সৈয়দপুরের ইতিহাস ও ঐতিহ্য

সৈয়দপুরের ইতিহাস ও ঐতিহ্য সৈয়দপুর জগন্নাথপুর থানাধীন সুনামগঞ্জ জেলার একটি বৃহত্তর গ্রাম।

আলহামদুলিল্লাহ!সৈয়দপুরের কৃতিসন্তান, জগন্নাথপুর তথা সুনামগঞ্জবাসীর গর্ব মল্লিক আহসান সামী অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার হিসাবে ...
16/08/2024

আলহামদুলিল্লাহ!
সৈয়দপুরের কৃতিসন্তান, জগন্নাথপুর তথা সুনামগঞ্জবাসীর গর্ব মল্লিক আহসান সামী অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার হিসাবে ঢাকায় পদোন্নতি দেয়া হয়েছে। তিনি সুনামগঞ্জ বারের প্রবীণ আইনজীবী এড. মল্লিক সুহেল সাহেবের সন্তান।

সৎ এই পুলিশ অফিসারকে সশ্রদ্ধ সালাম, শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
🌹🌹

14/07/2024

20years ago old historical memory in Syedpur village And market, old people old building old River old market really amazing memory in syedpur, Syedpur villa...

06/06/2024
ডাক্তার সৈয়দ আবু হাসান: স্মৃতিগাঁথা কিছু কথালেখক: সৈয়দ ছাবির আহমদযুক্তরাজ‍্য প্রবাসী।১৯৭৭ সাল। বয়স তখন বারো। সৈয়দপুর...
04/06/2024

ডাক্তার সৈয়দ আবু হাসান: স্মৃতিগাঁথা কিছু কথা

লেখক: সৈয়দ ছাবির আহমদ
যুক্তরাজ‍্য প্রবাসী।

১৯৭৭ সাল। বয়স তখন বারো। সৈয়দপুর শামছিয়া সিনিয়র মাদ্রাসায় দাখিল ১ম শ্রেণীতে পড়ি। সে সময় ঊনিশ বছরের টগবগে সুদর্শন এক যুবক সুদূর মালেশিয়া থেকে সরকারি স্কলারশিপ নিয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে পড়তে আসেন। ক্লাস শুরু হতে মাত্র আরো কয়েক সপ্তাহ বাকি তাই এই ফাঁকে দাদী ও আত্মীয় স্বজনদের দেখতে বেড়াতে এসেছেন সৈয়দপুর পশ্চিম পাড়া দাদীর বাড়িতে। মূলত বাড়িটি আমাদের বাপ চাচাদেরই, কিন্তু ঐ বাড়িতে দাদী থাকতেন বলে দাদীর বাড়ি বলতাম। তাঁর আগমনের সংবাদ পেয়ে মাগরিব নামাজের পর বড় ভাই সাহেবের সাথে সেখানে গেলাম। দেখা সাক্ষাত পরিচয় হল। তখন যদিও আমি একজন অপরিপক্ক ছোট মানুষ। কিন্তু খুব একটা অবুঝ ও ছিলাম না, অনেক কিছুই আঁচ করতে পারতাম। তাই তাঁকে দেখা মাত্র প্রথম দর্শনেই মনে হয়েছে তাঁর চোখে মুখে যেন সাফল্যের চুড়ান্ত সোপানে আরোহণ করার এক প্রদীপ্ত স্বপ্ন বিরাজ করছে। এই যুবকটিই ছিলেন আজ পরলোকগত আমার চাচাতো ভাই ডাক্তার সৈয়দ আবু হাসান।

এই চমৎকার ক‍্যালিওগ্রাফিটি ডাক্তার হাসানের স্মৃতির নির্দশন হিসেবে লেখেকর কাছে রয়েছে
ঐ রাত দাদীর বাড়িতে আমি থেকেছি কিনা মনে নেই। তবে পরের দিন দুপুরে খাবার খেয়ে সৈয়দপুর বাজারে একসাথে গিয়েছিলাম বিষয়টা মনে আছে। বাজারে আমার চাচাদের একটি কাপড়ের দোকান ও ‘বন্ধু লাইব্রেরি’ নামে একটি বই কিতাবের লাইব্রেরি ছিল। উভয় দোকানেই বিভিন্ন জনের সাথে কথা বলে প্রায় সারাদিন কাটিয়েছি। বিদেশি নতুন মেহমান হিসেবে কিছুক্ষণ পরপর চা-কেক-বিস্কুট খেতে দেয়া হত, যা আমার কাছে ছিল বেশ উপভোগ্য। এমনিতেই চা-কেক এর প্রতি আমার যথেষ্ট আসক্তি ছিল। যে আসক্তি এখন ও রয়েছে, স্বাস্থ্য পরিপন্থী হওয়া সত্যেও জীবনের এই পরিণত বয়সে এসে ও কমাতে পারিনি। আমার মনে হয় এটা আমাদের পারিবারিক জেনেটিক সমস্যা ও হতে পারে। মরহুম আব্বা হযরতকেও দেখেছি ডায়াবেটিস সত্যেও চা-কেক-বিস্কুট-ব্রেড ইত্যাদি তাঁর বেশ প্রিয় ছিল। মালয়েশিয়ার চাচা ও বহুদিন যাবৎ ডায়াবেটিস রোগে ভুক্তভোগী ছিলেন। কিন্তু মিষ্টান্ন জাতীয় খাবার পরিত্যাগ করতে পারেননি। তাই বলছিলাম ঐদিন বাজারে আবু হাসান ভাইয়ের সামনে যতবার চা নাস্তা রাখা হয়েছে ততবার তিনি না খেলেও আমি কিন্তু সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করিনি, বারবার খেয়েছি যতবার পেয়েছি।

প্রথম দিকে আবু হাসান ভাই বাংলা বলতে পারতেন না বিধায় কেউ বুঝুক আর না বুঝুক সবার সাথে ইংরেজীতে কথা বলতেন। যারা ইংরেজী ভাষার অন্তত কিছু শব্দ ও জানত তারা বেশ কিউরিসিটি নিয়ে তাঁর সাথে কথা বলত এবং তাদের ভাঙা ভাঙা শব্দগুলোর দ্বারাই তাদের উদ্দিষ্ট কথা অনেকটা বুঝে নিতেন। আমার ক্ষেত্রে ও এমনটাই হয়েছিল। দু’ একটা শব্দ বললেই তিনি পুরোটা বুঝে নিতে পারতেন। তখন জানতামই বা আর কতটুকু। মাত্র পঞ্চম শ্রেণী শেষ করে আলিয়া মাদ্রাসায় দাখিল ১ম শ্রেণীতে পড়ছিলাম। তবে আমাদের পরিবারের সকলের ইন্টারপ্রিটার ছিলেন আমাদের দাদী। তিনি মালয়েশিয়ান ভাষা বেশ ভালই জানতেন। কারণ তাঁর ছেলে মরহুম আবুল ফজল চাচার সাথে হজ্জ থেকে ফেরার পথে একাধারে তিন বছর তিনি মালয়েশিয়া ছিলেন। সেজন্য গ্রামে আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে বেড়াতে অধিকাংশ সময় তিনি তাঁর সঙ্গে থাকতেন। ছুটি কাটিয়ে আবু হাসান ভাই চলে যান মেডিক্যাল কলেজ ঢাকায়। পড়াশোনার ব্যস্ততা হেতু গ্রামে খুব একটা আসা হত না। তারপরও সময় সুযোগ করে সংক্ষিপ্ত পরিসরে আত্মীয় স্বজনদের বিশেষ করে দাদীকে দেখতে মাঝে মধ্যে আসতেন। এছাড়া বিশেষ কোন প্রয়োজন দেখা দিলেও আসতেন। বড় ভাই হাফিজ সৈয়দ ইমামুদ্দীন আহমদ সাহেবের বিয়ে উপলক্ষে মেজো ভাই সৈয়দ নূর আহমদ তাঁকে সিলেট মেডিক্যাল কলেজ থেকে নিয়ে এসেছিলেন। বিয়েতে আমার খালাতো ভাই ইংল্যান্ড প্রবাসী সৈয়দ জুবের আহমদ সাহেব ও ছিলেন। যিনি বাল্যকাল থেকে বিলেতে বসবাস করায় ইংরেজী ভাষা ছিল তাঁর কাছে ফার্স্ট ল্যাঙ্গুয়েজ সদৃশ। তাই আবু হাসান ভাইয়ের সাথে তাঁর পরিচয়োত্তর আমি দেখেছি বিয়ে বাড়িতে পুরো রাত তাঁরা পরস্পর গল্প করে কাটিয়েছিলেন। পরদিন সকালে তিনি সিলেট চলে যান। তখন তিনি সিলেট মেডিক্যাল কলেজে পড়তেন। প্রায় দুই বছরের (১৯৮১-১৯৮২) জন্য তাঁকে সিলেট মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়েছিল। মেজো ভাইয়ের সাথে তাঁর বেশ হৃদ্যতা ছিল, বয়সের দিক থেকেও খুব একটা ফারাক্ব ছিল না। মেডিক্যালে যাবার পূর্ব পর্যন্ত প্রতিদিন বিকেলে তাঁর ঘোরাফেরার সাথী ছিলেন কয়েকজন। তন্মধ্যে মেজো ভাই সৈয়দ নূর আহমদ সাহেব, পীরের বাড়ির ভাগ্নে সৈয়দ এনামুল হক ও মরহুম সৈয়দ সদরুল আমীন সাহেব প্রমুখ। মাঝে মধ্যে তাঁর সাথে ভাগ্নে এডভোকেট সৈয়দ শায়েখ আহমদকে ও একসাথে বসে কথা বলতে দেখেছি তবে তিনি ও সে সময় ছাত্র ছিলেন বিধায় খুব একটা ঘোরাফেরা করতে দেখিনি।

