সাইলেন্ট ইমোশনヅ 𝐒𝐢𝐥𝐞𝐧𝐭 𝐄𝐦𝐨𝐭𝐢𝐨𝐧

  • Home
  • Bangladesh
  • Faridpur
  • সাইলেন্ট ইমোশনヅ 𝐒𝐢𝐥𝐞𝐧𝐭 𝐄𝐦𝐨𝐭𝐢𝐨𝐧

সাইলেন্ট ইমোশনヅ 𝐒𝐢𝐥𝐞𝐧𝐭 𝐄𝐦𝐨𝐭𝐢𝐨𝐧 Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from সাইলেন্ট ইমোশনヅ 𝐒𝐢𝐥𝐞𝐧𝐭 𝐄𝐦𝐨𝐭𝐢𝐨𝐧, Digital creator, Faridpur, Dhaka, Faridpur.

.
১বছর,২ বছর,৩ বছর এভাবেই কেটে যাবে পেয়ে
হারানোর অপূর্ণতার বহুবছর😊। ভাল থাকুক...!
এভাবে হারিয়ে যাওয়া প্রত্যেকটা প্রিয় মানুষ.🖤
______💔🥀😔______

😜
08/09/2024

😜

ছাত্রীর বড় বোন নাস্তা দিছে!🙂🤫Collected-সংগৃহীত
01/09/2024

ছাত্রীর বড় বোন নাস্তা দিছে!🙂🤫

Collected-সংগৃহীত

বর্তমান যুগের ছেলেদের বিয়ে করার ব্যাপারটা.! এত পরিমান কঠিন হইছে যে. মাঝে মাঝে মনে হয় এর চেয়ে এভারেজ জয় করা সহজ ! ছেল...
01/09/2024

বর্তমান যুগের ছেলেদের বিয়ে করার ব্যাপারটা.! এত পরিমান কঠিন হইছে যে. মাঝে মাঝে মনে হয় এর চেয়ে এভারেজ জয় করা সহজ ! ছেলে ইনকাম মাসে করে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা আর কাবিন চাই ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকা ! এখন আপনি কন ১০-১৫ লাখ টাকা দিয়া বিয়া কইরা কি বাসায় বউ আনবেন নাকি ইন্ডিয়া থেকে আলু আর পিয়াজ আমদানি করবেন....! মাইয়া টিকটকার হলে কোন সমস্যা নাই, কিন্তু পোলা বাটন ফোন ইউজার হতে হবে ! মাইয়া চারবার এসএসসি পরীক্ষায় ফেল করলে কোন সমস্যা নাই, কিন্তু পোলা মাস্টার্স ডিগ্রী পাস থাকতে হবে..! মাইয়া উগান্ডা হলেও সমস্যা নাই কিন্তু পোলা ইউরোপিয়ান প্রবাসী হইতে হবে..'! মাইয়া বেপর্দা ছাপরী পোলাগো লগে পার্টি করলেও কোন সমস্যা নাই....! কিন্তু পোলা শ্বশুরবাড়ির কুত্তার সামনে পরলেও 3 বার সালাম দিতে হইবো।
যদিও বিয়ার কথা ঠিক হয় তাহলে পোলার এলাকায় এমনভাবে ইনভেস্টিগেশন করবে, মনে হইবো বিয়ের জন্য খোঁজ খবর না, মনে হয় খুনির আসামির জন্য তদন্ত করতে আইছে !!এর উপর যদি আপনার এলাকার কোন মতল বাতাসে মাদকদ্রব্যের গন্ধ পায়, তাহলে আপনাকে নেশাখোর বানিয়ে দিব..! অথচ আপনি কোনদিন সিগারেটও খান নাই তাই মাঝে মাঝে মনে হয় বিয়ের ব্যাপারটা ~/- এটা কোন সাধারণ ছেলের জন্য নয়...! বিয়ে ফরজ সুন্নত যাই বলেন এইটা অলি আউলিয়ারদের জন্য ..
বিয়ার কপালে আগুন....😥😥🌝😁🌝

Collected....

কিছু ভদ্র নিরিহ ছেলেদের আর্তনাদ..! 😅

"ইটের জবাব পাটকেল দিয়ে দেওয়ার উপযুক্ত সময়"------------------------------------------------------------------সময় হয়েছ...
21/08/2024

"ইটের জবাব পাটকেল দিয়ে দেওয়ার উপযুক্ত সময়"
------------------------------------------------------------------
সময় হয়েছে ফারাক্কার ৪০ কিলোমিটার দুরে ৭৫০০ ফিট উচ্চতার দ্বিতীয় ফারাক্কা বাধ নির্মাণ করার।

মাঝ রাতে মানুষের ঘুমন্ত অবস্থায় বাধ ছেড়ে দিয়ে তারা আজীবনই পৈচাশিক আনন্দ পায়।

তারা বর্ষায় বাঁধ খুলে দিলে পানি এই ৪০ কিলোর মধ্যেই থাকবে, আর যদি এর চেয়ে বেশি পানি ছাড়ে, তাহলে সেই পানি তাদের দেশেই ফেরত যাবে, কারন! তাদের বাধের উচ্চতা ৭৩৫০ ফিট।

আর গ্রীষ্মকালে তারা তো পানি দিতেই চায়না, এই পানি আমরা তখন আমাদের সুবিধা মতো নিয়ে নিবো।

তাই! সময় এসেছে এখন আমাদের দ্বিতীয় বাধ নির্মাণের। আমরা চাইলেই সামনে দিয়ে আরেকটা বাঁধ নির্মাণ করতে পারি।

# বিদেশে পাচারকৃত টাকা গুলো এনে এই কাজ কার হোক।
(কপি পোস্ট)
#ফেনী Highlight

দফা ১দাবি ১
03/08/2024

দফা ১
দাবি ১

03/08/2024

ইনশাআল্লাহ এই রক্ত বৃথা যাবে না।
অতি শীঘ্রই আল্লাহ শহীদদের রক্তের বিনিময়ে
বিজয় পতাকা দান করবেন জালেমের বিরুদ্ধে। ❤️‍🩹

03/08/2024

হয়তো শেষ ইচ্ছা,

১৫ ই আগষ্ট পর্যন্ত থাকতে চায়..!

03/08/2024

🔇পুলিশ তল্লাশির একটা কাহিনি 🔇

একজন পুলিশ মধ্য বয়সি এক মহিলার ব্যাগ তল্লাশি করছিলো কিন্তু কিছুই পেল না...

তারপর পুলিশ ওই মহিলাকে জিগ্যেস করলো আপনার ছেলে মেয়ে কি করে.??

মহিলা জবাব দিলো.. বিয়ের পরে যেগুলো হয়েছে ওইগুলো ডাক্তার ; ইন্জিনিয়ার...

কিন্তু বিয়ের আগে যেগুলো হইছে ওইগুলো পুলিশ 🥱🙃

মানুষ......❤️‍🩹
02/08/2024

মানুষ......❤️‍🩹

১৯৭১__মুক্তি হে কেয়া ঘারমে..?২০২৪__ঘরে কি ছাত্র আছে..?💔ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি.. /
01/08/2024

১৯৭১__মুক্তি হে কেয়া ঘারমে..?
২০২৪__ঘরে কি ছাত্র আছে..?💔
ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি.. /

31/07/2024
মুগ্ধ ছেলেটির প্রিয় মানুষটার লেখা কথা গুলো🙂🥀।jaaan,তুই আজ ধরা, ছোঁয়া, রাগ, অভিমান, ভালোবাসা সকল কিছুর ঊর্ধ্বে চলে গেছিস।...
30/07/2024

মুগ্ধ ছেলেটির প্রিয় মানুষটার লেখা কথা গুলো🙂🥀।
jaaan,
তুই আজ ধরা, ছোঁয়া, রাগ, অভিমান, ভালোবাসা সকল কিছুর ঊর্ধ্বে চলে গেছিস। আমি যতই তোকে ডাকি, তুই আর কোনদিন বলবি না, " hae jaan bolo"
আমি আর কখনো তোর গলা শুনব না। জীবন কত নিষ্ঠুর শিক্ষা দিয়ে দিলো আমাদের বল। আমার পোস্ট, স্টোরির একজন ও ভিউয়ার হলে সেটা তুই ছিলি। আজকে আমার এই লেখা ও তোকে আর স্পর্শ করবে না।
আমি অনেক কপাল করে তোকে পাইছি, আল্লাহ যেন এমন কপাল কাউকে না দেয়।
২০ জুন ২০২১,
তুই প্রথম আমাকে বললি তোর আমাকে ভালো লাগে। আমি টিপ পরি তাই তুই একটা ফেসবুক পোস্ট করলি টিপ নিয়ে। আমি ভাবলাম আতরা ফাতরা ছেলে তুই, খালি খালি ফ্লার্ট করতেছিস, তারওপর পড়াশোনায় ডাব্বা। এরকম ছেলের সাথে কথা বলতে আম্মু নিষেধ করে দিছে।
এরপর ইনবক্সে অনেক ফ্লার্ট চলল তোর.......

