Mawlana Muhammad Helal Uddin khalifa

Mawlana Muhammad Helal Uddin khalifa Islami lecchar

ইসলামিক পদ্ধতিতে গরু জবাইয়ের সময় গরু ব্যাথা অনুভব করে কি না এ নিয়ে একটা পরীক্ষা করা হয়েছিল।। গরুজবাইয়ের সময়ে EEG পরীক্ষা...
28/06/2023

ইসলামিক পদ্ধতিতে গরু জবাইয়ের সময় গরু ব্যাথা অনুভব করে কি না এ নিয়ে একটা পরীক্ষা করা হয়েছিল।। গরু
জবাইয়ের সময়ে EEG পরীক্ষা করে গরুর মস্তিষ্ক এবং ECG করে গরুর হার্ট দেখা হয়।

পরীক্ষায় দেখা যায়,
*জবাইয়ের প্রথম ৩সেকেন্ডে EEG গ্রাফে কোনো পরিবর্তন দেখা যায় না, অর্থাৎ গরু কোনো ব্যাথা পায় না।
*পরের ৩ সেকেন্ডের EEG রেকর্ডে দেখা যায়, গরু গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন থাকার মতো অচেতন হয়ে থাকে,শরীর হতে প্রচুর রক্ত বের হয়ে যাওয়ায় ব্রেইনে রক্ত সরবরাহ হয় না বলে এই অচেতন অবস্থা হয়।
*এই প্রথম ৬ সেকেন্ড পরে EEG গ্রাফে Zero level দেখাচ্ছিলো, তার মানে গরু কোনো ব্যাথা পাচ্ছিলো না।
*গরুর যে খিচুনি আমরা দেখি সেটা Spinal cord এর একটি Reflex Reaction, এটা মোটেও ব্যাথার জন্য হয় না।

(এই পরীক্ষাটি করেন জার্মানির হ্যানোভার বিশ্ববিদ্যালয়ের
প্রফেসর শুলজ এবং ডক্টর হাজিম।)

সুবহানাল্লাহ।
আল্লাহ রাব্বুল আল-আমীন এমন ভাবে সব কিছু সৃষ্টি করে দিয়েছেন, যা অত্যন্ত নিখুঁত। যারা ভাবেন যে পশু জবাইয়ের মাধ্যমে মুসলমানরা পশুকে কষ্ট দিচ্ছে তারা আল্লাহ রাব্বুল আল-আমীনের এই রহমতের কথা জানতে পারলে সত্যিই অবাক হবে।

27/06/2023

যেভাবে পশু যবেহ করলে পশু হাট অ্যাটাক করে মারা যায়।
মাওলানা এম হেলাল উদ্দিন খলিফা

28/10/2022
19/10/2022

আল্লাহর নিদর্শন কি কি

01/10/2022
সতর্ক থাকতে হবে আমাদের!!!   বিশ্বের অবস্থা খুব ভয়াবহ। হঠাৎ করে উত্তাল ইরান। লাখ লাখ নারী শিকল ভেঙে বেরিয়ে গেছে। পুড়িয়ে দ...
26/09/2022

সতর্ক থাকতে হবে আমাদের!!!

বিশ্বের অবস্থা খুব ভয়াবহ। হঠাৎ করে উত্তাল ইরান। লাখ লাখ নারী শিকল ভেঙে বেরিয়ে গেছে। পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে হিজাব। অর্ধনগ্ন নাচে আত্মহারা। প্রতিটি রাস্তায় রাস্তায় নারীদের গণ বিস্ফোরণ। হিজাব কে ছিন্নভিন্ন করে নগ্ন দেহ কে প্রতিবাদ স্বরূপ প্রদর্শন করছে। জঘন্য ভাষায় হিজাব কে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করা হচ্ছে। এক ভয়ংকর ম্যাসেজ দিচ্ছে দা-জ্জাল। সারা বিশ্বে যে গোপনে তার অনুসারী তৈরী করে ফেলেছে তার জানান দিচ্ছে দা-জ্জাল। এখন শুধু আত্মপ্রকাশের বাকি।

- ইসহাক ইবনে আব্দুল্লাহ বর্ণনা করেন, আমি আনাস ইবনে মালেক কে বলতে শুনেছি, ইসফাহানের (ইরান) ৭০ হাজার ইহুদী দা-জ্জালের অনুসারী হবে৷ তাদের গায়ে সবুজ রঙের চাদর থাকবে। ( সহীহ মুসলিম ;৪ খন্ড, পৃ, ২২৬৬)

নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, দা-জ্জালের যখন আগমন ঘটবে তখন নারীরা তার নিকট চলে যাবে। আতংকে মুমিন পুরুষ ঘরে গিয়ে তার মা,বোন,চাচি কে শিকল দিয়ে ঘরের খুটিতে বেধে রাখবে।

দা-জ্জালের সিংহভাগ অনুসারী হবে নারী। দা-জ্জাল যেহেতু ইরানের ইসফাহানে আগমন করবে তাই তার সিংহভাগ অনুসারী ইহুদী ও নারী তার পিছনে পিছনে ছুটবে। আজকে ইরানের নারীদের দেখে মনে হচ্ছে প্রতীক্ষিত সেই সময় দ্রুত ঘনিয়ে আসছে। ইরানের নারীরা শিকল ভেঙে এভাবেই বেরিয়ে গেছে। শুধু ইরান নয় সমগ্র মুসলিম বিশ্বের নারীদের অবস্থা একই হবে। যেহেতু ইরানের ইসফাহান হবে তার নারী ও ইহুদী অনুসারীর ঘাটি। তাই ইরানেই এসব ঘটনা এক ভয়াবহ ইঙ্গিত দিচ্ছে। সে যে নারীদের হাতের মুঠোয় বন্দি করে ফেলেছে তার জ্বলন্ত প্রমাণ আজকের ইরান৷

চিন্তা করুন দা-জ্জালের ফিতনা কত ভয়ংকর হবে। আয়েশা (রা) স্বয়ং দা-জ্জালের কথা মনে পড়ায় তিনি একদা কান্নায় ভেঙে পড়েন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন দা-জ্জাল নিয়ে আলোচনা করতেন তখন ভয়ে তার চেহেরা লাল হয়ে যেতো।
আর আজকে আমরা যেন বেখবর হয়ে, দুনিয়ার মোহে ডুবে আছি।😭

আমরা বেশি বেশি এই দোয়া টি পড়তে পারি।
اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَعُوْذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ، وَمِنْ عَذَابِ جَهَنَّمَ، وَمِنْ فِتْنَةِ الْمَحْيَا وَالْمَمَاتِ، وَمِنْ شَرِّ فِتْنَةِ الْمَسِيْحِ الدَّجَّالِ

হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাচ্ছি কবরের আযাব থেকে, জাহান্নামের আযাব থেকে, জীবন-মৃত্যুর ফিতনা থেকে এবং মাসীহ দাজ্জালের ফিতনার অনিষ্টতা থেকে।

আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেফাজত করুন।🤲

ছাত্রদের উদ্দেশ্যে ১৪ টি নসীহত১. দৈনিক যতটুকু মুখস্থ করার ইচ্ছা প্রথমে ততটুকু কমপক্ষে আধা ঘণ্টা তেলাওয়াত করবে। এবং কাউকে...
26/09/2022

ছাত্রদের উদ্দেশ্যে ১৪ টি নসীহত

১. দৈনিক যতটুকু মুখস্থ করার ইচ্ছা প্রথমে ততটুকু কমপক্ষে আধা ঘণ্টা তেলাওয়াত করবে। এবং কাউকে তা দেখে পড়ে শোনাবে, যাকে নাযারা বলা হয়।
২. নাযেরার পর ঐ পৃষ্ঠা মাগরিবের পর ভালো ভাবে মুখস্থ করবে। মুখস্থ করার একটা নিয়ম আছে, ঐ নিয়মটি পৃষ্ঠার শেষে দেয়া আছে।
৩. ক্লাস ছুটির পর পিছনের পড়া শুরু করে দিবে, এমন ভাবে পড়বে যাতে প্রত্যেক পারা প্রতিদিন ২/১ বার পড়া হয়।
৪. সবক প্রতিদিন ফজরের পূর্বে শোনাবে, যদি প্রতিদিন তেলাওয়াত করা হয়, তাহলে প্রতিদিন আমুখতা শুনাতে আরাম পাবে, ইয়াদ থাকবে। পিছনের পড়া কাঁচা রেখে সবক দিবে না।
৫. বাজে, বেফায়দা, ফাজলামি মার্কা কথাবার্তা থেকে সর্বদা বেঁচে থাকবে, সর্বদা তেলাওয়াত করার আপ্রাণ চেষ্টা করবে। আছরের পর সময়টা কাজে লাগাতে হবে। আছরের পর ৩/৪ পারা পড়বে।
৬. শবিনার দিন যে ভুল গুলো হবে কমপক্ষে ২০ বার জপতে হবে।
৭. প্রতিদিন ঘুমানোর আগে ১ পারা দিয়ে ৪ রাকাত নফল নামাজ পড়বে।
৮. প্রতিদিন সবক কোন ভালো ছাত্রকে শুনানোর পর হুজুরকে শোনাবে।
৯. সবক শিখার নিয়ম——
ভালো কোন ছাত্রের কাছে বসে গল্পগুজব না করে ১টি আয়াত ৮ বার দেখে পড়বে যেমন- ذالك الكتاب لا ريب فيه এরপর ১বার না দেখে ১বার দেখে, ১০বার হলো এইভাবে আধা পৃষ্ঠা হওয়ার পর দেখবে পার কি না। যদি না পার তাহলে ঐ আধা পৃষ্ঠা ৬বার পড়বে। এইভাবে পুরা পৃষ্ঠা ইয়াদ করবে।
১০. এক আয়াত ইয়াদ না হওয়া পর্যন্ত অন্য আয়াতে যাবে না। যদি ইয়াদ না হওয়ার আগে অন্য আয়াতে যাও তাহলে ইয়াদ কাঁচা হবে। পরে সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে।

১১. কারো সাথে কোন রকম বন্ধুত্বে জড়াবে না এবং শত্রুতাও সৃষ্টি হতে দেবে না।

১২. যতটা পারা যায় বাসায় কম যাবার চেষ্টা করবে। একেবারে না যেতে পারলে খুবই ভাল। কারণ এতে জেহেন পরিষ্কার থাকবে।

১৩. মোবাইল জিনিসটা নিজের জন্যে হারাম মানবে।

১৪. হিফয শেষ করার পর কোন বছরই যেন তারাবি পড়ান থেকে মাহরুম না হও সে খেয়াল রাখবে। এবং তারাবি পড়িয়ে টাকা নেবে না।
আল্লাহ উনার নেক হায়াত বাড়িয়ে দিন। আমিন
#হাফেজ_কারী_আব্দুল_হক।

24/09/2022

জাতুররিকা (ذَاتِ الرِّقَاعِ) যুদ্ধের দিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেভাবে সালাতুল খওফ আদায় করেছিলেন।

আলহামদুলিল্লাহ! আজ সোমবার, ১৯ সেপ্টেমবর, ৪ আশ্বিন, ২২ সফর ১৪৪৪ হিজরী।বুজতে পারলে নিজের অনেক কিছু বদলাতে ইচ্ছা করবে। ২২৮ ...
19/09/2022

আলহামদুলিল্লাহ!
আজ সোমবার, ১৯ সেপ্টেমবর, ৪ আশ্বিন, ২২ সফর ১৪৪৪ হিজরী।
বুজতে পারলে নিজের অনেক কিছু বদলাতে ইচ্ছা করবে। ২২৮ টি দেশ নিয়ে পৃথিবী।
পৃথিবী থেকে সুর্য ১৩ লক্ষ গুন বড়।
ব্যাটেল জুইস একটা তারা আছে, যা সূর্যের চেয়ে ৩৩ কোটি গুণ বড়। আল্লাহু আকবর।
প্রক্সিমা সেন্ট্রাই, আলফা সেন্ট্রাই,ব্যাটেল জুইস এরকম ৫০০ বিলিয়ন তারকা নিয়ে গঠিত গ্যালাক্সি।
আল্লাহ তায়ালা কোটি কোটি গ্যালাক্সি সৃষ্টি করেছেন।
পৃথিবীর সবচেয়ে দ্রতগামী যান Apollo 11.
সেকেন্ডে চলে ১১ কিঃমিঃ বেগে।
মিনিটে চলে ৬৬০ কিঃ মিঃ বেগে
ঘন্টায় চলে ৩৯ হাজার কিঃমিঃ বেগে।
যদি কেউ পৃথিবীর সবচেয়ে কাছের তারকা প্রক্সিমা সেন্ট্রাই Apollo 11 তে চড়ে যেতে চায়, সময় লাগবে ১ লক্ষ ১৫ হাজার বছর। যাহা কোন ক্রমেই সম্ভব নহে।
গ্যালাক্সি, সুপার নোভা,ব্লাক হোল এগুলো ১ম আকাশ নয়,
১ম আকাশের মহাশুন্য।
তারপর ১ম আকাশ।
তারপর ২য় আকাশের মহাশুন্য,
তারপর ২য় আকাশ।
তারপর ৩য় আকাশের মহাশুন্য,
তারপর ৩য় আকাশ।
তারপর ৪র্থ আকাশের মহাশুন্য,
তারপর ৪র্থ আকাশ।
তারপর ৫ম আকাশের মহাশুন্য,
তারপর ৫ম আকাশ।
৬ষ্ঠ আসমানে একটা গাছ আছে।
গাছটির নাম সিদরাতুলমুনতাহা।
বিশ্ব নবী( সাঃ) বলেছেন,তোমার আংটি যদি সাহারা মরুভূমিতে ফেলে দেওয়া হয়,বিশাল মরুভূমির তুলনায় আংটিটা যত ছোট, আল্লাহর ২য় আসমানের তুলনায় ১ম আসমান ততো ছোট। আল্লাহু আকবর। ৭ম আসমানে আছে বিশাল সমুদ্র জগৎ ও আল্লাহর আরশ।
আরশের ভিতর আছে আল্লাহর কুরশি, আল্লাহর সিংহাসন।
আল্লাহর সিংহাসন কত বড়?
আল্লাহর সিংহাসনের উপর যদি সাত আসমান, সাত জমিন রাখা হয়, বিশাল মরুভূমিতে আংটি ফেলে দিলে যেমন হারিয়ে যাবে, সাত আসমান, সাত জমিনও তদ্রূপ হারিয়ে যাবে।
আল্লাহু আকবর।
মালিক তোমার সৃষ্টি সম্পর্কে জানা ও বোঝার তাওফিক নসিব করো আমিন ছুম্মা আমিনও

