Habibullah Al Hadi

Habibullah Al Hadi this is Hafez M***i Habibullah Al Hadi's official page

কেন আহলে হাদীস ত্যাগ করলাম!আমি জানতাম আমরা হানাফী মাজহাবেরই অনুসারী, বেশ ওইটুকুই এর বেশী কিছু নয়, হানাফী মাজহাব কি? আসলে...
02/09/2024

কেন আহলে হাদীস ত্যাগ করলাম!

আমি জানতাম আমরা হানাফী মাজহাবেরই অনুসারী, বেশ ওইটুকুই এর বেশী কিছু নয়, হানাফী মাজহাব কি? আসলে তা আমাদের নিকট ভাল করে জানা ছিলনা।* আজ থেকে দশ বছর আগে একটি কিতাব পড়ে আমি মুগ্ধ হলাম, তাতে লিখা ছিল রাসুলের কোনও মাজহাব ছিলনা, সাহাবাগন কোন মাজহাব অনুস্মরণ করেননি, রাসুল ছাড়া আর কারো তাকলীদ বা অন্ধ অনুস্মরণ করা যাবে না, যেখানে কুরআন ও সহীহ হাদিস মজুদ আছে সেখানে আবার মাজহাব মানতে হবে কেন? মাজহাব ধর্মকে খন্ড-বিখন্ডিত করে ফেলেছে ।

★ আমি মনে মনে ভেবে দেখলাম কথাগুলো তো বাস্তব সত্য, এমন অবাক করার মতো তথ্যগুলো তো আগে কখনো শুনিনি। মাজহাব নিয়ে মানুষ পড়ে আছে কেন ! সেটাই আমাকে ভাবিয়ে তুলেছিল। এক সময় মনে মনে আমি নিজেকে লামাজহাবী ভাবতে শুরু করলাম।

★এরপর ফেইসবুকে মতিউর রহমান মাদানী, আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ, আমানুল্লাহ মাদানী, আকরামুজ্জামান, মুরাদ বিন আমজাদ, মুজাফ্ফর বিন মহসিন প্রমুখের গ্যারান্টি দেয়া বক্তব্যগুলো শুনে আমি আরও আশাবাদী হলাম। এক সময় আমি আমার প্রিয় শায়েখদের বক্তব্যগুলোকে অন্ধের মতো বিশ্বাস করতে লাগলাম, সেইসাথে আমার অন্তরে এমন এক ধারনার সৃস্টি হলো যে আমরা সালাফী তথা আহলে হাদিসেরা ব্যতীত বাকীরা সবাই বিদআতী ও বাতিল ফিরকা, আমরাই শুধুমাত্র হকপন্থী, বাকী সব বিদআতীদের জন্য অনেক আফসোস করতাম ।

★ গত বছর থেকে ফেইসবুকে ভিন্ন টাইপের কিছু নতুন হুজুরের আবির্ভাব পরিলক্ষিত হতে দেখে চমকে ওঠলাম। সেই সাথে কিছু ব্লগারেরও সন্ধান পেলাম। আমাদের বিখ্যাত শায়েখদের প্রদত্ত বক্তব্যগুলোকে তারা খন্ডন করে পাল্টা বক্তব্য দিতে থাকলেন।
আমি উভয় পক্ষের বক্তব্যগুলোকে একত্র করে হিসাব মিলাতে থাকলাম, আমি বুঝতে সক্ষম হলাম যে, ইবাদতের মধ্যে যে সমস্ত বিষয় নিয়ে শায়েখ‘রা বিষেদগার করে যাচ্ছেন এগুলো কোনও মৌলিক বিষয় নয়। ১২ থেকে ১৩ শত বছর পূর্বে মাজহাবের ইমামগন সাংঘর্ষিক তথা ইখতেলাফী হাদিস থেকে মাসালা বের করে যেসব বিষয়ে সমাধান দিয়ে গেছেন শায়েখ‘রা সেইগুলো নিয়েই বিতর্ক সৃস্টি করে করে যাচ্ছেন। অথচ এগুলো নিয়ে আগে কেউ কোন বিতর্ক সৃস্টি করেনি।

★ আমি আরো লক্ষ করলাম যে, শায়েখগন নিজেরাই দিশেহারা হয়ে আত্মঘাতী বক্তব্য দিয়ে চলেছেন, রমজান আসলে তাদের নিকট তিন রাকাত বিতর নামাজ সহীহ হয়, রমজানের বাইরে বিতির নামাজ এক রাকাত সহীহ হয়ে যায়। ঈদের নামাজ তারা কারো নিকট ১২ তাকবীর সহীহ, আবার কারো কারো নিকট ৬ তাকবীর ও ১২ তাকবীর উভয়ই সহীহ, কিন্তু তারা আমল করছেন ১২ তাকবীর।
এছাড়া বুকের ওপর হাত বাঁধা, রফ্উল য়াদাইন করা আর না করা, আমিন জোরে ও আস্তে বলা এসব বিষয়ে বিরোধপূর্ণ হাদিস থাকা সত্বেও তারা হানাফীদের বিপরীত হাদিসগুলোর ওপর জোর দিয়ে চরম ফিতনার জন্ম দিয়ে চলেছেন। অথচ এগুলো নামাযের মূখ্য বিষয় নয়।

* শুধু তাই নয়, মির্জা গালিব ও মুজাফ্ফর বিন মহসিনের কিতাবসমূহে ইদানীং তাদের জালিয়াতি ও মিথ্যাচার সম্পর্কীয় যেসব তথ্য এখন পাওয়া গেছে তা তো রীতিমত গা শিহরে ওঠার মতো কাজ । শায়েখ হয়ে এহেন গর্হিত কর্ম তাদের দ্বারা সংগঠিত হলো তা ভাবতেও অবাক লাগে ।