অক্টোবর ২০২১
করোনার পরে আমাদের টার্ম ফাইনাল শুরু। সেবার ফিজিক্স পরীক্ষার প্রশ্ন ভীষণ কঠিন, আমি হিমসিম খাচ্ছিলাম এনসার করতে। চোখ পরল তোর দিকে, দেখি বেঞ্চে থুতনি দিয়ে অসহায় এর মত তাকিয়ে আছিস খাতার দিকে। মায়া লাগল, আহারে লিখতে পারছিস না। রিটেক কোর্স টা এই বছর পাশ করলি।

২৫ নভেম্বর ২০২১,
তুই আমাকে বিকেলে কল করলি অর্পা কই তুই। ভার্সিটি ডে আমি বের হব না কেনো, জোরাজোরি করেও বের করতে পারলি না। আমি একটু পরে কল দিয়ে বললাম আমি বের হব, তুই ততক্ষণে শীববাড়ি চলে গেছিস। সেদিন বের হওয়া হলো না। পরেরদিন হলের নিচে তোর আগের হরনেট টা নিয়ে এসে কল দিলি, নাম। আমি তো অবাক এ পাগল বলে টা কি, এভাবে বাইকে চড়ে যাব সবাই কি বলবে! তুই তো নাছোড়বান্দা। নামতে বলছি নাম। তারপর আর কি নামলাম। গেলাম বার্গার খেতে। নাগা নিয়ে তোর সে কি নাকের জ্বল চোখের জ্বল এক হয়ে গেলো। এরপর আস্তে আস্তে শুরু হলো আমাদের ডেটিং পিরিয়ড।

১০ ফেব্রুয়ারি ২০২২,
তুই প্রপোজ করলি তাও এটা বলে যে আজকে থেকে সব মেয়ে বাদ, তুই আমার সেটেল হওয়া অবধি ওয়েট করবি। আমি তোকেই বিয়ে করব। সেদিন আমরা ভীর- জারা সিনেমাটা দেখছিলাম।

আমরা একবছর একদম উথাল পাথাল প্রেম করলাম।এরপর আমাদের লাগল একদিন মহা ক্যাচাল। ব্যাচমেট, কেউ কাউকে গুনলাম না। যাহ থাকবই না।
আমি কেঁদে একদম একাকার। তুই তো মুখ বোঝা এমনিই। কাউকে বলতে পারলি না খালি সিগারেট আর সিগারেট।
১২ দিন পর আমরা আর পারলাম না। সব ভেঙে চুরে কান্না কাটি শেষে আমি তোকে তপন দার দোকানে জড়ায়ে ধরলাম।
এরপর তিন মাস একদম একের প্রেম চলল। তারপর আবার লাগল, এবার ও কেউ কাউকে পাত্তা দিলাম না। করলাম ব্রেকআপ।
টিকল না ৭ দিন ও।
তারপর আবার সব ঠিক করে র‍্যাগ এর আগে লাগল মহা ক্যাচাল। তুই কনভেইনার সে কি ব্যস্ত। আমি তো পাই ই না।

৯ অক্টোবর ২০২৩,
তোর জন্মদিন, আমি রান্না করে রাখলাম তুই র‍্যাগ নিয়ে দৌড়াতে গিয়ে আর রান্না খাওয়ার সময় হলো না। সে কি অভিমান আমার। এই নিয়ে দিলাম র‍্যাগ এর আগে আগে সব শেষ করে। তখন একটা বাজে অবস্থাই হলো আমাদের, একেতো র‍্যাগ তারওপর জুনিয়র নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি। কেউ কারো মুখ দেখি না।
কিন্তু ভেতর তো পুরে ছাড়খার।

২৩ নভেম্বর ২০২৩,
তোর কল আসল, আমি ধরলাম না। সাগরে বললাম তোর বন্ধুকে বলবি আমাকে আর কল না দিতে। তুই সে কত বার কল, ম্যাসেজ। শেষে অনলাইন থেকে একটু কল দিয়ে হ্যালো হ্যালো শুনলি।
তখন তোর কি বাজে অবস্থা।

৩০ নভেম্বর ২০২৩,
রিফাহর জন্মদিন শেষে কাদের ভাই এর দোকানে গিয়ে দেখি তুই বসা, দেখেই আমি সরে চলে আসলাম। তুই আমাকে এক ঝলক দেখে চুপচাপ বের হয়ে বাইক এমন টান দিলি। আমি বুঝতে পারলাম যে জ্বলতেছে তাও আমি নরম হলাম না। একঘন্টা পর শুনি তুই রুপসা গিয়ে বাইক নিয়ে পরে গেছিস। কি যে কষ্ট টা পেলাম, তাও মন নরম হলো না।

১ ডিসেম্বর ২০২৩,
আননোন নম্বরের কল,
-হ্যালো কে
-আমি
শুনেই বুঝলাম আমার ছোট মানুষ টা।
হ্যাঁ বল
তুই একটু হলরোডে আয়, আমি প্রমান করে দিব জুনিয়র এর সাথে আমার কিছু নাই।
আমি এক্সিডেন্ট করছে দেখে আর আটকাতে পারলাম না, গেলাম। মুখের দিকে তাকায়ে কি মায়া লাগল।
কিছুক্ষন পরে আমার হাত ধরে, হাঁটুতে মাথা দিয়ে বললি
," তোরে ছাড়া আমার শান্তি লাগে না। তুই পুরা আম্মুর মত। আমার সব আছে, শান্তি নাই, অর্পা তোর ফেরত আসা লাগবে না। আমি তোর বাসায় প্রস্তাব দেব ৬ মাস পর "
আমি তখনো চুপ।
- আচ্ছা শামীম চৈতির মত বিয়ে করে ফেলি তাহলে লুকায়ে।
আমি জানি দুজনের কেউ ই রেডি না বিয়ে করতে। তাও, কেউ কাউকে ছাড়া থাকতে পারি না। কেনোভাবেই হারাতে দেব না।
আমি টাইম চাইলাম (যদিও নাটক)

১৩ ডিসেম্বর ২০২৩,
আমি সিলেট যাব, মেহরাব কে বলে রাখছিলাম। মুগ্ধকে বললাম আমি সিলেট যাব। এখন ও ও যাবে। আমার জন্য হেলমেট কিনল। স্নিগ্ধ, জিদান ওদের ও রাজি করালো।
সেদিন আমাকে মেইনগেইট থেকে বাইকে চড়ায়ে সেই সাস্ট অবধি নিয়ে গেলো। কি কষ্ট টাই না হইছিলো একা একা এতদূর ড্রাইভ করতে! চোখ গুলো লাল হয়ে গেছে। তাও সারাপথ কত কথা বললাম আমরা দুজন দুজনের সাথে।

১৫ ডিসেম্বর ২০২৩,
আমরা শ্রীমঙ্গল গেলাম, রাতে ট্রুথ এন্ড ডেয়ার খেলায় কত কত সত্যি বের হয়ে আসল তোর। আমি যে মাইর টা দিলাম...............
পরেরদিন আমাকে খুলনা নামায় দিলি।

২৯ মার্চ ২০২৪,
আমি ঢাকা গেলাম। আজমপুর যেখানে তোর লাশ টা পরে ছিলো। আমি ওখানে নামলাম। পরেরদিন তুই, আমি, স্নিগ্ধ, আদ্রিতা গেলাম শপিং এ। নিজে খুঁজে খুঁজে আমাকে পছন্দ মত দুইটা জামা কিনে দিলি। ট্রায়াল রুম থেকে বের হলেই তোর চোখে মুখে হাসি। jaaan কি সুন্দর লাগছে তোকে! আর তোর বরাবর এর প্রিয় মি. মানিকের বার্গার।ওটা তো আমাকে তুই খাওয়াবিই।

