Badargonj Love Affection,Crush & Confession

Badargonj Love Affection,Crush & Confession আপনার প্রিয় মানুষটিকি যা বলতে পারেননি আমাদের ইনবক্স করুন আমরা গোপনীয়তার সাথে পোস্ট করবো❤️❤️

Confo nuber 112From; তোমার সৌন্দর্যে মুগ্ধ এক অপেক্ষারত প্রেমিকto :Hi Muএই যে শুনো😇তোমার অক্ষি গোলকের দুরন্ত ঘুর্ণিপাকে ...
01/01/2024

Confo nuber 112
From; তোমার সৌন্দর্যে মুগ্ধ এক অপেক্ষারত প্রেমিক
to :Hi Mu
এই যে শুনো😇
তোমার অক্ষি গোলকের দুরন্ত ঘুর্ণিপাকে আটকে পরেছে এ প্রাণ।মুক্তি নয় বরং বন্দি থাকতে চাই তোমার ওই সজল চোখে। এই তুমি কি জানো তোমার চোখের পলকে দিনরাতির খেলা হয় এ শহরে।তোমার আগমনে মাথা নত করেছে এ শহরের সকল ফুল🌼। দেয়াল গুলো অক্ষরিত হয়েছে তোমার নামে।
নিচ্ছয় ভাবছো আমি কে?
আমি এই ফরমালিনে ডুবন্ত শহরের, নিকোটিন মুক্ত এক বিশুদ্ধ প্রাণ বলছি।যে প্রাণ এখন নব্যপ্রেমিক চরিত্রে,নব্য লেখক তুমি ঘিরে!
এবং চিত্রশিল্পী বটে🫠 মনের ম্যানভাসে অংকিত হয় তোমার মৃগনয়ন। সেই নয়নে সমর্পিত হয়েছে এ প্রাণ,তারায় তারায় রটিয়ে দিয়েছে এ প্রাণ আর আমার নেই, প্রনয়ের সুরের মুর্ছনায় তুমিহীনতা বেশ তৃষ্ণা পেয়ে বসে।তুমি এসো,ছুঁয়ে দিয়ে শীতল করো এ হৃদয়।

ইতি
Tomar list ar ak boro Vai😊

15/11/2023

শেক্সপিয়র বলেছিলেন , "একজন ছেলে কখনো একজন মেয়ের বন্ধু হতে পারে না, কারণ এখানে আবেগ আছে , দৈহিক আকাঙ্খা আছে । "একই কথা বলেছেন আইরিশ কবি Oscar Wilde. "নারী এবং পুরুষের মাঝে কেবলই বন্ধুত্বের সম্পর্ক থাকা অসম্ভব । যা থাকতে পারে তা হলো আকাঙ্খা, দুর্বলতা, ঘৃণা কিংবা ভালোবাসা।"
---
হুমায়ূন আহমেদ বলেছিলেন , "ছেলে আর মেয়ে বন্ধু হতে পারে কিন্ত তারা অবশ্যই প্রেমে পড়বে । হয়তো খুবই অল্প সময়ের জন্য অথবা ভুল সময়ে । কিংবা খুবই দেরিতে , আর না হয় সব সময়ের জন্য । তবে প্রেমে তারা পড়বেই ।"
---
সত্যি বলতে, ছেলে ও মেয়েতে শুধুমাত্র বন্ধুত্ব অসম্ভব ও প্রকৃতি বিরুদ্ধ । কেননা শুধুমাত্র বন্ধুত্ব হলে প্রকৃতি নিজের অস্তিত্ব হারাবে। চুম্বক আর লোহা কখনো পাশাপাশি থাকতে পারে না। আকৃষ্ট করবেই। যদি কেউ তা এড়িয়ে যায় তবে সে ভণ্ডামি করছে নয়তো ধোঁকা দিচ্ছে ।
আগুনের পাশে মোম গলবেই। ছেলে ও মেয়ে বন্ধুত্ব হতে পারে , কিন্তু একসময় প্রেমে বা অবৈধ সম্পর্কে রুপ নিবেই। আর এটাই স্বাভাবিক ।......

