13/07/2024
সংগৃহীত........
একজন মন পতিতার ও"একজন ভালোবাসার প্রেমিক ছিলো.!!
পর্ব--১
একদিন হঠাৎ মধ্যরাতে মেয়েটির সাথে ছেলেটির কথা হয় ফেসবুকে। কিছুক্ষণ কথা হওয়ার পরেই মেয়েটি তার ফোন নাম্বারটি দিয়ে দেয় ছেলেটি কে। এরপর ছেলেটিকে দেখতে চাইলো মেয়েটি""
তাই মেয়েটি ইমো নাম্বারটি দিয়ে দিলো ছেলেটিকে।এরপর মেয়েটি ভিডিও কলে আসলো প্রথম মুখ দর্শন হলো দুজনের, এবং পরিচয় পর্ব ভিডিও কলে কথা বলে শেষ হলো।
ছেলেটি এবং মেয়েটি দুইজন দুই শহরে থাকতো,, তবে এখানে একটি মজার বিষয় হল, কথা হওয়ার পর দিনই মেয়েটি ছেলেটার শহরে আসে দেখা করতে। ছেলেটার সাথে মেয়েটা মিট করলো সন্ধ্যার পরে এবং ছেলেটা মেয়েটিকে আইসক্রিম খাওয়ালো..।
এরপর ছেলেটার সাথে মেয়টার কথা হতো প্রতিদিন রাত, একপর্যায়ে মেয়েটা ছেলেটাকে প্রেম নিবেদন করে, মেয়েটার অ্যাটেনশন দেখে ছেলেটা ভাবতে লাগলো, মেয়েটা হয়তো সত্যি ভালোবেসে ফেলেছে।
এরপর মেয়েটি প্রেমের জাল বুনতে থাকে আর ছেলেটা সেই জালের ফাঁদে আসতে আসতে আটকা পরে। মেয়েটা এক দিন তার শহরে যেতে বল্লো ছেলেটা কে সকাল ১০ টায়। ছেলেটা সকাল ১০ টায় পৌঁছে গেলো.মেয়েটা বলেছিলো ১০ টায় পৌঁছে ফোন দিতে,ছেলেটা অনেক বার ফোন দিয়েও মেয়েটা ফোন ধরছিলো না।ছেলেটা মেয়েটার ফোনের অপেক্ষায় বসেই আছে--অপেক্ষার প্রহর যেনো কাটছে না!দুপুর ১২ টায় মেয়েটা ফোন দিলো আর বল্লো কথায় তুমি ছেলেটা তার অবস্থান ঠিকানা বলল মেয়েটা বলল ওই খানেই থাকো ১৫ মিনিট আমি আসতেছি।
ছেলেটা আবার অপেক্ষার প্রহর গুনছে--১ ঘন্টা পর মেয়েটা আসলো,এসে ছেলেটা কে বলল আমার গেস্ট আছে তাদেরকে নিয়ে ঘুরতে যাব,১ মিনিটে এই কথা গুলো বলে মেয়েটা চলে গেলো।
ছেলেটা মনে প্রশ্ন জাগে এমনটা তো হওয়ার কথা ছিল না, কিন্তু কেনো হলো এমনটা।এই প্রশ্নের উত্তর মিলাতে পারলোনা ছেলেটা,, আকাশের দিকে তাকিয়ে এক দির্ঘশ্বাস ফেলে ছেলেটা ফিরে আসলো বাড়িতে। ছেলেটার আর বুঝার বাকি রইল না।ছেলেটা বাড়িতে ফিরে এসে মেয়েটাকে আর ফোন+মেসেজ দেয়নি, আবার দুদিন পরে মেয়েটা ছেলেটাকে ফোন দেয়, ছেলেটা অভিমানে ফোন ধরতেছিল না, মেয়েটা মেসেজ দিল i love u আর বলতে লাগলো আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি। কিন্তু ছেলেটা কোন কিছুতেই বিশ্বাস এবং ভরসা করতে পারতেছিল না।
এরপর কমে গেল ফোন করা মেসেজ দেওয়া। মেয়েটা বারবার ছেলেটাকে মেসেজ দিতেই থাকতো একটা সময় ছেলেটা তার মেসেজের উত্তর দিতো। রাতে মেসেজে কথা চলতে চলতে মেয়েটি বলল আমি তোমার সাথে দেখা করতে চাই, বলো তোমার ঠিকানা কোথায় যেতে হবে কোথায় দেখা করবা। ছেলেটা রাজি হচ্ছে না কারণ তাকে আর বিশ্বাস করতে পারতেছে না। একটা সময় গভীর রাতে মেয়েটা তার ফেসবুকে ছেলেটির শহর উল্লেখ করে পোস্ট করল এই শহরে যদি কেউ আমার সাথে ফেসবুকে ফ্রেন্ডলিস্টে থাকেন প্লিজ হেল্প মি। মেয়েটার অ্যাটেনশন দেখে ছেলেটা বুঝতে বাধ্য হলো যে মেয়েটা আমাকে ভালোবাসে।
এরপর ছেলেটা মেয়েটাকে বলল ফেসবুক আইডিতে যে পোস্ট করেছো সেটা ডিলিট করে দিতে এবং মেয়েটা ডিলিট করে দিল।ছেলেটা মেয়েটার কাছে একটা প্রশ্ন করে বলল যে তোমার ফেসবুক আইডি যে নাম দিয়েছো সেটা কি ঠিক আমার মনে হয় পাল্টানো উচিত? মেয়েটা তাই আর এক মুহূর্ত দেরি না করে তার ফেসবুক আইডি নামটা চেঞ্জ করে ফেললো। ছেলেটা আবারও অবাক হয়ে গেল আমার জন্য মেয়েটা তার ফেসবুক আইডি নাম চেঞ্জ করে ফেললো তারমানে মেয়েটা আমাকে ভালবাসে, ছেলেটা বিশ্বাস করে ফেলল মেয়েটাকে।
২৩ শে অক্টোবর সন্ধ্যায় মেয়েটা ছেলেটাকে ফোন দিয়ে বলল এখন আসতে পারবা আমার সাথে দেখা করতে তোমাকে দেখতে ভীষণ ইচ্ছে করছে। ছেলেটি আর দেরি করলো না যে অবস্থায় আছে সে অবস্থাতেই রওনা দিল তার শহরের দিকে তার সাথে দেখা করার উদ্দেশে, মেয়েটার সাথে ছেলেটা দেখা হল দেখা হওয়ার পর মেয়েটা ছেলেটাকে প্রশ্ন করলো এখনও কি বলবে আমি তোমাকে ভালোবাসি না-ছেলেটা কোন উত্তর না দিয়ে চুপচাপ দেখা করে কিছুক্ষণ গল্প করার পর ছেলেটা তার বাড়িতে ফিরে আসলো। ছেলেটা বিশ্বাস এবং ভরসা করলো মেয়েটা অবশ্যই আমাকে সত্যি ভালোবেসে।