১১ মে ২০২৪,
রক এন্ড রিদম এর কনসার্ট। আমি আতিফ আসলামের টায় যেতে পারি নি। এটাতে যাবই। জিদান, স্নিগ্ধ, রাহাত ওরাও আসবে। গেলাম সবাই। গেটে ঢুকতে মারামারির মত শুরু হলে, তুই সে কি আমাকে বারবার হাত দিয়ে সরায়ে দিচ্ছিস। তোর গায়ে ধাক্কা লাগতেছে। আমার গায়ে যেন না লাগে। ঢুকলাম কোনোভাবে। কতবার জড়ায়ে ধরলাম, চুমু খাইলাম। শেষে অনি হাসান পূর্নতা বাজাবে আর মিজান গাইবে। আমি দেখি না। তুই আমাকে বললি কাঁধে বস। আমিও আর দুনিয়ায় চিন্তা না করে বসলাম কাঁধে চড়ে। তুমি সেই পূর্নতা আমার অনুভবে"" শুনলাম তোর কাঁধে বসেই। সেদিন সারারাত ঢাকা শহরে চড়ে বেড়াইলাম। হাতিরঝিল এসে আমি মুগ্ধর পিঠে হ্যালান দিয়ে বসে আছি। জিদান বললো," অর্পার ই ভালো"
হ্যাঁ আসলেই জিদান। আমার ই ভালো ছিলো দিন।
পুরান ঢাকার কত খাবার দাবার খেলাম আমরা। টিএসসি তে স্নিগ্ধর সাথে গ্যান্জাম করলাম। পরেরদিন বিকেলে আমাকে বাসে তুলে দিলি তুই।

২১ জুন ২০২৪,
অঙ্কুরের বিয়েতে তোকে সারপ্রাইজ দিতে গেলাম। তুই আগেই টের পেয়ে গেছিলি। মন খারাপ আমার তাও তুই বললি, "jaaan ami ter pai nai."
আন্টি আমাকে গরুর মাংস মুখে তুলে দিতে দিতে বলল দুই ছেলের একসাথে বউ আনব.........।
আমি একটু সরে এসে তোর মুখে একটা খেজুর দিতে যাব তখনি দীপ ভাইয়া আর ভাবী সামনে পরে গেলো। তুই ও আচমকা দেখিয়ে বললি এইযে ভাইয়া, ভাবী। আমি লজ্জা পেলে ভাবী আমাকে নিয়ে একটু মজা করল।
খাইতে বসার আগে আমি বলে দিছিলাম সাদা পাঞ্জাবী, হলুদ লাগে না যেন। ঠিক ই লাগল। তুই দূর থেকে হাত উঁচু করে দেখায়ে বললি হলুদ লেগে গেছে অর্পা।
আমি দিলাম ঝাড়ি।
কিছুক্ষন পরে তুই নিচে নেমে গেলি লিফট ধরে ওই টাই তোকে আমার শেষ দেখা। কেনো যেন তাকায়ে ছিলাম তোর দিকে সেদিন তুই ও একটা হাসি দিয়ে আমাকে ফেলে নেমে গেলি।

jaaan মনে আছে তোকে আমি একটা ডাইরি লিখে দিছি। হাফ আমার লেখা, আমাদের কত ছবি সেখানে। বাকিটা আমি তোকে লিখতে বলছিলাম। জীবন আমাদের ওই ডাইরির কটা পেজের থেকেও ছোট তাই না বল?

কত তোলা তোলা করে ভালোবাসছিস আমায় তুই। এত ছোটাছুটির পরেও আমার কাছে এসে সব ঠান্ডা তোর। আমার এত মেজাজ, এর রাগ, সব কেমন চুপ করে সহ্য করে গেছিস। কোনদিন আমাকে একটা বাজে কথা বলিস নি। উঁচু গলায় কথা বলিস নি। আল্লাহ!!! কি আদর, কি আদর। কত যত্নে আমাকে তুই রাখতি মুগ্ধ একবার মনে করে দেখ।
আজকে তুই বীরের মত সবার মনে বেঁচে আছিস। জান আমি তো আগেই জানতাম তুই বীর। তুই আমার মুগ্ধ। আমার একটাই মুগ্ধ ছিলো।
এখন আর আর্তনাদ করি না। I am so proud of you jaaan.
I mean you are a hero. A great soul.
আমার কাছে তুই তো একটা বাচ্চা। যেই মাথায় তোর গুলি টা লাগলো মুগ্ধ, আমি কত সহস্র বার হাত বুলায়ে দিছি, আদর করে দিছি।আজকে আর আমি তোকে ছুঁতে পারি না। কিন্তু তুই তো নাকি আর আমার একার নাই, পুরো দেশের হয়ে গেছিস।
মেনে নিলাম।
সারাজীবন তো তোর আদর সোহাগের ভাগ কাউকে দেই নি, আজকে তাই কাউকে পাচ্ছি না যাকে জিজ্ঞেস করতে পারি তোমার কি একই হাহাকার!
আমার মুগ্ধ আর নেই।

"কিন্তু তুই আমাকে পূর্ন করে দিয়ে গেলি মুগ্ধ।

একটা ছবি কেবল আমি আমার টাইমলাইন এ রাখতে চাই আমাদের। দয়া করে আমাকে আর মুগ্ধকে সবাই রেসপেক্ট করবেন। আমি এই পোস্ট টা হাজার বার দেখতে চাই।

আমি একদিন রাগ করছি, তুই নিচে বসে আমাকে মানাচ্ছিস। এক হাত দিয়ে আমার গাল টেনে ধরে বসে আছিস আমার হাঁটুর কাছে।
এত আদরে রেখে আজকে কেমন দেশের হয়ে গেলি!
#শহীদ #শেষকথা

🚫শেক্সপিয়র  বলেছিলেন , "একজন ছেলে কখনো একজন মেয়ের বন্ধু হতে পারে না, কারণ এখানে  আবেগ আছে , দৈহিক আকাঙ্খা আছে । "একই ক...
29/07/2024

🚫শেক্সপিয়র বলেছিলেন , "একজন ছেলে কখনো একজন মেয়ের বন্ধু হতে পারে না, কারণ এখানে আবেগ আছে , দৈহিক আকাঙ্খা আছে । "একই কথা বলেছেন আইরিশ কবি Oscar Wilde. "নারী এবং পুরুষের মাঝে কেবলই বন্ধুত্বের সম্পর্ক থাকা অসম্ভব । যা থাকতে পারে তা হলো আকাঙ্খা, দুর্বলতা, ঘৃণা কিংবা ভালোবাসা।"
---
হুমায়ূন আহমেদ বলেছিলেন , "ছেলে আর মেয়ে বন্ধু হতে পারে কিন্ত তারা অবশ্যই প্রেমে পড়বে । হয়তো খুবই অল্প সময়ের জন্য অথবা ভুল সময়ে । কিংবা খুবই দেরিতে , আর না হয় সব সময়ের জন্য । তবে প্রেমে তারা পড়বেই ।"
---
সত্যি বলতে, ছেলে ও মেয়েতে শুধুমাত্র বন্ধুত্ব অসম্ভব ও প্রকৃতি বিরুদ্ধ । কেননা শুধুমাত্র বন্ধুত্ব হলে প্রকৃতি নিজের অস্তিত্ব হারাবে। চুম্বক আর লোহা কখনো পাশাপাশি থাকতে পারে না। আকৃষ্ট করবেই। যদি কেউ তা এড়িয়ে যায় তবে সে ভণ্ডামি করছে নয়তো ধোঁকা দিচ্ছে ।
আগুনের পাশে মোম গলবেই। ছেলে ও মেয়ে বন্ধুত্ব হতে পারে , কিন্তু একসময় প্রেমে বা অবৈধ সম্পর্কে রুপ নিবেই। আর এটাই স্বাভাবিক।

৬ বছর প্রবাস জীবন পার করার পর যখন দেশে ফিরলাম তখন বাবা মা খুব করে চাইলেন আমি যেন বিয়ে করি। আমিও ভেবে দেখলাম বয়স তো কম হল...
27/06/2024

