Ajoy Mazumder

Ajoy Mazumder ভাড়ার এই গাড়িটা যেন অসহায় যাত্রীদের সাহায্যে কাজে লাগে তবেই এই গাড়িটা ভাড়া নেওয়া সার্থক হবে।।

আমার ছাদ বাগানে গতকাল রাতে এবং  আজ আবার একটা ফুটবে..এই নিয়ে গোটা ছয়েক....
27/08/2023

আমার ছাদ বাগানে গতকাল রাতে এবং আজ আবার একটা ফুটবে..এই নিয়ে গোটা ছয়েক....

23/08/2023

#ভবঘুরের_ডাইরি

সময়টা ১৯৯০ এর দশকের প্রথম দিকের।।

সকাল ৯টা থেকে কামাক্ষ্যা ষ্টেশানের বাইরে রঞ্জিত দার চায়ের দোকানে অপেক্ষা করছে অতনু, আজ রঙ্গিয়াতে কাজ আছে!
অতনু লুধিয়ানার একটা কস্মেটিক্স কম্পানিতে Sales Representative এর চাকরি করে গৌহাটী হেড কোয়ার্টার।

কম্পানির প্রসাদনী বলতে গায়ে মাখা স্নানের সাবান এবং সুগন্ধি দোকানে দোকানে বিক্রি করা অর্থাৎ গালামাল ও প্রসাদনী যেসব দোকানে পাওয়া যায় বা বিক্রি হয় সেইসব দোকানে ঘুরে ঘুরে অর্ডার নেওনা এবং সেই অর্ডার স্থানীয় কম্পানির ডিলারের কাছে পৌঁছে দিয়ে ডিলারের কাছে কি কি মাল কতটা স্টক আছে দেখে সেই অনুযায়ী ডিলারের কাছ থেকে অর্ডার ও পেমেন্ট নেওয়া ও অর্ডার এবং পেমেন্ট কম্পানির C&fa কাছে পাঠায়ে দেওয়াই মুল দ্বায়িত্ব,
এক কথায় সুটেট বুটেট ফেরিওয়ালা।
আজ অতনুর রঙ্গিয়াতে কাজ করার পালা।
রঞ্জনের জন্য কামাক্ষ্যা ষ্টেশনের বাইরে রঞ্জিতদার চায়ের দোকানে অপেক্ষা করছে অতনু!
রঞ্জন মানে রঞ্জন ডেকা, রঞ্জন Gold spot, limca কম্পানিতে কাজ করে দুজনে এক সাথে রঙ্গিয়াতে কাজ করে রাতে ফিরে আসবে গৌহাটী; কিন্তু প্রায় ১০.২০ বেজে গেছে রঞ্জনের দেখা নেই।
কি আর করা রঞ্জিতদার দোকানে অপেক্ষা ছাড়া উপায় নেই।

অনেক্ক্ষণ ধরে অতনুর চোখে পরেছে পাশের নিম গাছের নিচে ধূতি আর আধময়লা হাফ হাতা সার্ট পায়ে হাওয়াই একটা ছোট ব্যাগ নিয়ে বসে থাকা বছর বাঁইসের ছেলেটার দিকে কেমন যেন গুটি মেরে গাছ তলায় একটা পাথরের উপর উদাস ভাবে বসে আছে চোখে মুখে দু/তিন দিন না খেতে পাওয়া হতাশ মলিন চেহারা।রঞ্জিতদার কে জিজ্ঞেস করে জানতে পারে ছেলেটা নাকি সকাল থেকে বসে আছে, কলকাতার শহরতলিতে কোথাও থেকে এসেছে ছেলেটা, বাবা ভিষণ অসুস্থ ফিরে যাবে গ্রামের বাড়িতে বোধহয় হাতে টাকা পয়সা তেমন নেই, রঞ্জিতদা চা-বিস্কুট খাইয়েছেন পয়সা নেয়নি।
অতনু কৌতুহলী হয়ে কাছে গিয়ে ছেলেটাকে জিজ্ঞেস করে জানতে পারে ২৪পরগনার মগড়া হাটের কাছে কোন এক গ্রামের বাসিন্দা ছেলেটা।
নাম সুভাষ নস্কর, গৌহাটীতে এক মারোয়ারীর ফার্মে একাউন্ট দেখাশোনার চাকরি পেয়ে এসেছে মাস চারেক আগে, মারোয়ারী তার অফিসের কাজ দুদিন করিয়ে এখন বাড়িতে চাকরের কাজ করাচ্ছে, দু-মাসের বেশি হয়ে গেছে না দিচ্ছে মাইনে না দিচ্ছে ঠিকমতো খাওয়া, এদিকে ওর গ্রামের বাড়িতে বাবা খুব অসুস্থ খবর এসেছে, বাড়িতেও যেতে দিচ্ছে না।
নিরুপায় হয়ে কাল রাতে পালিয়ে এসেছে হাতে টাকাপয়সা কিছুই নেই গতকাল দুপুর থেকে অভুক্ত।
কিভাবে বাড়ি যাবে সেটাই এখন বড় চিন্তা..!
ইতিমধ্যে রঞ্জন এসে গেছে, এসেই তাড়া দিতে শুরু করেছে স্টেশানে যাওয়ার।

