BD News TV

BD News TV Welcome to page BD News TV

12/10/2022

কারো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়া যাবে না: প্রধানমন্ত্রী

আবহমান বাংলার ঐতিহ্য ধরে রেখে সবাইকে ভিন্ন মত এবং ধর্মকে সম্মান দেখানোর আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কারো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়া যাবে না।

শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে মঙ্গলবার (০৪ অক্টোবর) বিকেলে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির অঙ্গনে উপস্থিত সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি এ আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, যে ধর্মেরই হোক, যেই হোক ধর্মীয় অনুভূতিতে কেউ আঘাত দিতে পারবে না। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে কেউ কোনো কথা বলতে পারবে না।

যেকোনো ধর্মের ক্ষেত্রে এটা প্রযোজ্য।

তিনি বলেন, আমরা যদি বিশ্বাস করি এই বিশ্ব সৃষ্টিকর্তার তৈরি, আল্লাহর তৈরি, যে যেভাবেই ডাকে না কেন সেই শক্তির প্রতি; যারাই যেভাবে যতটুকু যার যার বিশ্বাস থেকে সে যেভাবে উদযাপন করে সেখানে সবাকেই সম্মান দেখানো উচিত, কেউ কাউকে ছোট করে দেখার কোনো সুযোগ নেই।

ইসলাম ধর্মের উদারতার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের ইসলাম ধর্ম, এটা অনেক উদার ধর্ম, আমাদের ইসলাম ধর্মে এটা নির্দেশ আছে যেসকব ধর্মকে সম্মান দেখানো।

বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সব সময় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। আমরা জানি ৭৫ এর পর অনেকগুলো ঘটনা ঘটেছে... কখনো কখনো কিছু কিছু ঘটনা ঘটে। কিন্তু আপনারা নিশ্চয়ই একটা জিনিস লক্ষ্য করেছেন আমাদের সরকার সব সময় এ ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতন যেকোনো ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
তিনি বলেন, আমরা চাই আমাদের এই দেশে যারা জন্মগ্রহণ করেছে, এই দেশে যারা বসবাস করে বা যারা বাংলাদেশের নাগরিক সে যে ধর্মেরই হোক যার যার ধর্ম সবাই স্বাধীনভাবে পালন করবে। আমরা কিন্তু প্রত্যেকটা উৎসবই ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে সবাই মিলে কিন্তু আমরাও উদযাপন করি। যে কারণে বলি ধর্ম যার যার উৎসব সবার। সব উৎসবে কিন্তু আমরা সম্মিলিতভাবে উদযাপন করে থাকি সেটাই হচ্ছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় একটা বিষয়। সেখানে আমাদের সবচেয়ে বড় সার্থকতা বাংলাদেশে এই চেতনা আমরা ধরে রাখতে পেরেছি।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা সব সময় চেষ্টা করি আমাদের এই দেশটা যেন সব সময় অসাম্প্রদায়িক চেতনা নিয়ে চলতে পারে।

বিদ্যুৎ বিপর্যয়ে টেলিযোগাযোগ সেবা বিঘ্নিতজাতীয় বিদ্যুৎ গ্রিড বিপর্যয়ের কারণে দেশের বিভিন্ন স্থানে টেলিযোগাযোগ সেবা বিঘ্ন...
04/10/2022

বিদ্যুৎ বিপর্যয়ে টেলিযোগাযোগ সেবা বিঘ্নিত

জাতীয় বিদ্যুৎ গ্রিড বিপর্যয়ের কারণে দেশের বিভিন্ন স্থানে টেলিযোগাযোগ সেবা বিঘ্নিত হচ্ছে। মোবাইল থেকে কল, এসএমএস ও মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারেও সমস্যা দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন গ্রাহকরা।

দেশের মোবাইল অপারেটরদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশ (এমটব) দেশে টেলিযোগাযোগ সেবা বিঘ্নিত হওয়ার কথা জানিয়েছে।

টেলিকম সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নেটওয়ার্ক সাইটগুলোতে বিদুৎ সংযোগের মাধ্যমে নেটওয়ার্ক চালু রাখা হয়।

বিদুৎ না থাকায় জেবারেটর দিয়ে চালু রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে।

এক বিবৃতিতে এমটব জানায়, জাতীয় বিদ্যুৎ গ্রিড বিপর্যয়ের কারণে দেশের বিভিন্ন স্থানে সাময়িক সময়ের জন্য টেলিযোগাযোগ সেবা বিঘ্নিত হতে পারে।

এই সাময়িক পরিস্থিতির জন্য আমরা দুঃখিত।

বিটিআরসির হিসেবে দেশে মোবাইল গ্রাহক সংখ্যা ১৮ কোটি ৪০ লাখের বেশি। এরমধ্যে মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহার করেন ১১ কোটির বেশি।

এমটব বলছে, বিদ্যুৎ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হলে টেলিযোগাযোগ সেবাও ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হবে।

পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) তথ্যানুযায়ী, জাতীয় গ্রিডের পূর্বাঞ্চলে (যমুনা নদীর এপার) বিদ্যুৎ বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। এতে মঙ্গলবার বেলা ২টা ৫ মিনিটে একযোগে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। এর পর থেকে রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা ও সিলেট অঞ্চলের বিস্তৃত এলাকায় বিদ্যুৎ নেই। কখন বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হবে, তা নিশ্চিত করে বলতে পারছে না কেউ।

ভরণপোষণের দাবিতে ২ ছেলের নামে বৃদ্ধ বাবার মামলাভরণপোষণ না দেওয়ার দুই ছেলের নামে যশোর আদালতে মামলা করেছেন যশোরের ঝিকরগাছা...
20/09/2022

ভরণপোষণের দাবিতে ২ ছেলের নামে বৃদ্ধ বাবার মামলা

ভরণপোষণ না দেওয়ার দুই ছেলের নামে যশোর আদালতে মামলা করেছেন যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার বেনেয়ালী গ্রামের বৃদ্ধ আব্দুল হক।

সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আরমান হোসেন অভিযোগটি আমলে নিয়ে আসামিদের প্রতি গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছেন।

আসামিরা হলেন, আব্দুল হকের দুই ছেলে আসাদুজ্জামান আসাদ ও আবুল কালাম আজাদ।

মামলার অভিযোগে জানা গেছে, বৃদ্ধ আব্দুল হকের দুই ছেলে এক মেয়ে।

মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। আবুল কালাম আজাদ কৃষিকাজ ও আসাদ চাকরি করেন।

