Digital Marketing with sohel

Digital Marketing with sohel Facebook marketing,

24/04/2024
24/04/2024

সফল মানুষের ব্যর্থতার গল্প:।

প্রতিটি সফল মানুষের ব্যর্থতার গল্প আছে।
একবারে কেউ সফল হননি। সফল উদ্যোক্তা ।
রাজনীতিবিদ, শিল্পী, লেখক, বিজ্ঞানী – যার কথাই বলা যাক, সবাইকেই ব্যর্থতার কঠিন পথ পাড়ি দিয়ে অবশেষে সফল হতে হয়েছে। আবার এই সাফল্য পাওয়ার পরও অনেকে আবার ব্যর্থ হয়েছেন। আবারও তাঁরা উঠে দাঁড়িয়েছেন, এবং আবার সফল হয়েছেন।

এইসব সফল মানুষের সবার মধ্যেই একটা আশ্চর্য মানসিক শক্তি আর আত্মবিশ্বাস আছে। যত বড় ব্যর্থতার মুখেই তাঁরা পড়েন না কেন – কখনওই কাজ করা বন্ধ করেন না। কখনওই তাঁরা বিশ্বাস হারান না। তাঁদের এইসব ব্যর্থতার গল্প থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। প্রতিটি গল্প থেকেই অনুপ্রেরণা নেয়ার মত কিছু না কিছু আছে।

আপনি যে ধরনের বিপদ বা খারাপ পরিস্থিতিতেই পড়েন না কেন, এইসব অসাধারণ সফল মানুষদের ব্যর্থতার গল্প এবং ব্যর্থতাকে জয় করার গল্প যদি মাথায় রাখেন – তবে কোনও অবস্থাতেই সাহস আর বিশ্বাস হারাবেন না। কোনও বড় লক্ষ্যকেই আর অসম্ভব মনে হবে না। যে কোনও ব্যর্থতা থেকেই আপনি আবার ঘুরে দাঁড়ানোর অনুপ্রেরণা পাবেন। চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক পৃথিবীর সেরা সফল ১১ জন মানুষের ব্যর্থতার কাহিনী।

পৃথিবীর সেরা ১১ জন সফল মানুষের ব্যর্থতার গল্প

০১. আব্রাহাম লিংকন
১৮০৯ সালে জন্ম নেয়া এই মানুষটি আমেরিকার ১৬তম প্রেসিডেন্ট। আমেরিকার সর্বকালের সেরা প্রেসিডেন্ট হিসেবে ধরা হয় তাঁকে। আমেরিকায় দাসদের স্বাধীনতা লাভের পেছনে তাঁর অবদানই সবচেয়ে বেশি। রাজনীতি ও খ্যাতির দিক দিয়ে তিনি নি:সন্দেহে পৃথিবীর ইতিহাসের সফলতম মানুষদের একজন। কিন্তু তাঁর শুরুটা কিন্তু ব্যর্থতার গল্প দিয়েই।

২৩ বছর বয়সে তাঁর চাকরি চলে যায়। সেই সময়ে তিনি তাঁর প্রথম নির্বাচনেও হারেন। ২৯ বছর বয়সে হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভ এর সদস্য হওয়ার জন্য নির্বাচন করে হারেন।

১৮৪৮ সালে, ৩৯ বছর বয়সী লিংকন ওয়াশিংটনের জেনারেল ল্যান্ড অফিসের কমিশনার হওয়ার জন্য নির্বাচন করে পরাজিত হন। ৪৯ বছর বয়সে সিনেটর হওয়ার জন্য নির্বাচনে দাঁড়িয়ে শোচনীয় ভাবে পরাজিত হন। এত ব্যর্থতার পরও তিনি রাজনীতি না ছেড়ে চেষ্টা করে যান। অবশেষে ১৮৬১ সালে, ৫২ বছর বয়সে তিনি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগের প্রায় পুরোটাই ছিল ব্যর্থতার গল্প। কিন্তু এরপর তিনি ইতিহাস বদলে দেন।

০২. আলবার্ট আইনস্টাইন

পৃথিবীর ইতিহাসের সবচেয়ে বিখ্যাত ও সফল বিজ্ঞানীদের একজন তিনি। তিনি এতটাই সফল যে, ‘বিজ্ঞানী’ শব্দটা মাথায় আসলেই বেশিরভাগ মানুষ তাঁর কথা ভাবেন। পৃথিবীর ইতিহাসের অন্যতম সেরা মেধাবী বলা হয় তাঁকে।

কিন্তু ১৮৭৯ সালে জন্ম নেয়া এই জার্মান জিনিয়াসকে একটা সময় পর্যন্ত গর্ধভ মনে করা হত। কিছুতেই তিনি ভালো ছিলেন না। কথা বলা শিখতেই তাঁর ৪ বছর লেগেছিলো। পড়াশুনায় ছিলেন একদম কাঁচা। ১৬ বছর বয়সে জুরিখের সুইস ফেডারেল পলিটেকনিক স্কুলের ভর্তি পরীক্ষায় শোচনীয় ভাবে ফেল করেন।

ইউনিভার্সিটিতে পড়ার সময়ে প্রতিটি বিষয়ে তিনি এতই বাজে রেজাল্ট করতেন যে, একাধিক বার পড়াশুনা বাদ দেয়ার চিন্তা করতে হয়েছিল। মারা যাওয়ার সময়ে তাঁর বাবার একমাত্র দু:খ ছিল যে এই গর্ধভ ছেলে জীবনে কিছুই করতে পারবে না। বাবার এই কথায় আইনস্টাইন বহুদিন ধরে মনে কষ্ট চেপে রেখেছিলেন।

