জেলার নাম: ফরিদপুর
জেলা আয়তন: ২০৭২.৭২ বর্গ কিলোমিটার
ভৌগোলিক অবস্থান: ফরিদপুর জেলা ৮৯.২৯০পূর্ব হতে ৯০.১১০পূর্ব দ্রাঘিমাংশ এবং ২৩.১৭০উত্তর হতে২৩.৪০০উত্তর অক্ষাংশে অবস্থিত
সীমানা: উত্তরেরাজবাড়ী ও মানিকগঞ্জ জেলা, দক্ষিণেগোপালগঞ্জ জেলা, পশ্চিমে মাগুরা ওনড়াইল জেলা এবং পূর্বে মাদারীপুর ও মুন্সীগঞ্জ জেলা অবস্থিত
লোক সংখ্যা: ১৭,৪২,৭২০ জন (২০০১ সনের আদম শুমারী অনুযায়ী)
ক) পুরুষ- ৮,৯৩,২৮০ জন
খ) মহিলা- ৮
,৪৯,৪৪০ জন
জন সংখ্যার ঘনত্ব: ৮৪০.৭৮ জন প্রতি বর্গ কিঃ মিঃ
উপজেলার সংখ্যা ও নাম: ৯ (নয়) টি। সদর, মধুখালী, বোয়ালমার আলফাডাঙ্গা, সালথা, নগরকান্দা, ভাঙ্গা, সদরপুর ও চরভদ্রাসন
থানার সংখ্যা ও নাম: ৯ (নয়) টি। কোতয়ালী, মধুখালী, বোয়ালমারী, লফাডাঙ্গা, সালথা, নগরকান্দা, ভাঙ্গা, সদরপুর ও চরভদ্রাসন ।
পৌরসভা সংখ্যা ও নাম: (চার) টি। ফরিদপুর, বোয়ালমারী, নগরকান্দা ওভাঙ্গা।
ইউনিয়নের সংখ্যা: ৭৯টি।
গ্রামের সংখ্যা: ১,৮৮৭টি।
ফরিদপুর জেলার প্রতিষ্ঠা ১৭৮৬ সালে। মতান্তরে এ জেলা প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮১৫ সালে। ফরিদপুরের নামকরণ করা হয়েছে এখানকার প্রখ্যাত সুফি সাধক শাহ শেখ ফরিদুদ্দিনের নামানুসারে। এ জেলার পূর্বনাম ছিল ‘‘ফতেহাবাদ’’। ফরিদপুর জেলার প্রতিষ্ঠা সন ১৭৮৬ হলেও তখন এটির নাম ছিল জালালপুর এবং প্রধান কার্যালয় ছিল ঢাকা। ১৮০৭ খ্রিঃ ঢাকা জালালপুর হতে বিভক্ত হয়ে এটি ফরিদপুর জেলা নামে অভিহিত হয় এবং হেড কোয়ার্টার স্থাপন করা হয় ফরিদপুর শহরে। গোয়ালন্দ, ফরিদপুর সদর, মাদারীপুর ও গোপালগঞ্জ এই চারটি মহকুমা সমন্বয়ে ফরিদপুর জেলা পূর্ণাঙ্গতা পায়। বর্তমানে বৃহত্তর ফরিদপুর জেলা ফরিদপুর, রাজবাড়ী, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর ও শরীয়তপুর এই পাঁচটি জেলায় রূপান্তরিত হয়েছে।