অতনু রঞ্জনকে বলল দাড়া আগে আমার কথা শোন, অতনুর কাছে সব শুনে রঞ্জন হতম্বব, তারপর কিছুক্ষণ চিন্তা করে বলে বাদ দে আজ আর রঙ্গিয়া যাবনা আগে এর একটা ব্যবস্থা করি।

রঞ্জন স্থানীয় বাসিন্দা আসামি ছেলে বেশ ডাকসাইটে, রঞ্জনের কথায় সুভাষ মানে ওই ছেলেটা ও অতনু দুজনেই ভরসা পেল..
অতনু বলে উঠল চল দেখি কি করা যায়.….

চলবে.. বাকিটা আগামীকাল।

✍ভবঘুরে।

20/08/2023

জবানবন্দী
সত্য বই মিথ্যা বলিব না।
হুজুর, ধর্মাবতার,
প্রয়াতা শান্তিলতার সঙ্গে মদীয়ের
কোনো রকম থারাপ সম্পর্ক ছিলো না।
ইহা সত্য যে, একবার মৌরিগ্রাম হইতে
তাহাকে থলকমলের চারা আনিয়া দেই।
আমাদের বংশে স্থলপদ্ম, বকফুল ইত্যাদি
কিছু কিছু গাছ লাগানোর আস্য নাই।
হুজুর, ধর্মাবতার,
আস্য কথাটির অর্থ বলা কঠিন,
সোজা করিয়া বলা যাইতে পারে
ঐ সব গাছ লাগানোর নিষেধ আছে।
যাহা হউক, আশা ছিল প্রতিবেশিনী শান্তিলতা
তাহার পিছনের বাগানে ঐ গাছ লাগাইবে,
প্রতিদিন সকালে আমার দক্ষিণের জানালা দিয়া
থলকমলের শোভা দেখিব্
শান্তিলতা তাহাই করিয়াছিল।
আমিও নিয়মিত শোভা দেখিতাম
মনের অগোচরে পাপ নাই,
দুই-এক দিন শান্তিলতাকেও দেখিতাম।
হুজুর, ধর্মাবতার,
ইহা অপেক্ষা খারাপ সম্পর্ক
তাহার সঙ্গে আমার ছিলো না।
কবিঃ তারাপদ রায়
কাব্যগ্রন্থঃ জলের মত কবিতা (১৯৯২)

17/08/2023

পাড়ার এক দাদা ছিল মানে দাদার বন্ধু দাদা!
আমি তখন নেহাৎ-ই কিশোর,সেই দাদার একটা নাম ছিল, অবশ্য সবার নাম থাকে কিন্তু এই দাদার নাম ইচ্ছে করে উহ্য রাখলাম!
সেই দাদার বাড়ির পাশের রাস্তা দিয়ে নদী পেরিয়ে আমরা বন্ধুরা মিলে পাশের পাড়ার পুকুরে ভরা বর্ষায় স্কুল পালিয়ে ডুব দেওয়া অর্থাত স্নান করা ছিল আমাদের নিত্যকার রুটিন।
শুধু পুকুরে যাওয়ার সময় দাদাদের বাড়ির সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় চেঁচিয়ে সবাই মিলে "ধর চিকা মার চিকা
চিকার দাম পাঁচ সিকা"
দু এক বার চিৎকার করলেই.... ব্যাস খেল খতম!
অনেক দিন বাদে কথাটা মনে পরে গেল একা একা খুব হাসলাম।😁😆😁😆

অজয় মজুমদার।

ট্যাক্সি পেলেই চলে যাব।।********************সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় তখন আনন্দবাজার-এ চাকরি করেন। একদিন বেলার দিকে এক সাহিত্যি...
17/08/2023

ট্যাক্সি পেলেই চলে যাব।।
********************
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় তখন আনন্দবাজার-এ চাকরি করেন। একদিন বেলার দিকে এক সাহিত্যিক এসে খবর দিলেন শিবরামবাবুকে দেখলাম, অফিসের কাছেই ফুটপাথে চিৎ হয়ে শুয়ে আছেন। মনে হয় শরীরটরির...!’’

