Kolikatar oligoli - কলিকাতার অলিগলি

  • Home
  • India
  • KOLKATA
  • Kolikatar oligoli - কলিকাতার অলিগলি

Kolikatar oligoli - কলিকাতার অলিগলি কলকাতাবাসী যখন ভেবেছে না, সম্ভব না।
কলিকাতার অলিগলি পেয়েছে সম্ভাবনা।
(3)

- কি রে আজ কোথাও বেরোবি না?- না আজ ঘরেই থাকবো কোথাও যাবো না।      খানিক টা অভিমানের সুরে দিশা শৌনক               কে বললো...
29/06/2024

- কি রে আজ কোথাও বেরোবি না?
- না আজ ঘরেই থাকবো কোথাও যাবো না।
খানিক টা অভিমানের সুরে দিশা শৌনক
কে বললো।

আজ দিশার জন্মদিন শৌনক দিশার বেস্ট ফ্রেন্ড, দুজন দুজনকেই ভালোবাসে কিন্তু কোনোদিন সেটা বলে উঠতে পারেনি। দিশা ভেবেছিলো শৌনক কোনোদিন তার জন্মদিন ভুলবেনা কিন্তু শৌনক কাল ১২ টার পর উইশ করেনি আবার আজ সকাল থেকেও করেনি দিশার খুব অভিমান হয়েছিল তাই ঠিক করলো শৌনকের সাথে দেখা করবেনা।

- কি হলো তোর? রোজ তো এই বিকেল বেলা দেখা করি আজ হটাৎ না বলছিস কেন?
- কেন শৌনক কারোর কি কোনো অসুবিধা থাকতে পারেনা?
- সেটাই তো জিজ্ঞেস করছি কি অসুবিধা আছে?
- কিছু নিশ্চই আছে তোকে সেটা জানতে হবেনা।
- এত রেগে কেন যাচ্ছিস? আজকে ভাবলাম একটু গঙ্গার ধারে বেড়াতে যাবো চল না প্লিজ ।
- কেন জোর করছিস বললাম তো যাবো না।

এই বলে দিশা ফোন টা কেটে দেয়।

কিছুক্ষন পর দিশার মনে হলো শৌনকের সাথে ওইরকম ব্যবহার করা ঠিক হয়নি...সে ঠিক করলো যাবে তাই শৌনক কে একটা টেক্সট করে দিয়ে আসতে বললো।

- কি রে আসবি না বললি আবার এলি যে?
- না ঘরে ভালো লাগছিলোনা তাই চলে এলাম।
- আচ্ছা বস আমি একটু আসছি।
- ঠিক আছে।

হটাৎ শৌনক একটা কেক আর একটা গোলাপ ফুল নিয়ে দিশার সামনে এলো।

- একি এগুলো কার জন্য?
- আজ্ঞে আপনার জন্য ম্যাডাম।
- তোর মনে ছিল আমার জন্মদিন আজ?
- তুই ভাবলি কি করে আমি ভুলে যাবো?
- সকাল থেকে তো কোনো উইশ করিসনি তাই ভাবলাম হয়তো ভুলে গেছিস।
- উইশ করে দিলে এই সারপ্রাইস টা তো দিতে পারতাম না।
- খুব বাজে তুই এভাবে সকাল থেকে আমাকে কষ্ট দিলি!!
- কেন? কষ্ট কেন পাবি শুনি?
- হ্যাঁ তো তুই আমার বেস্ট ফ্রেন্ড হোস তুই উইশ না করলে কষ্ট তো হবেই।
- শুধুই বেষ্ট ফ্রেন্ড বলে?
- না মানে...দিশা চুপ করে থাকলো।
- কথাটা না বলে কতদিন থাকবি? আমি আর থাকতে পারছিনা তাই বলে দিচ্ছি।
- দেখ আমি তোকে খুব ভালোবাসি।
ফুলগুলো দিশার হাতে দিয়ে বললো...
- আমিও ভালোবাসি তোকে।
দিশা শৌনক কে জড়িয়ে ধরে বললো...

- তাহলে আজ এই গঙ্গা কে সাক্ষী রেখে আমাদের ভালোবাসার গল্প শুরু হোক।


কলমে — #অলিগলি_ সৃজিতা
ছবি — সংগৃহীত

– এই মেয়েটা যদি একটা কোনো কথা শোনে আমার, কি প্রয়োজন ছিল আজকে আসার শরীর খারাপ নিয়ে আমি বারণ করেছিলাম , মাঝরাস্তায় যদি...
29/06/2024

– এই মেয়েটা যদি একটা কোনো কথা শোনে আমার, কি প্রয়োজন ছিল আজকে আসার শরীর খারাপ নিয়ে আমি বারণ করেছিলাম , মাঝরাস্তায় যদি মাথা ঘুরে...

রাগে গজগজ করতে থাকে অগ্নি। আজ অপরূপাকে পই পই করে আসতে মানা করেছিল সে। জেদ নিয়ে ১০০ জ্বর নিয়েও সে বাড়ি থেকে বেরিয়েছে। বাস না পেয়ে হেঁটে আসছে বেচারি সম্পর্কের ২ তো বছর সম্পূর্ণতাকে উদযাপন করতে।

– ফোনটাও ধরে না ধেৎ। আজ আসুক ও কথা না শোনা স্বভাবে দাঁড়িয়ে গেছে। এই রোদে মেয়েটার কিছু হলে আমি নিজেকে কি বলব?

– ওই কি রে? হ্যালো!!!
– এই যে সেই এলিই তাহলে এতটা রাস্তা হেঁটে। কথা শুনিস আমার একটাও।
– ছাড় না, টুক টুক করে এসে তো গেছি। এই দেখ তোর পছন্দের হলুদ গোলাপ এনেছি।
– আমার সাথে একদম কথা বলবি না। ভীষণ মাথা গরম আছে আমার তোর ওপর। আজ আমি কোথাও ঘুরবো না... সোজা বাড়ি যাচ্ছি, বাই ।
– যেইদিন আমর কথা শুনতে শিখবি সেইদিন আসবো।
– আজকে তুই রাগ করছিস । কালকে যখন মরে যাব, রাগ দেখাবি কাকে?
অগ্নি কিছুটা রাস্তা এগিয়ে গিয়ে থমকে দাঁড়িয়ে,
– এইটা কি বললি তুই..!
চোখ দুটো ছলছল করছে তার, ছুটে এসে জাপটে ধরে।
– পড়ে এইসব কথা মুখেও তুলবি না কোনোদিন... তোকে নিয়ে আমার চিন্তা হয় আমার, তোকে ছাড়া আমি...
স্বভাব মতোই অপরূপা অগ্নির কোমরটা বাহুদ্বয় দিয়ে আটকে,
– ওরে আমি জানি হাঁদারাম জানি, চোখদুটো ফুলিয়ে ফেলেছে একেবারে দেখ । এইবার চ।
– গঙ্গার ঘাটের বেশি এক পাও না কিন্তু।
– আচ্ছা তাতেই যথা আজ্ঞা।

কলমে - #অলিগলি_অভিরূপ
ছবি সংগৃহীত

ফটোগ্রাফিতে -  #অলিগলি_কুন্তল
28/06/2024

ফটোগ্রাফিতে - #অলিগলি_কুন্তল

— অ্যাই শোন! শোন না!— হম কী হয়েছে? বল। কানটা তো খোলাই আছে।— না! এদিকে তাকা আমার দিকে। সারাক্ষণ কিসব কাগজের মধ্যে ঢুকে ব...
28/06/2024

— অ্যাই শোন! শোন না!
— হম কী হয়েছে? বল। কানটা তো খোলাই আছে।
— না! এদিকে তাকা আমার দিকে। সারাক্ষণ কিসব কাগজের মধ্যে ঢুকে বসে থাকিস!
— আচ্ছা বাবা বল এবার।

