Baki News Switzerland

Baki News Switzerland সত্য প্রতিষ্ঠায় খবরের সব বাকি অংশ ।
(1)

জাতিকে নিয়ে মশকরা কইরেন না: সমন্বয়কদের খাওয়ানোর ছবি প্রসঙ্গে হাইকোর্ট।কতটুকু মশকরা?আর কতটুকু আশকারা?তোমরা কারা? আমরা কার...
29/07/2024

জাতিকে নিয়ে মশকরা কইরেন না: সমন্বয়কদের খাওয়ানোর ছবি প্রসঙ্গে হাইকোর্ট।

কতটুকু মশকরা?
আর কতটুকু আশকারা?
তোমরা কারা? আমরা কারা?
দিশেহারা॥ দিশেহারা॥
রাজনীতিটাই আজ সব হারা, সর্বহারা।
শোক হবে রাষ্ট্রদ্বারা,
যারা মারলেন তারাই বাঁজাবেন করুন শুরে দোতারা,
তারাই হবেন সবার সেরা,
শোকটা না হোক আরো একটু মশকারা!



পল্টন-ইসিবি চত্বরে আন্দোলনকারীদের ওপর লাঠিচার্জ, মিরপুর-ধানমন্ডি থেকে আটক ২০।ভাগ্যবান ওরা গুলি চার্জ হয়নি!

ঢাকার আকাশে কালো মেঘ না থাকলেও আজও উড়ছে জনগনের টাকার হেলি কপ্টার।

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের নিহত হওয়ার ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারসহ ৯ দফা দাবিতে বৈষম্য-বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আবারও আন্দোলনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা।

রাজধানীর মিরপুর ১০, ইসিবি চত্বর ও ধানমন্ডির স্টার কাবাবের সামনে থেকে আজ সোমবার দুপুরে বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে আটক করেছে পুলিশ। ইসিবি চত্বরে জড়ো হওয়া একদল বিক্ষোভকারীকে লাঠিপেটা করে পুলিশ সরিয়ে দিয়েছে।


কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীসহ দুই শতাধিক মানুষের মৃত্যুর ঘটনাকে ‘জুলাই হত্যাকাণ্ড’ নামে ডাকার আহ্বান জানিয়েছেন দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষক। গণগ্রেপ্তারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের হয়রানি বন্ধসহ আটক শিক্ষার্থীদের অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

তবে নিহতদের জন্য রাষ্ট্রিয় শোক পালনের ঘোষণা এসেছে।
কোটা আন্দোলনকে ঘিরে নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে আগামীকাল মঙ্গলবার দেশব্যাপী শোক পালন করা হবে। এদিন কালো ব্যাজ ধারণ এবং মসজিদে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হবে। এ ছাড়া মন্দির-গির্জা-প্যাগোডায় বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হবে। আজ সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।

শোক কি শক্তিতে পরিণত হবে?
অবশ্যই হবে যদি তা শোকৈহতরা পালন করেন তবে।
যাদের নির্দেশে পুলিশ গুলি চালালো, যাদের নির্মম সিদ্ধান্তে এতোগুলো প্রাণ গেলো তারাও কি শোকাহত?
তাদের শোকের চেহারাটা দেখতে কেমন হবে তা দেখবার অপেক্ষায় জাতি।
এমন শোক প্রকাশ লাশের সাথে মশকারা করার শামিল হয় কিনা তাও দেখবার বিষয়।

মুক্তি যোদ্ধাদের কফিনে রাজকারই প্রথম ফুল দেয়, কান্নাকাটিতে আকাশ বাতাশ ভারি করে ফেলেন, এ দৃশ্য ফিল্মে দেখতে দেখতে ও গুলো সবারই এখন মুখস্ত হয়ে গেছে।

29/07/2024

বঙ্গবন্ধু যদি এই সময়ের প্রজন্ম হতেন, এই সময়ে কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়াশুনা করতেন, এই সময়ের সমসায়িক রাজনীতি করতেন, তবে তিনি থাকতেন বর্তমান বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনোর একজন সম্মনয়ক বা সম্মনয়কদের প্রধান।
তার স্থান হয়তবা হতো ডিবির হেফাজত অথবা আত্মগোপনে থেকে নূন্যতন কর্মসূচি পালন করে যাওয়া।
দূর্ভাগ্য হলে অন্য শিক্ষার্থাদের মতো গুলি খেতে বুক পেতে দিতেন হয়তবা গুলি খেয়ে শহীদ হতেন।

সংকটই সমাজ রাষ্ট্রে বঙ্গবন্ধুদের তৈরি করে।
দেশে আনেদোলন থামানো হচ্ছে গুলি করে। গুলি করবার ঘোষণা আসে সেনাবাহীনির তরফ থেকে।
মাইকিং করে সেনাবাহীনি।
বন্ধু সাংবাদিক Khan Liton দেশ থেকে জার্মানিতে ফিরে প্রথম স্টাটাসেই লিখেন, গুলির নির্দশের কথা।
তাকে আঁটকে সেনা সদস্যরা বলছিলেন,দেখামাত্র গুলি করার নির্দেশ আছে।খান লিটন উত্তর দিঁযেছিলেন, স্যুট মি অফিসার।
সাহসিকতার কথা। তিনি একজন প্রবাসী সাংবাদিক। তারপরও কথা থেকেই যায়।
দুর থেকে গুলি করলে, গুলিতে হত বা নিহত হলে অন্যদের মতো তার কি আর করার ছিলো!

গৌরবের সেনা সদস্যকে এই বঙ্গবন্ধুর দলটিকে ব্যবহার করতে হচ্ছে ক্ষমতায় টিকে থাকতে, এমন কথা বলছেন সবাই। যারা এই দলটি করেন, অতি সক্রিয় তারাও এমন কার্যকলাপের পছন্দ করছেন না।
যে সমস্যা মাথায় হাত বুলিয়ে দিলেই সমধান হয়ে যায় তাকে আজ বানানো হয়েছে দুনিয়ার সবচেয়ে বড় সমস্যার একটি।
রক্তাক্ত একটি জুলাই তৈরি করলেন হেসে খেলে।

আজও সেনাসদস্যরা ঢাকার রাস্তায় পাহাড়া দিচ্ছে। আজও শিক্ষার্থীদের ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে আন্দোলন থেকে।
গুলির নির্দেশ কবে তুলে নেয়া হবে তা বলতে পারেন না কর্তারা।
আত্মা কি আসলেই দেখতে পায়!
শুনতে পায়!
যদি দেখতে শুনতে পেত তবে বঙ্গবন্ধু আজ গুলির প্রতিবাদে বলতেন,
আর যদি একটা গুলি ……।

যাহোক, দেশে আদালতের কাধে ভর করে অনেক কিছু করে নেবার করবার সংস্কৃতি বেশ শক্তি অর্জন করে বসেছে।
এবার আদালতে গুলি বন্ধ করার জন্য রিট হয়েছে। হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মনজুর-আল-মতিন এবং আইনুন্নাহার সিদ্দিকা। আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান, পুলিশের মহাপরিচালক, সেনা বাহিনীর প্রধান, নৌ বাহিনীর প্রধান ও বিমান বাহিনীর প্রধানকে বিবাদী করা হয়েছে রিটে।
দেশের বিভিন্ন অংশে আন্দোলনরত বিক্ষোভকারীদের ওপর সরাসরি লাইভ রাউন্ড (তাজা গুলি) ব্যবহার না করার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়েছে। একই সঙ্গে তথাকথিত নিরাপত্তার নামে হেফাজতে নেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের দ্রুত মুক্তির নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে রিটে।

সোমবার (২৯ জুলাই) বিচাপতি মোস্তফা জামান ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের বেঞ্চ থেকে এ রিটের অনুমতি নেওয়া হয়েছে। বেলা দেড়টায় রিটটি শুনানির জন্য রেখেছেন আদালত।

দেখা যাক কি হয়।
কি আর হবে। এমন করে গুলি চালানো সভ্য কেনো, কোনো যুদ্ধরত দেশেও সম্ভব নয়। বিবেক এমন নির্দেশকে বৈধতা দিতে পারে না।