সর্বনাশ! সে কী কথা!
সুনীল সদলবলে ছুটলেন। গিয়ে দেখেন, সিল্কের পাঞ্জাবি আর ধুতি পরে শিবরাম টানটান শুয়ে রয়েছেন ফুটপাতে।

‘‘কী হল? শরীর খারাপ লাগছে?’’
‘‘না না, ফার্স্টক্লাস আছি। আসলে যেতে যেতে হঠাৎ মনে হল ফুটপাতে শুয়ে আকাশটাকে কেমন দেখতে লাগে একবার দেখাই যাক।’’
একটা ট্যাক্সি পেলেই চলে যাব..

শরীরটা কিন্তু সত্যিই ঠিক যাচ্ছিল না। স্মৃতি কমে আসছিল। কথাবার্তা অসংলগ্ন। শেষ জীবনে প্রায় কপর্দকহীন।
প্রায়ই বলতেন, ‘‘জিনিসপত্র সব বাঁধা হয়ে গেছে এবার একটা ট্যাক্সি পেলেই চলে যাব।’’

চিরকাল লোককে বিশ্বাস করেছেন আর বারবার ঠকেছেন। অনেক প্রকাশক ঠকিয়েছে।
এমনকী শেষদিকে সেই সময়ের রাজ্য সরকার এবং কয়েকটি সংস্থা মিলে তাঁর চিকিৎসা ও ভরণপোষণের জন্য যে মাসিক ছ’শো টাকা তারই এক পাড়াতুতো পরিচিতের কাছে পাঠাত, সেই টাকারও সঠিক ব্যবহার হত না।
শুকনো-রিক্ত চেহারা। অথচ কেমন আছেন জিজ্ঞাসা করলেই উত্তর ‘‘খাসা আছি। ফাইন আছি।’’

কোনও দিন কোনও অভিযোগ নেই কারও কাছে।
তারমধ্যে আবার একদিন ঘরে চোর ঢুকে শেষ পাঞ্জাবিটাও নিয়ে গেছিল, গেঞ্জি পরেই থাকতেন।

মুখে বলতেন, ‘‘দরকার কী? এই তো দিব্বি চলে যাচ্ছে গেঞ্জিতে।’’
হঠাৎ কয়েক দিনের প্রবল জ্বর। দুর্বল শরীরে টলতে টলতে বাথরুমে ঢুকেই সংজ্ঞা হারালেন।
সারারাত পড়ে রইলেন ওখানেই। পরদিন বেলায় খবর জানাজানি হতে ভর্তি করা হল হাসপাতালে।

১৯৮০ সালের ২৮ অগস্ট সকাল। হাসপাতালের বেডে আচ্ছন্ন বাড়ি থেকে পালিয়ে’র নায়ক।
ডাক্তারবাবু জিজ্ঞাসা করলেন, ‘‘শিবরামবাবু, এখন কেমন লাগছে শরীর?’’
‘‘ফার্স্টক্লাস।’’

জড়ানো গলায় তখনও একই উত্তর।
তার ঠিক পাঁচ মিনিট পরেই সেই অপেক্ষার অচেনা ট্যাক্সিতে চেপে বসলেন শিবরাম।
রেডিয়োতে সন্ধেবেলায় যখন সেই খবর ঘোষণা হচ্ছে, তখন হয়তো হর্ষবর্ধন আর গোবর্ধনের সঙ্গে চাঁদে জমি কেনা নিয়ে তুমুল ব্যস্ত তাঁদের স্রষ্টা..!🌸🌿

🔶 তথ্যঋণ: ঈশ্বর পৃথিবী ভালবাসা, ভালবাসা পৃথিবী ঈশ্বর, শিরোনাম শিবরাম- কোরক, যষ্টি-মধু-শিবরাম চক্রবর্তী সংখ্যা, গল্পমেলা- শিবরাম চক্রবর্তী সংখ্যা

র‍্যাগিং - স্বপ্নদ্বীপ, আমি ও যাদবপুর ইউনিভার্সিটি নবকুমার হালদার বাংলা অভিধান ঘাটতে ঘাটতে র‍্যাগিং শব্দের এই অর্থগুলো খ...
14/08/2023

র‍্যাগিং - স্বপ্নদ্বীপ, আমি ও যাদবপুর ইউনিভার্সিটি
নবকুমার হালদার

বাংলা অভিধান ঘাটতে ঘাটতে র‍্যাগিং শব্দের এই অর্থগুলো খুঁজে পেলাম - অত্যধিক হৈ-হুল্লাড় করা, জালাতন করা, তিরস্কার করা, রসিকতার নামে অত্যাচার করা। র‍্যাগিং শব্দটা খুব পরিচিত কিন্তু অভিধানিক অর্থগুলো হয়তো অনেকেই জানেননা। র‍্যাগিং শুধু শিক্ষাক্ষেত্রে নয় Professional life থেকে সমাজের সর্বক্ষেত্রে এটা প্রচলিত।

