Praner Thakur

Praner Thakur You are for the Lord
not for others
You are for the Lord
and so for others

04/04/2024
দোল উৎসবের পূণ্য লগ্নে পরমপূজ্জ্যপাদ শ্রীশ্রীআচার্য্যদেব ও পূজনীয়া বৌরানি ম'র দর্শন✨
25/03/2024

দোল উৎসবের পূণ্য লগ্নে পরমপূজ্জ্যপাদ শ্রীশ্রীআচার্য্যদেব ও পূজনীয়া বৌরানি ম'র দর্শন✨

প্রসঙ্গ: শ্বশুরবাড়িতে মনোমালিন্য  ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄সকালে তিনি বড়াল-বাংলোর বারান্দায় আছেন। কাছে অল্প লোক। নবদ্বীপ থেকে একটি ম...
03/02/2024

প্রসঙ্গ: শ্বশুরবাড়িতে মনোমালিন্য
 ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄
সকালে তিনি বড়াল-বাংলোর বারান্দায় আছেন। কাছে অল্প লোক। নবদ্বীপ থেকে একটি মা এসেছেন। তাঁর মাথার একটু গোল- মাল আছে। শ্বশুরবাড়ী কিছুতেই মানিয়ে নিতে পারছেন না, সেই সব কথা শ্রীশ্রীঠাকুরকে বললেন অনর্গলভাবে।

শ্রীশ্রীঠাকুর-দেখ, আমি যদি তুই হতাম, তাহ'লে এমন করতাম যে সমস্ত মানুষ এসে আমার পায়ে 'মা, মা' ব'লে লুটিয়ে পড়ে। মনে রেখো, ভগবান আছেন। কেবল 'আমি-আমি' ক'রো না, 'তুমি-তুমি' ক'রো। অপরের দোষ দেখার আগে নিজে ঠিক হ'য়ে চল।

উক্ত মা-লোকে আমাকে পাগল বলে। কেউ আমাকে বিশ্বাস করে না।

শ্রীশ্রীঠাকুর-এমনভাবে চল যা'তে তারা তোমাকে তেমন কথাই বলতে না পারে। মানুষের সাথে মিষ্টি কথা বল, সদব্যবহার কর। কেউ তোমার সাথে খারাপ ব্যবহার করলেও তুমি ভাল ব্যবহার ক'রো। এই যা' বললাম, আসল কথাই বললাম। ক'রে দেখ কী হয়। লাখ লোকেই তোমাকে খারাপ বলুক না কেন, তুমি তা' গ্রাহ্যই করো না।

উক্ত মা-আমি ঠাকুরের শিষ্য ব'লে শ্বশুরবাড়ীর লোক খুব খোঁটা দেয়।

শ্রীশ্রীঠাকুর-শিষ্য মানে জানিস্ তো? শিষ্য মানে যে অনুশাসিত হয়।

মা-টি শ্রীশ্রীঠাকুরের কথা শোনার অপেক্ষায় না থেকে ক্রমাগত নানা কষ্টের কথা ব'লে যাচ্ছেন আর শ্বশুরবাড়ীর লোকদের নিন্দা করছেন।

শ্রীশ্রীঠাকুর-তুমি এত কথা বলছ, কিন্তু আমি যা' বলছি তা' তো শুনছ না। একটু পরে মা-টির দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে বললেন-সম্বিৎ মানে জানিস্ তো? সম্বিৎ মানে সম্যকরূপে জানা। আর সন্ধি মানে অনুসন্ধান দ্বারা মিলন ঘটানো।

উক্ত মা-তাহলে আমি এখন কী করব? কোথায় যেয়ে থাকব?

শ্রীশ্রীঠাকুর-শ্বশুরবাড়ী যেয়ে থাক। 'শ্বশুরে সম্রাজ্ঞী ভব' শাস্ত্রেই আছে এই কথা। সেখানে যেয়ে ব্যবহারের ভিতর-দিয়ে শ্বশুরবাড়ী জয় কর।

উক্ত মা-আমার স্বামী কি আমাকে ভালবাসতে পারবে? যদি না পারে তাহ'লে আমি কী করব?

শ্রীশ্রীঠাকুর-তুমি আমার থাক বা না থাক, আমি তোমার আছি, এই রকম ভাব'। লাখবার বল-আমি তোমারই, আমি তোমারই, আমি তোমারই। ঠাকুর তোমার স্বামীর বুকের মধ্যে আছে, তাঁকে সেবা-সম্বর্ধনায় তুমি বাড়িয়ে তোল। তাঁকে বলবে, তুমি মেয়েমুখো হয়ো না। মা-বাবাকে ভক্তি-সহকারে যেমন সেবা করা দরকার তা' করবে। তুমি কখনও মুখর হ'য়ো না। অল্পভাষী হও। স্মিত-ভাষী হও। মুখখানি সবসময় হাসি-হাসি রাখবে। তোমার ঐ দুর্গামূর্ত্তি দেখে সবাই যেন তোমাকে ভালবাসে, শ্রদ্ধা করে। নারীর কিন্তু কোনরকম ঔদ্ধত্যভাব থাকবে না।

উক্ত মা-আমার শ্বশুর একটু ধর্ম্মপরায়ণ, কিন্তু তাঁর ছেলের যে মোটে ধর্ম ভাব নেই।

শ্রীশ্রীঠাকুর-সে ধর্ম্মভাবে চলুক আর না-ই চলুক, তোমার চরিত্র এমন সুন্দর সেবাপটু আকর্ষণীয় হওয়া চাই যে, বেশী ধর্ম্মকথা না বললেও সকলে যেন তোমাকে ধর্মপরায়ণা ব'লে ভাবতে পারে।...যেমনভাবে বললাম তেমনিভাবে চলিস্। ছেলেপিলে রসগোল্লা পেয়ে যেমন আনন্দ করে, তারাও বৌমা বলতে যেন তেমন আনন্দ পায়। সব সময় মানুষের ভেতরের ভালটাকে উসকে দিয়ে খারাপটাকে দূর করবি। চরিত্র এমনই ক'রে ফেলবি যে, পাথর-চাপা দিলে বা মারধোর করলেও তোকে টলাতে পারবে না। ভালবাসা থাকলে মারধোর করতেই পারবে না।

উক্ত মা-এখন কি তাহ'লে শ্বশুরবাড়ী যেয়েই থাকব?