৬ বছর প্রবাস জীবন পার করার পর যখন দেশে ফিরলাম তখন বাবা মা খুব করে চাইলেন আমি যেন বিয়ে করি। আমিও ভেবে দেখলাম বয়স তো কম হলো না। তাই বিয়ে করার জন্য রাজি হলাম।
আমার খালাতো ভাই সুজনকে সাথে নিয়ে এক জায়গায় মেয়ে দেখতে গেলাম। মেয়ে দেখার আগেই মেয়ের বাবা আমায় বললো,
-” ডুবাইতে তো তোমার রেস্টুরেন্টের ব্যবসা আছে তাই না?”
আমি মুচকি হেসে বললাম,
--বিদেশে রেস্টুরেন্টের ব্যবসা করা অনেক ব্যয়বহুল। নিজে ব্যবসা করার মত এতো টাকা আমার এখনো হয় নি।
মেয়ের বাবা অবাক হয়ে বললো,
-”ঘটক যে বললো তোমার সেখানে নিজের রেস্টুরেন্ট আছে?”
আমি তখন বললাম,
--উনি মিথ্যা বলেছেন।বিদেশে আমার নিজের কোন রেস্টুরেন্ট নেই বরং আমি একটা রেস্টুরেন্টে কাজ করি।
মেয়ের বাবা রাগী চোখে আমার দিকে তাকিয়ে বললো,
-”আমি আমার মেয়েকে কোন কামলার কাছে বিয়ে দিবো না।সাহস কত বড়! বিদেশ গিয়ে কামলাগিরি করে দুইটাকা ইনকাম করেছে বলে আমার মেয়েকে বিয়ে করতে আসছে। তোমরা এখন আসতে পারো।”
আমি চুপচাপ মাথা নিচু করে চলে গেলাম।
বাসায় আসার পর মা আর খালা যখন জিজ্ঞেস করলো মেয়ে কেমন দেখেছি তখন পাশে দাঁড়িয়ে থাকা আমার খালাতো ভাই মুচকি হেসে বললো,
-” মেয়ে দেখার আগেই মেয়ের বাবা পাত্রকে কামলা উপাধি দিয়ে বাসা থেকে বের করে দিয়েছে”
আমি মন মরা হয়ে মাকে বললাম,
--মা, নেক্সট টাইম এত বড়লোক ঘরের মেয়ে না দেখে আমাদের মত নিন্মমধ্যবিত্ত ঘরের মেয়ে দেখো।তাহলে হয়তো এতোটা অপমান করবে না।
খালা তখন আমায় বললো,
-” কামলাকে তো কামলায় বলবে। আমার ছেলের মতো ভালো করে পড়াশোনা করলে আজ বিদেশ গিয়ে কামলা খাটতে হতো না। তুই পরেরবার মেয়ে দেখতে গেলে আর আমার ছেলেকে সাথে নিয়ে যাস না যে। তোর জন্য আমার ঢাকা ভার্সিটিতে পড়ুয়া ছেলে অপমানিত হোক সেটা আমি চাই না”
আমি কিছু না বলে মাথা নিচু করে চুপচাপ নিজের রুমে চলে গেলাম।
কয়েকদিন পর অর্পা নামের একটা মেয়েকে দেখতে যায়। মেয়ে আমার খুব পছন্দ হলে মেয়ের সাথে আমাকে একা কথা বলতে বলে। আমি আর মেয়ে যখন আলাদা রুমে যায় তখন মেয়ে সাথে সাথে দরজা লাগিয়ে আমার দিকে রাগী চোখে তাকিয়ে বললো,
-” আপনাদের মত প্রবাসীদের এই এক সমস্যা। বিদেশে গিয়ে সুইপারের কাজ করবে আর দেশে এসে টাকার ফুটানি দেখিয়ে মধ্যবিত্ত পরিবারের সুন্দরী আর শিক্ষিতা মেয়েকে বিয়ে করতে চাইবে। আপনার টাকা পয়সা দেখে আমার বাবা মা গলে গেলেও আমি গলবো না। আপনি আমায় বিয়ে করলে আমি আমার পছন্দের ছেলের সাথে বিয়ের পরের দিন পালাবো বলে দিলাম।তাছাড়া আপনার সাহস কতবড় নিজে ইন্টার ফেল করা ছেলে হয়ে অনার্সে পড়া মেয়েকে বিয়ে করতে চাইছেন?”
আমি মাথা নিচু করে মেয়ের কাছে হাত জোর করে বললাম,
--আমি জানতাম না আপনি অনার্সে পড়েন। জানলে আমি আসতাম না।দয়া করে আমায় আর অপমান করেন না যে।
এই কথা বলে মেয়ের বাসা থেকে বের হয়ে আসলাম।
রাতে নিজের বাসায় ফিরে এসে দেখি মা, খালা আর খালাতো ভাই সোফাই বসে আছে। মা আমায় দেখে বললো,
-”কিরে, মেয়ে পছন্দ হয়েছে?”
আমি তখন মাকে বললাম,
--শুধু আমার একা পছন্দ হলে তো হবে না। আমাকেও তো মেয়ের পছন্দ হতে হবে। মেয়ে আমার মত ইন্টার ফেল করা প্রবাসী ছেলেকে বিয়ে করতে পারবে না।
এই কথা শুনে মায়ের পাশে বসে থাকা খালা আর খালাতো ভাই হেসে দিলো।হাসতে হাসতে খালাতো ভাই আমায় বললো,
-”তোমার কপালে আর বউ জুটবে না।”
খালা তখন মুখ বাঁকিয়ে বললো,
-”বউ জুটবে কি করে, বিদেশ গিয়ে রেস্টুরেন্টের থালা বাসন ধুলে কি আর বউ পাওয়া যাবে”
আমি সচরাচর বড়দের মুখের উপর কথা বলি না। কিন্ত খালার বারবার অপমান করে কথা বলা আমার সহ্য হচ্ছিলো না। তাই একটু রেগে গিয়েই খালাকে বললাম,
--হার্ট ব্লক হয়ে যখন হাসপাতালে পড়ে ছিলেন তখন এই কামলায় কামলাগিরি করে আপনাদেরকে দুইলাখ টাকা পাঠিয়েছিলো অপারেশনের জন্য। আপনার ছেলের আইফোনের শখ পূরণ করেছিলো এই কামলায় কামলাগিরি করে। আমি জানি এই দেশের মানুষের চোখে আমরা সকল প্রবাসীরা কমলা। তাই দয়া করে বারবার কামলা কামলা বলে সেটা মনে করিয়ে দিতে হবে না
আমার কথা শুনে খালাতো ভাইটা রেগে গিয়ে বললো,
-” দুইলাখ টাকা আর একটা আইফোন দিয়েছো বলে আমার মাকে যা তা বলে অপমান করতে পারো না। সময় হলে তোমার টাকা আর ফোন তোমার মুখে ছুড়ে মারবো।”
আমি আমার খালাতো ভাইকে কিছু না বলে শুধু একটু হাসলাম। পরদিন সকালে মাকে ডেকে বললাম,
--মা, আমি এখন বিয়ে করবো না। আরো কয়েকবছর প্রবাসে কামলাগিরি করে আসি তারপর একেবারে দেশে এসে বিয়ে করবো।
---
-----
৪বছর পরের ঘটনাঃ-
আমি দেশে এসেছি শুনে আমার খালা আর খালাতো ভাই আমার সাথে দেখা করতে এসেছে। খালা আমার দিকে অসহায় দৃষ্টিতে তাকিয়ে বললো,
-” তুই যেখানে জব করিস সেখানে সুজনের একটা কাজের ব্যবস্থাব করে দিতে পারবি। পাস করার পর তিন বছর ধরে বেকার ঘুরছে কোথাও কোন চাকরি পাচ্ছে না।”
আমি হেসে খালাকে বললাম,
--তোমার শিক্ষিত ছেলে বিদেশ গিয়ে কামলাগিরি করবে তোমার খারাপ লাগবে না? পরে তো নিজের ছেলের জন্য বউ খুঁজে পাবে না।
খালা আমার কথা শুনে চুপ হয়ে আছে।আমি তখন খালাতো ভাইটাকে বললাম,
--নিজে যখন কষ্ট করে টাকা ইনকাম করবি তখন অন্য কারো মুখে টাকা ছুড়ে ফেলবার ইচ্ছে হবে না। খালা আর খালাতো ভাইটা আমার কথা শুনে মাথা নিচু করে আছে। আমি আর কিছু না বলে বাসা থেকে বের হয়ে গেলাম।
একটা বিষয়ে পরামর্শের জন্য এক পরিচিত উকিলের কাছে গেলাম। গিয়ে দেখি ঐ আংকেল যার মেয়েকে আমি বিয়ে করতে গিয়ে ছিলাম বলে আমাকে অপমান করে বের করে দিয়েছিলো উনি উলিকের সাথে কথা বলছে।
আংকেল চলে গেলে আমি উকিলকে জিজ্ঞেস করলাম,
--উনি এইখানে এসেছিলো কেন?
উকিল তখন বললো,
-"উনার মেয়ের ডিভোর্সের বিষয় কথা বলতে। অনেক বড় ঘরে মেয়েকে বিয়ে দিয়েছিলো কিন্তু জামাইটা নেশাখোর।মেয়েকে অত্যাচার করে বলে মেয়ে সংসার করতে চাইছে না"
তার কয়েকদিন পর বাসায় বসে খবরের কাগজ পরছি। হঠাৎ একটা লেখা দেখে চোখটা আটকে গেলো।
“স্বামীর পরকীয়ার জের ধরে স্ত্রীর আত্মহত্যা” ফ্যানে ঝুলন্ত লাশটার দিকে তাকিয়ে দেখি মেয়েটা অর্পা। আমি প্রাবাসী দেখে যে মেয়েটা আমায় অপমান করেছিলো।
আমি পত্রিকা বন্ধ করে ভাবতে লাগলাম, দ্য ডেইলি স্টারের একটা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ২০২০ সালে কোরনা মহামারীতেও বাংলাদেশের প্রবাসীরা ২২বিলিয়ন ডলার অর্জন করেছে। অথচ তবুও বাংলাদেশের বেশিভাগ মানুষ প্রবাসীদের কামলার চোখে দেখে। নিজের মেয়েকে নেশাখোর ছেলেদের সাথে বিয়ে দিবে তবুও প্রবাসীদের কাছে বিয়ে দিবে না। বদ চরিত্রের প্রেমিককে বিয়ে করবে তবুও প্রবাসীদের বিয়ে করতে চাইবে না....

