ভূতুরে গপ্পো

ভূতুরে গপ্পো ভূতুরে গপ্পো- ভয়ঙ্কর সব ভূতের গল্পের জগতে আপনাকে স্বাগতম। ভয় আপনাকে হাতছানী দিয়ে ডাকছে। হা হা হা হা..

চলো পড়া শুরু করি? 😅
06/29/2024

চলো পড়া শুরু করি? 😅

🙂
01/20/2024

🙂

😅
01/20/2024

😅

😵
01/10/2024

😵

আপনারও শুনছেন? 😴
01/09/2024

আপনারও শুনছেন? 😴

Oops! 😪
01/08/2024

Oops! 😪

লে ঠেলা 😴🤣
01/07/2024

লে ঠেলা 😴🤣

টুরু... 😪
01/03/2024

টুরু... 😪

😪
12/04/2023

😪

Destroyed in a second... 🤣
11/24/2023

Destroyed in a second... 🤣

If you know, you know! 😅
11/19/2023

If you know, you know! 😅

😥
11/17/2023

😥

ছেলে মাশা-আল্লাহ  অনেক ধৈর্য্যশীল 😅
11/10/2023

ছেলে মাশা-আল্লাহ অনেক ধৈর্য্যশীল 😅

🥲
11/09/2023

🥲

Opps sorry!
11/08/2023

Opps sorry!

শীতকাল 😅🥲
11/03/2023

শীতকাল 😅🥲

হারভাংগা খাটুনির পর ৫ টাকার কেক খাওয়া বাবা গুলো ভাল থাকুক।
10/30/2023

হারভাংগা খাটুনির পর ৫ টাকার কেক খাওয়া বাবা গুলো ভাল থাকুক।

মায়ের দোয়া ক্রিকেট টিমের বর্তমান প্লান 😪
10/27/2023

মায়ের দোয়া ক্রিকেট টিমের বর্তমান প্লান 😪

10/26/2023

মশা মারার ১০১ পদ্ধতি 🥴🤣
Don't try at this home!

🙃
10/25/2023

🙃

10/23/2023

শেষটা শুনে আমি হতভম্ব হয়ে গেলাম 🥴

লোভ  #শেষ_পর্ব   #ভূতুরে_গপ্পোলেখিকা_jannat_Nurরকিবুল্লা কিভাবে মারা গেছে? সুস্থ মানুষ ছিল রাতে খাবার পর শুয়েছিল সকালে র...
10/16/2023

