পলি ফরহাদ

পলি ফরহাদ Content Creator

05/12/2024

আপনি কত নম্বর টিক দিবেন ?
১) লাভারের বিয়ে হয়ে যাচ্ছে,আপনি কেঁদে বুক ভাসাচ্ছেন।
২) তার বিয়ে ভেঙে দেবার জন্য মরিয়া এটা জানার পরেও যে, আপনার ভালোবাসার মানুষটি আপনাকে আর চায় না।
৩) এই দুঃখ কে ধারণ সামনে এগিয়ে যাবো।

ছোট গল্পঃ  কৃষ্ণচূড়ার লাল রং!🌺 #পলি_ফরহাদকিছুদিন পরেই মেট্রিক পরীক্ষা , সুপ্তি জোরে জোরে পড়া মুখস্থ করছে। সুপ্তি বরাবর...
04/12/2024

ছোট গল্পঃ
কৃষ্ণচূড়ার লাল রং!🌺
#পলি_ফরহাদ
কিছুদিন পরেই মেট্রিক পরীক্ষা , সুপ্তি জোরে জোরে পড়া মুখস্থ করছে। সুপ্তি বরাবরই খারাপ ছাত্রী , কোনরকমে পাশ করে প্রতি ক্লাসে । অঙ্কে বেশি খারাপ সে ।

সেই ক্লাস সেভেন থেকেই জানে মেট্রিক পরীক্ষার পরই ওর বিয়ে হবে তার খালাতো ভাই কায়েস এর সাথে । কায়েস ভাই বিদেশ থাকে । বিয়ে নিয়ে সুপ্তির কোনো মাথা ব্যাথা নেই । ছোট বেলা থেকেই সুপ্তি বেশ বাড়ন্ত গোছের । সবার কাছ থেকে সুন্দরী খেতাব পেয়ে পেয়ে নিজেও একটু অহংকারী স্বভাবের হয়েছে । বাড়ীর ছোট মেয়ে এবং বেশি আহ্লাদে বড় হওয়ায় লেখাপড়ায় ওর মনোযোগ কম ।

সুপ্তির বান্ধবী কাকলী দৌড়ে এসে সুপ্তির কে বললো পূলক ভাই মারা গেছে ! আর তার লাশ জানাজা দিতে এলাকায় আনা হয়েছে ।
ঘটনার আকস্মিকতায় সুপ্তির মাথা ঘুরে উঠলো , কোনোকিছু চিন্তা করার আগেই ও জীনে ধরা মানুষের মত এক দৌড় দিল পূলক কে একটিবারের মত দেখার জন্যে ।
এত মানুষের ভিতর সুপ্তি পাগলের মত লাশের খাটিয়া ধরে টানতে লাগলো। যারা সুপ্তি কে চেনে না বিশেষ করে পূলকের আত্মীয় স্বজন অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করতে লাগলো কে এই মেয়ে ?
তাইতো ! সুপ্তি পূলকের কি হয় ? কি অধিকার বলে সে পূলক কে শেষ দেখতে চাইছে !
সুপ্তি চিৎকার করে শুধু বলছিল একবার দেখতে দাও , আমি বিশ্বাস করি না ! পূলক মরতে পারে না !
মুরুববী গোছের কিছু লোক সুপ্তি কে জোর করে ভিড় থেকে টেনে সরিয়ে দিতে লাগলো ।

এরই মধ্যে খবর পেয়ে সুপ্তির বাবা আনোয়ার সাহেব চলে এলেন । তিনি গোয়ারের মত শক্ত হাতে সুপ্তি কে টানতে টানতে বাড়ি আনলেন আর তা দেখতে সুপ্তি কে ঘিরে জমে উঠলো উৎসুক লোকজনের জটলা।

সুপ্তি যে অজ্ঞান হয়ে গেছে আনোয়ার সাহেবের সেদিকে খেয়াল নেই ! যখন বুঝলেন তখন একটা চামচ দিয়ে সুপ্তির শক্ত হয়ে যাওয়া কপাটির দাঁত খোলার চেষ্টা করলেন , শেষে দরদর করে ঘামতে লাগলেন ।

এলাকায় মান সন্মান আর কিছুই রইলো না। তিন মেয়ে নিয়ে আনোয়ার সাহেবের চমৎকার সংসার , নিজে সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ । মফস্বল শহরে তিল থেকে তাল হয় যে কোনো বিষয় আর সেখানে পর পর দুই মেয়ের প্রেম ঘটিত কেলেংকারী !
মেঝো মেয়ে তিন মাস আগে পালিয়ে গিয়েছিল এক বিবাহিত দুই সন্তানের জনকের সাথে , শেষে কোর্ট কাচারি করে সমঝোতার মাধ্যমে মেয়েকে ছাড়িয়ে এনেছেন । ওই বিবাহিত ছেলের স্ত্রী ছিল ভীষন সুন্দরী, যার একান্ত প্রচেষ্টায় তিনি বড় মেয়েকে ডিভোর্স করিয়ে বাড়ি ফেরাতে পেরেছিলেন।

সেই ঘটনার রেশ শেষ না হতেই সুপ্তি কে নিয়ে জমে মানুষে টানাটানি ! গভীর রাতেও যখন সুপ্তির জ্ঞান ফিরলো না তখন ওকে হাসপাতাল নেয়া হলো।

সুপ্তি মনে করার চেষ্টা করলো প্রথম দিনের কথা , কে প্রথম ভালোবেসেছিলো ? কে কাছে এসেছিল ?
বাবার কলেজে পূলক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিল আর সুপ্তি গিয়েছিল ফুল আনতে বাবার সাথে ।
প্রথম দেখাতেই দুজন দুজনকে আপন করে নিয়েছিল এক দুর্নিবার আকর্ষণে।