একটা প্রতিবেদন করেছে, কালের কন্ঠ।
কোটা সংস্কার আন্দোলন পরিচালনায় নেতৃত্ব দেওয়া প্ল্যাটফরম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে নির্দলীয় দাবি করা হলেও এর নেতৃত্বে রয়েছেন একাধিক ছাত্রসংগঠনের শীর্ষ নেতারা। সমন্বয়কদের নামের তালিকায় প্রথম ১০ জনের মধ্যে পাঁচজনই গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি নামের একটি ছাত্রসংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ নেতা। এই সংগঠনটির নেতারাই আন্দোলনের নীতি নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন।
এটাই স্বাভাবিক।
সচেতন হতে জ্ঞান বুদ্ধি চর্চার দরকার।
এই চর্চা বড় কোন দলে হয় না।
প্রতিবেদনটিতে দেখা যায়, ছাত্র শক্তি সংগঠনটি ১ বছর পূর্বে যেদিন তৈরি হয়, ঘোষণা হয়, সেদিনই তাদের নেতানেত্রীদেরকে ঢাবির ছাত্রলীগের এক গ্রুপ আক্রমণ করে, মারপিট করে আহত করেন।
হামলার ঘটনায় গত বছরের ৪ অক্টোবর ছাত্রশক্তির এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘উদ্বোধন কর্মসূচি ও পদযাত্রা থেকে ফেরার পথে পরমাণু শক্তি কমিশনের সামনে কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক আখতার হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক লুত্ফর রহমান, যুগ্ম সদস্যসচিব নুসরাত তাবাসসুম, যুগ্ম সদস্যসচিব আসাদুল্লাহ আল গালিব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক ফয়সাল হাসান, নুসাইবা তাসনিম, যুগ্ম সদস্যসচিব আব্দুল হান্নান মাসুদ, সদস্য নিশিতা জামান নিহা, আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, সুমনা শারমিন ও সাদিয়া ইয়াসমিনের ওপর ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের অনুসারী হিসেবে পরিচিত কিছু নেতাকর্মী একযোগে হামলা চালান।’

আবু সাঈদ তো এখন আন্দোলনের আর এক বাংলাবন্ধু। গুলির সামনে বুক পেতে দেয়া যুবক তিনি। জীবন দিয়েছেন পুলিশের গুলিতে। তাকেও বাঁধা দিয়েছেন তার বিশ্ববদ্যালয়ের ছাত্রলীগ। তাকে চড় ধাপ্পর মেরেছেন ছাত্রলীগের সভাপতি।
নুরকে তো মাইরের উপরেই রাখা হতো এক সময় অবধি। মাইর খেতে খেতে নুর কে দল বানানোর পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিল ছাত্রলীগ।

ছাত্রলীগকে কোনো এমন রাস্তায় হাঁটতে হবে?
ওরা কোকিলা একক নাটকটির কথা মনে আছে। ফেরদৌসি মজুমদারের মুখে সেই ডায়ালোক,
জীবনে কত মানুষই তো কোকিলাকে ভোগ নির্যাতণ করেছে, কোকিলা ভুলে গেছে তা, শুধু ভুলেনি, যে প্রথম কোকিলাকে লাত্থি মেরিছিল তাকে।
হ্যা ছাত্র লীগই শুধু নয়, যারা এই লাথিগুতা মারছেন, তাদেরকে নয়, তাদের প্রথমজমকে কি ভূলে যাবে কোকিলা নামের নির্যাতিত শিক্ষীর্থীরা?
একজন আবু সাঈদ নয়, কতশত আবু সাঈদ জন্ম নিয়েছে ঐ লাথির কারণে তা হয়তবা ক্ষমাতাসীন দল চিন্তা ও করতে পারেন না।
ছাত্রলীগ যুবলীগের লাঠিতে কুলায় না,
আমলার লাঠিতৈ কুলায় না,
পুলিশের লাঠিতে কুলায় না,
বিজিবি আনসারের লাঠিতে কুলায় না,
এবার দরকার পরছে গর্বিত সেনাদের গুলির!
ব্যারাক থেকে তাদের আসতে হচ্ছে ট্যাংক নিয়ে, হ্যালি নিয়ে।
যাজোয়া যান আর ট্যাংকের গুহায় বসে নিরাপদে গুলি ছুড়ছেন পুলিশ।
ঢাকার রাস্তায় সেনারা তৈরি করছেন বালির বস্তার বাংকার। আকাশে উড়াচ্ছেন ড্রন। হেলি দিয়ে উদ্ধার করা হচ্ছে পুলিশের দলকে। হেলি থেকে ছুড়ছেন টিয়ার গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড, এমনকি সমালোচকরা বলছে গুলিও।
মাত্র তিন দিনে প্রাণ গেল কজনের তার সঠিক তালিকা এই ডিজিটাল ব্যবস্থা দিতে পারছে না।দুইশোর বেশী জীবন কেড়ে নিল গুলি।
এসব কিছুর পিছনেই রয়েছে, মেধা আটকে রেখে, দমন পীড়নের রাজনীতি। ভোট নিয়ে আমিডামি খেলা।প্রগতির নামে ১৪ দলের ভন্ডামি এবং জাতীয় পার্টির ভেঁলকিবাজি।
চাইলে দূর্নীতি কমিয়ে, সুষ্ঠ ধারায় রাজনীতিটা নিয়ে আসা কোন কঠিন কিছু ছিল না। চাইলে অল্প ক্ষমতা দিয়ে, সংসদে অন্তত ১ শত জনের একটি বিরোধীদল থাকতে দিলে কোন সমস্যার সৃষ্টি হতো না।
সব খেতে হবে একজনের। সব ক্ষমতা দিতে হবে এক জনের হাতে। তিনি ক্ষমতা উপভোগ করেন। একক ক্ষমতা যেকাউকে স্বৈরাচারি বানায় এটাই নিয়ম।
স্বৈরাচারের ফসল হলো,
পিয়ন ৪ শত কোটি টাকার মালিক হবেন, মালকিন ক্ষমতার মালিক থাকবেন। পিয়নের বাপদাদারা যে কি হয়েছেন সেটা বোঝা যায় বেনজীর, মিয়া, আজিজ আর মতিউরদের দিয়ে।
চার জনের সম্পদ ফেরত নিতে পারলে দেশের স্থাপনার ক্ষতি দুর করা সম্ভব।
নতুন বেনজীর, মিয়া, আজিজ আর মতিউর সৃষ্টির কারখানায়টায়তো আগুন জ্বালানো দরকার! একাজটি কারা করবে?
যখন জানলাম আমার পিয়ন ৪ শত কোটি টাকার মালিক হয়েছে, আমি সাথে সাথে তার আইডি কার্ড বাতিল করে দিলাম, সে যাতে বঙ্গভবনে আর না ডুকতে পারে।
এই দোয়ায় কি ঐ আগুন নিভানো সম্ভব?
ফকিরের কেরামতি দিয়ে ঝড়ে পরা মরা বক গুনে দূর্ণীতি রোধ করা সম্ভব নয়। ঝড় বন্ধ হয়ে গেলে ফকিরিও বন্ধ হয়ে যাবে।

28/07/2024

কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিলেন। তাই ওদের ডিবি কার্যালয়ে এনে তাদের ভাত খাওয়াচ্ছেন হারুন সাহেব।

28/07/2024

ক্ষমতার লেলিহান লোভ;
সীমাহীন দূর্ণীতি, অরাজক,
অবিশ্বাস্য অনৈতিক রাজকীয় ভোগ,
মাথায সমস্যা, মুখে কুঁট বাক,
অনিয়ন্ত্রিত ক্রোধ, হারানো বোধ,
নিতে প্রতিশোধ,
অবিবেচিত রাগ,
হীরক রাজ্যর মন্ত্রী এক ঝাঁক,
সকাল বিকাল বাঁজায় বিভক্তির শাঁখ
স্বৈরতন্ত্রের রাস্তায় চলা ব্রেকহীন ঝোকে দেশচালক,
তুচ্ছ তাচ্ছিল্য অপমানিত সাধারণ লোক,
হুপিং কাশির গর্জন, মরন ব্যাধি খোক খোক,
আক্রান্ত নিরাময়হীন এই রোগ।

করিতে বৈষম্য রোধ,
অভূতপূর্ব শিক্ষা আন্দোলনের স্রোত,
গড়েছিল শিক্ষার্থীরাই খোদ
পুঞ্জীভূত ক্ষোভ
দুনিয়া কাঁপানো বিক্ষোভ,
আটকে গিয়েছিল হেলি,ট্যাঙ্কের গতি রোধ
কোমল মতি শিশুদের হারিয়ে জাতি আজ কেমনে করিবে শোক!

