গণমজাতন্ত্র

গণমজাতন্ত্র গণমজাতন্ত্র

বিস্তারিত কমেন্টে গিয়ে কনফিউস হয়ে গেছি..........
09/06/2024

বিস্তারিত কমেন্টে গিয়ে কনফিউস হয়ে গেছি..........

06/06/2024
একটি শিক্ষামূলক গল্পএকদিন এক লোক তার ছোট্ট মেয়েকে পার্কে হাঁটছিলেন। পাশে ফলের দোকান দেখে মেয়েটি তার বাবাকে আপেল কিনতে ...
03/06/2024

একটি শিক্ষামূলক গল্প
একদিন এক লোক তার ছোট্ট মেয়েকে পার্কে হাঁটছিলেন। পাশে ফলের দোকান দেখে মেয়েটি তার বাবাকে আপেল কিনতে বললো। লোকটির পকেটে খুব বেশি টাকা ছিলোনা, তাই, মাত্র দুটি আপেল কিনে মেয়েকে দিলেন,মেয়েটি দু'হাতে দুটি আপেল ধরল।
লোকটি বললো, এসো দুজনে ভাগাভাগি করে খাই, একথা শুনে মেয়েটি তাড়াতাড়ি একটা আপেলে কামড় দিয়ে একটু খেয়ে নিলো। আরেকটা আপেলের দিকে হাত বাড়িয়ে কিছু বলার আগেই মেয়েটি সেটিতেও কামড় বসিয়ে দিলো...
তার মনটা খুব খারাপ হয়ে গেলো, মেয়েটা এত লোভী হলো কী করে! তাহলে সন্তানকে কি সঠিক শিক্ষা দিতে পারছেন না। লোকাচার, ভদ্রতা, মিলেমিশে চলা, ভাগাভাগি করে খাওয়া এগুলো কি তার সন্তানকে শেখানো হয়নি!!!তাহলে মেয়েটি এমন লোভী আচরণ করলো কেন? মুখ থেকে হাসি মুছে গেল, তিনি চিন্তায় ডুবে গেলেন...
এসময় হঠাৎ তার মেয়ে ডান হাতের আপেল টা বাবার দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বললো, "বাবা তুমি এটা খাও, এইটা অনেক বেশী টেষ্টি"।
লোকটা ভাষা হারিয়ে ফেললো!!
শিক্ষা: কোনো বিষয়ে দ্রুত কোনো কিছুর বিচার করতে নেই বা দ্রুত কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছতে নেই। ভালভাবে বোঝার জন্য হলেও একটু সময় নেয়া উচিত। এমনওতো হতে পারে যাকে ভুল বুঝে বসে আছি, তার ভেতরে আমারই জন্য ভিন্ন কোনও ভালোবাসা কাজ করছে ❤️❤️
সংগৃহীত
এরকম লেখা পেতে আমাদের Peace of Ummah পেজটি ফলো করে রাখুন ধন্যবাদ

খেলেন তবে সাবধানে ! স্বামী-স্ত্রী তাদের ঘরে বসে ছিলো।ছুটির দিন।বউ বলল, চলো সময় কাটাতে দুজনে একটা খেলা খেলি। তুমি একটা কা...
01/06/2024