পূলক প্রতিদিন দাড়িয়ে থাকতো বাড়ির শেষ সীমানায় কৃষ্ণচূড়া গাছের নিচে । সুপ্তি যখন ঝরা কৃষ্ণচূড়ার পাতা মাড়িয়ে স্কুলে যেত নিজেকে মনে হতো কোনো রাজ্যের রানী আর পূলক চাতকের মতো পথ চেয়ে থাকতো সুপ্তির পথের পানে ।

দিনগুলো মুহুর্মুহু চলে যাচ্ছিলো হওয়ায় দুলে দুলে , ভালোবাসার টানে দেখা হতো কথা হতো কখনো ছাদে , কখনো বাড়ির পেছনে বড়ই তলায় , সিড়িতে কিংবা স্কুলে যাওয়ার পথে।

একটা দিনও সুপ্তি পূলক কে না দেখে থাকতে পারতো না। বিকেল হলেই নানা ছুতোয় বান্ধবীদের সাথে খেলতে যেত পূলকদের হোস্টেলের সামনে । পুলক তো সেই দুপুর থেকেই আড্ডা জমায় শুধু সুপ্তি কে একনজর দেখবে বলে।
ঠিক সুপ্তির পরীক্ষার কয়েকমাস আগে বিদেশ থেকে সুপ্তির খালাতো ভাই কায়েস বেড়াতে এলো এবং সুপ্তি দের বাসায় উঠলো ।
কায়েস সুপ্তি কে দেখে ভীষণ অবাক ! বাবা মা সুপ্তি পছন্দ করে রেখেছেন এটা সে জানে কিন্তু এসব ও পাত্তাই দিত না। মা বললেই বরং সে রাগ করতো বলতো
ছোট একটা মেয়ে কে আমি বিয়ে করবো না।
কিন্তু সুপ্তি কে দেখে সে রীতিমতো মুগ্ধ !
এত স্নিগ্ধ ! বিদেশে এত বন্ধু ছিল কিন্তু সুপ্তি কে এবার নতুনভাবে উপলদ্ধি করলো ।
কিরে আমার সাথে লন্ডন যাবি ?
কায়েসের কথা শুনে সুপ্তি খুশিতে বললো যাবো তো ।
আমার মেমসাহেব হতে ইচ্ছে করে । লন্ডন ব্রীজে হাওয়া খাব ।
হাসতে হাসতে সুপ্তি গড়িয়ে পড়ে । প্রতি টি বিকেল সুপ্তি কায়েস ভাই এর সাথে ঘুরতে বের হয়।
তবুও তার চোখ পথে পূলক কে খোঁজে ।
সুপ্তির বান্ধবী হঠাৎ এসে পূলকের চিঠি দিয়ে গেলো। পুলক বলেছে রাতে বাসার ছাদে আসবে।

সবার চোখ বাঁচিয়ে তিনতলার ছাদে গিয়ে দেখে সুপ্তি দেখে পূলক মুখ গোমড়া করে আছে।
পূলক এর মনে অনেক প্রশ্ন কায়েস কে নিয়ে।
সুপ্তি পাগলের মত পূলক এর গায়ের খুব কাছ ঘেঁষে শুধু এটকুই বললো সে তার ভাই । তাকে অন্যভাবে দেখে না সে । পূলক ভীষণ আবেগে এক ঝটকায় সুপ্তি কে জড়িয়ে ধরে গালে চুমু দিয়েই এক দৌড়ে নীচে নেমে গেলো । ভালোবাসার প্রথম পরশ !
সুপ্তি অনেক্ষন ঠায় দাড়িয়ে রইলো । মুহূর্তে মনে হচ্ছিল এই ছেলেটাকে ছাড়া ও বাঁচতে পারবে না একটুকু সময়ও।

পরদিন সকাল টা ছিল সুপ্তির জন্য অভিশপ্ত একটা দিন। সুপ্তির বাবা হয়ত কিছুটা হলেও আঁচ করতে পেরেছিলেন ওদের সম্পর্ক । সুপ্তি দেখলো বাবা পূলক কে খুব বকছেন কেনো ওদের বারান্দার সামনে দাড়িয়ে আছে ! পূলক অনেক বড়োলোকের ছেলে বাবার একমাত্র ছেলে তাই ও বেশ একগুয়ে টাইপের ।
সুপ্তির বাবাকে পূলক একরোখার মত উত্তর দিল যে এটা সরকারি রাস্তা সবাই দাড়াতে পারে।
অনোয়ার সাহেব পূলক কে এক থাপ্পর দিয়ে বসলেন এবং ধমক দিয়ে বললেন তোমাকে টিসি দিয়ে কলেজ থেকে বে করবো। এলাকার উঠতি বয়সের আরো কিছু ছেলে আছে যারা সুপ্তি কে পছন্দ করে । ওই টাইপের কিছু ছেলে পূলক কে টেনে ছেলেদের হলে নিয়ে গেলো এবং একতরফা মার দিল।
পূলক মার খেয়ে আরো ক্ষেপে গেল, সে রাতে মাতালের মত সুপ্তি দের বাসার গিয়ে সামনে চিৎকার করে সুপ্তির নাম ধরে ডাকছিল আর বলছিল সুপ্তি কে ছাড়া ও বাঁচবে না ।
অপমানে সুপ্তি বের হয়ে পূলক কে এক থাপ্পর মেরে বসলো।
পূলক অবাক হয়ে সুপ্তির দিকে তাকিয়ে ছিল সেই প্রথম দিনের মতো করে। আর একটি কথা না বলে পূলক ওখান থেকে চলে গেলো।
এই ঘটনার পর দুই মাস সুপ্তি আর পূলক কেউ কারো সাথে যোগাযোগ করেনি।

