Bhoot Story - ভুত স্টোরি

Bhoot Story - ভুত স্টোরি ভৌতিক স্টোরি পড়তে হলে সাথেই থাকুন
(1)

 #সিনদোয়া_কারাগার:- পৃথিবীর বুকের জাহান্নাম২০১১ সালে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে লাখ লাখ মানুষকে আসাদের নেতৃত্বা...
10/12/2024

#সিনদোয়া_কারাগার:- পৃথিবীর বুকের জাহান্নাম


২০১১ সালে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে লাখ লাখ মানুষকে আসাদের নেতৃত্বাধীন সরকারি বাহিনী বিভিন্ন বন্দি শিবিরে নিয়ে আটকে রাখে।যেটি ছিলো মূলত বাসার আল আসাদের ক্ষমতায় ঠিকে থাকার অন্যতম স্তম্ব। মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, এসব বন্দিশিবিরে নির্যাতন ছিল অত্যন্ত ‘স্বাভাবিক’ ঘটনা।তুরস্কভিত্তিক এডিএমএসপি ২০২২ সালের এক প্রতিবেদনে বলেছে, সাইদনায়া ‘গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর কার্যত একটি মৃত্যুশিবিরে পরিণত হয়েছিল।’ তাদের অনুমান, ২০১১ সাল থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে ৩০ হাজারের বেশি বন্দিকে হয় হত্যা করা হয়েছে, অথবা নির্যাতনের শিকার, চিকিৎসার অভাব বা ক্ষুধার কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছে। সেখান থেকে ছাড়া পাওয়া কিছু বন্দিকে উদ্ধৃত করে প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৮ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে অন্তত ৫০০ বন্দিকে হত্যা করা হয়েছে।সিনদোয়া কারাগারের বন্দিদের প্রতি নির্যাতন এতটাই নির্মম ছিল যে তা ভাষায় বর্ণনা করা কঠিন। কারারক্ষীরা প্রায়ই শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাত। বন্দিদের চরমভাবে মারধর করা হতো, কখনো কখনো তাদের পায়ে, পাঁজরে, এবং মাথায় গুরুতর আঘাত দেওয়া হতো।

একজন বেঁচে ফেরা বন্দি বলেছেন:
“আমরা জানতাম না কবে মৃত্যু আসবে। রক্ষীরা আমাদের জানাত যে যেকোনো সময় আমাদের ফাঁসি দেওয়া হতে পারে। আমরা প্রতিদিন মৃত্যুর অপেক্ষায় থাকতাম। মনে হতো যেন প্রতিটি মুহূর্ত জীবনের শেষ।”

★★কিভাবে নির্যাতন করা হতো?

সিনদোয়া কারাগারের নির্যাতন নারী ও পুরুষদের নিয়মিতভাবে নগ্ন করা হতো চোখ বাঁধা হতো এবং নারীদের নিয়মিত ধর্ষণও করা হতো।

★সিনদোয়া কারাগারের নারীদের নগ্ন করে নিয়মিত ধর্ষন করা হতো।এমন কি তাদের নারী বন্দীদের হাজারের উপর সন্তানও রয়েছে।

এবং এগুলোর পাশাপাশি, তিনটি নির্দিষ্ট নির্যাতনের পদ্ধতি সিরিয়ায় কুখ্যাত হয়ে ওঠে যা বন্দিদের মেরুদণ্ড ভেঙে দেওয়ার জন্য পরিচিত।

★প্রথম পদ্ধতিটি ছিল "জার্মান চেয়ার” নামে পরিচিত। এতে কারারক্ষীরা বন্দিদের একটি চেয়ারে বসিয়ে তাদের পেছনের দিকে এমনভাবে বাঁকিয়ে দিত, যতক্ষণ না তাদের মেরুদণ্ড ভেঙে যেত।

★দ্বিতীয়টি ছিল "উড়ন্ত কার্পেট,” যেখানে ভুক্তভোগীদের একটি ভাঁজযোগ্য কাঠের বোর্ডের উপর রাখা হতো।এরপর রক্ষীরা বোর্ডের দুই পাশ উপরে তুলত, যাতে ভুক্তভোগীর হাঁটু ও বুক একসঙ্গে চলে আসত, যা অসহনীয় পিঠের ব্যথা সৃষ্টি করত।এবং মেরুদণ্ড ভেঙে যেতো।

★ তৃতীয়টি হলো রক্ষীরা বন্দিদের একটি মইয়ে বেঁধে ফেলত এবং মইটিকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিত, যাতে ভুক্তভোগী বারবার তাদের পিঠের উপর পড়ে

যেত।এতে মেরুদণ্ড সহ পাঁজর ভেঙে বন্দী মারা যেতো।

★★★সিনদোয়া কারাগারে ব্রাঞ্চ ২১৫ নামে একটি কুখ্যাত বিল্ডিং ছিলো।যেখানে নির্যাতনের বর্ননা অতীতের সকল ঘটনাকে ছাড়িয়ে যায়। ওমর আল-শোগর নামে এক বন্দীর মুখের বিবরণ নিচে দেওয়া হলো।

★ব্রাঞ্চ ২১৫ কারাগারের বিবরণ

ওই কারাগার, যা [ব্রাঞ্চ] ২১৫ নামে পরিচিত, কল্পনার বাইরের এক দুঃস্বপ্ন। সেখানে পোকামাকড় মানুষের মাংস খেত। বন্দিরা একে অপরকে খেত। রোগব্যাধি অকল্পনীয় ছিল। লোকজন সর্বদা তৃষ্ণার্ত এবং ক্ষুধার্ত থাকত। কিন্তু এখন, পেছন ফিরে তাকালে,মানে অন্য ব্রাঞ্চ গুলো ছিল সাইদনায়ার তুলনায় একপ্রকার স্বর্গ।

প্রথম কারাগার, ব্রাঞ্চ ২১৫-এ, অন্তত আমরা জানতাম কী ঘটছে। আমরা জিনিস শুনতে, দেখতে এবং আমাদের ভাগ্য কী হবে তা অনুমান করতে পারতাম।জেলারের চাপানো মারণাত্মক পছন্দ নিয়ে
কখনো কখনো জেলারেরা ছুরি বা দড়ি নিয়ে আসত এবং বন্দিদের জিজ্ঞেস করত তাদের আত্মীয় বা বন্ধুরা কারাগারে আছে কিনা। একবার তারা আত্মীয় ও বন্ধুদের শনাক্ত করতে পারলে, বন্দিদের সামনে দুটি বিকল্প দিত: হয় তাদের আত্মীয়কে হত্যা করতে হবে, নয়তো নিজেরাই মারা যাবে।

অনেক ক্ষেত্রে, নিজেরা মারা যাওয়ার অর্থও ছিল মৃত্যুর আগে নির্যাতনের শিকার হওয়া।

★★জীবন-মৃত্যুর লড়াই
সিনদোয়া কারাগারে বন্দিদের জন্য খাবার ও পানীয় জল ছিল অপ্রতুল। অনাহার এবং তৃষ্ণায় ভোগা ছিল নিত্যদিনের সঙ্গী। বন্দিদের অনেকে রোগব্যাধি ও সংক্রমণে ভুগে মারা গেছেন। চিকিৎসার কোনো সুযোগ ছিল না, এবং বন্দিদের মৃত্যু যেন একটি নৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছিল।

একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন:
“কারাগারে রোগ এতটাই ভয়ঙ্কর ছিল যে বন্দিরা সংক্রমণ ও ক্ষত থেকে ধীরে ধীরে মারা যেত। পোকামাকড় মানুষের মাংস খেত, এবং এমনকি কেউ কেউ অনাহারে একে অপরকে খেতে বাধ্য হতো।”

★★সিনদোয়া কারাগারের নির্যাতনের পদ্ধতিগুলো ছিল নির্মম এবং পদ্ধতিগত। বন্দিদের উপর শারীরিক নির্যাতন যেমন চাবুক মারা, ইলেকট্রিক শক দেওয়া, এবং অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ভেঙে দেওয়া, তেমনই মানসিক নির্যাতনের জন্য তাদের দিনের পর দিন একা রাখা হতো।

কারারক্ষীরা বন্দিদের একে অপরকে হত্যার জন্যও চাপ দিত।
“জেলারেরা আমাদের বলত, তোমার আত্মীয়কে হত্যা করো, নাহলে তুমি নিজেই মারা যাবে। এভাবে তারা আমাদের মধ্যে ভয় আর সন্দেহের বীজ বপন করত।”


লেখকঃ- আহমেদ ইমতিয়াজ সোহেল
শিক্ষার্থী,এরিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটি
ডিপার্টমেন্ট অব এস্ট্রনমি এবং প্ল্যানাটারি সাইন্স

07/12/2024
আমার বউয়ের নামে প্রতিদিন একটা করে পার্সেল আসে ।  পার্সেলের গায়ে কোনো প্রেরকের ঠিকানা থাকে না । কিন্তু প্রতিটি পার্সেলই ক...
07/12/2024

