Jhilmil News

Jhilmil News Jhilmil News - A reliable media to publish local, national and international news.

রেল ভ্রমণে দুর্দশা লাঘবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অনুশাসন বাস্তবায়নের দাবিতে জেলা প্রশাসকের কাছে জেলা নাগরিক ফোরামের স্মারকল...
03/10/2024

রেল ভ্রমণে দুর্দশা লাঘবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অনুশাসন বাস্তবায়নের দাবিতে জেলা প্রশাসকের কাছে জেলা নাগরিক ফোরামের স্মারকলিপি প্রদান

ঢাকা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া-ঢাকা রুটে নতুন ট্রেন সার্ভিস চালু করণ, আন্তঃনগর বিজয় ও কালনী এক্সপ্রেসের ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেল স্টেশনে যাত্রা বিরতি ও বিদ্যমান ট্রেনসমূহের আসন সংখ্যা বৃদ্ধি করা বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনা দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবাগত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম-এর কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছে জেলা নাগরিক ফোরাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।

আজ ৩ অক্টোবর ২০২৪ জেলা প্রশাসক এর কার্যালয়ে উক্ত স্মারকলিপি প্রদান করে সংগঠনের সভাপতি সাংবাদিক পীযূষ কান্তি আচার্য্য ও সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা রতন কান্তি দত্ত। এসময় উপস্থিত ছিলেন সমাজকর্মী কমরেড নজরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর সানলাইফ ডায়াগনস্টিক সেন্টার এন্ড হাসপাতাল-এর চেয়ারম্যান মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন, প্রথম শ্রেণির ঠিকাদার ও সমাজকর্মী মো. আল আমিন।

স্মারকলিপিতে উল্লেখ্য করা হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাবাসীর দীর্ঘদিনের এই দাবির পক্ষে জেলা নাগরিক ফোরাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন সময় সভা-সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে আসছে। এক পর্যায়ে ২০২৩ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মহোদয়ের মাধ্যমে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের বরাবর এক স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। উক্ত স্মারকলিপির প্রেক্ষাপটে বিগত ২০২৩ সালের ৫ এপ্রিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, মাঠ প্রশাসন সংযোগ অধিশাখার স্মারক নং ০৪.০০.০০০০.৫১২.১৬.০০২.১৮.১০১-এর এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয় যে, ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর রেল ভ্রমণের দুর্দশা লাঘবে জেলাবাসীর এই প্রাণের দাবি বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। তারপর থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসী এই দাবিটির বাস্তবায়ন দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। কিন্তু আঠারো মাস অতিক্রান্ত হলেও এখন পর্যন্ত মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এই নির্দেশনার বাস্তবায়ন না হওয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসী ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত নিয়ে অনেক দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। এমতো অবস্থায় দ্রুত সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্মারকলিপিতে আবেদন জানানো হয়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি
(৩ অক্টোবর ২০২৪)

রেল যাতায়াত, যানজট ও লোডশেডিং সমস্যা সমাধানের দাবিতেনাগরিক ফোরামের মানববন্ধন অনুষ্ঠিতঢাকা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া-ঢাকা রুটে নতুন ...
29/09/2024

রেল যাতায়াত, যানজট ও লোডশেডিং সমস্যা সমাধানের দাবিতে
নাগরিক ফোরামের মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

ঢাকা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া-ঢাকা রুটে নতুন ট্রেন সার্ভিস চালু করণ, আন্তঃনগর বিজয় ও কালনী এক্সপ্রেসের ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেল স্টেশনে যাত্রা বিরতি ও বিদ্যমান ট্রেনসমূহের আসন সংখ্যা বৃদ্ধি করাসহ শহরের লোডশেডিং ও যানজট সমস্যা সমাধানের দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নাগরিক ফোরামের আয়োজনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ রবিবার সকাল ১১ টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত উক্ত মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। জেলা নাগরিক ফোরামের সভাপতি, বিশিষ্ট সাংবাদিক পীযূষ কান্তি আচার্য-এর সভাপতিত্বে উক্ত মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা নাগরিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা রতন কান্তি দত্ত।

মানববন্ধন কর্মসূচিতে সুধী সমাজের পক্ষে বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন, সাবেক সহ-সভাপতি ইব্রাহিম খান সাদাত, দৈনিক সমকালের স্টাফ রিপোর্টার, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আব্দুন নূর, সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি দীপক চৌধুরী বাপ্পি, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু হোরায়রা, বীর মুক্তিযোদ্ধা আওলাদ হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক মৃধা, কমরেড নজরুল ইসলাম, সাংবাদিক সৈয়দ মোহাম্মদ আকরাম, সাংবাদিক মোসারফ হোসেন বেলাল।

আবরণী নির্বাহী পরিচালক হাবিবুর রহমান পারভেজ-এর পরিচালনায় সভায় অন্যান্যের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন, জেলা নাগরিক ফোরামের সহ-সভাপতি ফয়সাল আহমেদ ওয়াকার, সাফির উদ্দিন চৌধুরী রনি, আরমান উদ্দিন পলাশ, সমাজকর্মী আশিকুল ইসলাম প্রমুখ।

সভায় বক্তাগণ বলেন, জেলা নাগরিক ফোরাম দীর্ঘদিন যাবত ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর রেল দুর্দশা লাগাবে ধারাবাহিকভাবে কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছে। কর্তৃপক্ষ নাগরিক ফোরামের গণদাবি দাবিগুলো পূরণ করবেন বলে নানা সময়ে আশ্বাস প্রদান করলেও কোনো কার্যকর উদ্যোগ চোখে পড়ছে না। ফলে লক্ষ লক্ষ ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসী দীর্ঘদিন যাবত ঢাকা-চট্টগ্রাম সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। বক্তাগণ এই সমস্ত ভোগান্তি থেকে লাঘবে অতি দ্রুত ট্রেন সমস্যার সমাধানের জন্য ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ জানান। বক্তাগণ এসময় জেলা শহরে সাম্প্রতিক সময়ে তীব্র যানজট ও লোডশেডিং সমাধানে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক ও পৌর প্রশাসনের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।

উক্ত মানববন্ধনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগণ এতে অংশগ্রহণ করেন।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি
২৯ সেপ্টেম্বর ২৪

কবি ও গল্পকার ইমরুল কায়েসের 'রাতের দিয়াশলাই দিনে ঠোকাই' কাব্যগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠিতশিল্প ও সাহিত্য সাময়িকী নব...
26/09/2024

কবি ও গল্পকার ইমরুল কায়েসের 'রাতের দিয়াশলাই দিনে ঠোকাই' কাব্যগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠিত

শিল্প ও সাহিত্য সাময়িকী নব ভাবনা নির্বাহী সম্পাদক, কবি ও গল্পকার ইমরুল কায়েসের কাব্যগ্রন্থ 'রাতের দিয়াশলাই দিনে ঠোকাই' কাব্যগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ২০ সেপ্টেম্বর ২৪ নব ভাবনার ঢাকাস্থ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক ও আমাদের গোয়েন্দা সম্পাদক অরুণ কুমার বিশ্বাস।

বিশেষ অতিথি উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব, নাট্য ব্যক্তিত্ব মো. আব্দুর রশীদ, নব ভাবনার প্রধান পৃষ্ঠপোষক হুমায়দা মুজতবা, বিশিষ্ট ঔপন্যাসিক মোজাম্মেল হক নিয়োগী, নব ভাবনা লেখক ফোরামের চীফ এম্বাসেডর, কবি ও প্রাবন্ধিক রাহমান ওয়াহিদ প্রমুখ।

সেভ দ্যা চিলড্রেন ইন্টারন্যশনাল-এর টেকনিক্যাল এডভাইজার কবি ও প্রাবন্ধিক এজাজুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন নব ভাবনার সম্পাদক ও প্রকাশক আব্দুল্লাহ আল অলিদ। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন নব ভাবনা লেখক ফোরামের জয়েন্ট চীফ এম্বাসেডর ঔপন্যাসিক ও প্রাবন্ধিক ওয়াহিদুর রহমান শিপু।

কবি হাবিবুর রহমান মুন্নার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে লেখক ইমরুল কায়েস ও তার বিভিন্ন বইয়ের উপর লিখত প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নন্দনতত্ব গবেষক, কবি দেবনাথ মণ্ডল। উন্মোচনকৃত বই থেকে কবিতা আবৃত্তি করেন কবি ও গল্পকার তরিকুল আমিন, মমতাজ জামান শিপন, লেখক ফোরামের এম্বাসেডর জেনারেল কবি মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ। পবিত্র কোরআন তেলওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। কোরআন তেলওয়াত করেন আবু বক্কর সিদ্দিক।

অনুষ্ঠানে বক্তগণ বলেন- ইমরুল কায়েস একজন প্রতিভাবান লেখক ও সম্পাদক। তার প্রকাশিত প্রত্যেক বই ইতোমধ্যে পাঠক প্রিয়তা পেয়েছে। বইয়ের নামকরণে ইমরুল কায়েস বিশেষ পারঙ্গমতা দেখিয়েছেন। তার জলমাতাল, বউনটী গল্পগ্রন্থের মতো 'রাতের দিয়াশলাই দিনে ঠোকাই' বইটিও পাঠক প্রিয়তা অর্জন করে বলে আমাদের বিশ্বাস। সম্পাদক হিসেবেও সফল লেখক ইমরুল কায়েস। তার হাত ধরেই নব ভাবনা অল্প সময়ের মধ্যেই দেশের কাদামাটি ঘেঁষা লেখক-পাঠকদের আস্থা ও ভালোবাসা অর্জন করেছে।

মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নব ভাবনার সহকারী সম্পাদক আলী হোসেন, কথাসাহিত্যিক আমির হোসেন, কবি ও প্রাবন্ধিক অরবিন্দ পাল, কবি ও সম্পাদক অনির্বাণ চক্রবর্তী, প্রাবন্ধিক ও গল্পকার সোনিয়া তাসনিম খান, কবি ইবনে জালাল ও কবি আব্দুল আজিজ, কবি এহসানুল হক মালিকী, কবরিয়া লিপন, কবি মেহনাজ পারভীন প্রমুখ।

নব ভাবনা, লেখক ফোরামের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিতদেশের জনপ্রিয় জাতীয় শিল্প-সাহিত্য ও সংস্কৃতির পত্রিকা নব ভাবনা-এর স্বতন্ত্র ...
22/09/2024

নব ভাবনা, লেখক ফোরামের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

দেশের জনপ্রিয় জাতীয় শিল্প-সাহিত্য ও সংস্কৃতির পত্রিকা নব ভাবনা-এর স্বতন্ত্র সংগঠন নব ভাবনা, লেখক ফোরামের কেন্দ্রীয় পরিষদের সাথে নব ভাবনার সম্পাদকমণ্ডলীর এক মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, শুক্রবার বিকেলে নব ভাবনার ঢাকাস্থ কার্যালয়ের কথাসাহিত্যিক অরুণ কুমার বিশ্বাস সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত-এ সভায় নব ভাবনা সম্পাদক মণ্ডলী ও বিভিন্ন জেলার লেখক এম্বাসেডরগণ অংশগ্রহণ করেন।

নব ভাবনার সহকারী সম্পাদক আলী হোসেন-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নব ভাবনার সম্পাদক ও প্রকাশক আব্দুল্লাহ আল অলিদ। বিশেষ অতিথি উপস্থিত ছিলেন লেখক ফোরামের সুপ্রিম এম্বাসেডর ও নব ভাবনার নির্বাহী সম্পাদক, ইমরুল কায়েস, চীফ এম্বাসেডর রাহমান ওয়াহিদ, জয়েন্ট চীফ এম্বাসেডর ওয়াহিদুর রহমান শিপু।

লেখক এম্বাসেডর অনির্বাণ চক্রবর্তী-এর সঞ্চালনায় সভায় বিভিন্ন বিষয়ে মতামত ব্যক্ত করেন এম্বাসেডর ইন অফিস সোনিয়া তাসনিম খান, লেখক এম্বাসেডর অরবিন্দ পাল, ইবনে জালাল ও আব্দুল আজিজ। সভায় আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কথাসাহিত্যিক আমির হোসেন। সভায় সাংগঠনিক রিপোর্ট ও কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপন করেন লেখক ফোরামের এম্বাসেডর জেনারেল মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ।

সভায় লেখক এম্বাসেডরের মনোনীত ও নির্বাচিত সদস্যগণ নব ভাবনার সম্পাদক পরিষদের কাছে নিজেদের সম্মতিপত্র প্রদান করেন। পরে নব ভাবনার সম্পাদক ও প্রকাশক আব্দুল্লাহ আল অলিদ তাদের শপথ বাক্য পাঠ করান। সভায় লেখক ফোমের গঠনতন্ত্র, কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক কাঠামো, সদস্য অন্তর্ভুক্তি, বিভিন্ন বিভাগ ও জেলা কমিটির গঠনের লক্ষ্যে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও লেখক ফোরামের জাতীয় ১১ জন এম্বাসেডর জীবনী চূড়ান্ত করা হয়।