ঊর্মির আবদারে অনুরাগ হাতের আনন্দবাজারটা সরিয়ে রেখে ঊর্মির দিকে তাকালো। সামনে আরো বেশ কয়েকটা আজকের খবরের কাগজ রাখা। অনুরাগের রোজকার রুটিন, প্রত্যেক দিনের কাগজের সব শিরোনাম এক জায়গায় লিখে রাখা। ঊর্মি অনুরাগের হাতের ফাঁকে হাত গলিয়ে আরেকটু সরে এসে ওর কাঁধে মুখ গুঁজে বসলো।

— আমায় আর একটুও ভালোবাসিস না বল?
— না না একদমই বাসি না।

ঠোঁট ফুলিয়ে দুম করে অনুরাগের বুকে একটা কিল বসিয়ে দিলো ঊর্মি। অনুরাগ আলতো হাতে বুকে হাত বোলাতেই ঊর্মি আবার কাঁধে মাথা রাখলো।

— আউচ! এটা কেন মনে হলো হঠাৎ?
— এখন অন্য কেউ এসেছে আমাদের মধ্যে...
— এইসব ফালতু চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে দে। আর আমার ওপর অত্যাচারটা কম কর প্লিজ।
— এখন তো মনে হবেই আমি অত্যাচার করছি।
— উফ তোর কী হয়েছে বল তো! এসে থেকে কিসব বলছিস!
— হ্যাঁ হ্যাঁ এখন তো মনে হবেই আমি বাজে বকছি, বিরক্ত করছি। পুরোনো হয়ে গেছি তো! তোর সাথে আর কথাই বলবো না আমি। সব সমস্যা শেষ!

অনুরাগ কিছুক্ষণ ঊর্মির গাল ফোলানো মুখটার দিকে তাকিয়ে রইলো। কী চাইছে মেয়েটা? চশমার ফাঁক দিয়ে ঊর্মি একবার আড়চোখে অনুরাগের গতিবিধি দেখে নিয়ে আবার নিজের বকবকানি জারি রাখলো। কিন্তু অনুরাগের বুঝতে দেরী হলো না, মেয়েটা মজা করছে। এবার তার পালা।

— ঠিক আছে। বলিস না কথা। ভাবছিলাম আজ বিকেলটায় একটু ফাঁকা আছি। তো...
— তো?
— ওই আরকি... তেমন কিছু না।
— বল!
— পাড়ার মোড়ে নতুন একটা ফুচকাওয়ালা বসছে কয়েকদিন হলো। শুনেছি ভালো বানায়। তো ওই একটু বেড়োতাম, ফুচকা খেতাম আরকি...
— আইসক্রিমও?

ঊর্মির চোখ চকচক করে উঠলো। বড় বড় চোখে অনুরাগের দিকে তাকিয়ে। অনুরাগ হাসিটা চেপে নিলো কোনক্রমে।

— হ্যাঁ ফেরার পথে সেটাও খেতাম।
— সত্যি?
— কিন্তু থাক... তুই যখন কথা বলতে চাস না... তাহলে থাক!

ঊর্মির হাস্যোজ্বল মুখটা নিমেষে অন্ধকার হয়ে এলো। হাত ছাড়িয়ে ভ্রু কুঁচকে বসে রইলো।

— আমি তো শুধু কথা বলবো না বলেছি... খাবো না বলিনি তো!
— কিন্তু তুই তো খাওয়ার সময়ও কথা বলিস!
— ঠিক আছে! যেতে হবে না আমায় নিয়ে! একা একা যা! একা একাই খেয়ে আয়! তারপর দেখিস পেট খারাপ হবে এই বলে দিলাম।

বলে উঠে যেতে গেলেই ঊর্মির হাতটা ধরে নিলো অনুরাগ।
— আর রাগ করতে হবে না। চল তোকেই খাওয়াবো। তুই ছাড়া কে আছে আর?
ঊর্মি একগাল হেসে ঝাঁপিয়ে পড়লো অনুরাগের ওপর।

কলমে - #অলিগলি_প্রস্মিতা
ছবি — সংগৃহীত

- কি গো শানুর বাবা!- হ্যাঁ (ক্লান্ত সুরে)- আজ এত দেরী?- বাস তো নয় যেন গরুর গাড়ি, তারপর লোকের যা ভীড়...- জানো আজ কি হয়েছ...
28/06/2024

- কি গো শানুর বাবা!
- হ্যাঁ (ক্লান্ত সুরে)
- আজ এত দেরী?
- বাস তো নয় যেন গরুর গাড়ি, তারপর লোকের যা ভীড়...
- জানো আজ কি হয়েছে?
- আগে একটু জল তো দাও....
- ওই তো টেবিলে বোতল (বোতলটা হাতে দিয়ে)। আমাদের পাড়ার মোদক বাড়িতে আজ নতুন এসি এসেছে...
- বাবা! পেট ভরে না ভাতে, আর সোনার আংটি হাতে!
- তুমিও না, কি সুন্দর এসি! পাড়ার সব বউরা গিয়েছিলাম...
- বাদ দাও তো তোমার এবিপি নিউজ। ঘেমে স্নান হয়েছি, একটু ঠান্ডা জল আনো।
- ধুত! তোমার ঠান্ডা জল! এসিতে ঘরটা যেন বরফের গুহা হয়ে যায়...
- উফ! এই গরমে রামায়ণ পাঠ বন্ধ কর।
- হ্যাঁ হ্যাঁ, আমি...
- ধুর! আমি একেবারে স্নানই করি গে। তুমি খাবারটা বারো।

(স্নান করে বাইরে আসতেই সারা ঘর অন্ধকার)
- কি হলো গো ?
- কারেন্টটা গেল।
- এখন!
- মনে হয় ওভার লোড হয়েছে, তাই তো বলছে প্রতিবেশীরা...
- হতভাগারা এসি চালাবে আর অন্ধকারে মরব আমরা!
- নাও নাও তুমি এই হাত পাখাটা নিয়ে মাথা ঠান্ডা করো।

কলমে - #অলিগলি_দীপ্তি
ছবি - চিত্রগুপ্ত

"আজ হঠাৎ কি এক অদৃশ্য আকষর্ণে তোমাকে খোলাচিঠি লিখতে বসলাম। হয়তো অবাক হয়ে ভাবছো এসব চিঠিপত্র হঠাৎ কেন!"
27/06/2024

"আজ হঠাৎ কি এক অদৃশ্য আকষর্ণে তোমাকে খোলাচিঠি লিখতে বসলাম। হয়তো অবাক হয়ে ভাবছো এসব চিঠিপত্র হঠাৎ কেন!"

-বাবা তোমায় এত ভালোবাসে যে আমার হিংসা হয় গো। -আচ্ছা,-শুধু আচ্ছা? -হুম। কেউ যদি আমাকে হিংসা করে আমার তো কিছু করার নেই ত...
27/06/2024

-বাবা তোমায় এত ভালোবাসে যে আমার হিংসা হয় গো।
-আচ্ছা,
-শুধু আচ্ছা?
-হুম। কেউ যদি আমাকে হিংসা করে আমার তো কিছু করার নেই তাতে।
-অবশ্যই আছে।
-কেন?
-তোমায় কেউ হিংসে করছে তোমার কোনও না কোনও কাজের বা স্বভাবের জন্য। তাই সেই হিংসের জন্য তুমি দায়ী।
-আচ্ছা বুঝেছি।
-আচ্ছা আচ্ছা করো না তো।
-হে হে! তা কেউ আমায় ভালোবাসলে...
-হুম সেই দায় ও তোমার।
-তাই?
-হুম গো।
-আজ ফেরার পথে তুমি কলেজ স্ট্রিট যাবে তো?
-হ্যাঁ। সেই বইটা কিনতে হবে।
-হ্যাঁ।
-কি অদ্ভূত তাই না? মেয়ে চাকরি পায় নি বলে বিয়েটা আটকে আছে।
-আবার শুরু করেছো?
-সত্যিই তো এটাই।
-নিশ্চয়। আর আমি আমার হবু স্ত্রী চাকরীর পেলে তবেই তাকে বিয়ে করব। বুঝলে?
-ততদিনে বুড়ি হয়ে যাব।
-তা হও না। প্রেমিক সত্তায় আরো কিছু দিন থাকি, ক্ষতি কি বলো?
-সেই তো, সেই।
-একসাথে আইবুড়ো ছিলাম, একসাথে আধবুড়ো হব।
-আচ্ছা জো হুকুম!