ভাষাগত সমস্যা থাকা সত্যেও তিনি খুব সহজে সবার সাথে হাসিমুখে মিশতে পারতেন। বেশ সামাজিক ও বন্ধুবৎসল ছিলেন। তিনি একবার যার সাথে কিছু সময় বসতেন কথা বলতেন পরবর্তীতে সেই ব্যক্তির আপন হয়ে যেতেন। গুণগত কারণে আত্মীয় অনাত্মীয় সবাই তাঁকে ভালবাসত। উদাহরণ স্বরূপ বলছি তাঁর ইন্তেকালের কয়েকদিন পর লন্ডনে বসবাসরত আমার অগ্রজ আহমদ কুতুব ভাই সাহেব তাঁকে স্মৃতি চারণ করে চমৎকার একটা স্ট্যাটাস পোস্ট করেছিলেন। সেখানে দেখলাম তিনি আবু হাসান ভাইয়ের ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও বংশীয় পরিচয় যৎকিঞ্চিৎ বর্ণনা করার পাশাপাশি তাঁর সাথে সামান্য ক’দিন ঘোরাফেরার স্মৃতি এবং তাঁর পরলোকগমণ যেন প্রচণ্ডভাবে অনুভব করেছেন। পরিশেষে আবেগময় ভাষায় আল্লাহ্ তায়ালার কাছে তাঁর জন্য মাগফিরাত ও জান্নাতে উচ্চাসন চেয়ে দুয়া করেছেন। তাঁর স্ট্যাটাসটির অভিনব প্রকাশভঙ্গি দেখেই বুঝা যায় ডাক্তার সৈয়দ আবু হাসান আত্মীয়তার সূত্রে ও একসাথে ঘোরাফেরার কারণে তাঁর বেশ কাছের একজন মানুষ ছিলেন।

১৯৮৬ সনে তিনি এম,বি,বি,এস সমাপ্ত করে মালয়েশিয়া প্রত্যাবর্তন করেন এবং তখন থেকেই তাঁর কর্মজীবন শুরু হয়। কয়েক বছর পর কর্মজীবনের ব্যস্ততা এড়িয়ে আবারো ইলেকট্রো মেডিসিনের উপর স্টাডি করার উদ্দেশ্যে তিনি আমেরিকার নেভাদা স্টেইটে পাড়ি জমান এবং সেখানে ইলেকট্রো মেডিসিনে বিশেষজ্ঞ হিসেবে সনদ লাভ করেন। মালয়েশিয়ায় তাঁর নিজস্ব প্রাইভেট ক্লিনিক ছিল। রোগীদের সেবায় তিনি ইলেকট্রো থেরাপি বা ইলেকট্রো মেডিসিন ফরমুলা ব্যবহার করতেন। কথা প্রসঙ্গে চিকিৎসার অভিনব পদ্ধতিসমূহ তিনি নিজেই আমার কাছে বর্ণনা করেছেন। বাংলাদেশ থেকে চলে যাবার পর আমাদের সাথে তেমন যোগাযোগ ছিল না। কিন্তু চাচাজী (তাঁর পিতা হাফিজ সৈয়দ আবুল ফজল) এক দুই বছর অন্তর অন্তর শেখরের টানে দেশে আসতেন এবং সপ্তাহ দু এক অবস্থান করে আত্মীয় স্বজন সকলকে দেখে ফিরে যেতেন। চাচাজী সাধারণত দেশে আসলে যেকোনো ভাবেই হোক নিকটাত্মীয় সবাইকে অন্ততঃ একবারের মতো হলেও দেখার চেষ্টা করতেন। আমি ১৯৮৩ সনের অক্টোবর থেকে জুলাই ১৯৮৯ ইংরেজী পর্যন্ত প্রায় ছয় বছর সিলেট সরকারি আলিয়া মাদ্রাসায় পড়াশোনা করেছি। ঐ সময়টুকুতে যতবার তিনি বাংলাদেশে এসেছেন আমাকে বাড়িতে না পেলে মাদ্রাসায় এসে দেখে যেতেন। ১৯৯২ সনে একবার স্বল্প সময়ের জন্য এসেছিলেন বাংলাদেশে। তখন আমি সুনামগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা পেশায় ছিলাম। সকল আত্মীয়ের সাথে দেখা সাক্ষাত শেষে আমার সাথে দেখা হয়নি বিধায় তিনি অনেক কষ্টে সুনামগঞ্জ চলে আসেন। পরিবারের সদস্যদের প্রতি, আত্মীয়দের প্রতি, জন্মভূমি বাংলাদেশের প্রতি চাচাজীর মনের টান ছিল প্রচণ্ড রকমের।

মে ১৯৯৬ সনে স্থায়ীভাবে বসবাসের উদ্দেশ্যে আমি বিলেত চলে আসি। ১৯৯৭ সনের প্রথমদিকে মালয়েশিয়া থেকে চাচাজী, চাচি ও চাচাতো ভাই সৈয়দ আবু হুসেইন সহ তাঁরা তিনজন দশ বারো দিন সময় হাতে নিয়ে ইংল্যান্ড আমার বাসায় আসেন। আমি তখন সান্ডারল্যান্ড সিটির হেন্ডন মসজিদের ফ্লাটে পরিবার নিয়ে থাকতাম। সান্ডারল্যান্ড এমন একটি সিটি যেখানে বাংলাদেশী কমিউনিটির প্রায় শতকরা পচান্নব্বই ভাগ লোক সৈয়দপুর গ্রামের। এ হিসেবে আমাদের অসংখ্য নিকটাত্মীয় এই নগরীতেই বসবাস করেন। চাচাজীর সংবাদ শুনে তাদেরকে দেখার জন্য সব সময় আত্মীয়দের আনাগোনা ছিল অব্যাহত। ঐ সময়টা আমাদের কাছে কত যে ভাল লেগেছে এবং কেটেছে বলা বাহুল্য। বড় ভাই সাহেবের পরিবার তখনো ইংল্যান্ড আসা হয়নি বিধায় পুরো সময়টুকু তাঁরা আমার বাসায়ই থেকেছেন। এখানে থেকেই আত্মীয়দের বাসায় বেড়াতে যেতেন এবং অনেকে তাদেরকে বিভিন্ন সময় দাওয়াত ও খাইয়েছেন।

চাচাতো ভাই সৈয়দ আবু হুসেইন সাহেবের সাথে এই প্রথমবারের মতো আমাদের দেখা সাক্ষাত্ ও পরিচয় হয়, এর পূর্বে কখনও তাঁর সাথে আমাদের পরিবারের কারো দেখা সাক্ষাতের সুযোগ হয়নি। ভাই বোন বারো জনের মধ্যে সৈয়দ আবু হুসেইন দ্বিতীয়। শিক্ষা ক্ষেত্রে তিনি বি এ পাশ গ্র্যাজুয়েট। কর্মক্ষেত্রে একজন ধার্মিক শিল্পপতি ও রাজনীতিবিদ এবং বর্তমানে মালয়েশিয়ার সংসদ সদস্য। এ সফরে ইংল্যান্ডে বসবাসরত সকল আত্মীয়ের সাথে পরিচয় হয়ে তিনি বেশ উত্ফুল্ল ছিলেন এবং চাচাজীকে বলতেন বিলেতের মাটিতে যদি আমাদের এত আত্মীয় স্বজন থেকে থাকেন তাহলে বাংলাদেশে না জানি আরো কত খেশ্ কুটুম রয়েছেন। তাই চাচাজী তাদেরকে নিয়ে ইংল্যান্ড থেকে ফেরার পথে বাংলাদেশে আরো ক’দিন অবস্থান করে আত্মীয় স্বজন সকলের সাথে দেখা সাক্ষাত ও পরিচয় করিয়ে মালয়েশিয়া প্রত্যাবর্তন করেন। আলহামদুলিল্লাহ্, এরপর থেকে বছর দেড়েক অন্তর অন্তর সৈয়দ আবু হুসেইন কখনো একা আবার কখনো পরিবার নিয়ে আমাদেরকে দেখতে আসেন। সর্বশেষ তিনি সস্ত্রীক সংক্ষিপ্ত সফরে এসেছিলেন ফেব্রুয়ারি ২০১৯ আমার বড় ছেলের বিয়ে উপলক্ষে। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী কভিড-১৯ এর কারণে আর আসা হচ্ছে না।

