Masuda Begum

Masuda Begum This video Tutorial helps to learn how to make an Very easy Decoration ball paper. Here you gain How to Make a Origami Paper Honeycomb Ball -2018 Tutorial.

As of my last knowledge update in hours, I have real-time information. Therefore, I can provide the latest trending news. To find the most recent and trending news, I recommend checking reliable news websites, social media platforms, or news apps for the latest updates. Topics can vary widely, including current events, entertainment, technology, sports, and more. Please always verify information from multiple sources to make sure it's accurate and reliable.

02/02/2024
09/27/2023
তিন বোন
03/09/2022

তিন বোন

02/02/2022

৭৫ সালের বাজার দর ۔۔۔

11/30/2021

পরিচয় গোপন রাখা এক ডিভোর্সি বোনের খোলাচিঠি:
জানিনা, আমি কেন লিখছি। হয়তো এজন্য কারণ আমি চাই আর কেউ আমার মতো ভুল না করুক। হয়তো এজন্য কারণ আমি চাই ঠুনকো কারণে সংসারগুলো ভেঙে না পড়ুক।
আমি ঊনিশ বছর বয়সী একজন নারী। আমাদের বিয়ে হয়েছিল আমার পছন্দে। সংসারও টিকে ছিল দের বছর। আমাদের একটা ছেলেও আছে, ওর বয়স এক বছর।
আমার স্বামীর স্বভাব-চরিত্র সবই বেশ ভালোই ছিল। শুধু একটু জেদি । অবশ্য তাও সবসময় না, মাঝেমধ্যে। মানুষ ভাবে ওর বদ জেদের জন্যই বুঝি আজ এই অবস্থা, কিন্তু আমি জানি, আমাদের সমস্যার শুরুটা ওর দিক থেকে হয় নি।
সব সংসারেই তো টুকটাক কিছু সমস্যা থাকে। ওরকম আমাদের মধ্যেও মাঝেসাঝে ঝগড়া-ঝাটি হতো। কিন্তু ঝগড়া বাধলেই আমি তল্পিতল্পা গুছিয়ে বাপের বাড়ির দিকে হাঁটা দিতাম। বাপের বাড়িতে বোনরাও আসতো, আর ভাইরা তো ছিলই। ওদের কাছে কেদেকেটে সব বলতাম। তখন সবাই ওকে ফোন করে কথা শোনাত। আমার ছোট বোন তো রীতিমত অপমান করত!
আমার কাছেও মনে হতো, ঠিকই আছে। কত বড় সাহস, আমার সাথে লাগতে আসে। আমাকে নিজের মতো চালাতে চায়। আমার মধ্যে কেমন একটা জেদ কাজ করতো। ওর কাছে ছোট হব, ওর কাছে নিজের ভুল স্বীকার করব, মাফ চাইব, এটা ভাবতেই পারতাম না। উল্টো বড় গলা করে বলতাম, “ডিভোর্স দাও! তোমার মতো লোকের সাথে কে সংসার করে?”
নাহ, ডিভোর্স আমি কখনোই মন থেকে চাই নি। ওটা ছিল মুখের কথা।
ওর সামনে ছোট হওয়ার চাইতে ডিভোর্স চাওয়াই আমার কাছে সঠিক মনে হতো।
