07/11/2022
❤️❤️অনেক দিন পর প্রানের কলেজের প্রাঙ্গনে❤️❤️
পেইজটাতে সবাই ফলো দিয়ে পাশে থাকবেন �
❤️❤️অনেক দিন পর প্রানের কলেজের প্রাঙ্গনে❤️❤️
লাইফে প্রথম এই পোস্ট পড়ে কান্না করলাম😭
রাতে মায়ের হাতে রান্না করা খাবার খুব মজা করে খেয়ে রাত ১০টায় ঘুমিয়ে গেলাম...!!!
সকাল গেলো ঘুম থেকে উঠলাম না...!!! আরামে ঘুমাবো বলে মা ডাকলো না...!!!
দুপুর হয়ে গেলো ঘুম থেকে উঠলাম না...!!!
এবার মা অনেক ডাকলো আমি উঠলাম না।
মা চলে গেলো।
একটু পর আবার আসলো।
এবার অনেক ডাকার পরেও না উঠায় মা অনেক বকলো আমি তাও উঠলাম না। এইবার মা একটা থাপ্পড় দিলো।
তাও উঠলাম না।
এবার মা হাত ধরে টান দিলো কিন্তু আমার হাত পুরো শরীর নিয়ে নড়ে উঠলো।
শরীর আমার পাথরের ন্যায় শক্ত হয়ে গেছে।
মা কিছু না বলে চুপ করে রুম থেকে বেরিয়ে বাবাকে ডেকে নিয়ে আসলো।
কিন্তু বাবা অনেক ডাকার পরও আমি উঠলাম না।
এইবার বাবা চোখের জল ফেলে বলছেঃ উঠে আয় তোকে আর কোন দিন কিছু বলবো না।
যেমন করে থাকতে চাস থাক।
তাও উঠে আয়।
তোকে আজকেই ল্যাপটপ কিনে দিবো।
আমি অবাক হয়ে দেখছি বাবা এতো করুণা করে কোনোদিন আমাকে বলে না অথচ আজ বলছে।
আমি উঠে আসতে চাচ্ছি কিন্তু কিছুতেই উঠতে পারছি না।
এদিকে বাবা নানান রকম লোভ দেখিয়ে বলছে উঠে আসতে।
একটু পর আমার বাড়িতে অনেক মানুষ চলে আসলো।
ওদিকে মা কাঁদছে কেউ মাকে স্বান্ত্বনা দিচ্ছে কেউবা বাবাকে কেউ ভাই বোনকে নানান কথা বলে বুঝাচ্ছে।
একটু পরেই কয়েকজন এসে আমাকে খুব যত্ন করে বিছানা থেকে নামিয়ে লোহার শক্ত খাটিয়াই শুইয়ে দিলো।
আমি কাঁদছি আর বলছি আমার পিঠে খুব ব্যাথা লাগছে নামাও এখান থেকে।
কেউ আমার কথা শুনলো না।
একটু পর ঐ মানুষ গুলো গরম পানি নিয়ে এসে আমার শরীরে কিছুটা পানি ডেলে দিলো।
ঈশ আমার শরীর পুড়ে গেলো বলে চিৎকার করছি কেউ কথা শুনছে না আমার। আমাকে পরম যত্নে গরম পানি দিয়ে খুব সুন্দর করে ডলে ডলে ধুঁইছে।
আমি কাঁদছি আর বলছি আমাকে আর গরম পানি দিয়ো না,শরীর পুড়ে যাচ্ছে। আমায় আর ডলা দিয়ো না।
খুব ব্যাথা লাগছে কেউ শুনলোনা।
অনেক সময় নিয়ে গোসল করিয়ে আমার শরীর ভালো করে মুছে নিয়ে আসলো আমার বসার জায়গাতে।
আমি খুব খুশি হলাম ভাবলাম আমাকে এইবার এখানে বসাবে।
কিন্তু ওরা আমাকে না বসিয়ে কাঠের শক্ত একটা খাটে শুইয়ে দিলো।
একটা চাদরও নিচে দিলনা।
একটু পরে মা,বোন আরো কয়জন মিলে আমাকে একটা সাদা কাপড় পড়ালো।
মা অনেক আদর করে আমার মুখে হাত বুলাচ্ছে আর কাঁদছে।
এতো আদর কোনোদিন করেনি মা আমাকে।
আমি অনেক করে বললাম কান্না থামাতে কিন্তু কিছুতেই কান্না থামাচ্ছে না।
আমি এতো করে বলছ
গল্প: অভিশপ্ত বাসর রাত!