২৩ অক্টোবর থেকে দুজনেই ভালোবাসা প্রেমের বন্ধনে বেঁধে গেল, দুজনের শুরু হল নতুন করে নতুন জীবনের সূচনা এবং নতুন করে পথ চলা। তবে ছেলেটা হাজারো প্রশ্ন ছিল মেয়েটার কাছে কিন্তু মেয়েটার কোন প্রশ্ন ছিল না ছেলেটার কাছে। ছেলেটা মেয়েটাকে বারবার করে বলতো যে আমার কাছে কি তোমার কোন প্রশ্নই নেই, মেয়েটা বলতো আমার কোন প্রশ্ন নেই তোমার কাছে, ছেলেটা মেয়েটার বিষয়ে অনেক কিছু জানতে চায় এবং প্রশ্নের উপর প্রশ্ন করতে থাকে মেয়ে টা সব সময় ছেলেটা যতটুকু প্রশ্ন করতো মেয়েটা তার সেই প্রশ্নের উত্তর দিত কিন্তু মেয়েটার কোন ছেলেটার সম্পর্কে জানার ইচ্ছা ছিল না প্রশ্নও ছিল না। ছেলেটার মনের মধ্যে প্রশ্ন জাগে যে আমার কাছে তার কোন প্রশ্নই নেই কোন কিছু জানার ইচ্ছে নেই আমার ব্যাপারে।
তবে মেয়েটার সাথে ছেলেটার যখনই সাক্ষাতে দেখা হতো মেয়েটা অস্থির থাকতো যেনো তার মাথার মধ্যে অনেক কিছু নিয়ে ভাবছে এমন একটা অস্থিরতা কাজ করতো মেয়েটার মধ্যে অনেক ব্যস্ততা কাজ করতো। ছেলেটা প্রশ্ন করত তুমি স্থির থাকতে পারো কেন। এ কেনো র উত্তর মেয়েটা দিত না। ছেলেটিও কেনোর উত্তরটি পেল না।
মেসেজে মেয়েটির সাথে কথা বলতে বলতে"ছেলেটা মেয়েটাকে মেসেজ দিলে মেয়েটা অনেক লেট করে মেসেজ সিন করতে। আবার মেসেজে কথা বলতে বলতে মেয়েটা যখন সিন করতে দেরি করে তখন ছেলেটি imo তে যায় চেক করে মেয়েটা তখন imo তে লাইনে আছে। ছেলেটার মনের মধ্যে প্রশ্ন জাগে যে সে অন্য কারো সাথে কথা বলতেছে।
তবে মেয়েটা মেসেঞ্জার ইউজ করত না। ফেসবুক লাইট চালাইতো, কথা বললে ইমুতে কথা বলতো। যখন মেসেজ সিন হতে দেরি হতো তখন ছেলেটি ইমোতে চেক করতো ফোন দিয়ে দেখতো এনাদার কল তখন রাত দুইটা কি তিনটা বাজে"ছেলেটার মনে প্রশ্ন জাগে এত রাতে কার সাথে সে কথা বলতে পারে, ছেলেটা প্রথম প্রথম কিছু বলতো না সেই ব্যাপারে কারণ ছেলেটার প্রতি মেয়েটার যে পরিমাণ অ্যাটেনশন ছিল তাতে ছেলেটা ভেবেছিল সত্যি সে আমাকে ভালোবাসে। যখন মেয়েটা প্রতি রাতেই এরকম হওয়া শুরু হলো এরপর ছেলেটা মেয়েটাকে প্রশ্ন করল এত রাত্রে তুমি কার সাথে কথা বলো?
মেয়েটা তার উত্তর দিলো তার বোনের সাথে কথা বলেছে। ছেলেটা মেনে নিলো।
এভাবেই তখন ছেলেটা আবারো দেখে সব সময় মেসেজে কথা বলতে বলতে সে ইমুতে চলে যায়। ছেলেটার ও সন্দেহ হওয়া শুরু হলো। এরপর ছেলেটা মেয়েটার নারী নক্ষত্র ঘাটা শুরু করে, কারণ ছেলেটাও মেয়েটাকে ভালোবেসেছে। এভাবে করে যখন ছেলেটা মেয়েটার ভালোবাসার ফাঁদে ডুবে গেছে তখন ছেলেটার আর কিছু করার নেই। তখন মেয়েটার সাথে ছেলেটা কথা না বললে থাকতে পারতো না,ছেলেটা পুরোপুরি মেয়েটার প্রেমে ডুবে গেছিল।ছেলেটার তখন আর কোন কাজেই মন বসে না পৃথিবী যেন উলটপালট হয়ে গেল, কোন কাজে মন দিতে পারতেছে না।
খাওয়া"ঘুম"কর্ম"সবকিছু হারিয়ে গেল ছেলেটার জীবন থেকে, যেন পৃথিবীর সর্বোচ্চ সুখ মেয়েটার সাথে কথা বলতে। মেয়েটার সাথে কথা না বলে ছেলেটা থাকতে পারতো না, এরপর মেয়েটা অন্য কারো সাথে কথা বলতেছে এটা ছেলেটা বুঝতে পারতেছে কিন্তু মেয়েটা কোন ক্ষেত্রে সত্যিটা স্বীকার করতেছে না, ছেলেটার সন্দেহ থেকেই মেয়েটার কাছে বারবার প্রশ্ন করে কিন্তু মেয়েটা স্বীকার হয় না কোন না কোন একটা অজুহাত থাকেই। এরপর মাঝে মাঝে মেয়েটা একদিন দুইদিন ফোন ধরতো না মেসেজ করত না মেসেজের উত্তর দিত না, ছেলেটা জানতে চাইলেই কোন না কোন একটা অজুহাত দিত, কেউ অসুস্থ বা কেউ মারা গেছে আমি সেখানে ছিলাম তাই ফোন ধরতে পারিনি মেসেজ দিতে পারিনি, কিন্তু ছেলেটা জানতো এটা অজুহাত।
