
26/01/2025
রমজানিয়া মারকাজের দ্বিতীয় দিনের এস্তেমাতে প্রায় লক্ষাধিক মুসল্লির সমাগম!
মনজুর আলম : মগরাহাট : মগরাহাট রমজানিয়া মারকাজের সালানা এস্তেমা আজ দ্বিতীয় দিন। এই দ্বিতীয় দিনে প্রায় লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হয়েছে। রয়েছে আপদকালীন পুলিশ অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা, সিসিটিভির নজরদারি। কোনরকম দুর্ঘটনা যাতে না হয় সেদিকে কড়া নজর মারকাজ কর্তৃপক্ষের। সোমবার সকাল দশটা ত্রিশ মিনিটে হবে দোয়ার মাহফিল। আরো প্রচুর মুসল্লিদের সমাগম হবে কালকে দোয়ার মাহফিলে এমনটাই জানা যাচ্ছে। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে প্রায় ৩০ টি খাবারের দোকান দেওয়া হয়েছে জামাতি ভাইদের সুবিধার্থে।
জানা গিয়েছে, মারকাজের জন্ম ১৯৫০ সালে।
পশ্চিমবাংলায় প্রথম বিশ্ব ইজতেমা মগরাহাটের এই মারকাজ থেকে হয। সেটা প্রথম দুইবার আব্দুল হক সাহেবের( র: )জামানায় মগরাহাট রমজানিয়া মার্কাজের ভিতরে হয়েছে আর বাকি তিনবার স্কুল মাঠে এবং অন্যান্য জায়গায় হয়েছে কিন্তু সেটা এই মারকাজের তত্ত্বাবধানে হয়েছে দিল্লির আকাবির হযরত এনামুল হাসান সাহেব এসেছিলেন।
আর স্কুল মাঠে যেটা হয়েছিল তখন আব্দুল হক সাহেব মাসোয়ারা করে স্কুল মাঠে হয়েছিল তখন স্কুল মাঠে মার্কাজ ছিল না। তারপরে দ্বিতীয় হযরতজি হযরত মাওলানা ইউসুফ সাহেব তিনিও মগরাহাট রমজানিয়া মারকাজের ইজতেমা এসছিলেন। তৃতীয় হযরতজি হযরত মাওলানা এনামুল হাসান সাহেব এই মারকাজের ইজতেমা এসেছিলেন। বর্তমান মারকাজের ভিতরে জায়গা সংকীর্ণ হওয়ায় এখন ইজতেমা মগরাহাটের হলুদবাড়িয়া ময়দানে দ্বিতীয় বছর চলছে। এই ইজতেমায় ঐতিহ্য কোনো রকমের দোকান বসতে পারবে না কঠোরভাবে নিষিদ্ধ । ইজতেমা ময়দানে খাওয়ার সমস্ত ব্যবস্থা ও থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্টলের ব্যবস্থা করা হয়েছে মানুষের টিফিন করার জন্য বাইরে যাতে না যেতে হয় তারা বিনামূল্যে টিফিন করতে পারবেন। চা কফি বিস্কিট টোস্ট ফল ,খেতে পারবেন পকোড়া, ফিন্নি, সীমায় ইত্যাদি টিফিন থাকবে বিনামূল্যে।
এই মারকাজের বর্তমান মেন আমির অর্থাৎ জেলা আমের যিনি তিনি হলেন মাওলানা আইয়ুব সাহেব মাওলানা আব্দুল জব্বার সাহেব, মুফতি মাহমুদুল হাসান সাহেব মাওলানা আসলাম সাহেব হাফেজ আবুল কালাম সাহেব হাফেজ তৈয়েবুল ইসলাম সাহেব, ডাঃ সুরুল হক মাওলানা আমিনুদ্দিন, সুরত আলী , শামীম ভাই, মশিউর ভাই, মাস্টার মোজাফফর সাহেব মাওলানা মনিরুল ইসলাম সাহেব, হাফিজ সরদার ভাই মাওলানা আব্দুস সাত্তার সাহেব মাওলানা সাগির আলম সাহেব, মাস্টার নজরুল সাহেব হাফেজ সাবির সাহেব, মাস্টার আরিফাত সাহেব আব্বাস সাহেব খুরশিদ ভাই, মুক্তি কামর উদ্দিন সাহেব হাজী কুতুব উদ্দিন সাহেব জনাব
দিল্লি নিজামউদ্দিন সবথেকে বেশি সময় লাগান রফিকুল ভাই সাহেব মাওলানা আমিনুদ্দিন সাহেব, সুরত আলী সাহেব
এবছর আযানের দায়িত্ব মৌলভী আব্দুস সালাম সাহেব সহকারী কারী আনোয়ার সাহেব, ইমামতির দায়িত্ব দ্বিতীয় সাল লাগানো উলামা হাফেজ ক্বারী মাওলানা মুফতি মাহমুদুল হাসান কাসেমী সাহেব, সহকারী ইমাম এক সাল লাগানো ওলানা মাওলানা আব্দুর রকিব সাহেব