্রডাক্ট হিসেবে যে ATP উৎপাদন করে সেটাকে বড় এককোষী জীবটা শক্তি হিসেবে ব্যাবহার করতে পারল। ফলে তাদের ফ্যাগোসাইটোসিসের মাধ্যমে পরিবেশ থেকে পুষ্টি সংগ্রহ করার উপর নির্ভরতা কমল। এই ধরণের সম্পর্ককে বলা হয় সিমবায়োসিস। অর্থাৎ এক জীব যখন আরেক জীবের দেহের মধ্যে বাস করে এবং তার ফলে উভয় জীবই উপকৃত হয় তখন তাকে সিম্বায়সিস বলে। এককোষী থেকে বহুকোষী, প্রচুর জীবের মধ্যে এই সিমাবায়োসিসের প্রেমের সম্পর্ক দেখা যায়। উহারহরন চাইলে গুগুল করুণ।
তখন থেকে মাইটোকন্ডিয়া জীবের কোষের মধ্যেই আরামে বংশ বৃদ্ধি করতে থাকলো। আর এখনো তাই করে। আমাদের দেহে এখন যে মাইটোকন্ডিয়ারা আছে, তারাও স্বাধীন ভাবে বংশ বৃদ্ধি করে। কোষ বিভাজনের উপর নির্ভর নয় তারা। এটা সেই সময়ের কাহিনী যখন আমরা নিজেরা ছিলাম এককোষী জীব। আমাদের দেহ এখন ট্রিলিয়ন কোষের জীব। এখন আমাদের সাধারণ দেহকোষের আর ফ্যাগোসাইটোসিস করে পুষ্টি সংগ্রহ করতে হয়না। কিন্তু আমাদের WBC এখনো এই কাজটা করে। তবে পুষ্টির জন্য নয়, বরং যখন অচেনা কোন পার্টিক্যাল বা জীবাণু রক্তে প্রবেশ করে, তখন তাকে গিলে ফেলে। আমাদের রোগ থেকে রক্ষা করে। যত ইলিয়াড, অডিসি আর রামায়ন মহাভারত লেখা হোক না কেন, আমাদের শরীর হলো মহাবিশ্বের সবচেয়ে বড় আর উচু মানের মহাকাব্য। ভিডিওতে শ্বেত রক্ত কনিকা একটি জীবাণুকে গিলে নেওয়ার জন্য ধাওয়া করছে।

11/01/2020

আমাদের কোষের মধ্যে যে মাইট্রোকন্ড্রিয়া রয়েছে তা আজ থেকে মিলিয়ন মিলিয়ন বছর আগে ছিল স্বাধীন ব্যাকটেরিয়া। এদের এমনকি নিজস্ব DNA বা জিনোম রয়েছে। রয়েছে গোলাকৃতির বেশ কয়েকটি ক্রোমোসম। প্রাণীকোষ এদের ফ্যাগোসাইটোসিস প্রক্রিয়াতে নিজেদের মধ্যে ঢুকিয়ে নিয়েছে। এখন কোষ এদের সাহায্যে শক্তি তৈরি করে।

শুধু যে মাইট্রোকন্ডিয়ারা এভাবে কোষের মধ্যে বাস করছে তা কিন্তু নয়। উদ্ভিদের কোষে যে ক্লোরোপাস্ট থাকে সেটাও এক সময় স্বাধীন ব্যকটেরিয়া ছিল। এরা সূর্যের আলো থেকে শক্তি শোষণ করে কোষের জন্য শক্তি তৈরি করে। ক্লোরোপাস্টেরও রয়েছে নিজস্ব জিনোম। আর তা এক ধরনের সায়ানো ব্যাকটেরিয়ার সাথে প্রায় হুবহু মিলে যায়। মাইট্রোকন্ডিয়া আর ক্লোরোপাস্ট যে প্রক্রিয়াতে অন্য কোষের মধ্যে ঢুকে দাস হিসেবে শক্তি তৈরির কাজ করছে এই প্রক্রিয়াকে বলা হয়- এন্ডোসিমবায়োসিস। আসলে এগুলো শুনতে কিছুটা অদ্ভুত মনে হলেও বিবর্তনের পথে এমন অনেক কিছুই ঘটেছে। আর মজার বিষয় হলো জীবের অঙ্গসংস্থান ও জিনোম বিশ্লেষণ করে বিবর্তনের এইসব ঘটনা বেশ ভালমতোই স্টাডি ও ভেরিফাই করা যায়।