Collected....!
#ধন্যবাদ
#গল্প

#স্টোরি
#প্রবাসি
#প্রবাস

 #সিনিয়র আপু যখন বউ ♥ #১ম পর্বসেরকম ভদ্র টাইপের ছেলে আমি না হলেও আমি আমার মতোই। ছোট থেকেই মানে যখন থেকে ভালোবাসা কি জান...
27/06/2024

#সিনিয়র আপু যখন বউ ♥
#১ম পর্ব
সেরকম ভদ্র টাইপের ছেলে আমি না হলেও আমি আমার মতোই। ছোট থেকেই মানে যখন থেকে ভালোবাসা কি জানতে শিখেছি তখন থেকেই মনের মধ্যে একটা স্বপ্ন ছিল যে বড় আপুর সাথে প্রেম করবো। তাই যেখানেই যাই সেখানেই বড় আপু খুজি।
আমার অবশ্য ক্রাশ আছে। সে হলো মিম আপু। ও আপনাদের তো পরিচয় এ দেওয়া হয় নি। আমি হলাম খালেদ ওয়াহেদ জিম । সবাই জিম বলেই ডাকে।এবার অনার্স ফাস্ট ইয়ারে আর মিম এবার থার্ড ইয়ারে।(আমি অনেক ছোট।গল্প একটু মজাদার করার জন্য বড় হয়ে যায়)। তবে ছোট থেকেই আমি তাকে চিনি। মানে আমার বাবার বন্ধুর মেয়ে। সেই খাতিরে যাওয়া আসা চলে দুই বাসার মধ্যে যাওয়া আসা হত। ছোট থেকেই আপুর পিছনে পরে থাকতাম| আপুর অবশ্য সেই রাগ ছিল। আপু দেখতেও খুব সুন্দর ছিল। তাই পিছনে পরে ছিলাম।
একদিন মিম আপুদের বাসা যাই। আপুকে দেখলাম পড়তেছে। তখন আমি টেনে পড়ি আর আপু ইন্টার সেকেন্ড ইয়ারে। তো আপুর কাছে গেলাম..
আমিঃ কি করছো মিম আপু?
মিমঃ লুডু খেলছি। দেখছিস না কি করছি?
আমিঃ ওও পড়ছো।
মিমঃ হ্যা। এখন আমায় বিরক্ত করিস নাতো। যা।
আমিঃ কই বিরক্ত করলাম?
মিমঃ না বললাম।আর কি?
আমিঃ আপু একটা কথা বলতাম।
মিমঃ তারাতাড়ি বলে যা।
আমিঃ না থাক।
মিমঃ কি বলবি বল।
আমিঃ থাক আর না বলি।
মিমঃ বেশি ডং না করে বলে ফেল।
আমিঃ আপু আমি না তোমাকে..
মিমঃ কি আমাকে?
আমিঃ যা আমার লজ্জা করে?
মিমঃ অই তুই না ছেলে। ছেলেদের লজ্জা থাকে না।
আমিঃ থাকে না? ও আচ্ছা এত করে যখন বলছো বলেই ফেলি। আমি তোমাকে ভালোবাসি।
মিমঃ কুত্তা তুই দাড়া। আম্মু আমার ঘরের ঝাড়ু টা কই? বড় বোনকে প্রোপজ করছিস। তোর থেকে আমি তিন বছরের বড়। তুই দাড়া।
মিমঃ না আপু দুই বছরের। আমি এক বছর জাইনি আর এএক বছর পড়েছি।
মিমঃ তাতে কি বড় তো নাকি। আর তুই এখনো এসএসসি পাশ করলি না আর প্রেম। দাড়া তুই তোর অবস্থা আমি খারাপ করবো আজকে।
আমিঃ এতবর হুমকি দিলে তো বিড়াল ও পালাবে আর আমি তো মানুষ
মিমঃ এই কই যাস দাড়া।
আমিঃ আন্টি দেখো না মিম আপু নাকি মারবে।
আন্টিঃ কেনো রে মিম আমার ছেলেটাকে মারতে চাচ্ছিস( আন্টিদের ছেলে নেই তাই আমাকে ছেলের মত ভালোবাসে।)
মিমঃ তুমি জানো জিম কি করছে। ও আমাকে প্রোপজ করছে।
আন্টিঃ কি রে জিম এটা সত্যি?
আমিঃ হ্যা আন্টি। করছি। আমি মিম আপুকে বড় বোনের মতো ভালোবাসি।( ডাহা মিথ্যা)
আন্টিঃ ও৷ এজন্য তুই মারবি?
মিমঃ না মা ওয় মিথ্যা বলছে।
আন্টিঃ অনেক হইছে। এখন গিয়ে পড়তে বস।আর জিম তুই আয় এসে খাওয়া দাওয়া কর।
মিমঃ কিন্তু মা...
আন্টিঃ কোনো কিন্তু না। যা গিয়ে পড়তে বস।
মিমঃ আচ্ছা।
যাওয়ার সময় একটা ফ্লাইং কিস দিলাম। মারতে আসতে লাগলো আর আমি দৌড়ে আন্টির কাছে গেলাম।
এই তো জ্বালানো শুরু হলো আপু কে। মিম আপুকে সময় অসময় এ ভালোবাসি বলতাম। আর আপু রেগে গিয়ে মাঝে মাঝে উত্তম - মাধ্যম দিত। ছোট ছিলাম তো তাই কিছু মনে করতাম না। মনে রাখবেন আঠারো বছরের নিচে সবাই শিশু।
আপু ইন্টারে ভালো ফলাফল করলো আর একটা ভালো ভার্সিটিতে চান্স পেলো। তাই চলে গেলো সেখানে। মজা করতে করতে কখন যে ভালোবেসে ফেলেছি নিজেও জানি না। তাই দুই বছর অনেক কষ্ট করে পড়ে ইন্টার দিলাম। ভালো রেজাল্ট করলাম। আর আপুর ভার্সিটিতেই চান্স নিলাম। ভালো রেজাল্ট থাকায় বেশি কষ্ট ও করতে হয় নি। তাই হয়ে গেলাম ভর্তি। কিন্তু মিম আপু জানে না যে আমি ওখানেই ভর্তি হইছি।
তো গেলাম প্রথম দিন। আমার কয়েকজন বন্ধু ও ওখানে ভর্তি হইছে। তাদের সাথে দেখা করে ক্লাস করতে গেলাম।
ক্লাস করে বের হচ্ছি এমন সময় মিম আপুর সাথে দেখা। আমায় দেখে তো চমকে উঠলো...
মিমঃ তুই এখানে?
আমিঃ কেন চান্স পেতে পারি না?
মিম না তা নয়, তবে হঠাৎ করে তোকে দেখলাম। বলিস নি তো।
আমিঃ বলি নি এমনি।
মিমঃ বাহ্.. ভূলে গেলি?
আমিঃ তোমারে ভুলিবো কেমনে? আমার তো সব জুড়েই তুমি।
মিমঃ আবার শুরু হয়ে গেলি?
আমিঃ তোমার জন্যই তো এখানে আসা।
মিমঃ মার খেতে চাস নাকি?
আমিঃ - তোমার হাতে বিষ ও খেতে পারি মার টা আবার কি।
মিমঃ বাদ দিবি?
আমিঃ আচ্ছা ঠিক আছে।অনেক সময় আছে।
মিমঃ কিসের?
আমিঃ কিছুনা।
মিমঃ আচ্ছা বল আন্টি - আংকেল কেমন আছে?
আমিঃ ইসসস রে নিজের শশুর শাশুরিকে আংকেল আন্টি বলে। কি মাইয়া।( মনে মনে)
মিমঃ কি বললি?
আমিঃ [মনের কথাও শুনতে পায় নাকি?) কিতা কমু আমি। কিছু বলিনি তো।
মিমঃ আমি যে জিজ্ঞাসা করলাম?
আমিঃ ও..! আছে ভালোই।
মিমঃ আচ্ছা। এখানে যেহেতু থাকবি কোনো কিছুর প্রয়োজন হলে বলবি। আর বাদরামি টা একটু কম হলেই চলবে।
আমিঃ (আমি তো তোমার সাথে বাদরামি করার জন্য এখানে এসেছি। খালি দেখতে যাও) আচ্ছা আচ্ছা ঠিক আছে।
মিমঃ আচ্ছা।
এভাবেই শুরু হলো ভার্সিটির যাত্রাপথ আমার। আর তার পিছনেই লেগে থাকা।
চলবে,
(১ম পর্ব দিলাম আপনাদের সাপোর্ট প্রয়োজন।সাপোর্ট করলে ২য় পর্ব দিব।ভালো লাগলে অবশ্যই লাইক-কমেন্ট করে সাথে থাকেন)
#ধন্যবাদ।
#গল্প
#সিনিয়র_আপু
#স্টোরি