শ্রীশ্রীঠাকুর-ঐ যে, এতক্ষণ ধ'রে তাই তো ক'লেম। সেখানে যাও। 'স্বশুরে সম্রাজ্ঞী ভব'। আয়-ব্যয় সব দিক দিয়েই তাদের যাতে উপচয়ী ক'রে তুলতে পার তার চেষ্টা কর। কত অল্পে কত বেশীর খরচ চালাতে পার দেখবে। এমনি ক'রে চলতে থাক।

শ্রীশ্রীঠাকুরের এই দরদভরা কথায় মা-টির চঞ্চলতা ধীরে-ধীরে শান্ত হ'য়ে এল। মুখে হাসি ফুটে উঠল। শ্রীশ্রীঠাকুরকে আভূমি প্রণাম ক'রে তিনি উঠে দূরে যেয়ে বসলেন।

-শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র
দীপরক্ষী, প্রথম খণ্ড (২৫শে আগষ্ট,১৯৫৩)
----------------------------------------------------------------
#দীপরক্ষী #ধর্ম #শ্রীশ্রীঠাকুর

 #তুমি নব নব রূপে এসো প্রানে  🤍❤️🌼𝐑𝐄𝐕. 𝐀𝐁𝐈𝐍 𝐃𝐀𝐃𝐀 ✨🙏
03/02/2024

#তুমি নব নব রূপে এসো প্রানে 🤍❤️🌼
𝐑𝐄𝐕. 𝐀𝐁𝐈𝐍 𝐃𝐀𝐃𝐀 ✨🙏

শুভ বিবাহ বার্ষিকী, শ্রী শ্রী আচার্য্যদেব ও বউ রানী মা 😍🤍🌼🙏✨
02/02/2024

শুভ বিবাহ বার্ষিকী, শ্রী শ্রী আচার্য্যদেব ও বউ রানী মা 😍🤍🌼🙏✨

আজ পরমপূজ্যপাদ শ্রী শ্রী অবিন দাদার শুভ আগমনের কিছু মুহূর্ত রায়গঞ্জ সৎসঙ্গ বিহার (31/01/24)🙏🤍😍🌍✨
31/01/2024

আজ পরমপূজ্যপাদ শ্রী শ্রী অবিন দাদার শুভ আগমনের কিছু মুহূর্ত রায়গঞ্জ সৎসঙ্গ বিহার (31/01/24)🙏🤍😍🌍✨

 #কথাপ্রসঙ্গে পূজ্যপাদ অবিনদাদা তাঁর হাতের জলের বোতলটি দেখিয়ে বললেন,-" ধরুন,- আপনার হাতে এমন একটি জলের বোতল আছে আর তাতে ...
27/01/2024

#কথাপ্রসঙ্গে পূজ্যপাদ অবিনদাদা তাঁর হাতের জলের বোতলটি দেখিয়ে বললেন,-" ধরুন,- আপনার হাতে এমন একটি জলের বোতল আছে আর তাতে একটু জল আছে। এই বোতলটিতে পুনরায় টেপ থেকে জল ভরতে হলে আপনি কি করেন? যে জলটুকু বোতলে বাকি আছে সেটুকু খেয়ে বোতলটা পুরোপুরি খালি করে নেন তো?

তেমনি আমার নিজের সবটুকু ঠাকুরকে না দিলে ঠাকুর আমায় ভরে দিতে পারেন না। নিজের বলে কিছু রাখতে নেই। সবই তাঁর, - সবটুকু তাঁকে সঁপে দিতে হয়। তখন তিনি আমায় পূর্ন করে দেন।

আর যদি নিজের কাছে কিছুটা আগলে ধরে রাখি,- তখন ঠাকুর ভাবেন, - তার তো আছেই। আমার এখন না হলেও চলবে তার৷
 ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄
■ একটি মেয়ে পূজ্যপাদ অবিনদাদার কাছে এসে জিজ্ঞেস করেন,-" আমি স্বস্ত্যয়নী কেন নেব? কি প্রয়োজন? "

তিনি মেয়েটিকে জিজ্ঞেস করেন,-" তুমি যখন ছোট ছিলে তখন তোমার মা তোমায় এত সেবাযত্ন কেন করেছেন?"

মেয়েটি নিশ্চুপ।

তিনি নিজেই পুনরায় বললেন,-" কারন,- মা তোমায় ভালবাসেন। এই ভালবাসার টানেই তিনি তোমায় রাত জেগে সেবাযত্ন করেছেন।

তেমনি,- তুমি স্বস্ত্যয়নী ব্রত নেবে কারন তুমি ঠাকুরকে ভালবাস। তিনি খুশী হবেন,- এই কারনেই স্বস্ত্যয়নীর বিধি পালন করে চলবে।"
 ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄
■ একজন গুরুভাইকে কথায় কথায় বললেন,-" যুক্তি দিয়ে কারো মন পরিবর্তন করা যায়না। প্রেম দিয়ে পারা যায়। তাই প্রেম দাও, প্রেমের সাথে কথা বল, প্রেমের স্পর্শ দিয়ে লেখ,- মানুষ প্রভাবিত হবেই।
 ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄
■ একজন নব্য ডাক্তার পূজ্যপাদ অবিনদাদার কাছে এসে নিবেদন করল,-" আমার বন্ধু একটি এমন মেয়ের সাথে সম্পর্কে জড়িয়েছে,- যাকে বিয়ে করলে তার ভাল হবে না বুঝতে পারছি৷ কিন্তু তাকে এই সম্পর্ক থেকে কিভাবে ফেরাব? সে তো আমার কথা মানবে না। "

পূজ্যপাদ অবিনদাদা তাকে বললেন,-" তোমার বন্ধুর সাথে সময় কাটাও, একসাথে রেস্টুরেন্টে গিয়ে কফি খাও, তাকে ভালবাস। এমন ভালবাসা দাও যাতে তার কাছে তুমি ঐ মেয়েটির চেয়ে বেশী গুরত্বপূর্ণ হয়ে উঠ। তবেই তাকে ফেরাতে পারবে। "
© ডাঃ রাজেশ চৌধুরী
 ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄

তাঁর শুভাগমনের অপেক্ষায় মালদা বাসী 🌼💙✏️🖌️  Sarkar
27/01/2024

তাঁর শুভাগমনের অপেক্ষায় মালদা বাসী 🌼💙
✏️🖌️ Sarkar

 #রামায়নে পড়েছি রাম-রাবনে যুদ্ধ হচ্ছে। কুম্ভকর্ণ যুদ্ধক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে, আশপাশে শত্রুপক্ষের যাকে পাচ্ছে তাকেই হুড়মুড়...
22/01/2024

#রামায়নে পড়েছি রাম-রাবনে যুদ্ধ হচ্ছে। কুম্ভকর্ণ যুদ্ধক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে, আশপাশে শত্রুপক্ষের যাকে পাচ্ছে তাকেই হুড়মুড়িয়ে নস্যাৎ করতে-করতে। রামচন্দ্র তার হাত কেটে ফেললেন, তবু তার লক্ষ্য ভগবান রামচন্দ্রকে নস্যাৎ করা।