খেলেন তবে সাবধানে !
স্বামী-স্ত্রী তাদের ঘরে বসে ছিলো।
ছুটির দিন।
বউ বলল, চলো সময় কাটাতে দুজনে একটা খেলা খেলি।
তুমি একটা কাগজে পাঁচজন নারীর নাম লেখো, যাদের তুমি পছন্দ করো। আর আমি পাঁচজন পুরুষের নাম লিখছি, যাদের আমি পছন্দ করি।
দুজনে কাগজ-কলম নিয়ে লেখা শুরু করে দিল।
কিছুক্ষণ পরে কাগজ খোলা হলো।
বউ লিখেছে:-
■ ব্র্যাড পিট
■ সাকিব আল-হাসান
■ সালমান খাঁন
■ আমীর খাঁন
■ সাকিব খাঁন
স্বামী লিখেছে:-
◆ লামিয়া (ছেলের স্কুলের বন্ধুর মা)
◆ ফারিয়া (বউয়ের মামাতো বোন)
◆ সাদিয়া (বউয়ের বান্ধবী)
◆ সুমাইয়া (সামনের ফ্ল্যাটের ভাবি)
◆ অপর্ণা (ছেলের গৃহশিক্ষিকা)
মরাল অব দ্য স্টোরি:-
পুরুষ বাস্তববাদী
নারী থাকে স্বপ্নের জগতে।
★এই খেলার পরিণতি:
● স্বামী দশ দিন ধরে হোটেলের খাবার খাচ্ছে
● ড্রয়িংরুমের সোফায় ঘুমোচ্ছে
● অপর্নার চাকরি গেছে
● ফারিয়া মোবাইল নাম্বার ও ফেসবুক ২টাই ব্লক
● বউ বান্ধবী সাদিয়াকে বাড়িতে আসতে বারণ করেছে
● সামনের ফ্ল্যাটের দিকের জানালায় কাঠের ব্যাটাম দিয়ে পার্মানেন্ট বন্ধ
● আগামী সপ্তাহে স্কুল খুললে লামিয়ার কি ব্যবস্থা হবে সেটা এখনও অজানা
সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ:-
এই বিপজ্জনক খেলা নিজের ঘরে খেলবেন না। আমার মনে হয় একটা বয়সের পরে খেলা ধুলা না করাই ভালো।🥰🥰

আর্তুগ্রুল গাজী (রহ.) এর জীবনী নিয়ে তৈরি করা ১৫০ ভলিউমের একটি সিরিজ দিরিলিস আর্তুগ্রুল। গল্পের খাতিরে যদিও কিছু কিছু পরি...
01/06/2024

আর্তুগ্রুল গাজী (রহ.) এর জীবনী নিয়ে তৈরি করা ১৫০ ভলিউমের একটি সিরিজ দিরিলিস আর্তুগ্রুল।
গল্পের খাতিরে যদিও কিছু কিছু পরিবর্তন করা হয়েছে।তবুও তো ইতিহাস সম্পর্কে একটা ধারণা পাওয়া যায়।
কি নেই এ সিরিজে!
মায়া,মহব্বত, আবেগ,রাগ, অভিমান,ষড়যন্ত্র, কলা-কৌশল, টেনশন,বিনোদন গাদ্দারী,অফাদারী,মারামারি, হারানোর বেদনা, পাওয়ার আনন্দ,এক কথায় সব আছে সব।
হ্যাঁ, একটা জিনিস নাই।
আর সেটা হলো-নগ্নতা বা অশ্লিলতা।অশ্লিলতার রেশ মাত্র নেই
এর থেকে শেখারও কিছু আছে-
➤১/ লক্ষ্য ও চেষ্টা অটুট থাকলে যাযাবর কবিলা থেকে উঠে এসেও সম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করা যায়
➤২/ আমার জন্য জীবন দিতে পারে এমন মানুষের কাছেও সব কথা বলা যাবে না।
➤৩/ কিছু কথা সময় মতো বলতে হয়,সময়ের এক মিনিট আগেও না।
➤৪/ প্রচন্ড ধৈর্য ছাড়া সফলতার চেহারা থেকে নিকাব সরানো যায় না।
➤৫/ দুশমন এর চাইতে কয়েকগুণ বেশি ক্ষতি করে আমাদের আশেপাশে থাকা বন্ধুরূপী কিছু বিশ্বাসঘাতক।
➤৬/ বিপদে ভেঙে পড়তে নেই।বিপদ যত বড়ই হোক,তাকে পিছনে ফেলে সামনে এগিয়ে যেতে হবে।

