Lucky balveer vlogs

Lucky balveer vlogs i am digital creator
I am uploading balveer shorts
follow me for daily episodes
balveer season 4 come back
(3)

সময় নিয়ে পোষ্টটি পড়বেন অনেক কিছু জানতে পারবেন।।বাবা যখন অফিস থেকে ফোন দিয়ে বললেন,- মা রে, আজ একটু টেংরা মাছের ঝোল রান্না...
27/08/2023

সময় নিয়ে পোষ্টটি পড়বেন অনেক কিছু জানতে পারবেন।

বাবা যখন অফিস থেকে ফোন দিয়ে বললেন,
- মা রে, আজ একটু টেংরা মাছের ঝোল রান্না করতে পারবি? খেতে ইচ্ছে করছে খুব।
প্রচণ্ড বিরক্ত হয়েছিলাম। এমনিতেই সকাল থেকে লিমনের সাথে ঝগড়া চলছে। মন মেজাজ একদম ঠিক নেই। তার উপর আবার এই রান্নাবান্নার উটকো ঝামেলা। মা তো মরে গিয়ে বেঁচে গিয়েছেন। আমাকে রেখে গিয়েছেন রাত-দিন ২৪ ঘন্টা বাবা'র কামলা খাটার জন্য। যাই হোক যথেষ্ট অনিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও রান্নাঘরে গেলাম টেংরা মাছের ঝোল রান্না করতে। রান্না করতে করতেই লিমন কে একনাগাড়ে ফোনে ট্রাই করে যাচ্ছিলাম। নাহ, ফোন ধরছে না লিমন। ছেলে টা আজকাল খুব অদ্ভূত আচরন করছে। কথায় কথায় ভুল ধরে, অযথা সন্দেহ করে, আর পান থেকে চুন খসলেই বিশ্রীভাবে গালিগালাজ শুরু করে দেয়। আজকে আবার ব্রেকআপের ভয় দেখাচ্ছে। কিন্তু এ তো অসম্ভব। বড্ড বেশি ভালবেসে ফেলেছি লিমন কে। ওকে ছাড়া আমি বেঁচে থাকার কথা ভাবতেই পারি না। এসব ভাবতে ভাবতেই কোনমতে রান্না শেষ করলাম। তাড়াতাড়ি রান্নাঘর থেকে বের হয়ে লিমনের বন্ধু সাজ্জাদ ভাইয়ার কাছে কল দিলাম। সাজ্জাদ ভাইয়া বললেন,
- দেখো মান্নাত, লিমন এখন প্রচন্ড ক্ষেপে আছে। তুমি কাল রাতে ওকে এতবার কল দিয়ে ডিস্টার্ব করে ঠিক করো নি।
- কিন্তু ভাইয়া, ও তো ওয়েটিং এ ছিল। আমার কি এতটুকু জানার অধিকার নেই ও কার সাথে এত রাতে কথা বলছিলো?
- এটা তোমাদের ব্যাপার। তারপরও আমি লিমন কে বলছি, তোমার কল রিসিভ করতে। শুনবে কিনা জানি না। তবে এখন ওর মতের বাইরে আর কিছু করো না। যা বলে শুনে নিও।
- ঠিক আছে।
কিছুক্ষণ পর লিমন কে কল করলে সে রিসিভ করলো,
- শুনো মান্নাত, আমি শুধু সাজ্জাদের কথায় তোমার কল রিসিভ করেছি। আমি তোমাকে একটা লাস্ট চান্স দিচ্ছি।
- এভাবে কেন কথা বলছো লিমন?
- তুমি কি আমার সব টা কথা শুনবে?
- আচ্ছা বলো।
- তুমি কাল আমার সাথে সাজ্জাদের ফ্ল্যাটে যাবে।
- ওখানে কেন?
- এতদিন হয়ে গেল আমাদের রিলেশনশিপ চলছে। অথচ আজ পর্যন্ত আমি তোমাকে নিজের করে পেলাম না। আমার কি কোন ইচ্ছে থাকতে পারে না?
- কিন্তু লিমন...
- কোন কিন্তু নয়, যা বলছি তাই। আর একটা কথা, আসার সময় ৩ হাজার টাকা নিয়ে আসবে।
- গত সপ্তাহেই না তোমাকে ১৫০০ টাকা দিলাম!
- এত প্রশ্ন কেন করছো? তুমি মনে হয় ফাইনালি ব্রেকআপ-ই চাচ্ছো।
- না না, ঠিক আছে আমি নিয়ে আসবো।
ঠুস করে লাইন টা কেটে দিলো লিমন। এতক্ষণে আমি একটু শান্তি পেলাম। কিন্তু টেনশন তো থেকেই গেল, ৩০০০ টাকা কোথায় পাবো!
সন্ধ্যায় বাবা একরাশ ক্লান্তি নিয়ে অফিস থেকে ফিরলেন। এসেই ডাকাডাকি শুরু করে দিলেন,
- মান্নাত, কোথায় গেলি মা? দেখ্, তোর জন্য কি নিয়ে এসেছি।
- কি হয়েছে বাবা? এত চেঁচাচ্ছো কেন?
- আজকে চেয়ারম্যান স্যার সবাইকে খাইয়েছেন,ছেলে বুয়েটে চান্স পেয়েছে তাই। খাবার টা তোর জন্য নিয়ে এলাম। তুই তো চাইনিজ খাবার পছন্দ করিস খুব।
- কই দেখি দেখি।
বাবাকে আর কোন কথা বলার সুযোগ না দিয়ে আমি খেতে বসে গেলাম। বাবা কে এক কাপ চা ও সাধলাম না।
পেট পূজো করে এসে খুব আয়েশ করে ভাবছি কাল কি কালারের শাড়ি পরবো, লিমনের সামনে কিভাবে নিজেকে প্রেজেন্ট করবো। হঠাৎ করে মাথায় আসলো, ৩০০০ টাকা বাবার কাছে চাইলেই তো হয়। আমার কোন চাওয়া কি বাবা অপূর্ণ রাখেন! এর মধ্যেই বাবা আবার ডাকলেন,
- মা রে, ভাত দিয়ে দে আমাকে।
এই তো সুযোগ। খাবার টেবিলে বাবার কাছে টাকার কথা বলা যাবে।
বাবার সামনে ভাত বেড়ে দিয়ে আমি আবার রুমে চলে এলাম। ভাবছি, কোন অজুহাতে টাকা টা চাইবো।
বাবার কাশির শব্দ শুনে বিরক্তি নিয়ে পানি দিতে গেলাম। তারপর বললাম,
- এভাবে খাচ্ছো কেন? আস্তে আস্তে খাও।
বাবা একটু লাজুক ভংগী তে উত্তর দিলেন,
- দুপুরে কিছু খাই নি তো। তাই খুব ক্ষিদে পেয়েছিল। আর তরকারি তে ঝাল টা একটু বেশি লাগছে কিন্তু খেতে খুব ভাল হয়েছে।
বাবা দুপুরে কিছু খান নি শুনে আমি যেন থমকে গেলাম। তার মানে বাবা নিজে না খেয়ে আমার জন্য খাবার নিয়ে এসেছেন! অথচ দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত দিব্যি অনাহারে কাটিয়ে দিলেন। আর বাবা যে ঝাল একদম খেতে পারেন না, তাড়াহুড়োর মধ্যে এটা তো আমার মাথায় ই ছিল না। আমার ভেতর টা কেমন যেন করে উঠলো। অল্প একটু কোন মতে গিলে বাবা খাওয়া শেষ করলেন। আমি বুঝতে পারছিলাম, বাবার খেতে কষ্ট হচ্ছিলো কিন্তু মুখ ফুটে কিছু বলেন নি।
কিছুক্ষণ পর বাবার কাছে গিয়ে বললাম,
- আমার কাল ৩০০০ টাকা লাগবে, বাবা।
বাবার মুখটা নিমিষেই চুপসে গেল। বুঝতে পারছিলাম বাবার হাতে এখন কোনো বাড়তি টাকা পয়সা নেই। থাকবেই বা কি করে! আজ মাসের ২৫ তারিখ।
কিন্তু বাবা আমাকে কিছু বুঝতে না দিয়ে বলে দিলেন,
- ঠিক আছে, সকালে নিয়ে নিস।
