08/22/2024
গত ১০ দিন ধরে পশ্চিমবঙ্গবাসি এক আশ্চর্য ও অভূতপূর্ব আন্দোলন দেখছে । প্রাথমিক ভাবে আন্দলনের উদ্দেশ্য সঠিক এবং প্রয়োজনীয় মনে হলেও যত দিন যাচ্ছে, ফ্রেমের পিছনের দিকটা তত পরিষ্কার হয়ে উটছে । যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল একটি নির্মম ধর্ষণ এর দোষীদের সাজার দাবিতে, সেটা এখন পৌঁছেছে ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে ।
Social media তে ফেক ইনফর্মেশন আর গদি মিডিয়ার দউলতে এখন একমাত্র দোষী মমতা ব্যানার্জি । তার দোষের কোন সীমা নেই ।
1. এই মহিলাটা এত টা খারাপ যে, সে সাহস করেছে বাংলার গরিব মেয়েদের কন্যাশ্রি দেওয়ার, যাদের বাবা মা শুধু মাত্র টাঁকার অভাবে মেয়েকে পুষতে পারবেনা বলে শিশু বয়সেই বিয়ে দিয়ে দিত তার প্রাথমিক ও ণ্যূণতম শিক্ষার আগেই ।
2. এই মহিলাটা এত টা খারাপ যে, সে সাহস করেছে বাংলার গরিব মেয়েদের রুপশ্রী দেওয়ার । যাতে মেয়েদের ১৮ বছরের আগে বিয়ে না দেওয়া হয় ।
3. এই মহিলাটা এত টা খারাপ যে, সে সাহস করেছে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের মাধ্যমে গরীব মানুষ যাতে বছরে ৩ লক্ষ্য টাকার বীমার মাধ্যমে বীণামূলয়ে চিকিৎসা পায় ।
4. এই মহিলাটা এত টা খারাপ যে, সে সাহস করেছে গড়িব মহিলা দের লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মাধ্যমে ১০০০ টাকা করে দেয়ার যাতে তার মহিলা হীশাবে ণ্যূণতম প্রয়োজন গুলি মেটাটে পারে ।
তার এরকম আরো প্রকল্প আছে কিন্তু এখানে আর ঊল্লেখ করা গেলো না ।
কোথা থেকে আসছে এই টাকা? অবশয়ই জনসাধারণের ট্যাক্স এর টাকা থেকে । - ব্যাস এখানেই সমস্যা । সমাজের যে ধনী এবং সচ্ছল শ্রেণী আছে তাঁরা সব রে রে করে ঊঠেছে । এই টাকা তাদের টাকা । সেটা কেন গড়িব মানুষের কাছে দান করা হবে?
এই টাকার উপর তো একমাত্র অধিকার আম্বাণী, আডাণী, নীরব মোডী, বীজয় মালীয়াদের! ওদের ট্যাক্স ছারের নামে কোটি কোটি টাকা দান করতে হবে! মালিয়ারা কোটী কোটি টাকা নিয়ে পালিয়ে গিয়ে বিদেশে ইনভেস্ট করবে! নাহলে ওরা এদেশে বর বর শপিং মল, এলিট ক্লাব খুলবে কি করে? কারন আমরা যাদের অনেক টাকা আছে তারা তো আর ফুটপাথ এ বাজার করতে যেতে পারিনা!! অথবা, ঐ ট্যাক্সের টাকা দিয়ে মন্ত্রিরা একটু বিলাস ভোগ না করলেই বা হয় কি করে! আজ একজনের ব্যাক্তিগত জেট আছে, ঐ টাকা ঐ সব ফালতু গরীব মানুষ গুল কে না দিলে, আগামী এক বছরে সব মন্ত্রি মশায়দের একটা করে পারসনাল জেট দেওয়া যেত !!
তাই ঐ ধনী শ্রেনির লকেরা কখনই চাইনা যে গরিব রাও এগিয়ে আসুক। তাহলে তাদের বারিতে সস্তায় কাজের লোক, সস্তার শ্রমিক ইত্যাদি আর পাওয়া যাবে না। হাঁ, এটাই ঘটেছে গত দশ বছরে, এখন আর সহজ এ কাজের লোক পাওয়া যায়না। এখন আর শুধু মাত্র খাদ্যের বিনিময়ে দিনে ১২ ঘন্টা কাজ করে না। তার উপর আবার ঐ সব গরিব মানুষ গুলর ছেলে মেয়েরা লেখাপরা করে দুএকটা চাকরী বাকরি ও করে ফেলেছে । তারা আর বড়লোকদের বাবু বলেও ডাকছে না ! এত অনাচার সব ঐ মহিলার জন্য ! তাই ওকে তারাতে হবে ।