এক নজরে নাসিরনগর উপজেলা
ঐতিহাসিক বিবরণঃ-
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার হাওর বেস্টিত ও
সরকার ঘোষিত দুর্গম
উপজেলা হলো নাসিরনগর । ইতিহাসের
পাতায় নাসিরনগর নামটি একটি বিশেষ
স্থান দখল
করে আছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার
পূর্বনামের নামের জন্য এবং কিছু বরণ্য
ব্যাক্তিত্বের জন্মস্থানের জন্য। সময়ের
ধারাবাহিকতায় কালের করাল গ্রাসে এ
এলাকার ঐতিহ্য ,অহংকার
ক্রমশঃ র্জীণ,র্শীণ,বিস্মৃত হচ্ছে। সুজলা-
সুফলা-শস্য-শ্যামলা নাসিরনগর বহু
পীর-
দরবেশ,সাধক আর জ্ঞানী,গুণীর জন্মস্থান।
অবিভক্ত ভারতবর্ষের উজ্জ্বল দুই নক্ষত্র মরহুম
নওয়াব সৈয়দ সামসুল হুদা ও প্রথম
বাঙালী মুসলমান ব্যারিস্টার স্যার আবদুল
রসুল এবং আলহাজ্ব ফখরে বাঙ্গাল তাজুল
ইসলামের পবিত্র জম্মভুমি ঐতিহাসিক
নাসিরনগর।
নাসিরনগর উপজেলাঃ- আয়তন ৩৩১.৬৬ বর্গ
কিলোমিটার ।
সীমানাঃ-উত্তরে লাখাই ও অষ্টগ্রাম
উপজেলা,দক্ষিণে সরাইল ও
ব্রাহ্মণবাড়িয়া উপজেলা,পূর্বে মাধবপুর
উপজেলা পশ্চিমে মেঘনা নদী বাজিতপুর
ও অষ্টগ্রাম উপজেলা।
প্রশাসন :- নাসিরনগর থানা সৃষ্টি হয় ১৯১০
সালে এবং থানাকে উপজেলায়
রূপান্তরিত করা হয় ১৯৮৩ সালে ১ আগষ্ট।
বর্তমানে এটি উপজেলা। ইউনিয়ন ১৩টি,
মৌজা ১০০টি ও গ্রাম ১৩৩ টি।
স্থানীয় ইতিহাসঃ- নাসিরনগর
উপজেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সর্ব
উত্তরের উপজেলা ইহা একটি নিচু এলাকা।
এখানে বেশ কিছু হাওর ,বিল,
মরা নদী রয়েছে। হাওর গুলোর
মধ্যে মেদীর হাওর বিখ্যাত।
নামকরণ :-নাসিরনগর উপজেলার নামকরণ
কিভাবে হয়েছে সে সম্পর্কে কোন
লিখিত ইতিহাস নেই। জনশ্রুতি আছে হযরত
শাহজালালের সাথে সিলেটে ধর্ম প্রচার
করতে আসা হরযত নাসিরউদ্দিন চেরাগ
দেহলভী যিনি এ উপজেলায়
খানকা স্থাপন করে ইসলাম ধর্ম প্রচার
করেছিলেন। তার নামানুসারে নাসিরনগর
নামকরণ করা হয়। অন্য একটি জনশ্রুতি হল
মোগল সম্রাট শাহজাহানের
রাজত্বকালে ঈশা খাঁ বংশের জনৈক
মজলিশ গাজীকে সরাইল পরগনার দেওয়ান
নিযুক্ত করা হয়। সেই বংশের জনৈক নাসির
মাহমুদ দেওয়ানের
নামানুসারে নাসিরনগরের নামকরণ
করা হয়েছে।
ইতিহাসঃ- নাসিরনগর উপজেলার অতীত
ইতিহাস অন্ধকারাচ্ছন্ন ১৭৬৫
সালে দেওয়ানী লাভের সময় নাসিরনগর
বৃটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর হস্তগত হয়।
১৮৩০ সালে সরাইল,দাউদপুর,হ
রিপুর,বেজুরা ও সতরকন্ডল পরগনা ময়মনসিংহ
হতে ত্রিপুরা জেলার কাছে হস্তান্তরিত
হয়। নাসিরনগর উপজেলাটি বর্তমান
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার অন্তর্গত (যার
পূর্বনাম নাসিরনগর মহকুমা ছিল)। ১৮৬০
সালে তৎকালীন ত্রিপুরা জেলার (১৭৯০
সালে ত্রিপুরা জেলা গঠিত হয় ;,১৯৬০
সালে ১ অক্টোবর কুমিল্লা নাম রাখা হয়)
