Mehedi vlog

Mehedi vlog ভাগ্যকেই মেনে নিতে হয়।

I have reached 500 followers! Thank you for your continued support. I could not have done it without each of you. 🙏🤗🎉
20/03/2023

I have reached 500 followers! Thank you for your continued support. I could not have done it without each of you. 🙏🤗🎉

বিঃদ্রঃ, একদম সাবলিল ভাষায় লিখা, (ফাতু তুই ও তর বান্দবিদের  জন্য সুন্দর পোস্ট) + নিজের জন্যও~~"সারাহর নীড়ে ফেরাঃ"বোন সার...
01/07/2020

বিঃদ্রঃ, একদম সাবলিল ভাষায় লিখা, (ফাতু তুই ও তর বান্দবিদের জন্য সুন্দর পোস্ট) + নিজের জন্যও

~~"সারাহর নীড়ে ফেরাঃ"
বোন সারাহ।
তার তাওবার ঘটনা বর্ণনা করেছেন ইজিপশিয়ান দা'য়ী আমর খালিদ।
তিনি বলেন, "তিন দিন আগে আমার কাছে অস্ট্রেলিয়া থেকে এক তরুনীর ইমেইল আসে।
সেই ইমেইলটি হুবহু তুলে ধরছিঃ-
"আমি একজন লেবানীজ, লেবাননে আমার জন্ম।
আমার বাবা ছিল একজন মুসলিম আর মা ছিল খ্রিস্টান।
জীবনের প্রথম দশ বছর লেবাননে কেটেছে, সেখানেই বেড়ে ওঠা।
এরপর সপরিবারে মাইগ্রেট করে অস্ট্রেলিয়াতে চলে আসি।
এখানে আসার পর মিডলইস্টের সাথে আমার যোগাযোগ একদম বিছিন্ন হয়ে যায়।
বর্তমানে আমার বয়স বাইশ বছর। অস্ট্রেলিয়াতে আসার পর আমার দ্বীনের সাথে সম্পৃক্ততাও সম্পূর্ণরুপে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
শুধুমাত্র আমার নামের সাথে মুসলিমাহ শব্দটি অটুট থাকে।
আমি জানিনা ক্বুরআন দেখতে কেমন?
আমি জানিনা কিভাবে সলাত পড়তে হয়।
এমনকি ধর্ম-কর্ম আমার জীবনে তেমন কোন প্রভাব ফেলেনা।
আমার বাবা মা আলাদা হয়ে গেছেন।
তারা প্রত্যেকেই অন্যত্র বিয়ে করেছেন।
আমি ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হই, আমার বাবা-মা আমাকে একা ফেলে অস্ট্রেলিয়া ছেড়ে চলে যান।
আমার মাথা গোঁজার কোন ঠাঁই নেই, না আছে ভাই, না আছে বোন।
লেবাননে গিয়ে থাকার মতও আমার তেমন কেউ নেই।
উপায়ান্তর না দেখে আমি অস্ট্রেলিয়াতেই থাকলাম, নিজে চলাচলের জন্য একটা চাকরি জুগিয়ে নিলাম।
সকালে ইউনিভার্সিটিতে যেতাম আর বিকালে মদের বারে কাজ করতাম।
আমার একটা বয়ফ্রেন্ড ছিল, তার আর আমার মধ্যে এমন কোন হারাম সম্পর্ক নেই যা ছিলনা।
আমার রক্তে পশ্চিমা সভ্যতা মিলেমিশে একাকার হয়ে গিয়েছিল।
আমি হাল্কা পাতলা আরবী জানি।
আর আমার সৌন্দর্য ছিল চোখে পড়ার মত, আমি নিউজিল্যান্ডের এক সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় আমার নাম লিখাই আর সেই কম্পিটিশনে বিজয়ী হই।
সামনে এর চাইতে বড় এক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার ইচ্ছ আছে।
বর্তমানে বিভিন্ন ম্যাগাজিনে আমি মডেলিং করছি।
এরইমধ্যে অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসরত এক লেবানিজ পরিবারে আমার যাতায়াত শুরু হয়।
সেখানে একদিন টিভিতে রমাদ্বানকেন্দ্রিক এক ইসলামিক অনুষ্ঠান দেখি।
সেই পর্বে "পর্দা ও শালীনতা" নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল।
স্ক্রলে ওয়েবসাইটের ঠিকানা দেখানো হচ্ছিল।
আমার ভিতরে এক ধরনের স্নায়ুযুদ্ধ শুরু হল, আমি একদম ভেঙে পড়লাম।
আমার কাছে মনে হচ্ছিল এই পর্বটা আমাকে ঘিরেই বানানো হয়েছে।
আমাকে কোন এক অজানা বার্তা পৌঁছে দিচ্ছে।
আমি আজ আপনাকে ইমেইল করছি একটি প্রশ্নের উত্তর জানার জন্য, "আল্লাহ কী আমাকে গ্রহণ করবেন, মানে, আল্লাহ কী আমাকে মাফ করবেন?"
সারাহ'র ইমেইল এখানেই শেষ হলো। সুবাহানাল্লাহ!
পাঠক! মানুষের ঈমানের হালত যাই হউক না কেন, তার অন্তর তার রবের দিকেই তাক করা থাকে।
যেমনিভাবে পাকস্থলী খাবারের জন্য ক্ষুধার্ত হয়।
পাখি দূর প্রান্তরে যতই উড়ুক, বেলা শেষে তার ঘরে ফিরেই প্রশান্তি পায়।
ঠিক তেমনিভাবে আমাদের অন্তর আল্লাহর দিকেই ধাবিত হয়।
ইসলামের এই দা'য়ী আমর খালিদ, সারাহ'র ইমেইলের জবাবে তাওবা শর্তসমূহ লিখে নাসিহা পাঠিয়ে দেয়, আল্লাহ অবশ্যই তাকে ক্ষমা করে দিবেন যদি সে তাওবা করে-বলে জানায়।
দুই দিন পরে সারাহ, আমির খালিদের সাথে যোগাযোগ করে।
সে বলে, "আমি আল্লাহর কাছে তাওবা করেছি, আমার বয়ফ্রেন্ডের সাথে সম্পর্কচ্ছেদ করেছি, প্রতিজ্ঞা করেছি তার সাথে আর কোনদিন যোগাযোগ করব না"।
এর দুই দিন পর সে আবার তার সাথে যোগাযোগ করে।
সে বলে, "কিভাবে সলাত আদায় করতে হয়, জানতে চাই"।
আরো দুই দিন পর সে জানতে চায়, "ক্বুর'আন তিলোওয়াত শোনার জন্য তার কয়েকটি অডিও টেপ লাগবে"।
আমর খালিদ কুরিয়ার যোগে কিছু কুর'আনের ক্যাসেট পাঠিয়ে দেয়।
দুই সপ্তাহ পর সে আবারো যোগাযোগ করে আর তাকে জানায়,"নিউজিল্যান্ডের সেই সৌন্দর্য প্রতিযোগিতা থেকে সে তার নাম উঠিয়ে নিয়েছে"।
এরপরের বিষয়টা অবাক করার মত। সারাহ জানায়, "আমি হিজাব পড়া শুরু করে দিয়েছি"।
গল্পের এখানেই শেষ নয়ঃ-
ঠিক এর দুই দিনের মাথায়, (মাত্রই সে পর্দা শুরু করে দিয়েছে) তার শরীরে প্রচন্ড ব্যথা শুরু হয়।
ব্যথা সহ্য করতে না পেরে সে ডাক্তার দেখায়৷
রিপোর্ট আসে তার ব্রেইন ক্যান্সার হয়েছে, সে আর অল্পকিছু দিন বাঁচবে।
অপারেশানের জন্য সে হাসপাতালে ভর্তি হলে অস্ট্রেলিয়ান ডাক্তাররা জানায়, এই রোগে অপারেশনে সফলতার হার মাত্র বিশ শতাংশ (২০%)।
পাঠক! এমন পরিস্থিতিতে সারাহ কী বলেছিল জানেন?
সে বলেছিল, "আমি আনন্দিত আল্লাহর সাথে আমার সাক্ষাৎ হতে যাচ্ছে এই ভেবে, আমি খুশি যে আমার অসুস্থতা ধরা পরার আগেই আমি তাওবা করতে পেরেছি, আমি জানিনা আমার বাবা মা আমার ব্যাপারে জানবেন কীনা, আমি যদি বেঁচে থাকি তাহলে আপনাদের ওয়েবসাইটকে সহযোগিতা করব, কেননা এই সাইটটি আমার জন্য ইসলাম জানার জানালা"।
ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহে রজিউন, আমরা আল্লাহর জন্যই আর আমরা তার দিকের ফিরে যাব।
মহান আল্লাহ সারাহকে ক্ষমা করে দিন যে মাত্র ২২ বছর বয়সে দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছে। তাকে নিউজিল্যান্ডে মুসলিম কবরস্থানে দাফন করা হয়েছিল।
মৃত্যুর আগে সে আমর খালিদকে একটা চিঠি লিখে গিয়েছিলোঃ-
"আমি আমার রব থেকে বাইশটি বছর দূরে থেকেছি, অথচ মাত্র তিন সপ্তাহ আগে আমি তাওবা করে ফিরে এসেছি, আপনাদের আশেপাশে ও ইন্টারনেট ফোরামে কতশত মুসলিম আছে জানিনা, আমার অনুরোধ থাকবে আপনারা আমার জন্য দু'আ করবেন যেন মহান আল্লাহ আমার উপর রহম করেন, আর আমার জীবনের সব গুনাহ ক্ষমা করে দেন। আমার মায়ের জন্য দু'আ করবেন যেন মহান আল্লাহ তাকে হিদায়েত দেন, সে আমার ব্যাপারে কিছুই জানল না।”
ইতি, সারাহ।
প্রিয় পাঠক! কী ভাবছেন আল্লাহ কী তাকে ক্ষমা করবেন, নাকী করবেন না? শুনুন মহান আল্লাহর ওয়াদা, তিনি ইরশাদ করেন,
"তবে যে তাওবা করে, ঈমান আনে ও সৎকাজ করে, ফলে আল্লাহ তাদের গুনাহসমূহ নেকী দ্বারা পরিবর্তন করে দেবেন।
আর আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
আর যে তাওবা করে ও সৎকাজ করে, সে তো সম্পূর্ণরূপে আল্লাহর অভিমুখী।"
[সূরা আল ফুরক্বান, ৭০-৭১]
বইঃ তাওবাহর গল্প
লেখকঃ রাজিব হাসান