বাসর রাতে ঢুকে জানতে পারলাম যার সাথে আমার বিয়ে হয়েছে সে আমার প্রেমিকা নয়, তার জমজ বোন। - মানে? আমিতো তিন্নির কোনো জমজ বো...
26/06/2024

বাসর রাতে ঢুকে জানতে পারলাম যার সাথে আমার বিয়ে হয়েছে সে আমার প্রেমিকা নয়, তার জমজ বোন।
- মানে? আমিতো তিন্নির কোনো জমজ বোনকে চিনিনা। আর ও কোনোদিন বলেও নি তার কোনো বোন আছে আর তিন্নি কোথায়?
- কেনো বলেনি সেটা জানিনা আর সে বিয়ের আগে আরেকজনকে নিয়ে পালিয়ে গেছে।
- মানে কার সাথে পালাবে? ও তো আমাকে ভালোবাসতো।
- সেগুলা আমি জানিনা তবে বিয়েটা আপুর সাথে হয়নি আপনার।
- দাড়াও তিন্নির নাম্বারে কল দিচ্ছি দেখি কার সাথে পালাইছে সে।
- এসব করে কোনো লাভ নেই তার ফোন অফ পাবেন আপনি আমার ফোনের ছবিগুলা দেখুন বুঝতে পারবেন আমরা জমজ বোন।

আদিরা ফোনটা আমার দিকে বাড়িয়ে দিলো।
আমি হাতে নিয়ে দেখলাম দুই বোনের অনেকগুলা ছবি।
মেয়েটা আমেরিকাতে বড় হয়েছে মামার কাছে।
সেগুলার ছবিসহ প্রমানও দিলো।
এবার আরো একটা শক্ত প্রমান পেলাম মেয়েটার ঠোঁটের নিচে তিলটা নেই যেটা তিন্নির ছিলো।

পৃথিবীতে এমন হতভাগা মানুষ কয়টা আছে কে জানে।
চার বছর প্রেম করলাম, বিয়েও ঠিক হলো তার সাথেই কিন্তু সে পালিয়ে গেলো বিয়ে করলাম তার জমজ বোনকে।
কেনো পালালে তিন্নি? আর যদি পালানোরই ছিলো তবে বলে দিতে আমি বিয়ে পর্যন্ত আসতামই না।
মনের ভিতর হাহাকার আর কষ্টের কারনটা না হলেও পারতে।
আজকের রাতটা নিয়ে কত স্বপ্ন দেখিয়েছিলে মনে আছে?
তুমিই যেনো পাশে বসে আছো, দেখতেও একিরকম শুধু মানুষ দুইটা।
কিভাবে মনকে বুঝাবো?

যত সহজে বলা হচ্ছে পরিস্থিতির কথা সত্যিই কি ততটাই সহজ?
সেই মানুষটার মতো একই রকম দেখতে একটা মেয়েকে নিয়েই কাটাতে হবে সারাজীবন অথচ তাকে কোনোদিন তিন্নি বলে ডাকতে পারবোনা।

মেয়েটার দিকে তাকালাম।
দুজনের মধ্যে একটু পার্থক্য তো আছেই।
এই মেয়েটার নাম আদিরা না হয়ে হতে পারতো মিন্নি।
আমি মিন্নি ডাকতে গিয়ে ভুল করে তিন্নি ডাকতে পারতাম কিন্তু আদিরাকে কিভাবে তিন্নি ডাকবো?
সেটা তো ইচ্ছাকৃত হয়ে যাবে।

আদিরা মেয়েটা তিন্নির চাইতে একটু ফর্সা, না একটু না বেশ অনেকটাই।
আমেরিকায় থাকার কারনে এই পরিবর্তন।

- আপনি কিছু ভাবছেন?(আদিরা)
- হ্যা ভাবছিলাম।(আমি)
- কি ভাবছেন?(আদিরা)
- আপনি রাজি এই বিয়েতে?(আমি)
- হ্যা।(আদিরা)
- কোনো বয়ফ্রেন্ড ছিলোনা আপনার?(আমি)
- ছিলো।(আদিরা)
- তার কি হয়েছে?(আমি)
- সে দুবছর আগেই আরেকটা মেয়েকে বিয়ে করে ফেলেছে।(আদিরা)
- ওহ আচ্ছা।(আমি)
- হিহিহি। আমার বয়ফ্রেন্ড ছিলোনা।(আদিরা)
- আমেরিকাতে ছিলেন আর কোনো বয়ফ্রেন্ড ছিলোনা?
- কেনো আমেরিকা থাকলে বয়ফ্রেন্ড থাকা আবশ্যক নাকি?
- না তা নয় তবে না থাকাটা কিছুটা অস্বাভাবিক।
- আমি ওসবের টাইম পাইনি। পড়ালেখা নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম।
- লাভ কি হলো? সেইতো বিয়ে করে এখন বাড়িঘর সামলাতে হবে।
- একটা কথা আগেই বলে দেই?
- বলুন।
- আপু পালিয়েছে বলে কিন্তু আপনি বলতে পারবেন না তুমি বিছানায় ঘুমাও আমি সোফায় ঘুমাবো।
আপনি আমার সাথেই ঘুমাবেন। সময় নিন। শারীরিক সম্পর্ক দরকার নেই তবে ভালোবাসতে মানা করবেন না।

মেয়েটার কথায় কিছুটা অবাক না হয়ে পারলাম না।
তবুও বললাম,
- আচ্ছা।

সে এখন আমার বউ। আমার যেমন তার ওপর অধিকার আছে তেমন তারও আমার ওপর পূর্ন অধিকার আছে।
তিন্নি তো আরেকজনকে নিয়ে পালাইছে আমি কেনো এই মেয়েটাকে কষ্ট দিবো?