এই এলাকার প্রাচীন মসজিদগুলোর মধ্যে রয়েছে গারোদা মসজিদ (১০১৩ হিজরি), পাথরাইল মসজিদ ও দিঘী (১৪৯৩-১৫১৯ খ্রিস্টাব্দ), সাতৈর মসজিদ (১৫১৯ খ্রিস্টাব্দ)। এলাকার অন্য উল্লেখযোগ্য স্থাপনা হলো ফতেহাবাদ টাঁকশাল (১৫১৯-৩২ খ্রিস্টাব্দ), মথুরাপুরের দেয়াল, জেলা জজ কোর্ট ভবন (১৮৯৯ খ্রিস্টাব্দ), এবং ভাঙ্গা মুন্সেফ কোর্ট ভবন (১৮৮৯ খ্রিস্টাব্দ), বসুদেব মন্দির ও জগবন্ধু আঙিনা।[২]
ফরিদপুর থেকে হাজি শরীয়তুল্লাহ ফরায়েজী আন্দোলন শুরু করেন। শরীয়তুল্লাহের পুত্র দুদু মিয়ার নেতৃত্বে এখানে নীল কর বিরোধী আন্দোলন হয়। জেলার প্রধান নীল কুঠিটি ছিলো আলফাডাঙা উপজেলার মীরগঞ্জে, যার ম্যানেজার ছিলেন এসি ডানলপ। এ জেলার ৫২টি নীল কুঠি এর অন্তর্ভূক্ত ছিল। গড়াই, মধুমতি ও বরশিয়া নদীর তীরে নীল চাষ হতো।
জেলা শহর বর্তমানে কুমার নদীর তীরে অবস্থিত। ফরিদপুর পৌরসভা সৃষ্টি হয় ১৮৬৯ সালে। ৯টি ওয়ার্ড ৩৫টি মহল্লা নিয়ে জেলা শহর গঠিত। এর আয়াতন ২০.২৩ বর্গ কিলোমিটার।
প্রশাসনিক এলাকাসমূহ
ফরিদপুর জেলায় মোট পৌরসভা ৪টি, ওয়ার্ড ৩৬টি, মহল্লা ৯২টি, ইউনিয়ন ৭৯টি, গ্রাম ১৮৫৯টি। মোট উপজেলা ৯টি। সেগুলো হচ্ছেঃ
ফরিদপুর পৌরসভা
ফরিদপুর সদর উপজেলা
বোয়ালমারী উপজেলা
আলফাডাঙা উপজেলা
মধুখালী উপজেলা
ভাঙ্গা উপজেলা
নগরকান্দা উপজেলা
চর ভদ্রাসন উপজেলা
সদরপুর উপজেলা
সালথা উপজেলা
প্রত্নসম্পদ
মথুরাপুর দেউল
পাতরাইল মসজিদ
সাতৈর মসজিদ
শ্রী অঙ্গন
শিব মন্দির
দোলমঞ্চ
নারায়ণ মন্দির
পঞ্চরত্ন সমাধি
নব-রত্ন সমাধি
দুর্গা মন্দির
কাচারি বাড়ি
শিকদার বাড়ি
গেরদা ফলক
ময়েজ মঞ্জিল
অর্থনীতি
এই এলাকার অর্থনীতি মুলত পাট কেন্দ্রিক । ফরিদপুর পাট এর জন্য বিখ্যাত । ফরিদপুর বাংলাদেশ এর অন্যতম বড় নদী বন্দর। এখান থেকে পাট নদী পথে সারা দেশে চলে যেত।
চিত্তাকর্ষক স্থান
ফরিদপুর জেলার চিত্তাকর্ষক স্থানগুলার মদ্ধে উল্ল্যেখযোগ্য হচ্ছে,
পদ্বার চরে সূযাস্ত
নদী গবেষণা ইন্সটিটিউট
সুইচ গেট
ধলার মোড় (পদ্মার পাড়)
রাজেন্দ্র কলেজ (সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ)
পদ্মা বাধ
পল্লী কবি জসীম উদ্দীন এর বাসভবন।
পদ্মা নদীর বালুচর,সি এন্ড বি ঘাট
জনসংখ্যা
১৭,৪২,৭২০ জন (২০০১ সালের আদম শুমারী অনুযায়ী)[১]
পুরুষ- ৮,৯৩,২৮০ জন
মহিলা- ৮,৪৯,৪৪০ জন