আর কোন প্রশ্ন করেন নি বাবা। মা মারা যাওয়ার পর থেকে এই বাবাই আমাকে বুকের মধ্যে আগলে রেখেছেন। আদর-যত্নের কোন কমতি রাখেন নি। যখন যা চেয়েছি তাই পেয়েছি সবসময়। বেশিরভাগ সময় বাবা তাঁর সাধ্যের বাইরে গিয়ে আমার প্রয়োজন মিটিয়ে দেন। বিনিময়ে আমি কি কিছু করতে পেরেছি বাবার জন্যে? এস.এস.সি আর এইচ.এস.সি তে দুটো জিপিএ.৫ ছাড়া আর কিছুই দিয়ে উঠতে পারি নি বাবা কে এ পর্যন্ত। কিন্তু এসব ভেবে এখন সময় নষ্ট করতে একদম ইচ্ছে করছে না।
ডাইনিং টেবিল গুছানোর সময় শুনতে পেলাম, বাবা ফোনে কাকে যেন বলছেন,
- আমার সিরিয়াল টা ক্যান্সেল করে দিন। অফিসে কাল কাজের চাপ আছে। তাছাড়া এখনি ডক্টর দেখানো টা জরুরী না।
স্পষ্ট বুঝতে পারলাম বাবার বুকের ব্যথা টা নিশ্চয়ই আবার বেড়েছে। কিন্তু আমাকে বুঝতে দেন নি,আর আমিও হয়তো বুঝতে চায় নি। ৩০০০ টাকা যে বাবা চিকিৎসার জন্য রেখেছিলেন,তাও বুঝতে অসুবিধা হল না। খুব ছোটখাটো একটা চাকুরী করেন বাবা। মাসজুড়ে সংসারে টানাটানি চলতেই থাকে। এই স্বল্প আয়ের মধ্যে আমার চাহিদা মেটাতে গিয়ে প্রায়ই বাবা হাঁপিয়ে উঠেন।
রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে লিমন কে টেক্সট করলাম, "সকাল ১১ টায় প্রথমে পার্কে চলে আসবে"।
সকালে বাবা অফিসে যাওয়ার আগে আমার হাতে ৩০০০ টাকা দিয়ে গেলেন। ঠিক সকাল ১১ টায় সবুজ কালারের একটা শাড়ি পড়ে হালকা সেজে পার্কে পৌঁছে গেলাম। লিমন আমার আগেই পৌঁছে গিয়েছিল। আমি লিমনের সামনে যেতেই লিমন ভ্রু কুঁচকে বললো,
- আর কোন কালার পেলে না? জানো না,সবুজ আমি একদম সহ্য করতে পারি না।
আমি শুধু একটু মুচকি হাসলাম। খানিক বাদে লিমন আবার বললো,
- ঠিক আছে, চলো এখন। আর টাকা টা এনেছো?
আমি আচমকা লিমনের গালে কষে একটা চড় বসিয়ে দিলাম। লিমন হতভম্ব হয়ে গেল। গালে হাত দিয়ে এক দৃষ্টি তে আমার দিকে তাকিয়ে রইলো। আমি স্বাভাবিক ভঙ্গি তে বললাম,
- এ পর্যন্ত আমার কাছ থেকে যত টাকা হাতিয়েছিস, এক্ষণি সব ফেরত দিবি। নয়তো প্যান্ট শার্ট খুলিয়ে তোকে রাস্তায় নামিয়ে দিবো। আমার কাছে তোর সব অশ্রাব্য গালিগালাজ আর কুপ্রস্তাবের রেকর্ডিং আছে। এগুলো নিয়ে পুলিশের কাছে গেলে তোর কি অবস্থা হবে বুঝতে পারছিস?
- মান্নাত, কি বলছো এসব? ঠান্ডা হও প্লিজ।
- একদম আমার গায়ে হাত দিবি না। আমি কিন্তু লোক জড়ো করবো। টাকাগুলো ফেরত দে।
অবশেষে লিমন তার ক্রেডিট কার্ড আমার কাছে জমা দিয়ে মান-ইজ্জত নিয়ে পালাতে বাধ্য হল।
আমি সোজা বাবার অফিসে চলে গেলাম। সবুজ রঙ বাবার খুব পছন্দের। বাবা আমাকে দেখে খুব অবাক হলেন, একইসাথে খুশিও হলেন। সেখান থেকে ছুটি নিইয়ে বাবা কে বগলদাবা করে প্রথমে হসপিটালে গেলাম। কিন্তু ডক্টর আজকে আসেন নি বলে বাবার চেকআপ করাতে পারলাম না। হসপিটাল থেকে বের হয়ে চলে গেলাম শপিংমলে। বাবা কে দুটো নতুন শার্ট আর একটা প্যান্ট কিনে দিলাম। তিনটে পুরনো শার্ট আর দুটো প্যান্ট দিয়ে বাবা চারটে বছর চালিয়ে নিয়েছেন। শার্ট প্যান্ট কেনার সময় বাবা বারবার বলছিলেন,
- আমার তো এসব আছে সব। শুধু শুধু টাকা নষ্ট করছিস। এ টাকা দিয়ে বরং তোর জন্যে কিছু কিনে নে। গত ঈদের পর থেকে এ পর্যন্ত তোকে কোনো ড্রেস কিনে দিতে পারি নি। প্রতিদিন ভার্সিটি যাস, নতুন ড্রেস লাগে তো।
প্রতিউত্তরে আমি বাবা কে জিজ্ঞেস করলাম,
- তুমিও তো প্রতিদিন অফিসে যাও, তোমার বুঝি লাগে না?
মৃদু হেসে বাবা উত্তর দেন,
- বাবাদের এত কিছু লাগে না রে, বুঝলি?
আমি আর কিছু বলার ভাষা খুঁজে পাই নি।
বাবা কে একজোড়া জুতোও কিনে দিলাম কম দামের মধ্যে। এখন যে জুতো টা পরে আছে, এটার জায়গায় জায়গায় সেলাইয়ের দাগ আছে। কমপক্ষে পাঁচবার এটাকে মুচির কাছে নেয়া হয়ে গেছে।
আমার কাছে কিছু জমানো টাকা ছিল। লিমনের জন্মদিনে উপহার দেবো বলে জমিয়েছিলাম। এই টাকা দিয়ে বাবা কে রেস্টুরেন্টে চাইনিজ খাওয়ালাম, রেস্টুরেন্টে বসে বাবা আমাকে খাইয়ে দিলেন। বাচ্চাদের মত বাবা আনন্দে ছটফট করছিলেন। বাবা কে এত খুশি হতে আগে কখনো দেখি নি আমি। বাবা হয়তো কোনো দিন ভাবতে পারেন নি, আমি আমার গোটা একটা দিন বাবাকে কখনো দিতে পারবো। হয়তো আমার কাছ থেকে এতটুকুও আশা করেন নি। অথচ তিনি কিন্তু তার পুরো টা জীবন আমার নামে উৎসর্গ করে দিয়েছেন। ডিনার সেরে রিক্সা করে বাসায় ফেরার সময় বাপ-মেয়ে আইসক্রিম খেলাম। আজকের দিন টা ছিল আমার "বাবা-বিলাসের" দিন।
ভালবাসা ভালবাসা করে আমরা প্রতিনিয়ত ভুল দরজায় কড়া নেড়ে যাই। ভালবাসার ঘাটতি মেটাতে গিয়ে মরীচিকার পেছনে ছুটে মরি। সঠিক সময়ের আগেই মিথ্যে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ি। কিন্তু বাবা-মা'র ভালবাসা টা সত্যিকার অর্থে উপলব্ধি করতে পারলে আমাদের ভালবাসার এত হাহাকার থাকতো না। প্রকৃত ভালবাসার স্বাদ লুকিয়ে থাকে মায়ের আঁচলের তলায় আর বাবার স্নেহমাখা শাসনে। আমরা কেন বাবা-মা'র ত্যাগের কথা ভুলে যাই? আমাদের বিলাসবহুল জীবন দিতে গিয়ে তারা নিজেদের অনেক প্রয়োজন নির্দ্বিধায় এড়িয়ে যান। এতে তাদের এতটুকুও আক্ষেপ বা আফসোস থাকে না। অথচ আমরা তাদের পর্যাপ্ত সময়টুকু দিতেও কত কুণ্ঠাবোধ করি!
সেদিনের পর থেকে আর কোন লিমন কে আমি আমার জীবনে জায়গা দিই নি। যদি আবারো বাবার পছন্দের টেংরা মাছের ঝোলে ঝাল বেশি দিয়ে বাবার তৃপ্তির ব্যাঘাত ঘটিয়ে ফেলি।

এত দুর যখন কষ্ট করে পড়ে ফেলেছেন তাই ছোট একটা কমেন্ট করে জানিয়ে দিন গল্পটা কেমন লাগলো আপনার।😊