ছেলেটা মেনে নিল এভাবে কথা চলতে থাকে,ছেলেটার সন্দেহ থেকেই ঝগড়ার সৃষ্টি শুরু হলো, গভীর রাতে ঝগড়া করতে করতে একটা সময় মেয়েটা ছেলেটাকে বুঝাতে চায় কতটা ভালোবাসে মেয়েটা হাত কাটতো কেটে ছবি পাঠাতো আর ছেলেটাকে বোঝাতে চেষ্টা করত আমি তোমাকে অনেক অনেক ভালোবাসি। ছেলেটা তার রক্ত মাখা হাত কাটা দেখে বিশ্বাস করে নিতো সে আমাকে ভালবাসে। আবার সেই একই ভাবে ভালোবাসার শুরু, আবার সেই একইভাবে মেসেজ করতে করতে সিন করত লেট করলে ইমোতে যখন ছেলেটা চেক করে তখন একইভাবে দেখে ইমোতে অন্য কারো সাথে কথা বলতেছে-এনাদার কল। আবার ঝগড়া লাগতো ঝগড়ার শেষ হতো না এভাবে করে চলতে থাকলো কিছুদিন।
যখন ছেলেটা পুরোটাই মেয়েটার প্রেমে ডুবে গিয়েছে, তবে মেয়েটাকে সারাদিন ফোন দিলে ফোন ধরতো না তাকে মেসেজ করলো উত্তর দিত না, এ ব্যাপারে তাকে প্রশ্ন করলে সে উত্তর দিত আমার সারাদিনে বাড়িতে অনেক কাজ থাকে সেগুলো করি তাই ফোন হাতে নিতে পারি না সময় থাকে না, এভাবে করে অজুহাত দিত।ছেলেটা আবার মেয়েটাকে প্রশ্ন করতে লাগে যে তোমার এত কাজ যে তুমি ফোনটা সারাদিন একবারও হাতে নিতে পারোনা মানুষ তো বিপদে পড়েও ফোন দিতে পারে তোমাকে। মেয়েটা উত্তরে বলল আমার তোমাকে চাই আর অন্য কাউকে না।
ছেলেটা বলল আমি ফোন দিলেও তো তুমি ধরো না, আমিও তো তোমাকে বিপদে পড়ে ফোন দিতে পারি, মেয়েটা আর উত্তর দিতে পারলো না, কথাটা ঘুরিয়ে অন্যদিকে নিয়ে গেল। ছেলেটা তার নারী নক্ষত্র পুরোটাই জানার চেষ্টা। সব সময় দুজনের মধ্যে ঝগড়া লেগেই থাকত, আর মেয়েটা ছেলেটাকে কতটা ভালবাসে সেটা প্রমাণ করার জন্য ইমোশনালি ব্ল্যাকমেইল করতো। ছেলেটাকে বলতো তুমি যদি আমার জীবনে না থাকো আমি এই পৃথিবীতে থাকবো না, কারণ আমি তোমাকে ছাড়া বাঁচতে পারবো না, তোমার সাথে কথা না বললে আমার দম আটকে যায়, ছেলেটার সন্দেহ থেকে অভিমান করে মেয়েটার সাথে কথা বলা বন্ধ করলে, ফেসবুকে ব্লক করলে ফোন দিত না ধরলে মেসেজ করে মেয়েটা বলতো যে আমি এখনই ঘুমের ওষুধ খাব মরে গেলে ক্ষমা করে দিও, এরপর মেয়েটা ঠিকই ৪০-৫০ টা ঘুমের ওষুধ মুখে দিয়ে ছবি পাঠাত ছেলেটাকে।
আর বলতো তোমাকে ছাড়া বেঁচে থাকা অসম্ভব, ছেলেটা টেনশনে পড়ে যেত যদি সে কিছু অঘটন করে ফেলে, এই টেনশনে আবার কথা বলার শুরু ছেলেটি মেয়েটিকে ফোন দিয়ে বলতো আমি ভিডিও কলে আছি তুমি আমার সামনে সব ওষুধ গুলো ফেলে দাও মেয়েটা তখন ভিডিও কলে আসতো না, বলতো ফেলে দিয়েছি,কিন্তু মেয়েটার অভ্যাস আর পাঠালো না এই একইভাবে কখনো whatsapp কখনো imo কখনও মেসেজ আবার ঝগড়া লাগতো এরপর একটা সময় ছেলেটা থাকে অনেক অনুরোধ করলো বলল যে তোমার কি আরো কেউ ভালোবাসার মানুষ আছে মেয়েটা বলল না নেই।
ঝগড়া করতে করতে একটা সময় সে আবারও হাত কাটল এবং অনেকগুলো ঘুমের ওষুধ খেয়ে সবগুলো ছবি পাঠালো এবং তার ফোনটা বন্ধ করে ফেলল ছেলেটা অনেক টেনশননে, মেয়েটা সত্যি সত্যি কোন অঘটন ঘটায় ফেলাইলো না তো, এরপর ছেলেটা আর রাত্রে ঘুমাতে পারবো না সারাক্ষণ তার ফোনে ফোন দিতেই থাকতো, দুইদিন পরে মেয়েটা ফোন ওপেন করেছে ফোন দিতেই একজন ছেলে ধরলো। ছেলেটা কিছু বলল না ফোনটা কেটে দিলো, ছেলেটা মনে করছিল তার ভাই ফোনটা ধরেছে তাই কিছু না বলেই ফোনটা কেটে দিয়েছে।
এর পরে রাত্রে মেয়েটা ছেলেটাকে ফোন করলো আর বলল একটু আগে হসপিটাল থেকে আসলাম, মেয়েটা বলল ছেলেটিকে আমি তোমায় কতটা ভালোবাসি তুমি বুঝতে পারো না আমি সত্যি সত্যি তোমাকে অনেক ভালোবাসি।ছেলেটা আবারো মেয়েটার কথা বিশ্বাস করলো ছেলেটা ভাবতেছে মেয়েটা যদি ভালো না বাসতো তাহলে আমার জন্য এতটা পাগল কেন কেনই বা নিজের এত ক্ষতি করতেছে। এখন এখানে ছেলেটার সন্দেহ হলেই ছেলেটা কিছু বলতে গেলেই মেয়েটা হয় ঘুমের ওষুধ খাচ্ছে বা হাত কাটতেছে মন চাইলেও ছেলেটা আর কিছু বলতে পারছে না।