08/01/2020

শ্লথরা ৪০ মিনিট পর্যন্ত নিশ্বাস ধরে রাখতে পারে। ডলফিনরা জলজ প্রাণী হলেও, ওরা যেহেতু একসময় স্থলের স্তন্যপায়ী ছিল, তাই ওদের ১০ মিনিট পর পর নিশ্বাস নিতে পানির উপরে উঠতে হয়। কিন্তু এই শ্লথরা বিশেষ প্রক্রিয়ায় নিজেদের হার্টবিট কমিয়ে সর্বোচ্চ ৪০ মিনিট পর্যন্ত শ্বাস ধরে রাখে পারে।

06/01/2020

শুনতে আশ্চর্য মনে হলেও তিমি এবং ডলফিনের মত অনেক জলজ প্রাণীকে শ্বাস নিতে পানির উপরে উঠতে হয়। ডলফিন এক দমে ৮-১০ মিনিট পর্যন্ত থাকতে পারে। আর তিমি পারে সর্বোচ্চ ৯০ মিনিট পর্যন্ত। এদের বাচ্চা জন্ম দেওয়ার প্রক্রিয়া, বুদ্ধিমত্তা সবই উন্নত স্তন্যপায়ী প্রাণীদের মত। তিমিরা কয়েক ঘন্টা ব্যাপি গান গাইতে পারে, যে গানের আবার নির্দিষ্ট সুর, ব্যাকরন ইত্যাদি আছে।

আসলে আমরা ওদের মাছ মনে করলেও এরা আসলে মাছ নয়। এরা মানুষের মত স্তন্যপায়ী প্রাণী। এরা একসময় স্থলে বাস করত। কিন্তু পৃথিবীর পরিবেশ পরিবর্তনের সাথে খাপ খাওয়াতে এরা জলে বাস করতে অভ্যস্ত হতে শুরু করে। আর লক্ষ লক্ষ বছর ধরে এদের পরিবর্তনের ফলে এখন এরা প্রায় মাছের মতই জলে থাকতে পারে। কিন্তু এদের দেহের মূল কাঠামো স্তন্যপায়ীদের মত। ওদের যে একসময় হাত পা ছিল সেটাও ওদের কংকাল দেখলে বুঝতে পারবেন। বিবর্তন সব সময়ই তার চিহ্ন রেখে যায়।

04/01/2020

প্রথম ছবিতে যে লোকগুলোকে দেখা যাচ্ছে ওদের বলা হয় সেন্টিনিলিজ জনগোষ্ঠী। এদের বসবাস আন্দমান নিকোবর দীপপুঞ্জের একটি দ্বিপে। এরা হলো পৃথিবীর সবথেকে আইসোলেটেট জনগোষ্ঠী। এই দীপপুঞ্জে আরও পাচটি স্থানীয় জনগোষ্ঠী বাস করলেও এরা এদের মধ্যে সবথেকে আইসোলেটেড। এরা এখনো পর্যন্ত কারও সাথে মেশে না। দ্বিপে কেউ নামলে তাকে সাথে সাথেই আক্রমন করে। অর্থাৎ এরা হলো পৃথিবীর এমন এক জনগোষ্ঠী যারা সভ্য পৃথিবীর থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন।