আসাদকে এমএ পাস করানোর পর ব্যবসা করার জন্য তিনি সাড়ে ৫ লাখ টাকা দিয়েছেন। একপর্যায়ে বেনেয়ালী বাজারে বাড়িসহ ২৬ শতক জমি তারা দুই ভাই ও মায়ের নামে লিখে নেয়। আবুল কালাম বাড়িতে থাকে এবং আসাদ চাকরির সুবাদের সাতক্ষীরায় থাকে। আসাদের ভাগের একটি রুমে তিনি বসবাস করতেন। ২ সেপ্টেম্বর আসাদ বাড়ি এসে ঘর থেকে বের করে তালা লাগিয়ে দেয়। তার দুই ছেলে বাবার ভরণপোষণ ও ওষুধপত্র কোন কিছু দেয় না। যাবতীয় সম্পদ তারা নিজেদর নামে লিখে নিয়ে বৃদ্ধ বাবাকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছেন। বর্তমানে তিনি বাজারের লোকজনের করা সহযোগিতায় কোনও রকম জীবনযাপন করছেন। ছেলেদের সঙ্গে বিষয়টি মীমাংসায় ব্যর্থ হয়ে তিনি ভরণপোষণের দাবিতে আদালতে এ মামলা করেছেন।

BD News TV

সীমান্তে স্কুলছাত্র হত্যা: ৩৬ ঘণ্টায়ও মরদেহ দেয়নি বিএসএফদিনাজপুরের দাইনুর সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) ...
09/09/2022

সীমান্তে স্কুলছাত্র হত্যা: ৩৬ ঘণ্টায়ও মরদেহ দেয়নি বিএসএফ

দিনাজপুরের দাইনুর সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে হত্যার ৩৬ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও মরদেহ ফেরত না পাওয়ায় কান্না থামছেই না মিনারের পরিবারের সদস্যদের।

শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেল পর্যন্ত মরদেহ ফেরত না পাওয়ায় আক্ষেপ প্রকাশ করেন তারা।

নিহত মিনারের বাবা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ৩৬ ঘণ্টা পার হয়ে গেল কিন্তু আমার ছেলের লাশটা এখনো ফেরত দিচ্ছে না। আমার ছেলে তো চলেই গেছে, লাশটা আমাদের ফেরত দিলে আমরা সুষ্ঠুভাবে তাকে দাফন করতাম।

কিন্তু লাশ ফেরতের বিষয়ে বিজিবি এখনো সঠিক সময় দিতে পারছে না যে তারা আমার ছেলেকে ফিরিয়ে দেবে।

নিহত মিনারের চাচাতো ভাই রুবেল হাসান বলেন, আমার ভাইকে বিএসএফ হত্যা করে ভারতে নিয়ে গেছে।

এতগুলো সময় পার হয়ে গেল কিন্তু তার লাশটা ফেরত দিল না এখনো। আমরা এর বিচার চাই এবং আমার ভাইয়ের লাশ তাড়াতাড়ি ফেরত চাই।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী ভারতে গিয়ে যেদিন বললেন যে সীমান্ত হত্যা বন্ধে আলোচনা হয়েছে সেদিন রাতেই আমার ভাইকে সীমান্তে হত্যা করা হলো। আমরা সত্যিই খুব হতাশ। আমরা ওদের দিলাম ইলিশ মাছ, আর ওরা দিল আমার ভাইয়ের লাশ।

এ বিষয়ে উপজেলার ৯ নম্বর আস্করপুর ইউনিয়নের মহিলা সদস্য রুমানা পারভীন বলেন, আমরা প্রতিনিধিরা বিজিবি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তারা বিএসএফকে মরদেহ হস্তান্তরের বিষয়ে জানিয়েছেন। যেকোন সময়ে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন দিনাজপুর খানপুর সীমান্ত ফাঁড়ির দায়িত্বরত কর্মকর্তা।

জানা যায়, বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টার দিকে দিনাজপুর সদর উপজেলার ১০ নম্বর কমলপুর ইউনিয়নের দাইনুর বিওপি ৩১৫ নাম্বার মেইন পিলারের কাছে কচ্ছপের শুঁটকি আনতে গিয়ে বিএসএফের গুলিতে নিহত হয় নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া মিনার বাবু।

বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি স্কুলছাত্র নিহত, নিখোঁজ ২দিনাজপুর সদর উপজেলার দাইনুর সীমান্তে বিএসএফ গুলি করে মিনার বাবু (১৫) ...
09/09/2022

বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি স্কুলছাত্র নিহত, নিখোঁজ ২

দিনাজপুর সদর উপজেলার দাইনুর সীমান্তে বিএসএফ গুলি করে মিনার বাবু (১৫) নামে এক বাংলাদেশি স্কুলছাত্রকে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছেন আরও দুই বাংলাদেশি।

বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টার দিকে ১০নং কমলপুর ইউনিয়নের দাইনুর বিওপি ৩১৫ নম্বর মেইন পিলারের কাছে এই ঘটনা ঘটে।

নিহত মিনার উপজেলার ৯নং আস্করপুর ইউনিয়নের খানপুর ভিতর পাড়া এলাকার জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে।

স্থানীয় খানপুর উচ্চ বিদ্যলিয়ে নবম শ্রেণিতে পড়তো। পড়ালেখার পাশাপাশি মিনার রঙের কাজও করত বলে জানিয়েছে তার পরিবার।

এ ঘটনায় নিখোঁজ ২ বাংলাদেশি হলেন- একই ইউনিয়নের খানপুর এলাকার লতিফুলের ছেলে এমদাদুল (২৮) ও সালমানের ছেলে সাগর (২০)। তারা সবাই ভারত থেকে অবৈধ পথে কচ্ছপের শুটকি আনতে গিয়েছিল বলে জানা গেছে।

নিহত মিনারের মরদেহ বর্তমানে ভারতের দক্ষিণ দিনাজপুর তেলিয়াপাড়া এলাকায় রয়েছে। সেখান থেকে তার মরদেহ গঙ্গারামপুর থানায় নেওয়া হবে বলে জানা গেছে।

পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টার দিকে দুটি গুলির শব্দ পাওয়া যায়। খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায় একজন নাকি গুলিতে মারা গেছে। তার মরদেহ সীমান্তের কাছে পড়ে আছে। পরে সকালে তার পরিচয় পাওয়া যায়।

নিহতের বড় ভাই মিজানুর জানান, বুধবার সকালে স্থানীয় এক রঙ মিস্ত্রির সঙ্গে কাজে যায় মিনার। কাজ শেষে বিকেলে বাসায় ফেরার কথা ছিল। কিন্তু রাতেও বাসায় ফেরেনি সে। রাতে মিনারের মোবইল ফোনে কল দিলে বন্ধ পাওয়া যায়। আমার ভাইকে কে বা কারা ডেকে নিয়ে শুটকি আনতে ওকেই সবার আগে পাঠায়। সকালে আমরা জানতে পারি মিনার গুলি খেয়ে এখানে মরে পড়ে আছে।

দাইনুর বিপিওর নায়েক সুবেদার আক্তার হোসেন জানিয়েছেন, এ বিষয়ে বিএসএফের কাছে আমরা চিঠি পাঠিয়েছি। বিএসএফ চিঠির জবাব দিয়েছে। যে কোনো মুহূর্তে বৈঠকের মাধ্যমে মরদেহ আনা হবে।