আমার বউয়ের নামে প্রতিদিন একটা করে পার্সেল আসে । পার্সেলের গায়ে কোনো প্রেরকের ঠিকানা থাকে না । কিন্তু প্রতিটি পার্সেলই কুরিয়ার সার্ভিস থেকে আসে । কোনোদিন বিকেলে আবার কোনোদিন সন্ধ্যায় অথবা রাতে আসে । বেশিরভাগ পার্সেলই রাতে আসে । আমি অফিস থেকে ফেরার পর নিত্য দিন এই ঘটনা ঘটছে । যেদিন রাতে পার্সেল আসে না সেদিন আমি বউকে জিজ্ঞেস করলে বলে
-আজ কোনো পার্সেল আসেনি ।
কিন্তু আমি বুঝতে পারছি , বউ আমার থেকে কিছু লুকাচ্ছে ।
আমার বিশ্বাস বউয়ের কোনো প্রাক্তন এসব পাঠাচ্ছে। এবং বউ সেটা জানে । আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে প্রতিটি পার্সেলের ভেতরেই ফাঁকা ।কোনো কিছু নেই । শুধু শুধু ফাঁকা পার্সেল পাঠানোর ইঙ্গিত আমি এখনও ঠিক বুঝে উঠতে পারছি না । বিষয়টি নিয়ে বউয়ের সাথে ইদানীং ঝগড়া লেগেই আছে । পার্সেলের প্রাপকের জায়গা খুব সুন্দর করে লেখা থাকে ""জান্নাত "" । আর এড্রেসে থাকে , কলেজ রোড , কাটাই খানা মোড়, কুষ্টিয়া । হোল্ডিং নাম্বার ৩৬ । হ‍্যাঁ এই বাড়িতেই আমি থাকি । এর আগে এমন আশ্চর্য জনক ঘটনা আর ঘটেনি । ভাড়া বাসার তিনতলায় আমরা থাকি । দুটো মাঝারি সাইজের রুম । পাশের ফ্ল্যাটে অন্য এক পরিবার থাকে । সেইভাবে কখনও পরিচয় হয়নি । কিন্তু চেনাজানা আছে টুকটাক ।

অফিসে বসে পার্সেলের ব‍্যপারেই ভাবছিলাম । পার্সেলটা কে দেয় এটা জানতেই হবে । কিন্তু কিভাবে যে জানবো বুঝতে পারছি না । কুরিয়ার অফিসে গেলে ওরাও ঠিক কিছু বলতে পারে না । বলে
-এইভাবেই পার্সেল আসছে , আর আমরা তা পৌঁছে দিছি । অনেক সময় কাউকে সারপ্রাইজ দেওয়ার জন্য অনেকেই নাম ঠিকানা গোপন রাখে । এটা কোনো সিরিয়াস ইস‍্যু না । এই ব‍্যপারে আপনাকে কোনো সাহায্য করতে পারবো না ।
এই পর্যন্ত বিশটার বেশি পার্সেল এসেছে ।বিষয়টি নিয়ে এত ভাবতাম না । কিন্তু পার্সেলটা জান্নাতের নামে আসছে , আমাকে ভাবতে বাধ্য হতে হচ্ছে । ভুল করে একটা পার্সেল আসতে পারে ‌ । কিন্তু একাধিক পার্সেল ভুল করে আমার বাসায় আসা সম্ভব না । কেউ হয়তো আমাদের নিয়ে মজা করছে আর নয়তো জান্নাতের কোনো চেনা মানুষ এসব করছে ।
অফিসে কিছুতেই মন টিকছে না । আজকের জন্য ছুটি নিলাম । তবে বাসায় ঢুকবো না । রাত অব্দি বাসার সামনে লুকিয়ে থাকবো । দেখবো পার্সেল আসা দেখে জান্নাত খুশি হয় নাকি বিরক্ত । পার্সেলটা নিয়ে জান্নাত রুমের ভেতর কি করে সেটা দেখা বেশি জরুরি । তাই একটা গোপন সিসি ক‍্যামেরা কিনে রুমের মধ্যে লাগাতে হবে । জান্নাত পার্সেলটা নিয়ে রুমে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেবে । আর নিশ্চিত যে ও বেড রুমেই ঢুকবে । বেড রুমে ঢুকে পার্সেলটা কি করে দেখতেই হবে । একটা গোপন সিসি ক‍্যামেরা কিনলাম । ক‍্যামেরাটা খুবই শূক্ষ । জামার বোতাম থেকে একটু বড় । এর একটা বিশেষ সুবিধা হচ্ছে মোবাইলে কানেক্ট করা যাবে । তার বিহীন বিশ মিটারের মধ্যে লাইভ শো-অন থাকবে । কিন্তু বিশ মিটার দূরে গেলে মোবাইলে আর কিছু দেখা যাবে না । তবে ভিডিওটি রেকর্ড হয়ে থাকবে । চাইলেই পরে আবার দেখার সুযোগ আছে । এই সুবিধা পাওয়ার জন্য মোবাইলে মাইক্রোসফট অফিস সেটআপ করতে হবে । দোকানদার বারবার এই এক কথা মনে করিয়ে দিয়েছে ।

দরজায় কয়েকবার টোকা দিলাম জান্নাতের কোনো সাড়া শব্দ নেই । দুপুরের বয়স কমে আর অল্প আছে।অর্থাৎ বিকেল ছুঁই ছুঁই করছে । আমার কাছে থাকা চাবি দিয়ে দরজা খুললাম । বাথরুম থেকে পানির টুপটাপ আওয়াজ আসছে । তারমানে জান্নাত গোসল করছে । আমি এই ফাকে ক‍্যামেরাটা জায়গা মতো সেট করে দিলাম । জান্নাত বাথরুম থেকে বের হয়ে আমাকে দেখে ভূত দেখার মতো চমকে উঠলো ।কারণ আমি দুপরে বাসায় আসি না । জান্নাত আশা করেনি এই অসময়ে আমাকে দেখবে । জান্নাত তোতলাতে তোতলাতে বলল
-তুমি এখন বাসায় ! কিছু হয়েছে ?
একজন মেয়েকে সব চেয়ে বেশি সুন্দর লাগে কখন জানেন ? সে যখন ঘুমায় । আপনার যদি ভালোবাসা নামক চোখ থাকে , তবে আপনি গভীর রাতে পাশের মানুষের দিকে তাকালেই বুঝতে পারবেন । মেয়েদের দ্বিতীয় সুন্দর লাগে মেয়েরা যখন লজ্জা পায় ।আর তৃতীয় সুন্দর লাগে মাত্র গোসল করে , হালকা ভেজা ভেজা শাড়িতে । চুল দিয়ে টুপটাপ করে পানি পড়বে ।টুপটাপ করে পানি পরার মাঝে থাকবে বিশাল বিরতি । দেখে মনে হবে ঠিক যেন শিঁশির ফোঁটায় ঘাস শুলে চড়িয়েছে ।
আমি সবকিছু ভুলে নরমাল হলাম । আদুরে কণ্ঠে বললাম
-তোমার এই ভেজা ভেজা চুল , কাজল উঠে যাওয়া চোখের মায়ায় আরও একবার হারানোর জন্য আমি উপস্থিত । জান্নাত কিছুই বলল না । ওর কাছে আমার কথা গুলো ঢং মনে হলো । কিন্তু আমি তো ঢং করিনি।তবে !

দুপুরে খাওয়া দাওয়া করে বাসা থেকে বের হলাম । বাসার পাশের এক টং দোকানে বসে চা খেতে লাগলাম । দোকান থেকে আমার ফ্ল্যাটের মেইন দরজা পরিষ্কার দেখা যায় । এই সুবিধার জন‍্যই এখানে বসা । বিকেলের শেষের দিক তবুও কোনো পার্সেল আসার নাম নেই ।তবে কি আজ পার্সেল আসবে না ? সন্ধ্যার খানিকটা আগে একটা লোক ছোট্ট একটা প‍্যাকেট হাতে নিয়ে বাসার সিঁড়ি বেঁয়ে উপরে উঠলো । তিনতলায় উঠে আমার মেইন দরজার সামনে দাঁড়িয়ে বেল বাজালো । খানিকটা পরে জান্নাত হাসিমুখে পার্সেলটা নিয়ে একটা সাইন করে দিল । তারপর দরজা বন্ধ করে দিল । লোকটা স্বাভাবিক ভঙ্গিতে নেমে এলো ।আমি তাড়াহুড়ো করে মোবাইল বের করলাম । মোবাইলে রুমের মধ্যের সব কিছু স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে । জান্নাত পার্সেলটা ধপ করে বিছানার উপর ফেলে দিল।আমি আশা করেছিলাম জান্নাত পার্সেলটা খুলবে আর আমি সেটা লুকিয়ে দেখবো । আসলেই কি পার্সেলে কিছু আছে নাকি নাই । জান্নাত পার্সেলটা না খুলে শাড়ি খুলতে শুরু করলো । শাড়ি খোলার মাঝামাঝি পর্যন্ত আমি চোখ স্কিনে রাখলাম ।তারপর আমার মনে হলো মোবাইলের কানেক্ট এখন বন্ধ করা উচিৎ । কিছুক্ষণ প‍রও পার্সেলটা ঠিক আগের মতোই আছে । পার্সেলের প্রতি জান্নাতের কোনো আগ্ৰহ নেই । সন্ধ্যার একটু পরে বাসায় ঢুকলাম । জান্নাত নতুন একটা শাড়ি পড়েছে ।আমি বললাম
-গোসল করে তো অন‍্য একটা শাড়ি পড়েছিলে । এখন আবার এটা পড়লে কেন ?
-রান্না করতে যেয়ে শাড়িতে ঝোল পড়েছে তাই চেঞ্জ করলাম । কেন ? হঠাৎ এই কথা ?
- না এমনি ।