★ আমি দেখেছি শায়েখদের প্ররোচনায় আহলে হাদিসের অনুসারীরা বলে থাকেন রাসুল ছাড়া আর কারো তাকলীদ করা যাবেনা, অথচ তারা আলবানী, জাকির নায়েক, মতিউর রহমান, আ. রাজ্জাক বিন ইউসুফ, মুজাফ্ফর বিন মহসিন গংদের কথার বাইরে একচুলও নড়েনা ।
তারা বলেন মাজহাব মানা যাবে না অথচ তারাই উপরোক্ত শায়েখদের মতামত (মাজহাব)কে নিজেদের আদর্শ বানিয়ে নিয়েছেন।
তারা বলেন মাজহাবের মাধ্যমে ইসলামকে খন্ড বিখন্ড করা হয়েছে অথচ তারা নিজেরাই দলে দলে বিভক্ত, তারা বলেন তাদের পরিচয় শুধুমাত্র মুসলিম, অথচ তারাই আহলে হাদিস, সালাফী, মুজাহীদ, মুহাম্মদীসহ ১৬৮ দলে বিভক্ত।

★ লা-মাজহাবীগন মাজহাবীদের কে বিদাতী বলে ক্ষান্ত হয়নি তারা নিজেরাই নিজেদেরকে বিদাতী, কাফের ফতোয়া দিয়ে আলোড়ন সৃস্টি করে চলেছেন।
তারা বলে, সাহাবাদের সময়ে কোন মাজহাব ছিলনা তাহলে মাজহাব মানতে হবে কেন?
* উত্তর: সাহাবাদের যুগে তো বুখারী, মুসলিম, সহীহ হাদিস, জয়ীফ হাদিস, আহলে হাদিস এ সমস্ত কিছুই ছিলনা, তাহলে এসব মানতে হবে কেন?

★ আমি আরো লক্ষ্য করলাম, কুরআন ও হাদিসের ব্যাখ্যা নিয়ে আমাদের মধ্যে আক্বিদাগত কিছু মতপার্থক্য ছিল কিন্তু ইবাদত নিয়ে আমাদের মধ্যে বিন্দুমাত্র দ্বন্দ্ব ছিলনা। ইবাদত তথা নামাজ ছিল আমাদের ঐক্যের প্রতীক। আগে আমরা শান্তি মনে নামাজ পড়তাম, সেই নামাজের মধ্যে ছোটখাটো বিষয় কে বড় করে তুলেধরে আহলে হাদিসেরা এক চরম ফিতনার সৃস্টি করে গোটা মুসলিম উম্মাকে খন্ড-বিখন্ডিত করার প্রয়াস পাচ্ছে।

★ দেশের ৮০% মুসলিমের মধ্যে ২০% মুসলিমও নামাজ পড়েনা, বেনামাজিদের কে নামাজি বানাবার কোন মিশন আহলে হাদিস-সালাফীদের নিকট নেই। যারা নামাজ পড়ে তাদেরকে নিয়েই তারা টানাহ্যাঁচড়া শুরু করেছে। ফিকাহ্ ও মাসালার বিষয়গুলো নিয়ে সালাফী শায়েখেরা হানাফী আলেমদের সাথে বসে সমাধান করার চেষ্টা না করে মিডিয়া ও ফেইসবুকের মাধ্যমে সাধারন মানুষের মধ্যে চরম ফিতনা ও বিতর্কের জন্ম দিয়ে পুরা মুসলিম উম্মাকে এক ভয়াবহ ফিতনার দিকে ঠেলে দিয়েছে।

★ এসব কারণে আমি আহলে হাদিস ত্যাগ করে আবার সঠিক পথে ফিরে এসেছি, আল্লাহ আমাদের ঈমানকে হেফাজত করুন….. আমিন
লেখকঃ গালিব আকাশ।

ইন্না লিল্লাহ!ফেনীর জামিয়া রশিদিয়া মাদ্রাসার যদি এ অবস্থা হয় তাহলে আশপাশের অবস্থা আরো ভয়াবহ সবাই নিজেদের সাধ্য অনুযা...
22/08/2024

ইন্না লিল্লাহ!
ফেনীর জামিয়া রশিদিয়া মাদ্রাসার যদি এ অবস্থা হয় তাহলে আশপাশের অবস্থা আরো ভয়াবহ
সবাই নিজেদের সাধ্য অনুযায়ী বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ান
আল্লাহ তাআলা আমাদের সহায় হোন 🤲

আশা জাগানিয়া একটি ছবি ❤️দ্বীন ও ইসলামের স্বার্থে দল মত নির্বিশেষে আমাদের সবাইকে এক প্লাটফর্মে আসতে হবে,আল্লাহ তায়ালা ক...
11/08/2024

আশা জাগানিয়া একটি ছবি ❤️
দ্বীন ও ইসলামের স্বার্থে দল মত নির্বিশেষে আমাদের সবাইকে এক প্লাটফর্মে আসতে হবে,
আল্লাহ তায়ালা কবুল করুন।

لِكُلِّ فِرْعَوْنٍ مُوْسٰيপ্রত্যেক ফিরাউনের যুগেই জন্ম নেয় একজন মুসা 💪
01/08/2024

لِكُلِّ فِرْعَوْنٍ مُوْسٰي
প্রত্যেক ফিরাউনের যুগেই জন্ম নেয় একজন মুসা 💪

17/07/2024

শুধু কোটা নয়,
গোটা দেশটাই
সংস্কারের প্রয়োজন!
আপনি কি মনে করেন?

12/07/2024

সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
فداك أبي و أمي يا رسول اللّٰه صلى اللّٰه عليه وسلَّم

16/06/2024

দেশ ও প্রবাসের সবাইকে পবিত্র ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন
তাক্বাব্বালাল্লাহু মিন্না ও মিনকুম
ঈদ মোবারক 🌙

10/06/2024

কো*কের ব্যাপারে এই মুহুর্তে ব্যাপক নেগেটিভ প্রচারণা চালানো উচিত। সেক্ষেত্রে শর্ট ফিল্ম ও ডিজাইন হলো মোক্ষম একটা মাধ্যমে। শর্ট ফিল্মের ৩টা আইডিয়া আমি দিচ্ছি-

দৃশ্য-০১
দোকানে গিয়ে ড্রিংক কিনতে চাইলেন। দোকানদার কো*ক দিল। আপনি সেটা ফিরিয়ে দিয়ে অন্য কোনটা চাইলেন এবং কেন ফিরিয়ে দিলেন দুই/তিন বাক্যে কারণটা বলে দিলেন। দোকানদারও বলল, সামনে থেকে সে আর এটা বেচবে না।