16/09/2022

আজকের জুমার আলোচনার একটি ক্লিপ। সম্পূর্ণ আলোচনাটি ইউটিউবে আছে শুনার আমন্ত্রণ রইল।

11/09/2022

প্রশ্নঃ জয়ীফ হাদিসের উপর আমল করা কি জায়েজ আছে?

এখন উক্ত প্রশ্নের জবাবঃ জয়ীফ হাদিস মান্য করা অবশ্যই জায়েয আছে। কথাটির উপর তাকিদ দিলাম এই জন্য যে, সুনানে দারেমীর মধ্যে এসেছে, নবীজি (সাঃ) বলেছেন, আমার পরবর্তীতে নতুন যদি কিছু চালু হয়, সে ক্ষেত্রে তোমরা কোরআন মাজীদের দিকে লক্ষ করবে, সেখানে যদি সমাধান না পাও, তবে আমার সুন্নাতের দিকে লক্ষ করবে, সেখানে যদি সমাধান না পাও, তবে মোসলমানদের ইজমা গ্রহণ করবে, যদি মোসলমানদের ইজমা না থাকে, তবে ইজতিহাদী ফতুয়া গ্রহণ করবে।

সুতরাং জয়ীফ হাদিস আমল করা যাবে কিনা এ ব্যাপারে কোরআন ও হাদিসে স্পষ্ট কোনো বর্ণনা নেই। এখন আমাদের ইজমার দিকে তাকাতে হবে। আর জয়ীফ হাদিসের উপর আমল করা জায়েয এ ব্যাপারে ইজমা সংঘটিত হয়েছে।

যেমনঃ ইমাম মোল্লা আলী ক্বারী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উল্লেখ করেনঃ اجمعوا علی جواز العمل بالحديث الضعيف في فضائل الاعمال. অর্থাৎ সমস্ত ইমামগণের ইজমা হয়েছে যে, ফাজায়েলে আমলের ক্ষেত্রে জয়ীফ হাদীসের উপর আমল করা জায়েজ। (মোল্লা আলী ক্বারী, মিরকাত ৩/৪৯ পৃষ্ঠা, কিতাবুস সালাত, হাদীস নং ১১৭৩.)

ইমাম নববী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উল্লেখ করেনঃ قد اتفق العلماء علی جواز العمل بالحديث الضعيف في فضائل الاعمال: مقدمة المٶلف. অর্থাৎ সকল ওলামায়ে কেরাম এই ব্যাপারে ঐক্যমত পোষণ করেছেন ফাজায়েলে আমলের ক্ষেত্রে জয়ীফ হাদীসের উপর আমল করা জায়েজ। (ইমাম নাওয়াবী, আরবাঈন ১/৪২ পৃষ্ঠা.)।

ইমাম মোল্লা আলী ক্বারী রহমাতুল্লাহি আলাইহি অন্য জায়গায় বলেনঃ والضعيف يعمل به في فضائل الاعمال اتّفاقا ولذا قال ائمانا انّ المسح الرّقبة مستحب او سنة. অর্থাৎ জয়ীফ হাদীস ফাজায়েলে আমলের ক্ষেত্রে আমল করবার ব্যাপারে ইমামগণ ঐক্যমত পোষণ করেছেন। আর এই জন্য আমাদের ইমামগণ বলেছেন গর্দান মাসেহ করা মুস্তাহাব অথবা সুন্নাত। (মোল্লা আলী ক্বারী, মওজু আতুল কাবীর ১/৪৩৩ পৃষ্ঠা.)।

ইমাম বদরুদ্দীন আইনী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উল্লেখ করেনঃ وقد جوز العلماء التساهل فی الضعيف من غير بيان ضعقه في المواظع والقصص وفضائل الاعمال অর্থাৎ ওলামায়ে কেরামের নিকট জয়ীফ হাদীস ওয়াজ ও কাহিনী এবং ফাজায়েলে আমলের জন্য গ্রহণ যোগ্য। (ইমাম বদরুদ্দীন আইনী, উমদাতুল কারী, শরহে বুখারী, ১/৯ পৃষ্ঠা.)।

ইমাম বুরহানুদ্দীন হাবলী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেনঃ يستحب ان يمسح بدنه بمنديل بعد الغسل لما روت عن عائشة ، قالت کان رسول الله صلی الله عليه وسلم خرقة ينشف بها بعد الاضوء-رواه الترمذي هو ضعيف ولکن يجوز العمل بالضعيف فی الفضائل. অর্থাৎ গোসল বা ওজুর পরে রুমাল দ্বারা মুছা মোস্তাহাব। হযরত আয়শা সিদ্দিকা রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহা বর্ণনা করেনঃ রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের একটি রুমালের টুকরা ছিলো যা দ্বারা ওজুর পরে অঙ্গ মোবারক মাসেহ করতেন। উক্ত হাদীসকে ইমাম তিরমিজি রহমাতুল্লাহি আলাইহি জয়ীফ বলেছেন। কিন্তু আমলের ক্ষেত্রে জয়ীফ হাদীস আমল করা জায়েজ আছে। (ইমাম বুরহানুদ্দীন হাবলী হানাফী, গুনিয়াতুল মুসল্লী, ৫২ পৃষ্ঠা.)