সেই একই দিনে আরও একটি পার্সেল আসলো । আমি এবার অবাকের শেষ সীমান্তে পৌঁছে গেলাম । জান্নাতের দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে রইলাম । জান্নাত কাচুমাচু করে বসে পড়লো । কিছুই বললো না । পার্সেলটা খুললাম । পার্সেলের মধ্যে সাদা একটা কাগজ । সেখানে কিছুই লেখা নেই । এমন ঘটনাতে আমি সত্যিই খুব চিন্তিত । জান্নাতের দিকে আমার সন্দেহ নেই । প্রচণ্ড মেজাজ খারাপ । কেউ আমাদের সাথে ফাজলামি করছে এটা আমি নিশ্চিত । আমি স্বাভাবিক হতে চেষ্টা করলাম ।
শুধু শুধু সংসারে অশান্তি বাঁধিয়ে কোনো ফলপ্রসূ নেই ‌। জান্নাত আমার দিকে তাকাচ্ছে না । সেইদিন প্রথম পার্সেল আসলে ওকে খুব বাজে কথা বলেছিলাম । নষ্টা মেয়ে বলেছিলাম । আরও অনেক খারাপ কথা । কিন্তু জান্নাত সেইদিন কোনো কথা বলেনি । আমার নিজের কাছেই এখন খুব আফসোস হচ্ছে ।বড় ভুল করে ফেলেছি । জান্নাতের কাছে আমার ক্ষমা চাওয়া উচিৎ। আমি জান্নাতের হাত ধরলাম
-আমাকে ক্ষমা করে দাও প্লিজ । আমি না বুঝে তোমাকে অনেক গালি দিয়েছি । আমি লজ্জিত ।
জান্নাত কিছু বলল না । চুপচাপ বেড রুমে চলে গেল । বুঝলাম এতে হবে না । বড্ড অভিমান অল্পতে ভাঙবে না ।

পরের দিন সকালে অফিসে যাবো ঠিক তার আগেই আর একটা পার্সেল আসলো । প্রেরেরকের জায়গায় একটা ঠিকানা দেওয়া । ঠিকানাটা কুষ্টিয়ার কারো । চৌরহাস মোড়ের ওইদিকে ।
যাইহোক পার্সেলটা খুললাম । পার্সেলের ভেতর একটা পুতুল আর একটা চিঠি । চিঠিতে দুই লাইন লেখা । লেখাটা পড়ে আমি ধপ করে ছোপায় বসে পড়লাম । আমার শরীর প্রচণ্ড রকম ঘামছে । জান্নাত আমার হাত থেকে কাগজটা নিয়ে পড়তে শুরু করলো । তারপর আমার দিকে করুণ চোখে তাকিয়ে , মাথা দুলিয়ে বলল , না না না !
চলবে...
চন্দ্রাঘাত
পর্ব_১

মিনহাজ মাহমুদ

নকল হরিণকে মা মনে করে পাশে জীর্ণশীর্ণ হরিণ ছানা😞যাকে শিকারের লক্ষ অনুশীলনের জন্য ব্যবহার করা হয়! 🙂
07/12/2024

নকল হরিণকে মা মনে করে পাশে জীর্ণশীর্ণ হরিণ ছানা😞
যাকে শিকারের লক্ষ অনুশীলনের জন্য ব্যবহার করা হয়! 🙂

২০২১ সালে আর্জেন্টিনার কৃষক হুয়ান দে দিয়োস সোটা জমি চাষ করার সময় এক চমকপ্রদ আবিষ্কার করেন। তিনি চারটি বিশাল গ্লাইপ্টো...
06/12/2024

২০২১ সালে আর্জেন্টিনার কৃষক হুয়ান দে দিয়োস সোটা জমি চাষ করার সময় এক চমকপ্রদ আবিষ্কার করেন। তিনি চারটি বিশাল গ্লাইপ্টোডন-এর বর্মের খোলস খুঁজে পান, যেগুলো মাটির নিচে ১০,০০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে সংরক্ষিত ছিল।

গ্লাইপ্টোডন হলো বরফযুগের (প্লাইস্টোসিন যুগ) বিশাল আকারের আর্মাডিলোর মতো প্রাণী, যেগুলো একসময় পৃথিবীতে বিচরণ করত। একসঙ্গে একাধিক বর্মের খোলস পাওয়া একটি বিরল ঘটনা, যা ইঙ্গিত দেয় যে এই স্থান সম্ভবত প্রাচীন এই প্রাণীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সমাবেশস্থল ছিল।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই স্থানে সম্ভবত গ্লাইপ্টোডনদের উপর হঠাৎ কোনো দুর্যোগ নেমে এসেছিল। এটি হতে পারে দ্রুত জলবায়ু পরিবর্তন, প্রবল বন্যা, অথবা মাটির নিচে চাপা পড়ে যাওয়া।

মাত্র 17 বছর বয়সে মিশরের রানী হয়েছিলেন ক্লিওপেট্রা।তিনি 9টি ভাষা জানতেন। ইতিহাস ভূগোল শরীরবিদ্যা রাষ্ট্রনীতি অর্থনীতি ...
18/11/2024

মাত্র 17 বছর বয়সে মিশরের রানী হয়েছিলেন ক্লিওপেট্রা।

তিনি 9টি ভাষা জানতেন। ইতিহাস ভূগোল শরীরবিদ্যা রাষ্ট্রনীতি অর্থনীতি প্রাণিবিদ্যা রসায়ন ইত্যাদি সমস্ত কিছুই তিনি জানতেন।

নিঃসন্দেহে তিনি প্রভাবশালী রানী ছিলেন মিশরের। এবং তিনি মিশরের আদিবাসী না হয়েও মিশরের সর্বোচ্চ ক্ষমতাশালী নারী ছিলেন, মাত্র 22 বছর রাজত্ব করার পর সাপের কামড়ে তিনি মারা যান।

তার মৃত্যু আজও রহস্য।

নিজের ভাইকে বিয়ে করেন এই সম্রাজ্ঞী, তাকে নদীর জলে ডুবিয়েও মারেন।

তার বাবা যখন মারা যান তখন তার বয়স ছিল 18 বছর। নিজেও কিশোরী, তার 2 ভাইও তখন কিশোর। সেই সময় বাবার মৃত্যুশোক কাটিয়ে তিনি ১৮ বছর বয়সেই সিদ্ধান্ত নেন যে তিনি তার 2 ভাইকেই বিয়ে করবেন। এবং তাদের বিবাহ করেনও।

তবে এর পিছনে ছিল অন্য কারণ।

তিনি চেয়েছিলেন ভাইদের সঙ্গে তিনিও সিংহাসনের সমান দাবিদার হবেন। তাই সহজ পন্থা হিসেবে তাদের বিবাহ করার পথ বেছে নেন।

তবে এটা খুব অবাক বিষয় ছিল না। কারণ তার পরিবারে তার বাবা মা ছিলেন সম্পর্কে ভাই-বোন । আবার তার অনেক তুতো ভাই-বোন নিজেদের মধ্যে বিবাহ করেন।

সেই সময়ের মিশর রাজ পরিবার বিশ্বাস করত তাদের পরিবার দেবতার আশীর্বাদ ধন্য। মূলত রাজরক্ত যাতে পবিত্র থাকে সেই জন্য রাজ পরিবারে নিজেদের ভাই বোনের মধ্যে বিবাহ চালু ছিল।

যাইহোক তিনি নিজের 2 ভাইকে বিবাহ করে সিংহাসনে নিজের দাবি সুনিশ্চিত করার পর কিন্তু এক ভাই তথা পতি তাকে সিংহাসনের দাবি থেকে সরিয়ে দেন।

এতে সম্রাজ্ঞী কিন্তু দমে যাননি। তিনি ক্ষমতা ছাড়তে রাজি ছিলেননা।

তাই মিশরের এই বিখ্যাত সম্রাজ্ঞী হাত মেলান জুলিয়াস সিজারের সঙ্গে। তারপর ভাই তথা স্বামীর সঙ্গে যুদ্ধে অবতীর্ণ হন। সেই সম্রাজ্ঞী ক্লিওপেট্রার কাছে যুদ্ধে হেরে যান তার ভাই।

ক্লিওপেট্রা আর তাকে বাঁচিয়ে রাখার রাস্তায় হাঁটেননি। নীল নদের জলে ভাই তথা স্বামীকে ডুবিয়ে হত্যা করেন অতি সুন্দরী সম্রাজ্ঞী ক্লিওপেট্রা।

বলা হয় ক্লিওপেট্রা না কি নিজের সৌন্দর্যকে ব্যবহার করে অনেক শক্তিধর রাজাকে সেই সময় এক এক করে বশবর্তী করেছিলেন। তাদের কাছ থেকে রাষ্ট্র সংক্রান্ত অনেক গোপন তথ্যও নিজেকে ব্যবহার করে আদায় করে নিতেন ক্লিওপেট্রা।