লোভ
#শেষ_পর্ব #ভূতুরে_গপ্পো
লেখিকা_jannat_Nur
রকিবুল্লা কিভাবে মারা গেছে?
সুস্থ মানুষ ছিল রাতে খাবার পর শুয়েছিল সকালে রাজিয়া বেগম চিল্লাপাল্লাতে ঘুম ভেঙে যায় গিয়ে দেখি রকিবুল্লা মারা গেছে, রাজিয়া বেগম বলল, কিছুক্ষণ আগে প্রেসার বেড়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে পানি ঢালছিলাম, মারা গেলো। অনেক কাঁন্নাকাটি করলো রাজিয়া বেগম ও আকিব।
কিন্তু আমার মনে সন্দেহ হয়েছে।
কি রকম সন্দেহ, রকিবুল্লাকে মেরে ফেলা হয়েছে।
হ্যাঁ সেরকম সন্দেহ হয়েছে, সন্দেহ করার কারণ আছে।
রকিবুল্লার কখনো হাই প্রেসার ছিল না।
তাহলে আপনি মনে করেন রকিবুল্লাকে খুন করেছে রাজিয়া বেগম।
হ্যাঁ খুন করেছে, টাকার জন্য রাজিয়া বেগম সবকিছু করতে পারে।
সব ঘটনা শুনে আমি আব্বাসউদ্দীন চাচাকে বললাম, আমরা পুলিশকে সব জানাবো! রাজিয়া বেগমের এই অন্যায় অত্যাচারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করব। সে যে এত গুলো বছর হিশামকে পাগল বানিয়ে রাখছে! হিশামের টাকা আত্নসাধ করছে সবকিছু পুলিশকে আপনি বলবেন।
চাচা আপনি আমাদের সঙ্গে চলেন।
মা আমি তো অসুস্থ কিভাবে এত দূর যাবো।
চাচাকে অনেক বঝিয়ে রাজী করালাম আমার সাথে যাবার জন্য। চাচাকে বললাম আপনি আমাদের বাসায় থাকবেন, আমার আম্মু আপনার দেখাশোনা করবে! কোন চিন্তা কইরেন না,ল। চাচা আপনি কি চান না হিশাম তার অধিকার ফিরে পাক আর হিশামের সাথে যারা অন্যায় অত্যাচার করেছে তাদের শাস্তি হোক।
চাচা বলল, চাই একশবার চাই ওই ডাইনি রাক্ষসী রাজিয়া বেগমের আর তার ছেলে আকিবের শাস্তি হোক।
সেদিনই আব্বাসউদ্দীন চাচাকে সঙ্গে নিয়ে ঢাকা চলে আসলাম।
আব্বুর পরিচিত এক উকিল আছে তার সাথে পরামর্শ করলাম। সে বলল থানায় গিয়ে কেইস ফাইল করতে। আব্বু আমি আব্বাসউদ্দীন চাচা তিন জন মিলে থানায় গেলাম। ওসি আকমাল শেখ আব্বাসউদ্দীন চাচার কাছ থেকে বিস্তারিত ঘটনা শুনে বললেন, এত বড় অন্যায় করে কেউ বাঁচতে পারবেনা। ওই মহিলাও বাঁচতে পারবেন না, আমরা কালই আপনাদের বাসায় গিয়ে রাজিয়া বেগমকে আটক করব। তদন্ত করে দেখার পর সে যদি দোষী সাব্যস্ত হয় তাহলে আইন তাকে কঠোর শান্তি প্রধান করবে।
পরেরদিন আমি হিশামের কাছে চলে আসলাম! শাশুড়ী মা আমার সাথে রাগারাগি শুরু করে দিলো। বলল, তোমার মা না কি অসুস্থ তাহলে তুমি কুমিল্লা গিয়েছিলে কেন।
শাশুড়ী মা জানল কি করে আমি কুমিল্লা গিয়েছিলাম।
আমি বললাম কি বলছেন মা আমি কিসের জন্য কুমিল্লা যাবো।
মিথ্যা বলনা, ড্রাইভার তোমাকে দেখেছে তুমি তোমার বাবা আরেকটা বয়স্ক লোক কুমিল্লার বাস থেকে নেমেছ।
ধরা পড়ে গেছি, কথা অন্যদিকে ঘুরিয়ে স্বীকার করতে হবে। ওহ এই কথা যে বয়স্ক চাচাকে ড্রাইভার আমাদের সঙ্গে দেখছে তার বাড়ি কুমিল্লা সে আমার আব্বুর ফুফাতো ভাই ঢাকা আসছিল ডাক্তার দেখাতে। ডাক্তার দেখিয়ে বাসে তুলে দিতে গিয়েছিলাম, শরীর বেশি খারাপ থাকার কারণে কুমিল্লা যেতে পারলেন না, আবার ফিরে আসছে আমাদের সাথে।
শাশুড়ী মা আমার কথা মেনে নিলেন, আমি তাড়াতাড়ি হিশামের কাছে আসলাম।
চারদিন ধরে হিসামকে দেখিনা রুমে যেয়ে দেখি হিশাম ঘুমাচ্ছে! হিসামের কপালে চুমু দিলাম, সে জেগে উঠলো।
জেরিন তুমি আসছো, তোমাকে ছাড়া খুব কষ্ট হচ্ছিল আমার।
আমারো কষ্ট হয়েছে জান তোমাকে ছাড়া এই চারদিন থাকতে।
হিসাম আমাকে জড়িয়ে ধরছে, আমিও জাপ্টে ধরে রইলাম কিছুক্ষণ।
চাচার বলা কথা গুলো হিশামকে বললাম, হিসামের জীবনে কি ঘটেছিল। যাকে সে মা জেনে আসছে সে তার মা না। আর যাকে বাবা মনে করতো সেও তার বাবা না, তাদের কারো সাথে হিসামের রক্তের সম্পর্ক নেই।
তার মা বাবা বেঁচে নেই, সমস্ত কিছু হিশামকে বললাম।আমার কথা শুনে হিশাম স্তব্ধ হয়ে গেছে! হিশাম হয়তো কান্না করে দিবে তার চোখের কোনায় পানি জমে উঠেছে।