এমনকি সমস্ত হানাফী মাজহাবের ইমামদের নিকট কিয়াস হতেও জয়ীফ হাদীসের উপর আমল করা উত্তম। যেমনঃ ইমাম যাহাবী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উল্লেখ করেনঃ قال أبو محمّد بن حزم : جميع الحنفية مجمعون علی أنّ مذهب أبي حنيفة أن ضعيف الحديث أولی عنده من القياس والراي . অর্থাৎ ইমাম আবু মুহাম্মাদ ইবনে হাযম রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, হানাফী মাজহাবের সকল ইমামগণ একমত পোষণ করেছেন যে, কোনো ধরনের কিয়াস ও রায় হতে জয়ীফ হাদিসের উপর আমল করা উত্তম। (ইমাম যাহাবী, তারিখুল ইসলাম, ৩/৯০০ পৃষ্ঠা, দারুল ফিকর ইলমিয়্যাহ, বৈরুত, লেবানন, প্রকাশ ২০০৩ইং)।

এছাড়াও ইমাম জালাল উদ্দীন সুয়ুতী রহমাতুল্লাহি আলাইহি সহ অনেক ইমামগন একই কথা বলেছেন, সেগুলো এখন আর উল্লেখ করলাম না।

জয়ীফ হাদিসের দ্বিতীয় মূলনীতিঃ কোনো হাদিসের উপর যদি মানুষ আমল করে বা গ্রহণ করে তবে সে হাদিসের হুকুম সহীহ।

যেমন=ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ুতী ( রহঃ ) বলেন -
ﻳﺤﻜﻢ ﻟﻠﺤﺪﻳﺚ ﺑﺎﻟﺼﺤﺔ ﺇﺫﺍ ﺗﻠﻘﺎﻩ ﺍﻟﻨﺎﺱ ﺑﺎﻟﻘﺒﻮﻝ ﻭﺇﻥ ﻟﻢ ﻳﻜﻦ ﻟﻪ ﺇﺳﻨﺎﺩ ﺻﺤﻴﺢ
যখন মানুষ কোন হাদীসকে কবূলের দৃষ্টি কোন থেকে গ্রহণ করে তখন উক্ত হাদীসকে সহীহ হওয়ার ফয়সালা দেওয়া হয়। যদিও তার কোন সহীহ সনদ না থেকে থাকে।(-তাদরীবুর বারী, পৃষ্ঠা ৬৬)

মুহক্কিক ইমাম ইবনুল হুমাম ( রহঃ ) ফাতহুল ক্বদীরে বলেন -
ﻭَﻣِﻤَّﺎ ﻳُﺼَﺤِّﺢُ ﺍﻟْﺤَﺪِﻳﺚَ ﺃَﻳْﻀًﺎ ﻋَﻤَﻞُ ﺍﻟْﻌُﻠَﻤَﺎﺀِ ﻋَﻠَﻰ ﻭَﻓْﻘِﻪِ ﻭَﻗَﺎﻝَ ﻣَﺎﻟِﻚٌ ﺷُﻬْﺮَﺓُ ﺍﻟْﺤَﺪِﻳﺚِ ﺑِﺎﻟْﻤَﺪِﻳﻨَﺔِ ﺗُﻐْﻨِﻲ ﻋَﻦْ ﺻِﺤَّﺔِ ﺳَﻨَﺪِﻩِ
কোন হাদীসের স্বপক্ষে উলামায়ে কেরামের আমল হাদীসটিকে সহীহ সাব্যস্ত করার একটি কারণ। আর ইমাম মালেক ( রহঃ ) বলেন কোন হাদীস মদীনাতে প্রসিদ্ধ হওয়া তার সনদ সহীহ হওয়াকে বেনিয়াজ করে দেয়। ( ফাতহুল ক্বাদীর ৩ /১৪৩)

অনুরূপভাবে আল্লামা সুয়ূতী ( রহঃ ) বলেন: -

ﻗﺎﻝ ﺍﺑﻦ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﺒﺮ ﻓﻲ ﺍﻻﺳﺘﺬﻛﺎﺭ : ﻟﻤﺎ ﺣﻜﻰ ﻋﻦ ﺍﻟﺘﺮﻣﺬﻱ ﺃﻥ ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻱ ﺻﺤﺢ ﺣﺪﻳﺚ ﺍﻟﺒﺤﺮ : ‏« ﻫﻮ ﺍﻟﻄﻬﻮﺭ ﻣﺎﺅﻩ ‏» ، ﻭﺃﻫﻞ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ ﻻ ﻳﺼﺤﺤﻮﻥ ﻣﺜﻞ ﺇﺳﻨﺎﺩﻩ . ﻟﻜﻦ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ ﻋﻨﺪﻱ ﺻﺤﻴﺢ ؛ ﻷﻥ ﺍﻟﻌﻠﻤﺎﺀ ﺗﻠﻘﻮﻩ ﺑﺎﻟﻘﺒﻮﻝ
ইবনু আব্দিল বার রহ. তার ইস্তেযকার নামক কিতাবে যখন তিরমিজী ( রহঃ ) এর এই বক্তব্য বর্ণনা করেন, ইমাম বুখারী সুমুদ্রের হাদীসকে সহীহ বলেছেন “ তার পানি পবিত্র ” অথচ মুহাদ্দিসীন গণ এ ধরনের সনদকে সহীহ বলেন না ’ তখন বলেন:- তবে হাদীসটি আমার নিকট সহীহ কেননা উলামায়ে কেরাম তা কবূলের দৃষ্টিতে গ্রহণ করেছেন। (আল্লামা সুয়ূতী, তাদরীবুল রাবী, পৃষ্ঠা ২৫)

আল্লামা সুয়ূতী ( রহঃ ) আরো বলেন, “ হাদীসটি তিরমিজী ( রহঃ ) এনেছেন এবং বলেছেন ইমাম আহমাদ সহ অন্যরা হুসাইনকে যঈফ বলেছেন। আহলে ইলমদের নিকট উক্ত হাদীসের উপর আমল জারী রয়েছে। একথা দ্বারা তিরমিজী ( রহঃ ) এদিকে ইশারা করেছেন যে , হাদীসটি উলামাদের সমর্থনে শক্তিশালী হয়েছে। আর অনেকেই স্পষ্টভাবে একথা উল্লেখ করেছেন আহলে ইলমদের কোন হাদীসের সপক্ষে বক্তব্যই হাদীস সহীহ হওয়ার দলীল। যদিও তার নির্ভরযোগ্য কোন সনদ না থেকে থাকে।(আত -তাআক্কুবাত, পৃষ্টা ১২)

সুতরাং উক্ত উসূল থেকে আমরা জানতে পারলাম যে, কোনো হাদিসের উপর মানুষ আমল করলে সে হাদিসের হুকুম সহীহ।