১৯৯৭ সনের শেষের দিকে হঠাৎ একদিন ডাক্তার আবু হাসান ভাইয়ের ফোন কল। তিনি সস্ত্রীক লন্ডন এসেছেন, আমাদের লোকেশন দেওয়ার জন্য বললেন। তখনো আমার গাড়ি ছিল না। অতঃপর তিনি নিজেই ট্রেন যোগে নিউক্যাসল ট্রেন স্টেশন পর্যন্ত আসলেন এবং সেখান থেকে আমার সম্বন্ধী সৈয়দ আবু শ্যামাকে সাথে নিয়ে তাঁদেরকে নিয়ে এসেছিলাম। কয়েকদিন থাকলেন। কয়েক মাস পর কোন এক সুযোগে আবারো বেড়াতে আসলেন। একটা গাড়ি ভাড়া করে একদম লন্ডন থেকে সান্ডারল্যান্ড পর্যন্ত প্রায় তিনশ’ মাইল ড্রাইভ করে এসেছিলেন। তখন তো নেভিগেটর বা টমটম সিস্টেম ছিল না যে, গাইড করে নিয়ে আসবে। রোডম্যাপ ফলো করেই আসেন আর সহযোগী হিসেবে সঙ্গে স্ত্রী ও ছিলেন। তাঁদেরকে নিয়ে শহরের বিভিন্ন জায়গায় ও আত্মীয়স্বজনদের বাসায় ঘুরেছি। অবাঙালি পরিবেশে বেড়ে ওঠা ভাইদের আত্মীয়প্রেম দেখে কোন কোন সময় আমরা অনেকটা লজ্জাবোধ করতাম এই ভেবে যে, আমরা ইংল্যান্ডের মতো জায়গায় থেকে ও তাঁদের কাছে বেড়াতে যেতে পারি না, অথচ তাঁরা প্রাচ্যের দেশ সুদূর মালয়েশিয়া থেকে কত কষ্ট ও ত্যাগের বিনিময়ে আমাদের দেখতে আসেন। মূলত রক্তের টানেই আসা হত। হয়তো আমরা আত্মীয়দের মাঝে বসবাস করায় এতটুকু অনুভব করতে পারিনা যতটুকু অনুভব করতে পারেন তাঁরা।

আমি ইংল্যান্ড আসার পর চাচাজী মালয়েশিয়া থেকে শুধুমাত্র একবারই এসেছিলেন যা ইতিমধ্যে বর্ণনা করেছি। তারপর অনেকবার অনুরোধ করেছি কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার কারণে আসেন নাই। এছাড়া আরেকটা কারণ ছিল – তিনি মনে করতেন ইংল্যান্ড সফরে গেলে কি জানি সেখানে মৃত্যু হয়ে যায় কিনা। তাঁর বাসনা ছিল মৃত্যু যেন মক্কা মদীনায় হয় কিম্বা নিজের জন্মভূমি বাংলাদেশে হয় নতুবা মালয়েশিয়া ছেলেমেয়েদের সাথে থেকে হয়। তাই তিনি বার্ধক্যের শেষ কয়েক বছর এ নিয়্যতে মক্কা মদীনা এবং বাংলাদেশ ঘন ঘন সফর করেছেন। কিন্তু এর বাইরে অন্য কোন দেশে সফর করেন নাই। বরং আমাদেরকে তাঁর কাছে বেড়াতে যেতে খুব চাপাচাপি করতেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সময় সুযোগ করতে পারি নাই। ২০০১ সনের মাঝামাঝিতে ডাক্তার আবু হাসান ভাই যখন স্বল্প পরিসরে বেড়াতে আসেন তখন চাচাজী স্বর্ণের দোকান থেকে একটি আংটি কিনে তাঁর কাছে দিয়ে বললেন, “আমার কথা বলে এই আংটি ছাবির আহমদের স্ত্রীকে দিও। মনে হয় আমার জীবদ্দশায় তারা মালয়েশিয়া আসবে না।ʼʼ এই আংটি পেয়ে আমার স্ত্রী ও যারপরনাই খুশি, মহাখুশি। আজো চাচা শ্বশুরের প্রদত্ত হাদিয়াটি স্মৃতি স্বরূপ সযত্নে সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে। আমাদের এখানে আবু হাসান ভাইয়ের ২০০১ সনের সফরটাই ছিল শেষ সফর। এরপর আর আসা হয়নি।

১৯৯৮/১৯৯৯ সনের কোন একদিন মালয়েশিয়া থেকে আবু হাসান ভাইয়ের পাঠানো একটা পার্সেল পেলাম। পার্সেলের ভিতর দুটি মনিহার, বাঁশের তৈরি তালপাতার ফ্যানের ন্যায় কারুকার্য খচিত বড় আকারের ফ্যান্সি। আবার কালো ব্যাকগ্রাউন্ডের উপর সোনালী অক্ষরে ক্যালিগ্রাফি করে পুরো আয়াতুল কুরছি লেখা। যেকোনো রংয়ের দেয়ালে ডিসপ্লে করা হলে বেশ সুন্দর দেখায়। পার্সেলের ব্যাপারে টেলিফোনে আমাকে বললেন দুটি মনিহারের একটি তোমার জন্য আরেকটি তোমার মসজিদের জন্য। এই ফ্যান্সি জিনিসটি প্রায় একুশ বাইশ বছর পর ও আজ অবধি আমার কাছে সংরক্ষিত রয়েছে এবং ফ্রন্ট রুমে শোভা পাচ্ছে। এর ছবিটাই আমি ব্যবহার করি আমার ফেবুর প্রফাইল আইকন হিসেবে। গত ১৯শে ডিসেম্বর ২০২০ইং শনিবার তিনি মহান আল্লাহর ডাকে চিরদিনের জন্য এ দুনিয়া ছেড়ে চলে গেছেন। অথচ তাঁর রেখে যাওয়া স্মৃতি আজ বারবার চোখে পড়ে। অনেক সময় ভাবিয়ে তুলে, অনেক কিছু স্মরণ করিয়ে দেয়। কখনো বা মনের অজান্তেই আঁখিযুগল অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়ে। তখন প্রার্থনা করি, “ওগো দয়াময় আল্লাহ্! আমার এই ভাইকে ক্ষমা করে দাও। তাঁর ক্ববরকে বানিয়ে দাও জান্নাতের বাগান।ʼʼ

[নোটঃ আমাদের পরিবার পরিজন অনেকেরই অনেক স্মৃতি তাঁদের সাথে জড়িয়ে আছে। কিন্তু আমি ব্যাপকতায় না গিয়ে শুধুমাত্র আমার জায়গা থেকে যৎসামান্য স্মৃতিচারণ করেছি।]

সৈয়দপুর গ্রামের সাথে বাইরের উলামা মাশায়েখের আত্মীয়তা ___________________বিগত ৩/৯/২০১৯ মঙ্গলবার দিবাগত রাত বা'দ এশা আমার ...
02/06/2024

সৈয়দপুর গ্রামের সাথে বাইরের উলামা মাশায়েখের আত্মীয়তা
___________________
বিগত ৩/৯/২০১৯ মঙ্গলবার দিবাগত রাত বা'দ এশা আমার ঘরে শুভ পদার্পণ করেন সৈয়দপুর জামেয়ার বর্তমান স্বনামধন্য উস্তাদ ও একসময়ের অত্র জামেয়ার কৃর্তীছাত্র হাফিজ মাওলানা আলী আহমদ। যিনি একাধারে আমার উস্তাদপুত্র, শায়খজামাতা ও ফুফু শাশুড়ীর ঘরের ছোটভাই। সাথে ছিলেন সৈয়দপুর মাদ্রাসার তরুণ উস্তাদ আমার উস্তাদজাদা ভাগিনা মাওলানা সৈয়দ আবিদ ইবনে বড়হুজুর। ও সিলেট বনকলা পাড়া মহিলা মাদ্রাসার শিক্ষক সৈয়দপুর ক্বোরেশী বাড়ীর ভাতিজা মুফতী মাওলানা ফরহাদ আহমদ ক্বোরেশী ইবনে মোহাম্মদ আনার আলী ক্বোরেশী। মনে পড়ে, আজ থেকে তিন যুগ আগে ১৯৮৩ সনে হাফিজ আলী আহমদ আমার বাড়ীতে এসে ছিলেন, ছাত্র প্রতিনিধি হিসাবে ছাত্র সংক্রান্ত একটি বিষয়ে পরামর্শ নিতে। তখন হাফিজ আলী আহমদ সাফেলা ২য় বর্ষের ছাত্র, গ্রুপ লিডার মেধাবী আলী আহমদের মনে তখন থেকেই বড়দের সাথে পরামর্শের গুরুত্ব বদ্ধমূল ছিল। হাফিজ মাওলানা আলী আহমদ ভাগ্যবানদের একজন জীবনসঙ্গীনী হিসাবে পেয়েছেন একজন ক্বোরআনে হাফিজা ও আলেমা রমণী মোসাম্মাত মো'মিনা চৌধুরানী, যাঁর পিতা উপমহাদেশের শ্রেষ্ঠ হাদীস বিশারদদের একজন আমার বুখারী শরীফের শায়খ, শায়খুল হাদীস হযরত মাওলানা ইসহাক (রাহ.)। যাঁর নিকট হাদীস শিক্ষা করার অদম্য বাসনা আমাকে নিয়ে গিয়েছিল প্রিন্সিপাল হাবীবুর রহমান (রাহ.) এর প্রতিষ্ঠিত ব্যতিক্রমধর্মী ইসলামী বিদ্যাপীঠ সিলেটের কাজির বাজার জামেয়া মাদানিয়ায়। শায়খ (রাহ.) এর সান্নিধ্যে চারটি বছর কাটিয়েছি ১৯৮৫ ও ১৯৮৬ যখন আমি জামেয়ার ছাত্র ও ১৯৮৮ ও ১৯৮৯ যখন আমি জামিয়ার শিক্ষক। হাফিজ মাওলানা আলী আহমদ ও হাফিজা আলেমা মো'মিনার শুভসম্পর্কের ফসল এ পর্যন্ত পাঁচ মানিক প্রতিটি মানিক উত্তরাধিকার সূত্রে আল্লাহ প্রদত্ত প্রখর মেধার অধিকারী। মানিক পাঁচটি, (১) হাফিজ সালমান মাহদী, (২) হাফিজ রায়হান হুমায়দী, (৩) সাফওয়ান যুবায়দী, (৪) মোসাম্মাত হামনা আখতার মাইসারা ও (৫) মোসাম্মাত হালীমা আখতার মাসরুরা।