অকাতরে দিয়েছে প্রাণ, আমাদের কলিজার ধন,
আমাদের কতশত বালিকা আর বালক!
রক্তাক্ত জুলাই,
চেতনার বেলুন ফুলাই,
শান্তির চিতা জ্বালিয়ে চুলায়,
ব্রেকহীন গাড়ীতে, সাইরেন বাঁজিয়ে আর কত চলবেন রাষ্ট্রের রাগকরা চালক।

জনতার কর এ পুরন হবে স্থাপনার ক্ষতি,
শিশুদের জীবনের চেয়ে বড় কি দালান কোঠা হীরামতি?
জীবনের মূল্য কত বুঝতে একবার যদি,
বইতো না আজ এমন রক্তের নদী,
লোনা হয়ে রক্তের স্বাদ, ক্ষমতার এই গদি।
কে থামাবে ব্রেকহীন গাড়ীর ঐ বেপরোয়া গতি!
কে ফিরিয়ে দিবে,
ঐ সব তরতাঁজা প্রাণ,
যা দিয়ে গড়েছে ইতিহাস একখান,
ছাত্র সমাজ, ছোট্ট ওরা, দিয়েছে বুক পেতে প্রান,
ওরা বিপ্লবী কোমলমতি।
ওরা দেশের নাতি পুতি।

27/07/2024

শিক্ষকগণ শিক্ষার্থীদের অভিভাবক। কিন্তু সবাই সেই চরিত্রের নন। দলকানারা দেখেও দেখেন না। ধন্যবাদ জানাই সেসব শ্রদ্ধেয় শিক্ষকবৃন্দকে যারা বৈষম্য বিরোধী আন্দোলোনের সমন্নয়ক শিক্ষার্থীদের জন্য ছুটে গেছেন মিন্টু রোডে ডিবি অফিসের গেটে।

ডিবি কর্তা হারুন এই সব শিক্ষকদের সাথে দেখা করেননি। কথা বলেননি। গাড়ীর রঙিন গ্লাস আটকে চলে গেছেন বাইরে।

এই গুটি কয়েক শিক্ষকদের প্রশ্ন,
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের’ তিন সমন্বয়কের নিরাপত্তা নিয়ে কোনো শঙ্কা থাকলে কেন তাঁদের পরিবারের কাছে না দিয়ে ডিবি হেফাজতে নেওয়া হলো?

অন্য শিক্ষকরা কি শিক্ষার্থীদের অভিভাবক নন? আপনারা কেনো চুপ করে আছেন?
দেশটা ভাগ করে দিয়েছেন লোভ আর ক্ষমতায়!
বিদেশী শিক্ষকেরা জাতিসংঘে প্রতিবাদ লিপি পাঠায় আর আপনারা বসে বসে বিমাতার মতো আচরন করছেন।

দেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সংঘটিত সহিংসতা ও বর্তমান ঘটনাপ্রবাহে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছেন বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত শিক্ষাবিদ, লেখক ও বুদ্ধিজীবীরা। জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার ফলকার টুর্ককে গত বৃহস্পতিবার লেখা এক চিঠিতে এ উদ্বেগ জানান তাঁরা। সেই সঙ্গে তাঁরা এ বিষয়ে অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

এই বিশিষ্টজনেরা বাছবিচারহীন গ্রেপ্তার, শোকজ ছাড়াই আটক, আটক বা গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের আইনজীবীর সহায়তা পাওয়ার সুযোগ না দেওয়া, আহত করা, নির্যাতন—মানবাধিকার লঙ্ঘনের এমন ঘটনা থামাতে অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।

চিঠিতে সই করা উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিরা হলেন-জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত ক্রিগার–আইজেনহাওয়ার অধ্যাপক বীণা দাস, লেখক অমিতাভ ঘোষ, কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস ১৯৩১ চেয়ার অব জিওগ্র্যাফি অ্যাশ আমিন, কলেজ দ্য ফ্রান্সের অধ্যাপক দ্যদিয়ার ফসিন, নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডেভিড লুডেন, কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক শেলডন পোলক ও পার্থ চ্যাটার্জি, লন্ডনের এসওএএস বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নাওমি হোসেন, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডায়ানা ইক, শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অ্যান্ড্রু ব্র্যান্ডেল, ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আশুতোষ ভর্শনি, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ফয়সাল দেভজি, প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জ্ঞান প্রকাশ, কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ইফতিখার দদি, ডিউক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক প্রসেনজিৎ দুয়ারা, কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শ্রুতি কপিলা, ম্যাসাচুসেটস বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিস্টিংগুইশড প্রফেসর জয়া মিশ্র, জওহরলাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক প্রতীক্ষা বকসি, স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক থমাস ব্লম হ্যানসেন, জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জেন বেনেট, কানেটিকাট বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিস্টিংগুইশড প্রফেসর বন্দনা পুরকায়স্থ, সেন্ট লুইস বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড্যানিয়েল জে মন্টি, দ্য জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এলিজাবেথ অ্যাংকার।

বিদেশী শিক্ষকদের মন পোড়ছে বাংলাদেশের নির্যাতিত শিক্ষার্থীদের জন্য অথচ দেশের শিক্ষকগন চুপ করে রয়েছেন।
শিক্ষক নাকি ভক্ষক আপনারা? কিসের রক্ষক আপনারা?
নিজেদের সন্তানদের পক্ষে দাঁড়াতেও ভয় পান?
লাখ শিক্ষার্থী ছিল রাস্তায়। ওদের যৌক্তিক দাবি মানা হয়েছে। ওরা জয় পেয়েছে।ওরা কেনো এখন ডিবির হেফাজতে থাকবেন?

কত সম্পদের মালিক পুলিশের উৎসুক কর্তারা তা দেখতে গিয়েই কি শুরু হলো অঘটন!
কত সম্পদের মালিক দলকানা শিক্ষকেরা তা কে দেখবেন?
সাংবাদিক! তাদের একাংশের কানাগীরি তো আরো বিপজনক।
-
সকল শিক্ষার্থীদের উপর চলা নির্যাতন, মামলা, হামলা বন্ধ করুন।ওরাই আমাদের ভবিষ্যৎ। ওদের কাছে ঘুনেধরা, টীকায় পদ কেনা রাজনীতি বড়ই অচল। তাইতো বড় ভয়!
তাইতো, নীতিবান শিক্ষকদের কথায় জ্বালাধরে।

27/07/2024

মিথ্যা বললেও যুক্তি দিয়ে বলতে হয়। কিন্তু দেশের ডিজিটালবিজ্ঞান মন্ত্রীসহ অন্যন্য কর্তাদের অনেকেই কি সে কাজটি করতে পেরেছেন?
উকিল খবরদারী করেন মেধাবী প্রকৌশলিকে।
প্রকৌশলিদের আদেশ নির্দেশ দেন বটতলার তালবেআলমরা। বিশেষ ওহি কোটার মন্ত্রী বলতে কথা।থিয়েটার।
চোখে ভাওতার জল। নিস্পাপ শিশু গুলিবিদ্ধ, বন্দুকে জবাব!
লাখ ত্যাগি নেতারা চেয়ে চেয়ে তাই দেখছেন।

শিরোনাম করেছে গনমাধ্যম। আজ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলছেন,
কারা তাঁদের আক্রমণ করতে চাচ্ছেন, জানতে তিন সমন্বয়ককে হেফাজতে নিয়েছি: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

হেফাজতে নিতে হয় হাসপাতালের বেড থেকে?
অনেক মানবিক উপকারী পুলিশ তাই না!
দেখা গেল এবার সোস্যাল মিডিয়ার খবরকে বেশ গুরুত্ব দিচ্ছেন এই কর্তারা।


একটা ছোট গল্প আগে বলি যেটা সুইসের স্কুলে শিখেছিলাম।গল্পটা এমনঃ
এক উকিল নতুন চ্যাম্বার দিয়ে বসেছেন। এক প্রকৌশলি এবং তার টেকনিকার এসে হাজির উকিলের নতুন চ্যাম্বারে। উকিল ভাবলেন তার প্রথম মওকা। প্রথম ক্লাইন্ট। তিনি তার স্কুলে শেখা শিক্ষা কাজে লাগাতে চাইলেন।
তিনি তার ফোনটির রিসিভার হাতে নিয়ে কথা বলতে শুরু করলেন। এতো সব গুরুত্বপূর্ণ কথা যে, ঐ প্রকৌশলি ও টেকনিয়ানকে বসিয়ে রাখলেন আঁধা ঘন্টা।
প্রকৌশলি ফাঁকে ফাঁকে উকিল কে কিছু একটা বলতে চেয়েছিলেন, উকিল সাহেব এতোটাই গুরুত্বদিয়ে তার ফোনে কথা বলছিলেন যে,ঐ প্রকৌশলির বসে অপেক্ষা করার বাইরে আর কিছুই করার ছিল না।
এক পর্যায়ে উকিল ফোন রাখলেন। কথা বলতে বলতে তার ঘাম ছুটে গেছে। এবার কপাল মুছতে মুছতে বললেন, খুব ব্যস্ত ভাই। ফোনের মধ্যেই জামিন করাতে হলো হক আসামীকে।এবার বলুন আপনারা, আপনাদের মামলাটা কি? কি উপকার আমি আপনাদের জন্য করতে পারি?