ঠিক এভাবেই তিনি এন্টনি নামক সিজারের এক সেনানায়কের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। এবং নিজের সঙ্গে মিশরের স্বার্থ রক্ষা করে চলেছিলেন।

বলা হয় তিনি "Unknown 9" দ্বারা "Chosen 1" হিসেবে বসেছিলেন মিশরে

পুরো একটা জেনারেশনএইই ছেলেকে  ভুল বুঝেছে 🙂💔
17/11/2024

পুরো একটা জেনারেশন
এইই ছেলেকে ভুল বুঝেছে 🙂💔

একটানা কোনো মেয়েলি কন্ঠ ডেকে যাচ্ছে। দরজার ওপাশ থেকে শব্দ আসছে কানে। রোহান তাড়াতাড়ি গিয়ে দরজা খুলে দেয়। হুড়মুড়িয়...
17/11/2024

একটানা কোনো মেয়েলি কন্ঠ ডেকে যাচ্ছে। দরজার ওপাশ থেকে শব্দ আসছে কানে। রোহান তাড়াতাড়ি গিয়ে দরজা খুলে দেয়। হুড়মুড়িয়ে ভেতরে ঢুকে একটি মেয়ে। নাজেহাল অবস্থা তাঁর। কেউ নির্মম অত্যাচার করেছে তার উপর। রোহান এহেন অবস্থায় কোনো গতি পায় না। তাড়াতাড়ি দরজা বন্ধ করে দিয়ে একটা চাদর নেয়। মেয়েটির গায়ে জড়িয়ে দেয় যত্ন করে। পাশের একটি ঘরে মেয়েটিকে রেখে এসে দরজা খুলে আশপাশটা ভালো করে দেখতে থাকে। সাথে সাথেই দু'জন লোক এসে দরজার সামনে দাঁড়ায়। রোহান নিজেকে স্বাভাবিক রেখেই প্রশ্ন ছুঁড়ে,"কি চাই এখানে?"
লোক দুটি বলে,"এই দিকে একটা মেয়ে এসেছিল না? কোথায় সে?"

রোহান ব্যাপার কিছুটা আন্দাজ করে। লোকগুলোকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যায়।
" আচ্ছা, আপনার কি মনে হয়? আমি কি নারী পাচারকারী?"

প্রথম লোকটি বিরক্ত হয়।
" আপনাকে বলেছি, আপনি এখানে কোনো মেয়েকে যেতে দেখেছেন কিনা?"

" মেয়েটা দেখতে কেমন?"

দ্বিতীয় লোকটি বলল," খুব সুন্দর। গায়ে লাল বেনারসী শাড়ি ছিল। বিয়ের আসর থেকে পালিয়েছে।"

" বাহ! এত সুন্দর মেয়ে আমার কাছে আসলে তাকে আমি জীবনেও ছাড়ব না।"

" এই, ফাপর নেওয়া বন্ধ করে মেয়েটার সন্ধান দে।"

রোহান বলল,"আচ্ছা চলুন।"

লোক দুটো কথার মাথা মুন্ডু না বুঝে বলে,"কোথায় যাব?"

"সুন্দরী মেয়েটাকে খুঁজতে।"

লোক দু'টো থ হয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে। তারা রোহানকে পাগল ভেবে ঐ স্থান ত্যাগ করে।
রোহান বুকে হাত দিয়ে দীর্ঘনিশ্বাস নেয়। ভালোভাবে দরজা লাগিয়ে পাশের ঘরে যায়। মেয়েটির নাম জারিন তাসনিম। সংক্ষিপ্ত নাম জারিন। জারিন ঘরের এক কোণে বসে কাঁপছে। গায়ে অসংখ্য ক্ষতের চিহ্ন।

"কে মেরেছে আপনাকে?" বলেই রোহান জারিনের সামনে এসে দাঁড়াল।

জারিন ভয়ে জড়োসড়ো হয়ে কিছুটা দূরে সরে যায়।

"কি! আমাকে ভয় পাচ্ছেন?"

উত্তরের অপেক্ষা না করেই রোহান একটু সরে গিয়ে চেয়ার টেনে বসল। একদৃষ্টিতে তাকিয়ে র‌ইল তার সামনে থাকা রুপবতীর দিকে।

অনেকক্ষণ পিনপতন নিরবতা। রোহান একটা সিগারেট ধরিয়ে নিলো। সিগারেটের ধোঁয়া ছাড়ছে অনবরত। যেন অনেকদিনের অভ্যাস।

"কে মেরেছে আপনাকে?" পুনরায় প্রশ্ন ছুঁড়ে মারল জারিনের দিকে।

জারিন আড়চোখে লোকটাকে পরখ করে নিল। তারপর আবার ফুঁপাতে লাগল। কান্নায় ভেঙে পড়ছে বার বার।

যেন বিভ্রান্তিকর কোনো প্রশ্ন করে ফেলেছে রোহান। খানিকের জন্য এটাই মনে হলো তার।

"এই যে মিস, শান্ত হোন আপনি। আপনাকে এভাবে ভেঙে পরলে হবে না। রুখে দাঁড়াতে হবে পাপের বিরুদ্ধে। সংগ্রাম বাকি আছে আপনার এখনো।"

"এখনো?..... এখনো বাকি সংগ্রাম? কখনো কি শেষ হবে না? তবে তাই হোক," বলেই দুই হাতের পিঠ দিয়ে চোখ মুছল জারিন।

রোহান স্বস্তির নিঃশ্বাস নিল। মুখে হালকা মৃদু হাসি নিয়ে ওঠে দাঁড়াল। এক গ্লাস পানি জারিনের সামনে এগিয়ে দিল।

গ্লাসটা হাতে নিয়ে ঢক ঢক করে পানি পান করে জারিন।
রোহান কে একনজর দেখে আবার চোখ সরিয়ে নেয়।
কি অসাধারণ তার চাহনি, মুহূর্তেই পাগল করে দেওয়ার মতো। চোখগুলো স্থির হয়ে আছে। এই চোখের দিকে তাঁকিয়ে প্রাণটাও দিয়ে দেওয়া যায়। কিন্তু কেউ এই চোখের মালিককে কলঙ্কিত করেছে। ভাবতেই গা শিঁউরে ওঠে রোহানের।

রোহান এবার নির্ভয় দিয়ে বলল, " আমি আপনার থেকে কিছু জানতে চাইব না। আপনার ইচ্ছে হলে বলবেন না হলে বলবেন না, এটা একান্তই আপনার ব্যাক্তিগত ব্যাপার। আমি যাই এখন । কিছু দরকার হলে ডাকবেন, একদম ভয় পাবেন না।"

"দাঁড়ান!"

জারিন এবার পুরোপুরি রোহান এর দিকে তাঁকায়।

বিশালদেহী সুপুরুষ। মুখশ্রী জলন্ত। লম্বা, চ‌ওড়া দেহ। চুলগুলো খাড়া। হালকা চাপ দাঁড়ি। বড় বড় চোখের পাপড়ির কারনে চোখগুলো আরো বেশি আকর্ষণ করছে। যেন কেউ নিপুণ হাতে সাজিয়ে দিয়েছে। ঠোঁট দুটো গোলাপী হয়ে আছে। কি আশ্চর্য!
সিগারেট খেলে তো ঠোঁট বিচ্ছিরি রকমের কালো দেখা যায়। কিন্তু তার ঠোঁট এমন রঙিন কেন?

"কি কিছু বলবেন?" পিছু ফিরে রোহান বলল।

"হ্যাঁ বলব।"

রোহান এবার স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে শুধোয়, "নাম কি?"

"জা....জারিন....জারিন তাসনিম।"

" আমি রোহান চৌধুরী। স্ট্যাডিয়াম ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান।"

" কিইই!"

' যা শুনেছেন তাই!"

"আমাকে সাহায্য করার জন্য ধন্যবাদ।"

" প্রতিদান দিতে হবে।"

জারিন আঁতকে ওঠে। কি এমন প্রতিদান চাইবে তা নিয়ে ভাবতে শুরু করে। এমন সময় রোহান বলল,' আমাকে বিয়ে করতে হবে। তাহলেই ঋণ শোধ হবে। আপনি কি রাজি?"

জারিন অবাক হয়ে যায়। লোকটা এসব কি বলছে? জারিন তৎক্ষণাৎ ভাবল তার পরপরই বলল,' কেন আপনি আমাকে বিয়ে করতে চান?'