আমি সৈয়দপুর গ্রামের এক বাসিন্দা হিসাবে গর্বিত এজন্যে যে, এ গ্রামের সাথে বাইরের উলামা মাশায়েখের আত্মীয়তার সম্পর্ক যা আমাদের গ্রামের গৌরবকে আরো উজ্জ্বল করে দিয়েছে। সেমতে,

(১) হযরত শায়খুল হাদীস হাফিজ নুরুদ্দীন গহরপুরী (রাহ.) এর শাশুড়বাড়ী সৈয়দপুর গ্রামে। প্রথমে বিয়ে করেছিলেন সৈয়দপুর মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা হযরত শায়খ আব্দুল খালিক (রাহ.) এর বড় মেয়ে সৈয়দা খালেদা খাতুনকে। উনার ইন্তেকালের পর শায়খ (রাহ.) এর ছোট মেয়ে সৈয়দা যাহেদা খাতুনকে (হাফিযাহাল্লাহ) বিয়ে করেন। তাইতো আমি বলি, "সৈয়দপুরের যুন্নুরাইন নুরুদ্দীন গহরপুরী"।

(২) সুনামগঞ্জের মাদানিয়া মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল হযরত মাওলানা আব্দুল বাছীর (হাফিযাহুল্লাহ) বিয়ে করেছেন সৈয়দপুরের ঐতিহ্যবাহী বড়বাড়ীর পন্ডিতপুত্র মাস্টার সৈয়দ সা'দ (রাহ.) এর মেয়ে সৈয়দা আসফিয়া খাতুনকে। এ দম্পতির দেয়া সেরা উপহার, (১) হাফিজ মাওলানা মিসবাহ, (২) হাফিজ মাওলানা হাম্মাদ, (৩) হাফিজ মাওলানা ত্বোয়া-হা। (৪) হাফিজ মাওলানা খিজির ও (৫) হাফিজ সারওয়ার (ছাত্র) মাওলানা হবার পথে। আল্লাহু আকবার, কতই না বরকতময় এ দম্পতি, কতই না সুন্দর তাদের সাজানো বাগান। এ দম্পতির প্রতি অন্তর উজাড় করা শ্রদ্ধা।

(৩) বারকুটের হযরত হাফিজ আব্দুল গাফফার (রাহ.) সৈয়দপুর মাদ্রাসার এক সময়ের মুহতামিম, বিয়ে করেছিলেন সৈয়দপুর ইশানকোনার সৈয়দ আবুল হোসেন (রাহ.) এর কন্যা সৈয়দা জবীবূন্নেছাকে। যিনি মৌলভী সৈয়দ মুজাম্মিল হোসেন উরফে উন্দামিয়া সাহেবের বোন।

(৪) সৈয়দপুরের স্বনামধন্য ব্যক্তি কাজির বাজার জামেয়ার ফাজিল, জামেয়া ইসলামিয়া শামীমাবাদের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রিন্সিপাল বন্ধুবর হাফিজ মাওলানা সৈয়দ শামীম আহমদ সাহেবের স্ত্রী হলেন, হযরত শায়খ আব্দুশ শহীদ গলমুকাপনী সাহেবের কন্যা।

(৫) অধ্যক্ষ ডক্টর হাফিজ সৈয়দ রেজওয়ান আহমদ সাহেবের স্ত্রী প্রিন্সিপাল হাবীবুর রহমান (রাহ.) এর ভাতিজী হাফিজ আতিকুর রহমান (রাহ.) এর কন্যা। মাওলানা ফাহাদ আনামের বোন মোসাম্মাত আবেদা আহমদ।

(৬) সৈয়দপুরের ব্যতিক্রমধর্মী লেখক ও গবেষক, জামেয়া সিদ্দিকিয়ার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রিন্সিপাল সৈয়দ মবনু বিয়ে করেছেন খতীব উবায়দুল হক জালালাবাদী (রাহ.) এর ভাতিজী মোসাম্মাত সালমা খাতুনকে। যিনি মাওলানা আহমদুল হক সাহেবের কন্যা।

(৭) হযরত মাওলানা আহমদুল হক সাহেবের পুত্র জামেয়া সিদ্দিকিয়ার উস্তাদ মাওলানা জিয়াউল হক বিয়ে করেছেন সৈয়দপুর গোয়ালগাঁওর আলেমা সৈয়দা তানিয়া বেগমকে। যিনি সৈয়দ আছাব মিয়া সাহেবের কন্যা ও সৈয়দ আওলাদ মিয়া সাহেবের নাতনী।

(৮) সিলেটের মাওলানা এনামুল হক বিয়ে করেছেন সৈয়দ মসরুর ও সলিম কাসিমীর বোন হযরত মাওলানা সৈয়দ আব্দুন নুর (দা.বা.) এর কন্যা। এ দম্পতি মাওলানা আহমদুল হক উমামার পিতামাতা।

(৯) আলেমকুল শিরোমণি হযরত রিয়াছত আলী চকোরিয়া (রাহ.) এর দুই নাতনী সৈয়দপুরের গৃহবধূ একজন মোসাম্মাত হামিদা খাতুন স্বামী সৈয়দপুরের স্বনামধন্য মুফতী সৈয়দ মুফতী নো'মান। অপরজন আলেমা মোসাম্মাত মাশহুরা খাতুন সাবেক শিক্ষিকা রিয়াসতুল উলুম মহিলা মাদ্রাসা স্বামী আমার প্রতিবেশী ভরাঙ্গের পাড়ের জনাব মোহাম্মদ আব্দুল হামীদ। দুনু রমণীই মাওলানা ইসমাইল হোসেন সাহেবের কন্যা।

(১০) হযরত খলীলুর রহমান শায়খ বর্নভী (রাহ.) এর স্ত্রী সৈয়দপুরের শায়খ আব্দুল আওয়াল (রাহ.) এর কন্যা হাফিজ শায়খ ইমাম আহমদ সাহেবের ভগ্নি।

(১১) হযরত সৈয়দ আব্দুল করীম শায়খে কৌড়িয়া (রাহ.) এর নাতনী মাওলানা সৈয়দ আব্দুল মুহসিন সাহেবের মেয়ে বিয়ে করেছেন সৈয়দপুরের হাফিজ মাওলানা সৈয়দ হোসাইন আহমদ ইবনে শায়খ সৈয়দ ইমাম আহমদ।

(১২) খতীব ওবায়দুল হক্ব জালালাবাদ (রাহ.) এর নাতনী শায়খুল হাদীস আতাউল হকের মেয়ে বিয়ে করেছেন সৈয়দপুর হাড়ীকোনার হাফিজ মাওলানা আবু যুহায়ের ইবনে মরহুম হাজী সৈয়দ আবু সাঈদ।

(১৩) সৈয়দপুর হাড়ীকোনার হাফিজ মাওলানা সৈয়দ আবু শোয়ায়েব ইবনে মরহুম হাজী সৈয়দ আবু সাঈদ বিয়ে করেছেন হযরত আব্দুল বাসিত বরকতপুরী (রাহ.) এর মেয়েকে।

(১৪) বরকতপুরী (রাহ.) এর আরেক কন্যার বিয়ে হয়েছে সৈয়দপুরের বড়বাড়ী হাফিজ মাওলানা সৈয়দ সিফাত উদ্দীন সাহেবের নিকট। যার পিতা হলেন সৈয়দ শহীদুদ্দীন।

(১৫) হজরত মাওলানা আব্দুর রব হাজীপুরী (রাহ.) এর স্ত্রী সৈয়দা তাহমিনা খাতুন সৈয়দপুর পীরবাড়ী মৌলভী মাস্টার সৈয়দ আশরাফুল হক (রাহ.) এর কন্যা।

(১৬) হযরত শায়খ আব্দুল হাই দিনারপুরী (রাহ.) এর মেয়ে বিয়ে করেছেন সৈয়দপুর হাড়ীকোনার সৈয়দ জাহেদ আহমদ।

(১৭) প্রতিষ্ঠাতা সদরে এদারা হযরত মাওলানা ফখরুদ্দীন (রাহ. )এর সুযোগ্য সন্তান হাফিজ মাওলানা সালমান আহমদ বিয়ে করেছেন সৈয়দপুরের শায়খ হাফিজ মাওলানা সৈয়দ ফখরুল ইসলাম সাহেবের ভাতিজী হাফিজ সৈয়দ সুফী মিয়া (রাহ.) কন্যা সৈয়দা মো'মিনাকে।

(১৮) প্রথিতযশা আলেম সিলেট দরগাহ মাদ্রাসার সাবেক উস্তাদ হযরত মাওলানা শফীকুল হক হাবীবপুরী (রাহ.) এর স্ত্রী সৈয়দপুর হাড়ীকোনার সৈয়দা মোহসিনা খাতুন বিনতে হাফিজ সৈয়দ সুফী মিয়া (রাহ.)।