নওগাঁয় বস্তায় আদা চাষনওগাঁর রানীনগর উপজেলার শিয়ালা গ্রামের কৃষক জহুরুল ইসলাম। পরিত্যক্ত একটি জমিতে বস্তায় আদা চাষ করেছেন...
09/09/2022

নওগাঁয় বস্তায় আদা চাষ

নওগাঁর রানীনগর উপজেলার শিয়ালা গ্রামের কৃষক জহুরুল ইসলাম। পরিত্যক্ত একটি জমিতে বস্তায় আদা চাষ করেছেন।

আদা রোপণের মাত্র তিন মাসের মাথায় গাছগুলোতে আদা হতে শুরু করেছে।

কৃষক জহুরুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, প্রথমে ইউটিউব দেখে আদা চাষে আগ্রহী হন তিনি।

এরপর স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শ নিয়ে শুরু করেন চাষ। প্রথমে ছাই, জৈব সার ও বালু মিশিয়ে মাটি প্রস্তুত করেন।

পরীক্ষামূলকভাবে ছয় কাঠা জমিতে ১৬০০ বস্তায় সেই মাটি ভরে টবের মতো করেন তিনি। এরপর প্রতিটি বস্তায় তিনটি করে আদার চারা রোপণ করেন। রোপণের মাত্র এক মাসের মাথায় গাছ বড় হতে শুরু করে৷ এরপর মাত্র তিন মাসের মধ্যে গাছগুলোর গোড়ায় আদা ধরতে শুরু করেছে। এ ভাবে আদা চাষে সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, পতিত জমিতে খুবই সীমিত খরচ আর অল্প শ্রমে চাষ করা সম্ভব। একেকটি বস্তায় প্রায় দুই কেজি পর্যন্ত আদা পাওয়া যাবে।

জহুরুল আরও জানান, সীমিত খরচ, কম যায়গা আর অল্প শ্রমে এটি একটি লাভজনক চাষ। আদা গাছে পানির চাহিদা অনেক কম। আবার সার বা কীটনাশক ব্যবহার করতে হয় খুবই কম। মাঝে মধ্যে পাতা মরা রোগ প্রতিরোধে কিছু ওষুধ স্প্রে করতে হয়। এর বাহিরে তেমন কোনো পরিচর্যা করতে হয় না। এভাবে আদা চাষ করে সহজেই লাভবান হওয়া যায়।

প্রথম অবস্থায় অল্প পরিসরে চাষ করেছেন তিনি। এ বছর যদি লাভ ভালো হয়, তাহলে আগামীতে আরও বড় পরিসরে আদা চাষ করবেন বলে জানান কৃষক জহুরুল ইসলাম।

তিনি আরও জানান, একটি বস্তায় চারা রোপণ করতে মোট খরচ হবে ৩০ টাকা। কিন্তু একেকটি বস্তায় আদা পাওয়া যাবে প্রায় দুই থেকে আড়াই কেজি। বর্তমানে দুই কেজি আদার বাজার মূল্য ২০০ টাকা।

জহুরুল ইসলামের এ পদ্ধতিতে আদা চাষ দেখে এলাকার অনেক মানুষের মধ্যে আগ্রহ তৈরি হয়েছে। মাঝে মধ্যেই বিভিন্ন গ্রাম থেকে আদা চাষ দেখতে আসেন অনেকে।

নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক আনোয়ারুল ইসলাম জানান, এ পদ্ধতিতে আদা চাষে জমির চেয়ে রোগবালাইয়ের আক্রমণ হয় কম। বস্তায় আদা চাষে কীটনাশক এবং পানি লাগে অনেক কম। ফলে যে কোনো স্থানে এভাবে আদা চাষ করা সম্ভব৷ পাশাপাশি কেউ চাইলে বাসার সাদে, বেলকোনিতে, এবং বাড়ির সামনে পরিত্যক্ত স্থানেও চাষ করতে পারে। বাণিজ্যিকভাবে যদি কেউ চাষ না করতে চায়, নিজেদের আদার চাহিদা মেটানো সম্ভব।

বজ্রপাত নিরোধে টেকসই প্রকল্প দরকার: অধ্যাপক ড. জিল্লুরজলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা কারণে দেশে সম্প্রতি বেড়েছে বজ্রপাত।বৃহস্পতি...
09/09/2022

বজ্রপাত নিরোধে টেকসই প্রকল্প দরকার: অধ্যাপক ড. জিল্লুর

জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা কারণে দেশে সম্প্রতি বেড়েছে বজ্রপাত।

বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) সিরাজগঞ্জেই বজ্রপাতে নয়জনের মৃত্যু হয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হলেও সম্পূর্ণ সফলতা আসছে না। তবে পরীক্ষামূলক বিভিন্ন প্রজেক্ট নিয়ে একটি সমন্বিত টেকসই উদ্যোগ গ্রহণের মধ্য দিয়ে বজ্রপাতের ক্ষয়ক্ষতি কমানো সম্ভব বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থ
অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সস অনুষদের ডিন ও ডিজাস্টার সায়েন্স অ্যান্ড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. জিল্লুর রহমান।

ঢাবির এ অধ্যাপক বলেন, এ মৌসুমে ব্রজপাত হয়।

বিশেষ করে হাওর, বিল এলাকায় এটা বেশি হয়। বাংলাদেশে বজ্রপাতের বেশকিছু হটস্পট রয়েছে। তার মধ্যে কিশোরগঞ্জ, রাজশাহী অন্যতম। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশের সব এলাকায় এখন বজ্রপাত বেড়ে গেছে। ফলে হতাহতের পরিমাণও বাড়ছে।

কি কারণে বজ্রপাতে ক্ষয়ক্ষতি বাড়ছে জানতে চাইলে অধ্যাপক ড. জিল্লুর বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের জনসংখ্যা অনেক বেড়েছে। ফলে কাজের কারণে অনেকে বাইরে অবস্থান করছে, চলাচল বেড়েছে তাই আক্রান্ত হচ্ছে।

বজ্রপাত থেকে রক্ষা পেতে করণীয় সম্পর্কে অধ্যাপক জিল্লুর রহমান বলেন, প্রথমত সচেতন হতে হবে। কারণ মানুষ বুঝতে পারে কখন বজ্রপাতের সম্ভাবনা বেশি থাকে। এজন্য সচেতনতা বাড়াতে হবে। এজন্য ব্যাপক হারে উদ্যোগ নিতে হবে বেশি আক্রান্ত এলাকায়। দেশের অন্যান্য দুর্যোগের চেয়ে বজ্রপাতে বেশি মানুষ মারা যাচ্ছে।