সভায় লেখক ফোরামের গঠনতন্ত্র তৈরির লক্ষ্যে একটি উপকমিটি গঠন করা হয়। কমিটির উপদেষ্টা: আলী হোসেন, আহ্বায়ক: ওয়াহিদুর রহমান শিপু, সদস্য সচিব: মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ, সদস্য: অনির্বাণ চক্রবর্তী, সোনিয়া তাসনিম খান, জিল্লুর রহমান জিল্লু। উক্ত কমিটি আগামী ২৫ ডিসেম্বরের মধ্যে গঠনতন্ত্র তৈরি করবে। এছাড়া জেলা কমিটি গঠনের লক্ষ্যে নিম্নোক্ত ব্যক্তিবর্গকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়। ময়মনসিংহ: আলী হোসেন ও অরবিন্দ পাল, পিরোজপুর: অনির্বাণ চক্রবর্তী ও দেবনাথ মন্ডল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া: আমির হোসেন ও মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
২২ সেপ্টেম্বর ২৪

তিতাস তীরে রবীন্দ্র-নজরুল জন্মজয়ন্তী ॥বর্ণাঢ্য আয়োজনে উদযাপন করলো অদ্বৈত মল্লবর্মণ স্মৃতি গ্রন্থাগাররবীন্দ্র-নজরুল বাংলা...
07/06/2024

তিতাস তীরে রবীন্দ্র-নজরুল জন্মজয়ন্তী ॥
বর্ণাঢ্য আয়োজনে উদযাপন করলো অদ্বৈত মল্লবর্মণ স্মৃতি গ্রন্থাগার

রবীন্দ্র-নজরুল বাংলা সাহিত্যের ধ্রুবতারা
তাঁদের সৃষ্টিসম্ভার জাতির সকল সংকটকালে আজও উত্তরণের পাথেয়
------আলোচনা সভায় বক্তাগণ

মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ:
তিতাস নদীর কোল ঘেঁষে বানানো অদ্বৈত মল্লবর্মণ মুক্তমঞ্চ। অমর কথাশিল্পী অদ্বৈত মল্লবর্মণ-এর জন্মভিটা গোকর্ণঘাটে প্রতিষ্ঠিত এই মঞ্চে প্রথমবারের মতো উদযাপন হলো বাংলা সাহিত্যের সবচাইতে উজ্জ্বল দুই নক্ষত্র বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩তম ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫ তম জন্মদিন অনুষ্ঠান। অদ্বৈত মল্লবর্মণ স্মৃতি গ্রন্থাগার ও গবেষণা কেন্দ্রের আয়োজনে স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনায় পরিবেশিত হলো কালজয়ী রবীন্দ্র-নজরুল সংগীত ও নৃত্যানুষ্ঠান। এসময় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ফাঁকে ফাঁকে জেলার বরেণ্য লেখক সাহিত্যিকদের আলোচনায় উঠে আসে রবীন্দ্র নজরুলের জীবনসংগ্রাম, চেতনা ও সাহিত্যকর্মের নানা দিক।

গতকাল ৬ জুন বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটায় শুরু হওয়া এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঐতিহ্যবাহী ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার দুবার নির্বাচিত মেয়র মিসেস নায়ার কবির।

অদ্বৈত মল্লবর্মণ স্মৃতি গ্রন্থাগার ও গবেষণা কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, কবি মো. আ. কুদ্দূস-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় স্বাগত বক্তব্য উপস্থাপন করেন রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তী-১৪৩০ উদ্যাপন পরিষদের আহ্বায়ক, বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক, অধ্যাপক মানবর্ন্ধন পাল।

স্থানীয় বিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থী ও মল্লবর্মণ পাড়ার নারী-পুরুষসহ কয়েক শতাধিক মানুষের উপস্থিতিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে রবীন্দ্র-নজরুলের উপর আলোকপাত করেন সাবেক যুগ্মসচিব, বাংলাদেশ রাইটার্স ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কবি শাহ্ মোহাম্মদ সানাউল হক, সাহিত্য একাডেমির সভাপতি, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিশিষ্ট কবি ও গবেষক জয়দুল হোসেন, গোকর্ণঘাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, বিশিষ্ট রম্যলেখক পরিমল ভৌমিক, তিতাস সাহিত্য-সংস্কৃতি পরিষদের উপদেষ্টা কবি মোঃ আব্দুর রহিম, চেতনায় স্বদেশ গণগ্রন্থাগারের সভাপতি, কথাসাহিত্যিক আমির হোসেন, সাহিত্য একাডেমির সহ-সভাপতি, অদ্বৈত গবেষক, কথাসাহিত্যিক মানিকরতন শর্মা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ছোটকাগজ ‘প্লাটফর্ম’-সম্পাদক হেলাল উদ্দিন হৃদয় ও কিচিরমিচির সম্পাদক মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ। এছাড়াও ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের শিল্প-সাহিত্য ও সংস্কৃতি চর্চার সাথে যুক্ত অনেক ব্যক্তিবর্গ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

রাত নটা অবধি চলা অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করে আনন্দলোক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের পরিচালক, শিল্পী আসিফ ইকবাল খান, বাংলাদেশ টেলিভিশনের তালিকাভুক্ত কণ্ঠ শিল্পী নবনীতা রায় বর্মন, শাজাহান মিয়া, উপমা দেবনাথ, বাঁধন পাল, দুর্জয় বণিক, অবনি সরকার। আবৃত্তি শিল্পী ও সংগঠক শেখর চন্দ্র চৌধুরীর ব্যবস্থাপনায় একক ও দলীয় নৃত্য পরিবেশন করে ভাষা ও সাহিত্য অনুশীলন কেন্দ্র ও নিয়াজ মোহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ের নৃত্যশিল্পী বৃন্দ।

সভায় বক্তাগণ বলেন- বাঙালির মানসলোকের এই দুই পথপ্রদর্শক যুগ যুগ ধরে আলোকবর্তিকা হয়ে আছেন আমাদের মাঝে। তাঁরা বাঙালির হাজার বছরের ইতিহাসের অন্যতম দুই শ্রেষ্ঠ মানুষ। সাহিত্যের অনবদ্য আলো নিয়ে বাংলা সাহিত্যকে আলোকিত করেছেন ধ্রুবতারার ন্যায়। তাঁদের রচিত সকল সাহিত্যকর্ম মানব জীবনের দর্শন তথা মানবতার জয়গানে সমৃদ্ধ। জাতির সকল সংকটকালে আজও উত্তরণের পাথেয় হতে পারে রবীন্দ্রনাথ-নজরুলের সৃষ্টিসম্ভার।

তাঁরা বলেন- শত বছর পরেও রবীন্দ্রনাথ এবং নজরুল এখনো সমানভাবে প্রাসঙ্গিক। এবং আগামী কয়েক শত বছর পরেও তাদের প্রয়োজন ফুরিয়ে যাবে না। বাঙালির চেতনার মনস বিকাশে, সাহিত্যের প্রয়োজনীয়তায় ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য তারা দুজন এক ও অবিচ্ছেদ। তাদের আলাদা করে দেখার, ভাববার বা চর্চা করার সুযোগ নেই।

