Views as

Views as mymensingh Agricultural University Dhaka Bangladesh
(1)

 #ঝিনাইদহের ৪ আসনের ভাইয়েরা একটু মিষ্টি বিতরণ করুন দয়া করে। ৩০০ গ্রামবাসী গিয়েছিল  এমপি আনোয়ারুলের কাছে। সোহানকে ছেড়ে দি...
24/05/2024

#ঝিনাইদহের ৪ আসনের ভাইয়েরা একটু মিষ্টি বিতরণ করুন দয়া করে।
৩০০ গ্রামবাসী গিয়েছিল এমপি আনোয়ারুলের কাছে। সোহানকে ছেড়ে দিতে অনুরোধ করেছিল তারা। বলেছিল, তারা সামনে আ'লীগ করবে। কিন্তু এমপি বললঃ আ'লীগ করার লোকের নাকি অভাব নেই।

এরপর ২০ এপ্রিল ২০১৬ তারিখে কালীগঞ্জ থেকে প্রায় ৫০ কি.মি. দূরে চুয়াডাঙ্গায় সোহানের গু*লিবিদ্ধ লা*শ পাওয়া যায়। সকালে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভুলাটিয়ার মাঠে ডান হাত ভাঙ্গা, বাম চোখ উপড়ানো মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায় শহীদ মহিউদ্দীন সোহানের।

কান্নায় ভেঙে পড়ে সোহানের গ্রামবাসী! তারা তাদের শ্রেষ্ঠ একটি সন্তানকে হারিয়ে ফেললো।

শহীদ সোহানের মা সেদিন আর্তনাদ করে বলেছিলেন "মারবেই যখন আমার বাবুটারে। চোখ দুইটা তুইল্যা নিলো ক্যান বাবুর??"

এই পোস্টটি রইলো! বাংলাদেশে একদিন এমন দিন আসবে যেদিন একজন আওয়ামীলীগার খুজে পাওয়া যাবে না ইনশাআল্লাহ।

এই জালিম এম পি আনোয়ারুল ভা*রতে নিজের অবৈধ সিন্ডিকেটের হাতেই খণ্ডবিখণ্ড গলিত মলিত লাশ হয়ে পড়ে আছে।

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা তাকে তার উত্তম পাওনা মিটিয়ে দিক।

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহীম রাইসি হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন খবর টা শোনার...
20/05/2024

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহীম রাইসি হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন খবর টা শোনার পর থেকে হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে,আল্লাহ পাক উনাকে জান্নাতুল ফেরদৌসের উচ্চ মোকাম দান করুন।আমিন🤲🤲

মনে হয় অল্প কিছুদিনের মধ্যে জাংগিয়া দৌড় শুরু হয়ে যাবে
18/05/2024

মনে হয় অল্প কিছুদিনের মধ্যে জাংগিয়া দৌড় শুরু হয়ে যাবে

এবার নেপালেও নিষিদ্ধ হল ভারতীয় সকল মসলা #বয়কট  #ভারত  #নেপাল
17/05/2024

এবার নেপালেও নিষিদ্ধ হল ভারতীয় সকল মসলা
#বয়কট #ভারত #নেপাল

কেন কষ্ট কষ্ট লাগে,,,,,,😀
16/05/2024

কেন কষ্ট কষ্ট লাগে,,,,,,😀

14/05/2024
গরম খবর 🫥🫥
12/05/2024

গরম খবর 🫥🫥

11/05/2024

মি.বিষ্ট নতুন ভিডিও দেখুন বাংলায়

11/05/2024

ডলারের জন্য ঋণদাতাদের দুয়ারে দুয়ারে সরকার, ২০০ কোটি ডলার পেতে মরিয়া

07/05/2024
02/05/2024

বেনজিরের দুর্নীতি চাপিয়ে রাখার জন্য
মিল্টন সমাদ্দারের কাহিনী সামনে এনেছে আওয়ামী লীগ সরকার।

দেশের গণমাধ্যমে ভুয়া খবরের সংখ্যা বেড়েছে ৩ গুণভুয়া খবর প্রচারে টানা চতুর্থবারের মতো শীর্ষে 'সময় টিভি'!গত কয়েক বছরের তুলন...
02/05/2024

দেশের গণমাধ্যমে ভুয়া খবরের সংখ্যা বেড়েছে ৩ গুণ
ভুয়া খবর প্রচারে টানা চতুর্থবারের মতো শীর্ষে 'সময় টিভি'!