আমি Jadavpur University Engineering স্টুডেন্ট এবং আমি হোস্টেলে থাকতাম। সময়টা 1998। আমার প্রথম Kolkata আসা। Yes, গর্ব করি আমি Jadavpur University স্টুডেন্ট। আমার মতো গরিব একজন below average student এর কাছে এটা স্বপ্ন ছিল। বড়জামাইবাবু আমাদের বাড়ির অন্য সবার মতো আমাকে প্রথমদিন হোস্টেলে ছেড়ে আসেন। ভীষণ Excited ছিলাম নতুন জীবন শুরু করতে চলেছি কিন্তু মনখারাপ ছিল বাড়ি এবং পুরোনো বন্ধুদের ছেড়ে আসতে হয়েছিল। সত্যি বলছি এর আগে র‍্যাগিং শব্দ এবং র‍্যাগিং কি আমি জানতাম না। Recently আমি একটা MNC-তে as a GM join করেছি। Professional life এও র‍্যাগিং আছে তবে একটু অন্যরকম। এখানেও নিজেকে মানিয়ে নিতে একটু সময় লাগে কিন্তু কোথাও একটা System bindings আছে যার জন্য এটা প্রকট নয়। স্বপ্নদ্বীপ এর ঘটনাটার কিছুদিন আগেই আমি ভেবেছিলাম র‍্যাগিং নিয়ে কিছু লিখবো কিন্তু সময় পাইনি। হটাৎ করে news টা দেখে সত্যি খুব মর্মাহত।

আমার হোস্টেলের প্রথমদিন। কাওকে চিনিনা। হটাৎ উপর থেকে চিৎকার শুনতে পেলাম যে “নতুন মুরগি এসেছে!” কেও চিৎকার করে বলছে “ওই মুরগি, এদিকে আয়।” গেলাম। দেখি একজন দাদা খালি গায়ে, শুধু underwear পরে cigarette খাচ্ছে, চোখমুখ লাল হয়ে আছে। পরে বুঝেছি ওটা cigarette ছিলোনা, ওটা গাঁজা ছিল। আমাকে জিগেস করলে “কোন dept.?” আমি কিছু answer করতে পারিনি কারণ আমি বুঝতেই পারছিলাম না questione টা কি ! Department টাকে short form এ dept. বলা হয়, পরে বুঝেছি। শুরু হয়ে গেলো আমার র‍্যাগিং। অকথ্য গালিগালাজ, মারধর। মনে হচ্ছিলো আমি বোধহয় ভুল করে অন্য কোথাও ঢুকে পড়েছি। বুঝতে পারছিলাম না আমার অন্যায়টা কি ! আমি ওনাকে “আপনি”বলেছিলাম, তারজন্যও মার খেলাম। র‍্যাগিং নাকি সিনিয়রকে রেস্পেক্ট করার জন্য করা হয়, আমি তো জানি “আপনি” শব্দটা আমরা কাওকে সম্মান জানিয়ে ব্যবহার করি। তাহলে আমি মার খেলাম কেন? জানিনা ! দাদা বললো তেল দিয়ে বডি-ম্যাসাজ করে দিতে। তখন দুপুরবেলা। Lunch-break এ হোষ্টেলে এসেছি। বললাম ক্লাস এ যেতে হবে এখন, ফিরে এসে করে দেব। আবার চড়, গালিগালাজ। বাধ্যহয়ে শুরু করলাম ম্যাসাজ। শুরুহলো পরিচয় পর্ব। নাম, ধাম, বাড়ি। বাড়িতে কে কে আছে। দিদি আছে কি না। দিদির বয়স কত ! দিদির বিয়ে হয়েছে কি না ! এগুলো normal। কিন্তু এরপরের প্রশ্নগুলো নোংরা। বলতে চাইনা কিন্তু আজকে বলবো কারণ তাহলেই বুঝতে পারবেন কতটা মানসিক যন্ত্রনা হলে স্বপ্নদ্বীপ-রা মৃত্যুর কোলে ঢোলে পরে। তবুও পুরোটা বলতে পারবো না কারণ ওই শব্দগুলো বলা যায়না। শুধু এতটুকু বলছি জিজ্ঞেস করা হয় “দিদির শরীরের কোন কোন অংশ আমি দেখেছি, দিদির শরীরের কোন কোন অংশ আমার শরীর ছুঁয়ে গেছে, দিদির সাথে S*x করেছি কি না, ভেজা শরীরে দিদিকে দেখেছি কি না ইত্যাদি।” ছিঃ!! তোমাকে এগুলো বলতে হবে, শুধু হ্যাঁ বা না বললে চলবে না তোমাকে description দিতে হবে আর দাদারা এটাই enjoy করে! আর যদি বলো girlfriend আছে তাহলে প্রশ্নগুলো দিদির প্রশ্নের কয়েকগুন বেশি নোংরা হয়। girlfriend এর সারা শরীরের বর্ণনা দিতে হবে আর সেটা থেকে দাদারা s*x enjoy করে। বলা যায় দূর থেকে R**e করা হয়। ছিঃ ছিঃ!! বাবা-মা কে গালি দেওয়া, বাড়ির সবাইকে গালি দেওয়া এগুলো খুব normal। কেও কেও এগুলো সহ্য করতে পারেনা আর তখন সে স্বপ্নদ্বীপ হয়ে যায়। দেশের অন্যতম সেরা Jadavpur University!

