আহালে সিদ্দিকীয়া মিডিয়া

আহালে সিদ্দিকীয়া মিডিয়া "আহালে সিদ্দিকীয়া মিডিয়া" পরিবার- আশ‌আরী মাতুরিদী তথা আহলে সুন্নাতুল জামাতের আকিদায় বিশ্বাসী

06/12/2024
02/11/2024
05/09/2024

রবিউল আউয়াল মাসের চাঁদ দেখা গিয়েছে, আলহামদুলিল্লাহ।
মাগুরা দরবার শরীফে ঈদে মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাহফিল ১৫ ই সেপ্টেম্বর রবিবার , বাদ মাগরিব।

এখান থেকে কয়েক বছর আগে, ফুরফুরার পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকী, তিনি বেশ কয়েকটি জলসার মজলিসে জলসা করতে করতে বলেছিলেন, যে যার...
13/07/2024

এখান থেকে কয়েক বছর আগে, ফুরফুরার পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকী, তিনি বেশ কয়েকটি জলসার মজলিসে জলসা করতে করতে বলেছিলেন, যে যারা নবীকে মাটির তৈরি বলবে তারা কাফের হয়ে যাবে, আর এ বিষয়ে তিনি এক কোটি টাকা চ্যালেঞ্জ করেছিলেন।

ঠিক তার কয়েক বছর পরেই ফুরফুরার সাইফুদ্দিন সিদ্দিকী (রহঃ), তিনি এই আদ্ দাওয়াহ কিতাবটি উপহার দেন, আর শুরু হয়ে গেল controversy,
আর সেটা আজও চলছে,
এখন এই কিতাবের ভিতরে কি লেখা ছিল, যে এত controversy এত দলাদলি ??

এই কিতাবের ৫৭ থেকে ৬৩ পিস পৃষ্ঠা পর্যন্ত, নবী মাটির তৈরি নিয়ে কথা বলা হয়েছে, এবং এই কিতাবের ভিতরে এক জায়গায় নয়, বেস কয়েক জায়গায় বলা হয়েছে যে বা যারা নবীকে নূরের তৈরি বলবে তারা কাফের হয়ে যাবে।
কারণ এই কথা গোটা কোরআনের বিরুদ্ধে যায়, ওনার ওনার প্রসঙ্গ ছিল এটাই।
এই কথাটা লেখার পরে এই কথাটা সম্পূর্ণ আব্বাস সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে যায়।
আর যাওয়াটা স্বাভাবিক, কারণ সম্পূর্ণ কথাটা উল্টো,
এবার শুরু হয়ে গেল ফুরফুরায় দলাদলি ভেদাভেদ controversy,

আব্বাস সিদ্দিকী যখন চ্যালেঞ্জ করেছিল, উনি একটা হাদিস পেশ করেছিল, আর বলেছিল যে সর্বপ্রথম নবীর নূর কে সৃষ্টি করা হয়েছে, যে হাদিসের বাংলা অনুবাদটা ঠিক এরকমই ছিল, আর নবীকে সর্বপ্রথম সৃষ্টি করা হয়েছে, তাহলে নবী নূরের তৈরি হবে না কেন ??,

এটা ছিল আব্বাস সিদ্দিকীর প্রশ্ন, ওই হাদিসটা পেশ করার পরে,
আব্বাস সিদ্দিকীর এটা জানা উচিত ছিল, ওই হাদিসটা যদি জয়ীফ হত তবুও কিছুটা মানিয়ে নেওয়া যেত, আসলে ও হাদিসটা ছিল সম্পূর্ণ জাল।

এই হাদিসটা জাল হবার আর একটা মূল কারণ হলো, আল্লাহ সর্বপ্রথম নবী (সাঃ) এর নূর কে সৃষ্টি করেনি, আল্লাহ সর্বপ্রথম সৃষ্টি করেছেন কলম,
যেটা সূরা কলমের এই আয়াতে।

যার কারনে সাইফুদ্দিন সিদ্দিকী (রহঃ),
আদ্ দাওয়াহ কিতাবটি ভিতরে ওই ফাতোয়া দিতে বাধ্য হয়েছিলেন।

এখন আমরা একটু ইলমি তাহ্কিক করে দেখব, সত্যি কি নবী মুহাম্মদ সাঃ নূরের তৈরি না মাটির তৈরি, আসুন এ বিষয়ে কোরআন এবং সহি হাদিস কি বলে👇,