দৃশ্য-০২
রাস্তায় একজনকে কো*ক খেতে দেখলে তাকে থামালেন এবং কো*কের ইস্র কানেকশনের বিষয়টা বললেন। সে তখন ঘৃণা ভরে এটা ছুঁড়ে মারল।

দৃশ্য-০৩
'আমি কো*ক এবং পেপসিকো কোম্পানির সকল প্রোডাক্টকে ঘৃণা করি। এটা খাওয়া থেকে বিরত থাকুন' কথাটা ভিডিও আকারে রেকর্ড করুন এবং ছড়িয়ে দিন। এটি যেন ট্রেন্ড হয়ে যায়।

----------

যারা ভালো ডিজাইন বানাতে পারেন, তারা কোককে বয়কট করার উপর বিভিন্ন আইডিয়ার ডিজাইন বানাতে পারেন। মানুষের ছবিতে চোখ মুখ দিবেন না। এগুলোর কোনো কোনোটা শর্ট ভিডিওর কন্টেন্টও হতে পারে। আমি কিছু নমুনা বলে দিচ্ছি-

১. কো*কের বোতলের ভিতরে ফি‧লি‖স্তিনি শিশুদের রক্তাক্ত দেহ, বোতলের মুখ দিয়ে পানীয় আকারে বের হয়ে আসছে তাদের রক্ত।

১. কো*কের একটা ফ্যাক্টরি, যেটা ফি‧লি‖স্তিনিদের উচ্ছেদ করা বসতভিটায় তৈরি।

৩. কো*কের বোতলে বুট জুতা দিয়ে লাথি মারা পায়ের ছবি। ক্যাপশনে হবে, আমরা কো*ক খাই না।

৪. কো*ক কেউ কমোডে ঢালছে। ক্যাপশন হবে- কো*কের উপযুক্ত স্থান টয়লেট, আপনার পেট নয়।

৫. কো*কভর্তি একটা দোকান। দোকানদার মাথায় হাত দিয়ে বসে আছে। ক্যাপশন- মানুষ আর কো*ক খায় না। ডিলারদের মাথায় হাত।

৬. দোকানদার ও কাস্টমারের কথোপকথন দিয়ে একটা পিক-
'ভাই একটা কো*ক দেন।'
'ফি‖লিস্তি‧নিদের রক্ত আমি বেচি না।'

৭. দুই বন্ধুর কথোপকথন দিয়ে একটা পিক-
'দোস্ত কো*ক খাবি?'
'হারপিকের বিকল্প আমি খাই না।'

৮. এক ছেলে কো*ক খাচ্ছে। বন্ধু এসে বলছে, ছিহ! তুই কো*ক খাস? কী লজ্জার কথা!

৯. ডাক্তারের চেম্বারে রোগী এসেছে।
'ডাক্তার সাব, পেটের ব্যাথায় মরে গেলাম।'
'নিশ্চয়ই আপনি কো*ক খেয়েছেন। সেজন্যই এই অবস্থা!'

১০. বউ বলছে, 'এই শুনো, আসার সময় একটা হারপিক নিয়ে এসো!।
'আমার আসতে দেরি হবে। আপাতত মেহমানের আনা কো*ক ঢেলে টয়লেট পরিষ্কার করে নাও। ওটা হারপিকের মতো কাজ করে।'

-------

এছাড়া যারা ডকুমেন্টারি বানান, তারা সম্প্রতি প্রকাশিত কো*কের এডের লাইন ধরে ধরে পয়েন্ট আউট করুন। কীভাবে তারা মানুষকে বোকা বানাচ্ছে।

✍️আবদুল্লাহ আল মাসউদ

(লেখাটিকে ছড়িয়ে দিতে শেয়ার বা কপি করে পোস্ট করতে পারেন)

07/06/2024

জিলহজ মাসের আমল সমুহ
সংক্ষেপে।
১. চুল, নখ, মোচ ইত্যাদি না কাটা
২. ঈদের দিন ছাড়া বাকি নয় দিন রোযা রাখা
৩. বিশেষভাবে নয় তারিখের রোযা রাখা
৪.বেশি বেশি যিকির করা
৫.তাকবীরে তাশরীক
৬.কুরবানী করা।
৭.সামর্থবানরা হজ্জ করা এ মাসের শ্রেষ্ঠ আমল।


বিস্তারিত
এক.
চুল, নখ, মোচ ইত্যাদি না কাটা।

প্রমাণ-১
عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏
‏ مَنْ رَأَى هِلاَلَ ذِي الْحِجَّةِ وَأَرَادَ أَنْ يُضَحِّيَ فَلاَ يَأْخُذَنَّ مِنْ شَعْرِهِ وَلاَ مِنْ أَظْفَارِهِ
উম্মু সালামা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে লোক যিলহাজের নতুন চাঁদ দেখেছে এবং কুরবানীর নিয়াত করেছে সে যেন নিজের চুল ও নখ (কুরবানী পূর্ব পর্যন্ত) না কাটে।
তিরমিজি-১৫২৩

প্রমাণ-২
عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، أَنّ النّبِيّ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ قَالَ: إِذَا رَأَيْتُمْ هِلَالَ ذِي الْحِجّةِ، وَأَرَادَ أَحَدُكُمْ أَنْ يُضَحِّيَ، فَلْيُمْسِكْ عَنْ شَعْرِهِ وَأَظْفَارِهِ

উম্মে সালামা রা. থেকে বর্ণিত, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যখন তোমরা যিলহজ্বের চাদ দেখবে,(জিলহজ মাস শুরু হবে) তখন তোমাদের মধ্যে যে কুরবানী করবে সে যেন তার চুল নখ না কাটে।
সহীহ মুসলিম, হাদীস ১৯৭৭