প্রকৌশলি আর টেকনিকার এবার বললেন, আপনি যদি আপনার ফোনের লাইনটা কোথায় তা যদি একটু দয়া করে আমাদের দেখিয়ে দিতেন তবে আমরা অনেক উপকৃত হবো। কারণ আপনার ফোনের লাইনটার সংযোগ দিতে আমরা এসেছি টেলিফোন সংস্থ্যা থেকে।আমাদের কি কারণে বসিয়ে রাখলেন তা আপনার জানা।এবার দয়া করে যদি কাজটা করতে দিতেন। আমরা আপনার অকোজে ফোনের লাইনের সংযোগটা দিয়ে যাই।
-
আমাদের এখন এমন উকিলের ছড়াছড়ি।
ডিজিটাল বিজ্ঞান মন্ত্রীর ওকালতিটা ঠিক এ রকমেরই হয়েছে। পুলিশ মন্ত্রীও ওকালতিতে কম যাননি।
বারবার ইন্টারনেট বন্ধের দায় চাপিয়েছেন মহাখালীর খাজা টাওয়ারের ডাটা সেন্টার ক্ষতিগ্রস্ত হবার উপরে।
বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশ জানান, আজ আমরা ভবন পরিদর্শন করে এবং ভবনের অনেকের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারি এখানে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। একটি বিষয় পরিষ্কার করে বলা দরকার, ডাটা সেন্টার হল কেবল সার্ভার সংরক্ষণাগার অর্থাৎ এক প্রকার লকার।
লকার কি ভাবে বন্ধ রাখে ইন্টারনেট ব্যবস্থা?

ইন্টারনেট বন্ধের ফলে গ্রাহকের ইউটিলিটি বিল পরিশোধ, মোবাইল রিচার্জ, মোবাইল ব্যাংকিং সেবা, বিমানে টিকেট সংগ্রহ, এমনকি গ্যাস বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় গ্রাহকদের থাকতে হয়েছে। ব্যাংকে টাকা থাকা সত্ত্বেও টাকা উত্তোলন করতে না পেরে অনেকে অভুক্ত ছিলেন। ইন্টারনেট সেবা বন্ধের ফলে মূল ধারার গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত না হওয়ায় গুজব ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়লে প্রাণহানি ও ভয়াবহ সহিংসতা এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস এবং লুণ্ঠন করা হয়। গুজব এবং উসকানিমূলক পোস্ট নিয়ন্ত্রণ করতে না পারার জন্য ফেসবুক কর্তৃপক্ষ মেটা, ইউটিউব, টিকটক, এমনকি বিটিআরসি এবং আইসিটি ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়েছে।
প্রবাসীরা ছিল পুরেপুরি আতঙ্কগ্রস্থ্য। তারা স্বজনদের টাকা পাঠাতে পারেন নি গোটা সময়ে।
এ দায় ঐ সব ডিজিটাল ওকালতির। উকিল যুক্তি দিয়ে সত্যকে মিথ্যা বানাবেন, মিথ্যাকে সত্য এটাই তার শিক্ষা কিন্তু উকিল যখন প্রকৌশলির উপর ওহিদাতা হয়ে খবরদারী করেন, ক্ষমতা দাবড়ান তখন তাদের অবস্থা ঐ গল্পের মতোই হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শিক্ষার্থীদের আমি রাজাকার বলিনি, আমার বক্তব্যকে বিকৃত করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) ভবন পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এ কথা বলেছেন।
ডিজিটাল ফুঁটেজতো সবার হাতে ডিজিটালাইজট হয়ে আছে তাই না? এই টিভিতেই তো তা প্রচার হয়েছে।
বিকৃত করবার কি কিছু আছে সেখানে?

গল্পের উকিলের মতোই বলে যাচ্ছেন! বলেই যাচ্ছেন।
সংযোগটা যে জনগনের হাতে সেটা একবারও স্বীকার করবেন না।
সংযোগটা যদি মেধাবীদের দিয়ে দিতেন তবে সব সমস্যার সমাধান হয়ে যেতো এক নিমিসেই।

ফোনটা কার্যকর করেন। সংযোগহীন ফোনে আর কত কথা বলে কপালের ঘাম মুছবেন?
ভাবছেন জনতা কিছুই বোঝে না। কিন্তু শিক্ষার্থীরাতো বোঝে।
মেধার বিকাশ আর প্রয়োগ করতে চাইলে, প্রকৌশলির হাতে প্রযুক্তি গড়ার দায়িত্ব দিন। বটতলার উকিলের হাতে নয়। অর্থ দিয়ে কেনা পদধারীদের হাতে নয়। ত্যাগিদের হাতে দায়িত্ব দিন। ন্যায় অন্যায়, সত্য মিথ্যা যারা বুঝে তাদের মূল্যায়ন করুন। অর্থ আর ক্ষমতার কাছে সব কেনো বিক্রি হবে?
ওহি কোটার মন্ত্রীরা কখনো যোগ্য হতে পারে না। ওহি কোটার নেতারা বঙ্গবন্ধুর দলে কোটি টাকা দিয়ে পদ কিনতে পারে না। ওহি কোটার কর্তারা কোটি টাকার বিনিময়ে পদ বিক্রি করতে পারেন না!

27/07/2024

প্রধানমন্ত্রী কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতায় আহতদের দেখতে পঙ্গু হাসপাতাল পরিদর্শন করে বলেছেন,
তার অপরাধ কি?
দেশবাসীর কাছে তিনি বিচার চেয়েছেন। অপরাধটা কী করেছি? এ ধরনের ধ্বংসযজ্ঞ আর কেউ যেন এই দেশে চালাতে না পারে, সেই জন্য তিনি সবার সহযোগিতা চান।
তিনি বলেন,
কোটা আন্দোলনকারীদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’র জন্যই এত মানুষ হতাহত হলো। এইভাবে আর কেউ যেন কোনো ধ্বংসযজ্ঞ চালাতে না পারে, সেই দিকে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।’


বেশ কয়েকটি দায়িত্ব এবার দেশবাসীর কাছে।যদিও আমরা দেশের বাসির মধ্যে পরিনা আমরা প্রবাসী। তবে দেশের জনগন।দেশবাসীর অর্থ যদি জনগন হয় তবে প্রধান মন্ত্রীর অপরাধ কি?
তার উত্তর সবারই দেয়া উচিত।

যেমন তিনি
সতর্ক থাকতে বলেছেন!
যাতে এমন ঘটনা আর না ঘটে সেই জন্য।
কিন্তু ঘটনার কতটুকু তিনি এবং তার দলের ছাত্র সংগঠন, পুলিশের ছত্রছায়ায় ঘটিয়েছেন সেটা যদি বলতেন তবে অপরাধ কি, তার উত্তর দেয়া আমাদের মতো ছোট্ট জনতার জন্য খুবই সহজ হয়ে যেতো।
যা হোক তারপরও বলতে হয়,
প্রথম অপরাধ হলো,
আপনার বাসার পিয়নের ৪ শতকোটি টাকা অর্জন এবং বাসাটার মালকিন আপনি।বাসাটার খরচ চলে জনগনের টাকায়।আপনার বেতনও দেয় জনগন। আপনার বেতনের সব টাকা চুরি করে নিয়ে গেলেও আপনার জীবনের সকল বেতন এক সাথে গুনলেও ৪ শত কোটি টাকা হবে না। আপনার পিয়ন তাহলে কার টাকা নিয়ে ৪ শত কোটি টাকার সম্পদের মালিক হয়েছেন?
এমন করেই বেনজীর, আজিজ, মতিউর, মিয়া সাহেবেরা ও জনগনের টাকা হাতিয়ে নিয়ে হাজার কোটি টাকার মালিক।
যারো আপনাকে পাহাড়া দিচ্ছে, পরামর্শ দিচ্ছে, যাদের উপর নির্ভর করে ক্ষমতায় টিকে আছেন, গতকালও এক পুলিশ কর্তা বললেন, পুলিশ না থাকলে আপনি এ বারেই ক্ষমতা হারাতেন, তাদের কত সম্পদ আছে তা কি আপনার জানা আছে?
আপনি সব জানেন! একদম সঠিক ভাবেই জানেন। কিন্তু কিছু করবার ক্ষমতা আপনার নাই,
এই দূর্বলতাই আপনার বড় অপরাধ।
জনগনের অর্থ চুরি করে ওদের ওদের পকেটে পৌঁছে দেয়ার এই পদ্ধতিটা স্থায়ী করে ফেলেছেন আপনি।

