নভোরজ

নভোরজ প্রাপ্তবয়স্কদের উপযোগী রহস্য, রোমাঞ্চ, ভৌতিক, অলৌকিক, কল্পবিজ্ঞান বিষয়ক পত্রিকা। জন্ম ২০১৯, ২রা জুন।
(11)

পত্রিকা ছাপা, বাঁধাই, দোকানে আসা সম্পূর্ণ। প্রিবুকারদের বই আজই ডেসপ্যাচ হয়ে যাবে। আশা করি আগামী দু-একদিনের মধ্যেই পেয়ে...
02/09/2024

পত্রিকা ছাপা, বাঁধাই, দোকানে আসা সম্পূর্ণ। প্রিবুকারদের বই আজই ডেসপ্যাচ হয়ে যাবে। আশা করি আগামী দু-একদিনের মধ্যেই পেয়ে যাবেন। এবার আগামী কাল থেকে কোথায় কোথায় পাওয়া যাবে জানিয়ে দিই-

অফলাইন ⏩
১. জানকী বুক ডিপো, শ্যামাচরণ দে স্ট্রিট
২. দে বুক স্টোর (দীপু), শ্যামাচরণ দে স্ট্রিট
৩. রায় বুক স্টল, বঙ্কিম চ্যাটার্জি স্ট্রিট
৪. প্রজ্ঞা পাবলিকেশন বিপণি, বঙ্কিম চ্যাটার্জি স্ট্রিট
৫. অরণ্যমন, সূর্য সেন স্ট্রিট
৬. মাথামোটার দপ্তর, সূর্য সেন স্ট্রিট
৭. শব্দ প্রকাশন, সূর্য সেন স্ট্রিট
৮. বুক লুক, সূর্য সেন স্ট্রিট
৯. বইবন্ধু, রাধানাথ মল্লিক লেন
১০. রিড বেঙ্গলি বুকস, সর্দার শঙ্কর রোড

অনলাইন ⏩
Boibishwa In +917980483011
বইভূত +916291190071
Boideshik +918583865987
Boiwala express
বিবলিওফাইল বুক স্টোর
রিড বেঙ্গলি বুকস
ওপারের বই +917001539273
বই টক খানা +91 80130 39886

আগামী মঙ্গলবার থেকে কলেজ স্ট্রিটের সমস্ত দোকানে পাওয়া যাবে।
01/09/2024

আগামী মঙ্গলবার থেকে কলেজ স্ট্রিটের সমস্ত দোকানে পাওয়া যাবে।

অদ্যই শেষ রজনী। পত্রিকা প্রিবুক করুন আর পেয়ে যান এক্সক্লুসিভ হরর বুকমার্ক। কেউ পোস্টাল চার্জ দিতে না চাইলে কলেজ স্ট্রিট...
29/08/2024

অদ্যই শেষ রজনী। পত্রিকা প্রিবুক করুন আর পেয়ে যান এক্সক্লুসিভ হরর বুকমার্ক। কেউ পোস্টাল চার্জ দিতে না চাইলে কলেজ স্ট্রিটে আমাদের বিপণি থেকেও প্রিবুক করা পত্রিকা পেয়ে যাবেন বুকমার্ক সহ।

পত্রিকা ছাপা হয়ে গেছে। বাঁধাইয়ের কাজ চলছে। আশা করছি সোমবার থেকে অর্ডার ডিসপ্যাচ করা যাবে প্রিবুকারদের। তারও দিন কয়েক পর পাবেন সাধারণ ক্রেতারা। ৫ কি ৬ সেপ্টেম্বর থেকে সর্বত্র পাওয়া যাবে এবারত প্রকাশনী নিবেদিত শারদীয় নভোরজ পত্রিকা ১৪৩১।

Shout out to my newest followers! Excited to have you onboard! Shout out to my newest followers! Excited to have you onb...
17/08/2024

Shout out to my newest followers! Excited to have you onboard! Shout out to my newest followers! Excited to have you onboard! Arnab Dey, Babai Kundu, Bansa Gopal Choudhury, বসু রোহিত, Subrata Bauri, Sunita Sen, Subhradeep Aditya, Æļęx Mőm Mįřæj, Kanshin Dutta, Manas Kumar Das, Partha Kr Mukherjee

What would you like to see more of from me?

শুরু হয়েছে শারদীয় নভোরজ পত্রিকা ১৪৩১-এর প্রিবুকিং। পোস্টারে দেওয়া নম্বরে যোগাযোগ করলেই হয়ে প্রিবুক। অথবা কিউআর কোড স...
17/08/2024

শুরু হয়েছে শারদীয় নভোরজ পত্রিকা ১৪৩১-এর প্রিবুকিং। পোস্টারে দেওয়া নম্বরে যোগাযোগ করলেই হয়ে প্রিবুক। অথবা কিউআর কোড স্ক্যান করেও পৌঁছে যেতে পারেন বইবিশ্ব ডট ইনের কাছে।

একটি অভিশপ্ত হাভেলি। এক প্রেততাত্ত্বীক বাঙালি প্রফেসর। অজস্র প্রেতাত্মা। হাভেলিতে কাটানো প্রতিরাতে অদ্ভুত সব রোমহর্ষক ঘট...
04/08/2024

একটি অভিশপ্ত হাভেলি। এক প্রেততাত্ত্বীক বাঙালি প্রফেসর। অজস্র প্রেতাত্মা। হাভেলিতে কাটানো প্রতিরাতে অদ্ভুত সব রোমহর্ষক ঘটনার ঘনঘটা। রহস্যের সমাধান হবে একটি অতিপ্রাকৃত বস্তুর সন্ধান পেলেই। কিন্তু খুঁজে পাওয়া যাবে কি সেটা? মিলবে কি মুক্তি সব আত্মার? নাকি নেগেটিভ এনার্জির মতো শুধু রূপ বদলে নেবে অপশক্তিরা? উত্তর রয়েছে এবারত প্রকাশনী নিবেদিত শারদীয় নভোরজ পত্রিকা ১৪৩১-এর পাতায়, অভিজ্ঞান গাঙ্গুলীর লেখা ‘এখানে মৃত্যুর প্রবেশ নিষেধ’ ভৌতিক উপন্যাসে।

অলংকরণ: চিন্ময় মুখোপাধ্যায়

জীবন-মৃত্যুর সন্ধীক্ষণে দাঁড়িয়ে থাকা এক ব্যক্তি উপলব্ধি করে, একদিন তার জীবন বাঁচিয়েছিল যে, সে-ই আজ এই মুহূর্তে তার হন...
03/08/2024

