30/06/2020
⭕একটি বিশেষ ঘটনা, ∞∞ কে কেন্দ্র করে আজকের পোস্ট
👳আমার বন্ধু হৃদয়, তার প্রিয় একজন স্যারের কাছ থেকে যান্তে পারলো যে মুসলিমরা প্রতিকৃতিকে নাকি বেশ সম্মান করে কিন্তু অন্য ধর্মের কেউ প্রতিকৃতি কে সম্মান তথা পুজা করলে নিষেদ করে,
যাইহোক ঘটনাটা অনেকদিনের পুরনো সবটা সেও বলেনি আমিও মনে রাখিনি, কিন্তু হঠাৎ করে খেল হলো কথাটা, কারন উদাহরন সওরুপ আমাকে আল্লাহর নামটা সুনিয়েছে
💕 হৃদয়ের কথা অনুযায়ি আমরা অর্থাৎ মুসলিমরা নাকি মুর্তি পুজা না করলেও, পুর্তিকে সম্মান না করলেও আরবি লেখাকে সম্মান করি, আচ্ছা মানলাম ওর কথার যুক্তি আছে, কারন আমরা আসলেই আরবি লেখাকে অন্য রকম করে দেখি, আমরা মনে করি আরবি লেখা পবিত্র অার বাকি লেখাগুলো ততটা পবিত্র না। কিন্তু এটা ভুল, কারন সব লেখা মানে ভাষা বর্নই পবিত্র,
💘 যাই হোক, আসল কথা সুনুন, আমরা আরবিতে আল্লাহু লেখাটা অনেক সম্মান করি তার মানে এইনা যে আমরা এই লেখাটার ইবাদাত করি লেখার প্রশংসা করি,।।। আমরা এই লেখা তথা নামের যিনি অধিকারি তাকেই আমরা সম্মান, শ্রদ্বা, ইবাদাত প্রশংসা করি।
❤ এবার আসুন বাংলাতে, আগেবাগে ক্ষমা চাই, বুঝানোর জন্য বলা হচ্ছে কিন্তু,
•••• আপনি যেই হোন না কেনো, বাংলাতে আল্লাহ লেখাটা কোনো অপবিত্র স্থানে বা পায়ে, বা এমন নোংরা কোথাও রাখতে চাইবেন কি?, কখনো না, কারন এটা হোক বাংলা লেখা, এটা কাকে নির্নয় করতেছে সেটা বড় কথা, আল্লাহু যখন বলা হয় বা God যখন বলা হয় তখন কাকে বুঝানো হয়, সেটাই হলো মুল মাখছাত,
এখানে আল্লাহু যে ভাষাই লেখা হোকনা কেনো সে লেখাটার সম্মান বেড়ে আকাশ চুম্বি হয়ে যায়, কারন লেখাটা সৃষ্টি কর্তা বা সম্মানিত কারো নাম, ইত্যাদি ইত্যাদি, সুধু আরবিকে সম্মান করিনা আমরা মুসলিমরা। আমরা সকল ভাষা বর্নকে সম্মান করি,
😷 আবুজেহেলের নাম যতই আরবিতে লেখা হোকনা কেনো তাকে কেউ সম্মান করবে না লেখাটাকেও না, এখানেই প্রমানিতো যে, লেখা আরবি হলেও সম্মান পায়না পায় ব্যাক্তি পরিচয়ে,।
💖💖 এবার আসুন মুর্তি বা প্রতিকৃতি, বা প্রতিচ্ছবি, ও লেখার প্রতিচ্ছবিতে,
প্রশ্ন যদি এমন হয়, যে মুসলিমরা যদি যেকোনো লেখাকে সম্মান করতে পারে ব্যাক্তি পরিচয়ের কারনে, তাহলে আমরা অন্য ধর্মের লোকেরা কেনো মুর্তিকে সম্মান বা পুজা করতে পারবো না ব্যাক্তি পরিচয়ে
👉 ১মপ্রথমত খেয়াল করবেন আপনার ধর্ম গ্রন্থের দিকে, সেখানে স্পষ্ট বলা আছে, সৃষ্টি কর্তার পুজা করা বা এবাদাত করতে হবে, যেটা মুসলিম ব্যাতিত কেউ করে না, অন্য ধর্মের মানুষ সৃস্টি কর্তার পুজা বাদ দিয়ে দেবতা বা নবিদের পুজা করে থাকে,
✔২য়, পৃথিবীর কোনো মানুষ এখনো সৃষ্টি কর্তার অভয়ব দেখেনি, তাই তিনি নিজেকে নিরাকার বলে থাকেন, আর সকল ধর্মের ধর্ম গ্রন্থ বলে যে, সৃষ্টি কর্তার আকার কেউ যানে না, সুতরাং আমরা কখনই মুর্তি বানাতে পারি না সৃষ্টিকর্তা কে না দেখে,
৩য় ◑ আমরা মুসলিমরা কোনো লেখাকে পুজা করিনা, বা এবাদাত করিনা, আমরা সরাসরি তাকেই সেজদা এবং রুকু করি,, আর লেখাকে সম্মান এ জন্যই করি লেখাটা আমাদের কাছে প্রকাশ মান,, দেখা যায় ছোয়া যায়, আর এটা সৃস্টি কর্তার পক্ষ থেকে অনুমদনকৃত,
✪✪ আপনাদের কি মাথায় কিছু ডুকেছে, না বুঝলে আমি দুঃখিত, inbox করতে পারবেন সমস্যা নেই,
বানানের ভুল ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন
জাজাকাল্লাহ
©মেহেদী হাসান