পরের অপরাধ বলতে গিয়ে ১২ বছরের হোসনের উদাহরন টানতে হবে। হোসেন ফেরিওয়ালা। পপকর্ন বিক্রি করে রাস্তায় রাস্তায় ফেরি করে। ওর পেটে গুলি করেছে আপনার পুলিশ আপনাকে ক্ষমতায় রাখতে।হোসেন মারা গেছে হাসপাতালে।
হোসেনের বাবার সংসারে পাঁচজন, ওরা তিন ভাই বোন। বাবার কোন সম্পদ নেই। হোসনের লাশ খুঁজতে যখন হোসেনের পিতামাতা ঢামেকে যায় তখন ছোট দুইটা বাচ্চাকে বস্তির ঘরে বাইরে থেকে তালামেরে তাদের আসতে হয়েছে।
রাত দুইটায় তারা হোসেনের লাশ মর্গে খুঁজে যায়। দুপুর থেকে লাশ নিয়ে ভোরে বাসায় ফেরা অবধি দুটো সন্তান তালামারা ছিল ঘরে। তাদের খাবারও ছিল না। মুড়ি রেখে এসেছিলেন ওদের জন্য। জায়গা জমি নেই হোসেনের বাবার তাই তার হোসেনের মামা বাড়িতে পরের দিন রাতে দাফন করা হয় ১২ বছরের হোসেনকে। কাফনের কাপড়টির অর্থও দিয়েছেন অন্য কেউ দয়া করে ভিক্ষা।

এই হোসনদের সংখ্যা দেশে কয়েক কোটি।
হোসনদের শিক্ষার দায়িত্ব আপনি নিতে পারেন না। ওদের ঠেলে দেন অন্য জগতে। কারো কারো পিতামাতা কষ্ট করে হোসেনদের একটু শিক্ষিত করতে পাঠান বিনা পয়সার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মাদ্রাসায়।মিরপুরে যে শিশুটি টিয়ারগ্যাস থেকে বাঁচতে ঘরের
জানালা বন্ধ করতে গিয়ে গুলি বিদ্ধ হয়ে মারা গেলেন সেই শিক্ষুটি পড়তো মাদ্রাসায়।
খোদ ঢাকাতে গত ১৫ বছরে যতটা স্কুল গড়ে উঠেছে তার চেয়ে শতগুন বেশী গড়ে উঠেছে মাদ্রাসা।
হোসনদের ঠেলে হকার বানানো এবং তাদের সঠিক পড়াশুনার দায়িত্ব না নিতে পারা আপনার ২য় অপরাধ।
এই দায়িত্বহীনতার কারণে,
দেশের ৭০ ভাগ অর্থ কয়েকটি পরিবারের হাতে পৌঁছে গেছে।
১০ কেজি আলু, ২০ কেজি চাল, ১০ কেজি মাছ মাংস কিনতে গেলে প্রথম শ্রেণির চাকুরীজীবির হাতে চিকিৎসার অর্থ আর থাকে না, কেমনে চলে তারা?
সব দেখছেন, সব জানেন কিন্তু সমাধানটা করতে পারেননা শুধু দূর্ণীতিকে আশ্রয় দেবার কারণে।
দূর্নীতি আশ্রয় প্রশ্রয় দেয়া প্রথম অপরাধটার কারণেই যে এই অবস্থার সৃষ্টি তা জেনেও স্বীকার করছেন, আত্মসমালোচনা করছেন না এটাই আপনার বড় অপরাধ।
ক্ষোভে মানুষ বেলুনের মতো ফুলে আছে।
এখন আবার আপনার পুলিশ শুরু করেছে গ্রেফতার বানিজ্য।
শিক্ষার্থীরা আতঙ্কে আছে।
হাসপাতালের বেড থেকে শিক্ষার্থীদের উঠিয়ে নিতে হয়ে সাদা পোশাকের পুলিশকে।
এংন উদাহরন বিশ্বের কোন যুদ্ধাক্রান্ত দেশেও কি খুঁজে পাওয়া যাবে?

কত সুন্দর করে, আবেক দিয়ে বললেন,
কোটা সংস্কার আন্দোলনে “ এতো “ হতাহত!
এতো মানে কতো হত এবং আহত তা কি একটু বলবেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী?
এই না বলতে পারাটাই আপনার অপরাধ!

শিশু সহ ২১ টি লাশ দিয়ে দিয়ে দিয়েছেন, আন্জুমানে মফিদুল ইসলামকে দাফন করতে।
আপনি জানেন না তাদের পরিচয়?
তারা কি হিন্দু না মুসলান না খ্রীষ্টান তাও জানেন না।
২১ জনের পরিচয় ডিজিটাল ওহির যুগে আপনার না জানাটা একটা অপরাধ।ওদের ও ৪২ টি হাতে ৪২০ টি আঙ্গুল রয়েছে। ওদের আঙ্গুল গুলোর ছাপ কি আপনার ডিজিটাল বক্সে নাই?
তিন দিনে কত মরলো জানি না, তার মধ্যে ২১ জন অপরিচিত। সংখ্যাটি কি কম?

আবারো বলছি,
২ কোটি প্রবাসী আমরা। আমরা দেশবাসী নই। তবে দেশের জন্য প্রতিদিন ২ ঘন্টা বাড়তি কাজ করে দেশের ক্ষতি পুরণ করে দিব তবে আপনাকে ঐ প্রশ্ন গুলোর উত্তর দিতে হবে।
আমি মানি ট্রান্সফার বিজনিস করি।
কোটি কোটি টাকা পাঠান আমাদের প্রবাসীরা আমাদের মাধ্যমে। গত ১০ দিনে ২০ টি ট্রান্সজিকশনও হয়নি বাংলাদেশের।
এমন ক্ষতি আন্দোলন ডেকে আনেনি। ডেকে এনেছে আপনার আশপাশের মেধাশূন্য রাজনীতিকরা।
মেধাবীদের, যোগ্যদের, অভিজ্ঞদের ঠেলে দুরে রেখেছেন। অযোগ্য হাইব্রীড এখন আপনার ঘরের খুটি।কোটি টাকা দিয়ে পদ কেনা বেচা বানিজ্য করারাই আপনার পাশে এখন আপনার পরামর্শ দাতা।
আমু, তোফায়েলরা মুরব্বী।প্রবীন। তাদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ক্ষমতার নৌকা নদীতে ভাসালেন। এবার সমুদ্র পাড়ি দিতে চাইছেন অনভিজ্ঞদের দিয়ে। তাদের রাখলেন নদীর পাড়ে বসিয়ে। মাঝে মধ্যে বৈঠার টেউ দিয়ে তাদের ভিজিয়ে রাখছেন।
এটা ও একটা অপরাধ।
সাংবিধানিক পদও কেনা বেঁচা হয় দারুন অঙ্কের টাকায়। সবই আপনি জানেন। কিন্তু বলবার সাহস রাখেন না কারণ বিরোধী দল সংসদে রেখে সরকার পরিচালনা করার নীতিটাই ভূলে গেছেন।
আপনার পিয়ন কে দেখবার দায়িত্ব কি আপনার না আমাদের মতো জনগনের?
তাকে দেখে শুনে রাখতে পেরেছিলেন?
হোসেনদের দেখবেন কি ভাবে?
আপনি স্বজন হারিয়েছেন। অনেক ব্যাথা। আপনার ব্যাথায় ব্যাথিত আমরাও।
আপনার ভাষায় “এতো হতাহত” দের পরিবারের ব্যাথায় তো আমাদের ব্যাথিত হওয়া উচিত।
আমরা ব্যাতিত, মর্মাহত, শোকাহত।
আমাদের এতো হতাহত করেছে আপনার সরকার। আপনার বাহীনি। আপনার দলের লেলিয়ে দেয়া বিশেষ কর্মীরা। আপনি জেনে বুঝেও স্বীকার করছেন না একবারও।
দোস আমাদের কপালের! হোসেনরা যদি পড়াশুনা করবার সুযোগ পেতো, এমন সুযোগের সভ্য দেশ হলে এতো হতহতের কারণে দায়িত্বরতরা লজ্জা আর অযোগ্যতায় এমনিতেই দায়িত্ব ছেঁড়ে দিতেন।
হেরে গেল পুলিশ!
হেরে গেলো সরকার!
জিতলো শিক্ষীর্থীরা। অথচ সেই শিক্ষীর্থীদের নেতাদের তুলে নিয়ে আসতে হবে সাদা পোশাকের পুলিশকে হাসপাতাল থেকে!
লজ্জার শেষ কোথায়?
পুলিশ যখন বলেন একটা সরকারকে তারাই টিকিয়ে রেখেছে তখন রাজনীতিবিদ হিসেবে লজ্জা কি লাগবার কথা নয়?
অপরাধ বোধ কি কাজ করে?
আজ যে সব পুলিশ কর্তা ক্ষমতার বানিজ্য করছেন, তাদের সম্পদের হিসেব বের হবে তাদের পেনসনে যাবার পরে। সে পর্যন্ত কারা কারা বেঁচে থাকবেন সে হিসেবটা না করতে পারাটাও একটা অপরাধ।
মানুষ শত বছরই রাজত্ব করুক! পরে একদিন তো মরতে হবে তাই না! ছাড়তেই হবে ক্ষমতা। তখন ১২ বছরের শিশু যাকে ফেরি করে সংসার চালাতে হয়েছে তার পেটে গুলি লাগার দায়িত্বটা কি নিতে হবে না?
হোসেনের আত্মার সাথে কি তার আত্মার দেখা হবে? বিচার হবে?
এমন ভাবনা না ভাবতে পারাটাও একটা অপরাধ।