জীবন-মৃত্যুর সন্ধীক্ষণে দাঁড়িয়ে থাকা এক ব্যক্তি উপলব্ধি করে, একদিন তার জীবন বাঁচিয়েছিল যে, সে-ই আজ এই মুহূর্তে তার হন্তারক। যে নারীকে সে নিজের ভালোবাসা নিবেদন করবে বলে প্রস্তুত হচ্ছিল, হঠাৎ করেই যদি সেই নারী হয়ে ওঠে তার আততায়ী, তবে কী করবে সে? উত্তর রয়েছে এবারত প্রকাশনী নিবেদিত শারদীয় নভোরজ পত্রিকা ১৪৩১-এর পাতায়, দিব্যেন্দু পালের লেখা ‘শেষের পর’ গল্পে।

অলংকরণ: প্রবীর ব্যানার্জি

গ্রে নামের এক হতভাগ্য জুয়াড়ি নিঃসহায়, নিঃসম্বল অবস্থায় দেখা পায় একটি হলদে বেড়ালের। অনিচ্ছা সত্ত্বেও সেটাকে বাড়িতে...
02/08/2024

গ্রে নামের এক হতভাগ্য জুয়াড়ি নিঃসহায়, নিঃসম্বল অবস্থায় দেখা পায় একটি হলদে বেড়ালের। অনিচ্ছা সত্ত্বেও সেটাকে বাড়িতে নিয়ে আসে। তার পরেই ভাগ্য খুলে যায় তার। কী ভাবছেন? দে লিভড্ হ্যাপিলি এভার আফটার? না মশাই, তা হলে আর রহস্য রোমাঞ্চ পত্রিকায় ঠাঁই পেতো কী করে এই গল্প! সৌভাগ্য অর্জন আর সেটাকে ধরে রাখার মধ্যে বিস্তর ফারাক। মাইকেল জোসেফ রচিত মনস্তাত্ত্বিক গল্প ‘দ্য ইয়েলো ক্যাট’-এর সার্থক অনুবাদ করেছেন অর্চন চক্রবর্তী ‘হলদে বেড়াল’ নাম দিয়ে। পড়তে পারবেন এবারত প্রকাশনী নিবেদিত শারদীয় নভোরজ পত্রিকা ১৪৩১-এর পাতায়।

অলংকরণ: নিরুপম মজুমদার

এক মেধাবী ও পরিশ্রমী যুবকের বিপরীতে তিন ক্রূর ষড়যন্ত্রী; যুযুধান দুই পক্ষের মাঝে রয়েছে একটি প্রত্নবস্তু এবং তার অলৌকিক...
01/08/2024

এক মেধাবী ও পরিশ্রমী যুবকের বিপরীতে তিন ক্রূর ষড়যন্ত্রী; যুযুধান দুই পক্ষের মাঝে রয়েছে একটি প্রত্নবস্তু এবং তার অলৌকিক ইতিহাস। আসলে কে যে কার শিকার আর কে-ই বা শিকারি; বোঝা দায়। জানতে চান সবটা? তা হলে অবশ্যই চোখ রাখুন এবারত প্রকাশনী নিবেদিত শারদীয় নভোরজ পত্রিকা ১৪৩১-এর পাতায়; তিয়াশা মুখার্জ্জীর লেখা গল্প ‘স্যমন্তক চক্র’র উপর।

অলংকরণ: Chinmoy Mukhopadhyay

কম্যান্ডার কণাদের স্রষ্টা, ভজা গজার স্রষ্টা উজ্জ্বল ধর এবারের প্রচ্ছদ এঁকেছেন।  এবারত প্রকাশনী নিবেদিত শারদীয় নভোরজ পত্...
29/07/2024

কম্যান্ডার কণাদের স্রষ্টা, ভজা গজার স্রষ্টা উজ্জ্বল ধর এবারের প্রচ্ছদ এঁকেছেন।

এবারত প্রকাশনী নিবেদিত শারদীয় নভোরজ পত্রিকা ১৪৩১-এর প্রচ্ছদ নিয়ে এলাম পাঠকের দরবারে। যে-কোনও রকমের প্রতিক্রিয়া স্বচ্ছন্দে জানান।

রথযাত্রা উপলক্ষে চলছে বিশেষ কম্বো অফার। নভোরজ পত্রিকার পাঁচটি সংখ্যা একত্রে বিক্রি করা হবে। দাম নীচে দেওয়া রয়েছে। অফার...
11/07/2024

রথযাত্রা উপলক্ষে চলছে বিশেষ কম্বো অফার। নভোরজ পত্রিকার পাঁচটি সংখ্যা একত্রে বিক্রি করা হবে। দাম নীচে দেওয়া রয়েছে। অফারটি কেবলমাত্র পত্রিকার নিজস্ব বিপণি থেকেই উপলব্ধ। আগামী পরশু, শনিবার পর্যন্ত চলবে এই অফার।

নমস্কার নভোরজ পত্রিকার সমস্ত শুভানুধ্যায়ী, পৃষ্ঠপোষক এবং পাঠকদের জানাই- পত্রিকার সম্পাদনা, অলংকরণের কর্মযজ্ঞ শুরু হয়ে গ...
01/06/2024

নমস্কার

নভোরজ পত্রিকার সমস্ত শুভানুধ্যায়ী, পৃষ্ঠপোষক এবং পাঠকদের জানাই- পত্রিকার সম্পাদনা, অলংকরণের কর্মযজ্ঞ শুরু হয়ে গেছে। অন্যান্য বারের মতো এবারও থাকছে বেশ কিছু চমক। এই বার প্রয়োজন আপনাদের সহযোগিতা।

কোনও বিশেষ পরিকাঠামো ছাড়াই আমরা যে কর্মযজ্ঞে নামি প্রতি বছর, তাতে খরচের পরিমাণ অনেকেরই বিস্ময় উদ্রেক করতে পারে। নিজেদের ঢাক পেটানোর জন্য এই পোস্ট নয়। শুধু অনুরোধটুকু নিয়ে হাজির হয়েছি আপনাদের দরবারে। এই কর্মযজ্ঞ চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার উৎসাহে যাতে ভাঁটা না পড়ে তার জন্যই দরকার বিজ্ঞাপন। আজ রইল বিজ্ঞাপনের টারিফ।