18/05/2024
18/05/2024

২ বছর আগে ব্যাংকে রাখা আপনার ১০ লাখ টাকা আজকে ৬.৬ লাখ টাকা হয়ে গেল!
ডলারের বিপরীতে টাকা প্রায় ৩৪% মূল্য হারিয়েছে বিগত ২ বছরে।
১৭ মে ২০২২: 1 USD = 87 BDT
১৭ মে ২০২৪: 1 USD = 117 BDT

তথ্যসূত্র: সংগৃহীত

সাধারণত ছেলেরা সে-ক্সু-য়ালি এডাল্ট হয় ১৫/১৭ এর মধ্যেই বা তার আগেই।মেয়েরা ১৫ এর আগেই।সেখানে আমরা মেয়েদের বিয়ের বয়স নির্ধা...
12/05/2024

সাধারণত ছেলেরা সে-ক্সু-য়ালি এডাল্ট হয় ১৫/১৭ এর মধ্যেই বা তার আগেই।
মেয়েরা ১৫ এর আগেই।
সেখানে আমরা মেয়েদের বিয়ের বয়স নির্ধারণ করেছি ১৮ বছর ও ছেলেদের ২১ বছর। কিন্তু সিস্টেম করে দিয়েছি আবার অন্য রকম। ছেলেদের চাকরির বয়স সীমা ৩২ বছর। গ্রাজুয়েশান শেষ করতে করতে বয়স হয়ে যায় ২৬/২৭ বছর।
গড় আয়ু যদি ৬৫ হয়- তাহলে ৩২ বছর বয়স পযর্ন্ত সে অন্যের টাকায় চলবে। এর পর স্বাবলম্বী হয়ে মানে জব পেয়ে বিয়ে করবে ৩২ এর পর।
যে ছেলেটা সে-ক্সু-য়ালি এডাল্ট হইলো ১৭ তে। সে বিয়ে করলো আরো ১৫ বছর পর।
এই ১৫ বছর সে কি করবে?
পাড়ায় যাবে না? প্রেমিকাকে নিয়ে লিটনের ফ্লাটে যাবে না? পার্কের চিপায় প্রেমিকার শরীরে হাত দিবে না?
দাঁতে দাঁত চেপে নিজেকে পাথর বানিয়ে রাখবে?
কতটুকু পসিবল? লজিক্যালি কতটুকু পসিবল? বোথ ফর বয়েজ অ্যান্ড গার্লস?
এই দেশে ম-দ বিক্রি নি-ষি-দ্ধ না। কিন্তু ম-দ সহ ধরা পড়লে পুলিশ কে চা পানি খাওয়াইতে হয়!
একটা ছেলে ১৭ বছর অপেক্ষা করবে ১৭ বছরের আগের ক্ষুধা মিটানোর জন্য। যেহেতু আমরা জীব পাথর না। আমাদের ফিজিক্যাল চাহিদা আছে। তাই বলে ১৭ বছর অপেক্ষা করবে একটা ছেলে/মেয়ে ?
আপনি বা কেউ কি বিলিভ করেন যে কেউ অপেক্ষা করে?
অপেক্ষা করে না দেখেই এই দেশে রেস্টুরেন্টে প্রাইভেট জোন লাগে। মিরপুর মাজার রোডে ছোট ছোট খুপরি ঘর ওয়ালা রেস্টুরেন্ট লাগে। পার্কে ছাতা ওয়ালা প্রাইভেসি লাগে। সবই এই সমাজ জানে। একসেপ্ট করে। এক্সেপ্ট না করলে এসব বন্ধ হয়ে যেত। এসবই আমরা মেনে নিচ্ছি। শুধু ছেলে স্টাব্লিশড না হওয়া পযর্ন্ত বিয়ে মেনে নিতে পারতেছি না।
আপনি যদি এই দেশের সুপার সাকসেসফুল কোন বিজনেস ম্যান এর জিবনী পড়েন, দেখবেন তারা সাকসেসফুল হয়েছে অনেক পরে। অন্তত ৪০/৪৫/৫০ বছর বয়সে। আপনি কি তত দিন অপেক্ষা করবেন?মেয়ে তাদের সাথে বিয়ে দেয়ার জন্য ?
আমাদের পিতামাতাগণ সব কিছু ইসলাম অনুয়ায়ী করেন। খালি এই একটা বিষয়ে উনারা ইসলাম মানেন না। সেটা হইলো বিয়ে। পাত্র ভালো জব করে না দেখে উনারা বিয়ে দেন না। সমাজ বলে আগে প্রতিষ্ঠিত হওতার পর বিয়ে কর!
কুরআন বলে আগে বিয়ে করো,গরীব হলে প্রতিষ্ঠিত করার দায়িত্ব আল্লাহ্‌র!🌸 -(সূরা নূর)❤️
অথচ ইসলাম বলেছে সাবালক হইলেই বিয়ে দিয়ে দাও।
"বউ কে খাওয়াবি কি? "
এটা হচ্ছে আমাদের দেশের বিয়ের সব চেয়ে বড় বাঁধা।
বউ কি হাতি? নাকি ঘোড়া? তার তো ১০ কেজি বিচুলি লাগে না ডেইলি। তাইনা?
বিসিএস দিয়ে ৩৫ বছর বয়সে নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে তার পর বিয়ে করতে হবে ।
নিজের পায়ে ঠিক-ঠাক দাঁড়াতে দাঁড়াতে সঠিক জিনিসটি দাঁড়ানোর সময় পেরিয়ে যায়.....
এখন ভাবুন, ইসলাম ধর্মে বিয়েকে অর্ধেক দ্বীন কেন বলা হয় !
তারপরও পরিবার এবং সবার ব্যক্তিগত মতা মত থাকতেই পারে 😊