প্রিয়: নিশিতা নিশি (সুন্দরী) তোমাকে খুঁজতে, খুঁজতেপার করেছি বহু পথঝরা পাতা মাড়িয়েছি অনেক।তোমাকে চাইলেও কিবা নাচাইলেও ...
15/11/2023

প্রিয়: নিশিতা নিশি (সুন্দরী)

তোমাকে খুঁজতে, খুঁজতে
পার করেছি বহু পথ
ঝরা পাতা মাড়িয়েছি অনেক।
তোমাকে চাইলেও কি
বা নাচাইলেও কি শূন্যই
হয় ফলা ফল,
আমার এই আমিকে
তোমার ভাবনাতেই রাখে
ব্যস্ত ও চঞ্চল।

নিজেকে অনেক বোঝানোর পর এটা সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হলাম যে,তোমাকে অনেক ভালবেসে ফেলেছি, যে করে হোক তোমাকে আমার লাগবেই। কিন্তু আচার ব্যবহার দেখে মনে হয় তুমি ইতিমধ্যে রিলেশনে আছো।
কিন্তু আমার কেন জানি মনে হয় তুমি এই রিলেশনটা তে সুখে নেই। বিশ্বাস করো তোমার চোখে কখনোই পানি আসতে দেবো না।রোদ বৃষ্টি গায়ে লাগার আগেই ছাতা হয়ে মেলে ধরবো নিজেকে।তোমার একান্ত অনুগত হয়ে চলবো।
তারপরও প্লিজ আমার রিকোয়েস্ট একসেপ্ট করে চলে এসো।
,
,
ইতি: তোমার ভালোবাসার জন্য পাগল একজন।
এডমিনের কাছ থেকে যোগাযোগ করে আইডি নিও।

Confo number :101

30/09/2023

#ধাঁধা

কোন জিনিস
যত কাঁটা যায়,
তত বড় হয়??? 🙄

পুরুষকার যেতার উপায়🤗
আজকে থাকছে ১০জন বিজয়ি🥰🤗😊
১..৫জায়গায় সেয়ার করতে হবে
২..কমেন্ট ৫বন্ধুকে মেনশন করতে হবে পোস্টে লাইক করতে হবে
৩..ধাঁধার সঠিক উত্তর দিতে হবে

১০ জন বিজয়ির মধ্যে লটারি করে একজনকে বিশেষ পুরস্কার দেওয়া হবে। আর ১০ জন তো পুরস্কার পাবে কনফার্ম 🤗🤗🤗
দেরি না করে এখনি চলে আসুন আমাদের পেজে 🤗🤗☺️🫣

গেম 📣গেম 📢গেম🔈প্রিয় মানুষ,প্রিয় বন্ধু টিকে কমেন্ট এমেনশন করলেই পেয়ে জাবেন নগদ মোবাইল রিচার্জ ☺️🥰গেমের শর্ত মেনশন যাকে ক...
28/09/2023

গেম 📣গেম 📢গেম🔈
প্রিয় মানুষ,প্রিয় বন্ধু টিকে কমেন্ট এ
মেনশন করলেই পেয়ে জাবেন নগদ মোবাইল রিচার্জ ☺️🥰

গেমের শর্ত মেনশন যাকে করবেন সে যদি কমেন্ট এ রিপ্লাই দেয় তা হলেই মিলবে পেজের পক্ষ থেকে মোবাইল রিচার্জ🤗☺️🤩
(১০জন পাবে)
তবে আর দেরি কেনো চলেন কমেন্ট বক্স এ গিয়ে মেনশন করেই ফেলে🏃‍♂️🕺
red rose team

28/09/2023

আহা চাঁদনি রাত রে🥰😍

 ডুবন্ত বাস।চারদিকে মানুষের এলোমেলো পদচারণা।পরশ দ্রুতবেগে পাশের জানালার কাচ ভাঙলো।বেরিয়ে যেতেই স্পর্শীর কথা মনে হলো।পুনর...
26/09/2023



ডুবন্ত বাস।চারদিকে মানুষের এলোমেলো পদচারণা।পরশ দ্রুতবেগে পাশের জানালার কাচ ভাঙলো।বেরিয়ে যেতেই স্পর্শীর কথা মনে হলো।পুনরায় বাসের ভেতর স্পর্শীকে খুজতে লাগলো।এক সময় মনে হলো সে ডুবন্ত বাসের মধ্যেও শ্বাস নিতে পারছে।পাত্তা দিলো না।চারদিকে স্পর্শীকে খুজতে লাগলো।হঠাৎ 'ই কানে বাজলো প্রাণখোলা হাসির শব্দ।এই হাসির রিনিঝিনি সুর বাসের বাইরে থেকে আসছে।দ্রুত বাসের দরজা দিয়ে বাইরে বের হতেই দেখলো স্পর্শী রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে পরশের দিকে তাকিয়ে হাসছে।