⭕একটি বিশেষ ঘটনা, ∞∞ কে কেন্দ্র করে আজকের পোস্ট👳আমার বন্ধু হৃদয়, তার প্রিয় একজন স্যারের কাছ থেকে যান্তে পারলো যে মুসলিমর...
30/06/2020

⭕একটি বিশেষ ঘটনা, ∞∞ কে কেন্দ্র করে আজকের পোস্ট

👳আমার বন্ধু হৃদয়, তার প্রিয় একজন স্যারের কাছ থেকে যান্তে পারলো যে মুসলিমরা প্রতিকৃতিকে নাকি বেশ সম্মান করে কিন্তু অন্য ধর্মের কেউ প্রতিকৃতি কে সম্মান তথা পুজা করলে নিষেদ করে,

যাইহোক ঘটনাটা অনেকদিনের পুরনো সবটা সেও বলেনি আমিও মনে রাখিনি, কিন্তু হঠাৎ করে খেল হলো কথাটা, কারন উদাহরন সওরুপ আমাকে আল্লাহর নামটা সুনিয়েছে

💕 হৃদয়ের কথা অনুযায়ি আমরা অর্থাৎ মুসলিমরা নাকি মুর্তি পুজা না করলেও, পুর্তিকে সম্মান না করলেও আরবি লেখাকে সম্মান করি, আচ্ছা মানলাম ওর কথার যুক্তি আছে, কারন আমরা আসলেই আরবি লেখাকে অন্য রকম করে দেখি, আমরা মনে করি আরবি লেখা পবিত্র অার বাকি লেখাগুলো ততটা পবিত্র না। কিন্তু এটা ভুল, কারন সব লেখা মানে ভাষা বর্নই পবিত্র,

💘 যাই হোক, আসল কথা সুনুন, আমরা আরবিতে আল্লাহু লেখাটা অনেক সম্মান করি তার মানে এইনা যে আমরা এই লেখাটার ইবাদাত করি লেখার প্রশংসা করি,।।। আমরা এই লেখা তথা নামের যিনি অধিকারি তাকেই আমরা সম্মান, শ্রদ্বা, ইবাদাত প্রশংসা করি।

❤ এবার আসুন বাংলাতে, আগেবাগে ক্ষমা চাই, বুঝানোর জন্য বলা হচ্ছে কিন্তু,
•••• আপনি যেই হোন না কেনো, বাংলাতে আল্লাহ লেখাটা কোনো অপবিত্র স্থানে বা পায়ে, বা এমন নোংরা কোথাও রাখতে চাইবেন কি?, কখনো না, কারন এটা হোক বাংলা লেখা, এটা কাকে নির্নয় করতেছে সেটা বড় কথা, আল্লাহু যখন বলা হয় বা God যখন বলা হয় তখন কাকে বুঝানো হয়, সেটাই হলো মুল মাখছাত,

এখানে আল্লাহু যে ভাষাই লেখা হোকনা কেনো সে লেখাটার সম্মান বেড়ে আকাশ চুম্বি হয়ে যায়, কারন লেখাটা সৃষ্টি কর্তা বা সম্মানিত কারো নাম, ইত্যাদি ইত্যাদি, সুধু আরবিকে সম্মান করিনা আমরা মুসলিমরা। আমরা সকল ভাষা বর্নকে সম্মান করি,

😷 আবুজেহেলের নাম যতই আরবিতে লেখা হোকনা কেনো তাকে কেউ সম্মান করবে না লেখাটাকেও না, এখানেই প্রমানিতো যে, লেখা আরবি হলেও সম্মান পায়না পায় ব্যাক্তি পরিচয়ে,।