04/05/2024

অবশেষে অপেক্ষার প্রহর শেষে স্বস্তির আভাস
বি.দ্র> আজ বৃষ্টি হতে পারে যদি আল্লাহ চাহে

এক ঘর মানুষের সামনে আমার ঠোঁটে ঠোঁট ডুবিয়ে দিলেন ঈশান ভাইয়া। ভাইয়া বলছি কেন? উনি তো আমার স্বামী! আমার ছয় মাসের স্বাম...
27/04/2024

এক ঘর মানুষের সামনে আমার ঠোঁটে ঠোঁট ডুবিয়ে দিলেন ঈশান ভাইয়া। ভাইয়া বলছি কেন? উনি তো আমার স্বামী! আমার ছয় মাসের স্বামী! গত ছয়মাস ধরে আমরা এক বাড়িতেই থাকছি অথচ আমাদের মধ্যে কোনো সম্পর্ক নেই। ঈশান ভাইয়া আমার ছোট খালামনির ছেলে। ঈশান দেখতে অত্যন্ত সুপুরুষ। কোন সিনেমার হিরোদের থেকে কম না। সুঠাম দেহ, ফর্সা গায়ের রং,উচ্চতা ৫ ফিট ১১ইঞ্চি, মাথার চুলগুলো হালকা কোঁকড়ানো, গালে খোঁচা খোঁচা দাড়ি। এক কথায় যাকে বলে চোখ ধাঁধানো সুন্দর। প্রথম দেখাতেই যে কোন মেয়ে তার প্রেমে পড়তে বাধ্য। আমিও ছোট বেলা থেকেই তার উপর ক্রাশিত ছিলাম। আমি যখন ক্লাস নাইনে পড়ি তখন ঈশান ভাইয়ার উপর প্রথম ক্রাশ খাই আমি। সেদিন ছিল ঈশান ভাইয়ার জন্মদিন। ঈশান ভাইয়া সেদিন ব্লাক কালারের স্টোনের কাজ করা একটা পাঞ্জাবি পড়েছিল যার হাতা ছিল কনুই অব্দি গুটানো, মাথার চুলগুলো পেছন দিকে স্পাইক করা,হাতে কালো ডায়ালের ঘড়ি আর ঠোঁটে তাঁর সেই চিরাচরিত হাসি। এতেই সেদিন ঘায়েল হয়েছিল আমি। কিন্তু সে সময় ভয়ে তাকে কিছু বলতে পারিনি।তবে কলেজে ওঠার পর আমি নিজের মনের কথাটা আর চেপে রাখতে পারিনি। আমি ফিজিক্সে খুব কাঁচা ছিলাম। ঈশান ভাইয়া আবার ফিজিক্স খুব ভালো পারে। তাই আম্মু ঈশান ভাইয়াকে বলেছিল আমাকে একটু ফিজিক্সটা একটু দেখিয়ে দিতে। ঈশান ভাইয়াদের বাসা যেহেতু আমাদের বাসা থেকে খুব বেশি দূরে নয় তাই আমিই তাদের বাসায় পড়তে যেতাম। তখন আমি ইন্টার ফার্স্ট ইয়ারে পড়ি। সামনেই ছিল ভ্যালেন্টাইন ডে। আমি মনে মনে ভাবলাম, এই ভ্যালেন্টাইন ডেতেই আমি তাকে আমার মনের কথা বলে দিবো। কিন্তু বুঝতে পারছিলাম না ঈশান ভাইয়াকে নিজের মনের কথাটা কিভাবে বলবো। বান্ধবীদের কাছ থেকে বিভিন্ন ট্রিপস নিয়ে শেষে ঠিক করলাম চিঠি লিখে আমি তাকে নিজের মনে কথা জানাবো। আর যেই ভাবা সেই কাজ। পরের দিন আমার মনের সমস্ত অনুভূতি এক জায়গায় জড়ো করে তার জন্য লিখে ফেললাম বিশাল এক পত্র।