26/07/2024

প্যারিসে অলিম্পিকে বাংলাদেশ। অভিনন্দন এবং শুভ কামনা।

26/07/2024

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, `সাম্প্রতিক সহিংসতায় দল-মত-নির্বিশেষে আহত সবার চিকিৎসা ও আয়-রোজগারের ব্যবস্থা করবে সরকার।

গতকাল দলের সাধারণ সম্পাদক কাদের সাহেব বলেছিলেন, সবার দায়িত্ব নিবেন শেখ হাসিনা।

শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী। সরকার প্রধান। মানে সরকার নন।
বিষয়টি বূঝলে অর্ধেক নয়, ৮০ ভাগ সমস্যার সমাধান হয়ে যায়।

আমার সরকার,
আমি দেখবো,
আমি করবো,
শব্দ গুলো সরকারের সাথে যায় না।

প্রধানমন্ত্রী যেখানে বলছেন, সরকার দেখবে সেখানো অন্যরা কেনো বলছেন না,
সরকারই দেখবেন এবং করবেন।

গত লেখায় বলছিলাম, শিক্ষীর্থীরা কি কিছু শিখাতে পারছেন তাদের বিরল আন্দোলন দিয়ে।
হ্যা শিখিয়েছেন।
“দল-মত-নির্বিশেষে” বলবার বিনয়তা বা বাধ্যবাধকতা।
দল-মত-নির্বিশেষে যদি দেশটার জন্য কাজ করা যায় তবে যে ক্ষতি হয়েছে তা পুরন করা কোন ব্যাপার নয়।
২ কোটি প্রবাসী আমরা।
দিনে ২ ঘন্টা করে বেশী খাটবো আমরা।
দুই ঘন্টার বাড়তি অর্থ দেব রাষ্ট্রকে।
ক্ষতি পুসিয়ে যাবে তিন মাসে।

কিছু না থাকলেও প্রবাসীরা ১৪ জনের ভরনপোষনের দায়িত্ব নিলে কাউকে না খেয়ে থাকতে হয় না। তাই হচ্ছে দেশে।
সুতরাং শান্তির জন্য দরকার
দল-মত-নির্বিশেষের সরকার।
যে সরকার এমন করেই বলবেন।
সবার জন্য করবেন।

দল-মত-নির্বিশেষের স্বার্থের সরকারের পিয়ন ৪০০ কোটি টাকার মালিক হবার সুযোগ পায় না। তখন তা দেখবার মানুষ থাকে সরকারে।

26/07/2024

সাংবাদিক এবং কাছের বন্ধু খান লিটনের পোষ্ট থেকে প্রথম অংশ কপি করলাম।
তিনি দেশে ছিলেন। গ্রাম থেকে ঢাকা আসেন কারফিউর প্রথম রাতে। রাত গাড়ীতে ছিল প্রেসের স্টিকারও।
কি হয়েছিল তার সাথে তার লেখাটি একটু দেখে নেই শুরুতেঃ
—-
তিনি শিরোনাম করেছেন এমন।
বাংলাদেশে কারফিউঃ
-উপরের নির্দেশ আছে , জনমানব দেখলে গুলি করা॥

তারপরে লিখেছেন,

আমি ২১ ০৭.২০২৪ তাং বরগুনা থেকে ঢাকায় সচিবালয়ের কাছে যখন পৌছাই তখন রাত ১২ঃ২৫ মিনিট । দীর্ঘ্পথে আমার বাহন কোন চেক পোষ্টে থামায়নি , প্রেস লেখা থাকার কারনে ।কিন্তু বাংলাদেশ সেনা বাহিনীর , সারা শরীরে গুলি/আধুনিক অস্রে সজ্জিত সৈনিক আমার বাহন থামালো এবং পরিচয় জানতে চাইল ।পাসপোর্ট দিলাম । পাচঁ/ সাত মিনিট উল্টাইয়া পাল্টাইয়া দেখলো , তখন আমি জিজ্ঞাসা করলাম — ডিউটি কি বুজলেন ? উত্তর কিছু না । পরে বললেন —আপনি যেতে পারবেন না। পাশে অঁফিসারের কাছে যান । মেজর ( মা—/) তার চারজন জোয়ান সহ এলেন আমার গাডীর জানালায়, এসে বললেন , “ এখন কাউফিউ চলছে , উপরের নির্দেশ আছে , জনমানব দেখলে গুলি করার “। আমি বললাম , অফিসার , Why you wait! গুলি করুন । আমার এমন কথায় সে থতমত খেয়ে গেল । আমি আবার বললাম, স্যুট মি অফিসার ! এরপর তিনি আমাকে যেতে দিলেন ।আমি ফেইসবুক বন্ধুদের কাছে জানতে চাই , কারফিউর নিয়ম কি এমন ?

যদি না হয় তাহলে ঐ অফিসারের তদন্ত সাপেক্ষে বিচার চাই।

এর পরের অংশে তিনি শিক্ষার্থীদের আন্দোলন, তাতে তৃতীয় পক্ষের প্রবেশ এবং সরকারকে সহযোগীতার করার কথা বলছেন।
খান লিটন, জার্মান প্রবাসী সাংবাদিক। তার বড় পরিচয় তিনি জার্মান আওয়ামীলীগের সিনিয়র নেতাদের একজন।

নতুন প্রজন্ম কারফিউ দেখেনি। আমরা যারা এরশাদ বিরোধী আন্দোলন করেছি এমনকি বর্তমান প্রধানমন্ত্রীও তখন একই কাতারের আন্দোলনে ছিলেন, তখন আমরা দেখেছি, কার্ফু কি ছিল?
তবে এবার এই ২৪ সালে যে রকম কার্ফুর কথা শুনতেছি, মিডিয়ায় দেখতেছে, সেনাবাহিনী বিজিপি রাজপথে বালির বস্তা দিয়ে বাংকার বানিয়ে, মাটিতে ক্রোলিং দিয়ে, যে শো ডাউন আর গুলি করেছে চলন্ত ক্যামেরার সামনে এটাকে কার্ফু না বলে, ইসরাইল ফিলিস্থিনের যুদ্ধ বললে মনে হয় ভূল হবে না।
এমন যুদ্ধে বন্ধু খান লিটন তো দেখছি ভাল সাহসিকতা দেখিয়েছেন!