শয়তান যদি এতখানি এগিয়ে যেতে পারে, আমরা ভগবানের সৈনিক, আমরা কেন হুড়মুড়িয়ে ঠাকুরের দিকে এগিয়ে যাবার প্রেরণা পাব না? আমার হাত অশক্ত হতে পারে, পা অশক্ত হতে পারে, তাও সবল মস্তিষ্ক নিয়ে এগিয়ে যেন যেতে পারি।
~পরমপূজ্যপাদ শ্ৰীশ্ৰীআচার্য্যদেব

(একশো দিনের পরিক্রমা)

কৃষ্ণেন্দু             শ্রীরমাশংকর ত্রিবেদী    ‘তোমার ছেলের নাম পরমপূজ্যপাদ দাদা দয়া করে নিজ হাতে লিখে দিয়েছেন’- বলেই কা...
22/01/2024

কৃষ্ণেন্দু
শ্রীরমাশংকর ত্রিবেদী

‘তোমার ছেলের নাম পরমপূজ্যপাদ দাদা দয়া করে নিজ হাতে লিখে দিয়েছেন’- বলেই কাগজটা কানাই-এর দিকে বাড়িয়ে দিলাম।
'কৃষ্ণেন্দু?' বলেই কেমন যেন হয়ে গেল কানাই।কানাই মানে কানাই চৌধুরী। ত্রিপুরার একজন ফরেস্ট রেঞ্জার। মুখে একটি কথা নেই। চোখ দুটো নিমিষে অশ্রুসিক্ত হয়ে গেল। লক্ষ্য করলাম তার শরীর রোমাঞ্চিত হয়ে উঠেছে। ভাবের আবেগে মুখে যেন ভাষা জোগায় না। কি যেন ভাবছে যে ভাবছেই। তার মুখের দিকে তাকালাম। চোখে জল। উর্দু শায়ের ঠিকই বলেছেন-
‘জুবাঁ খামোশ হো গই কুছ ভী কহ ন পাই
আঁখোঁনে অশ্রু কে জরিয়ে, উনকী শুক্রিয়া অদাকী।’
কিছু বলতে না পারলেও চোখের জলই কৃতজ্ঞতার আভাষ। কোন ক্রমে বাষ্পরুদ্ধ কণ্ঠে শুধু এইটুকু বলতে পারল, 'এখন যাই, পরে কথা বলবো।’
কোথায় যেন একটা রহস্য। আরো দু'টি নামকরণ ছিল, তা ওদের দিয়েছি। ওরা নামকরণের কাগজ দু'টি নিয়ে সকৃতজ্ঞ চিত্তে মাথায় ঠেকিয়ে যার যার বাড়ী চলে গেলো। কিন্তু কানাই চৌধুরীর এই নামকরণের পেছনে কি যেন একটি ঘটনা লুকিয়ে আছে। নামকরণ তো সব সময়ই হচ্ছে। কেউ তো ছেলের নাম দেখে এভাবে ভাব-বিহ্বল হয়ে ওঠে না। আবার ভাবছি হয়তো পরমপূজ্যপাদ দাদা নিজহাতে ছেলের নামটা লিখেছেন বলেই তার ভাবের আবেগ উচ্ছলতা।
খাওয়া দাওয়া সেরে ভাবছি ওদের বাড়ী যাব। কিন্তু একের পর এক গুরুভ্রাতা ভগ্নীদের সঙ্গে কথা বলতে সময় গড়িয়ে গেল। দেওঘর হতে ফিরলে গুরুভ্রাতাগণ খবরাখবর নিতে আসতে থাকেন। আচার্যদেব পরমপূজ্যপাদ শ্রীশ্রীবড়দা কেমন আছেন, পরমপূজ্যপাদ দাদা সহ ইষ্ট পরিবারের সবাই কেমন, উৎসব কেমন হল, কত ভক্ত সমাগম হয়েছিল, কোন নূতন আশীর্বাদ আছে কিনা ইত্যাদি জানার উদগ্রীব আকাঙক্ষা নিয়ে অনেকেই সেদিন আসেন। প্রতিবারই এমনতর হয়।
যারা ত্রিপুরাতে থাকেন, তাদের এখানে আসাটা সহজসাধ্য নয়। রেলযোগে আসতে বহু সময়ের প্রয়োজন আর বিমানযোগে আসতে আর্থিক স্বচ্ছলতাও প্রয়োজন। তবুও প্রাণের টানে এখানে ছুটে আসেন তারা। আমার কাছে আবার লোকজন একটু বেশী আসে। আমি বহু বছর পরমদয়াল পরমপিতা শ্রীশ্রীঠাকুরের পদতলে ছিলাম। আচার্যদেব পরমপূজ্যপাদ শ্রীশ্রীবড়দার ও পরমপূজ্যপাদ দাদার স্নেহ-স্নাত আমি। আচার্যদেব পরমপূজ্যপাদ শ্রীশ্রী বড়দাই আমাকে ত্রিপুরায় পাঠান। তাই আমি এখান হতে ফিরে গেলে আমার কাছে ভক্ত অনুরাগীদের ভিড়ও হয় বেশী। আর, অনুরাগ উচ্ছল ভক্ত অন্তঃকরণের জিজ্ঞাসার পরিপ্রেক্ষিতে ভক্তি রসাপ্লুত আনন্দঘন পরিবেশ তো মহাভাগ্যেরই ব্যাপার।
বেলা গড়িয়ে গেলো। কানাই-এর বাড়ীতে আর যাওয়া হল না। এরই মধ্যে তার ভাই-সহ কানাই চৌধুরী উপস্থিত। তখন তাদের মুখেই শুনেছি এই নামকরণের পেছনে লুক্কায়িত এক অলৌকিক দিব্য কাহিনী। এই ঘটনা আমার জানাই ছিল না, যদিও নামকরণের জন্য। প্রার্থনা জানিয়েছিলাম আমিই।
আমি যখন বিজয়া উৎসবে যোগ দিতে দেওঘরে আসবো, তখন আমাদের আগরতলার ও এন জি সি-এর ইঞ্জিনীয়ার শ্রীকেশবলাল মণ্ডল (এস পি আর), জিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার এক অফিসার শংকর চক্রবর্তী (যাজক) ও কানাই চৌধুরী ফরেস্ট রেঞ্জার আমার কাছে ছেলের নামকরণের জন্য তিন পুরুষের নাম সম্বলিত কাগজ দেন।
উৎসব শেষে ভিড় কমে গেলে আমি পরমপূজ্যপাদ দাদার শ্রীচরণে তিনজনেরই ছেলের নামকরণের জন্য প্রার্থনা জানাই। তিনি তখন তাঁর ঘরে বিছানায় বসে আছেন। ঘরে তখন অনেকেই উপস্থিত। তখন আচার্যদেব পরমপূজ্যপাদ শ্রীশ্রীবড়দা বর্তমান। পরমপ্রেমময় শ্রীশ্রীঠাকুর বর্তমান থাকাকালীন যেমন আমরা আচার্যদেব পরমপূজ্যপাদ শ্রীশ্রীবড়দার শ্রীচরণে আমাদের যাবতীয় সমস্যাদি নিবেদন করতাম। তিনিই নিমিষে যাবতীয় সমস্যার সমাধান করে দিতেন। শ্রীশ্রীঠাকুরের ইচ্ছাও ছিল তাই। এখানে সেই একই দৃশ্য - সেই একই ধারা। আচার্যদেব চাইতেন আমরা যেন বর্তমান প্রধান আচার্যদেবের সঙ্গ ধরে তার নির্দেশনায় চলি। আমরা সহজভাবেই পেয়েছি আমাদের আশ্রয়। আর আমাদের মনের আঙিনায়, বিবেকের দ্বারে এই বিষয়টি সহজ ও স্বাভাবিকভাবে ধরা দেয়। ঐশী ইঙ্গিত না বোঝাও একটা দুর্ভাগ্য। তদুপরি আচার্যদেব আমাদের সবাইকে পরমপূজ্যপাদ দাদার আদেশ-নির্দেশ মতই চলতে বলতেন।
সেদিন যখন তাঁর শ্রীচরণে নামকরণের কথা নিবেদন করলাম তিন পুরুষের নাম শুনে দুজনের নামকরণ হয়ে গেল। আর কানাই চৌধুরীর কথা যখন উঠলো এবং তিন পুরুষের নাম যখন বললাম, তখন সঙ্গে সঙ্গে পরম পূজ্যপাদ দাদা কানাই চৌধুরীর কাগজখানা আমার হাত হতে নিয়ে নেন। খানিকক্ষণ কি যেন চিন্তা করেন। তারপর একটা রহস্যময় হাসি ফুটে ওঠে তাঁর মুখে। একটা জ্যোতিবর্ণয় রচিত হয় তাঁর মুখমণ্ডলের চারদিকে। তিনি সেই কাগজে লিখলেন 'কৃষ্ণেন্দু'। আমি প্রণাম করে ঘর হতে বেরিয়ে এসেছি মনের আনন্দে। আমার এই আনন্দের ওপারেও যে লোকের বুদ্ধির একটা দিব্য ঐশী লীলা চলছে তা আমার মত নগণ্য নাগালের বাইরে।
কানাই চৌধুরী যখন আমার কাছে ছেলের নামকরণের জন্য আসার জন্য প্রস্তুত এবং তিন পুরুষের নাম একটা কাগজে লিখেছে তখন তার ভাই দিব্যেন্দু বলে উঠলো- 'যদি পরম পূজ্যপাদ বড়দাদা ভাইপোর নাম কৃষ্ণেন্দু রেখে দেন তা হলে খুব ভাল হতো। আমার নামের সঙ্গেও একটা সঙ্গতিও থাকতো। কানাই তখন সঙ্গে সঙ্গে বলে ওঠে, তিনি তাঁর ইচ্ছেমত যা খুশি রাখুন, সেইটেই আমাদের পরম সৌভাগ্য। তাকে আমাদের ইচ্ছাধীন করবো কেন।' দিব্যেন্দু শুধু একটি কথাই বলে, ‘তাঁর শ্রীচরণে প্রার্থনা তো করতে পারি।’
এরপর সে প্রায়ই তাঁর শ্রীচরণে প্রার্থনা জানাতো। বাড়ীতে সবাই এটা জানতো। তাই সেদিন প্রধান আচার্যদেব পরমপূজ্যপাদ দাদার শ্রীহস্তলিখিত 'কৃষ্ণেন্দু' নামটা দেখে কানাই তাঁর দয়ার কথা স্মরণ করে হতবাক হয়ে যায়। চোখ দুটো ছল ছল করে ওঠে।
ভক্ত বাঞ্ছা কল্পতরু তিনি। দিব্যেন্দুর অন্তর-মথিত আকুল আর্তিতে প্রবিত হয়ে সেদিন স্বহস্তে লিখে দিয়েছিলেন কৃষ্ণেন্দু।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~

আলোচনা * আষাঢ় ১৪০৫ / জুলাই ১৯৯৮ * ৫৩০

Facebook Compiler - Sandeep Ghosh

শ্রী শ্রী ঠাকুরের ১৩৬তম জন্ম মহোৎসব কাটোয়া মন্দিরে💐
21/01/2024

শ্রী শ্রী ঠাকুরের ১৩৬তম জন্ম মহোৎসব কাটোয়া মন্দিরে💐

পরম প্রেমময় শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের১৩৬ তম  জন্মমহআমহ উৎসব।সৎসঙ্গ মন্দির লালবাগ লালবাগ মুর্শিদাবাদ
21/01/2024

পরম প্রেমময় শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের১৩৬ তম জন্মমহআমহ উৎসব।
সৎসঙ্গ মন্দির লালবাগ
লালবাগ মুর্শিদাবাদ

 #কোচবিহার রাসমেলা ময়দানে, আজ শ্রীশ্রী ঠাকুরের ১৩৬ তম জন্ম মহোৎসব 🤍🌸🎉
21/01/2024

#কোচবিহার রাসমেলা ময়দানে, আজ শ্রীশ্রী ঠাকুরের ১৩৬ তম জন্ম মহোৎসব 🤍🌸🎉

আজ সৎসঙ্গ বিহার ঠাকুরনগরে পরম পূজনীয় সিপাই দাদার আগমন
19/01/2024

আজ সৎসঙ্গ বিহার ঠাকুরনগরে পরম পূজনীয় সিপাই দাদার আগমন

 #নাটমণ্ডপে বাবার কাছে আমরা ভাইরা আর সবাই বসে আছি।বাবা জিজ্ঞাসা করলেন  সবচেয়ে বড় শত্রু কে? আমাদের নিরুত্তর দেখে বাবা নিজ...
19/01/2024

#নাটমণ্ডপে বাবার কাছে আমরা ভাইরা আর সবাই বসে আছি।বাবা জিজ্ঞাসা করলেন সবচেয়ে বড় শত্রু কে? আমাদের নিরুত্তর দেখে বাবা নিজেই উত্তর দিলেন- 'ভেবে দেখলাম মানুষের মনই মানুষের সবচেয়ে বড় মিত্র। আবার মনই সবচেয়ে বড় শত্রু।' মনকে উল্টেদিলে হয় নম্। যার মন তাঁর শ্রীপাদপদ্মে নত থাকে সেই মনই এগিয়ে যেতে পারে। যে মন নত নয় সেই মন বিচলিত হয়, বিভ্রান্ত হয়, এলোমেলো হয়। তাঁর শ্রীচরণে মনকে নত রাখতে পারলেই মন ঠিক গতিপ্রাপ্ত হবে। ভাবমুখী থেকে কর্মে সফলতা নিয়ে আসবে।
~পরমপূজ্যপাদ শ্রীশ্রীআচার্য্যদেব

।ঋত্বিক সম্মেলনে ইং-৪ ডিসেম্বর,২০১৫
।সূত্রঃ আলোচনা পত্রিকা,অগ্রহায়ণ, ১৪২২।

● প্রদেশভিত্তিক DP WORKERS কর্মী বৈঠক এ পরমপূজ্যপাদ শ্রীশ্রীঅবিন দাদার কিছু অমিয় নির্দেশ1)যদি কোনো বাড়িতে গিয়ে আমরা কোনো...
19/01/2024

● প্রদেশভিত্তিক DP WORKERS কর্মী বৈঠক এ পরমপূজ্যপাদ শ্রীশ্রীঅবিন দাদার কিছু অমিয় নির্দেশ

1)যদি কোনো বাড়িতে গিয়ে আমরা কোনো রকম নেগেটিভ কথা শুনতে পাই,তাহলে বিনয় ভাবে তাদের খবর নিয়ে আমরা আরেক বাড়িতে চলে যাবো,আবার 7-8 মাস পর তাদের বাড়ি যাবো বা অধিবেশন গুলো তে তাদের Invite করবো,কিন্তু একটি বাড়ি নিয়ে শুধু বসে থাকবো না.

2)আমরা অনেক সময় List অনুযায়ী মানুষ এর বাড়ি খুজে পায় না, এই অজুহাতে যেন কাজ বন্ধ না করে থাকি, লক্ষ লক্ষ Data আছে, যেটার বাড়ি খুজে পাওয়া যাচ্ছে না সেটি Notes এ লিখে রাখবো আর যদি খুজে পায় তাহলে সেটাও Note করে রাখবো.

3)এমন অনেক Area আছে যেখানে প্রচুর দীক্ষিত আছে, কিন্তু সৎসঙ্গ আন্দোলন তেমন ভাবে প্রসার পায়নি বা কোনো ইষ্টভৃতি পরায়ণ গুরুভাই নেই,সেখানে দল করে গিয়ে একটি মানুষ কে ধরব এবং তাকে 5-6 মাস ধরে তৈরি করব এবং তার বাড়িতেই অধিবেশন করবো এবং আগামীদিনে সেই বাড়ি কে কেন্দ্র করে সেখানে যাজন কার্য এগিয়ে নিয়ে যাবো, এই কাজ একদিনের কাজ নয় বা একার পক্ষে সম্ভব নয় তাই আমাদের লক্ষ্য থাকবে সেই একটি মানুষ কে এমন করে তৈরি করবো যাতে এই DP WORKS কাজ এগিয়ে চলতে থাকে.

তিনি উদাহরণ দিলেন কিভাবে দেওঘরে 100KM দুরে গিয়ে একটি বাড়ি তে অধিবেশন করে পারিপার্শ্বিক কে ঠাকুরমুখী করে তোলা হচ্ছে.

4) যেই সমস্ত সৎসঙ্গীরা নতুন করে ইষ্টভৃতি শুরু করেছে তাদের Lot একসাথে করে কোনো Computer Center কাছে গিয়ে DP WORKS এর LOT বলে তাড়াতাড়ি অর্ঘপ্রশস্তি বের করে কাজ করলে Data Entry কাজ দ্রুত গতিতে হতে পারে.

তারিখ : 5Th জানুয়ারী,2023( দেওঘর)

সবাইকে আমন্ত্রণ 🙏🙏🙏
15/01/2024

সবাইকে আমন্ত্রণ 🙏🙏🙏

North Bengal & Nepal tour of REV. ABINDA starting from 29/01/2024 to 06/02/2024
14/01/2024

North Bengal & Nepal tour of REV. ABINDA starting from 29/01/2024 to 06/02/2024

 #এক দম্পত্তি আসল শ্রীশ্রীআচার্য্যদেবের কাছে। প্রনাম করে স্ত্রী তার স্বামীকে দেখিয়ে জানাল- স্বামী তাকে অযথা প্রতিনিয়ত সন...
13/01/2024

#এক দম্পত্তি আসল শ্রীশ্রীআচার্য্যদেবের কাছে। প্রনাম করে স্ত্রী তার স্বামীকে দেখিয়ে জানাল- স্বামী তাকে অযথা প্রতিনিয়ত সন্দেহ করে। এই নিয়ে চরম সাংসারিক অশান্তি হচ্ছে।

আচার্য্যদেব স্বামী দেবতাকে জিজ্ঞেস করলেন,-" তুমি সন্দেহ কর তোমার বউকে?" ভদ্রলোক মাথা নত করে সম্মতি জানালেন।

আচার্য্যদেব তাদের উভয়ের উদ্দেশ্যে বললেন,-" সন্দেহ আসে হীনমন্যতা থেকে। নিজে হয়ত এমন কোন হীন আচরন করেছে,- আর ভাবছে, - আমার বউও যদি অমন করে? নিজের আচরন অনুযায়ী অপরকে বিচার করতে থাকে।

সীতা এতগুলো বছর রাবনের কাছে ছিল,- কিন্তু কখনো রাবন তার মন পায়নি। সীতার স্মরনে মননে শুধু রামই বিরাজ করতেন। তুমি রামের মত হও,- তোমার বউও তখন সীতার মত হবে।

পুরুষ মানে কি জান? যে পূরন করে। তুমি তোমার স্ত্রীকে অমনভাবে পূরন কর যাতে সে অন্য কোন পুরুষের কথা মনেই না আনে। সে যদি অন্য কোন পুরুষের কাছে যেতে চায় তবে তো তোমার পুরুষত্বে ঘাটতি আছে।

আর যদি সে যদি অন্য কোন পুরুষের সাথে সম্পর্ক রাখতে চায়,- তুমি কি আটকাতে পারবে? লুকিয়ে লুকিয়ে অমন ভাবে যোগাযোগ রাখবে,- তুমি জানতেও পারবে না।

তাই সন্দেহ করা ছাড়। কাউকে আবদ্ধ করে রাখতে নেই,- তাকে তার মত ছেড়ে দাও৷ বেশী টানলে দড়ি ছিড়ে যেতে পারে। যাবে আর কোথায়? স্থায়ী সম্পর্ক ছেড়ে একটা টেম্পরারী সম্পর্কে যেতে চায় কোন বোকা?
******************
ডাঃ রাজেশ চৌধুরী
০২-১২-২৩
 ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄
[পরবর্তী এইরকম পোষ্ট পেতে এই পেজটিকে Follow করুন!]