প্রথমেই বুঝতে হবে মানুষ কিসের তৈরী ?, কুরআনে কারীমের বিভিন্ন আয়াত এবং সহীহ হাদীসের ভিত্তিতে একথা সুষ্পষ্ট প্রমাণিত যে, মানুষ মাটির তৈরী। নূর বা অগ্নির তৈরী নয়। কয়েকটি আয়াতের দিকে লক্ষ্য করুন-

যখন আপনার পালনকর্তা ফেরেস্তাদের বললেন-আমি মাটির তৈরী মানুষ সৃষ্টি করব। সূরা সোয়াদ-৭১,

নিশ্চয় আমি মানুষকে সৃষ্টি করেছি পঁচা কর্দম থেকে তৈরী বিশুস্ক ঠনঠনে মাটি দ্বারা। সূরা হিজর-২৮,

তিনি মানুষকে সৃষ্টি করেছেন পোড়া মাটির ন্যায় শুস্ক মৃত্তিকা থেকে এবং জিনকে সৃষ্টি করেছেন অগ্নিশিখা থেকে।সূরা আর রাহমান-১৪,১৫,

তিনিই তোমাদের সৃষ্টি করেছেন মাটি দ্বারা। সূরা মুমিন-৬৭,

আমি মানুষকে মাটির সারাংশ থেকে সৃষ্টি করেছি। সূরা মুমিনুন-১২,

উপরোক্ত বক্তব্য থেকে মানব সৃষ্টির পদ্ধতি ও মূল উপাদান সম্পর্কে আশা করি সুষ্পষ্ট ধারণা হয়েছে। আল্লাহ তায়ালার বাণী দ্বারা একথা সুষ্পষ্ট প্রমাণিত যে, মানুষ নূর বা আগুনের তৈরী নয়। বরং মাটির তৈরী।

(এবার বুঝতে হবে নবীজী সাঃ কি ছিলেন ?, মানুষ ?, না জিন ?, না ফেরেস্তা ?,)

রাসূল সাঃ জিন নন, এ ব্যাপারে সকলে একমত। তাই এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করার কোন প্রয়োজন নেই। কথা হচ্ছে নবীজী সাঃ নূরের তৈরী ফেরেস্তা কি না ?, নাকি মাটির তৈরী মানুষ ?,

রাসূল (সাঃ) মানুষ ছিলেন ?, নাকি ফেরেস্তা ?,

যদি বলেন ফেরেস্তা তাহলে আরবের মুশরিকদের অভিযোগ করার কি কারণ ?, পবিত্র কুরআনে যা বিধৃত হয়েছে এরকম শব্দে,

বলুন, পবিত্র মহান আমার পালনকর্তা, আমি একজন মানব রাসূল ছাড়া কে ?, লোকদের নিকট হেদায়াত আসার পর তাদেরকে এ উক্তি ঈমান আনয়ন থেকে বিরত রাখে যে, “আল্লাহ কি মানুষকে রাসূলস্বরূপ প্রেরণ করেছেন ?” বলুন যদি পৃথিবীতে ফেরেস্তারা বিচরণ করত, তবে আমি তাদের নিকট আকাশ থেকে ‘ফেরেস্তা রাসূল’ প্রেরণ করতাম। সূরা বনী ইসরাঈল-৯৩, ৯৪, ৯৫,

অন্যত্র ইরশাদ হয়েছে-

তারা আরো বলে যে, তাঁর কাছে কোন ফেরেস্তা কেন প্রেরণ করা হল না? যদি আমি কোন ফেরেস্তা প্রেরণ করতাম, তবে গোটা ব্যাপারটি খতম হয়ে যেত। এরপর তাদেররকে সামান্য অবকাশও দেয়া হত না। যদি আমি কোন ফেরেস্তাকে রাসূল করে পাঠাতাম, তবে সে মানুষের রূপেই হত। এতেও সে সন্দেহই করত, যা এখন করছে। সূরা আনআম-৮,৯,

রাসূল সাঃ মানুষ ছিলেন এ ব্যাপারে কোন কাফেরেরও সন্দেহ ছিল না। মক্কার কাফেরদের আশ্চর্যের এটাইতো কারণ ছিল যে, আল্লাহ তাআলা কেন ফেরেস্তা ছাড়া মানুষকে রাসূল বানিয়ে পাঠালেন ?,