অবাক হয়ে গেল পরশ।সেই সাথে যেন প্রাণ ফিরে পেল। দ্রুত ছুটে গিয়ে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো নিজের বুকের সাথে।এরইমধ্যে মাতাল করা কন্ঠের আওয়াজ কানে এলো।

-নেতামশাই,কি করছেন?আরে বাবা চ্যাপ্টা হয়ে যাবো তো।এতো জোরে কি কেউ জড়িয়ে ধরে।ছাড়ুন।

ঘুম ঘুম কন্ঠে জড়িয়ে যাওয়া গলায় স্পর্শী বললো।ধড়াস করে চোখ খুলে সামনে তাকালো পরশ।স্পর্শী তার বুকের ওপর এখনো শুয়ে হাসছে।দ্রুত তাকে ছেড়ে দিয়ে ধড়ফড় করে বসলো।আশে পাশে বারকয়েক তাকিয়ে জায়গাটা দেখে নিলো।এখানে না আছে কোনো বাস, আর নাতো রাস্তা।তাহলে কি সে এতোক্ষণ ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখছিলো?

দুহাত দিয়ে মাথা চেপে ধরলো।হার্টবিট এখনো অস্বাভাবিক ভাবে চলছে।যতই দৃশ্যগুলো স্বপ্ন হোক, কিন্তু পরশ সেটাকে একদম মানতে পারছে না।পুনরায় দুহাত দিয়ে স্পর্শীকে জড়িয়ে ধরলো।দ্রুত শ্বাস নিয়ে বললো-

আমরা লঞ্চে যাব,ওকে পাখি।একদম বাসের কথা মনেই আনবে না।

স্পর্শী থমকালো।পরশকে এতোটা উত্তেজিত দেখে আগেই বুঝেছিলো সে কোনো খারাপ স্বপ্নে দেখেছে।কোনো রুপ বাকবিতন্ডায় না জড়িয়েই মাথা নাড়িয়ে হ্যা বললো।

★★★
বিকাল সাড়ে তিনটা।ঘুম থেকে উঠেই দুজন মিলে বিরিয়ানি খেয়ে নিয়েছে।এরপর প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ব্যাগে গুছিয়ে পা ফেললো পিরোজপুরের উদ্দেশ্যে। বাসে করে সদরঘাট আসতেই স্পর্শী আবারো দুটো বিরিয়ানির প্যাকেট নিলো।ধীর পায়ে এগিয়ে আসলো লঞ্চের কাছে।

বিকেল সাড়ে চারটা।ইতোমধ্যে লঞ্চ চলতে শুরু করেছে।কেবিনের মধ্যে শুয়ে আছে পরশ।ধীর পায়ে তাকে পাশ কাটিয়ে স্পর্শী চলে এলো কেবিনের বাইরে।সামনের ঢালু জায়গাটায় শত শত লোক কাথা বিছিয়ে বসে আছে।তাদেরকে পাশ কাটিয়ে চলে এলো লঞ্চের কার্ণিশে।দমকা বাতাসে গায়ের জামাকাপড় গুলো এদিক-সেদিক উড়ছে।আশে-পাশে ছোট ছোট নৌকাগুলোকে বেশ দারুন লাগছে দেখতে।এই ঠান্ডা বাতাসের সাথে প্রাণ খোলা দম নিয়ে আলতো হেসে উঠলো স্পর্শী।বহুদিন পর সে এমন প্রাণ খোলা হাসি হেসেছে।

হঠাৎ করেই পেছন থেকে কেউ একজন আলতো ভাবে জড়িয়ে ধরলো তাকে।স্পর্শী পিছু ফিরলো না।এই পুরুষালি গন্ধ টা তার বহু বছরের চেনা।এত দুরত্ব থাকার পরেও রাত হলে তার ব্যাবহার করা ঘামে জর্জরিত শার্ট টা বুকে নিয়ে শুয়েছে স্পর্শী।প্রতিটা ক্ষণ,প্রতিটা মুহুর্ত এই শ্যামপুরুষের অস্তিত্ব কে নিজের সাথে পরিচিত করেছে।সে কি করে ভুলবে এই গন্ধ?

পরশ আলতো হাসলো।মাথা নিচু করে সবার চোখের আড়ালে ঠোট ছুইয়ে দিলো স্পর্শীর কাধে।হিমশীতল বাতাসের ঝটকার মধ্যে এই চুমুটা স্পর্শীকে বরফশীতল করে দিলো।কেপে উঠলো সে।কিছুক্ষণ ওভাবেই জমে রইলো।বেশ কিছু মুহুর্ত পার হবার পর মুখ খুলে বললো-

নেতামশাই?

পরশ আধো কন্ঠে বললো-

হু,

-চলুন না ছাদে যাই।

দুজনের মধ্যেই কিছুক্ষণ নিরবতা কাজ করলো।শেষে পরশ বললো-

ভয় পাবে না তো?ছাদে অনেক বাতাস।

আলতো হাসলো স্পর্শী।লোমশ হাতটা দুহাত দিয়ে ধরে নিজের সামনে নিলো।পাতলা ঠোট দুটো আলতো ছুইয়ে বললো-

আপনি আছেন তো।

★★★

চারতলা লঞ্চ।চারদিকে শত শত যানবাহন চলছে।দূরত্বের সেই জলজ বাহন গুলোকে নৌকাসমতুল্য লাগছে স্পর্শীর কাছে।আচমকা হাতের ফোনটা সামনের একটা কিশোর ছেলেকে দিয়ে বললো -

একটা ছবি তোলো তো ভাইয়া।

ছেলেটা মুচকি হেসে ফোন নিলো।স্পর্শী পুনরায় লঞ্চের কার্ণিশে চলে এলো।পরশের হাতটাকে দুহাত দিয়ে পেচিয়ে বললো-

আজকের এই মুহুর্তে আপনি আমার জ্যাক হয়ে যান।আর আমি হই রোজ।চলুন না নেতামশাই এই ক্ষুদে লঞ্চ টাকে টাইটানিক বানিয়ে দিই।

তারপর কোনো কিছু না বলেই নিজের হাত দুটোকে দুদিকে মেলে দিলো স্পর্শী।পরশ আলতো হাসলো।আশে-পাশে প্রচুর জোয়ান ছেলে।অন্যসময় বাধ সাধলেও আজকে নিশ্চুপ রইলো।প্রিয়তমার এই হাসি হাসি মুখটাকে কিছুতেই বিলীন হতে দিতে চাইলো না।অধর মেলে নিজেও দুহাত ছড়িয়ে দিলো দুদিকে।সাথে সাথেই ফোনের স্ক্রিনে কয়েকবার ক্লিক পড়লো।

★★★★

ভোর চারটা।এখনো ফজরের আযান দেওয়া হয় নি।লঞ্চ থেকে নিজের চিরপরিচিত এলাকার মাটিতে পা রাখতেই ঝিম মেরে দাঁড়িয়ে পড়লো পরশ।বহুবছর পর আজ সে তার পরিচিত এলাকায়।দুহাতে ব্যাগ নিয়ে স্পর্শীকে সামনে হেটে এলো বাজারের মধ্যে।এখনো চারদিকে অনেক অন্ধকার।এই সময়ে গাড়ি পাওয়া যাবে না বুঝেই দুজন মিলে পা বাড়ালো শিকদার মঞ্জিলের দিকে।টানা পনেরো মিনিট হাটার পরে নিজের পরিচিত বাড়িটার সামনে পৌছালো পরশ।মুহুর্তে 'ই চোখ পড়লো গেটের বাম পাশের পারিবারিক গোরস্থানের দিকে।বুকটা খা খা করে উঠলো।

ইচ্ছে করলো ছুটে ওদিকটায় যেতে।এরইমধ্যে স্পর্শীর ক্লান্ত ঘুম-ঘুম চাহনি টা নজরে এলো।গেটের ভেতর থেকে তালা মারা।এদিকে ফোনের৷ চার্জ ও শেষ। আজ এতোদিন পর নেতামশাইকে কাছে পাবে, এই উত্তেজনায় ফোনে চার্জ দেওয়ার কথাই ভুলে গিয়েছিলো স্পর্শী।কিন্তু হার মানলো না।নিজের সেই পরিচিত ত্যাড়া প্রকৃতিতে মুহুর্তেই ফিরে এলো।হাতের যাবতীয় জিনিস পত্র নিচে রেখে পরশের দিকে তাকিয়ে দাত কেলিয়ে হাসলো।

তারপর চারদিকে তাকিয়ে একটা ইটের অর্ধ টুকরো হাতে নিলো।লোহার রডের ভেতর হাত গলিয়ে গায়ের সমস্ত জোড় দিয়ে চারবার বাড়ি মারলো তালার উপরে।নিঝুম ভোরবেলায় শব্দগুলো যেন ভয়ংকর আওয়াজ তুললো।

পরশ উত্তেজিত হয়ে জিভ কেটে স্পর্শীকে বলল-

এই এই ছাড়ো।কি করছো এসব।স্পর্শীয়া ছাড়ো।

স্পর্শী শুনলো না।পুনরায় ভাঙা তালাটাকে খুলতে খুলতে দাত কেলিয়ে পরশকে বললো-

শ্বশুর বাড়িতে প্রথম বারের জন্য ডাকাতি করতে নেমেছি।তালা না ভাঙলে কি ডাকাত ডাকাত ফিলিংস আসবে নেতামশাই?

পরক্ষণেই হেসে বাচ্চামো কন্ঠে বললো-

একটা জিনিস খেয়াল করেছেন নেতামশাই?আমরাই হলাম প্রথম ডাকাত।যারা ব্যাগপত্র সাথে নিয়ে ডাকাতি করতে নেমেছি।ব্যাপার'টা কি দারুন,তাই না?

চলবে?

ছোট হয়েছে জানি।কিন্তু এটুকু লিখে রাখার পর অটোমেটিক ডিলিট হয়ে যাবে বলেই পোস্ট করে দিলাম।অপেক্ষা করুন।আগামী একমাস লাগলেও আমি গল্পটা তাড়াহুড়োয় শেষ করবো না।যতটা ভেবে রেখেছি ততটাই লিখবো।

বাসর ঘরে বউয়ের মুখ থেকে ভাইয়া নাম শোনার অভিজ্ঞতা এই জীবনে মনে হয় প্রথম আমিই করলাম। জানিনা আম্মু আমার মত স্টাইলিশ ছেলের জ...
26/09/2023

বাসর ঘরে বউয়ের মুখ থেকে ভাইয়া নাম শোনার অভিজ্ঞতা এই জীবনে মনে হয় প্রথম আমিই করলাম। জানিনা আম্মু আমার মত স্টাইলিশ ছেলের জন্য এইরকম অবুঝ মেয়ে কোথা থেকে নিয়ে এসেছে?

আমি এখন বাসর ঘরের সামনে দাঁড়িয়ে আছি। কিন্তু আমার জন্মদাত্রী মা আমার সাথে কিভাবে এই কাজটি করতে পারল আমি বুজলামনা। আমার একজন গার্লফ্রেন্ড আছে যার নাম নিশি। কিন্তু আমার আম্মু আমাকে সাবিহা নামের এক অবুঝ মেয়ের সাথে বিয়ে দিয়েছে।

আমার নাম রাকিব হাসান রাজ।
আমার আব্বু নেই, আম্মুই আমাকে ছোটবেলা থেকে অনেক কষ্টে বড় করেছে। আমার একটা ছোট বোন আছে যার নাম রিয়া আর সে অনার্স ফাস্ট ইয়ারে পড়ে। আমি পড়ালেখা শেষ করে একটা সফটওয়ার কোম্পানিতে সিনিয়র সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ার এর পোস্টে চাকরি করি। মোটামোটি আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বী আমরা। আম্মু আমাকে কয়েকদিন ধরে বিয়ের কথা বলছে কিন্তু আমার গার্লফ্রেন্ড নিশি গ্রেচুয়েশন কমপ্লিট করার জন্য বিদেশে চলে গেছে। গত ২ মাস তার সাথে কন্ট্রাক্ট হয় নাই। সে আমায় বলে দিয়েছে গ্রেচুয়েশন শেষ না করে আমাকে বিয়ে করতে পারবেনা। আর এভাবে আম্মুর মুখের দিকে তাকিয়ে আম্মুর পছন্দ মত মেয়েকে বিয়ে করে নিলাম। আম্মু ছোট বেলা থেকে আমাদের জন্য অনেক কিছু করেছে তাই আম্মুর কথা ভেবে বিয়ে করে নিলাম। আমি মেয়েটার মুখ পর্যন্ত এখনো দেখিনি। আম্মুর মুখ থেকে শুনেছি মেয়েটা পড়ালেখা করেনা মানে ইন্টার ফাইনাল ইয়ার পর্যন্ত পড়ালেখা করেছে। মেয়ে তার বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান। নাম তার সাবিহা। আম্মু তাকে তার বাচ্চাদের মত আচরনের জন্য পছন্দ করেছে। আমিও বাধ্য ছেলের মত সাবিহাকে বিয়ে করে নিলাম চুপিচুপি। আমার অফিসের কলিগ বা নিশি কেউ জানেনা আমার বিয়ের কথা।

আমি বাসরঘরে ঢুকে দেখি সাবিহা হাটু পর্যন্ত একটা ঘোমটা দিয়ে বসে আছে।
আমার উপস্থিতি টের পেয়ে সে খাট থেকে নামল। খাট থেকে নেমে আমাকে সালাম করল।

আমি : এই এই কি করছো?

সাবিহা : কেন ভাইয়া আমার শাশুড়িআম্মা বলেছে যে এই ঘরে যে প্রথমে আসবে তখন তাকে সালাম করতে হবে।

আমি সাবিহার মুখ থেকে ভাইয়া নামটা শুনে আমার মাথা ঘুড়ে গেল।
তাই আমি রাগান্বিত কন্ঠে বললাম

আমি : এই মেয়ে কে তোমার ভাইয়া হু?

সাবিহা ভয় পেয়ে বলল,

সাবিহা : কেনো ভাইয়া আমি আপনাকে ভাইয়া বলেছি। আপনি তো আমার গুরুজন আর গুরুজনকে সবসময় ভাইয়া বলে সম্বোধন করতে হয়। এইটুকু
ভদ্রতা আমার আছে হু।

সাবিহার কথা শুনে আমার এখন আম্মুকে চিল্লিয়ে বলতে ইচ্ছে করছে,

আমি : আম্মু তুমি আমাকে কোন মেয়ের সাথে বিয়ে দিয়েছো এ তো পুরাই মেন্টাল। (মনে মনে)

সাবিহা : কি হলো ভাইয়া বলেন?

আমি : দেখো মেয়ে তুমি চুপ করো এখন আর আমি এখন ঘুমাবো, আমার ঘুম পাচ্ছে।

সাবিহা : আচ্ছা আপনি কি আমার বর?

আমি : হুম(বিরক্তকর কন্ঠে)

সাবিহা : আপনি তো আমার গুরুজন তাহলে আমি আপনাকে ভাইয়া বলব নাকি বর বলব?

আমি : ওহহহ খোদা উঠিয়ে নেও আমাকে, আমার এই দুনিয়াটা আর ভালো লাগছেনা (মনে মনে)

সাবিহা : কি হলো বলেন?

আমি : তুমি আমাকে ভাইয়া বর বলে ডেকো আর আমার ঘুম পাচ্ছে এখন।

কথাটা বলেই আমি বিছানায় গিয়ে শুয়ে পড়লাম।

সাবিহা : এই এই আমার বিছানায় আপনি কেনো ঘুমাচ্ছেন?

আমি : তো কথায় ঘুমাবো আর এটা আমার বিছানা।

সাবিহা : কোনো ভাবেই না, এটা আমার বিছানা। রিয়া আপু আমাকে বলেছে এটা আমার আর আমার জামাইয়ের বিছানা।

আমি : ঠিকই তো বলেছে এটা আমার আর তোমার বিছানা।

সাবিহা : কিন্তু আপনি তো আমার ভাইয়াবর, আমার জামাই না।

এখন আমার বলতে মনে চাচ্ছে

আমি : ওহহ ভাই মুঝে মারো কোই মুঝে মারো। (মনে মনে)

আমি : এত কইফিয়ত দিতে পারবনা আমার সাথে ঘমালে ঘুমাও নাহলে আমি ঘুমালাম।(একটু রাগান্বিত স্বরে বললাম)

সাবিহা : কিন্তু আমার আম্মু আব্বু বলেছে যে কোনো পরপুরুষের সাথে না ঘুমাতে।

আমি : এই মেয়ে তোমার কি একটুও জ্ঞান বুদ্ধি নেই যে কে পর পুরুষ আর কে জামাই?

সাবিহা : হ্যা হ্যা আপনি আমাকে বকছেন কেনো শাশুড়ি আম্মার কাছে বিচার দিব(কান্না করতে লাগল)

আমি : এই মেয়ে কাদা থামাও বলছি।
(ধমকের সুরে বললাম)

আমার ধমক শুনে সাবিহা ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাঁদতে লাগল।

আমি : প্লিজ ডোন্ট ক্রাই। আমি মাফ চাচ্ছি। দয়া করে কান্না থামাও।

সাবিহা কান্না থামিয়ে বলল,

সাবিহা : ঠিক আছে কান্না থামাবো কিন্তু আমাকে বলেন আপনি আমাকে আর বকবেন না।

আমি : ঠিক আছে আর বকবনা এখন লক্ষী মেয়ের মত ঘুমাও।

সাবিহা বিছানায় উঠে আমার পাশে শুয়ে পড়ল আর মাঝখানে কোলবালিশ রাখল।

আমি : কোলবালিশ কেন রাখলে?

সাবিহা : ওহহ আপনি জানেননা যে জামাই বউ এর মধ্যে ঝগড়া হলে তারা তাদের মাঝখানে কোলবালিশ রাখে? আমার আম্মু আব্বুর ঝগড়া হলে তারা তাদের মাঝখানে কোলবালিশ রাখত আমি দেখেছি।

আমি : তা আমাদের মধ্যে কখন ঝগড়া হলো?

সাবিহা : আপনার কত ভোলা মন। একটু আগেই না ঝগড়া হলো আমাদের?

এখন আপনারাই বলুন আমি একে নিয়ে কি করব? আমি কিছু না বলে ঘুমিয়ে পড়লাম।

[যারা আমার গল্প সবার আগে পড়তে চান তারা আমার অফিসিয়াল পেজে লাইক দেন আর গ্রুপে জইন হোন।

সকালে ঘুম ভাঙতে দেখলাম সাবিহা আমার বুকের উপর শুয়ে আছে। আমাদের মাঝখানের কোলবালিশ খাটের নিচে পড়ে আছে। গতকাল মেয়েটাকে ঠিকভাবে দেখলাম না। কিন্তু মেয়েটার চেহারায় এক রকম মায়া আছে। সাবিহার এইরকম মায়ায় ভরা মুখ দেখে নিশির কথা ভুলে যেতে ইচ্ছা করছে। মেয়েটা বাচ্চাদের মত জড়িয়ে আছে আমাকে। এমন ভাবে জড়িয়ে ধরেছে যেন আমি কোনো জায়গায় পালিয়ে যাবো।

আমি সাবিহাকে কোনোভাবে ছাড়িয়ে
ওয়াশরুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নিলাম। তারপর রুম থেকে বের হয়ে ডাইনিং টেবিলে গেলাম। আম্মু আর রিয়া আগে থেকেই ব্রেকফাস্ট করছিল।

রিয়া : গুড মর্নিং ভাইয়া।

আমি : হেব এ বেড মর্নিং সিস।

রিয়া : ভাইয়া তুই সবসময় আমার কথার উল্টাপাল্টা উত্তর দেছ কেনো?

আম্মু : চুপ থাক তোরা সকাল বেলায় এইরকম ভাঙা রেডিওর মত বাজা শুরু করছত। রাকিব বউমা কোথায়?

আমি : জাহান্নামে।

আম্মু : এইরকম করে বলছিস কেনো? আমি জানি তোর সাবিহাকে মেনে নিতে সময় লাগবে। আমি তো তোকে বলেছিলাম যে তোর পছন্দের কোনো মেয়ে থাকলে বল কিন্তু তুই বললিনা তাই এখন কোনো কিছুই হবেনা। এত লক্ষী একটা মেয়ে সেই তোর জন্য যোগ্য।

রিয়া : ভাইয়া তোকে দেখেতো মনে হচ্ছে এখনো গোসল করিস নাই।

আমি : এই গাধী তুই কি কোনোদিন দেখেছিস যে আমি সকাল বেলায় গোসল করি?

রিয়া : প্রতিদিনের সাথে তো আজকের দিনটা আলাদা ব্রো।

কথাটা বলেই রিয়া মুচকি হাসা শুরু করল।

আমি : তোর এই বকবকানি বন্ধ কর আর আম্মু খেতে দাও আমাকে অফিসে যেতে হবে।

আম্মু : গতকাল বিয়ে হলো আর আজকেই অফিসে যাবি?

