10/06/2023
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=267799952436037&id=100076181019518&mibextid=Nif5oz
একজন হবুর উত্তান
এই হবু ছোট বেলা থেকেই তারা মায়ের সাথে টানাখালীর পাশে শান্তিপুর গ্রামে পরের ভিটাতে উরা বানিয়ে বসবাস করতো। তার বাবা কে কোথায় তার মুল বাড়ি সেটা আশেপাশের গ্রামের লোকজন
কেউই জানে না। এমনকি জানার প্রয়োজন ও কেউ মনে করেনি।
হবুর মা ৮০ র দশকের শুরুতে শান্তি পুর আসার পরেই, প্রথমে বিভিন্ন রেষ্টুরেন্টে ও মানুষের বাড়িতে বাড়িতে কাজ করত। পরে টানাখালী বাজারের ব্যাবসায়ী কদু বাবুর, রাইস মিলে, কাজ করা শুরু করে, তখন অত্র এলাকার আশেপাশের গ্রাম গুলোতে কোন রাইস মিল ছিল না। তাই আশেপাশের ১৪/১৫ টি গ্রামের মানুষ, ধান নিয়ে টানাখালী বাজারেই আসতে হত। সেই হিসাবে রাইস মিলে প্রচুর পরিমাণ মহিলারা কাজ করতো, সকাল থেকে রাত ১০ পর্যন্ত ধান চাউল ঝারার কাজ করতো হবুর মা। সারাদিন উরা, কুলা, নিয়ে চাউল ঝারার কাজ করে, চাউলের খুদি, ধানের বুসি থেকে ঝেরে আধা ভাংতি চাউল, নিয়ে রাতে বাড়ি ফিরত । এই হবুর মা এক পায়ের পাতা জন্মগত টানা দেওয়া ছিল তাই উনাকে মানুষ লেংরি বলে ডাকতো,পায়ের পাতার মুড়ালী উচু থাকতো সব সময়। তাই হাটাহাটি করতে খুব কষ্ট হত। হবুর মা যখন রাইসমিল থেকে রাতে বাড়ি ফিরে যেত তখন এই হবু তার মায়ের সাথে সাথে থাকতো। তখন সে ছোট ছিল, বয়স আনুমানিক ৮/১০ বছর, মা সারাদিন মিলে কাজ করে আর এই হবু বাজারের অলিগলিতে ঘুরে বেড়াত। প্রতি সপ্তাহের রবি ও বৃহস্পতিবার টানাখালীর হাট বসত। কাছামালের ব্যাবসায়ীরা আদা পচা শাক সবজি আলু পেয়াজ বিভিন্ন ধরনের জিনিস ফেলে দিলে, টুকাই হবু এগুলো কুড়িয়ে নিয়ে যেত। এই ভাবে আস্তে আস্তে, টুকাই হবু প্রায়ই মানুষের দোকানের জিনিসপত্র চুরি করা শুরু করে। অনেক বার অনেক ব্যাবসায়ীরা চুরিতে দরে মারপিট করে, দয়া বাবাহীন ছেলে হিসাবে দয়া করে আবার ছেড়ে দিত।
এই ভাবে কয়েক বছর পরে সে যখন ধীরে ধীরে বড় হল, তখন প্রায়ই তার মায়ের কষ্টের জমানো, চাউল, খুদি সব বিক্রি করে দিত, তার মা কিছু বললে মায়ের সাথে খারাপ আচরণ করতো গালাগালি এমকি গায়ে হাততুলে আঘাত করতে, এগুলো তার মা নিজেই মানুষের কাছে কান্নাকাটি করে বলে বেড়াতে, এই টুকাই হবু কে কয়েক বার এই জন্য বাজারের লোকজন মিলে শাসন করা হয়েছে কিন্তু তার পরিবর্তন হয়নি । যেমন ছেলে তেমন মা, তার মায়ের ব্যাপারে ও এলাকায় অনেক কথা আছে, যাক সেই দিকে নাই বললাম।
কিন্তু এই টুকাই হবু একটা সময় প্রচন্ড বেপরোয়া হয়ে উঠে। প্রায়ই টানাখালী বাজারের চুরি ডাকাতি বেড়ে গেল। এই অবস্থায় আমরা সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি সৌম্য চৌধুরীর হত্যাকারীর বিচার যেনো হয়,