বক্তারা আরো বলেন- রবীন্দ্র-নজরুল ছাড়াও ঔপন্যাসিনক অদ্বৈত মল্লবর্মণ, কবি জসীমউদ্দীন, জীবনানন্দ দাশ, সুকান্ত ভট্টাচার্যসহ অন্যান্য লেখকগণও তাঁদের সাহিত্য কর্মে মানুষ ও মানবতার কথা বলে গেছেন। বক্তাগণ নতুন প্রজন্মও মানস গঠনে রবীন্দ্র-নজরুল চর্চা করার পাশাপাশি বাংলা সাহিত্যের সকল খ্যাতিমান লেখকদের সাহিত্য পাঠ করার উপর গুরুত্বারোপ করেন।

বার্তা প্রেরক
মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ
সদস্য, অদ্বৈত মল্লবর্মণ স্মৃতি গ্রন্থাগার ও গবেষণা কেন্দ্র প্রেস বিজ্ঞপ্তি ৭ জুন ২৪

প্রয়াত অধ্যাপক শান্তনু কায়সারকে মরণোত্তর ‘অদ্বৈত মল্লবর্মণ সাহিত্য পুরস্কার’ প্রদানবাংলাদেশে অদ্বৈত চর্চার অন্যতম পথিকৃৎ...
23/05/2024

প্রয়াত অধ্যাপক শান্তনু কায়সারকে মরণোত্তর ‘অদ্বৈত মল্লবর্মণ সাহিত্য পুরস্কার’ প্রদান

বাংলাদেশে অদ্বৈত চর্চার অন্যতম পথিকৃৎ অধ্যাপক শান্তনু কায়সারকে মরণোত্তর ‘অদ্বৈত মল্লবর্মণ সাহিত্য পুরস্কার’-২০২৪ প্রদান করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (২৩ মে) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন (পিপিএম)। অদ্বৈত মল্লবর্মণ স্মৃতি গ্রন্থাগার ও গবেষণা কেন্দ্র আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গবেষণা কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, কবি মো. আ. কুদ্দূস।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য উপস্থাপন করেন অধ্যাপক শান্তনু কায়সারের দীর্ঘদিনের সহচর, সাহিত্য একাডেমির সভাপতি, বিশিষ্ট কবি ও গবেষক জয়দুল হোসেন। তিনি তাঁর বক্তব্যে বাংলাদেশ তথা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অদ্বৈত চর্চার ইতিহাস, অদ্বৈত গবেষণায় অধ্যাপক শান্তনু কায়সারের অবদান এবং অদ্বৈত মল্লবর্মণ স্মৃতি গ্রন্থাগার ও গবেষণা কেন্দ্রের প্রয়োজনীয়তা ও কর্ম পরিধি নিয়ে বিশদ বক্তব্য উপস্থাপন করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো বক্তব্য রাখেন বাংলা একাডেমির সহকারী সম্পাদক, কবি পিয়াস মজিদ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মাইদুল ইসলাম পঠান।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাহিত্য-সংস্কৃতি অঙ্গনের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে শান্তনু কায়সারের পরিবারের পক্ষে সম্মানজনক এ পুরস্কার গ্রহণ করেন তাঁর বড় ছেলে রাসেল রায়হান। এসময় অতিথিবৃন্দ তার হাতে সম্মাননা স্মারক, নগদ অর্থ ও সম্মাননাপত্র তুলে দেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ছোটকাগজ ‘প্লাটফর্ম’-সম্পাদক হেলাল উদ্দিন হৃদয় ও কিচিরমিচির সম্পাদক মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে এই ধরনের কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন- প্রয়াত এ গুণীজনকে সম্মান প্রদর্শনের মাধ্যমে একই সাথে অদ্বৈত মল্লবর্মণ ও অধ্যাপক শান্তনু কায়সারের সম্পর্কে মানুষের জানার আগ্রহ বৃদ্ধি পাবে। অনুষ্ঠানের সভাপতি মো. আ. কুদ্দূস বলেন- নতুন প্রজন্মের মাঝে অদ্বৈতর চিন্তা-চেতনাকে ছড়িয়ে দেওয়া এবং অদ্বৈত গবেষণায় দ্বার উন্মুক্ত রাখতে ভবিষ্যতেও আমাদের বিভিন্ন কার্যক্রম চলমান থাকবে।

২০২২ সালে মো. আ. কুদ্দূস প্রতিষ্ঠিত অদ্বৈত মল্লবর্মণ স্মৃতি গ্রন্থাগার ও গবেষণা কেন্দ্রের মাধ্যমে অদ্বৈতর জন্মভিটা গোকর্ণঘাটে ২০২৩ সালে প্রথম ও ২০২৪ সালে দ্বিতীয়বারের মতো তিন দিনব্যাপী অদ্বৈত গ্রন্থমেলা আয়োজন করা হয়েছিল। দুই বছরই দুইজন গুণী ব্যক্তিকে অদ্বৈত গবেষণায় অবদান রাখায় ‘অদ্বৈত মল্লবর্মণ সাহিত্য পুরস্কার’ প্রদান করা হয়। ২০২৩ সালে এ পুরস্কার লাভ করেন কবি ও গবেষক জয়দুল হোসেন। এ বছর ২০-২২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত এ মেলায় অধ্যাপক শান্তনু কায়সারকে এ পুরস্কার দেওয়ার কথা থাকলেও সে সময় তাঁর পরিবারের সদস্যরা বিদেশে অবস্থান করায় আজ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই পুরস্কার প্রদান করা হলো।

অনুষ্ঠানে তাঁর বড় ছেলে রাসেল রায়হান অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন- আমার বাবা কর্ম ও ভালোলাগার সূত্রে দীর্ঘদিন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বসবাস করেছেন। আমাদের ভাই-বোনদের সকলের জন্ম ও বেড়ে ওঠা এই ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে। বাবা ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে এত বেশি থেকেছেন, আসা-যাওয়া করেছেন এবং কাজ করেছেন যে দেশের অনেকেই ভাবেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বুঝি তাঁর আসল বাড়ি। আজকে ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর এই সম্মান পেয়ে আমরা পরিবারের সদস্যরা গর্বিত ও আনন্দিত। বাবা বেঁচে থাকলে নিশ্চয়ই তিনিও গর্ব অনুভব করতেন। বক্তব্যে তিনি অদ্বৈত মল্লবর্মণ স্মৃতি গ্রন্থাগার ও গবেষণা কেন্দ্র এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। এসসময় তিনি তার বাবার লেখা কিছু বই অদ্বৈত গ্রন্থাগারে প্রদান করেন।