লক্ষনীয়-১
কুরবানী যারা করবে না তাদের জন্যও এ আমল রয়েছে।
‎ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لِرَجُلٍ: «أُمِرْتُ بِيَوْمِ الْأَضْحَى عِيدًا جَعَلَهُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ لِهَذِهِ الْأُمَّةِ» فَقَالَ الرَّجُلُ: أَرَأَيْتَ إِنْ لَمْ أَجِدْ إِلَّا مَنِيحَةً أُنْثَى أَفَأُضَحِّي بِهَا؟ قَالَ: «لَا، وَلَكِنْ تَأْخُذُ مِنْ شَعْرِكَ، وَتُقَلِّمُ أَظْفَارَكَ، وَتَقُصُّ شَارِبَكَ، وَتَحْلِقُ عَانَتَكَ، فَذَلِكَ تَمَامُ أُضْحِيَّتِكَ عِنْدَ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ

আবদুল্লাহ্ ইব্ন আমর ইব্ন আস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক ব্যক্তিকে বললেন: কুরবানীর দিনকে ঈদের দিন করার জন্য আমাকে আদেশ করা হয়েছে। আল্লাহ্ তা‘আলা এই উম্মতের জন্য একে সাবস্ত্য করেছেন। তখন ঐ ব্যক্তি বললো: যদি আমি দুধপান করার জন্য অন্যের দান করা পশু ব্যতীত অন্য কিছু না পাই, তা হলে কি আমি তা-ই কুরবানী করবো? তিনি বললেন: না, কিন্তু তুমি তোমার চুল, নখ কেটে ফেলবে এবং গোঁফ ছোট করবে এবং তোমার নাভীর নিচের পশম কামাবে; এটাই হবে আল্লাহ্‌র নিকট তোমার কুরবানীর পূর্ণতা।
সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ৪৩৬৫

লক্ষনীয়-২
ছোট বাচ্ছাদের চুল ও না কাটার চেষ্টা করা।
ওলীদ বিন মুসলিম বলেন, আমি মুহাম্মাদ বিন আজলানকে যিলহজ্বের দশকে চুল কাটা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। তখন তিনি বললেন, আমাকে নাফে রাহ. বলেছেন-

أَنّ ابْنَ عُمَرَ، مَرّ بِامْرَأَةٍ تَأْخُذُ مِنْ شَعْرِ ابْنِهَا فِي أَيّامِ الْعَشْرِ فَقَالَ: لَوْ أَخّرْتِيهِ إِلَى يَوْمِ النّحْرِ كَانَ أَحْسَنَ
আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রা. এক নারীর নিকট দিয়ে অতিক্রম করছিলেন। মহিলাটি যিলহজ্বের দশকের ভেতর তার সন্তানের চুল কেটে দিচ্ছিল। তখন তিনি বললেন, যদি ঈদের দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে তবে বড় ভাল হত।
মুস্তাদরাকে হাকেম, হাদীস ৭৫২০

দুই.
ঈদের দিন ছাড়া বাকি নয় দিন রোযা রাখা।

প্রমাণ-১
যিলহজ্বের প্রথম দশক তথা নয় যিলহজ্ব পর্যন্ত রোযা রাখতে চেষ্টা করি। হাদীস শরীফে এসেছে,

‎، عَنْ هُنَيْدَةَ بْنِ خَالِدٍ، عَنِ امْرَأَتِهِ، عَنْ بَعْضِ، أَزْوَاجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَصُومُ تِسْعَ ذِي الْحِجَّةِ وَيَوْمَ عَاشُورَاءَ وَثَلاَثَةَ أَيَّامٍ مِنْ كُلِّ شَهْرٍ أَوَّلَ اثْنَيْنِ مِنَ الشَّهْرِ وَالْخَمِيسَ ‏
হুনাইদাহ ইবনু খালিদ (রহঃ) তার স্ত্রী হতে এবং তিনি নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কোন এক স্ত্রী সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যিলহাজ্জ মাসের নয় তারিখ পর্যন্ত, আশূরার দিন, প্রত্যেক মাসে তিনদিন, মাসের প্রথম সোমবার ও বৃহস্পতিবার সওম রাখতেন।
সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ২৪৩৭

প্রমাণ-২
হাফসা রা. থেকে বর্ণিত আরেকটি বর্ণনায় এসেছে, তিনি বলেন-

أَرْبَعٌ لَمْ يَكُنْ يَدَعُهُنّ النّبِيّ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ: صِيَامَ عَاشُورَاءَ، وَالْعَشْرَ، وَثَلَاثَةَ أَيّامٍ مِنْ كُلِّ شَهْرٍ، وَرَكْعَتَيْنِ قَبْلَ الْغَدَاةِ

চারটি আমল নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কখনো ছাড়তেন না। আশুরার রোযা, যিলহজ্বের প্রথম দশকের রোযা, প্রত্যেক মাসের তিন দিনের রোযা, ফজরের আগে দুই রাকাত সুন্নত নামায। সুনানে নাসায়ী, হাদীস ২৪১৫

তিন.
বিশেষভাবে নয় তারিখের রোযা রাখা

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-

صِيَامُ يَوْمِ عَرَفَةَ، أَحْتَسِبُ عَلَى اللهِ أَنْ يُكَفِّرَ السّنَةَ الّتِي قَبْلَهُ، وَالسّنَةَ الّتِي بَعْدَهُ

আরাফার দিনের (নয় যিলহজ্বের) রোযার বিষয়ে আমি আল্লাহর কাছে প্রত্যাশা করি যে, (এর দ্বারা) আগের এক বছরের এবং পরের এক বছরের গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দিবেন।
সহীহ মুসলিম, হাদীস ১১৬২

জেনে রাখা ভালো,
উক্ত হাদীসে বর্ণিত ইয়াওমে আরাফা দ্বারা যিলহজ্বের নয় তারিখ উদ্দেশ্য। এই তারিখের পারিভাষিক নাম হচ্ছে ইয়াওমে আরাফা। কেননা এই রোযা আরাফার ময়দানের আমল নয় বরং আরাফার দিন তো হাজ্বীদের জন্য রোযা না রাখাই মুস্তাহাব। আবু দাউদের বর্নাটি লক্ষ করুন,

