Bhoot Story - ভুত স্টোরি

Bhoot Story - ভুত স্টোরি ভৌতিক স্টোরি পড়তে হলে সাথেই থাকুন

05/01/2025

উপর তলা থেকে চিৎকার করে কান্নার আওয়াজ আসছে… সাথে শোনা যাচ্ছে - মা আর করবো না।
বিষয়টা বুঝে উঠতে পারছিলাম না। একটু আগেই তো তাদের বাড়িতে আমাদের নেমন্তন্ন ছিলো। তার ছেলে চাকরি নতুন পেয়েছে সেজন্য। কতো অমায়িক পরিবার। কি রেখে কি খেতে দিবে, কিভাবে খাতির যত্ন করবে, সে নিয়ে তাদের কতো হৈ হুল্লোড়। তাহলে এই অল্প সময়ের মধ্যে কি হলো?
যেহেতু সে আমার ভাড়াটিয়া তাই সাহস করে যেতেও পারছি না। অনাধিকার চর্চা হয়ে যায় কিনা সে ভয়ে।
স্ত্রীকে ডেকে বললাম - কে কাঁদছে এভাবে? জানো কিছু?
সে দীর্ঘনিশ্বাস ফেলে বললো - আর কে? তুমি যেই মাসিমনির একটু আগে প্রশংসা করলে - কত্তো ভালো মানুষ সে! তার ছেলের বউ এর সাথে চিল্লাচ্ছে।
আমি কিছুটা স্তব্ধ হয়ে বললাম - কেনো? উনাকে দেখে তো এমন লাগলো না!
আমার স্ত্রী বললো - থাক, তোমার সাথে তর্কে যাবো না। মহিলা মানুষের বিষয়। তুমি বুঝবে না।

এই বলে সে চলে গেলো। আমি টিভি দেখতে লাগলাম। হঠাৎ মনে হলো উপর তলায় ঠাস করে কিছু পরে ভাঙলো, আর এরপর আরো জোরে চিৎকার।
আর নিতে পারছিলাম না। বাড়িওয়ালা হিসেবে এবার ওদের বাড়িতে যাওয়ার কথা ভাবলাম।
চশমাটা চোখ থেকে খুলে হাঁটা দিলাম উপর তলায়।
কলিং বেল দিতেই সব চুপচাপ হয়ে গেলো।
১-২ মিনিট পর অর্ধেক দরজা খুলে মুখ বের করলেন মাসীমণি ।
হাসি মুখে এগিয়ে বললেন - কি হইসে বাবা?
আমি বললাম - একটু আগে কান্নার আওয়াজ পেলাম। তারপর মনে হলো কি যেন ভেঙে গিয়েছে। কি হয়েছে? কোন সমস্যা?
মাসীমণি বললেন - আরে না বাবা। বউমা কাজ করতে গিয়ে হাতে লেগে টেবিলের কাঁচ টা ভেঙে গেছে। নিজে থেকেই ভয়ে কান্না করছে। ভয় পাইসে, আমি যদি কিছু বলি সেজন্য।
আমার কাছে কেন যেন তেমন কিছু মনে হলো না।
পুরুষ মানুষ তাই জোর করে ঢুকতেও পারলাম না। চলে আসলাম সেখান থেকে।
কিন্তু আসার পর থেকে মাথা ধরে আছে। তাই সহ্য না করতে পেরে আমার স্ত্রীকে ডেকে বললাম - চলো তো আমার সাথে।
সে বললো - কোথায়?
আমি হাত ধরে টান দিয়ে তাকে নিয়ে গেলাম উপর তলায়।
আবার কলিং বেল দিলাম। এবার আরও সময় নিয়ে দরজা খুললো তারা। এবার দরজা খুললো মাসীমণি'র ছেলে। একদম ঘামিয়ে আছে সে। বয়সে আমার সমবয়সী হলেও বিয়ে করেছে আমার মেয়ের বয়সী একটা মেয়েকে।
সে জিজ্ঞাসা করলো - কিছু বলবেন ভাই?
বললাম - তোমার মায়ের সাথে কথা আছে। ভেতরে যাবো।
সে বললো - মা পুজো করছে। পুজো শেষে বলছি যেন আপনার সাথে দেখা করে আসে।
আমি খানিকটা ধাক্কা দিয়েই বললাম - এখনই দেখা করবো।
এই বলে ঘরে ঢুকে আমার মাথা ঘুরে গেলো। ফ্লোরে রক্তের ছোপ ছোপ দাগ। সামনের ঘরের টি টেবিলটার গ্লাস ভেঙে নিচে পরে আছে। ঘরের ভেতরটা নিশ্চুপ।
আমাদের বাধা দেওয়ার পরও ভেতরে গিয়ে পুরুষ মানুষ হয়েও চোখে জল চলে আসলো। ময়না (ছেলের বউ) মেঝেতে পড়ে আছে। নাক মুখ দিয়ে রক্তে ভেসে যাচ্ছে।
আমার স্ত্রী দৌড়ে গিয়ে তাকে ধরলো। মাসীমণি আরেক রুম থেকে দৌড়ে এসে বললো - একটু আগে বাথরুমে পইড়া ব্যথা পাইসে। আমি এখন ডাক্তারের কাছে নিতাম।
আমি বললাম - বাথরুমে পরে গিয়েছে তো মুখে গামছা বাঁধা কেন?
ওরা একটু নড়ে উঠলো। মাসীমণি র স্বামী আমাকে এসে বললো - বাবা বসেন। সব খুলে বলতেসি।
আমার স্ত্রী তখন বললো - ময়নার জ্ঞান নাই। ডাক্তারের কাছে এখনই নিতে হবে।
আমি মাসীমণি কে বললাম - আপনাদের সাথে আমি পরে কথা বলবো।
এই বলে একটু সাইডে গিয়ে হাসপাতালে ফোন করলাম। আর ফোন করলাম আমাদের দারোয়ানকে। মেইন গেইট টা বন্ধ করতে বললাম।
আর সবশেষে ফোন দিলাম আমাদের এলাকার থানায়।
তারা জানতো না থানায় যে ফোন করেছি। একেক জন অস্থির হয়ে উঠলো। হঠাৎ ময়না ময়না বলে কেঁদে উঠলো মাসীমণি। শ্বশুর সাহেবও কম যান না। তিনিও অভিনয় করে চোখ মোছা শুরু করলেন।
শুধুমাত্র একজন অভিনয় করছিলো না। সে হলো ময়নার স্বামী। সে যেন ফোঁস ফোঁস করে উঠছিলো রেগে। আর বারবার বলছিলো - আমাদের ব্যাক্তিগত ব্যাপারে আপনি নাক গলাচ্ছেন কেন?
আমি কোন উত্তর দিলাম না। শুধু দেখে যাচ্ছিলাম সবাইকে।
ময়নাকে আমার স্ত্রীকে আর মেয়েকে সহ অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতাল পাঠিয়ে দিলাম। সাথে যাওয়ার জন্য তার বাড়ির সবাই খুব জোর করলেও আমি সবাইকে নিষেধ করে দেই। আর অন্য ৩ ফ্লাটের ভাড়াটিয়া ঘরের পুরুষদের ফোন করে আসতে বলি।
তাদের আটকাই। থানা থেকে লোক আসলে তাদের হাতে এই ভদ্র পরিবারকে তুলে দেই।
এরপর হাসপাতালে গিয়ে দেখি ময়নার চিকিৎসা চলছে।
২ দিন পর পুলিশ তার স্টেটমেন্ট নিতে আসে। আমি সেখানে উপস্থিত ছিলাম। যে কারণে সেদিন ময়নার উপর নির্যাতন হয়েছিলো তা শুনে যে কোন শয়তানও একবার চোখের জল ফেলতো বোধহয়।

বিয়ের শুরু থেকেই কাজের মেয়ের মতো তার সাথে আচরণ করা হতো। কারণ সে গরীব ঘরের মেয়ে। নাহলে অতোটুক মেয়েকে এই বয়স্ক লোকের সাথে কোন বাবা মা ই বা দেয়। খাবারের কষ্ট দেওয়া হতো। আর এটা প্রথমবার তার গায়ে হাত তোলা হয়নি। তাই আমরা সেদিন যখন তাদের বাড়িতে খেতে গিয়েছিলাম। সেদিন সে লুকিয়ে কিছু পোলাও তার ওরনায় বেঁধে বাথরুমে নিয়ে খাচ্ছিলো। কিন্তু ধরা পরে যায়। এরপর তাকে অমানবিক নির্যাতন করা হয় খাবার চুরি করে খাওয়ার দায়ে। একদম ৩ জন মিলে যে যেভাবে পেরেছে মেরেছে মেয়েটাকে। ভগবান মাফ করুক। কতো খাবার প্লেটে ফেলে উঠি আমরা প্রায়ই। আর এই খাবারের জন্য কেউ মার খেলো? কেনো খেলো?