উল্লেখ্য অধ্যাপক শান্তনু কায়সার ১৯৫০ সালের ৩০ ডিসেম্বর চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার সাজনমেঘ গ্রামের মুন্সী বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর শেষে অধ্যাপনাকে জীবনের ব্রত হিসেবে নেন। একইসঙ্গে তিনি লেখালেখিতে মনোনিবেশ করেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজে অধ্যাপনার সময় তিনি এখানকার সাহিত্য-সংস্কৃতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় তিনি অদ্বৈত গবেষণা ও চর্চায় আত্মনিয়োগ করেন। একসময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছেড়ে গেলেও মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এই জেলার সঙ্গে তার নিবিড় সম্পর্ক ছিল। বিস্তর কর্মজীবনে বিভিন্ন বিষয়ে তিনি প্রায় ৪৫টি গ্রন্থ রচনা করেন। যার উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বই অদ্বৈত গবেষণার উপর। ২০১৪ সালে প্রবন্ধ সাহিত্যে বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করা গুণী এই সাহিত্যিক ২০১৭ সালের ১২ এপ্রিল মৃত্যুবরণ করেন।

বার্তা প্রেরক
মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ
সদস্য, অদ্বৈত মল্লবর্মণ স্মৃতি গ্রন্থাগার ও গবেষণা কেন্দ্র
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
২৩ মে ২৪

সাংগঠনিক আবৃত্তি চর্চায় পদক অর্জন করায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সংবর্ধিত হলেন কবি জয়দুল হোসেনজয়দুল হোসেন তাঁর আলোয় সমাজ ও শিল্প-স...
10/03/2024

সাংগঠনিক আবৃত্তি চর্চায় পদক অর্জন করায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সংবর্ধিত হলেন কবি জয়দুল হোসেন

জয়দুল হোসেন তাঁর আলোয় সমাজ ও শিল্প-সাহিত্যকে আলোকিত করেছেন
বরেণ্য আবৃত্তিশিল্পী ও প্রশিক্ষক গোলাম সারোয়ার

ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চার উর্বর ভূমি। ভালোভাবে চাষ করলে এখানে সোনার ফসল ফলে
কবি ও গবেষক জয়দুল হোসেন

সাংগঠনিক আবৃত্তি চর্চায় গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ প্রবর্তিত ‘গোলাম মুস্তাফা আবৃত্তি পদক’ অর্জন করায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাহিত্য একাডেমির সভাপতি, বিশিষ্ট কবি, সংগঠক ও গবেষক জয়দুল হোসেনকে সংবর্ধনা প্রদান করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন সাহিত্য-সংস্কৃতি ও সামাজিক সংগঠনের সদস্যরা। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত বর্ণাঢ্য এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে কবি জয়দুল হোসেন সংবর্ধনা পরিষদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, বরেণ্য আবৃত্তিশিল্পী ও প্রশিক্ষক গোলাম সারোয়ার।

কবি জয়দুল হোসেন সংবর্ধনা পরিষদের আহ্বায়ক ও বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক মো মনির হোসেন-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বঙ্গীয় সাহিত্য-সংস্কৃতি সংসদ জেলা শাখার সভাপতি, বিশিষ্ট কবি ও নাট্যকার আবদুল মান্নান সরকার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বাহারুল ইসলাম মোল্লা, নারীনেত্রী বেগম ফজিলাতুন্নাহার, জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারের সহকারী পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম লিমন, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সদস্য সচিব এটিএম ফয়েজুল কবির, গুণীজন সংবর্ধনা পরিষদ সভাপতি মোঃ আব্দুল বাসেত, সাহিত্য একাডেমির সহ-সভাপতি মানিক রতন শর্মা, বাংলাদেশ বেসরকারি গণগ্রন্থাগার পরিষদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সভাপতি কবি আমির হোসেন, নতুনমাত্রা পাবলিকেশনের স্বত্বাধিকারী, কবি ও সাংবাদিক আল আমীন শাহীন, ভাষা ও সাহিত্য অনুশীলন কেন্দ্রের সহ-সভাপতি মমিনুল আলম বাবু, নদী প্রাণ ও প্রকৃতি সুরক্ষা বিষয়ক সংগঠন তরী বাংলাদেশ-এর আহ্বায়ক শামীম আহমেদ, আবরনীর নির্বাহী পরিচালক, আবৃত্তিশিল্পী হাবিবুর রহমান পারভেজ, সমাজকর্মী কমরেড নজরুল ইসলাম, তিতাস আবৃত্তি সংগঠনের সহকারী পরিচালক সুজন সরকার, কবির কলমের সভাপতি কবি হুমায়ুন কবির, সোনালি সকালের সভাপতি ফাহিম মুনতাসির।

কিচিরমিচির সম্পাদক মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ ও আবৃত্তিশিল্পী ফারদিয়া আশরাফী নাওমীর সঞ্চালনায় সভায় স্বাগত বক্তব্য উপস্থাপন করেন জেলা খেলাঘর আসরের সাধারণ সম্পাদক নীহার রঞ্জন সরকার। ধন্যবাদ বক্তব্য রাখেন সাহিত্য একাডেমির সাধারণ সম্পাদক মোঃ নুরুল আমিন। অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় কবি জয়দুল হোসেনকে নিবেদিত কবিতা পাঠ করেন তিতাস সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদের উপদেষ্ট, কবি মোঃ আব্দুর রহিম ও সাহিত্য একাডেমির সদস্য রিপন দেবনাথ। অনুষ্ঠানে কবি জয়দুল হোসেন রচিত বিভিন্ন কবিতার দলীয় আবৃত্তি পরিবেশন করে সাহিত্য একাডেমি, তিতাস আবৃত্তি সংগঠন, ভাষা ও সাহিত্য অনুশীলন কেন্দ্র, আবরনি আবৃত্তি চর্চা কেন্দ্র এবং সোনালি সকাল সংগঠনের আবৃত্তিশিল্পীবৃন্দ। এছাড়াও দলীয় নৃত্য পরিবেশন করে সুরসম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনের নৃত্য শিল্পীর দল। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সংবর্ধিত অতিথি কবি জয়দুল হোসেনকে ফুলের শুভেচ্ছা ও উপহার সামগ্রী প্রদান করেন।

