25/04/2024
প্রবাসী দুই ধরনের!
এক নাম্বার মিডেলিস্ট আরব দেশ ও মালয়েশিয়ায় সিঙ্গাপুর বুনাই মালদ্বীপ যারা এই দেশ গুলোতে কাজের উদ্দেশ্যে যায় তারা নিজেকে সাধারণ প্রবাসী পরিচয় দিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে।
দুই নম্বর যারা ইউরোপ- আমেরিকার মতো উন্নত দেশে কাজের উদ্দেশ্যে যায়। তারা নিজেকে প্রবাসী বলতে চায় না! বলে ইউরোপ থাকি আমেরিকায় থাকি।
এবার মূল কথায় আসি। এক নম্বর প্রবাসীরা মধ্যবিত্ত বা গরিব ধার দেয়ানা করে এশিয়ার দেশে গুলোতে যায় নিজের ভাগ্য চাকা গুরাতে। অনেকে সফল হয় অনেকে দীর্ঘ সময় প্রবাস করতে হয় অল্প টাকা বেতনে। দিন শেষে এরা অনেকেই সুখী।
সময় মত ইচ্ছা করলেই বিয়ে করতে পারে। যে কোন সময় দেশে যেতে পারে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক চাকা সচল থাকে তাদের অর্থে। বাংলাদেশের মেটো পথের ধারে গ্রামের বেশিরভাগ পরিবার সচ্ছল হয়েছে এসব পরিবারের সন্তানরা এশিয়ার ছোট দেশগুলোতে প্রবাসী হিসেবে যাওয়ার কারণে।
প্রবাস জীবনের একটা সময় পার করে এরা দেশে অবসরে যেতে পারে এবং এদের বেশিরভাগই মৃত্যু মাতৃভূমিতে নসিব হয়। কবরটাও নিজের মা-বাবার পাশে হয়। এদের শেষ স্বপ্ন থাকে প্রবাসের ইনকামের টাকা জমিয়ে নিজদেশে ফিরে যেয়ে কোনরকম ডাল ভাত খেয়ে শেষ জীবন দেশে কাটানো। এরা যদি সুন্দর করে প্ল্যানিং করে দিনশেষে এরাই সবচেয়ে সুখী প্রবাসী।
আর দুই নম্বর প্রবাসী যারা ইউরোপ-আমেরিকা থাকে তারা বেশির ভাগ মানুষ একটু অহংকারী হয়ে থাকে। আর এরা যেকোনোভাবে ইউরোপ আমেরিকায় ঢুকতে চেষ্টা করে এইসব দেশে যাওয়াই যেন জীবনের সকল সার্থকতা এরা মনে করে। এরপর বৈধ থাকার জন্য জীবনের ১০-১৫ বছর হেলায় ফেলায় নষ্ট করে এর ভিতর জীবন যৌবন বিয়ের বয়স পার হয়ে গিয়ে আঙ্কেলের বয়সে চলে যায় এদের।
একটা সময়ের পর বিয়ে করে এবং নিজের সন্তানের ইনকামে খাওয়ার আগে এদের কবরের টিকেট অনেক ক্ষেত্রে চলে আসে। ইউরোপ আমেরিকা প্রবাসী হওয়ার কারণে সবচেয়ে বেশি লাভবান হয় তাদের আত্মীয়-স্বজন এবং পরিবার।
সবচেয়ে লস হয় তার জীবনের দীর্ঘ সময় একটা গ্রিনকার্ড জন্য অপেক্ষা করতে করতে জীবনটাকে শেষ করে দেয়। একটা সময়ের পর ইউরোপ প্রবাসীদের স্বপ্নের সুন্দর ইউরোপ থেকে নিজের মাতৃভূমির বেশি ভালো লাগে। তখন জীবনের পড়ন্ত বেলা চলে আসে।
পৃথিবীর যত উন্নত দেশে যান না কেন? প্রবাসী হিসেবে? আপনাকে কাজ করেই খেতে হবে এখানে অহংকারের কিছু নেই।
বিঃদ্রঃ এ পর্যন্ত বাংলাদেশের রেমিট্যান্সে সব সময় প্রতিবছরই মিডেল ইস্টের দেশ গুলো থেকে ইনকাম সর্বোচ্চ।
Collected