Mohammad Nahidul Islam

Mohammad Nahidul Islam Finding path

কার জন্য কোন স্কিল? কার জন্য না?(চরিত্র, পরিবেশ ও পরিস্থিতি অনুযায়ী)সব স্কিল সবার জন্য না। মিউট্যান্ট সুপারহিরোদের মতো আ...
07/03/2022

কার জন্য কোন স্কিল? কার জন্য না?
(চরিত্র, পরিবেশ ও পরিস্থিতি অনুযায়ী)

সব স্কিল সবার জন্য না। মিউট্যান্ট সুপারহিরোদের মতো আমাদের প্রত্যেকের পাওয়ার আলাদা। এক এক জনের আগ্রহের উপর একেক প্রতিভা প্রকাশ পায়, বিকাশ হয়।
পরিবার, অর্থনৈতিক অবস্থা, সামাজিক অবস্থা এসবের উপর ভিত্তি করে আবার আমাদের আগ্রহ উদ্যোমের তারতম্য হয়।
তবে একবার খুজে বের করে ফেলতে পারলে নিজের পছন্দের স্কিলটা, এরপর কাজ অনেক সহজ।
আমার অধিকাংশ স্টুডেন্টদের মধ্যে স্কিল খোজা নিয়ে সমস্যাটাই বেশি দেখেছি। ইনডিসিশন, সিদ্ধান্তহীনতাই বেশি দেখেছি। তাই আমার কাছে স্কিলটা খুজে পাওয়া মানে হলো ৭০ ভাগ এগিয়ে যাওয়া।
একবার যদি ডিসাইড করতে পারি যে, কক্সবাজার যাবো, না কুয়াকাটা যাবো, নাকি রাঙামাটি যাবো এরপর প্রতিটি স্টেপে একটু একটু করে কিন্তু এগিয়ে যাবো। বাধা যত থাকুক, বাস বন্ধ থাকুক আর লঞ্চ বন্ধ থাকুক চেষ্টা করলে পৌছাতে পারবোই ইনশা আল্লাহ।

এমনকি যদি গাড়ি পিছন থেকে ধাক্কাও দেয়, তাও খানিকটা এগিয়ে যাওয়া হবে সামনের দিকে।
তাই আজকে আমরা চরিত্র, পরিবেশ অনুযায়ী স্কিল কোন সহজ কোনটা কঠিন হবে বুঝে দেখি।