💖💖 এবার আসুন মুর্তি বা প্রতিকৃতি, বা প্রতিচ্ছবি, ও লেখার প্রতিচ্ছবিতে,
প্রশ্ন যদি এমন হয়, যে মুসলিমরা যদি যেকোনো লেখাকে সম্মান করতে পারে ব্যাক্তি পরিচয়ের কারনে, তাহলে আমরা অন্য ধর্মের লোকেরা কেনো মুর্তিকে সম্মান বা পুজা করতে পারবো না ব্যাক্তি পরিচয়ে

👉 ১মপ্রথমত খেয়াল করবেন আপনার ধর্ম গ্রন্থের দিকে, সেখানে স্পষ্ট বলা আছে, সৃষ্টি কর্তার পুজা করা বা এবাদাত করতে হবে, যেটা মুসলিম ব্যাতিত কেউ করে না, অন্য ধর্মের মানুষ সৃস্টি কর্তার পুজা বাদ দিয়ে দেবতা বা নবিদের পুজা করে থাকে,
✔২য়, পৃথিবীর কোনো মানুষ এখনো সৃষ্টি কর্তার অভয়ব দেখেনি, তাই তিনি নিজেকে নিরাকার বলে থাকেন, আর সকল ধর্মের ধর্ম গ্রন্থ বলে যে, সৃষ্টি কর্তার আকার কেউ যানে না, সুতরাং আমরা কখনই মুর্তি বানাতে পারি না সৃষ্টিকর্তা কে না দেখে,
৩য় ◑ আমরা মুসলিমরা কোনো লেখাকে পুজা করিনা, বা এবাদাত করিনা, আমরা সরাসরি তাকেই সেজদা এবং রুকু করি,, আর লেখাকে সম্মান এ জন্যই করি লেখাটা আমাদের কাছে প্রকাশ মান,, দেখা যায় ছোয়া যায়, আর এটা সৃস্টি কর্তার পক্ষ থেকে অনুমদনকৃত,

✪✪ আপনাদের কি মাথায় কিছু ডুকেছে, না বুঝলে আমি দুঃখিত, inbox করতে পারবেন সমস্যা নেই,

বানানের ভুল ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন
জাজাকাল্লাহ
©মেহেদী হাসান

✪➤  আব্দুল হাদি, বিশিষ্ট সঙ্গিত শিল্পি,তার একটি বিক্ষাত গান, যা হালাল না হলেও বড় হারাম না, তবে বাজনা ছাড়া এটা ইসলামিক গা...
09/06/2020

✪➤ আব্দুল হাদি, বিশিষ্ট সঙ্গিত শিল্পি,

তার একটি বিক্ষাত গান, যা হালাল না হলেও বড় হারাম না, তবে বাজনা ছাড়া এটা ইসলামিক গান হতো, তবুও সময় নিয়ে কবিতার মত পড়েন।

১ম কলি 💞 ☞ আছেন আমার মুক্তার ☞ আছেন আমার বারিস্টার,[২]
☞ সেষ বিচারের হাইকোটেতে তিনি আমায় করবেন পার, ✔,
✔আমি পাপি, তিনি জামিন্দার [৪] তারপর আবার এই কলি ১ বার

➤ মনের ঘরে তালা দিয়া, ➤চাবি লইয়া আছেন সাই, ➤ আমি অধম সাধ্য কি, তার হুকুম ছাড়া বাইরে যাই, হুকুম ছাড়া বাইরে যাই[২] মনুরে ও মনুরে
➤ দুই কান্দের দুই মুহুরি, লিখতে আছেন ডাইরি,,২,,
➤দলিল দেইখা রায় দিবেন, টাকা পয়সার নাই কারবার।
➤ সময় থাকতে, মনা হুসিয়ার + আমি পাপি তিনি জামিন্দার >২<

✪সেদিনের সেই ইস্টিসানে, থাকবে নানান পেসেন্জার, দ্রুত জানে পারহবে সে, টিকিট কাটা আছে যার, টিকিট কাটা আছে যার,_২ মনু রে ও মনুরে
✪ পারা পারের থাকলে তাড়া, সঙ্গে নিও গাড়ি বাড়া*২
✪যবাব দেহি করতে হবে ধরলে টিকিট কালেক্টার, ✪সময় থাকতে মনা হুসিয়ার + আমি পাপি তিনি জামিন্দার★২

রিপিট প্রথম কলি

কথা গুলো কলিজায় লাগে, কি করতেছে মানুষ এটাই বুঝিনা, আল্লাহ ক্ষমা করুক আমিন।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম💕আজ লোহা নিয়ে যে কথা গুলো আপনাদের সাথে সেয়ার করবো তা পুরটা পরতেই হবে👉মুল কেন্দ্রে যাবার আগে ক...
28/05/2020

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

💕আজ লোহা নিয়ে যে কথা গুলো আপনাদের সাথে সেয়ার করবো তা পুরটা পরতেই হবে
👉মুল কেন্দ্রে যাবার আগে কিছু বিষয় বুঝে নেন। কারন এগুলো জানা খুবই জড়ুরি,
👉👉আমরা বাংঙ্গালিরা যেমন সংখ্যা হিসাব করতে ১,২,৩ ব্যাবহার করি, তেমনি আরবি হরফ এর কিছু সংখ্যাগত মান আছে এগুলো এক নজরে দেখুন গুনাহ হবে না, ইংশাআল্লাহ।
❣ আলিফ=১/ বা=২/ জিম=৩/ দাল=৪/ হা=৫/ ওয়াও=৬/ যা=৭/ হাআ=৮/ ত্ব=৯/ ইয়া=১০/ কাফ=২০/ লাম=৩০/ মিম=৪০/ নুন=৫০/ সিন=৬০/ আইন=৭০/ ফা=৮০/ চদ=৯০/ ক্বফ=১০০/ র=২০০/ শিন=৩০০/ তা=৪০০/ ছা=৫০০/ খ=৬০০/ জাল=৭০০/ দয়াদ=৮০০/ জ্ব=৯০০/গঈন=১০০০

এগুলো প্রয়োজন নিচের পোস্টের জন্য, কারন সেখানে সাইনট্রিফিক আলোচনা হবে ইংশাআল্লাহ। তাহলে সুরু করা যাক

১ম 💕 বিজ্ঞান আমাদের কে কিছু বছর আনুমানিক ১০০ বছর ধরুন তখন জানিয়েছে পৃথিবীর কেন্দ্র রয়েছে লোহা। যা উতপ্ত ও গলিত অবস্থায় রয়েছে।
➤আর কুরআন আমাদের তা জানিয়েছে প্রায় ১৪০০ বছর পুর্বে। কিভাবে? 👉 আপনারা যখন কুরআন পরবেন তখন কুরআনের সূরা গুলো সুন্দর করে গননা করবেন দেখবেন সেখানে ১১৪ টি সূরা রয়েছে আর তা ২ দিয়ে ভাগ করবেন দেখবেন উত্তর আসবে ৫৭ [১১৪÷২=৫৭] আর কুরআনের সূরা হাদিদ যার অর্থ লোহা সেটিও ৫৭ নং সুরা সুবহানআল্লাহ। তার মানে পৃথিবীর কেন্দ্র যা রয়েছে > লোহা< তা কুরআনের কেন্দ্রেও রয়েছে সূরা হিসেবে। এটা কি করে হতে পারে, ১৪০০ বছর পুর্বে কে যানতো এটা 🤔 কি করে হতে পারে নিশ্চই যি তা সৃষ্টি করেছেন তিনিই তা যানেন

