25/11/2022
বয়ান-৪২
গর্ভবতী মাকে/বিবিকে/বোনকে নাটক সিনেমা নিয়ে চিন্তার পরিবর্তে হাবীবুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মাথা মোবারক থেকে পা মোবারক পর্যন্ত ভাবনার ব্যবস্থা করে দেন। সন্তানের উপর প্রভাব পড়বে ইন শা আল্লাহ।
ভুমিকা,
নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দেহ মোবারক,
كان رسولُ اللهِ أبيضَ ، كأنما صِيغَ من فضةٍ
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এত সৌন্দর্যময় ছিলেন, মনে হত তার দেহ রুপা দ্বারা গঠিত।
الجامع الصغير ٦٤٥٢
এক.
মাথা মোবারক,
عليٍّ رضي الله عنه قال: كان النبي صلى الله عليه وسلم ضخم االرأس
মাথা মোবারক তুলনামূলক বড় ছিল। দেখতে খুব সুন্দর লাগত।
তিরমিজি-৩৬৩৭
দুই.
চুল মোবারক,
كانَ رَسولُ اللهِ ﷺ كَثيرَ شَعَرَ الرَّأسِ
চুল ঘন ছিল,
«زوائد المسند» (٩٤٤)
তিন.
চুল কেমন দেখতে?
عن أنس
وَلَا بِالْجَعْدِ الْقَطَطِ وَلَا بِالسَّبِطِ
অধিক কোকড়ানো না, আবার একবারে লম্বা ছিলনা।
মুসলিম-২৩৪৭
তাহলে কেমন ছিল?
عن أبي هريرة رضي الله عنه
كان رسول الله صلى الله عليه وسلم رَجِلَ الشَّعْرِ
তার চুল মোবারক ঈষৎ ঢেউ খেলানো ছিল।
الجامع الصغير ٦٤٥٢
إنِ انْفَرَقَتْ عَقِيقَتُه فَرَقَ، وإلا فلا
যদি অনায়েসে সিথি এসে যেত তাহলে সিথি কাটতেন, অন্যথায় ইচ্ছে করে সিথি কাটতেন না,
الجامع الصغير ٦٤٧٥
قَدْ شَمِطَ مُقَدَّمُ رَأْسِهِ وَلِحْيَتِهِ وَكَانَ إِذَا ادَّهَنَ لَمْ يَتَبَيَّنْ وَإِذَا شَعِثَ رَأْسُهُ تَبَيَّنَ
চুল এবং দাড়ির সামনের অংশ সাদা হয়ে গিয়েছিল। তিনি যখন তেল দিতেন (সাদা) চুল তখন দেখা যেত না, আর যখন চুল অগোছালো হত তখন (সাদা) দেখা যেত।
সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৫৯৭৮
(২৩৪৪ মাদ্রাসা পাঠ্যপুস্তক অনুসারে)
চার.
চুলের পরিমাপ,
অফরাহ
১- কানের অর্ধেক পর্যন্ত ঝুলানো ছিল।
عَنْ أَنَسٍ، قَالَ كَانَ شَعَرُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى أَنْصَافِ أُذُنَيْهِ
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর চুল তাঁর দু’ কানের অর্ধেক পর্যন্ত ঝুলানো ছিল।
সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৫৯৬৩
(২৩৩৮ মাদ্রাসা পাঠ্যপুস্তক অনুসারে)
২-দু’কান ও দু’কাঁধের মাঝ পর্যন্ত।
লিম্মা,
عَنْ قَتَادَةَ، قَالَ سَأَلْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ ـ رضى الله عنه ـ عَنْ شَعَرِ، رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ كَانَ شَعَرُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَجِلاً، لَيْسَ بِالسَّبِطِ، وَلاَ الْجَعْدِ، بَيْنَ أُذُنَيْهِ وَعَاتِقِهِ
ক্বাতাদাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) -কে রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর চুল সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বললেনঃ রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর চুল মধ্যম ধরনের ছিল- না একেবারে সোজা, না বেশী কোঁকড়ানো। আর তা ছিল দু’কান ও দু’কাঁধের মাঝ পর্যন্ত।
সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৫৯০৫
৩-কাঁধ পর্যন্ত লম্বা হতো।
জুম্মা,
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، كَانَ يَضْرِبُ شَعَرُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم مَنْكِبَيْهِ
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর চুল (কখনও) কাঁধ পর্যন্ত লম্বা হতো।
সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৫৯০৪
পাচ.
চেহারা মোবারক,
উদাহরণ-১
عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، قَالَ سَمِعْتُ الْبَرَاءَ، يَقُولُ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَحْسَنَ النَّاسِ وَجْهًا وَأَحْسَنَهُ خَلْقًا، لَيْسَ بِالطَّوِيلِ الْبَائِنِ وَلاَ بِالْقَصِيرِ.