মানুষের DNA এর মধ্যে এমন কিছু সিকোয়েন্স থাকে যা থেকে কোন জনগোষ্ঠীর লক্ষ লক্ষ বছর আগের ইতিহাসও জানা যায়। এদের DNA এনালাইসিস থেকে দেখা গেছে যে, এরা মানুষের মূল ধারা থেকে ৩০,০০০ বছর আগে বিচ্ছিন্ন হয়েছিল। তারপর থেকে এদের সাথে আজও কারও যোগাযোগ হয়নি। ২০০৬ সালে দুই জেলে এদের দ্বিপে কাকড়া সংগ্রহ করতে গিয়েছিল, তাদেরও ওরা মেরে ফেলে। ২০১৮ সালে এক ২৬ বছর বয়সী আমেরিকান পাদ্রী খ্রিষ্টান ধর্ম প্রচার করতে গিয়েছিল। ওরা তাকে মেরে কবর দিয়ে দেয়। মানুষের ভাষা আবিস্কার হয়েছিল কমপক্ষে ৫০০০০ বছর আগে, তাই ওদেরও ভাষা আছে। কিন্তু কোনভাবেই যেহেতু ওদের সাথে যোগাযোগ করা যায় না, তাই ওদের ভাষাকেও ভাষাতাত্ত্বিকরা বুঝতে পারেনি। দ্বিতীয় ছবিতে দীপপুঞ্জের অবস্থান দেখানো হলো। মানুষের আদি ইতিহাস বুঝার জন্য ওরা হলো একমাত্র পিওর আইসোলেটেড জনগোষ্ঠী।

03/01/2020

এক্সোলটল নামে এই প্রাণীটার হাত, পা এমনকি মাথার কোন অংশ কেটে গেলেও তা আবার নতুন করে গজায়। নতুন অঙ্গটা এতটাই হুবহু তৈরি হয় যে কোন কাটা দাগ পর্যন্ত থাকে না। এদের DNA এর মধ্যে থাকা বিশেষ কিছু জিন রয়েছে যার কারনে এমনটা সম্ভব হয়। তবে শুধুমাত্র এই একটি জেনেটিক বৈশিষ্ট্যই আশ্চর্য নয়। এই আশ্চর্য প্রাণীটির এমন আরও অনেকগুলো বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা নিয়ে বিস্তারিত গবেষণা করলে অসাধারণ কিছু জ্ঞান অর্জন করা যাবে। এদের ক্যান্সার প্রতিরোধ ক্ষমতা মানুষের চেয়ে ১০০০ গুন বেশি। প্রতিটি উভচর প্রাণীর প্রথমে বাঙ্গাচি দশায় থাকে, তারপর ফুলকা ফেলে দিয়ে ফুস্ফুস পায়। কিন্তু এদের মেটামরফোসিস হয় না। অর্থাৎ সারা জীবন একই দশায় থাকে, ঠিক মাছের মত। ২০১৮ সালে এদের জিনোম সিকোয়েন্স করা হয়েছে। এরাই হলো পৃথিবীর সবচেয়ে বড় জিনোম ধারী প্রাণী। এদের জিনোম মানুষের চেয়ে ১০ গুন বড়।

02/01/2020

পর্তুগিজ ইতিহাসবিদ জোয়াও ডি বারোসের তৈরি একটি মানচিত্র, ১৫৫০ সাল। এটিই প্রথম মানচিত্র যেখানে আমাদের প্রিয় 'ঢাকা'র নাম খুজে পাওয়া গেছে। উত্তর পার্শ্ব হচ্ছে বাম দিকে, এবং মাঝে লাল বৃত্তচিহ্নিত অংশটুকু হলো DACA।
কৃতজ্ঞতা : Esrar Ahmed