এগুলো বলার সময় আমার স্ত্রীও পাশে ছিলো। চোখ মুছে আমার দিকে এগিয়ে বলছে - মেয়ে বিয়ে দিবো না আমরা। দরকার নাই। মেয়ের খাওয়ার জন্য কতো চিন্তা করি, আর সেই মেয়ে যদি অন্যের ঘরে গিয়ে ভাতের বদলে মার খায় তাহলে তেমন বিয়ের দরকার নেই।

আমিও তাকে জড়িয়ে ধরে বললাম - সবাই এক না। সবাই খারাপ না। সবাইকে আবার দেখতে মানুষ লাগলেও আসলে তারা মানুষ না।
আমি নিজে ময়নাকে সুস্থ হওয়ার পর উকিল ধরিয়ে মামলা করাই। ময়না তার বাবার বাড়ি ফেরত যেতে চায়নি। তাই তার বাবার অনুমতি নিয়ে আমার বাড়িতেই রেখে দেই। আমার একটা মেয়ে। তার সাথেই ময়না থাকে। এতে আমার স্ত্রীও কোনদিন একটা কথা বলেনি।
শত হলেও একজন মেয়ের বাবা আমি।
আর এভাবেই যদি সবাই রুখে দাড়াতো তাহলে এই সমাজে এমন নির্যাতনকারী আর সাহস করে কাউকে নির্যাতন করতো না।
"Domestic Violence" কে না বলুন। আশে পাশে কাউকে এমন হতে দেখলে তার বিরুদ্ধে যা করার দরকার সব করুন। এতে অন্তত কারো না কারো জান বেঁচে যাবে।

29/12/2024

তোমাকে একটা কথা বলার আছে যেটা বাবা মারা যাওয়ার আগে আমাকে বলেছিল,

"মানুষ মারা যায় কখন জানিস?
-যখন এই পৃথিবীর কাছে তার প্রয়োজন ফুরিয়ে যায়, অথবা তার কাছে পৃথিবীর।"

এজন্য আমি কি করতাম জানো?
প্রতিদিন বাবার বাসায় গিয়ে যেকোনো জরুরি আলাপ তুলতাম কিন্তু শেষ করতাম না; কিছু কথা বাকি রেখে বলতাম, "বাকিটা কালকে.."

তখন বাবা কালকের জন্য অপেক্ষা করা শুরু করতো, ওনার বেঁচে থাকার প্রয়োজন তৈরি হতো।

একসময় আমি খুব নিজের কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়লাম, ধীরে ধীরে বাবার কাছে যাওয়া কমে আসতে লাগলো। এবং তখনই আমার ভয় হতে লাগলো - বাবা বোধয় আমার মারা যাবে।

কিছুদিন পর, আমি বাবার কথাটার সত্যতা খুঁজে পেলাম -

মানুষ মারা যায় তখনই, যখন প্রিয়জন এর সাথে তার যোগাযোগহীনতা তৈরি হয়..💔

গল্প- ⛔সেই জমিদার বাড়িটি⛔ পুরনো জমিদার বাড়িটি ছিল গ্রামের সীমানায়, বহু বছর ধরে অনাবাদী। বাড়িটির দেয়াল চূড়ান্তভাবে বুড়িয়ে...
28/12/2024

গল্প- ⛔সেই জমিদার বাড়িটি⛔

পুরনো জমিদার বাড়িটি ছিল গ্রামের সীমানায়, বহু বছর ধরে অনাবাদী। বাড়িটির দেয়াল চূড়ান্তভাবে বুড়িয়ে গেছে, জানালাগুলোর কাচ ভেঙে ঝরঝরিয়ে পড়ে, আর ছাদে ময়লা জমে গিয়েছিল। তবে তার মধ্যে একটি বিশেষ আকর্ষণ ছিল—বাড়ির ভিতরকার সুরাহি সিঁড়ি, পুরনো কাঠের মেঝে, আর এক অব্যক্ত রহস্য যা গ্রামের সবাই জানত, তবে কেউ কখনও মুখ খুলত না।

গ্রামের লোকজন বলত, যে কেউ ওই জমিদার বাড়িতে প্রবেশ করতে সাহসী হয়েছিল, সে আর ফিরতে পারেনি। রাতের আঁধারে, বাড়ির ভেতর থেকে শুনা যেত অদ্ভুত আওয়াজ—যেন কেউ মেঝে স্ক্র্যাচ করছিল, আবার কখনও মনে হতো, কোথাও কোনো কনভাসেশন চলছে। আর সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ছিল, যে কেউ রাতের বেলা ঐ বাড়িতে যেত, তার গায়ের ওপর কোনো অজানা চাপ অনুভূত হতে শুরু করত, যেন কেউ তাকে নিজের মধ্যে টেনে নিচ্ছিল।

একদিন, গ্রামের এক তরুণী, তমা, যিনি সাহসী ও কৌতূহলী ছিলেন, ঠিক করলেন তিনি ওই বাড়ির রহস্য উদঘাটন করবেন। সবাই তাকে বারবার সতর্ক করেছিল, তবে তমা কাউকে পাত্তা না দিয়ে সেদিন রাতে জমিদার বাড়িতে পা রাখল। সে বাড়ির দরজা খুলে প্রবেশ করতেই, এক অদ্ভুত ঠান্ডা বাতাস তাকে স্বাগত জানাল, আর তার চারপাশের অন্ধকার যেন আরো ঘনিয়ে উঠল। তার হাতে ছিল একটি মোমবাতি, যার আলো দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছিল।

তমা বাড়ির ভিতর হাঁটতে শুরু করল, যেন তিনি কোনো পুরনো যাত্রা শুরু করেছেন। দেয়ালের টুকরোগুলি সরে গিয়ে মাঝে মাঝে শব্দ করে উঠছিল, আর তমার পায়ের নিচে মেঝে কাঠের ঘর্ষণ যেন কোথাও কিছু অনুভব করাচ্ছিল। বাড়ির এক কোণে তাকে একটি পুরনো পিয়ানো দেখল, যা বহুদিন ধরে পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে ছিল। তমা তার দিকে এগিয়ে গেল, এবং স্পর্শ করতেই পিয়ানোর কী বোর্ড থেকে একটি শব্দ বের হল—অবিচ্ছিন্ন, রহস্যময়।

আরেকটি ভীষণ শব্দ শুনতে পেল সে, যেন কোনো heavy পদক্ষেপের শব্দ। তমা ভয় না পেয়ে আরো গভীরে প্রবেশ করতে থাকল। হঠাৎ, সিঁড়ির নিচে অন্ধকার এক কক্ষে, তার চোখের সামনে দাঁড়িয়ে ছিল এক অদ্ভুত, গা dark ় অন্ধকার চেহারা। তার গা থেকে এক অতিপ্রাকৃত শক্তি ছড়িয়ে পড়ছিল, আর তমা দেখতে পেল, সে একটি পুরনো জমিদারের চেহারা, এক ভয়ঙ্কর দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে তার দিকে।

"তুমি এখানে কী করছ?" জমিদার সেই অন্ধকার কণ্ঠে প্রশ্ন করলেন। তমা বলল, "আমি আপনার গল্প জানাতে এসেছি, আমি জানতে চাই, কেন আপনার আত্মা এখানে আটকে আছে।"

জমিদারের চোখে এক রহস্যময় হাসি ফুটে উঠল, কিন্তু তখনই তার কণ্ঠের মধ্যে কিছু পরিবর্তন এলো—এটি যেন কোনও অন্যায়ের শিকার আত্মার কাঁপন ছিল। "তুমি যদি জানো, তবে তোমার সাথে এই দুঃখের অভিজ্ঞতা শেয়ার করবো," বলে, জমিদার তার শিকলমুক্ত আঙুল বাড়িয়ে তমার দিকে এগিয়ে আসলেন।

"এই বাড়ির উপর আমার অভিশাপ ছিল," তিনি বললেন। "আমার পূর্বপুরুষরা এখানে অনেক নির্দোষ মানুষকে হত্যা করেছিল, আর আমি এই বাড়ির প্রতিটি খুঁটির নীচে তাদের আত্মাকে আটকাতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমি ভুল করেছিলাম। তাদের সকলের অভিশাপেই আমি নিজে আটকা পড়লাম।"

