কওমী কন্ঠ 24

কওমী কন্ঠ 24 শাহজালালের তলোয়ার
গর্জে উঠুক আরেকবার।

সদ্যকারামুক্ত মাওলানা মামুনুল হক হাফিজাহুল্লাহ কে হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এর ফুলেল শুভেচ্ছা।হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব ...
05/05/2024

সদ্যকারামুক্ত মাওলানা মামুনুল হক হাফিজাহুল্লাহ কে

হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এর ফুলেল শুভেচ্ছা।
হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব পদে বহাল। আলহামদুলিল্লাহ

03/05/2024

শায়খূল হাদীস মামুনুল হক সাহেবের মুক্তি আজ আমাদের খুশির দিন। আলহামদুলিল্লাহ

অতিরিক্ত আবেগ,হুজুগে বাঙ্গালীর চরম জযবা না দেখালেই কি হয় না! মুক্তির মিছিল এ কারণেই বিলম্বিত হয়। শেষ পর্যন্ত মুলতবিও ক...
02/05/2024

অতিরিক্ত আবেগ,হুজুগে বাঙ্গালীর চরম জযবা না দেখালেই কি হয় না! মুক্তির মিছিল এ কারণেই বিলম্বিত হয়। শেষ পর্যন্ত মুলতবিও করা হতে পারে।
তাই ধৈর্য্য এবং সতর্কতা একান্ত কাম্য।

26/04/2024

ডাক্তার জাহাঙ্গীর কবির স্যার এর চিকিৎসা পদ্ধতি অনুসরণ করে সুস্থ আছি আলহামদুলিল্লাহ
আমি এ নিয়ে তিন বার উনার এখানে গিয়েছি। তিন মাস ধরে ডায়াবেটিস এর চিকিৎসা চলছে। আগে যখন সিলেট সুনামগঞ্জ এর বড় বড় ডাক্তার দেখিয়ে তিন বেলা দশ বারোটা ঔষধ খেয়ে ও ডায়াবেটিস গ্যাস্টিক সহ নানান ধরনের সমস্যা শরীরে আখড়া বেধেছিল কিছুতেই সারছিলো না। তখন ইউটিউব এবং ফেইসবুক লাইভ দেখে কিছুটা ফলো করা শুরু করি। ওজন কমাতে শুরু করি। খাদ্য তালিকা নিয়ন্ত্রণ করি। ধীরে ধীরে রেজাল্ট ভালো ই পাচ্ছিলাম। অবশেষে এবারের বিশ্ব ইজতেমায় যাওয়ার পর উনাকে দেখানোর সিদ্ধান্ত নেই। উনার চেম্বারে গিয়ে টিকেট নিয়ে একজন ডাক্তার দেখিয়ে পরীক্ষা করে এখন পর্যন্ত সুস্থ আছি ঠিকে আছি।
যেখানে 26 জন এসিস্ট্যান্ট এমবিবিএস এবং সাথে সাথে অনেক পুস্টিবিদ ও আছেন। দুজনকেই দেখাতে হয়। একজন ঔষধ এবং টেস্ট সাজেষ্ট করেন এবং পুষ্টিবিদ রিপোর্ট দেখে পুষ্টিকর দৈনিক খাদ্য তালিকা এবং বিভিন্ন ধরনের ব্যায়াম এর রুটিন দেন।
ডাক্তার দেখিয়ে পুষ্টিবিদ দেখিয়ে কোন ভিজিট দিতে হয় না।
তাদের সব কাজ কম্পিউটার সিস্টেম সাজানো গোছানো।
আমার প্রথম দিন টেস্ট এর খরচ ছিল 5500 টাকা।
এক মাস পর দ্বিতীয় দফায় 1700 টাকা।
তৃতীয় দফায় আরেকটা নতুন টেস্ট সহ পুরাতন টেস্ট গুলো আবার করার কারণে 6000 টাকা।
অর্গানিক বিভিন্ন ধরনের পাউডার খাবার তৈল ঘি বাদাম এগুলোর মূল্য অনেক বেশি।সবার পক্ষে এ খরচ বহন করা সম্ভব নয়। চিকিৎসা পদ্ধতি দীর্ঘ মেয়াদি এবং কষ্টকর আর ব্যায়বহুল হলেও একটা সময় অনেক ভূক্তভোগিই একথা বলতে বাধ্য হয় আলহামদুলিল্লাহ স্যারের চিকিৎসা পদ্ধতি অনুসরণ করে সুস্থ সুন্দর সতেজ একটা নতুন জীবন পেয়েছি।