(১৯) সিলেট আম্বরখানা জামে' মসজিদের সাবেক পেশ ইমাম হযরত মাওলানা ইয়াহইয়া ছাতকীর আহলিয়া সৈয়দপুর হাড়ীকোনার সৈয়দা রাশেদুন্নেছা আপা বিনতে মরহুম সৈয়দ নুরবুল আলী।

(২০) হযরত শায়খ লুতফুর রহমান বর্ণভী (রাহ.) এর এক ভাতিজার ঘরের নাতনীর বিয়ে হয়েছে সৈয়দপুর হাড়ীকোনার হাফিজ সৈয়দ জামেন আলী তাহেরের নিকট যিনি সৈয়দ নুরুল আমীন সাহেবের বড় ছেলে।

(২১) শাহাড়পাড়ার হাফিজ শফীকুর রহমান (রাহ.) এর স্ত্রী সৈয়দপুর হাড়ীকোনার সৈয়দা হাসিনা আপা মৌলভী সৈয়দ মুনছিফ আলী (রাহ.) এর কন্যা।

(২২) হাবীবপুরের আমার উস্তাদজাদা মাওলানা আব্দুশ শাকুর ইবনে মাওলানা তা'রীফুদ্দীন বিয়ে করেছেন সৈয়দপুর হাড়ীকোনার আমাদের ভাতিজী আলেমা সৈয়দা মাহফুজা খাতুনকে যার পিতা সৈয়দ সালেহ আহমদ।

(২৩) সৈয়দপুর পশ্চিম পাড়ার হাফিজ মাওলানা সৈয়দ আব্দুল বাক্বীর স্ত্রী আলেমা সৈয়দা মায়মুনা শায়খ সৈয়দ কাসিম আলী তারাপাশী (রাহ.) এর নাতনী। সৈয়দ আব্দুল আলী সাহেবের কন্যা।

(২৪) সৈয়দপুর পীরবাড়ীর মাওলানা সৈয়দ সৈদ আহমদ (রাহ.) এর স্ত্রী মোসাম্মাত হাবীবা খাতুন খলিফায়ে মাদানী শায়খ আব্দুর রহমান ধুলিয়া (রাহ.) এর কন্যা।

(২৫) সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের হাফিজ রফিকুল ইসলাম সাহেবের স্ত্রী সৈয়দপুর আগুন কোনার সৈয়দা ফাতেমা খাতুন বিনতে মরহুম সৈয়দ মখতছর আলী মুনশী।

(২৬) হজরত শায়খে কৌড়িয়া ( রাহঃ) এর মেয়ে সৈয়দা লুৎফা বেগম এর স্বামী হলেন বড়বাড়ির পন্ডিত সাহেবের নাতি সৈয়দ হুসাইন আহমদ ইবনে সৈয়দ শহীদুদ্দীন।

(২৭) কুবাজপুরের মুফতী মাওলানা মাওছুফ সাহেবের পিতা হযরত মাওলানা শায়খ মঈনুদ্দীন (রাহ.) এর স্ত্রী সৈয়দা দিলারা খাতুন সৈয়দপুর ইশানকোনার মরহুম সৈয়দ আসকির আলী সাহেবের কন্যা।

(২৭) মুফতী মাওছুফ সাহেবের ভাই হাফিজ মাওলানা মমশাদের স্ত্রী সৈয়দপুর হাড়ীকোনার সৈয়দা হুমায়রা খাতুন বিনতে শায়খ হাফিজ মাওলানা সৈয়দ ফখরুল ইসলাম।

(২৮) সৈয়দপুর পশ্চিমপাড়ার হাজী সৈয়দ সাদিক আহমদ সাহেবের পুত্র আমাদের ভাগিনা হাফিজ সৈয়দ বিলাল আহমদের স্ত্রী হযরত শায়খে কৌড়িয়া (রাহ.) এর নাতনী যার পিতা হাফিজ আখতার সাহেব ও নানা হযরত শায়খ আব্দুশ শহীদ সাহেব গলমুকাপনী।

(২৯) হাবীবপুরের মাওলানা আনহার সাহেবের স্ত্রী সৈয়দপুর পশ্চিম পাড়ার হযরত মাওলানা আব্দুন নুর (দা.বা.) এর কন্যা মাওলানা সৈয়দ সলিম কাসিমীর বোন।

(৩০) বড়বাড়ীর হাফিজ মাওলানা সৈয়দ আখতার সাহেবের স্ত্রী উমরপুর মাদ্রাসার মুহতামিম হযরত মাওলানা শিহাবুদ্দীন সাহেবের কন্যা। আরো অনেক সম্পর্ক রয়েছে।

(৩১) মরহুম খতিব সাব রাহ. এর বড় ভাই মাওলানা আহমদুল হক সাবের বড় মেয়ের ঘরের নাতিন, রেংগা দাউদপুর নিবাসি হাফিজ জামাল উদ্দিন সাবের মেয়ে মোসাম্মত তানজিহা আক্তারকে সাদি করেন বড়বাড়ির মরহুম মাস্টার সৈয়দ সাদ উদদীন রাহ. ছেলে হাফিজ সৈয়দ এহসান আহমদ। (প্রতিস্টাতা ও পরিচালক জামেয়া নুরে মদিনা হাফিজিয়া নুরানি মাদ্রাসা, শ্যামলী আবাসিক এলাকা, ইসলামপুর বাজার (মেজর টিলা) থানা, শাহপরান রাহ., সদর সিলেট।

(৩২) সিলেট সরকারী আলীয়া মাদরাসার স্বনামধন্য উস্তাদ ও মুহাদ্দিস মরহুম মাওলানা আব্দুল ওয়াদুদ জনাবের মেয়ে কাজীবাড়ী নিবাসী বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক মাওলানা সৈয়দ আশরফুল হক আকিক সাহেবের ছেলে সৈয়দ হাম্মাদুল কারীম এর সহধর্মীনী।

(৩৩) সৈয়দপুর নোয়া পাড়ার হাফিজ মাওলানা সৈয়দ ফখরুল সাহেবের সহধর্মিনী কাতিয়ার হযরত মাওলানা মুফতী জিল্লুল হক সাহেবের কন্যা।

(৩৪) সৈয়দপুর হাড়ীকোনার হাফিজ মাওলানা সৈয়দ খলীল আহমদ ইবনে শায়খ হাফিজ সৈয়দ ইমাম আহমদের স্ত্রী হবিগঞ্জের শায়খুল হাদীস হযরত মাওলানা ইমদাদুল হক সাহেবের নাতনী।

(৩৫) জামেয়া খাতামুন্নাবিয়্যীন সিলেটের প্রিন্সিপাল জামেয়া মাদানিয়া আংগুরার কৃতি ফাজিল, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ মাওলানা আখতারুজ্জামান সৈয়দপুর আগুন কোনা মরহুম আইয়ুব আলী সাহেবের মেয়ে বিয়ে করেছেন।

(৩৬) পাটলী ইসলামপুর গ্রামের হাফিজ মাওলানা মুফতী মা'সুম সাহেবের স্ত্রী সৈয়দপুর পীরবাড়ীর আলেমা সৈয়দা কলসুমা বিনতে সৈয়দ আব্দুল মুহীত উরফে হরুফ ডাক্তার।

(৩৭) জামলাবাদের মাওলানা আব্দুল মান্নান সাহেবের স্ত্রী সৈয়দপুর হাড়ীকোনার মোসাম্মাত সুরেয়া খাতুন বিনতে মরহুম আব্দুস সামাদ, মোহাম্মদ আলাউদ্দিনের বোন।

(৩৮) লুদরপুরের মাওলানা বদরুদ্দোজা (সাবেক শিক্ষক সৈয়দপুর আলিয়া মাদ্রাসা) জনাবের স্ত্রী সৈয়দপুর পীরবাড়ীর সৈয়দ আজাদ সাহেবের বোন।

(৩৯) মৌলভী বাজারের মাওলানা ইমদাদ সাহেবের স্ত্রী সৈয়দপুর পশ্চিম পাড়ার লম্বাহাটীর হাজী সৈয়দ আবু কালাম সাহেবের কন্যা।

(৪০) দিরাইর মাওলানা আব্দুর রউফ সাহেবের স্ত্রী সৈয়দপুর ইশানকোনার মরহুম সৈয়দ মদচ্ছির আলী সাহেবের কন্যা মাওলানা সৈয়দ আনোয়ার হোসেন সাহেবের বোন।

(৪১) খাগাপাশার হাফিজ আবু ইউসুফ সাহেবের শাশুড়বাড়ী সৈয়দপুর ইশানকোনা।

(৪২) মাওলানা শায়খ লুতফুর রহমান মুরাদাবাদীর (প্রতিষ্ঠাতা ও মুহতামিম জামেয়া ইসলামীয়া দারুল উলুম মুরাদাবাদ ও বুধরাইল) আহলিয়া সৈয়দা আয়শা বেগম (শেওলাই) সৈয়দপুর নোয়াপাড়ার মরহুম সৈয়দ আব্দুল ওয়াহহাব সাহেবের কন্যা।

(৪৩) দিরাইর মাওলানা বেলাল আহমদ চৌধুরীর স্ত্রী মোসাম্মাত শুভী কোরেশী সৈয়দপুর হাড়ীকোনা কোরেশী বাড়ীর মরহুম আলীনুর কোরেশীর কন্যা।

(৪৪) এনায়েত নগরের মল্লিক মাওলানা আব্দুল মালিক সাহেবের স্ত্রী সৈয়দা তাহমিনা বেগম সৈয়দপুর পশ্চিম পাড়ার মরহুম সৈয়দ মুজাহিদ সাহেবের কন্যা।