31/12/2019

আজ থেকে প্রায় ৮০০০০ বছর আগে হঠাত করে পৃথিবীতে মানুষের সংখা কমে দাঁড়িয়েছিল দশ হাজারেরও কম। এই ধরনের বিপর্যয়কে বলা হয় জেনেটিক বোতলনেক। আমরা পৃথিবীতে আজকে যারা আছি তারা সবাই সেই অল্প কয়েকজনেরই বংশধর।

30/12/2019

প্লুটোর পৃষ্ঠের আকার রাশিয়ার থেকেও ছোট। সাইজে ছোট বলে আজ তাকে আর গ্রহ বলা হয়না।

29/12/2019

এক চা-চামচ পদার্থের ওজন ১০ মিলিয়ন টন !!!

সূর্যের চেয়ে কয়েকগুন বড় কিছু নক্ষত্র এক সময় পালসার বা নিউট্রন তারায় পরিনত হয়। তখন এটির মধ্যে কোন পরমাণু থাকে না। থাকে শুধু নিউট্রন। তাই পরমানুর মত এত ফাকা জায়গা থাকে না। ফলে এই পালসারগুলোর এমন অস্বাভাবিক ওজন হয়।

28/12/2019

ক্যালিফোর্নিয়ার হোয়াইট পর্বতে কিছু গাছ আছে যেগুলো ৫০০০ বছরেরও বেশি পুরনো!!

27/12/2019

আজ থেকে প্রায় ৪০ মিলিয়ন বছর আগে পেঙ্গুইনদের আকার ছিল ৬ ফুটেরও বেশি। এদের ওজন হতো ২৫০ পাউন্ডের মত!!

26/12/2019

আজ থেকে ৩৫০ মিলিয়ন বছর আগে পৃথিবীতে গাছের উদ্ভব ঘটে। তার আগে পৃথিবী জুড়ে ছিল দৈত্যাকার সাদা মাশরুম। ছবির এই মাশরুম ২৪ ফুট উচু। একসময় পৃথিবীতে এদেরই রাজত্ব ছিল।

26/12/2019

এই গাছটি হলো বর্তমান পৃথিবীতে জীবিত গাছদের মধ্যে সবচেয়ে লম্বা। গাছটির উচ্চতা ২৭৫ ফুট। বয়স প্রায় আড়াই হাজার বছর। এটি অ্যামেরিকার ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যের একটি জাতীয় উদ্যানে রয়েছে।

25/12/2019

হাঙররা গাছের চেয়েও পুরনো!!!

পৃথিবীতে গাছের উদ্ভব ঘটে প্রায় ৩৫০ মিলিয়ন বছর আগে, কিন্তু হাঙ্গরদের উদ্ভব হয়েছিল প্রায় ৪০০ মিলিয়ন বছর আগে!!

25/12/2019

মানুষের X ক্রোমোসমের চেয়ে Y ক্রোমোসমের আকার অনেকখাছি ছোট !!!

25/12/2019

সবাইকে বড়দিনের শুভেচ্ছা।

24/12/2019

আর্মাডিলোড় বাইরের বর্ম এতই শক্ত যে তা বন্দুকের গুলিতেও ছিদ্র হয়না।

23/12/2019

কয়েক প্রজাতির হাঙ্গররের আয়ু ৫০০ বছরেরও বেশি!!!

23/12/2019

মানুষ গ্রহ আবিষ্কার করে আজ থেকে প্রায় ১০০০০ বছর আগে!!