আমি এতক্ষন র‍্যাগিং এর One percent ও বলিনি। যে রকম ভাবে physical torture করা হয়, you can’t imagine! খেলার নাম করে নতুনদের লড়িয়ে দেওয়া হয় অন্ধকার ঘরে, কারো মাথা ফাটে, কারো হাত, কারো পা ফেটে গলগল করে রক্ত বেরোতো থাকে। কাওকে Complaint করা তো দূরে থাক, কারো সাথে শেয়ার করা যেতনা।

স্বপ্নদ্বীপ এর মতো একইরকম অভিজ্ঞতা আমার হয়েছিল। স্বপ্নদ্বীপ আজ নেই কিন্তু আমি বেঁচে আছি। আমিও স্বপ্নদ্বীপ হয়ে যেতাম সেদিন। সেদিন দুপুরবেলা, আগেরদিন রাতে আমাকে ভীষণরকম mental & physical torture করা হয়েছে। দাদাদের কিছু demand আমি সেদিন মানতে পারিনি। আমাকে physically এমন নোংরা কিছু করতে বলা হয়েছিল, আমি করতে পারিনি। জ্বলন্ত Bulb-এ আমাকে kiss করতে বাধ্য করেছিল। সেই দিনটার কথা ভাবলে আমি এখনো আঁতকে উঠি। আমার ঠোঁট ফুলে কলাগাছ হয়েছিল। কিচ্ছু খেতে পারছিলাম না। সেই থেকে আজও আমার ঠোঁট টা ঝুলে আছে। সেদিন আমি Class পর্যন্ত যেতে পারিনি। Room এই ছিলাম। 1st year student দের room lock করার permission ছিলোনা। হটাৎ দুজন দাদা বললে, “অনেক rest করেছিস, কাল রাতে তুই আমাদের কথা শুনিসনি, হিসেবটা করার আছে, চল আমাদের সাথে।” আমি যে না করবো সেরকম mental or physical strength আমার ছিলোনা। চললাম ওদের সাথে। আমাকে ওরা নিয়ে গেলো ছাঁদে। আমাকে একদম ছাঁদের কিনারে নিয়ে এসে বলে, ওখান থেকে ঝাঁপ দিতে। কাল রাতের Punishment। আগেরদিন রাতে এতটাই torture করা হয়েছিল আমার আর বেঁচে থাকার কোনো ইচ্ছে ছিলোনা। আমার চোখ বেঁধে কার্নিশের উপরে তুলে দেওয়া হয় আর আমি, জীবনের সব আশা ছেড়ে ঝাঁপ মারি। কিরকম পরিস্থিতি হলে মানুষ এটা করতে পারে, সেটা বোধহয় আমার আর বলে দেওয়ার প্রয়োজন নেই। আমি সেদিন স্বপ্নদ্বীপ হতে হতে বেঁচে গেছিলাম। আসলে সেদিন ওরা আমাকে চোখ বেঁধে Water tank এর কার্নিশে তুলে দিয়ে ঝাঁপ দিতে বলেছিলো, আমি কিন্তু জানতাম যে আমি ছাঁদ থেকে ঝাঁপ দিচ্ছি। মৃত্যুকে accept করে নিয়েই আমি সেদিন ঝাঁপ দিয়েছিলাম। একমুহূর্তেও ভাবিনি আমি বেঁচে থাকবো। স্বপ্নদ্বীপের সঙ্গে কোথাও কি সবকিছু মিলেমিশে এক হয়ে যাচ্ছে না !!??

আমরা গ্রাম থেকে শহরে আসি কিছু স্বপ্ন নিয়ে। আমার স্বপ্নের সঙ্গে আরো হাজারটা স্বপ্ন জড়িয়ে থাকে। শুধু স্বপ্নদ্বীপের স্বপ্নের মৃত্যু হলোনা, মৃত্যু হলো ওর মা-বাবা সহ আরো অনেক প্রিয়জনের স্বপ্ন।

সিনিয়রদের কি করে respect করতে হবে সেটা আমরা আমাদের বাড়ি থেকেই শিখে আসি, আর নিজেকে আরো ভালো করে গড়ে তোলার জন্যই তো Jadavpur University-তে স্বপ্নদ্বীপ,আমি,আমরা আসি।

আমাদেরকে সিনিয়রদের respect করতে শেখানোর দায়িত্ব তোমাকে কে দিয়েছে, সৌরভ? উত্তর চাই !!