বজ্রপাত মোকাবিলায় বিভিন্ন প্রকল্প সম্পর্কে অধ্যাপক ড. জিল্লুর বলেন, বিভিন্ন সময় নানা উদ্যোগে প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। কিন্তু কোনোটাই টেকসই হচ্ছে না। তাল গাছ রোপণ করে এর ক্ষতি থেকে রক্ষার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু ফলপ্রসূ হয়নি। বড় বড় হাওর এলাকায় শেল্টার স্থাপন করা যেতে পারে। এখন বজ্রপাত নিরোধক দন্ড স্থাপনের প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। কিন্তু কোনটা যথার্থ হবে তা পরীক্ষামূলক ব্যবহারের মাধ্যমে নিশ্চিত হতে হবে। অন্যথায় অর্থ অপচয় হবে। একারণে বজ্রপাত থেকে রক্ষা পেতে টেকসই প্রকল্প দরকার।

ইউএস টপ চার্টে ‘হাওয়া’ইউএস টপ চার্টে জায়গা করে নিলো আলোচিত সিনেমা ‘হাওয়া’। যা বাংলাদেশের সিনেমা হিসেবে এবারই প্রথম।এমনটা...
08/09/2022

ইউএস টপ চার্টে ‘হাওয়া’

ইউএস টপ চার্টে জায়গা করে নিলো আলোচিত সিনেমা ‘হাওয়া’। যা বাংলাদেশের সিনেমা হিসেবে এবারই প্রথম।

এমনটাই জানিয়েছেন সিনেমাটির আন্তর্জাতিক পরিবেশক স্বপ্ন স্কেয়ারক্রো-এর প্রধান অলিউল্লাহ সজীব।

বুধবার (০৭ সেপ্টেম্বর) সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে এ দাবি করেন তিনি।

অলিউল্লাহ সজীব জানান, মুক্তির পর প্রথম চার দিনের আয়ে ‘হাওয়া’ এই মুহূর্তে ইউএস টপ চার্টে ২৭ নম্বরে অবস্থান করছে।

তিনি লেখেন, ‘ব্যবসার শক্তি দিয়ে আমাদের সিনেমা পৃথিবীর এক নম্বর টপ চার্টে ঢুকে পড়েছে! তাও আবার টপ ৩০-এ! খুবই অবিশ্বাস্য লাগছে, তাই না? আমারও বেশ সময় লেগেছে বিশ্বাস করতে।

কিন্তু, এ ঘটনাটি ঘটে গেছে। বাংলাদেশের একটি সিনেমা এ ঘটনাটি ঘটিয়ে ফেলেছে। ’
কত আয় করে হাওয়া সিনেমা এ অভূতপূর্ব ঘটনার জন্ম দিয়েছে, তা জানাতে সজীব লেখেন, ‘প্রথম চার দিনে (‘লেবার ডে’ লং উইকেন্ডে), হাওয়া এর গ্রস বক্স অফিস কালেকশন ২,১৩,৪৬১ ডলার, কানাডা গ্রস ৮৬,৩১২ ডলার, আমেরিকা গ্রস, ১,২৭,১৪৯ ডলার। সিনেমাটি এখন পর্যন্ত দেখেছেন ২৫ হাজার ৪৪৪ জন। কানাডায় দেখেছেন ৯ হাজার ৯৩০ জন, আমেরিকায় দেখেছেন ১৫ হাজার ৫১৪ জন। ’

সজীব জানান, বাংলাদেশি সিনেমা বিবেচনায় এ সংখ্যা অনেক বড়। তিনি উত্তর আমেরিকার বক্স অফিসে এতদিন পর্যন্ত সর্বোচ্চ আয় করা বাংলাদেশি সিনেমা ‘দেবী’র আয়ের সঙ্গে ‘হাওয়া’ সিনেমার আয় মিলিয়ে তুলনামূলক একটি পরিসংখ্যান দিয়েছেন।

সজীব লেখেন, ‘‘২০১৮ সালে মুক্তি পাওয়া ‘দেবী’ সিনেমার লাইফটাইম গ্রস বক্স অফিস আয় ছিল ১,২৫,৪১৪ ডলার। ‘দেবী’ সিনেমার সম্পূর্ণ আয় হাওয়া মাত্র তিন দিনেই অতিক্রম করে গেছে। ‘হাওয়া’ সিনেমার তিন দিনের আয় ১,৫৯,৭৫২ ডলার। ’’

অনেকগুলো থিয়েটারেই হাওয়া সিনেমা দ্বিতীয় সপ্তাহেও চলবে বলে জানান সজীব। কিন্তু আমেরিকার একটা নতুন থিয়েটারও হাওয়া সিনেমার জন্য যোগ করা যায়নি।

এর কারণ হিসেবে সজীব লেখেন, ‘আগামী সপ্তাহে আন্তর্জাতিক সিনেমার কোটা থিয়েটারগুলো পূরণ করবে ব্রহ্মাস্ত্র (বলিউড) দিয়ে, যেটা আগে থেকেই ফিক্সড। ’

স্কুলবাসে নারী সহকারী চান অভিভাবকরাঢাকা শহরে স্কুল বাস চালুর উদ্যোগকে ঢাকার অভিভাবকেরা সমর্থন জানালেও শিক্ষার্থীদের নিরা...
08/09/2022

স্কুলবাসে নারী সহকারী চান অভিভাবকরা

ঢাকা শহরে স্কুল বাস চালুর উদ্যোগকে ঢাকার অভিভাবকেরা সমর্থন জানালেও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়টি বড় হয়ে উঠেছে। অভিভাবকেরা বলছেন, এদেশের বাসচালকদের অধিকাংশ অশিক্ষিত ও সঠিক ব্যবহার জানেন না।

সবচেয়ে বড় সমস্যা তারা নারীদের হেয় করেন।

সেজন্য ঢাকা উত্তরের মেয়রের কাছে অভিভাবকেরা দাবি করেছেন, বাসে যেন নারী সহকারী রাখা হয়, তাহলে শিক্ষার্থীরা হয়রানির শিকার হবেন না।

বুধবার (০৭ সেপ্টেম্বর ২০২২) বিকেলে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) আওতাধীন এলাকার স্কুলগুলোতে বাস সার্ভিস প্রবর্তন সংক্রান্ত প্রাথমিক কর্মকৌশল নির্ধারণ বিষয়ক সভায় অভিভাবকেরা এ দাবি তোলেন।

স্কলাসটিকা স্কুলের অভিভাবক নিরুপমা ইকবাল মেয়রের কাছে জানতে চান, এই উদ্যোগ দীর্ঘমেয়াদে চালু থাকবে কি না?