কলমে — #অলিগলি_দুঃখবিলাসী
ছবি — সংগৃহীত

- এই কি হলো? ওরকম ড্যাব ড্যাব করে তাকিয়ে আছিস কেন?- না তোকে দেখছি।- কেন আমাকে আগে দেখিসনি বুঝি যে আজকে নতুন করে দেখছিস? ...
27/06/2024

- এই কি হলো? ওরকম ড্যাব ড্যাব করে তাকিয়ে আছিস কেন?
- না তোকে দেখছি।
- কেন আমাকে আগে দেখিসনি বুঝি যে আজকে নতুন করে দেখছিস?
- সত্যিই আজকে তোকে নতুন করে দেখছি। ভাবছি আমার সেই ছোট্ট বৌটা কবে বড়ো হয়ে গেলো?
- এই হাঁদারাম তোর হটাৎ করে আজ হলো কি? আমি এখনো তোর বৌ হয়নি।
- হতে কতক্ষন? আজ কতদিন পর আবার শাড়ি পরে তোকে দেখলাম।
- হ্যাঁ আজ খুব মন হলো শাড়ী পরে যাই।
- কি যে সুন্দর লাগছে তুই নিজেও জানিস না...আমি তো আজ পুরো ফিদা হয়ে গেছি তোকে দেখে।
- ধ্যাৎ কি যে বলিস না!! আমার থেকে ওরকম সুন্দরী অনেক আছে।
- থাকুক না কিন্তু আমার কাছে তুই সবার থেকে সুন্দরী।
- তাই বুঝি?

হটাৎ নীল রাইকে কোলে তুলে নিলো।

- এই কি করছিস? লোকে দেখলে কি বলবে?
- কতটা ভালোবাসি জানে না এ মন; তবুও তুমি ছাড়া দিশেহারা এই জীবন।
- তাই বুঝি আমার পাগল? বাবাহ হটাৎ কবি হয়ে গেলি নাকি?
- তোকে দেখে তো নিউটনও কবি হতে বাধ্য।
- ধ্যাৎ এবার বেশি হয়ে যাচ্ছে নামা এবার।


কলমে - #অলিগলি_সৃজিতা
ছবি সংগৃহীত

আমার জানলা দিয়ে একটুখানি আকাশ দেখা যায়!
26/06/2024

আমার জানলা দিয়ে একটুখানি আকাশ দেখা যায়!

 #পাঠকের_কলমে"দেখেছ কি তাকে, ঐ নীল নদীর ধারে!"- কাকে দেখার কথা বলছিস হৃদি?- ওহ রজত দা, তুমি! এসো দাঁড়াও এখানে।- বললি না...
26/06/2024

#পাঠকের_কলমে

"দেখেছ কি তাকে, ঐ নীল নদীর ধারে!"

- কাকে দেখার কথা বলছিস হৃদি?
- ওহ রজত দা, তুমি! এসো দাঁড়াও এখানে।
- বললি না তো, কাকে দেখার কথা বলছিলি?
- আরে এটা গানের লাইন এ ছাড়া আর কিছু না।
- বেশ!
- তা তোমার কী খবর বলো? নতুন চাকরি ধরলে আগের মতো তো আর ছাদে আসো না।
- কি আর চাকরি, আগের জীবনই ভালো ছিল বুঝলি। সারাদিনের পড়ার চাপ শেষে সন্ধ্যায় একটু ছাদে এসে ক্লান্তি মেটাতাম। কিন্তু এখন তো ওই সময় ও নেই। ৯-৮ টার অফিসে শরীর পুরো ভেঙ্গে যায়।
- আহারে, কি কষ্ট!
- আমার কষ্টের কথা রাখ। তুই বল নিজের দিকে খেয়াল রাখিস না কেন হ্যাঁ? একটু সাজুগুজু তো করতে পারিস। পাত্রপক্ষ দেখতে আসলে কি হবে বলতো?
- যা হওয়ার তাই হবে আর কি!
- তাই বললে হয় নাকি মেয়ে মানুষ সাজ না করলে হয়?
- আজকাল মেয়েদের সাজ নিয়ে বড্ড ভাবছো দেখি। অফিসে কি পছন্দ হলো নাকি কাউকে?
- আরে ধুর, কি যে বলিস। অফিসে যাওয়ার আগ থেকেই একজনকে মনের আঙ্গিনায় রেখে দিয়েছি। আমার একান্ত ব্যক্তিগত নারী।
- বাহ! দারুন তো। তা কে সে?
- দেখতে চাস?
- হ্যাঁ তো দেখব না? সেই ভাগ্যবতীটা কে যে তোমার মন পেল!
- ঠিক আছে তবে আজ সন্ধ্যায় ছাদে আসিস তোকে তার সাথে পরিচয় করিয়ে দিব।

ছাদ থেকে নেমে হৃদি যেন আর নিজেকে সামলাতে পারলো না। এতদিন ধরে যাকে মন দিয়েছে সে নাকি অন্য কাউকে পছন্দ করে! এও তাকে দেখতে হচ্ছে। সবই কপাল। সবার ভাগ্যে কি আর ভালোবাসা থাকে?

সন্ধ্যায় একটা আটপৌরে শাড়ি পড়ে ছাদে এলো হৃদি। মুখে তেমন কোনো সাজ নেই কিন্তু এতেই তাকে অসাধারণ লাগছে। একটু পর সেখানে এলো রজত। তার পায়ের আওয়াজে পেছনে ফিরল হৃদি।
- কিগো রজত দা, তোমার মনের মানুষ কোথায় বলতো! সেই কবে থেকে বসে আছি। তার আর কতক্ষন লাগবে আসতে?
- দাঁড়া বলছি।
বলেই হৃদির সামনে এলো সে তারপর হাতে থাকা টিপের পাতা থেকে একটি টিপ খুলে তার কপালে লাগিয়ে দিল রজত।
- একি, টিপ পড়াচ্ছো কেন?
- চুপ করে দেখে যা।

হৃদির দারুণ কৌতুহল হচ্ছে। কি করতে চাইছে রজত দা?
এরপর পকেট থেকে এক মুঠো লাল কাঁচের চুড়ি তার হাতে পড়িয়ে দিয়ে বলল," এবার ঠিক আছে।"
- কি ঠিক আছে?
- আমার মনের মানুষকে দেখতে চেয়েছিলি না? এই দেখ তাকে।
হৃদির সামনে আয়না ধরে বলল রজত। হৃদি তো আয়নায় তাকিয়ে অবাক। রজত দা তাকে নিজের মনের মানুষ বলেছে? সে কি ঠিক শুনেছে?
সে যখন এসব ভাবছে, তখনই রজত তার সামনে কাঁঠগোলাপ নিয়ে হাঁটু মুড়ে বলল,
- ভালোবাসার মানুষকে কিভাবে ভালোবাসার কথা বলতে হয় তা আমার জানা নেই কিন্তু আমি আমার মত তাকে জানান দিতে চাই ঠিক কতটা তাকে আমি ভালোবাসি। ঠিক কতটা তাকে শাড়িতে দেখলে নিজেকে সামলে রাখি, ঠিক কতোটা বেপরোয়া হয়ে যায় তাকে একটু দেখার জন্য । আমার জীবন কতটুকু আমি জানিনা, শুধু এটুকু চাই আমার জীবনের শেষ মুহূর্ত টুকু আমি তার সাথে কাটাতে চাই। আমি চাই আমার এ অগোছালো জীবনকে সে তার নিজস্ব শৈলীতে সাজিয়ে দিক। গড়ে তুলুক আমাকে আর আমাদের সংসারকে তার নিজের মনের মতো। তো আমার মনের মানুষ, আমার মায়াবতী, আমার হৃদি, বল পারবি এসব কটা অনুরোধ রাখতে? পারবি আমার ভালোবাসায় নিজেকে রাঙ্গাতে? পারবি আমার সাথে জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত চলতে?