চুপচাপ নিরবে সহ্য করে যেতেই হচ্ছে ছেলেটাকে।মেয়েটা বারবার বুঝাতে চেষ্টা করতেছে ছেলেটাকে যে সত্যিই আমি তোমাকে আমার জীবনের থেকেও বেশি ভালোবাসি কিন্তু ছেলেটার সন্দেহ কিছুতেই কাটতেছে না। মেয়েটা ছেলেটার সন্দেহ দূর করার জন্য সব সময় প্রমাণ দিতেই মেয়েটি ব্যস্ত থাকতো এবং বুঝাতো যে তুমি আমাকে যে সন্দেহ করো তোমার সন্দেহ ভুল।
ছেলেটা একদিন রাতে মেয়েটার সাথে কথা বলতে বলতে মেয়েটার কাছে তার ফেসবুক পাসওয়ার্ড চায়, ছেলেটা বলল তুমি আমাকে দুই মিনিটের মধ্যে তোমার ফেসবুক পাসওয়ার্ড দেও, মেয়েটার মাথায় যেন আকাশ ভেঙ্গে পড়লো মেয়েটা ফেসবুক পাসওয়ার্ড দিয়ে দিল, কিন্তু মেয়েটার ফোনে ফেসবুক লগইন করা আছে অনলি মি মানে তার ফোনে ছাড়া অন্য কোথাও লগইন হবে না, কিন্তু ছেলেটা প্রথমবার পাসওয়ার্ড পাওয়াতে তার ফোনে লগইন করে ফেলছে, লগইন করার পর ছেলেটা চুপচাপ অন্য ছেলেদের সাথে যে কথা বলে সেগুলো চেক করতেছে, এর মাঝে মেয়েটা যার যার সাথে মেসেজে কথা বলতো সেগুলো ডিলিট করে ফেলছে, কিন্তু ছেলেটা যে মেয়েটার ফেসবুক আইডি লগইন করে ফেলছে সেটা আর মেয়েটাকে বলতেছে না।
এবার বের হলো মেয়েটার আসল রহস্য। মেয়েটা একই ভাবে হাজারো পুরুষের সাথে কথা বলে কম বয়স্ক ছেলেদের সাথে মধ্যবয়স্ক লোকদের সাথে এবং বয়স্ক লোকদের সাথে সে একই প্যাটেনে কথা বলতো, হাজারো মানুষের সাথে যেমনটা ছেলেটার সাথে কথা বলত। ছেলেটার ফোনে মেয়েটার আইডি লগ ইন সেই রাতে হাজারো পুরুষ মেয়েটাকে একের পর এক sms দিয়ে চলেছে, আর মেয়েটার আইডিতে যাতে কেউ এসএমএস না করে সেটা ঠেকাতেই ব্যস্ত, সবাইকে ইমুতে না করতেছে কাউকে আবার ফোন দিয়ে কাউকে আবার সিম নাম্বার দিয়ে এসএমএস করে, সবাইকে বোঝানোর চেষ্টা করতেছিলো যে আমার আইডি হ্যাক হয়ে গেছে কেউ এসএমএস দিলে কোন প্রকার কোন উত্তর যেন না দেয়।
ভালোবাসায় প্রতারিত হয়েছে ছেলেটা বোঝার আর বাকি রইল না।খুব বিশ্বাস করে কাউকে নিজের জীবনের অধিকার সঁপে দিয়েছে ছেলেটা, আর তারপর নিজের চোখে দেখে যে,সেই মেয়েটা হাজারো পুরুষের সঙ্গে প্রেমে ও যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছে। মেয়েটা হলফ করে বারবার বলে মাথা উঁচু করে আমি তোমাকে আমার জীবনের থেকেও বেশি ভালোবাসি। ছেলেটার বিশ্বাস হয় না, কিছুতেই বিশ্বাস হয় না, পৃথিবীতে কেউ কাউকে এত ভালবাসতে পারে? কিন্তু সেই মেয়েটা ছেলেটাকে বিশ্বাস করায়। ক্রমশ একসময় স্থান করে নেয় ছেলেটার মন-মস্তিষ্কে-জীবনে। তারপর একদিন যখন ছেলেটা সত্যি সত্যি ভালোবেসে ফেলল তাঁকে, ছেলেটার গোটা অস্তিত্ব যখন কেবলমাত্র তার জন্য বরাদ্দ হয়, তখন আস্তে আস্তে বের হয় ভালোবাসার "সত্যিকারের" চেহারা।
ওয়াদা গুলো মিথ্যা হয়ে যায়, অনুভবগুলো বিবর্ণ হয়ে যায়, বিশ্বাস হয়ে দাঁড়ায় সবচাইতে মূল্যহীন বস্তু। একদিন ছেলেটা আবিষ্কার করে যে ঠিক যখন ছেলেটা মেয়েটাকে ভালোবেসে বুকে জড়িয়ে ধরতো আর, তার কিছুক্ষণ আগেই সে অন্য কারো সাথে যৌন সম্পর্কে করে এসেছে। রাতের পর রাত জেগে থাকতো ছেলেটা, মেয়েটার একটি ফোন বা মেসেজের অপেক্ষায়, সেই মেয়েটা জাগিয়ে রেখেছে অন্য কারো সাথে ফোন সেক্স টাইপ কার্যকলাপে ব্যস্ত একই প্যাটানে হাজারো পুরুষের সাথে।
ছেলেটা তার জন্য রাত জেগে বসে আছেন ফেসবুকে, আর সে তখন কারো সাথে নগ্ন ভিডিও চ্যাট করতে ব্যস্ত। মেয়েটা ছেলেটাকে অজুহাত দিয়ে বলতো আমি অসুস্থ বা আমার ঘুম লেগেছে আমি ঘুমাবো তখন সে অন্য ফেসবুক আইডিতে ব্যস্ত এবং ইমোতে, কিন্তু সে ঠিকই কাজের বাহানায় ঘুরে বেড়াচ্ছে অন্য কাউকে নিয়ে। হ্যাঁ, বেশিরভাগ ভালোবাসায় প্রতারণা ঘটে তৃতীয় আরেকটি মানুষের জন্য। কিন্তু মেয়েটার তৃতীয় ব্যক্তি বলতে হাজারো পুরুষ ছিল।এবং সত্যি কথা বলতে কি, পৃথিবীতে কিছু মানুষই আছে এমন, যারা কিনা কখনো একজন মানুষ নিয়ে ভালো থাকতে পারে না। তাদের ভিন্ন ভিন্ন মানুষ চাই নিজের যৌন স্বাদ বদলের জন্য।