লেখা:শেখ মোঃ আতিক হাসান
পর্ব-২য়
সাবিহা একসময় হাত দিয়ে দেখল ওর চোখের পানিতে সোফার
কুশন ভিজে গেছে, ওপাশ ভয়ে ভয়ে ফিরে দেখল আরিয়ান
খাটে উলটো হয়ে ঘুমিয়ে আছে পুরো বিছানা জুড়ে।
লোকটার উপর ওর রাগ ক্রমশ বাড়ছে তারথেকে রাগ হচ্ছে ওর
স্যারের উপর। সে জেনেশুনে কিভাবে ওকে ওর হাতে
তুলে দিল। এখন ওর কি হবে, মা বাবাকে কি বলবে? তাদের কত
স্বপ্ন ওকে নিয়ে, ওর নিজের কত স্বপ্ন ওর ছোট একটা সংসার
হবে, বাচ্চাকাচ্চা হবে, সারাদিন কাজ সেরে রাতে স্বামীর বুকে
মাথা এলিয়ে ঘুমাবে, হসপিটালের গল্প বলবে, কোন রূগী কি
বলছে তা বলবে, তার উপর ডাক্তারি করবে আরও কত কি,ওর সব
ভালবাসা, ওর দেহ মন সব রেখে ছিল ওর স্বামীর জন্য কিন্তু
আজ একটা রাতের মধ্যে কি থেকে কি হল!!!!
এসব ভাবতে
ভাবতে ও কখন ঘুমিয়ে পরছিল নিজেই জানে না। . সকালে ঘুম
ভাঙল একটা গম্ভীর আওয়াজে, চোখ খুলে দেখল আরিয়ান
তাকিয়ে আছে আর ওকে ডাকছে। ও ধরফর করে উঠে
বসতেই আহ্ করে উঠল, সোফায় ঘুমানোর জন্য পুরো
শরীর ব্যাথা হয়ে আছে। আরিয়ান দেখেও না দেখার ভান
করে আরেকদিকে ফিরে বলল -নাস্তার টেবিলে যাও, সবাই
অপেক্ষা করছে। এই হুকুম শুনে রাগে ওর পুরো শরীরে
আগুন লেগে গেল কিছু বলতে যাবে তখনি ওর জাল এল। . -সাবিহা
এখনও উঠো নি?? একি তুমি সোফায়? তখন ভাবি আর কিছু বলল না
মনে হয় কিছু একটা আঁচ করেছে, বলল -ফ্রেশ হয়ে খেতে
আস, তারপর তোমার হাতে আজ রান্না করাব দেখব আমার
ডা.দেবরানী কি কি রান্না করে খাওয়ায়। . ওদিকে আরিয়ান এরই মন
খুবই খারাপ। কি হতে কি হচ্ছে আসলে ও তো এমনটা চায় নি।
বিছানায় শুয়ে শুয়ে ভাবতেছিল। চাচার আবদারেই এই মেয়েটাকে
বিয়ে করেছে নইলে ও কখনই চায় নি মিম এর পর ওর লাইফে
কেউ আসুক, ও ওর ভালবাসা নিয়েই একা একা থাকতে চেয়েছিল
থাকনা মিম আজ অন্য জায়গায় সুখি, একটা অভিমান নিয়েই ও বাচঁতে
চাইছিল। দীর্ঘ ৪/৫টা বছর ও এমন ভাবে আছে। ও তো লাইফটা
কবেই শেষ করত যদি না ওর মা বাবা বেঁচে না থাকত। দিনের পর
দিন ও ভিতরে আর বাহিরে কঠিন থেকে কঠিন হইছে এখন আর
কোন মেয়ে জাতিয় অনূভুতি ওকে স্পর্শ করে না হয়ত এটা
সহজে পারছে ওর প্রফেশন এর জন্যই, যেখানে সব কিছু
সিরিয়াস। আর ও চাইতই মিমকে ভুলতে দিন রাত ব্যস্ত থাকতে আর
যে জবে আছে এতে চাইলেই যে কেউ দিন রাত কাজের
মধ্যে ডুবিয়ে রাখতে পারে তো তেমন কষ্ট হত না কিন্তু রাতটা
ছিল অসহ্য ওর জন্য। অনেক বিয়েই ও ইচ্ছে করে ভাঙছে
ক
গল্প: অভিশপ্ত বাসর রাত !