বি:দ্র: যাদের আগে থেকে কোন স্কিল চয়েজ আছে, ভিতর থেকে কোন স্কিলের প্রতি ভালবাসা আছে, কাজ করার প্রচন্ড পিপাসা আছে... আয় হোক বা না হোক ঐ কাজ তাকে করতেই হবে... এমন টান আছে তারা এই পোস্ট এড়িয়ে যেতে পারেন। যেটা পছন্দ হয়েছে মাশাআল্লাহ, সেটাই শুরু করে দিন।
/// স্থির গম্ভীর মানুষের জন্য ভালো:
১. যে স্কিলের জন্য বেশি বেশি পড়তে হয়:
যেমন। কন্টেন্ট রাইটিং, কপি রাইটিং, গল্প-সাহিত্য, সম্পাদনা, প্রুফ রিডিং, ট্রান্সলেশন, রিপোর্ট রাইটিং,
২. যে স্কিল নিয়ে খুব বেশি ভাবার সুযোগ আছে:
কনসাল্টিং, ইউ আই ডিজাইন, ইউএক্স ডিজাইন, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, সফটওয়্যার-অ্যাপ-ওয়েব-গেমস ডেভেলমেন্ট, অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিস ডেভেলপমেন্ট, ডাটা অ্যানালাইসিস, ব্লক চেইন-ক্রিপ্টোকারেন্সি প্রোগ্রামিং, এসইও প্ল্যানিং, সিকিউরিটি- ইথিক্যাল হ্যাকিং, ইউজার টেস্টিং ইত্যাদি
৩. যে কাজে মূলত স্লো হতে হয়: উপরের কিছু এবং অ্যাকাউন্টিং এন্ড বুক কিপিং,
/// স্থির গম্ভীর মানুষের জন্য চ্যালেঞ্জিং:
১. যেখানে হাতের দক্ষতা ম্যাটার করে:
যেমন: গ্রাফিক ডিজাইন, ডিজিটাল আর্ট, ইলাস্ট্রেশন,
২. যেখানে খুব বেশি বাইরে ঘোরাঘুরি, মেলামেশার দরকার পড়ে। ডিজিটাল মার্কেটিং, সেলস, নিউজ কালেকশন,
৩. যেখানে খুব বেশি কথা বলার দরকার পড়ে। সেলস, ম্যানেজিং, প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট, সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার,
৪. শিক্ষা। যদিও মানুষ মনে করে উল্টো, কিন্তু ডিপ লেভেল চিন্তাশীলদের জন্য মূলত শিক্ষা দেওয়াটা খুব কঠিন।
৫. অল্প ডেডলাইন, তাড়াতাড়ি কাজ জমা দিতে হবে: সেলস, ভার্চুয়াল অ্যাসিস্টেন্ট, এসইও, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, সার্ভে
/// চটপটে মানুষের জন্য ভালো:
যেগুলো গম্ভীর স্লো চিন্তাশীল মানুষদের জন্য চ্যালেঞ্জিং।
/// চটপটে মানুষের জন্য চ্যালেঞ্জিং:
যেগুলো গম্ভীর স্লো চিন্তাশীল মানুষদের জন্য চ্যালেঞ্জিং।
/// চটপটে কিন্তু ভাবতেও পারে বেশ তাদের জন্য ভালো:
ইউ আই ডিজাইন, ইউএক্স ডিজাইন, গেমস ডেভেলমেন্ট, অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিস ডেভেলপমেন্ট, ব্লক চেইন-ক্রিপ্টোকারেন্সি প্রোগ্রামিং, এসইও,
ভিডিওগ্রাফি, ফটোগ্রাফি, নেটওয়ার্কিং, সিকিউরিটি- ইথিক্যাল হ্যাকিং,
ম্যানেজিং, প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট,
/// চিন্তাশীল কিন্তু মিশতেও পারে বেশ মানুষের সাথে তাদের জন্য ভালো:
টিচিং, ট্রেনিং, মেন্টরিং, ক্যারিয়ার কোচিং,
ডিজিটাল মার্কেটিং,ব্রান্ড ডিজাইন (মূলত লোগো ইত্যাদি)ভিডিও এডিটিং, ফটো এডিটিং, প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট,
/// চটপটে ইন্ট্রোভার্টের জন্য:
ভালো হয় আর্ট ও ডিজাইনের নিখুঁত কাজগুলো।
যে কাজগুলোতে মেলামেশার দরকার হয় না। আবার খুব বেশি ভাবতেও হয় না। ক্লায়েন্টের মাতব্বরী না গুণলেও চলে। শুধু সুন্দর করে করে যেতে হয়। সাজিয়ে যেতে হয়।
/// চিন্তাশীল এক্সট্রোভার্টের জন্য:
ভালো হয় শিক্ষকতা জাতীয় কাজে। যে কাজে বেশি সময় পাওয়া যাবে, ডেডলাইন নিয়ে চিন্তা করতে হবে না।
ভিতর থেকে টান না থাকলে আর্ট ও ডিজাইন এড়িয়ে চললে ভালো হয়।
যে কাজগুলোতে মেলামেশার দরকার হয়। আবার ভাবাভাবির দরকার আছে।
//// পারিবারিক আর্থিক কেমন থাকলে কোন কোন স্কিলগুলো শেখা শুরু করলে সুবিধা আছে?
ধনী, মধ্যবিত্ত, নিম্মমধ্যবিত্ত, গরীব এই ব্যাখ্যা এখন দিতে গেলে ঝামেলা। পিচ্চি কালে অর্থনীতি সাবজেক্টটা আমার খুব একটা পছন্দের ছিলো না।তাই নিয়ে আয় অনুযায়ী একটা চার্ট দিলাম। এটা হলো বাসার সদস্যদের গড় আয়। বাসার মোট আয়কে পরিবারের সদস্য দিয়ে ভাগ করলে যেটা হবে সেটা গড় আয়।