আপনাদের ভালোবাসাকে পাথেয় করেই এতটা পথ পাড়ি দিতে পেরেছে নভোরজ। আশা করছি বিগত দিনের মতো এইবারও তার ব্যতিক্রম হবে না।

স্পোর্টস থ্রিলার ভালো লাগে? তা-ও সেটা যদি আবার কোনও স্পোর্টস জার্নালিস্টের লেখা হয়? তা হলে নিঃসন্দেহে এই বইটি আপনার জন্...
01/05/2024

স্পোর্টস থ্রিলার ভালো লাগে? তা-ও সেটা যদি আবার কোনও স্পোর্টস জার্নালিস্টের লেখা হয়? তা হলে নিঃসন্দেহে এই বইটি আপনার জন্য। এতে রয়েছে ভারতীয় ক্রিকেটের আভ্যন্তরীণ রাজনীতি, ম্যাচ ফিক্সিং থেকে বেটিং ভায়া বর্তমান উগ্রপন্থার নানা দিক। অসংখ্য চরিত্র এবং ঘটনার ঘনঘটায় উপন্যাসটি যথেষ্ট মস্তিষ্ক প্রক্ষালক বটে। বিশ্বাস না হলে পরীক্ষা প্রার্থনীয়।

বই: হলাহল
লেখক: বিশ্বদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়
প্রচ্ছদ ও অলংরণ: চিন্ময় মুখোপাধ্যায়
ফরম্যাট: পেপারব্যাক
পৃষ্ঠা সংখ্যা: ১৯২
মুদ্রিত মূল্য: ₹260
প্রকাশক: এবারত প্রকাশনী

জানকী বুক ডিপো ▶ শ্যামাচরণ দে স্ট্রিট
দে বুক স্টোর, শ্যামাচরণ দে স্ট্রিট
দাস বুক স্টল, বঙ্কিম চ্যাটার্জি স্ট্রিট
রায় বুক স্টল, বঙ্কিম চ্যাটার্জি স্ট্রিট
মাথামোটার দপ্তর, সূর্য সেন স্ট্রিট
পত্রপাঠ বিপণি, সূর্য সেন স্ট্রিট
বইবন্ধু, সূর্য সেন স্ট্রিট
Read Bengali Books, সর্দার শঙ্কর রোড (লেক মল-এর পাশে)
মনমোহিনী বুক স্টল, রাণাঘাট
অন্য বই, দূর্গাপুর

Boibishwa In +917980483011
Boiwala Express - বইওয়ালা এক্সপ্রেস
বইদেশিক +918583865987
দূরের বই +918697352444
বুকলুক +918240308693
বইভূত +916291190071
ওপারের বই +917001539273
কলেজস্ট্রিট.নেট +919635807228
বুক মার্ক +919330915587
বিবলিওফাইল বুক স্টোর
বই টক খানা

মনু সপুত্তকার হাসিমুখে বলেছিল– সোপারা একটা অনেক পুরোনো নগর ছিল। মগধ আর ষোড়শ জনপদ যখন এই পৃথিবীতে রাজত্ব করত, তখন সোপারা ...
18/03/2024

মনু সপুত্তকার হাসিমুখে বলেছিল– সোপারা একটা অনেক পুরোনো নগর ছিল। মগধ আর ষোড়শ জনপদ যখন এই পৃথিবীতে রাজত্ব করত, তখন সোপারা ছিল এক বিখ্যাত বন্দর। আচ্ছা কোনওদিন ভেবেছেন, এই যে বৌদ্ধধর্ম বিহারে জন্ম নিলো, তারপর তা শ্যাম, মালয়, জাভা, বালি এমনকি গ্রীস, ইংল্যান্ডে অবধি গিয়ে পৌঁছল– কীভাবে?

আমি চমকে উঠে বলেছিলাম– গ্রীস, ইংল্যান্ডে বৌদ্ধধর্ম? তারপর হাসতে হাসতে বলেছিলাম– মনু, চরসটা খাই আমি আর নেশাটা হলো তোমার। তুমি কে তা কিন্তু এখনও আমায় বললে না?

মনু বলল– বলব, বলব। আপনাকে বলব বলেই তো আসি। পালি ভাষায় একটা কথা আছে জানেন তো, থেরাপুত্ত। গ্রীক ভাষাতেও একটা শব্দ আছে, থেরাপিউটিস। একটু খোঁজ নিয়ে দেখবেন তো কথাটার মানে বৌদ্ধভিক্ষু কিনা। আপনি তো অনেক পড়ালেখা করেছেন, কখনও সময় পেলে আদি খ্রৃষ্ট দর্শনের সঙ্গে বৌদ্ধদর্শনটাও একটা মিলিয়ে দেখে নেবেন। খ্রৃশ্চানদের গির্জায় এক ধরনের গান হয়। তাকে বলে বোধহয় গ্রেগরিয়ান সঙ্গীত। কখনও সময় সুযোগ করে তার সাথে বৌদ্ধগীতির মিলটা দেখবেন তো।

রোজ ভাবি, এসে মনু সপুত্তকারকে খিস্তি দেবো। ঠিক জানব, ও কে? কোথা থেকে আসে লোকটা? কিন্তু লোকটা রোজ কথার মারপ্যাঁচে আমাকে ভুলিয়ে রাখে। কেন জানি না লোকটাকে দেখলে মনটা শান্তিতে ভরে ওঠে। মনে হয় এ জীবনে আর কিছুই চাইবার নেই। আর কিচ্ছু পাওয়ার নেই। যে কথাগুলো জিজ্ঞেস করব ভাবি আর জিজ্ঞেস করা হয় না। এলিফ্যান্টা থেকে ফেরবার ফেরি ধরি।

বই : শূন্যসুত্ত
লেখক : নীলাঞ্জন মুখার্জি
পৃষ্ঠা সংখ্যা : ২১৬
মুদ্রিত মূল্য : ২৫০
ফরম্যাট : হার্ডবাউন্ড
প্রচ্ছদ ও অলংকরণ : সুমিত রায়