‎ عَنْ أُمِّ الْفَضْلِ بِنْتِ الْحَارِثِ، أَنَّ نَاسًا، تَمَارَوْا عِنْدَهَا يَوْمَ عَرَفَةَ فِي صَوْمِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ بَعْضُهُمْ هُوَ صَائِمٌ ‏.‏ وَقَالَ بَعْضُهُمْ لَيْسَ بِصَائِمٍ ‏.‏ فَأَرْسَلَتْ إِلَيْهِ بِقَدَحِ لَبَنٍ وَهُوَ وَاقِفٌ عَلَى بَعِيرِهِ بِعَرَفَةَ فَشَرِبَ

আল-হারিস কন্যা উম্মুল ফাদল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আরাফাহর দিন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সওম পালন করেছেন কিনা এ নিয়ে কতিপয় লোক তার নিকট বিতর্ক করেন। তাদের কেউ বললেন, তিনি সওম রেখেছেন, আবার কতিপয় বললেন, তিনি সওম রাখেননি। সুতরাং আমি তাঁর কাছে এক পেয়ালা দুধ পাঠালাম, তখন তিনি তাঁর উষ্ট্রীর পিঠের উপর আরাফাহতে অবস্থান করছিলেন। তিনি দুধটুকু পান করলেন।
সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ২৪৪১

আরাফার দিন আল্লাহর রাসূল রোযা রাখেননি। একারণে ফকীহগণ হাজ্বীদের জন্য আরাফার দিন রোযা না রাখা উত্তম বলেছেন।

চার.
বেশি বেশি যিকির করা

আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-

مَا مِنْ أَيّامٍ أَعْظَمُ عِنْدَ اللهِ وَلَا أَحَبّ إِلَيْهِ الْعَمَلُ فِيهِنّ مِنْ هَذِهِ الْأَيّامِ الْعَشْرِ، فَأَكْثِرُوا فِيهِنّ مِنَ التّهْلِيلِ وَالتّكْبِيرِ وَالتّحْمِيدِ
আল্লাহ তাআলার নিকট আশারায়ে যিলহজ্বের আমলের চেয়ে অধিক মহৎ এবং অধিক প্রিয় অন্য কোনো দিনের আমল নেই। সুতরাং তোমরা এই দিনগুলোতে বেশি বেশি লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আল্লাহু আকবার এবং আলহামদু লিল্লাহ পড়।
মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ৫৪৪৬

পাচ.
তাকবীরে তাশরীক
যিলহজ্ব মাসের ১১, ১২ ও ১৩ তারিখকে পরিভাষায় আইয়ামে তাশরীক বলে।

কুরআনে কারীমে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন-

وَ اذْكُرُوا اللهَ فِیْۤ اَیَّامٍ مَّعْدُوْدٰتٍ
তোমরা নির্দিষ্ট দিনগুলোতে আল্লাহকে স্মরণ কর। সূরা বাকারা-২০৩

ইবনে আব্বাস রা. বলেন, এখানে اَیَّامٍ مَّعْدُوْدٰتٍ দ্বারা উদ্দেশ্য- আইয়ামে তাশরীক।
(দ্র. সহীহ বুখারী, বাবু ফাদলিল আমাল ফী আইয়ামিত তাশরীক; মারিফাতুস সুনানি ওয়াল আছার, হাদীস ১০৮৭২)

আল্লাহর বড়ত্ব ও প্রশংসা

اللهُ أَكْبَرُ اللهُ أَكْبَرُ لَا إِلَهَ إِلّا اللهُ، وَاللهُ أَكْبَرُ اللهُ أَكْبَرُ وَلِلهِ الْحَمْدُ

৯ যিলহজ্ব ফজর হতে ১৩ যিলহজ্ব আসর পর্যন্ত মোট তেইশ ওয়াক্তের নামাযের পর একবার করে তাকবীরে তাশরীক বলা ওয়াজিব। জামাতে নামায পড়া হোক বা একাকি, পুরুষ বা নারী, মুকীম বা মুসাফির সকলের উপর ওয়াজিব। এমনকি ৯ তারিখ থেকে ১৩ তারিখ আসর পর্যন্ত কোনো নামায কাযা হয়ে গেলে এবং ঐ কাযা এই দিনগুলোর ভিতরেই আদায় করলে সে কাযা নামাযের পরও তাকবীরে তাশরীক পড়বে। পুরুষগণ তাকবীর বলবে উচ্চ আওয়াজে আর নারীগণ নিম্নস্বরে।

ছয়.
কুরবানী করা।
আব্দুল্লাহ ইবনে কুরত রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-

إنّ أَعْظَمَ الْأَيّامِ عِنْدَ اللهِ يَوْمُ النّحْرِ، ثُمّ يَوْمُ الْقَرِّ
নিশ্চয় আল্লাহর কাছে সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ দিন ইয়াওমুন নাহর-দশ যিলহজ্ব। তারপর ইয়াওমুল কার-এগার যিলহজ্ব; যেদিন মানুষ মিনায় অবস্থান করে। সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ১৭৬৫

বিদায় হজ্বে ইয়াওমুন নাহরের ভাষণে নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-

أَلَا إِنّ أَحْرَمَ الْأَيّامِ يَوْمُكُمْ هَذَا
জেনে রাখো, তোমাদের এ দিন (ইয়াওমুন নাহর) সবচেয়ে সম্মানিত দিন। -সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস ৩৯৩১

সাত.
সামর্থবানগন হজ্জ করা এ মাসের শ্রেষ্ঠ আমল।
এ মাসের সবচেয়ে প্রধান আমল হল হজ্ব। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন-

وَ لِلهِ عَلَی النَّاسِ حِجُّ الْبَیْتِ مَنِ اسْتَطَاعَ اِلَیْهِ سَبِیْلًا وَ مَنْ كَفَرَ فَاِنَّ اللهَ غَنِیٌّ عَنِ الْعٰلَمِیْنَ
মানুষের মধ্যে যার সেখানে যাওয়ার সামর্থ্য আছে, আল্লাহর উদ্দেশ্যে ঐ গৃহের হজ্ব করা তার জন্য অবশ্যকর্তব্য। আর যে এই নির্দেশ পালন করতে অস্বীকার করবে তার জেনে রাখা উচিত যে, আল্লাহ দুনিয়াবাসীদের প্রতি সামান্যও মুখাপেক্ষী নন।
সূরা আলে ইমরান-৯৭

ফজীলত।
নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন

مَنْ حَجّ لِلهِ فَلَمْ يَرْفُثْ وَلَمْ يَفْسُقْ رَجَعَ كَيَوْمِ وَلَدَتْهُ أُمّهُ
যে ব্যক্তি একমাত্র অল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য হজ্ব করে এবং কোনো অশ্লীল কাজ বা গুনাহে লিপ্ত হয় না, সে সদ্যভূমিষ্ঠ শিশুর ন্যায় নিষ্পাপ হয়ে বাড়ী ফেরে। -সহীহ বুখারী, হাদীস ১৫২১

✍️M***i Arif Bin Habib H.