এর জবাব আল্লাহ তাআলা কি সুন্দর শব্দে বলে দিলেন। যদি দুনিয়াতে মানুষের বদলে ফেরেস্তারা থাকতো তাহলে আল্লাহ তাআলা ফেরেস্তাই পাঠাতেন রাসূলরূপে। কিন্তু যেহেতু দুনিয়াতে মানুষ বাস করে তাই মানুষকেই পাঠানো হয়েছে রাসূল হিসেবে।

এ সহজ কথাটি মক্কার কাফেররা বুঝতো না বলেই আল্লাহ তাআলা আয়াত নাজিল করে বুঝালেন। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হল মুসলমান নামধারী কিছু বেদআতীরাও মক্কার কাফেরদের মতই অভিযোগ করে নবীজী সাঃ মানুষ নন। ফেরেস্তাদের মত নূরের তৈরী। যদি নবীজী সাঃ কে মানুষ বিশ্বাস করতে হয়, তাহলে পূর্বোক্ত আয়াতের কারীমা অনুযায়ী বিশ্বাস করতে হবে মানুষ মাটির তৈরী, তাই নবীজী সাঃ ও মানুষ তাই তিনিও মাটির তৈরী।

আর যদি বলা হয় রাসূল সাঃ মানুষ নন, ফেরেস্তা, তাহলে মক্কার কাফেররা ফেরেস্তা কেন নবীরূপে পাঠানো হলো না এ অভিযোগ কেন করল ?, নবীজী সাঃ মানুষ না হয়ে ফেরেস্তা হলে কাফেরদের প্রশ্ন করার কি প্রয়োজন ছিল যে, আল্লাহ তাআলা মানুষকে কেন পাঠালেন নবী করে ফেরেস্তার বদলে ?,

সুতরাং বুঝা গেল নবীজী সাঃ মানুষ ফেরেস্তা নয়। আর মানুষ কিসের তৈরী ?, তা সুষ্পষ্টই আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনের বিভিন্ন আয়াতের উল্লেখ করেছেন।

রাসূল সাঃ মানুষ ছিলেন

বলুন, পবিত্র মহান আমার পালনকর্তা, আমি একজন মানব রাসূল ছাড়া কে ?, লোকদের নিকট হেদায়াত আসার পর তাদেরকে এ উক্তি ঈমান আনয়ন থেকে বিরত রাখে যে, “আল্লাহ কি মানুষকে রাসূলস্বরূপ প্রেরণ করেছেন ?” বলুন যদি পৃথিবীতে ফেরেস্তারা বিচরণ করত, তবে আমি তাদের নিকট আকাশ থেকে ‘ফেরেস্তা রাসূল’ প্রেরণ করতাম। সূরা বনী ইসরাঈল-৯৩, ৯৪, ৯৫,

আরো ইরশাদ হয়েছে-

বলুন, আমিও তোমাদের মতই একজন মানুষ। আমার প্রতি প্রত্যাদেশ হয় যে, তোমাদের মাবুদ হল একজন। অতএব, যে ব্যক্তি তার পালনকর্তার সাক্ষাত কামনা করে, সে যেন সৎকর্ম সম্পাদন করে এবং তার পালনকর্তার ইবাদতে কাউকে শরীক না করে। সূরা কাহাফ-১১০,

অন্যত্র আরো ইরশাদ হয়েছে-

বলুন, আমিও তোমাদের মতই মানুষ। আমার প্রতি অহী আসে যে, তোমাদের মাবুদ হল একজন। অতএব তারই প্রতি একাগ্র হও, এবং তার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা কর। আর মুশরেকদের জন্য রয়েছে। দুর্ভোগ। সূরা হা-মীম সাজদা-৬,

অন্যত্র আরো ইরশাদ হয়েছে-

আপনার পূর্বেও আমি কোন মানুষকে অনন্ত জীবন দান করিনি। সুতরাং আপনার মৃত্যু হলে তারা কি চিরঞ্জীব হবে? সূরা আম্বিয়া-৩৪,

রাসূল সাঃ মানব ছিলেন এর বহু প্রমাণ হাদীসেও পাওয়া যায়। নিম্ন ৩ টি হাদীস উদ্ধৃত করা হল-