এরপর হঠাৎ করেই সুপ্তি শুনলো পূলকের মৃত্যু সংবাদ। সবকিছু যেন ঘোরের মধ্যে চলছিল।
সেবার সুপ্তি মেট্রিক পরীক্ষায় ফেল করলো। মানসিক ভাবে ভীষণ ভেঙে পড়ল । সুপ্তি জেনেছিল প্রচন্ড মানসিক আঘাতে পূলক মারা গিয়েছিল । পূলক শেষ চিঠিতে বলেছিল সুপ্তির জন্য সে মরতেও পারে।
কেমন করে সুপ্তি ভুলবে সব কিছু ।

সুপ্তি একদম চুপচাপ হয়ে গেলো। চঞ্চল মেয়েটা কোথায় হায়িয়ে গেলো।

সুপ্তির মা সুপ্তি কে নিয়ে দেশের বাড়ি ঘুরে আসলেন ।
সুপ্তির বাবা ভাবলেন হয়ত বিয়ে দিলে সব ঠিক হয়ে যাবে । সুপ্তির খালার সাথে কথা বলে কায়েসের সাথে এনগেজমেন্ট করিয়ে ফেললেন এক রাতে। সুপ্তি যেনো একটা কাঠের পুতুল । কিছুতেই তার এখন কিছু যায় আসে না। সব কিছুতেই কায়েসের মৌন সম্মতি ছিল। ভাবলো একসময় সব আগের মত হয়ে যাবে।
সুপ্তির সাথে দুই বছর পর বিয়ে হবে এই কথার উপর কায়েস লন্ডন ফিরে গেলো। সুপ্তি কায়েসের সাথে একবারের জন্য ও দেখা করলো না।

পরের বছর সুপ্তি ঘুরে দাড়ালো । ভালোভাবে মেট্রিক পাশ করে ভালো কলেজে পড়ার সুযোগ পেলো।
সুপ্তি বাবাকে কড়া গলায় বলল সে বিয়ে করবে না এবং এনগেজমেন্ট রিং ফেরত দিতে বলল।

সুপ্তি দৃঢ়তার সাথে ভীষণ ভালো রেজাল্ট করে ইন্টারমিডিয়েট পাশ করলো। সুপ্তি তার বড় দুলাভাই কে ধরে দেশের বাইরে পড়ার জন্যে সব ব্যাবস্থা করিয়ে ফেললো। অনোয়ার সাহেব কিছুতেই আর বাঁধা দিলেন না। সুপ্তি যেনো দেশ ছেড়ে সব স্মৃতি ফেলে পালিয়ে বাঁচলো।
সুপ্তির আর বিয়ে করা হলো না। কোনো ছেলেকেই আর সে ভালোবাসতে পারলো না । অনেক প্রস্তাব সে ফিরিয়ে দিয়েছিল। সুপ্তি শেষ পর্যন্ত কানাডায় সেটেল হয়ে গেলো।

অনেক বছর পর সুপ্তি দেশে বেড়াতে আসল । মফস্বলের সবকিছুই অনেক বদলে গেছে।
বাবার চুল পেকে সব সাদা হয়ে গেছে, মা কেমন বুড়ো হয়ে গেছে, বোনরা তাদের ছেলেমেয়ে সংসার নিয়ে ব্যস্ত। যেই মেঝোবোন পালিয়ে গেছিলো একসময়, সেই বোন এখন নতুন দুলাভাই এর জন্য একদম পাগল। কি মায়ার সংসার তার।
সুপ্তির খুব ভালোলাগে প্রিয় মুখগুলো দেখে।
সুপ্তির খালাতো ভাই কয়েস বিয়ে করে সংসারী হোয়েছে সেই কবেই। চার ছেলেমেয়ের গর্বিত পিতা এখন !
খুব ভোরে উঠে সুপ্তি হেঁটে যায় বাড়ির শেষ সীমানার গেটের কাছে সেই কৃষ্ণচূড়ার তলায়। কৃষ্ণচূড়ার রঙ এখনও সেই আগের মতই লাল ! একনও আগুন ঝরায় !
একযুগ আগে যে মানুষটা চলে গিয়েছিল তার জীবন থেকে , সুপ্তির মনে হল সে আছে , ঠিক অপেক্ষা করছে সুপ্তির জন্য। সুপ্তির চোখ ঝাপসা হয়ে টপ টপ করে পানি ঝরতে লাগলো।
অনেক বছর সুপ্তি কাঁদতে পারে না। কঠিন পাথর হয়ে গিয়েছিল । আজ নিজ মাটি তে সুপ্তি মন খুলে কাঁদছে । শীতের সকাল, সুপ্তির কষ্টগুলো একটু একটু করে গলে পড়ছে যেনো ঘাসের ডগার শিশির বিন্দুর মতো। ゚ fans

🎉 Facebook recognised me for starting engaging conversations and producing inspiring content among my peers.
04/12/2024

🎉 Facebook recognised me for starting engaging conversations and producing inspiring content among my peers.

বেগুনী পরী।💜 #পলি_ফরহাদ ০৪/১২/২০২৪সফেদ সাদা সফটিকের মত শুভ্র।জানালা দিয়ে শ্বেত কনিকারা, যেনো ঝরছে অভ্র!তারই মাঝে ক্লান্...
03/12/2024

বেগুনী পরী।💜
#পলি_ফরহাদ ০৪/১২/২০২৪
সফেদ সাদা সফটিকের মত শুভ্র।
জানালা দিয়ে শ্বেত কনিকারা, যেনো ঝরছে অভ্র!
তারই মাঝে ক্লান্ত বেগুনী পরী এলায়ে।
চোখ তার কপাল ছুয়ে ঘুরে ফিরছে
একটুখানি দম পাওয়ার ইচ্ছেয়।
হাত যুগল বারবার ঝাপটায়, যেনো এক ডানাকাটা পরী!