কোনও কাজ না পেয়ে তিনি বাধ্য হয়ে ইন্সুরেন্স সেলস ম্যানের কাজ নেন। কোনও কাজ না পারলে মানুষ এই ধরনের চাকরি করতো। ২ বছর পর তিনি পেটেন্ট অফিসে কাজ পান। যেখানে নতুন ডিভাইস পেটেন্ট করার আগে পরীক্ষা করা হতো। কিন্তু একটা সময়ে এই মানুষটাই পৃথিবীর চেহারা পাল্টে দিয়েছেন। তাঁর সেই ‘ডাল ব্রেন’ নিয়ে তিনি পদার্থ বিজ্ঞানের বেশ কয়েকটি মূল সূত্র সৃষ্টি করে গেছেন। বিজ্ঞানে অবদানের জন্য নোবেল প্রাইজ জিতেছেন। প্রমাণ করেছেন যে চেষ্টা করলে সবাইকে দিয়েই সবকিছু সম্ভব।

০৩. বিল গেটস

যদিও এখন পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি আমাজনের জেফ বেজোস, কিন্তু এখনও অনেকে মনে করেন যে বিল গেটসই পৃথিবীর ধনীতম মানুষ। কারণ, এতদিন ধরে তিনি বিশ্বের এক নম্বর ধনী ছিলেন যে, অন্য কেউ তাঁর জায়গা দখল করেছে – এটাই অনেকে জানে না।

আজকের বিশ্বের কম্পিউটারের বিপ্লবের পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান যাদের, তাঁদের অন্যতম হলেন তিনি। এইযে লেখাটি পড়ছেন, এটিও লেখা হয়েছে তাঁর বানানো অপারেটিং সিস্টেম উইন্ডোজ কম্পিউটারে, তাঁর বানানো মাইক্রোসফট ওয়ার্ড ব্যবহার করে। পৃথিবীর বেশিরভাগ কম্পিউটার এখনও তাঁর কোম্পানীর সফটঅয়্যারে চলে।

কিন্তু আপনি কি জানেন, বিল গেটসের প্রথম প্রজেক্ট অপমানজনক ভাবে ব্যর্থ হয়েছিল? মাইক্রোসফট এর কো-ফাউন্ডার এবং বাল্যবন্ধু পল এ্যালেন আর বিল গেটস মিলে “Traf-O-Data” নামে একটি মেশিন তৈরী করেছিলেন যেটি ট্রাফিক কাউন্টার গুলো থেকে ডাটা সংগ্রহ করে সরকারি ট্রাফিক ইঞ্জিনিয়ারদের তা গুছিয়ে সরবরাহ করবে।

এমনিতে কাজটি হাতে করতে হতো।
এই যন্ত্রটির ওপেনিং এ স্বয়ং শিয়াটলের ট্রাফিক সুপারভাইজার এসেছিলেন। কিন্তু যন্ত্রটি চালু করার পর কোনওভাবেই কাজ করেছি। এমন লজ্জা আর অপমান গেটসের জীবনে আর আসেনি। কিন্তু তাঁরা থেমে যাননি। এই ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়েই বিল আর পল মিলে পরে মাইক্রোসফটকে সফল করেন।

০৪. জ্যাক মা

আলিবাবা প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক মা – এর সম্পর্কে নতুন করে কিছু বলার নেই। সবাই জানেন যে চীনের এই ধনকুবের ব্যবসায়ী একদম সাধারণ অবস্থা থেকে উঠে এসে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী আর বিখ্যাত মানুষদের একজন হয়েছেন। গড়ে তুলেছেন আজকের দুনিয়ার সবচেয়ে বড় কোম্পানীগুলোর একটি। আর এই অসাধারণ সফল মানুষটির ব্যর্থতার গল্প যেন একটি ট্রাজেডি সিরিয়াল।

কলেজে ভর্তি হবার সময়ে ৩ বার ভর্তি পরীক্ষায় ফেল করে ৪র্থ বার সুযোগ পান। এরপর চাকরি করতে গিয়ে বহুবার বার ব্যর্থ হন! পুলিশে ১০ জন পরীক্ষা দিয়ে ৯জন চাকরি পেল, বাদ পড়লেন জ্যাক। কেএফসিতে ২৪ জনের মধ্যে জ্যাক ছাড়া ২৩ জনের চাকরি হলো। হার্ভার্ডে ১০ বার চেষ্টা করেও তিনি সুযোগ পাননি। এভাবে অনেক ব্যর্থতার পর চেষ্টা করতে করতে অবশেষে তিনি আলিবাবা প্রতিষ্ঠা করে সাফল্য পান।

০৫. চার্লি চ্যাপলিন

১৮৮৯ সালে জন্ম নেয়া বিশ্ব বিখ্যাত অভিনেতা ও পরিচালক চার্লি চ্যাপলিনকে তো সবাই চেনে। সিনেমার শুরুর সময় থেকে আজ পর্যন্ত সব সিনেমা পাগল তাঁকে ভালোবাসে ও শ্রদ্ধা করে। পৃথিবীর সফলতম অভিনেতা ও পরিচালকদের একজন তিনি। কমেডির রাজা বলা হয় তাঁকে। – এসব কথাও সবাই জানে। তাহলে চলুন আজ জেনে নেয়া যাক এমন কিছু কথা যা সবাই জানে না:

চ্যাপলিনের বাবা ছিলেন একজন পাঁড় মাতাল। কোনও কাজ করতেন না, দিন-রাত মদ খেয়ে পড়ে থাকতেন। চ্যাপলিনের ২ বছর বয়সে তাঁর বাবা বাড়ি ছেড়ে চলে যান। মা নামেমাত্র একটি কাজ করতেন যাতে সংসারের খরচ কোনওভাবেই মিটতো না। ৭ বছর বয়সে চার্লি “ওয়ার্কহাউজ” এ যেতে বাধ্য হন। সেই সময়ে বৃটেনে গরিবদের জন্য একটি ব্যবস্থা চালু ছিল, যেখানে পরিশ্রমের বিনিময়ে খাবার ও শোয়ার জায়গা দেয়া হত।

কিছুদিন পর আবার চার্লি সেখান থেকে ফিরে আসেন এবং আবার তাঁর ৯ বছর বয়সে তাঁর মা পাগল হয়ে যান, এবং তাকে মানসিক হাসপাতালে যেতে হয়। মায়ের মানসিক হাসপাতালে যাওয়ার কারণে চ্যাপলিনকে আবারও ওয়ার্কহাউজে ফিরে যেতে হয়। কিছুদিন পর তাঁর বাবা লিভার নষ্ট হয়ে মারা যান।

এরপর তাঁর মায়ের পাগলামি এতই বেড়ে যায় যে তাকে সব সময়ের জন্য পাগলা গারদে বন্দী করে রাখার প্রয়োজন পড়ে। চ্যাপলিন ও তাঁর ভাই সিডনি একদম পথে বসে পড়েন। দিনের পর দিন না খেয়ে রাস্তায় ঘুরে কাটান। এভাবে চলতে চলতেই এক সময়ে তিনি মঞ্চে কাজ নেন। বিভিন্ন মঞ্চ নাটকে অভিনয় করতে করতে নিজের কমেডি প্রতিভাকে শক্তিশালী করেন। পরে হলিউডে পাড়ি জমিয়ে সর্বকালের সেরা নির্বাক অভিনেতা হয়ে ওঠেন।

০৬. কনোনেল স্যান্ডার্স

কেএফসির লোগো নিশ্চই দেখেছেন। লোগোর ফ্রেঞ্চকাট দাড়িওয়ালা হাসিমুখের লোকটিই কনোনেল স্যান্ডার্স। তিনি কেএফসি নামক বিশ্বের সবচেয়ে বড় ও জনপ্রিয় ফাস্টফুড চেইনের প্রতিষ্ঠাতা। আপনি যদি আপনার এলাকায় কেএফসির একটি শাখা খুলতে চান, তবে আপনাকে শুধু তাদের ফ্রেঞ্চাইজি ব্যবহারের জন্য ৪৫ হাজার ডলার বা প্রায় ৩৮ লাখ টাকা দিতে হবে। এতবড় কোম্পানী যাঁর রেসিপি থেকে শুরু, সেই রেসিপি বিক্রী করতে তাঁকে ১০০৯ বার ব্যর্থ হতে হয়েছিল।

৫ বছর বয়সে বাবা হারানোর পর থেকে তাঁর সংগ্রাম শুরু হয়েছিল। নিজের রান্নার দক্ষতার কারণে কাজ পেতে কখনও অসুবিধা হয়নি। কিন্তু যখনই নিজে কিছু করতে গেছেন – তখনই ব্যর্থ হয়েছেন। ১৯৩৯ সালে ৪৯ বছর বয়সে অনেক কষ্টে একটি মোটেল শুরু করেন। মোটেলটি ৪ মাস চলার পরই আগুন ধরে ধ্বংস হয়ে যায়। ৫০ বছর বয়সে তিনি তাঁর সিক্রেট চিকেন ফ্রাই রেসিপি নিয়ে কাজ করতে শুরু করেন।

১৯৫৫ সালে তাঁর আরও একটি উদ্যোগ ব্যর্থ হয়। তিনি একটি চার রাস্তার মোড়ে রেস্টুরেন্ট খুলেছিলেন। ভালোই চলছিল সেটি। কিন্তু নতুন রাস্তা হওয়ার ফলে সেই রাস্তা দিয়ে গাড়ি চলা বন্ধ হয়ে যায়, ফলে রেস্টুরেন্টও বন্ধ করতে হয়। সেই বছর ৬৫ বছর বয়সী কনোনেলের হাতে মাত্র ১৬৫ ডলার ছিল। এরপর তিনি তাঁর চিকেন রেসিপি বিক্রী করার চেষ্টা করেন। ১০০৯টি রেস্টুরেন্ট তাঁকে ফিরিয়ে দেয়ার পর একটি রেস্টুরেন্ট তাঁর রেসিপি নিয়ে কাজ করতে রাজি হয়। বাকিটা তো বুঝতেই পারছেন।

০৭. হেনরি ফোর্ড

১৮৬৩ সালে আমেরিকার মিশিগানে জন্ম নেয়া হেনরি ফোর্ড হলেন বিশ্ব বিখ্যাত গাড়ির কোম্পানী ফোর্ড মোটরস এর প্রতিষ্ঠাতা। এটি পৃথিবীর সবচেয়ে পুরনো এবং সবচেয়ে লাভজনক গাড়ি নির্মান প্রতিষ্ঠানের একটি। বেঁচে থাকতেই হেনরি ফোর্ড তাঁর কোম্পানীকে সফল করে গেছেন, এবং নিজেও বিশ্বের সবচেয়ে ধনী এবং সফল মানুষদের একজন হয়েছেন।

যদিও তাঁকে পৃথিবীর সবচেয়ে সফল উদ্যোক্তাদের একজন ধরা হয় – প্রথম দিকে তিনি আসলে একজন ব্যর্থ মানুষ ছিলেন। সত্যি কথা বলতে, ৩৫ বছর বয়স পর্যন্ত তিনি অন্যের চাকরি করেছেন। ১৮৯৮ সালে তিনি একটি স্বয়ংক্রিয় গাড়ির ইঞ্জিন বানিয়ে সবাইকে দেখান এবং উইলিয়াম এইচ. মার্ফি নামে একজন ধনী ব্যক্তির বিনিয়োগ পান।

পরের বছর ফোর্ড তাঁর প্রথম গাড়ির কোম্পানী “ডিট্রয়েড অটোমোবাইল কোম্পানী” প্রতিষ্ঠা করেন (ফোর্ড মোটরস নয়)। ১৯০১ সালে কোম্পানীটি ব্যর্থ হয়। লোনের টাকা শোধ করতে না পারা এবং গাড়ির ডিজাইনে ঝামেলা থাকায় প্রজেক্টটি সফল হয়নি। কোম্পানী তাদের কাজ বন্ধ করার কিছুদিন পর ফোর্ড একজন বিনিয়োগকারীকে আর একবার চেষ্টা করতে রাজি করাতে পারেন।

কিন্তু এটাও অল্প কিছুদিন পর বন্ধ হয়ে যায়। কারণ বিনিয়োগকারীরা কোনও বিষয়েই একমত হতে পারছিলেন না। অবশেষে ১৯০৩ সালে ৪০ বছর বয়সী ফোর্ড তাঁর নিজের নামে কোম্পানী শুরু করেন। এবার তিনি নতুন বিনিয়োগকারী স্কটিশ কয়লা ব্যবসায়ী ম্যালকমসনকে রাজি করান যে সে ব্যবসায়ে নাক গলাবে না। শুধু তার লাভের টাকা বুঝে নেবে। এবং এরপর ফোর্ড তাঁর নিজের মত কাজ করতে শুরু করেন। বাকিটা তো শুধুই সাফল্যের গল্প।

০৮. টমাস আলভা এডিসন

আজকের পৃথিবীতে এমন কোনও শিক্ষিত মানুষ নেই যে টমাস আলভা এডিসন এর নাম জানে না। বৈদ্যুতিক বাতি, চলচ্চিত্র, অডিও রেকর্ডিং, এনক্রিপটেড টেলিগ্রাফ সিস্টেম, আধুনিক ব্যাটারী – এধরনের হাজারের ওপর আবিষ্কার করে তিনি পৃথিবীকে ঋণী করে গেছেন।

১৮৪৭ সালে আমেরিকার ওহাইওতে জন্ম নেয়া এই জিনিয়াসের ছোটবেলায় ‘স্কারলেট ফিভার’ নামে একটি জটিল অসুখ হয়, যার ফলে তিনি কানে প্রায় শুনতেনই না। তাঁর স্কুল জীবন ছিল মাত্র ১২ সপ্তাহের। কারণ তাঁর পড়াশুনার পারফরমেন্স এতই খারাপ ছিল যে স্কুলে আর তাঁকে রাখতে চাইছিল না।

স্কুল থেকে দেয়া চিঠিতে লেখা ছিল যে টমাস পড়াশুনায় খুবই অমনযোগী ও তার মেধাও ভালো নয়, এই ধরনের দুর্বল ছাত্রকে স্কুলে রাখা যাবে না। কিন্তু টমাসের মা চিঠি খুলে ছেলেকে শুনিয়ে পড়েছিলেন যে, টমাসের মেধা সাধারণ ছাত্রদের চেয়ে অনেক বেশি, এত বেশি মেধাবী ছাত্রকে পড়ানোর ক্ষমতা সাধারণ স্কুলের নেই। কাজেই তাকে যেন বাসায় রেখে পড়ানো হয়।

মায়ের থেকে পাওয়া এই আত্মবিশ্বাস থেকেই টমাস পরে জটিল জটিল সব বিষয় নিয়ে পড়াশুনা করতে থাকেন। এবং এই আত্মবিশ্বাসের কারণেই তিনি কোনও কিছুতেই ব্যর্থতাকে মেনে নিতেন না। বৈদ্যুতিক বাতি আবিষ্কারের সময়ে ১০ হাজার বার তাঁর এক্সপেরিমেন্ট ব্যর্থ হয়েছিল। কিন্তু তিনি তবুও চেষ্টা চালিয়ে গেছেন। কারণ ছোটবেলায় তাঁর মা তাঁর মনে এই বিশ্বাস ঢুকিয়ে দিয়েছিলেন যে, কিছুই অসম্ভব নয়।

কটু ভাষায় লেখা সেই চিঠিটি এডিসন অনেক বছর পরে খুঁজে পেয়েছিলেন, তাঁর মা সেটি লুকিয়ে রেখেছিলেন। ততদিনে মা মারা গেছেন। টমাস হয়ে উঠেছেন বিখ্যাত বিজ্ঞানী ও ধনী উদ্যোক্তা। চিঠিটি পড়ে টমাস সব বুঝতে পারেন। এবং নিজের ডায়েরীতে লেখেন, “টমাস আলভা এডিসন একজন ছিল এক মেধাহীন শিশু। একজন অসাধারণ মায়ের প্রেরণায় সে হয়ে উঠে যুগের সেরা মেধাবী।“

০৯. উইনস্টন চার্চিল

হয়তো আপনি জানেন না যে এই লোকটি কে – কিন্তু নাম একবার না একবার অবশ্যই শুনেছেন। উইনস্টন চার্চিলের নাম শোনেনি – এমন মানুষ আধুনিক জগতে খুব কমই আছেন। তিনি আসলে বৃটেনের ইতিহাসের সবচেয়ে বিখ্যাত রাজনীতিবিদদের একজন। ১৮৭৪ সালে জন্ম নেয়া চার্চিল ১৯৫১ থেকে ১৯৫৫ পর্যন্ত বৃটেনের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। ব্যর্থতা ও সাফল্য নিয়ে তাঁর অনেকগুলো বানী পৃথিবীর সেরা বানীগুলোর মধ্যে জায়গা পেয়েছে।

ব্যর্থতা নিয়ে তাঁর বিখ্যাত উক্তি, “ব্যর্থতা মানেই সব শেষ নয়; ব্যর্থতার পরও এগিয়ে যাওয়ার সাহস রাখতে হবে” বা “সাফল্য মানে উ‌ৎসাহ না হারিয়ে এক ব্যর্থতা থেকে আরেক ব্যর্থতায় যাওয়ার যাত্রা” – এগুলো নিশ্চই আপনার শোনা। ব্যর্থতা নিয়ে করা সেরা উক্তিগুলোর বেশ কয়েকটি তাঁর কাছথেকে আসার কারণ, তিনি ব্যর্থতাকে খুব কাছ থেকে দেখেছেন। এই সফল মানুষটির জীবনের অনেকটা জুড়েই আছে ব্যর্থতার গল্প।

রয়্যাল মিলিটারি কলেজে দুইবার ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে তিনি ফেল করেন। ৩য় বার যখন সুযোগ পান, তখন তাঁকে অনেক নিচের একটি ডিভিশন বেছে নিতে হয়েছিল। যদিও তারপর তিনি নিজের চেষ্টা দিয়ে অনেক ওপরে ওঠেন।

রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে ৫টি নির্বাচনে হারেন বৃটেনের ইতিহাসের অন্যতম এই রাজনীতিবিদ। জানলে অবাক হবেন, ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই বক্তার কথা বলতেই সমস্যা হত। বহুদিন তিনি ডিপ্রেশনে ভুগেছেন। ভাষণ দেয়ার পর সমস্যা হওয়ার কারণে, তাঁর জন্য বিশেষ ওষুধও বানাতে হয়েছিল। কিন্তু এর কিছুই তাঁর চেষ্টা করা থামাতে পারেনি।

১০. জে কে রাওলিং

শুধুমাত্র বই লিখে তাঁর মত ধনী কেউ হতে পারেনি। পৃথিবীর লেখকদের মধ্যে একমাত্র জে কে রাওলিং বই লিখে বিলিওনেয়ার হতে পেরেছেন। তাঁর লেখা হ্যারি পটার সিরিজের বইগুলো পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি বিক্রীত বুক সিরিজ। আর এই সিরিজ থেকে বানানো সিনেমাগুলো প্রতিটিই ব্লকবাস্টার হিট।

জনপ্রিয়তা ও আর্থিক দিক থেকে নি:সন্দেহে তিনি ইতিহাসের অন্যতম সফল সাহিত্যিক। কিন্তু আপনি কি জানেন, কত সংগ্রামের পর হ্যারি পটার প্রকাশ হয়েছিল? পড়াশুনায় তিনি খুব একটা ভালো ছিলেন না।অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে টেস্ট দিয়ে প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পর এক্সিটর ইউনিভার্সিটি থেকে পড়াশুনা শেষ করেন।

পড়া শেষ করার পর তেমন কোনও ভালো কাজ না পেয়ে এক সময়ে পর্তুগালে চলে যান।সেখানে গিয়ে বিয়ে করেন এক বদরাগী লোককে, যে কথায় কথায় গায়ে হাত তুলত। ১৯৯৩ সালে ৩৮ বছর বয়সে একমাত্র মেয়েকে নিয়ে তিনি আবার ইংল্যান্ডে ফিরে আসেন এবং বোনের সাথে থাকতে শুরু করেন। এই সময়টাতে তিনি হিসেব করে দেখলেন যে তিনি জীবনের সবকিছুতেই চরম ভাবে ব্যর্থ হয়েছেন।

তিনি একজন ডিপ্রেশনের রোগীতে পরিনত হন এবং আত্মহত্যারও চিন্তা করেন। কিন্তু মেয়ের কথা চিন্তা করে তিনি আবার আশায় বুক বাঁধেন এবং নিজের লেখালেখির প্রতিভাকে ঘষামাজা করতে করতে হ্যারি পটারের বইটি লিখতে থাকেন। এভাবেই কেটে যায় দু’টি বছর। ১৯৯৫ সালে একটু একটু করে হ্যারি পটারের প্রথম বইটি লেখা শেষ করেন। বইটি লেখার উদ্দেশ্যই ছিল লেখার মাধ্যমে নিজের জীবনের মোড় ঘোরানোর চেষ্টা করা।

রাওলিং তখন একমাত্র মেয়েকে নিয়ে খেয়ে না খেয়ে দিন কাটাচ্ছিলেন। কিন্তু সেই বইটিও ১৪টি প্রকাশনা সংস্থা থেকে প্রত্যাখ্যাত হয়। অবশেষে ১৯৯৬ সালে ব্লুমসবারি নামের ছোট একটি প্রকাশনা সংস্থা বইটি প্রকাশ করার জন্য রাজি হয়। ১৯৯৭ সালে হ্যারি পটারের প্রথম বইটি প্রকাশ হওয়ার সাথে সাথে পুরো বিশ্বে হৈচৈ পড়ে যায়।

রাওলিং অবাক হয়ে দেখেন, এত ব্যর্থতার পরও চেষ্টা করে যাওয়ার সুফল তিনি পেয়েছেন। একে একে আরও বই বের হতে থাকে, সেই সাথে বের হতে থাকে একের পর এক সুপারহিট সিনেমা। ২০০৪ সালে রাওলিং পৃথিবীর ইতিহাসে প্রথম সাহিত্যিক হিসেবে শুধুমাত্র বই লিখে বিলিয়ন ডলারের মালিক হন।

১১. মাইকেল জর্ডান

অন্য কোনও বাস্কেটবল খেলোয়াড়ের নাম হয়তো অনেকে জীবনে শোনেনইনি, কিন্তু মাইকেল জর্ডানকে সবাই চেনে। বিশ্বের সর্বকালের সেরা বাস্কেটবল খেলোয়াড় তিনি। বাস্কেটবল খেলা কোটি কোটি তরুণ স্বপ্ন দেখেন মাইকেল জর্ডান হয়ে ওঠার। জর্ডান নিজেও স্বপ্ন দেখতেন একদিন অনেক বড় বাস্কেটবল খেলোয়াড় হবেন।

কিন্তু ১৫ বছর বয়সে তাঁর প্রথম স্বপ্নটি ভেঙে যায়।হাইস্কুল টিমে জায়গা পাওয়ার জন্য অনেক চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু নোটিশ বোর্ডে যখন টিমের সদস্যদের নাম টাঙানো হয়, তিনি দেখেন সেখানে তাঁর নাম নেই। তাঁকে বলা হয়, টিমে খেলার জন্য তিনি যথেষ্ঠ প্রতিভাবান নন। তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন। চিন্তা করেন যে বাস্কেটবলই আর খেলবেন না। কিন্তু তাঁর মা তাঁকে আরও ভালো করে প্রাকটিস করতে বলেন।

প্রাকটিসে যদি ক্লান্ত লাগে, তাহলে যেন তিনি সেই নোটিশ বোর্ডটি কল্পনা করেন – যেখানে তাঁর নাম ছিল না। এরপর জর্ডান দিন রাত নিজে নিজে প্রাকটিস করা শুরু করেন। এবং ‘প্রতিভাহীন’ জর্ডান ২১ বছর বয়সে এনবিএ লিগে সুযোগ পান। তারপর একটা সময়ে হয়ে ওঠে সর্বকালের সেরা খেলোয়াড়।

শেষ কথা:

প্রতিটি মানুষের জীবনেই ব্যর্থতা আসে। কোনও বড় স্বপ্নই একবারে পূরণ হয় না। এটা জীবনেরই একটা অংশ। পৃথিবীতে অসাধারণ সাফল্য সেইসব মানুষই অর্জন করতে পারেন, যাঁরা বার বার ব্যর্থ হয়েও চেষ্টা করে যান। একবার ব্যর্থ হলে সেখান থেকে শিক্ষা নিয়ে তাঁরা আবার শুরু করেন। তারপর আবার ভুল করেন, আবার শিক্ষা নিয়ে কাজ শুরু করেন। এভাবে শত শত বা হাজার হাজার বার ব্যর্থ হতে হতে একটা সময়ে গিয়ে তাঁরা সফল হন। বদলে দেন পৃথিবীর ইতিহাস।

আজ এই ১০জন সফল মানুষের ব্যর্থতার গল্প বলার উদ্দেশ্য হল আপনাকে ব্যর্থতার পর উঠে দাঁড়ানোর অনুপ্রেরণা দেয়া। সবার মধ্যেই একজন টমাস এডিসন, জেকে রাওলিং বা মাইকেল জর্ডান আছে। শুধু প্রয়োজন ব্যর্থতা থেকে উঠে দাঁড়িয়ে আবার চেষ্টা করার মানসিকতা। আর সেই মানসিকতা অর্জনে এই ১১জন সফল মানুষের ব্যর্থতার গল্প যদি আপনাকে একটুও অনুপ্রেরণা দিতে পারে – তবেই আমাদের প্রচেষ্টা সফল।

আপনি যদি মনে হয় এই লেখা পড়ে অন্যরাও অনুপ্রাণিত হবেন, তাহলে শেয়ার করে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন। এই ধরনের আরও লেখার জন্য নিয়মিত আমাদের সাথে থাকুন। সাফল্যের পথে লড়াকু সব সময়ে আপনার সাথে আছে।

23/04/2024

সফলতা কেউ কাউকে দেয় না

সফলতা কে না চায় !
সফলতার আকাঙ্ক্ষা মানুষের সার্বজনীন প্রত্যাশার একটি। এজন্য সফল জীবনকথা সবাইকে আকৃষ্ট করে। চরম রোমাঞ্চ ও নাটকীয়তায় ভরা সেসব ইতিবৃত্ত মানুষকে চুম্বকের মতো টানে। শূন্য থেকে কোটিপতি হওয়া এমন সফল মানুষের আখ্যান রূপকথার মতো কোটি কোটি মানুষকে আকৃষ্ট করে।

তবে সফলতার গল্পটা পড়তে আগ্রহী হলেও এর পেছনের দুঃসহ পরিশ্রম, কষ্টকর অধ্যাবসায়, কঠোর ধৈর্য ও সুনিপুণ পরিকল্পনার বিষয়গুলো অনেকেই এড়িয়ে যায়। সফলতার পেছনে কষ্ট, পরিকল্পনা ও অধ্যাবসায়ের দীর্ঘ দিবস ও রজনীর কথাগুলো মনে রাখা বা অনুসরণ করাও অসংবেদনশীল অনেক মানুষের পক্ষেই সম্ভব হয় না।

অথচ, বড় বা ছোট, কোনও সফলতাই প্রাকৃতিকভাবে আপনা আপনি হাতে চলে এসে ধরা দেয় না। পৃথিবীর বিখ্যাত সফলতম মানুষ থেকে শুরু করে আমাদের চারপাশের প্রাত্যহিক জীবনের সফল মানুষদের দিকে গভীরভাবে তাকালে তাদের সংগ্রামের সেসব বহুমাত্রিক চিত্র উদ্ভাসিত হয়।

এজন্যই বলা হয়, ধাপ্পাবাজি, শর্টকাট কিংবা অসততার মাধ্যমে প্রকৃত সফলতা অর্জন করা যায় না। করলেও সেটা স্থায়ী ও টেকসই হয় না। কঠোর পরিশ্রম, অধ্যাবসায় ও সততার মাধ্যমে অর্জিত সফলতাই প্রকৃত সফলতা এবং সেটাই জীবনে স্থায়ীভাবে বিরাজ করে।

অতএব, কারো জীবনের সফলতা দেখেই ‘তার জীবনে সব কিছু কেউ করে দিয়েছে’ এইরকম ভেবে হাল্কাভাবে বিচার করতে যাবেন না!

বাইরে থেকে আপনি তার হাসি মাখা মুখটাই শুধু দেখছেন কিন্তু তার সফলতার পেছনের নির্ঘুম রাতগুলো, ঘণ্টার পর ঘণ্টা অমানুষিক পরিশ্রমগুলো, অভুক্ত দূপুরগুলো, ত্যাগ ও কৃচ্ছ্রব্রত আপনি দেখেন নি এবং সে-ও আপনাকে সেসব দেখায় নি! আসলে দেখানোর মতো আপন ও নির্ভরযোগ্য আপনাকে সে মনেই করে নি কিংবা আপনিও গভীর অনুভূতিপ্রবণ মনের চোখে সেসব দেখতে পারেন নি।

কারণ, মানুষের সংগ্রাম ও অর্জন, সফলতা ও অধ্যাবসায়ের সুদীর্ঘ ও সুগভীর অধ্যায়গুলো দেখার ও অনুভব করার মতো উচ্চতর মানসিক যোগ্যতা আর স্পর্শকাতর অনুভূতি সবার থাকে না। আরেকটি বিষয় খুবই নিকৃষ্টভাবে লক্ষ্য করা যায়। তাহলো, কারো সফলতা পরিমাপ করার অযোগ্যতা।

অমুকের ছেলে/মেয়ে, তমুকের ভাই/বোন ইত্যাদি বলে অনেক সময় সফলতাকে তুচ্ছ ও হেয় করা হয়। আসলে এটা অযোগ্যদের হীন মনোবৃত্তি। মানুষ প্রাকৃতিকভাবেই কারো ছেলে/মেয়ে বা ভাই/বোন হবেই। তবে নিজের যোগ্যতা না থাকলে কেউই কখনো সফল হয় না, নিজের কিছু যোগ্যতা থাকতেই হয় এবং উপযুক্ত পরিশ্রমও করতেই হয়।

নইলে সব সফল লোকের ছেলেমেয়ে, আত্মীয়স্বজন এমনিতেই সফল হয়ে যেতো। কিন্তু বাস্তবে তা হয় না। ফলে কাউকে নিয়ে আপনি সমালোচনা করে একইসাথে নিজের নীচুমনের পরিচয় দিচ্ছেন এবং নিজের অমূল্য সময় নষ্ট করছেন। আবার নিজের জীবনে কিছুই করতে পারেন নি বলে হা-হুতাশ করে নিজেকে হতাশ করে নিজের বারোটা বাজাচ্ছেন ও অন্যের সফলতার প্রতি হিংসা করে নিজেকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে অঙ্গার করছেন।

অন্যদিকে, সফল মানুষটি কিন্তু আপনার মতো অন্যের সমালোচনা না করে তার স্বপ্নের পেছনে নিজের সময়টুকু ব্যয় করেছে আর এজন্যেই সে সফল হয়েছে। এসব কথা বলার কারণ হলো, প্রায়ই আমাকে মটিভেশনাল ডিসকাশনে বা ভার্চুয়াল ফোরামে সফলতা নিয়ে কথা বলতে হয়।

বিভিন্ন প্রশিক্ষণেও এসব বিষয় আলোচনায় চলে আসে। ফলে মানবসম্পদ তথা ব্যক্তিমানুষকে নেতিবাচকতা থেকে ইতিবাচকতায় আনতে এসব জরুরি কথাগুলো বলতে হয়। আসলে এসব কথাগুলো হলো সফলতার পূর্বশর্তের মতো।

বস্তুতপক্ষে, সমালোচনা ও ছিদ্রানুসন্ধানের অন্ধকার চক্করে কানামাছি খেলতে খেলতে যারা জীবন শেষ করে, তারা নিজেরা সফল হবে কখন ?
আসলে, পৃথিবীতে কেউ কাউকে কিছু করে দেয় না, নিজেরটা নিজেকেই করে নিতে হয়। আর সেজন্যে প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা ও পরিশ্রমটুকুও নিজেকেই করতে হয় !

তাই অন্যকে নিয়ে সমালোচনা না করে সেই সময়টুকু নিজের কাজে ইতিবাচক ও সুপরিকল্পিতভাবে ব্যয় করুন, পরিশ্রম ও অধ্যাবসায় ধরে রাখুন, সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যে পরিকল্পনাকে পরিচালিত করতে থাকুন, দেখবেন সফলতা আপনারও আসবে নিশ্চয় !

18/04/2024

i like your dream

Eid Mubarak
10/04/2024

Eid Mubarak

https://youtu.be/DRtVcku_f1k?feature=shared
05/04/2024

https://youtu.be/DRtVcku_f1k?feature=shared

Data Entry Expert, Data mining. Data analysis The process of entering, updating, or confirming data into a database or computer system is known as data entry...

Mubarak! May this special day bring you joy, peace, and blessings.
04/04/2024

Mubarak! May this special day bring you joy, peace, and blessings.

17/03/2024

রমজানের শুভেচ্ছা জানাই! আশা করি এই পবিত্র মাসে আপনার জীবনে সমৃদ্ধি, শান্তি এবং আনন্দ আসুক। আল্লাহ আপনাকে রমজানের সময়ে স...
10/03/2024

রমজানের শুভেচ্ছা জানাই! আশা করি এই পবিত্র মাসে আপনার জীবনে সমৃদ্ধি, শান্তি এবং আনন্দ আসুক। আল্লাহ আপনাকে রমজানের সময়ে সুস্থ, খুশি এবং সকল আদর্শ প্রাপ্ত করুক। এই মুবারক মাসে আপনার সকল ইবাদত গ্রহণ হোক এবং আপনার প্রার্থনা স্বীকৃতি পাক হোক। রমজানের আগমনে সকলের মধ্যে সহযোগিতা, সহমর্মিতা এবং মহান প্রেম থাকুক। রমজান মুবারক! 🌙✨
#রমজান, #রমাদান #শুভেচ্চছা

I will do Excel data Entry, copy paste, Web research, Data mining, web scraping,I am an excel data entry expert with thr...
13/02/2024

I will do Excel data Entry, copy paste, Web research, Data mining, web scraping,
I am an excel data entry expert with three years of experience. Have you been stuck in your busy routine tasks and unable to organize daily jobs like Excel data entry, copy paste, web research, data mining , web scraping, and other data entry work? Here is the solution for all your problems, I can help you to complete your tasks on time with unlimited free revisions. If you need any suggestions or help regarding your project or services, “Contact Me”
Data entry
PDF conversion
Google Spreadsheet
Virtual assistance
PDF to Excel
Web research
Data mining
Product listing
Internet research
Customer service
Microsoft Word
Microsoft Excel
Typing
Excel work
Excel spreadsheet
WordPress
Shopify
Google Sheets
Fast typing
Image to Excel
Image to text
Image to Word

I will do excel data entry,copy paset,Web research,data mining,web scraping,I am an excel data entry expert with three y...
03/02/2024

I will do excel data entry,copy paset,Web research,data mining,web scraping,
I am an excel data entry expert with three years of experience. Have you been stuck in your busy routine tasks and unable to organize daily jobs like Excel data entry, copy paste, web research, data mining , web scraping, and other data entry work? Here is the solution for all your problems, I can help you to complete your tasks on time with unlimited free revisions. If you need any suggestions or help regarding your project or services, “Contact Me”

I will do excel data entry,copy paset,Web research,data mining,web scraping,I am an excel data entry expert with three y...
08/01/2024

I will do excel data entry,copy paset,Web research,data mining,web scraping,
I am an excel data entry expert with three years of experience. Have you been stuck in your busy routine tasks and unable to organize daily jobs like Excel data entry, copy paste, web research, data mining , web scraping, and other data entry work? Here is the solution for all your problems, I can help you to complete your tasks on time with unlimited free revisions. If you need any suggestions or help regarding your project or services, “Contact Me”
Data entry
PDF conversion
Google Spreadsheet
Virtual assistance
PDF to Excel
Web research
Data mining
Product listing
Internet research
Customer service
Microsoft Word
Microsoft Excel
Typing
Excel work
Excel spreadsheet
WordPress
Shopify
Google Sheets
Fast typing
Image to Excel
Image to text
Image to Word

Activate to view larger image

সকল মানুষকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা,
01/01/2024

সকল মানুষকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা,

I will do excel data entry,copy paset,Web research,data mining,web scraping,I am an excel data entry expert with three y...
22/12/2023

I will do excel data entry,copy paset,Web research,data mining,web scraping,
I am an excel data entry expert with three years of experience. Have you been stuck in your busy routine tasks and unable to organize daily jobs like Excel data entry, copy paste, web research, data mining , web scraping, and other data entry work? Here is the solution for all your problems, I can help you to complete your tasks on time with unlimited free revisions. If you need any suggestions or help regarding your project or services, “Contact Me”
Data entry
PDF conversion
Google Spreadsheet
Virtual assistance
PDF to Excel
Web research
Data mining
Product listing
Internet research
Customer service
Microsoft Word
Microsoft Excel
Typing
Excel work
Excel spreadsheet
WordPress
Shopify
Google Sheets
Fast typing
Image to Excel
Image to text
Image to Word

Activate to view larger image,

I will do data entry expart
01/12/2023

I will do data entry expart

18/11/2023

Hi I will do data entry specialist,

05/10/2023

Hi I'm Logo creator.
Your happiness my happiness

Address

Ikri
Pirojpur

Telephone

+8801782090462

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Digital Marketing with sohel posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Digital Marketing with sohel:

Videos

Share