হযরত উম্মে সালমা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ নিজের দরজার কাছে বিবাদ-বিতর্ক শুনতে পেয়ে তাদের নিকট এসে বললেন-আমিতো একজন মানুষ মাত্র। আমার কাছে বাদী বিবাদীরা এসে থাকে। কেউ হয়ত অধিক বাকপটু হয়, ফলে আমি তাকে সত্য মনে করে তার পক্ষে রায় দিয়ে দেই। যদি আমি কারো পক্ষে অন্য কোন মুসলমানের হকের ব্যাপারে ফয়সালা দিয়ে থাকি, তাহলে তা জাহান্নামের টুকরো হিসেবে বিবেচিত হবে। সে তা গ্রহণ করতেও পারে, অথবা বর্জনও করতে পারে।
(সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৬৭৬২, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-৪৫৭২, তাহাবী শরীফ, হাদীস নং-৫৬৮০, মুসনাদুশ শামীন, হাদীস নং-৩১১৬, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-১২৬, সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-২০৩২১),

হযরত আব্দুল্লাহ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ বলেছেন-আমিতো তোমাদের মতই একজন মানুষ। তোমরা যেমন ভুলে যাও, আমিও তেমনি ভুলে যাই। তাই আমি ভুলে গেলে তোমরা আমাকে স্বরণ করিয়ে দিও।
(সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৩৯২, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-২৬৬২, মুসনাদে আবী ইয়ালা, হাদীস নং-৫২৪২, মুসনাদে তায়ালিসী, হাদীস নং-২৭১),

হযরত জাবের বিন আব্দুল্লাহ রাঃ থেকে বর্ণিত। আমি রাসূল সাঃ কে বলতে শুনেছি যে, তিনি ইরশাদ করেছেন-আমি তো একজন মানুষমাত্র। আমি আপন প্রতিপালকের নিকট বলে রেখেছি যে, আমি যদি কোন মুসলমানকে মন্দ বলি, তাহলে সেটি যেন তার জন্যে পবিত্রতা ও সওয়াবের কারণ হয়।
(সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-৬৭৯০, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১২১২৬, সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-১৩১৬০),

উল্লেখিত আয়াত ও হাদীস একথা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলা হয়েছে যে, রাসূল সাঃ মানুষ ছিলেন। ফেরেস্তা বা জিন নয়। আর মানুষ মাটির তৈরী হয় একথা মহান রাব্বুল আলামীন পবিত্র কুরআনে একাধিক স্থানে স্পষ্টই বলেছেন। যা ইতোপূর্বে উদ্ধৃত হয়েছে।

রাসূল সাঃ নূরের তৈরী হলে রাসূল সাঃ এর পূর্বসূরী ও উত্তরসূরীরা কিসের তৈরী ?,

হযরত আব্বাস বিন আব্দুল মুত্তালিব রাঃ বলেন-রাসূল সাঃ একবার কোন কারণে, মিম্বরে দাঁড়িয়ে, সমবেত লোকদেরকে, জিজ্ঞেস করলেন-আমি কে ?, সাহাবীগণ বললেন-আপনি আল্লাহর রাসূল, আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক। তখন তিনি বললেন-আমি আব্দুল্লাহ বিন আব্দুল মুত্তালিবের ছেলে মুহাম্মদ। আল্লাহ তাআলা তামাম মাখলূক সৃষ্টি করে আমাকে সর্বোত্তম সৃষ্টির অন্তর্ভূক্ত করেছেন [অর্থাৎ মানুষ বানিয়েছেন]। এরপর তাদেরকে দু’ভাগে [আরব ও অনারব] বিভক্ত করে আমাকে উত্তম ভাগে [আরবে] রেখেছেন এবং আমাকে তাদের মধ্যে সর্বোত্তম গোত্রে পাঠিয়েছেন। এরপর সে গোত্রকে বিভিন্ন পরিবারে বিভক্ত করেছেন এবং আমাকে সর্বোত্তম পরিবারে প্রেরণ করেছেন। সুতরাং আমি ব্যক্তি ও বংশ সর্বদিক থেকে তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম।
(সুনানে তিরমিযী, হাদীস নং-৩৫৩২, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১৭৮৮, আল মু’জামুল কাবীর, হাদীস নং-৬৭৫, মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-৩২২৯৬),

