28/06/2020
করোনা পর্বে সবারই নতুন নতুন অভিজ্ঞতা হচ্ছে ,খুব স্বাভাবিক যে নার্স দেরও হবে ,এবং হচ্ছে ....
এই কঠিন সময়ে আমার মত হয়ত অনেক নার্স দেরই ধারণা ছিল আমাদের হাসপাতাল টা সামলাতে হবে ,নিজেদের এবং পরিবার কে যতটা সম্ভব সুরক্ষিত রাখতে হবে কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল কিছু অন্যরকম ...
পিপিই নিয়ে সমস্যা
হাসপাতালে যাওয়া আসার সমস্য
হাসপাতালে রুগীর কভিড পজেটিভ সেটা কে জানবে কে জানবে না ,নার্স তো জানবেই না ,নার্সিং কতৃপক্ষ অভয় দেবে duty করো কিছু হবে না।
নার্স Night করতে যাচ্ছে তাকে মহিলা পুলিশ অতি সক্রিয় হয়ে গেলে চড় বসিয়ে দিল ,সে নার্স এটা জেনেও ।
টাস্ক ফোর্সের আধিকারিক কে জানিয়েও কোনো সুবিচার হয়নি ।
হাসপাতাল গুলোতে নার্সিং কতৃপক্ষ দের সরকার ঘোষিত ছুটি যেন যেন প্রকারে না দেওয়া ,প্রয়োজনে কোয়ারেন্টাইন না দেওয়া ,কোথাও টানা সাতদিন night করানো, কোথাও টানা সাত ঘন্টা ,বার ঘন্টা পিপিই পরিয়ে কাজ করানো অথচ
এই front line warrior দের শেষ পর্যন্ত সুস্থ না রাখতে পারলে সমূহ বিপদ এটা বুঝতে বিশেষজ্ঞ হতে হয় না ।
এর মধ্যেই সামনে এল হাসপাতাল সুপারিনটেনডেন্ট দ্বারা নার্সের Molestation এর মত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ।
*************************************************
এবার যেটা সামনে এল ,.....
GNM & BSC নার্সিং স্টুডেন্ট দের অবিলম্বে তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যোগ দিতে হবে এবং তাদের ward duty করতে হবে ,
সবার জ্ঞাতার্থে বলতে চাই,, এই মেয়েদের আসার জন্য কি বলা হয়েছে .....
স্কুল কলেজ থেকে রীতিমত instruct করা হয়েছে, কিন্তু অভিভাবক দের কাছ থেকে Consent আনতে হবে,
বাড়ি থেকে fit certificate আনতে হবে ,
পিপিই ,N 95 মাস্ক ,গ্লাভস ,washable shoe , বেশী করে sanitizer সব বাড়ি থেকে আনতে হবে।
আর এসবই কিন্তু ছাত্রী দের স্বার্থে ,ছাত্রী দের ভালোর কথা ভেবে ,
এবার অভিভাবক দের বা যে কোনো শুভ বুদ্ধিসম্পন্ন নানুষের স্বতঃস্ফূর্ত কয়েকটি প্রশ্ন ---
Duty করতে করতে এই ছাত্রী দের যদি কভিড পজেটিভ হয় তবে যে দায়িত্ব নেবে ?
চিকিৎসা কোথায় হবে ?
যদি বেসরকারি প্ৰতিষ্ঠানের ছাত্রী কে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করা হয় তার ব্যয়ভার বহন করবে কে ?
হস্টেলে সোশ্যাল ডিস্ট্যান্স মানা যাবে কি না ?
Duty এর পর কোযারেন্টাইন ঠিক মত দেওয়া হবে কিনা ?
আর প্রধান প্রশ্ন --- সমস্ত প্রফেশনাল এডুকেশান বন্ধ রাকগ হয়েছে সেখানে নার্সিং স্টুডেন্ট রা এর বাইরে হলো কি করে ?
নার্সিং আধিকারিক গণ কি কিরে এই সিদ্ধান্ত নিল তাতে নার্সিং সমাজ বিস্মিত ।
তাহলে এই কঠিন পরিস্থিতিতে ছাত্রী দের কে বিপদের মুখে না ঠেলে দিয়ে কোর্স টা কে Extension করলে তো বিপদ টা এড়ানো যেত ।
অথবা ,সুরক্ষার ব্যাপারটা নিশ্চিত করে তারপর ওদের কে স্কুল কলেজে ডাকা যেত ।
ছাত্রী নার্স দের এখন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ডাকার পরিপ্রেক্ষিতে নার্সেস ইউনিটি তাদের মতামত জানিয়েছে স্বাস্থ্য ভবনে স্বাস্থ্য আধিকারিকদের কাছে।
এতটুকু ঝুঁকি থাকলেও নার্সেস ইউনিটি ছাত্রী নার্স দের এই মুহূর্তে ওয়ার্ড ডিউটি বা অসুরক্ষিত অবস্থায় হোস্টেলে আনার সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করছে।
গতকাল একজন নেওটিয়ার চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী নার্স করোনার লক্ষণ নিয়ে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে এবং এই ভর্তিও খুব মসৃন ভাবে হয়নি ।
জ্বর ,শ্বাসকষ্ট , ডায়রিয়া থাকলেও যেহেতু এখনও পজিটিভ হয়নি তাই এম্বুল্যান্স পাবেনা ,ওর সাথে যারা কন্ত্যাক্টে এসেছে তাদেরকে ওই যেন জানিয়ে দেয় , এবং মেয়েটি একই যেন দেখাতে আসে । যাই হোক ছাত্রীটি কে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ,নার্সেস ইউনিটির সাথে নার্সিং আধিকারিক একজনের সাথে কথা হয় যাতে এই বিপুল খরচ যদি মেয়েটির পরিবারকে দিতে হয় তাহলে মেয়েটিকে সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করার ব্যবস্থা যেন ওনারা করেন তাতে ওই আধিকারিক জানান খরচ নেওটিয়াই দেবে।
অর্থাৎ যে উদ্বেগ নার্সেস ইউনিটি জানিয়েছিল স্বাস্থ্য ভবনে,অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক সেই রকম ঘটনাই ঘটে যাচ্ছে।
এই লেখা লেখার সময়ও একজন ফোন করল ,কলেজ থেকে ছাত্রীদের ডাকা হচ্ছে অথচ বলা হচ্ছে বাড়ি থেকে অভিভাবকের consent ,যেন আনে ,বাড়ির লোকের দায়িত্বেই মেয়েরা আসছে অর্থাৎ ,কলেজের কোনো দায়িত্ব নেই । এমনকি কভিড টেস্ট এর report ও আনতে হবে ।
ছাত্রীদের জন্য এই অবৈজ্ঞানিক এই সিদ্ধান্ত বাতিল করে ছাত্রীদের প্রতি বৈজ্ঞানিক ,মানবিক সিদ্ধান্ত নিতে নার্সেস ইউনিটি দাবি জানাচ্ছে ।