হাজার হাজার বছর মানুষ দলে দলে এক বন থেক আরেক বনে ঘুরে বেরিয়েছে। শুধুমাত্র খাবারের সন্ধানে। তখনও তাদের থাকবার কোন নির্দিষ্ট জায়গা ছিল না। সারাদিন খাবার খুজে এসে রাতে কোন এক গুহায় ঘুমিয়ে পড়ত। এক সময় মানুষ বুঝতে শিখল যে- কিছু এলাকা আছে, যেখানে স্থায়ীভাবে থাকার জায়গা বানালে মন্দ হয় না। কোন এলাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করার পর থেকেই মানুষ শুধুমাত্র বন্য ফলমূলের উপর ভরসা করা বাদ দিয়ে দেয়। তারা কৃষিকাজ শুরু করে।
কৃষিকাজ শুরু করার পর থেকেই তাদের আকাশের তারাদের উপর নজর রাখার দরকার পরল। ভাবছেন , কৃষিকাজ করলে আবার তারাদের দিকে খেয়াল রাখার কি দরকার ? তখন তো আর বছর আর মাসের কোন হিসেব ছিল না। ছিল না বর্ষাকাল বা শীতকালের কথা। মানুষ তখন আকাশের তারাদের দিকে তাকিয়ে বুঝতে পারত এখন বুঝি বর্ষা নামার সময় হয়েছে। এখন ঝুম বৃষ্টি হবে। আর আমাদের ফসলগুলোও তারাতারি বেড়ে উঠবে।

সেই প্রাচীন মানুষরা লক্ষ্য করে দেখল, আকাশের সব তারাগুলো ঠিক এক রকম নয়। ৪ থেকে ৫ টি তারা বাদে অন্য তারাগুলো সবাই একসাথে চলাফেরা করে। সারা বছর ধরে খুব ধিরে ধিরে এক পাশ থেকে অন্য পাশে চলে যায়। এত ধিরে যায় যে- খুব ভালমত খেয়াল না রাখলে তা বোঝারই উপায় নেই। আর শুধু ওই নির্দিষ্ট ৪-৫ টি তারা একা-একা ও একটু দ্রুত চলাফেরা করে। প্রাচীন মানুষেরা বুঝতে পারল যে- এই তারাগুলো অন্যসব তারার থেকে আলাদা। চলাফেরা করে বলে এই তারাগুলোর নাম দেওয়া হয়েছিল প্ল্যানেট(Planet ) বা চলাফেরা করে এমন তারা। বাংলায় এদের আমরা গ্রহ বলি।

প্রাচীন মানুষরা শুধু এটুকুই জানত যে- গ্রহগুলো অন্য তারাদের মত না । কিন্তু এরা আসলে কি দিয়ে তৈরি সে সম্পর্কে পুরোটাই ছিল অজানা। তাছাড়া এই গ্রহগুলো যে আকাশের এক দিক থেকে অন্য দিকে ছুটে চলে, তার অর্থ যে কি, সেটাও তারা জানত না। এখন আমরা জানি, আমরা যে পৃথিবীতে বাস করি সেটাও আসলে একটি সাধারন গ্রহ ছাড়া আর কিছু না।

আমরা এবং আমাদের এই জগত - পর্ব ২

23/12/2019

কে কে এই ধরনের বিপদে পড়েছেন?

সম্পূর্ণ ছবি দেখতে ছবি উপর ক্লিক করুণ।

ক্রেডিটঃ বিজ্ঞানের মায়েরে বাপ

22/12/2019

নিউজিল্যান্ডের যেটুকু পানির উপর রয়েছে তার চেয়ে অনেক বড় অংশ রয়েছে পানির নিচে। পুরোটা মিলে ঠিক একটা মহাদেশের মত। নাম জিল্যান্ডিয়া। স্যাটেলাইট ইমেজের কারনে এই আবিস্কার সম্ভব হয়েছে। অনেকেই মনে করেন যে এটাকে অফিসিয়ালি অষ্টম মহাদেশের মর্যাদা দেওয়া উচিত।

21/12/2019

এই পাখিগুলোর ডানার আকার ফাইটার জেট বিমানের চেয়েও বড়!!