এ প্রশ্ন আসাটা স্বাভাবিক যে, রাসূল সাঃ যদি মাটির তৈরী না হয়ে নূরের তৈরী হয়ে থাকেন। তাহলে রাসূল সাঃ এর সম্মানিত আম্মাজান আমিনা ও সম্মানিত আব্বাজান আব্দুল্লাহ যাদের ঔরসে তিনি জন্ম নিলেন তারা কিসের তৈরী ?, সেই সাথে নবীজী সাঃ এর সন্তানরা কিসের তৈরী ?, মাটির না নূরের ?, মাটির তৈরী থেকেতো মাটিই হবে। আর নূর থেকেতো নূরই হবে, তাই নয়কি ?, সুতরাং চিন্তা ভাবনা করে এসব উদ্ভট দাবি তোলা উচিত যে, রাসূল সাঃ নূরের তৈরী। যেখানে এ ব্যাপারে কোন সুষ্পষ্ট দলিলই নেই। সেখানে শুধুমাত্র নিজের আবেগ আর অন্ধতাকে পূজি করে রাসূল সাঃ কে মাটির থেকে নূরের তৈরী বানিয়ে ফেলাটা বোকামী ছাড়া কিছু নয়।

নূরের তৈরী হওয়াই কি শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণবাহী ?,

একথা সম্পূর্ণ ভুল যে, কোন কিছু নূরের তৈরী হলেই তা শ্রেষ্ঠ হয়ে যাবে। বরং শ্রেষ্ঠত্বের মূল বিষয় হল তার অভ্যান্তরীণ গুণ শ্রেষ্ঠ হওয়া।

মাটির তৈরী মানুষ নূরের তৈরী ফেরেস্তা থেকে শ্রেষ্ঠ!

নিশ্চয় আমি আদম সন্তানকে মর্যাদা দান করেছি।
সূরা বনী ইসরাঈল-৭০,

আগুনের তৈরী জিন বা নূরের তৈরী ফেরেস্তাকে মর্যাদা দান করার কথা বলা হয়নি কুরআনের কোথাও। কিন্তু মাটির তৈরী মানুষকে মর্যাদা দান করার কথা আল্লাহ তায়ালা সুষ্পষ্টই ঘোষণা করেছেন। যা স্পষ্টই প্রমাণ করে নূরের তৈরী হওয়াই কেবল শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণ নয় ?,

তাছাড়া আগুনের তৈরী জিন আর নূরের তৈরী ফেরেস্তাদের দিয়ে মাটির তৈরী মানুষ হযরত আদম আঃ কে আল্লাহ তায়ালা সেজদা করিয়ে বুঝিয়ে দিলেন আগুনের তৈরী বা নূরের তৈরী হওয়া কোন শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণ নয়। শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণবাহী হল- ভিতরগত গুন যার শ্রেষ্ঠ সেই প্রকৃত শ্রেষ্ঠ। চাই সে মাটির তৈরী হোক, চাই নূরের তৈরী হোক চাই আগুনের তৈরী হোক।

যখন আমি তাকে পূর্ণতা দিলাম এবং তাতে আত্মা ফুকে দিলাম, তখন সবাই তাকে সেজদা করল। সকল ফেরেস্তারাই একসাথে তাকে সেজদা করল।
সূরা হিজর-২৯,৩০,

সুতরাং মাটির তৈরী সর্বশ্রেষ্ঠ মানব রাসূল সাঃ কে নূরের তৈরী বলে শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করার চেষ্টা করাটা একটি অহেতুক চেষ্টা। তিনি মাটির তৈরী একজন মানব। তবে তিনি মহামানব। আল্লাহ তাআলার পর তিনিই শ্রেষ্ঠ। তার মত আর কেউ নেই। তিনি সকল সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি। মাটির তৈরী সকল মানুষ, আগুনের তৈরী সকল জিন, নূরের তৈরী সকল ফেরেস্তা থেকে শ্রেষ্ঠ মাটির তৈরী এ মহামানব রাসূল সাঃ।

যেমন সকল নূরের তৈরী ফেরেস্তার মাঝে হযরত জিবরাঈল আঃ শ্রেষ্ঠ। তেমনি মাটির তৈরী এ মহামানব রাসূল সাঃ সকল মাটির তৈরী পয়গম্বর আঃ ও সকল মানুষ ও সকল জিনও ফেরেস্তা থেকে শ্রেষ্ঠ ও উত্তম। তার মত উত্তম ও শ্রেষ্ঠ কোন সৃষ্টি আল্লাহ তাআলা কখনো সৃজন করেন নি, কখনো করবেন ও না।