হৃদি স্তম্ভিত। এমনভাবে কেউ কাউকে ভালোবাসার কথা বলে সেটা তার জানা ছিল না। কিন্তু এতদিন সে এটাই চেয়েছে যেন তার রজত দা তাকে ভালোবাসুক। আর আজ যখন সেই ইচ্ছেটা পূরণ হচ্ছে তখন সে আর চুপ থাকতে পারলো না।
- পারবো রজত দা।
- উমম... এখন থেকে শুধুই রজত নো দা, ওকে?
- ওকে রজত দা
- ইশশ্ আবার!
- সময় লাগবে তো।
- আচ্ছা এবার পিছনে ঘুর ফুলটা মাথায় লাগিয়ে দেই।
- আমাকে ভালোবাসার জন্য ধন্যবাদ রজত দা।
- তোকেও ধন্যবাদ আমাকে ভালোবাসার সংজ্ঞা শেখানোর জন্য।

একে অপরকে জড়িয়ে ধরে আকাশে থাকা পূর্ণিমার চাঁদ দেখতে থাকল দুজনে। চাঁদও যেন নিজের আলো ছড়িয়ে দিচ্ছে তাদের উদ্দেশ্যে।

কলমে — পৃথ্বী চৌধুরী
ডিজিটাল আর্ট — সংগৃহীত

আমাদের পেজে লেখালিখি অথবা অন্য বিভাগে যুক্ত হতে যোগাযোগ করুন নিচের লিংকে :
https://chat.whatsapp.com/FXlDX6EikrC4hjmRsKwR8J

তোমার বুকে মাথা রেখে,আকাশ জোড়া স্বপ্নটাকে,বেঁধেছি আজ সাতপাকেতে, থাকবো সারাজীবন সাথে।স্বপ্নগুলোকে সত্যি করতে,হাজার বছর ব...
26/06/2024

তোমার বুকে মাথা রেখে,
আকাশ জোড়া স্বপ্নটাকে,
বেঁধেছি আজ সাতপাকেতে,
থাকবো সারাজীবন সাথে।

স্বপ্নগুলোকে সত্যি করতে,
হাজার বছর বাঁচতে চাই,
আলো আধারের সংসারে...
তুমি আছো আমি তাই।

পরজন্ম বলে যদি কিছু থাকে
প্রতি জনমে সাতপাকে
তোমার সঙ্গেই
বাঁধা পড়তে চাই।

কলমে - #অলিগলি_বিশ্বরূপ
ছবি - তনুশ্রী

সবার প্রিয় উত্তর কলকাতা ❤️
25/06/2024

সবার প্রিয় উত্তর কলকাতা ❤️

— কোথায় তুমি!— এইতো প্রায় চলেই এসেছি; আসছি আর পাঁচ মিনিট।..— ঋষি!— এইতো তুমি চলে এসেছ। আমি ফটোগ্রাফার দাদার সাথে কথা ব...
25/06/2024

— কোথায় তুমি!
— এইতো প্রায় চলেই এসেছি; আসছি আর পাঁচ মিনিট।..
— ঋষি!
— এইতো তুমি চলে এসেছ। আমি ফটোগ্রাফার দাদার সাথে কথা বললাম তোমার যদি কিছু বলার থাকে তো বলে নাও।
— না না। আমার বিশেষ কিছু বলার নেই।
— তাহলে তোমার যদি কিছু সাজগোজের ব্যাপার থাকে তো করে নাও তারপর আমরা শুটটা করেনি।
— কলেজের পর কি সেজেগুজে ময়দানে গল্প করতে আসতাম! নয়তো। তাহলে এখন সাজবো কেন! আমরা বিয়ের আগের আমাদের আমিকে ছবির মাধ্যমে ধরে রাখছি।
— বেশ বেশ বুঝেছি আমি। সেইজন্যই কি এই জায়গাটা ঠিক করা!
— বলতে পারো। চলো আগের কাজ আগে করে নিয়ে কলেজ দিনের মতো বিকেল অবধি গল্প করবো।..
— বেশ ভালোই কাটলো দিনটা।
— হ্যাঁ; ফেলে আসা চার চারটে বছর জেনো চোখের পলকে দেখে ফেলাম। সেই মনে আছে ওই লাল কৃষ্ণচূড়া গাছটার কথা!
— হ্যাঁ; সেই কতো উপরের ডালে ফুল হতো আর তোমাকে পেড়ে দিতে হতো। তখনই ভালো ছিলো। এখন এতো কাজ এতো চিন্তা ভালো লাগেনা।
— আমি আছি তো। সবসময় থাকবো। মাম্মা নেই তো কি হয়েছে! মাম্মা উপর থেকে সব দেখছে।
— হ্যাঁ।
— তোমায় এমন দেখলে তো সে কষ্ট পাবে।
— তুমি খুব বুদ্ধিমতি কখন কিভাবে আমায় সামলাতে হয় খুব ভালো করে জানো।
— এইজন্যই তো তোমার হবু অর্ধাঙ্গিনী।

কলমে— #অলিগলি_স্নেহা
ছবি — সংগৃহীত

- এই কি ব্যাপার কি তোর? সবসময় তুই নিজে লেট করে আসবি আর আমাকে অপেক্ষা করিয়ে রাখবি!- একটু নাহয় দাঁড়িয়ে থাকলি কি অসুবিধা হল...
25/06/2024

- এই কি ব্যাপার কি তোর? সবসময় তুই নিজে লেট করে আসবি আর আমাকে অপেক্ষা করিয়ে রাখবি!
- একটু নাহয় দাঁড়িয়ে থাকলি কি অসুবিধা হলো তাতে?
- না আমার পায়ে লাগে না নাকি?
- দেখ এটা তো পার্ক কত্ত বসার জায়গা আছে একটা জায়গা দেখে তো বসে পড়তে পারতিস।
- উফ সবসময় মুখে কথা লেগেই রয়েছে নাহ! একটা কথা বাইরে পড়ার উপায় নেই।
- একদম এখানটা চুপ করে বোস আর চোখটা বন্ধ কর।
- না না না সবসময় আমি তোর কথা শুনবো না। আগে বল দেরি করলি কেন?
- আরে ওই পাশের বাড়ির মেয়েটা আছে না! রিমা ওর সাথে বসে প্রেম করছিলাম।
- তবে রে...
- এই বললাম না একদম চুপ করে বসতে।
- বসবো না, কি করবি?