27/08/2023

আলমারি থেকে হলুদ রঙের শাড়িটা বের করে বিছানায় রেখে আমার স্ত্রী শ্রাবণীকে বললাম,
-- তাড়াতাড়ি এই শাড়িটা পরে তৈরি হয়ে নাও।আর আলমারিতে একটা সবুজ রঙের শাড়ি আছে। এটা ভুলেও কখনো পরবে না। আমার মাথায় আসে না মানুষ সবুজ রঙের শাড়ি কিভাবে পরে। আর হ্যাঁ, চুলগুলো খোপা করবে। মুখে কোনো মেক-আপের দরকার নেই, ঠোঁটে কোনো লিপস্টিক লাগাবে না। আর চোখে মাসকারা কিংবা কাজল এই সব হাবিজাবি জিনিস একদম কিছুই দিবা না। তুমি সাজলে আর চোখে কাজল দিলে তোমাকে আলিফ লায়লার ডাইনীর মত দেখা যায়!
আমার কথা শুনে শ্রাবণী শুধু আমার দিকে বিরক্তিকর দৃষ্টিতে তাকালো। আমি আর কিছু না বলে চুপচাপ অন্য রুমে চলে গেলাম।

ঘন্টাখানেক পর শ্রাবণী আসলো। শ্রাবণী সবুজ রঙের শাড়ি পরেছে। মুখে হালকা মেক-আপ, ঠোঁটে গোলাপী রঙের লিপস্টিক, চোখে গাঢ় করে কাজল দেওয়া আর খোলা চুলে শ্রাবণীকে খুব ভয়ংকর রকম সুন্দর লাগছে। আমি মুচকি হেসে শ্রাবণীকে বললাম,
-- আমি যদি বলতাম কাল আমার কিনে আনা সবুজ রঙের শাড়িটা পরো, একটু সাজগোজ করো, চোখে কাজল দাও.. তুমি সেটা কখনোই করতে না কারণ আমি যা বলি তুমি ঠিক তার উল্টোটাই করো। তাই আজ উল্টো করে বললাম আর তুমি ঠিক করে করলে!!

শ্রাবণী রাগে দাঁতের সাথে দাঁত চেপে বললো,
- আমি যাবো না বাহিরে ঘুরতে।
আমি আবারও হেসে বললাম,
-- তোমার কি মাথা খারাপ নাকি! আমি এই গরমে বাহিরে ঘুরতে যাবো! আসলে তোমায় কখনো সাজতে দেখি নি এমন কি বিয়ের দিনও না। তাই আজ দেখে নিলাম। আমার দেখা শেষ। এখন চাইলে তুমি মুখ থেকে আটা ময়দা তুলে স্বাভাবিক হতে পারো।
আমার কথা শুনে শ্রাবণী পাশে থাকা টিভির রিমোটটা ভেঙে অন্য রুমে চলে গেলো।

শ্রাবণীকে কোথাও দেখতে না পেয়ে বুঝতে পারলাম শ্রাবণী ছাদে গেছে। আমি দু'কাপ কফি বানিয়ে ছাদে গেলাম। ছাদের কার্ণিশে হাত রেখে শ্রাবণী দূরে তাকিয়ে আছে। আমার গলার শব্দ শুনে শ্রাবণী আমার দিকে তাকাতেই আমি ওর দিকে কফির মগটা বাড়িয়ে দিয়ে বললাম,
-- নাও, কফি খাও।
শ্রাবণী বিরক্ত হয়ে আমায় বললো,
- আমি পৃথিবীতে অল্প কয়েকজন অমানুষ দেখেছি তার মধ্যে আপনিও একজন। আপনাকে রোহান বলেছিলো আমরা দুইজন দুইজনকে ভালোবাসি তবুও আপনি আমায় বিয়ে করতে রাজি হলেন। ছিঃ! দেখলেন মেয়ে সুন্দর আর অমনি লোভ সামলাতে পারলেন না!

আমি এই বিষয়ে কিছু না বলে শ্রাবণীকে বললাম,
-- কফিটা খেয়ে দেখো খুব ভালো হয়েছে। আমি নিজ হাতে বানিয়েছি।

শ্রাবণী কফিটা আমার মুখে ছুঁড়ে মেরে চলে গেলো। আমি দূরে তাকিয়ে রইলাম।
|
| পরের দিন

অফিসের বস ফাইলটা আমার হাতে দিয়ে মুখটা মলিন করে বললেন,
- রোহান আবির সাহেব; শেষমেশ আমাদের ছেড়ে চলেই যাবেন?
আমি মৃদু হেসে বললাম,
-- আপনাদের ছেড়ে তো যাচ্ছি না। শুধু বদলি হচ্ছি।
বস কৌতূহল চোখে আমার দিকে তাকিয়ে বললো,
- আপনার বাসা এইখানে। সকল আত্মীয় স্বজন এইখানে থাকে। তবুও আপনি এইখান থেকে বদলি হচ্ছেন কেন?
আমি চেয়ার থেকে উঠতে উঠতে বসকে বললাম,
-- তেমন কিছু না স্যার। এই শহরটায় খুব একঘেয়েমি লাগছে। তাই বদলি নিচ্ছি...

অফিস থেকে বাসায় এসে কলিংবেল বাজাতেই আমার খালাতো ভাই তুনান দরজা খুললো। আমি তুনান কে দেখে হেসে বললাম,
- কি রে, তুই আসলি কখন?

ড্রয়িংরুমে তাকিয়ে দেখি মা, খালা, মামা ওরা সবাই এসেছে। আমি সবাইকে সালাম দিলাম। তারপর মাকে বললাম,
-- মা, আমি ফ্রেশ হয়ে তারপর আসছি।

গোসল শেষ করে ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে কাজের মেয়েটাকে বললাম টেবিলে খাবার দিতে।
ভাত যখন মুখে তুলবো তখনি মা আর আমার দুই খালা আমার কাছে এসে বসলো । আমি মুচকি হেসে মাকে বললাম,
-- দুপুরে খাই নি তো তাই খুব ক্ষুধা পেয়েছিলো। তা, তোমরা খেয়েছো মা?

মা কাঁদতে কাঁদতে বললো,
- গলা দিয়ে ভাত নামলে তো খাবো। আমি বুঝি না তোর গলা দিয়ে কিভাবে ভাত নামছে? এত বড় একটা ঘটনা ঘটলো। যেখানে আমাদের সব মান ইজ্জত শেষ হয়ে গেলো সেখানে তুই বসে বসে ভাত গিলছিস। শেষে কি না একটা বেশ্যাকে বাড়ির বউ করে নিয়ে আসলাম?

আমি মার দিকে তাকিয়ে বললাম,
-- শ্রাবণীকে নিয়ে বাজে কথা বলো না মা।
খালা রেগে গিয়ে বললো,
- বেশ্যাকে বেশ্যা বলবে না তো কি বলবে?কেন, তুই জানিস না তোর বউয়ের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে? ছিঃ ছিঃ না জানি আরো কত ছেলের সাথে এমন করেছে!

এমন সময় মামা ভিতর থেকে এসে বললো,
- এই মেয়ের জন্মের ঠিক নেই তাই এমন করেছে। তুই তোর বউকে কিছু বলবি না?

না, আর সহ্য করা যায় না। আমি মামার দিকে তাকিয়ে বললাম,
-- কি বলবো আমি আমার বউকে? যেখানে আমার চরিত্রের ঠিক নেই সেখানে আমি আমার বউয়ের চরিত্র নিয়ে কিভাবে প্রশ্ন তুলবো? যখন আমি আর আমার গার্লফ্রেন্ড আদিবাকে নিয়ে পালিয়ে গিয়েছিলাম তখন তোমরা ৫ দিন পর আমাদের ঢাকা থেকে ধরে নিয়ে এসেছিলে গোপালগঞ্জ । আমি তোমাদের সবার কাছে অনুরোধ করেছিলাম আমার সাথে আদিবাকে বিয়ে দিতে। কিন্তু তোমরা কেউ রাজি হও নি। আমি তোমাদের পা ধরে বলেছিলাম আমি মেয়েটার সাথে উল্টো পাল্টা অনেক কিছু করে ফেলেছি এখন বিয়ে না করলে মেয়েটাকে ঠকানো হবে কিন্তু তোমরা আমার কোনো কথা মানো নি। বরং হাসতে হাসতে বলেছিলে ছেলে মানুষ টুকটাক এমন করেই। তোমাদের জন্য শেষে আদিবা আর ওর পরিবার কোথায় হারিয়ে যায় জানিনা। আমি আর ওদের খুঁজে পেলাম না। আর মা আমায় ইমোশনালি ব্লেক-মেইল করে শ্রাবণীর সাথে বিয়ে ঠিক করে। শ্রাবণী একজনকে বিশ্বাস করে ঠকেছে আর আমি একজনের বিশ্বাসকে ঠকিয়েছি। হিসাব করে দেখো আমি শ্রাবণীর চেয়েও বেশি অপরাধী...