গত কয়েক বছরের তুলনায় গত বছর দেশের গণমাধ্যমগুলোতে ভুয়া খবর বেশি প্রকাশিত হয়েছে। বাংলাদেশে ফেসবুকের ফ্যাক্ট চেক পার্টনার বুম বাংলাদেশ গত বছর দেশের গণমাধ্যমে ৪৪টি ভুয়া ও বিভ্রান্তিকর খবর চিহ্নিত করেছে। এর আগের বছর বুম বাংলাদেশ ১৬টি ভুয়া খবর চিহ্নিত করেছিল।

বুম বাংলাদেশের তথ্য অনুযায়ী, আগের বছরগুলোর তুলনায় ২০২৩ সালে গণমাধ্যমে ভুয়া খবর প্রকাশের সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বেশি ছিল। ফেসবুকে শেয়ার হওয়া ভুয়া খবর চিহ্নিত করে গণমাধ্যমগুলোর রেটিং করেছে তারা।

বুম বাংলাদেশ ২০২০ সালে দেশের মূলধারার গণমাধ্যমগুলো থেকে ফেসবুকে শেয়ার হওয়া ভুয়া খবর চিহ্নিত করার কাজ শুরু করে। ওই বছর মোট ২৩টি ভুয়া খবর চিহ্নিত করে প্রতিষ্ঠানটি। এর পর ২০২১ সালে ১১টি এবং ২০২২ সালে ১৬টি ভুয়া খবর চিহ্নিত করেছে। এসব ভুয়া খবরকে খণ্ডন করে বুম বাংলাদেশ প্রতিবেদন তৈরি করেছে এবং গণমাধ্যমগুলোর সংশ্লিষ্ট ফেসবুক পোস্টকে রেট করেছে। তাই এই পরিসংখ্যানে বাংলাদেশে গণমাধ্যমে প্রকাশিত ভুয়া খবরের সম্পূর্ণ চিত্র আসে না।

গতকাল বুম বাংলাদেশ এক প্রতিবেদনে জানায়, গেল বছরে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এআই জেনারেটেড কন্টেন্ট (টেক্সট, ছবি ও ভিডিও) যেমন মানুষের মাঝে সাড়া জাগিয়েছে তেমনি ভুয়া খবর প্রতিরোধের ক্ষেত্রেও নতুন নতুন শঙ্কা তৈরি করেছে। ভুল তথ্যের প্রবাহের ধারায় ভুয়া মিডিয়া ফটোকার্ড বা নিউজ কার্ড এবং এর এডিটেড ভার্সন নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এ বছরের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হলেও মূলত ২০২৩ সালই ছিল নির্বাচনের বছর। ফলে নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট বিষয়েও নানা ভুল তথ্য প্রচারিত হয়েছে সামাজিক মাধ্যমে। এছাড়া বিভিন্ন দিবস, উৎসব, ঘটনা আর নতুন প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে তৈরি বিভিন্ন ভুয়া বা বিভ্রান্তিকর তথ্যের প্রবাহ দেখা গেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

যেভাবে ছড়িয়েছে ভুয়া খবর--
২০২৩ সালে দেশের মূলধারার গণমাধ্যমে মোট ৪৪টি ঘটনায় ভুয়া ও বিভ্রান্তিকর খবর প্রচার হতে দেখা গেছে। এই ৪৪টি ঘটনার মধ্যে কোনো ঘটনায় একটি গণমাধ্যমে ভুয়া খবরটি প্রচারিত হয়েছে, আবার কোনো কোনো ঘটনায় একটি ভুয়া খবর একাধিক গণমাধ্যমে জায়গা করে নিয়েছে। এমনও দেখা গেছে, তথ্য যাচাই না করে অন্যের খবর কপি করে প্রকাশের কারণে কোনো কোনো ঘটনায় ১৫ এর অধিক গণমাধ্যম একই ভুয়া খবরের ফাঁদে পা দিয়েছে। বুম বাংলাদেশ পর্যবেক্ষণ করে দেখেছে, অধিকাংশ ভুয়া খবরই গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক খবরকে যাচাই না করে ভিন্ন দেশের স্থানীয়, অখ্যাত ও নির্ভরযোগ্য নয় এমন গণমাধ্যম থেকে অসতর্কভাবে সংবাদ নেওয়ার ফলে। এছাড়া আন্তর্জাতিক সংবাদের ক্ষেত্রে পার্শ্ববর্তী দেশের গণমাধ্যমকে অনুসরণ করা, যাচাই না করে তাদের বরাতে সংবাদ প্রকাশ করাও অন্যতম কারণ।

ভুয়া খবর প্রচারে শীর্ষে যেসব গণমাধ্যম--
আগের তিন বছরের ধারাবাহিকতায় ২০২৩ সালেও ভুয়া খবর প্রচারে টানা চতুর্থবারের মতো শীর্ষে রয়েছে বেসরকারি সম্প্রচার মাধ্যম 'সময় টিভি'। গেল বছরে গণমাধ্যমটি এককভাবে সর্বোচ্চ নয়টি ভুয়া খবর প্রচার করে ফেসবুকে বুম বাংলাদেশের রেটিংয়ের শিকার হয়েছে। এছাড়াও সাতটি ভুয়া খবর প্রচার করে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে আরেক বেসরকারি সম্প্রচার মাধ্যম 'আরটিভি' এবং ছয়টি ভুয়া খবর প্রকাশ করে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে অনলাইন সংবাদমাধ্যম বাংলানিউজ২৪। এছাড়া, পাঁচটি করে ভুয়া খবর প্রচার করেছে ঢাকা পোস্ট, আজকের পত্রিকা, সমকাল, আমাদের সময় ও দৈনিক ইত্তেফাক। চারটি করে ভুয়া খবর প্রচার করেছে চ্যানেল ২৪, কালের কণ্ঠ, যুগান্তর, বাংলা ট্রিবিউন ও প্রথম আলো। তিনটি করে ভুয়া খবর প্রচার করেছে ডিবিসি নিউজ, বিডিনিউজ২৪, জাগোনিউজ২৪, জুম বাংলা, ডেইলি বাংলাদেশ, যমুনা টিভি, রাইজিং বিডি, একাত্তর টিভি ও ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশন। দুইটি করে ভুয়া খবর প্রচার করেছে চ্যানেল আই, নাগরিক টিভি, ইনকিলাব, নয়া দিগন্ত, মানবকণ্ঠ, কালবেলা, দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড, নিউজ ২৪, মানবজমিন, বাংলা ভিশন, সংবাদ প্রকাশ, সারাবাংলা ডট নেট ও বাংলাদেশ জার্নাল। একটি করে ভুয়া খবর প্রচার করেছে বৈশাখী টিভি, দৈনিক আমাদের সময়, সাম্প্রতিক দেশকাল, ঢাকা মেইল, দেশ টিভি, নিউ ন্যাশন, দেশ রূপান্তর, বাংলাদেশ টুডে, ভোরের কাগজ, সময়ের আলো, নিউজবাংলা, দৈনিক বাংলা, যায়যায়দিন, দৈনিক সংগ্রাম, ভোরের ডাক, প্রতিদিনের বাংলাদেশ, এনটিভি, নয়া শতাব্দী, বায়ান্ন টিভি ও বিবিএস বাংলা।

সংশ্লিষ্ট সংবাদের লিঙ্ক কমেন্ট‌ সেকশনে দেখুন —





শাবাশ বাংলাদেশ। তিন মাসেই প্যারাশুট জয় বাংলা। কোভিডের সময়েও তারা এই দুরবস্থায় পড়েনি। যদি প্যারাসুট বলছে, বর্তমান পরিস্থি...
01/05/2024

শাবাশ বাংলাদেশ। তিন মাসেই প্যারাশুট জয় বাংলা। কোভিডের সময়েও তারা এই দুরবস্থায় পড়েনি। যদি প্যারাসুট বলছে, বর্তমান পরিস্থিতির কারণে এই অবস্থা, তাও কী পরিস্থিতিতে তাদের এই অবস্থা হলো সেটা মুখ ফুটে বলছে না।

এরা পুজি তোলে বাংলাদেশের স্টক মার্কেট থেকেই। মাছের তেলে মাছ ভাজা ভালোই চলছিলো।

আমরা এইভাবেই একে একে ইন্ডিয়ান কোম্পানী তাড়াবো।

বয়কটে নাকি কিছু হয়না? বয়কটের নাকি কোন প্রভাব নাই?