একদিনের কথা এখনও মনে পড়ে। সেদিন ছোট একটা ব্যাপার নিয়ে তর্ক করতে করতে দুজনেই খুব উত্তেজিত হয়ে পড়েছি। রাগে আমার শরীর কাঁপছে। যা মুখে আসছে তাই বলছি। তুই-তোকারি, গালিগালাজ, অপমান কিচ্ছু বাদ যায় নি। এক পর্যায়ে সহ্যের বাধ ভেঙে ও আমার গায়ে হাত তুললো!
এর আগে কিংবা পরে কখনোই ও আমার গায়ে হাত তুলে নি। কিন্তু ঐ একটা থাপ্পড়, ওটাই যথেষ্ট ছিল।
আমি বাপের বাড়ি চলে গেলাম। আর হ্যাঁ বরাবরের মতো এবারও নিজের দিকটা না বলে খালি ওর দিকটাই বলে গেলাম। মানুষের দোষ দিয়ে আর কী লাভ! সবাইকে যা বলেছি, সেটার উপর ভিত্তি করেই তারা বিচার করেছে। পরিবারের সবাই বললো, এমন ছেলের সাথে সংসার করার কোনো দরকার নাই। মামলা ঠুকে দাও।
আমি সবার পরামর্শে মামলা করলাম।
ওর নামে নারী নির্যাতনের কেইস করা হল। খুব দ্রুতই ওকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেল। ওর পরিবার থেকে মুরুব্বিরা এসে বার বার অনুরোধ করল, আমি যেন এই কেইস তুলে নিই।
ভেতরে ভেতরে আমিও চিন্তা করতাম, আচ্ছা, আমার স্বামী কি আসলেই জালেম? ও কি কোনদিন নিজে থেকে আমার গায়ে হাত তুলেছে? আমি যদি ওকে এত কথা না শোনাতাম, তাহলে কি ও আমার গায়ে সেদিন হাত তুলতো?
আমার বাবা মা আমাকে বুঝিয়েছিল, আমি যদি এতকিছুর পর ফিরে যাই, তাহলে ও ভাববে, আমি বুঝি অসহায়। আমাকে আরো পেয়ে বসবে। আমার উপর ইচ্ছামত ছড়ি ঘুরাবে। একবার গায়ে হাত তুলেছে মানে বার বার একই কাজ করবে। কাজেই নিজে থেকে ফিরে যাওয়ার তো প্রশ্নই আসে না।
কিন্তু আমার মনের ভেতর কে যেন চিৎকার করে বলতো, ও তো এমন লোক না। ও যেদিন আমার গায়ে হাত তুলেছিল, সেদিনই হাটু জোর হয়ে আমার কাছে মাফ চেয়েছে। এসব ভেবে ভেবে আমি মামলা তুলে নিলাম। তবে ওর কাছে ফেরত গেলাম না।
কিছুদিন পর দুই পরিবার থেকে বিচার-সালিশ হল। সবার কাছে ও দোষী প্রমাণিত হল। সবাই ওকে নানা কথা বোঝাল, উপদেশ দিল। তারপর আবার সংসার শুরু করলাম।
এর পরের কয়েক মাস ভালোই চলছিল, কিন্তু হুট করে আবার কী একটা নিয়ে আমাদের ঝগড়া বেধে গেল। ব্যস, কাপড়চোপড় গুছিয়ে আবার আমি বাপের বাড়ি গিয়ে উঠলাম। এর মধ্যে শুনলাম ও নাকি খুব অসুস্থ ! আমি বাসায় ফিরতে চাইলে আমার পরিবার বললো, এভাবে একটা ঝগড়ার পর একা একা ফিরলে সেটা ভালো দেখায় না। আর আমার বোনদের কথা ছিল, ওসব অসুস্থ-টসুস্থ কিছু না, সব বাহানা!