(৪৫) হবিগঞ্জের মাওলানা আব্দুল কাদির সালেহের স্ত্রী সৈয়দা লিমা বেগম সৈয়দপুরের আলহাজ্ব সৈয়দ আতাউর রহমান সাহেবের কন্যা সৈয়দ মবনুর ভগ্নি। (৪৬) জকিগঞ্জের অধ্যাপক মাওলানা এনামুল হাসান সাবির সাহেবের স্ত্রী সৈয়দা রুজি বেগম সৈয়দপুরের আলহাজ্ব সৈয়দ আতাউর রহমান সাহেবের কন্যা, সৈয়দ মবনুর ভগ্নি।

(৪৭) সৈয়দপুর পশ্চিম পাড়ার ক্বারী হারুণ (রাহ.) এর পুত্র মাওলানা হাফিজুর রহমান সাহেবের স্ত্রী কাতিয়া মাদ্রাসার শায়খুল হাদীস হযরত মাওলানা আব্দুল লতীফ সাহেবের কন্যা।

(৪৮) সুনাতনপুরের মাওলানা মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন সাহেবের (শিক্ষক মুরাদাদ মাদ্রাসা) স্ত্রী সৈয়দা মা'সুমা বেগম সৈয়দপুরের হাফিজ সৈয়দ বশারত আলী (রাহ.) এর কন্যা অধ্যক্ষ রেজওয়ান ও মুফতী নো'মান সহেবদ্বয়ের ভগ্নি।

(৪৯) প্রভাপুরের হযরত হাফিজ মাওলানা মুশাহিদ আহমদ (রাহ.) (সাবেক উস্তাদ সৈয়দপুর হাফিজিয়া হোসাইনিয়া মাদ্রাসা) এর স্ত্রী সৈয়দপুরের হাফিজ সৈয়দ বশারত আলী (রাহ.) এর কন্যা, মুফতী নো'মান ও ডক্টর রেজওয়ান সাহেবদ্বয়ের বড়বোন।

(৫০) টুকেরবাজার মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা ইসলামুদ্দীন সাহেবের স্ত্রী আলেমা মোসাম্মাত আয়শা সিদ্দিকা সৈয়দপুর নোয়াপাড়ার মাওলানা সিদ্দিক আহমদ হাসনু সাহেবের কন্যা। হযরত মাওলানা আব্দুর রউফ ছাতকী হুজুর (রাহ.) এর নাতনী।

(৫১) মাওলানা সৈয়দ মুতাহির আলী রাহ. এর কনিষ্ঠকন্যা হাফিজা সৈয়দা হাফসা স্বামী মাওলানা মোহাম্মদ রাশেদ আহমদ পিতা, সফর উল্লাহ। গ্রাম, মিটারাভরাং, জগন্নাথপুর, সুনামগঞ্জ। সাবেক শিক্ষক দক্ষিণকাচ হুসাইনিয়া টাইটেইটেল মাদ্রাসা।

(৫২) মাওলানা সৈয়দ মুতাহির আলী রাহঃ এর আরেক মেয়ে সৈয়দা তাহসিনা বেগম তানিয়া এর স্বামী হাফিজ মাওলানা জাবের আহমদ। যার পিতা, মাওলানা আব্দুল লতিফ কাতিয়া মাদ্রাসার সাবেক নাজিমে তালিমাত ছিলেন।

(৫৩) মাওলানা তাফাজ্জুল হক (রাহ.) মুহাদ্দিসে হবিগঞ্জী হুজুরের ভাতিজা ডা. মাশকুর ফাহমি বিয়ে করেছেন সৈয়দপুর কাজিবাড়ির সৈয়দ হাম্মাদুল করীম সাহেবের মেয়ে ডা. সৈয়দা হুরাইমা রীশাকে (উভয়ই আমেরিকা প্রবাসী।)

(৫৪) মাওলানা সৈয়দ মসরুর কাসেমী সাহেবের মেয়ে আলেমা সৈয়দা রুবাহা খাতুন বিয়ে হয়েছে তেঘরীয়া গ্রামের মাওলানা ইয়াহয়ার কাছে।

(৫৫) হজরত শেখ মুদ্দাচ্ছির আলী (রাহ) হবিবপুরের পির সাহেব যিনি আমার বাবা ও মায়ের শায়েখ ছিলে। মাওলানা ফয়েজ আহমদের পিতা তিনি। হজরত শায়খে হবিবপুরী রাহ, এর নানাবাড়ী সৈয়দপুর মুকাম পাড়ায় ও মেয়ে বিয়ে দিয়েছেন সৈয়দপুর পশ্চিম পাড়া হাকিম বাড়ির সৈয়দ ছহুল মিয়ার কাছে।



উলামা মাশায়েখের এ সম্পর্ক সৈয়দপুর গ্রামের সাথে অটুট থাকুক কল্যাণ ও বরকত বয়ে আনুক।

৫/৯/২০১৯ ইংরেজী, বৃহস্পতিবার।

Syed Salim Ahmed

তথ্য দিয়ে লেখাটিকে আরো সমৃদ্ধ করুন।

আমার রক্ত যেখানে ঋণী; একজন কিংবদন্তি এডভোকেট সৈয়দ কবির আহমেদ এর এর গল্প______________________________________________আমা...
25/05/2024

আমার রক্ত যেখানে ঋণী; একজন কিংবদন্তি এডভোকেট সৈয়দ কবির আহমেদ এর এর গল্প
______________________________________________

আমার দাদা মরহুম সৈয়দ নাইওর মিয়া ও তার ছোট্ট বোন সৈয়দা আতরি বেগম শিশু অবস্থায় মাকে হারালে উনার শ্রদ্ধেয় খালা সৈয়দা কদরি বেগমের বাড়িতে নিয়ে আসেন। এখানেই তাদের শৈশব, কৈশোর ও যৌবনের একটা অংশ কেটেছে। দাদার ছোটবেলার সময়টা এডভোকেট সৈয়দ কবির আহমদ যিনি আমার দাদার একমাত্র খালাতো ভাই তার সাথে কেটেছে। কবির দাদার মায়ের নাম, সৈয়দা কদরি বিবি ও পিতা সৈয়দ আম্বর আলির বংশের সৈয়দ মৌর আলি। আমার দাদা সৈয়দ নাইওর আলীর মাতার নাম সৈয়দা ইদিকা, উনারা তিন বোন তারা হলেন, সৈয়দা সাদেকা ও সৈয়দা কদরি উনাদের বাবার সৈয়দ মাকু, বকর ও নুর তাল্লুকের সৈয়দ নুরের আওলাদ সৈয়দ মুসলিম উদ্দিন। যার বাড়ি সৈয়দপুর আগুনকোনা মডেল স্কুলের পশ্চিমের বাড়ি। বর্তমানে এই বাড়িতে আছেন কদরি বেগমের চাচাতো ভাইয়ের সন্তানদের মধ্য থেকে সৈয়দ জয়তুন মিয়া।

কদরি বিবির হাতে ছিলো বরকতময় ও উনি ছিলেন একজন সালিশি সম্মানিত মহিলা যা আমার বাবার একটি লেখায় পড়েছি। এই বরকতেরর কারণ উল্লেখ করতে গিয়ে বাবা বলেন, `এটা ছিলো বোনের এতিম সন্তানদের লালন পালনের ফল।`

অ্যাডভোকেট সৈয়দ কবির আহমদ (EPCS) পূর্ব পাকিস্তান সিভিল সার্ভিসে কমিশন পাওয়ার পর বরিশাল, বগুড়া এবং দিনাজপুরে প্রথম CO (এখন TNO) সার্কেল অফিসার ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি স্বাধীনতা পরবর্তী ১৯৭৩ সালে চাকরি ছেড়ে সুনামগঞ্জ চলে আসেন। এবং নিজেকে আইন পেশায় নিয়োজিত করেন। সেই সুবাদে সুনামগঞ্জ বারের বর্তমান অনেক আইনজীবি কবির দাদার হাতের গড়া শিষ্য আছেন। এডভোকেট সৈয়দ কবির আহমদ বাকশাল আওয়ামীলীগ এর সুনামগঞ্জ জেলার সভাপতি ছিলেন। তিনি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ ৩ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাও করেছেন। তার নির্বাচনী প্রতীক ছিলো মশাল। তিনি সুনামগঞ্জ জেলা বার কাউন্সিল এর প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি ছিলেন। সৈয়দপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালীন হেড মাস্টার ছিলেন। তাঁর পাঁচ মেয়ে ও এক ছেলে যাদের মধ্যে বড় মেয়ে সৈয়দ নাসিম আহমদ রাহির মাতা (১) সৈয়দা রওশনারা রুজি, স্বামী একি আম্বর আলী বংশের সৈয়দপুর ইশানকোনার সৈয়দ রইছ মিয়া। (২) দ্বিতীয় মেয়ে শামিমারা জেসি যার স্বামী এডভোকেট সৈয়দ শামিম আহমদ। যিনি একজন আইনজীবী ও রাজনীতিবিদ। তিনি সিলেট মহানগর যুব লীগের প্রতিষ্ঠাতা কমিটির সভাপতি ছিলেন। বর্তমান মহান মহানগর আওয়ামীলীগের সাথে যুক্ত আছেন। (৩) তৃতীয় মেয়ে সৈয়দা গোলশানারা বেবী, স্বামী টিটু মিয়া আটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ার, মিটাবরাং গ্রামের বাসিন্দা। উনি বর্তমানে ইউকে প্রবাসী। (৪) চতুর্থ সন্তান হচ্ছেন একমাত্র ছেলে সৈয়দ কামাল আহমদ, ইউকে প্রবাসী। (৫) পঞ্চম সন্তান ও চতুর্থ মেয়ে সৈয়দা ডলি বেগম, স্বামী এড জাফর ইকবাল বর্তমানে সিলেটবারে আইন পেশায় নিয়োজিত আছে। (৬) সর্বকনিষ্ঠ সন্তান সৈয়দা ইসমতারা কলি এর স্বামী বিশ্বনাথের বাসিন্দা বর্তমানে ইউকে প্রবাসী।