01/05/2024

বাংলাদেশের মানুষ অসুস্থ হয়ে যেন ভারতে চিকিৎসা নিতে যায়,সে জন্য ভারত তাদের খাদ্যে ক্যান্সারের বিষ মিশিয়ে দেয়।ক্যান্সার থেকে বাচতে ভারতীয় সকল খাদ্য পন্য বয়কট করুন

বাংলাদেশে যে ঘূর্ণিঝড়ের পর দুই বাহিনীর প্রধানকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছিলবাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকাগুলোতে প্রায়ই ঘূর...
29/04/2024

বাংলাদেশে যে ঘূর্ণিঝড়ের পর দুই বাহিনীর প্রধানকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছিল

বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকাগুলোতে প্রায়ই ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ হতে দেখা যায়। কিন্তু সেই দুর্যোগকে কেন্দ্র করে সশস্ত্র বাহিনীর অর্ন্তভূক্ত বড় দু’টি বাহিনীর প্রধানদের বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর ঘটনা দেশটির ইতিহাসে একবারই ঘটেছে।

আর সেটি ঘটেছিল এখন থেকে প্রায় ৩৩ বছর আগে, ১৯৯১ সালে।

ওই বছরের ২৯শে এপ্রিল মধ্যরাতে কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম উপকূলে শক্তিশালী একটি ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে, যাতে প্রায় এক লাখ চল্লিশ হাজার মানুষ মারা যায়।

স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রাকৃতিক দুর্যোগে একসঙ্গে এটিই সর্বোচ্চ প্রাণহানির রেকর্ড।

ভয়াবহ ওই ঘূর্ণিঝড়ের এক মাস পর বিমান বাহিনীর তখনকার প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল মমতাজ উদ্দিন আহমদ এবং নৌবাহিনীর তৎকালীন প্রধান রিয়ার এডমিরাল আমীর আহমদ মুস্তফাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠান তৎকালীন অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ।

কিন্তু কেন এবং ঠিক কী কারণে তাদেরকে অবসরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল?
বিভীষিকাময় এক রাত

বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার সমুদ্র উপকূলের মানুষের কাছে ১৯৯১ সালের ২৯শে এপ্রিল রাতটি ছিল রীতিমত বিভীষিতাময় এক রাত।

সেই রাতে ঘণ্টায় ২৪০ কিলো মিটার গতিবেগে বাতাস আর প্রায় ২০ ফুট উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাস নিয়ে রাত প্রায় বারোটা নাগাদ উপকূলে আছড়ে পড়ে হারিকেনের শক্তিসম্পন্ন প্রবল এক ঘূর্ণিঝড়।

মূলতঃ ওইদিন বিকেল থেকে বইতে থাকা দমকা বাতাস প্রবল এক ঝড়ের আভাস দিচ্ছিল।

সে রাতের অভিজ্ঞতা নিয়ে কয়েক বছর আগে বিবিসি বাংলার সাথে কথা বলেছিলেন চট্টগ্রামের সন্দীপ উপজেলার বাসিন্দা জান্নাতুল নাইম শিউলী।

ঝড়ের রাতে নিজেদের বাড়িতে অবস্থান করছিলেন তিনি।

মিজ শিউলি বলছিলেন যে, ওইদিন রাত বারোটার দিকে তাদের ঘরে জলোচ্ছ্বাসের পানি ঢুকতে শুরু করে।

এরপর অবস্থা এতটাই ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে, সেই রাতে বাঁচার আশা ছেড়েই দিয়েছিলেন বলে বিবিসি বাংলাকে জানান তিনি।

“ঘরটা প্রচণ্ড জোরে কাঁপছিল। আমারা ঘরের ভেতরে ২০-২৫জন মানুষ ছিলাম । বেশিরভাগ ছোট-ছোট বাচ্চা। আমরা সবাই শুধু আল্লাহকে ডাকতেছিলাম। মনে হচ্ছিল ঘরের নিচে পড়ে মরে যাব। মৃত্যু কী জিনিস সেটা ঐদিন অনুভব করলাম,” বিবিসি বাংলাকে বলেন মিজ শিউলী।

অথচ আঘাত হানার এক সপ্তাহ আগেও ঝড়টিকে আবহাওয়াবিদরা চিহ্নিত করেছিলেন এক ধরনের লঘু চাপ হিসেবে, যেটি বঙ্গোপসাগরে প্রায়ই সৃষ্টি হতে দেখা যায়।