আমরা চাচ্ছিলাম ঐ পক্ষ থেকে কিছু আত্মীয়-স্বজন এসে ওর ভুল স্বীকার করে আমাকে হাতেপায়ে ধরে নিয়ে যাক। কিন্তু এবার কেউই আসলো না।
এরও কিছুদিন পর ও আমাকে ডিভোর্স লেটার পাঠিয়ে দিল। ডিভোর্স লেটার দেখে আমাদের পরিবারের সবাই খুব খেপে গেল। কতবড় সাহস, মেয়েকে এত কষ্টে রেখেছে, তার উপর ডিভোর্স লেটার পাঠায়। সবার কথায় আমার কাছেও মনে হলো, ঠিকই তো, কত বড় সাহস! আমাকে ডিভোর্স দিতে চায়? ওর সব ভুলগুলো চোখের উপর ভাসতে লাগলো।মা বাবা মনে করিয়ে দিলো, ও হলো সেই ছেলে যে কিনা আমার গায়েও হাত তুলেছে।
প্রতিশোধের আগুনে জ্বলতে জ্বলতে আমিও ঠিক করলাম, এবার ডিভোর্সই দেব। কে চায় এমন ফালতু লোকের সংসার করতে? কোর্টে গিয়েও ওকে হেনস্থা করার চেষ্টা করলাম। আমার মাসিক খরচ বাড়িয়ে একটা আকাশছোঁয়া অংক দাবি করলাম! আমি চাচ্ছিলাম ওর যেন দেয়ালে পিঠ ঠেকে যায়। যেন নিজে থেকে আমার কাছে এসে আবার সংসার করতে চায়। আসলে ডিভোর্স হোক আমি কখনোই চাই নি৷ কিন্তু জিদ আমাকে খেয়ে নিচ্ছিল। আগ বাড়িয়ে ওকে ডিভোর্স তুলে নিতে বলা আমার পক্ষে অসম্ভব! ওর কাছে ছোট হওয়া আমি মানতেই পারি নি।
কিন্তু আশ্চর্য ব্যাপার, ও আমার আকাশছোঁয়া সমস্ত দাবি মেনে নিলো। আমাদের ছেলেকে আমি পেয়ে গেলাম। ভরণপোষণ, মাসিক খরচ, ওর সম্পত্তি সব! বিনিময়ে ও পেলো শুধু ডিভোর্স।
আমাদের ডিভোর্স হয়েছে আজ সাড়ে তিন বছর।
ও আবারও বিয়ে করেছে। সুখেই আছে বোঝা যায়। আসলে ওর মতো নির্ঝঞ্ঝাট স্বামীকে নিয়ে মেয়েরা হয়তো সুখেই থাকবে।
এখন আমার নিজের কথা ভেবে আফসোস হয়। মানুষের মুখের কথা কখনো কখনো ছুরির চেয়েও ধারালো হতে পারে। ও আমাকে একবার থাপ্পড় মেরেছিল ঠিকই, কিন্তু আমি কথার তীরে ওকে ছিন্নবিছিন্ন করে ফেলতাম। শারীরিক নির্যাতন করি নি সত্যি, কিন্তু মানসিকভাবে কষ্ট দিতাম। এসব কথা আমার মা বাবাকে কখনোই বলা হয় নি। নিজের দোষের কথা মানুষ কতটাই বা বলে!
মাঝে মাঝে ভাবি, ইশ, আমার পরিবার যদি একটু নিজে থেকে বুঝে আমাকে সংসার করার উপদেশ দিতো। যখন আমি ওর কাছে ফিরে যেতে চাইতাম, তখন ওর খারাপটা না বলে যদি একটু ভালো দিকগুলোর কথা মনে করাতো! আমি যদি নিজের জিদ নিয়ে পড়ে না থেকে, একটু ওর কাছে নত হতাম! তাহলে হয়তো আজ আমাকে এই দিন দেখা লাগতো না।
আজ আমার ভাইবোন বন্ধুবান্ধব সবার নিজেদের সংসার আছ কিন্তু ছোট্ট ভুলে সব শেষ হয়ে গেছে তাই দোয়া করি আর কারো জবনে এমন না হোক