 #ছোটবেলা থেকে আজ অবদি জীবনে কখনও দেখিনি কোন শয়তান আলসে। সে সব  সময় active (সক্রিয়); হয় মাথা দিয়ে, না হয় শরীর দিয়ে।........
11/01/2024

#ছোটবেলা থেকে আজ অবদি জীবনে কখনও দেখিনি কোন শয়তান আলসে। সে সব সময় active (সক্রিয়); হয় মাথা দিয়ে, না হয় শরীর দিয়ে।.....রামায়ণে পড়েছি রাম-রাবণে যুদ্ধ হচ্ছে। কুম্ভকর্ণ যুদ্ধক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে, আশপাশে শত্রুপক্ষের যাকে পাচ্ছে তাকেই হুড়মুড়িয়ে নস্যাৎ করতে-করতে। রামচন্দ্র তার হাত কেটে ফেললেন, তবু তার লক্ষ্য ভগবান রামচন্দ্রকে নস্যাৎ করা । শয়তান যদি এতখানি এগিয়ে যেতে পারে, আমরা ভগবানের সৈনিক আমরা কেন হুড়মুড়িয়ে ঠাকুরের দিকে এগিয়ে যাবার প্রেরণা পাব না? আমার হাত অশক্ত হতে পারে, পা অশক্ত হতে পারে, তাও সবল মস্তিষ্ক নিয়ে এগিয়ে যেন যেতে পারি।"
~পরমপূজ্যপাদ শ্রীশ্রীআচার্য‍্যদেব
ঋত্বিক সম্মেলন
১৬-৭-২০১৭

পরমপ্রেমময় শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের বনভোজন উৎসব, মানিকপুর, দেওঘর।
09/01/2024

পরমপ্রেমময় শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের বনভোজন উৎসব, মানিকপুর, দেওঘর।

■■■★★★ #ঈশ্বরযাজী★★★■■■~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~পানিহাটি উৎসবের আগের রাত। ঘরের বাইরে চিৎকারে হটাৎই কাঁচা ঘুমটা ভেঙে গ...
09/01/2024

■■■★★★ #ঈশ্বরযাজী★★★■■■
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
পানিহাটি উৎসবের আগের রাত। ঘরের বাইরে চিৎকারে হটাৎই কাঁচা ঘুমটা ভেঙে গেল।মাথার কাছে হাতঘড়িতে সময় দেখলাম রাত দেড়টা বাজে।
বাইরে কিছু অল্পবয়সী ছেলেদের হট্টগোল।হটাৎ কারোর গলার আওয়াজে সব হট্টগোল থেমে গেল।একজনকে বলতে শুনলাম -"তোরা এখনও আড্ডা মারছিস।কাল কিন্তু অবিনদা ভোরের প্রার্থনায় আসবেন।ঘুম না ভাঙলে তখন দেখিস।
একটা কথাতেই Pin drop silent।।

ছোটবেলায় মা ছড়া শুনিয়ে ঘুম পাড়াতেন
"খোকা ঘুমালো পাড়া জুড়ালো,বর্গী এলো দেশে"।ছোটবেলায় বুঝিনি বর্গী কি জিনিস?
পরে জানলাম বর্গি হলো অষ্টাদশ শতাব্দীর লুটতরাজপ্রিয় অশ্বারোহী মারাঠা সৈন্যদলের নাম। ১৭৪১ থেকে ১৭৫১ সাল পর্যন্ত দশ বছর ধরে বাংলার পশ্চিম সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলিতে নিয়মিতভাবে লুটতরাজ চালাত বর্গিরা। এদের ডাকাতি, খুন, লুটতরাজ বা বর্গিহানা এই সময়ের নিত্যদিনের ঘটনা।অভিযানে যাওয়ার সময় কেবলমাত্র একটি সাত হাত লম্বা কম্বল ও বর্শা নিয়ে বের হত। এই বর্শাকে মারাঠি ভাষায় বলা হত ‘বরচি’।এই নাম থেকেই বর্গা বা বর্গি নামে পরিচিত হয়।
সেকালে মানুষ ঘুমাতো বর্গীদের ভয়ে।
একালের মানুষ ঘুমায় ভালোবাসায়।।
শ্রীশ্রীঠাকুর যেমন বলেছেন- "খারাপের যেমন সংক্রমণ হয়,ভালোরই তেমনই সংক্রমণ হয়"।
এই ভালোর সংক্রমণে শুধুমাত্র একজনের নামেই সবাই চুপচাপ ঘুমাতে গেল।ভোরে কে কত আগে উঠে উৎসবের মাঠে যেতে পারে তারও প্রতিযোগিতা আরম্ভ হলো।

● ১৭ই ডিসেম্বর ২০২৩..সেদিন দাদা পানিহাটি মন্দির থেকে বেরিয়ে ভোরের প্রার্থনার আগে ৬:১০ নাগাদ উৎসবের মাঠে এলেন।ঘোলা নেতাজি সংঘের মাঠ।অত বড় মাঠে,এই কাকভোরেও লোক গিজগিজ করছে।
সেদিন প্রার্থনার পর সেই যে বসলেন, উঠলেন দুপুর ২:১৫ নাগাদ(এখানে বলে রাখা ভালো তিনি গতকয়েকদিন নদীয়া জেলার বিভিন্ন জায়গায় পরিক্রমা করে ঘন্টার পর ঘন্টা এমনি ভাবেই থেকেছেন)।
এর মধ্যে একটানা স্টেজে বসে, উঠে দাঁড়িয়ে,পায়চারি করে মানুষের সমস্যাগুলো মন দিয়ে শুনে শ্রীশ্রীঠাকুরের আলোকে তার বিহিত সমাধান করে গেলেন। একটিবারের জন্যও না তাঁকে অধৈর্য্য হতে দেখলাম, না তাকে টয়লেটে যেতে দেখলাম।
এক সময় একজনকে বললেন, ঠাকুরকে পেতে হলে ঠাকুরের কাছেই যেতে হবে। ওই যে তিনি ওখানে বসে আছেন (আঙ্গুল দিয়ে শ্রীশ্রীঠাকুরের সুসজ্জিত আসন কে দেখালেন।)
আর যদি টাকা-পয়সা,বাড়ি,গাড়ি চান কষ্ট করে ঠাকুর অব্দি যাওয়ারও দরকার নেই,ওর ব্যবস্থা আমিই করে দিতে পারি।
ঠাকুর বলেছেন- অর্থ,মান,যশ ইত্যাদি পাওয়ার আশায় আমাকে ঠাকুর সাজিয়ে ভক্ত হয়ো না। এখন আপনিই সিদ্ধান্ত নিন আপনি ঠিক কি চান,টাকা-পয়সা-বাড়ি-গাড়ি চান নাকি শুধু ঠাকুরকে চান।
এত মানুষের ভিড়ের মধ্যেও সবার কথাই সমানভাবে গুরুত্ব দিয়ে শুনলেন।সিঙ্গুরের জ্যোতির্ময়দার (দাস) মন্দির ও সংগঠন সংক্রান্ত কিছু প্রাইভেট ছিল।
তিনি ক্যামেরা,সাউন্ড আপাত বন্ধ করার অনুরোধ করে জ্যোতির্ময়দাকে স্টেজের সামনে ডেকে এত ভিড়েও প্রাইভেট করলেন।