লেখা:শেখ মোঃ আতিক হাসান
পর্ব- ১
আজ সাবিহার বাসর রাত। ছোট বেলা থেকেই এ রাতের
ব্যাপারে শুনতে শুনতে আর নিজের বন্ধু বান্ধব এর মুখে
শুনতে শুনতে নিজেরই আজ কেমন ঘোর লাগছে, কেমন
যেন কি হয় কি হয় অবস্থা। তাছাড়া আজ বিয়ের পর মিঃ আরিয়ান ই ওর
লাইফে প্রথম পুরুষ। ও হ্যা, আরিয়ান ওর হাজবেন্ড এর নাম।
মেডিকেল এর পড়ার দরুন কোন দিন প্রেম ভালবাসা নিয়ে ভাবার
সময় হয় নি সারাক্ষণ শুধু পড়া আর পড়া। কিন্তু অন্য সবার মত প্রকাশ না
করলেও ও ঠিকই এই দিনটির জন্য অনেক অপেক্ষা করছে। .
আরিয়ান পেশায় একজন সেনাবাহিনী কর্মকর্তা। মা ববাবার ছোট
ছেলে। সাবিহাও ছোট। উনি সাবিহার মেডিকেলের প্রফেসর
এর ভাইয়ের ছেলে। সাবিহার বাবা স্যারের মুখে ছেলের
বায়োডাটা শুনে আর তাদের পরিবার পরিজনের সাথে দেখা করে
খুব পছন্দ করেছেন। স্যার সাবিহাকে ওর মেডিকেল লাইফ
থেকেই খুবই স্নেহ করত তো সাবিহাও স্যারের কথার অন্যথা না
করেই ও বিয়ের মত দে আর যেহেতু ওর নিজস্ব কোন
পছন্দও ছিল না তাই অমতের কারনও ছিল না। আর যতটুকু
আরিয়ান কে দেখেছে ওর ভালই মনে হয়েছে।বাসায় যে দিন
দেখতে গিয়েছিল শুধু ওর শাশুড়ি আর বড় ননদ ই কথা বলছে। ওর
দুলাভাই ওদের কথা বলতে বলেছিল কিন্তু সে রাজি হয় নি তো
সাবিহার মনে যে টুকু আশা ছিল তাও শেষ হয়ে গিয়েছিল। পরে
ভাবল যাক বেটা বিয়ের পর তো কথা বলবিই আগেই না হয় একটু
ভাব ধর। . বিছানায় বসে বসে আকাশ পাতাল ভাবছিল ও এরই মেধ্য ওর
বড় জাল আর ননদ ঢুকল আরিয়ান কে নিয়ে। বেটা রুমে ঢুকেই
ওয়াশরুমে চলে গেল আর ওর জাল আর ননদ ওর সাথে গল্প করা
শুরু করল। -কি ভাবি কেমন লাগছে? দেখ আমি কিন্তু তোমার
থেকে ছোট তো তুমি করেই বলব। – তোমার যা ইচ্ছে
ডাকতে পার কোন সমস্যা নেই। -ভাবি আমার ভাই কিন্ত বিশিষ্ট ভাবিস্ট
সে কিন্তু ভাব ধরবে তুমি তার ভাবের কোন পাত্তা দিবা না। সাবিহা
মনে মনে ভাবল যাহ বাবা ও আরিয়ান সম্পর্কে যা ভাবছিল তাই ই যাই
হোক একটু পর তার প্রমাণ পাওয়া যাবে যে সে কতটুকু ভাব
নেয়। -ওই বেটা আরিয়ান আমাকে ওনেক জালাতন করছে
ছোটবেলা থেকে। এর শোধ কিন্তু আমি তোমার উপর
থেকে নিব। বড় ভাবি হাসতে হাসতে বলল – আচ্ছা তুই থাম এবার।
বেচারিকে একটু রিলাক্স হতে দে। আচ্ছা সাবিহা আমরা গেলাম তুমি
ফ্রেশ হয়ে নাও আর হ্যা সকালে কিন্তু সব গল্প বলতে হবে।
একথা শুনে সাবিহা হাসবে না কাঁদবে কিছুই বুঝতে পারছিল না। তারা
চলে যাবার পর একা একা খাটে বসে আছে
নেক্সট পার্ট আসবে সামনে
অসাধারণ একটা নাটক
Mymensingh
Tarakanda
2251
Be the first to know and let us send you an email when Sk M Atik hasan posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.
Send a message to Sk M Atik hasan: