17/08/2023
হাফেজ নূরুজ্জামান রহ.প্রত্যন্ত অঞ্চলে অজপাড়াগায়ে নিরলসভাবে কোরআনের খেদমত করেছেন সুদীর্ঘ ৫০ বছর। এই ৫০ বছরে হাজারো ফুল ছড়িয়ে দিয়েছেন তিনি দেশে বিদেশ। তারা নিজ নিজ অবস্থান থেকে দ্বীনের সুবাস বিতরণ করে যাচ্ছেন। উস্তাদের স্মৃতিচারণ করে ছাত্রদের পক্ষ থেকে একটি স্মারক গ্রন্থ প্রকাশ করা হয়েছে। আমিও একটি স্মৃতিচারণমূলক লেখা লিখেছি। নিচের লেখাটি স্মারকে ছাপা হয়েছে।
হাফেজ নূরুজ্জামান রহ. : হাফেজদের হারানো সম্পদ
মুফতি ইমরানুল বারী সিরাজী
মফস্বল থেকে আন্তর্জাতিক মানসিকতা সম্পন্ন, ছাত্র গড়ায় সুনিপুণ কারিগরের ভূমিকায় উত্তীর্ণ, ঝরে পড়া ছাত্রদের নিজ সন্তানের মতো গড়ে তোলা বিশ্বমানের হাফেজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, হবিগঞ্জ ও সিলেট অঞ্চলে যার খ্যাতি ‘হরষপুরের হাফেজ সাহেব হুজুর' নামে; তিনি আমাদের শ্রদ্ধাভাজন হাফেজ নূরুজ্জামান রহ. । যিনি একাধারে ছিলেন লেখক, অনুবাদক, গবেষক ও সুসাহিত্যিক। ২৭ মে ২০২৩ (শনিবার) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মহান রবের ডাকে সাড়া দিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন তিনি। তার ইনতেকালে ছাত্র-শিক্ষক, আলেম- উলামা ও সর্বস্তরের মানুষের মাঝে শোকের ছায়া নেমেছে।
শৈশব থেকেই যে নামটির সাথে পরিচয় হাফেজ সাহেব রহ. হুজুরকে আমি শৈশব থেকে চিনি। হরষপুর মাদরাসার হিফজখানাটি ছিল আমাদের বাড়ির পাশের মসজিদে। বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকার অনেক ছাত্র ছিল সেই সময়। সকালবেলা ছাত্রদের তিলাওয়াতে আমাদের ঘুম ভাঙত। তিনি মানুষকে আপন করে নিতে পারতেন। আমার বাবার খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন। সেই সুবাদে তিনি আমাদেরকে খুবই স্নেহ করতেন। হরষপুর মাদরাসার হিফজখানায় হুজুরের রুমে দুটি চৌকি ছিল। একটিতে হাফেজ সাহেব হুজুর বিশ্রাম নিতেন। আরেকটিতে আমার বাবা হরষপুর মাদরাসার বর্তমান মুহতামিম ও শাইখুল হাদীস হজরত মাওলানা সিরাজুল ইসলাম খান সাহেব বিশ্রাম নিতেন। তখনও আমি মাদরাসায় ভর্তি হইনি। স্কুলে পড়াকালেও আব্বা আমাদেরকে মাদরাসায় নিয়ে যেতেন। হাফেজ সাহেব হুজুরের রুমেই বিশ্রাম করতাম। খুবই মুশফিক ও দরদি উস্তাদ ছিলেন। হুজুরের তুলনা হয় না। সাদা মনের মানুষ ছিলেন।
জীবন ও সংগ্রাম। ২৩৬