প্রতিদিন শত শত মানুষ যাচ্ছ উপকৃত হচ্ছে।যারা ধৈর্য্য ধরে স্যারের নিয়ম এবং দৈনন্দিন শতভাগ রুটিন মেইনটেইন করে চলে তারাই উপকৃত হচ্ছে।যেমন আমি।
তিন মাসে অতিরিক্ত ওজন কমেছে দশ বারো কেজি। পেটে মেদভুঁড়ি ছিল এখন একেবারে নাই বললেই চলে।মোটভর্তি ঔষধ খেতে হয় না।
ডায়াবেটিস গ্যাস্টিক সহ নানান ধরনের সমস্যা ছিল সব কিছু ঠিকঠাক আছে। ঔষধ ছাড়াই Jk Lifestyle ফলো করে আমি এখন আমার লাইফের যে কোন সময়ের চেয়ে অনেক বেশি সুস্থ সবল এবং রোগমুক্ত আছি। বিশেষ করে ঔষধ এবং ইনসুলিন ছাড়াই ডায়াবেটিস খালি পেটে 5 আর ভরা পেটে 6 !!! কল্পনা করা যায়?
আলহামদুলিল্লাহ

21/02/2024
 #বায়তুল মাকদাসের ইতিহাস (সেই ৫হাজার বছর   পূর্ব থেকে বর্তমান পর্যন্ত) #মসজিদুল আকসা মুসলমানদের তৃতীয় পবিত্র ও সম্মানিত ...
21/10/2023

#বায়তুল মাকদাসের ইতিহাস (সেই ৫হাজার বছর পূর্ব থেকে বর্তমান পর্যন্ত)

#মসজিদুল আকসা মুসলমানদের তৃতীয় পবিত্র ও সম্মানিত স্থান। মুসলমানদের প্রথম কেবলা। হাজার হাজার নবী-রাসূল [আলাইহিমুস সালাম]-এর আগমনের পুণ্যভূমি। সকল মুসলিমের প্রাণের কেন্দ্রস্থল বাইতুল মাকদিস। নিম্নে সংক্ষিপ্ত ইতিহাস তুলে ধরা হলো।

#মসজিদুল আকসা অর্থ দূরবর্তী মসজিদ। আবূ যার (রাজি:) বলেন: আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! পৃথিবীতে সর্বপ্রথম কোন মসজিদ তৈরি করা হয়েছে? তিনি বললেন, মসজিদে হারাম। আমি বললাম, অতঃপর কোনটি? তিনি বললেন, মসজিদে আকসা। আমি বললাম, উভয় মসজিদের (তৈরির) মাঝে কত বছর ব্যবধান ছিল? তিনি বললেন, চল্লিশ বছর।
অধিকাংশ তাফসীরকারের মতে, আদম আলাইহিস - সালাম কাবাঘর নির্মাণের ৪০ বছর পর মসজিদুল আকসা ‍তৈরি করেন অথবা নবী ইবরাহীম আলাইহিস- সালাম কাবাঘর পুনঃসংস্কারের ৪০ বছর পর মসজিদুল আকসা ‍তৈরি করেন।
ইবরাহীম (আ:) থেকে বর্তমান যুগ পর্যন্ত ঐতিহাসিক ঘটনা

#ইবরাহীম (আলাইহিস -সালাম) এর পুত্র ইসহাক আলাইহিস সালাম এখানেই বসবাস করতেন। পরে ইসহাক আলাইহি সালাম-এর পুত্র ইয়াকুব (আ:) ও তাঁর ১২ পুত্র বসবাস করছেন। অতঃপর তাঁর ১২ সন্তান থেকে ১২টি গোত্রের আবির্ভাব ঘটে; এরা সকলেই বানী ইসরাঈল তথা (ইয়াকুবের) সন্তান। উল্লেখ্য, নবী ইয়াকুব আলাইহিস সালাম এর নামই হচ্ছে ইসরাঈল।
অতঃপর নবী সুলায়মান (আলাইহিস -সালাম) মসজিদুল আকসা পুনঃসংস্কার করেন ১০০৪ খ্রিস্টপূর্বে। অনেকে মনে করেন সুলায়মান (আলাইহিস -সালাম) প্রথম মসজিদুল আকসা তৈরি করেছেন, কিন্তু এটা ভুল তথ্য। কারণ ইবরাহীম (আলাইহিস -সালাম) আর সুলাইমান (আলাইহিস -সালাম)-এর মাঝে প্রায় ১০০০ বছরের পার্থক্য।

রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন: সুলায়মান ইবনু দাঊদ (আলাইহিস -সালাম) যখন বায়তুল মাকদিস নির্মাণ করলেন, তখন তিনি আল্লাহর কাছে তিনটি বস্তু চাইলেন: তিনি আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করলেন এমন ফয়সালা, যা তাঁর ফয়সালার মোতাবেক হয়। তা তাকে প্রদান করা হলো। আর তিনি আল্লাহর নিকট চাইলেন এমন বিশাল রাজ্য, যার অধিকারী তার পরে আর কেউ হবে না। তাও তাকে দেওয়া হলো। আর যখন তিনি মসজিদ নির্মাণের কাজ সমাপ্ত করলেন; তখন তিনি আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করলেন, যে-ব্যক্তি তাতে শুধু সালাতের জন্য আগমন করবে, তাকে যেন পাপ থেকে ওই দিনের মতো মুক্ত করে দেন, যে-দিন সে তার মাতৃগর্ভ থেকে ভূমিষ্ঠ হয়েছিল।
নবী সুলায়মান (আলাইহিস -সালাম)-এর মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গেই বনী ইসরাঈল তথা ইয়াহুদীদের মধ্যে বিচ্যুতি এবং তাদের হুকুমত ও রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় বিভক্তি দেখা দেয়। তা ছাড়া তারা অগণিত নাফরমানিতে লিপ্ত হয়ে পড়ে। বিশেষ করে, তাদের কাছে প্রেরিত অসংখ্য নবী-রাসূলদের তারা হত্যা করে। দাউদ (আলাইহিস -সালাম) ও সুলায়মান (আলাইহিস -সালাম) ১০১০-৯৩১ খ্রি.পূ. পর্যন্ত বায়তুল মাকদাস শাসন করেছেন।
সুলায়মান (আলাইহিস -সালাম) খ্রি.পূ. ৯৩১ সালে ইন্তেকাল করেন।

বর্তমান বিকৃত তাওরাতের রাজন্যবর্গ ও শাসকদের প্রথম পুস্তিকায় সুলায়মান (আলাইহিস -সালাম)-এর ওপর মিথ্যা অপবাদ আরোপ করা হয়েছে এভাবে যে, তিনি মহান আল্লাহর ইবাদত-বন্দেগি বর্জন করে মূর্তিপূজা করতেন। নাউযুবিল্লাহ।
আর এ কারণেই ইয়াহুদীরা আল্লাহর গযবে পতিত হয় এবং বায়তুল মাকদাসের মতো পবিত্র ভূমি থেকে বিতাড়িত হয়। নিম্নে বাইতুল মাকদাস ও ইয়াহুদীদের উপর বিভিন্ন জাতির আধিপত্যের ইতিহাস সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো।

ইহূদীদের উত্থান-পতনের ইতিহাস

১. আরামীয়দের আধিপত্য: নবী সুলাইমান (আলাইহিস -সালাম) মৃত্যুর কিছুদিন পর (খ্রি.পূ. ৮৭৪- খ্রি.পূ. ৮৫৩ সালের মধ্যে) আরামীয় সেনাবাহিনী বাইতুল মুকাদ্দাসে যুদ্ধে লিপ্ত হয় এবং সেখানকার সকল ইয়াহুদী নেতাকে হত্যা করে সমস্ত ধনসম্পদ লুট করে।
২.আশুরীয়দের আধিপত্য: ৮৫৯-৮২৪ খ্রি.পূ. পর্যন্ত ইয়াহুদীদের উপর আশুরীয়দের আধিপত্যের সূত্রপাত ঘটে।
৩. বাবেলীয়দের আধিপত্য: বাদশা বাখতু নাসর, যিনি শাম ও ফিলিস্তিনকে নিজ শাসনাধীনে আনার জন্য খ্রি.পূ. ৫৯৭ সালে প্রথম বার এবং খ্রি.পূ. ৫৮৬ সালে দ্বিতীয় বার সেখানে আক্রমণ করেছিলেন। বিরাট সংখ্যক ইয়াহুদীদের হত্যা করেন এবং বন্দিদেরকে বাবিলের (ব্যাবিলনের) খাবূর নদীর কাছে নাইবূর এলাকায় নির্বাসিত করেন।
৪.ইরানীদের আধিপত্য: পারস্য-সম্রাট সাইরাস বাবেল নগরী দখল করে খ্রিস্টপূর্ব ৫৩৯ সালে, বাখতুন নাসরের বন্দিদেরকে এবং যেসব ইয়াহুদী বাবেলে বসবাস করত, তাদেরকে আল কুদসে ফিরে যাওয়ার অনুমতি দেন এবং তাদের উপাসনালয় সংস্কার ও পুনর্নির্মাণ করার অনুমতি দেন। সেই প্রথম ইরানী, যে না কি ইয়াহুদীদের লালনপালন করেন।
৫. গ্রিকদের আধিপত্য: গ্রিকসম্রাট ইস্কান্দার আলেকজান্ডার খ্রি.পূ. ৩৩১ সালে মিশর, শাম ও ফিলিস্তিনে সামরিক অভিযান পরিচালনা করে ইরানীদের উৎখাত করেন। এতে ইয়াহুদীরাও গ্রীকদের অধীনে চলে আসে।
৬. রোমীয়দের আধিপত্যে: রোম-সম্রাট বোম্বেই খ্রি. পূ. ৬৪ সালে সিরিয়া দখল করেন। পরের বছর তিনি আল-কুদস দখল করেন। ইনজিলসমূহের বিবরণ অনুসারে রোম-সম্রাট দ্বিতীয় হেরোডিস খ্রি.পূ. ৪ সাল থেকে ৩৯ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত ইয়াহুদীদের শাসন করেন এবং তার যুগেই ঈসা (আলাইহিস -সালাম) জন্মগ্রহণ করেন।
৭. রোমান সম্রাট তিতুস ৭০ খ্রিস্টাব্দে আল-কুদসে আক্রমণ করে সেখানকার হাজার হাজার ইয়াহুদীকে হত্যা এবং তাদের বাড়ি-ঘর ধ্বংস করেন। ঠিক এ সময় ইয়াহুদীরা মদীনায় হিজরত করে।
৮. রোমান সম্রাট হাদরিয়ান ১৩২থেকে ১৩৫ খ্রিস্টাব্দে বাইতুল মাকদিস থেকে ইয়াহুদীদের উচ্ছেদ করেন। সবশেষে আবার রোমান সম্রাট হেরাক্লিয়াস ইয়াহুদীদেরকে শাস্তি দেন এবং আল-কুদসে যে ইয়াহুদী ছিল, তাদের সেখান থেকে বহিষ্কার করেন; আর এভাবে খ্রিস্টানদের পক্ষ থেকে এ শহর ইয়াহুদীদের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষিত হয় ।
ইয়াহুদী জাতি নিজেদের ‘আল্লাহ কর্তৃক নির্বাচিত জাতি’ হিসেবে গণ্য করে। নিজেদেরকে শ্রেষ্ঠ বলে মনে করে, অন্যান্য জাতিকে হীন এমনকী চতুষ্পদ জন্তু বলে গণ্য করে; অথচ তাদের মধ্যে জগতের সকল নিকৃষ্ট ও জঘন্য কার্যকলাপ বিদ্যমান। তারা সেই আদিকাল থেকেই পৃথিবীর বুকে নানান অশান্তি, যুদ্ধবিগ্রহ বাঁধাতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে।
ইয়াহুদী এমন একটি জাতি, যাদের নামের সঙ্গে জড়িয়ে আছে বহুসংখ্যক নবী ও রাসূল হত্যার ইতিহাস। তারা নবী ইয়াহইয়া (আলাইহিস -সালাম)-কে হত্যা করেছে, নবী যাকারিয়া (আলাইহিস -সালাম)-কে করাত দিয়ে চিরে দুই টুকরা করে ফেলেছে। ঈসা (আলাইহিস -সালাম)-কেও হত্যার দাবি করেছিল।
ইয়াহুদীরা পবিত্র ও সচ্চরিত্রা নারী মরিয়ম [আলাইহাস সালাম]-এর ওপর ব্যভিচারের জঘন্য অপবাদ আরোপ করেছিল। উল্লিখিত সংক্ষিপ্ত ইতিহাস থেকে জানা যায়–ইয়াহুদীরা আল্লাহর নানাবিধ নাফরমানি ও নবী-রাসূলদের হত্যা করার কারণে তাদের উপর লানত বর্ষিত হয়েছিল। যার কারণে তারা আর তাদের বসতবাড়ি এবং বায়তুল মাকদাস ফিরে পায়নি।
ইসলামী যুগ
শেষ নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) মদীনায় হিজরতের এক বছর পূর্বে রাতেরবেলায় মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আকসায় সফর করেন, যাকে ইসরা বলা হয়। অতঃপর সেখানে রাসূল (সাঃ) নবী-রাসূলদের নিয়ে ইমামতি করে সালাত আদায় করেন। সালাত শেষে ঊর্ধ্বাকাশে গমন করেন, যাকে মিরাজ বলা হয়। বাইতুল মাকদাস মুসলমানদের প্রথম কেবলা ছিল, যা হিজরতের ১৭ মাস পর কাবার দিকে কেবলা ঘুরে যায়।
খুলাফায়ে রাশেদার যুগ
দ্বিতীয় খলীফা উমার ইবনুল খাত্তাব (রাজিঃ) ৬৩৮ খ্রিস্টাব্দে অর্থাৎ হিজরী ১৮ সালে যখন আল-কুদস ও ফিলিস্তিন জয় করেন। তখন খ্রিস্টানরা খলীফার কাছে শর্তারোপ করেছিল যে, কোনো ইয়াহুদী যেন সেখানে বসবাস না করে এবং তিনিও তাদের ইচ্ছার প্রতি ইতিবাচক সাড়া দেন এবং এ বিষয়টি তাদের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তিপত্রে লিপিবদ্ধ করেন। তখন থেকে ১৩৪৩ হিজরী অর্থাৎ ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত পাশ্চাত্যের হাতে তুর্কী উসমানী খিলাফতের পতন না হওয়া পর্যন্ত বাইতুল মাকদাস ইয়াহুদী মুক্ত ছিল। প্রায় ১৮০০ বছর ইয়াহুদীরা ‍বাইতুল মাকদিসে বসবাসের সুযোগ পায়নি। উল্লেখ্য যে, উমার -এর যুগে ১৮-৪০ হিজরী পর্যন্ত মোট ২২ বছর বাইতুল মাকদাস মুসলিমদের অন্যতম প্রদেশ ছিল। আলহামদুলিল্লাহ।
উমাইয়া (৪১ হিজরী থেকে ১৩২ হিজরী) শাসনামলের ৯০ বছর: এই নব্বই বছর পুরোটাই বাইতুল মাকদাস মুসলমানদের হাতে ছিল। উমাইয়া শাসনামলে বাইতুল মাকদাসে উল্লেখযোগ্য কর্ম হলো, বর্তমান স্থাপনাটি উমাইয়া যুগেই নির্মিত। উমাইয়া খলীফা আবদুল মালিক ৬৯০ খ্রিস্টাব্দে মসজিদ পুনর্নির্মাণ ও সম্প্রসারণ করেন। সেই সঙ্গে তিনি ‘কুব্বাত আস-সাখরা’ নির্মাণ করেন।
আব্বাসীয় (১৩২-৬৫৬ হিজরী) শাসনামলের ৫২৪ বছর: আব্বাসীয় শাসনামলের ৫২৪ বছরের মধ্য ৩৬০ বছর বাইতুল মাকদাস মুসলমানদের দখলেই ছিল। অতঃপর আব্বাসীয় শাসনামলের শেষের দিকে ৪৯২ হিজরী মোতাবেক ১০৯৯ খ্রিস্টাব্দে খ্রিস্টান ক্রুসেডাররা বাইতুল মাকদাস দখল করে নেয় এবং হাজার হাজার মুসলিমদের হত্যা করে। আর এর পিছনে তৎকালীন মিথ্যা ফাতেমী দাবিদার মিশরের শীআ শাসকগোষ্ঠী ক্রুসেডারদের আহ্বান করে এবং ফিলিস্তিন দখলের আমন্ত্রণ জানায়। এর ফলে অতি সহজে খ্রিস্টান ক্রুসেডাররা বাইতুল মাকদাস দখল করে নেয়।