২য়💞 লোহার সংখ্যাগত মান যদি হিসাব করেন তখন আপনারা লোহার সংখ্যাগত মান পাবেন >>(৫৭)>৫৭>২৬>২৬>৫৭>৫৮>৫৭>৫৮

💕💕 একদম মন দিয়ে পড়বেন যাতে বুঝতে পারেন💕💕 সংক্ষেপে বুঝাবো💞ইসলামে প্রতিটি মাস সুরু হয় চাঁদ দেখা দিলে, কথা কি ক্লিয়ার। তাহল...
27/05/2020

💕💕 একদম মন দিয়ে পড়বেন যাতে বুঝতে পারেন💕💕 সংক্ষেপে বুঝাবো

💞ইসলামে প্রতিটি মাস সুরু হয় চাঁদ দেখা দিলে, কথা কি ক্লিয়ার। তাহলে নিচে দেখুন

💔💟 আমরা যারা বাংলাদেশে থেকে একদিন আগে অর্থাৎ সৌদিকে অনুসরন করে রোজা ও ঈদ পালন করি তারা কোন রিতিতে পালন করেন যানি না তবে
💘 চাঁদ না দেখে আপনি কখনো রোজা ও ঈদ পালন করতে পারবেন না, এটাই ফাইনাল।

💖 কারন রাসুল সাঃ চাঁদ দেখে রোজা ও ঈদ পালন করেছেন, আর এটাই নিয়ম।

💞 যেহেতু সৌদিতে চাঁদ দেখা গেছে তার মানে আপনি রোজা রাখবেন বলতে পারবেন তবে করতে পারবেন না কারন নিচে দেখুন

💘💘 আমরা জানি মাগরিবের পরেই চাঁদ দেখা যায়, আর চাঁদ সবসময় পশ্চিম দিকে উদিত হয় তাই সৌদিরা যখন চাঁদ দেখে সেদিন সুবহেসাদিক থেকে সুরু করে সন্ধ্যা পর্যন্ত রোজা রাখে। আর সৌদিতে যখন সুবহে সাদিক হয় তখন আমাদের বাংলাদেশে সুর্যের আলো এসে যায় তখন খাবার খেলে হবে না, তার মানে দিন গরিয়ে রাত আসার পর আপনি রোজা রাখতে পারবেন।

💕 চাঁদ আমারা না দেখে রোজা দেখতে পারবো না নিষেদ আছে, সুতরাং ঈদ বলেন আর রোজা বলেন আপনি চাঁদ দেখে পালন করতে হবে নয়তো তা কবুল হবে না।

না বুঝলে inbox এ আসেন
জাজাকাল্লাহ

ঈদের নামাজে হাত বাধা ও ছাড়ার নিয়মঈদের নামায বছরে পড়তে হয় মাত্র দুইবার, ফলে অনেকেই এর নিয়মকানুন একটু গুলিয়ে ফেলেন। ...
23/05/2020

ঈদের নামাজে হাত বাধা ও ছাড়ার নিয়ম
ঈদের নামায বছরে পড়তে হয় মাত্র দুইবার, ফলে অনেকেই এর নিয়মকানুন একটু গুলিয়ে ফেলেন। ঈদের নামায পড়ার কয়েকটি পদ্ধতি আছে। আমি কেবল যে পদ্ধতিটি বাংলাদেশে বহুল প্রচলিত (অতিরিক্ত ৬ তাকবিরসহ)-সেটা নিয়ে আলোচনা করবো। অনেকেই কখন হাত বাঁধবেন, কখন হাত না বেঁধে ছেড়ে দেবেন এটা নিয়ে খুব চিন্তিত থাকেন, এমনকি অনেকে একবার ডানপাশের লোকেরটা অনুসরণ করেন আরেকবার বামপাশের লোকেরটা অনুসরণ করেন। অথচ বিষয়টা খুবই সহজ।

নামাযের শুরুতে আমরা যে তাকবির দেই (আল্লাহু আকবার বলি) তাকে তাকবিরে তাহরিমা বা প্রথম তাকবির বলা হয়। যে কোন নামাযে এই তাকবির দেওয়া ফরয। ঈদের নামযে এই তাকবির এবং অন্যান্য সাধারণ তাকবিরের সাথে অতিরিক্ত ৬টি তাকবির দিতে হয়।

প্রথম রাকাতে অতিরিক্ত ৩ তাকবির (ছানা পড়ার পর)

দ্বিতীয় রাকাতে অতিরিক্ত ৩ তাকবির (সূরা ফাতিহা + অন্য সূরা পড়ার পর)

মনে রাখার বিষয় হলো:

১. যে তাকবিরের পরে সূরা/ছানা পড়তে হয় সেই তাকবিরের পর হাত বাঁধতে হয়।

২. যে তাকবিরের পরে সূরা/ছানা পড়তে হয় না, সেই তাকবিরের পর হাত বাঁধতে হয় না।

এই দুইটা বিষয় মনে রাখলে হাত বাঁধা বা ছাড়া নিয়ে কোন সমস্যা আর থাকবে না। আসুন একটু বিস্তারিতভাবে দেখি:



সাধারণ নামায ঈদের নামায
১ম রাকাত -> তাকবিরে তাহরিমা (১ম তাকবির) তাকবিরে তাহরিমা (১ম তাকবির)
হাত বাঁধা হাত বাঁধা (কারণ এর পর ছানা পড়তে হবে)
ছানা পড়া ছানা পড়া
১ম অতিরিক্ত তাকবির দেওয়া
হাত ছেড়ে দেওয়া (কেননা এরপরে তো আর কোন সূরা পড়া হচ্ছে না)
২য় অতিরিক্ত তাকবির দেওয়া
হাত ছেড়ে দেওয়া (কেননা এরপরে তো আর কোন সূরা পড়া হচ্ছে না)
৩য় অতিরিক্ত তাকবির দেওয়া
হাত বেঁধে ফেলা (কারণ এর পর সূরা পড়া হবে)
সূরা ফাতিহা + অন্য সূরা মিলানো সূরা ফাতিহা + অন্য সূরা মিলানো
তাকবির দেওয়া তাকবির দেওয়া
রুকু করা রুকু করা
রুকু থেকে দাঁড়ানো রুকু থেকে দাঁড়ানো
সিজদায় যাওয়া সিজদায় যাওয়া
২টি সিজদা করা ২টি সিজদা করা
তাকবির দেওয়া (২য় রাকাতের জন্য) তাকবির দেওয়া (২য় রাকাতের জন্য)
২য় রাকাত -> হাত বেঁধে দাঁড়ানো হাত বেঁধে দাঁড়ানো
সূরা ফাতিহা + অন্য সূরা মিলানো সূরা ফাতিহা + অন্য সূরা মিলানো
৪র্থ অতিরিক্ত তাকবির দেওয়া
হাত ছেড়ে দেওয়া (কেননা এরপরে তো আর কোন সূরা পড়া হচ্ছে না)
৫ম অতিরিক্ত তাকবির দেওয়া
হাত ছেড়ে দেওয়া (কেননা এরপরে তো আর কোন সূরা পড়া হচ্ছে না)
৬ষ্ঠ অতিরিক্ত তাকবির দেওয়া
হাত না বাঁধা (কেননা এরপরে তো আর কোন সূরা পড়া হচ্ছে না, রুকুতে যেতে হচ্ছে)
রুকু করা রুকু করা
রুকু থেকে দাঁড়ানো রুকু থেকে দাঁড়ানো
সিজদায় যাওয়া সিজদায় যাওয়া
২টি সিজদা করা ২টি সিজদা করা
শেষ বৈঠক + সালাম ফিরানো শেষ বৈঠক + সালাম ফিরানো