মরন সমস্ত স্বাদ কে বিনষ্ট করে দেয় عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللّٰهِ صلَّى اللّٰه عليه وسلَّم ‏ "‏ أَكْ...
30/05/2024

মরন সমস্ত স্বাদ কে বিনষ্ট করে দেয়
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللّٰهِ صلَّى اللّٰه عليه وسلَّم ‏ "‏ أَكْثِرُوا ذِكْرَ هَاذِمِ اللَّذَّاتِ ‏"‏ ‏.‏ يَعْنِي الْمَوْتَ
হযরত আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু তাআলা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন -
তোমরা বেশী করে স্বাদ হরণকারী বিষয় অর্থাৎ মৃত্যুর আলোচনা (স্মরণ) করবে।
(তিরমিজি শরীফ-৩০১০)

17/05/2024

صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম

07/05/2024

মোবাইলের ওজন হালকা হলেও
এর দ্বারা অর্জিত গোনাহ অনেক ভারী

03/05/2024

আলহামদুলিল্লাহ
অবশেষে মুক্ত বাতাসে ফিরে এসেছেন
প্রিয় শায়েখ মাওলানা মামুনুল হক দা.বা.
৩.৫.২০২৪ ইং
সকাল ১০ টা।

26/04/2024

বিপদে আপদে
মহান রবের উপর ভরসা করাই হলো প্রকৃত মুমিনের পরিচয়

ঈদুল ফিতরের সুন্নাত সমূহ
10/04/2024

ঈদুল ফিতরের সুন্নাত সমূহ

10/04/2024

ঈদ মোবারক 🌙
তাক্বাব্বালাল্লাহু মিন্না ও মিনকুম

05/04/2024

ব্রাদার রাহুল পালানোর পথ খুঁজছে!!!

বিতর্কের ক্ষেত্রে নিয়ম হলো যিনি পক্ষে দাবি করবেন তিনি আগে দলিল প্রমাণ পেশ করবেন
অতঃপর বিপক্ষের ব্যাক্তি তা খন্ডন করবেন

এখন পক্ষের ব্যাক্তি যদি এর উল্টো দাবি করেন অথবা দলিল প্রমাণ পেশ করতে অপারগ হোন তাহলে তার দাবি ভুয়া ও তিনি পরাজিত হিসেবে বিবেচিত হবেন।

এবার দেখুন
ব্রাদারের দাবি হলো সহীহ হাদীসের আলোকে উমর রা: ৮ রাকাত তারাবীহর আদেশ করেছেন,
এখন তিনি আগে এ ব্যাপারে দলীল উপস্থাপন করবেন তার পর বিপক্ষের ব্যাক্তি শায়েখ Ali Hasan Osama হাফি: তা খন্ডন করবেন।

এখন শেষ মুহূর্তে এসে এর উল্টো দাবি করে ব্রাদার Br. Rahul Hossain - Ruhul Amin সাহেব আসলে পলায়নের রাস্তা খুঁজছে

ব্রাদারের অবস্থা এখন
"ফান্দে পড়িয়া বগা কান্দে রে" এর মতন হয়ে গেছে 😂

বাতিল রা আসলে এরকমই প্রথমে খুব লাফালাফি করবে কিন্তু হক পন্থীরা তাদের সামনে আসলে বিড়ালের মত লেজ গুটিয়ে পালিয়ে যাবে।

25/03/2024

আধুনিক কয়েকটি মা*স*আ*লা:

এন্ডোস্কপি
এনজিওগ্রাম
ইনজেকশন ও ইনসুলিন
স্প্রে জাতীয় ওষুধ
নাইট্রোগ্লিসারিন
ভেন্টোলিন ইনহেলার

মাসআলা-১
এন্ডোস্কপি

এ পরীক্ষা করার সময় লম্বা চিকন একটি পাইপ রোগীর মুখ দিয়ে পাকস্থলীতে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়; যার মাথায় বাল্বজাতীয় একটি বস্ত্ত থাকে। নলটির অপর প্রান্ত থাকে মনিটরের সাথে। এভাবে চিকিৎসকগণ রোগীর পেটের অবস্থা নির্ণয় করে থাকেন।

যেহেতু এন্ডোস্কপিতে নল বা বাল্বের সাথে কোনো মেডিসিন লাগানো হয় না, তাই এর কারণে সাধারণ অবস্থায় রোযা ভাঙ্গার কথা নয়। কিন্তু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার থেকে জানা গেছে এবং প্রত্যক্ষভাবে দেখা গেছে যে, এন্ডোস্কপির সময় টেস্টের প্রয়োজনে চিকিৎসকগণ কখনো কখনো নলের ভেতর দিয়ে পানি ছিটিয়ে থাকেন; যা সরাসরি রোযা ভঙ্গের কারণ। সুতরাং যদি কারো ক্ষেত্রে পানি বা ওষুধ ভেতরে প্রবেশ করানো ছাড়াই টেস্টটি সম্পন্ন হয় তাহলে তার রোযার কোনো ক্ষতি হবে না। অন্যথায় রোযা নষ্ট হয়ে যাবে।

এন্ডোস্কপি করা হয় খালি পেটে, তাহলে একজন রোযাদার রোযা অবস্থায় এ টেস্টটি না করাতে পারলে কীভাবে তা করাবে? এ প্রশ্নের জবাবে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বললেন, এক্ষেত্রে রোগীর পানি পান করতে বাধা নেই। তাই রোগী ইচ্ছা করলে শুধু পানি দ্বারা ইফতার করে টেস্টটি করিয়ে নিতে পারে।