জান তুমি মন খারাপ করে না, আল্লাহ যা করে ভালোর জন্য করে, তোমার পাশে আমি আছি। আল্লাহতালার রহমত আছে, না হলে যে আমি বিয়ের জন্য রাজী ছিলাম না, তোমাকে দেখার পর তোমার মায়ায় জড়িয়ে গেলাম কেন! তোমাকে স্বামী হিসেবে পেয়ে আমি নিজেকে ধন্য মনে করি।
আমার কথায় হিশাম চোখ মুছে আবার আমাকে জড়িয়ে ধরে বলল, আই লাভ ইউ জেরিন অনেক ভালোবাসি তোমাকে। তুমি না হলে আজ আমি পাগল হয়েই থাকতাম।
আরে পাগল তোমার জন্য আল্লাহ আমাকে পাঠাইছে, সবকিছু মহান আল্লাহর শুকরিয়া
হিশামকে বললাম আব্বু পুলিশ নিয়ে কিছুক্ষণের মধ্যে চলে আসবে, সঙ্গে আব্বাসউদ্দীন চাচাও আসবে। পুলিশ তোমাকে যা যা জিজ্ঞাস করবে তুমি ঠিকঠাক ভাবে উত্তর দিও।
আর শুনো রাজিয়া বেগম কিন্তু খুব ধৃত মহিলা, পুলিশের সামনে হয়তো মায়াকান্না শুরু করে দিবে! তুমি তার মায়াকান্নায় গলে যেয়ো না।
হিশাম বলল, ঠিক আছে তুমি যা বলছ তাই হবে।
পুলিশ নিয়ে আব্বু চলে আসছে, রাজিয়া বেগম পুলিশ দেখে অবাক। ওসি আকমাল শেখ, রাজিয়া বেগমকে বললেন, আপনার বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে।
আপনি হিশাম আহম্মেদকে ড্রাগস মেডিসিন সেবন করিয়ে মানসিক রুগী করে রাখছিলেন।
রাজিয়া বেগম বললেন আমার বিরুদ্ধে সব অভিযোগ মিথ্যে, আমি কেন আমার নিজের ছেলের সাথে অন্যায় করব।
আব্বাসউদ্দীন চাচা ওসিকে বললেন, স্যার এই মহিলা মিথ্যা বলছে, সে হিশামের মা না, সে ম্যানেজার রকিবুল্লার স্ত্রী,। হিশামের মা হাফসা আহম্মেদ হিশামকে চারবছরের রেখে মারা গেছে।
ওসি আকমাল শেখ, হিশামের কাছে জানতে চাইলো আপনি বলেন ওনি কি আপনার মা, না কি মা না। ওনার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে সেগুলো কি সত্যি, আপনাকে কি রাজিয়া বেগম অত্যাচার করেছেন।
ওসির প্রশ্ন শুনে হিশাম ঘাবড়ে গেলেও পরক্ষণে বলতে শুরু করল।
আসলে আমি জানিনা ইনি আমার মা কি না, আমার ছোট বেলার স্মৃতি মনে নেই। আমাকে ওনি যে মেডিসিন খাওয়াইছে তাতে আমার স্মৃতি শক্তি অনেক দুর্বল হয়ে পড়ছে। কিন্তু আমি বুঝতে পারি সে আমার মা হতে পারে না, কোন মা নিজের ছেলের ক্ষতি চায়না কখনো। তিনি সবসময় আকিব ভাইয়াকে অনেক আদর যত্ন করেছে, আমাকে কখনো ভালোবাসেনি। আর আমাকে পাগল বলে অবজ্ঞা করে, মা হয়ে এটা কি করতে পারতো।
হিশামের কথা অনুযায়ী রাজিয়া বেগম ও আকিবকে গ্রেফতার করে নিয়ে গেলো পুলিশ। রাজিয়া বেগম স্বীকার করলো সবকিছু হিশামের সম্পত্তি! তার স্বামী সব সম্পত্তি ছোট ছেলে হিশামের নামে উইল করে দিয়ে গেছে, হিশাম তার নিজের পেটের সন্তান।
আমি থানায় যেয়ে ওসি আকমাল শেখকে বললাম,
রাজিয়া বেগম নিজে আমাকে বলেছে, আমরা হিশামের সাথে যা করছি করতে দাও! বেশী বাড়াবাড়ি করলে তোমার খারাপ হবে, তুমি যদি আমার কথা মেনে চল তাহলে তোমাকে জমি লিখে দেবো।
এখন আপনিই বলুন মা হলে এমন করতে পারতো।
আসলে কি জানেন আমি আপনাদের দুই পক্ষের কথা শুনে কনফিউজড হয়ে যাচ্ছি। আপনারা বলছেন রাজিয়া বেগম হিসামের মা না, কিন্তু রাজিয়া বেগম কিছুতেই মানতে চাইছে না আপনাদের কথা, সে হিশামের মা বলে দাবী করতেছে।
স্যার আপনি বুঝতে চেষ্টা করেন রাজিয়া বেগম আমাকে জমির লোভ দেখাইছে, বলছে তুমি যদি আমার কথা রাখো আমি যা করি তা প্রতিবাদ না কর তাহলে আমি তোমাকে জমি লিখে দেবো।
তাহলে সে কি করে হিশামের মা হয়? মা হয়ে ছেলের সাথে এটা করতে পারতো।
আমি একটা ডিসিশন দিতে চাই।
কি ডিসিশন স্যার।
রাজিয়া বেগম ও হিশামের ডিএনএ টেস্ট করাব। ডিএনএ টেস্ট করতে হলে উপর থেকে পারমিশন নিতে হবে, আপনি যদি চান তাহলে আমি সব ব্যবস্থা করে দিতে পারি।
আচ্ছা স্যার ডিএনএ টেস্টের ব্যবস্থা করেন, তখনি প্রমাণ হয়ে যাবে হিশাম রাজিয়া বেগমের ছেলে কি না।