যে কারণে হাফেজ সাহেব হুজুরের সরাসরি ছাত্র হতে পারিনি আমরা ভাইবোন পাঁচজন। তিন ভাই, দুই বোন। আমি মেজো। আমার একমাত্র খালাতো ভাই হাফেজে কুরআন। আমাদেরও স্বপ্ন ছিল হাফেজে কুরআন হব। হাফেজ সাহেব হুজুরের শাসনের এবং হাফেজ গড়ার ক্ষেত্রে সুনাম-সুখ্যাতি ছিল। আমার বাবা আমাদেরকে হিফজে ভর্তি করেননি। তাঁর ধারণা ছিল আমরা হাফেজ সাহেব হুজুরের শাসন সহ্য করতে পারব না। এ জন্য আমাদের দুই ভাইকে হিফজে ভর্তি করেননি । তবে আমার ছোট ভাইকে হিফজে ভর্তি করিয়েছিলেন। সে হাফেজে কুরআন হয়েছে, আলহামদুলিল্লাহ ।
মেধাবি ছাত্রদেরকে আদর ও স্নেহ করতেন হরষপুর মাদরাসা। একটি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। হরষপুর মাদরাসার হিফজ বিভাগটির সুনাম-সুখ্যাতি পুরো বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়ল। কিতাব বিভাগেরও পড়ার মান ছিল ভালো। ব্রাহ্মণবাড়িয়া এদারায়ে তালিমিয়ার মেধা তালিকায় হরষপুর মাদরাসার ছাত্ররা থাকত নিয়মিত।
১৯৯১ সালে হরষপুর মাদরাসায় কিতাব বিভাগে ভর্তি হলাম। এই সময় আমাদের অন্য হুজুরদের সন্তানেরাও মাদরাসায় পড়তেন । হুজুরদের ছেলেদের মাঝে আমার রেজাল্ট ভালো হতো। ক্লাসে এক নম্বর হতাম। এই কারণে হাফেজ সাহেব হুজুর খুবই আদর ও স্নেহ করতেন আমাকে।
ছাত্ররা শুধুই পড়বে, এই ভাবনাটা ছিল তার
আমার বাবা হরষপুর মাদরাসার শিক্ষকতার পাশাপাশি পোস্টমাস্টারের দায়িত্ব পালন করেন এখনো। হরষপুর পড়ার সময় আব্বাকে পোস্ট অফিসের কাজে সহযোগিতা করতাম। ডিউটি ছিল সকালে এবং বিকালে। অধিকাংশ দিন বিকালে আসর থেকে মাগরিবের সময় আব্বার সাথেই পোস্ট অফিসে থাকতাম। অনেক সময় হাফেজ সাহেব হুজুর আব্বার সাথে দেখা সাক্ষাৎ করতে পোস্ট অফিসে আসতেন। আমাকে পোস্ট অফিসের বাইরে ডেকে নিয়ে খুব কঠোর ভাষায় পোস্ট অফিসে না আসার জন্য বলতেন। আর এটাও বলতেন, পড়াশোনা বেশি বেশি করবা। এখানে এসে সময় নষ্ট করবা না। তুমি এখানে আসবা না । তোমার আব্বা এখানে আসতে বললে, তুমি এড়িয়ে যাইবা। কোনো সময় পোস্ট অফিসে আসবা না । তোমার কাজ শুধু পড়াশোনা করা। তোমাকে ভালো আলেম হতে হবে। তোমার আব্বা আমার মুরুব্বী। এ জন্য তোমার আব্বাকে আমি কথাটি বলতে পারছি না। তুমি ছোট, তাই তোমাকে বললাম। তিনি ভাবতেন ছাত্রদের কাজ একটিই, শুধু পড়াশোনা করা। হাফেজ সাহেব হুজুর হিফজখানার ছাত্রদের তরবিয়তের প্রতি খেয়াল রাখার পাশাপাশি কিতাব বিভাগের ছাত্রদের প্রতি খেয়াল রাখতেন।
২৩৭। জীবন ও সংগ্রাম
পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নিতে পারতেন তিনি
একবার মাদরাসার পুকুরে নামাজের সময় গোসল করাকে কেন্দ্র করে স্টেশনের এক ব্যক্তির সঙ্গে একজন ছাত্রের কিছুটা ঝামেলা হলো। এই সূত্র ধরে কিছু লোক মাদরাসায় এসে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করল। মাদরাসার ছাত্ররা তাদের প্রতিবাদ করলে উভয় পক্ষের মাঝে মারামারি শুরু হয়ে যায়। তখন আমি ছিলাম তাইসির জামাতের ছাত্র। এই কঠিন পরিস্থিতিতে আমাকে ডেকে নিলেন হাফেজ সাহেব হুজুর রহ. এবং গ্রামের ভেতর দিয়ে একটি রাস্তা দেখিয়ে দিয়ে বললেন, তোমার চাচাদেরকে গিয়ে এই পরিস্থিতিটা জানাও। আমি দৌড়াতে দৌড়াতে গেলাম। আমার বড় চাচাকে বিষয়টা জানালাম। সাথে সাথে গ্রামবাসীকে সঙ্গে নিয়ে মাদরাসার স্বার্থে সবাই ঝাঁপিয়ে পড়লেন। দুষ্কৃতকারীরা পালাতে বাধ্য হলো। পরবর্তী সময়ে এলাকাবাসী সালিশের মাধ্যমে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিয়েছিলেন।
শৈশবেই অনেক আলেম সম্পর্কে জেনেছি তাঁর লিখিত বই পড়ে আমি যখন স্কুলে প্রথম শ্রেণি অথবা দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ি, তখন হাফেজ সাহেব হুজুর রহ. ফখরে বাঙ্গাল হজরত মাওলানা তাজুল ইসলাম রহ.-এর জীবনীগ্রন্থ রচনা করেছিলেন। বইটির নাম ছিল ফখরে বাঙ্গাল ও তার সাথীবর্গ। পরে বইটি ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে ছাপা হয়। এই বইটিতে আমার নানার জীবনী আছে । আমার খালুর জীবনী আছে। ভূমিকায় আমার বাবার আলোচনা আছে । বইটি বেশ কয়েকবার পড়েছি সেই শিশুকালেই। ব্রাহ্মণবাড়িয়া এলাকার অনেক বড় বড় আলেমের সম্পর্কে জানার সৌভাগ্য হয়েছে এই বইটি পড়ে।
আমার লেখালেখির অনুপ্রেরণা তিনি
হুজুরের বক্তৃতার উপস্থাপনা ছিল খুবই চমৎকার। লেখালেখির হাত ছিল অসাধারণ। তাঁর সন্তানদেরও লেখালেখির হাত খুবই পাকা। তাঁর বড় ছেলে মাওলানা হাসান জুনাইদ ভাই আমাদের দুই ক্লাস সিনিয়র ছিলেন। তিনি ঢাকা চলে গেলেন পড়াশোনার উদ্দেশ্যে। সেই সময় পত্রিকায় নিয়মিত লেখালেখি করতেন তিনি। লেখাগুলো হুজুর আমাদেরকে দিতেন। আমরাও খুব আগ্রহের সাথে পড়তাম। খুবই ভালো লাগত। আমি যা টুকটাক লেখালেখি করি, এই অনুপ্রেরণাটি পেয়েছি হাফেজ সাহেব হুজুর ও জুনাইদ ভাইদের থেকেই।
তিনি ভালো কাজের মূল্যায়ন করতেন
আমি মাঝে মাঝে দৈনিক যুগান্তর, দৈনিক সমকাল, সাপ্তাহিক মুসলিম জাহান, মাসিক আদর্শ নারী, বাংলা ট্রিবিউন ও মাসিক আল আশরাফসহ বিভিন্ন