এসব দেখে আমার যেন শ্রীশ্রীঠাকুরের জীবন স্মৃতি মনে পড়ে যাচ্ছিল।

● শ্রীশ্রীঠাকুর প্রাতে যতি আশ্রমের প্রাঙ্গণে চৌকিতে বসে আছেন। পরপর লোক এসে ব্যক্তিগত কথা বলে যাচ্ছেন।
গত তিন-চার দিনের মধ্যে অন্তত দশ হাজার লোক এইভাবে ব্যক্তিগত প্রশ্ন করেছেন।আর, শ্রীশ্রীঠাকুর তার দুর্ব্বল শরীর নিয়ে সকলেরই কথার জবাব দিয়ে চলেছেন।কতজনের যে কত রকমারি সমস্যা, তার কোন লেখাজোখা নেই।এই হাজারো রকমের প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তাঁর শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ছে,দেহ টলছে।তবুও তিনি ক্ষান্ত হচ্ছেন না। এর মধ্যে আবার প্রত্যেকের দিকে নজর,কোথায় কার অসুখ করছে, তার জন্য কি করা লাগবে; কাকে কোন কথাটা বলা হয়নি, কাকে কখন গাড়ি পাঠিয়ে আনতে হবে, কাকে কখন ফোন করতে হবে, কেউ যাতে কোনো বাজে খাবার না খান, আনন্দবাজারে সদাচারের যেন কোন ত্রুটি না থাকে, যাকে যাকে পাঞ্জা দেওয়ার তাকে যাতে দেওয়া হয়,কলকাতার উদ্বাস্তুতের জন্য যাতে কিছু টাকা সংগ্রহ করে দেওয়া যায়,এখানে দুঃস্থ দাদা ও মায়েদের জন্য কাপড় সংগ্রহ,পরবর্তী উৎসবে আরও স্পেশাল ট্রেনের ব্যবস্থা কেমন করে করতে হবে ইত্যাদি সব দিকে তার যে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি এবং অদ্ভুত তৎপরতা তা দেখে বিস্ময়ে হতবাক হয়ে যাওয়া ছাড়া সাধারণ মানুষের কোন উপায় নেই। পুরুষোত্তম চির অতন্দ্র-এই ঐতিহাসিক সত্যের জীবন্ত নজির যে পরমপ্রেমময় পরমদয়াল,তা দেখবার অভূতপূর্ব সুযোগ পেয়েছিল সেসময়ে সৎসঙ্গের অগণিত মানুষ।( আ: প্র: -২২)
আমাদের মতো যাদের শ্রীশ্রীঠাকুরকে কেন্দ্র করে এমন অভূতপূর্ব দৃশ্য চাক্ষুষ করার সৌভাগ্য হয়নি,পুরুষোত্তম রেতঃবাহির মধ্যে এই ভাবটা বর্তমানে বাস্তবিক অনুভব করছি।

●●সেসময় ঠাকুরকে দর্শন করার জন্য প্রতিনিয়ত যেসব মানুষ আসতেন,অনেকের সাথে শ্রীশ্রীঠাকুর নিজে কথা বলতেন।জিজ্ঞাসা করতেন-তাঁরা কোথা থেকে এসেছেন,এখানে কোথায় উঠেছেন,কতদিন থাকবেন, খাওয়া হয়েছে কিনা ইত্যাদি। কোন দর্শন নয়,নীতিকথা নয়,তথাকথিত কোন ধর্ম্ম-উপদেশও নয়।সহজ সরল প্রাণের কথা,সাধারণ খোঁজখবর, সমাগত কুশল প্রশ্ন। এই ছিল তার জাদুমন্ত্র।মানুষের মাথার মণি হয়ে সম্মানের শীর্ষে অধিষ্ঠিত থেকেও সকলের সাথে তার এই আপন করা ব্যবহার তাকে করেছিল প্রাণের ঠাকুর।
তিনি বলতেন এখানে যারা আসে তাদের সাথে তোরা কথা বলিস আমি হয়তো সবসময় লক্ষ্য রাখতে পারি না তোরা কিন্তু। লক্ষ্য রাখিস। একটা মানুষও যেন বঞ্চিত না হয়ে ফিরে যায়। আমরা এ কাজটি ক্ষমতা করছি কিনা সে বিষয়ে তার তীক্ষ্ণ দৃষ্টি ছিল।

●●একদিন দুপুরে দীপরক্ষীর সংকলক শ্রদ্ধেয় দেবীদাকে শ্রীশ্রীঠাকুর ডেকে পাঠালেন।ঠাকুর ঘরে ঢোকার মুখে দেখলেন স্থানীয় গ্রামের কিছু লোকজন ঠাকুর ঘরের সামনে জড়ো হয়ে আছেন। "কোথা থেকে আসছেন" শুধু এটা জিজ্ঞাসা করেই দেবীদা ঠাকুর ঘরে ঢুকতেই শ্রীশ্রীঠাকুর নিচুস্বরে বললেন-" কই, ওদের সাথে কথা বললি নে? দেবীদা বললেন-বলেছি।
-ভালো করে তো বলতে দেখলাম না!
ঠাকুরের এমন কথায় দেবীদাকে উঠতে হলো।তাদের সাথে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলে আবার ঠাকুর ঘরে ফিরতেই শ্রীশ্রীঠাকুর বললেন-"এরা গ্রামের সরল মানুষ।এদের সাথে যদি তোরা ভালোভাবে কথাবার্তা না বলিস ,ওরা মনে কষ্ট পেতে পারে।ভাবতে পারে আমরা গরিব বলে আমাদের সাথে কথা কয়না। সেই জন্য সবার সাথেই কথা বলবি। নিজেরা যখন কাজে থাকিস তখন এখানে অন্য লোক রাখা লাগে যাতে মানুষের সাথে কথাবার্তা বলতে পারে।"