তারপরও মেয়েটা মাথা উঁচু করে ছেলেটাকে বলতে লাগলো আমি শুধু তোমাকে ভালোবাসি তোমাকে ছাড়া বেঁচে থাকা অসম্ভব আমার, আমি তোমার জন্য সবকিছু ছাড়তে পারবো। তোমার জন্য সবকিছু ছেড়ে দিয়ে তোমার কাছে চলে যাব,মেয়েটা ছেলেটাকে ভালোবাসে সেই বিশ্বাস করানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।কিন্ত মেয়েটা ছেলেটার বুকে হাত দিয়ে কসম দিয়ে বলেছিলো,যে আমি তোমার সাথে ছাড়া অন্য কারও সাথে কথা বলিনা, তোমার বুকে হাত দিয়ে আমার ভালোবাসার কসম দিয়ে বলতেছি তোমার সাথে ছাড়া অন্য কারো সাথে কথা বলিনা।
সে তার আরো কিছু প্রিয় মানুষ দের কে নিয়ে কসম করে বলে। ছেলেটা ভাবতে লাগলো যে আমাকে যুদি ভালো না বাসতো তা হলে কসম কাটতো না।এত কিছুর পরেও ছেলেটার কিছু করার নেই কারন ছেলেটা মেয়েটার প্রতি দুর্বল হয়ে গেছে,, মেয়েটার ফেসবুক আইডি সারা রাত চেক করার পর ছেলেটা মেয়েটাকে বললো যে তোমার এই আইডি টা নষ্ট করতে হবে একিবারে ডিলেট করতে হবে। মেয়েটাও বললো সেটাই ভালো হবে।২ জনের সিদ্ধান্তে আইডি টা ডিলেট করা হলো।এত কিছু নিজের চোখে দেখার পরে ছেলেটার মনে প্রশ্ন জাগে এর আগে যে এতগুলো কসম কাটার পরেও যে মানুষটা আমার সাথে যেভাবে কথা বলতেছে সবার সাথে একইভাবে কথা বলতেছে সবার সাথে একইভাবে তার প্রেম চলতেছে হাজারো পুরুষের সাথে। এরপর ছেলেটার আর বোঝার বাকি রইল না যে মানুষটা এতগুলা কসম কাটার পরেও এগুলো করতে পারে আর যাই হোক সে আমাকে ভালবাসতে পারেনা।
এরপর তাদের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয় কিন্তু ছেলেটা মেয়েটাকে ছাড়তে পারতেছে না, ছেলেটা মেয়েটাকে পরামর্শ দিল এবং বললো যে আমার কাছে যতটুকু মনে হয়েছে তোমার টাকার অভাব নেই কিন্তু এতগুলো মানুষের মধ্যে তুমি একজন তোমার মন মত মানুষ নির্বাচন করো এবং তাকে তোমার সবটুকু ভালোবাসা উজার করে দিও। মেয়েটা বলল আমি তো তোমাকে ছাড়া আর কিছু চাই না আমি শুধু তোমাকে চাই এরপর ছেলেটা বলল তুমি ভেবেচিন্তে সময় নিয়ে ডিসিশন নেও। ছেলেটা বলল তোমার সিম গুলো ভেঙে ফেলতে হবে, মেয়েটা ৪ টি সিম ব্যবহার করত। মেয়েটা ছেলেটাকে ভালোবাসে এটা প্রমাণ করার জন্য সে সিম গুলো ভেঙে দিতে চাইলো কিন্তু সময় নিলো যে সিমের মধ্যে কিছু নাম্বার আছে সেগুলো সে লিখে রাখবে তারপর সে গুলো ভেঙ্গে দিবে। ছেলেটি বলল ঠিক আছে, ছেলেটা কিছুতেই মানে নিতে পারতেছে না।মেয়েটার এত কিছু জানার পরও যে একটা মানুষ সে গুছিয়ে এত মিথ্যা কথা বলতে পারে।
ছেলেটা দুই দিন ধরে রাগ করে মেয়ের ফোন ধরে না। তখন মেয়েটা ছেলেটাকে যে সত্যিকারের ভালোবাসে সেটা প্রমাণ করার জন্য, অন্য আরেকজন মেয়েকে দিয়ে ফোন দেওয়ায় এবং এসএমএস করায়। তখন মেয়েটা ছেলেটাকে বলে যে আপু আপনাকে অনেক ভালোবাসে প্লিজ ভাইয়া আপুকে শেষবারের মতো একটা সুযোগ দেন আপু আপনাকে সত্যিই অনেক ভালোবাসে আপনার জন্য অনেক কষ্ট পাচ্ছে খাওয়া-দাওয়া সব ছেড়ে দিয়েছে। প্লিজ আপনি আপুর সাথে একটু কথা বলেন অনেক রিকুয়েস্ট করলো।
এরপর মেয়েটা তার অশ্রু ভেজা চোখে ছবি পাঠালো ছেলেটাকে যে আমার অনেক কষ্ট হচ্ছে তোমাকে ছাড়া বেঁচে থাকা অসম্ভব আমার নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসতেছে। ছেলেটা মেয়েটাকে বলল তুমি সময় নিয়ে ডিসিশন নাও, মেয়েটা বলল তোমাকে ছাড়া আমি আর কিছু চাই না, এরপর মেয়েটা অনেক কিছু হাতে নিয়ে এবং তার প্রিয় পাঁচজনের কসম দিয়ে ওয়াদা করলো এবং কথা দিল ছেলেটাকে আর কোনদিন সে এরকম ভুল করবে না এবং অন্য কারো সাথে কথা বলবে না। এবং কি আজ থেকে ছেলেটাকে একটা মিথ্যা কথাও বলবে না। কোনদিন imo চালাবে না হোয়াটসঅ্যাপ চালাবে না এই কথা দিল ছেলেটাকে। এরপর নতুন দুজনের ডিসিশনে মেয়েটার নতুন একটা ফেসবুক আইডি খোলা হল। এবং সেখানে সেই ফেসবুক আইডির ফ্রেন্ড লিস্টে থাকবে শুধু তার কাজিন গুলো ছাড়া বাইরে কেউ থাকতে পারবেন না। মেয়েটা নতুন আইডি খুলল এবং প্রতিদিন কথা চলতে থাকে।