জীবন ও সংগ্রাম। ২৩৮
পত্রপত্রিকায় ইসলামি কলাম, প্রবন্ধ ও নিবন্ধ লিখে থাকি । লেখা পত্রপত্রিকায় ছাপলে আমার বাবাকে দিয়ে থাকি সবসময়। তিনি না পড়ে প্রথমে হাফেজ সাহেব হুজুরের কাছে পৌঁছিয়ে দিতেন। তিনি পড়ার পরে আমার বাবা পড়তেন। হাফেজ সাহেব হুজুর পড়ছেন, শুনে মনে মনে অনেক ভয় পেতাম। কী না কী ভুল ধরেন। বাস্তব হচ্ছে বিপরীত, তার সাথে দেখা হলে খুবই উৎসাহ দিতেন। একটি মজার ঘটনা, ভারতের প্রখ্যাত দায়ি মাওলানা কালিম সিদ্দিকীর সম্পাদনায় মাসিক আরমোগান নামে একটি পত্রিকা বের হতো। এই পত্রিকাটির হুবহু বাংলা ভার্সনের ব্যবস্থা করলেন মাকতাবাতুস সালামের স্বত্বাধিকারী মাওলানা আব্দুল আজিজ আজহারী ভাই। আমি ওই পত্রিকাটির অনুবাদের সাথে জড়িত ছিলাম। আরমোগান ম্যাগাজিনের বাংলা ভার্সনটির প্রথম সংখ্যাটি আমার বাবাকে দিলাম । তিনি হাফেজ সাহেব হুজুরকে দিলেন। তিনি মনোযোগ সহকারে পড়লেন। একদিন হরষপুর মাদরাসা অফিসে দেখা হলো। অনেক উস্তাদ উপস্থিত ছিলেন। তাদের সামনে তিনি বললেন, আমি এই পত্রিকাটি পড়ার সময় মনে মনে ভাবলাম, আমাদের ছেলেসন্তানরা যদি এত সুন্দর করে অনুবাদ করত তাহলে অনেক ভালো হতো। পড়তে পড়তে শেষে গিয়ে অনুবাদে দেখি তোমার নাম। এটি দেখে আমার কলিজাটা এত বড় হয়ে গেছে। আমাদের ছেলেরাও পারে। হুজুরের কথাটা ছিল মূলত উৎসাহমূলক। তিনি যে-কোনো ভালো জিনিস পেলে এটার মূল্যায়ন করতেন। একদিন আমাকে বলেন, নবীপত্নীদের জীবনী প্রিয়তমা পড়েছ? আমি আসলে পড়ি নাই, ভাব নিয়েছি মনে হয় পড়েছি। বললাম, এই বইয়ের লেখক সালাউদ্দিন জাহাঙ্গীর। বললাম আপনার ছেলে শাকিলের বন্ধু। হুজুর বললেন, সালাউদ্দিন জাহাঙ্গীর সাহেব বলো। কওমি সন্তানদের মাঝে এত ভালো লেখক তিনি, আমি কল্পনাও করতে পারিনি। অনেক মেহনত করেছেন তিনি। সালাউদ্দিন জাহাঙ্গীর সাহেব খুবই উঁচুমানের লেখক।
ছোটদেরকে অবহেলা করতেন না
১৯৯৯ সালের কথা। হুজুরের সাথে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মুফতী নূরুল্লাহ সাহেব হুজুরের তৃতীয় ছেলে হাফেজ মাওলানা এনায়েতুল্লাহ ভাইজানের বিবাহ- অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম। এনায়েতুল্লাহ ভাইজান হাফেজ সাহেব হুজুরের খুবই আস্থাভাজন ও প্রিয় ছাত্র। আমার বাবারও তিনি খুবই মুহাব্বতের ছাত্র। তিনি দীর্ঘ ৫ বছরের মতো সময় আমাদের বাড়িতে লজিং ছিলেন। সেই হিসেবে তাঁদের পরিবারের সাথে একটি আন্তরিকতাপূর্ণ সম্পর্ক আছে। আব্বার যাওয়ার কথা ছিল, ব্যস্ততার কারণে যেতে পারেননি। তবে হাফেজ সাহেব হুজুরের সাথে আমাকে দিয়ে দিলেন। আমি তখন শরহে জামি জামাতে পড়ি হরষপুর
