15/09/2024
জর্জ এস ক্লাসন রচিত ‘দ্য রিচেস্ট ম্যান ইন ব্যাবিলন’ একটি ক্লাসিক ব্যক্তিগত আর্থিক বই। ১৯২৬ সালে প্রকাশিত এই বই থেকে শিক্ষাসূত্র লিখেছেন এম এম মুজাহিদ উদ্দীন
টাকা যেন আপনার জন্য কাজ করে
বইটি শিক্ষা দেয় যে অতিরিক্ত আয় অর্জনের জন্য টাকা জমিয়ে না রেখে বিজ্ঞতার সঙ্গে বিনিয়োগ করা উচিত। পাঠকদের বিনিয়োগের সুযোগ খোঁজার জন্য উৎসাহিত করেছেন। ফলে বিনিয়োগকারীর সম্পদ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বৃদ্ধি পেতে থাকবে। এর মানে হলো, টাকা বসে না থেকে আপনার জন্য কাজ করবে।
জ্ঞান এবং পরামর্শের সন্ধান করুন
ক্লাসন আর্থিক শিক্ষা এবং জ্ঞানী ব্যক্তিদের কাছ থেকে পরামর্শ নেওয়ার মূল্যকে তুলে ধরেছেন। যারা সফলভাবে তাদের টাকা পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনা করেছেন তাদের কাছ থেকে টাকা ব্যবস্থাপনার কৌশল শিখতে পারলে আরও ভালো আর্থিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য সহায়ক হবে।
পরিকল্পিত বাজেট তৈরি করুন
প্রতি মাসে বাজেট তৈরি করা বইয়ের একটি অন্যতম শিক্ষা। ক্লাসন পাঠকদের তাদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে আয় এবং ব্যয়ের ওপর নজর রাখার পরামর্শ দিয়েছেন। যাতে তারা ভবিষ্যতে প্রয়োজনের জন্য পরিকল্পনা করতে পারেন। কার্যকরভাবে সম্পদ সঞ্চয় করতে পারেন। একটি পরিকল্পিত বাজেট অতিরিক্ত খরচ কমানো ও সঞ্চয়ের জন্য সহায়ক হয়।
নিজের মধ্যে বিনিয়োগ করুন
ক্লাসন আত্ম-উন্নতি এবং শিক্ষার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছেন। নিজের দক্ষতা এবং জ্ঞানে বিনিয়োগ করলে আরও ভালো কাজের সুযোগ এবং আয়ের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পেতে পারে। আর্থিক সাফল্য অর্জনের জন্য ক্রমাগত শেখা অপরিহার্য।
ঋণ এড়িয়ে চলুন
ঋণ একটা মানুষকে তিলে তিলে শেষ করে দেয়। বইটি ঋণের বিপদ, বিশেষ করে উচ্চ সুদের ঋণের বিরুদ্ধে সতর্ক করেছেন। ক্লাসন পাঠকদের অপ্রয়োজনীয় জিনিসের জন্য ঋণ নেওয়া এড়াতে এবং বিদ্যমান যেকোনো ঋণ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পরিশোধ করার পরামর্শ দিয়েছেন। সম্পদ গড়ে তোলার জন্য ঋণমুক্ত জীবনযাপন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
অধ্যবসায় ও ধৈর্য
সৎভাবে সম্পদ বৃদ্ধি করা রাতারাতি সম্ভব নয়। এটি একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। যার জন্য প্রচুর অধ্যবসায় ও ধৈর্যের প্রয়োজন। ক্লাসন শিক্ষা দেন যে এর মধ্যে বিপত্তিও ঘটতে পারে। তবুও দীর্ঘমেয়াদি দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রেখে এ সাফল্যের জন্য কাজ করতে হবে। একই সঙ্গে আর্থিক লক্ষ্যের প্রতি থাকতে হবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
একাধিক আয়ের পথ তৈরি করুন
ক্লাসন পাঠকদের তাদের মূল পেশার পাশাপাশি ব্যবসা, বিনিয়োগ বা প্যাসিভ আয় করতে উৎসাহিত করেছেন। আয়ের বিভিন্ন রকম উৎস থাকলে একটা উৎসে কোনো সমস্যা হলে বাকি উৎস থেকে আয় আসতে থাকবে। ফলে একেবারে বিপদগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা খুবই কম। তা ছাড়া এতে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিও সহজ হয়।
সম্পদ ভাগ করুন
পরিশেষে, ক্লাসন দান করা এবং নিজের সম্পদ ভাগ করে নেওয়ার গুরুত্বের ওপর জোর দেন। দাতব্য অবদানের মাধ্যমে হোক বা অন্যকে সাহায্য করার মাধ্যমে হোক, তিনি সম্পদ ভাগাভাগি করতে উৎসাহিত করেছেন।