১৯৯১ সালে ঢাকায় আবহাওয়া অধিদপ্তরে কাজ করতেন আবহাওয়াবিদ সমরেন্দ্র কর্মকার।

বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত এই কর্মকর্তা নিজের চোখে দেখেছিলেন, কীভাবে একটি দুর্বল লঘুচাপ হ্যারিকেন শক্তিসম্পন্ন প্রবল এক ঘূর্ণিঝড়ের রূপান্তরিত হয়।

তিনি বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন যে, ওই বছরের ২৩শে এপ্রিল সকালের দিকে ঝড়টি প্রথম লঘুচাপ হিসেবে ধরা পড়ে।

এরপর ধীরে ধীরে শক্তি সঞ্চয় করে প্রথমে নিম্নচাপ, তারপর ২৭শে এপ্রিল সকাল নাগাদ সেটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়।

সেদিন মধ্যরাতেই এটি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয় এবং ২৮শে এপ্রিল সকাল নয়টার দিকে হারিকেন শক্তিসম্পন্ন প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয় বলে জানান মি. কর্মকার।

২৯শে এপ্রিল মাঝরাতে ঝড়টি সজোরে উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হানে।

সরকারি হিসেবে, শক্তিশালী ওই ঘূর্ণিঝড়ে প্রায় এক লাখ চল্লিশ হাজার মানুষ মারা যায়। অনেকের মরদেহ এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে উপকূলের বিভিন্ন স্থানে পড়ে ছিল।

স্বাধীন বাংলাদেশে এর আগে প্রাকৃতিক দুর্যোগে একসাথে এতো মানুষ কখনো মারা যায়নি।

“শুধু কান্নার শব্দ শুনতেছি। যেদিকে যাই শুধু লাশ। আমাদের পাশের এক বাড়িতে একসাথে ত্রিশ জন মারা গেছে,” বিবিসি বাংলাকে বলেন মিজ শিউলী।

এছাড়া ঘূর্ণিঝড়ে কয়েক হাজার কোটি টাকার আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি হয় এবং প্রায় এক কোটি মানুষ আশ্রয়হীন হয়ে পড়ে।

এর আগে, ১৯৭০ সালে উপকূলীয় জেলায় শক্তিশালী এক ঘূর্ণিঝড়ে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ মারা গিয়েছিল বলে জানা যায়।

ভেসে গিয়েছিল যুদ্ধবিমান, ডুবে গিয়েছিল জাহাজ

ঘূর্ণিঝড়ে যে কেবল মানুষের প্রাণহানি ও বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছিল তা নয়, বরং বিভিন্ন অবকাঠামো এবং যন্ত্রপাতিরও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল।

এর মধ্যে ছিল চট্টগ্রাম বন্দর, বিমান বাহিনীর যুদ্ধবিমান এবং নৌবাহিনীর জাহাজ।

ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে পতেঙ্গায় বিমান বাহিনীর অধিকাংশ যুদ্ধবিমান নষ্ট হয়েছিল।

১৯৯১ সালের ২৯শে এপ্রিল চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় বিমান বাহিনীর কোয়ার্টারে ছিলেন তৎকালীন সার্জেন্ট উইং কমান্ডার এ কে এম নুরুল হুদা।

বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত বিমান বাহিনীর এই কর্মকর্তা কথা বলেছিলেন বিবিসি বাংলার সঙ্গে।

তিনি বলছিলেন, ওই ঘূর্ণিঝড়ে নৌ এবং বিমান বাহিনীর অনেক যুদ্ধজাহাজ বিকল হয়ে পড়েছিল।

“রাশিয়া থেকে সদ্য আমদানিকৃত চারটি বাক্স ভর্তি হেলিকপ্টার জলোচ্ছ্বাসের পানিতে ভেসে রাস্তার উপর চলে আসে। এ হেলিকপ্টারগুলো ৫০০ গজ দুরে তলাবদ্ধ অবস্থায় হ্যাঙ্গারে ছিল”, বিবিসি বাংলাকে বলেন মি. হুদা।

তিনি আরও বলেন, “পানি ও বাতাসের চাপে হ্যাঙ্গার ভেঙ্গে গিয়েছিল। নৌ বাহিনীর যুদ্ধে জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। বিমান বাহিনীর ক্ষতি প্রচুর ছিল। বিমান বাহিনীর ৩০ থেকে ৩৫টার মতো যুদ্ধ বিমান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।”