/// গড় আয় মাসে আয় ২০ হাজার থেকে কম:
--- কোন ভাবেই স্কিল শেখা শুরু করবো না। আগে পছন্দের স্কিল ক্যাটাগরীর কোন বিজনেসের অধিনে চাকরি নিবো।
/// গড় আয় মাসে আয় ২৫ - ৪০ হাজার:
--- লেখালেখি জাতীয় কাজ, এডিটিং, ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপমেন্ট, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, ডিজিটাল মার্কেটিং, ভার্চুয়াল অ্যাসিস্টেন্ট, ফাইন্যান্স- এক্সেল হিসাবনিকাশ ইত্যাদি।
/// গড় আয় মাসে আয় ৪৫ - ৮০ হাজার:
--- গ্রাফিক ডিজাইন, ইলাস্ট্রেশন সংক্রান্ত যা আছে, এডিটিং, বেসিক সাধারণ অ্যাপ ও ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ডাটা এনালাইসিস, প্রোডাক্ট ম্যানেজমেন্ট ইত্যাদি।
/// গড় আয় মাসে আয় ১ লক্ষ থেকে বেশি:
--- ভিডিও এডিটিং, ভিডিও গ্রাফি, ভিডিও মার্কেটিং, ভিডিও প্রোডাকশন,
সফটওয়্যার-ওয়েব-অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, গেমস ডেভেলপমেন্ট,
ইনভেস্টিং, ব্লক চেইন,ভিআর স্কিলস,
ডাটা সায়েন্স, মেশিন লার্নিং, অটোমেশন ইত্যাদি।
যদি গরীবদের পছন্দ হয়ে যায় ধনীদের স্কিল সেট? তারা কি শুরু করলে পারবে না?
--- যদি পছন্দ হয়ে যায়, অবশ্যই পারবে। এক্সট্রা গুরুত্ব দিতে হবে। আলাদা কেয়ার, বাড়তি যত্ন নিতে হবে।
(পছন্দ হয়ে গেলে ভালবাসা হয়ে গেলে তো কথাই নাই। আমার এই পুরো পোস্ট ইতোমধ্যে যারা স্কিলের প্রেমে পড়ে গেছে তাদের জন্য না)
/// মানুষের খারাপ ব্যবহারে ধৈর্য খুব বেশি:
-- যেকোন স্কিল এদের জন্য ভালো। তবে বেশি ভালো হয় ডিজাইন, মার্কেটিং, টিচিং, কোচিং, কনসাল্টিং, ম্যানেজিং ইত্যাদি।
/// মানুষের খারাপ ব্যবহারে ধৈর্য খুব কম:
-- গ্রাফিক ডিজাইন ভুলেও না।
আঁকাআঁকি ভালো লাগলে ডিজিটাল আর্ট করা যেতে পারে। গ্রাফিক ডিজাইন না। নেভার।
ইউআই, ইউএক্স ডিজাইন একদমই না।
অ্যাপ বা সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টে যাওয়া যেতে পারে।
এক্সেলের কাজ, ভিডিও এডিটিং, ফটোএডিটিং, গেমস ডেভেলপমেন্ট, ইনভেস্টিং এড়িয়ে গেলে ভালো হয়।
/// ভালো কম্পিউটার যাদের আছে বা নাই তাদের করনীয় কি সেটাও নিশ্চয়ই বোঝা হয়ে গেছে আমাদের।
/// বড় ফ্যামিলি, ছোট ফ্যামিলি:
এটাও অনেক ম্যাটার করে। কিন্তু লিখতে বসে দেখলাম প্রচুর ব্যাখ্যা লাগছে। তার থেকে শর্টকাটে যাই।
/// যার আলাদা রুম আছে:
সব কাজই করতে পারবে। বিশেষ করে ডেভেলপমেন্ট জাতীয় কাজ করা খুব সহজ। তবে যার অল্পতে মনোযোগ ছুটে যায় তাদেরকে কিছুক্ষণ পর পর গাইডেন্স দেয়ার জন্য স্বজনদের বলে রাখা দরকার।
/// আলাদা রুম নাই:
ভুলেও প্রোগ্রামিং- ডেভেলপমেন্ট জাতীয় কাজ শুরু করা উচিত হবে না। খবরদার! আগে চাকরী নিতে হবে, নতুন বাসা নিতে হবে, তারপর।
ভার্চুয়াল অ্যাসিস্টেন্ট হতে গেলেও জ্বালা আছে।
লেখালেখি, বিশেষ করে সম্পাদনার কাজ ভালো করা যাবে। গ্রাফিক ডিজাইনও করা যাবে হয়তো।
কিন্তু ভিডিও এডিটিং এর কাজ শেখা শুরু না করাই ভালো।
/// এক কাজ বার বার করতে পছন্দ করে:
লেখালেখি, ডিজাইন সংশ্লিষ্ট কাজে খুব ভালো করবে। সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টেও খুব ভালো করবে।
/// প্রতিটি কাজ খুব সময় নিয়ে কাজ করে, কিন্তু আর দ্বিতীয়বার করতে চায় না:
ডিজিটাল আর্ট, গল্প কবিতা, কন্সালটিং, পাবলিক স্পিকিং, ফটোগ্রাফি, ভিডিওগ্রাফি এই জাতীয় কাজে তুলনামূলক ভালো করবে। কপিরাইটিং, গ্রাফিক ডিজাইন আর সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট জাতীয় কাজ এড়িয়ে চললে খুব ভালো হয়।
দিন শেষে আপনার ইচ্ছা আর আগ্রহটাই হলো মূল ব্যাপার।
গরমের দিন এসে পড়েছে। প্রচুর পানি খেতে হবে। এবং ফ্যান থেকে খুব সাবধান! বিশেষ করে ঘুমের সময়।
ফ্যানের বেড সুইচ বিছানার কাছে রাখলে অসুখের স্বম্ভাবনা অনেক কমে যায়।

ডিজিটাল মার্কেটিং কি? – What’s Digital Marketing?ইন্টারনেট বা যেকোনো ধরণের ডিজিটাল যোগাযোগ এর মাধ্যম ব্যবহার করে কোনো প্...
21/02/2022

ডিজিটাল মার্কেটিং কি? – What’s Digital Marketing?

ইন্টারনেট বা যেকোনো ধরণের ডিজিটাল যোগাযোগ এর মাধ্যম ব্যবহার করে কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্র্যান্ডের প্রচার চালানোকে বলা হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং বা অনলাইন মার্কেটিং। ডিজিটাল মার্কেটিং এর মধ্যে ইমেইল, সোশ্যাল মিডিয়া, ওয়েব-ভিত্তিক বিজ্ঞাপন এর পাশাপাশি এসএমএস, অডিও মার্কেটিং চ্যানেল, ইত্যাদিও অন্তর্ভুক্ত। অর্থাৎ যে মার্কেটিং ক্যাম্পেইনে ডিজিটাল যোগাযোগ অন্তর্ভুক্ত, সেটিই হলো ডিজিটাল মার্কেটিং।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর সুবিধা:
খুব সহজে বিশাল অডিয়েন্সের কাছে পোঁছানো যায় বলে ডিজিটাল মার্কেটিং অনেক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। এছাড়াও ডিজিটাল মার্কেটিং এর আরো অনেক সুবিধা বিদ্যমান, চলুন জেনে নেওয়া যাক ডিজিটাল মার্কেটিং এর উল্লেখযোগ্য সুবিধাসমূহ সম্পর্কে।

বিশ্বব্যাপী রিচ:
কোনো বিজ্ঞাপন যখন গ্লোবালি টার্গেট করে অনলাইনে পোস্ট করা হয়, তখন বিশ্বের সকল প্রান্তের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীগণ উক্ত বিজ্ঞাপন দেখতে পাবেন। কোনো ব্যবসাকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে এই বিষয়টি খুব গুরুত্বপূর্ণ।

খরচ সাশ্রয়:
ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে বিস্তৃত অডিয়েন্সের কাছে পৌঁছে যাওয়া যায় অনেক কম খরচে। কোনো টিভি বা পেপারে এড দিলে যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় হয়, সেই তুলনায় কম অর্থ খরচ করে একই বিজ্ঞাপন বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়া যায় ডিজিটাল মার্কেটিং ব্যবহার করে। তবে সময়ের সাথে সাথে চাহিদা বাড়ায় ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের খরচও বাড়ছে।

নির্ভরযোগ্য ফলাফল:
ডিজিটাল মার্কেটিং এর সবচেয়ে বড় একটি সুবিধা হলো এর থেকে প্রাপ্ত ফলাফল ব্যবহার করে পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করা যায়। নন-ডিজিটাল মাধ্যমে এই ফলাফল পরিমাপ করে বুঝেশুনে আগানোর কোনো উপায় নেই। অনেকটা অনুমানের উপর থেকে যায় ট্রেডিশনাল মার্কেটিং এর ফলাফল।

ডিজিটাল মার্কেটিং ব্যবহার করে কাস্টমারের পছন্দ, বিহেভিয়র, এক্টিভিটি, ইত্যাদি জানা যায় বেশ সহজে। আবার এই ডাটা পরবর্তী ক্যাম্পেইনে ব্যবহার করে কনভার্সন রেট বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। অর্থাৎ ডিজিটাল মার্কেটিং থেকে প্রাপ্ত ডাটা বেশ নির্ভরযোগ্য ও কাজে লাগানো সম্ভব।

পারসোনালাইজেশন:
ডিজিটাল মার্কেটিং এর সবচেয়ে সেরা বিষয় হতে হবে পারসোনালাইজেশন এর সুবিধা। ডিজিটাল মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে টার্গেটেড অডিয়েন্সের কাছে পৌঁছে যাওয়া যায় তুলনামূলক সহজে। অর্থাৎ আপনার প্রোডাক্টের পোটেনশিয়াল কাস্টমারের কাছে সহজে পোঁছে যেতে পারবেন ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে। সকল গুরুত্বপূর্ণ ডাটা আপনার হাতের নাগালে থাকায় স্বল্প খরচে টার্গেটেড অডিয়েন্স এর কাছে পোঁছানো যায় ডিজিটাল মার্কেটিং এর সাহায্যে।

কাস্টমারের সাথে যোগাযোগ:
ডিজিটাল মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে কাস্টমারের সাথে সরাসরি যোগাযোগের সুযোগ রয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া ক্যাম্পেইনের ক্ষেত্রে অডিয়েন্স এর লাইক, কমেন্ট, শেয়ার, ইত্যাদি বিবেচনা করে অডিয়েন্স আপনার প্রোডাক্টকে ব্যক্তিগতভাবে কিভাবে গ্রহণ করেছে, তা জানতে পারবেন। এভাবে কাস্টমারের সংযুক্ততা আপনার ব্র্যান্ডের ইমেজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল মার্কেটিং পদ্ধতি ও সেগুলো থেকে আয়:
ডিজিটাল মার্কেটিং অনেক ধরণের হয়ে থাকে। এবার আমরা জানবো ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রধান কিছু ধরন সম্পর্কে যার থেকে আয় করা সম্ভব।

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন:
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা এসইও হলো একটি মার্কেটিং টুল যা একবার ঠিকমত সেটাপ করলে নিজ থেকেই ফলাফল প্রদান করে। মূলত ওয়েবসাইটের কনটেন্ট সার্চ ইঞ্জিনের জন্য অপটিমাইজ করাকে এসইও বলা হচ্ছে।

একটি ব্র্যান্ডের ইন্টারনেট এক্সপোজার নির্ভর করে উক্ত ব্র্যাডের এসইও প্রেজেন্স এর উপর। ব্র্যান্ডের ওয়েবসাইটে থাকা কনটেন্ট এর কোয়ালিটি, ইউজার এনগেজমেন্টম, মোবাইল-ফ্রেন্ডলিনেস, লিংকিং, ইত্যাদি বিষয়ের উপর এসইও নির্ভর করে।
ইন্টারনেট এর সেরা সার্চ ইঞ্জিনসমূহ, যেমনঃ গুগল এর ফ্রন্টে পেজে অবস্থান করার মাধ্যম হলো এসইও। আর এই অসাধারণ টুল এর যথেষ্ট ব্যবহারের কার্যকরীতা নিশ্চিত করতে কোম্পানিগুলো এসইও এক্সপার্ট হায়ার করছে।

কনটেন্ট মার্কেটিং:
কনটেন্ট মার্কেটিং ও এসইও, এই দুইটি একই সাথে সংযুক্ত। মূলত টার্গেট অডিয়েন্সকে প্রাসঙ্গিক ও মূল্যবান রিসোর্স প্রদান করে মার্কেটিংকে ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভাষায় কনটেন্ট মার্কেটিং বলা হয়। তবে কনটেন্ট মার্কেটিং সরাসরি বিজ্ঞাপনের কাজ করেনা। বরং কাস্টমারকে বিভিন্ন তথ্য প্রদান করে নিজের প্রোডাক্টের দিকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করা হয় কনটেন্ট মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে।

কনটেন্ট মার্কেটিং এর প্রধান উদ্দেশ্য থাকে টার্গেট অডিয়েন্সকে প্রয়োজনীয় রিসোর্স প্রদান করা, যা পোটেনশিয়াল কাস্টমার তৈরিতে কাজে আসতে পারে। ব্লগ, ইউটিউব ভিডিও, ইত্যাদি হলো কনটেন্ট মার্কেটিং এর অংশ। অনলাইনে আয়ের ক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সারগণ কনটেন্ট মার্কেটিং এর কাজ করতে পারেন।

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং:
সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিং এর বিষয়টি বর্তমানে বহুল জনপ্রিয়। এই ক্ষেত্রে সুবিধা হলো কাস্টমারের এনগেজমেন্ট ও ডিসকাশন কাজে লাগিয়ে মার্কেটিং সম্ভব হয়। যেহেতু সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে সরাসরি অডিয়েন্স সংযুক্ত থাকে, তাই এটি বর্তমানে অন্যান্য ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যম থেকে অধিক কার্যকর বলে বিবেচনা করা হয়।

যারা সোশ্যাল মিডিয়া সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান রাখেন, তাদের আয়ের একটি অসাধারণ উৎস হতে পারে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং। ধরুন আপনি যদি ফেসবুক বা ইন্সটাগ্রাম এড এক্সপার্ট হয়ে থাকেন, সেক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে একাধিক মাধ্যমে উক্ত সেবা প্রদান করে মোটা অংকের আয় করতে পারেন। এছাড়াও সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট এর মাধ্যমেও আয় সম্ভব, যার চেয়ে সহজে ফ্রিল্যান্সিং করে আয়ের কোনো উৎস নেই বললেই চলে।

পে-পার-ক্লিক মার্কেটিং:
পে-পার-ক্লিক বা পিপিসি হলো কোনো প্ল্যাটফর্মে বিজ্ঞাপন পোস্ট করা ও প্রতি ক্লিকের বিনিময়ে অর্থ প্রদান করা। এই মার্কেটিং এর ক্ষেত্রটি কিছুটা জটিল হলেও ব্রান্ডের কাছে বেশ আকর্ষণীয় ডিজিটাল মার্কেটিং এর এই ধরন।

প্রতি পিপিসি ক্যাম্পেইন থেকে টার্গেট অডিয়েন্স পাওয়ার পাশাপাশি উচ্চ কনভার্সন রেট ও বিদ্যমান থাকে, যা ব্র্যান্ডের কাছে বেশ লাভজনক। আপনি যদি পিপিসি মার্কেটিং সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান রাখেন, তবে বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্মে উক্ত সেবা প্রদান করে আয় করতে পারেন।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং:
ডিজিটাল মার্কেটিং এর সেরা একটি মাধ্যম হলো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। এই মাধ্যমের ভালো বিষয় হলো ব্রান্ড ও প্রোমোটার উভয়েই এর থেকে লাভবান হয়। মূলত একটি নির্দিষ্ট অংকের কমিশনের বিনিময়ে কোনো ব্যক্তিকে প্রোমোশনের কাজ দেওয়াকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বলা হয়। অধিকাংশ ব্র্যান্ড বর্তমানে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর কাজ করে থাকে।

যেকেউ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে আয় করতে পারে। আর অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে ক্রমাগত কাজ করার প্রয়োজন পড়েনা, যা একটি ভালো বিষয়। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় সম্পর্কে বাংলাটেক এর পোস্টসমূহ ঘুরে আসতে পারেন বিস্তারিত জানতে।

মার্কেটিং অটোমেশন:
ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যাম্পেইনের কার্যকরীতা বাড়াতে ও অডিয়েন্সের সাথে যোগাযোগ স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতির মধ্যে নিয়ে আসতে সফটওয়্যারের ব্যবহারকে মার্কেটিং অটোমেশন বলা হচ্ছে। কনজ্যুমার সম্পর্কে যথেষ্ট তথ্য সংগ্রহ করে টার্গেট অডিয়েন্সের জন্য মার্কেটিং ক্যাম্পেইন চালানো হয় ডিজিটাল মার্কেটিং এর এই মাধ্যমে।

এছাড়াও অডিয়েন্সকে কাস্টম মেসেজ পাঠানোর মত অসাধারণ টুলস ও অন্তর্ভুক্ত মার্কেটিং অটোমেশনের ক্ষেত্রে। মার্কেটিং অটোমেশন শিখে বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে এ সংক্রান্ত কাজ করতে পারেন।

ইমেইল মার্কেটিং:
ডিজিটাল মার্কেটিং এর বেশ পুরোনো একটি মাধ্যম হলো ইমেইল মার্কেটিং। মূলত ইমেইল এর মাধ্যমে প্রোমোশনাল মেসেজ পাঠানোকে বলা হচ্ছে ইমেইল মার্কেটিং। ইমেইল মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে প্রথমে পোটেনশিয়াল অডিয়েন্সের ইমেইল সংগ্রহ করা হয়। এরপর উক্ত ইমেইলসমূকে কাজে লাগিয়ে প্রোমোশন চালানো হয়। মার্কেটিং অটোমেশনের মত অন্যন্য টুলস ও ব্যবহার হয় ইমেইল মার্কেটিং এর কাজ সহজ করতে।

বর্তমানে যেকোনো ব্যবসার মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে প্রধান ফোকাস হওয়া উচিত ডিজিটাল মার্কেটিং। কাস্টমারের সাথে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করে হাতের কাছে থাকা ডাটা ব্যবহার করে মার্কেটিং এর এই অসাধারণ মেথড আগে ছিলোনা। তাই সকল ব্যবসার উচিত এই ডিজিটাল মার্কেটিং এর আশীর্বাদকে বরণ করে নেওয়া। আর যারা উল্লেখিত ডিজিটাল মার্কেটিং এর বিভিন্ন স্কিলে দক্ষতা রাখেন, তাদের উচিত এসব মাধ্যমে থেকে আয়ের কাজে নেমে পড়া।

12/02/2022

The right person is not changing us. We change for us, to be the right person too.
It's difficult to keep a relationship, but it is more difficult to keep ourselves from changing just because change scares us.

We're teaching ourselves that life is not all about ecstasy and creating happy memories. It is also about grief, sadness, pain, anxiety, and all the worse in between.

Being seriously, madly in love with someone terrifies us, to the point we back out for a moment before we surrender ourselves entirely, because we know there's no turning back.
To begin the change, the most vital part is not to settle for less but to learn how to love the person you think might be the right one for you everyday even when they are unlovable and not just loving them when it is convenient.

———————

ডিজিটাল মার্কেটিং-এর সেক্টর কতটি এবং কী কী?ডিজিটাল মার্কেটিং অনেক বড় সেক্টর, একটি একটি করে বলতে গেলে অনেক সময়ের প্রয়োজন,...
10/02/2022

ডিজিটাল মার্কেটিং-এর সেক্টর কতটি এবং কী কী?
ডিজিটাল মার্কেটিং অনেক বড় সেক্টর, একটি একটি করে বলতে গেলে অনেক সময়ের প্রয়োজন, এখানে গুরুত্বপুর্ণ কিছু মাধ্যম শেয়ার করলাম।

এক নজরে Digital Marketing এর সেরা ৮ টি মাধ্যম

Search engine optimization (SEO)
Search Engine Marketing (SEM)
Content marketing
Social Media Marketing(SMM)
Digital Display Marketing
Mobile Marketing
Email Marketing
Affiliate Marketing

বাংলাঃ
অনেক ভাগ রয়েছে ডিজিটাল মার্কেটিং এর যেমন ইমেল মার্কেটিং, এফিলিয়েট মার্কেটিং, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন,কন্টেন্ট মার্কেটিং,
ডিজিটাল ডিসপ্লে মার্কেটিং,সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং

অনেক গুলো সেক্টর আছে। তবে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে SEO. SEO হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং এর বট বৃক্ষ। তাই আপনাকে SEO এ ভালো মানের স্কিল শিখতে হবে।

 #ফেসবুক_মার্কেটিং_করে_আয়।✍️ফেসবুক  মার্কেটিং ২ ভাবে  করা যায়। একটা হচ্ছে পেইড মার্কেটিং আরেকটা হচ্ছে অর্গানিক মার্কেটিং...
09/02/2022

#ফেসবুক_মার্কেটিং_করে_আয়।

✍️ফেসবুক মার্কেটিং ২ ভাবে করা যায়। একটা হচ্ছে পেইড মার্কেটিং আরেকটা হচ্ছে অর্গানিক মার্কেটিং।
👉আজকে জানবো পেইড মার্কেটিং নিয়ে। পেইড মার্কেটিং হল ফেসবুককে টাকা পেমেন্ট করে মার্কেটিং করা।আমরা এই পেইড মার্কেটিং আবার দুইভাবে করতে পারি।প্রথমত বুস্ট আর প্রমোট করার মধ্য দিয়ে দ্বিতীয়ত ফেসবুক এডসম্যানেজার থেকে এড ক্যাম্পেইন করে।এক্ষেত্রে আমরা সবসময় এডসম্যানেজার থেকে এড ক্যাম্পেইন করে মার্কেটিং করার চেষ্টা করব।
👇এ কাজগুলোর মাধ্যমে আপনিও ঘরে বসে আয় করতে পারেন।আর এ কাজগুলো হল ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটা সেক্টর ।এ ধরনের আরও কতগুলো সেক্টর রয়েছে যেমনঃ SEO,Lead Generation, Instagram Marketing, Content Marketing ইত্যাদি।
For more inbox me!

🥴
29/06/2020

🥴

Address

Dhaka
1341

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Mohammad Nahidul Islam posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Nearby media companies


Other Digital creator in Dhaka

Show All