জয়ীফ হাদিসের তৃতীয় মূলনীতিঃ জয়ীফ হাদিসের উপর মানুষ আমল করলে সে হাদিসের হুকুম মোতাওয়াতের। যেমন= ইমাম সাখাবী (রহঃ ) ফাতহুল মুগীছে বলেন: –
ﺇﺫﺍ ﺗﻠﻘﺖ ﺍﻷﻣﺔ ﺍﻟﻀﻌﻴﻒ ﺑﺎﻟﻘﺒﻮﻝ ﻳﻌﻤﻞ ﺑﻪ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﺼﺤﻴﺢ ﺣﺘﻰ ﺃﻧﻪ ﻳﻨﺰﻝ ﻣﻨﺰﻟﺔ ﺍﻟﻤﺘﻮﺍﺗﺮ ﻓﻲ ﺃﻧﻪ ﻳﻨﺴﺦ ﺍﻟﻤﻘﻄﻮﻉ ﺑﻪ ﻭﻟﻬﺬﺍ ﻗﺎﻝ ﺍﻟﺸﺎﻓﻌﻲ ﺭﺣﻤﻪ ﺍﻟﻠﻪ ﻓﻲ ﺣﺪﻳﺚ ﻻ ﻭﺻﻴﺔ ﻟﻮﺍﺭﺙ ﺇﻧﻪ ﻻ ﻳﺜﺒﺘﻪ ﺃﻫﻞ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ ﻭﻟﻜﻦ ﺍﻟﻌﺎﻣﺔ ﺗﻠﻘﺘﻪ ﺑﺎﻟﻘﺒﻮﻝ ﻭﻋﻤﻠﻮﺍ ﺑﻪ ﺣﺘﻰ ﺟﻌﻠﻮﻩ ﻧﺎﺳﺨﺎ ﻵﻳﺔ ﺍﻟﻮﺻﻴﺔ ﻟﻪ

অর্থাৎ উম্মত যখন কোন যঈফ হাদীসকে কবূলের দৃষ্টিতে গ্রহণ করে তখন তার উপর আমল করা হবে বিশুদ্ধ মত অনুযায়ী। এমনকি তা মুতাওয়াতের এর পর্যায়ে পৌছে যায়। ফলে তা অটাক্যভাবে প্রমাণীত কোন বিষয়কেও রহিত করে দেয়। এজন্যই ইমাম শাফেঈ (রহঃ )
“ওয়ারিসের জন্য কোন ওসিয়ত নেই ” এই হাদীসের ব্যপারে বলেছেন মুহাদ্দিসীনে কেরাম উক্ত হাদীসটি সহীহ সনদে মেনে নেননি। তবে উম্মত তা গ্রহণ করেছে এবং তার উপর আমল করেছে। এমনকি কুরআনের ওসিয়তের আয়াতকে পর্যন্ত তা রহিত করে দিয়েছে।-( সাখাবী, ফাতহুল মুগীছ, পৃষ্ঠা ১২০)

সুতরাং উক্ত উসূল থেকে আমরা জানতে পারলাম যে, জয়ীফ হাদিসের উপর মানুষ আমল করলে সে হাদিস মুতাওয়াতির হয়ে যায়। আর মুতাওয়াতির হাদিস অস্বীকার করলে সকলের ঐক্যমতে কাফের হয়ে যায়।

জয়ীফ হাদিসের চতুর্থ মূলনীতিঃ জয়ীফ হাদিস কখন হাসান হয়।

যেমন= ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতী (রহঃ) বলেন- المتروك أو المنکر إذا تعددت طرقه ارتقی إلی درجة الضعيف بل ربما ارتقی إلی الحسن. অর্থাৎ মাতরুক বা মুনকার হাদীস ভিন্ন তরিকায় বর্ণিত হওয়ার কারণে জয়ীফ হাদীসের মর্দানায় উপনীত হয় বরং হাদীসে হাসানের মর্যাদায় উপনীত হয়। (তায়াকিবাত আলা মওজুয়াত: ৭৫ পৃষ্ঠা)।

অনুরূপভাবে ইমাম ইবনুল হুমাম (রহঃ) বলেন- ولو تمّ تضعيف کلها کانت حسنة لتعدّد الطّرق وکثرتها. অর্থাৎ হাদীসের সমস্ত রাবী দুর্বল প্রমাণিত হওয়া সত্ত্বেও ভিন্ন তরিকায় বর্ণিত হওয়ার কারণে তা হাসানে পরিণত হয়। (ইমাম ইবনুল হুমাম: ফতহুল কাদির, ১/৩০৬ পৃষ্ঠা)।

ইমাম মোল্লা আলী ক্বারী (রহঃ) একটি হাদীসের ব্যাপারে আলোচনা করতে গিয়ে বলেন- وله طرق أخری ذکرها الطّحاويّ وغيره ترتقي إلی حدّ الحسن. "এ হাদীসটি আরেকটি ভিন্ন সনদে বর্ণিত আছে, যা ইমাম ত্বহাবী (রহঃ) সহ আরও অন্যান্য মুহাদ্দিস উল্লেখ করেছেন।আর তাতে হাদীসটি হাসান পর্যায় পৌছে গেছে। (ইমাম মোল্লা আলী ক্বারী, মেরকার: ২/৭৫৪, হাদীস নং ৯৪৩)।

অনুরূপভাবে ইমাম বদরুদ্দিন আইনী (রহঃ) বলেন- وإذا قوی الضعيف بطری اخر أو اسانيد اخر حاد حسن لغيره. অর্থাৎ যখন জয়ীফ হাদীস অন্য কোনো সনদ বা বর্ণনা দ্বারা শক্তিশালী হয়, তখন তা হাসান লিগাইরিহী হয়ে যায়। (ইমাম বদরুদ্দিন আইনী: উমদাদুল ক্বারী শরহে বুখারী: ১/৯ পৃষ্ঠা)।

অনুরূপভাবে শায়েখ আব্দুল মুহাদ্দিস দেহলভী (রহঃ) বলেন- الضعيف الذي بلغ بتعدد الطرق مرتبة الحسن لغيره ايضا مجمع وما اشتر. অর্থাৎ আর জয়ীফ হাদীস যদি ভিন্ন সনদে বর্ণিত হওয়ার দরুন "হাসান লিগাইরিহী " হওয়ার মর্যাদায় উপনীত হয়, তা দলীল হওয়া সম্পর্কে আলিমগণ একমত হয়েছেন। (মুকাদ্দামাতুশ শায়খ, ২৫ পৃষ্ঠা)।

প্রশ্নঃ আমরা জয়ীফ হাদীস মান্য করি না। কারণ, নবীজী বলেছেন, তোমরা সন্দেহ জিনিস থেকে দূরে থাকো। তাই জয়ীফ হাদীসের ব্যাপারে সন্দেহ আছে?