এ অভিভাবকের প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, আমরা সমীক্ষা করে পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করবো যেন উদ্যোগ সফল হয়।

অন্য এক অভিভাবক বাসের চালক ও সহকারীদের সঠিক তথ্য সংগ্রহ করে অতীতে অপরাধ প্রবণতা নেই এমন মানুষদের এ পদে রাখা ও বাসগুলোতে নারী সহকারী রাখার বিষয়ে মেয়রের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

ছেলেমেয়েদের নিরাপত্তার বিষয়ে এ অভিভাবকের প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, সন্তানরাই বাবা মায়ের সবচেয়ে মূলবান সম্পদ। তাদের নিরাপত্তার বিষয়টি অতি গুরুত্বপূর্ণ। স্কুল বাসগুলোতে সিসি ক্যামেরাসহ আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করে বাচ্চাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। অ্যাপের মাধ্যমে ট্র্যাকিং ব্যবস্থা থাকবে।

নিরাপত্তার জন্য স্কুলবাসের চালক ও স্টাফদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করা হবে। একটি হটলাইন নাম্বার থাকবে যেটির মাধ্যমে অভিভাবকরা সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করতে পারবেন বলে জানান তিনি।

এ সময় তিনি বলেন, অনেক পরিবারে বাবা-মা দুজনেই চাকরিজীবী। তাদের যেন ছেলে-মেয়েদের স্কুলে যাওয়া আসা নিয়ে দুশ্চিন্তা না করতে হয় সেক্ষেত্রে নিরাপদ স্কুলবাসই চমৎকার সমাধান হবে। সময়, নিরাপত্তা ও খরচ সবকিছু বিবেচনায় নিয়েই বাস সার্ভিসটি চালু করা হবে। আমরা মনে করি এটি একটি টেকসই সমাধান হবে।

বাস রুট নির্ধারণের বিষয়ে অভিভাকের আরেক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, শিক্ষার্থীদের বাসার ঠিকানা অনুযায়ী বাস রুট নির্ধারণ করা হবে। রাইড শেয়ারিংয়ের মাধ্যমে একটি বাসে নির্দিষ্ট রুটের স্কুলগুলোর শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করবে। এর ফলে খরচ অনেক কমে আসবে।

বন্ধুদের হাতেই খুন হয় স্কুলছাত্র নয়নরাজধানীর শ্যামপুরের ধোলাইপাড়ে স্কুলছাত্র নয়ন হত্যাকাণ্ডের রহস্য কিছুটা উদঘাটন করতে প...
05/09/2022

বন্ধুদের হাতেই খুন হয় স্কুলছাত্র নয়ন

রাজধানীর শ্যামপুরের ধোলাইপাড়ে স্কুলছাত্র নয়ন হত্যাকাণ্ডের রহস্য কিছুটা উদঘাটন করতে পেরেছে পুলিশ। বন্ধুদের সঙ্গে মনোমালিন্যের জেরে তাকে হত্যা করা হয়েছে।

ক্ষোভের বসত তাকে ছুরিকাঘাত করা হয় বলে ধারণা করছে পুলিশ। মৃত্যুর ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে তিন জনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি মামলা করেছেন।

এরইমধ্যে মামলায় প্রধান আসামি সাব্বির ও হোসেন নামে দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাতে এ বিষয়ে কথা হয় শ্যামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মফিজুল আলমের সঙ্গে।

তিনি বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে বন্ধুদের সঙ্গে কোনো কারণে মনোমালিন্য হয় নয়নের। এ কারণে পরিকল্পনা করে তাকে হত্যা করা হয়েছে। কি নিয়ে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য হয়েছে সেটা বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

ওসি বলেন, গ্রেফতার সাব্বির ও হোসেন নিহত নয়নের বন্ধু ছিল। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী নয়নকে ধোলাইপাড় বস্তি ভিটা বালুর মাঠে নিয়ে যায় হোসেন। সেখানে সাব্বির নয়নের বুকের বাম পাশে ছুরিকাঘাত করে। এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সাব্বির-হোসেন ছাড়াও আরও একজন জড়িত আছে। তাকে ধরতে পুলিশ কাজ করছে। তবে এ ঘটনার সঙ্গে কিশোর গ্যাংয়ের সম্পৃক্ততা নেই।

পুলিশের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, নিহতের পরিবারের কাছ থেকে জানা গেছে- নয়ন পোস্তগোলা এলাকায় একটি এনজিওর রাত্রিকালীন স্কুলে পড়াশোনা করতো। পাশাপাশি একটি ফ্রিজের দোকানে চাকরি করতো। সেটা ছেড়ে দিয়ে সেপ্টেম্বরের ১ তারিখে ডেমরায় একটি প্রিন্টিং কারখানায় চাকরি নেয়।

প্রসঙ্গত, রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে ধোলাইপাড় বস্তি ভিটা বালুর মাঠে নয়নকে ছুরিকাঘাত করা হয়। পরে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বেলা সাড়ে তিনটার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।

নয়ন মাগুরার মোহাম্মদপুর উপজেলার ঝামা গ্রামের কামরুল ইসলামের ছেলে। বর্তমানে পরিবারের সঙ্গে ধোলাইপাড় মুন্সিবাড়ি এলাকায় একটি বাসায় ভাড়া থাকতো সে।

বান্দরবানে এলাচ চাষ, সাফল্যের হাতছানিমসলা জাতীয় ফসল এলাচ আগামীতে আর বিদেশ থেকে আমদানি করতে হবে না, নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে...
05/09/2022

বান্দরবানে এলাচ চাষ, সাফল্যের হাতছানি

মসলা জাতীয় ফসল এলাচ আগামীতে আর বিদেশ থেকে আমদানি করতে হবে না, নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রফতানি করা সম্ভব হবে দেশের মাটিতে উৎপাদিত এলাচ।

এতে অনেক বেকার মানুষের যেমন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে, তেমনি দেশেও আসবে বৈদেশিক মুদ্রা।

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের নাম থাকবে এলাচ রপ্তানির তালিকায়, এমনটাই আশা করছে পার্বত্য জেলা বান্দরবানে প্রথমবারের মতো এলাচ চাষ করা এক স্কুলশিক্ষক মেনয়াং ম্রো।

বান্দরবানের চিম্বুক পাহাড়ের ওয়াইজংশন এলাকার দেওয়াই হেডম্যান পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মেনয়াং ম্রো তার পতিত পাহাড়ের পাদদেশে প্রথমবারের মতো শুরু করেছেন এলাচ চাষ।

তিন পার্বত্য জেলায় মধ্যে প্রথমবারের মতো ২০১৮ সালে যশোরের বেনাপোল এলাকার এক চাষির কাছ থেকে ১২০টি এলাচ চারা সংগ্রহ করে বান্দরবানের পাহাড়ে শুরু করেন এলাচ চাষ। আমদানি নির্ভরতা কমানোর লক্ষ্য নিয়ে পাহাড়ের বুকে সবুজ রংয়ের এলাচ চাষ শুরু করেন তিনি।

অনলাইন থেকে এলাচ চাষের পদ্ধতি সর্ম্পকে ধারণা নিয়ে এক একর জমিতে এলাচের আবাদ করে খুশি স্কুলশিক্ষক মেনয়াং ম্রো।