থমাসের ভয় পাচ্ছিল, কিন্তু সে সাহস হারাল না। "আপনি যদি তাদের মুক্তি দেন, তবে আপনারও মুক্তি হবে। আপনি শুধু তাদের দুঃখের কথা শুনুন।"

তমার এই কথায় জমিদারের চোখে এক অপরিসীম দুঃখ দেখা গেল। এরপর, জমিদার ধীরে ধীরে এক চুমুক হেসে বললেন, "তোমার সাহসিকতার জন্য আমি তোমাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।"

তারপর থেকে, জমিদারের আত্মা আর কোনও ভয়ের কারণ হয়নি। তমা ঐ বাড়ি থেকে ফিরে এল, আর কেউ আর কখনো ওই বাড়ির ভয়ের গল্প শোনেনি। কিন্তু মাঝে মাঝে, তমা স্বপ্নে দেখতেন, জমিদারের আত্মা শান্তি পেয়েছে এবং সেই বাড়ির বাতাস এখন অন্য রকম, যেন এখন সেখানে কেউ কাঁদছে না—শুধু শান্তি আর মুক্তির নিঃশব্দ অশ্রু।

22/12/2024

গল্প পরীর সাথে সহ-বাস
পর্ব _০১

#লেখক__মোঃ__নিশাদ

একটা এক দেড় বছরি ছোট বাচ্চা রাত হলে বানরের মত লাফিয়ে লাফিয়ে গাছে উঠে।

আপনারা হয়তো ভাবছেন আমি পাগল হয়ে গেছি। পাগলের মত কি উল্টো পাল্টা বলছি তাইনা।

ঘটনাটা বিশ্বাস করার মত না হলেও এরকমি একটা ঘটনা ঘটছে। সুধু কি গাছে উঠে, সেই বাচ্চাটা রাতে পুকুরে নেমে সাঁতার ও কাঁটে গোসল করে।

আসছালামু আলাইকুম " আমি লেখক মোঃ নিশাদ " আপনারা যাঁরা পরীর সাথে সহবাস সিজন ওয়ান পড়েননি পড়ে নিবেন " সিজন ওয়ান না পড়লে কিছুই বুঝতে পারবেন না। পরীর সাথে সহবাস সিজন ওয়ান আমার এই ভূতের গল্প লেখক পেজে আছে।

তাঁরানাথ তান্তিক আলিয়া পরীকে বন্ধি করে নিয়ে যাবার পর আমি ধিরে ধিরে সুস্থ হই। এদিকে এভাবে কয়েকমাস চলে যাবার পর জান্নাতের সাথে আমার বিয়ে হয়। আর বিয়ে দু এক বছর পর আমাদের একটা সন্তান হয়।

গল্পর শুরুতে একটা বাচ্চার কথা বললাম সেটা আমারি বাচ্চা " ওর নাম" লাবিব "

লাবিন রাত হলে বানরের মত করে লাফিয়ে লাফিয়ে গাছে উঠে। এটা কিভাবে সম্ভব এত ছোট একটা বাচ্চা গাছে উঠে কিভাবে, তাও ছোট কোন গাছ নয় বড় গাছে।

ঘটনাটা আমি বুঝতে পারি দুদিন আগে।
রাতের খাবার শেষে শুয়ে শুয়ে ফোন টিপছিলাম। ওদিকে জান্নাত লাবিবকে ঘুম পারাচ্ছেন।

বেশ কিছুক্ষন পর লাবিব ও জান্নাত দুজনি ঘুমিয়ে যায়। ওরা ঘুমানোর কিছুক্ষন পর আমিও ঘুমিয়ে যাই।

রাত তখন বারোটা কি একটা হবে। শীতের রাত " হঠাৎ আমার ঘুম ভেঙে যায় ঠান্ডা অনুভব হবার কারণে " আমার ঘুম ভেঙে যেতে আমি দেখলাম আমার গায়ের উপর থেকে কম্বল একটুখানি সরানো।

গায়ের উপর থেকে কম্বল সরানো দেখে আমি আবারো কম্বল গায়ে দিতে যাবো তখনি খেয়াল করলাম লাবিব পাশে নেই। আরে লাবিব কোথায় গেলো, এটা ভেবে এদিক সেদিক তাকাতেই দেখলাম লাবিব দরজার পাশে দাঁড়িয়ে আর দরজাটা খোলা।

আমি ওর দিকে তাকাতেই লাবিব দরজার বাহিরে গেলো। আরে আরে এত রাতে লাবিব দঁরজার বাহিরে কি করে।

এই ভেবে এক লাফে উঠে দরজার কাছে যেতে দেখলাম লাবিব হেঁটে হেঁটে সামনের দিকে যাচ্ছে।

ওর এই অবস্থা দেখে মনের মধ্যে কৌতুহল হলো। মনে মনে ভাবলাম লাবিব মনে হয় ঘুমের ঘোরে হাঁটাচলা করে দেখিতো ও হাঁটতে হাঁটতে কোথায় যায়।

এই ভেবে ওর পিছন পিছন যেতে লাগলাম। লাবিব আমার সামনে হাঁটছে। ও হাঁটতে হাঁটতে আমাদের ঘরের পিছনে বড় একটা জামগাছ আছে ও সেই গাছটার নিচে গিয়ে বানরের মত লাফিয়ে লাফিয়ে সেই গাছের ডালে উঠে বসলো।

এই দৃশ্য দেখে আমি ভয়ে এক দৌড়ে ঘরে এসে হাঁফাতে হাঁফাতে জান্নাতকে ডাকতে লাগলাম। আমার ডাকে জান্নাত উঠে আমাকে কিছু বলার আগে আমি বললাম।

জান্নাত " লাবিব " লাবিব গাছে উঠছে " ওর জানি কি হইছে লাইটটা দাও তারাতারি চলো।

আমার কথা জান্নাত আমার দিকে তাকিয়ে বললেন কি বলো এসব আবল তাবল লাবিব গাছে মানে, পিছনে তাকিয়ে দেখো।

জান্নাতের কথায় পিছনে তাকিয়ে চমকে উঠে দু পা পিছিয়ে গেলাম। কেননা আমার পিছনে লাবিব দাঁড়িয়ে। ও কিভাবে এত তারাতারি রুমে আসলো। ও না সেই বড় জাম গাছটাকে উঠলো।

আমাকে ভয় পেতে দেখে জান্নাত বললো। এই কি হইছে তোমার কি সব বলছো লাবিব কিসের গাছে উঠছে, ও তো এখানে।

জান্নাতের কথার জবাবে ওকে বললাম, আমি সত্যি বলছি একটু আগে আমি দেখছি লাবিব বিছানা থেকে উঠে ঐ বড় জামগাছটাকে উঠতে।

তুমিকি পাগল হলে। এইটুকু বাচ্চা গাছে উঠবে কিভাবে। তুমিকি স্বপ্ন দেখছো নাকি।

আরে না আমি সত্যি বলছি বিশ্বাস করো। তুমি চলো আমার সাথে জামগাছের কাছে গিয়ে দেখি।

আমার কথায় জান্নাত বিছানা থেকে উঠে লাবিবকে কোলে নিতে আমি বললাম, ওকে কোলে নিওনা ও একটা ভূত।

আরে কিহ বলো ও আমাদের ছেলে ও ভূত হতে জাবে কেনো। চলো বাহিরে চলো দেখি কোন গাছে কি৷

কথাটা বলে ও লাবিবকে কোলে নিয়ে আমার সাথে বাহিরে গেলেন।

আমি জান্নাতকে নিয়ে সেই গাছের নিচে গিয়ে লাইট মেরে ভালো করে দেখলাম। কিন্তু না এখনে কেউ নেই জায়গাটা দেখে সাভাবিক লাগছিলো।

এদিকে জান্নাত তখন বললো। কই এখানে তো কেউ নেই। তুমিনা কি সব বলছো চলো ঘরে চলো রাত অনেক হইছে।

কথাটা বলে আবারো রুমে চলে আসলাম। রুমে এসে দরজা দিয়ে ঘুমাতে যাবো, কিন্তু ঘুম আসছেনা ভয়ে, মনে হচ্ছে ভূতের সাথে শুয়ে আছি।

লাবিবকে দেখে তো এখন সাভাবিক লাগছে। তাহলে তখন ওটা কি দেখলাম। ওই দৃশ্য দেখে তো নিজেরি বিশ্বাস হচ্ছেনা।