সংবর্ধনা শেষে কবি জয়দুল হোসেন তার অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন- বাংলা সাহিত্যের আদি নিদর্শন চর্যাপদ যা মূলত কবিতা। পৃথিবীর অনেক ভাষার আদি নিদর্শনী কবিতা। ফলে বলা যায় মানুষের সাহিত্য সাধনার প্রথম থেকেই কবিতা রচনা তথা কাব্যচর্চা হয়ে আসছে। বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে সাংগঠনিক আবৃত্তি চর্চা শুরু হয় আশির দশকে। সমসাময়িক সময়ে আমি জেলার সাহিত্য-সংস্কৃতির চর্চা শুরু করি। সেই সঙ্গে আবৃত্তি চর্চাও। আমি নিজে কখনো আবৃত্তি না করলেও অন্যদেরকে দিয়ে আবৃত্তি করিয়েছি। কেননা আমি তখন থেকেই বুজতে পেরেছিলাম যে কবিতার লেখার মাধ্যমে, আবৃত্তি চর্চার মাধ্যমে মানুষের মাঝে দেশপ্রেম, সমাজ সচেতনতা ও চেতনা ছড়িয়ে দেয়া যায়। আবৃত্তি দিয়ে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করা যায়। সাংগঠনিকভাবে আবৃত্তি চর্চা করলে যে পুরস্কার পাওয়া যায়, এই বিষয়টি আমার আগে থেকে জানা ছিল না। তাই পুরস্কারে আমার নাম ঘোষণা করা হলে তখন থেকেই বিষয়টি নিয়ে আমি সন্দিহান ছিলাম। যা নিয়ে আমি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলেছি।

বক্তব্যে তিনি আরো বলেন- আমি কখনো পদক বা পুরস্কারের জন্য কোন কাজ করিনি, কোনো লেখা লেখিনি, আবৃত্তি চর্চা করিনি, সাংগঠনিক কাজও করিনি। আমি জীবনে যা করেছি তা নিজের মনের তাগিদে করেছি। দায়িত্ব ও চেতনা বোধ থেকে কাজ করেছি। সংগঠন করেছি নিজের আদর্শের জায়গা থেকে। তিনি অন্যদেরকেও নিজের নাম ছড়ানোর জন্য কাজ না করে, দেশ ও মানুষের জন্য কাজ করার কথা বলেন। বক্তব্যে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চার উর্বর ভূমি উল্লেখ করে সকলকে এই ভূমিতে সোনার ফসল ফলানোর জন্য আহ্বান জানান। তিনি তাকে সংবর্ধনা প্রদান করার জন্য আয়োজকদের এবং উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন- টেলিভিশনে ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে যেভাবে পারস্পরিক যুদ্ধের জনপদ, সংঘর্ষের জনপদ হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে, আমি মনে করি এটা উচিত নয়। কেননা এই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আছে সুদীর্ঘ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। সে ঐতিহ্যের টানেই বারবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছুটে আসতে মন চায়। তিনি বলেন জয়দুল হোসেন আবৃত্তি পদকে ভূষিত হলেও আমরা তাঁকে এই ছোট্ট গণ্ডিতে সীমাবদ্ধ রাখতে চাই না। কেননা তাঁর দীর্ঘ জীবনে যা যা অবদান, সেই তুলনায় একটি সুনির্দিষ্ট বিষয়ে পুরস্কার খুবই ছোট্ট একটি অর্জন। তবে, যে কোনও পুরস্কার মানুষকে আলোকিত করে, দায়িত্বশীল করে। জয়দুল হোসেন তাঁর আলোয় সমাজ ও শিল্প সাহিত্যকে আরও আলোকিত করেছেন এবং ভবিষ্যতেও করবেন বলে আমার বিশ্বাস।

বার্তা প্রেরক
মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
(১০ মার্চ ২০২৪)

ভালোবাসা, সম্প্রীতি ও দেশপ্রেমের বার্তা দিয়ে বর্ণাঢ্য আয়োজনে শেষ হলো হলো দ্বিতীয় অদ্বৈত গ্রন্থমেলাতিতাস নদী ও অদ্বৈত মল্...
23/02/2024

ভালোবাসা, সম্প্রীতি ও দেশপ্রেমের বার্তা দিয়ে বর্ণাঢ্য আয়োজনে শেষ হলো হলো দ্বিতীয় অদ্বৈত গ্রন্থমেলা

তিতাস নদী ও অদ্বৈত মল্লবর্মণ আমাদের সম্পদ ও ঐতিহ্য, এগুলো আমাদেরকেই রক্ষা করতে হবে ----------কবি মো. আ. কুদদূস

বর্ণাঢ্য আয়োজনে শেষ হলো দ্বিতীয় অদ্বৈত গ্রন্থমেলা। মেলার শেষ দিনের কর্মসূচি ছিল কবি কণ্ঠে কবিতা পাঠ, একক ও দলীয় আবৃত্তি, নাটক এবং সংগীত অনুষ্ঠান। এদিন বৃষ্টির কারণে নির্ধারিত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত না হলেও বৃষ্টি শেষ হওয়ার পর থেকেও মেলায় দর্শনার্থীদের ভিড় বাড়তে থাকে। সন্ধ্যার পর শুরু হয় নানান পরিবেশনা, যা একনাগাড়ে মধ্যরাত অবধি চলতে থাকে। এসময় বিভিন্ন স্টলে স্থানীয় লেখকসহ দেশবিদেশের নানা লেখকের অসংখ্য বই বিক্রিও চলতে থাকে।

সমাপনী অনুষ্ঠানে হেলাল উদ্দিন হৃদয় ও মনিরুল ইসলাম শ্রাবণের উপস্থাপনায় কবি কণ্ঠে কবিতা পাঠ করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার স্থানীয় কবিগণ। একক আবৃত্তি উপস্থাপন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিশিষ্ট বাচিকশিল্পী মোঃ মনির হোসেন, ভোলা থেকে আগত বাচিকশিল্পী শামস মিঠু, ঢাকা থেকে আগত বাচিকশিল্পী সৈয়দ ফয়সাল আহমেদ। দলীয় আবৃত্তি পরিবেশন করেন তিতাস আবৃত্তি সংগঠনের শিল্পীবৃন্দ। সংগীত পরিবেশন করেন সুরতাল সঙ্গে নিকেতনের শিল্পীবৃন্দ। অনুষ্ঠানে অদ্বৈত মল্লবর্মণ জীবন কাহিনি নিয়ে রচিত নাটক ‘অদ্বৈতের অল্প কাহিনি’ পরিবেশন করে গোর্কণঘাটের মল্লবর্মণ সম্প্রদায়। এছাড়াও অদ্বৈত গবেষণায় অনন্য ভূমিকা রাখার জন্য অদ্বৈত গবেষণার পথপ্রদর্শক, অধ্যাপক শান্তনু কায়সারকে (মরনোত্তর) অদ্বৈত সাহিত্য পুরস্কার-২০২৪ ঘোষণা করা হয়। যা পরবর্তীতে তাঁর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়।