ঋতম অনুর গাল দুটো ধরে জোরে টিপে দিলো।

- আর একটাও কথা বলবি তো এইভাবে আবার গালটা ধরে চটকে দেব।খুব বকছিস আজকাল তুই!!
- এই ছাড় না লাগছে চুপ করলাম না বলে তুই গাল টিপে দিবি!
- ছাড়বোনা... কি করবি করে নে।
- আমি কামড়ে দেব কিন্তু...
- কামড়া দেখি তোর দাঁতে কত জোর।
অনু জোরে ঋতম এর হাতটা কামড়ে দিলো
- উফঃ কুকুর একেবারে...কি জোরে কামড়ে দিলো। দাঁড়া তুই আজ তোর গালগুলো চটকে আমি লাল করে দেব।
- হিহি ধরতে পারলে ধর।
কিন্তুঅনু ততক্ষনে হাওয়া।


কলমে - #অলিগলি_সৃজিতা
ছবি সংগৃহীত

— আমি চলে যাচ্ছি বলে তোর মন খারাপ হচ্ছে না! হচ্ছে না এই মিথ্যেটা বলিস না।— আচ্ছা আমি যদি এখন মন খারাপ করি তোর ভালো লাগবে...
24/06/2024

— আমি চলে যাচ্ছি বলে তোর মন খারাপ হচ্ছে না! হচ্ছে না এই মিথ্যেটা বলিস না।
— আচ্ছা আমি যদি এখন মন খারাপ করি তোর ভালো লাগবে! নাকি বাড়ির কারোর ভালো লাগবে! সবার কথা আমায় শক্ত থাকতে হবে, নিজেকে বোঝাতে হবে বাড়ির লোকদের বোঝাতে হবে, আর ইত্যাদি।
— হুস হুস। কাউকে কিছু বোঝাতে হবে না আমি বুঝি আর বুঝি বলেই বললাম। দেখ এমন পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়েছি যে নিজেকে অসহায় লাগছে। সবে বিয়ের একসপ্তাহ দুইদিন আজ আর পরের সপ্তাহে আমার ফ্লাইট। না পারছি এইদিকে মন দিতে না ঐদিকে।
— এই একটু আগে কে যেন জ্ঞান দিচ্ছিল! তোমার পিএইচডি-র জন্য এতো বড়ো সুযোগ হাত ছাড়া করার কোনো মানেই হয় না। আমি অবশ্যই তোর সাথে যেতাম কিন্তু আমার রিসার্চের কাজটাও তো রয়েছে। আমি তোকে আগেই বলেছিলাম যে করবো না আমি এইকাজটা তখন তো তুই জোড় করলি। আর এখন আমার কথা ভেবে সবার মন খারাপ হচ্ছে...
— সবার আগে নিজের পরিচয় নিজের ভবিষ্যৎ তারপর সব। আমরা নিজেদের স্বপ্নপূরণ করবো একসাথে হয়তো আলাদা থাকতে হবে কটাদিন; আমি মানিয়ে নেবো এবং তোকেও নিতে হবে।
— আচ্ছা আমাদের তো ঘুরতে যাবার কথা ছিল তাই না!
— ছিল কিরে! এখন নেই বুঝি। আচ্ছা চল তুই তোর আর আমার ব্যাগ প্যাক কর আমরা চারদিনের জন্য একটা জায়গায় যাবো। আর এইদিকটা মা সামলে নেবে।
.. আবার হয়তো দীর্ঘ সাড়ে চার বছর পর দেখা হবে, অনুভব করা হবে, সঙ্গে থাকা হবে, আরও কতকি। কিন্তু কোথায়ও গিয়ে একটা কিন্তু থেকে যায়। মাঝে মাঝে দেখা হবে কিন্তু সেটা ক্ষণিকের।...

— তুই আগে বলিসনি তো আমরা এমন একটা জায়গায় আসবো।
— এটা তো সারপ্রাইজ ছিল।
— কিন্তু তোর তো সমুদ্র পছন্দ নয়। তবে!
— সেটা কোনো এককালের কথা। এখন আমার তোর বলে কিছু আলাদা নাকি। এইদিকে কেউ একটা আসেওনা, আর এই মোটামুটি এরিয়াটা পুরোটাই এখন আমরা একাই আছি।
— তাহলে আরকি! খোলা আকাশ, আকাশ ভর্তি তাঁরা, চঞ্চল সমুদ্রের ঢেউ। আর কি চাই!
— সেটাই... আপাতত কয়েক বছরের জন্য এই খোলা আকাশের চিঠিটাই নয় থাক। এখন আমরা নিজেদের কথা এবং ভবিষ্যতের কথাই ভাবি নাহয়!

কলমে— #অলিগলি_স্নেহা
ছবি — সংগৃহীত

তোর জন্য স্বপ্ন দেখি রোজ,তুই কবে আসবি জীবনে। কাটাবো দুজন দারুন করে জীবনটাকে,তোর গল্পে বাঁচবো আমিথাকবি আমার কবিতার পাতা জ...
24/06/2024

তোর জন্য স্বপ্ন দেখি রোজ,
তুই কবে আসবি জীবনে।
কাটাবো দুজন দারুন করে জীবনটাকে,
তোর গল্পে বাঁচবো আমি
থাকবি আমার কবিতার পাতা জুড়ে।
রাখবো তোকে আমার ভালোবাসা দিয়ে মুড়ে
কাজের থেকে ফেরার পথে গল্প হবে ফোনে,
বলবি তুই সারাজীবন রাখিস তোর মনে।
উঠলাম তখন তোর কথা শুনে হেসে,
বললাম আজ দেখা কর এসে ।
দেখা করতে ঘাড়ে রেখে তোর মাথা
বলে উঠলাম তুই আমার জীবনের ছাতা।

কলমে - #অলিগলি_দীপঙ্কর
ছবি সংগৃহীত

These lyrics hit different.Credit :- চিত্তাকর্ষক
23/06/2024

These lyrics hit different.
Credit :- চিত্তাকর্ষক

বেশ অনেকদিন ধরেই কলমটা ধরব ধরব করছিলাম, কিন্তু লেখার বিষয়বস্তু পাচ্ছিলাম না একদম! খুঁজতে খুঁজতেই হঠাৎ করে দেখলাম রাত্রি...
23/06/2024

বেশ অনেকদিন ধরেই কলমটা ধরব ধরব করছিলাম, কিন্তু লেখার বিষয়বস্তু পাচ্ছিলাম না একদম! খুঁজতে খুঁজতেই হঠাৎ করে দেখলাম রাত্রি আর দিবাকরের সম্পর্কের আট বছর পূরণ হলো। ভাবলাম, ওদের জীবনের কিছু অংশ যদি ফুটিয়ে তুলতে পারি! একদমই ছাপোষা সম্পর্ক ওদের, হেসে খেলে, একে অপরকে ভালোবেসে, প্রচুর ঝগড়া করে একসঙ্গে মিলেমিশে দিব্যি আছে কিন্তু! তাহলে দেখে নিই চলুন, ওদের আটবছরের "পূর্ণতা" ওরা কিভাবে পালন করছে?!

কলমে — #অলিগলি_শরন্যা
ছবি সংগৃহীত — সৌম্য দাসের ওয়াল থেকে

বিকেলের ময়দান, প্রতিদিনের চেনা পরিচিত দৃশ্য দেখা যাচ্ছে। কোথাও বা কলেজ ফেরত বন্ধুরা বসে আড্ডা দিচ্ছে, কোথাও আবার প্রেমি...
23/06/2024

বিকেলের ময়দান, প্রতিদিনের চেনা পরিচিত দৃশ্য দেখা যাচ্ছে। কোথাও বা কলেজ ফেরত বন্ধুরা বসে আড্ডা দিচ্ছে, কোথাও আবার প্রেমিক যুগল বসে খুনসুটি করছে, কোথাও ক্রিকেট খেলা চলছে, আবার কোন এককোণে চলছে প্রিওয়েডডিং ফটোশুট। এতকিছুর মাঝেই এক কোণে গাছের তলায় বসে এক দৃষ্টি আকাশের দিকে তাকিয়ে ছিল নন্দা। এইবারও তার ইন্টারভিউতে সিলেকশন হয়নি, তাই মন খুব একটা ভালো নেই। বন্ধু সৃষ্টি একটু পরেই দেখা করতে আসবে, এবারও একটা ভালো খবর নেই তার কাছে। দায়িত্ব পালন এবং হাজারো চিন্তার ভার প্রতিদিন প্রশ্নচিহ্নের মতো ঘুরপাক খায় তার মনে।

— কি রে ? মন খারাপ করে বসে আছিস কেন ?

( চুপচাপ নিজের মনে বসে আছে নন্দা, কোন উত্তর নেই তার মুখে )

— কিরে বলবি না কিছু ?