জবাবঃ ঈমাম বুখারী (রহঃ) কে তো আমি দেখি নাই। আর শুনা কথার মধ্যে তো সন্দেহ আছে। কারণ, নবীজী বলেছেন, মিথ্যাবাদী হওয়ার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে, সে যা শুনে তা বলে বেড়ায়। তাহলে আমি যদি এখন বলি যে, ঈমাম বুখারী (রহঃ) বিশ্বস্ত কিনা এ ব্যাপারে সন্দেহ আছে, তাই তার হাদীস মান্য করা যাবে না, তবে কি আপনি মানবেন? সুতরাং নিজেদের মনগড়া সন্দেহ গ্রহণযোগ্য নয়।

২নং জবাবঃ ঈমাম বুখারীর ব্যাপারে বাতিল অভিযোগ আছে, কিন্তু সেই অভিযোগ থেকে যদি আমি সন্দেহ করি, তবে কি আপনি মেনে নিবেন যে তাঁর হাদিস জয়ীফ? সুতরাং মনগড়া সন্দেহ গ্রহণযোগ্য নয়।

প্রশ্নঃ জয়ীফ হাদীস গ্রহণযোগ্য হলে শুধু আমলের ক্ষেত্রে কেনো গ্রহণযোগ্য হবে?

জবাবঃ আপনি কি কোরআনের সব আয়াত দ্বারা প্রত্যকটি আমল ফরজ প্রমাণ করিতে পারবেন? যদি না পারেন, তবে কি কোরআনের আয়াত গ্রহণযোগ্য নয়? আপনি কি সব হাদীস দ্বারা সব আমল ফরজ প্রমাণ করিতে পারবেন? যদি না পারেন, তবে হাদীস গ্রহণযোগ্য নয়? আপনারা তো নফল আমলও স্বীকার করেন, তাহলে আপনারা যেসমস্ত আয়াত এবং হাদীস দ্বারা নফল আমল প্রমাণ করেন, সেসমস্ত আয়াত এবং হাদীস দ্বারা কি ফরজ আমল প্রমাণ করিতে পারবেন? বরং পারবেন না। কারণ, কোনো জিনিসকে হারাম বা ফরজ বা আকিদা প্রমাণ করার জন্য কতয়ীস সুবুত ও কতয়ীদ দালালা দরকার হয়। কিন্তু মুস্তাহাব বা নফল আমল প্রমাণ করার জন্য জয়ীফ হাদীসই যথেষ্ট।

প্রশ্নঃ ঈমাম আবু হানীফা (রহঃ) বলেছেন, যখন সহীহ হাদীস পাবে, সেটাই আমার মাজহাব, তাহলে আপনারা জয়ীফ হাদীসের উপর আমল করেন কেনো?

জবাবঃ ঈমাম আবু হানীফা (রহঃ) তিনি সহীহ হাদীস আমার মাজহাব এই কথার দ্বারা জয়ীফ হাদীসকে অস্বীকার করেননি বরং সকল হানাফীদের নিকট কিয়াস থেকেও জয়ীফ হাদীসের উপর আমল করা উত্তম। যেমনঃ ইমাম যাহাবী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উল্লেখ করেনঃ قال أبو محمّد بن حزم : جميع الحنفية مجمعون علی أنّ مذهب أبي حنيفة أن ضعيف الحديث أولی عنده من القياس والراي . অর্থাৎ ইমাম আবু মুহাম্মাদ ইবনে হাযম রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, হানাফী মাজহাবের সকল ইমামগণ একমত পোষণ করেছেন যে, কোনো ধরনের কিয়াস ও রায় হতে জয়ীফ হাদিসের উপর আমল করা উত্তম। (ইমাম যাহাবী, তারিখুল ইসলাম, ৩/৯০০ পৃষ্ঠা, দারুল ফিকর ইলমিয়্যাহ, বৈরুত, লেবানন, প্রকাশ ২০০৩ইং)।

প্রশ্নঃ তাহলে ঈমাম আবু হানীফা (রহঃ) কেনো বললেন না যে, সকল সহীহ হাদীস, জয়ীফ হাদীস আমার মাজহাব?

জবাবঃ প্রথমত ঈমাম আবু হানিফা (রহঃ) সহীহ হাদীসকে প্রাধান্য দিতেন, এবং সহীহ হাদীস বিরোধী কিয়াস করা হতে মসজিদে পেশাব করা উত্তম মনে করতেন।

দ্বিতীয় কথা আমাদের সহীহ হাদীস পরিভাষা আর ঈমাম আবু হানিফা (রহঃ) এর সহীহ হাদীস পরিভাষা এক নয়। এখন যেরকম সনদের দিক থেকে সহীহ, হাসান, জয়ীফ, মুনকার ইত্যাদি বলে থাকি, ঈমাম আবু হানিফার সময় সনদের দিক থেকে এরকম পরিভাষা ছিলো না বরং ঈমাম আবু হানিফা (রহঃ) এর সময় যে আলমটি চালু ছিলো বা প্রতিষ্ঠিত ছিলো সেই আমলকে সহীহ বলা হত।

ঈমাম আবু হানিফা (রহঃ) তিনি নিজেই ছিলেন তাবেঈ অর্থাৎ সরাসরি সাহাবায়ে কেরাম (রাঃ) তাঁদেরকে দেখে দেখে আমল শিখছেন। আর সাহাবায়ে কেরাম (রাঃ) কিন্তু দুর্বল নয়। তাই তখন সনদের দিক থেকে হাদীস দুর্বল এই পরিভাষা ছিলো না। ঈমাম আবু হানিফা (রহঃ) এর সময় যে হাদীসটি সহীহ ছিলো, সেই হাদীসটি পরবর্তীতে অনেক সময় দুর্বল রাবী যুক্ত হওয়ার কারণে হাদীসটি জয়ীফ হয়ে গিয়েছে। সুতরাং প্রমাণিত হলো যে, ঈমাম আবু হানীফা রহঃ জয়ীফ হাদিস অস্বীকার করেননি।