এর পরও রাসূল সাঃ কে মাটির তৈরী থেকে নূরের তৈরী বানানোর অযথা চেষ্টা করাটা একটি হাস্যকর প্রচেষ্টা ছাড়া কিছু নয়। আল্লাহ তাআলা আমাদের এসব অপ্রয়োজনীয় বিতর্ক থেকে বিরত থেকে আখেরাতের পূজি সংগ্রহ করার তৌফিক দান করুন।

ভাষাগত ভুল-ত্রুটি ক্ষমার নজরে দেখবেন,
কারন আমিও একজন মানুষ। Copy

আলহামদুলিল্লাহ! ফুরফুরার মুজাদ্দিদে যামান আবুবকর সিদ্দিকী র. এর ওপরে বড় একটি কাজ হয়েছে।  দারুননাজাত সিদ্দীকিয়া কামিল ম...
09/06/2024

আলহামদুলিল্লাহ! ফুরফুরার মুজাদ্দিদে যামান আবুবকর সিদ্দিকী র. এর ওপরে বড় একটি কাজ হয়েছে। দারুননাজাত সিদ্দীকিয়া কামিল মাদরাসার খতমে বুখারী ২০২৪ উপলক্ষে, দারুননাজাত গবেষণা বিভাগের তত্ত্বাবধানে, অত্র মাদরাসার ফকিহ মাওলানা বদরুল আমিন মা.জি.আ. (মুহতারাম কুষ্টিয়ার হুজুর) এর সম্পাদনায় প্রায় ১০০০ পৃষ্ঠার স্মারকগ্রন্থ প্রকাশ হয়েছে।

যদিও মুজাদ্দিদে যামান র. এর বিস্তর দাওয়াতী খিদমাত ও তাজদীদী আন্দোলনের তুলনায় এ কাজ হয়তো বড় নয়; কিন্তু মুজাদ্দিদে যামান র. এর ওপর এ পর্যন্ত এমন কাজ হয়েছে বলে আমাদের জানা নেই। আল্লাহ তাআলার তাওফিকে আমাদের আরো কাজের প্ল্যান রয়েছে।

গত ৩ মে ২০২৪, শুক্রবার ,খতমে বুখারী উপলক্ষে আয়োজিত মাহফিলে স্মারকগ্রন্থের উন্মোচন করা হয়েছে ।

আল্লাহ তাআলা আমাদের সকলের প্রচেষ্টাকে মুজাদ্দিদে যামান র.এর ওসিলায় কবুল করুন। আমিন।

------------একটি জরুরী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি--------------মাগুরা দরবারের দাওরায়ে হাদীস মাদ্রাসার জন্য একজন হেড বাবুর্চি প্রয...
19/03/2024

------------একটি জরুরী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি--------------
মাগুরা দরবারের দাওরায়ে হাদীস মাদ্রাসার জন্য একজন হেড বাবুর্চি প্রয়োজন, আগ্রহী ব্যক্তিগণ যোগাযোগ করুন নিম্ন ঠিকানায় 👇

আনোয়ারুল উলুম সিদ্দিকিয়া হামিদীয়া (দাওরা) মাদ্রাসা, মাগুরা। মোবাইল- 01796758960

19/02/2024

আজ সবার খুশির দিন নয়! যারা মোজাদ্দেদে জামানকে ভালোবাসে তাদের আজ খুশির দিন- আল্লামা সৈয়দ বাহাউদ্দিন সাহেব ।

30/12/2023

মুজাদ্দেদে জামান রহঃ এর আরবি জীবনী সম্পর্কে পীর আল্লামা ইমরান সিদ্দিকী হুজুরের অভিমত
ইউটিউব লিংক 👇👇👇
https://youtu.be/GTx5wzQsWuU

হাফেজ আমিরুল ইসলাম ইন্তেকাল করেছেন, ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন
26/12/2023

হাফেজ আমিরুল ইসলাম ইন্তেকাল করেছেন, ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন

বাঁশের পালকি চইড়া মাগো গজলটি মূলত শিল্পী মোঃ রোকনুজ্জামান এর গাওয়া, বাঁশের পালকি চইড়া মাগো গজল টি একসময় অনেক ....