মুসলিম বীর গাজী সালাহউদ্দীন আইয়ুবী (রাহিঃ) ভালোভাবেই শীআদের নেফাকী আর সুন্নীদেরকে হত্যার ইতিহাস জানতেন। তাই তিনি দেখলেন বাইতুল মাকদাস উদ্ধার করতে হলে–আগে শীআদের উচ্ছেদ করতে হবে, কারণ তারাই ক্রুসেডারদের উৎসাহ প্রদান করছে। অবশেষে ৫৬৭ হিজরী মোতাবেক ১১৭১ খ্রিস্টাব্দে মিশরের মাটি থেকে শীআদের উৎখাত করেন। অতঃপর ৫৮৩ হিজরী মোতাবেক ১১৮৭ খ্রিস্টাব্দে মুসলিম বীর সিপাহসালার সুলতান সালাহউদ্দীন আইয়ুবী  হিত্তিন প্রান্তরে ক্রুসেডারদের পরাজিত করে পুনরায় জেরুযালেম শহর ও বাইতুল মাকদাস মুসলমানদের অধিকারে নিয়ে আসেন। আলহামদুলিল্লাহ।
মামলুকীদের (৬৪৮ হিজরী থেকে ৯২৩ হিজরী) শাসনামলে ২৭৫ বছর: এই ২৭৫ বছর পুরোটাই বাইতুল মাকদাস–সুন্নী মামলুকী মুসলমানদের হাতেই ছিল, যদিও তারা খ্রিস্টান ক্রুসেডারদের বিরুদ্ধে জিহাদরত ছিলেন।