অধীনে নাসিরনগর মহকুমা সৃষ্টি হয়। ১৮৭৫
সালে নাসিরনগর
মহকুমাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহকুমা নামকরণ
করা হয়। ১৭৯২ সালে ইস্ট
ইন্ডিয়া কোম্পানি জেলাকে থানায়
বিভক্ত করার নির্দেশ দেন। সিদ্ধান্ত হয়
যে প্রতি ৪০০ বর্গমাইল পরিমিত
এলাকা নিয়ে থানা গঠন করা হবে। ১৮৮৫
সালে ত্রিপুরা জেলাকে (বর্তমান নাম
কুমিল্লা) এগারটি থানায় ভাগ করা হয়। তখন
এ জেলাতে ১৫টি পুলিশ ফাঁড়িও ছিল।
১৮৭৫ সালে নাসিরনগর মহকুমার নাম
পরিবর্তন করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রাখা হয়
এবং পুলিশ ফাঁড়ির
সংখ্যা কমিয়ে দুটি করা হয়। পুলিশ
ফাঁড়ি দুটি হলো- নাসিরনগর
এবং মরিচাকান্দি। ফৌজদারি কার্যক্রমের
সুবিধার জন্য ১৯১০ সালে নাসিরনগর পুলিশ
ফাঁড়িকে থানা হিসাবে ঘোষণা করা হয়।
১৯৮৩ সালে ১ আগষ্ট নাসিরনগর
থানাকে উপজেলায় রূপান্তরিত করা হয়।
ঐতিহাসিক স্থাপত্যঃ নাসিরনগর
উপজেলার কৈলাসচন্দ্র সরকার ১৯১৭
সালে জগন্নাথ দেবের মন্দির
প্রতিষ্ঠা করেন। উপজেলার ফান্দাউক
গ্রামে মোগল যুগে নির্মিত একটি হিন্দু
মন্দির রয়েছে। মন্দিরটির নির্মাণ কৌশল
মোগল স্থাপত্যের ছাপ সুস্পষ্ট।
এছাড়া রয়েছে হরিপুর জমিদার বাড়ি(বড়
বাড়ি)। কথিত আছে ১৭৫ বছর পূর্বে জমিদার
গৌরী প্রসাদ রায় চৌধুরী এবং কৃষ্ণ প্রসাদ
রায় চৌধুরী বাড়িটি নির্মাণ করেন। প্রায়
৪৮০ শতাংশ জমির উপর নির্মিত
বাড়িটিতে ৫০-৫৫টি কক্ষ রয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধে নাসিরনগর :১৯৭১ সালের ১৫ই
নভেম্বর পাকহানাদার বাহিনী উপজেলার
কুন্ডা,ভলাকুট,গোর্কণ,নাসিরনগর সদর
ইউনিয়নের বিভিন্ন
গ্রামে হামলা করে এতে অগনিত মানুষ
নির্বিচারে প্রাণ হারায়।হানাদার
বাহিনী অগ্নিসংযোগ করে বাড়িঘর
জ্বালিয়ে দেয়। মুক্তিযুদ্ধে তুল্লাপাড়া ও
নাসিরনগর পুলিশ স্টেশনে দু‘পক্ষের
মুখোমুখি যুদ্ধ হয়। উপজেলার
পার্শ্ববর্তী উপজেলা কালাউকের(বর্তমান
লাখাই)ফুলবাড়িয়া গ্রামে যুদ্ধ
করতে গিয়ে চান্দেরপাড়া গ্রামের
ছিদ্দিকুর রহমান নামে একজন
মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। তবে ৭ ডিসেম্বর
হানাদার মুক্ত হয় নাসিরনগর।
ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্ব :- অবিভক্ত
ভারতবর্ষের উজ্জ্বল দুই নক্ষত্র মরহুম নওয়াব
সৈয়দ সামসুল হুদা ও প্রথম বাঙালী মুসলমান
ব্যারিস্টার স্যার আবদুল রসুল
এবং আলহাজ্বমাওলানা ফখরে বাঙ্গাল
তাজুল ইসলামসহ বহু পীর-দরবেশ,সাধক আর
জ্ঞানী,গুণীর পবিত্র জম্মভুমি ঐতিহাসিক
নাসিরনগর।
নবাব সৈয়দ শামসুল হুদা:ন্যায়পরায়ন ও প্রখর
ব্যাক্তিতব গোকর্ণ গ্রামে ১৮৬২
সালে জন্মগ্রহণ করেন।তাঁর পিতা সৈয়দ
রিয়াজতউলাহ আরবী ও ফারসি ভাষার
পন্ডিত ছিলেন। তিনি আইনজীবি ও
রাজনীতিবিদ ছিলেন।
কোলকাতা প্রেসিডেন্সী কলেজ