ফেইজবুক খুললে এমন ও হাজার গল্প জানা যাবে। জানা যাবে কত নিরিহ মানুষ মারা গেছেন যারা কার্ফু কি তা না জেনেই রাস্তায় বের হয়েছিলেন। অথবা জরুরী দরকারে।

লেখা বড় করলে পড়েন না এই অভিযোগ আছে তাই এখানেই শেষ করবো কার্ফু বিষয়ে একটা প্রশ্ন রেখে।
আমাদের দেশের নতুন প্রজন্ম, বর্তমান শিক্ষীর্থীরা কি আসলে জানেন বা জানতেন কার্ফু কি?
প্রশ্ন হলো,
স্কুল কলেজের কোন পাঠ্য বইতে কি কার্ফু বিষয়ে শিক্ষা দেয়া হয়েছে বা কোন বিষয় আছে?
যদি না থাকে। শিক্ষা যদি না দেয়া হয়। তবে নতুন প্রজন্মের যিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে কেন্ত্র করে কি কার্ফু দেয়া যায়?
সাধারণ মানুষ জানেন না, তাদের শিখানো হয়নি। তাদের উপর হঠাৎ কার্ফু জারি করাটা কি ঠিক ছিল?

শিখিয়ে পরীক্ষা নিতে হয় নাকি পরীক্ষা দিয়ে তারপর শিখাতে হয়?

25/07/2024

শিক্ষার্থীরা এতো বড় একটা আন্দোলন করে কিছু একটা শিখাতে পারছেন?
এতো গুলো প্রাণের বিনিময়ে কি রাজনীতি কিছু একটা শিখতে পেরেছে?

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সাহেবের একটা ভিডিও এখনো ভাইরাল। এক এগারোর সময় জেলে বসে মনে হয় তিনি শিখেছিলেন। শিখাইছিলেন উর্দীপরা কর্তাদের কেউ!
তখন বলেছিলেন, ঐ টা ছিল তার জীবনের বড় রাজনৈতিক শিক্ষা।

সবাই বলাবলি করছিল, এবার ক্ষমতাসীন দল একটা শিক্ষা পেয়েছে। আর আমি আর আমার আমার একটু কম করবে।
কিন্তু সাধারণের সেই ধারনাতো মিথ্যা।

খবর এমনঃ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহিংসতার ঘটনায় নিহতদের পরিবারের সদস্যদের দায়িত্ব নেবেন জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
প্রশ্ন হলো,
প্রধানমন্ত্রী কেনো দায়িত্ব নিবেন?
দায়িত্ব নিবে, সরকার এবং রাষ্ট্র।
প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি অনুমোদন করবেন আইন মোতাবেক।

সব কিছুই ঐ এক ব্যাক্তি করবেন, একা সিদ্ধান্ত নিবেন, এই অনিয়মটি থেকে বেড়িয়ে আসবার শিক্ষা কি শিক্ষার্থীরা এবারও দিতে পারেনি?
২০১৮ সালে যদি একা সিদ্ধান্ত না নিতেন, যার কাজ তাকে করতে দিতেন, সংশ্লিষ্ঠ দক্ষ মেধাবীদের পরামর্শ নিতেন, গোয়ার্তূমীটা না করতেন, তবে কোটা সমস্যার বিষয়টি তখনই সমাধান হয়ে যেত।
এখন আবার যার কাজ তাকে না দিয়ে, সহিংসতার ঘটনায় নিহতদের পরিবারের সদস্যদের দায়িত্বটা সেই একজনের উপরই চাপিয়ে সেই পূরান রাজনীতিই করতে চাইছেন।

একটু কি পরিবর্তিত হওয়া যায় না?
বলা যায় না,
ওটা রাষ্ট্রর কাজ, সরকারের কাজ।
ওটা বিচার বিভাগের কাজ।

প্রধানমন্ত্রীর কি তার সেই এক্স পিয়নের মতো কোটি কোটি টাকা আছে যে তিনি সেখান থেকে সহিংসতার ঘটনায় নিহতদের পরিবারের সদস্যদের দায়িত্ব নেবেন?
জনগনের অর্থ তিনি কেবল রক্ষক হয়ে দিতে পারেন তাও সংশ্লিষ্ঠ সবার পরামর্শ এবং সিদ্ধান্তে।
কাউকে চাকরী দেবার ক্ষমতা যে কোন মালিকের থাকে। একজন মুদি দোকানদারও একজনেকে চাকুরী দিতে পারেন কিন্তু প্রধানমন্ত্রী সরকারের নিয়মের বাইরে কিছুই করতে পারেন না।
করবার জন্য রাষ্ট্র তার সকল বিভাগকে ভাগ এবং দায়িত্ব দিয়ে দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতাবান।
তাকে আরো ক্ষমতাবান করবার এই চেষ্ঠা বা প্রবনতা হলো সীমা লঙ্ঘন করা।

এবার একটু শিখুন। ভয় পান নাই!
পুলিশ মন্ত্রী বলছেন, পকেটে হাত দিয়ে বসে থাকলে ঘরের ভিতরে যাইয়া পিটাইবে।
এটাতো ভয় পাবার কথা!

দেশের বহু সম্পদ ক্ষতিগ্রস্থ্য হয়েছে। যদিও এই সম্পদ পাহাড়া দেবার দায়িত্ব ছিল আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহীনির মানে পুলিশমন্ত্রীর।
সেটা না করে, আপনার পুলিশ পাঠালেন ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগকে সহযেগীতা করতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিপরীতে।
হিসেব করে দেখুন কর্তাদের না হলেও নিম্ন স্তরের সকল চাকুরীজীবির সন্তানই ছিল রাজপথে।
তারা আপনাদের শিখাইতে চাইছে।
মনে হয় শিক্ষাটা হয়নি!

১৯০৫, থেকে ২০২৪। শিক্ষীর্থীরা শিখিয়েই যাচ্ছে। যত তাড়াতাড়ি শিখবেন, ততই আমাদের মঙ্গল। ততই কমবে আমাদের বিভক্তি।
চাইলেই কমানো সম্ভব বৈষম্য।

25/07/2024

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ, সহিংসতা ও সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত এক শিশুসহ ২১ জনের লাশ বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হয়েছে। রাজধানীর তিনটি সরকারি হাসপাতালের মর্গ থেকে গত তিন দিনে এই ২১ জনের লাশ আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামকে দিয়েছে পুলিশ।
——-
পুরো মাত্রার ডিজিটাল দেশ বাংলাদেশ।
আর কয়েকটি ঘর দিতে পারলে নাকি দেশই শুধু নয় খোদ ঢাকাও গৃহহীন মুক্ত হতে যাচ্ছে।
সে দেশে মাত্র ৩ দিনে ২১ টি লাশ পুলিশকে দিতে হচ্ছে আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামকে।
পুলিশ লাশের পরিচয় জানতে পারে নি?
লাশের হাতে কি ফিঙ্গার নেই?
ফিঙ্গার প্রিন্ট নেয়ার মতো আঙ্গুল কি ঐ সব দূর্ভাগাদের শরীরে নেই?
নাকি ওরা এমন ভাবে আহত হয়েছে যে, আঘাতে ওদের আঙ্গুলের ছাপ নিশ্চিহ হয়ে গেছে?
যদি আঙ্গুলের ছাপ না নেয়া যায় ডিএনএ তো করা যায়!

চাইলে কি ওদের পরিচয় পাওয়া সম্ভব নয়?
পরিচয় না পাওয়া এই ২১ জন মানুষ কি তাহলে দেশের ডিজিটাল ব্যবস্থার বাইরের মানুষ?
২১ জনোর কি ঘর বা পরিহার নেই?

এই ২১ জনের জন্য রাজনীতি করবার কেউ কি দেশে আছেন?
এই একুশ জনই আসলে বর্তমান বাংলাদেশ!
কেমন যেন হালকা একটা মিল আছে।

ঐ অভাগা ২১ জনের লাশ মোহাম্মদপুরের রায়েরবাগ এলাকায় দাফন করা হয়েছে।
রায়ের বাগ যেন আমাদের রায়ের বাজারের বধ্যভূমির কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।

যা হোক লাশতো লাশই! লাশের আবার পরিচয় জেনে লাভ কি?
আমি যদি আজ লাশ হয় কাল যারা আমাকে লাশ বানাবেন তারাও লাশে পরিনত হবেন এটার নামই জীবন।
আমি মাটির সাথে মিশে যাব। সবাই মিশবেন।
আমাকে সাময়িক কেউ মনে রাখবে না, আপনাদের সাময়িক মনে রাখবে। কিন্তু সে সময়টা তো আর শত শত বছর হবে না তাই না?
দেশটৈতো হাজার হাজার বছর বেঁচে থাকবে তাই না।
আপনার আত্মার জন্য আপনি যদি বিচলিত থাকেন তবে ঐ ২১ টি আত্মা কি ওদের জন্য বিচলিত নয়?