ওসি আকমল বললেন, আমি একটা ডিসিশন দিতে চাই।
কি ডিসিশন স্যার।
রাজিয়া বেগম ও হিশামের ডিএনএ টেস্ট করাব, ডিএনএ টেস্ট করতে হলে উপর থেকে পারমিশন নিতে হবে, আপনি যদি চান তাহলে আমি সব ব্যবস্থা করে দিতে পারি।
আচ্ছা স্যার ডিএনএ টেস্টের ব্যবস্থা করেন, তখনি প্রমাণ হয়ে যাবে, হিশাম রাজিয়া বেগমের ছেলে কি না।
কয়েকদিন অপেক্ষা করেন, পরেই জানতে পারব কে সত্য কথা বলছে আর কে মিথ্যা বলছে।
আমি দু-টানায় পড়ে গেলাম কি আসে ডিএনএ টেস্টের রিপোর্টে, অপেক্ষা করতে থাকলাম।
ডিএনএ টেস্টের রিপোর্ট আসলো প্রমাণিত হলো, হিশাম রাজিয়া বেগমের ছেলে না! আকিবের সঙ্গেও রক্তের সম্পর্ক নেই হিশামের।
রাজিয়া বেগম আর আকিব আদালতে অপরাধী সাবস্ত হলো। রাজিয়া বেগমকে বারো বছর আকিবকে আট বছরের জেল দিলো আদালত।
হিশামকে দেখে আমার খুব কষ্ট হচ্ছে, তার চোখের দিকে তাকাতে পারছিনা। অনেক দুঃখী মনে হচ্ছে হিশামকে।
আমি তাকে বললাম শুনো জান, যার কেউ নেই তার আল্লাহ আছে। আর এখন তোমার পাশে আমি তো আছি, ইনশাল্লাহ সারাজীবন থাকব।
আব্বাসউদ্দীন চাচা প্রায় একমাস আমাদের বাসায় ছিলো! চাচা এসে আমাকে বলছে, বৌমা সব ঝামেলা শেষ হয়ে গেছে, এখন আমি কুমিল্লা চলে যাই।
চাচাকে বললাম আরো কয়টা দিন থেকে যেতে। চাচা বললেন, না বৌমা অনেকদিন তো থাকলাম, পরে আবার আসব সময় করে।
আমাদের কথার মাঝে হিশাম এসে চাচাকে বলল,
চাচা আমার কি এই দুনিয়ায় রক্তের সম্পর্কের কেউ নেই? সব মানুষের সবকিছু আছে আমার নেই কেন।
হিশামের কথা শুনে আমি আর চাচা চুপ করে আছি, চাচার চোখে পানি চলে আসছে! হিসাম আবার চাচাকে জিজ্ঞেস করল,
আমার মা বাবার কি কোন রিলেটিভ ছিল না, এটা কেমন কথা।
তোমার আম্মু এতিমখানায় মানুষ হয়েছে, তার আপন কেউ ছিল না। তোমার আম্মু লেখাপড়ায় ভালো ছিল বলে তাকে এতিমখানার পক্ষ থেকে উচ্চ শিক্ষার সুযোগ দেয়। তোমার আম্মু যখন জগ্ননাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ে তখন তোমার আব্বু সঙ্গে পরিচয় হয়। তোমার আব্বু ভালোবেসে তোমার আম্মুকে বিয়ে করে, এতিম পিতামাতা হীন মেয়েকে বিয়ে করছে বলে তোমার দাদু তোমার আব্বুকে ত্যাজ্যপুত্র করে। তারপর থেকে তোমার দাদুর বাড়ির কারো সাথে তোমার আব্বুর সম্পর্ক ছিল না।
হিশাম আব্বাসউদ্দীন চাচার কাছে জানতে চায়, তার দাদার বাসা কোথায়।
আমি তা বলতে পারব না, তোমার আম্মু আমাকে নিষেধ করেছে।
বললে প্রব্লেম কি চাচা, প্লিজ বলুন।
হাফসা ম্যাম মনে করতেন তার জন্য তোমার আব্বুকে তোমার দাদু ত্যাজ্যপুত্র করে। তোমার আব্বু মরার পর কেউ দেখতে আসেনি, তার ছেলে তাদের কাছে গেলে তারা তাকে কখনো আপন করে নিবেনা। তোমার আম্মুর ইচ্ছা তুমি যেনো কোনদিন তাদের কাছে না যাও।
ঠিক আছে, আমি আমার আম্মুর কথা রাখবো! যারা আমার আম্মুকে মেনে নেয়নি, আমার আব্বুকে ত্যাজ্য করছে। মারা যাবার পর নিজের ছেলেকে দেখতে আসেনি তারা আমার কেউ হতে পারে না। আমি তাদের সাথে একসঙ্গে থাকতে যাবো না শুধু তাদেরকে একটা নজর দেখতে চাই। কারণ কি জানেন চাচা, আমার নিজের বাবাকে আমি দেখিনি মায়ের চেহারা আমার মনে নেই। নিজের আত্মীয় বলতে এই দুনিয়ায় কেউ নেই, রক্তের সম্পর্কীয় কাউকে আমি দেখিনি। জাস্ট তাদেরকে দেখব এক নজর! তাদের সাথে কোন আত্মীয়তা করার ইচ্ছা আমার নেই।
ঠিক আছে তুমি যখন এত করে বলছো তবে বলছি! ময়মনসিংহে তোমার দাদার বাড়ি, তোমার দাদার নাম শরিফউদ্দিন এবং তোমার চাচাদেন নাম হল রুমান ইসলাম এবং সাব্বির ইসলাম। তুমি চাইলে তাদের সাথে দেখা করতে পারো।
হিশাম আমাকে নিয়ে ময়মনসিংহে আসে! তার দাদা দাদী এখন আর বেঁচে নেই। হিশামের পরিচয় পেয়ে তার চাচা চাচীরা খুশি হয়, এত বছর পর তাদের ভুল বুঝতে পারে। কিন্তু হিশাম সেখানে থাকেনি, শুধু তাদের সাথে দেখা করেই চলে আসে।
আমাদের বিয়ের দশ বছর পূণ্য হয়েছে, হিশাম নিজে এখন ব্যবসা অফিস দেখাশোনা করে! মাঝে মাঝে আমিও অফিসে যেয়ে হিশামকে হেল্প করি। আমাদের দুইজন ছেলেমেয়ে, ছেলে রিয়ান বয়স সাত আর মেয়ে অথৈয় বয়স তিন।
হিশাম ছেলেমেয়েদের অনেক ভালোবাসে! হিশাম এখন সবসময় বলে, জেরিন দেখো পৃথিবীতে আমার আপন কেউ ছিল না! কিন্তু আল্লাহ আমার মা বাবাকে আবার ফিরিয়ে দিয়েছে, আমার সন্তান দুইটা আমার মা বাবা।
আমার মা বাবা এখন আমাদের সাথে থাকে, হিশাম আম্মু আব্বুকে নিয়ে আসছে। আমি বলছিলাম শ্বশুর শাশুড়ী মেয়ের জামাইয়ে বাসায় থাকবে লোকে কি বলবে।
হিশাম আমার কথা না শুনে নিজে গিয়ে আম্মু আব্বুকে নিয়ে আসে। সে বলে লোকে যা বলার বলুক আমি মনে করব আমার শ্বশুর শাশুড়ী আমার নাম নিজের মা বাবা।
আব্বাসউদ্দীন চাচা মারা গিয়েছে কিছুদিন আগে, অনেক অসুস্থ হয়ে পড়ে ছিল। হিশাম আব্বাসউদ্দীন চাচাকে ঢাকায় এনে চিকিৎসা করিয়েছে আমাদের বাসায় রেখে তবু ভালো হয়নি।
আমি হিশামের মত পবিত্র মনের মানুষকে স্বামী হিসাবে পেয়ে নিজেকে ভাগ্যবতী মনে করি।
হিশাম আমাকে স্ত্রী হিসেবে পেয়ে সুখী, আমি যা বলি যা চাই হিসাম সবসময় আমার স্বপ্ন পূরণ করতে চায়। আমি আল্লাহর কাছে প্রাথনা করি আমাদের সংসারে যেন সুখ শান্তি চিরদিন অমলিন থাকে।
সমাপ্ত

🥴
06/07/2023

🥴

লোভ  #পর্ব_৩   #ভূতুরে_গপ্পোলেখিকা_jannat_Nur বিয়ে হয়েছে দেড় মাস, আমাদের এখনো শারীরিক সম্পর্ক হয়নি, কি করে হবে আমি চাইলে...
06/01/2023

লোভ
#পর্ব_৩ #ভূতুরে_গপ্পো
লেখিকা_jannat_Nur
বিয়ে হয়েছে দেড় মাস, আমাদের এখনো শারীরিক সম্পর্ক হয়নি, কি করে হবে আমি চাইলে তো আর হবেনা হিশামেরও তো চাইতে হবে। আমাদের মধ্যে দুজন দু'জনকে জড়িয়ে ধরা এতটুকুই হয়েছে।
ঘুমের মাঝে অনুভব করলাম আমার পেঁটের উপর হিশামের হাত, আমি চোখ খুলে চেয়ে দেখি হিশাম ঘুমায়নি কেমন ছটফট করছে, কি হয়েছে জানতে চাইলাম কিছু না বলে হিশাম আমাকে জড়িয়ে ধরলো তার বুকে। আমার সারা শরীর শিহরিত হয়ে গেলো, আমার এতদিনের স্বপ্ন আজ হিসাম সত্যি করে দিলো।
হিশামের জন্য ডাক্তার শফিক রহমান যে মেডিসিন গুলো দিয়েছিল সেগুলো প্রায় শেষ, আমার তো আবার ডাক্তার শফিক রহমানের সাথে দেখা করতে হবে! কিন্তু কি করে যাবো।
শাশুড়ী মাকে বললাম অনেকদিন যাবত বাসায় যাইনা, আব্বু আম্মুকে খুব দেখতে ইচ্ছে করছে।
আচ্ছা বিকেলে ড্রাইভার তোমাকে দিয়ে আসবে কাল সকালে নিয়ে আসবে।
আপনার ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে যাই।
না তার দরকার নেই, তুমি একা যাও।
বিকেলে আমি বাসায় গেলাম, ড্রাইভার আমাকে দিয়ে আসলো। সন্ধ্যার সময় আমি আব্বুকে নিয়ে ডাক্তার শফিক রহমানের কাছে গেলাম।
এই দেড় মাসে হিশাম অনেকটা সুস্থ হয়ে গেছে শুনে আগের দেওয়া ওষুধ গুলো নিয়মিত খাওয়াতে বললেন। আমি দুই মাসের ওষুধ কিনে নিলাম।
পরেরদিন সকাল এগারোটায় ড্রাইভার এসে হাজির আমাকে নিয়ে যাবার জন্য।
আমি শাশুড়ী মায়ের মন রাখতে তার সব কথা শুনে চলি, আমার উপর শাশুড়ী মায়ের অনেকটা বিশ্বাস জন্মে গেছে।
আজ সকালে হিশামের ভাইয়া হিশামের কাছে আসলো একটা ফাইল সাইন করাতে।
হিশাম ফাইলটা সাইন করে দিলো আমি কাছেই ছিলাম! উকি মেরে দেখলাম ষাট লক্ষ টাকার ডিল।
ভাইয়া চলে যেতে হিশামকে জিজ্ঞেস করলাম, সাইন তোমাকে করতে হয় কেন, আম্মু আছে ভাইয়া আছে তারা থাকতে তুমি সাইন কর, মানে বুঝলাম না।
আব্বু মারা যাবার পর থেকেই সবকিছুর সাইন আমাকে করতে হয়।
আই মিন সবকিছুর মালিক তুমি, আম্মু ভাইয়া থাকতে সবকিছুর মালিক তুমি কি করে হলে? মাথায় কিচ্ছু আসছেনা, তুমি কিছু জানো? জানলে প্লিজ আমাকে বল।
আমি মনে করতে পারিনা, তুমি তো জানো আমার অতীত স্মৃতি মনে নেই, একবার আব্বাসউদ্দীন চাচা আমাকে বলছিল এই সব সম্পদের মালিক তুমি! এই বাসা অফিস ব্যবসা সব তোমার। আম্মু চাচার কথা শুনে ফেলে চাচাকে মেরে বাসা থেকে বের করে দেয়। আর বলে কখনো যদি হিশামের আশেপাশে তোকে দেখি চোর বলে পুলিশে দেবো।
আচ্ছা তুমি কি জানো ওই চাচা থাকে কোথায়।
মনে নেই, কিন্তু আমি মনে করবো, যখন মনে পড়বে তোমাকে জানাবো।
হিশাম গম্ভীরমুখে ভাবতে শুরু করে দিলো, আমি বুঝতে পারলাম হিশামের জীবনের সাথে কোন অজানা রহস্য জড়িয়ে আছে। আব্বাসউদ্দীন চাচাকে খুঁজে পেলেই এই রহস্যের জট খুলবে।
মাঝরাতে হিশাম আমাকে ডেকে বলছে, জেরিন তারাতাড়ি উঠো, আমার মনে পড়ছে আব্বাসউদ্দীন চাচা কোথায় থাকে।
হ্যাঁ জান বল, তোমার যা যা মনে পড়ে সব বল।
আমি তখন সিক্সে পড়ি সম্ভবত, চাচা একদিন আমাকে তার বাসা দেখাতে নিয়ে গিয়েছিল যাত্রাবাড়ী বস্তিতে! অনেকদিন হয়ে গেলো সেখানে চাচা আছে কি না।
যে করেই হোক চাচাকে খুঁজে বের করব, যদি সে বেঁচে থাকে।
চাচাকে খুঁজে বের করতে হলে হাতে কয়েকদিনের সময় নিয়ে যেতে হবে, শাশুড়ী মাকে বললে একদিনের জন্য বাবার বাসায় যেতে দিবে! একদিনে তো চাচাকে খুঁজে না ও পেতে পারি।
আব্বুকে ফোন করে বললাম শাশুড়ী মাকে বলতে, আমার মা অসুস্থ, তাই আমি যেন কয়েকদিন আম্মুর কাছে গিয়ে থাকি।
শিখানো কথা অনুযায়ী আব্বু আমার শাশুড়ীকে ফোন দিয়ে বলল আমার মায়ের অসুখের কথা।
শাশুড়ী ৭ দিনের জন্য আমাকে বাবার বাসায় যেতে দিলো। হিশামকে সাথে করে নিতে চাইলাম শাশুড়ী মা রাজী হলো না।
যাবার আগে হিশামকে বলে গেলাম সাবধানে থাকতে! আর তাদের সাথে ভালো ভাবে অভিনয় করতে, তারা যেন কোন ভাবেই বুঝতে না পারে হিশাম এখন সুস্থ।
৭ দিন হিশামকে ছেড়ে থাকব শুনে হিশামের চোখে পানি দেখা যাচ্ছে।
জেরিন তুমি আমাকে রেখে যাচ্ছো আমার খুব কষ্ট হচ্ছে, এই কয়দিন তোমাকে ছেড়ে কিভাবে থাকব? তুমি ছাড়া কেউ তো আমাকে ভালোবাসে না।
আরে পাগল কাঁদছো কেন, আমি কিসের জন্য যাচ্ছি তুমি তো জানো! চাচাকে খুঁজে পেলে দুই চারদিনের মধ্যে চলে আসবো।
অনেক বুঝিয়ে হিশামকে শান্ত করে আমি চলে আসলাম। বাবার বাসায় এসে পুরো ঘটনা আম্মু আব্বুকে বললাম! সব শুনে আব্বু বলল, কাল সকালে আমরা যাত্রাবাড়ী বস্তিতে যাবো।
সকালে নাস্তা করে আব্বু আর আমি বের হলাম যাত্রাবাড়ীর উদ্দেশ্যে। বস্তিতে গিয়ে অনেকজনের কাছে জানতে চাইলাম আব্বাসউদ্দীন নামে কাউকে চিনে কি না, কারো কাছ থেকে জানতে পারলাম না।
আব্বু বলল, অনেকদিন আগের কথা, হয়তো আব্বাসউদ্দীন অনেক আগে এখান থেকে চলে গেছে! তাই কেউ তার খুঁজ দিতে পারছেনা।
আব্বুর যুক্তি আমি মানতে পারছি না, কেউ না কেউ তো আব্বাসউদ্দীন চাচার কথা মনে রাখছে, দরকার হলে পুরো বস্তির ঘরে ঘরে গিয়ে খুঁজবো।
সকাল দশটায় আসছি বিকেল পর্যন্ত খুঁজলাম, আব্বু বলল চল আজ বাসায় চলে যাই কাল আরেকবার এসে খুঁজে দেখবো।
চলে আসলাম সেখান থেকে, হাজারো চিন্তা ঘুরপাক খাচ্ছে আমার মাথায়। যদি চাচাকে খুঁজে না পাই তাহলে কি হয়েছে, কিসের জন্য হিশামকে মা হয়ে পাগল বানিয়ে রাখছে কিছুই জানতে পারব না।
রাতে তেমন ঘুম হলো না, চাচাকে না পাওয়ার চিন্তায়। হিসাম আমাকে ছাড়া কেমন আছে সেই চিন্তা।
আসার সময় হিসাম ছলছল চোখে তাকিয়ে ছিলো, ভাবতেই এখন আমার বুকের ভিতর মুচড় দিয়ে উঠলো। অনেক ভালোবাসি আমি হিশামকে, সেও আমাকে অনেক ভালোবাসে! না হলে আমি ক'দিন থাকব না শুনে কান্না করতো না।
হিশামকে দেখলে যে কারো মায়া হবে, কিন্তু তার নিজের ফ্যামিলির লোকেরা তার সাথে কেন মানসিক ভাবে অত্যাচার করে, কি কারণ! কি অপরাধ করছে হিশাম। চাচাকে পেলে সব জানা যাবে।