আমি সেই চিঠিটা ভ্যালেন্টাইন ডের দিন ঈশান ভাইয়ার বইয়ের মধ্যে রেখে আসি। কিন্তু ঈশান আমার ভালোবাসা তো এক্সসেপ্ট করেই নি উপরন্তু সেই চিঠি পড়ে সে আমার অনুভূতিগুলো নিয়ে মজা করেছিল। আমাকে বলেছিল, আমি যেন তার থেকে দূরে থাকি। আর কখনো তার সামনে না যাই। ইভেন সে আম্মুকেও বলে দেয় সে আমাকে আর পড়াতে পারবে না। উনার নাকি সময় নেই। সেদিন ঈশান ভাইয়ের কথায় ও কাজে আমি খুব কষ্ট পেয়েছিলাম। সেদিন সারারাত ধরে অনেক কান্নাকাটির পর সিদ্ধান্ত নিলাম যে ঈশান ভাইকে যদি আমি না পাই তাহলে এ জীবন রেখে আমার কি লাভ? ঝোঁকের বশে সুইসাইড এটেম্প করতে গিয়েছিলাম কিন্তু সুইসাইড করা কি এতোই সহজ! ব্লেড দিয়ে হাত কাটতে গিয়ে ভয়ে থরথর করে হাত কাঁপছিল তাই আমি নিজের সিদ্ধান্ত পাল্টে ফেললাম। তার পর ফেসবুক,ইউটিউবে কিছু অনুপ্রেরণা মূলক ভিডিও দেখে মনে মনে ভাবলাম ঈশান ভাইয়াকে আমি ভুলে যাবো। কিন্তু তা আর হলো কই? তাকে ভুলার আগেই অদ্ভুত ভাবে তার সাথে আবার জুড়ে গেলাম। খালামনি তখন ভীষণ অসুস্থ। হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল। বাঁচার কোন আশাই ছিল না। তাই খালামনি মৃত্যুর আগে ঈশান ভাইয়ার বিয়েটা দেখে যেতে চেয়েছিলেন। একদিন কলেজে থেকে বাসায় ফিরে দেখি বাবাই আমাদের বাসায়। ড্রয়িং রুমে বসে আব্বুর সাথে কি নিয়ে যেন আলোচনা করছে। মনে মনে একটু অবাক হলাম। বাবাই ইদানিং এমনিতেই আমাদের বাসায় খুব একটা আসে না। তার উপর খালামনি এখন অসুস্থ। তাহলে সে এসময় আমাদের বাসায় কি করছে? পরে আম্মুর কাছে জানতে পারলাম সে নাকি আমার আর ঈশান ভাইয়ার বিয়ের কথা বলতে এসেছিল। কারণ খালামনি নাকি মৃত্যুর আগে আমার আর ঈশান ভাইয়ার বিয়েটা দেখে যেতে চায়। খালামণি নাকি ছোট বেলা থেকেই নাকি খালামনি আমাকে তার ঘরের বউ করে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন। আর ঈশান ভাইয়া নিজেও নাকি এই বিয়েতে রাজী।তাই আমিও নাচতে নাচতে বিয়েতে রাজী হয়ে গেলাম। হাজার হলেও ক্রাশকে বিয়ে করছি বলে কথা। কিন্তু বাসর রাতে জানতে পারলাম শুধু মাত্র মায়ের কথা রাখতেই ঈশান ভাইয়া আমাকে বিয়ে করতে রাজি হয়েছে। সে অরিন আপুকে ভালোবাসে। অরিন আপু ঈশান ভাইয়ার ফুফাতো বোন।