জয়ীফ হাদিস অবহেলা করার ভয়ংকর পরিণতি। যেমনঃ ইমাম জালাম উদ্দীন সূয়ুতী (রহঃ) উল্লেখ করেন- وأخرج ابن عساکر في تاريخه من طريق أبي عليّ مهران بن هرون الحافظ الهازي قال سمعت أبا معين الحسين بن الحسن الطبريّ يقول : أردت الحجامة يوم السبت فقلت للغلام : ادع لي الحجام فلمّا ولّي الغلام ذکرت خبر النبي : من احتجم يوم السبت ويوم الاربعاء فأصابه وضح فلا يلومنّ إلا نفسه قال : فدعوت الغلام ثم تفکرت فقلت هذا حديث في إسناده بعض الضعف فقلت للغلام ادع الحجام لی فدعاه فاحتجمت فأصابني البرص فرأيت رسول الله ﷺ في النوم فشکوت إليه حالی فقال إياك والاستهانة بحديثی ونذرت لله نذرا لٸن إذهب الله ما بي من البرص لم أتهاون في خبر النبي صحيحا کان أو سقيما فأذهب الله عنّي ذلك البرص. অর্থাৎ ইমাম ইবনে আসাকির (রহঃ) হাফিজ রাযী আলী ইবনে মিহরান ইবনে হারুন থেকে স্বীয় 'তারিখে দামেস্ক ' এ বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, আমি হযরত আবু মুঈন হুসাইন ইবনে হাসান তাবরীকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, আমি একবার শনিবার শিঙ্গা লাগাতে মনস্থ করেছি। সুতরাং আমি আমার ক্রীতদাসীকে হাজ্জামকে শিঙ্গা লাগানোর জন্য ডাকতে নির্দেশ দিলাম। ক্রীতদাস তাকে ডাকতে চলে যাওয়ায় এবং বুধবার আমার মনে পড়লো নবীজি (সাঃ) এর ওই হাদিস যেখানে বর্ণিত আছে, যে ব্যক্তি বুধবার কিংবা শনিবার নিজ শরীরে শিঙ্গা প্রয়োগ করে দুষিত রক্ত অপসারণ করবে, তার শরীলে কুষ্ঠ রোগ (সাদা রোগ) হবে। আর সে তখন নিজেকেই দোষারোপ করবে। তারপর কিছু চিন্তা ভাবনা করে বললাম, এ হাদিসের সনদের মধ্যে তো দুর্বলতা আছে। শেষ পর্যন্ত আমি শিঙ্গা প্রয়োগ করলাম। ফলে আমার শ্বেত রোগ হয়ে গেলো। অতঃপর সপ্নযোগে নবী কারীম (সাঃ) এর সাথে সাক্ষাত হলো। তখন আমি স্বীয় অবস্থা সম্পর্কে নবীজি (সাঃ) এর দরবারে ফরিয়াদ করলাম। তিনি ইরশাদ করেন, সাবধান! আমার হাদিসকে তুচ্ছ জ্ঞান করবে না, অতঃপর আমি আল্লাহর ওয়াস্তে মানত করলাম, আল্লাহ পাক যদি আমার শ্বেত রোগ থেকে মুক্তি দেন, তবে আমি আর কখনো তুচ্ছ জ্ঞান করবো না, ওই হাদিস সনদ অনুযায়ী সহীহ হোক কিংবা জয়ীফ হোক। সুতরাং আল্লাহ তাআলা আমার শ্বেত রোগ থেকে মুক্তি দান করলেন। (ইমাম ইবনে আসাকির: তারিখে দামেস্ক, ১ম খন্ড , ৭৫ পৃঃ; ইমাম সূয়ুতী: আল-লায়ালিল মাসনূআ,২য় খন্ড, ৩৪২ পৃঃ, দারুল কুতুব ইলমিয়্যাহ বৈরুত, লেবানন)।

অনুরূপ ভাবে আল্লামা শেহাবুদ্দীন খিফফাযি হানাফী (রহঃ) তার রচিত "নাসিমুর রিয়াদ শরহে শিফা গ্রন্থে উল্লেখ করেন- قص الاظفار وتقليمها سنة وورد النهی عنه في يوم الاربعاء وانه يورث البرص وحکی عن بعض العلماء انه فعله فنهی عنه فقال لم يثبت هذا فلحقه البرص من ساعته فرای النبي ﷺ فی منامه فشکی اليه فقال له الم تسمع نهی عنه فقال لم يصِح عندی فقال صلی الله عليه وسلم يکفيك انه يسمع ثم مسح بدنه بيده الشريعة فذهب ما به فتاب عن مخالفة ما سمع کذا- نسيم الريض شرح الشفاء. "নখ কাটা বা ছেঁড়ে ফেলা সুন্নাত। তবে বুধবার এটা সম্পর্কে নিষেধ বলে বর্ণিত আছে এবং এতে শ্বেত রোগ হয়। জৈনক আলিম সম্পর্কে কথিত আছে যে, তিনি বুধবার নখ কেটেছেন। উপস্থিত লোকেরা তাকে নিষেধ করেছেন। উত্তরে তিনি বললেন, হাদিসটি সহীহ নয়। তখনই তাঁর শ্বেত রোগ ছড়িয়ে পড়ল। একদা তিনি রাসুল (সাঃ) কে স্বপ্নে দেখলেন এবং তাঁর নিকট স্বীয় রোগ সম্পর্কে আবেদন করলেন। নবীজি (সাঃ) তাকে উত্তরে ইরশাদ করলেন, তুমি কি শোন নাই যে সেটা নিষিদ্ধ? আরয করলেন, হাদিসটি সহীহ হিসাবে আমার কাছে পৌঁছেনি, তখন ইরশাদ হলো, তোমার জন্য তো এতটুকুই যথেষ্ট ছিলো যে, হাদিসটি আমারই নামে উদ্ধৃত হয়ে তোমার কানে পৌঁছেছে, এটা বলার পর নবীজি (সাঃ) স্বীয় পবিত্র হাত তার শরীলে বুলিয়ে দিলেন। তৎক্ষণাৎ তিনি সুস্থ হয়ে গেলেন এবং হাদিস শরীফ শুনে আর বিরোধ পোষণ করবে না মর্মে তওবা করে নিলেন। (আল্লামা খিফফাযি: নাসিমুর রিয়াদ, ১ম খন্ড, ১২০ পৃষ্ঠা)।

সুতরাং যাঁদের ঈমান আছে, তারা যদি জয়ীফ হাদিসকে অবহেলা করে, তবে তাঁদের ভয়ংকর পরিণতি হবে। তবে যাঁদের ঈমান নেই তাঁদেরকে আল্লাহ তাআলা এ দুনিয়াতে শাস্তি দিবেন না।

https://youtu.be/14DJipTJP3A
19/08/2022

https://youtu.be/14DJipTJP3A

দাওয়াতে তাবলীগের বিনিময় নবীজি কিছুই জান না শুধু তার স্বজনদের সৌহার্দ্য ব্যতীত।

'দেবর-ভাবী' শব্দের চরম অশ্লীলতা।ভাবীর অর্থ খুঁজতে গিয়ে এটা পাইলাম!আমাদের বাংলা 'শব্দভাণ্ডার' হিন্দুদের অশ্লীল আচার-আচারন...
13/08/2022