আমার বাবা মাওলানা সৈয়দ সলীম আহমদ এর নাম কবির দাদা রাখেন, সেলিন। যাতে আমার বাবার নামে স্বান্ত্রতা আসে। বাবা গ্রামে শাহিন নামে পরিচিত লাভ করেন। এদিকে বাবা স্কুল ছেড়ে মাদ্রাসায় গেলে শায়েখ হাফিজ মাওলানা সৈয়দ মনজুর আলী রাহ. তাঁর নাম রাখেন সলীম নামে। উনি জানতে পারেন আমার বাবার আরো একটি নাম আছে যা, সেলিন নামে এখান থেকে বাবার নাম সলীম হয়ে যায়।

এডভোকেট সৈয়দ কবির আহমদ ১৯৯৬ সালে সিলেট উসমানী মেডিক্যালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাকে সৈয়দপুর দরগাহ মসজিদের পার্শ্বে সমাহিত করা হয়। এদিকে আমার দাদ সৈয়দ নাইওর মিয়া ছাতকের গোবিন্দগঞ্জ রোডে এক্সিডেন্ট করে ১৯৮৭ সালে ইহধাম ত্যাগ করেন।
_________________________________________

সৈয়দ ফাহিম আব্দুল্লাহ
ডাবলিন, আয়ারল্যন্ড।

22/05/2024

দ্বীনি ঐতিহ্যের চারণভূমি সৈয়দপুর
------------------------------------------
মসজিদ এবং ঈদগাহ
তাক্বওয়ার ভিত্তিতে গড়ে উঠা পাশাপাশি দুটো স্থাপনা!

হযরত শাহজালাল (রহ.) এবং হযরত শাহপরান (রহ.) সহ ৩৬০ আউলিয়ার অন্যতম সফরসঙ্গী শাহ সৈয়দ শামসুদ্দীন (রহ.)-এর পূণ্য ভূমি এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম গ্রাম সৈয়দপুর। এ গ্রাম বহু আলেম ওলামা মশায়েখের জন্মদাত্রী।

সুবে বাংলার শীয়া মতাদর্শের অনুসারী সুবেদারগণের আনুকূল্যে মাগুরা নদীর পশ্চিম পাড়ে বড়গোপাট ও হয়বতখানির সংযোগস্থলে সপ্তদশ শতাব্দির শুরুর দিকে যে ইমামবাড়া (প্রকাশিত ইমামবাড়ি) প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, দ্বীন-ই-ইলাহী ও শীয়া মতের কঠোর বিরুদ্ধাচরণকারী মুজাদ্দিদে আলফে সানী (রহ.) -এর প্রচারিত শিক্ষাকে সাদরে গ্রহণ করে নিয়ে সৈয়দপুরের সত্যাশ্রয়ী আলিমগণ সেই ইমামবাড়া পরিত্যাগ করে অষ্টাদশ শতাব্দির মাঝামাঝি সময়ে সৈয়দপুর গ্রামের প্রায় মধ্যস্থলে সৈয়দ আমিন তালুকের ভূমিতে প্রথম ইমাম মওলানা শাহ সৈয়দ ফখরুল্লাহ (রহ.)-এর নেতৃত্বে জামে মসজিদটি প্রতিষ্ঠা করেন।

অতঃপর সৈয়দ আমিনের পুত্র সৈয়দ রফী আলী (রহ.)-এর উত্তরপুরুষ বিশিষ্ট ওলী সৈয়দ রঙ্গাই (রহ.)-এর নেতৃত্বে শাহ শামসুদ্দীন( রহ.)-এর মাযার উক্ত ইমামবাড়ির উত্তর-পশ্চিম কোণ থেকে সরিয়ে মসজিদের পূর্বপাশের ভূমিতে স্থানান্তর করা হয়। সৈয়দ রঙ্গাই ( রহ.) পরে ধর্মপাশার সেলবরষ চলে যান, সেখানেই তিনি সমাহিত আছেন।

পরবর্তী কালে সৈয়দ ফখরুল্লাহ (রহ.)এর পৌত্র মীর মওলানা সৈয়দ ওজীহুল্লাহ (রহ.)-এর নেতৃত্বে ঊনবিংশ শতাব্দির প্রথমার্ধে উক্ত মসজিদের সংলগ্ন উত্তরে অবস্থিত এগার তালুকের এজমালি ভূমিতে সর্বসম্মতিতে কেন্দ্রীয় ঈদগাহটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ফরায়েজি আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা হাজী শরীয়ত উল্লাহ (রহ.)-এর দ্বিমত সত্বেও কারামত আলী জৌনপুরী (রহ.)-এর সুপরামর্শে গ্রামের ঈদগাহে ঈদের জামাত চলতে থাকে।

তৎপরবর্তীতে সৈয়দ ওজীহুল্লাহ(রহ.)-এর পৌত্র মওলানা সৈয়দ জমীলুল হক ওরফে জেলি মওলভী (রহ.)-এর সময়কালে বিংশ শতাব্দির মাঝামাঝিতে ঈদগাহের আশপাশের ভূমির দাতাগণের সহযোগিতায় ঈদগাহটি আরো সম্প্রসারিত হয় এবং তৎকালেই ঈদগাহের ভূমিকে চিহ্নিত করে পাকা সীমানা দেওয়াল, মেহরাব ও গেইট স্থাপন করা হয়।

এই ঈদগাহের প্রথম ইমাম ছিলেন মীর মওলানা সৈয়দ ওজীহুল্লাহ (রহ.)। তাঁর নেতৃত্বেই সৈয়দ পুরের তালুকসমূহের স্ব স্ব ভূমি চিহ্নিত হয় এবং এজমালি ভূমিতে শাহ শামসুদ্দীন (রহ.)-এর ভাই শাহ রুকনুদ্দীন (রহ.)-এর বংশীয় দরবেশ মওলানা সৈয়দ শাহনূর(রহ.)-এর পরিবারের জন্য বাড়ির জায়গা চিহ্নিত করে দেয়া হয় এবং মওলানা সৈয়দ নিসার আলী তিতুমীর (রহ.)-এর সেনাবাহিনীর সদস্য মল্লিকগণকে সৈয়দপুরের তালুকদারগণের এজমালী ভূমিতে বসবাসের ব্যবস্থা করে দেয়া হয়।

শাহ সৈয়দ শামসুদ্দীন (রহ.) ছিলেন একজন বিজ্ঞ আলিম। যার ফলশ্রুতিতে সৈয়দপুর বহু মাদ্রাসা এবং মসজিদের গ্রাম হিসেবে পরিচিত। তাই বহু আলেম ওলামা মশায়েখ এবং দ্বীনের চারণভূমি এই সৈয়দপুর।

দিন দিন গ্রামের লোকসংখ্যা বাড়তে থাকায় মসজিদটি সম্প্রসারনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। তৎকালীন পরিচালনা কমিটি পূর্বদিকে ও উপরের দিকে মসজিদ সম্প্রসারনে গ্রামের সর্বসাধারণের সম্মতি নিয়ে পরে গ্রামের আপত্তি সত্বেও ঈদগাহের দিকে মসজিদ সম্প্রসারণের উদ্যোগ নিলে সেই উদ্যোগই কাল হয়ে দাঁড়ালো ওলামা মশায়েখের চারণভূমি সৈয়দপুরের জন্য। শরীয়ত এবং আইন-কানুনের তোয়াক্কা না করে গ্রামেরই কিছু লোকের অহম এবং ঔদ্ধত্যের কারণে মসজিদের লাগোয়া ভূমিতে প্রতিষ্ঠিত গ্রামের একমাত্র প্রাচীন ঈদগাহের জায়গা জবরদখল করে রাতের আঁধারে মসজিদ সম্প্রসারন করে নেন একটি মহল।

বিষয়টি ইসলামের দৃষ্টিতে নাজায়েজ হওয়ায় পরবর্তীতে তা আদালত পর্যন্ত গড়ায়। মোকদ্দমার বিবাদীপক্ষ এই স্থানে ঈদগাহ নাই এবং কখনও ঈদগাহ ছিল না মর্মে জবাব দাখিলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলে মাননীয় আদালত স্বাক্ষী প্রমাণ নিয়ে বিবাদীপক্ষের সাক্ষীগণকে মিথ্যুক আখ্যা দিয়ে নালিশা ভূমি আগেও ঈদগাহ ছিল এবং এখনও ঈদগাহ আছে মর্মে রায়-ডিক্রী প্রদান করেন।

ইসলামের ইতিহাস বিষয়ক গবেষক এবং বিশেষজ্ঞদের মতামত যে, ৬২৩ খ্রিষ্টাব্দে প্রথম ঈদ উদযাপন করা হয়েছিলো। হিজরি দ্বিতীয় সনে ঈদের প্রবর্তন করা হয়েছিল।