তিনি বলেন, ভারত, চীন ও মিয়ানমারসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলের উর্বর জমি এলাচ চাষের জন্য বেশ উপযোগী, কিন্তু এতদিন আমরা এটি চাষে আগ্রহী না হওয়ায় পিছিয়ে ছিলাম। আমি অনেক দিন ইউটিউবে বিভিন্ন ভিডিও দেখার পর হঠাৎ সন্ধান পেলাম যশোরের শাহাজান নামে এক ব্যক্তি বাংলাদেশে এলাচ চাষ শুরু করেছেন। তার সঙ্গে যোগাযোগ করে ২০১৮ সালে আমি তার কাছ থেকে ১২০টি এলাচের চারা সংগ্রহ করে বান্দরবানে এনে চিম্বুক পাহাড়ের ওয়াইজংশন এলাকার পতিত জমিতে রোপণ করি, পরে সেই চারা থেকে বর্তমানে আমার বাগানে প্রায় কয়েক হাজার চারা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এলাচ চাষের জন্য আলাদা কোনো জমি প্রয়োজন হয় না। এটি ছায়াযুক্ত স্থানে যে কোনো গাছের ছায়ার নিচে জন্মাতে পারে। বর্তমানে আমি নিজে বেশ কিছু এলাচের চারা করছি, যা বান্দরবানের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে দেব। আমি যশোর থেকে প্রতিটি চারা ৩০০ টাকা করে কিনেছিলাম। পরিবহন খরচসহ মোট ৩৫০ টাকা করে গড়ে খরচ পড়েছিল। বর্তমানে আমিও এলাচের চারা উৎপাদন করছি এবং আমি আমার উৎপাদিত চারা এলাকায় সম্প্রসারণের জন্য ৩৫০ টাকা করে বিক্রি করছি।

রংপুরে দুই বাসের সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৯ রংপুরের তারাগঞ্জে যাত্রীবাহী দুটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে ৫ জন নি...
05/09/2022

রংপুরে দুই বাসের সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৯

রংপুরের তারাগঞ্জে যাত্রীবাহী দুটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে ৫ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন আরও ৪ জন।

এ নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯ জনে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২৮ জন।



রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কের খারুভাজ সেতু এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, রাতে খারুভাজ সেতু এলাকায় জোয়ানা পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে ইসলাম পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।

এতে ঘটনাস্থলেই ৫ জন নিহত হন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে তারাগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুব মোর্শেদ জানান, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে বৃষ্টিতে ভিজে উদ্ধার তৎপরতা চালায় পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলে নিহত ৫ জনের মরদেহসহ আহদের উদ্ধার করে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার সকাল ১০টা পর্যন্ত আরও চার জনের মৃত্যু হয়। তবে তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের নাম পরিচয় জানাতে পারেননি তিনি।

বরিশালে পানিতে ডুবে দুই শিশুসহ ৪ জনের মৃত্যুবরিশালে পৃথকস্থানে পানিতে ডুবে দুই শিশুসহ চার জনের মৃত্যু হয়েছে।সোমবার (২২ আ...
23/08/2022

বরিশালে পানিতে ডুবে দুই শিশুসহ ৪ জনের মৃত্যু

বরিশালে পৃথকস্থানে পানিতে ডুবে দুই শিশুসহ চার জনের মৃত্যু হয়েছে।

সোমবার (২২ আগস্ট) দুপুরের পর থেকে চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

মৃতরা হলো-বরিশাল নগরীর ১০ নন্বর ওয়ার্ড রাজ্জাক স্মৃতি কলোনীর (কেডিসি) বাসিন্দা রিক্সাচালক মো. আমির হোসেন (৫০), পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার দ্বিপাশা গ্রামের অসীম চন্দ্রের ছেলে অপূর্ব চন্দ্র (১২), বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম ফরিদপুর গ্রামের হাওলাদার বাড়ির বাসিন্দা মনির হাওলাদারের ছেলে রুহান (৫) ও তার ভাই সোহান হাওলাদারের ছেলে সাইমুন (৪)।

বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের লিডার জহির রায়হান জানান, বেলা ১১টার দিকে বরিশাল নগরের কেডিসি ঘাট সংলগ্ন কীর্তনখোলা নদীতে গোসল করতে যায় রিক্সাচালক আমির হোসেন।

এরপর থেকে তার সন্ধান না পেয়ে স্বজনরা ঘাটে এসে তার জামা-কাপর পরে থাকতে দেখে। মৃগী রোগী হওয়ায় সে নদীতে নেমে নিখোঁজ হয়েছে এমন ধারণা পেয়ে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়।

খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল অভিযান চালিয়ে সন্ধ্যা ৬ টার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করেছে।

কোন অভিযোগ না থাকায় মরদেহ ময়না তদন্ত ছাড়াই স্বজনদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে বরিশাল সদর নৌ-থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসনাত জামান জানিয়েছেন।

অপরদিকে বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরী হুমায়ন কবির জানান, বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার উত্তর রামপুর গ্রামের নানা বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলো অপূর্ব। দুপুর আড়াইটার দিকে মৃগী রোগী অপূর্ব পায়রা নদীর শাখা নদীতে গোসল করতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। খবর পেয়ে তারা গিয়ে নদীতে তল্লাশী করে বিকেল চারটার দিকে অপূর্বর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

এছাড়া বাকেরগঞ্জ উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এসএম শফিকুর রহমান ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. শহীদুল ইসলাম জানান, পশ্চিম ফরিদপুর গ্রামের হাওলাদার বাড়ির দুই ভাই মনির ও সোহানের দুই ছেলে পরিবারের সবার অগোচরে পুকুরে পড়ে ডুবে যায়। পরে তাদের দেখতে না পেয়ে দুপুরে স্থানীয়রা পুকুরে তল্লাশি করে উভয়ের মরদেহ উদ্ধার করে।

বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলাউদ্দিন মিলন জানান, সাংবাদিকদের মাধ্যমে বিষয়টি জেনেছি। কিন্তু কোন পরিবার বিষয়টি জানায়নি।

21/08/2022

গার্ডার পড়ে মৃত্যু: ১০ জনের নামে আদালতে মামলা
(বিস্তারিত)

১৫ আগস্ট বিকেলে রাজধানীর উত্তরার জসিমউদ্দীন রোডে বিআরটি প্রকল্পের ফ্লাইওভারের গার্ডার চাপায় প্রাইভেট কারে থাকা শিশুসহ ৫ যাত্রী নিহত হন। এরা হলেন- মো. রুবেল (৫০), ঝর্ণা (২৮), জান্নাত (৬), জাকিয়া (২) এবং ফাইজ। তবে ভাগ্যক্রম বেঁচে যান নববিবাহিত দম্পতি হৃদয় ও রিয়া। ওই দিন দিবাগত রাতেই নিহত ফাহিমা আক্তার ও ঝর্ণা আক্তারের ভাই আফরান মণ্ডল বাবু উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা করেন।

অবহেলার কারণে এ ঘটনা ঘটায় ক্রেনের চালক, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি এবং নিরাপত্তা নিশ্চিতে দায়িত্বপ্রাপ্ত অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের মামলায় আসামি করা হয়েছে। মামলা দায়েরের পর ওই ১০ জনকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। বর্তমানে তারা বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে রয়েছে।