উসমানীয় (৯২৩ হিজরী থেকে ১৩৪৪ হিজরী) শাসনামলের ৪০০ বছর প্রায় পুরোটাই বাইতুল মাকদাস মুসলমানদের দখলে ছিল। অটোমান বা উসমানীয় শাসনের শেষদিকে ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দে ‍ইংরেজরা ফিলিস্তিনে অনুপ্রবেশ করে এবং ১৯২০ খ্রিস্টাব্দে পূর্ণ কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করে। অল্প সময়ের মধ্যে ইয়াহুদীরা ফিলিস্তিনে স্থায়ীভাবে বসতি স্থাপন করে। ফিলিস্তিনের পবিত্র ভূমিতে ইয়াহুদীর সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মুসলমানদের সঙ্গে রাজনৈতিক ও ধর্মীয় দাঙ্গা নিত্যদিনের ঘটনায় পরিণত হয়। এসময় ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদীরা অন্যায়ভাবে মুসলমানদের ফিলিস্তিন ভূমিকে মুসলমান ও ইয়াহুদীদের মধ্যে ভাগ করে দেয়। ফলে ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে ১৫ মে বেলফোর ঘোষণার মাধ্যমে জায়নবাদী অবৈধ ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়।

অবৈধভাবে গড়ে ওঠা রাষ্ট্র ইসরায়েল ১৯৬৭ খ্রিস্টাব্দে ‘মসজিদুল আকসা’ জবরদখল করে নেয় এবং জায়নবাদী ইসরায়েল একের পর এক মুসলিম–অধ্যুষিত এলাকা দখল করে ইয়াহুদী বসতি সম্প্রসারণ অব্যাহত রেখেছে এবং হত্যা-গুম চালিয়ে যাচ্ছে। হে আল্লাহ! তুমি ইয়াহুদীদের ধ্বংস করো এবং ফিলিস্তিন ও বাইতুল মাকদাস মুসলমানদের হাতে ফিরিয়ে দাও।

তথ্যঃ
১-আল-আনিসুল জালিল বি তারীখিল কুদুস, আবদুর রাহমান বিন মুহাম্মাদ মুজিরুদ্দীন: ১/২৭২-২৭৫
২- আল কামেল ফিত-তারিখ—ইবনুল আসির: ১০/৩৭, সালাহউদ্দীন আয়্যুবী ওয়া কাযাউ আলা ফাতেমিঈন—সাল্লাবী: ১৬৩-২০৩
৩-মুখতাসার ফি আখবারিল বাশার, ইমাদুদ্দীন ইসমাঈল বিন আলী: বিস্তারিত ৩য় খণ্ড।
৪-সহীহ বুখারী: ৩৩৬৬ তাফসীরে কুরতুবী: ৪/১৩৮, ফাতহুল বারী (নবীদের ঘটনা) ৬/৪০০-৪১০
৫-রাজন্যবর্গ ও শাসকদের ১ম পুস্তিকা, ইসসাহ ১১:১-২
৬-আযরার পুস্তিকা, অধ্যায় ৬:৩-৭, অধ্যায় ১:৭-১১
৭- দানিয়ালের পুস্তিকা, অধ্যায় ১১:৫
৮- মথির ইঞ্জিল পৃ. ২