কাঁটাতারের বেষ্টনীতে ঠোকর খেয়ে
ফিরে ফিরে আসে বেগুনি পরী!

মা .. মাগো..
হিম শীতল বরফের চাদরে তোমার পরী।
যে ছিল তোমার শুভ্র সাদা পরীর মায়ায়।
সাদা ফ্রকে ঘুরে ঘুরে সারা বাড়ি রাখতো মাতায়।
পরীরই মত উড়ে বেড়াত তোমারই আঙিনায়।
সাদা পরীরে আগলে রেখেছিলে তোমার আঁচলেরই ছায়ায়।

পদ্ম পাতার মুখখানি ছিল তোমার পরী ছানার।
যখন পরী মেললো তার বসন্তের ডানা।
কুসুম কোমল চাহনীতে ছিল সে
কচি যুবার স্বপ্নের মেয়ে।
কালো পরী ! যুবক দিয়েছিল সেই নাম তার গলে।
হাজার পদ্ম দিতে চেয়েছিল লুটায়ে
সেই পরীরই পায়ের তলে।
বিনিদ্র রজনী কত স্বপনের জাল বুনেছিল পরী।
হতে চেয়েছিল সেই যুবারই কালো পরী!
ভগ্ন হৃদয়ে ছাড়তে হয়েছিল সেই হাতখানি।
পরী ধরেছিল আরেক নির্ভরতার হাত।
যে হাত তারে দিয়েছিল পরিজন বেঁধে আট ঘাট।
থাকবে পরী ভালোবাসায়
নিশ্চিদ্র নিরাপত্তায়।

সাত সমুদ্র তেরো নদী পার হলো পরী আজ।
পরিবর্তিত , পরিমার্জিত সুশীল সমাজের একজন সে যে!
হয়ে গেলো সোনালী পরী
দিয়েছিল নাম কে যে..
উড়ে বেড়ায় ঘরে বাইরে অন্তরীক্ষে!
সোনালী পরী! রাজহাঁস নয় সে!
তবু দেয় সোনার ডিম
ডজনে ডজনে ..
পরী করে যায় অহর্নীশ সকল দায়।
যা দিয়েছিল বেঁধে তারে ধরায়।

পরী ডানা ঝাপটায়, বের হতে চায়।
চায় মুক্ত বাতাস।
একটু খানি বাঁচার আসায়।
আর পারে না সোনালী হতে।
হতে থাকে ধুসর বেগুনী।
পরী তো জন্মেছিল এরই লাগি নয়!
হতে চে়য়েছিল ভালোবাসার।
আবশ্যকতার নয়।

বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের নেই পরীর আর এতটুকু শরন।
পরী পারে না বলতে তার
আর কোনো ভাবনাকরণ।
গুমরায় পরী নেতিয়ে পড়ে..
আবার ঘুরে দাঁড়ায়
আরেক নতুন আশায়।
আর যে আসেনা প্রভাত আলোর বন্যা।
সর্বদায় যেন অহর্নিশি বিভাবরী অমানিশা।
অবসন্ন পরী মিশে যেতে থাকে
ধরণীর ধরাতলে।
ক্রমশ রং বদলে হতে থাকে বেগুনি পরী।
নিগ্রহ, দগ্ধ, রক্তিম পরী,
ধোয়াশা হতে থাকে ..
বেগুনী থেকে গাঢ় বেগুনী!
মাথা চাড়া দিয়ে উঠে দাড়ায় পরী।
না।
হতে চায় না সে অনীমা, অনুপমা কিংবা নিরুপমা।
যারা ঝরে গিয়েছিল সময়ের বহু আগে বীভৎসতার স্বীকার হয়ে!

ফিনিক্স পাখি হয়ে আবার আসবে ফিরে।
ভেঙে ফেলে সকল বলয়।
বলবে কথা পাখির হয়ে।
রেশম গোধূলি ছায়ে।
পেলব হবে সোনালী বিকেলের
শিল্পের কোমল মাধুরিতে।
প্রতিটি সকাল আসবে
নতুন আশার আলোয়।
゚ fans

Shout out to my newest followers! Excited to have you onboard!Mayeenul Islam, Be Careful, Nova Zaman, Juel Ahmed, Md Ron...
03/12/2024

Shout out to my newest followers! Excited to have you onboard!

Mayeenul Islam, Be Careful, Nova Zaman, Juel Ahmed, Md Rony Mia, মোঃ সুজন শেখ, Md Abu Jahed, AR James Satkhira, Nazim Mahi, Mofazzel Hossain Rana, Mohammed Habibur Rahman Totu, Mizanur Rahman, মেসার্স এনামুল ষ্টোর, Shimul Ahmmed, MD Ramjan, Shanewaj Islam, মোঃ রিয়াদ ফয়সাল শুভ, Mainuddin Ahmed, সামিয়া আফরিণ জিনিয়া, Sonia Khatun, নাজিম উদ্দিন ভূঁইয়া পরিবার, Md Rejwanul Haque, MD Joyanal, M Alauddin Khan, আপনাদের রাতের রাজকোমার আমেরিকা, Md Amir, Mahammed Mofiz, Md. Osman Miaje, Mohammad Shafi, সাউদাল ইসলাম দাউদি সাউদি, পূর্ব ক্ষণ, মোঃ মাসুদ সরকার, Mohammad Elias, Abdus Sattar, Md Badal Mia, সাংবাদিক লিটন উজ্জামান, MD Tareq Sardar, Sk Sagor, Hamidur Rahman, Anwar Hussain, KUSHIARA VIEW, Irfan Jutt, MD Shahadat Hossen Nadir, Kamal Hossain, Marian Vranceanu, Syed Ahsanul Kamran Raju, কে.এম.এস.এম আমিনুর রহমান, Rana Khan, হঠাৎ বৃষ্টি