'দেবর-ভাবী' শব্দের চরম অশ্লীলতা।

ভাবীর অর্থ খুঁজতে গিয়ে এটা পাইলাম!
আমাদের বাংলা 'শব্দভাণ্ডার' হিন্দুদের অশ্লীল আচার-আচারনে সমৃদ্ধ সংস্কৃত ভাষার উপর নির্ভর করে গড়ে উঠেছে।
আচ্ছা আপনারা কেউ কী জানেন!
বরের ছোট ভাইকে মেয়েরা দেবর বলে কেন? আর দেবর শব্দের প্রচলনই বা হল কিভাবে ?
দেবর তার বড় ভাইয়ের বউকে ভাবী বলে কেন?
দেবর শব্দের বিশ্লেষণ :
দেবর শব্দটির আসল রূপ হল:
'দেবর' শব্দের মূলরূপ 'দ্বেবর' যার অর্থ দ্বিতীয় বর। এই শব্দের উৎপত্তি হয়েছে হিন্দু ধর্মের জঘন্যতম 'সতীদাহ' প্রথা হতে।
হিন্দু সমাজে যখন সতীদাহ প্রথা চালু ছিল, তখন কোন মেয়ের বর মারা গেলে তার সাথে ওই মেয়েকেও চিতায় পোড়ানো হত।
কিন্তু তাদের বাঁচার একটাই উপায়
ছিল, তা হল ওই মেয়ের বরের যদি কোন ছোট ভাই থাকত, আর সে যদি ওই মেয়েকে বিয়ে করার অঙ্গীকার করত এবং চিতায় অগ্নি প্রজ্বলনের আগেই তাকে চিতা থেকে নামিয়ে নিয়ে আসত, তবেই সেই মেয়ে রক্ষা পেত।
আর এই কারণেই হিন্দু ধর্মের
মুনি-ঋষিরা মেয়েদের জন্য বরের ছোট ভাইয়ের নামকরণ করে 'দেবর' অর্থাৎ দ্বিতীয় বর!
'ভাবী' শব্দের বিশ্লেষণ:
'ভাবী' শব্দের মধ্যেও অনেক অশ্লীলতা আছে।
ভাবী শব্দের আভিধানিক অর্থ হচ্ছে যাকে নিয়ে ভাবা হয়, যার সাথে ভাব করা হয়, ভবিষ্যতে যে হবে, (আধুনিক বাংলা অভিধান) তাকে ভাবী বলে।
যেমন বলা হয় `আমি তোমাকে নিয়ে ভাবী`।
আসলে আমরা মুসলিমরা না জেনেই কতকিছু করে থাকি অনুকরণের ছলে।
ভাবিও না আমি কি করছি, কি বলছি, আর কেনইবা করছি, কেনইবা বলছি!
আজ যখন হঠাৎ করেই এই বিষয়টা মাথায় আসল তখন নিজে নিজেই লজ্জা পাচ্ছি, আসলে ঠিক লজ্জাও না, কেমন যেন অপমানিত বোধ করছি।
কেউ হয়তো ভাবতেও পারেন নাই যে এই দেবর-ভাবী শব্দের মাঝে মেয়েদের জন্য কতবড় কলঙ্ক লুকিয়ে আছে।
আসলেই কি আমাদের বাংলা শব্দভাণ্ডার এতটাই কম যে হিন্দুরা যা কিছুর প্রচলন করেছে আমাদেরও তালে তাল মিলিয়ে সেগুলো আওড়াতে হবে?
আমাদের মুসলিমদের কি নিজস্বতা বলতে কিছু নেই??
'
এর পরিবর্তে ... আপু/ভাই, ডাকতে পারেন
আপনি লক্ষ করে থাকবেন, ইংরেজি অথবা আরবিতে এই শব্দগুলোর প্রতিশব্দ নেই। তারা নিশ্চয় ভাই অথবা আপু বলেই সম্বোধন করে।
আমাদেরই উচিৎ, ভাই/আপু বলেই সম্বোধন করা!

06/08/2022

ব্যভিচারের শাস্তি কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে। একজনের ব্যভিচারের অপরাধে আল্লাহ 70 হাজার সৈন্য ধ্বংস করে দিলেন।

ঈমানের আরকান ও আহকামঃঈমানের আরকান ৬ টি।আল্লাহর প্রতি ঈমান আনা।আল্লাহর মালাইকাদের প্রতি ঈমান আনাআল্লাহর কিতাব সমূহের প্রত...
31/07/2022

ঈমানের আরকান ও আহকামঃ

ঈমানের আরকান ৬ টি।

আল্লাহর প্রতি ঈমান আনা।
আল্লাহর মালাইকাদের প্রতি ঈমান আনা
আল্লাহর কিতাব সমূহের প্রতি ঈমান আনা
আল্লাহর নবী ও রাসূলগণের প্রতি ঈমান আনা
আখেরাতের প্রতি ঈমান আনা
ভাগ্যের ভাল-মন্দের প্রতি ঈমান আনা
ঈমানের আহকাম
ঈমানের আহকাম ৯ টি।

ইলম যা জাহালতকে দূর করে দেয়। অর্থাৎ তাওহীদের ইলম ও এর বিপরীত কুফর ও শিরক থেকে বেঁচে থাকার জন্য এগুলোকে চিনার ইলম।
এ ইলমের অন্তর্গত ঈমানের উসূল ৩টা-
আল্লাহ সম্পর্কে সঠিক ভাবে জানা
দ্বীন ইসলাম সম্পর্কে সঠিক ভাবে জানা
আল্লাহর নবী ও রাসূল মুহাম্মাদ (সাঃ) সম্পর্কে সঠিক ভাবে জানা
ইয়াকিন যা মুনাফিকি লি শাক্ব দূর করে। অর্থাৎ এমন দৃঢ় বিশ্বাস যা সকল সন্দেহকে দূর করে দেয়।
আল কবুল বা সর্বাত্বক নিষ্ঠার সাথে অন্তরের গভিরে গ্রহণ করা।
আল ইন্তিয়াদ বা সরিয়তের সকল হুকুম আহকাম মেনে চলা।
আস সিদক্ব বা সত্যবাদিতা, সত্যবাদি হওয়া।
আল ইখলাস বা একাগ্রতা
আল ইস্তিকামা বা মৃত্যু পর্যন্ত এ ঈমান ও দ্বীনের উপর অটল থাকা
মহব্বত বা সকলের উপর আল্লাহ ও তাঁর রাসূল মুহাম্মাদ (সাঃ) এর প্রতি ভালবাসা রাখা।
আল কুফুর বিমা ইউবাদু মিন দ্বীনিল্লাহ বা আল্লাহকে বাদ দিয়ে যার ইবাদত করা হয় তাকে অস্বিকার করা বা তাগুতকে অস্বিকার করা।

25/07/2022
25/07/2022
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারহমাতুল্লাহ।আজ বুধবার ২০ জুলাই, ৫ শ্রাবন,২০ জিলহজ্জ ১৪৪৩ হিঃ।সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর যিনি আমাদেরকে আরও...
20/07/2022

আসসালামু আলাইকুম ওয়ারহমাতুল্লাহ।
আজ বুধবার ২০ জুলাই, ৫ শ্রাবন,২০ জিলহজ্জ ১৪৪৩ হিঃ।
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর যিনি আমাদেরকে আরও একটি সকাল উপভোগ করার সৌভাগ্য দান করেছেন। মুহতারাম এটি আমার নিজস্ব পেইজ ইসলামি লেকচার ও ইসলামি বিভিন্ন বিষয়ে লেখালেখি করব। ইনশাআল্লাহ! তাই সকলকে ফলো করার জন্য বিশেষ অনুরোধ করছি।

Address

Barishal

Telephone

+8801720613251

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Mawlana Muhammad Helal Uddin khalifa posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Share