মেয়েটার দিকে ভালোভাবে তাকিয়ে বুঝতে পারলাম মেয়েটা মেকআপ করেনি।
কৌতুহল হলো কেনো করেনি?

- আপনি সাঁজগোছ করেননি কেনো?
- সময় কই? আব্বু এসে বললো তোর বোন পালিয়ে গেছে মান সম্মান বাঁচাতে হলে আমাকে এই বিয়েটা করতে হবে। আর এমনিতেও আমার মেকআপ করতে ভালোলাগেনা। চামড়ার ওপর সাদা একটা আস্তরনে নিজের আসল সৌন্দর্য ঢেকে কেনো রাখবো? হই কালো বা ফর্সা।

- তা খারাপ বলেন নি।
- আপনি আমাকে তুমি করে বলতে পারেন।
- সময় লাগবে। আপনার বোনকেই আমি রিলেশন হবার ৬ মাস পর তুমি বলছি।
- আপনাদের প্রেম কাহিনিটা বলবেন? আমার খুব শুনতে ইচ্ছে করছে।

বাসর রাতে বউকে প্রেম কাহিনি শুনাতে হবে যেই কাহিনিতে নায়িকা তার আপন বোন।
কি আর করার প্রেম কাহিনি শুনিয়ে রাত শেষ করি।
আমি বলতে শুরু করলাম,
- লাস্ট ইয়ারে যখন পরিক্ষা দিলাম তখন আপনার বোনের সাথে দেখা।
পাশাপাশি সিট পড়েছিলো আমাদের।
ফার্স্ট আর লাস্ট দুই সেমিষ্টারের পরিক্ষা একসাথে।
সেই পরিক্ষায় আমি খারাপ করি কারন তিন্নি।
সেই যে তাকিয়েছিলাম তার দিকে।
আমি পাশ মার্ক তুলে আর কিছু লিখতে পারিনি।
পুরো তিনটা ঘন্টা তার দিকে তাকিয়ে ছিলাম।

এরপর খোঁজখবর নিলাম।
স্বাভাবিক ভাবেই প্রোপোস করলাম সে রাজি হলোনা।
এরপর সেমিষ্টারের শেষ দিন পর্যন্ত তার পিছু ঘুরেছি।
একদিন সে রিক্সা নিয়ে যাচ্ছিলো আমি রাস্তায় এক্সিডেন্ট করি।
কারনটা আপনার বোন।
সেদিন সে নীল শাড়ি পড়েছিলো।
কপালে টিপ, হাতে কাচের চুড়ি ঠোটে হালকা লিপস্টিক।
শুধু বাকি ছিলো খোঁপায় বেলিফুলের মালা।
আমি বেলিফুলের মালা আনতে গিয়েই বাইক এক্সিডেন্ট করি।
হাত পায়ে কেটে গেছিলো গুরুতর কিছু না হলেও আঘাত পেয়েছিলাম ভালোই। সাদা বেলিফুলগুলা রক্তে লাল হয়ে গেছিলো। ভালোই লাগছিলো দেখতে, অন্যরকম জিনিস সবারই ভালোলাগে।
আমি বেলিফুলের মালা নিয়ে সেই জায়গায় গিয়ে দেখলাম সে নেই।
জ্যাম ছুটেছে, রিক্সা চলে গেছে।
আমি আমার রুমে কোনোদিন একটা পুরাতন জিনিসও রাখিনি কিন্তু সেই রক্তমাখা বেলিফুলের মালাটা আমার কাছে এখনও বেশ যত্নেই আছে।
শুকিয়ে কালো হয়ে গেছে, নিষ্প্রান, নির্জীব।
তবুও যত্নে রেখেছি আজ দেওয়ার কথা ছিলো।

এরপরও সে আমাকে ভালবাসি বলেনি।
সেদিন কাঁঠফাটা রোদ।
রোদের তাপে ঘেমে একাকার হয়ে গেছি।
মনে হচ্ছিলো গোসল করে এসেছি কেবল।
গরম পানি এখনো গায়ে লেগে আছে।

তিন্নিকে দেখলাম সেও ঘামছে।
শরিরের ভাজগুলা বুঝা যাচ্ছে। ঘামের কারনে ফুটে উঠেছে দেহের কিছু অংশ। সে আইসক্রিম খাচ্ছে।
আমি তাকে রিক্সা ডেকে দিলাম বললাম কোথাও নামবেন না বাসায় গিয়ে গোসল করে নিবেন আর একটু ঢিলেঢালা পোশাক পড়বেন।
তিন্নি চলে গেছিলো সেদিনও ভালবাসি বলেনি।
এরপর আরেকদিন দেখা হয়েছিলো,
সেদিন আমাদের বিদায় অনুষ্ঠান ছিলো,
সে আসলো এসে বললো,
- ভাইয়া অভিনন্দন। আপনাকে খুব মিস করবো চলে যাবেন আমাদের ছেড়ে।

আমি বোকার মতো বলেছিলাম তুমি বললেই থেকে যাবো।
ওগুলা নিয়ে সে কি হাসাহাসি।
এরপর দুমাস দেখা হয়নি। আমি ধরেই নিয়েছিলাম
আমার প্রেম অপূর্ন থেকে যাবে।
হঠাৎ করেই তিন্নির সাথে সেদিন দেখা হয়ে যায়।
রাস্তায় বাচ্চাদের সাথে ক্রিকেট খেলছিলাম আমি।
হঠাৎ সে ডাকে,
- এই বাচ্চা শুনেন।
আমি তাকিয়ে দেখি তিন্নি।
সে আমার হাতে একটা চিঠি গুঁজে দিয়ে বলেছিলো ভালবাসি।
সেদিনই প্রথমবার ভালবাসি বলে সে।
এরপর শুরু হয় প্রেম, প্রেমের সময় কি কি হয় সেগুলা নাহয় নাই বললাম আপনার অজানা নয় এগুলা তবে অনৈতিক কোনো দাবি কখনোই আমার ছিলোনা।
কথাগুলা বলতে বলতে চোখ ভিজে গেছে বুঝতে পারছি হয়তো আদিরাও বুঝতে পারছে।
- খুব ভালোবাসতেন আপুকে তাইনা?
খেয়াল করলাম তার চোখেও পানি।
আমি কি মানুষকে এত সহজেই কাঁদাতে পারি নাকি?

সে আবার বললো,
- বেলিফুলের মালাটা আমাকে দিবেন?
- কেনো?

এরপর সে যা বললো তার জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না।

চলবে...

বেশি বেশি লাইক কমেন্ট শেয়ার করলে গল্পটা তাড়াতাড়ি দিব

গল্পঃ #বেলিফুল

Part _ ০১

স্বামী হিসেবে আমার এখন কি করা উচিৎ? -৪ বছরের রিলেশনের পর বিয়ে হয়েছিল আমাদের। দুই বছর যেতে না যেতেই আমাদের ডিভোর্সের ব্যা...
18/06/2024

স্বামী হিসেবে আমার এখন কি করা উচিৎ?
-৪ বছরের রিলেশনের পর বিয়ে হয়েছিল আমাদের। দুই বছর যেতে না যেতেই আমাদের ডিভোর্সের ব্যাপারে কথা চলছে।

ডিভোর্সের কারণ তার ছেলে বেস্ট ফ্রেন্ড। বিয়ের আগে থেকে ওর বেস্ট ফ্রেন্ডকে আমি পজিটিভই নিতাম। বিয়ের পর একবছর পর্যন্তও পজিটিভ ছিল আমার কাছে। সবাই বলেনা যে ছেলে মেয়ে কখনো বেস্ট ফ্রেন্ড হতে পারেনা। যেটা হয় সেটা লুচ্চামি। আমি এটা আগে বিশ্বাস করতামনা। কিন্তু এখন…
ওর আমি অনেক কেয়ার নিতাম, সম্মান করতাম, জীবনের থেকেও ভালোবাসতাম। সেজন্যই সে আমারে বিয়ে করেছে।