★ ফজরের নামাজ জামায়াতে আদায় করা :আমাদের দেশের অনেকেই ফজরের নামাজ আদায় করে না। ঈদের জন্য ফজরের নামাজ জামায়াতে পড়ার গ...
23/05/2020

★ ফজরের নামাজ জামায়াতে আদায় করা :
আমাদের দেশের অনেকেই ফজরের নামাজ আদায় করে না। ঈদের জন্য ফজরের নামাজ জামায়াতে পড়ার গুরুত্বও দেয় না। অথচ ফজরের নামাজের গুরুত্ব অপরিসীম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যদি তারা ইশা ও ফজর নামাজের মধ্যে কী আছে তা জানতে পারতো তবে হামাগুড়ি দিয়ে হলেও এ দুটি নামাজের জামায়াতে শামিল হত।’ [সহীহ বুখারি : ৬১৫]

★ ঈদের সালাত আদায় করা :
ঈদের দিনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ঈদের সালাত আদায় করা। প্রকৃতপক্ষে একজন ঈমানদার বান্দাহ সালাত আদায়ের মাধ্যমে বেশি আনন্দিত হয়ে থাকে। হাদিসে এসেছে, ‘নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদুল ফিতরের দিনে বের হয়ে দু রাকাত ঈদের সালাত আদায় করেছেন। এর পূর্বে ও পরে অন্য কোন নামাজ আদায় করেননি।’ [সহীহ বুখারি : ৯৮৯]

★ ঈদের দিন গোসল করা :
ঈদের দিন গোসল করার মাধ্যমে পরিষ্কার-পরিচ্ছছন্নতা অর্জন করা একান্ত প্রয়োজন। কেননা এ দিনে সকল মানুষ সালাত আদায়ের জন্য মিলিত হয়। ইবনে উমার রাদি আল্লাহু আনহু থেকে বিশুদ্ধ সূত্রে বর্ণিত যে, ‘তিনি ঈদুল ফিতরের দিনে ঈদগাহে যাওয়ার পূর্বে গোসল করতেন।’ [সুনান বায়হাকী : ৫৯২০]

★ পায়ে হেঁটে ঈদগাহে যাওয়া :
আর ঈদগাহে পায়ে হেঁটে যাওয়া হল সুন্নাহর অন্তর্ভুক্ত। আলী রাদি আল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন : ‘সুন্নাত হল ঈদগাহে পায়ে হেঁটে যাওয়া।’ [সুনান আততিরমিযী : ৫৩৩] উভয় পথের লোকদেরকে সালাম দেয়া ও ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করার জন্য যে পথে যাবে সে পথে না ফিরে অন্য পথে ফিরে আসা। হাদিসে বর্ণনা করা হয়েছে, ‘নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদের দিনে পথ বিপরীত করতেন।’ [সহীহ বুখারী : ৯৮৬]

★ ঈদের দিনে খাবার গ্রহণ :
ঈদুল ফিতরের দিনে ঈদের সালাত আদায়ের পূর্বে খাবার গ্রহণ করা এবং ঈদুল আজহার দিন ঈদের সালাতের পূর্বে কিছু না খেয়ে সালাত আদায়ের পর কুরবানির গোশত খাওয়া সুন্নাত। বুরাইদা রাদি আল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, ‘নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদুল ফিতরের দিনে না খেয়ে বের হতেন না, আর ঈদুল আজহার দিনে ঈদের সালাতের পূর্বে খেতেন না।’ [সুনান আততিরমীযি : ৫৪৫]

★ ঈদে শুভেচ্ছা বিনিময়ের ভাষা :
ঈদে পরস্পরকে শুভেচ্ছা জানানো শরিয়ত অনুমোদিত একটি বিষয়। বিভিন্ন বাক্য দ্বারা এ শুভেচ্ছা বিনিময় করা যায়। যেমন : (ক) হাফেয ইবনে হাজার রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেছেন, সাহাবায়ে কিরামগণ ঈদের দিন সাক্ষাৎকালে একে অপরকে বলতেন : ‘তাকাববালাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকা’ অর্থ- আল্লাহতায়ালা আমাদের ও আপনার ভাল কাজগুলো কবুল করুন। (খ) ‘ঈদ মুবারক’ ইনশাআল্লাহ। (গ) ‘ঈদুকুম সাঈদ’ বলে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করা যায়।

★ ঈদের চাঁদ দেখার পর থেকে তাকবীর পাঠ করা :
তাকবীর পাঠ করার মাধ্যমে আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব প্রকাশ করা হয়। তাকবীর হলো : আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার। লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ। আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার। ওয়া লিল্লাহিল হামদ। বাক্যটি উচ্চস্বরে পড়া। আবদুল্লাহ ইবনে উমার রাদি আল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, ‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদুল ফিতরের দিন ঘর থেকে বের হয়ে ঈদগাহে পৌঁছা পর্যন্ত তাকবীর পাঠ করতেন।’ [মুসতাদরাক : ১১০৬] যখন সালাত শেষ হয়ে যেত তখন আর তাকবীর পাঠ করতেন না। বিশেষভাবে ঈদগাহের উদ্দেশ্যে যখন বের হবে ও ঈদগাহে সালাতের অপেক্ষায় যখন থাকবে তখন গুরুত্বসহকারে তাকবীর পাঠ করতে হবে।

★ নতুন বা পরিচ্ছন্ন পোশাক পরিধান করা :
ঈদে উত্তম জামা-কাপড় পরিধান করে ঈদ উদযাপন করা। এ দিনে সকল মানুষ একত্রে জমায়েত হয়, তাই প্রত্যেক মুসলিমের উচিত হল তার প্রতি আল্লাহর যে নিয়ামাত তা প্রকাশ করণার্থে ও আল্লাহর শুকরিয়া আদায় স্বরূপ নিজেকে সর্বোত্তম সাজে সজ্জিত করা। আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাদি আল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : ‘আল্লাহ রাববুল আলামিন তাঁর বান্দার উপর তাঁর প্রদত্ত নিয়ামাতের প্রকাশ দেখতে পছন্দ করেন।’ [সহীহ আলজামে : ১৮৮৭] ইবনুল কায়্যিম রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেছেন : ‘নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দু ঈদেই ঈদগাহে যাওয়ার পূর্বে সর্বোত্তম পোশাক পরিধান করতেন।’ [যাদুল মায়াদ]