শুভ রাত্রি🍃ফুচকার সাথে সেলফি♥️গতবছরের ঠিক এমনই এক সন্ধ্যায় ছিলাম গলির মাথায় ফুচকার আড্ডায়। আজ সব স্মৃতি। সময়গুলো মিস...
03/12/2024

শুভ রাত্রি🍃
ফুচকার সাথে সেলফি♥️
গতবছরের ঠিক এমনই এক সন্ধ্যায় ছিলাম গলির মাথায় ফুচকার আড্ডায়। আজ সব স্মৃতি। সময়গুলো মিস করি আবার দেশকেও খুব মিস করি। প্রবাসে দিন যায় রাত যায় কাজের পাহাড়ের মধ্যে। একজীবনে শেষ হবার নয় এই ব্যস্ততা। কিছু ব্যস্ততা নিজের তৈরী করা। তারপরেও আলহামদলিল্লাহ সকল কিছুর জন্য। ভালো থাকুক প্রিয় মানুষ গুলো। যখন আবার রিজিক হবে তখন হয়তো যাবো আবার প্রিয় ভূমিতে।
゚ fans

সওদা।🍃 #পলি_ফরহাদ03/12/2024বারহাটুরেদের মেলায় আমরা সবাই বিকি!কেউ বা বেঁচে সত্তা! কেউ বা বেচে আত্মা!  নাইবা নিলে খবর তাহ...
02/12/2024

সওদা।🍃
#পলি_ফরহাদ03/12/2024
বারহাটুরেদের মেলায় আমরা সবাই বিকি!
কেউ বা বেঁচে সত্তা!
কেউ বা বেচে আত্মা!
নাইবা নিলে খবর তাহার যার নেই কো কিছুই বেচার!
সওদাগরের বেশে ঘুরছে সব লেবাসধারী!
একটু খানি ঘটে যদি স্বার্থ হানি
দেখবে তখন তাহার আসল মুখখানি।
নিজে যতই সাধু সাজো না কেনো
তুমিই হলে বড় চাটুকারী!
যত চলবে তেল মর্দন ঐ ঘানিতে!
ততই ঘুরবে তোমার লক্ষ্মীর চাকা।
যাহারা পারবে না বিকোতে
দলিত ,পিষ্ঠিত আর নিপীড়িত তাহারাই!
জগন্নাথের রথের মেলায়!
সার্কাস চলিবে চব্বিশ ঘন্টা!
সেলুকাস!
fans ゚ @

02/12/2024

বিজয়ের কবিতা❤️🍀 অভিশাপ দিচ্ছি কবি শামসুর রাহমান। #পলি_ফরহাদ ゚ fans

শুভ সকাল🌺মুগ্ধ তোমায়🍀 #পলি_ফরহাদ 02/12/24দৃষ্টির সীমানায় দেখতে কি পাও! একজোড়া মায়াবী চোখ চেয়ে থাকে।অপেক্ষার বৃষ্টি ন...
01/12/2024

শুভ সকাল🌺
মুগ্ধ তোমায়🍀
#পলি_ফরহাদ 02/12/24
দৃষ্টির সীমানায় দেখতে কি পাও!
একজোড়া মায়াবী চোখ চেয়ে থাকে।
অপেক্ষার বৃষ্টি নামে অতল চাহনীতে!
বারিশের ধুপ ছোয়া মাতাল আহ্বান।
কি করে ফিরাবে ঐ আহ্বান!
মুগ্ধতায সবুজাবরণে আবিষ্ট ওই মন।
ফিরবার পথ যে আর নেই!
আমি এক কাঙাল চাতক,
ভালোবাসার মহাভরণে,
বসিয়া আছি
আমার চাতকিনীর পানে।🍀 ゚ fans

01/12/2024

I want to give a huge shout-out to my top Stars senders. Thank you for all the support!

Mohammad Jamil Uddin

01/12/2024

Hi everyone! 🌟 You can support me by sending Stars – they help me earn money to keep making content that you love.

Whenever you see the Stars icon, you can send me Stars.

শুভ দুপুর🌺 #পলি_ফরহাদমধ্যাহ্নের ভাবনাতোর সঙ্গে সারা পৃথিবী পরিভ্রমণের ভাবনা ছিল।তোরও কি মনে তাই ছিল! ব্যাবিলনের ঝুলন্ত উ...
30/11/2024

শুভ দুপুর🌺
#পলি_ফরহাদ
মধ্যাহ্নের ভাবনা
তোর সঙ্গে সারা পৃথিবী পরিভ্রমণের ভাবনা ছিল।
তোরও কি মনে তাই ছিল!
ব্যাবিলনের ঝুলন্ত উদ্যান দেখব বলে আজও উদ্যানে যাওয়া হলো না!
মিশরের পিরামিডের উপর দিয়ে ঝড়ো বাতাস হয়ে
সব মমিদের ভয় দেখানোর ইচ্ছেটা তোকে ঘিরেই ছিল।
আইফেল টাওয়ারে বসে তোর সাথে কফি খাওয়ার খুব শখ ছিল।
নায়াগ্রা জলপ্রপাতের ঝাপটায় তোকে জড়িয়ে ধরার ইচ্ছে ছিলো।
সাহারা মরুভূমি তোকে নিয়েই পাড়ি দেবার শখ ছিল।
অপেরার শ্রেষ্ঠ সুর তোর সাথেই শুনতে চেয়েছিলাম!
রোমের সেই স্থাপনা যেগুলো তে গ্লাডিয়েটর দের প্রতিযোগিতা হতো
আজও কি সেগুলো ভাঙতে ভাঙতে টিকে আছে!
দেখতে পাবো কি শেষ স্থাপনা গুলো!
চীনের মহাপ্রাচীর কি একসঙ্গে হেটে শেষ করতে পারবো!
আর তাজমহল সে তো বাড়ির কাছে
সেই পূরকৃতি কি দেখবার ইচ্ছে মিটবে কোনো এক গোধূলির আলোয়!
আরকম হাজার ইচ্ছে ঘুড়ি উড়াই কেবল তোর আকাশে।
তোর ইচ্ছেগুলি কোন আকাশে!
একটু ভেবে জনাবি কি!
゚ fans