যাইহোক,
এসব ভাবতে ভাবতে দেখলাম জান্নাত ও লাবিব আবারো ঘুমিয়ে গেলেন।

ওরা ঘুমানোর পর আমার ঘুম আসলেও আমি ঘুমাইনি। কি জানি ঘুমালে যদি লাবিব আবারো বাহিরে যায়। এই ভেবে না ঘুমিয়ে বাকি রাত টুকু জেগে কাটিয়ে দিলাম।

আমি বাকি রাত টুকু জেগে ছিলাম তখন আর কিছু ঘটেনি।

রাতে ঘুমাইনি এই ভেবে সকাল হতে ঘুমিয়ে পড়ি। সকালে ঘুমানোর পর কতক্ষন ঘুমিয়েছি জানিনা।

আমার যখন ঘুম ভেঙে যায় তখন দেখি আমার বুকের উপর বসে খেলা করছে লাবিব।

লাবিবকে বুকের উপর বসে থাকতে দেখে বললাম, বাবা কি করছো, তোমার মা কোথায়৷

আমার কথায় লাবিব কিছু না বলে আমার হাতের মধ্যে একটা কামড় দিলেন।

ও হাতে কামড় দিতে আমার হাত থেকে র*ক্ত বেড়িয়ে বিছানায় পড়তে লাগলো। এই দেখে ব্যাথায় ও ভয়ে আমি চিৎকার করতে লাগলাম আর জান্নাতকে ডাকতে ডাকতে বললাম জান্নাত কোথায় তুমি তারাতারি আসো।

আমার চিৎকার ও ডাকাডাকির ফলে জান্নাত দৌড়ে এসে বললো কিহ হইছে চিৎকার করছো কেনো।

ওর কথায় বললাম লাবিব হাতে কামড় দিয়েছে র*ক্ত বেরচ্ছে। আমার কথায় জান্নাত বললো, মজা করছো তাইনা। কই তোমার হাতে রক্ত কই।

আরে ঠিকি তো র*ক্ত কোথায় গেলো। একটু আগে না র*ক্ত বেরচ্ছিলো।

আমার এই অবস্থা দেখে জান্নাত বললো। অনেক মজা হইছে এখন উঠো দুপুর হয়ে এলো উঠে গোসল।করো আমি রান্না করছি আর ডাকাডাকি করোনা।

কথাটা বলে চলে গেলো জান্নাত। ও চলে যাবার পর লাবিবের দিকে তাকিয়ে দেখলাম লাবিব সাভাবিক ভাবে খেলা করছে।

হঠাৎ এসব কি হচ্ছে আমার সাথে। লাবিব হঠাৎ করে এমনটা করছে কেনো। এর পিছনে কি কোন রহস্য লুকিয়ে আছে।

হ্যাঁ অনেক বড় রহস্য লুকিয়ে আছে। যা আস্তে আস্তে জানতে পারবেন।

এই গল্পটার টু পার্ট নিয়ে আসবো সামনে। প্রথম পর্বটি কেমন লাগলো জানাবেন সবাই। যারা এখনো আমার এই পেজটি ফলো করেননি ফলো করে দিন সবার আগে গল্প পেতে।

আমার গল্প কপি করা নিষেধ " কেউ কপি করলে রিপোর্ট দিবো আপনার আইডি বা পেজের ক্ষতি হবে।

গল্পটা ভালো লাগলে শেয়ার করে দিন সবার মাঝে। যাঁরা প্রথম পর্ব খুঁজে পান বাকিগুলো পাননা তাঁদের বলবো রোজ দুপুর দুইটার সময় আমি গল্প পোস্ট করি ইনশাআল্লাহ। আমার এটা আইডিতে ঢুকে চেক করলে গল্প পাবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।

আমার শশুর শাশুড়ির তিন ছেলে, তিন মেয়ে।তবে  তাদের শুধু বড় ছেলেকে মানুষ করতে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। তাদের বড় ছেলে মানে আমার...
22/12/2024

আমার শশুর শাশুড়ির তিন ছেলে, তিন মেয়ে।তবে তাদের শুধু বড় ছেলেকে মানুষ করতে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। তাদের বড় ছেলে মানে আমার হাজব্যান্ড রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করেছে। এখন একটা সরকারি জব করে। সরকারি চাকরির বেতন কম এইটা সবাই জানে। ওর বেতন ২৬ হাজার ৫০০। এখন আমার শাশুড়ির কথা হলো কষ্ট করে যেহেতু মানুষ করেছি তো আমাদের সব করতে হবে। আমাদের সব চাহিদা পূরণ করতে হবে। আমার শশুরের বাজারে তিনটা দোকান আছে। সেই দোকানের ভাড়া শশুর-শাশুড়ির ক্যাশ। এইদিকে ১ভাই ২ বোনের পড়াশোনা বাবা মায়ের সব খরচ আমার স্বামী দেয়। মেজো দেওর বিদেশ থাকে। ও আলাদা ওর বউ বাপের বাড়ি থাকে। আমার বড় ননদের বিয়ে হয়ে গেছে কিন্তুু এখন পর্যন্ত ওর আর ওর বাচ্চার অসুখ হলে সমস্ত ঔষধপত্র আমার হাজবেন্ডের দিতে হয়। সবার সব চাহিদা পূরণ করতে যেয়ে না নিজের জন্য একটা ভালো পোশাক কিনতে পারে আর না আমাকে শখের কিছু দিতে পারে। তবুও স্বামীর উপর আমার কোনো অভিযোগ নেই।
তো আমার শাশুড়ি আজকে বলতেছে যে, তার মেজো মেয়েকে দেখে শুনে বিয়ে দিতে হবে। তো তার নাকি কোন ছেলের সাথে কথা হয়েছে বিয়ে মোটামোটি ঠিক। শুধু দেনা পাওনা হিসেবে ২ ভরি‌ গয়না ননদকে আর ১ ভরির চেইন‌ জামাইকে দিতে হবে আর ঘর সাজানোর যা যা লাগে সব দিতে হবে। তো আমি বললাম, যা ভালো বুঝেন করেন। তখন বলতেছে, আনিস বাড়িতে আসলে বলবে লাখ তিনেক টাকা যেন দেয় বোনের বিয়েতে। আর বাদ বাকি তোমার শশুর মশাই দেখে নিবে।
কথাটা বলেই শাশুড়ী মা চলে গেলেন।
ওনার মুখে কথাটা শুনে আমি কি বলবো বুঝতে পারলাম না। আচ্ছা উনি তো খুব ভালো করেই জানে ওনার ছেলে পুরো সংসারে দ্বায়িত্ব সামলে এক টাকাও সঞ্চয় করতে পারে না। তাহলে তিন লাখ টাকা কোথায় থেকে দিবে?
কিছুক্ষণ পর আনিস অফিস থেকে আসলো। এসে হাতমুখ ধুয়ে খেতে দিয়েছি তখন শাশুড়ী মা এসে বললেন, ইতু আনিসকে বলেছো কথাটা?
আমি বললাম, না মা। আসলে আপনার ছেলে এইমাত্র আসলো তো।
শাশুড়ী মা মুখ ভেংচি কেটেঁ বললেন, হ্যা তা তো জানিই আমি? এখন তো তোমার মুখ দিয়ে কথা বের হবে না।
আনিস বলে, কি বলবে বলো মা?
শাশুড়ী মা বলে, তোর বোনের বিয়ের ঠিক করেছি তো বিয়েতে তো খরচা আছে আবার মেয়ে জামাইকে ও গয়না দিতে হবে, ঘর সাজানোর আসবাবপত্র দিতে হবে তাই বৌমাকে বলেছি তোকে যেন বলে লাখ তিনেক টাকা দিতে। কিন্তুু দেখ এখনো বলেই নি?
শাশুড়ী মায়ের কথা শুনে আনিস খাওয়া বন্ধ করলো। শুধু বললো, আচ্ছা মা নাকি সন্তানের মনের ভাষাও বুঝে তবে আমার মা কেন আমায় বুঝে না? নাকি বুঝেও না বোঝার ভান করে?
কথাটা বলেই আনিস খাবার থালা রেখে উঠে চলে গেলো। এইদিকে শুরু হলো শাশুড়ী মায়ের চিৎকার করে কান্নাকাটি। পাশের বাড়ি থেকে লোক জড়ো হলো। শাশুড়ী মা তাদের সবার কাছে কেদেঁ কেদেঁ বলতে থাকলো, কি হলো গো আমার? কি কপাল আমার? এত কষ্ট করে সন্তান মানুষ করে এখন সন্তান বউ যা বলে তাই শুনে। মা-বাপ ভাই বোন সব পর। ওদের জন্য কিছু করতে বললেই আমরা খারাপ। এখন সব আপন ওই বউ।
ওনার এমন নানা কথায় আমার ভীষণ রাগ হলো। ওনাকে গিয়ে বললাম, আচ্ছা এ কেমন ব্যাবহার আপনার? আপনার অন্য ছেলে মেয়েরা আপন আর বড় ছেলেকে কি কুড়িয়ে এনেছিলেন যে দিতে পারলেই ভালো আর না পারলেই খারাপ?
আমি আর কিছু বলার আগেই পেছন থেকে আনিস আমার চুলের মুঠি ধরে ঘরে নিয়ে গেলো৷ তারপর সমস্ত রাগ আমাকে মে*রে বের করলো আর বললো,তোকে কে সাহস দিয়েছে আমার মাকে এতকিছু বলার? খবরদার কোনোদিন যদি দেখেছি তোকে আমার মায়ের সামনে গলা উচু করে কথা বলতে তো গলার রগ ছিড়ে দিবো। তারপর আলমারি থেকে আমার গয়নাগুলো বের করে নিয়ে চলে গেলো.....আমি শুধু ভাবলাম, যার জন্য করলাম চুরি সেই বলে চোর। তবে সময়ের ব্যাবধানে ঠিকই বুঝবে কে শেষ_সময়ের_সঙ্গী?
চলবে......
গল্পঃ শেষ_সময়ের_সঙ্গী