★ ঈদের খুতবা শ্রবণ করা :
ঈদের খুতবা বিশেষ গুরুত্বের দাবি রাখে। এতে ইসলামের বিভিন্ন বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়ে থাকে। আব্দুল্লাহ বিন সায়েব রাদি আল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন : ‘আমি নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে ঈদ উদযাপন করলাম। যখন তিনি ঈদের সালাত শেষ করলেন, বললেন : আমরা এখন খুতবা দেব। যার ভালো লাগে সে যেন বসে আর যে চলে যেতে চায় সে যেতে পারে।’ [সুনান আবূ দাউদ : ১১৫৭]

★ দোয়া ও ইস্তেগফার করা :
ঈদের দিনে আল্লাহ তায়ালা অনেক বান্দাহকে মাপ করে দেন। মুয়ারিরক আলঈজলী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, ঈদের এই দিনে আল্লাহ তায়ালা একদল লোককে এভাবে মাপ করে দিবেন, যেমনি তাদের মা তাদের নিষ্পাপ জন্ম দিয়েছিল। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন, ‘তারা যেন এই দিনে মুসলিমদের জামায়াতে দোয়ায় অংশগ্রহণ করে।’ [লাতাইফুল মায়ারিফ]

★ মুসাফাহা ও মুআনাকা করা :
মুসাফাহা ও মুআনাকা করার মাধ্যমে পারস্পরিক সম্পর্ক বৃদ্ধি হয়। আবু হুরায়রা রাদি আল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, ‘একদা হাসান ইবনে আলী রাদি আল্লাহু আনহু নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাসের নিকট আসলেন, তিনি তখন তাকে জড়িয়ে ধরলেন এবং মুআনাকা (কোলাকুলি) করলেন।’ [শারহুস সুন্নাহ]

★ ফিতরাহ দেয়া :
রমজান মাসে সিয়ামের ত্রুটি-বিচ্যুতি পূরণার্থে এবং অভাবগ্রস্তদের খাবার প্রদানের উদ্দেশ্যে ঈদের সালাতের পূর্বে নির্ধারিত পরিমাণের যে খাদ্য সামগ্রী দান করা হয়ে থাকে, শরীয়াতের পরিভাষায় তাকেই যাকাতুল ফিত্র বা ফিতরাহ বলা হয়ে থাকে। হাদিসে বর্ণিত, ‘রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদের সালাতে যাওয়ার পূর্বে ফিতরাহ আদায় করার আদেশ দিলেন।’ [সহীহ বুখারি : ১৫০৩]

★ ইয়াতীম ও অভাবীকে খাবার খাওয়ানো :
ইয়াতিমের খোঁজ-খবর নেয়া, তাদেরকে খাবার খাওয়ানো এবং সম্ভব হলে তাদের নতুন কাপড়ের ব্যবস্থা করে দেয়া। এটা ঈমানদারদের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। আল কুরআনে বলা হয়েছে, তারা খাদ্যের প্রতি আসক্তি থাকা সত্ত্বেও মিসকীন, ইয়াতীম ও বন্দীকে খাদ্য দান করে [সূরা আদদাহর : ৮]

★ আত্মীয়-স্বজনের খোঁজ-খবর নেয়া :
ঈদের সময় বিভিন্ন আত্মীয়-স্বজনের খোঁজ-খবর নেয়া ও তাদের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার বিশেষ সুযোগ তৈরি হয়। এ সম্পর্কে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যে আখেরাতে বিশ্বাস করে, সে যেন আত্মীয়-স্বজনের সাথে সম্পর্ক বজায় রাখে।’ [সহীহ বুখারি : ৬১৩৮]

★ প্রতিবেশীর খোঁজ খবর নেয়া :
ঈদের সময় প্রতিবেশীর হক আদায়ের সুযোগ তৈরি হয়। আল কুরআনে বলা হয়েছে, ‘তোমরা ইবাদাত কর আল্লাহর, তাঁর সাথে কোন কিছুকে শরিক করো না। আর সদ্ব্যবহার কর মাতা-পিতার সাথে, নিকট আত্মীয়ের সাথে, ইয়াতীম, মিসকীন, প্রতিবেশী, অনাত্মীয় প্রতিবেশী, পার্শ্ববর্তী সাথী, মুসাফির এবং তোমাদের মালিকানাভুক্ত দাস-দাসীদের সাথে। নিশ্চয়ই আল্লাহ পছন্দ করেন না তাদেরকে, যারা দাম্ভিক, অহঙ্কারী।’ [সূরা নিসা : ৩৬]

★ মন-মালিন্য দূর করা :
জীবন চলার পথে বিভিন্ন পর্যায়ে কারো কারো সম্পর্কের অবনতি হতে পারে। ঈদের সময় পারস্পরিক মন-মলিন্য দূর করা ও সম্পর্ক সুদৃঢ় করার উত্তম সময়। হাদিসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘কোন মুসলিমের জন্য বৈধ নয় যে তার ভাইকে তিন দিনের বেশি সময় সম্পর্ক ছিন্ন রাখবে। তাদের অবস্থা এমন যে দেখা সাক্ষাৎ হলে একজন অন্য জনকে এড়িয়ে চলে। এ দুজনের মাঝে ঐ ব্যক্তি শ্রেষ্ঠ যে প্রথম সালাম দেয়।’ [সহীহ মুসলিম : ৬৬৯৭]

★ আনন্দ প্রকাশ করা :
ইসলাম এমন একটি জীবনব্যবস্থা যেখানে সুস্থ বিনোদনের সুযোগ রয়েছে। উম্মুল মুমিনীন আয়েশা রাদি আল্লাহু আনহা বর্ণনা করেন : ‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদের দিন আমার ঘরে আগমন করলেন, তখন আমার নিকট দু’টি ছোট মেয়ে গান গাইতেছিল, বুয়াস যুদ্ধের বীরদের স্মরণে। তারা পেশাদার গায়িকা ছিল না। ইতোমধ্যে আবু বকর রাদি আল্লাহু আনহু ঘরে প্রবেশ করে এই বলে আমাকে ধমকাতে লাগলেন যে, নবীজির ঘরে শয়তানের বাঁশি? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর কথা শুনে বললেন, ‘মেয়ে দুটিকে গাইতে দাও হে আবু বকর! প্রত্যেক জাতির ঈদ আছে, আর এটি আমাদের ঈদের দিন।’ [সহীহ বুখারি : ৯৫২]

ঈদে বর্জনীয়ঈদ মুসলিম জাতির গুরুত্বপূর্ণ উৎসব। আর আমাদের রয়েছে নিজস্ব সংস্কৃতি। আমরা ঈদ পালনে অনেকে ইসলাম সমর্থন করে না...
23/05/2020