হিশামকে দেখলে যে কারো মায়া হবে! কিন্তু তার নিজের ফ্যামিলির লোকেরা তার সাথে কেন মানসিক ভাবে অত্যাচার করে কি? কারণ, কি অপরাধ করছে হিশাম। আব্বাসউদ্দীন চাচাকে পেলে সব জানা যাবে।
না ঘুমিয়ে রাতটা পার করলাম, সকাল হতেই আব্বুকে বললাম, নাস্তা করে তাড়াতাড়ি চল বস্তিতে যাবো।
আরে মা এতো পাগল হচ্ছিস কেন যাবো তো, শুন আল্লাহ চাইলে সব সম্ভব, আমরা আব্বাসউদ্দীনকে অবশ্যই খুঁজে পাবো! আল্লাহ যদি আমাদেরকে সাহায্য করেন।
আব্বুর কথা শুনে চিন্তা ছেড়ে দিলাম, আব্বু তো ঠিকই বলেছেন! আল্লাহ যদি আমাদেরকে সবকিছু জানাতে চায় অবশ্যই আমরা সত্যিটা জানতে পারবো।
বস্তির প্রতিটা ঘরে গিয়ে জিজ্ঞেস করছি! এক লোক বলল, আব্বাসউদ্দীন নামে একজন আমাদের বস্তিতে ছিলো, সে তো অনেকদিন আগে এখান থেকে চলে গেছে। তার এক আত্নীয় আছে, ওই যে রাস্তার মোড়ে দোকান সেখানে যান জানতে পারবেন, আব্বাসউদ্দীন এখন কই থাকে।
লোকটার কথা মত দোকানীকে গিয়ে জিজ্ঞেস করলাম আব্বাসউদ্দীন চাচার বিষয়ে।
আব্বাসউদ্দীন এখান থেকে চলে গেছে প্রায় পাঁচ বছর, আব্বাসউদ্দীন বছর দুই আগে আমার কাছে আসছিল একটা দরকারে। তখন সে বলেছে, সে না কি কুমিল্লা মুরাদনগর তার গ্রামের বাড়িতে থাকে।
আংকেল আপনি কি চাচার বাড়ির ঠিকানা জানেন।
জানি, কুমিল্লা মুরাদনগর গিয়ে, রিক্সায় করে মুরাদনগর ভূমি অফিসের সামনে যেয়ে! বামে ঘুরে পিছনে দেখবে আব্বাসউদ্দীনের বাড়ি। যদি বাড়ি চিনতে না পারো যে কাউকে জিজ্ঞাস করলে বাড়ি দেখিয়ে দেবে।
দোকানদার আংকেলকে ধন্যবাদ দিয়ে আব্বুকে বললাম, আমি বাসায় চলে যাই। তুমি সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে গিয়ে কুমিল্লা যাবার জন্য দুইটা টিকিট কেটে নিয়ে আসো, রাতের বাসে কুমিল্লা যাবো।
রাতে খাবার পর আব্বু আর আমি রেডি হয়ে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালের আসলাম। রাত নয়টায় বাস ছাড়লো, আমি বরাবরই বাসে উঠলে ঘুমিয়ে পড়ি আজো ঘুমিয়ে পড়লাম।
হঠাৎ করে ঘুম ভেঙে গেলো, স্বপ্নে দেখলাম হিশাম খুব মন খারাপ করে বসে আছে, খাবার খাচ্ছেনা। স্বপ্নটা দেখে মনটা অন্তত খারাপ হয়ে গেলো। আর ঘুমাতে পারলাম না, হিশামের মুখ শুধু চোখের সামনে ভাসছে।
ভোর সাড়ে চারটার দিকে কুমিল্লা গিয়ে নামলাম! সেখান থেকে মুরাদনগরের বাসে উঠে মুরাদনগর গেলাম। রিক্সা নিয়ে ভূমি অফিসের সামনে এসে একজনকে জিজ্ঞেস করলাম আব্বাসউদ্দীন চাচার বাসা কোথায়। লোকটা সাথে করে আব্বাসউদ্দীন চাচার বাসায় নিয়ে গেলো আমাদেরকে। চাচা অসুস্থ অবস্থায় শুয়ে আছে, আমি সালাম দিয়ে পরিচয় দিলাম।
চাচা আমি জেরিন হিশামের বউ, হিশামকে মনে আছে আপনার? আপনি যাকে ছোট বেলায় দেখাশোনা করছেন।
মা তুমি আমার হিশামের বউ? আমার হিশাম কেমন আছে? সে এখন অনেক বড় হয়েছে! সেই ছোট্ট রেখে আসছি। জানো হিশামকে আমি অনেক আদর যত্নে বড় করেছি, অনেক বছর হয়ে গেলো আমার হিশাম বাবাকে দেখিনা খুব দেখতে ইচ্ছে করে।
যখন খুব দেখতে ইচ্ছে হয়, তাহলে কেন এতো গুলো বছরে একবার হিশামের খুঁজ নেননি? সে কি ভাবে আছে, ভালো আছে না খারাপ আছে অন্তত একবার খুঁজ নিতেন।
কি করে খুঁজ নেবো, ভয়ে হিশামের সাথে কখনো দেখা করতে পারিনি। আর হিশাম বাবাকে তো রাজিয়া বেগম বাসা থেকে বের হতে দেয়নি। আচ্ছা মা এবার বলো তুমি আমার খুঁজ পেলে কিভাবে আর কেন আসছ।
হিশাম আপনার নাম বলেছিল, আপনি না কি অনেক কিছু জানেন যা হিশাম জানেনা। হিশামের অতীত স্মৃতি মনে নেই, তাই তার কাছ থেকে আমি কোনকিছু জানতে পারিনি! আমার মনে একটাই প্রশ্ন কেন আপন মা ভাই হয়ে হিশামকে পাগল বানিয়ে রাখছে।
মা, কাকে বলছ মা ওই রাক্ষসী রাজিয়া বেগমকে! সে তো হিশামের কেউ হয়না।
চাচা আপনি কি বলছে শাশুড়ী মা হিসামের মা না? তাহলে হিশামের মা কোথায়! তাহলে কি আকিব ভাইয়া হিশামের ভাই হয়না। চাচা আপনি পুরো ঘটনা বলুন।
হিশাম যখন তার মায়ের পেটে তখন হিশামের বাবা রোড এক্সিডেন্টে গুরুতর আহত হয়! কয়েকদিন হাসপাতালে থাকার পর মৃত্যু হয়। মরা যাবার আগে সব সম্পত্তি হিশামের মা হাফসা আহম্মেদের নামে দলিল করে দেন। হিশামের বাবার মৃত্যুর পরে সমস্ত ব্যবসা হাফসা আহম্মেদ নিজ হাতে সামলায়। হাফসা ম্যামকে ব্যবসা দেখাশোনায় সাহায্য করেন ম্যানেজার রকিবুল্লা! রকিবুল্লা হলো রাজিয়া বেগমের স্বামী আর আকিবের বাবা।
হিশাম বাবা যখন চার বছর, হাফসা ম্যামের দুইটা কিডনি নষ্ট হয়ে যায়! অনেক ডাক্তার দেখিয়েছে মাদ্রাজ, আমেরিকাতেও গিয়েছে। ডাক্তার বলছে লাষ্ট মুহূর্তে সমস্যা ধরা পড়ছে তাই আর বাঁচানো সম্ভব না। তিন মাসের সময় বেঁধে দেন হাফসা ম্যামের।
আপনি বলছেন হিশামের বাবা এক্সিডেন্টে মারা গেছে হিশাম জন্মের আগে! হিশাম তো বলল, সে যখন ক্লাস নাইনে পড়ে তখন তার বাবা মারা গেছে। আর সেই থেকে সমস্ত কিছুর সাইন হিশামকে করতে হয়, এটাই বুঝতে পারছিনা।
হিশামের মা আর বাচঁবে না এটা শোনার পর উকিল ডেকে এনে সবকিছু হিশামের নামে উইল করে দেন। উইলে লেখা ছিলো, আমি আমার সব সম্পত্তি অফিস ব্যবসা আমার একমাত্র পুত্র হিশাম আহম্মেদের নামে উইল করে দিলাম। হিশাম যখন প্রাপ্ত বয়স্ক হবে এবং বিয়ে করে সন্তানসন্ততি হবে তখন সে এই সহায়সম্পত্তি আসল মালিক হবে। হিশাম সাবালক না হওয়া পর্যন্ত সবকিছু দেখাশোনা করবে রকিবুল্লা! আমি তাকে পাওয়ার অফ এটোনি দিয়ে গেলাম।
ওহ এই হলো মূল ঘটনা, তাহলে হিশামকে ড্রাগস মেডিসিন সেবন করানো হলো কেন।
হিশাম খুব মেধাবী শিক্ষার্থী ছিলো, সকল ক্লাসে প্রথম হতো। হাফসা ম্যাম মারা যাবার সময় আমাকে ডেকে নিয়ে হিশামকে আমার হাতে দিয়ে বলেছিল, আমি বেঁচে থাকতে তুমি হিশামের যেভাবে দেখাশোনা করছ আমি মরে যাবার পর সেভাবে দেখাশোনা করবে! আব্বাস কথা দাও আমাকে।
আমি হাফসা ম্যামকে কথা দিয়েছিলাম হিশামকে নিজের সন্তানের মত আদর যত্ন করে বড় করব।
লেখাপড়ায় হিশাম মেধাবী ছিল বলে রাজিয়া বেগমের হিংসা লাগে, আকিব লেখাপড়াতে ভালো ছিল না।
নিজের ছেলে মানুষ হতে পারবেনা অন্যের ছেলে ভালো হবে এটা রাজিয়া বেগম মানতে পারেনি। হিশামকে সে এই ড্রাগস ওষুধ গুলো নিয়মিত খেতে দেন। আমি প্রতিবাদ করতে গেলে বলে তুই চাকর চাকরের মত থাক।
রাজিয়া বেগমের স্বামী ম্যানেজার রকিবুল্লা কি সব জানতেন, হিশামকে ড্রাগস খাওয়ানো হচ্ছে।
না সে জানতেন না, সে ভালো মানুষ ছিলেন! আমি তাকে বলেছিলাম আপনার স্ত্রী ছেলে মিলে হিশাম বাবাকে ক্ষতিকারক ওষুধ খাওয়াচ্ছে। সে তার স্ত্রী আর ছেলেকে মারধর করে আর বলে যদি কখনো হিশামের ক্ষতি করতে চাও তাহলে আমি নিজে তোমাদেরকে পুলিশের হাতে তুলে দেবো।
রাজিয়া বেগম নিজের ভুল স্বীকার করে, সে আর কখনো এমন কাজ করবে না বলে রকিবুল্লাকে কথা দেয়। এর কিছুদিন পর রকিবুল্লা মারা যায়।
রকিবুল্লা আংকেল কিভাবে মারা গেছে?
সুস্থ মানুষ ছিল, রাতে খাবার পর শুয়েছিল। সকালে রাজিয়া বেগমের চিল্লাপাল্লাতে ঘুম ভেঙে যায় আমার। গিয়ে দেখি রকিবুল্লা মারা গেছে, রাজিয়া বেগম বলল, কিছুক্ষণ আগে প্রেসার বেড়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে, পানি ঢালছিলাম, মারা গেলো! অনেক কাঁন্নাকাটি করলো রাজিয়া বেগম ও আকিব। কিন্তু আমার মনে সন্দেহ হয়েছে।
কি রকম সন্দেহ, রকিবুল্লাকে আংকেলকে মেরে ফেলা হয়েছে।
হ্যাঁ সেরকম সন্দেহ হয়েছে, সন্দেহ করার কারণ আছে! রকিবুল্লার কখনো হাই প্রেসার ছিল না।
চলবে,,,,