হতে এম.এ এবং বি.এল পাস করেন।
আইনশাস্ত্রে তাঁর ব্যাপক পড়াশুনা থাকায়
কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে ১৯০২
সালে ‘টেগোর প্রফেসর অব ল’পদ প্রদান
করেন। টেগোর প্রফেসর
হিসাবে তিনি Principles of Crimes in British
India’ধারাবাহিক বক্তৃতা প্রদান করেন।
১৯০৮ সালে পূর্ববঙ্গ ও আসাম আইন পরিষদের
সদস্য ছিলেন ।১৯০৯ সালে ইমপেরিয়েল
লেজিসলেটিভ কাউনসিলের সদস্য
নির্বাচিত হন। ১৯১২ সালে অল
ইন্ডিয়া মুসলিম লীগের
সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯১২-১৯১৭
সালে বাংলার গভর্ণর পরিষদের সদস্য
ছিলেন। ১৯১৭-১৯২১
সালে কোলকাতা হাইকোর্টের
বিচারপতি নিযুক্ত হন। ১৯১৩
সালে এবং ১৯১৬ সালে ব্রিটিশ সরকার
তাঁকে যথাক্রমে ‘‘নওয়াব’’এবং কে.সি.আই.ই
উপাধিতে ভূষিত করেন। বিচারপতির
দায়িত্ব পালন শেষে পুনরায়
রাজনীতিতে ফিরে আসেন এবং ১৯২১
সালে বঙ্গীয় আইন পরিষদের প্রথম
সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯২২ সালে এ
মহান ব্যাক্তিতব ইমেত্মকাল করেন।
ব্যারিস্টার আব্দুর রসুল:পিতা গোলাম রসুল
সাবেক ত্রিপুরা জেলার (বর্তমান ব্রাহ্মণ
বাড়িয়া জেলা) একজন জমিদার ছিলেন।
ব্রিটিশ ভারতেএকজন বিশিষ্ট
বাঙালী জাতীয়বাদী নেতা। ১৮৭২
সালেনাসিরনগর উপজেলার গুনিয়াউক
গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৮৮৮-তে ঢাকার
কলেজিয়েট স্কুল
থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।
কিছুকাল ঢাকা কলেজে অধ্যয়ন করেন।
১৮৮৯ সালে বিলেত গমন করেন। লন্ডনের
কিংস কলেজ থেকে ১৮৯২-
তে প্রবেশিকা, অক্সফোর্ডের জোনস
কলেজ থেকে ১৮৯৬-তে বি.এ. এবং ১৮৯৮-
তে এম.এ. পাস করেন। ওই বছর ১৮৯৮-এ মিডল
টেম্পল থেকে আইন পাস করে বি.সি এল.
উপাধি লাভ করেন বাঙ্গালী হিন্দু
মুসলমানের মধ্যে সর্বপ্রথম এই
ডিগ্রী লাভের কৃতিত্ব তাঁরই।
ব্যারিস্টারি পাস করে ১৮৯৮ সালে এ
দেশে ফিরে কলকতা হাইকোর্টে আইন
ব্যবসা শরু করেন। The Mussalman’(১৯০৬)
নামে সাপ্তাহিক সংবাদপত্র প্রকাশ করেন।
কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনের
অধ্যাপক হিসাবে যোগদান করেন কিন্তু
রাজনৈতিক কারণে নিয়োগ বাতিল
করা হয়। ১৯১৬ সালে মুসলিম
লীগে যোগদান করেন। তিনি বিশিষ্ট
বাগ্মী, তীক্ষ্ণ আইনবেত্তা,দৃঢ়চেতা,
নিষ্ঠাবান ও সৎ রাজনৈতিক
নেতা ছিলেন। ১৯১৭ সালে মৃত্যু বরণ
করেন।
ফখরে বাঙ্গাল হযরত মাওলানা তাজুল
ইসলাম (র.):তিনি ফখরে বাঙ্গাল
নামে পরিচিত। তাঁর পিতার নাম
মাওলানা আনওয়ারউদ্দিন। বিশিষ্ট আলেম ও
ইসলামী আইনবেত্তা ১৮৯৬ সালে (১৩১৫
হিজরী) ভূবন গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
শ্রীঘর মাদ্রাসা কিছুদিন
মাদ্রাসা পড়াশুনা করেন। শ্রীঘর
মাদ্রাসা পড়াশুনা করার পর হবিগঞ্জের