' প্রথম দেখাতেই আপনাকে আমার ভালো লেগে গেছে। আর একটা কারণ আছে, যেটা এখন বলতে পারব না। আজ রাতের মধ্যেই আমাকে বিয়ে করতে হবে।'

জারিন কিছুক্ষণ ভেবেই সাথে সাথে বলল,' আমি রাজি। করব বিয়ে আপনাকে। কিন্তু বিয়ে করার মূল কারণটা বলুন।'

' সম্ভব হলে পরে বলল। এখন কাজী অফিস চলুন। আপনারতো বিয়ের বেনারসী পড়া আছেই, সো দেরী করা চলবে না।'

' ঠিক আছে।'

' আর হ্যাঁ!‌ বিয়ের পর আমি আপনার কাছে কোনো অধিকার ফলাবো না। আপনার ইচ্ছে হবে যেদিন সেদিন আমাকে মেনে নেবেন। না নিলেও সমস্যা নেই। কালকের পর আপনি চলে যেতেও পারেন।'

জারিন অবাক হয়ে যায়। কিন্তু এই মুহূর্তে সে বিয়ে করবে বলেই ঠিক করে। যাওয়ার কোনো জায়গা নেই।

রোহান জারিনকে নিয়ে কাজী অফিস যেতে নিয়ে আবার থেমে যায়। বাইরের কেউ জারিনকে দেখে আক্রমণ করতে পারে। তাই কল করে কাজীকেই বাড়ি নিয়ে আসে।

সুন্দরভাবে বিয়েটা শেষ হয়ে যায়। রোহানের এসিস্ট্যান্ট নাফিস তাকে বার বার না করেছিল বিয়েটা করতে কিন্তু সে শুনেনি। লোক দেখানোর জন্য বাসর সাজাতেও বলল। সে বাধ্যের মত কাজ করতে লাগল।

রোহান ঘরে গিয়ে একখানা ব্যাগ এগিয়ে দিল জারিনের দিকে। সেটাতে গাঢ় গোলাপী শাড়ি ছিল। কিন্তু জারিনতো শাড়ি পরতে পারেনা। তাই ফিরিয়ে দেয়। সাথে সাথেই রোহান কাউকে কল করে। দশ মিনিটের মাথায় বিভিন্ন পোশাক ভর্তি করে একজন লোক আসে। রোহান জারিনকে বলল,' এখান থেকে যা ইচ্ছা নিয়ে নিন।'

জারিন অবাক হয়ে যায়,' এত লাগবে না। তিনটা হলেই হবে রাফ ইউজের জন্য।'

রোহান লোকটাকে আদেশ দিয়ে বলল সব পোশাক রেগে চলে যেতে। এমন এলাহি কান্ডে জারিন ভয় পেয়ে যায় অনেকটা। কিন্তু প্রকাশ করেনা।

খুব রাত হতেই জারিনকে বাসর ঘরে নিয়ে রেখে আসে। কিছুক্ষণ পর প্রবেশ করে রোহান। সে সোজা গিয়েই সোফায় শুয়ে পড়ে। জারিনকে উদ্দেশ্য করে বলল,' এই পোশাকটায় আপনাকে অনেক সুন্দর লাগছে। গুড নাইট!'

বলেই রোহান ঘুমিয়ে গেল। জারিন কিছুই না বুঝে শুয়ে পড়ে। ভাবতে ভাবতে এক পর্যায়ে নিজেও ঘুমিয়ে যায়।

সকাল হতেই জারিন দেখতে পায় রোহান ঘরে নেই। জারিন বাইরে বেরিয়ে আসে। কিন্তু রোহানকে দেখতে পেল না। দেখল রান্নাঘরে একজন মহিলা। জারিন গিয়ে তাকে রোহানের কথা জিজ্ঞেস করল। মহিলাটি বলল রোহান অফিসে চলে গেছে। মহিলাটি আরো বলল সেই রোহানের খেয়াল রাখে, কিছুদিন আগেই তার বাবা মা'রা গেছে।
জারিন সব শুনে নিজের ঘরে আসে। খেয়াল করে বালিশের পাশে একটা চিরকুট রাখা। রোহান লিখে রেখে গেছে এটা। তাই আগ্রহ বশত চিরকুটটা হাতে নেয় জারিন।

চলবে....

Unexpected_Husband
পর্ব_১

পাশের ফ্লাট থেকে এই জন্যই আর কেচ কেচ আওয়াজ শুনা যাই না
17/11/2024

পাশের ফ্লাট থেকে এই জন্যই আর কেচ কেচ আওয়াজ শুনা যাই না

16/11/2024

পরালেকা করলে জদি মুখ উজ্জ্বল হতো তাহলে ফেচওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়া লাকতো নাহ।

16/11/2024

☠️💀 জ্বীন জাতির ইতিহাস ☠️💀

🟥 জ্বীন শব্দের অর্থ: গোপন, আড়াল, অদৃশ্য, লুকায়িত।

إنما سمي الجن جنا لاجتنانهم واستتارهم عن العيون
জ্বীনকে জ্বীন নামে নামকরণ করা হয়েছে। কেননা তারা মানুষের দৃষ্টির আড়ালে থাকে। যেমন আল্লাহ তায়ালা তাদের সম্পর্কে বলেছেন
اِنَّہٗ یَرٰىکُمۡ ہُوَ وَ قَبِیۡلُہٗ مِنۡ حَیۡثُ لَا تَرَوۡنَہُمۡ ؕ
নিশ্চয় সে ও তার দলবল তোমাদেরকে দেখে যেখানে তোমরা তাদেরকে দেখ না। [ সুরা: আরাফ ২৭]

পবিত্র কুরআনে ৫০বার জীনের কথা উল্লেখ করা আছে এবং সুরা জীন নামে একটা সুরা ২৯তম পারায় রয়েছে। জীনকে অসিকার করা মানে হচ্ছে কুরআনের সুরা ও আয়াতকে অসিকার করা।

🟥 মানুষ সৃষ্টির পূর্বে দুনিয়ায় জীন জাতিরা বসবাস করত।

জিন জাতিকে সৃষ্টি করা হয়েছে হজরত আদম আ. এর ২০০০ বছর পূর্বে। হাদিসের ভাষ্যমতে জিন জাতির আদি পিতা (আবুল জিন্নাত) সামুমকে আল্লাহ তায়ালা আগুনের শিখা দ্বারা তৈরি করার পর আল্লাহ সামুমকে বলেন তুমি কিছু কামনা কর। তখন সে বলে, আমার কামনা হল আমরা মানুষকে দেখব কিন্তু মানুষরা আমাদের দেখতে পারবে না। আর আমাদের বৃদ্ধরাও যেন যুবক হয় মৃত্যুর পূর্বে। আল্লাহ সামুমের দুটি ইচ্ছাই পূরণ করেন। জিনরা বৃদ্ধ বয়সে মৃত্যুর পূর্বে আবার যুবক হয়। জিনেরা আগুণের তৈরি হলেও এরা মূলত আগুন নয়। যেমন মানব সৃষ্টির মূল উপাদান কাদামাটি হলেও মানুষ কিন্তু প্রকৃত পক্ষে কাদামাটি নয়। ঠিক তেমনি জিনের পূর্ব পুরুষ আগুণের তৈরি হলেও জিন মানেই আগুন নয়। এর প্রমাণ মুসনাদ আহমদে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ সা. একটি হাদিস। তিনি বলেছেন, শয়তান নামাজের মধ্যে আমার সাথে মুকাবেলা করতে আসে তখন আমি তার গলা টিপে দেই।

عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ إِنَّ عِفْرِيتًا مِنَ الْجِنِّ تَفَلَّتَ الْبَارِحَةَ لِيَقْطَعَ عَلَىَّ صَلاَتِي، فَأَمْكَنَنِي اللَّهُ مِنْهُ، فَأَخَذْتُهُ، فَأَرَدْتُ أَنْ أَرْبُطَهُ عَلَى سَارِيَةٍ مِنْ سَوَارِي الْمَسْجِدِ حَتَّى تَنْظُرُوا إِلَيْهِ كُلُّكُمْ فَذَكَرْتُ دَعْوَةَ أَخِي سُلَيْمَانَ رَبِّ هَبْ لِي مُلْكًا لاَ يَنْبَغِي لأَحَدٍ مِنْ بَعْدِي‏.‏ فَرَدَدْتُهُ خَاسِئًا ‏"‏‏.‏ عِفْرِيتٌ مُتَمَرِّدٌ مِنْ إِنْسٍ أَوْ جَانٍّ، مِثْلُ زِبْنِيَةٍ جَمَاعَتُهَا الزَّبَانِيَةُ‏.‏
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
নবী‎ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, একটি অবাধ্য জ্বিন এক রাতে আমার সালাতে বাধা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে আমার নিকট আসল। আল্লাহ্‌ আমাকে তার উপর ক্ষমতা প্রদান করলেন। আমি তাকে ধরলাম এবং মসজিদের একটি খুঁটির সাথে বেঁধে রাখার ইচ্ছে করলাম, যাতে তোমরা সবাই স্বচক্ষে তাকে দেখতে পাও। তখনই আমার ভাই সুলাইমান (‘আঃ)-এর এ দু’আটি আমার মনে পড়লো। হে আমার রব! আমাকে ক্ষমা করুন এবং আমাকে এমন রাজ্য দান করুন, যা আমি ছাড়া আর কারও ভাগ্যে না জোটে- (সোয়াদ ৩৫)। অতঃপর আমি জ্বিনটিকে ব্যর্থ এবং লাঞ্ছিত করে ছেড়ে দিলাম। জ্বিন কিংবা মানুষের অত্যন্ত পিশাচ ব্যক্তিকে ইফ্‌রীত বলা হয়। ইফ্‌রীত ও ইফ্‌রীয়াতুন যিব্‌নিয়াতুন-এর মত এক বচন, যার বহুবচন যাবানিয়াতুন।
[সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৩৪২৩]