নিজের রুমে এসে দেখি শ্রাবণী অনবরত কান্না করছে। আমি ওর পাশে বসে বললাম,
-- রোহান যদি আমায় সরাসরি এসে বলতো তোমাদের রিলেশন আছে আমি কখনোই তোমায় বিয়ে করতাম না। কিন্তু ও আমার ইনবক্সে তোমাদের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিওটা পাঠিয়েছিলো। যে ছেলে তার ভালোবাসার মানুষের অন্তরঙ্গ ভিডিও অন্য একজন অচেনা মানুষকে দিতে পারে; সে আর যাই হোক ভালোবাসতে পারে না।

শ্রাবণী মাথা নিচু করে চুপ হয়ে আছে। আমি ওর হাতটা ধরে বললাম,
-- তোমার পিছনে ফেলে আসা ২০ বছর জীবনে কখন কী হয়েছে না হয়েছে, এই বিষয়ে কোনোদিন আমি তোমায় কিছু বলবো না। শুধু খেয়াল রেখো সামনে যেন কোনো ভুল না হয়।

শ্রাবণী অবাক হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে বললো,
- আমি খারাপ মেয়ে জেনেও আমায় আপনি বিয়ে করলেন?

আমি মৃদ্যু হেসে বললাম,
-- খারাপ ছেলে তো তাই খারাপ মেয়েকে বিয়ে করেছি। এখন তাড়াতাড়ি সব কিছু গুছিয়ে নাও। হুট করেই আমার ঢাকাতে বদলি হয়ে গেছে । তাই আমরা এখন ঢাকা চলে যাবো। আর হ্যাঁ, আলমারিতে গোলাপী রঙের একটা শাড়ি আছে। এই শাড়ি ভুলেও পরবে না। আমার মাথায় আসে না মেয়েরা কিভাবে গোলাপী রঙের শাড়ি পরে?

শ্রাবণী আলমারি থেকে গোলাপী রঙের শাড়িটা বের করে আমার দিকে তাকিয়ে বললো,
- তোমার হুট করে বদলি হয় নি। তুমি এই শহর ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছো যেন তোমার বউকে কেউ কিছু বলতে না পারে!

----
-----

বাসের জানালা দিয়ে শ্রাবণী বাহিরের দিকে তাকিয়ে আছে আর আবির ওর কাঁধে মাথা রেখে ঘুমাচ্ছে। শ্রাবণী ভেবেছিলো আবিরকে বিয়ে করে ওর জীবনটা শেষ হয়ে গেছে। আর এখন সে ভাবছে, " শেষ থেকে আবার সব কিছু শুরু হয়েছে। "

---------------------------------সমাপ্ত ---------------------------------

তুমি থাকলে জীবন টা অনেক সুন্দর

এতো দূরে যখন এসেছেন তা হলে
ছোট করে একটা কমেন্ট তো করা ই যায়

যদি ভালো লাগে 🙂

ভালো থাকবেন সবাই

আসসালামু আলাইকুম

ভালো লাগলে গল্পের কমেন্টর সাথে

অসমাপ্ত ভালোবাসা মাথাটা ঘুরছে,,, প্রচুর ঘুরছে,চারদিকে অন্ধকার হয়ে আসছে,মাথা থেকে বেয়ে বেয়ে র,ক্ত পরে পুরো শরির ভিজে গেছে...
26/08/2023

অসমাপ্ত ভালোবাসা

মাথাটা ঘুরছে,,, প্রচুর ঘুরছে,
চারদিকে অন্ধকার হয়ে আসছে,
মাথা থেকে বেয়ে বেয়ে র,ক্ত পরে পুরো শরির ভিজে গেছে,
আমি আর দাড়িয়ে থাকতে পারছিনা,

মাথা ঘুরে পরে গেলাম, তখনো আমার জ্ঞান আছে,,
তাদের মধ্যে কেও একজন বললো,,,
শা,লাকে গাড়িতে উঠা।

আমাকে টেনে হেচরে গাড়িতে উটানো হলো,
আমাকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে আমি জানিনা।

আমি কিছু জিজ্ঞেস ও করতে পারছিনা,,,
কে তারা! আর কেনই বা আমাকে মারছে!

শরিরে কোন শক্তি পাচ্ছিনা।

আফসানা মনে হয় আমার জন্য অপেক্ষা করছে,
আজকে আমাদের পালানোর প্লান ছিলো কিন্তু সব ধুলিস্যাৎ হয়ে গেলো।

আমি নীল,
আমি একটা মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে,
আর আফসানা অনেক বড়লোক বাপের একমাত্র মেয়ে।

এই মধ্যবিত্তই আমার আর আফসানার রিলশনের মধ্য কাল হয়ে দাড়িয়েছে,
আফসানার বাবা কোন ভাবেই আমাদের সম্পর্ক মেনে নিবেনা।

আফসানার বিয়ে ঠিক করে ফেলছিলো তাই আমরা আর কোন পথ খুজে না পেয়ে পালানোর সিদ্ধান্ত নিলাম।

একটা নির্দিষ্ট জায়গায় আমি আফসানার জন্য অপেক্ষা করছিলাম,,হঠাৎই কয়েকজন লোক এসে আমাকে টেনে গাড়িতে তুলে একটা নির্জন জায়গায় নিয়ে আসে।

তারপর কি হলো আপনারা তো জানেনই, এখন আমাকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে অজানা গন্তব্যের দিকে,
জানিনা কোথায় যাচ্ছি।

হঠাৎ গাড়ি থামিয়ে আমাকে ধরাধরি করে গাড়ি থেকে নামিয়ে গজারি বাগ এর ভিতরে ফেলে তারা চলে গেলো।

আমার শরিরে এতটুকু শক্তি নেই যে আমি হেটে এখান থেকে বেরিয়ে আসবো,
আশে পাশেও কেউ নেই, একদম নিরব, আমি কথাও বলতে পারছিনা,
শুধু গুঙরাচ্ছি।

হঠাৎ কিছু লোকের আওয়াজ পেলাম কিন্তু তাদেরকে ডাক দেওয়ার মত শক্তি আমার শরিরে নেই।
সমানে র,ক্ত ঝরছে শরীর থেকে।

আমার গোঙানির আওয়াজ টা মনে হয় তাদের কানে আল্লাহ পৌছে দিয়েছিলো, তারা দৌরে আসলো।
তারা এসে আমার এই অবস্থা দেখে একেকজন একেক কথা বলছে।

সর্বশেষ একজন বললো আরে ছেলেটাকে এভাবে কে মারলো চল সবাই মিলে হসপিটাল নিয়ে যাই,
নাহলে ছেলেটা মারা যাবে।

এর পরে আমার আর কিছু মনে নেই।

যখন জ্ঞান ফিরলো তখন নিজেকে হাসপাতালের বেডে আবিষ্কার করলাম,
পাশে আমার কিছু বন্ধুবান্ধব বসে আছে।

তাদের দেখে আমি অবাক হলাম!

আমার জ্ঞান আসছে দেখে রানি বলে উঠলো কেমন লাগছে এখন তোর? তুই ঠিক আছিস তো? আরো অনেক গুলো প্রশ্ন শুরু করলো,
আমি তাদের উত্তর না দিয়ে জিজ্ঞেস করলাম আফসানা কেমন আছে।

আমার প্রশ্ন শুনে সবাই চুপ হয়ে গেলো।

আমি আবারো জিজ্ঞেস করলাম কিন্তু কেও কোন উত্তর দিচ্ছেনা।

হঠাৎ ইয়াছিন কাদতে কাদতে বললো দোস্ত শুক্রবারে আফসানার বিয়ে।

আমি কি করবো বুঝতে পারছিলাম না,
হে আল্লাহ এইদিন আসার আগে আমাকে কেন ম,রণ দিলানা।

আমি শুধু কেদেই যাচ্ছি আর বন্ধুরা আমাকে শান্তনা দিচ্ছিলো,
হঠাৎ নার্স এসে বললো আরে আপনি কি করছেন.? এভাবে কাদছেন কেনো.?
এখন কান্না করলে আপনার মাথায় আরো সমস্যা হতে পারে, র,ক্তক্ষরণ হতে পারে।