26/12/2023

ফুরফুরা শরীফের দাদা হুজুর কেবলা রহমাতুল্লাহ এর আরবি জীবনী গ্রন্থে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়গুলো উঠে এসেছে

ফুরফুরা শরীফের ইতিহাসে এই প্রথম মোজাদ্দেদে জামান পীর আবু বক্কর সিদ্দিকি আল কোরাইশী রহমাতুল্লাহ এর জীবনী আরবিতে লেখা হয়েছে মাগুরা দরবার শরীফ থেকে, বইটির লেখক অত্র দরবারের দাওরা মাদ্রাসার সিনিয়র মহাদ্দিস শায়খ মুফতি মনিরুল ইসলাম সাহেব।

বইটিতে মোজাদ্দেদে জামান রহমাতুল্লাহ এর জীবনের পাশাপাশি তার কর্ম অর্থাৎ ফুরফুরা শরীফ মতাদর্শ বিশ্ববাসীকে জানানোর উদ্দেশ্যে আরবি ভাষায় সুন্দরভাবে লেখা হয়েছে, যেখানে অনেক বাতিল মতবাদের খন্ডন করা হয়েছে।

বইটি যিনারা নিতে ইচ্ছুক যোগাযোগ করুন
০১৭৩১ ৮৪৮৯ ৭৫ নম্বরে

22/12/2023

ফুরফুরা শরীফের মোজাদ্দেদে জামান দাদা হুজুর কেবলা রহঃ এর জীবনী আরবীতে লেখার ঐতিহাসিক পটভূমি

ঐতিহ্যবাহী #মাগুরা_দরবার_শরীফের বাৎসরিক তিন দিনব্যাপী ইছালে স‌ওয়াব মাহফিলের শেষ দিন, ফুরফুরা শরীফের পীরে কামেল মুফতি #ইমরান_উদ্দিন_সিদ্দিকী, আল্লামা #সৈয়দ_বাহাউদ্দিন_সাহেব, হযরত মাওলানা #আজমতুল্লাহ_সিদ্দিকী_আল_কোরাইশী হুজুরগন, হাজার হাজার ভক্ত অনুরাগীদের সামনে #দাদা_হুজুর কেবলা রহঃ এর আরবী জীবনী সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেছেন।

ভিডিওটি শুনলে একজন সাধারন মানুষও এর প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে অনুভব করতে পারবেন ইনশাআল্লাহ।

মহান আল্লাহ পাকের নিকট ফরিয়াদ করি, তিনি যেন মাগুরা দরবার শরীফের এই খেদমত বিশেষ করে কিতাবের লেখক শায়েখ মুফতী মনিরুল ইসলাম হুজুরকে আরো তৌফিক বাড়িয়ে দেন, আমিন।

21/12/2023
21/12/2023
20/12/2023

ফুরফুরা শরীফের পীর- আল্লামা মুফতী ইমরানুদ্দীন সিদ্দিকী আল কুরাইশী হুজুর #মাগুরা_দরবার_শরীফে মাহফিলে ২য় দিনেই হাজির হয়ে গেছেন।

এছাড়াও হুজুর কেবলা রহঃ এর মেজো জামাতা আল্লামা সৈয়দ বাহাউদ্দিন সাহেব, হযরত মাওলানা মুফতি আজমতুল্লাহ সিদ্দিকী আল কোরাইশী সহো #ফুরফুরা_শরীফ থেকে অনেক মেহমান
বিশেষ করে আমার বন্ধুবর #মাগুরা_দরবার_শরীফে এসেছেন।

মাগুরা দরবার শরীফের ভক্ত অনুরাগীদের প্রতি বিশেষ অনুরোধ আপনারা নিজেরা মাহফিলের শেষ দিন ২১/১২/২০২৩ইং বৃহস্পতিবারের মাহফিলে হাজির হওয়ার চেষ্টা করবেন এবং নিকটবর্তী/মহব্বতের মানুষদের দাওয়াত দেবেন।

Address

Baliadanga, Kaliganj, Jhenaidah
Jhenida
7350

Website

https://youtube.com/@user-kj3fl5jw6t

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when আহালে সিদ্দিকীয়া মিডিয়া posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Share

Nearby media companies