অনলাইনে পাওয়া যাবে :

https://www.flipkart.com/shunyasutta/p/itmc966d6d7fe825?pid=RBKG2EVNYAZRRAV5

https://www.amazon.in/dp/B091L65W5Q?ref=myi_title_dp

https://meesho.com/SHIRES?_ms=1

জানকী বুক ডিপো ▶ শ্যামাচরণ দে স্ট্রিট
দে বুক স্টোর, শ্যামাচরণ দে স্ট্রিট
প্রজ্ঞা পাবলিকেশন বিপণি, বঙ্কিম চ্যাটার্জি স্ট্রিট
দাস বুক স্টল, বঙ্কিম চ্যাটার্জি স্ট্রিট
রায় বুক স্টল, বঙ্কিম চ্যাটার্জি স্ট্রিট
দে'জ পাবলিশিং হাউজ, বঙ্কিম চ্যাটার্জি স্ট্রিট
প্ল্যাটফর্ম, বঙ্কিম চ্যাটার্জি স্ট্রিট
মাথামোটার দপ্তর, সূর্য সেন স্ট্রিট
অরণ্যমন প্রকাশনী, সূর্য সেন স্ট্রিট
বৈভাষিক, সূর্য সেন স্ট্রিট
শব্দ প্রকাশন, সূর্য সেন স্ট্রিট
পত্রপাঠ বিপণি, সূর্য সেন স্ট্রিট
বইবন্ধু, সূর্য সেন স্ট্রিট
Read Bengali Books, সর্দার শঙ্কর রোড (লেক মল-এর পাশে)
মনমোহিনী বুক স্টল, রাণাঘাট
অন্য বই, দূর্গাপুর

Boibishwa In +917980483011
Boiwala Express - বইওয়ালা এক্সপ্রেস
বইদেশিক +918583865987
দূরের বই +918697352444
বুকলুক +918240308693
বইভূত +916291190071
ওপারের বই +917001539273
কলেজস্ট্রিট.নেট +919635807228
বুক মার্ক +919330915587
বিবলিওফাইল বুক স্টোর
বই টক খানা

Shunyasutta by Nilanjan Mukherjee from Flipkart.com. Only Genuine Products. 30 Day Replacement Guarantee. Free Shipping. Cash On Delivery!

সুলেখক Nayaan Basu প্রোফাইল থেকে কপি পেস্ট করা পাঠ প্রতিক্রিয়া।হার না মানা হারশুভব্রত বসুএবারত প্রকাশনী পাঠের শ্রদ্ধাশ্র...
25/02/2024

সুলেখক Nayaan Basu প্রোফাইল থেকে কপি পেস্ট করা পাঠ প্রতিক্রিয়া।

হার না মানা হার
শুভব্রত বসু
এবারত প্রকাশনী

পাঠের শ্রদ্ধা
শ্রদ্ধার পাঠ

জর্জ রায়, ছেলেটার নাম ছিল জর্জ রায়। একমাথা কোঁকড়া কোঁকড়া চুল, বেশ লম্বা, আর হয় না কিছু কিছু ছেলে বেশ ভব্যিযুক্ত ধরণের, জর্জ ছিল সেই টাইপের। জর্জ আমাদের স্কুলের ছেলে ছিল। সেই বছর লাগান সিনেমাটা রিলিজ করেছে, আমীর খান, গ্রেসি সিং। সেই একজন সর্বহারা কৃষকের রঙিন রূপকথার স্বপ্ন দেখা আর দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই। আসলে আমরা স্বপ্ন বলতে নরম নীল বুঝি তো, আসলে স্বপ্ন মানে ঘাম রক্ত আর জল। রকি সিনেমায় স্ট্যালোন বলেছিলেন, তুমি কতবড় যোদ্ধা সেটা তুমি কতটা জোরে মারতে পারছ তার ওপর নির্ভর করছে না, কতবার পড়ে গিয়ে উঠে দাঁড়াতে পারছ তার ওপর নির্ভর করছে। আর ওই বারবার পড়ে গিয়ে উঠে দাঁড়ানটার জন্য গায়ের জোর লাগে না, কোনো সুমহান দার্শনিক তত্ত্ব লাগে না, লাগে হার না মানার জেদ। তখন আমাদের ইলেভেন। জর্জ হাত পা নেড়ে খুব উত্তেজিত হয়ে বলেছিল, “লাগান সিনেমাটা আমাদের স্কুল থেকে নিয়ে গিয়ে দেখান উচিত।” জর্জ খুব আবেগী ছেলে ছিল, এখনও আছে সম্ভবত। বলতে বলতে ওর হাত পা মুখ কাঁপছিল। আমি মনে মনে ভাবছিলাম, ধুর ব্যাঙ, একটা হিন্দি সিনেমা, তাতে আবার নায়ক নায়িকা হাত ধরে নাচানাচির করছে, সেটা স্কুল থেকে অ্যারেঞ্জ করে দেখাবে! দাবী দেখ একবার! তখনও আমি সিনেমাটা দেখিনি। বাজে কথা বলব না, সিনেমাটা দেখার পর আমারও মনে হয়েছিল, জর্জ ঠিক কথা বলেছে। কারণটা এটা নয় যে লাগান সিনেমায় সবশেষে একটা রূপকথার মতো জয় ছিল, সব রূপকথার শেষে “লিভড হ্যাপিলি এভার আফটার” থাকে না। কিন্তু ওই যে একটা আদ্যন্ত অলৌকিক স্বপ্ন দেখার অসহ্য ছেলেমানুষী, বারবার হেরে যেতে গিয়েও ফিনিক্স পাখির মতো আরেকবার উঠে দাঁড়ান, দাঁতে দাঁত চেপে সব ব্যঙ্গ, সব তামসিকরার জবাবে চোয়াল শক্ত রাখা, হাতে তুলে নেওয়া রাজসিকতার আয়ুধ, হেরে গিয়েও আর্তনাদের সঙ্গে গুঁড়ো গুঁড়ো করে মিশিয়ে দেওয়া “আমি হারব না” এর নক্ষত্রচূর্ণ, রূপকথা এটাকে বলে। আমারও এখন মনে হয় লাগান স্কুলের বাচ্চাদের দেখানোই যায়, উচিতও হয়তো। জীবনের শিক্ষা তো এগুলোই। বাবরের বাবার নাম কে মনে রাখে? কিন্তু পরিস্থিতি, দূরের এবং অতি নিকটের মানুষও যখন নারকীয় নিস্পৃহতা নিয়ে ভেঙে দিতে চায় স্বপ্নের ডানাগুলো, তখনও “আমি লড়ব, আমি লড়ব, আমি লড়ব” বলতে শেখার নাম শিক্ষা। হার না মানা হার বইটা সেই সিলেবাসের একটা পাতলা চটি বই। লাগান যেরকম মনে হয় স্কুলের সব বাচ্চাকে দেখান উচিত, তেমনি এই বইটাও আমার মনে হয় পৃথিবীর সেই সবকটা মানুষের পড়া উচিত, যারা জানে অথবা অনাগত আগামীতে জেনে যাবে, জীবনের সব ম্যাচে শেষ বলে বোলারের পা লাইনের বাইরে পড়ে নো বল হবে না। হ্যাঁ, হার না মানা হার ঠিক এরকম একটা বই।