প্রবল শক্তিসম্পন্ন ঘূর্ণিঝড় উপকূলের দিকে এগিয়ে আসার সতর্কবার্তা থাকলেও বিমান এবং নৌ বাহিনীর সরঞ্জাম কেন নিরাপদে সরিয়ে আনা হলো না, সেটি নিয়ে তখন বিভিন্ন মহল থেকে নানান প্রশ্ন উঠতে থাকে।

১৯৯১ সালের ১৮ই মে দৈনিক বাংলার বাণী পত্রিকার প্রথম পাতায় প্রকাশিত এমনই একটি খবরের শিরোনাম: ‘একটি মাত্র নির্দেশের অভাবে পতেঙ্গা বিমানবন্দরে ৭শ’ কোটি টাকার সম্পদ বিনষ্ট’।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিমান বাহিনীর কয়েকজন পাইলটের বরাত দিয়ে খবরটিতে বলা হয়ে যে, তারা প্রস্তুত থাকার পরও বাহিনীর প্রধানের কাছ থেকে কোন নির্দেশনা না পাওয়ায় চট্টগ্রামের পতেঙ্গা বিমানবন্দর থেকে কোনও যুদ্ধবিমান সরানো যায়নি।

এর ফলে অন্তত ৪২টি যুদ্ধবিমান জলচ্ছ্বাসের পানিতে ভেসে কয়েক কিলোমিটার দূরে চলে গিয়েছিল।

এতে বিমানগুলো ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছিল বলে খবরে বলা হয়েছে।

সব মিলিয়ে ঝড়ে বিমানবাহিনীর প্রায় সাতশ’ কোটি টাকার মতো ক্ষয়-ক্ষতি হয় বলেও প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

এছাড়া ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার পর প্রায় দু’দিন ধরে পতেঙ্গা বিমানবন্দর এলাকায় কোনও নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না বলেও খবরে দাবি করা হয়।

যদিও ক্ষয়ক্ষতি পরিমাপের জন্য মে মাসের শুরুতেই একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

বরখাস্তের গুঞ্জন, প্রতিবাদে বিবৃতি

ঘূর্ণিঝড় শেষ হওয়ার কয়েক দিনের মধ্যেই চট্টগ্রামে নৌ এবং বিমানবাহিনীর সম্পদের ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি সামনে চলে আসে এবং পত্র-পত্রিকায় এটি নিয়ে বিস্তর লেখালেখি হতে থাকে।

তখনকার পত্রিকায় প্রকাশিত অনেক খবরে, এসব ক্ষয়ক্ষতির জন্য বিমান এবং নৌ বাহিনীর তৎকালীন প্রধানদের দায়িত্বে অবহেলাকেই দায়ী করা হয়।

এমন পরিস্থিতির মধ্যেই গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে যে, তৎকালীন বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল মমতাজ উদ্দিন আহমদকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

ঢাকার দু-একটি পত্রিকায় খবরটি ছাপাও হয়।

এরপর বিবৃতি দিয়ে সেই খবরকে “ভিত্তিহীন” বলে জানায় আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।

ওই বিবৃতিতে আরও জানানো হয় যে, ঘূর্ণিঝড়ে বিমান ও নৌবাহিনীর ঘাঁটিগুলোতে ঠিক কী পরিমাণ ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে, সেটি বের করার জন্য সরকার তদন্ত শুরু করেছে।

সেই তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত “কল্পনাপ্রসূত তথ্য ও মহামত” প্রকাশ না করার জন্য সাংবাদিকদেরকে অনুরোধ জানায় আইএসপিআর।

পুনরায় তদন্তের নির্দেশ

২৯শে এপ্রিরের ঘূর্ণিঝড়ে বিমান ও নৌবাহিনীর সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণে মে মাসের প্রথম সপ্তাহেই তদন্ত শুরু করে কমিটি।

কিন্তু তারা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ঠিকমত তুলে আনবেন কী না, সেটি নিয়ে জনমনে সংশয় দেখা দেয়।

এমন পরিস্থিতিতে ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দেন তৎকালীন অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ।

তদন্তের কাজ পরিচালনার জন্য ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তাদের পাশাপাশি তখন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের নিয়ে আরেকটি কমিটি গঠন করা হয় বলেও ওই সময়ের পত্রিকায় খবর থেকে জানা যায়।