তেমন কিছু না,আম্মু ৫মিনিট পর চুলা বন্ধ করতে বলছিল🥲এমন পাপী কি আমি একাই? 🙂
05/20/2023

তেমন কিছু না,আম্মু ৫মিনিট পর চুলা বন্ধ করতে বলছিল🥲
এমন পাপী কি আমি একাই? 🙂

লোভ  #পর্ব_০২লেখিকা_jannat_Nur   #ভূতুরে_গপ্পোআমি যত হিশামের কথা শুনছি ততই রহস্যের অতল গহীনে ডুবে যাচ্ছি। নিজের ছোট ভাই ...
05/10/2023

লোভ
#পর্ব_০২
লেখিকা_jannat_Nur #ভূতুরে_গপ্পো
আমি যত হিশামের কথা শুনছি ততই রহস্যের অতল গহীনে ডুবে যাচ্ছি। নিজের ছোট ভাই মোবাইল ধরছে বলে তার গায়ে বড় ভাই হয়ে কিভাবে পারলো হাত তুলতে। আর নিজের মা হয়ে ছেলেকে পাগল বলে, সে তো পারতো হিশামকে মোবাইল কিনে দিতে! টাকা পয়সার তো কোন অভাব নেই তাদের।
কেন তারা হিশামের সাথে এমন ব্যবহার করে, কিছুই বুঝতে পারছিনা, আমাকে জানতেই হবে।
হিশামকে অনেক ভাবে জিজ্ঞাস করলাম কেন মা ভাই তোমার সাথে এমন ব্যবহার করে? আমার কথার উত্তর হিশাম দিতে পারে না। সে শুধু বলে আমি অসুস্থ, আমি না কি তাদের কথা শুনি না তাই আমার সাথে এমন করে। হিশামের উত্তরে আমি কোন যুক্তি খুঁজে পাইলাম না তার সাথে খারাপ আচরণ করার।
আমি আম্মু আব্বুকে সবকিছু খুলে বললাম, আর বললাম আমাকে কিছু টাকা দিতে আমি হিশামকে মানসিক ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবো! আমি দেখতে চাই আসলে তার সমস্যাটা কোথায়।
পরেরদিন সন্ধ্যায় হিশামকে নিয়ে গেলাম মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার শফিক রহমানের চেম্বারে। ডাক্তার হিশামকে দেখে হিশামের সাথে কথা বলে, আমাকে জানালেন।
শুনেন আমার মনে হয় আপনার স্বামীর মানসিক সমস্যা নেই! কিন্তু আপনি বলছেন সে ভয় পায় আর তার কোন কথা মনে থাকেনা, এটা কেন হচ্ছে বুঝতে পারছিনা। তাই কিছু টেস্ট দিচ্ছি করিয়ে আমাকে রিপোর্ট গুলো দেখান।
ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী টেস্ট গুলো করালাম, দুই ঘন্টা পর রিপোর্ট পেলাম, রিপোর্ট দেখে ডাক্তার বলল।
মিস্টার হিশামের মানসিক কোন প্রব্লেম নেই, তার মস্তিষ্ক সুস্থ স্বাভাবিক, তার ব্লাডে একটু প্রব্লেম পাওয়া গিয়েছে! তাকে অনেকদিন যাবত ড্রাগস জাতীয় মেডিসিন সেবন করানো হয়।
ডাক্তারের কথা শুনে আমি ওষুধ গুলোর নাম বললাম যে গুলো হিসামকে খাওয়ানো হয়, ওষুধের নাম শুনে ডাক্তার শফিক রহমানের চোখ বড় হয়ে গেলো।
মিসেস জেরিন আপনি কি বলছেন, আপনি যে মেডিসিনের নাম বললেন সেই মেডিসিন গুলো মানুষের জন্য খুব ক্ষতিকারক। এই ওষুধ বেশিদিন সেবন করলে মানুষ মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে যায়। এই ওষুধের প্রভাবে মস্তিষ্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয় অবশেষে পাগলে পরিনত হতে হয় সেবনকারীকে।
ডাক্তারের কথা শুনে আমার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার উপক্রম, কিছুই ভাবতে পারছিনা আমি! কিসের জন্য বা কি কারণে মা হয়ে ছেলেকে পাগল বানিয়ে রাখছে।
আমি ডাক্তার শফিক রহমানকে বললাম, এখন হিশামকে সুস্থ করে তুলবো কিভাবে? যে ভাবেই হোক তাকে সুস্থ করতে হবে।
আমি কিছু মেডিসিন লিখে দিচ্ছি সেগুলো নিয়মিত খাওয়ান ইনশাল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবে। দেখবেন ড্রাগস জাতীয় মেডিসিন গুলো যেনো আর না খাওয়ানো হয়, তাহলে কিন্তু আপনার হাসবেন্ড সুস্থ হবেনা।
বাসায় এসে হিশামকে বুঝিয়ে বললাম আমরা যে ডাক্তারের কাছে গিয়েছি সে যেনো বাসায় গিয়ে কাউকে না বলে।
হিশাম আমাকে কথা দিলো সে কাউকে এই বিষয়ে বলবেনা। আমার বাসায় ৬ দিন ধরে আছি শাশুড়ী মা ফোন করে বলে দিয়েছে কাল চলে যেতে।
আমি খুবই চিন্তায় পড়ে গেলাম, তাদের বাসায় গেলে তো হিশামকে আবার ড্রাগস মেডিসিন গুলো খাওয়াবে। আর আমি যেই ওষুধ গুলো হিশামকে খাওয়াচ্ছি সেগুলো যদি শাশুড়ী মা দেখে ফেলে তাহলে খাওয়াতে দিবেনা, কি করব। যাই হোক ওষুধ গুলো আমি ব্যাগে লুকিয়ে নিয়ে যাবো আর সময় বুঝে লুকিয়ে খাওয়াবো।
হিশামের বাসায় যাবার পর শাশুড়ী মা দৌড়ে এসে হিশামকে জড়িয়ে ধরে বললেন।
আমার ছেলেটা কয়েকদিন বাসায় ছিল না বাসাটা পুরো খালি খালি লাগছে, সবসময় শুধু টেনশন হয়ছে, বাবা তুই ঠিক আছিস তো।
আম্মু আমি ভালো আছি, জেরিন আমার খেয়াল রেখেছিল, আমারও তোমার কথা মনে পড়েছে! জীবনে প্রথম বাহিরে কোথাও থাকলাম তোমাকে ছাড়া।
মা ছেলের ইমোশনাল কথাবার্তা শুনে আমি থ মেরে দাঁড়িয়ে আছি। শাশুড়ী মা ছেলেকে এতো ভালাবাসা দেখাচ্ছে, তাহলে ছেলের ক্ষতি হবে এমন ওষুধ খাওয়াচ্ছে কেন। না কি অন্য কারো চক্রান্ত হতে পারে! তাই শাশুড়ী মাকে আমার সবকিছু বলতে হবে।
রাতে খাবার পর শাশুড়ী মা হিশামকে খাওয়ানো জন্য ড্রাগস মেডিসিন নিয়ে আসবে, তার আগেই শাশুড়ী মাকে এই মরণ নাশক মেডিসিনের ব্যাপারে বলতে হবে।
আম্মা আপনার সাথে কিছু জরুরী কথা ছিলো, না বললেই নয়, আপনি কি শুনবেন আমার কথা গুলো।
কেন শুনবো না মা, তুমি আমার ছেলের বউ, তুমি যা বলতে চাও মন খোলে বল।
হিশামকে যে মেডিসিন গুলো অনেকদিন যাবত খাওয়াচ্ছেন, সেগুলো ড্রাগস জাতীয় মেডিসিন! এই মেডিসিন সেবনের প্রভাবে হিশাম মানসিক সমস্যায় ভুগছে।
কি বলছো তুমি আবোল তাবোল, আমি হিশামের মা, আকিব আর রিমি হিসামের ভাই ভাবী! এখানে কেউ হিশামের পর না। ডাক্তার অনেক পরীক্ষানিরীক্ষা করে এই মেডিসিন খেতে দিয়েছে, আর এই মেডিসিন খেয়ে হিশাম ভালো আছে, না হলে পাগলামি করতো।