মেলায় সমাপনী বক্তব্য প্রদান করেন অদ্বৈত গ্রন্থমেলার আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কবি মো. আ. কুদদূস। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন- তিতাস নদী, অদ্বৈত মল্লবর্মণ, গোকর্ণঘাট- আমাদের সম্পদ ও ঐতিহ্য। এই সম্পদ ও ঐতিহ্য আমাদেরকেই রক্ষা করতে হবে। তিনি অদ্বৈত মল্লবর্মণ স্মৃতি গ্রন্থাগার ও গবেষণা কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠার নানা পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে বলেন- এই গ্রন্থাগারকে কেন্দ্র করে এখানে একটি দৃষ্টিনন্দন স্পট গড়ে তোলা হবে। দেশবিদেশের পর্যটকরা অদ্বৈত মল্লবর্মণ সম্পর্কে জানতে ও গবেষণা করতে এখানে আসবেন। এখানে অদ্বৈত ভাস্কর্য তৈরি করা হবে, লাইব্রেরি কার্যক্রম ও মেলার মাঠ সম্প্রসারণ করা হবে। এখানে মল্লবর্মণ পাড়ার ছেলেমেয়েসহ গোকর্ণঘাটের ছেলেমেয়েদের নানান বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদানের ব্যবস্থা করা হবে। তারা এখান থেকে অনেক কিছু জানতে ও শিখতে পারবে। তিনি বলেন- এই পাঠাগার গোকর্ণঘাটবাসীর সম্পদ। এটি রক্ষণাবেক্ষণ গোকর্ণঘাটবাসীকেই করতে হবে। এসময় তিনি গোকর্ণঘাটের রাস্তার ড্রেন সহ নানা উন্নয়ন কাজের আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

মো. আ. কুদদূস বক্তব্যে আরও বলেন- আমরা সমাজের কাছে ভালোবাসা, সম্প্রীতি, দেশপ্রেম ও মানবতার কথা ছড়িয়ে দিতে চাই। দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে এখানকার মানুষ একে অপরকে ভালোবাসবে। এলাকার মানুষের জীবনমান উন্নয়নে, তাদের মনস্তাত্ত্বিক উন্নয়নে কাজ করবে। যাতে কোনো মানুষ নিজের বাস্তুভিটা ছেড়ে অন্য কোথায় যেতে না হয়। তিনি এই গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠা ও অদ্বৈত গ্রন্থমেলা আয়োজনে সার্বিক সহযোগিতার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার মেয়র, কাউন্সিলরবৃন্দ, কর্মকর্তা-কর্মবৃচারীবৃন্দ, জেলার সাহিত্য-সংস্কৃতিক অঙ্গনের ব্যক্তিবর্গ, সাংবাদিকবৃন্দ ও সামাজিক সংগঠনের ব্যক্তিবর্গ এবং গোকর্ণঘাটবাসীর প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি
মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ
২৩ ফেব্রুয়ারি ২৪

পদ্মা সেতু নিয়ে প্রকাশিত সাময়িকী ‘তিতাস পাড়ের পদ্য পাতায় পদ্মা সেতু’ সংকলনের মোড়ক উন্মোচন করলেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত  মন্ত্র...
16/02/2024

পদ্মা সেতু নিয়ে প্রকাশিত সাময়িকী ‘তিতাস পাড়ের পদ্য পাতায় পদ্মা সেতু’ সংকলনের মোড়ক উন্মোচন করলেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী, বীরমুক্তিযোদ্ধা জনাব র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।

পদ্মা সেতু বাংলাদেশের উন্নয়নের ইতিহাসে অন্যতম অর্জনগুলোর একটি। দেশে-বিদেশে ষড়যন্ত্রের ডালপালা ভেদ করে বেরিয়ে আসা আলোকরশ্মির মতই আলো ফেলেছে দেশে ও বিদেশে। তাইতো এই সেতুর উদ্বোধনের পরে বাঙালির উৎসাহ উদ্দীপনারও কমতি ছিল না। দেশের আপামর জনসাধারণের সাথে এই উৎসাহ উদ্দীপনায় যোগ দিয়েছিল দেশের লেখকগণ।

পদ্মা সেতু নির্মাণের বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক সংগঠন তিতাস সাহিত্য-সংস্কৃতি পরিষদের প্রকাশনায় দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার লেখকদের পদ্মা সেতু বিষয়ক লেখা নিয়ে প্রকাশিত হয়েছে একটি বিশেষ সাময়িকী।
‘তিতাস পাড়ের পদ্য পাতায় পদ্মা সেতু’ শিরোনামে এই সাময়িকীটির আজ মোড়ক উন্মোচন করেন তিতাস পাড়ের কৃতীসন্তান, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নবনিযুক্ত গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী, দেশের বিশিষ্ট লেখক, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।

আজ সকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমির কার্যালয়ে সংকলনটির সম্পাদক মণ্ডলীর উপদেষ্টা, কবি ও গবেষক জয়দুল হোসেন-এর সভাপতিত্বে ও সংকলনটির সম্পাদক, আবৃত্তিশিল্পী ও ছড়াকার মোঃ মনির হোসেন-এর উপস্থাপনায় এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার মেয়র মিসেস নায়ার কবির, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি, সাবেক মেয়র মোঃ হেলাল উদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুল বারী চৌধুরী মন্টু, সহ-সভাপতি হাজী হেলাল উদ্দিন, জেলা জজ কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাড মাহবুবুল আলম খোকন, অন্বেষা বিদ্যাপীঠের অধ্যক্ষ প্রফেসর বিভূতিভূষণ দেবনাথ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিথি অধ্যাপক মানবর্দ্ধন পাল, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সদস্য সচিব এটিএম ফয়জুল কবির, অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংকলনটির সম্পাদনা পরিষদের সদস্য কবি আমির হোসেন, কবি রুদ্র মোঃ ইদ্রিস, কবি হেলাল উদ্দিন হৃদয়, নির্বাহী সম্পাদক মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ প্রমুখ।

এসময় গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী পৃথিবীর বুকে বাংলার গর্ব পদ্মাসেতু নিয়ে এই বিশেষ সংকলনের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীকে সালাম ও শুভেচ্ছা জানান।

উল্লেখ্য সংকলনটিতে ২২ জন লেখকের ছড়া, কবিতা, ছোটগল্প, রম্য রচনা, প্রবন্ধ ও নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। সুবিধাজনক সময়ে এটির আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।

বার্তা প্রেরক
মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ
নির্বাহী সম্পাদক
১৬ ফেব্রুয়ারি ২৪

বাংলাদেশ বেসরকারি গণগ্রন্থাগার পরিষদ, জেলা কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান ও পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিততরুণ প্রজন্ম জ্ঞানহীনভাবে বেড়ে উ...
11/02/2024

বাংলাদেশ বেসরকারি গণগ্রন্থাগার পরিষদ, জেলা কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান ও পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত

তরুণ প্রজন্ম জ্ঞানহীনভাবে বেড়ে উঠছে, পাঠাগারই আন্দোলনই
তাদের জ্ঞানী প্রজন্ম হিসেবে গড়ে তুলতে পারে।-সাবেক এআইজি-বীরমুক্তিযোদ্ধা মালিক খসরু