মিশু-Mishu
পর্বঃ( ১)
[ বিঃদ্রঃ পরের পর্বে শেষ করে দেওয়া হবে ]

আজ আমার স্বামী প্রমশন পাওয়ার জন্য আমাকে বিক্রি করে দিলো তার বসের কাছে।আর তার বস হচ্ছে আর কেউ না আমার প্রাক্তন💔আজ দুপুরে ...
22/12/2024

আজ আমার স্বামী প্রমশন পাওয়ার জন্য আমাকে বিক্রি করে দিলো তার বসের কাছে।আর তার বস হচ্ছে আর কেউ না আমার প্রাক্তন💔

আজ দুপুরে কাজ করতে ছিলাম। আমার হাজবেন্ড পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে কানের কাছে বললো,,

আরিয়ানঃ আজ বাইরে ঘুরতে যাবো সারা বিকেল ঘুরে বাইরে হোটেলে রুম নিয়ে থাকবো,,রেডি থেকো পাগলি(এই বলে চলে গেলো)

তার কথায় আমি অবাক হলাম কারণ,, তিনি আমাদের বিয়ের পর মেনেই নেয়নি আমাকে।খুব খুশি লাগছে,,তাই তারাতারি কাজ গুলো করে ফেললাম।

কাজ শেষ করে আয়নার সামনে গিয়ে নিজের সাথে নিজেই কথা বলতে লাগলাম।হঠাৎ একটা মেসেজ আসলো তিনি দিয়েছেন।মেসেজে,,

"একটু সুন্দর করে সাজবে আর বেডের কোনায় একটা ব্যাগ রাখছি তার মধ্যে শাড়ি রেখেছি পরে নিও"

আমি তারাতারি ব্যাগটা নিলাম,, ব্যাগ খুলে দেখি নীল শাড়ির উপর গোল্ডেন কালারের কাজ করা,,,শাড়িটা এতো ভালো লাগলো যা বোঝাতে পাবোনা।তার প্রথম গিফট এটা।

খুব যত্ন করে শাড়ি পরলাম,,ম্যাচিং কানের দুল,,চুড়ি,নেকলেস আর চোখে কাজল,,চুল ফুলিয়ে বাধলাম

আমি রেডি হয়ে আয়নার দিকে তাকিয়ে আছি কোন কিছুর কমতি আছে কিনা দেখছি।তিনি পেছনে এসে দাড়ালেন

আরিয়ানঃ আয়শা তোমাকে তো অত্যান্ত সুন্দর লাগছে এইবার চলো বেরাতে হবে নয়তো লেট হয়ে যাবে

আমিও বেরিয়ে পরলাম অনেক জায়গায় ঘুরলাম আজ।বিকেল গড়িয়ে রাত হতে আসলো।একটা হোটেলে নিয়ে গেলো আমাকে,,অনেক সুন্দর পরিবেশ ১০২ নম্বর রুম ছিলো আমাদের দুজনের জন্য।গিয়ে আমিই শকড কারণ বেডে হৃদয় বসে আছে মানে আমার প্রাক্তন

আরিয়ানঃ স্যার দিয়ে গেলাম আমার দিকটা একটু ভাবেন,,প্রোমশন নিয়ে

আয়শাঃ আপনি কোথায় যাচ্ছে আর একানে উনি কেন

আরিয়ানঃ স্যারের কাছেই জিজ্ঞেস করে নিও(চলে গেলো গেট আটকিয়ে)

আমিও গেট ধাক্কা দিতে থাকলাম,,, আমার এক অজানা ভয়ে কেঁপে উঠলো বুকটা।

হৃদয়ঃ দরজা বারিয়ে লাভ নেই ৩ কোটি টাকার বিনিময়ে তোমাকে আমার কাছে বিক্রি করে গেছে তোমার হাজবেন্ড

কথাটা যেন বুকে এসে লাগলো,,,

আয়শাঃ কি বলছেন আপনি

হৃদয়ঃ ঠিকি বলছি,,,কার সাথে বিয়ে করলে আশু যে তোমাকে শুধু প্রমশন পাওয়ার জন্য তার বসের কাছে বিক্রি করে দিলো ছিঃ ছিঃ(আমার চারিদিকে ঘুরে ঘুরে বলতে লাগলো)

আমার যেন দম বন্ধ হয়ে আসছে,,চোখ দিয়ে টপটপ করে পানি পরছে,,নিজেকে আজ বোকা মনে হচ্ছে ছিঃ,,,কাকে ভালোবাসি আমি,, না প্রথম ভালোবাসা ঠিক ছিলো না প্রথম বিয়ে

হৃদয়ঃ সেদিন যদি আমাদের বন্ধুদের খুশি করতে তাহলে কিছুই হতোনা।আর কি জানো আশু আমি তোমাকে টাস করবো না।কারণ,, আমি জানি আজকের পর তোমাকে আমার কাছেই আসতে হবে তখন ইচ্ছে মতো নাই... হা হা হা( নিক্রিষ্ট হাসি দিয়ে) আজকের পর থেকে এই দরজা পেরলো তুমি হবে বেশ্যা,,শুধু সময়ের অপেক্ষা।।

এই বলে হৃদয় চলে গেলো বাট কাল সকালের আগে আর আমাকে ছাড়বেনা।।।

আসলে সময়টা ছিলো কলেজ লাইফ এ,,,তখন সে ভালো মানুষের অভিনয় করে আমার সাথে রিলেশনে জরায়।এইভাবে কলেজ থেকে ভার্সিটিতে গিয়ে তার আসল রুপ দেখাতে থাকি। একদিন তো মেসেজের মাধ্যেমে তার কুরুচির প্রমাণ দেখান।তিনি তার বন্ধুদের সাথে ফুর্তি করতে বলেন আমি রাজি হয়নি সেই জন্য আমাকে যেখানেই পাবে মেরে দিবে।আমি বাঁচার জন্য বাড়ি থেকে বেড়ানো বন্ধ করে দি।তার মধ্যেই আমার বিয়ে ঠিক হয় আরিয়ানের সাথে হৃদয়ের হাত থেকে বাঁচার জন্য আমি রাজি হতে বাধ্য হয় বাট আজ এই পরিস্হিতির শিকার হলাম আমি। বিয়ের পর জানতে পারি আমার হাজবেন্ডের চরিত্র ভালো নয়,,বিয়ের পরও বেডরুমে অনেক মেয়ে এসেছে আমার চোখের সামনে।কিন্তু আমি স্পিকলেস,, সৎ মা থাকলে তো এরকমই পরিবারে আমাকে বিয়ে দিবেন

আমি আল্লাহ কাছে কান্না করতে থাকি নামাজে। যাতে তিনি ভালো হয়ে যান এবং আমাদের সম্পর্ক যাতে নষ্ট না হয়।কিন্তু আজ তা হিতে বিপরীত হলো। কলঙ্কিত হয়ে গেলাম,,অন্যায় না করেও শাস্তি পাচ্ছি।

সকালে,,,

হৃদয় আমার শশুড় বাড়ির সামনে নামিয়ে দিলো।।শশুড় বাড়িতে পা দিতেই শাশুড়ি বললেন কলঙ্কিনি অন্য জনের সাথে রাতে মুখপুড়িয়ে এ বাড়িতে পা দিবিনা,,বুঝলাম আরিয়ান লোকটা নিজের দোষ ঢাকতে আমার উপর দোষ চাপায়ছে।

আমাকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দিলো বাড়ি থেকে,,ফোন করে বাপের বাড়ি থেকে বলে দিলো বাপের বাড়ি মুখ হলেই আমাকে জবাই করবে।।সবই ছেড়ে দিলাম আল্লাহর উপরে,,আমি পুরো নিঃস্ব

হঠাৎ ফোনে মেসেজ আসলো হৃদয়ের নাম্বার থেকে,,

"" তোমাকে আমার কাছেই পরাধীনতা শিকার করতে হবে আশু""

আমি মনে মনে ওয়াদা করলাম,,মরে যাবো তারপরও নিজেকে কলঙ্কিত করবে না।

হঠাৎ একটা ছেলে এসে বললো গাড়িতে উঠেন,,আমি বেশ অবাক হয়ে গেলাম,,চিনিও না সে কে??