এন্ডোস্কপির মতোই মলদ্বার দিয়ে নল ঢুকিয়ে আরেকটি পরীক্ষা করা হয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রেও একই হুকুম প্রযোজ্য হবে।

মাসআলা-২
এনজিওগ্রাম

সাধারণ পদ্ধতির এনজিওগ্রামের কারণে রোযা নষ্ট হয় না।

মাসআলা-৩
ইনজেকশন ও ইনসুলিন

ইনজেকশনের কারণে রোযা ভাঙ্গে না। এমনিভাবে একজন রোযাদার ইফতারের আগেও ইনসুলিন ইনজেকশন নিতে পারে। অবশ্য যেসকল ইনজেকশন খাদ্যের কাজ দেয় জটিল ওজর ছাড়া তা নিলে রোযা মাকরূহ হবে।

মাসআলা-৪
স্প্রে জাতীয় ওষুধ

বর্তমানে এ্যারোসল জাতীয় বেশ কিছু ওষুধ দ্বারা বক্ষব্যাধি, হার্টএ্যাটাক ও অন্যান্য রোগের চিকিৎসা করানো হয়ে থাকে। গ্যাস জাতীয় এ সকল ওষুধ রোগীর মুখের ভেতর দিয়ে প্রবেশ করানো হয়। নিম্নে রমযানে এ ওষুধগুলো ব্যবহারের হুকুম বর্ণনা করা হল।

মাসআলা-৫
নাইট্রোগ্লিসারিন

এ্যারোসোল জাতীয় ওষুধটি হার্টের রোগীরা ব্যবহার করে থাকে। জিহবার নিচে ২/৩ বার ওষুধ দিয়ে মুখ বন্ধ রাখা হয়। ডাক্তারদের মতে সাথে সাথে ওই ওষুধ শিরার মাধ্যমে রক্তের সাথে মিশে যায়। এ হিসেবে এ ওষুধ ব্যবহার করলে রোযা নষ্ট হবে না। তবে রোগীর কর্তব্য হল, জিহবার নিচের ওষুধটি দেওয়ার পর সাথে সাথে তা গিলে না ফেলা।

মাসআলা-৬
ভেন্টোলিন ইনহেলার

বক্ষব্যাধির জন্য এ ওষুধ ব্যবহৃত হয়ে থাকে। রোগীদেরকে মুখের ভেতর এমনভাবে ওষুধটি স্প্রে করতে বলা হয়, যাতে তা সঙ্গে সঙ্গে ভেতরের দিকে চলে যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে খাদ্যনালী হয়ে ওষুধটি ফুসফুসে গিয়ে কাজ করে থাকে। সংশ্লিষ্ট ডাক্তারের সচিত্র ব্যাখ্যা থেকে এ কথা সুস্পষ্টভাবে বোঝা গেছে, ওষুধটি স্প্রে করার পর এর কিছু অংশ খাদ্যনালীতেও প্রবেশ করে। সুতরাং এ ধরনের ইনহেলার প্রয়োগের কারণে রোযা নষ্ট হয়ে যাবে। চিকিৎসকগণ বলেছেন যে, মারাত্মক জটিল রোগী ছাড়া অন্য সকলেরই সাহরীতে এক ডোজ ইনহেলার নেওয়ার পর পরবর্তী ডোজ ইফতার পর্যন্ত বিলম্ব করার সুযোগ রয়েছে। সুতরাং রোগীর কর্তব্য হল বিষয়টি তার চিকিৎসক থেকে বুঝে নেওয়া এবং সম্ভব হলে রোযা অবস্থায় তা ব্যবহার না করা।

অবশ্য যদি কোনো রোগীর অবস্থা এত জটিল হয় যে, ডাক্তার তাকে অবশ্যই দিনেও ওষুধটি ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে থাকেন, সেক্ষেত্রে ওই রোগীর এ সময়ে ইনহেলার ব্যবহার করার অবকাশ রয়েছে। পরবর্তী সময়ে রোযা কাযা করে নিবে।

লিখেছেন
মুফতি আবুল হাসান মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ।
মুদীর: মারকাযুদ্ দাওয়াহ আল ইসলামিয়া।

রমজানের বিশেষ ২০ আমল
13/03/2024

রমজানের বিশেষ ২০ আমল

11/03/2024

রমাদান মুবারক 🌙

27/02/2024

মওদুদি সাহেবের সমালোচনা করলে যেমন তোমাদের জ্বলে ঠিক তেমনই নবীগণ ও সাহাবায়ে কেরামের ব্যাপারে সমালোচনা করলে আমাদেরও জ্বলে।
হক্ব-বাতিল চিনতে কি আর কিছুর প্রয়োজন আছে?

25/02/2024

হে মালিক
আজকের এই মোবারক রজনীতে আমাদেরকে মাফ করে দাও 🤲
আমাদের সব হাজাত কে পূর্ণ করে দাও 🤲

১০০% সত্যি কথা
09/02/2024

১০০% সত্যি কথা

১৪ ফেব্রুয়ারির তাফসীরুল কুরআন মাহফিল সফল ও সার্থক হোক।
06/02/2024

১৪ ফেব্রুয়ারির তাফসীরুল কুরআন মাহফিল সফল ও সার্থক হোক।

একটি ইতিহাস। একটি ঐতিহাসিক ছবি!বাংলার সাহসী পুরুষ, প্রিন্সিপাল মাওলানা হাবিবুর রহমান সাহেব- রাহিমাহুল্লাহ। মাদ্রাসার জমি...
04/02/2024

একটি ইতিহাস। একটি ঐতিহাসিক ছবি!