গার্ডার পড়ে মৃত্যু: ১০ জনের নামে আদালতে মামলা রাজধানীর উত্তরায় বিআরটি প্রকল্পের ফ্লাইওভারের গার্ডার চাপায় প্রাইভেটকারে থ...
21/08/2022

গার্ডার পড়ে মৃত্যু: ১০ জনের নামে আদালতে মামলা

রাজধানীর উত্তরায় বিআরটি প্রকল্পের ফ্লাইওভারের গার্ডার চাপায় প্রাইভেটকারে থাকা শিশুসহ পাঁচ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় ১০ জনের নামে অবহেলাজনিত হত্যার অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে।

নিহত আইয়ুব হোসেন রুবেলের প্রথম স্ত্রী শাহিদা খানম রোববার (২১ আগস্ট) সকালে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসীমের আদালতে এ মামলা করেন।

বিকেলে বিচারক মামলাটি তদন্ত করে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশকে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দেন৷

সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী রাকিব চৌধুরী এ তথ্য জানান।

মামলায় আইএফএসসিওএন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইফতেখার হোসেন ও হেড অব অপারেশনস আজহারুল ইসলাম মিঠু, সিজিজিসির প্রকিউরমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মঞ্জুরুল ইসলাম, সেফটি ইঞ্জিনিয়ার জুলফিকার আলী শাহ, ক্রেন চালক আলামিন হোসেন ওরফে হৃদয়, হেলপার রাকিব হোসেন, ইফতেখার হোসেন, তোফাজ্জল হোসেন তুষার, রুহুল আমীন মৃধা, রুবেল ও আফরোজ মিয়া।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত ১৫ আগস্ট উত্তরা পশ্চিম থানাধীন প্যারাডাউস টাওয়ারের সম্মুখে আশুলিয়াগামী ঢাকা ময়মনসিংহ সেক্টর-৩ এর ৩ নম্বর রোডে প্রাইভেটকারের ওপর বিআরটিএ প্রকল্পের অধীনে কর্মরত ৫০ টন ওজনের গার্ডার বক্স আছড়ে পড়ে গাড়িতে অবস্থানরত আইয়ুব হোসেন রুবেল ওরফে নুর ইসলাম রুবেলসহ ৫ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটে।

প্রতিষ্ঠানের সেফটি ইঞ্জিনিয়ার জুলফিকার আলী শাহ দায়িত্বকালীন সময়ে হেলথ সেফটি অ‌্যান্ড ইনভাইরোমেন্টের ওপর কোনো জ্ঞান না থাকায় সেফটির জন্য অর্থাৎ ক্রেন চালানোর প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা বলয় তৈরি করার যা যা প্রয়োজন তার যথাযথ পদক্ষেপ কখনোই গ্রহণ করেননি।

চরম অবহেলা এবং খামখেয়ালীপনা করে প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে দীর্ঘদিন যাবৎ সুবিধা ভোগ করে চলেছেন, এর ফলশ্রুতিতে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়।

এতে আরও উল্লেখ করা হয়, ক্রেনচালক আলামিন নিজে দায়িত্ব পালন না করে হেলপার রাকিবকে দিয়ে ক্রেন পরিচালনার দায়িত্ব দিয়ে বেআইনিভাবে কাজ পরিচালনা করে যাচ্ছিলেন। এ দুর্ঘটনার সময় আলামিন ও রাকিব মৃত্যু পরিস্থিতি জেনেও কোনোরূপ সহযোগিতা না করেই স্থান ত্যাগ করে পালিয়ে যান।

আসামিদের চরম অবহেলা, গাফিলতি এবং অদক্ষ, অযোগ্য জনবল নিয়োগের মাধ্যমে অবৈধ সুবিধা গ্রহণের কারণে পাঁচ জন মৃত্যুবরণ করেছে বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।

মেয়ের নতুন জীবন দেখার সুযোগ হলো না মায়ের!(বিস্তারিত) ফাহিমার প্রতিবেশী মালেকা বানু বলেন, ‘এই পরিবারটি অনেক ভালো ছিল। দরি...
16/08/2022

মেয়ের নতুন জীবন দেখার সুযোগ হলো না মায়ের!
(বিস্তারিত)

ফাহিমার প্রতিবেশী মালেকা বানু বলেন, ‘এই পরিবারটি অনেক ভালো ছিল। দরিদ্র হলেও তাদের সব কিছু পরিপাটি ছিল। আমাদের পাশের বাসা তাদের কখনো কোনো ঝামেলার কথা শুনিনি। মেয়েটাকে ভালোভাবেই বিয়ে দিল। শুনেছিলাম ছেলেটা ভালো পরিবারের। কিন্তু হঠাৎ কি থেকে কি হলো। আল্লাহ ভালো জানেন। এমন মৃত্যু আমরা কখনো আশা করিনি। এতিম হয়ে গেল ফাহিমার আপার মেয়ে ও ছেলেটা। ’

বিচার দাবি করে মালেকা বানু বলেন, উন্নয়নের জন্য সড়কে কাজ হচ্ছে। কিন্তু কোনো নিরাপত্তা নেই। নিরাপত্তা না থাকায় যারা মারা গেল তাদের কি শাস্তি হবে? আমরা শাস্তি চাই।

প্রসঙ্গত, সোমবার মেয়ে ও মেয়ের জামাইকে আনতে যান ফাহিমা। একই প্রাইভেটকারে তিনি আশুলিয়া থেকে ফিরছিলেন মেয়ে রিয়া, জামাতা হৃদয়, হৃদয়ের বাবা আইয়ুব আলী হোসেন রুবেল, রিয়ার খালা ঝর্ণা এবং ঝর্ণার দুই সন্তান জাকারিয়া ও জান্নাতুলকে নিয়ে। বিকেলে তাদের প্রাইভেটকারটি উত্তরার ৩ নম্বর সেক্টরের প্যারাডাইস টাওয়ারের সামনে এলে বিআরটি প্রকল্পের গার্ডার প্রাইভেটকারের ওপরে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলে পাঁচজন মারা যান। মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে ফাহিমাকে জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার টেঙ্গারগড় এবং ঝর্ণা এবং ঝর্ণার দুই সন্তানকে মেলান্দহে উপজেলায় দাফন করা হবে।

মেয়ের নতুন জীবন দেখার সুযোগ হলো না মায়ের!অভাব অনটনের কারণে গত বছর পরিবার নিয়ে জামালপুরের ইসলামপুর থেকে জীবিকা নির্বাহের ...
16/08/2022

মেয়ের নতুন জীবন দেখার সুযোগ হলো না মায়ের!