আমি : হুম আজকে যেতে হবে কারন আজকে একটা ইম্পোরটেন্ট মিটিং আছে।

আম্মু : ঠিক আছে যাবি কিন্তু আগে বউমাকে নিয়ে তো আয়।

আমি : আমি কেন নিয়ে আসবো তার ঘুম ভাংলে সে একাই আসবে।

আম্মু : যা বলছি বউমাকে ডেকে নিয়ে আয়।

মায়ের কথা শুনে আর বসে থাকতে পারলামনা। চলে গেলাম নিজের রুমে আর গিয়ে দেখি সাবিহা ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে বসে আছে।

আমি : এখানে এভাবে বসে আছো কেনো, চলো খেতে আসো

সাবিহা : আসলে আমার আম্মু বলেছিল যে জামাইয়ের কথা না শুনে একটি কাজও করতে তাই বসে আছি।

আমি : ঠিক আছে এখন চলো আম্মু তোমার জন্য বসে আছে।

তারপর সাবিহাকে নিয়ে চলে গেলাম ডাইনিং টেবিলে নিয়ে গেলাম।

আম্মু : তা বউমা ঘুম কেমন হলো?

সাবিহা : ভালো শাশুড়ি আম্মা।

আম্মু : আমাকে আজকে থেকে মা বলে ডাকবা।

সাবিহা : ঠিক আছে মা।

আমি : এখন বড়দের মত করেই কথা বলছে কিন্তু গতকাল তো একদম অবুঝদের মত কথা বলেছিল। আচ্ছা সে কি সত্যিই অবুঝ নাকি অবুঝ হওয়ার ঢং করেছিল আমার সামনে?
(মনে মনে)

রিয়া : কি হলো ভাইয়া কি ভাবছিস?

আমি : না কিছু না, আম্মু আমার অফিসে যাওয়ার সময় হয়ে যাচ্ছে আমি গেলাম।

আম্মু : আজকে কি না গেলেই হয় না?

আমি : না হয়না আমাকে যেতে হবে।

আম্মু : ঠিক আছে তাড়াতাড়ি আসবি।

আমি : ঠিক আছে।

আমি আমার গাড়ি বের করে অফিসের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। আম্মু তো আর জানেনা যে আমার অফিসের কেউ জানেনা আমি বিয়ে করেছি। আর আমি গতকাল অসুস্থতার অজুহাত ধরে ছুটি নিয়েছি।

আমি অফিসের পার্কিং এ গাড়ি পার্ক করে অফিসে চলে গেলাম। বিল্ডিং মোট ৮ তলা আর আমি কাজ করি থার্ড ফ্লোরে।

আমি লিফট দিয়ে থার্ড ফ্লোরে চলে গেলাম। সবার সাথে দেখা করে আমি আমার কেবিনে চলে গেলাম।

হঠাৎ আমার কেবিনে আমার বেস্ট ফ্রেন্ড + কলিগ রাহুল আসল।

রাহুল : কিরে দোস্ত কি খবর মানে তোর শরীর এখন ঠিক আছে?

আমি : কি আর খবর হবে দোস্ত ভালোই আছি। তোর কি খবর?

রাহুল : আমি তো বিন্দাস আছি। ওহহ মনে পড়ল বস তোকে ডেকেছে।

আমি : আমাকে কেন ডাকবে আমি তো আমার ছুটির এপ্লিকেশন সারের ইমেইল এ পাঠিয়ে দিয়েছিলাম।

রাহুল : আমি কি করে বলব, হয়ত কোনো দরকার আছে তোর সাথে?

আমি : ঠিক আছে আমি দেখা করে আসি তুই তোর কেবিনে গিয়ে কাজ কর

রাহুল : ঠিক আছে।

আমি বসের কেবিনে নক করলাম।

আমি : মে আই কাম ইন সার?

কেবিনের ভিতর থেকে : ইয়েস কাম ইন।

আমি সারের কেবিনে গিয়ে যা দেখলাম তাতে আমি পুরো ৪০০০ বোল্টে শক্ড খেলাম।

(চলবে নাকি দৌড়াবে)

অবুঝ_মেয়ে_যখন_বউ
পর্ব : ০১

আহা প্রকৃতি 🥰
26/09/2023

আহা প্রকৃতি 🥰

26/09/2023

সত্যি ভালোবাসা গুলো অসাধারণ ও অনেক সুন্দর 🥰
ভালোবাসার মানুষটা পাশে থাকলে জীবনের প্রতিটা মুহুর্তই সুন্দর।
পূণ্যতা পাক পৃথিবীর সবার ভালোবাসা..! 🥰❤️🥀

Red rose tm

26/09/2023

🥰

Address

Badarganj

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Badargonj Love Affection,Crush & Confession posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Share

Nearby media companies


Other Digital creator in Badarganj

Show All