নাহহ,,আর কারোর উপর বিশ্বাস করবো না কিছুতেই না।এই বলে হাটতে লাগলাম।তিনি আবার বললো নাহলে আমার নাকি বিপদ হবে,,,কিসের আর বিপদের ভয় যা বিপদ তা তো হয়েই গেছে।আর পেছনে তাকালাম না তিনি পেছন থেকে এসে ঘাড়ে কি যেন ফুটিয়ে দিলো আমি সাথে সাথে অজ্ঞান হয়ে গেলাম তারপর আর আমার কিছুই মনে নেই।

যখন জ্ঞান ফিরলো তখন নুপুর আন্টিকে দেখলাম।এবং তাকে জড়িয়ে কাঁদতে থাকলাম

চলবে....
কলঙ্কিনি
পর্ব ০১

Next part ☑️

বাড়ি আর জমি কখনো ১০০ বছরের বেশি এক মালিক সহ্য করে না...ওরা নিজেরাই মালিক বদল করে।অথবা বলুন,আপনি বাড়ি বদলান না, বরং বাড়ি ...
19/12/2024

বাড়ি আর জমি কখনো ১০০ বছরের বেশি এক মালিক সহ্য করে না...
ওরা নিজেরাই মালিক বদল করে।
অথবা বলুন,
আপনি বাড়ি বদলান না, বরং বাড়ি নিজেই বদলায় মালিক।

এই বাড়িটা দেখুন...
যখন এটা তৈরি হচ্ছিল, তখন এর মালিক আর তার পরিবার কত পরিকল্পনা করেছিল।
"রান্নাঘর এখানে হবে,"
"বাথরুমের আকার এমন হওয়া উচিত,"
"ড্রয়িং রুমে এই সোফাটা দারুণ মানাবে।"
এমন কত পরামর্শ, কত স্বপ্ন আঁকা হয়েছিল এই বাড়ি ঘিরে।

যখন তারা এই বাড়িতে থাকতে এসেছিল, তাদের মুখে আনন্দের দীপ্তি ছিল।
গর্ব করে অতিথিদের দেখিয়েছিল।
অতিথিরাও প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছিল।
কিন্তু ক’দিন পরেই হয়তো সেই মালিক বদলে গেল।
অন্য কেউ এসে উঠল।
তারপর আবার কেউ নতুন মালিক হয়ে এল।
এখন এই বাড়িটা পরিত্যক্ত, ভগ্নদশায়,
কাউকে নতুন মালিক বানানোর অপেক্ষায়।

শোনা যায়,
কোনো জমি বা বাড়ি ১০০ বছরের বেশি এক মালিকের হাতে থাকে না।
ওরা নিজেরাই বদলায় মালিক।

তাই ভ্রমে থেকো না যে, তুমি জমি-বাড়ির মালিক।
বাস্তবটা হলো,
জমি আর বাড়ি নিজেরাই বদলায় তাদের মালিক।

 #সিনদোয়া_কারাগার:- পৃথিবীর বুকের জাহান্নাম২০১১ সালে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে লাখ লাখ মানুষকে আসাদের নেতৃত্বা...
10/12/2024

#সিনদোয়া_কারাগার:- পৃথিবীর বুকের জাহান্নাম


২০১১ সালে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে লাখ লাখ মানুষকে আসাদের নেতৃত্বাধীন সরকারি বাহিনী বিভিন্ন বন্দি শিবিরে নিয়ে আটকে রাখে।যেটি ছিলো মূলত বাসার আল আসাদের ক্ষমতায় ঠিকে থাকার অন্যতম স্তম্ব। মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, এসব বন্দিশিবিরে নির্যাতন ছিল অত্যন্ত ‘স্বাভাবিক’ ঘটনা।তুরস্কভিত্তিক এডিএমএসপি ২০২২ সালের এক প্রতিবেদনে বলেছে, সাইদনায়া ‘গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর কার্যত একটি মৃত্যুশিবিরে পরিণত হয়েছিল।’ তাদের অনুমান, ২০১১ সাল থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে ৩০ হাজারের বেশি বন্দিকে হয় হত্যা করা হয়েছে, অথবা নির্যাতনের শিকার, চিকিৎসার অভাব বা ক্ষুধার কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছে। সেখান থেকে ছাড়া পাওয়া কিছু বন্দিকে উদ্ধৃত করে প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৮ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে অন্তত ৫০০ বন্দিকে হত্যা করা হয়েছে।সিনদোয়া কারাগারের বন্দিদের প্রতি নির্যাতন এতটাই নির্মম ছিল যে তা ভাষায় বর্ণনা করা কঠিন। কারারক্ষীরা প্রায়ই শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাত। বন্দিদের চরমভাবে মারধর করা হতো, কখনো কখনো তাদের পায়ে, পাঁজরে, এবং মাথায় গুরুতর আঘাত দেওয়া হতো।

একজন বেঁচে ফেরা বন্দি বলেছেন:
“আমরা জানতাম না কবে মৃত্যু আসবে। রক্ষীরা আমাদের জানাত যে যেকোনো সময় আমাদের ফাঁসি দেওয়া হতে পারে। আমরা প্রতিদিন মৃত্যুর অপেক্ষায় থাকতাম। মনে হতো যেন প্রতিটি মুহূর্ত জীবনের শেষ।”

★★কিভাবে নির্যাতন করা হতো?

সিনদোয়া কারাগারের নির্যাতন নারী ও পুরুষদের নিয়মিতভাবে নগ্ন করা হতো চোখ বাঁধা হতো এবং নারীদের নিয়মিত ধর্ষণও করা হতো।

★সিনদোয়া কারাগারের নারীদের নগ্ন করে নিয়মিত ধর্ষন করা হতো।এমন কি তাদের নারী বন্দীদের হাজারের উপর সন্তানও রয়েছে।

এবং এগুলোর পাশাপাশি, তিনটি নির্দিষ্ট নির্যাতনের পদ্ধতি সিরিয়ায় কুখ্যাত হয়ে ওঠে যা বন্দিদের মেরুদণ্ড ভেঙে দেওয়ার জন্য পরিচিত।

★প্রথম পদ্ধতিটি ছিল "জার্মান চেয়ার” নামে পরিচিত। এতে কারারক্ষীরা বন্দিদের একটি চেয়ারে বসিয়ে তাদের পেছনের দিকে এমনভাবে বাঁকিয়ে দিত, যতক্ষণ না তাদের মেরুদণ্ড ভেঙে যেত।

★দ্বিতীয়টি ছিল "উড়ন্ত কার্পেট,” যেখানে ভুক্তভোগীদের একটি ভাঁজযোগ্য কাঠের বোর্ডের উপর রাখা হতো।এরপর রক্ষীরা বোর্ডের দুই পাশ উপরে তুলত, যাতে ভুক্তভোগীর হাঁটু ও বুক একসঙ্গে চলে আসত, যা অসহনীয় পিঠের ব্যথা সৃষ্টি করত।এবং মেরুদণ্ড ভেঙে যেতো।

★ তৃতীয়টি হলো রক্ষীরা বন্দিদের একটি মইয়ে বেঁধে ফেলত এবং মইটিকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিত, যাতে ভুক্তভোগী বারবার তাদের পিঠের উপর পড়ে