মাদরাসায় । হুজুরের সাথে গেলাম হরষপুর থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া। রাস্তায় তিনি বিভিন্ন শিক্ষণীয় বিষয় দেখান এবং সেসব বিষয়ে কথা বলেন। মুফতী নূরুল্লাহ সাহেব হুজুরের শিমরাইল কান্দির বাড়িতে গেলাম। ব্রাহ্মণবাড়িয়া মাদরাসার বড় বড় হুজুরগণ উপস্থিত ছিলেন সেখানে। হাফেজ সাহেব হুজুর আমাকে হুজুরের পাশে বসালেন। মুফতী সাহেব হুজুর এলেন, সালাম-মোসাফাহা হলো, বললেন হরষপুরের হুজুর আসেন নাই। তাঁর পরিবর্তনে তাঁর ছেলে এসেছে। তারপর গেলাম তাঁর শ্বশুরবাড়ি সৈয়দাবাদ। হুজুরের সাথের সিটে বসে গেলাম। খাবারের টেবিলে হুজুরের পাশের চেয়ারে আমাকে বসালেন। সত্যিই বড় হয়ে ছোটদের কীভাবে মূল্যায়ন করতে হয়, এটা হাফেজ সাহেব হুজুর খুব খেয়াল রাখতেন।
তিনি ছিলেন দূরদর্শী অভিভাবক
হুজুর অসুস্থ হওয়ার আগে কয়েকটি ঈদের নামাজে আমাদের গ্রাম হরষপুর ঈদগাহে আমার বাবার আমন্ত্রণে তিনি উপস্থিত হয়েছিলেন। আমার বাবা হলেন ঈদগাহের ইমাম। তিনি নামাজ পড়িয়েছিলেন। দ্বিতীয় বছর হাফেজ সাহেব হুজুর বয়ান করেছেন। ইমামতির জন্য আব্বা অনেক পীড়াপীড়ি করেছেন, হুজুর ইমামতি করেননি। ঈদের নামাজের পরে আমাদের ঘরে গেলেন। হালকা নাস্তা করলেন। ঈদগাহের একটি বিষয়ে আমি আব্বার সামনে কঠোর ভাষায় কিছু কথা বললাম। আব্বা কোনো মন্তব্য করেননি। হাফেজ সাহেব হুজুর ছিলেন চুপ। ঈদের ছুটি শেষে ঢাকায় চলে আসব। হরষপুর মাদরাসার অফিসে আমি বসা। হাফেজ সাহেব হুজুর এলেন। আমাকে কয়েকটি নসীহত করলেন। বললেন, নিজেদের মধ্যে কোনো বিষয় নিয়ে মতানৈক্য করবা না। তাহলে তৃতীয় পক্ষ এসে ভেজাল লাগাবে। সুখ-দুঃখ সবকিছু আপনজনদের মধ্যে ভাগাভাগি করতে হবে। তৃতীয় পক্ষকে কোনো সুযোগ দেওয়া যাবে না।
হুজুরের দরদভরা ডাক আর শুনব না
যখনই দেখতেন তখনই ইমরান বলে ডাক দিতেন। মাওলানা হওয়ার পরে যেখানেই দেখতেন মাওলানা ইমরান বলে সম্বোধন করতেন। হুজুরকে দেখলে খুব ভয় লাগত। দরদভরা কণ্ঠে নামটি শুনলে হুজুরের সান্নিধ্যে যেতাম। মন খুলে কথা বলতাম। সেই দিনগুলো আর ফিরে আসবে না।
খতিব, পীর ইয়ামেনী জামে মসজিদ, গুলিস্তান, ঢাকা প্রতিষ্ঠাতা মুহতামিম, মারকাজুশ শাইখ আরশাদ আল মাদানী, মানিকনগর, ঢাকা