— কি আর বলবো বল ?এইবারের ইন্টারভিউটাতেও বাদ পড়ে গেলাম। বাড়িতে কারোর শরীর ভালো নেই, ভাইটাকেও পড়াতে হবে, প্রতিদিন চিন্তা আরো বেড়েই চলেছে।

— ঠিক আছে, সামনে তো আরো কয়েকটা আছে, ওগুলোর মধ্যে কোন একটাতে হয়ে যাবে, চিন্তা করিস না।

— এভাবেই তো প্রতিদিন নিজেকে সান্ত্বনা দিয়ে চলেছি কিন্তু হচ্ছে আর কই বল।

— হয়ে যাবে দেখিস। আর শোন না, আমিও তো কয়েকটা জায়গায় তোর জন্য রেফার করেছি, তার মধ্যেও তো সুযোগ আছে বল, কোন না কোন একটাতে হয়ে যাবে দেখিস।

— সত্যি আমি খুব ভাগ্যবান, তোর মত একটা সাপোর্টিং বন্ধু পাশে আছে আমার সব সময়।

— ওসব বাদ দিয়ে চল নন্দনে চা খেতে যাই।

— আচ্ছা চল।

খারাপ সময়টা ক্ষণিকের কিন্তু শিখিয়ে যায় অনেককিছু, তবে প্রত্যেকের জীবনেই একজন সাপোর্ট করার মত ব্যক্তিত্বের খুবই প্রয়োজন। মনোবল সব সময় হয়তো আমাদের সমান থাকে না কিন্তু সেই বন্ধু আমাদের পাশে থাকে, এরকম বন্ধু হয়তো সকলের থাকে না কিন্তু যাদের আছে তারা সত্যিই খুব ভাগ্যবান।

কলমে - #অলিগলি_নিশাচর_প্রতিবাদী
ছবি সংগৃহীত

এই আধুনিক যুগে এসেও যদি কেউ পত্র লিখতো।
22/06/2024

এই আধুনিক যুগে এসেও যদি কেউ পত্র লিখতো।

নিখিল কলকাতায় একটা নামি বেসরকারি কোম্পানি তে চাকরি করে। তিন মাস হলো নিখিল এর সাথে তিথির ওদের বিয়ে হয়েছে কিন্তু এখনো পর্য...
22/06/2024

নিখিল কলকাতায় একটা নামি বেসরকারি কোম্পানি তে চাকরি করে। তিন মাস হলো নিখিল এর সাথে তিথির ওদের বিয়ে হয়েছে কিন্তু এখনো পর্যন্ত ওরা কোথাও হানিমুন এ যেতে পারেনি। নিখিল কোম্পানি থেকে ছুটি একদমই পায়না শেষে তিথির জোরাজুরিতে নিখিল ছুটি নিয়েছে দুদিনের জন্য।

- ছুটি টা পেয়েই গেলাম বুঝলি তো? কিন্তু দুঃখের কথা হলো দুদিন এর জন্য পেয়েছি ।
- মাত্র দুদিনের জন্য দিলো!!
- হ্যাঁ তিথি তুই তো জানিস আমার জব টা একদম ছুটি পাওয়া যায়না তাও দুদিনের চুক্তি দিয়েছে এটাই অনেক।
- ধুর দুদিনের ছুটিতে আর কোথায় ঘুরবো!! ভেবেছিলাম সিকিম যাবো সেটা আর হলোনা ধুর ভালোই লাগেনা।
-
নিখিল তিথির গাল দুটো টিপে বললো
- ধুর খেপি এত রাগ করলে কি হয়? সিকিম নাহয় পরে কোনো লম্বা ছুটি পেলে যাবো। এখন দীঘা গেলে কেমন হয়?
- কি!! দীঘা যাবো আমরা?
- আজ্ঞে হ্যাঁ ম্যাডাম আমরা আজ রাত্রে দীঘা যাবো।
- কিন্তু এত তাড়াতাড়ি টিকিট পাবি কি করে?
- হুঁহুঁ ম্যাডাম সব ব্যবস্থা আমি আগে থেকে করে রেখেছি...শুধু আপনাকে বলিনি।
- কেন আমাকে বলিসনি কেন?
- তাহলে কি আর সারপ্রাইস থাকতো!!
নিখিল কে জড়িয়ে ধরে তিথি বললো-
- থ্যাংক ইউ নিখিল।

দীঘা পৌঁছে গিয়ে নিখিল আর তিথি হোটেল এ ব্যাগ রেখে সমুদ্র দেখতে বেরিয়ে পড়লো সেদিন আবহাওয়া একটু খারাপ ছিল তাই ওরা সাথে ছাতা নিয়ে গেলো।

- কি ম্যাডাম আপনার পছন্দের জায়গায় এসে কেমন লাগছে?
- খুব খুব খুব ভালো লাগছে।
- তাহলে আমার ওপর আর কোনো অভিমান নেই তো?
- এখনো একটু একটু আছে...
- কেন শুনি?
- ওই যে সিকিম...
- ওটাও হয়ে যাবে পরের বছর।

হটাৎ টিপটিপ করে বৃষ্টি পড়তে শুরু করলো ওরা ছাতা খুলে ওই বৃষ্টি ভেজা সমুদ্র উপভোগ করতে লাগলো ।


কলমে — #অলিগলি_সৃজিতা
ছবি — সংগৃহীত

- তারপর?- তারপর জানিস মা বলছিল আমি নাকি সকালে উঠতেই পারবো না, আমি নাকি এক নম্বরের কুঁড়ে, আমায় দিয়ে কোনো কাজ হবে না, ব...
22/06/2024

- তারপর?
- তারপর জানিস মা বলছিল আমি নাকি সকালে উঠতেই পারবো না, আমি নাকি এক নম্বরের কুঁড়ে, আমায় দিয়ে কোনো কাজ হবে না, বিয়ের পর নাকি তোর মা আমায় কথা শোনাবে। কিন্তু জানিস আমি কী করলাম?
- কী?
- আমি কোনো কথার উত্তর দিইনি, কোনো তর্ক করিনি। আমি ভেবেই নিয়েছিলাম এবার সবাইকে চমকে দেবো।
- তারপর?
- তারপর তো আমি ভোরবেলায় উঠে মাকে পুরো চমকে দিয়ে মর্নিং ওয়াকে গেলাম। তারপর বাড়ি এসে চা করলাম সবার জন্য। তারপর পড়তেও বসেছিলাম জানিস!
- ওমা তাই নাকি? সেদিন সূর্যটা কোন দিক থেকে উঠেছিল? আদেও উঠেছিল তো?
- সে তুই যা ইচ্ছা বল গে যা আমার কি? আপনার তো বাত হি আলাগ হ্যায়।
- বাস্তব বাস্তব।
- একি একটু জানতে চা তারপর কী হলো?
- ও এখনো শেষ হয়নি?
- দেখেছিস তুই আমার কথায় কোনো পাত্তাই দিস না।
- এমা এতক্ষণ ধরে তাহলে কে শুনলো?
- ওরে বাবা উদ্ধার করে দিয়েছে আমায়, ঠিক আছে আর শুনতে হবে না। আমি চললাম।
- আরে দাঁড়া দাঁড়া, আরে আর বলব না সরি সরি, কিরে শুনে যা...