বারাআ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন আল্লাহ্র রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর চেহারা ছিল মানুষের মধ্যে সর্বাপেক্ষা সুন্দর এবং তিনি ছিলেন সর্বোত্তম আখলাকের অধিকারী। তিনি বেশি লম্বাও ছিলেন না এবং বেঁটেও ছিলেন না।
সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৩৫৪৯
উদাহরণ-২
ولا بِالْمُكَلْثَمِ، وكان في الوجْهِ تَدْوِيرٌ أبيضَ مُشْرَبًا
তাঁর মুখাবয়ব সম্পূর্ণ গোলাকার ছিল না, বরং কিছুটা গোলাকার ছিল।
তিরমিজি-৩৬৩৮
উদাহরণ-৩
أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرَ بْنَ سَمُرَةَ، يَقُولُ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ..وَكَانَ كَثِيرَ شَعْرِ اللِّحْيَةِ فَقَالَ رَجُلٌ وَجْهُهُ مِثْلُ السَّيْفِ قَالَ لاَ بَلْ كَانَ مِثْلَ الشَّمْسِ وَالْقَمَرِ وَكَانَ مُسْتَدِيرًا
জাবির ইবনু সামুরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ..তাঁর দাড়ি প্রচুর ঘন ছিল। জনৈক লোক বলল, তাঁর চেহারা ছিল তরবারির ন্যায়। জাবির (রাঃ) বললেন, না, তাঁর চেহারা ছিল সূর্য ও চন্দ্রের ন্যায় (উজ্জ্বল) গোলাকার। এটির রং ছিল তাঁর গায়ের রংয়ের মতো।
সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৫৯৭৮
(২৩৪৪ মাদ্রাসা পাঠ্যপুস্তক অনুসারে)
উদাহরণ-৪
عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ، قَالَ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي لَيْلَةٍ إِضْحِيَانٍ فَجَعَلْتُ أَنْظُرُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَإِلَى الْقَمَرِ وَعَلَيْهِ حُلَّةٌ حَمْرَاءُ فَإِذَا هُوَ عِنْدِي أَحْسَنُ مِنَ الْقَمَرِ .
জাবির ইবনু সামুরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
তিনি বলেনঃ এক জোছনা রাতে আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে তাকিয়ে দেখলাম। তাঁর পরনে ছিল একজোড়া লাল রং-এর পোশাক। আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর দিকে এবং চাঁদের দিকে তাকাতে লাগলাম। তিনিই আমার কাছে চাঁদের চাইতে অধিক সুন্দর মনে হল।
জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ২৮১১
উদাহরণ-৫
يَتَلَأْلَأُ وجهُه تَلَأْلُؤَ القمرِ ليلةَ البدرِ
তাঁর চেহারা মোবারক পূর্ণিমার চাঁদের ন্যায় উজ্জ্বল ছিল
الجامع الصغير ٦٤٧٥
ছয়.
কপাল মোবারক,
واسِعَ الجَبِينِ
ললাট ছিল প্রশস্ত।
الجامع الصغير ٦٤٧٥
সাত,
ভ্রু মোবারক,
أَزَجَّ الحواجبِ، سَوابِغَ في غيرِ قَرَنٍ، بينهما عِرْقٌ يُدِرُّهُ الغضبُ
ভ্রুদ্বয় বক্র, সরু ও ঘন ছিল। উভয় ভ্রু পৃথক পৃথক ছিল, একটি অপরটির সাথে সংযোজিত ছিল না। ভ্রুদ্বয়ের মাঝে একটি রগ ছিল রাগ যাকে স্ফিত করে তুলত।
الجامع الصغير ٦٤٧٥
আট.
ছোখ মোবারক,
كانَ رسولُ اللهِ ﷺ ..عَظيمَ العَينيْنِ
ডাগর চোখ বিশিষ্ট,
صحيح الأدب المفرد ٩٨٨
أدْعَجَ العيْنَيْنِ
চোখের মনি কালো ছিল,
তিরমিজি-৩৬৩৮
أَشْكَلَ الْعَيْنَيْنِ
চোখ দু’টি ছিল লাল (চোখের কিনারা ছিল দীর্ঘ)।
জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ৩৬৪৬
عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ..وَكُنْتُ إِذَا نَظَرْتُ إِلَيْهِ قُلْتُ أَكْحَلَ الْعَيْنَيْنِ وَلَيْسَ بِأَكْحَلَ
জাবির ইবনু সামুরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ
আমি তাঁর দিকে তাকালে মনে হত তিনি উভয় চোখে সুরমা লাগিয়েছেন। অথচ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর চোখে সুরমা লাগানো থাকত না।
জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ৩৬৪৫
নয়.