ছেলেটা আর মেয়েটার ফেসবুক আইডির পাসওয়ার্ড নিল না। কারণ মেয়েটাকে একটা শেষ সুযোগ দিল বিশ্বাস করে। মেয়েটা নতুন সিম কিনলো কিন্তু একটা নয় তিন থেকে চার টা সিম কিনলো দুই তিন দিনের মধ্যে এবং সেটাও ছেলেটাকে বলল প্রত্যেকটা নাম্বার দিল। ছেলেটা ভাবছে একটা মানুষ একটা সিম হলে যথেষ্ট কিন্তু এতগুলা সিম কেনো কিনলো?ছেলেটার মনে আবারো প্রশ্ন জাগে।
এরপর মেয়েটা ছেলেটাকে যে ভালবাসে সেটা সবার কাছে প্রকাশ করে, অনেকের সাথে পরিচিত করায় দেয় যে আমি তাকে ভালোবাসি, তারপরও পরিবারের সাথে পরিচিত করায় তার বোনদের সাথে পরিচিত করায় ছেলেটার মনে প্রশ্ন জাগে যে আমাকে যদি ভালো না বাসতো তাহলে এই মানুষগুলোর সাথে আমাকে পরিচিত কেন করালো এবং এই মানুষগুলোকে কেনইবা বলল যে আমি তাকে ভালোবাসি।
এখানে একটা ইন্টারেস্টিং ব্যাপার রয়েছে, মেয়েটা আর ছেলেটা যখন দেখা করত মেয়েটা তখন প্রাইভেসির জন্য কিছু ছেলে কে গাইডার হিসাবে রাখত চারপাশে কে কোথায় গাইডার হিসেবে আছে, সেটা ছেলেটা জানতো না, কারা কারা গাইডার হিসেবে আছে সেটা ছেলেটা জানতো না, শুধু জানতো আমরা যে দেখা করতেছি চারপাশে গাইডার আছে, ছেলেটা মনে মনে ফিল করে যে আমি যেনো প্রাইমমিনিস্টার যাচ্ছি তার সাথে সাক্ষাৎ করতে।
এরপর একদিন মেয়েটা বলল যে আজকে সন্ধ্যায় আসবে আমার সাথে দেখা করতে তখন কনকনে শীত ছেলেটা মেয়েটার সাথে দেখা করার উদ্দেশে তার শহরে ছেলেটা চলে যায় সময় আনুমানিক রাত ৮-৯ বাজে তখন মেয়েটার শহরে গলিতে দেখা করে এবং সে সময় সেই শহরে কিছু ছেলে তাদেরকে আটকিয়ে দেয় এবং আস্তে আস্তে ছেলের সংখ্যা বাড়তে থাকে, এবং লোকজনের সংখ্যা বাড়তে বাড়তে প্রায় ৮০-৯০ জন হয়ে যায়। সেই পরিস্থিতিতে ছেলেটা কি বলবে ভাবছে এমন সময় মেয়েটা ছেলেটার বাম হাতটা চেপে ধরে সবার সামনে বলে দিল যে তাকে আমি ভালোবাসি এবং তার সাথে আমার হার্ট বিটের সম্পর্ক।
ছেলেটা অবাক হয়ে গেল তার ভালোবাসার প্রকাশটা যেভাবে করল এতগুলো মানুষের সামনে এবং কি সেগুলো তার শহরের মানুষ এবং সবগুলোই তার পরিচিত। এরপর মেয়েটার গাইডার যারা ছিল তারা পলিটিক্যাল পাওয়ারফুল ছিল। তারা এসে সবার সামনে বলব ওদের সম্পর্কটা আমরা জানি ওরা দুজন দুজনকে ভালোবাসে, সেখানে সমস্যার সমাধান হলো এবং ছেলেটা বাড়ি ফিরে এলো এবং মেয়েটাও বাড়ি ফিরে গেল।
যতদিন যাচ্ছে মেয়েটার ভালোবাসার অ্যাটেনশন দেখে ছেলেটা ততই অবাক এবং মুগ্ধ হচ্ছে এবং ছেলেটা ভাবছে যে মেয়েটা আমাকে সত্যিই অনেক ভালোবাসে না হলে হাজার মানুষের মানুষের সামনে আমাকে ভালবাসে এবং হার্টবিটের সম্পর্ক আমার সাথে তার এটাও প্রকাশ করল। এভাবে করেই ভালোবাসার দেওয়াল আস্তে আস্তে উঁচু হতেই থাকে। মেয়েটার সাথে ছেলেটার দেখা হতো সপ্তাহে দুইদিন বা মাঝে মাঝে তিন দিন কিন্তু দেখা করার সময় একটাই সন্ধ্যার পরে। এভাবেই চলতে থাকে ভালবাসার গল্প মান অভিমান সন্দেহ মাঝে মাঝে ঝগড়া কিন্তু কারো সাথে কথা না বলে থাকতে পারতো না।
আবার আরেকদিন বলল যে আজকে আসবা দেখা করতে আমার সাথে ছেলেটি আবার তার দেখা করার উদ্দেশে ছুটে চলে যায় তার শহরে ছেলেটা যাওয়ার পর অনেকক্ষণ অপেক্ষা করে ফোন দেয় কিন্তু মেয়েটা ফোন ধরে না। তখন প্রায় রাত আনুমানিক ৯ টা তখন মেয়েটা ফোন দেয় বলল তুমি কোথায় ছেলেটা তার অবস্থান ঠিকানা বলল মেয়েটা বলল সেখানে দাঁড়াও আমি আসতেছি।মেয়েটা আসলো দেখা হল, কিন্তু মেয়েটাকে অনেক অস্থির অস্থির মনে হচ্ছিল এবং তার অস্থির মেন্টালিটি দেখে ছেলেটার মানে প্রশ্ন জাগে যে তাকে যে সময় দেখা করার কথা কিন্তু দুই ঘন্টা পরে আসলো এবং দেখা করেই চলে যাইতে চাচ্ছে এমনটা দেখে ছেলেটা বুঝতে পারে যে সে অন্য কারো সাথে যৌন মিলন করে আসলো ছেলেটার বোঝার আর বাকি থাকলো না।