কিছু কিছু শব্দ হয়, যাদের পড়লে মনে হয় এরা ঠিক অক্ষর নয়, আলো দিয়ে নির্মিত। আর খুব সহজ আলো। আসলে আলো সহজই হয়, অন্ধকারের মতো। যে অন্ধকারে বসে লোধা শবরকন্যা মণি অথবা চুনী কোটাল ইতিহাস ভূগোল বই টেনে নিত। “.. ছেঁড়া কাঁথায়, মাদুরে। স্বপ্নে ভেসে আসে ভাতের গন্ধরা…” আর তারপর শুরু হতো তার লড়াই। মানুষ আসলে কেমন জানেন তো, মানুষ নিজের স্বপ্নের মতন বড়। যে স্বপ্ন দেখে পাখি হবে, তার পিঠের দুধারে দুধের গন্ধের মতন শাদা আর নীল রেখা ফুটে ওঠে, যে স্বপ্ন দেখে গাছ হবে তার শরীরে বাসা বাঁধে সবুজের আদিম গন্ধ। আর কেউ কেউ স্বপ্ন দেখে আকাশ হওয়ার। মানুষ তখন আকাশ হয়। আকাশ তো অসীম, অসীমের অধিকার পেতে গেলে আগে নিঃস্ব হতে হয়, শূন্য হতে হয়। নিংড়ে দিতে হয় নিজেকে, জলে ভেজা কাপড়ের মতো। টপটপ করে ঝরে পড়ে অনাদর, অবহেলা, অভিমানের দাগগুলো। তারপর সেই কাপড় উড়তে থাকে, চুনী কোটালের ছেঁড়া জামার মতো, জাতীয় পতাকার মতো, পতপত করে। এক মায়াবী নিবিড় নীল আকাশের তলায়।

কিছু লেখা শব্দের মনিমানিক্য খচিত হয় না। কিছু লেখা পড়লে মনে হয় একজন পথ চলতি লোক একটা ব্যস্ত রাস্তার বর্ণনা দিচ্ছে যেন। ওই ওখানে একটা লোক কলের জলে চান করছে, তার পাশ দিয়ে একটা হলুদ অ্যাম্বাসেডর চলে গেল, ওপাশের বাড়ির বারান্দায় ভেজা কাপড় মেলতে এসেছে একটা মেয়ে এরকম। গদ্যময় ভাষা। কিন্তু শুনে মনে হয় একটা ছবি দেখছি। যে ছবিটা লোকটা দেখেছে, নিজের চোখে, আর সহজভাবে বলে যাচ্ছে পাশ দিয়ে এক্ষুণি যে লোকটা চলে গেল চেক জামা পরে, তার চোখে একটা রিমলেস চশমা। আসলে এরকমই তো হয়, গল্প তখন আর গল্প থাকে না, জ্যান্ত হয়ে ওঠে। এতটাই জ্যান্ত যে হলুদ অ্যাম্বাসেডরটা যখন কর্কশ শব্দে হর্ন দিয়ে ওঠে, চমকে উঠতে হয়। যেমন, মণি অথবা চুনী কোটাল যখন একঘর স্টুডেন্টদের মধ্যে উঠে দাঁড়িয়ে মাথা উঁচু করে বলে, “ছাত্র সংসদে আমি যোগদান করব কি না, সেটা আমার ব্যক্তিগত ইচ্ছা। তার জন্য কেউ আমাকে জোর করতে পারে না।” তখন সেই কর্কশ শব্দটা শোনা যায়। হ্যাঁ, তখন গোটা ক্লাসরুম নিস্তব্ধ আর সব নিস্তব্ধতা হিরন্ময় হয় না, কিছু নিস্তব্ধতা কর্কশ হয়। কান ঝালাপালা করে দেয়। এই গদ্যময় ন্যারেশনের এটাই গুণ, ওই কর্কশ আওয়াজটা শোনা যায়।

প্রত্যেক শব্দের পিছনে একটা করে পোঁ থাকে। যেমন ওঙ্কারের পিছনের ওম। অনেকটা শাঁখ বেজে যাওয়ার পরেও যে ম’টা পড়ে থাকে, সেরকম। ওটা শব্দের ওজন। সেটা বাড়ে কমে, লেখক সেই শব্দ কখন কোথায় ব্যবহার করছেন তার ওপর। ঠিক তেমনি আমাদের প্রত্যেক মানুষের পিছনেও ওই পোঁ’টা থাকে। মানুষ তো আর স্বয়ম্ভু নয়। তার ইতিহাস আছে, আর কে না জানে মানুষের ইতিহাস এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের ইতিহাস। আমরা সকলে প্রত্যেকে নক্ষত্রচূর্ণ দিয়ে প্রস্তুত। আবেগ নয়, বিজ্ঞান, তথ্য। তেমনি যখন লেখক কোনো চরিত্র নেন, তার পিছনের সেই পোঁ’টা ধরেই লেখেন। চরিত্রের ইতিহাস। এই গল্পে লোধা শবর কন্যাটির কথা যখন লেখক লেখেন, সেই সুদূর অতীত থেকে যেন তার সব পূর্বপুরুষ এসে দাঁড়ান, তাদের যন্ত্রণা, তাদের বঞ্চনা মূর্ত হয়ে ওঠে একটি চরিত্রের হাত ধরে। তখন ব্যষ্টি চরিত্রের নাশ হয়, একটা ইতিহাস কথা বলে। একের মুখ দিয়ে। তখন আর সেটা গল্প থাকে না, দলিল হয়ে ওঠে। একটা জাতির একটা জনজীবনের দলিল। হার না মানা হার সেই দলিল।

সাধারণত এমন অতিলৌকিক বিক্রমের মানুষগুলোর গল্প বলার ক্ষেত্রে শুধু তার লড়াইটুকু বড় করে দেখান হয়। পার্শ্বচরিত্র তেমন গুরুত্ব পায় না। অস্বাভাবিকও কিছু নয়। সূর্যের আলোয় তারারা ঢেকে থাকে যেমন। এই গল্পেও সেটাই হয়েছে। কিন্তু একইসঙ্গে মূল চরিত্রের লড়াইয়ের পাশাপাশি তার প্রেমের কবিতাও উঠে এসেছে। উঠে এসেছে তার স্বপ্নের কথা, যেখানে “মণি বসে আছে, সে আসবে। মাথায় জংলাপাতার মুকুট পরে, গলায় বনফুলের মালা দুলিয়ে, হলুদ খাটো ধুতি পরে। চকচক করবে তার কালো আদুর গা, জ্যোৎস্না ঠিকরে পড়বে তার গা থেকেও।” স্বপ্নের মতন। অথচ মণির স্বপ্ন আরও অনেক বড় ছিল। মাঝে মাঝে তাই মনে হয় জ্যোৎস্নার চেয়ে অলৌকিক নরম এবং প্রলয়ঙ্কর সর্বনাশ আর বুঝি কিছু নেই। তবু, যে আকাশ হতে চেয়েছিল, সে যতটা না জানত তাকে কোথায় যেতে হবে, তার চেয়ে ঢের বেশি জানত তাকে কোথায় থামতে হবে। জ্যোৎস্নার মায়াপ্লাবন কতজনই বা এড়াতে পারে! যারা পারে, তারা কঠোর নয়, তারা জ্যোৎস্নার চেয়েও বেশি জীবনবিলাসী।

ওই প্রথম প্যারাতে যেমন বলেছিলাম, জীবনের সব খেলায় শেষ বল নো’বল হয় না। এই গল্পেও হয়নি। গল্প ওখানেই থেমে যেতে পারত। কিন্তু থেমেনি। কারণ প্রতিবাদীর মৃত্যু হয়, প্রতিবাদের তো হয় না। মুখ বদলে যায় খালি, শব্দ তখনই স্লোগান হয়ে ওঠে। আর স্লোগান হয়ে ওঠে কবিতার মতো, নির্মম। যেখানে মণি’কে হারিয়ে দেওয়া হলো, তার পর থেকে আরেকটা লড়াই। আসলে প্রতিবাদ প্রতিরোধ সবই একটা রিলে রেসের মতন। একজন যেখানে ছেড়ে যান, আরেকজন সেখান থেকে শুরু করেন, করবেন। আজ নয় কাল। ঠিক যেমন করে মানুষের সভ্যতার ইতিহাস রচিত হয়, একজন এক কদম এগোলে পরের প্রজন্ম সেখান থেকে হামাগুড়ি দিতে শেখে। তারপর একদিন সাবলীল পায়ে সে এগিয়ে যায় আগামী সূর্যের দিকে। মণি গল্প যেখানে শেষ হয়, আসলে সেখান থেকেই আরেকটা গল্প শুরু হয়। ইতিহাসের পাপ চাপা থাকে না। যেমন আব্রাহাম লিংকন বলেছিলেন, “You can fool all the people some of the time and some of the people all the time, but you cannot fool all the people all the time." সেজন্যই অমীমাংসিত প্রশ্নের উত্তর আদায় করার জন্য আবার জাগতে হয় মণিদের। অন্য মুখে, অন্য শরীরে। একের প্রতিবাদ মিশে যায় মিছিলের গর্জনে। তাই এই গল্পের শেষেও আবার পথ চলা শুরুর বার্তা আছে। যেমন হয়ে আসছে, আবহমান কাল ধরে। যেমন হয়ে চলবে অন্তহীন।

শুভব্রত বসুর আগে আইলী আম্মা ও এক বেচুর গল্প পড়েছিলাম। এছাড়া কয়েকটি পূজা বার্ষিকীতে কিছু ভৌতিক, কিছু ঐতিহাসিক। তাদের কলেবর শীর্ণ। তুলনামূলক বিচারে যাওয়া ভুল, সব লেখার বিস্তার, গভীরতা এমনকি লেখকের বক্তব্য সমান হয় না। কিন্তু একটা কথা না বললেই নয়, আইলী আম্মা পড়ে মুগ্ধ হয়েছিলাম। পড়ে মনে হয়েছিল চোখের সামনে দেখছি যেন। এই ধরণের লেখাগুলো আলাদা ভাবে স্পর্শ করে। কিন্তু হার না মানা হার এখনও পর্যন্ত আমার পড়া লেখকের শ্রেষ্ঠ রচনা। এখনও পর্যন্ত। এই বই সেই সমস্ত মানুষের, যাদের জীবন বারবার বক্সিয়ের রিংয়ের মধ্যে ধরাশায়ী করে। আর বারবার যারা জিভ দিয়ে কষাটে রক্তের ঘ্রাণ চেটে নিয়ে উঠে দাঁড়ায়।

হার না মানা হার গলায় পরবে বলে।।

পুঃ একটি কথা না বললে কিছুটা বাকি থেকে যাবে। মেকিং নিয়ে কোনো কথা বলার উপায় রাখেনি এবারত প্রকাশনী। তবে যেটা সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য, বইয়ের ভিতরের পাতায় কিছু অলঙ্করণ আছে। লিনোকাট? আমি জানি না। কিন্তু এককথায় ধ্রুপদী। যিনিই করে থাকুন না কেন, কুর্নিশ।।

লুকাশিয়া পড়ে Adhiraj biswas পাঠ প্রতিক্রিয়া জানালেন।   বই - লুকাশিয়ালেখিকা - অনিন্দিতা নাথপ্রকাশনা - এবারত প্রকাশনীমূল্...
23/02/2024

লুকাশিয়া পড়ে Adhiraj biswas পাঠ প্রতিক্রিয়া জানালেন।

বই - লুকাশিয়া
লেখিকা - অনিন্দিতা নাথ
প্রকাশনা - এবারত প্রকাশনী
মূল্য - ২৫০/-

কলকাতা বইমেলা ২৪ এ প্রকাশিত বইগুলোর পোস্টারের মধ্যে এই লুকাশিয়া বইটির পোস্টার দেখেছিলাম ফেসবুকে, কভারটা বেশ ভালো লেগেছিল, তাই কিনেছিলাম। আকর্ষণীয় পোস্টার হলেই যে বইয়ের গল্পগুলো ভালো হবে, এমন কিন্তু কোন মানে নেই। এর আগে যে কটা বই তাদের কভার দেখে কিনেছিলাম, কোন বইই আমার ভালো লাগেনি তেমন, নিরাশই হয়েছি। তাই এই বইটা নিয়েও কোন আশা তেমন ছিল না। তবে বইটা পড়ার পর বুঝলাম এই বই নিয়ে আমার চিন্তা ভুল ছিল।
আজ পড়ে শেষ করলাম অনিন্দিতা নাথ এর লেখা লুকাশিয়া বইটি। এককথায় দারুন লেগেছে বইটা পড়তে। কভার দেখে পছন্দ হলেও, বইটি পড়ার পর এখন বলতে পারি বইটা কিনে ঠকিনি। এটি একটি সম্পূর্ণ উপন্যাস। এর মধ্যেই রয়েছে দুটি ছোট গল্প আর দুটো বড় গল্প। এর মধ্যে ছোট গল্প গুলোর কোন নাম নেই, একজন ফাদার তার স্কুলের ছাত্রদের সেই গল্প শোনাচ্ছেন, সেই জন্য গল্পগুলোর কোন নাম নেই। আর বড় গল্প দুটোর নাম আছে। ১. মৃত্যুর সন্তান ও ২. লুকাশিয়া। যদিও এই গল্প গুলোও সেই ফাদারের লেখা গল্প। এই উপন্যাসের মূল চরিত্র একটি ম্যাগাজিন ও একটি বইতে এই গল্পগুলো পড়েছে। এই সমস্ত গল্পগুলো নিয়েই এই গোটা উপন্যাস।
গল্পগুলো পড়তে বেশ ভালোই লেগেছে আমার। গল্পগুলো পড়ার সময় এক অজানা শিহরন জাগানো ভয় এবং গল্পগুলোর প্রতি এক অকর্ষণ অনুভব করেছি, যার ফলে একটানা পড়ে শেষ করতে পেরেছি বইটা।
বলতে বাকি রাখেনা বইয়ের সব গল্পগুলোই ভৌতিক ঘরানার, এবং গল্পগুলোতে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করতে লেখিকা সফল হয়েছেন। কাজেই আপনাদের বলবো ভৌতিক গল্প পড়তে ভালোবাসলে একবার এই বইটি পড়ে দেখতে পারেন, ভালো লাগবে।

কপি পেস্ট পাঠ প্রতিক্রিয়া। সঙ্গে আরও একবার বিধিবদ্ধ সতর্কতা- দুর্বল হৃদয় বা হালকা ধরণের গল্প পড়তে চাইলে এই বইটি এড়িয়ে যা...
22/02/2024

কপি পেস্ট পাঠ প্রতিক্রিয়া। সঙ্গে আরও একবার বিধিবদ্ধ সতর্কতা- দুর্বল হৃদয় বা হালকা ধরণের গল্প পড়তে চাইলে এই বইটি এড়িয়ে যাবেন। এটা কোনও বিজ্ঞাপনী চমক নয়।

এখন ঘড়িতে ঠিক রাত ৩ টে বেজে ৪৫ মিনিট। এই মাত্র শেষ করলাম লেখক নীলাঞ্জন মুখার্জীর -

#প্রপঞ্চতন্ত্র

যা লিখছি তাকে ঠিক বুক রিভিউ বলা চলে না বরং বলা ভালো যে বই-টা পড়ে কেমন লাগল সেটা জানাতে ছটফট করছি এই মাঝরাত্রে।

বইয়ের নাম - প্রপঞ্চতন্ত্র। (হার্ড বাইন্ড পেপার জ্যাকেট/এবারত প্রকাশনীর প্রথম সংস্করণ ২০২৩ সালের দীপাবলি।)
লেখক - নীলাঞ্জন মুখার্জী।
প্রকাশক - এবারত প্রকাশনী।
প্রচ্ছদ - কুশল ভট্টাচার্য।
অলংকরণ - মিশন মণ্ডল।
হরফসজ্জা - ঋতুপর্ণা চক্রবর্তী।
পৃষ্ঠা সংখ্যা - ১২৮
সাইজ - ক্রাউন।
বিনিময় মূল্য - ২২৫/- (মুদ্রিত)

২০১২ সালে চলচ্চিত্র পরিচালক সুজয় ঘোষ কলকাতা শহরের পটভূমিকায় একটি কমার্শিয়াল হিন্দি থ্রিলার মুভি বানিয়েছিলেন 'কাহানি', যেটা প্রথমবার দেখে সাধারণ দর্শক (আমার মতো) সহজে বুঝতে পারেনি। মুভি-টা অনেকেই দ্বিতীয়বার দেখেছিলেন। লেখক নীলাঞ্জন মুখার্জীর প্রপঞ্চতন্ত্র খানিকটা ওরকমই অর্থাৎ সাধারণ পাঠকদের বইটা দুবার পড়তে হতে পারে। যদি দ্বিতীয়বার পড়তে হয় তাহলে কীভাবে পড়বেন সেটা বই-এর শুরুতেই উল্লেখ করা আছে।

আমি ডার্ক জঁরের গল্প পড়তে ভালোবাসি। বেশী ভালোবাসি ছোট গল্প পড়তে কারণ সময় কম লাগে। যে কোনও গল্পের বই, যদি সেটা উপন্যাস হয় তাহলেও একবার পড়তে শুরু করলে শেষ না করে ছাড়ি না। এই বইটা পড়তে পড়তে কয়েকবার ছেড়ে দিতে ইচ্ছে করছিল। এমনটা যে ঘটতে পারে; লেখক সেটাও জানিয়ে দিয়েছিলেন।

আমরা 'অন্ধকার' শব্দটির গভীরতা বোঝাতে - নিকষ, পিচকালো, গাঢ় ইত্যাদি বিশেষণ ব্যবহার করি। এই ক্ষেত্রে প্রপঞ্চতন্ত্র বই-টি ঠিক কতটা ডার্ক, সেটা ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন। বইটি পড়তে পড়তে রাগ, ঘেন্না, গা শিরশিরানি, চোয়াল শক্ত হয়ে ওঠা, গা গুলিয়ে ওঠা ইত্যাদি অনুভূতিগুলো আমাকে অস্থির করে তুলেছিল প্রায় তিন ঘন্টা। বইটির পরতে পরতে ইতিহাসের করুণ পর্যায়ক্রম, গল্পের অন্তরে আরেকটা গল্প, শয়তানের সাধনা আর শয়তানির খেলায় মেতে ওঠার স্তরগুলো যেভাবে লেখা হয়েছে তা অন্য আর পাঁচ টা গল্পের মত নয়।