আর যাদের উপরে ভরসা করে আমরা Jadavpur University-তে আসি সেই Management Committee, Professor দের কি কোনো responsibility নেই? সর্বোপরি গভর্মেন্ট এবং প্রশাসন কি করছেন? এখনো ঘুমিয়ে আছেন ? কুম্ভকর্ণের ঘুম আর কবে ভাঙবে ?

আজ আমার মেয়ের Class Eight। Jadavpur University র মতো college এ পড়ার স্বপ্ন দেখে। আমি জানি ও একদিন ওর স্বপ্নের জায়গায় পৌঁছে যাবে কিন্তু তারপর? আমি কি নিশ্চিন্তে ঘুমোতে পারবো? এই প্রশ্নটা আমার মতো হাজার মা-বাবার।



09/08/2023

আমাদের জীবনের কিছু কিছু মুহুর্ত হয় ভীষণই সংবেধনশীল। আর কিছু কিছু মানুষ আছে যারা এই সংবেদনশীল মুহূর্তগুলোতে আমাদের হাতে হাত রেখে জানান দেয় যে, হ্যাঁ আমি একা নই, অন্ধকারে একটা ছোট্ট প্রদীপের ঐ ক্ষীণ শিখা হয়ে কেউ এখনো আছে আমার পাশে! নাইবা হোলো সে কোনো প্রেমি...!!! তবে যদি কখনো কারোর হৃদয়ের কান্ডারী হতে না পারো, অথবা পাশে থাকতে না পারো; আঘাত করোনা.......

শব্দের তীক্ষ্ণ ধার যে বড্ডো বিঁধে যায় প্রিয়......!!!!

© ✍️ #ভবঘুরে।।

27/11/2022

* #একটি_আত্মহত্যার_কাহিনি *

গতকাল সকালের ঘটনা

গত ক'দিন ধরেই গিন্নি বলছিলেন বাইরের ঘরের সিলিং ফ্যানটা কাপড় দিয়ে মুছে কভার পরিয়ে দেবার জন্য! শীত তো প্রায় পড়েই গেছে, তাই আর চালাতে হবে না!
আজ সকালে চা জলযোগের পর্ব শেষ হলে তিনি ঘোষণা করলেন যে পাড়ারই এক কাকিমাকে দেখতে যাচ্ছেন যিনি বেশ অসুস্থ! একলা হতেই আমি ও চটপট কাজে লেগে পড়লাম! আসলে ওনার অনুপস্থিতিতেই আমার কাজ কর্ম করার সুবিধা হয় কারণ উনি যে তখন আর পিছন থেকে টিকটিক করেন না! 😂😂
যাই হোক, মোবাইলে একটা পুরোনো হিন্দি ফিল্মের জম্পেশ গান চালিয়ে আমি চেয়ারের উপর টুল লাগিয়ে উঠে পড়লাম হাতে একখানা ন্যাতা নিয়ে!
মোছা শুরু করার আগে ন্যাতাটা একটা ব্লেডে ঝুলিয়ে পাখাটা দুহাতে ধরে একটু ভালো করে দেখছি কোথায় কতটা ঘষতে হবে, হঠাৎ দমাদ্দম আওয়াজ শুনে নিচের দিকে তাকিয়ে দেখি জানালার বাইরে আমাদের দুই পাশের বাড়ির দুই বৌদি, কাচের উপর হাত দিয়ে ঠুকছেন আর চেঁচিয়ে কিছু বলছেন, জানালা বন্ধ থাকায় কিছু শুনতে পাচ্ছিলাম না!!
ভাবলাম ওনাদের নিশ্চয় কোনো বিপদ হয়েছে, তাই ছুটে এসেছেন!! তড়িঘড়ি নিচে নেমে জানালা খুললাম!!
এক বৌদি চিৎকার শুরু করলেন আমার দিকে তাকিয়ে - বলুন তো আপনি কি করতে যাচ্ছিলেন? আপনাকে বলতেই হবে!!
অন্যজন জুড়লেন - ভাবুন তো কি সর্বনাশ হয়ে যেত আমরা ঠিক সময়ে এসে না পড়লে! এমন কেউ করে? ছি ছি ছি!!

আমাকে কিছু বলতেই না দিয়ে ফের প্রথমজনের বাক্যবাণ - দেখতে পেলাম একটু আগে আপনার মিসেস বাড়ি থেকে বেরোলেন! একটু সুযোগ পেয়েই আপনি এমন কান্ড ঘটাতে চলেছিলেন? ছি ছি ছি! একবারও ওনার কথা মনে এলো না!!
আমি বলার চেষ্টা করি - বৌদি, শুনুন শুনুন, আপনাদের ভুল হচ্ছে!!!
কিন্তু কে শোনে কার কথা!!