এদের ওজন প্রায় আধা টন, দাঁড়ানো অবস্থায় উচ্চতা জিরাফের সমান। ডাইনোসরদের যুগে, অর্থাৎ আজ থেকে প্রায় ৭০ লক্ষ বছরেরও আগে এই দৈত্যাকার পাখিগুলো আকাশ দাপিয়ে বেড়াতো।

21/12/2019

সেই প্রাচীন কাল থেকেই মানুষ পৃথিবী আর আকাশ নিয়ে ভেবেছে । ভাবতে ভাবতে তাদের মনে অনেক রকম প্রশ্ন জেগেছে। কত বড় এই পৃথিবী ? আকাশের চাঁদ-তারাগুলোই আসলে কতবড় ? আবার কেউ হয়ত ভেবেছে,আমাদের থেকে কত দূরে এগুলো? কেউ আবার বড় কোন গাছে উঠে চাদটাকেই ধরে ফেলতে চেয়েছে। মানুষ তখনো বনে-জঙ্গলে ঘুরে বেড়াত। সারা দিন খাবারের সন্ধান করার পর, রাতের আকাশের দিকে তাকিয়ে তাদের বিস্ময়ের শেষ ছিল না ।

তারা বুঝতে চাইত কেমন এই আকাশ ? তারাগুলো আসলে কি ?
আদিম মানুষেররা ভাবত, পৃথিবীটা বুঝি খুব বেশি বড় নয়। আর আকাশের ওই তারাগুলোও তাদের থেকে খুব বেশি দূরে না। আসলে এত প্রাচীনকালে তাদের ধারণা করা সম্ভব ছিল না যে , কত বড় এই পৃথিবী । আর কত বিশাল এই আকাশের চাঁদ-তারাদের রাজত্ব !

আমরা এবং আমাদের এই জগত - পর্ব ১

20/12/2019

আজ থেকে প্রায় ৫০০০০ বছর আগে একদল মানুষ ইন্দোনেশিয়া, জাভা হয়ে অস্ট্রেলিয়া পৌঁছেছিল। এরপর আরেকদল লোক প্রায় সাড়ে চার হাজার বছর আগে সরাসরি ভারত মহাসাগর পাড়ি দিয়ে অস্ট্রেলিয়া পৌছাতে সক্ষম হয়েছিল।শুনতে কিছুটা আশ্চর্য লাগলেও এই বিষয়ে শক্তপোক্ত প্রমাণ রয়েছে।

20/12/2019

ব্ল্যাক হোল যেভাবে তারাকে গিলে ফেলে!!

20/12/2019

উত্তর মেরু
তে কোন টাইম জোন নেই। কারন পৃথিবীর সব দ্রাঘিমা রেখা এসে এখানে মিশেছে। এজন্য যে দেশের মানুষ সেখানে যায়, তারা সেই দেশের টাইম জোনের হিসেবে সময় হিসেব করে।

Address

Kalabaga

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Spark posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Spark:

Share

গল্পটা আমাদের!

আমরা পৃথিবীতে বাস করি। এই পৃথিবীটা বিশাল এক মহাবিশ্বের খুবই ক্ষুদ্র একটা অংশ। এই মহাবিশ্ব যেমন বিশাল তেমনি জটিল। আর এই মহাবিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে জটিল জিনিস হলাম আমরা - “প্রাণীরা”। এই মহাবিশ্ব এবং আমাদের শরীর অনেক জটিল হলেও- এই দুটোকেই বোঝা যায়। কিভাবে আর কোথা থেকে এলো এই মহাবিশ্ব, সেখানে প্রাণের জন্মই বা হলো কিভাবে? কিভাবে এই শুন্য মহাবিশ্বে মানুষের মত জটিল প্রাণ তৈরি হলো, কিভাবে কাজ করে আমাদের এই শরীর?- এই সবকিছু নিয়েই স্টাডি করা যায়, স্টাডি করে সেগুলো বোঝাও যায়। যাদের মধ্যে এইসব জানার কৌতূহল রয়েছে তাদের জন্য এই পেজ।

Nearby media companies


Other Kalabaga media companies

Show All