আব্দুল মালেক আহমাদ মাদানী
পি এইচ ডি গবেষক কিং খালেদ এউনিভার্সিটি, ইতিহাস বিভাগ । সংগৃহীত কপি।

ইন্নালিল্লাহ! কাল বিয়ে আজ দুপুরে বরের মৃত্যু! 🥲রাজনগরে কারেন্টে লেগে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বর আব্দুর রহিমবিয়ের যোগারযন...
11/06/2023

ইন্নালিল্লাহ! কাল বিয়ে আজ দুপুরে বরের মৃত্যু! 🥲

রাজনগরে কারেন্টে লেগে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বর আব্দুর রহিম

বিয়ের যোগারযন্ত শেষ, দূরদূরান্তের আত্মীয়-স্বজনরাও এসেছেন বিয়ে উপলক্ষে। আজ শনিবার রাতে গায়ে হলুদ হওয়ার কথা ছিল, বর সেজে কাল রোববার দুপুরে বউ আনতে যাওয়ার কথা আব্দুর রহিমের (২৮)। কিন্তু ভাগ্যের নির্মমতায় শনিবার (১০ জুন) দুপুরে বিদ্যুতায়িত হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন এই যুবক। যে বাড়িতে উৎসব হওয়ার কথা তার মৃত্যুর খবরে সে বাড়িতে এখন চলছে শোকের মাতম।

নিহত আব্দুর রহিম রাজনগর উপজেলার সদর ইউনিয়নের ঘড়গাঁও গ্রামের তারা মিয়ার ছেলে। তিনি পেশায় ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা চালক ছিলেন ।

নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি উপজেলার উত্তরভাগ ইউনিয়নের নয়াটিলা গ্রামের মৃত রইছ আলীর মেয়ে ঝর্ণা আক্তারের (১৮) সাথে আব্দুর রহিমের বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক করেন পরিবারের সদস্যরা। রবিবার তাদের বিয়ে হওয়ার কথা। গায়ে হলুদ অনুষ্ঠানের জন্য আলোকসজ্জার বাতি টানানো হয়। শনিবার দুপুর ২টার দিকে বৃষ্টিতে ভিজে খালি পায়ে আলোকসজ্জার একটুকরো তার ঝুলতে দেখে সরাতে যান রহিম। এক পর্যায়ে তিনি বিদ্যুতায়িত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। রহিমের খালাতো ভাই দিপু মিয়া তাকে তুলতে গেলে তিনিও বিদ্যুতের ঝটকায় পড়ে যান। পরে পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে রাজনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডেিকল কলেজ হাসপাতালে নেন। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে উৎসবের আমেজে থাকা বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। আত্মীয়-স্বজনরা বিলাপ করছেন। বিয়ের জন্য সাজানো আলোকসজ্জার বাতি ও গেইট খুলছেন ডেকরেটার্স কর্মীরা।

নিহতের খালাতো ভাই দিপু মিয়া বলেন, রহিম ভাইকে পড়ে যেতে দেখে আমি এগিয়ে যাই। স্পর্শ করতেই আমিও ঝটকায় নিচে পড়ে যাই। পরে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে স্বজনরা জানিয়েছেন তিনি মারা গেছেন।

রাজনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিনয় ভূষণ রায় বলেন, একজন বিদ্যুতায়িত হয়ে মারা গেছেন বলে খবর পেয়েছি। পরিবারের কেউ এখনো অভিযোগ করেন নি।

08/06/2023
বিদ্যুৎ লাগবো বিদ্যুৎ!
08/06/2023

বিদ্যুৎ লাগবো বিদ্যুৎ!

07/09/2022

Address

Sylhet

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when কওমী কন্ঠ 24 posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to কওমী কন্ঠ 24:

Videos

Share

Category


Other Magazines in Sylhet

Show All