ছেলেটা কিছু না বলেই ওখান থেকে চলে আসলো,তবে কোনদিন এই ব্যাপারে মেয়েটাকে কোন প্রশ্ন করেনি ছেলেটা। ছেলেটার কোনমতেই সন্দেহ কাটে না মেয়েটার চালচলন এবং অস্থিরতা মেন্টালিটি দেখে।আবার তাদের মধ্যে ঝগড়া লেগেই থাকবে সবসময় রাতের যখন মেয়েটা ছেলেটার সাথে ভিডিও কলে কথা বলতো তখন মেয়েটা অন্য কাউকে এসএমএস এর উত্তর দিচ্ছে ইমোতে বা অন্য কোন আইডিতে সেটা ছেলেটা বুঝতে পারত। আবার অনেক রাতে তার ফোনে ফোন ঢুকতো সেটাও ছেলেটা বুঝতে পারত। ছেলেটা জানতে চাইলে বলে যে নেটওয়ার্কের সমস্যা এভাবে করে চলতে থাকে।
মেয়েটা যে নতুন একটা আইডি খুলেছে সেই আইডিতেই মেয়েটার সাথে কথা হয়। আবার একদিন সেই ছেলেটা মেয়েটার আইডি পাসওয়ার্ড নিলো, পাসওয়ার্ড নেওয়ার পর দেখলো তার যে আইডিটা নষ্ট করা হয়েছে সেই আইডিতে যতগুলো মানুষের সাথে তার নগ্ন কথা হতো এবং অশ্লীল ভিডিও কথা হতো সেই মানুষদের সাথে যোগাযোগ আছে এবং প্রতিনিয়ত কথা হয়।এবং আরো নতুন করে কিছু এড করেছে যেটা ছেলেটা জানতো না। ছেলেটা মেয়েটার ফেসবুক আইডি লগইন করার পর দেখে অনেক মানুষ মেয়েটার কাছে তার অশ্লীল ফটো চাচ্ছে এবং ইমুতে ভিডিও কলে আসতে বলতেছে, এবং নগ্ন ছবি পাঠাচ্ছে, বিভিন্ন জন বিভিন্ন ভাবে দেখা করতে বলতেছে, এগুলো দেখার পর ছেলেটা মেয়েটাকে প্রশ্ন করল যে তুমি আবার এই মানুষগুলোর সাথে যোগাযোগ রাখছো। মেয়েটি উত্তর দিল আমি জানি না কিভাবে আমার আইডিটা পেয়েছে হলফ করে মিথ্যা কথা গুছিয়ে বলে দিল ছেলেটাকে।
মেয়েটা তবুও মাথা উঁচু করে বলতেই থাকে আমি তোমাকে ভালোবাসি তোমাকে ছাড়া বেঁচে থাকা অসম্ভব, ছেলেটা ভাবতে লাগলো যে এত কসম কাটার পরও যে কসমগুলা সে করেছে এবং যেভাবে ওয়াদা করেছে এরপরও এই মানুষটা কিভাবে এরকম করতে পারে। ছেলেটাও মেয়েটাকে ভালবেসে ফেলেছি কিছু করার নেই, মেয়েটা বারবার করে একের পর এক ভুল করে যাচ্ছে, ছেলেটাও তার ভুলগুলো যেন সুত্রায়ে নেয় সেই জন্য মেয়েটাকে বুঝাচ্ছে, আবার সেই আইডি টাও নষ্ট করার একেবারে ডিলিট করার ডিসিশন হলো সেই আইডিটাও ডিলিট হয়ে গেল।
এরপর আবার নতুন করে মেয়েটা আইডি খুললো। সেই আইডিতেই তার সাথে কথা হতো ভিডিও কলে এবং কি মেসেজে, তবে ভিডিও কলে কথা বলতে বলতে মেয়েটা যে অন্য কারো সাথে কথা বলতেছে বা কারো এসএমএস এর উত্তর দিচ্ছে সেটা ছেলেটা বুঝতে পারে। ছেলেটা বুঝে গেছে যে সে এখনো ইমো চালায় এবং অন্য আরো ফেসবুক আইডি চালায়। এবং অন্য আরো চার-পাঁচটা সিম ব্যবহার করে সেটা ছেলেটা বুঝে গেছে। কিন্তু করার কিছু নাই ছেলেটাও মেয়েটাকে ভালোবেসে ফেলেছি সহ্য করতে হচ্ছে সবকিছু।
আবার এদিকে মেয়েটার মাথা উঁচু করে বলতেছে আমি তোমাকে ছাড়া বাঁচবো না তোমাকে ছাড়া বেঁচে থাকা অসম্ভব, তোমার সাথে কথা না হলে আমি নিঃশ্বাস নিতে পারি না।এরপর মেয়েটা আবারো বলল যে আমার সাথে দেখা কর। সেদিন মেয়েটা ছেলেটাকে সারাদিন সময় দিয়েছে এবং সে ছেলেটাকে ভালবাসে সেটা বোঝাতে চেষ্টা করছে। ছেলেটাকে এত কিছু নিজের চোখে দেখার পরে মেয়েটা যে তাকে বলতেছে আমি তোমাকে ভালোবাসি সেটার হিসেব মিলাতে পারছি না। ছেলেটা ভাবতেছে সে আমাকে ভালোবাসে না, আবার এটাও ভাবতেছে ভালো যদি নাই বাসতো তাহলে সে আমাকে এত সময় দিচ্ছে কেন। কেনই বা আমার পিছনে এভাবে লেগে আছে সে ইচ্ছা করলেই আমার সাথে সম্পূর্ণ যোগাযোগ বন্ধ করে দিতে পারতো।
একইভাবে তাদের কথা বলা চলতেই থাকে। কথা চলতে চলতে মেয়েটা ছেলেটাকে বলল চলো আমরা একদিন দূরে কোথাও ঘুরে আসি দুজনে ছেলেটা রাজি হল এবং দুজনে বাইরে যাওয়ার প্রিপারেশন নিচ্ছি কবে যাবে এবং দুজনেরই সময় মিলবে। দূরে কোথাও ঘুরতে যাবে সেটার দিন ঠিক করা হলো, দূরে কোথাও যাওয়ার ঠিক দুই দিন আগে ছেলেটার সাথে মেয়েটা সন্ধ্যায় ফোনে কথা বলতেছিল লাইনে থাকা অবস্থায় কেউ যেন তাকে ফোন দিল এবং মেয়েটা বলল একটু ওয়েট করো কিছুক্ষণ পরে কথা বলতেছি। ছেলেটার মনে সন্দেহ হলো, ছেলেটা মেয়েটার ফোনের অপেক্ষায় করতেছিলো, মেয়েটা ফোন দিচ্ছে না, ছেলেটা বারবার করে মেয়েটাকে ফোন দিচ্ছে কিন্তু মেয়েটা ধরতেছে না।