বাসর রাতে একহাত ঘোমটা টেনে ঈশান ভাইয়ার জন্য বউ সেজে বসে আছি। সাধারণ বাসর রাত নিয়ে সব মেয়েদেরই অনেক স্বপ্ন থাকে। আমার ও ছিল। তার উপর আবার ভালোবাসার মানুষটির সাথে বিয়ে হয়েছে। মনে রিতিমত লাড্ডু ফুটছিল। কিন্তু সেদিন ঈশান ভাইয়ার এক কথায় আমার সব আনন্দ নিমিষেই ফুরুত হয়ে যায়। ঈশান ভাইয়া ঘরে ঢুকেই আমার ডান হাতটা মুচড়ে ধরে কাট কাট গলায় বলে উঠে,

---"আমি তোকে বলেছিলাম যে, আমার থেকে দূরে থাকবি। আর তুই কি করলি? আম্মুর অসুস্থতার সুযোগ নিয়ে আমাকে বিয়ে করে নিলি। তবে একটা কথা ভালো করে শুনে রাখ, তুই আমার বউ হয়েছিস ঠিকই কিন্তু কখনো আমার কাছ থেকে না পাবি স্ত্রীর অধিকার। আর না ভালোবাসা। আমি শুধু অরিনকে ভালোবাসি। আর ওকেই বাসবো।"

আমিও ছিলাম নাছোড়বান্দা! শত অপমান সহ্য করেও তার পিছনেই ঘুর ঘুর করতাম। কিন্তু একটা সময় পর আমি বুঝতে পেরেছি জোর করে আর যাই হোক ভালোবাসা হয় না। তাই গত তিন মাস ধরে আমরা এক বাড়িতেই আছি কিন্তু আমাদের মধ্যে কোনো কথা হওয়া তো দূরের কথা, রাতের বেলা খাওয়ার সময় ছাড়া দেখাও হয়না। তবে তাতে অবশ্য ঈশান ভাইয়ের কোন মাথা ব্যাথা নেই। সে তার মতো বিন্দাস আছে। অফিস যাচ্ছে, নিজের গার্লফ্রেন্ডকে নিয়ে ঘু্রছে, ফিরছে, শপিং করছে, ফেসবুকে তাদের ছবি আপ করছে। আমি বলে একটা মানুষ যে তার জীবনের আছে সেদিকে তার কোন খেয়ালই নেই। প্রথম প্রথম ঈশানের এসব কর্মকাণ্ডে আমার খুব খারাপ লাগতো তবে আস্তে আস্তে এখন নিজেকে মানিয়ে নিতে চেষ্টা করছি। আর তো মাত্র কয়েক মাস এইচএসসি এক্সামটা শেষ হলেই আমি একটা ভার্সিটিতে এডমিশন নিয়ে তার থেকে দূরে চলে যাবো। এতোটাই দূরে যেন সে চাইলেও আর আমাকে দেখতে না পারে।

