24/09/2022
জীবন ও মৃত্যু মানবজীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। একটি পার্থিব হলেও অপরটি পরলৌকিক ও অনিবার্য। মৃত্যুর আগে মানুষ যেসব আমল করবে, আখেরাতে আল্লাহ তাআলা সেগুলোর প্রতিদান দেবেন।
আল্লাহ তাআলা জীবন ও মৃত্যু- এ দুইটি অমোঘ-বাস্তবতা সৃষ্টি করেছেন কে কত ভাল আমল করতে পারে, তা পরীক্ষা করার জন্য। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, যিনি মৃত্যু ও জীবন সৃষ্টি করেছেন, যাতে তিনি তোমাদেরকে পরীক্ষা করতে পারেন যে, তোমাদের মধ্যে আমলের দিক থেকে কে সর্বাধিক উত্তম।
আর তিনি মহাপরাক্রমশালী ও অতিশয় ক্ষমাশীল। (সুরা আল-মুলক, আয়াত : ০২)
নিয়ত সঠিক-শুদ্ধ থাকলে মৃত্যুর পরও যেসব আমলের সাওয়াব পাওয়া যাবে, হাদিসের আলোকে সেগুলোর সংক্ষিপ্ত একটি তালিকা দেওয়া হলো।
ইলম শিক্ষা দেয়া
রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে মানুষকে ইলম শিক্ষা দিলো, এ ইলম অনুযায়ী আমলকারীর সমপরিমাণ সওয়াব তার আমলনামায়ও যুক্ত হতে থাকবে। অথচ তাদের কারো সওয়াবে কোনো কমতি হবে না।
’ (ইবনু মাজাহ, হাদিস নং : ২৪০)
সৎ সন্তান রেখে যাওয়া
রাসুল (সা.) বলেন, ‘মানুষ মৃত্যুবরণ করার পর ৪ টি আমলের সাওয়াব অব্যাহত থাকে : ১. যে ইসলামী রাষ্ট্রের সীমান্ত পাহারা দিল তার সাওয়াব, ২. ভাল কাজ চালু করার ফলে তাকে যারা অনুসরণ করল তার সাওয়াব, ৩. যে ব্যক্তি এমন সাদাকাহ করলো, যা প্রবাহমান থাকে তার সাওয়াব, ও ৪. এমন নেক সন্তান রেখে যাওয়া- যে তার জন্য দোয়া করে। ’ (মুসনাদ আহমাদ, হাদিস নং : ২২২৪৭)
মাসজিদ তৈরি করা
মাসজিদে নামাজ আদায়ের পাশাপাশি কুরআন শিক্ষা কার্যক্রম, দ্বীনি বিষয়ক শিক্ষা দান ও কল্যাণমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়ে থাকে। রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর জন্য মাসজিদ তৈরি করল, আল্লাহ তার জন্য জান্নাতে ঘর তৈরি করবেন। ’ (মুসলিম, হাদিস নং : ১২১৮)
কোরআন বিতরণ করা
কোনো ব্যক্তি যদি মসজিদ, মাদরাসা বা কোনো প্রতিষ্ঠানে পবিত্র কোরআন বিতরণ করে তাহলে সেগুলোর সাওয়াবের অংশ সেও পাবে। রাসুল (সা.) বলেন, ‘মানুষ মৃত্যুবরণ করার পর কবরে ৭টি আমলের সাওয়াব অব্যাহত থাকে : ১. যে ইলম শিক্ষা দিল, ২. যে পানি প্রবাহিত করল, ৩. কুপ খনন করল, ৪. খেজুর গাছ লাগালো (গাছ রোপন), ৫. মাসজিদ তৈরি করল, ৬. কারো দায়িত্বে কিতাব দিয়ে গেল ও ৭. এমন নেক সন্তান রেখে গেল- যে তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করবে। ’ (মুসনাদুল বাজ্জার :৭২৮৯)
গাছ রোপন করা
হাদিসে আছে, ‘কোন মুসলিম যদি কোন বৃক্ষরোপন করে, আর তা থেকে কোন ফল কেউ খায় তবে সেট