আমি চাকুরী করি একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে আর সে চাকুরী করে নার্সিং জবে একটা হাসপাতালে (সিক্রেট রাখলাম নাম)। তার বেস্ট ফ্রেন্ডকে নিয়ে আমি জেলাস হতামই মাঝে মাঝে। যখন দেখতাম ওরে নিয়ে সে পোস্ট দিতো, আমার কাছে প্রসংশা করতো। আমি একদিন সরাসরি বলছিলাম তোমার বেস্টফ্রেন্ড এর সাথে মেলামেশা আমার পছন্দ না। এসব নিয়ে ঝগড়া করে আমার সাথে যোগাযোগ ছিলোনা একমাস প্রায়। সে এমনভাবে তার ফ্রেন্ডকে নিয়ে বলতো যেন সে ফেরেশতা। ঝগড়ার পর অনেক রিকুয়েস্টের পর সব ঠিক হয়। মাঝে মাঝে তার বেস্ট ফ্রেন্ডের সাথে বাইকে ঘুরতে যেত এসব অবশ্য শেয়ারও করতো ডে পোস্টে। আমি ভাবছি যা করুক করুক। বিয়ের পর ঠিক করে নেবো। ওর বেস্ট ফ্রেন্ড আবার ওর কলেজ ফ্রেন্ড ছিলো। এখন জবও করে একসাথে।

বিয়ের আগে একবার সে নার্সিং পরীক্ষার জন্য ঢাকায় গিয়েছিল। আমি বললাম কার সাথে যাচ্ছো। বলছিল তার বান্ধবীদের সাথে। তারপর অনেকদিনপর দেখতে পারি তার ফ্রেন্ডের একটি পিক ওর মেসেঞ্জারে। যেখানে সে ছেলের কাধে মাথা রেখে শুয়ে আছে ট্রেনে, কেবিনে কোলে শুয়ে আছে। এসব দেখে আমার পায়ের নিচে মাটি ছিলোনা বুঝতেছিলাম। তর্ক করছিলো মাথা কাধে রেখে, কোলে রেখে গেছে তো কি হইছে। আমাকে লজিক দেখাইলো ঘুম চলে আসায় এমনটা হতেই পারে পারে ব্লা ব্লা। তো আমি বললমাম তাহলে ঔসময় আমাকে মিথ্যা বলছিলা কেন বান্ধবীর সাথে যাচ্ছো। পরে সে স্বীকার করলো আর মাফ চাইলো আর এমন হবেনা। অনেক ভুল করছে ব্লা ব্লা। তারপর অনেক কিছুর পর বিয়ে হলো আমাদের। এখানে একটা ভালো লাগার ব্যাপার আছে। ওর ইচ্ছে ছিল খুব কম টাকায় কাবিন করে বিয়ে করবে।

আমাদের দুজনের পরিবারই স্বাবলম্বী। কেউ থেকে কেউ কম না। তার কথাতেই এক লাখ টাকার নগদ কাবিনে আমাদের বিয়ে হলো। ওর ভালো দিকগুলোর শেষ নাই। একটাই সমস্যা ওর বেস্ট ফ্রেন্ড নিয়ে। ওর ফ্রেন্ডদের সাথে চলাফেরা আমার পছন্দ হয়না। সেজন্য আমাকে টক্সিক বলে, বলে আমি নাকি আপডেটেড না। 😅
জীবনে আমি ওর কোন কিছুর অভাব রাখিনি। অনেক ভালোবাসতাম। সে আমার খুব সখের, খুব প্রিয় মানুষ। তাই সবকিছু সহ্য করে মেনে নিয়ে চলতাম। ওর সাথে থাকলেই দুনিয়ার সব ভুলে যেতাম। কোনকিছু আর মনেই থাকতোনা। কিন্তু ১৫ দিনের মধ্যে দুটো ঘটনার কারণে আজ আমরা আলাদা হওয়ার পথে। ডিভোর্সের কথাবার্তা চলতেছে। ঘটনা দুটোই ওর বেস্ট ফ্রেন্ড নিয়ে। ওর ফ্রেন্ড ওরে কি গিফ্ট করছে জানেন? একটি ঘরি, ফেমিনিন ওয়াশ, পিংক লেডি সিক্রেট সোপ, ব্রা, প্যা*ডস। মানে ব্যাপারটা কেমন লাগবে একমাত্র আমার মত ছেলেরা বুঝবে। শুধু কল্পনা করুন আপনার বউকে তার ফ্রেন্ড এসব গিফট করেছে আর আপনি কি করতেন তখন। এসব নিয়ে অনেক ঝগড়া হইছে। সে বলে এসব দেওয়ায় কি এমন হইলো। এই কথা বলায় আমি হাত দিয়ে আ*য়না ভে* ঙে ফেলি। তারপর সে ঠান্ডা হলো আর সিদ্ধান্ত নিলো এগুলো ফেরত দিয়ে দিবে। বেশদিন হয়ে গেলো ফেরত দেয়নি। পরে আমি সব ফেলে দিছি। তাকে বুঝিয়ে বলছি ওর ফ্রেন্ডের সাথে যেন কোন যোগাযোগ না রাখে। অনেক বুঝিয়েছি। বলছে আর রাখবেনা। আমি বলছিলাম যদি দেখি তাহলে খবর আছে। সে সাথে সাথে চেইত্যা বলে কি খবর করবা? তালাক দিবা? সে বলে, ১০ লাখ কাবিন ডিজার্ব করি আর মাত্র ১ লাখে বিয়ে বসছি দেইখা তুমি স্বস্তা মনে করো আমাকে। আমি অবাক হয়ে গেলাম। কই থেকে কি বলে। শুধু একটাই বলছি আমাকে হারাবা সারাজীবনের জন্য আমার অবাধ্য হইলে। সে ও চুপ হয়ে যায়। চলতে লাগলো সুন্দরভাবেই। তার কয়েকদিন পর ওর বান্ধবীর বিয়েতে যায় সে। সেখানে আমি যাই বিয়ের দিন । সে একদিন আগে গেছে। ওর বান্ধবীর ভাইয়ের সাথে পরিচয়ে ফেবুতে যুক্ত হওয়া হয় আমার। বিয়েতে ওর ফ্রেন্ডরে দেখছিলাম। আমার বউকে দেখছি তাকে এড়িয়ে চলতে।

বিয়ে থেকে আসার বেশ কয়েকদিন পরে বউয়ের বান্ধবীর ভাইয়ের আইডিতে গায়ে হলুদের একটা ভিডিও পাই। ভিডিওতে দেখতে পাই আমার বউকে পেছন থেকে পেটে টাইট করে জড়িয়ে ধরে শুন্যে রেখে গ*লায় আর মুখে হলুদ লাগাচ্ছে তার বেস্ট ফ্রেন্ড। অনেক ধৈর্য্য ধরে চুপ থেকে বাসায় যেয়ে ওর ফোন নেই জোর করে। বলে কি হইছে। বলছি চুপ করে দেখো। তারপর ওর ফ্রেন্ডরে ওর আইডি থেকে এই ভিডিওর লিং*ক দিয়ে বলি দোস্ত অনেক মজা হইছে ঐদিন তাইনা। সে বলে, দিনটা ভুলার মত না। তোর জামাই তো তোরে ঠিকমত খা**তে পারেনা। সাথে লজ্জার ইমোজি দিছে। ভিডিও কল দিছি আর আমাকে দেখেই কে*টে দিছে।

এরপর থেকে যে ঝামেলা হইছে সেটা আর থামেনাই। ডিভোর্সের কথা বলছি আমি। আমারে ঔ ১ লাখ টাকার কথা শুনায়। রাগে বলছি আরো ৪ লাখ ম্যানেজ করে দিয়ে দিবোনে তোমারে। তাহলে ৫ লাখ কাবিন হবে। সেই থেকে মাফ চেয়েই যাচ্ছে। কিন্তু আমি এখন পাথর হয়ে গেছি এসবের জন্য। আর পারতেছিনা। কি সিদ্ধান্ত নিবো বুঝতেও পারছিনা। এক মাস হলো আলাদা হয়ে গেছি। ডিভোর্স দিবো দুই পরিবারই জানে। তারা আলোচনায় বসতে চাইছে অনেকবার। আমি বসিনাই। আমি এখন সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছি। কি করবো বুঝতে পারছিনা।

- নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক


Address

Faridpur, Dhaka
Faridpur
7800

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when সাইলেন্ট ইমোশনヅ 𝐒𝐢𝐥𝐞𝐧𝐭 𝐄𝐦𝐨𝐭𝐢𝐨𝐧 posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Share

Nearby media companies


Other Digital creator in Faridpur

Show All