আজ আমরা আমার মামাতো বোনের বিয়ে উপলক্ষে নানু বাড়ি এসেছি‌। আমার মামাতো বোনের নাম ঐশী। আমার থেকে দুই বছরের বড় তবে আমি ওকে নাম ধরেই ডাকি। আজ ছিল ঐশীর গায়ে হলুদ। হলুদের অনুষ্ঠান শেষে আমরা সব কাজিনরা মিলে রং খেলছিলাম এমন সময় হঠাৎ করে কোথা থেকে যেন ঈশান এসে আমার হাত ধরে সেখান থেকে টেনে নিয়ে যাওয়া শুরু করল। ঈশান ভাইয়া আমার হাতটা এতো শক্ত করে ধরেছে যে,আমি খুব ব্যাথা পাচ্ছি।মনে হচ্ছে এখনি ভেঙে যাবে। তাই আমি ঈশান ভাইয়ের উদ্দ্যশে কাঁদো কাঁদো কন্ঠে বলে উঠলাম,

---"ঈশান ভাইয়া!কোথায় নিয়ে যাচ্ছো? প্লীজ হাতটা ছাড়ো। ব্যাথা পাচ্ছি তো।"

কিন্তু আমার কথাটা হয়তো তার কান অব্দি পৌঁছালো না। সে আগে মতোই আমাকে টেনে সিড়ির দিকে নিয়ে যেতে লাগলেন কিন্তু আমি আর সহ্য করলাম না। আমি ঝটকা মেরে তার হাত থেকে নিজের হাত ছাড়িয়ে নিলাম। তার পর কর্কশ গলায় বলে উঠলাম,
---"কি পেয়েছো তুমি আমাকে? নিজের যা ইচ্ছে হবে আমার সাথে তাই করবে? আমি তো কখনো তোমার কোন কাজে বাধা দিতে আসি না। তাহলে তুমি কেন আসো?"

এমনিতেই ঈশান রেগে ছিল। তা উপর আমার কথা শুনে তার রাগ আরো বেড়ে গেল। সে আমাকে পাশের দেওয়ালের সাথে শক্ত করে চেপে ধরে দাঁতে দাঁত চেপে বললো,

---"আমি ধরলেই তো তোর ফোস্কা পড়ে। তাই না? আর নিজে যখন ছেলেদের সাথে ঘড়াঘড়ি করিস তখন?"

ঈশান ভাইয়ার কথা শুনে আমি রাগী কন্ঠে বললাম,
---" মাইন্ড ইউর ল্যাঙ্গুয়েজ। কি যা তা বলছো তুমি!"

---"ওহ্,যা তা। আমি এখন যা তা হয়ে গেলাম তাই না? আলভি যখন ধরে তখন তো খুব মজা নিস। আর আমি বললেই দোষ!"

ঈশান ভাইয়ার কথা শুনে আমি হতবাক। এ কোন ঈশান ভাইয়াকে দেখছি আমি। ঈশান ভাইয়ার মতো মানুষের মধ্যেও যে এমন কুৎসিত একটা পার্সোনালিটি লুকিয়ে থাকতে পারে আমি কোন দিন ভাবতেও পারিনি। আমি ঈশান ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে দাঁতে দাঁত চেপে বললাম,
---"আমার যা ইচ্ছে হবে তাই করবো তাতে তোমার কি?হু আর ইউ টু টেল এবাউট মি?"