ছোটো গল্প: নিমন্ত্রণের পুনরাবৃত্তি:🍃লেখা:  #পলি_ফরহাদজ্ঞান ফিরবার পরেই বিভা দেখে তার মুখের উপর ঝুঁকে আছে কয়েকটা পুরুষের ...
29/11/2024

ছোটো গল্প:
নিমন্ত্রণের পুনরাবৃত্তি:🍃
লেখা: #পলি_ফরহাদ

জ্ঞান ফিরবার পরেই বিভা দেখে তার মুখের উপর ঝুঁকে আছে কয়েকটা পুরুষের মুখ। তীব্র ভয়ে বিভা আবার জ্ঞান হারানোর আগেই ওর স্বামীর মুখটি দেখতে পেলো। স্বস্তির নিশ্বাস ফেলার সাথে সাথেই মনে পড়লো আজকে তো ওর অপারেশন।
বিয়ের আট বছর পর ও প্রথম সন্তানের মা হতে চলেছে।
আজকে তো ওর নিমন্ত্রণ না!
হ্যা তাইতো! সেই কবে লেখিকা তসলিমা নাসরিনের লেখা গল্প পড়েছিল 'নিমন্ত্রণ'। প্রেমিকের নিমন্ত্রণে প্রেমিকা গিয়েছিল তার বাসায় গল্প করতে। আর সেখানেই হয়েছিল প্রেমিক সহ তার বন্ধুদের হাতে গণ ধর্ষনের স্বীকার।
তসলিমা নাসরিনের লেখা সেই গল্প যে তার নিজের জীবনেও এভাবে সত্যি হয়ে আসবে তা সে জীবনেও কল্পনা করেনি কোনোদিন।
মনে আছে ঐতো সেদিনের কথা যেদিন নূরের সাথে তার প্রথম দেখা। পৃথিবীতে মানুষ এত সুন্দর মায়াময় হতে পারে তা নূর কে না দেখলে বুঝতে পারতো না বিভা।
উচ্চবিত্তের একমাত্র অদূরে কন্যা বিভা গাড়ি ছাড়া কখনো বের হতো না। সেদিনও কলেজ শেষে বিভা গিয়েছিল বান্ধবীর বাসা থেকে নোট নিতে হঠাৎ সিড়িতে দেখল একটি ছেলে একবার চোখ তুলে ওর দিকে তাকিয়েই পাশ কাটিয়ে চলে গেলো। ছেলেটার কাজল কালো মায়াময় চোখ যেন বিভার মনে দাগ কেটে গেলো।
বিভা ওর বান্ধবী সাদিয়া কে ছেলেটার কথা জিজ্ঞেস করতেই সাদিয়া বললো ঐ ছেলে কোনো মেয়েদের পিছু ঘোরে না, খুব ভদ্র গোছের ভালো ছেলে।
বিভা মিটি মিটি হাসছিল। এর পর থেকেই বিভা প্রায়ই প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে সদিয়াদের বাসায় যেত শুধু একনজর নূর কে দেখবার জন্য।
বিভাই প্রথম নূরকে প্রেমের চিঠি লিখেছিল সমস্ত লজ্জা ভেঙে। সাদিয়া নূরকে চিঠি পৌঁছে দিয়েছিল।
তারপর থেকেই নূর বিভা কে দেখলেই লাজুক হাসি দিত। মাঝে মধ্যে সিড়ি তে হাত ধরেছে কয়েকবার।
সপ্তাহে দুই তিনদিনই কলেজ শেষে বিভা চলে যেত সাদিয়ার বাসায়। ড্রাইভার চাচা নিচে অপেক্ষা করতো।
সাদিয়ার পরিবারকে বিভার পরিবার পারিবারিক ভাবে জানত তাই কোনো সমস্যা হতো না।
তখনও বিভা নূরের সাথে বাইরে কোথাও বসে কথা বলার সুযোগ পায়নি। চিঠিতেই ওদের যোগাযোগ হতো আর মাঝে মাঝে সিড়িতে চোখা চোখি!
নূর চমৎকার চিঠি লিখতো। তবে প্রায়ই লিখতো সে বিভাকে খুব করে কাছে পেতে চায়। বিভার কান ঝাঁ ঝাঁ করে উঠতো।
বিভা দেখতে তেমন ভালো ছিল না। তবে নূর বলতো বিভা হলো তার 'ব্ল্যাক ডায়মন্ড'।ভাগ্যিস বিভা নূরকে পছন্দ করেছিল নাহলে নাকি নূরের এই জীবনেও প্রেম করা হতো না।
বিভা তার সর্বোচ্চ দিয়েই নূর কে সুখী করতে চেয়েছিল। ওর ভয় ছিল হয়ত সুন্দরী কেউ নূরকে তার কাছ থেকে কেড়ে নেবে। নূর তো হেসেই বাঁচে না বিভার এসব ছেলেমানুষী লেখা পড়ে।
বিভা কলেজ পালিয়ে নূরের সাথে দেখা করার কথা নূরকে জানায়। আবার ভয় পাচ্ছিল যদি মা জেনে যায়। অবশ্য ড্রাইভার চাচাকে ঘুষ দিয়ে প্রায় বাগে আনিয়ে ফেলেছে।
প্রথম ওরা বাইরে দেখা করেছিল সুইস ক্যাফে তে। বিভা ভীষন নার্ভাস ছিল। পুরোটা সময় নূর শক্ত করে বিভার ঘর্মাক্ত হাত ধরে রেখেছিল। আর বিভা শুধু বলছিল ছাড়ুন। কিন্তু মনে মনে চাইছিল এই হাত যেন আর না ছাড়ে। নূর বললো তার IELTS এর মার্ক চলে এসেছে। শিগ্রই ভিসা হয়ে যাবে বাইরে পড়তে যাওয়ার।বিদেশে যাওয়ার পর ও বিভা কেও নিয়ে যাবে। বিভার মনে হচ্ছিল পৃথিবী এত সুন্দর কেন!