নবী মোহাম্মদ মোস্তফা স. যখন মক্কা থেকে ৬২২ খ্রিষ্টাব্দে হিজরত করে মদিনায় যান, তখনকার সময়কে ভিত্তি ধরে হিজরি সাল গণনা করা হয়। আনুষ্ঠানিকভাবে অবশ্য হিজরি সাল গণনা শুরু করা হয়েছিল আরও ১৭ বছর পরে খলিফা উমর (রা.)-এর খিলাফত কালে।

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে উদযাপনের ক্ষেত্রে সংস্কৃতি ভেদে নানা আচার-অনুষ্ঠান থাকলেও বিশ্বজুড়ে মুসলিমদের জন্য ধর্মীয়ভাবে অভিন্ন কিছু রীতি রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে দুটো ঈদের নামাজ। ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আজহা। পৃথিবীর অধিকাংশ দেশে ঈদের নামাজ পড়ার ক্ষেত্রে উন্মুক্ত স্থান বেছে নেয়া হয়।

উন্মুক্ত স্থানে ঈদের নামাজ পড়ার জন্য বিভিন্ন কর্তৃপক্ষ নানা আয়োজন করে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় স্থায়ী ঈদগাহের পাশাপাশি বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে ঈদের নামাজের বিশেষ আয়োজন করা হয়।

ঈদ পালনের কিছু নিয়ম ইসলামে নির্দিষ্ট করা আছে। এর মধ্যে প্রধান হচ্ছে ঈদের দিন সকালে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা, যা সব মুসলমানের জন্য অবশ্য পালনীয়।

এছাড়া ঈদ-উল ফিতরে ফিতরা প্রদান করাও একটি অবশ্য পালনীয় রীতি। ফিতরা ঈদের নামাজের আগে অসহায় গরিব-দুঃখীদের দিতে হয়। যখন প্রথম ঈদের জামাত চালু হয়, তখন এখনকার ঈদের মতো আতিশয্য ছিল না।

ইসলামের দৃষ্টিতে ঈদের নামাজের একটি সামাজিক গুরুত্ব রয়েছে। নবী মুহাম্মদ মোস্তফা স. অনুসারীদের বলতেন, ঈদের নামাজে আসার সময় যার কাছে যা কিছু সর্বোত্তম কাপড় আছে সেটি পরিধান করে নামাজে আসার জন্য।

নবী মোহাম্মদ মোস্তফা স. মসজিদের পরিবর্তে খোলা ময়দানে ঈদের নামাজ পড়তে পছন্দ করতেন। এর একটি বড় কারণ ছিল, এই নামাজের মাধ্যমে ইসলামের প্রতীক জোরালোভাবে তুলে ধরা।

কানাডার ইসলামিক ইন্সটিটিউট অব টরেন্টো’র সিনিয়র লেকচারার এবং খ্যাতনামা ইসলামিক পণ্ডিত শেখ আহমদ কুট্টি একটি নিবন্ধে লিখেছেন, ঐতিহাসিকভাবে খোলা ময়দানে ঈদের নামাজ পড়ার রেওয়াজ প্রচলন আছে। নবী মোহাম্মদ মোস্তফা স. খোলা জায়াগায় ঈদের নামাজ পড়তে পছন্দ করতেন। এর একটি কারণও আছে।

“খোলা জায়গায় ঈদের নামাজ আদায়ের মাধ্যমে বয়স ও লিঙ্গভেদে মুসলিমদের মধ্যে সংহতি এবং ঐক্য প্রকাশের সুযোগ করে দেয়,” বলেন মি. কুট্টি।

তিনি লিখেছেন, যেখানে খোলা জায়গা নেই কিংবা ঝড়-বৃষ্টির কারণে খোলা ময়দানে ঈদের নামাজ পড়া সম্ভব না হয় সেক্ষেত্রে যথাসম্ভব বড় জায়গায় নামাজ পড়া যেতে পারে।

মুসলিমরা মনে করেন, খোলা জায়গায় ঈদের নামাজ আদায় করা নবীর সুন্নত। কারণ, নবীও খোলা ময়দানে ঈদের নামাজ আদায় করতেন। সেজন্য মসজিদে ঈদের নামাজ পড়ার চেয়ে খোলা জায়গায় ঈদের নামাজ পড়া বেশি গুরুত্ব দেন মুসলিমরা।

মুসলিমদের হাদিস গ্রন্থ সহিহ আল-বুখারিতে আবদুল্লাহ ইবনে উমরকে উদ্ধৃত করে বলা আছে, নবী মোহাম্মদ মোস্তফা স. ঈদের দিন অনেক সকালে খোলা মাঠে চলে যেতেন। তার সাথে থাকতো একটি লাঠি যেটির মাথা ছিল তামা দিয়ে ঢাকা। সেই খোলা ময়দানে লাঠি পুঁতে দিয়ে সেটিকে সামনে রেখে ঈদের নামাজ পড়তেন তিনি।

মদিনার অধিবাসী ও নবী করিম স. এর ঘনিষ্ঠ সহচর আবু সাঈদ আল-খুদরিকে উদ্ধৃত করে সহিহ আল-বুখারি হাদিস গ্রন্থে লেখা হয়েছে, ঈদ-উল-ফিতর এবং ঈদ-উল-আজহার দিন সকাল বেলা নবী মুহাম্মদ মোস্তফা স. খোলা মাঠে চলে যেতেন।

তিনি প্রথম যে কাজটি করতেন সেটি হচ্ছে নামাজ পড়া। এরপর তিনি ঘুরে দাঁড়াতেন এবং সমবেত মানুষদের উদ্দেশে খুতবা দিতেন। নামাজ পড়তে আসা মানুষজন তখনও তাদের সারিতে বসে থাকতেন। তিনি সমবেত মানুষকে নানা উপদেশ, আদেশ ও পরামর্শ দিতেন। এরপর নবী স. সে স্থান ত্যাগ করতেন।

তবে আবহাওয়া বৈরি থাকলে সেটি ভিন্ন কথা। ঝড়-বৃষ্টি থাকলে মসজিদের ভেতরে ঈদের নামাজ পড়া হতো। নবী মুহাম্মদ স. এর ঘনিষ্ঠ সহচর আবু হুরায়রার বর্ণনা থেকে সেটি পাওয়া যায়।

সুনানে আবি দাউদ নামক হাদিস গ্রন্থে আবু হুরায়রা (রা.)-কে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, একবার ঈদের দিন বৃষ্টি হয়েছিল। তখন নবী স. সবাইকে মসজিদের নিয়ে ঈদের নামাজ আদায় করেছিলেন।

উন্মুক্ত ময়দানে ঈদের নামাজ পড়ার ক্ষেত্রে সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয় আছে। এই নামাজের মাধ্যমে সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করতে চেয়েছিলেন নবী মুহাম্মদ মোস্তফা স.।

রাসুলুল্লাহ স. এর নির্দেশনা অনুযায়ী মুসলিম জাহানের প্রায় সর্বত্র ঈদগাহ প্রতিষ্ঠার নিমিত্ত ভূমি ওয়াকফ করার রীতি প্রচলিত আছে। ওয়াকফের বৈধতা, কার্যকারিতা, তৎসম্পর্কিত পালনীয় বর্জনীয় বিষয়াবলী কুরআন সুন্নাহ ও ফিকাহর কিতাবাদিতে বিস্তারিত ভাবে বর্ণিত আছে। দীর্ঘদিন ঈদগাহ হিসাবে ব্যবহারের ফলে আলোচ্য স্থানটি শরীয়তের দৃষ্টিতে ওয়াকফকৃত ঈদগাহের মর্যাদা লাভ করেছে। এই ক্ষেত্রে কে ওয়াকফ করেছিল এবং কোথায় ওযাকফনামা ইত্যাদি প্রশ্ন তোলার কোন সুযোগ নেই। এক বিষয়ে ওয়াকফকৃত ভূমিকে অন্য কাজে ব্যবহার করার বা স্থানান্তরের অনুমতিও নেই।

তাই আমরাও চাই শরীয়তের অনুশাসন এবং আদালতের নির্দেশনা যেখানে একই সূত্রে গাঁথা সেখানে সাধারণ্যের মনোবাঞ্ছা পূরণ হওয়া অর্থাৎ কেন্দ্রীয় ঈদগাহকে স্বমহিমায় ফিরিয়ে আনা এখন সময়ের দাবী। মুসলিমদের ঈমানী চেতনা অতীতের ভুলগুলো শুধরে নেয়ার তাকিদ দেয়। এভাবেই তাক্বওয়ার ভিত্তিতে গড়ে উঠে মসজিদ ও ঈদগাহ। সমাজকে শরীয়ত মানতে উজ্জীবিত করাই আলিমগণের মৌলিক কর্তব্য। নাসরুম মিনাল্লাহি ওয়া ফাতহুন ক্বারীব। ওয়ামা আলাইনা ইল্লাল বালাগ।

সংকলনে -
সৈয়দ শায়ান যুলফযল, কাজীবাড়ী, সৈয়দপুর। তারিখ ১৯/০৫/২০২৪

Address

Syedpur
Sunamganj
3061

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when সৈয়দপুরের ইতিহাস ও ঐতিহ্য posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Share

Nearby media companies


Other Digital creator in Sunamganj

Show All