মেইন প্লট, সাবপ্লটস, ডিফারেন্ট শেডস অফ ক্যারেক্টরর্স এবং স্টাইল অফ স্টোরি টেলিং - জাস্ট ইউনিক। গল্পের মূল বিষয় নিয়ে খুব বেশী কিছু লিখে স্পয়লার দিতে চাই না। একটি গেস্ট হাউসে শুরু হওয়া দু জন মানুষের কথোপকথন থেকে কাহিনির মধ্যে কাহিনি এবং গল্পের মধ্যে গল্প-গুলো খুঁজে নিয়ে তার আসল নির্যাস গ্রহণ করতে পারলে তবেই বইটির সঠিক মূল্যায়ন করা সম্ভব হবে। অবিভক্ত বাংলার ইতিহাসকে কেন্দ্র করে শয়তানের যে ভয়ঙ্কর খেলা, ভাষা এবং শব্দের (উর্দু এবং হিন্দি ভাষা জানলে সুবিধা হবে) জাগলিং, মুক্তিযোদ্ধা এবং তাঁদের পরিবারের উপর খান সেনাদের অবর্ণনীয় অত্যাচারকে লেখক তাঁর তীক্ষ্ণ কলমের জাদুতে জীবন্ত রূপদান করেছেন। এরকম বার বার হবে; মনে হবে বইটা ছুঁড়ে ফেলে দিই কিন্তু কোনো এক অজানা আকর্ষণে ওই ঘোলাটে পাতাগুলো থেকে পাঠক চোখ সরাতে পারবেন না। এখানেই এই ডার্ক স্টোরির চূড়ান্ত সার্থকতা।

বইটির ফিনিশিং শার্প। টু ডি প্রচ্ছদ এবং আভ্যন্তরীণ অলংকরণ মনকাড়া। ক্রাউন সাইজ হবার কারণে ইজি টু ক্যারি। প্রিন্টিং ঝকঝকে। বাঁধাই টাইট।
সব মিলিয়ে একটা পারফেক্ট ডেলিভারি।

লেখক আমার বন্ধুবৃত্তে নেই, শুধু একটা জায়গায় একটা প্রশ্ন আছে; বইয়ের ৩৭ পাতায় লেখা হয়েছে - "এই সব ভাবতে ভাবতে চারতলায় উঠে বাচ্চু চমকে গেল"...
কিন্তু,
১২৩ পাতায় লেখা হচ্ছে, মহান মাস্টার মীর মুরশেদ হোসেন-কে বলছেন - "এই আপনি যেখানে বসে আছেন, সেই সোফার নীচে গত সপ্তাহে আপনার মতোই অত্যাচারী একটা মানুষকে জ্যান্ত কবর দিয়েছি।"...

চারতলার ফ্লোর বা মেঝেতে কীভাবে একজন মানুষকে জ্যান্ত কবর দেওয়া সম্ভব এটা বুঝতে পারিনি।

সব মিলিয়ে আমার জ্ঞান এবং বোধের বিচারে #প্রপঞ্চতন্ত্র অবশ্যই একটি সংগ্রহযোগ্য বই।

ধন্যবাদ 🙏

অভিজিৎ পাঁজা
শিবপুর - হাওড়া।
২২/০২/২০২৪

বই : সপ্তজীবীজ়ঁর : থ্রিলার ফরম্যাট : হার্ডবাউন্ড সাইজ : রয়্যাল ২৪.৫×১৬ সেমিমুদ্রিত মূল্য :  ₹500পাওয়া যাবে নিম্নলিখিত দ...
19/02/2024

বই : সপ্তজীবী
জ়ঁর : থ্রিলার
ফরম্যাট : হার্ডবাউন্ড
সাইজ : রয়্যাল ২৪.৫×১৬ সেমি
মুদ্রিত মূল্য : ₹500

পাওয়া যাবে নিম্নলিখিত দোকানে
জানকী বুক ডিপো ▶ শ্যামাচরণ দে স্ট্রিট
দে বুক স্টোর, শ্যামাচরণ দে স্ট্রিট
বর্ণ বইমহল, শ্যামাচরণ দে স্ট্রিট
দাস বুক স্টল, বঙ্কিম চ্যাটার্জি স্ট্রিট
রায় বুক স্টল, বঙ্কিম চ্যাটার্জি স্ট্রিট
দে'জ পাবলিশিং হাউজ, বঙ্কিম চ্যাটার্জি স্ট্রিট
প্ল্যাটফর্ম, বঙ্কিম চ্যাটার্জি স্ট্রিট
মাথামোটার দপ্তর, সূর্য সেন স্ট্রিট
অরণ্যমন প্রকাশনী, সূর্য সেন স্ট্রিট
ইবুকলিস্ট, সূর্য সেন স্ট্রিট
শব্দ প্রকাশন, সূর্য সেন স্ট্রিট
পত্রপাঠ বিপণি, সূর্য সেন স্ট্রিট
বইবন্ধু, সূর্য সেন স্ট্রিট
Read Bengali Books, সর্দার শঙ্কর রোড (লেক মল-এর পাশে)
মনমোহিনী বুক স্টল, রাণাঘাট
অন্য বই, দূর্গাপুর

Boibishwa In +917980483011
Boiwala Express - বইওয়ালা এক্সপ্রেস
বইদেশিক +918583865987
দূরের বই +918697352444
বুকলুক +918240308693
বইভূত +916291190071
ওপারের বই +917001539273
কলেজস্ট্রিট.নেট +919635807228
বুক মার্ক +919330915587
বিবলিওফাইল বুক স্টোর
বই টক খানা
বুকইকার্ট +91 90518 50022

অ্যামাজনেও পাওয়া যাবেই নীচের লিঙ্কে ক্লিক করলেই

সপ্তচিরঞ্জীবী কারা? কীভাবে তাঁরা সপ্তচিরঞ্জীবী হলেন? যদি তাঁদের মৃত্যু না হয়ে থাকে, তবে তাঁরা এই মুহূর্তে কী করছ....

Address

৩/২, শ্যামাচরণ দে স্ট্রীট (3/2, Shymacharan Dey Street)
Kolkata
700073

Opening Hours

Monday 9am - 5pm
Tuesday 9am - 5pm
Wednesday 9am - 5pm
Thursday 9am - 5pm
Friday 9am - 5pm

Telephone

+917407194463

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when নভোরজ posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to নভোরজ:

Videos

Share

Category