কলমে - #অলিগলি_রৌনক
ছবি সংগৃহীত

- স্নিগ্ধ এই বৃষ্টি ভেজা শহরে, তুমি আর আমি এক পথে হাটতে চাই!🌧️⚡💟
21/06/2024

- স্নিগ্ধ এই বৃষ্টি ভেজা শহরে, তুমি আর আমি এক পথে হাটতে চাই!🌧️⚡💟

-কি খাবি বল? -কোল্ড কফি। -আচ্ছা। -তুমি কি খাবে? -এক কাপ চা। -এই গরমে? -গরমের সাথে চা খাওয়ার কি সম্পর্ক? চা খেলে শরীর মন ...
21/06/2024

-কি খাবি বল?
-কোল্ড কফি।
-আচ্ছা।
-তুমি কি খাবে?
-এক কাপ চা।
-এই গরমে?
-গরমের সাথে চা খাওয়ার কি সম্পর্ক? চা খেলে শরীর মন সব সতেজ থাকে।
-আচ্ছা তা কোন মহাপুরুষ বলেছে এটা?
-আমি।
-বড্ড বাজে বকছো।
-সঙ্গ দোষ রে।
-আমার সাথে মিশে এই অবনতি তোমার বলছো?
-একশোবার।
-তাহলে অবনতি ভালো।
-কথা শোনো!
-এই এই আজও ভুলে যাব আগে কাজটা করে নেই তোমার কাছে।
-কী কাজ?
-আমার তো দুটো গুগল অ্যাকাউন্ট,
-হুম।
-ওই দুটোকে সিঙ্ক্রোনাইজ করে দেবে গো?
-এটাও পারছিস না?
-না গো পারছি না তো, তাই তোমাকে বলছি।
-কাজের বেলা লবডঙ্কা, শুধু মুখেই বড়ো বড়ো কথা।
-সে তুমি যতই বকো আমি সব শুনছি, কিন্ত কাজটা করে দাও প্লিজ।
-দে ফোনটা।
-এই নাও।
-হুম।
-মা কি বলে জানো?
-কি বলেন?
-তুমি আমার সলিসিটার।
-খাঁটি কথা।
-হে হে!
-তা এই পোস্ট থেকে উন্নতি কবে হবে আমার?
-সময়ের সাথে সাথে।
-কথা শিখেছিস খুব।
-হ্যাঁ গো।
-কাকিমাই ঠিক বুঝেছেন রে আমায়।
-তা ঠিক, তোমাদের রসায়নটা তো আলাদাই।
-হুম। এই এদিকে দেখ ব্যাপারটা শিখে নে।
-হুম।
-বুঝলি?
-হ্যাঁ।
-এবার নিজে পারবি তো?
-হু।
-দেখা যাক।
-দেখো।
-সেই আবার আমাকেই করতে হবে।
-করতে হলে হবে। এটুকু করবে না আমার জন্য?
-বিনিময়ে কি পাব?
-যা চাইবে।
-তাই দিবি?
-হুম। কি চাই?
-চা বানিয়ে খাওয়াস।
-বিস্বাদ হলেও খাবে?
-আরে তুই আগে নেমতন্ন তো কর।
-কাল এসো তাহলে।
-কাল...
-হবে না তাই তো?
-বুঝিসি তে সব।
-আগে নিজে এসো তাহলে।
-নে এসে গিয়েছে, খা।
-হুম।

কলমে — #অলিগলি_দুঃখবিলাসী
ছবি — সংগৃহীত

" উফ! এই গরমে অফিস করে আবার রান্না করতে হবে!" রাই নিজের মনেই বলতে বলতে নিজের ফ্ল্যাটে ঢোকে। আজ অভিনব মানে রাইয়ের স্বামী...
21/06/2024

" উফ! এই গরমে অফিস করে আবার রান্না করতে হবে!" রাই নিজের মনেই বলতে বলতে নিজের ফ্ল্যাটে ঢোকে। আজ অভিনব মানে রাইয়ের স্বামী তাড়াতাড়ি ফিরেছে অফিস থেকে। ফিরে ফ্রেশ হয়েই টিভি দেখতে ব্যস্ত। কলিং বেলের শব্দ পেয়ে দরজা খুলে দেয়। রাই ভীষন ক্লান্ত। সাত মাসের ছেলেকে সামলাতে গিয়ে ঘুম হচ্ছে না তার ঠিক করে। তার উপর আবার অফিস! দুজনে মিলে চাকরি না করলে যে আবার এতো বড় শহরে খরচ সামলানো দায়।
ফ্রেশ হয়ে এসেই রান্না ঘরে চলে যায় রাই।

অভিনব : বলছি যে কি রান্না করবে?
রাই : দেখছি। ভাত আর মাছ করে নিই। আজ আর রুটি বানানোর শক্তি নেই একদম।
অভিনব : আমি করে নিচ্ছি। তুমি বরং গিয়ে ঘুমিয়ে নাও। সারারাত ঘুমাও নি।
রাই: তুমিও তো অফিস থেকেই ফিরলে! তুমিও ক্লান্ত!
অভিনব : আমি রাতে ঘুমিয়েছি। তোমার ঘুমানো হয়নি। যাও ঘুমিয়ে নাও।

রাই বাধ্য মেয়ের মতো ঘুমোতে যায়। রাতের খাবারের সময়ে অভিনব ডেকে তোলে ওকে। তারপর দুজনে একসাথে গল্প করতে নৈশভোজ সারে। রাই আর অভিনব মিলে রান্নাঘর গুছিয়ে নেয়। রাই অভিনবর দিকে তাকিয়ে ভাবতে থাকে, বাবা মায়ের পছন্দে বিয়ে! পড়ালেখা শেষে চাকরি পেয়েই বিয়ে হয়েছে তার। তবে মানুষটা মনের মতোই পেয়েছে সে। তিনবছর হয়েছে বিয়ের। দুজনে একসাথে সামলাচ্ছে সংসার। প্রায়ই দুজনে একসাথে রান্না করে। ঘরের সমস্ত কাজেই সাহায্য করে অভিনব। সংসার তো দুজনেরই, তাই একসাথে দুজনেই সবদিক সামলে নিচ্ছে তারা। অভিনব ছেলেকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে।

কলমে - #অলিগলি_ঐশ্বর্য
ছবি সংগৃহীত

পেন্সিল ✏️ ড্রয়িং Just wow 😲 Art by labib ❤️🌸
20/06/2024

পেন্সিল ✏️ ড্রয়িং Just wow 😲 Art by labib ❤️🌸

—এসেছিস?—তোমার সামনেই তো দাঁড়িয়ে। এবার বলো হঠাৎ ডেকেছো কেন? —এমনি কি ডাকতে পারি না আমি? —না সেটা বলছি না। কিন্তু এতোবা...
20/06/2024