জীনেরা দুনিয়ায় ফিতনা ফাসাদ এবং হত্যাকাণ্ড রক্তপাত ঝরাতে লাগলো। আল্লাহ তায়ালা রাগান্বিত হয়ে ফিরিশতাদের পাঠালেন জীনদের হত্যা করতে। অত:পর কিছু জীনেরা সমুদ্র, পাহাড় ও মরুভূমি পলায়ন করল। আর ফিরিশতারা ছোট একটা জিনকে নিজের সাথে করে নিয়ে যায়। আর শয়তান এই জীনেরই প্রকার।

★ আদম সৃষ্টির সৃষ্টির ইচ্ছা পোষণ

وَ اِذۡ قَالَ رَبُّکَ لِلۡمَلٰٓئِکَۃِ اِنِّیۡ جَاعِلٌ فِی الۡاَرۡضِ خَلِیۡفَۃً ؕ قَالُوۡۤا اَتَجۡعَلُ فِیۡہَا مَنۡ یُّفۡسِدُ فِیۡہَا وَ یَسۡفِکُ الدِّمَآءَ ۚ وَ نَحۡنُ نُسَبِّحُ بِحَمۡدِکَ وَ نُقَدِّسُ لَکَ ؕ قَالَ اِنِّیۡۤ اَعۡلَمُ مَا لَا تَعۡلَمُوۡنَ ﴿۳۰﴾
আর স্মরণ কর, যখন তোমার রব ফেরেশতাদেরকে বললেন, ‘নিশ্চয় আমি যমীনে একজন খলীফা সৃষ্টি করছি’, তারা বলল, ‘আপনি কি সেখানে এমন কাউকে সৃষ্টি করবেন, যে তাতে ফাসাদ করবে এবং রক্ত প্রবাহিত করবে? আর আমরা তো আপনার প্রশংসায় তাসবীহ পাঠ করছি এবং আপনার পবিত্রতা ঘোষণা করছি। তিনি বললেন, নিশ্চয় আমি জানি যা তোমরা জান না। [বাকারা ৩০]

★ আদম সৃষ্টির পর জ্বীনকে সিজদার হুকুম

وَ اِذۡ قُلۡنَا لِلۡمَلٰٓئِکَۃِ اسۡجُدُوۡا لِاٰدَمَ فَسَجَدُوۡۤا اِلَّاۤ اِبۡلِیۡسَ ؕ اَبٰی وَ اسۡتَکۡبَرَ ٭۫ وَ کَانَ مِنَ الۡکٰفِرِیۡنَ ﴿۳۴﴾
আর যখন আমি ফেরেশতাদেরকে বললাম, ‘তোমরা আদমকে সিজদা কর’। তখন তারা সিজদা করল, ইবলীস ছাড়া। সে অস্বীকার করল এবং অহঙ্কার করল। আর সে হল কাফিরদের অন্তর্ভুক্ত। [বাকারা ৩৪]

قَالَ مَا مَنَعَکَ اَلَّا تَسۡجُدَ اِذۡ اَمَرۡتُکَ ؕ قَالَ اَنَا خَیۡرٌ مِّنۡہُ ۚ خَلَقۡتَنِیۡ مِنۡ نَّارٍ وَّ خَلَقۡتَہٗ مِنۡ طِیۡنٍ ﴿۱۲﴾
তিনি বললেন, ‘কিসে তোমাকে বাধা দিয়েছে যে, সিজদা করছ না, যখন আমি তোমাকে নির্দেশ দিয়েছি’? সে বলল, ‘আমি তার চেয়ে উত্তম। আপনি আমাকে আগুন থেকে সৃষ্টি করেছেন, আর তাকে সৃষ্টি করেছেন কাদামাটি থেকে’।
[আরাফ ১২]
قَالَ فَاخۡرُجۡ مِنۡہَا فَاِنَّکَ رَجِیۡمٌ ﴿ۚۖ۷۷﴾
তিনি বললেন, ‘তুমি এখান থেকে বের হয়ে যাও। কেননা নিশ্চয় তুমি বিতাড়িত।
وَّ اِنَّ عَلَیۡکَ لَعۡنَتِیۡۤ اِلٰی یَوۡمِ الدِّیۡنِ ﴿۷۸﴾
আর নিশ্চয় বিচার দিবস পর্যন্ত তোমার প্রতি আমার লা‘নত বলবৎ থাকবে।
قَالَ رَبِّ فَاَنۡظِرۡنِیۡۤ اِلٰی یَوۡمِ یُبۡعَثُوۡنَ ﴿۷۹﴾
সে বলল, ‘হে আমার রব, আমাকে সে দিন পর্যন্ত অবকাশ দিন যেদিন তারা পুনরুত্থিত হবে।’
قَالَ فَاِنَّکَ مِنَ الۡمُنۡظَرِیۡنَ ﴿ۙ۸۰﴾
তিনি বললেন, আচ্ছা তুমি অবকাশপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত হলে-

اِلٰی یَوۡمِ الۡوَقۡتِ الۡمَعۡلُوۡمِ ﴿۸۱﴾
‘নির্ধারিত সময় উপস্থিত হওয়ার দিন পর্যন্ত।’

قَالَ فَبِعِزَّتِکَ لَاُغۡوِیَنَّہُمۡ اَجۡمَعِیۡنَ ﴿ۙ۸۲﴾
সে বলল, ‘আপনার ইজ্জতের কসম! আমি তাদের সকলকেই বিপথগামী করে ছাড়ব।’

اِلَّا عِبَادَکَ مِنۡہُمُ الۡمُخۡلَصِیۡنَ ﴿۸۳﴾
তাদের মধ্য থেকে আপনার একনিষ্ঠ বান্দারা ছাড়া।
[সোয়াদ ৭৭-৮৩]

🟥 জ্বীনের প্রকার

🎙️১। ইবলিস: এই জ্বীন আদম (আঃ) কে সিজদা করতে অস্বীকার করেছিল বলে কুরআনে বর্ণিত হয়েছে। মুসলিমরা বিশ্বাস করে, এই জ্বীন জান্নাতে থাকাকালে আদম (আঃ) কে আল্লাহর আদেশ অমান্য করতে প্ররোচিত করেছিল এবং পৃথিবীতেও সে মানুষদেরকে পথভ্রষ্ট করে।

🎙️২। ওয়ালাহান:এরা হচ্ছে একপ্রকার শয়তান জ্বীন যারা মানুষকে ওযুর সময় ওয়াসওয়াসা দেয়।

ويقول الحسن البصري -رحمه الله-: "إنَّ شيطانًا يضحك بالنَّاس في الوضوء يقال له: الولهان".
عَنْ أُبَيِّ بْنِ كَعْبٍ ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ : " إِنَّ لِلْوُضُوءِ شَيْطَانًا يُقَالُ لَهُ : الْوَلَهَانُ، فَاتَّقُوا وَسْوَاسَ الْمَاءِ ".
رواه الترمذي بسند ضعيف ورقم الحديث ٥٧
উবাই ইবনু কাব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ ওযূর সময় (সন্দেহপ্রবণতা সৃষ্টি করার জন্যই) একটি শয়তান রয়েছে। তার নাম ‘ওয়ালাহান’ বলে কথিত। অতএব ওযূর সময় পানি ব্যবহারে ওয়াসওয়াসা হতে সতর্ক থাক।
[সনদ দুর্বল, ইবনু মাজাহ (৪২১)
জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ৫৭]

🎙️৩। খিনযিব: এই জ্বীন সালাতরত মানুষের মনে নানারকম চিন্তা ঢুকিয়ে সালাত থেকে অমনোযোগী ও উদাসীন করে তুলে।

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ خَلَفٍ الْبَاهِلِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى، عَنْ سَعِيدٍ الْجُرَيْرِيِّ، عَنْ أَبِي، الْعَلاَءِ أَنَّ عُثْمَانَ بْنَ أَبِي الْعَاصِ، أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ الشَّيْطَانَ قَدْ حَالَ بَيْنِي وَبَيْنَ صَلاَتِي وَقِرَاءَتِي يَلْبِسُهَا عَلَىَّ ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ ذَاكَ شَيْطَانٌ يُقَالُ لَهُ خِنْزِبٌ فَإِذَا أَحْسَسْتَهُ فَتَعَوَّذْ بِاللَّهِ مِنْهُ وَاتْفِلْ عَلَى يَسَارِكَ ثَلاَثًا ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَفَعَلْتُ ذَلِكَ فَأَذْهَبَهُ اللَّهُ عَنِّي ‏.‏

ইবনু আবুল আস (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট এসে বললেন-হে আল্লাহর রসূল! শাইতান আমার, আমার সালাত ও কিরাআতের মধ্যে বাধা হয়ে দাঁড়ায় এবং সব কিছুতে গোলমাল বাধিয়ে দেয়। তখন রসুলূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন: এটা এক (প্রকারের) শাইতান-যার নাম ‘খিনযিব’। যে সময় তুমি তার উপস্থিতি বুঝতে পারবে তখন (আঊযুবিল্লাহ পড়ে) তার অনিষ্ট হতে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চেয়ে তিনবার তোমার বাম পাশে থু থু ফেলবে। তিনি বলেন, তারপরে আমি তা করলাম আর আল্লাহ আমার হতে তা দূর করে দিলেন।
সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৫৬৩১

