05/07/2023
"গ্রাম-বাংলার অশ্রুসিক্ত মানুষের নয়ন মনি"
বাংলাদেশের ইতিহাস এখন বিকৃত অবস্থায় আছে বলে, যে সমস্ত ব্যাক্তিরা আমাদের প্রেরানা দায়ক, যাদের ইতিহাস পরে আমরা অন্যায় অবিচার এর বিরুদ্ধে লড়ার দিক্ষা পাব, যাদের অনুসরন করে আমরা সত্তের সন্ধানে উন্মোচিত হব, যাদের জীবনী হবে আমাদের পথ-প্রদর্শক, যারা স্বপ্ন দেখেছেন সুস্ঠ-সুন্দর একটি সমাজ-একটি দেশ গড়ার, যাদের অক্লান্ত পরিশ্রম শুধু মাত্র দেশ-মাতৃকার কল্যানের জন্য, যাদের হৃদয় শায়িত অবস্থায় ও আমাদেরই জন্য কাঁদে, যাদের জীবনী ইতিহাসে স্বর্ণ-মূদ্রণে মূদ্রীত করার কথা , আমরা ইতিহাসে সেই সমস্ত আলোর দিশারীদের খুঁজে পাই না।
আজ তেমনই একজন আলোর দিশারী, আমাদেরই পথ-প্রদর্শক, আমাদেরই গর্ব, বাঙালী জাতির অহংকার , যার কিছু কাজ আমাদেরকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়তে অনুপ্রানীত করবে। এমনই একজন সম্পর্কে কিছু কথা---------------
"হে দুর্বার , অনুরুদ্ধ , অবিচল , বিজয়ী নেতা, গরিব- দুঃখী মেহনতি মানুষের চোখের পাতা, আমাদের অহংকার, জীবনের অঙ্গীকার, আলোর দিশারী, আমাদের সিক্ত হৃদয়ে, রিক্ত হয়ে আছে তোমার বিজয়ী গল্পে- গাঁথা , তুমি যে আমার প্রান- প্রিয় নেতা "মনি" ভাই গ্রাম বাংলর ঐতিহ্যে গাঁথা"।
জনাব আলহাজ্ব নুরুল ইসলাম (মনি) ১৯৫২ সালে বরগুনা জেলার পাথরঘাটা থানার (মনিপুর) গ্রামে জন্মগ্রহন করেন। ১৯৭২ সালে যশোর বোর্ড থেকে এইস.এস.সি, ১৯৭৫ সালে প্রাচ্যের অক্সফোর্ড নামে খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি.এস.সি. ও ১৯৭৬ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম.এস.সি. ফার্স্ট ক্লাস নিয়ে বের হয়। এরপরে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রাহমানের অনুপ্রেরনায় জাতীয়তাবাদী রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। ১৯৮৮ সালে একমাত্র সতন্ত্র প্রাথী হিসেবে বরগুনা (২) আসন থেকে প্রথম বার নির্বাচিত হন। ঐ সময় তিনিই ছিলেন সংসদের কম বয়সী সাংসদ। শুধু তাই নয় ১৯৮৮--১৯৯৯ সাল পর্যন্ত জনতা ব্যাংক এর পরিচালক ছিলেন এবং ১৯৯৯--১৯৯০ সাল পর্যন্ত রুপালী ব্যাংক এর চেয়ারম্যান ছিলেন । ১৯৯১ সালের নির্বাচনে ও একই আসন থেকে সতন্ত্র প্রাথী হিসেবে বিপুল ভোটে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। আবারও তৃতীয় বারের মতো ২০০১ সালে বি.এন.পি. এর দলীয় মনোনয়ন পেয়ে নজীরবিহীন ভোটে নির্বাচিত হন। এছারাও (১৯৮৮-১৯৯৬) এবং (২০০১-২০০৬) সাল পর্যন্ত লন্ডন-- বাংলাদেশ, ভারত-- বাংলাদেশ, পাকিস্তান-- বাংলাদেশ, জাপান--বাংলাদেশ, এই সব দেশের সাথে বাংলাদেশের মধ্যকার সম্পর্ক উন্নয়নের সংসদীয় সদস্য ছিলেন। এছাড়াও সংসদের প্রতিনিধী হিসেবে আমেরিকা, জার্মান,ফ্রান্স, মালায়েশিয়া, ইরান ও পাকিস্তান, এর বৈদেশিক দূতাবাস এর প্রতিনিধী সদস্য হিসেবে