দ্বিতীয়জন ফের সুর চড়ালেন - অমন একটু আধটু কথা কাটাকাটি, ঝগড়া কোন সংসারে না হয়? তাই বলে এইভাবে বিপদে ফেলবেন সবাইকে?

এবার আমার মনে হলো ব্যাপারটা আর চলতে দেওয়া ঠিক নয়! আশ-পাশের বাড়ি থেকে মহিলারা একটা কিছু আঁচ করে উঁকি-ঝুঁকি মারতে শুরু করে দিয়েছেন, দেখতেই পাচ্ছিলাম!

সুতরাং দুই বৌদিকে হাত জোড় করে বললাম - প্লিজ আপনারা চুপ করুন আর ভিতরে আসুন! আপনারা যা ভেবেছেন সেসব কিছুই নয়! আমি শুধু সিলিং ফ্যানটা পরিষ্কার করতে যাচ্ছিলাম। শীত তো এসেই গেলো, এবার কভার পরিয়ে দেবো।

কিন্তু ওনাদের সন্দেহ তবুও যায় না! খর চোখে তাকিয়ে বলেন - তাইই যদি করছিলেন তাহলে ফ্যান থেকে দড়ির মতো ওটা কি ঝুলছে বলুন তো?

এবার আমি হেসে বলি - ওটা দড়ি নয় বৌদি, ওটা হলো ন্যাতা! মোছার জন্য!!

এইবার দুজনের মুখগুলো মিইয়ে গেলো। বীরদর্পে এসেছিলেন আমাকে caught red handed করার লক্ষ্যে, কিন্তু সেটা ভেস্তে যাওয়াতে দুজনেই গজগজ করতে করতে বিদায় হলেন!

কিন্তু গোলমাল এখানেই মিটলো না! অনতিবিলম্বে গিন্নির অকুস্থলে প্রবেশ ঘটলো এবং তিনি যথারীতি আমাকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে লেকচার শুরু করে দিলেন -

"কোনওদিন তো বাড়ির একটা কাজ করো না, আজ যেই একটু বেরিয়েছি অমনি সারা পাড়াকে ডেকে এনে সার্কাস দেখানো হচ্ছে!! বুঝি বুঝি, সব বুঝি....যেই দেখেছো পাশের বাড়ির বৌদিরা দেখছে অমনি জানলা হাট করে খুলে বেশি ইয়ে জাগানো হচ্ছে!! আর ওনাদেরকেও বলিহারি, একেবারে গোপিনীর মতো আলুথালু হয়ে ছুটে এসে সারা পাড়াকে শুনিয়ে চিৎকার জুড়ে দিলেন!! ইসসসসসস, ছি ছি ছি, কি লজ্জা, কি লজ্জা!! সবাই কি ভাবলো বলো তো? তোমার জন্যে এরপর তো রাস্তায় বেরোতেই পারবো না!!"

আমি একটু সেলফ ডিফেন্সের চেষ্টা করি ক্ষীণভাবে -

"কিন্তু তুমিই তো রোজ বলছিলে ফ্যানটা মুছে দিতে? আমি তো চুপচাপ সেটাই করতে যাচ্ছিলাম, হঠাৎ ওনারা কি দেখে কি বুঝলেন কে জানে, এসে জানালায় ধাক্কাধাক্কি, চিৎকার জুড়ে দিলেন!! এতে আমার কি দোষ রে বাবা?
যাক, এবার কাজটা শেষ করি"

এই বলে টুলে উঠতে যাচ্ছি, কিন্তু উনি আবার চিৎকার করে বাধা দিলেন -

"দাঁড়াও, আমার গরম লাগছে!!"

এই বলে ফ্যানের সুইচ তো অন করে দিলেন, কিন্তু ওদিকে ফ্যানে ঝুলে থাকা ন্যাতাটা সোজা ছিটকে এসে পড়লো ডাইনিং টেবিলের উপর!!

"এ কী!! এটা তুমি ঝুলিয়ে রেখেছিলে?? উফফফফ, তোমার কাজকর্ম দেখলে না মাথা আমার গরম হয়ে যায়!!"

"আরে এইটাই যতো নষ্টের গোড়া!! এটাকে ঝুলতে দেখেই তো আজ বৌদিরা ভেবেছিলো আমি ও ঝুলতে যাচ্ছি!! এটাকে এক্ষুনি বিদায় করা দরকার!!"

আমার যতো রাগ গিয়ে পড়লো ন্যাতাটার উপর!সোজা উঠোনে বেরিয়ে ওটাকে ছিঁড়ে কুচি কুচি করে ফেলে দিলাম! কিন্তু আমাকে টুলে উঠতে দেখে দুই মহিলা যেভাবে আকুল হয়ে ছুটে এসেছিলেন তা ভেবে মনে মনে বেশ পুলকিত বোধ করলাম! আমার জন্যেও তাহলে ওনাদের মনে যাকে বলে "একটু ইয়ে" আছে মনে হয়...... এটা ভেবে একটা বেশ আত্মপ্রসাদের হাসি মুখে ছড়িয়ে পড়ছিলো ফিল করলাম কিন্তু ঘরে ঢুকেই মুখটা যথাসম্ভব গোমড়া করে ফের একপ্রস্থ বাচিক কুস্তির জন্য গিন্নির মুখোমুখি হলাম! 😄😄

কিন্তু উনি দেখি বেশ আনমনা হয়ে রয়েছেন, কুস্তির মুডে নেই মনে হচ্ছে! বললেন -

"হ্যাঁ গো, তোমাকে আর ফ্যান ট্যান মুছতে হবে না, পড়ে টড়ে গেলে মহাবিপদ হবে! ও আমি কাজের মেয়েটাকে দিয়ে করিয়ে নেবো'খন! তুমি স্নানে যাও!"

হঠাৎ ওনার এই মুড পরিবর্তনের কারণ কিছু বুঝলাম না! তবু ব্যাপারটা মিটে গেছে ধরে নিয়ে ভাবলাম, যাক, মধুরেণ সমাপয়েত!!
😄😄😄😄😄😄😄।

দেয় ডুব ঢুপ ঢুপ -----মোবাইলে  ।।
30/05/2022

দেয় ডুব ঢুপ ঢুপ -----

মোবাইলে ।।

জ্বালানি সংগ্রহ.....
29/05/2022

জ্বালানি সংগ্রহ.....

নিরিবিলিতে....
21/04/2022

নিরিবিলিতে....

এখন আমি...
05/04/2022

এখন আমি...

Chimny তে প্রকৃতির কোলে....
04/03/2022

Chimny তে প্রকৃতির কোলে....

 #আন্তর্জাতিক_মাতৃ_ভাষা_দিবসযে ভাষায় আমের নাম হিমসাগর আর গ্রামের নাম বীরসিংহ, ফুলের নাম অপরাজিতা আর দুলের নাম ঝুমকো, পাখ...
21/02/2022

#আন্তর্জাতিক_মাতৃ_ভাষা_দিবস

যে ভাষায় আমের নাম হিমসাগর আর গ্রামের নাম বীরসিংহ, ফুলের নাম অপরাজিতা আর দুলের নাম ঝুমকো, পাখির নাম বউ কথা কও আর ফাঁকির নাম দেশভাগ, মিষ্টির নাম বালুসাই আর বৃষ্টির নাম ইলশেগুঁড়ি, মাছের নাম রূপচাঁদা আর গাছের নাম শিশু, কবির নাম জীবনানন্দ আর ছবির নাম সাড়ে চুয়াত্তর, কাজীর নাম নজরুল আর পাজির নাম পাঝাড়া, ঋতুর নাম হেমন্ত আর থিতুর নাম বিবাহিত, মাসের নাম শ্রাবণ আর ঘাসের নাম দূর্বা, গানের নাম ভাটিয়ালী আর ধানের নাম বিন্নি, খেলার নাম গোল্লাছুট আর ঠেলার নাম বাবাজী, সুরের নাম রামপ্রসাদি আর গুড়ের নাম নলেন, রেলের নাম কাঞ্চনকন্যা আর তেলের নাম জবাকুসুম, দাদার নাম ফেলু আর ধাঁধার নাম শুভঙ্করী, হাসির নাম খিলখিল আর বাঁশির নাম মোহন, ঝড়ের নাম কালবৈশাখী আর ঘরের নাম 'ভালো বাসা', যুদ্ধের নাম মুক্তি আর বুদ্ধের নাম অমিতাভ, প্রেমের নাম দেবদাস আর ট্রেমের নাম পরকীয়া, নদীর নাম কীর্ত্তনখোলা আর যদির নাম দিবাস্বপ্ন, রোগের নাম সন্ন্যাস আর যোগের নাম মণিকাঞ্চন, সাপের নাম শঙ্খচূড় আর বাপের নাম আপনি বাঁচলে

তাকে ভালো না বেসে পারি.

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের শুভেচ্ছা জানাই সকলকে, বাঙলা থাকুক মননে, চিত্তে, ভালোবাসায়, ভালো-ভাষায়।
🙏🙏🙏

21/01/2022
🎇🙏🎇
01/01/2022

🎇🙏🎇

Address

Siliguri
734001

Telephone

+917908081119

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Ajoy Mazumder posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Ajoy Mazumder:

Videos

Share


Other Digital creator in Siliguri

Show All