যেত।এতে মেরুদণ্ড সহ পাঁজর ভেঙে বন্দী মারা যেতো।

★★★সিনদোয়া কারাগারে ব্রাঞ্চ ২১৫ নামে একটি কুখ্যাত বিল্ডিং ছিলো।যেখানে নির্যাতনের বর্ননা অতীতের সকল ঘটনাকে ছাড়িয়ে যায়। ওমর আল-শোগর নামে এক বন্দীর মুখের বিবরণ নিচে দেওয়া হলো।

★ব্রাঞ্চ ২১৫ কারাগারের বিবরণ

ওই কারাগার, যা [ব্রাঞ্চ] ২১৫ নামে পরিচিত, কল্পনার বাইরের এক দুঃস্বপ্ন। সেখানে পোকামাকড় মানুষের মাংস খেত। বন্দিরা একে অপরকে খেত। রোগব্যাধি অকল্পনীয় ছিল। লোকজন সর্বদা তৃষ্ণার্ত এবং ক্ষুধার্ত থাকত। কিন্তু এখন, পেছন ফিরে তাকালে,মানে অন্য ব্রাঞ্চ গুলো ছিল সাইদনায়ার তুলনায় একপ্রকার স্বর্গ।

প্রথম কারাগার, ব্রাঞ্চ ২১৫-এ, অন্তত আমরা জানতাম কী ঘটছে। আমরা জিনিস শুনতে, দেখতে এবং আমাদের ভাগ্য কী হবে তা অনুমান করতে পারতাম।জেলারের চাপানো মারণাত্মক পছন্দ নিয়ে
কখনো কখনো জেলারেরা ছুরি বা দড়ি নিয়ে আসত এবং বন্দিদের জিজ্ঞেস করত তাদের আত্মীয় বা বন্ধুরা কারাগারে আছে কিনা। একবার তারা আত্মীয় ও বন্ধুদের শনাক্ত করতে পারলে, বন্দিদের সামনে দুটি বিকল্প দিত: হয় তাদের আত্মীয়কে হত্যা করতে হবে, নয়তো নিজেরাই মারা যাবে।

অনেক ক্ষেত্রে, নিজেরা মারা যাওয়ার অর্থও ছিল মৃত্যুর আগে নির্যাতনের শিকার হওয়া।

★★জীবন-মৃত্যুর লড়াই
সিনদোয়া কারাগারে বন্দিদের জন্য খাবার ও পানীয় জল ছিল অপ্রতুল। অনাহার এবং তৃষ্ণায় ভোগা ছিল নিত্যদিনের সঙ্গী। বন্দিদের অনেকে রোগব্যাধি ও সংক্রমণে ভুগে মারা গেছেন। চিকিৎসার কোনো সুযোগ ছিল না, এবং বন্দিদের মৃত্যু যেন একটি নৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছিল।

একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন:
“কারাগারে রোগ এতটাই ভয়ঙ্কর ছিল যে বন্দিরা সংক্রমণ ও ক্ষত থেকে ধীরে ধীরে মারা যেত। পোকামাকড় মানুষের মাংস খেত, এবং এমনকি কেউ কেউ অনাহারে একে অপরকে খেতে বাধ্য হতো।”

★★সিনদোয়া কারাগারের নির্যাতনের পদ্ধতিগুলো ছিল নির্মম এবং পদ্ধতিগত। বন্দিদের উপর শারীরিক নির্যাতন যেমন চাবুক মারা, ইলেকট্রিক শক দেওয়া, এবং অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ভেঙে দেওয়া, তেমনই মানসিক নির্যাতনের জন্য তাদের দিনের পর দিন একা রাখা হতো।

কারারক্ষীরা বন্দিদের একে অপরকে হত্যার জন্যও চাপ দিত।
“জেলারেরা আমাদের বলত, তোমার আত্মীয়কে হত্যা করো, নাহলে তুমি নিজেই মারা যাবে। এভাবে তারা আমাদের মধ্যে ভয় আর সন্দেহের বীজ বপন করত।”


লেখকঃ- আহমেদ ইমতিয়াজ সোহেল
শিক্ষার্থী,এরিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটি
ডিপার্টমেন্ট অব এস্ট্রনমি এবং প্ল্যানাটারি সাইন্স

07/12/2024
আমার বউয়ের নামে প্রতিদিন একটা করে পার্সেল আসে ।  পার্সেলের গায়ে কোনো প্রেরকের ঠিকানা থাকে না । কিন্তু প্রতিটি পার্সেলই ক...
07/12/2024

আমার বউয়ের নামে প্রতিদিন একটা করে পার্সেল আসে । পার্সেলের গায়ে কোনো প্রেরকের ঠিকানা থাকে না । কিন্তু প্রতিটি পার্সেলই কুরিয়ার সার্ভিস থেকে আসে । কোনোদিন বিকেলে আবার কোনোদিন সন্ধ্যায় অথবা রাতে আসে । বেশিরভাগ পার্সেলই রাতে আসে । আমি অফিস থেকে ফেরার পর নিত্য দিন এই ঘটনা ঘটছে । যেদিন রাতে পার্সেল আসে না সেদিন আমি বউকে জিজ্ঞেস করলে বলে
-আজ কোনো পার্সেল আসেনি ।
কিন্তু আমি বুঝতে পারছি , বউ আমার থেকে কিছু লুকাচ্ছে ।
আমার বিশ্বাস বউয়ের কোনো প্রাক্তন এসব পাঠাচ্ছে। এবং বউ সেটা জানে । আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে প্রতিটি পার্সেলের ভেতরেই ফাঁকা ।কোনো কিছু নেই । শুধু শুধু ফাঁকা পার্সেল পাঠানোর ইঙ্গিত আমি এখনও ঠিক বুঝে উঠতে পারছি না । বিষয়টি নিয়ে বউয়ের সাথে ইদানীং ঝগড়া লেগেই আছে । পার্সেলের প্রাপকের জায়গা খুব সুন্দর করে লেখা থাকে ""জান্নাত "" । আর এড্রেসে থাকে , কলেজ রোড , কাটাই খানা মোড়, কুষ্টিয়া । হোল্ডিং নাম্বার ৩৬ । হ‍্যাঁ এই বাড়িতেই আমি থাকি । এর আগে এমন আশ্চর্য জনক ঘটনা আর ঘটেনি । ভাড়া বাসার তিনতলায় আমরা থাকি । দুটো মাঝারি সাইজের রুম । পাশের ফ্ল্যাটে অন্য এক পরিবার থাকে । সেইভাবে কখনও পরিচয় হয়নি । কিন্তু চেনাজানা আছে টুকটাক ।

অফিসে বসে পার্সেলের ব‍্যপারেই ভাবছিলাম । পার্সেলটা কে দেয় এটা জানতেই হবে । কিন্তু কিভাবে যে জানবো বুঝতে পারছি না । কুরিয়ার অফিসে গেলে ওরাও ঠিক কিছু বলতে পারে না । বলে
-এইভাবেই পার্সেল আসছে , আর আমরা তা পৌঁছে দিছি । অনেক সময় কাউকে সারপ্রাইজ দেওয়ার জন্য অনেকেই নাম ঠিকানা গোপন রাখে । এটা কোনো সিরিয়াস ইস‍্যু না । এই ব‍্যপারে আপনাকে কোনো সাহায্য করতে পারবো না ।
এই পর্যন্ত বিশটার বেশি পার্সেল এসেছে ।বিষয়টি নিয়ে এত ভাবতাম না । কিন্তু পার্সেলটা জান্নাতের নামে আসছে , আমাকে ভাবতে বাধ্য হতে হচ্ছে । ভুল করে একটা পার্সেল আসতে পারে ‌ । কিন্তু একাধিক পার্সেল ভুল করে আমার বাসায় আসা সম্ভব না । কেউ হয়তো আমাদের নিয়ে মজা করছে আর নয়তো জান্নাতের কোনো চেনা মানুষ এসব করছে ।
অফিসে কিছুতেই মন টিকছে না । আজকের জন্য ছুটি নিলাম । তবে বাসায় ঢুকবো না । রাত অব্দি বাসার সামনে লুকিয়ে থাকবো । দেখবো পার্সেল আসা দেখে জান্নাত খুশি হয় নাকি বিরক্ত । পার্সেলটা নিয়ে জান্নাত রুমের ভেতর কি করে সেটা দেখা বেশি জরুরি । তাই একটা গোপন সিসি ক‍্যামেরা কিনে রুমের মধ্যে লাগাতে হবে । জান্নাত পার্সেলটা নিয়ে রুমে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেবে । আর নিশ্চিত যে ও বেড রুমেই ঢুকবে । বেড রুমে ঢুকে পার্সেলটা কি করে দেখতেই হবে । একটা গোপন সিসি ক‍্যামেরা কিনলাম । ক‍্যামেরাটা খুবই শূক্ষ । জামার বোতাম থেকে একটু বড় । এর একটা বিশেষ সুবিধা হচ্ছে মোবাইলে কানেক্ট করা যাবে । তার বিহীন বিশ মিটারের মধ্যে লাইভ শো-অন থাকবে । কিন্তু বিশ মিটার দূরে গেলে মোবাইলে আর কিছু দেখা যাবে না । তবে ভিডিওটি রেকর্ড হয়ে থাকবে । চাইলেই পরে আবার দেখার সুযোগ আছে । এই সুবিধা পাওয়ার জন্য মোবাইলে মাইক্রোসফট অফিস সেটআপ করতে হবে । দোকানদার বারবার এই এক কথা মনে করিয়ে দিয়েছে ।