মা আপনি বিশ্বাস করছেন না তো ঠিক আছে! আমি আপনাকে এই শহরের নামকরা মানসিক ডাক্তার শফিক রহমানের কাছে নিয়ে যাবো। আপনি নিজের কানে শুনে আসবেন, এই মেডিসিন কতটা ক্ষতিকর! এই মেডিসিনের জন্য হিশাম মানসিক ভাবে অসুস্থ।
কথা গুলো বলে আমি শাশুড়ী মায়ের রুম থেকে বেড়িয়ে আসতে পা বাড়াতেই শাশুড়ী মা আমার হাতটা ধরে ফেললেন। কেন হাত ধরল বুঝে উঠতে না পাড়ার আগেই শাশুড়ী মা বলতে শুরু করল।
দেখো জেরিন আমি যখন তোমাকে বিয়ের জন্য দেখতে গিয়েছিলাম, তখন তোমাকে বলছিলাম আমার সমস্ত কথা তোমাকে শুনতে হবে রাখতে হবে।
শাশুড়ী মাকে জিজ্ঞেস করলাম কি কথা রাখতে হবে বলুন।
হিশামকে যে মেডিসিন খাওয়াচ্ছি সেগুলো রেগুলার খাওয়াতে হবে, এই মেডিসিন যাই হোক তুমি কাউকে এটার ব্যাপারে কিছু বলবেনা। তোমাকে আমি বিয়ে করিয়ে আনছি তুমি আমার কথা শুনবে আশা করি। তোমার ভালো হবে, আর যদি বাড়াবাড়ি কর আমাদের কিছুই করতে পারবেনা বরং তোমার নিজের ক্ষতি হবে।
আপনি মা হয়ে ছেলের জীবন শেষ করে দিচ্ছেন, আবার বলছেন আমাকে আপনার সাথে হাত মেলাতে!হিশাম আমার স্বামী, তার কোন ক্ষতি আমি চাইব না। আর বললেন আমার ভালো হবে কি ভালো হবে বলেন শুনি।
তুমি আমার কথা মত চললে, বসুন্ধরায় আমাদের জমির প্লট আছে সেটা তোমার নামে লিখে দিবো! সেই জমির বাজারদর প্রায় পঞ্চম লক্ষ টাকা, তুমি চাইলে আরো টাকা দেবো।
আচ্ছা দিবেন বুঝলাম সেই জমি তো হিশামের, তার জমি আমাকে দিবেন তার জীবন নষ্ট করতে? আপনি কি সত্যি হিশামের মা, ভাবতে অবাক লাগছে।
আমার কথা রাখবে কি না, হ্যাঁ বা না বল।
আমি ভয় পেয়ে গেলাম শাশুড়ী মায়ের রুক্ষমূর্তি রুপ দেখে, এই মহিলা যা খুশী করতে পারে নিজের জন্য। হয়তো আমাকে মেরে ফেলতে পারে তার কথা না মানতে চাইলে।
আমি রাজী হলাম তার প্রস্তাবে, বললাম আমাকে জমি লিখে দিতে হবে যদি দেন আপনার সব কথা রাখবো।
শাশুড়ী মা বললেন অবশ্যই লিখে দেবো।
আমি রুমে যেয়ে দেখি হিশাম মোবাইলে আমার পিকচার দেখছে, আমাকে দেখে হাসি হাসি মুখ করে বলল, জেরিন তুমি খুব সুন্দরী, ঠিক যেনো পরীর মতো।
হিশামকে বললাম তুমি পরী দেখেছ, কিভাবে জানলে আমি পরীর মতো সুন্দরী।
দেখিনি কিন্তু শুনেছি পরীরা খুব সুন্দরী হয়, তুমি সুন্দরী তাই আমার চোখে তুমি পরীর মতো সুন্দরী।
আজ প্রথম হিশাম আমাকে ভালো করে দেখছে মনে হয়, আমি তাকে বললাম, আমি সুন্দরী না পঁচা। সুন্দরী হলে আমার বর আমাকে ভালোবাসতো আদর করতো।
আমার কথা শুনে হিশাম কি যেনো ভাবলো, সে আমার কাছে এসে হাত ধরে বললো, সত্যি জেরিন তুমি খুব সুন্দরী। আমি তোমাকে ভালোবাসি, তুমিতো জানো আমি অসুস্থ, মানুষ দেখে ভয় পেতাম, এখন কিন্তু ভয় পাইনা তেমন। তুমি যদি আমার পাশে থাকো আমি সুস্থ হয়ে যাবো।
হিশামের মুখে এমন কথা শুনে আমার চোখে জল চলে আসছে, আমি তাকে জড়িয়ে ধরছি, হিশাম আমার স্পর্শ পেয়ে কেঁপে উঠল! তার হাত দুইটা আমার পিঠের উপর রেখে আমাকে শক্ত করে চেপে ধরল তার বুকের সাথে।
হিশামের শরীরের স্পর্শ আমাকে পাগল করে দিয়েছে! এতো দিনের অপেক্ষা আজ হয়তো পূরণ হবে।
দরজায় নক করার শব্দ শুনে আমরা দুজন দুজকে ছেড়ে দিয়ে উঠে দাঁড়ালাম, শাশুড়ী মা আসছে হিশামকে মেডিসিন খাওয়াতে।
আমার কলিজা ফেটে যাচ্ছে আমি পারছিনা আমার স্বামীকে রক্ষা করতে। শাশুড়ী মা চলে যাবার পর হিশাম আমাকে বলল, জেরিন আমি তো ভালো হবো না এই ড্রাগস মেডিসিন খেলে।
অবশ্যই তুমি ভালো হবে, শুনো আমি যা বলছি তুমি তাই করবে, আম্মা যখন তোমাকে মেডিসিন খেতে দিবে তুমি মুখে পানি নিয়ে পানিটা গিলে খেয়ে ফেলবে! তারপর টেবলেট গুলো মুখে দিবে, টেবলেট গুলো জিভের নিচে রেখে আবার পানি খাবে যেনো আম্মা বুঝতে না পারে।
সেদিনের পর থেকে আমার কথা মত হিশাম অভিনয় করে যাচ্ছে, আমি যে ওষুধ গুলো নিয়ে আসছি সেগুলো নিয়মিত খাওয়াচ্ছি।
হিশাম এখন আগের থেকে অনেক নরমাল, কিন্তু আমি হিশামকে সাবধান করে দিয়েছি সে যেনো বাসার সবার সাথে আগের মত ব্যবহার করে। তারা যেনো মনে করে তাদেরকে দেখে হিশাম ভয় পায়।
বিয়ে হয়েছে দেড় মাস, আমাদের এখনো শারীরিক সম্পর্ক হয়নি। কি করে হবে আমি চাইলে তো আর হবেনা, হিসামেরও তো চাইতে হবে। আমাদের মধ্যে দুজন দু'জনকে জড়িয়ে ধরা এতটুকুই হয়েছে।
ঘুমের মাঝে অনুভব করলাম আমার পেঁটের উপর হিশামের হাত! আমি চোখ খুলে চেয়ে দেখি হিশাম ঘুমায়নি কেমন ছটফট করছে। কি হয়েছে জানতে চাইলাম কিছু না বলে হিশাম আমাকে জড়িয়ে ধরলো তার বুকে। আমার সারা শরীর শিহরিত হয়ে গেলো, আমার এতদিনের স্বপ্ন আজ হিশাম সত্যি করে দিলো।
চলবে,,,,

আপনি গাছের যত্ন নিন, গাছও আপনার যত্ন নিবে😜😜"গাছ লাগান পরিবেশ বাঁচান"🙂
05/06/2023

আপনি গাছের যত্ন নিন, গাছও আপনার যত্ন নিবে😜😜
"গাছ লাগান পরিবেশ বাঁচান"🙂

বয়স ১৬ হোক কিংবা ৬১, চিন্তা কারো পিছু ছাড়েনা। 😢
05/04/2023

বয়স ১৬ হোক কিংবা ৬১, চিন্তা কারো পিছু ছাড়েনা। 😢

Address

2847 University Street
Seattle, WA
98101

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when ভূতুরে গপ্পো posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to ভূতুরে গপ্পো:

Videos

Share


Other News & Media Websites in Seattle

Show All

You may also like