11/13/2021

GPA Result -2021
Total Marks- 32
Please Like This Page

11/01/2021
10/22/2021

#দয়াকরেশেয়ারকরবেন
ফেরাউন কন্যার চুল আঁচড়ানোর কাজে নিয়োজিত ছিল একজন
মহিলা। কোনো একদিন ফেরাউন কন্যার চুল আঁচড়ানোর সময়
সহসা চিরুণি তার হাত থেকে মাটিতে পড়ে গেল। তা ওঠাতে
গিয়ে আনমনে তার মুখ থেকে বের হয়ে পড়ল,বিসমিল্লাহ্।
আল্লাহু আকবর।
এ কথায় ফেরাউনের কন্যার সন্দেহ হলে জিজ্ঞেস করল,
ফেরাউন ছাড়াও কি তোমার কোনো আল্লাহ আছে নাকি?
দাসী জবাবে বলল,
"আমার আল্লাহ সেই যে ফেরাউনেরও আল্লাহ।
শুধু ফেরাউন নয় সে আকাশ জমিনেরও আল্লাহ। তিনি একক
তাঁর কোনো শরীক নেই।
একথা শুনে রাগে ফেরাউনের কন্যা অগ্নিশর্মা হয়ে পিতার
কাছে গিয়ে বলল, আব্বা আমার চুল বিন্যাসকারিণী বলে কি,
আমার আল্লাহ সেই যে ফেরাউনেরও আল্লাহ, আসমান
জমিনেরও আল্লাহ। তার কোনো শরীক নেই।
ফেরাউন বলল, এক্ষুণি তাকে হাজির কর'।
সাথে সাথে তাকে হাজির করা হলো।
সেও নির্ভয়ে হাজির হলো।
আজ তার আল্লাহর প্রতি ভালোবাসার ঈমানী পরীক্ষার দিন।
এতে প্রাণ দিতে হলে দেবে। তারই ভালোবাসায় যদি জীবন
দেওয়া যায় তবেই তো ধন্য।
ফেরাউন জিজ্ঞেস করল, তুমি আমাকে ছাড়া অন্য কারও
ইবাদত কর?
তিনি বললেন, "হ্যাঁ"।
ফেরাউন বলল, সে আল্লাহকে ছেড়ে এখনই আমার সামনে
আমার আল্লাহয়ী স্বীকার কর'।
তিনি বললেন, "না কিয়ামত পর্যন্তও তা আমার দ্বারা সম্ভব
হবে না"।
নির্দেশ দেওয়া হলো তাকে সিকল দিয়ে বেধে ফেলার।
তৎক্ষণাৎ তাকে শুইয়ে তার হাতে ও পায়ে সিকল বাধা হলো।
তারপর আল্লাহ ওয়ালাদেরকে কষ্ট দেওয়ার জন্য যে বিষাক্ত
সাপ, বিচ্ছু রাখা হতো তাও এনে তার উপর ছেড়ে দেওয়া
হলো।
বলা হলো, এখনো সময় আছে তোমার আল্লাহকে ছাড় নতুবা
তোমাকে লাগাতার এ শাস্তি দেওয়া হবে'।তিনি বললেন,
"তুমি আমাকে যত পার শাস্তি দিয়ে দেখ আল্লাহ্ প্রতি
ভালোবাসা এক বিন্দুও কমবে না, বরং বাড়বে"।
ঈমানের অবস্থা এই রকম যে, যখন তার স্বাদ কোনো অন্তরে
প্রবেশ করে তখন তা আর বের হয়না। হে ফেরাউন শুনে রাখ,
তুমি যদি বছরের পর বছর আমাকে শাস্তি দিতে থাক তবুও
আমি আমার মহান প্রভুকে পরিহার করব না।
এ নেক মহিলার পাচটি সন্তান ছিল একটি ছিল দুগ্ধপোষ্য।
ফেরাউন তাকে উচিত শিক্ষা দিতে সন্তানদেরকে তার মায়ের
সামনে এনে।প্রথমে বড় সন্তানকে গরম তেল এর পাতিলে
ফেলে দেয়।
তারপর বলল, 'এখনও সুযোগ আছে নতুবা সব সন্তানকে
হারাবে। তোমার দুগ্ধপোষ্য এ শিশুটিকেও হত্যা করা হবে।
তিনি বললেন, "যদি তুমি যাই কর, তবুও আমি আমার
আল্লাহকে ছাড়ব না।
একথা শুনে হুকুম দেওয়া হলো পর পর চারটি শিশুকে গরম তেল এ
ফেলে দেওয়া হল।আর কিছুক্ষণ পরেই ভেসে উঠছিল তাদের
হাড়গুলো। দুদ্ধপুষ্ট শিশু সন্তানটি মায়ের বুকের উপর চড়ে দুধ
পান করছিল তাকেও টেনে হিছড়ে নিয়ে যেতে ধরল।এ অবস্থা
দেখে মায়ের চোখে পানি আর ধরছিল না।
৬ মাসের এ শিশুর মুখ থেকে কথা বের হলো, বলল, মা কেন কাঁদ?
জান্নাত তোমার জন্য সুসজ্জিত করা হচ্ছে। মা জান্নাতে
পৌঁছে আল্লাহর দীদার হাসিল হবে"।এখনো কথা বলতে পারে
না এমন শিশুর মুখ থেকে একথা শুনে মা অবাক হলেন। ঈমান
আরও মজবুত হলো।
জালিমরা শিশুটিকে হত্যা করল। এরপর তাকেও গরম তেল এ
ফেলা হল।মা প্রভুর ডাকে সাড়া দিয়ে চির জান্নাত বাসিনী
হলেন। তাফসিরে দুররে মানসুরে আছে, রাসুল (সাঃ) যখন
মেরাজে যাচ্ছিলেন, বোরাক মিসরের কাছাকাছি এক ময়দানে
পৌঁছল,তখন জান্নাতের খুশবু তিনি অনুভব করলেন।
বললেন, "খুব সুন্দর সুঘ্রাণ পাচ্ছি, মনে হয় এটা জান্নাতের
সুঘ্রাণ।" জিবরাইল (আঃ) বললেন, জান্নাত তো অনেক দূরে,
মনে হয়,ফেরাউন কন্যার কেশ বিন্যাসকারিণী মহিলার কবর
থেকে এ সুঘ্রাণ আসছে। সুবহানাল্লাহ।