নাক মোবারক,
أَقْنى العِرْنِينِ، له نورٌ يَعْلُوهُ يَحْسَبُهُ مَن لم يَتَأَمَّلْهُ أَشَمَّ
তাঁর নাক মোবারক কিছুটা উচুঁ ছিল, তাতে একটা নুর চমকাত।
الجامع الصغير ٦٤٧٥
দশ.
গাল মোবারক,
سَهْلَ الخَدَّيْنِ
গাল মোবারক সমান ছিল
الجامع الصغير ٦٤٧٥
এগারো.
দাত মোবারক,
مُفَلَّجَ الأسنانِ
সামনের দন্তরাজিতে কিছুটা ফাকা ছিল।
الجامع الصغير ٦٤٧٥
বারো,
থুথু মোবারক,
উদাহরণ-১
أَخْبَرَنِيْ سَهْلُ بْنُ سَعْدٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ يَوْمَ خَيْبَرَ لَأُعْطِيَنَّ هَذِهِ الرَّايَةَ غَدًا رَجُلًا يَفْتَحُ اللهُ عَلَى يَدَيْهِ يُحِبُّ اللهَ وَرَسُوْلَهُ وَيُحِبُّهُ اللهُ وَرَسُوْلُهُ
সাহ্ল ইব্নু সা'দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
খাইবারের যুদ্ধে একদা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, আগামীকাল সকালে আমি এমন এক লোকের হাতে ঝাণ্ডা তুলে দেব যার হাতে আল্লাহ খাইবারে বিজয় দান করবেন যে আল্লাহ এবং তাঁর রসূলকে ভালবাসে এবং যাকে আল্লাহ এবং তাঁর রসূল ভালবাসেন।
قَالَ فَبَاتَ النَّاسُ يَدُوْكُوْنَ لَيْلَتَهُمْ أَيُّهُمْ يُعْطَاهَا فَلَمَّا أَصْبَحَ النَّاسُ غَدَوْا عَلَى رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم كُلُّهُمْ يَرْجُوْ أَنْ يُعْطَاهَا
সাহ্ল (রাঃ) বলেন, মুসলিমগণ এ জল্পনায় রাত কাটালো যে, তাদের মধ্যে কাকে দেয়া হবে এ ঝাণ্ডা। সকালে সবাই রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে আসলেন, আর প্রত্যেকেই তা পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা করছিলেন।
فَقَالَ أَيْنَ عَلِيُّ بْنُ أَبِيْ طَالِبٍ فَقِيْلَ هُوَ يَا رَسُوْلَ اللهِ يَشْتَكِيْ عَيْنَيْهِ قَالَ فَأَرْسَلُوْا إِلَيْهِ فَأُتِيَ بِهِ فَبَصَقَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فِيْ عَيْنَيْهِ وَدَعَا لَهُ فَبَرَأَ حَتَّى كَأَنْ لَمْ يَكُنْ بِهِ وَجَعٌ فَأَعْطَاهُ الرَّايَةَ فَقَالَ عَلِيٌّ يَا رَسُوْلَ اللهِ أُقَاتِلُهُمْ حَتَّى يَكُوْنُوْا مِثْلَنَا فَقَالَ انْفُذْ عَلَى رِسْلِكَ حَتَّى تَنْزِلَ بِسَاحَتِهِمْ ثُمَّ ادْعُهُمْ إِلَى الإِسْلَامِ وَأَخْبِرْهُمْ بِمَا يَجِبُ عَلَيْهِمْ مِنْ حَقِّ اللهِ فِيْهِ فَوَاللهِ لَأَنْ يَهْدِيَ اللهُ بِكَ رَجُلًا وَاحِدًا خَيْرٌ لَكَ مِنْ أَنْ يَكُوْنَ لَكَ حُمْرُ النَّعَمِ
তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, 'আলী ইবনু আবূ ত্বলিব (রাঃ) কোথায়? সাহাবীগণ বললেন, হে আল্লাহ্র রসূল! তিনি তো চক্ষুরোগে আক্রান্ত। তিনি বললেন, তার কাছে লোক পাঠাও। সে মতে তাঁকে আনা হল। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার উভয় চোখে থুথু লাগিয়ে তার জন্য দু'আ করলেন। ফলে চোখ এমন ভাল হয়ে গেল যেন কখনো চোখে কোন রোগই ছিল না। এরপর তিনি তার হাতে ঝাণ্ডা প্রদান করলেন। তখন 'আলী (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহ্র রসূল! তারা আমাদের মতো (মুসলিম) না হওয়া পর্যন্ত আমি তাদের সাথে যুদ্ধ চালিয়ে যাব। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তুমি বর্তমান অবস্থায়ই তাদের দ্বারপ্রান্তে গিয়ে হাজির হও, এরপর তাদেরকে ইসলাম গ্রহণের প্রতি আহবান করো, আল্লাহ্র অধিকার প্রদানে তাদের প্রতি যে দায়িত্ব বর্তায় সে সম্পর্কে তাদেরকে অবহিত কর। কারণ আল্লাহ্র কসম! তোমার দাওয়াতের মাধ্যমে আল্লাহ যদি মাত্র একজন মানুষকেও হিদায়াত দেন তাহলে তা তোমার জন্য লাল রঙের (মূল্যবান) উটের মালিক হওয়ার চেয়ে উত্তম।
সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৪২১০
উদাহরণ-২
عن وائل بن حجر
أُتيَ النَّبيُّ ﷺ بِدَلْوٍ مِن ماءٍ، فشرِبَ منه، ثم مَجَّ في الدَّلْوِ، ثم صَبَّ في البِئرِ، أو شرِبَ مِنَ الدَّلْوِ، ثم مَجَّ في البِئرِ، ففاحَ منها مِثلُ ريحِ المِسكِ
নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে পানিভর্তি বালতি আনা হলো, নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সেখান থেকে পানি পান করলেন, অতঃপর কুলি করে মুখ থেকে পানি ফেললেন সেখান থেকে মেশক আম্বরের ঘ্রাণ আসতে লাগল।
وأحمد ١٨٨٣٨
তেরো,
দাড়ি মোবারক,
كَثَّ اللحيةِ
ঘন দাড়ি।
الجامع الصغير ٦٤٧٥
চৌদ্দ,
গর্দান মোবারক,
كأنَّ عُنُقَهُ جِيدُ دُمْيَةٍ في صَفاءِ الفِضَّةِ
তাঁর গর্দান মোবারক মুতির মত সুন্দর এবং খোলা রুপার মত উজ্জ্বল।
الجامع الصغير ٦٤٧٥
পনেরো.
وَرَأَيْتُ الْخَاتَمَ عِنْدَ كَتِفِهِ مِثْلَ بَيْضَةِ الْحَمَامَةِ يُشْبِهُ جَسَدَهُ
আমি তাঁর পিঠের উপরিভাগে কবুতরের ডিম সদৃশ নুবূওয়াতের মোহর দেখেছি।
সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৫৯৭৮
(২৩৪৪ মাদ্রাসা পাঠ্যপুস্তক অনুসারে)
ষোল.
বুক মোবারক,
عريض الصدر
বুক প্রশস্ত ছিল।
الجامع الصغير ٦٤٧٥
সতেরো,
دقيق المسربة
বক্ষদেশ থেকে নাভি পর্যন্ত লোমের সরু রেখা ছিল।
الجامع الصغير ٦٤٧٥
আঠারো.
سَواءَ البَطْنِ والصَّدْرِ
পেট বুক সমান ছিল,
الجامع الصغير ٦٤٧٥
উনিশ.
আলী রাঃ এর বক্তব্য।
عَنْ عَلِيٍّ، قَالَ لَمْ يَكُنْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِالطَّوِيلِ وَلاَ بِالْقَصِيرِ شَثْنَ الْكَفَّيْنِ وَالْقَدَمَيْنِ ضَخْمَ الرَّأْسِ ضَخْمَ الْكَرَادِيسِ طَوِيلَ الْمَسْرُبَةِ إِذَا مَشَى تَكَفَّأَ تَكَفُّؤًا كَأَنَّمَا انْحَطَّ مِنْ صَبَبٍ لَمْ أَرَ قَبْلَهُ وَلاَ بَعْدَهُ مِثْلَهُ
আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) না অতি লম্বা ছিলেন আর না (অতি) বেঁটে ছিলেন। তাঁর দু’হাত ও দু’পা ছিল মাংসল, মাথা ছিল আকারে বৃহৎ এবং হাড়ের গ্রন্থিসমূহ ছিল স্থূল ও শক্তিশালী। তাঁর বুক হতে নাভি অবধি প্রলম্বিত ফুরফুরে পশমের একটি রেখা ছিল। চলার সময় তিনি সম্মুখের দিকে ঝুঁকে হাঁটতেন, যেন তিনি ঢালবিশিষ্ট জায়গা দিয়ে হেঁটে চলছেন। আমি তাঁর পূর্বে কিংবা তাঁর পরে আর কাউকে তাঁর মতো দেখিনি।
জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ৩৬৩৭
আরিফ বিন হাবিব।