ছিলেন। এছাড়াও বাংলাদেশে ও থাইল্যান্ড এর প্রধান প্রতিনিধী ছিলেন। এলাকার উন্নয়নের ধারা অব্যহত রেখেও তিনি জাতীয় পর্যায় দক্ষিণ বঙ্গের জেলেদেরকে জলদস্যুদের হাত থেকে রক্ষার জন্য সংসদে প্রথম "বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড " এর বিল উথ্থাপন করেন। বাংলাদেশের সংসদের ইতিহাসে এই একটি বিলই যা বিরোধী দলও সমর্থন করেন, এর পর স্পীকার এই বিলটি পাস করেন। এই কোস্ট গার্ড এর ফলে দক্ষিণ বঙ্গের উপকূলীয় এলাকার জেলেরা শান্তি-প্রিয় ভাবে জীবিকা নির্বাহ করতে পারছে। তিনি জাতীয় পর্যায়ে বাংলাদেশের জনবহুল এলাকার ৩ টি ওয়ার্ডকে ভেঙ্গে ৯ টি ওয়ার্ড এ বিভক্ত করার বিল পাস করেন। এলাকার উন্নয়নের জন্য রাস্তা-ঘাট ,ব্যবসা-বানিজ্য, শিক্ষা ও চিকিৎসার ক্ষেত্রে ব্যপক অবদান রাখেন। এছাড়াও তিনি বরগুনা ২ আসনের গরীব মেহনতি মানুষের দারিদ্র বিমোচনের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যাবস্থা করেন। এছাড়াও তিনি তিনি নিজ উদ্যোগে ৫০ টি রেজিস্টার স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা নির্মাণ করেন। এছাড়া তিনি মাজাহার উদ্দীন টেকনিক্যাল কলেজ , পাথরঘাটা কলেজ, সৈয়দ ফজলুল হক ডিগ্রী কলেজ, বামনা ডিগ্রী কলেজ, জ্ঞানপারা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ,চারদুয়ানী মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপন করেন। দুঃখের সাথে বলতে হয় যে, তার এই জনপ্রিয়তা দেখে ২০০৭ সালে কিছু কুচক্রী মহল তার নামে মিথ্যা ও সাজানো মামলা করে এবং উন্নয়নের অগ্রগতিকে বাধাঁ গ্রস্থ করে ও তাকে জনগনের কাছ থেকে দূরে সরিয়ে রাখে। ২০০৭ সালের ১৫ ই নভেম্বর এতও বর দুর্ভিক্ষ হলেও তাকে ওই কুচক্রী মহল মামলার ফাঁদে ফেলে এলাকার মানুষের পাশে দাড়াতে দেয়নি। এরপরে মিথ্যা মামলা গুলো সুপ্রিম কোর্ট একে-একে খারিশ করে দেয়।
ইতিহাসের পাতা খুললে দেখা যায় , দেশপ্রেমী, ন্যায়পরায়ন, , মেহনতি মানুষের আপনজন,যারা সত্তের সন্ধানে নির্ভীক তাদেরকে কোনও কুচক্রী মহল জনগনের কাছ থেকে দূরে রাখতে পারে না।। এটাই বাস্তব।।
তাই (বামনা-পাথরঘাটা-বেতাগী) গণমানুষের প্রান, নয়নের মনি, উন্নয়নের কর্ণধার, জনাব আলহাজ্ব নুরুল ইসলাম মনি ভাই জাতীয়তাবাদী দল এর শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রাহমানের স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে এবং সাবেক তিন বারের সফল প্রধানমন্ত্রী দেশমাতা বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি অঙ্গীকার নিয়ে আমাদের মাঝে এসেছেন জনাব তারেক রহমানের দিকনির্দেশনায় মুক্তির কাফেলা নিয়ে।
তাই আসুন আমরা সকলে সকলের মতপার্থক্য ভূলে গিয়ে আলহাজ্ব নুরুল ইসলাম মনি ভাইয়ের হাতকে শক্তিশালী করি।
(কপি)ইবনে সাঈদ বেলাল।
দূর্যোগ ও উপকূল বিষয়ক সম্পাদক, বরগুনা জেলা ছাত্রদল।