ঈশান ভাইয়া রেগে বললো,
---"দেখতে চাস আমি কে?"

কথাটা বলেই ঈশান ভাইয়া আমার ঠোঁট জোড়া নিজের দখলে নিয়ে নিলো। তার সব রাগ এখন আমার ঠোঁটের উপর ঝাড়ছে। আমি ব্যাথায় কুঁকড়ে যাচ্ছি অথচ সেদিকে তার কোন খেয়াল নেই। নিদারুণ যন্ত্রনায় নিজেকে ছাড়াতে ব্যর্থ হয়ে চোখ বন্ধ করে খিচে পাথরের মতো দাঁড়িয়ে রইলাম আমি। কিন্তু একটু পর যা হলো তার জন্য আমি মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না। হঠাৎ করে ঈশান ভাইয়া আমার কোমড় জড়িয়ে ধরে পাগলের মত আমার ঠোঁটে কিস করতে লাগলেন‌। উনার স্পর্শে আমি বারবার কেঁপে উঠছি। আমি আর সহ্য না করতে পেরে নিজের শক্তি দিয়ে তাকে ধাক্কা মারলাম। কিন্তু তবুও সামনের শক্তিটাকে এক বিন্দু ঠলাতে পারলাম দেখে হঠাৎ করে ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠলাম আমি। আমার কান্নার আওয়াজ ঈশান ভাইয়ার কানে যেতেই ঈশান ভাইয়া আমাকে ছেড়ে দিলো। তার পর সে আমার অশ্রুমাখা চোখের দিকে একবার তাকিয়ে ঘটঘট করে সেখান থেকে চলে গেল। আর আমি ফ্লোরে ধপ করে বসে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতে লাগলাম। এটা তো উনার অধিকার ছিল। তাহলে আমি কেন কাঁদছি আমি নিজেও জানি না!
"

চলবে

#তোমার নামের রৌদ্দুরে❤️
:jisan Mahmud
#সূচনা পর্ব

দ্বিতীয় পর্বের লিংক কমেন্ট বক্স এ দেওয়া হয়েছে 💬👇

নেক্সট পার্ট সবার আগে পেতে এখনি আমাদের পেইজ ফলো করে রাখুন :

06/04/2024

উন্নয়ন উন্নয়ন উন্নয়ন

বুঝলে বুঝপাতা না বুঝলে......পাতা
01/04/2024

বুঝলে বুঝপাতা না বুঝলে......পাতা

দুই দিক থেকেই রেললাইনের কাজ কমপ্লিট !🙄এখন শুধু উদ্বোধনের অপেক্ষা,,,,,😝
17/09/2023

দুই দিক থেকেই রেললাইনের কাজ কমপ্লিট !🙄
এখন শুধু উদ্বোধনের অপেক্ষা,,,,,😝

07/09/2023
আরুক মুন্সি, বঙ্গবন্ধুর শিশা খাওয়া থেকে শুরু করে সবকিছু তে মিল। কে বলেরে মজিব নাইমুন্সির মাঝে তাকে দেখতে পাই। ছাত্রলীগের...
02/09/2023

আরুক মুন্সি, বঙ্গবন্ধুর শিশা খাওয়া থেকে শুরু করে সবকিছু তে মিল।
কে বলেরে মজিব নাই
মুন্সির মাঝে তাকে দেখতে পাই।
ছাত্রলীগের মাঝে তাকে দেখতে পাই

17/11/2022
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী চাঞ্চল্যকর আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আ...
08/12/2021

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী চাঞ্চল্যকর আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। আর বাকি ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।

Address

Jhinaigati
Sherpur
2110

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when গণমজাতন্ত্র posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Share

গজনী অবকাশ

ঘরে থাকুন, সুস্থ থাকুন।দূরত্ব বজায় রাখুন,স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলুন করোনা ভাইরাস থেকে নিরাপদ থাকুন।



You may also like