তারপর নার্স কিছু ঔষধ লিখে আমার বন্ধুদেরকে বললো ঔষধ গুলো নিয়ে আসতে,
ঔষধ এনে আমাকে খাইয়ে দিলো।

পরে জানতে পারলাম যারা আমাকে হাসপাতালে নিয়ে আসছে তারা কাঠ কাটতে গিয়ছিলো তারপর আমাকে হাসপাতালে নিয়ে এসে আমার ফোন থেকে একটা নাম্বারে ফোন দেয়,
আর সেটাই ছিলো ইয়াছিনের নাম্বার,
তারপর তারা এড্রেস নিয়ে আমার কাছে চলে আসে।

দুইদিন পর আমাকে হাসপাতাল থেকে ছেরে দিলো, সবাই মেসে চলে আসলাম।

কালকেরদিন পরেই আফসানার বিয়ে ভাবতেই ভিতরটা ধুমরে মুচরে যাচ্ছে।

কিন্তু কি করবো আমি তো মধ্যবিত্ত তাই ভাগ্য কে তো মেনে নিতেই হবে।

এই দুইদিন আফসানার সাথে দেখা করার অনেক চেষ্টা করছি কিন্তু পারিনি।

আজ আফসানার বিয়ে কিন্তু আমি কোনভাবেই মেনে নিতে পারছিনা,
আ,ত্ম,হ,ত্যা করা যদি পাপ না হতো তাহলে এটাই করতাম।

অনেক কষ্ট করে আফসানার সাথে একটু ফোনে কথা বলার।

ভাইয়া আফসানা আপু কি বলেছিলো সেদিন? [একটা ছেলে সামানে থেকে বলে উঠলো]

হ্যা আজ আমি ৭বছর পর পথশিশুদের সাথে আমার জীবনের কাহিনি বলছি।

না সেদিন আফসানার সাথে কথা হয়নি ফোন করছিলাম সে রিসিভ করে কাদছিলো আমিও অনেক কাদছিলাম,
সে কিছু বলবে ঠিক তখনি কে যেনো তাকে ধমক দিয়ে বললো......
আবার অই ছেলেটাকে ফোন দিয়েছিস!
ফোনটা ওর হাত থেকে কেড়ে নিলো,
সে বারবার বলতেছিলো প্লিজ ফোনটা একটু দাও আমি নীলের সাথে একটু কথা বলবো,
হঠাৎ একটা শব্দ শুনলাম সাথে কলটাও কেটে গেলো।
বুঝতে বাকি রইলো না যে ফোনটা ভেঙে ফেলছে।

তারপরে কেটে গেলো আমার জীবনের ৭ টি বছর।
এখনো বিয়ে করিনি কারণ আফসানার জায়গায় আমি অন্য কাওকে স্থান দিতে পারবোনা।

চোখের পানিটা আর ধরে রাখতে পারছিলাম না,
আমি সবাই কে বললাম আজ উঠি রে কাল আবার দেখা হবে।
এই বলে গল্পের আসর থেকে উঠে আসলাম।
রাস্তায় আনমনে হাটছি আর ভাবছি.....
আমি কেনো বড়লোক পরিবারে কেনো আমার জন্ম হলো না!
আকাশ পানে তাকিয়ে আছি আর চোখের জল মুছতেছি।

সমাপ্ত

টাইপিং এ কোন ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন

26/08/2023

যে শাড়িটি আমি আমার প্রাক্তন তমাকে গিফট করেছিলাম সেই শাড়িটিই আমার স্ত্রী আয়েশার পড়নে দেখে কিছুটা অবাকই হলাম।
কোনো প্রশ্ন না করেই ভাবতে লাগলাম এই শাড়ি আয়েশা পেলো কোথায়!

আয়েশাকে কিছু বুঝতে না দিয়েই জিজ্ঞাসা করলাম,

- এই রঙ এর শাড়িতে তোমাকে একদমই ভালো লাগছে না, তুমি বরং অন্যটা পরে ফেলো।

আয়েশা কিছুটা অবাক হয়েই বলে তুমি নিজে পাঠিয়ে আবার নিজেই বলছো যে ভালো লাগছে না। তাহলে নীল রঙ কিনলে কেনো জানোই তো নীল রঙ আমাকে মানায় না। আর এক সাথে এতোগুলো শাড়ি কেনো কিনতে গেলে যাই হোক তোমার সারপ্রাইজ আমার ভীষণ ভালো লেগেছে, ভেবেছিলাম তুমি রোবট টাইপের কিন্তু তুমি যে এতো রোমান্টিক ভাবতেই পারিনি। আংটি টাও আমার খুবই পছন্দ হয়েছে আর তুমি আমার আংটি চুড়ির মাপ এতো নিখুঁত জানো, আমি নিজেই তো নিজেরটা ঠিকঠাক কিনতে পারিনা।

হেসেহেসে কথা গুলো বলেই চলছিলো আয়েশা।
আমার আর বুঝতে বাকি রইলো না এসবই তমা আমাকে ফেরত পাঠিয়েছে।

আয়েশা রুম থেকে চলে যাবার পর আমি আলমারি খুলে শাড়ি গুলো দেখছি, শাড়িগুলোর ভাজই খুলে নি, একদম নতুন।

ড্রেসিং টেবিলের উপর রাখা চুড়ি গুলো ধরতেই বুকের মধ্যে কেমন যেনো অস্থির লাগছিলো।

ছাদে চলে গেলাম কারণ চোখের কোণের অশ্রু গুলো কোনোভাবেই লুকাতে পারছিলাম না।

তমা আমার প্রেমিকা ছিলো, তাকে প্রাক্তন বলতেও আমার কলিজা কেপে উঠে।
৮ বছর প্রেমের সম্পর্ক ছিলো আমাদের।
আমি পড়াশুনা করে বেকার ঘুরছিলাম, কোনোভাবেই চাকরী যোগাড় করতে পারছিলাম না।
বাবা মা বাসা থেকে কোনো খরচ দিতেন না। নিজের পড়াশুনা থাকা খাওয়ার খরচ টিউশনি করে কোনো রকম চালাতাম।

তমা আমাকে মানসিকভাবে সব সময় সাহস দিতো। মিথ্যে বলবো না তার কাছ থেকে আমি সব সময়ই আর্থিক সাহায্য নিয়েছি।
আমার হাত খরচ চলতো তার দেয়া টাকায়।
সে টিউশনি করে যা পেতো সব আমাকে সাপোর্ট দেয়ার জন্যই দিয়ে দিতো।
৮ বছরে ফুল আর চকলেট ছাড়া আমি তাকে কিছুই দিতে পারিনি। ইচ্ছে থাকলেও আমি তাকে ভালো জায়গায় ঘুরতে নিয়ে যেতে পারিনি। ভালো রেস্টুরেন্টে খাওয়ানো, দামী উপহার কিছুই দিতে পারিনি।

নিজের মধ্যে সব সময় অপরাধবোধ কাজ করতো।

ভাবতাম একটা জব হলে ওকে বিয়ে করে রাণীর মতো করে রাখবো ওর কোনো ইচ্ছাই অপূর্ণ রাখবো না।

অন্য বন্ধুদের প্রেমিকাদের মতো তমার কোনো চাহিদা ছিলো না সে সামান্য টং দোকানের চা তেও খুশি থাকতো।
হয়তো এই জন্যই তাকে আমি অনেক বেশি ভালোবাসতাম।
হয়তো আজও বাসি।
জানি বলা পাপ হচ্ছে। কিন্তু মিথ্যা বলাও তো পাপ।
আমি তাকে ভুলতে পারিনি, এক মিনিটের জন্য ও না।

আমার জব নেই, ভবিষ্যৎ নেই ভেবে তার বাবা আমাকে বার বার প্রত্যাখ্যান করেছেন।
হয়তো আমি কখনো বাবা হলে সেম কাজটাই করবো কারণ কোনো বাবাই চান না তার মেয়েকে কোনো বেকার ছেলের হাতে তুলে দিতে!