দ্রুততম সময়ের মধ্যে তদন্ত তাদেরকে আলাদাভাবে দু'টি প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়।

তদন্তের যাদের দোষ প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও তখন হুঁশিয়ারী দেওয়া হয়েছিল।

বাধ্যতামূলক অবসর

মে মাসের মধ্যেই তদন্ত কমিটিগুলো নিজেদের প্রতিবেদন জমা দেয়।

এরপর ৪ঠা জুন বিমান বাহিনীর তৎকালীন প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল মমতাজ উদ্দিন আহমদ এবং নৌবাহিনীর তৎকালীন প্রধান রিয়ার এডমিরাল আমীর আহমদ মুস্তফাকে বাধ্যতামূলক অবসর দেন তৎকালীন অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত প্রজ্ঞাপনে খবরটি জানানো হয়।

যদিও ঠিক কী কারণে তাদেরকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে, সেটি তখন পরিষ্কার করা হয়নি।

প্রজ্ঞাপনে কেবল জানানো হয় যে, বাহিনী দু’টির প্রধানকে অবসর দেওয়া হয়েছে।

একই সাথে দুই বাহিনীর নতুন প্রধানের নামও সেখানে প্রকাশ করা হয়।

নতুন প্রধানদের মধ্যে বিমানবাহিনীর দায়িত্ব পান তৎকালীন এয়ার কমোডর আলতাফ হোসেন চৌধুরী।

আর নৌবাহিনীর প্রধান হিসেবে তৎকালীন কমোডর মোহাম্মদ মোহাইমিনুল ইসলামের নাম ঘোষণা করা হয়।

দুই বাহিনীর প্রধানের পাশাপাশি উভয় বাহিনীর বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাকেও তখন অবসরে পাঠানো হয়েছিল।

তাদেরকে হঠাৎ অবসরের পাঠানোর কারণ সরকার প্রকাশ করেনি।

কিন্তু তখনকার পত্রিকাগুলোর খবরে বলা হচ্ছে, দায়িত্ব অবহেলার কারণেই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে তাদেরকে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়েছে।

১৯৯১ সালের পাঁচই জুন তারিখে ঢাকা থেকে প্রকাশিত তখনকার বেশিরভাগ জাতীয় দৈনিকের প্রথমপাতা খবরটি বেশ গুরুত্ব সহকারে প্রকাশ করা হয়।

দু-একটি পত্রিকায় প্রধান শিরোনামও করা হয়েছিল।

🐄🐄🐄
27/04/2024

🐄🐄🐄

🙃🙃🙃
27/04/2024

🙃🙃🙃

26/04/2024

ভারতীয় ৫২৭ খাদ্যপণ্যে ক্যানসার-সৃষ্টিকারী রাসায়নিক!

26/04/2024
পুড়া ফেমিলি জুয়ারি সাব্বাস পাগলা👨‍👦‍👦
12/03/2024

পুড়া ফেমিলি জুয়ারি সাব্বাস পাগলা👨‍👦‍👦

সাকিব নিজেই ক্যাসিনোর বিজ্ঞাপনের মডেল তার আবার সন্মান 🤣🤣
11/03/2024

সাকিব নিজেই ক্যাসিনোর বিজ্ঞাপনের মডেল তার আবার সন্মান 🤣🤣

খেজুরকে টেক্কা দিতে পারবে বড়ই
07/03/2024

খেজুরকে টেক্কা দিতে পারবে বড়ই

29/02/2024

হিলি বন্দরে এই ফেব্রুয়ারিতে আমদানী নেমে আসছে অর্ধেক। তাও বলবে না এটা বয়কটের প্রভাবে। বলে বাংলাদেশের ডলার সংকটে এইটা হইছে। তাও ইন্ডিয়ার মিডিয়ার খবর। নিউজ লিংক কমেন্ট বক্সে।

28/02/2024

গোবর মেশানো ভারতীয় পণ্য বয়কট করুন

Address

Gopalpur
Tarakanda
2252

Opening Hours

Monday 09:00 - 17:00
Tuesday 09:00 - 17:00
Wednesday 09:00 - 17:00
Thursday 09:00 - 17:00
Friday 09:00 - 17:00
Saturday 09:00 - 17:00
Sunday 09:00 - 17:00

Telephone

+8801991040920

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Views as posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Views as:

Videos

Share



You may also like