সেদিন বাসায় ফিরতেই বাবা বিভাকে আস্তে করে কাছে ডেকে নূরের কথা জানতে চাইলো। বিভা তো অবাক। বাবা বললো ড্রাইভার তাকে সব বলেছে। ও পুরনো বিশ্বস্ত মানুষ। বিভা বাবাকে জড়িয়ে বলল ও শুধু ওর ভালো বন্ধু।
ঠিক তো!
তোমাকে নিয়ে আমাদের অনেক স্বপ্ন। ফালতু সম্পর্কে জড়িয়ে না যাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। বাবা বললেন তোমার HSC শেষ হলেই আমরা সপরিবারে আমেরিকা সেটেল হয়ে যাবো।
সব কিছুই খুব তাড়াতাড়ি ঘটছিল। নূর হটাৎ করেই জানালো সে বিভার সাথে একান্ত কিছু সময় চায়। ওর বন্ধুর বাসায় দেখা করতে বললো।
বিভা ভীষন রোমাঞ্চিত আজ। পরে এসেছে নূরের প্রিয় গোলাপী রং এর জামা। কলেজ এর হাফ বেলা শেষ করে গেট এর মামাকে ম্যানেজ করে রিক্সা করে আজ যাচ্ছে তার ভালোবাসার কাছে। ড্রাইভার দুপুরে কলেজ গেটে আসবে।
নূর একাই তার বন্ধুর বাসায়। বিভা একটু অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলো তার বন্ধু কোথায়? নূর দুষ্ট গলায় বললো কেনো আমার বন্ধুকেও লাগবে নাকি? বিভা দৌড়ে নূরের পিঠে কিল বসিয়ে দিল। দুজনেই হেসে উঠলো। নূর প্রচন্ড আবেগে বিভা কে জড়িয়ে ধরলো। বিভা অদ্ভুত এক ঘোরের ভিতরে যেনো প্রবল উত্তেজনায় নূরকে আরো জোরে জড়িয়ে ধরলো। নিজেকে সপে দিয়েছিল নূরের লোমকৃষ্ণ বুকে। কামের জোয়ারে ভেসে গিয়েছিল দুজনেই। অনাবৃত শরীরে বিভা ঘুমিয়ে পড়েছিল কখন টের পায়নি। হঠাৎ আধো জাগরণে মনে হলো নূর শার্ট পরে উঠে যাচ্ছে তখন ধড়ফড়িয়ে বিভাও উঠে বসলো। দরজা খোলা এবং কয়েক জোড়া জুতা দেখতে পেল। গায়ের উপর চাদর টেনে নেবার সুযোগ বিভা পেলনা। একে একে তিনজন ছেলে রুমে ঢুকলো।
ঘটনার আকস্মিকতায় এবং পশুদের পাশবিকতার বিভা জ্ঞান হারিয়েছিল বারে বারে।
তবে নূর একেবারে অমানুষ নয়। ফোন দিয়ে বিভার মাকে জানিয়েছিল বিভার অবস্থান।
নূর এবং তার বন্ধুরা সেদিন শুধু বিভা কে ধর্ষণই করে নি। ধর্ষিত হয়েছিল তার স্বত্তা। সেদিনই সে মরে গিয়েছিল তার নিজের কাছেই। কেনো মা তার শরীর আর মৃত মনটাকে নিয়ে হাসপাতাল আর বাসা করলেন!
তারজন্য আরো ভয়ংকর কিছু অপেক্ষা করছিল। দুই মাস পর জানতে পারলো সে আরেকটি জীবন তার শরীরে বহন করছে। সতেরো বছরের শরীর মন আর কিছুই নিতে পারছিল না।
কখন সেই নিষিক্ত প্রাণ কে ক্লিনিকে নিয়ে নষ্ট করে ফেলা হলো তা তাকিয়ে দেখা ছাড়া আর কিছুই করার ছিল না বিভার।
এক অনন্ত ঘোরের মাঝেই বছর না ঘুরতেই বিভার বিয়েও দিয়ে দেয়া হলো।
বিভা কি চায়? বিভা যে একজন মানুষ তাই আর গ্রাহ্য করা হলো না। আর পশুদের বিচার!
বিভার জীবন শুরু হলো পালিয়ে বেড়িয়ে। সমাজের থেকে, পরিবারের থেকে আর তার নিজের কাছ থেকেই।
একটা সময় স্বামীর সাথে দেশ ছেড়ে পালিয়ে বাঁচলো বিভা। আসলে কি বাঁচলো না আজীবন বাঁচার অভিনয় করা শিখতে হলো।
বাবা নাম রেখেছিল বিভা, রোশনী হবে সবার আর সেই কিনা আজ মুখ লুকিয়ে ফিরে প্রতিনিয়ত।
বাবা মা কোনো ঝামেলায় যায়নি কারো সাথে বিভার ভবিষ্যতের জন্য।
বিভার কন্যা সন্তান হয়েছে।
বিভার চোখের জল শুকিয়ে গিয়েছিল সেই কবেই। বহুকাল সে কাঁদতে পারেনা। আজ তার বাঁধ ভাঙ্গা কান্না দেখে বিভার স্বামী অনিক বেশ অবাক। বিভাকে সে দেখেছে আবেগহীন একজন শক্ত মনের নারী হিসেবে।
বিভা বিড় বিড় করে শুধু বলছে মাগো, তুমি বেঁচে থাকো মাথা উচু করে। কোনো নিমন্ত্রণ যেনো তোমাকে না ছোয়। পৃথিবীর কোনো কদর্য যেনো তোমাকে না ছোয়।
তুমি বেঁচে থেকো না আমার মত না বলতে পারার ক্ষত নিয়ে। তুমি একবিংশ শতাব্দীর মেয়ে। যা বিংশ শতাব্দীতে আমি পারি নি! তোমরাই পারবে নরপশুদের বিচার করতে। কথা দাও মা....
゚ fans