তমার তুলনার আমার পারিবারিক স্বচ্ছলতাও ভালো ছিল না।
পরিবারের বড় সন্তান হওয়ায় কোনো সিদ্ধান্ত ও নিতে পারিনি।
সাহস করে বলতে পারিনি তুমি চলে আসো।

আমার চাকরী টা হয়েছে তার বিয়ের ঠিক ১ মাস আগে।
ভাগ্যটাই এমন যে আমি যা আশা করেছিলাম তার চেয়ে অনেক বেশিই সেলারির চাকরীটা আমার হয়েছিলো।

শেষ দেখার দিন তার জন্য অনেক উপহার নিয়ে গিয়েছিলাম।
জীবনের প্রথম উপার্জনের টাকা দিয়ে তার জন্য নাকফুল আংটি কটা শাড়ি আর চুড়ি নিয়ে গিয়েছিলাম।
কোনো কথা বলছিলো না সে আমি নিজ হাতে তাকে চুড়িগুলো আর আংটি টা পড়িয়ে দিয়েছিলাম।
অনুরোধ করেছিলাম যদি এক চিমটিও ভালোবাসো আমার জীবনের প্রথম এবং শেষ উপহারটুকু স্মৃতি হিসেবে রাখো। দয়া করো আমাকে, সে অপলক দৃষ্টি নিয়ে তাকিয়ে ছিলো।
বলেছিলাম যদি চাও আমি শেষ মিনিট অবধি অপেক্ষা করবো চলে এসো।

আমি জানি সে আসবে না।
যখন বারবার আসতো আমি উপেক্ষা করতাম।
জব হলেই বিয়ে করবো এই আশায়!
এখন আর সে তার পরিবারকে লজ্জিত করে বিয়ে ভেঙে আমার কাছে আসবে না।
আমি তবুও অপেক্ষা করেছি।
কিন্তু সে আসেনি।

আমার খারাপ সময়ে আমি তাকে পাশে পেয়েছি।
কিন্তু আমার সুখের দিনে সে আমার পাশে নেই।
আজ দেশ বিদেশে ঘুরে বেড়াই কিন্তু আমি তখন আমার ভালোবাসার মানুষটিকে ভালো একটি উপহার ও দিতে পারিনি।
শেষ যে উপহার গুলো দিয়েছিলাম সেগুলোও আমার বিয়ের খবর পেয়েই হয়তো পাঠিয়ে দিয়েছে।
তার চাহিদা ছিলাম আমি, আমার ভালোবাসা অন্য কিছুতে না।
আজ তাকে বড্ড বলতে ইচ্ছে করছে আমি তাকে ফিরিয়ে দিয়ে জীবনে হয়তো সবচেয়ে বড় ভুলটিই করেছিলাম।
তাহলে দিনশেষে আমার মধ্যে শূন্যতা গ্রাস করতো না।



____সমাপ্ত____

গালফ্রেন্ডের এর সাথে সারাদিন  ঝগড়া হয়েছিল.। রাতে ঝগড়া মিটমাট করার সময় বলেছিলাম জানো আজ সারাদিন কিচ্ছু খাইনি 😔 তারে জাস্ট...
26/08/2023

গালফ্রেন্ডের এর সাথে সারাদিন ঝগড়া হয়েছিল.।
রাতে ঝগড়া মিটমাট করার সময় বলেছিলাম জানো আজ সারাদিন কিচ্ছু খাইনি 😔
তারে জাস্ট একটু ইমোশনাল করতে গেছিলাম বাট মিটমাট এর আগেই আমি ঠি/ল্লা ভরে ভাত খেয়ে টিং টিং হয়ে আছি.
এখন যখন বলছি আমি সারাদিন কিছু খাইনি তো আমার সো কেয়ারিং জিএফ শুরু করছে এখনই উঠে খাইতে হবে তাও ভিডিও কলে দেখাই দেখাই🙂
অনেক ভাবে এড়িয়ে গিয়ে বললাম যে আমার খেতে ইচ্ছে করছেনা 🥲
নাছোড়বান্দা জিএফ মানলোইনা মাথা মোটা আমারে উঠায়ে ভাত নেওয়ালোই..
ভাবছিলাম দুই একটু খেয়ে বলব যে আর খাবোনা ইচ্ছা করেনা কিন্তু মিষ্টার কৃপা ইসলাম তো দয়ার সাগরে ভাসছিলেন আর বলছিলেন যদি পুরো থালা না খাও তাহলে আবার ঝগড়া হবে..
কি আর করা অগত্যা ঠিল্যার উপর আরো এক থালা ভাত ধামাচাপা দেওয়ার পর আমি গাজি
ট্যাংক এর মত পেট বানিয়ে পটাং হয়ে শুয়ে পরছি এবার তো আর নড়া যাচ্ছেনা...
তাকে খুব করুন হয়ে বললাম জান সারাদিন না খেয়ে এখন খেয়েছি তো তাই অনেক দুর্বল লাগছে আমি একটু ঘুমাই?

সে যা বললো 🙂

আর কোনো দিন যদি ৪ থালা খাইয়াও আমাকে মিথ্যা বলো যে সারাদিন খাওনাই তাহলে আজ তো এক থালা খাওয়াইছি অন্য দিন ৩ থালা খাওয়ামু মনে রাইখো এখন ডলফিন এর মত না মোড়াইয়া চুপ করে শুয়ে থাকো...

লে আমি ঃ 🙂👍

এত কষ্ট কেন ভালোবাসায় পর্ব ২  ----- কেন, মেয়েটা কি বাচ্চা খুকি নাকি.???     -----আরে, গাধা আস্তে বল, শুনতে পাবে যে।  নার...
25/08/2023

এত কষ্ট কেন ভালোবাসায়
পর্ব ২

----- কেন, মেয়েটা কি বাচ্চা খুকি নাকি.???
-----আরে, গাধা আস্তে বল, শুনতে পাবে যে।
নারে, আমি এতো বোকা নই। দেখ গিয়ে উনি নাক ডেকে ঘুমাচ্ছে।

------তাই নাকি!
------ হ্যা।
তাহলে এখন কি করা যায়। আমার যে মাথায় কিছুই ধরছে না।
আরে পা*গলা, বাচ্চা খুকি নয় কি হবে ওতো এখানে সম্পূর্ণ অপরিচিত । তার ভিতরে আবার মেয়ে মানুষ ।

----- আরে রাখ তোর মেয়ে মানুষ। যদি মেয়ে মানুষই হয় তাহলে একা একা কি করে সেই সিলেট থেকে........!

ওরে বাবারে বাবা। আমি মেয়ে মানুষ হলে এভাবে একা একা..........!

এখনো তো জানতে পারি নাই ও একা এসেছে না আরো সাথে কেউ এসেছে।

---- তুই আসলে একটা হাঁ*দারাম মার্কা গর্দ*ভ।
------ কি রকম....???
দেখছিস না ও একা।
যদি কেউ সাথে থাকতো তাহলে এখানেইতো উঠত নাকি....???
তা অবশ্য ঠিকই বলেছিস। অবশ্য আমি এতো কিছু ভাবিনি। এখন কি করা যায় বলত...???
হাতে একদম সময় নেই। ওকে পাহারা দিতে বাসায়তো বসে থাকা যায় না।
অফিসে যেতে হবে। বরং এ কাজটা করলে কেমন হয়.?

------- কি কাজ বল।
----আমি বলছিলাম আজ না গিয়ে ওর সাথে একটু বাসায় থাক। অবশ্য তোর ভাবি দুপুরের দিকে চলে আসবে। তার পর না হয় বিকেলের দিকে তুই.......!

আশিক রনির কথা শুনে মুখ ছানাবড়া করে ফেললো। কিছুক্ষন স্তব্ধ হয়ে রনির মুখের দিকে তাকিয়ে থাকল। ইচ্ছে থাকা সত্বেও কিছুই বলতে পারল না।
শুধু ঠোট দুটো কাপতে লাগল।
এরপর কোন রকম নিজেকে সামলিয়ে জরতা কাটিয়ে বললো --------
তুইতো আমার সম্বন্ধে সব কিছুই জানিস,

এর পরতো আর নতুন করে তোকে বিস্তারিত কিছু আর আমার বলার নেই তাই না।
এখন তুই.............!