🎙️৪। ক্বারীন: ক্বারিন অর্থ হচ্ছে সংগী, প্রত্যেক মানুষের সাথেই শয়তান জ্বীন লেগে থাকে, সংগী হিসেবে। এরা সবসময় বান্দার অন্তরে খারাপ চিন্তা ঢুকিয়ে দিয়ে পাপ কাজ করতে উৎসাহিত করে।

وَعَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ : «مَا مِنْكُمْ مِنْ أَحَدٍ اِلَّا وَقَدْ وُكِّلَ بِه قَرِينُه مِنْ الْجِنِّ وَقَرِينُه مِنَ الْمَلَائِكَةِ» قَالُوا : وَإِيَّاكَ يَا رَسُولَ اللهِ؟ قَالَ : «وَإِيَّايَ، وَلَكِنَّ اللهَ أَعَانَنِيْ عَلَيْهِ فَأَسْلَمَ فَلَا يَأْمُرُنِي اِلَّا بِخَيْرٍ». رَوَاهُ مُسْلِمٌ
ইবনু মাস্‘ঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন : তোমাদের মধ্যে এমন কেউ নেই যার সাথে তার একটি জিন্‌ (শায়ত্বন) ও একজন মালাক (ফেরেশতা) সঙ্গী হিসেবে নিযুক্ত করে দেয়া হয়নি। সহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রসূল! আপনার সাথেও কি? তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, আমার সাথেও, তবে আল্লাহ তা’আলা আমাকে জিন্‌ শাইত্বনের ব্যাপারে সাহায্য করেছেন। ফলে সে আমার অনুগত হয়েছে। ফলে সে কক্ষনও আমাকে কল্যাণকর কাজ ব্যতীত কোন পরামর্শ দেয় না।

সহীহ মুসলিম ২৮১৪, আহমাদ ৩৮০২, সহীহ ইবনু হিব্বান ৬৪১৭, সহীহ ইবনু খুযায়মাহ্ ৬৫৮।

🎙️৫। নবী সা. বলেছেন,

الحِنُّ ثَلاثَةُ أَصْنافِ فَصِنف لَهُمْ أَجْنِحَةٌ يَطِيرُونَ بِها في الهَوَاءِ وَصِنْفٌ حَيَّاتٌ وَكِلابٌ وَصِنْفٌ يَحِلُّونَ وَيَظْعَنُونَ​
জ্বীন তিন প্রকার-
১। যারা শূন্যে উড়ে বেড়ায়।
২। কিছু সাপ ও কুকুর ইত্যাদি রুপ পরিবর্তন করে।
৩। মানুষের কাছে আসে ও চলে যায়।
জ্ঞাতব্য যে, দৈত্য, দানব, অসুর, রাক্ষস, দেও-পরী, ভুত-প্রেত- প্রেতিনী, প্রেতাত্মা, পিশাচ---এসব কিছু জ্বিনেরই বিভিন্ন ভাষায় অথবা বিভিন্ন গুণের উপর এক একটা নাম ।

[ত্বাবারানীর কাবীর, হা/৫৭৩, হাকেম, হা/৩৭০২, সহীহুল জামে', হা/৩১১৪]

সাপ হচ্ছে জীনের বিকৃত রূপ

الحيَّاتُ مَسْخُ الجِنِّ صورَةً ، كَما مُسِخَتْ القِردَةُ و الخنازِيرُ من بَنِي إسرائِيلَ
صحيح الجامع 3203 ابن أبي شيبة (19908 )، وابن حبان (5640 )، والطبراني في ((المعجم الأوسط)) (4269 )، وأخرجه أحمد (3255 )
কালো কুকুর হচ্ছে শয়তানের অন্তর্ভুক্ত

قُلتُ: يا أبا ذَرٍّ، ما بالُ الكَلْبِ الأسْوَدِ مِنَ الكَلْبِ الأحْمَرِ مِنَ الكَلْبِ الأصْفَرِ؟ قالَ: يا ابْنَ أخِي، سَأَلْتُ رَسولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عليه وسلَّمَ كما سَأَلْتَنِي فقالَ: الكَلْبُ الأسْوَدُ شيطانٌ. (مسلم 510)

🟥 আরবদের ভাষায় জ্বিনদের নাম ও প্রকারভেদ​

ইবনে আব্দিল বার্র বলেছেন, আহলে কালাম ও ভাষাবিদদের নিকট জ্বিন জাতির বিভিন্ন প্রকারভেদ আছে। যেমন -

أسماء الجن في لغة العرب وأصنافهم
قال ابن عبد البر : " الجن عند أهل الكلام والعلم باللسان على مراتب :
1- فإذا ذكروا الجن خالصاً قالوا : جنّي .
2- فإذا أرادوا أنه مما يسكن مع الناس ، قالوا : عامر ، والجمع : عمّار .
3- فإن كان مما يعرض للصبيان قالوا : أرواح .
4- فإن خبث وتعرض ، قالوا : شيطان .
5- فإن زاد على ذلك ، فهو مارد .
6- فإن زاد على ذلك وقوي أمره ، قالوا : عفريت ، والجمع : عفاريت
[ آكام المرجان في أحكام الجان : ص7 ]

১। কেবল জ্বিনকে উল্লেখ করলে বলে, জিন্নী।
২। যে জ্বিন মাষদের সাথে বসবাস করে, তার কথা বললে বলে, আমের, বহুবচনে উম্মার।
৩। যে শিশুকে উত্যক্ত করে তার কথা বললে বলে আরওয়াহ।
৪ । খবীস আকারে উত্যক্ত করলে তাকে বলে, শয়তান।
৫। এর চাইতে বেশি ক্ষতি করলে বলে, মারেদ।
৬। এর চাইতেও বেশি দুর্ধর্ষ হলে বলে, ইফরীত; বহুবচনে আফারীত।
[ آكام المرجان في أحكام الجان : ص7 ]

🟥 জীনের আকৃতি কেমন

পবিত্র কোরআন ও হাদিসে জিনের আকৃতিবিষয়ক যেসব বর্ণনা এসেছে, তা মৌলিকভাবে তিন প্রকার।

1. দৃশ্যমান : অর্থাৎ জিনের প্রকৃত আকৃতি মানব চোখে অবলোকনযোগ্য। (তাবরানি : ৫৭৩)
2. অদৃশ্যমান : অর্থাৎ জিনের আকৃতিবিহীন শুধু শারীরিক উপস্থিতি অনুভূত হওয়া। (সুরা : আরাফ, আয়াত : ২৩)
3. বিকৃত আকৃতি : মানুষ, পশু-পাখি কিংবা বৃক্ষলতার আকৃতি ধারণ করা। (তাবরানি : ৪০১২)

🟥 জীনরা কী খায়

মানুষসহ অন্য প্রাণীরা যেমন খাওয়াদাওয়া করে, তদ্রূপ জিনরাও খাওয়াদাওয়াসহ অন্য প্রাকৃতিক প্রয়োজন পূরণ করে থাকে। আল্লাহর নামে জবাইকৃত পশুর হাড়-হাড্ডিই হলো জিনের খাবার।

عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ قَدِمَ وَفْدُ الْجِنِّ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالُوا يَا مُحَمَّدُ انْهَ أُمَّتَكَ أَنْ يَسْتَنْجُوا بِعَظْمٍ أَوْ رَوْثَةٍ أَوْ حُمَمَةٍ فَإِنَّ اللَّهَ تَعَالَى جَعَلَ لَنَا فِيهَا رِزْقًا ‏.‏ قَالَ فَنَهَى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَنْ ذَلِكَ ‏.
‘আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
তিনি বলেন, জিনদের একটি প্রতিনিধি দল নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর নিকট এসে বলল, হে মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)! আপনার উম্মাতকে হাড়, গোবর অথবা কয়লা দ্বারা ইস্তিন্‌জা করতে নিষেধ করে দিন। কারণ মহান আল্লাহ ওগুলোর মধ্যে আমাদের রিযিক নিহিত রেখেছেন। অতঃপর নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ওগুলো দিয়ে ইস্তিন্‌জা করতে নিষেধ করেন।
[সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৩৯]