বাহুবল মাদ্রাসায় পড়াশুনা করেন।
পরবর্তীতে ১৩৩৮হিজরীতে অধিকতর
জ্ঞানার্জনের জন্য ভারতের দারুল উলুম
দেওবন্দ গমন করেন। ভারতের দারুল উলুম
দেওবন্দে পড়াশুনা শেষ করে ১৩৪৫
হিজরীতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জামেয়া ইউনুসি
শিক্ষক হিসাবে যোগদান করেন
এবং পরবর্তীতে অধ্যক্ষ হিসাবে দায়িতব
পালন করেন । মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত এ
পদে আসীন ছিলেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও
আশেপাশের এলাকয়া ভ্রান্ত
কাদিয়ানী মতবাদের
বিরুদ্ধে তিনি কঠোর প্রতিরোধ
গড়ে তোলেন। তিনি নেজামে ইসলাম
পাটির সভাপতি ছিলেন।
তীক্ষ্ণ ,দৃঢ়চেতা ও অসাধারণ বাগ্মী ১৯৬৭
সালে ৩ এপ্রিল ১৩৭৩বঙ্গাব্দ,২০চৈত্র ) মৃত্যু
বরণ করেন।
মোঃশামসুর রহমান মোল্লা-দাঁতমন্ডল
গ্রামে ২জুন ১৯২৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন।
তাঁর পিতার নাম মোঃ ফজলুর রহমান
মোল্লা। তিনি জুডিশিয়েল
ক্যাডারে চাকুরী করতেন। জেলা জজ
হিসাবে চাকুরী হতে অবসর গ্রহণ করেন।
তিনি তীক্ষ্ণ আইনবেত্তা,দৃঢ়চেতা,
নিষ্ঠাবান ও সৎ বিচারক ছিলেন। ১৯৯১
সালে ২ মে মৃত্যু বরণ করেন।
কবি ও সাহিত্যিক:
মতিউল ইসলাম :মতিউল ইসলাম নাসিরনগর
উপজেলার অন্তর্গত গুনিয়াউক গ্রামে ১৯১৪
সালে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর রচিত গ্রন্থ
মাটির কন্যা (কাব্য ,১৩৫৪ বঙ্গাব্দ),প্রিয়া ও
পৃথিবী, ১৩৬২ বঙ্গাব্দ),পুষ্পবিথী (১৯৬০
সালে),সপ্তকন্যা (১৯৫৭ সালে),দিবা ও
রাত্রি (১৩৫৮ বঙ্গাব্দ)। তিনি কবিতার জন্য
বাংলা একডেমী পুরস্কার পান ১৩৭৬
সালে । মাটির কন্যা কাব্য
থেকে একটি কবিতা বর্তমানে জাতীয়
বিশ্ববিদ্যালয় সণাতক শ্রেণীতে পাঠ্য
করা হয়েছে।
নলীনি কুমার ভদ্র:১৯০৬ সালে নাসিরনগর এ
জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর রচিত গ্রন্থ কবি প্রাণ
(১৯৪১ সালে ),বিচিত্র মনিপুর (ভ্রমন ১৯৪৪
সালে ),আমাদের অপিরিচিত
প্রতিবেশী (নৃতত্ত্ব ১৯৪৬ সালে ),
পাহাড়িয়া কাহিনী (রম্নপ কথা ,১৯৪৭
সালে),বনমলিকা ,ছোট গল্প (১৯৫৬ সালে)
ইত্যাদি।
মকবুল আলী:উনিশ শতকের শেষে গুনিয়াউক
গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর রচিত গ্রন্থ
রোযা (১৯০১ সালে), নামাজ, ইসলাম
প্রচারের সহজ উপায় ইত্যাদি।
বিশিষ্ট ব্যাক্তিত্ব:
এ.কে.এম.নিজামুর রহমানঃ-নুরপুর গ্রামে ১
আগষ্ট ১৯৩৭খ্রি.জন্মগ্রহণ করেন।এলাকায়
শাহজাহান মিয়া নামে পরিচিত।
তিনি প্রশাসন ক্যাডারে যোগদানের
মাধ্যমে চাকুরী শুরু করেন।
তুরস্কে বাংলাদেশ মিশনে চার্জ দ্য
অ্যাফেয়ার্স হিসাবে দায়িত্ব পালন
করেন। উপ সচিব
হিসাবে চাকুরী হতে অবসর গ্রহণ করেন।
দক্ষ ও সৎ সরকারি কর্মকর্তা ছিলেন।২০জুন
১৯৯৪খ্রি. মৃত্যু বরণ করেন।
প্রফেসর ড.মইনুল ইসলামঃ১৯৩৮খ্রি.