10/18/2021
10/07/2021
09/24/2021

গতকাল ছিল আমার নতুন টিউশনির প্রথম দিন। কিন্তু বড়ভাই সাবধান করে দিয়েছে ছাত্র নাকি অনেক টাউটার বাজ আমি যেন সেই ভাবে পড়াই।

প্রথম দিন।

--তোমার নাম কি?
~স্যার আমার নাম ফটিক কিন্তু আমার স্কুলের বন্ধুরা আমাকে আদর করে ফটকাবাজ বলে ডাকে।

ছাত্রের মুখ থেকে এই কথা শোনায় বুঝতে পারছিলাম ছাত্র আমার ১ নাম্বারের টাউটার। আমিও কম যাই না। আমি আমার ছাত্রকে বললাম,

--শুনো ফটিক আমি খুব রাগী একটা মানুষ।তোমার মত অনেক ফটকাবাজ ছেলেদের আমি পিটিয়ে মানুষ করেছি।তাই আমার সাথে কোন চালাকি করবে না। প্রতিদিনের পড়া প্রতিদিনেই শেষ করতে হবে।

ছাত্র আমার মুখের দিকে তাকিয়ে বললো,
~আমি কি আপনাকে স্যার বলে ডাকবো না কি জামাইবাবু বলে ডাকবো? 😜😜
--জামাইবাবু বলে ডাকবে মানে!! ফাজলামি করছো? স্যার বলে ডাকবে।

~আসলে ২ দিন পর তো আপনি আমার জামাইবাবুই হবেন তাই আগে থেকে ডাকার অভ্যাস করে নিচ্ছি। :-D

--জামাইবাবু হবো মানে?
~স্যার আমার ৩ বোন। ২ বোনের বিয়ে হয়ে গেছে। কি ভাবে হয়েছে জানেন?
-- কি ভাবে?

~স্যার আমাদের পরিবারের আর্থিক অবস্থা তেমন ভাল না। তাছাড়া বর্তমানে মেয়ের বিয়ে দেওয়া অনেক টাকার ব্যাপার। আমার বাবা মা খুবই চালাক।
তারা চালাকি করে সরকারি চাকরিওলা ভাল একটা ছেলেকে আমাকে পড়ানোর জন্য নির্বাচন করে।তারপর ঐ স্যার যখন আমায় পড়াতে আসে তখন তাকে আমার বাবা মা খুব আদর যত্ন করে।

পড়ানোর সময় আমার দিদি খুব সুন্দর করে সেজে স্যারের সামনে ঘুরঘুর করে। তো একদিন আমাকে শিখিয়ে দেওয়া হয় আমি যেন পড়ার সময় মিথ্যা কথা বলে ওয়াশ রুমে চলে যাই।
আর আমিও তাই করি।

তখন আমার দিদি পড়োনোর রুমে এসে দরজা বন্ধ করে দেয়। আর একটু পরেই আমার বাবা মা দরজা ধাক্কাধাক্কি করতে থাকে। তখন দিদিই কান্নাভেজা চোখে দরজা খোলে। :-D

তারপর আমার বাবা মা জোর করে ঐ স্যারের সাথে দিদিকে বিয়ে দিয়ে দেয়। তখন স্যারের কিছু করার থাকে না কারণ আমার বাবা ও মা স্যারকে খুব ভয় দেখায় আর বলে বিয়ে না করলে এলাকার লোকদের জানাবে।

তখন স্যার নিরুপায় হয়ে কাঁদতে কাঁদতে দিদিকে বিয়ে করে নেয়।এতে টাকাও খরচ হলো না আর ভাল ছেলের সাথেও বিয়ে দেওয়া হলো।