বাংলার সাহসী পুরুষ, প্রিন্সিপাল মাওলানা হাবিবুর রহমান সাহেব- রাহিমাহুল্লাহ। মাদ্রাসার জমি সংক্রান্ত বিরোধে কুচক্রীদের মামলায় গ্রেফতার করে তাকে জেলে পাঠিয়ে দেয়া হলো। বিভিন্ন আন্দোলন করেও তাঁকে ছাড়ানো যাচ্ছেনা। কাজিরবাজার মাদ্রাসার তৎকালীন নাযিম, বিদগ্ধ আলেম হজরত মাওলানা নেযামুদ্দীন সাহেব- রাহিমাহুল্লাহ চিন্তা করলেন শক্তিশালী গন আন্দোলনের। শক্তিশালী গন আন্দোলন করতে নেতৃত্বে আনতে হবে সিলেটের লৌহ মানব, আল্লামা শাইখ আব্দুল্লাহ হরিপুরী- রাহিমাহুল্লাহকে।
একদিন ফজরের পূর্বেই এসে পৌঁছলেন হরিপুর বাজার মাদ্রাসায়। সাথে ছাত্রদের বড় একটি কাফেলা। শাইখ আব্দুল্লাহ হরিপুরী-রাহিমাহুল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ করলেন। কথা বললেন তিনি। সাথে ছাত্রদেরকেও বললেন, তোমরাও শুনাও তাঁকে দাস্তান। ছাত্ররা বললো, হুজুর! প্রিন্সিপাল সাহেব জেলে থাকলে মাদ্রাসা ওরা বন্ধ করে দেবে। আমরা পড়বো কোথায়?
শুনেই তিনি বললেন, আমি যাবো। তাঁকে জেল থেকে মুক্ত করেই ফিরবো ইনশাআল্লাহ।
খবর পাঠালেন এলাকার মুরব্বিদের কাছে। আমরা সিলেট শহরে মাওলানা হাবিবুর রহমান সাহেবকে মুক্ত করতে আন্দোলনে যাবো। আপনারা কি আমার সাথে থাকবেন? সবাই বললেন, আমরা আপনার সাথে আছি শেখ সাহেব।
তিনি মাওলানা নেযামুদ্দীন সাহেব-রাহিমাহুল্লাহকে বললেন, আজকেই বিকালে সিলেট শহরে একটি মিটিংয়ের আয়োজন করো, আমি সকলকে নিয়ে আসছি। আয়োজন হলো বৃহত মিটিংয়ের। তৎকালীন সিলেটের সবচেয়ে প্রভাবশালী আলেম, শাইখ আব্দুল্লাহ হরিপুরী-রাহিমাহুল্লাহ গেলেন হাজারো আলেম ও সাধারণ মানুষকে নিয়ে।

মহাসমাবেশে বক্তব্য দিলেন, আগামীকাল চারটার আগ পর্যন্ত যদি মাওলানা হাবিবুর রহমান সাহেবকে মুক্ত করে না দেয়া হয়, তাহলে আমরা জেলের তালা ভেঙ্গে মাওলানাকে বের করে আনবো। আমি জৈন্তা থেকে না-ছিলা বাঁশ নিয়ে আসবো। কেউ বাধা দিলে ঐ বাঁশ তার পিছনের রাস্তায় ঢুকিয়ে দেয়া হবে।
হাজারো জনতাকে বললেন, আপনারা আগামীকাল আবারো উপস্থিত হবেন।

পরদিন বিকাল পর্যন্ত প্রিন্সিপাল মাওলানা হাবিবুর রহমান সাহেবকে ছাড়া হলোনা। তিনি গর্জে উঠলেন সিলেট শহরের ঐতিহাসিক কোর্ট পয়েন্টে। ডিসিকে লক্ষ্য করে বক্তব্য দিলেন, তোর বাপের ক্ষমতা থাকলে জেলে রাখ, আমরা এখনই জেলের তালা ভেঙ্গে মাওলানাকে বের করে আনতে রওনা হচ্ছি। সবাই চলুন জেল গেটের দিকে।
সবাই বীরদর্পে এগিয়ে যাচ্ছে জেলের দিকে। তিনি সবার সামনে। সাধারণ জনতা যখন জেলের সামনে থাকা সব কিছু ভেঙে ফেলে, জেলের তালাও ভেঙ্গে ফেলতে লাগলো, তখন জেল সুপার বললেন, হুজুর, আমাদেরকে একটু সময় দিন। আমরা কাগজপত্র ঠিক করে পরে তাঁকে বের করে দিচ্ছি। তিনি বললেন, পাহাড়ে যাক তোদের কাগজপত্র, এখনই বের করে দে!

সাথে সাথেই বের হয়ে আসলেন মর্দে মুজাহিদ, প্রিন্সিপাল মাওলানা হাবিবুর রহমান সাহেব রাহিমাহুল্লাহ। শাইখ আব্দুল্লাহ হরিপুরী-রাহিমাহুল্লাহ তাঁকে রিক্সায় উঠালেন নিজের সাথে। লাখো জনতার মিছিলে এসে পৌঁছলেন কোর্ট পয়েন্টে। দোয়া করে বিদায় দিয়ে তিনি ফিরে আসলেন হরিপুরে।

প্রিন্সিপাল হাবিবুর রহমান সাহেব শাইখ আব্দুল্লাহ হরিপুরী-রাহিমাহুল্লাহর এই এহসান ভুলতে পারেননি কখনো। তিনি পরের বছর হরিপুর মাহফিলে এসে বলেছিলেন, শেখ সাহেব! হাবিবুর রহমানের শরীরের চামড়া দিয়ে আপনার জুতা বানিয়ে দিলেও আপনার ঋন শোধ হবে না।
আল্লাহ তাআলা আমাদের বড়দের দারাজাত বুলন্দ করুন।

আগামী বুধবার শাইখ আব্দুল্লাহ হরিপুরী-রাহিমাহুল্লাহ প্রতিষ্ঠিত ও তাঁর স্মৃতিবিজড়িত ঐতিহ্যবাহী হরিপুর বাজার মাদ্রাসার বার্ষিক মাহফিল। সকলের উপস্থিতি ও দোয়া কামনা করছি।

( ছবিটি ঐদিন জেল থেকে বের করে আনার সময়ের।)

মুখাতিব মিডিয়া

22/01/2024

বয়কট বিকাশ
বয়কট ব্রাক

Address

Savar

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Habibullah Al Hadi posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Habibullah Al Hadi:

Videos

Share

Nearby media companies