অভাব অনটনের কারণে গত বছর পরিবার নিয়ে জামালপুরের ইসলামপুর থেকে জীবিকা নির্বাহের জন্য আশুলিয়া খেজুর বাগান এলাকায় এসেছিলেন ফাহিমা (৩৮)। খেজুর বাগানের আশরাফ উদ্দিনের আট তলা ভবনের ছয়তলায় একটি ফ্ল্যাটের কক্ষে সাবলেটে থাকতেন ফাহিমা ও তার মেয়ে রিয়া মনি।

পোশাক কারখানায় কাজ করতেন তারা। মা ও মেয়ে দুটি আলাদা কারখানায় কাজ করতেন।

আর ফাহিমার ছেলে ফাহাদ পাশের একটি আবাসিক মাদ্রাসায় পড়াশোনা করে।

শনিবার (১৩ আগস্ট) ফাহিমার মেয়ে রিয়া মনির বিয়ে ঘরোয়াভাবে সম্পন্ন হয় ভাড়া বাড়ির ছাদে।

সেখানে বাড়ির ম্যানেজার সফিকুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজন প্রতিবেশী ও স্বজন উপস্থিত ছিলেন।

সেই বিয়ের বৌভাত অনুষ্ঠান শেষে আশুলিয়ার বাসায় ফেরার পথে সোমবার (১৫ আগস্ট) উত্তরায় বিআরটি প্রকল্পের গার্ডারের চাপায় মারা যান প্রাইভেটকারে থাকা ফাহিমাসহ আরও পাঁচ জন। তবে এ ঘটনায় ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান নববিবাহিত দম্পতি হৃদয় ও রিয়া।

এ খবরটি শোনার পর ফাহিমার আশুলিয়ার বাসার প্রতিবেশীরা বিষয়টি মানতে পারছেন না। মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) দুপুরে ফাহিমার সেই বাসায় গিয়ে দেখা যায়, ফাহিমার রুম তালা বদ্ধ। এ সময় ফাহিমার প্রতিবেশীরা বলেন, যাদের ভুলে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে তাদের কঠিন শাস্তি হওয়া উচিত।

ম্যানেজার সফিকুল ইসলাম বলেন, মেয়ের নতুন জীবন দেখার আর সুযোগ হলো না মায়ের। ভবনটির ষষ্ঠ তলায় ৬০৪ নম্বর ফ্ল্যাটের একটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে মেয়েকে নিয়ে থাকতেন ফাহিমা। বাকি দুটি কক্ষে থাকেন আরও দুটি পরিবার। ফাহিমা ও তার মেয়ে রিয়া পৃথক দুটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। গত শনিবার ওই ভবনের ছাদে রিয়ার বিয়েতে ২০ থেকে ২৫ জন আত্মীয়-স্বজন উপস্থিত ছিলেন। মেয়েকে বিয়ে দিয়ে বেশ হাসি-খুশিও ছিলেন ফাহিমা।

তিনি বলেন, গতকাল সকালে যখন মেয়েকে আনতে যান ফাহিমা ও তার বোন। তখন তাদের হাতে মিষ্টিসহ নানা সামগ্রী ছিল। আমাকে বলে গেল মেয়েকে আনতে যাচ্ছি। কিন্তু বিকেলে শুনি গার্ডারের চাপায় ফাহিমাসহ পাঁচজন মারা গেছেন। জলজ্যান্ত মানুষগুলো এভাবে হঠাৎ মারা যাবে এটা কে জানে। আমার বিশ্বাসই হচ্ছে না।

অভাবের তাড়নায় সন্তান বিক্রি করতে বাজারে তুললেন মা!স্বামীর সঙ্গে দীর্ঘদিন যোগাযোগ নেই। নিজে প্যারালাইসিসে আক্রান্ত।থাকেন ...
12/08/2022

অভাবের তাড়নায় সন্তান বিক্রি করতে বাজারে তুললেন মা!

স্বামীর সঙ্গে দীর্ঘদিন যোগাযোগ নেই। নিজে প্যারালাইসিসে আক্রান্ত।
থাকেন বাবার সংসারে। সেখানেও অভাব।

নুন আনতে পান্তা ফুরায়। এ অবস্থায় সন্তান মানুষ করা কঠিন।
তাই কলিজার টুকরা সন্তানকে ‘বিক্রির জন্য’ বাজারে তুলেছিলেন এক মা! দাম হাঁকিয়েছিলেন ১২ হাজার টাকা। পরে স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধির হস্তক্ষেপে সন্তান নিয়ে ঘরে ফেরেন ওই নারী।

খাগড়াছড়ি জেলা শহরের এক বাজারে বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) এমন ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি জানাজানির পর জেলাজুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। শুক্রবার (১২ আগস্ট) পরিবারটির জন্য আর্থিক সহায়তা নিয়ে ছুটে যান সংরক্ষিত মহিলা আসনের এক এমপি।

জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার খাগড়াছড়ি হাট বাজারে নিজের ৬ বছরের সন্তান রামকৃষ্ণ চাকমাকে বিক্রি করতে আনেন মা সোনালী চাকমা। সন্তানের বিনিময় তিনি ১২ হাজার টাকা চান। বিষয়টি কয়েকজনের নজরে এলে তারা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের জানান।

পরে সন্তানসহ মাকে কমলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুনীল চাকমার কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। চেয়ারম্যান ওই মাকে বুঝিয়ে পরিবারের কাছে পাঠান।

সোনালী চাকমা খাগড়াছড়ি ভাইবোনছড়ার পাকোজ্জ্যাছড়ি এলাকার কালাবো চাকমার মেয়ে। স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ হওয়ার পর সন্তান নিয়ে তিনি বাবার বাড়িতে থাকেন।

কমলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সুনীল চাকমা জানান, বিষয়টি জানার পর আমি সন্তানসহ মাকে অফিসে নিয়ে আসি। পরে পরিবারের জিম্মায় তাদের হস্তান্তর করি।

ভাইবোনছড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সুজন চাকমা বলেন, এমনিতে অভাব। সোনালী চাকমা শারীরিকভাবে অসুস্থ। মূলত সন্তানকে কোনো ভালো পরিবারে দত্তক দেওয়ার জন্য বাজারে নিয়ে যান তিনি। সেখানে কয়েকজনের কাছে তিনি সন্তানের বিনিময়ে ১২ হাজার টাকা চান। পরে বিষয়টি জেনে আমি দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছি। বিষয়টি সত্যিই দুঃখজনক।

এ বিষয়ে শিশু রাম কৃষ্ণ চাকমার মা সোনালী চাকমা বলেন, ঘরে খাবার নাই। আমার ওষুধ কেনার টাকা নাই। কিভাবে চলব কিভাবে বাঁচবো। তাই ছেলেকে ভালো পরিবারে দিতে চেয়েছিলাম।

এদিকে শুক্রবার (১২ আগস্ট) সকালে সোনালী চাকমা ও তার সন্তান রামকৃষ্ণকে দেখতে যান সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য বাসন্তী চাকমা এমপি। এসময় তিনি পরিবারটিকে ৬ মাসের খাবার সামগ্রী, নগদ অর্থ সহায়তা দেন। একই সঙ্গে তাদের একটি সরকারি ঘর দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন বলে জানান।

12/08/2022
11/08/2022
11/08/2022

Address

Barishal

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when BD News TV posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share



You may also like