—এসেছিস?
—তোমার সামনেই তো দাঁড়িয়ে। এবার বলো হঠাৎ ডেকেছো কেন?
—এমনি কি ডাকতে পারি না আমি?
—না সেটা বলছি না। কিন্তু এতোবার ফোন করলে তাই ভাবলাম কিছু হয়েছে নাকি?
—আমার জন্য ওয়ারিড তুই?
—একদম না।
—পাগলি একটা।
—আর কিছু!
—বলছি কাকু আর দোকানে যায় না?
—না গো বাবাই দা, দোকানের মালিক জায়গাটা প্রোমোটারকে দিয়েছে তাই দোকান বন্ধ। প্রোমোটার বলেছে এক লাখ টাকা দিয়ে দোকানটা কিনতে হবে। নাহলে অন্য কাউকে বিক্রি করে দেবে। অতো টাকা এখনও জোগাড় হয়নি তাই বাবা এখন বাড়িতেই আছে।
—সে কি রে! তুই কিছু জানাস নি কেন আমায়?
—তোমরা এই পাড়া ছেড়ে চলে গেছো তাই আর...
—রোজ তোকে স্টক করি আর তুই কি না আমায় পর ভাবছিস।
—ধুর!
—সব খবর রাখি বুঝলি!
—আচ্ছা!
—গ্র্যাজুয়েশনে যে ফাস্ট ক্লাস পেয়েছিস সেটাও জানি। ট্রিট চাই আমার।
—পরে একদিন।
—আজ তোর বাড়ি নিয়ে যাবি? অনেক দিন কাকিমার হাতে চা খাওয়া হয় নি। এক কাপ চা-ই আজকের ট্রিট।
—মাথা খারাপ তোমার!
—কেন?
—বাবা দেখলে আর তোমার রক্ষা থাকবে না।
—আমি ভয় পাই না কি! কাকু কী করবে আমার ?
—এসো না একদিন, ঠ্যাং ভেঙে দেবে।
—তোর বাবা আমার ওপর এতো রেগে থাকে কেন বলতো?
—রাগবে না? সে বছর দশমীতে কী করেছিলে মনে আছে?
—সিঁদুর খেলার সময় তোকে একটু সিঁদুর লাগিয়ে দিয়েছি। ভালোবাসি তোকে।
—সেই তোমায় দাদা ডাকি। আর তুমি আমার সাথে সিঁদুর...
—চুপকর! দাদা বলিস, দাদা তো নই।
—সাহস থাকে কথাটা বাবাকে গিয়ে বলো।
—বলবো তো!
—থাক তোমার সাহস আমার জানা আছে।
—তুই বলছিস আমি ভীতু!
—না। তুমি বীরপুরুষ।
—বীরপুরুষ বলেই আজ আর তোকে প্রপোজ করবো না।
—মানে?
—কলি বিয়ে করবি আমায়?
—কী বলছ এসব?
—গত দু'বছরে কতো বার যে বলেছি "তোকে ভীষণ ভালোবাসি। আমার সবটা জুড়ে শুধুই তুই।" সব জেনেও বার বার নিরুত্তর থেকেছিস। কিন্তু আমি জানি তোর মনে শুধু আমার ছবি...
—থামো তুমি।
—পাড়ার সেই রকে বসা বেকার, আড্ডাবাজ বাউন্ডুলে ছেলেটা আজ একজন আই টি ইঞ্জিনিয়ার ম্যাডাম। সময় বদলে গেছে। শুধু ভালোবাসা একই ভাবে রয়েই গেছে। আজ আর আপত্তি করিস না প্লিজ।
—আমিও যে নিজের পায়ে দাঁড়াতে চাই।
—নিশ্চই। শুধু তোর হাতটা শক্ত করে ধরে থাকব আজীবন। এটুকুই চাওয়া। পারবি না তুই?
—না আসলে...
—লজ্জা দেখো মেয়ের! শোন, কাল আমার মা তোদের বাড়ি যাবে। আমাদের বিয়ের কথা বলতে।
—ইস! বয়েই গেছে লজ্জা পেতে! তাও আবার তোমায়!
—বলছিস! দ্যাখ তাহলে! কে লজ্জা পায়!
—এই এই ছাড়ো কেউ...
বাবাইয়ের ঠোঁট মিশে গেছে কলির ঠোঁটে, ঘন গাঢ় চুম্বনে। রাস্তার চারপাশে ঘন কালো অন্ধকার নেমে এসেছে। ভালোবাসা একটা আস্ত নির্ভরতা চায়। ভালোবাসায় শুধু একটু বিশ্বাস, ভরসা আর সম্মান থাকলেই ভালোবেসে সারাজীবন একসাথে চলা যায়।

কলমে — #অলিগলি_কোয়েল
ছবি — সংগৃহীত

- কি রে পরীক্ষা কবে তোর?- কবে যেন মা?- চড় খাবি নাকি? মজা হচ্ছে?- ও আমি কোন স্কুলে যেন পড়ি?- উফ, যেমন আমার মেয়ে তেমন আ...
20/06/2024

- কি রে পরীক্ষা কবে তোর?
- কবে যেন মা?
- চড় খাবি নাকি? মজা হচ্ছে?
- ও আমি কোন স্কুলে যেন পড়ি?
- উফ, যেমন আমার মেয়ে তেমন আমাদের সরকার। ২ দিন পরপর ছুটি দিয়ে সব মাথা নষ্ট করে দিল।
- ও মা দেখ দেখ আমার ছবিতে ৫০টা লাইক এসেছে। দেখ দেখ, কি সুন্দর কমেন্ট করেছে দিদি।
- তুই এইসব রেখে পড়তে বসবি কি না বল তো! এইবার যদি ফেল করিস তো তোর বিয়ে দিয়ে দেব দেখিস।

বিয়ের কথা শুনে মুন্নি হাসতে হাসতে ঘরে ঢুকে গেল।

রেজাল্টের দিন ~

- ও মা মিস্টি দাও, সুখবর আছে।
- কিরে পাস করেছিস না কি? এতো খুশি কেন?
- হুস, ওটা আবার কোনো খুশির খবর, তুমি জানো না তোমার এবার কত চাপ হবে। তোমার মেয়ে একটা খুব ভালো কাজ করেছে।
- তুই টপ করেছিস? ১-৫ এর মধ্যে এসেছিস? কী হয়েছে বল তাড়াতাড়ি।
- তোমার মেয়ে ফেল করেছে, এবার আমার বিয়ে হবে। কি মজা বলত!!! আমি তো পড়তেই বসিনি এই কদিন!
- অ্যাঁ!!!

তারপর মুন্নির মা অজ্ঞান হয়ে গেল। জ্ঞান আসার পরের ঘটনা বড্ডই বেদনাদায়ক, তা না বলাই ভালো। শুধু মুন্নি ৭ দিন আর বাড়ি থেকে বেরোয়। মায়ের সাথে কথাও বলতে পারেনি।

কলমে - #অলিগলি_জয়া
ছবি সংগৃহীত

ইলিশের দেশে!
19/06/2024

ইলিশের দেশে!

গত দুইদিন ধরে অনবরত বৃষ্টি হয়েই চলেছে ব্যাঙ্গালোরে। চাকরি সূত্রে ইশা ব্যাঙ্গালোরে থাকে এই একবছর ধরে। একজন কর্পোরেট কর্ম...
19/06/2024

গত দুইদিন ধরে অনবরত বৃষ্টি হয়েই চলেছে ব্যাঙ্গালোরে। চাকরি সূত্রে ইশা ব্যাঙ্গালোরে থাকে এই একবছর ধরে। একজন কর্পোরেট কর্মী সে; নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে। মা একার হাতে গড়ে তুলেছে ইশাকে; মেদিনীপুরে তার আদি বাড়ি। ছোটোবেলাটা ওখানে কাটলেও পড়াশোনায় মনযোগী হবার দরুন ভালো কলেজে পড়ার সুযোগ পেলে সেখানে চলে যায় তারপর সেখান থেকেই চাকরি। সারাদিন নিয়ম বেঁধে কাজ তার ভালো লাগে না। মাকে আসতে বললেও মা আসতে চায়না। এবার পুজোয় জোড় করে হলেও নিয়ে আসবে তারপর আর যেতে দেবেনা। এইসব ভাবতে ভাবতেই বৃষ্টির বেগটাও বেড়ে যায়। ইশার মনে পড়ে যায় ছোটোবেলার দিনগুলোর কথা; বৃষ্টি পড়তে দেরি সবাই মিলে যেতো সালুক পুকুরে স্নান করতে। প্রথমে পড়াশোনা তারপর এখন চাকরি অনেকদিন হলো নিজের বাড়ি, পরিবেশ অনুভব করা হয়না। সারাদিন কাজের চাপে তেমন কিছু অনুভবও করেনা। আজকে এত বৃষ্টির জন্য বাড়িতে থেকে কাজ করছে আর ছোটোবেলার দিনগুলো মনে পড়ছে; বৃষ্টি হলেই পড়তে না যাবা, স্কুল না যাবার বাহানা থেকেই যেত। এই সাতপাঁচ ভেবে মা-র নম্বরটা ডায়ল করলো; মনটা বড্ডবেশি মা মা করছে যেনো আজকে।

কলমে— #অলিগলি_স্নেহা
ছবি - Sanjukta

Address

Kolkata
700103

Telephone

+919088855846

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Kolikatar oligoli - কলিকাতার অলিগলি posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Kolikatar oligoli - কলিকাতার অলিগলি:

Videos

Share

Nearby media companies


Other Social Media Agencies in Kolkata

Show All