রনি আশিকের কথা শুনে কিছুক্ষণ চোখ বন্ধ করে স্তব্ধ হয়ে থাকল।
এর পর মাথা ঝুলিয়ে আস্তে করে বললো ----- তাহলে এখন কি করা যায় বল------
আমার মাথায় একটা বুদ্ধি এসেছে বলবো..???
রনি আশিকের দিকে না তাকিয়ে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে চিন্তিত গলায় বললো বল।

আচ্ছা ওকে যদি ভেতর রেখে বাহির থেকে তালা লাগিয়ে গেলে কেমন হবে।
তা অবশ্য মন্দ হয় না আমি তাই করবো ভাবছি,
তাহলে আর কোন চিন্তা করে লাভ নেই তাই কর
আর সোন আজ অফিস থেকে একটু তারা তারি ফিরিস কেমনন। তা তো ফিরতেই হবে শাহানাটা থাকলে আমার আর এতো চিন্তা হতো না।
যাক তাহলে তুই রান্নাটা তারাতারি সেরে নে।
আমি গোসলটা সেরে আসছি,

---- হ্যা তুই যা আমি এদিকে দেখছি
তাই বলে আশিক গোসল খানার দিকে চলে গেল।
রাত প্রাই সারে দশটর দিকে আশিক বাসায় ফিরল।
আর ফিরে রনিকে বললো কিরে ভাবি আজ ও আসেনি
রনি একটা দীর্ঘ শ্বাস ফেলে আশিককে কিছু বুঝতে না দিয়ে বললো নারে তোর ভাবি আজ ও আসলো না ।

কিরে কি বলিস কোন অসুবিধা হলো নাতো আবার.???
না তেমন কোন অসুবিধা হয়নি তবে ওরা আগামী পরশু আসবে বলেছিল।
কিন্তু তানিশা আসছে বলাতে বললো কালকে আসবে,

আশিক দুষ্ট হাসি দিয়ে রনির দিকে তাকিয়ে বললো কিরে তুই কি করে জানলি তার মানে কি তুই গিয়েছিলি।
আরে না ধ্যাত ফোন করছিলো তোর ভাবি।
ওহ তাই বল আমিতে আবার ভেবেছিলাম............

থাক তা আসল কথা হলো যাকে নিয়ে এতো কথা হচ্ছে আমাদের মেহমানটা কই....???
আরে ওর কথা আর বলিস না ও খেয়ে আবার ঘুম।
আর মেয়ে মানুষ এমনিতে ও একটু বেশি ঘুমায় তার ওপর আবার জার্নি করে এসেছে তাই আবার ঘুমায়ছে।

রনির কাছে এখন ভালো কথা ও ভালো লাগছে না,
শোন তোর সাথে আমার কিছু জরুরি কথা আছে তুই ফ্রেশ হয়ে আয়।
আশিক রনির চেহারা দেখে ও কথা শুনে চমকে উঠল। কিছুক্ষণ কোন কথা বলতে পারলো না শুধু মনে মনে অনেক কিছু ভাবছে।
কিন্তু এর কোন প্রতি জবাবা পেল না।
আচ্ছা কি বলতে চেয়েছিলি বল,

রনি আশিকের চেহারা দেখে মুচকি হেঁসে বলো এতো ঘাবরিয়ে গেছিস কেন।

না মানে....... এমন কি কথা...???
আরে ধুর বোকা তেমন কোন কথা নয় বর্ণের ব্যাপারে কিছু কথা ছিলো।

আশিক এতোক্ষণে স্বস্তির একটা নিঃশ্বাস ছাড়লো ।
তার পর ওখান থেকে নিজের রুমের দিকে গেলে।

আর এদিকে রনি সোফায় বসে আরাম করে টিভি দেখতে লাগল, কিছুক্ষণ পর আশিক ফ্রেশ হয়ে এসে বসলো আর বললো এবার বল কি হইছে...???
রনি টিভির ভলিউমটা একটু কমিয়ে বললো শোন আমি সংক্ষিপ্ত আকারে বলছি তুই মনোযোগ সহকারে শুনবি কিন্তু।
কথাটা হলো এই যে তানিশা আমার খালাতোবোন ।
ওদের বাড়ি আমাদের বাড়ির ১ মাইল দক্ষিণে হাজরী পাড়ায়। কিন্তু ওদের ঐ বাড়িতে কেও থাকে না। ওরা সবাই লন্ডনে থাকে। দুচার বৎসর পর পর এখানে এসে সবার সাথে দেখা করে যায়।এই তাদের আসা যাওয়া
এখন শোন মুল কথায় আসি,

ওর আর আমার মামাতো ভাই শিপন দেশে কলেজে জীবন শেষ করে ভালো রেজাল্ট করে।
তাই ভালো একটা ডিগ্রীর জন্য ও লন্ডনে চলে যায় ও
তানিশার সাথে ভর্তি হয়।

শেষ মেষ এক সাথে থাকতে থাকতে ওদের মাঝে মন দেওয়া নেওয়া হয়ে যায়।
এভাবে চলতে চলতে একদিন তানিশার আম্মা মানে আমার খালা আম্মু সব জেনে যায়। জানতে পেরে ও ওদের কিছু বুঝতে না দিয়ে শিপনের গার্জিয়ানদের সাথে কথা বলে। এবং শিপনের আব্বু মানে আমার খালুজান বলেন ছেলে মেয়ে যখন একে অন্যকে চায় আমরা আর কি বলবো বলেন। এখন যুগ হয়ে গিয়েছে এমন ছেলে মেয়ে এখন নিজেদের জীবন সঙ্গী নিজেরাই পছন্দ করে।
তবে সামনেই ওদের পরিক্ষা, পরিক্ষাটা শেষ হোক আমরা দু পরিবার মিলে একটা দিনখান ঠিক করা যাবে

একথার পর আর তানিশার আম্মা ও আর কোন মাথা ঘামান নি,

সময় যেতে যেতে একদিন পরিক্ষা ও শেষ হয়ে গেল,
পরীক্ষা শেষ হবার সাথে সাথেই শিপন দেশে আসার জন্য এক প্রকার পা*গল হয়ে উঠলো।
কোন ভাবেই তানিশা ওকে বুঝিয়ে রাখতে পারলো না।
আসার সময় ও বলে এসেছিল পনের দিন পর ও ব্যাক করবে । কিন্ত পনের দিন যেতে যেতে দের বছর পার হয়ে গেল তাও ওর ফিরে যাবার কোন নাম গন্ধ নেয়
আর এ দিকে তানিশা আর পারছিল না একদম হাপিয়ে গেল আর সহ্য করতে না পেরে একটা অঘটন ঘটাই।
ও একদম নাওয়া খাওয়া ছেরে দেয় ও একদম নিজেকে আস্তে আস্তে শেষ করে দিতে থাকে। আর তানিশার বাবা মা তানিশার এ অবস্থা দেখে। শিপনের বাবা মায়ের সাথে আলাপ করে জানতে পারলেন,
ছেলে তাদের নিজেদের ব্যাবসা দেখাশোনা করছে এবং অনেক সাফল্য হচ্ছে, এই মুহূর্তে ছেলে বিয়ে করবে না ।
বিয়ে যখন করবে সরাসরি জানাবে ও এটা ও বলে দিয়েছেন যে বিয়ে যদি করে তো তানিশাকেই বিয়ে করবে ও
তানিশার আব্বু শিপনের বাবার সাথে হওয়া সব কথা তানিশাকে খুলে বলে।
তার পর ও তানিশা কেন জানি তার মন কে সায় দিতে পারলো না। শেষ মেষ ও দেশে আসার জন্য উঠে পরে লাগলো।
অনেক বুঝিয়ে ও তানিশাকে আটকে রাখা গেল না ও চলে আসলো।
এবং ও দেশে এসে নিজেদের বাড়িতে উঠল তার পর আস্তে আস্তে শিপনের সব খোঁজ খবর নিল।
সবটা জানার পর ওর মাথা ঘুরে উঠল।
শিপন নাকি এখানে কইএকটা মেয়ের সাথে সম্পর্ক করছে এবং ব্যাবসার নাম করে মেয়েদের নিয়ে বিভিন্ন দেশ ও বিভিন্ন জাগায় ঘুরে বেড়ায়।
এই হল এখনকার হাল অবস্থা, বর্তমানে শিপন নাকি তার ঢাকার অফিসে আছে,
তায় আশিক আর দেরি না করে আমার এখানে ঢাকায় চলে এসেছে । ওর কথা হলো যে করেই হোক শিপনকে খুঁজে বের করতেই হবে এবং ও শিপনকে বিয়ে করেই ছারবে।
মেয়েটা শিপন কে খবু ভালোবাসে না হয় দেখনা.....

আশিক রনির মুখে যতোই কথা শুনছে ততোই অবাক হচ্ছে, রনির চুপ করে থাকা দেখে অস্থির হয়ে বললো আশিক ----আশ্চর্য তো মেয়েটা ছেলেটাকে এতটা ভালবাসে!