যৌক্তিক একটা দাবী নিয়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করেছিল। আন্দোলন কে পাত্তা দেয়া হয়নি।
দমন পীড়নের রাস্তা বেছে নিয়েছিলেন। কর্তাদের গোড়ামী, অবহেলা, অহঙ্কার, ঔদ্বত্য, ক্ষমতার দাপট,স্বৈরাচারি মানুষিকতা এই আন্দোলনকে পরিপক্ক করেছে। অথচ শিক্ষার্থীদের মাথায় হাত বুলিয়ে একটু আদর করলেই এই আন্দোলন থেমে যেত।
করেননি।
নিজেরা ২০১৮ সালে ভূল করেছেন তা স্বীকার করে আত্মসমালোচনা এখনো করেননি।কেনো সব সিদ্ধান্তই একজনকে নিতে হবে?
সেদিন ৫ জনকে ডেকে সিদ্ধান্ত নিতে বললে সেদিনই এই সমস্যার সঠিক সমাধান হতো।
আজ যে সমাধান হয়েছে সেটাও একদিন আংশিক ভূল প্রমানিত হবে।
শিক্ষার্থীরা জয়ি হয়েছে। দাবী পুরণ করে নিয়েছেন। দাবীর বিপক্ষে দাড়িয়ে যা করেছেন তার আত্মসমালোচনাটুকু কি করবেন না?
বলছেন, রাগের মাথায় করেছেন।
কিন্তু এখনো বলেন নি, স্বীকার করেন নি ২০১৮ সালে ভূল করেছিলেন!
সব রাগ আপনিই করতে পারবেন!
সব শোক শুধু আপনাদেরই!
এই ২১ টি লাশের জন্য কি কারো শোক থাকতে পারে না? ২১ টি লাশ কি যিশু হয়ে আসবার ভাগ্যও বরণ করতে পারলো না?
যিশুরও তো মা মরিয়মের পরিচয় ছিল। কিন্তু এই ২১ জনের পরিচয়ে কি বাবা মা কেউ নেই?
যদি না থাকে তবে,
“ডিজিটাল” ই হোক ওদের বাবা মা।

একটা আন্দোলন জয় লাভ করেছে। তো আন্দোলনে মৃত্যু ঐ মানুষগুলোর পরিচয় কি হবার কথা?
ওদের কে কি দেশের কোন এক স্থানে সমাহিত করে লেখা যায় না ওরা শিক্ষার্থীদের বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে গিয়ে মৃত্যু বরণ করেছে!
এমন একটু সম্মানিত জায়গা কি নেই?

৩০ লাখ শহীদ হয়েছে মুক্তিযুদ্ধে। ত্রিশ লাখ শহীদের মধ্যে সাড়ে ২৯ লাখই দেশের মুক্তি যুদ্ধের ইতিহাসে ঐ ২১ টি লাশের মতোই অজানা। ৩০ লাখ পরিবারের কোটি নাতি পুতি বা প্রজন্ম তো থাকবার কথা তাই না?
হিসেব টা কি করতে পেরেছি?
চাইলে করতে পারতাম।
যেমন চাইলে ২১ টি লাশের ওয়ারিশ খুঁজে পাওয়া সম্ভব। কিন্তু চাইব না। কারণ আমি জন্ম দিয়েছি এমন ঘটনার। সেই ঘটনা আমি উম্মোচন করি ক্যামনে!

একটা পোষ্ট ভাসছে তাহলো এই আন্দোলনে ৯৮০ হাজার কোটি টাকার অর্থনীতি ক্ষতি হয়েছে।
এই টাকার অর্ধেকও যদি দেশের সব মুক্তি যোদ্ধাদের দেয়া হত ভাগ করে তবে একেকজন মুক্তি যোদ্ধা পেতেন অর্ধ হাজার কোটি টাকা ।

আবারো লিখছি,
প্রধানমনত্রীর প্রতি ৭১ টিভির রুপার প্রশ্ন ছিল, “কোটা রাখেবন নাকি কোটা রাখবেন না”।
রুপা শুরু করেছিল,
এক মুক্তি যোদ্ধার কথা বলে যিনি মীর কাশেম আলীর মামলার স্বাক্ষী ছিলেন। তিনি বড় অর্থ কষ্টে আছেন। তার স্ত্রীর ক্যানসার। চিকিৎসার টাকা নেই। এই মুক্তি যোদ্ধা বিভিন্ন অবমাননার শিকার।
যে স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্যতে মীর কাশেম আলির ফাঁসি হলো, সেই মুক্তি যোদ্ধা কেনো অর্থ কষ্টে ভূগবেন? বরং মুক্তি যোদ্ধাদের এমন পরিস্তিতে না দেখাটাই অবমানাকর এবং অপরাধ।
মুক্তি যোদ্ধাদের এই কষ্ট কি চাকুরীর কোটা দিয়ে পুরণ করা সম্ভব?

আমার এক চাচা বীর মুক্তি যোদ্ধা। অসুস্থ্য। পূর্বের একটি ভিডিওতে তিনি বলেছিলেন, চিকিৎসার জন্য তিনি কত অফিসে কতবার ঘুরছেন। মুলাদী থানার মুক্তি যোদ্ধা সংসদের কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করছিলেন তখন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
দুই বছর পূর্বের কথা এটি।

আমরা দেখেছি এই থানার আর এক কমান্ডার বীর মুক্তি যোদ্ধা চাচা খালেক খানকে। কত কষ্ঠ করেছেন তিনি। তারপরও আদর্শ থেকে নিজেকে একটুও বিকিয়ে দেন নি।

যাহোক বলছিলাম ঐ ২১ টি পরিচয়হীন লাশের কথা। তাদের একটি শিশু। বাকিরা কি শিক্ষার্থী না অন্য কেউ তাও জানবার উপায় নেই। কিন্তু ওদের প্রাণ গেছে একটি আন্দোলনে। যে আন্দলনে ওরা জয়ি হয়েছে তারপরও ওদের এমন করুন অবস্থা!

একটা ট্যাঙ্কের উপর বহন করা হয়েছে একজন আহত ছাত্রের লাশ। কি নির্মম ভাবে তাকে ট্যাঙ্কের ছাদ থেকে নামানো হয়েছে তা খুবই স্পষ্ট। মাটিতে পরার পরেও সে বেঁচে ছিল।যুদ্ধে ক্ষেত্রে শত্রু আহত হলেও তাকে চিকিৎসার সুযোগ করে দেয়া হয়।
হেলি কপ্টার ব্যবহার করে জীবন বাঁচানোর চেষ্ঠা করা হয়।
কিন্তু আমরা কি দেখেছি আসলে?
এমন পরিনতিতে যদি ঐ ২১ জনের মৃত্যু হয়ে থাকে তবে তার দায়টা কার?
ইতিহাস কি ডিজিটাল হবে না?
ওদের আঙ্গুলের ছাপ না পাওয়ার ব্যার্থতা বা পাবার চেষ্ঠা না করাটা কি ডিজিটাল ইতিহাসের অংশ হবে না?
২১ জনের জন্য কাঁদবার, শোক প্রকাশ করবার জন্য না কেউ নেই কিন্তু ওদের আত্মা গুলোতে নেলসন ম্যান্ডেলার আত্মারই সমান তাই না!

Adresse

Dammweg
Zürich
8005

Telefon

+41764144624

Webseite

Benachrichtigungen

Lassen Sie sich von uns eine E-Mail senden und seien Sie der erste der Neuigkeiten und Aktionen von Baki News Switzerland erfährt. Ihre E-Mail-Adresse wird nicht für andere Zwecke verwendet und Sie können sich jederzeit abmelden.

Service Kontaktieren

Nachricht an Baki News Switzerland senden:

Videos

Teilen

Medienfirmen in der Nähe


Andere Medienfirmen in Zürich

Alles Anzeigen

Sie können auch mögen