পাঠাগারে থাকা বই-ই আসল বই। এই বই পড়ার মাধ্যমেই
আমরা প্রকৃত জ্ঞান অর্জন করতে পারি।-অতিরিক্ত সচিব-মফিজ উদ্দীন আহমেদ ফরিদ

সরকারকে ‘একটি বাড়ি-একটি পাঠাগার’ গড়ে তোলার উদ্যোগ নিতে হবে।-কবি ও গবেষক-জয়দুল হোসেন

বাংলাদেশ বেসরকারি গণগ্রন্থাগার পরিষদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান ও পরিচিতি সভা গতকাল ১০ ফেব্রুয়ারি শনিবার বিকেল কুমারশীল মোড়স্থ জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারে অনুষ্ঠিত হয়।

সংগঠনের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির আয়োজনে উক্ত ‘অভিষেক অনুষ্ঠান ও পরিচিতি সভার’ উদ্বোধন করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি, পাঠাগার আন্দোলন বাংলাদেশের ট্রাস্টি, বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক এআইজি, বীরমুক্তিযোদ্ধা মালিক খসরু (পিপিএম)। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব, বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক, কবি ও গীতিকার মফিজ উদ্দীন আহমেদ ফরিদ।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. বিল্লাল হোসেন পিপিএম, সাহিত্য একাডেমির সভাপতি, কবি ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক জয়দুল হোসেন, নবীনগর সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ, সোহাগপুর ইসলামিয়া পাঠাগারের সভাপতি, প্রফেসর মোঃ আলমগীর, জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারের সহকারী পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম লিমন, আয়োজক সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোক্তা ও প্রধান সমন্বয়ক মোঃ ইমাম হোসাইন, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ এখলাছউর রহমান, সমন্বয়ক শিবচরণ বিশ্বাস।

সংগঠনের নব নির্বাচিত জেলা কমিটির সভাপতি, কথাসাহিত্যিক আমির হোসেন-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাদৈর মৈত্রী পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা, উদীচী জেলা সংসদের সভাপতি, লোকো গবেষক জহিরুল ইসলাম স্বপন, কবি ও গীতিকার আব্দুর রহিম, বজলুর রহমান পাঠাগারের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা নারী মুক্তি সংসদের সভাপতি ফজিলাতুন নাহার, মাতৃভাষা একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা, কবি আনিস মুহাম্মদ, তরী পাঠাগারের সদস্য, কবি ও গল্পকার শিরিন আক্তার, এএম টিভি নিউজ বাংলার বার্তা সম্পাদক কবি রুদ্র মুহাম্মদ ইদ্রিস, পথিক টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক, কবি লিটন হোসাইন জিহাদ প্রমুখ।

সংগঠনের নবনির্বাচিত জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ-এর সঞ্চালনায় সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক, সরাইল সফেরা বেগম স্মৃতি গণপাঠাগারের সভাপতি মোঃ শরিফ উদ্দিন। কোরআন তেলওয়াত করেন মাতৃভাষা একাডেমির সদস্য মাওলানা আমানুল্লাহ মুর্তাজা, গীতা পাঠ করেন নাসিরনগর হরিশচন্দ্র স্মৃতি পাঠাগারের সাধারণ সম্পাদক তাপসী রায়।

সভায় উদ্বোধক বীর মুক্তিযোদ্ধা মালিক খসরু তাঁর বক্তব্যে বলেন- বর্তমান যুগে ডিজিটালাইজেশনের যুগে তরুণ প্রজন্ম মোবাইল আসক্তিতে মাতারা হয়ে থাকে। মাত্রারিক্ত ইন্টারনেট ব্যবহারের কুফলে তরুণ প্রজন্ম যেভাবে জ্ঞানহীনভাবে বেড়ে উঠছে, সেই অবস্থা থেকে ফিরিয়ে আনতে একমাত্র পাঠাগার আন্দোলনই কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। দেশব্যাপী পাঠাগার আন্দোলনকে ছড়িয়ে দিতে বাংলাদেশ বেসরকারি গণগ্রন্থাগার পরিষদ প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে করে যাচ্ছে বলে তিনি জানান। তিনি পাঠাগার আন্দোলনে সকলকে সক্রিয় হতে উদাত্ত আহ্বান জানান।

সভায় প্রধান অতিথি মফিজ উদ্দীন আহমেদ ফরিদ তার বক্তব্যে বলেন- আমার ছোটবেলায় আমাদের বাড়িতে ছোট একটি পাঠাগার দেখেছি। সাধারণ বাঁশের তাকে বাবার বানানো সেই পাঠাগারই আমাকে আজকের অবস্থানে নিয়ে এসেছে। আমি সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে নিয়োজিত থাকতে পারছি এবং লেখালেখির সাথে সংশ্লিষ্ট থাকতে পারছি। তিনি বলেন- বিভিন্ন পাঠাগারে যে বইগুলো থাকে এগুলোই মূলত পাঠ্যবই। স্কুল-কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যা পড়ানো হয় তাকে আমরা পাঠ্য বই ভেবে ভুল করি। আর আমরা যাকে আউট বই মনে করি সেই আউট বই তথা পাঠাগারের বই-ই আসল বই। এই বই পড়ার মাধ্যমে আমরা প্রকৃত জ্ঞান অর্জন করতে পারি।

সভায় কবি জয়দুল হোসেন তার বক্তব্যে বলেন- বর্তমানে যেভাবে ঘরে ঘরে মোবাইল পৌঁছে গিয়েছে, সেভাবেই প্রতিটি ঘরে ঘরে ছোট করে হলেও একটি করে পাঠাগার গড়ে তুলতে হবে। বক্তব্যে সরকারের ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্পের সফলতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন- সরকারকে ‘একটি বাড়ি-একটি পাঠাগার’ গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান।

সভায় প্রধান সমন্বয়ক মোঃ ইমাম হোসাইন তার বক্তব্যে বলেন- দেশের ব্যক্তিগত উদ্যোগে অসংখ্য পাঠাগার গড়ে উঠলেও আর্থিক সংকট, নানা অনিয়ম ও ব্যবস্থাপনা এবং সরকারের তদারকি না থাকায় দেশের অসংখ্য পাঠাগারের কার্যক্রম বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। এসব পাঠাগারকে পুনরায় চালু করতে হবে এবং নতুন নতুন পাঠাগার গড়ে তুলতে হবে। তিনি তরুণ প্রজন্মকে পাঠাগারমুখী করতে সরকারি ব্যবস্থাপনাসহ সমাজের সর্বস্তরের ব্যক্তিদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।

বার্তা প্রেরক
মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ
সাধারণ সম্পাদক
বাংলাদেশ বেসরকারি গণগ্রন্থাগার পরিষদ,
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখা।
তারিখ: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

Address

Sadar
Brahmanbaria
3400

Telephone

+8801717-095751

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Jhilmil News posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Jhilmil News:

Share