২ বোনের বিয়ে এভাবেই হয়েছে আর ৩ নাম্বার বোনের বিয়ের জন্য বাবা মা আপনাকে নির্বাচন করেছে ।

ছাত্রের মুখ থেকে এইসব কথা শুনার পর আমার অবস্থা খুব খারাপ হয়ে যায়। আমি উঠে দাঁড়ানোর শক্তি পর্যন্ত হারিয়ে ফেলি।হাত পা আমার থরথর করে কাঁপতে থাকে।

ছাত্র আমার কানের কাছে ফিসফিস করে বললো,
~স্যার একটু পরেই দিদি আসবে চা দেবার নাম করে আপনাকে দেখতে। 😜😜

আমি তখন কথা বলার শক্তি পর্যন্ত হারিয়ে ফেলেছি। ঠিক তখনি দেখলাম কালো একটা মেয়ে মুখে সাদা পাউডার মেখেছে ঠোঁটে লাল লিপস্টিক লাল টিপ একদম অদ্ভুত খারাপ দেখতে হাতে চায়ের কাপ নিয়ে আমার কাছে আসছে।

ছাত্র তখন আমায় আবার ফিসফিস করে বললো,
~স্যার আমার দিদি। এর সাথেই আপনাকে বাবা মা জোর করে বিয়ে দিবে। 😜😜

জানি না আমার তখন কি হয়েছিলো। শরীরের সমস্ত শক্তি নিয়ে জোরে একটা চিৎকার করে জ্ঞান হারালাম।

যখন জ্ঞান ফিরলো তখন দেখি ছাত্রের মা আমার মাথায় জল ঢালছে আর ছাত্রের বাবা আমার হাত পা মালিশ করছে।

আমি তখন সোজা ছাত্রের মায়ের পায়ে ধরে কাঁদতে কাঁদতে বললাম,
-- কাকীমা আমায় মাফ করুন , আমি বিয়ে করতে পারবো না। আমি খুব গরিব আমাকে নিয়ে আমার বাবা মার অনেক স্বপ্ন। তাছাড়া আমার গার্লফ্রেন্ডও আছে।ও যদি জানে আমি বিয়ে করেছি তাহলে ও আমায় খুন করবে (এইটা মিথ্যে ডায়লগ ছিল)।

~আরে বাবা তুমি আমার পা ছাড়ো। আর বিয়ে করবে না মানে কি?
-- আমি আপনার মেয়েকে বিয়ে করতে পারবো না।
ছাত্রের মা আমার কথা শুনে একদম চমকে গেলেন।তারপর আমাকে সোফায় বসিয়ে বললেন,
~আমার মেয়ে মানে!! আমার তো কোন মেয়ে নেই। আমার তো একটা মাত্র ছেলে।

--তাহলে ঐ মেয়েটা কে?
~আমাদের বাড়ির কাজের মেয়ে।
কথাটা শোনার পর আমার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়লো।শেষে কি না এই বিচ্ছু ছেলে আমায় কাঁদিয়ে ছাড়লো।
আমি তখন ছাত্রের মাকে বললাম,
--কাকীমা ফটিক কোথায়?
~ফটিক কে?
--আপনার ছেলে।
~আমার ছেলের নাম তো অয়ন। আর তুমি অজ্ঞান হবার পর অয়ন যেন কোথায় গেল।

আমার মাথা তখন ঝিমঝিম করছে।এই ছেলে তো মহা টাউটার। এই বয়সে যে রকম বদ বুদ্ধি যার বড় হলে না জানি কি কি করবে।
কাকীমা তখন আমায় মাথায় হাত রেখে বললো,
~ বাবা তোমার মনে হয় আজ শরীরটা খারাপ। তুমি বরং আজ চলে যাও।কাল থেকে না হয় এসো...

আমি রাস্তাদিয়ে হাটছি আর ভাবছি,
সারাজীবন আমি মানুষদের সাথে চালাকিবাজি করেছি আর আজ কি না আমার হাটুর বয়সী ছেলে আমায় কাঁদিয়ে ছাড়লো। বেচে থাকতে এই মুখ ঐ ছেলেকে আর দেখাবো না।
(Collected)

Address

7330 Rocky River Road
New York, NY
11207

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Masuda Begum posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Masuda Begum:

Share

Nearby media companies


Other New York media companies

Show All