عَنْ عَامِرٍ، قَالَ سَأَلْتُ عَلْقَمَةَ هَلْ كَانَ ابْنُ مَسْعُودٍ شَهِدَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَيْلَةَ الْجِنِّ قَالَ فَقَالَ عَلْقَمَةُ أَنَا سَأَلْتُ ابْنَ مَسْعُودٍ فَقُلْتُ هَلْ شَهِدَ أَحَدٌ مِنْكُمْ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَيْلَةَ الْجِنِّ قَالَ لاَ وَلَكِنَّا كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ذَاتَ لَيْلَةٍ فَفَقَدْنَاهُ فَالْتَمَسْنَاهُ فِي الأَوْدِيَةِ وَالشِّعَابِ فَقُلْنَا اسْتُطِيرَ أَوِ اغْتِيلَ - قَالَ - فَبِتْنَا بِشَرِّ لَيْلَةٍ بَاتَ بِهَا قَوْمٌ فَلَمَّا أَصْبَحْنَا إِذَا هُوَ جَاءٍ مِنْ قِبَلِ حِرَاءٍ - قَالَ - فَقُلْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ فَقَدْنَاكَ فَطَلَبْنَاكَ فَلَمْ نَجِدْكَ فَبِتْنَا بِشَرِّ لَيْلَةٍ بَاتَ بِهَا قَوْمٌ ‏.‏ فَقَالَ ‏"‏ أَتَانِي دَاعِي الْجِنِّ فَذَهَبْتُ مَعَهُ فَقَرَأْتُ عَلَيْهِمُ الْقُرْآنَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَانْطَلَقَ بِنَا فَأَرَانَا آثَارَهُمْ وَآثَارَ نِيرَانِهِمْ وَسَأَلُوهُ الزَّادَ فَقَالَ ‏"‏ لَكُمْ كُلُّ عَظْمٍ ذُكِرَ اسْمُ اللَّهِ عَلَيْهِ يَقَعُ فِي أَيْدِيكُمْ أَوْفَرَ مَا يَكُونُ لَحْمًا وَكُلُّ بَعَرَةٍ عَلَفٌ لِدَوَابِّكُمْ ‏"‏ ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ فَلاَ تَسْتَنْجُوا بِهِمَا فَإِنَّهُمَا طَعَامُ إِخْوَانِكُمْ ‏"‏ ‏.‏
‘আমির (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
আমি ‘আলকামাকে প্রশ্ন করলাম, জিনদের সাথে সাক্ষাতের রাতে ইবনু মাস’উদ (রাঃ) কি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে ছিলেন? রাবী বলেন, ‘আলকামাহ (রাঃ) বললেন, আমি ইবনু মাস’উদ (রাঃ) -কে জিজ্ঞেস করলাম, জিনদের সাথে সাক্ষাতের রাতে আপনাদের মধ্যে কেউ কি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সাথে ছিলেন? তিনি উত্তরে বললেনঃ না, তবে আমরা এক রাতে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সাথে ছিলাম। আমরা তাঁকে হারিয়ে ফেললাম। আমরা পাহাড়ের উপত্যকায় ও গিরিপথে তাঁকে খুঁজলাম কিন্তু পেলাম না। আমরা মনে করলাম, হয় জিনেরা তাঁকে উড়িয়ে নিয়ে গেছে অথবা কেউ তাঁকে গোপনে মেরে ফেলেছে। রাবী [ইবনু মাস’উদ (রাঃ) ] বলেন, এ রাতটি আমাদের জন্য এতই দুর্ভাগ্যজনক ছিল যে, মনে হয় কোন জাতির উপর এমন রাত আসেনি। যখন ভোর হলো, আমরা তাঁকে হেরা পর্বতের দিক থেকে আসতে দেখলাম। আমরা বললাম, হে আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ! আমরা আপনাকে হারিয়ে ফেললাম এবং অনেক খোঁজাখুঁজি করেও আপনার কোন সন্ধান পেলাম না। তাই সারারাত আমরা চরম দুশ্চিন্তায় কাটিয়েছি।মনে হয় এরূপ দুর্ভাগ্যজনক রাত কোন জাতির উপর আসেনি। তিনি বলেনঃ জিনদের পক্ষ থেকে এক আহ্বানকারী আমাকে নিতে আসে। আমি তার সাথে গেলাম এবং তাদেরকে কুরআন পাঠ করে শুনালাম। রাবী (ইবনু মাস’উদ (রাঃ) ) বলেন, তিনি আমাদেরকে সাথে করে নিয়ে গিয়ে তাদের বিভিন্ন নিদর্শন ও আগুনের চিহ্ন দেখালেন। তারা তাঁর কাছে খাদ্যের জন্য প্রার্থনা করল। তিনি বললেন, যে জন্তু আল্লাহর নামে যবেহ করা হয়েছে তার হাড় তোমাদের খাদ্য। তোমাদের হাতের স্পর্শে তা পুনরায় গোশতে পরিপূর্ণ হয়ে যাবে। উটের বিষ্ঠা তোমাদের পশুর খাদ্য।
অতঃপর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (আমাদের) বললেনঃ এ দু’টো জিনিস দিয়ে শৌচকার্য করো না। কেননা এ দু’টো তোমাদের ভাইদের (জিনদের) খাদ্য।
সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৮৯৩

🟥 জিনদের বিয়েশাদি এবং সন্তান প্রজনন

মহান আল্লাহ নিজ প্রজ্ঞাগুণে প্রতিটি বস্তু জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি করেছেন। তাই জিন জাতির মধ্যেও রয়েছে নর-নারীর জোড়া। মানুষের মতো তাদেরও রয়েছে বিয়েশাদি ও বাচ্চা প্রজননের নির্ধারিত প্রক্রিয়া। পবিত্র কোরআনে জান্নাতি রমণীদের কুমারীত্বের বর্ণনায় এসেছে যে তাদের কোনো মানুষ বা জিন স্পর্শ করেনি। (সুরা : আর রহমান, আয়াত : ৫৬)

🟥 জীনদের আস্তানা বা ঘাটি সমূহ

عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ إِنَّ هَذِهِ الْحُشُوشَ مُحْتَضَرَةٌ فَإِذَا أَتَى أَحَدُكُمُ الْخَلاَءَ فَلْيَقُلْ أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنَ الْخُبُثِ وَالْخَبَائِثِ ‏"‏ ‏.‏
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, সাধারণতঃ পায়খানার স্থানে শয়তান এসে থাকে। সুতরাং তোমাদের কেউ পায়খানায় প্রবেশকালে যেন বলেঃ আমি আল্লাহ্‌র কাছে শয়তান ও যাবতীয় অপবিত্রতা হতে আশ্রয় চাইছি। (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৬)

সাদ বিন মুয়াজ রা. কে প্রস্রাবের সময় জীনেরা হত্যা করল

قال ابن سعد في "الطبقات الكبرى" (7/ 274):
" أَنَّ سَعْدَ بْنَ عُبَادَةَ بَالَ قَائِمًا ، فَلَمَّا رَجَعَ قَالَ لأَصْحَابِهِ: إِنِّي لأَجِدُ دَبِيبًا ، فَمَاتَ ، فَسَمِعُوا الْجِنَّ تَقُولُ: قَتَلْنَا سَيِّدَ الْخَزْرَجِ سَعْدَ بن عبادة
رميناه بسهمين فلم نخط فؤاده " انتهى .

وقال الأَصْمَعِيُّ: " حَدَّثَنَا سَلَمَةُ بنُ بِلاَلٍ، عَنْ أَبِي رَجَاءَ قَالَ: قُتِلَ سَعْدُ بنُ عُبَادَةَ بِالشَّامِ ، رَمَتْهُ الجِنُّ بِحوْرَانَ." انتهى من "سير أعلام النبلاء" (3/ 171) .

وقال ابن الأثير رحمه الله :
" ولم يختلفوا أَنَّهُ وجد ميتًا عَلَى مغتسله، وقد اخضر جسده، ولم يشعروا بموته بالمدينة حتى سمعوا قائلًا يقول من بئر، ولا يرون أحدًا:
قتلنا سيد الخزرج سعد بْن عبادة
رميناه بسهمين فلم نخط فؤاده
فلما سمع الغلمان ذلك ذعروا، فحفظ ذلك اليوم ، فوجوده اليوم الذي مات فيه سعد بالشام " انتهى من "أسد الغابة" (2/ 441) .
وينظر : "الاستيعاب" (2/ 599) ، "تاريخ دمشق" (20/ 268) .

১. বায়তুল খালা ২. পশুঘর ৩. নোংরা নালা, জলাশয় ৪. প্রাক্তন বৃক্ষ ৫. বৃহৎ ছায়াযুক্ত বৃক্ষ ৬. বড় গাছ (এক প্রকারের বৃক্ষ যাতে লাল বর্ণের দড়ির ন্যায় অতি সরু মূল বের হয়, পাঞ্জাবে একে বলা হয় জামন বৃক্ষ) ৮. আনার বৃক্ষ ৯. ধ্বংসস্ত‚প ও বিরানভূমি ১০. নদী-নালা ১১. শ্বশান ও বিরান এলাকা ১২. গহীন বন জঙ্গল ১৩. সামুদ্রিক দ্বীপ ১৪. পর্বত ১৫. দুই পর্বতের মধ্যবর্তী উপত্যকা ১৬. অনাবাদী গৃহ ১৭. যেসব গৃহ প্রায় বন্ধ থাকে ১৮. বিভিন্ন স্থলজ সৃষ্টি যেমন সাপ-ইদুর প্রভৃতির গর্তে ১৯. কাফেরদের পূজার স্থানসমূহ (মন্দির, গির্জা প্রভৃতি) ২০. আবাদি ভূমির মধ্যবর্তী খালি স্থানসমূহ ২১. পানি বা জলাশয় ২২. গন্ধ নোংরা পানির ঝিল ২৩. ভূমির নিম্নাঞ্চল এবং ২৪. গ্রামীণ এলাকায়।

✍️ M***i Jubayer Ahmad.....

Address

Jhinaidaha

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Bhoot Story - ভুত স্টোরি posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Bhoot Story - ভুত স্টোরি:

Videos

Share

Nearby media companies


Other Digital creator in Jhinaidaha

Show All