গুনিয়াউক গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন।
পিতা মৌলবী জহুরুল ইসলাম।এই
প্রথিতযশা শিক্ষাবিদ ও লেখক চট্টগা্রম
বিশ্ববিদ্যালয়ের
ব্যবস্থাপনা বিভাগে ১৯৬৮খ্রি. কর্মজীবন
শুরু করেন।বিশ্ববিদ্য
ালয়ে ব্যবস্থাপনা বিভাগে বিভাগীয়
প্রধান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।১৯৭০
খ্রি. ইংল্যান্ডের ব্রূনেল বিশ্ববিদ্যালয়
হতে মাস্টার্স পাশ করেন।১৯৭৪ খ্রি.
ইংল্যান্ডের লিডস
বিশ্ববিদ্যালয়ে হতে চয.উ ডিগ্রী লাভ
করেন।
১৯৮৮খ্রি.ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবস্থাপনা
করেন।২০০৩ খ্রি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
হতে অবসর নেন।তাঁর রচিত বই গুলো হচ্ছে-
ুচৎরহপরঢ়ষবং ড়ভ
গধহধমবসবহঃ ;‘‘আত্নজীবনী:দে
খেছি পথে যেতে’’; ‘‘সামান্য জনের
স্বদেশ ভাবনা’’;ুসমকালীন রাজনীতি ও
অন্যান্য প্রসঙ্গ’’এবং ুকোরিয়া ও চীন
যাত্রীর দিনলিপি’’।। বর্তমানে অবসর
জীবন যাপন করছেন।
সফি ইউ আহমেদঃ১৯৫১খ্রি.
জারুয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। জিতু
নামে পরিচিত।
পিতা মোঃ আফতাবউদ্দিনআহমেদ ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
হতে অর্থনীতিতে বি.এ (অনার্স) এম.এ
পাশ করেন।১৯৭৯ খ্রি.বাংলাদেশ সিভিল
সার্ভিস (তথ্য) ক্যাডারে যোগদানের
মাধ্যমে চাকুরী জীবন শুরু করেন।
পরবর্তীতে ক্যাডারে পরিবর্তন
করে ১৯৮০খ্রি.বাংলাদেশ সিভিল
সার্ভিস (পররাষ্ট) ক্যাডারে যোগদান
করেন।১৯৮৭-৯৩ খ্রি.কলম্বো ও রিয়াদস্থ
বাংলাদেশ মিশনে সচিব/কাউনসিলর
হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৯৬-২০০০খ্রি.লন্ডনস্থ কাউনসিলর/
মিনিস্টার হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।
২০০২খ্রি. হংকং এ বাংলাদেশ কনসাল
জেনারেল হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।
২০০৩ খ্রি. মালয়শিয়াতে বাংলাদেশ
হাইকমিশনে হাইকমিশনারের দায়িত্ব পালন
করেন। বর্তমানে অবসর জীবন যাপন করছেন।
তুখোড় মেধাবী দক্ষ ও সৎ
কর্মকর্তা হিসাবে তাঁর নাম সর্বজনবিদিত।
পত্র পত্রিকা: পত্র পত্রিকা প্রকাশ ও
পৃষ্ঠপোষকতা দিক থেকে নাসিরনগর
কৃর্তিমান পুরুষ গণ অনন্য ভূমিকা রেখেছেন।
মাওলানা সৈয়দ রিয়াজতউলস্নাহ
কলকাতা থেকে ’দূরবীন
পত্রিকা’ (১৮৬০-১৮৬৫
সালে)ফারসীতে প্রকাশ করতেন। নবাব
সৈয়দ শামসুল হুদার পৃষ্ঠপোষকতা ‘‘সুধাকর’’
প্রকাশিত হত। তিনি ‘‘মিহির’’ও ‘‘সুধাকর’’
পত্রিকার প্রকাশনা স্বত্বক্রয় করেন।
ব্যারিস্টার আব্দুর রসূল ‘‘দি মুসলমান ’’(১৯০৬
সালে)নামে পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন।
গুনিয়াউক গ্রামের কৃতি সমত্মান আলহাজ্ব
মোঃ নুরম্নল হোসেন
ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে প্রকাশিত ‘দৈনিক
ব্রাহ্মণবাড়িয়া’নামে একটি পত্রিকার
প্রকাশক ও সম্পাদক
হিসেবে প্রকাশনা অব্যাহত রেখেছে।
নাসিরনগর বার্তা ও
সিড়ি (ত্রৈমাসিক),সাপ্তাহিক
তিতাসবানী নামেও একাধিক
পত্রিকা প্রকাশিত হয়েছে