আজ আশ্রমে নবীন-প্রবীণের নবজোয়ার বইছে। আবালবৃদ্ধবনিতা সবাই জানে- কেউ না শুনুক,কারোর কাছে সাহস করে বলতে না পারি, একজন তো অন্তত আছেন,যিনি শুনবেন আমার মনের কথা।প্রানের তাগিদে যাকে উজাড় করে সব কথা বলতে পারি।দেখতে দেখতে তিনি আজ চব্বিশে পা দিলেন।
আজ থেকে ছ'বছর আগে যিনি প্রকাশ্যে ঘোষণা করেছিলেন,
“যখন কারো মনে হবে আমার পাশে কেউ নেই , জসিডির টিকিট কাটবেন আর চলে আসবেন...
আমি দাঁড়িয়ে আছি আপনার জন্যে",
তার এমন কথায় সেদিন থেকে আজ পর্যন্ত কত মানুষ ভরসা পেয়েছেন সে হিসাব এখনও করে ওঠা সম্ভব হয়নি,কিন্তু এহেন কথায় যিনি পরম স্বস্তি পেয়েছিলেন তিনি আর কেউ নন,স্বয়ং মানুষ ভুখা পরমপ্রেমময়।।

তার শুভ জন্মদিবস উপলক্ষ্যে আমার সশ্রদ্ধ প্রনাম নিবেদন করি।।
~~~~~~~~~|||||~~~~~~|||||~~~~~~~~~
©অমিয় মৃধা
৯/১/২৪

চলুন জেনে নেই প্রিয়পরম কে ভালবেসে মানুষ জীবনে কতখানি সংগ্রাম করতে পারে।ইনি হলেন সুতুং রাভা আসাম এর গোয়ালপাড়া জেলার প্...
09/01/2024

চলুন জেনে নেই প্রিয়পরম কে ভালবেসে মানুষ জীবনে কতখানি সংগ্রাম করতে পারে।

ইনি হলেন সুতুং রাভা আসাম এর গোয়ালপাড়া জেলার প্রত্যন্ত গ্রামে উনার বাড়ি। ১৯৮৪সালে তাদের গ্রামে তারা শ্রীশ্রীঠাকুরের দীক্ষা নেন ৬ টি পরিবার। তারা জীবনে ঠাকুর কে গ্রহণ করেছিল বলে সমাজ তাদেরকে এক ঘরোয়া করে দিয়েছিল। শুধু এখানেই শেষ নয় আরো ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয় তাদেরকে। তারা যখন বাড়িতে সৎসঙ্গ করতো তখন বাড়ির চারপাশ থেকে বড়ো বড়ো পাথর ঢিল পড়তো তাদের অপরাধ যে তারা শ্রীশ্রীঠাকুর কে জীবনে গুরু রূপে বরণ করেছে বলে। এখানেই শেষ নয় এবার একদিন তাদের গ্রামে সভা হলো কিভাবে তাদের এই অকাট্য প্রিয়পরমের প্রেম কে কিভাবে উৎখাত করা যায়? সেখানে সিদ্ধান্ত হলো সেই ৬ পরিবারে সবাইকে মাথা মুন্ডন করা হবে এবং ঠাকুরের প্রতিকৃতি পুড়িয়ে দেওয়া হবে।

একদিন সন্ধ্যা বেলা শোনা যাচ্ছে হৈ চৈ অনেক মানুষ একত্রিত হয়ে আগুনের মশাল নিয়ে দৌড় আসছে ওই ৬ বাড়িতে এবার এক এক করে ৫ টি বাড়িতে তাদের যা করণীয় করে ফেললেন এবার আসলেন এই মায়ের বাড়ি ঠিক একই ভাবে তাকে শাস্তি দিবেন তিনি সেই মুহূর্তে ঠিক মা কালির রূপ ধারণ করলেন ঠাকুর ঘরের সামনে একটি দাঁ হাতে নিয়ে জোর গলায় বললেন আগে আমাকে মারতে হবে তারপর ঠাকুরের প্রতিকৃতি পুড়াতে হবে তার সেই রুদ্র মূর্তি দেখে তারা সেখান থেকে চলে যায়।

এই মহীয়সী নারীকে আমি দেখেছি ইষ্টকর্মের দৌলতে আসাম এ গিয়ে কি তার ভক্তি আর্থিক দিক থেকে যে খুব একটা সচ্ছল তাও নয় আমরা যেতে না যেতেই তিনি দৌড়ে গিয়ে ২০০০ টাকা অর্ঘ্য দিলেন পরে জিজ্ঞেস করলেন বলেন দাদা কিসের জন্য এসছেন। আর সবচাইতে অবাক হলো আজ সেই গ্রামে ৮৯ টা পরিবার সস্ত্যয়ীনি পালন করে একবার যদি ভেবে দেখি আমাদের অনেক বড় বড় শহরে হয়তো বা এতো গুলি পরিবার সস্ত্যয়ীনি নেই। আর তাদের প্রতি প্রত্যেক টা বাড়িতে ঠাকুর ঘর খুব খুব সুন্দর করে সুসজ্জিত নিজেরা ঠিক পাঁকা ঘরে না থাকলেও ঠাকুর ঘর পাঁকা হবেই। আমার কাছে মনে হয়েছে সেই গ্রাম যেন একটা ছোট স্বর্গপুরি গোটা সমাজ যদি এমন হয় কত না জানি সুন্দর হবে। আর এইরকম কত মানুষ যে প্রিয়পরম কে ভালোবেসে নিজেদের জীবনের কথা ভাবেনি শুধু ভালোবাসা কে সাক্ষী রেখে ধর্মযুদ্ধে ঝাঁপ দিয়েছে তার ইয়ত্তা নেই সেই সকল ধর্মযুদ্ধের সৈনিকদের ও সেই গ্রামের সকল মানুষের মঙ্গল প্রার্থনা করি দয়ালের রাতুল রাঙা শ্রী চরণে।

✍️ কলমে : Arup Dutta

Address

South 24 Parganas
Baruipur
743363

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Praner Thakur posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Praner Thakur:

Videos

Share


Other Digital creator in Baruipur

Show All