তাই ছেলেটার আর বোঝার বাকি রইল না, আনুমানিক রাত ৯ঃ৩০ এ মেয়েটা ফোন ধরলো এরপর বলল আমি বাইরে আছি পরে কথা বলছি, মেয়েটা বাসায় ফিরে এসে ছেলেটাকে ফোন দেয় দিয়ে এমন ভাবে কথা বলল সত্যিটা লুকানোর জন্য, অনেকক্ষণ কথা বলল মিষ্টি সুরে মিষ্টিভাবে, এর পরে বলল আমি গোসল করে আসি তখন আনুমানিক রাত ১০ঃ৩০ ছেলেটা তার ফোনের অপেক্ষা করতেছে, আসার পরে ছেলেটাকে ভিডিও দিল এবং স্বাভাবিকভাবে কথা বলতেছে যেন সে কোন অপরাধ করেনি, ছেলেটা বলতে লাগলো আমাকে ঠকানো হচ্ছে আবার, এরপর ছেলেটা মেয়েটাকে বলল তুমি আজকে কোথায় গিয়েছিলে কার সাথে গিয়েছিলে কি করেছিলে সত্যিটা আমাকে বলবে প্লিজ, মেয়েটা রেগে গেল এবং বলতে লাগলো তুমি এখনো আমাকে সন্দেহ কর, আমার উপর আমার কোন বিশ্বাস নেই।
এরপর ছেলেটা বলল তুমি কোথায় গিয়েছিলে কি করেছিলে আমি সব সত্যিটা জানি, মেয়েটা বলল তুমি বলো সত্যিটা, ছেলেটা বলল তুমি যে আমাকে সত্যি কথা বল সেটা প্রমাণ করার জন্য তুমি আমাকে সম্পূর্ণ সত্যিটা বল তাহলে বুঝবো যে তুমি আমাকে সত্যিটা বল সব সময়, একপর্যায়ে রাগারাগি হয়ে মেয়েটা ফোনটা রেখে দিল, মেয়েটা পরে বলল যে আমার একজন বন্ধু এসেছিল প্রাইভেট কার নিয়ে তাই তার সাথে ঘুরতে গিয়েছিলাম, ছেলেটা বলল এত রাতে তুমি একটা মেয়ে মানুষ একটা ছেলের সাথে প্রাইভেট কারে ঘুরতে গেলে? তখন মেয়েটা রেগে গিয়ে বলল আমি গাড়িতে মারা দিতে গেছি, সেই সন্ধ্যায় সে অন্য কারো সাথে যৌন মিলন করে আসছে সেটা বোঝার আর বাকি রইল না ছেলেটার।
মেয়েটা একজন যৌনকর্মী এবার সত্যিটা বুঝে গেল ছেলেটা। এরপর মেয়েটা হাত কাটল এবং ছেলেটাকে বলল যে আমি তোমাকে ছাড়া বাঁচতে পারবো না।
মেয়েটার ছেলেটা দুজনেই যতক্ষণ সময় একসাথে থাকতো সেই সময় মেয়েটার যে ফোন কল গুলো আসতো সে গুলো ধরত না।সব সময় মেয়েটা ফোন সাইলেন্ট থাকতো-সে কারো ফোন ধরতো না,ফোন ধরতো না এই জন্য যে"""কেউ যেনো না দেখে সে অন্য কারো সাথে কথা বলতেছে।
কারো সাথে ফেসবুকে--কারো সাথে ইমোতে কারো সাথে সিম মেসেজ এই সারাক্ষণ চলতেই থাকতো..তবে মেয়েটার মেসেজ করার হাতের টাইপ খুবই স্পীড ছিলো। মেয়েটা ফোন ব্যবহার করতো ৩ টা তার মধ্যে স্মাট ২ টা আর কিপেট ছোট ফোন এক টা।এই গুলো ছেলেটা আস্তে আস্তে বুঝতে পারে, কিন্তু ছেলেটা এই বেপারে কোনো কিছু বলেনি। আর ছেলেটা বলেই বা কি লাভ হবে সে অজুহাত দিবে,তবে মেয়েটার শহরে সব পাওয়ারফুল এবং প্রভাবশালী লোকদের সাথে তার যোগাযোগ চলাফেরা। তাই ছেলেটার বোঝার আর বাকি রইল না। ছেলেটা মেয়েটাকে কিছু বললেই মেয়েটা এমন ভাবে কথা বলত যে ছেলেটা যেন দ্বিতীয়বার কোন প্রশ্ন না করে তবে গুছিয়ে মেয়েটা সত্যগুলা চাপা রেখে মিথ্যাটাকে সত্যি করে তুলতো। এরপর ছেলেটা আর মেয়েটা যে দিন ঠিক করেছে তারা লং ড্রাইভ এ কোথাও ঘুরতে যাবে, মেয়েটা সময় দিলো এবং তারা দুজনে বাসে করে লং ড্রাইভে চলে গেল যে সময়টা শুধু দুজনেরই হবে।
সেখানে মেয়েটার ফোন আসে এবং সেগুলো ধরে এবং তার সাথে যেভাবে মানুষ কথা বলতেছে সেটা ছেলেটা শুনে বুঝতে পারতেছে যে এই ফোন নাম্বারটা সবাইকে দিয়েছে এবং সবার সাথে আগের মতই যোগাযোগ রয়েছে, কেউ ফোন দিলে বলতো মেয়েটাকে যে আমাকে আপনার ফোন নাম্বারটা আরেকজন দিয়েছে আপনি নাকি ফোন দিতে বলেছেন, তখন মেয়েটার উত্তর দিত আমি আগে ওর সাথে কথা বলি পরে জানাবো এই বলেই ফোন রেখে দিত। লং ড্রাইভে দুজনে সময় কাটানোর পর বাড়ি ফেরার পথে বাসের মধ্যে দুজনে বসে এবং মেয়েটা ছেলেটার হাত ধরে আছে এবং মাঝে মাঝে কাঁধে মাথা দিয়ে থাকতো ছেলেটা জানালায় আশা বাতাস অনুভব করতেছে আর মেয়েটাকে নিয়ে ভাবছে সে কি আমাকে সত্যিই ভালোবাসে এটার হিসাব মিলাচ্ছে কিন্তু কিছুতেই এই হিসাবটা