ঈদে বর্জনীয়
ঈদ মুসলিম জাতির গুরুত্বপূর্ণ উৎসব। আর আমাদের রয়েছে নিজস্ব সংস্কৃতি। আমরা ঈদ পালনে অনেকে ইসলাম সমর্থন করে না এমন সব সংস্কৃতিতে নিমজ্জিত হচ্ছি। যা আমাদের বর্জন করা দরকার। ঈদে বর্জনীয় বিষয়গুলো তুলে ধরা হল :

★ ঈদের দিন সিয়াম পালন করা :
ঈদের দিন সিয়াম পালন করলে ঈদের দিনের কাজসমূহ যথাযথ পালন করা যাবে না। সেজন্য হাদিসে ঈদের দিন সিয়াম পালন করা থেকে বিরত থাকার নির্দেশ এসেছে। সহীহ বুখারি ও মুসলিমে বর্ণিত আছে, ‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার দিনে রোজা রাখতে নিষেধ করেছেন।’ [সহীহ মুসলিম :

২৭৩০]
★ বিজাতীয় আচরণ প্রদর্শন :
বিজাতীয় আচরণ মুসলিম সমাজে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। পোশাক-পরিচ্ছদে, চাল-চলনে, শুভেচ্ছা বিনিময়ে অমুসলিমদের অনুকরণে লিপ্ত হয়ে পড়েছে মুসলমানদের অনেকেই। আবদুল্লাহ বিন আমর রাদি আল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি অন্য জাতির সাথে সাদৃশ্যতা রাখবে সে তাদের দলভুক্ত বলে গণ্য হবে।’ [আবু দাউদ : ৪০৩৩]

★ নারী-পুরুষ একে অপরের বেশ ধারণ :
পোশাক-পরিচ্ছদ, চাল-চলন ও সাজ-সজ্জার ক্ষেত্রে পুরুষ নারীর বেশ ধারণ ও নারী পুরুষের বেশ ধারণ হারাম। ঈদের দিনে এ কাজটি অন্যান্য দিনের চেয়ে বেশি পরিলক্ষিত হয়। হাদিস থেকে জানা যায়Ñ ইবনে আব্বাস রাদি আল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, ‘রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পুরুষের বেশ ধারণকারী নারী ও নারীর বেশ ধারণকারী পুরুষকে অভিসম্পাত করেছেন।’ [আবু দাউদ : ৪০৯৯]

★ নারীদের খোলা-মেলা অবস্থায় রাস্তাঘাটে বের হওয়া :
ঈদের দিনে নারীদের বেপর্দা অবস্থায় রাস্তাঘাটে বের হওয়া যাবে না। এ বিষয়ে কুরআনে বলা হয়েছে, ‘আর তোমরা নিজ ঘরে অবস্থান করবে এবং প্রাচীন মুর্খতার যুগের মত নিজেদের প্রদর্শন করে বেড়াবে না।’ [সূরা আহযাব : ৩৩] নারীগণ পর্দা পালন করে বের হবে। আবু হুরায়রা রাদি আল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, জাহান্নামবাসী দু’ধরনের লোক, যাদের আমি এখনও দেখতে পাইনি। একদল লোক যাদের সাথে গরুর লেজের ন্যায় চাবুক থাকবে, তা দিয়ে তারা লোকজনকে প্রহার করবে। আর এক দল এমন নারী যারা পোশাক পরিধান করেও উলঙ্গ মানুষের মত হবে, অন্যদের আকর্ষণ করবে ও অন্যরাও তাদের প্রতি আকৃষ্ট হবে, তাদের মাথার চুলের অবস্থা উটের হেলে পড়া কুঁজের ন্যায়। ওরা জান্নাতে প্রবেশ করবে না, এমনকি তার সুগন্ধিও পাবে না, যদিও তার সুগন্ধি বহু দূর থেকে পাওয়া যায়। [সহীহ মুসলিম : ৫৭০৪]

★ গান-বাজনা করা, অশ্লীল সিনেমা ও নাটক দেখা :
ঈদ উপলক্ষে বিশেষ নাটক, সিনেমা ও বিভিন্ন গান বাজনা যা ইসলাম অনুমোদন করে না, তা থেকে বিরত থাকতে হবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘আমার উম্মতের মাঝে এমন একটা দল পাওয়া যাবে যারা ব্যভিচার, রেশমি পোশাক, মদ ও বাদ্যযন্ত্রকে হালাল (বৈধ) মনে করবে।’ [সহীহ বুখারি : ৫৫৯০]

★ বেহুদা কাজে সময় ব্যয় করা :
অনেকে বেহুদা কাজে ঈদে রাত জাগরণ ও দিনে বেহুদা কাজে সময় নষ্ট করে থাকে। সেজন্য বেহুদা কাজে সময় নষ্ট করা থেকে বিরত থাকা দরকার। আল কুরআনে মুমিনের গুণাবলি সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘আর যারা অনর্থক কথা-কর্ম থেকে বিমুখ থাকে।’ [সূরা মুমিনুন : ০৩]

★ জামায়াতের সাথে ফরজ সালাত আদায়ে অলসতা করা :
ঈদের আনন্দে এমনভাবে উদাসীন থাকেন যে, ফরজ সালাত আদায়ে অলসতা করেন, যা গ্রহণযোগ্য নয়। আল কুরআনে বলা হয়েছে, ‘অতএব সেই সালাত আদায়কারীদের জন্য দুর্ভোগ, যারা নিজেদের সালাতে অমনোযোগী।’ [সূরা আল মাউন : ৪-৫] ঈমানদার বান্দাহগণ সালাত আদায়ে কোনো গাফলতি করে না। কুরআনের ঘোষণা, ‘আর যারা নিজেদের সালাতের হিফাযত করে।’ [সূরা মায়ারিজ : ৩৪]

★ অবাধে নারীদের সাথে দেখা-সাক্ষাৎ :
দেখা যায় অন্যান্য সময়ের চেয়ে এই গুনাহের কাজটা ঈদের দিনে বেশি করা হয়। নিকট আত্মীয়দের মাঝে যাদের সাথে দেখা-সাক্ষাৎ শরিয়ত অনুমোদিত নয়, তাদের সাথে অবাধে দেখা-সাক্ষাৎ করা হয়। উকবাহ ইবনে আমের রাদি আল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘তোমরা মহিলাদের সাথে দেখা-সাক্ষাৎ করা থেকে নিজেদের বাঁচিয়ে রাখবে।’ মদিনার আনসারদের মধ্য থেকে এক লোক প্রশ্ন করল হে আল্লাহর রাসূল! দেবর-ভাসুর প্রমুখ আত্মীয়দের সাথে দেখা-সাক্ষাৎ সম্পর্কে আপনার অভিমত কী? তিনি উত্তরে বললেন, ‘এ ধরনের আত্মীয়-স্বজন তো মৃত্যু।’ [সহীহ বুখারি : ৫২৩২]

★ অপচয় ও অপব্যয় করা :
ঈদের কেনাকাটা থেকে শুরু করে এ উপলক্ষে সব কিছুতেই অপচয় ও অপব্যয় করা হয়। অথচ কুরআনে বলা হয়েছে, ‘আর তোমরা কোনভাবেই অপব্যয় করো না, নিশ্চয়ই অপব্যয়কারী শয়তানের ভাই।’ [সূরা বনি ইসরাঈল : ২৬-২৭]