আরে হ্যা!
--------- দেখনা তা না হলে কি আর সে সুদূর লন্ডন থেকে এখানে ছুটে আসে ওর টানে...???
তার ভালোবাসা কতোটা গভির কার না ইচ্ছা করবে ওর ভালোবাসা কে শ্রদ্ধা না করে থাকতে বল।

-------- হ্যা তাইতো দেখছি!
এখন আসল কথা হলো তানিশার পক্ষেতো আর শিপন
কে একা একা খুঁজে বের করা সম্ভব নয়।
ওর সাথেতো অন্তত একজন পুরুষ মানুষ থাকা প্রয়োজন, কিন্তু আমি ও যে অফিসে খুব ব্যাস্ত জানিসইতো। এখন কি করা যায় বলতো..???
ওর সাথে কাকে দেয়, আশিক রনির কথা শুনে চিন্তিত হলো। এবং কিছুক্ষণ চুপ থাকার পর কি যেন ভাবল।

তার পর বললো আচ্ছা ভাবির, ইমিডিয়েট ছোট ভাই করিম না কি যেন। উনিতো কোন কাজ কর্ম করে না,
উনাকে ওর সাথে পাঠাইলে কেমন হয়...???

আর উনিতো এসব বিষয়ে খুব চালু ও আছেন....
আশিকের কথা শুনে রনির মাথায় র*ক্ত উঠে গেল।
কিছুক্ষণ মাথা নিচু করে চুপ থাকার পর কোন রকম মাথা ঠান্ডা করে বললো।

ওর কথা আমার সামনে আর কোন দিন বলবি না এটায় শেষ বার তোকে বলে দিলাম! ও পুরুষ নামের কল্ক
এখন আমার যা সম্মান আছে ওকে ওর সাথে পাঠালেই সেইটার আর ও কিচ্ছু রাখবে না। সব শেষ হয়ে যাব।

ও আর হ্যা শোন ভা..............

চলবে....

লেখক.... অভিমানী ছেলে

আমাকে একটু বুকে জরিয়ে ধরো না আমি আর পারছি না,........       তানিশা কি হলো নিবে না আমায় তোমার বুকে শেষ বারের মতো, কথাটা ব...
24/08/2023

আমাকে একটু বুকে জরিয়ে ধরো না আমি আর পারছি না,........
তানিশা কি হলো নিবে না আমায় তোমার বুকে শেষ বারের মতো,
কথাটা বলে আশিক চুপ হয়ে গেল!

ওই আশিক তুমি চুপ কেন কি হলো তোমার দেখ আমি হাত বাড়িয়ে আছি,
ওই কি হলো আসবে না আমার বুকে আসবে না তো বললে কেন,
( আচ্ছা চলুন এবার একটু মুল গল্পে আসা যাক আর গল্পটার আসল মজা শুরু হবে ৩য় পর্ব থেকে আসা করি সবাই শেষ পর্যন্ত পাশে থাকবেন)

এই সাত সকালে দরজায় খটখটানি আশিকের একটু ও সহ্য হয় না। সকাল বেলার ঘুমটা তার অনেক ভালে হয়। তাই খটখটানির শব্দে তার ঘুমটা ভেঙে গেল, তার ওর চেহারাতে বিরক্তিবোধ ফুটে উঠেছে। তার পর ও কিছুক্ষন স্তব্ধ হয়ে রইলো,
এভাবে কিছুক্ষণ অতিবাহিত হবার পর আবার খটখটানির আওয়াজ কানে ভেসে আসলো।
এবার পাশ ফিরে বিরক্তির কন্ঠে বললো ___কে..???
কে বাহিরে..??? কথা বলছেন না কেন....???
কিছুক্ষন পর বাহির থেকে অপরিচিত সুন্দর একটা মেয়েলি কন্ঠ ভেসে আসলো ____আমি।
আশিক এবার চমকে উঠে শোয়া থেকে বসলো তার পর
ঢোক গিলে বললো _____ আমি কে....???

আমি কে চিনবেন না, দরজা খুলুন তো।
ওরে বাবারে বাবা কি মেয়ের মেয়ে! চিনি না অথচ দরজা খুলে দিব। তা হবে না!
যে ভাবে চুরি ডাকাতি আরম্ভ হয়েছে!
আজকাল মেয়েরা ও অভিনয় করে ঘরে ঢুকে তার পর
অস্ত্র ঠেকিয়ে সব সাফা করে দেয়। এখন যদি বাবা ওই রকম মেয়ে হয় তা হলেতো................!
না বাবা না! আমি কিছুতেই দরজা খুলে দিব না।
এগুলো ভাবতে ভাবতে আশিক বিছানা থেকে উঠে নেমে দরজার সামনে এসে আবার বললো কে...???
নাম বলুন এবং কাকে চান....???
তার পর না হয় ভেবে দেখবো দরজা খোলা যায় নাকি।

--------আপনি কে...???

-------আমি!

------ হ্যা আপনি!

---- হ্যা আমি মানে আমি আশিক!

--- ওহ„! তাহলে আপনার আমাকে চেনার কথা নয়।
আমি রনি ভাইয়ের খালাতো বোন তানিশা ।
সিলেট থেকে এসেছি উনার কাছে।

---- হাই আপনি! আপনার নামতো অনেক শুনেছি ওর মুখে। অতো কথা বাড়িয়ে লাভ নেই এই মুহূর্তে । তার চাইতে বরং দরজাটা খুলে দিন। অনেকক্ষণ এসে দারিয়ে আছি।
আশিক তারাতারি দরজাটা খুলে দিল, তার পর আর চোখে তানিশার দিকে তাকিয়ে বললো দিন ব্যাগটা দিন আমার কাছে দিন। আপনার যে কষ্ট হচ্ছে বুঝা যাচ্ছে।
তানিশা আশিকের দিকে তাকিয়ে হাসি মুখে বললো আপনি আবার কষ্ট করবেন। আশিক মাথা নিচু করে লজ্জা মাখা কন্ঠে বললো ওতে অসুবিধে নেই।
দিন দিন আমার কাছে ব্যাগটা দিন।
বলেই ও তানিশার কাছ থেকে ব্যাগটা নিয়ে রুমে প্রবেশ করলো

এদিকে তানিশা রুমে ঢুকে ঘার ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে কি যেন খুজছে। তার পর এক সময় বললো কই ওদের কাওকেতো দেখছি না..??? ওরা কোথায়..???

আশিক জানালার পর্দা গুলো ঠিক করতে করতে বললো, রনি ভোর বেলায় দৌড়াতে গেল।
আর ভাবি ওরা ওদের বাবার বাড়িতে বেড়াত গিয়েছেন
তাই নাকি! আশ্চর্য হয়ে কথাটা বলল তানিশা।
তার পর স্তব্ধ হয়ে কি যেন ভাবলো। এর পর কপাল কুচকে চিন্তা মগ্ন অবস্থায় বললো। কবে গেছেন উনারা.???

-----গত সপ্তাহের গিয়েছেন

-----কবে আসবেন উনারা...???

----- আসারতো কথা ছিল গত কালকে, কিন্তু গত কালতো আসলো না। আজ হয়তো চলে আসবেই।
রনি আসতে আসতে আপনি কাপর চোপর ছেরে ফ্রেশ হয়ে একটু রেস্ট নিন। তার পর না হয়..................।
এদিকে আমি দেখি কি করতে পারি। বলেই আশিক তানিশার সামনে থেকে চলে আসলো।

এদিকে রনি জগিং করে সারে সাতটার দিকে বাসায় আসলো ফিরে এসে তানিশার আসার কথা শুনে যতটা না খুশি হলো তার দিগুণ চিন্তিত হলো।
কিভাবে মেয়েটা বাসায় একা একা থাকবে.....????
ওরা বাসায় থাকলে কোন অসুবিধা ছিল না।
কিন্তু ওরা যে এখনো............. ।
রনি এগুলো নিয়ে মনে মনে প্রশ্ন করে চললো
আশিক দুহাতে করে দুকাপ চা নিয়ে রনির সামনে এসে রনির দিকে আশ্চর্য হয়ে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকলো ।
তার পর আস্তে করে বললো কিরে কি ভাবছিস..???
রনি চমকে উঠে আশিকের দিকে একনজর তাকিয়ে জরতা কেটে বললো---- তানিশা যে আসলো এখন......!
আশিক রনির মুখ থেকে কথা কেড়ে নিয়ে বললো
আত্মীয়র বাড়িতে আত্মীয় আসবে এ নিয়ে চিন্তা করিস!
নে চাটা খেয়ে নে তার পর............।
রনি চায়ের কাপটা হাতে নিয়ে চিন্তাযুক্ত গলায় বললো
এখন কি করা যায় বলতো...???
তোর ভাবিওতো বাসায় নেই মেয়েটা কি করে বাসায় একা একা থাকবে বলতো.........???

এত কষ্ট কেন ভালোবাসায়
পর্ব -- ১

লেখক -- 💔

Address

Jodhpur

Telephone

+919924401265

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Lucky balveer vlogs posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Lucky balveer vlogs:

Videos

Share

Nearby media companies


Other Digital creator in Jodhpur

Show All

You may also like