দরজায় কয়েকবার টোকা দিলাম জান্নাতের কোনো সাড়া শব্দ নেই । দুপুরের বয়স কমে আর অল্প আছে।অর্থাৎ বিকেল ছুঁই ছুঁই করছে । আমার কাছে থাকা চাবি দিয়ে দরজা খুললাম । বাথরুম থেকে পানির টুপটাপ আওয়াজ আসছে । তারমানে জান্নাত গোসল করছে । আমি এই ফাকে ক‍্যামেরাটা জায়গা মতো সেট করে দিলাম । জান্নাত বাথরুম থেকে বের হয়ে আমাকে দেখে ভূত দেখার মতো চমকে উঠলো ।কারণ আমি দুপরে বাসায় আসি না । জান্নাত আশা করেনি এই অসময়ে আমাকে দেখবে । জান্নাত তোতলাতে তোতলাতে বলল
-তুমি এখন বাসায় ! কিছু হয়েছে ?
একজন মেয়েকে সব চেয়ে বেশি সুন্দর লাগে কখন জানেন ? সে যখন ঘুমায় । আপনার যদি ভালোবাসা নামক চোখ থাকে , তবে আপনি গভীর রাতে পাশের মানুষের দিকে তাকালেই বুঝতে পারবেন । মেয়েদের দ্বিতীয় সুন্দর লাগে মেয়েরা যখন লজ্জা পায় ।আর তৃতীয় সুন্দর লাগে মাত্র গোসল করে , হালকা ভেজা ভেজা শাড়িতে । চুল দিয়ে টুপটাপ করে পানি পড়বে ।টুপটাপ করে পানি পরার মাঝে থাকবে বিশাল বিরতি । দেখে মনে হবে ঠিক যেন শিঁশির ফোঁটায় ঘাস শুলে চড়িয়েছে ।
আমি সবকিছু ভুলে নরমাল হলাম । আদুরে কণ্ঠে বললাম
-তোমার এই ভেজা ভেজা চুল , কাজল উঠে যাওয়া চোখের মায়ায় আরও একবার হারানোর জন্য আমি উপস্থিত । জান্নাত কিছুই বলল না । ওর কাছে আমার কথা গুলো ঢং মনে হলো । কিন্তু আমি তো ঢং করিনি।তবে !

দুপুরে খাওয়া দাওয়া করে বাসা থেকে বের হলাম । বাসার পাশের এক টং দোকানে বসে চা খেতে লাগলাম । দোকান থেকে আমার ফ্ল্যাটের মেইন দরজা পরিষ্কার দেখা যায় । এই সুবিধার জন‍্যই এখানে বসা । বিকেলের শেষের দিক তবুও কোনো পার্সেল আসার নাম নেই ।তবে কি আজ পার্সেল আসবে না ? সন্ধ্যার খানিকটা আগে একটা লোক ছোট্ট একটা প‍্যাকেট হাতে নিয়ে বাসার সিঁড়ি বেঁয়ে উপরে উঠলো । তিনতলায় উঠে আমার মেইন দরজার সামনে দাঁড়িয়ে বেল বাজালো । খানিকটা পরে জান্নাত হাসিমুখে পার্সেলটা নিয়ে একটা সাইন করে দিল । তারপর দরজা বন্ধ করে দিল । লোকটা স্বাভাবিক ভঙ্গিতে নেমে এলো ।আমি তাড়াহুড়ো করে মোবাইল বের করলাম । মোবাইলে রুমের মধ্যের সব কিছু স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে । জান্নাত পার্সেলটা ধপ করে বিছানার উপর ফেলে দিল।আমি আশা করেছিলাম জান্নাত পার্সেলটা খুলবে আর আমি সেটা লুকিয়ে দেখবো । আসলেই কি পার্সেলে কিছু আছে নাকি নাই । জান্নাত পার্সেলটা না খুলে শাড়ি খুলতে শুরু করলো । শাড়ি খোলার মাঝামাঝি পর্যন্ত আমি চোখ স্কিনে রাখলাম ।তারপর আমার মনে হলো মোবাইলের কানেক্ট এখন বন্ধ করা উচিৎ । কিছুক্ষণ প‍রও পার্সেলটা ঠিক আগের মতোই আছে । পার্সেলের প্রতি জান্নাতের কোনো আগ্ৰহ নেই । সন্ধ্যার একটু পরে বাসায় ঢুকলাম । জান্নাত নতুন একটা শাড়ি পড়েছে ।আমি বললাম
-গোসল করে তো অন‍্য একটা শাড়ি পড়েছিলে । এখন আবার এটা পড়লে কেন ?
-রান্না করতে যেয়ে শাড়িতে ঝোল পড়েছে তাই চেঞ্জ করলাম । কেন ? হঠাৎ এই কথা ?
- না এমনি ।

সেই একই দিনে আরও একটি পার্সেল আসলো । আমি এবার অবাকের শেষ সীমান্তে পৌঁছে গেলাম । জান্নাতের দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে রইলাম । জান্নাত কাচুমাচু করে বসে পড়লো । কিছুই বললো না । পার্সেলটা খুললাম । পার্সেলের মধ্যে সাদা একটা কাগজ । সেখানে কিছুই লেখা নেই । এমন ঘটনাতে আমি সত্যিই খুব চিন্তিত । জান্নাতের দিকে আমার সন্দেহ নেই । প্রচণ্ড মেজাজ খারাপ । কেউ আমাদের সাথে ফাজলামি করছে এটা আমি নিশ্চিত । আমি স্বাভাবিক হতে চেষ্টা করলাম ।
শুধু শুধু সংসারে অশান্তি বাঁধিয়ে কোনো ফলপ্রসূ নেই ‌। জান্নাত আমার দিকে তাকাচ্ছে না । সেইদিন প্রথম পার্সেল আসলে ওকে খুব বাজে কথা বলেছিলাম । নষ্টা মেয়ে বলেছিলাম । আরও অনেক খারাপ কথা । কিন্তু জান্নাত সেইদিন কোনো কথা বলেনি । আমার নিজের কাছেই এখন খুব আফসোস হচ্ছে ।বড় ভুল করে ফেলেছি । জান্নাতের কাছে আমার ক্ষমা চাওয়া উচিৎ। আমি জান্নাতের হাত ধরলাম
-আমাকে ক্ষমা করে দাও প্লিজ । আমি না বুঝে তোমাকে অনেক গালি দিয়েছি । আমি লজ্জিত ।
জান্নাত কিছু বলল না । চুপচাপ বেড রুমে চলে গেল । বুঝলাম এতে হবে না । বড্ড অভিমান অল্পতে ভাঙবে না ।

পরের দিন সকালে অফিসে যাবো ঠিক তার আগেই আর একটা পার্সেল আসলো । প্রেরেরকের জায়গায় একটা ঠিকানা দেওয়া । ঠিকানাটা কুষ্টিয়ার কারো । চৌরহাস মোড়ের ওইদিকে ।
যাইহোক পার্সেলটা খুললাম । পার্সেলের ভেতর একটা পুতুল আর একটা চিঠি । চিঠিতে দুই লাইন লেখা । লেখাটা পড়ে আমি ধপ করে ছোপায় বসে পড়লাম । আমার শরীর প্রচণ্ড রকম ঘামছে । জান্নাত আমার হাত থেকে কাগজটা নিয়ে পড়তে শুরু করলো । তারপর আমার দিকে করুণ চোখে তাকিয়ে , মাথা দুলিয়ে বলল , না না না !
চলবে...
চন্দ্রাঘাত
পর্ব_১

মিনহাজ মাহমুদ

Address

Jhinaidaha

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Bhoot Story - ভুত স্টোরি posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Bhoot Story - ভুত স্টোরি:

Videos

Share