আরো বলা হয়েছে, ‘এবং তোমরা খাও, পান করো এবং অপচয় করো না।’ [সূরা আরাফ : ৩১]

★ জুয়া খেলা ও আতশবাজি করা :
এগুলো শরিয়ত বিরোধী কাজ। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘হে মুমিনগণ, নিশ্চয়ই মদ, জুয়া, প্রতিমা-বেদী ও ভাগ্যনির্ধারক তীরসমূহ তো নাপাক শয়তানের কর্ম। সুতরাং তোমরা তা পরিহার কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও।’ [সূরা মায়িদাহ : ৯০]

★ মানুষকে কষ্ট দেয়া :
ঈদের দিনে অনেকে এমন কাজ করেন যা মানুষকে কষ্ট দেয়। যেমন, রাস্তা আঁকিয়ে মানুষের কাছ থেকে টাকা নেয়া, এমন আনন্দ করা যাতে অন্যরা কষ্ট পায়। হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘মুসলিম ঐ ব্যক্তি যার হাত ও জিহবা থেকে অন্যরা নিরাপদ।’ [সহীহ বুখারী : ৬৪৮৪]

★ ঈদের সালাত আদায় না করে কেবল আনন্দ ফুর্তি করা :
অনেকে ঈদের আনন্দে মাতওয়ারা হয়ে নতুন জামা-কাপড় পরিধান, সেমাই, ফিরনী ইত্যাদি নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন, ঈদের সালাত আদায় করার কথা ভুলে যান। অথচ এই দিনে ঈদের সালাত আদায় করা হচ্ছে মূল করণীয়।

ঈদ একটি ইবাদাত। আনন্দ ও ফুর্তি করার মাধ্যমেও যে ইবাদাত পালন করা যায়, ঈদ তার অন্যতম উদাহরণ। শরীয়াহ সম্মতভাবে আনন্দ প্রকাশ করার বিষয়ে কুরআনে এসেছে, ‘বল, এটা আল্লাহর অনুগ্রহ ও রহমত, সুতরাং এ নিয়েই যেন তারা খুশি হয়। এটি যা তারা জমা করে তা থেকে উত্তম।’ [সূরা ইউনুস : ৫৮]

আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব প্রকাশ এবং শুকরিয়া আদায়ের মাধ্যমে আমরা ঈদ উদ্যাপন করবো ইনশাআল্লাহ। এ বিষয়ে আল কুরআনে আল্লাহ বলেন, ‘আর যাতে তোমরা সংখ্যা পূরণ কর এবং তিনি তোমাদেরকে যে হিদায়াত দিয়েছেন, তার জন্য আল্লাহর বড়ত্ব ঘোষণা কর এবং যাতে তোমরা শোকর কর।’ [সূরা আল বাকারাহ : ১৮৫]

ঈদুল ফিতর ঈদের সুন্নাত সমূহ১.অন্যদিনের তুলনায় সকালে ঘুম থেকে জাগ্রত হওয়া। (বায়হাকী, হাদীস নং-৬১২৬)২.মিসওয়াক করা। (তা...
23/05/2020

ঈদুল ফিতর ঈদের সুন্নাত সমূহ
১.অন্যদিনের তুলনায় সকালে ঘুম থেকে জাগ্রত হওয়া। (বায়হাকী, হাদীস নং-৬১২৬)

২.মিসওয়াক করা। (তাবয়ীনুল হাকায়েক-১/৫৩৮)

৩.গোসল করা। হাদিসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ (সা.) দুই ঈদের দিন গোসল করতেন। (মুসনাদে বায‍যার, হাদিস: ৩৮৮০) ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত যে, তিনি ঈদুল ফিতরের দিন ঈদগাহে যাওয়ার পূর্বে গোসল করতেন। (মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হাদিস: ৬০৯)

৪.শরীয়তসম্মত সাজসজ্জা করা।(বুখারী, হাদীস নং-৯৪৮)

৫.সামর্থ অনুপাতে উত্তম পোশাক পরিধান করা। ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত যে তিনি দু ঈদের দিনে সুন্দরতম পোশাক পরিধান করতেন। ( বায়হাকী : ১৯০১)

৬.সুগন্ধি ব্যবহার করা।(মুস্তাদরাকে হাকেম, হাদীস নং-৭৫৬০)

৭.ঈদুল ফিতরে ঈদগাহে যাবার আগে মিষ্টিজাতীয় যেমন খেজুর ইত্যাদি খাওয়া। তবে ঈদুল আযহাতে কিছু না খেয়ে ঈদের নামাযের পর নিজের কুরবানীর গোশত আহার করা উত্তম। বুরাইদা রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করীম (সা.) ঈদুল ফিতরের দিনে না খেয়ে বের হতেন না, আর ঈদুল আজহার দিনে ঈদের নামাজের পূর্বে খেতেন না। সালাত থেকে ফিরে এসে কুরবানীর গোশত খেতেন। (আহমদ : ১৪২২) আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন : রাসূলুল্লাহ (সা.) ঈদুল ফিতরের দিন কয়েকটি খেজুর না খেয়ে বের হতেন না, আর খেজুর খেতেন বে-জোড় সংখ্যায়। (বুখারী : ৯০০)

৮.সকাল সকাল ঈদগাহে যাওয়া। (আবু দাউদ, হাদীস নং-১১৫৭)

৯.ঈদুল ফিতরে ঈদগাতে যাওয়ার পূর্বে সদকায়ে ফিতর আদায় করা। ইবনু উমর (রা.) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (সা.)লোকদেরকে ঈদের নামাজের উদ্দেশ্যে বের হওয়ার পূর্বেই সাদকাতুল ফিত্‌র আদায় করার নির্দেশ দেন।(বুখারী, হাদীস নং-১৪২১)

১০.পায়ে হেঁটে ঈদগাহে যাওয়া। আলী রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন : সুন্নত হল ঈদগাহে পায়ে হেঁটে যাওয়া। (তিরমিযী : ১৮৭ )

১১.ঈদের নামায ঈদগাহে আদায় করা, বিনা অপরাগতায় মসজিদে আদায় না করা। (বুখারী, হাদীস নং-৯৫৬, আবু দাউদ, হাদীস নং-১১৫৮)

১২.যে রাস্তায় ঈদগাতে যাবে, সম্ভব হলে ফিরার সময় অন্য রাস্তা দিয়ে ফিরা। (বুখারী, হাদীস নং-৯৮৬)

১৩.ঈদুল ফিতরে ঈদগাহে যাবার সময় আস্তে আস্তে এই তাকবীর পড়তে থাকাঃ

اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَاللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ وَلِلَّهِ الْحَمْدُ

তবে ঈদুল আযহায় যাবার সময় পথে এ তাকবীর আওয়াজ করে পড়তে থাকবে। (মুস্তাদরাকে হাকেম, হাদীস নং-১১০৫)

Address

Dhaka
01709745034

Telephone

+8801709745034

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Mehedi vlog posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Mehedi vlog:

Videos

Share

Category

Nearby media companies



You may also like