তিক্ততা #পলি_ফরহাদজীবনের গল্পগুলো আসলেই ছবির মতো নয়! .জীবনের তিক্ততা ক্লেশ জোড়াতালি দিতে দিতেএকটা সময় মনের আঙিনায় উকি...
29/11/2024

তিক্ততা
#পলি_ফরহাদ
জীবনের গল্পগুলো আসলেই ছবির মতো নয়! .
জীবনের তিক্ততা ক্লেশ জোড়াতালি দিতে দিতে
একটা সময় মনের আঙিনায় উকি দেয় ঘুনেপোকারা।
হয়তো তারা ঠিক জায়গা করে নিবে,
আর আমরা হবো রিক্ত,স্বচ্ছ ভালোবাসা বিহীন!
বৃথাই হারাই জীবনের সুন্দর সময়গুলো।
সময়ের স্রোতে হবো বিলীন একসময়।
কিন্তু রয়ে যাবে ঐ সময়ের সাক্ষী ।
বিষবাষ্পিত কথামালার সব নিঃশ্বাস!
এভাবে নিঃসৃত হয়ো না আর।
বিপাশা হারাবে তার বিশ্বাস।
বৈরীতার মাঝে হাসফাঁস তার নাভিশ্বাস!
সময়ের আরো একটি দীর্ঘশ্বাস!🍃

-পলি ফরহাদ🍃💜
゚ fans

28/11/2024

সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের মাকে নিয়ে লেখা কবিতা: মাকে না পাঠানো চিঠি। এই কবিতাটি আমার অনেক প্রিয়। আবৃত্তি করতে গিয়ে কেমন যেন কষ্ট লাগছিল না দেখা সেই মায়ের মেয়ের জন্য। এখানেই একজন কবির সার্থকতা যখন তার লেখা পাঠকের হৃদয় ছুয়ে যায়।ভালো থাকুক পৃথিবীর সকল সুবিধা বঞ্চিত নারীরা। আবৃত্তি: #পলি_ফরহাদ ゚ ゚

27/11/2024

যদি তুমি ফিরে না আস। কবি: শামসুর রহমান। আবৃত্তি: #পলি_ফরহাদ। ゚ fans

বৈপরীত্য! #পলিফরহাদ।🍀বরণ করে নেয়াটা যেনো তোমার আদতে নেই! পরে ফেলো না যেনো নোনা জল আর বৃথা আক্ষেপ! কৈশোরের দুরন্ত কিশোরের...
26/11/2024

বৈপরীত্য!
#পলিফরহাদ।🍀
বরণ করে নেয়াটা যেনো তোমার আদতে নেই!
পরে ফেলো না যেনো নোনা জল আর বৃথা আক্ষেপ!
কৈশোরের দুরন্ত কিশোরের নিখাদ ভালোবাসা
ঝরা শিউলি মালার মতই রেখে দিয়েছিলে বই এর মলাটে।
আজ একলা একা ভাব কি সেই দুরন্ত দুর্বার কৈশোর
দলিত করেছিলে কারো অবাক ভালোবাসা।
হেয়ালি সপ্নবিভোর কল্পনার মরীচিকায়!
এই অবেলায় একবারও কি মুচড়ে উঠে না ঐ পাষাণী মন!
সত্যিই কি ছিলে হৃদয়হীনা!
ভালোবাসা লুকিয়ে থাকে সুপ্ত গোপনে।
পারোনিকো নিতে তারে কভু বরন ডালায়!
দুর্নিবার মোহে চলেছ ছুটিয়া!
ভালোবাসারা ফুটিয়াছিল রজনীগন্ধার ডালে।
হাত বাড়িয়ে ছুই না আজও
মন বাড়িয়ে ছুঁই!
স্পর্শে যদি ঝরিয়া পড়ে
সেই ভাবনাতেই রই।
থাকনা সে এক বুকপকেটে
শুকনো পাতার খোলে।
এ যেন এক তীব্র সুখ।
হারায়ে খুঁজে ফেরা!
২৭/১১/২০২৪
fans ゚ ゚

শুভ সকাল💜🍃 আজকে সিডনির গরম ৪০ ডিগ্রি! জীবন জীবিকা থেমে নেই। তার মাঝে সতেজ থাকার চেষ্টা করে যাই সবাই। বসন্ত কে বিদায় দিয...
26/11/2024

শুভ সকাল💜🍃 আজকে সিডনির গরম ৪০ ডিগ্রি! জীবন জীবিকা থেমে নেই। তার মাঝে সতেজ থাকার চেষ্টা করে যাই সবাই। বসন্ত কে বিদায় দিয়ে গ্রীষ্ম কে বরণ করে নেই। ভালো থাকবেন সবাই🌸🍀🍃💖

Address

Sydney, NSW

Website

https://facebook.com/61556336504428

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when পলি ফরহাদ posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Share