01/12/2019
মর্মান্তিক জীবনগল্প ☹️ part -2
হঠাৎ মনে হলো কেয়ার নিতে চাচ্ছে নাকি? পরক্ষণেই ভাবলাম নিতে চাইলেও বা কি! জিজ্ঞাসা করলাম কি বলতে চাও? সে বললো আপনি কি পড়ালেখা ছেড়ে দিয়েছেন? আমি বললাম হ্যা কিন্তু কেন? সে বললো আপনিতো আমার চেয়েও ৪বছরের সিনিয়র তবে দেখে মনে হয় আপনি আমার জুনিয়র! আমার মাথা গরম হতে লাগলো, মেয়েটাতো গল্প শুরু করতে চাচ্ছে মনে হয়! তাও চুপ আছি কারন এই মেয়েটা আমার এক সময়ের পৃথিবী! আমি বললাম যা মনে হয় তাই মনে করো সমস্যা নেই! আর কি এমন জরুরী কথা সেটা আগে বললে ভালো হয়! সে বলা শুরু করলো তার কথা- আপনাকে কয়েকদিন ধরে একটু বেশীই দেখেছি, আর ২দিন আগে স্বপ্নেও দেখলাম! আমি বললাম আমি আজ তোমাকে না হলেও প্রায় ৬মাস পর দেখলাম, আমাকে তুমি কোথায় দেখো? সে বললো একসময় তো আমাকে ছাড়া আর কাউকে খুঁজতেন না, তাই আমাকে দেখতেন! এখন তো মনে হয় অন্য কাউকে খোঁজেন! আমি মনে মনে বললাম সেটাও ঠিক, এখন আর সামনে দিয়ে কোনো মেয়ে গেলে চোখ তোলার সাহস পাই না! আর কাউকে খুজতে যাবো কোন দুঃখে! সে বললো - আপনাকে যেদিন স্বপ্নে দেখলাম, সেদিন আপনাকে আনব্লক করেছি, আর ভাবছিলাম আপনার কি এখনো সেই আইডি আছে কিনা! ভাগ্য ভালো যে, আইডিও আছে, সাথে আপনার ফোন নাম্বারও আছে! তবে আপনার সেই পোস্টগুলো পেলাম না, যেগুলো আমাকে নিয়ে ছিলো! ৫/৬ বছর আগে আমাকে নিয়ে যে স্ট্যাটাস দিতেন তা সবই ডিলেট করে দিয়েছেন! এটাই স্বাভাবিক! যদিও আমি আপনাকে টলারেট করতে পারতাম না! " ওর কথাগুলো মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছিলো, কারন তখন আমার ঘুম পাচ্ছে! তাও ওকে বুঝতে না দিয়ে ও যখন হাসে আমিও একটু মুচকি হাসি মারি, আবার ও যখন মাথা নাড়াই, আমিও তাই করি"! সে বলে উঠলো, আচ্ছা আপনার গার্লফ্রেন্ড সোহানার বিয়েতে আপনি গেছিলেন? আমি এবার একটু বেশীই হচকচিয়ে গেলাম! কিরে এ আবার সোহানাকে কিভাবে চেনে, তাও আবার এভাবে? আমি স্বাভাবিক জবাব দিলাম- না যাই নি! সে বললো জানতে চাইবেন না আমি কিভাবে এতোকিছু জানি? আমি বললাম কই এতোকিছু জানো? তুমি আদরীকে চিনো? ও বললো না! তারপর বললাম শ্রাবণীকে চিনো? ও বললো না! তারপর বললাম আতিফা, সেতু, ঐশী এদের চিনো? ও একটু কৌতুহলী হয়ে বললো এগুলো কি সব আপনার গার্লফ্রেন্ড? আমি ভাবলাম এগুলো বলে ওকে একটু বিব্রতবোধ করাবো, তবে সেতো আমাকে বিব্রতবোধ করাচ্ছে! এর মাঝে কি অর্ডার করেছি জানিনা, তবে ২ টা মিক্সফ্রুট চলে এসেছে! সকাল সকাল এটা খেতে একেবারে ইচ্ছা না থাকলেও আমি খাওয়া শুরু করলাম! আমার দেখাদেখি ও নিজেও কথা বাদ দিয়ে খাওয়ার দিকে মনযোগ দিলো! সত্যি বলতে আমার মাঝে কোনো ফিলিংস হচ্ছে না! আমি চিন্তা করতে চাচ্ছিলাম কি হচ্ছে এগুলো? এগুলোর মানে কি? তবে কিছুই বুঝতে পারছিলাম না! খাওয়া শেষে আমি বললাম এগুলো বলার ছিলো তোমার? ও বললো না আরো অনেক জরুরী কথা বলার আছে! আমি বললাম তাহলে তাড়াতাড়ি বলো! সে বললো আজ না, এখন থেকেতো কথা হবে! তাই পরে বলবো! আমিও আর কিছু বললাম না, শুধু বললাম ঠিক আছে, এসো তাহলে যাওয়া যাক! ছেলে হয়ে জন্মালে বিল তো দিতেই হয়! তবে বিল দিতে খারাপ লাগেনি! বের হয়ে তাকে বললাম- যাও তাহলে পরে কথা হবে! সে নিচে নেমে যাচ্ছে, আর তা আমি দেখে দেখে কিছু একটা ভাবতে চাইছি, তবে তাও পারছি না! আমি অন্যদিকের সিঁড়ি দিয়ে নামার জন্য গেলাম! যেতে যেতে কল আসলো তার, রিসিভ করে হ্যালো বলতেই সে বললো i love you 🤥 বলেই লাইনটি কেটে দিলো! আমি কি আসলেই মূল্যবান কিছু হারিয়ে ফেলেছি? আমার কিছুতেই ভালো লাগছে না! ফোনটা অফ করে দিয়ে হাটা শুরু করলাম, দিনের বেলা হাঁটতে ইচ্ছা করে না, চারিদিকে কত মানুষ! মানুষকে নিয়ে আমার কোনো মাথা ব্যাথা নাই, আসলে মাঝেমধ্যে কেউ কেউ তাকিয়ে থাকে, যেন আমি তার চেনা পরিচিত কেউ! আর এই বিষয়টা আমার খুবই বিরক্ত লাগে! তাই চিন্তা করলাম বাসায় গিয়ে কিছু না ভেবে ঘুমাবো! বাসায় এসে ফ্যান ফুল স্পিডে দিয়ে কাঁথা মুড়ি দিয়ে দিলাম ঘুম! 🥱 ঘুম থেকে উঠলাম তখন প্রায় সন্ধ্যা! খুব মাথা ব্যাথা নিয়ে উঠলাম! ফ্রেশ হয়ে ভাত খেতে বসলাম, তখন মাগরিবের আজান দিচ্ছে! পেট ভরে ভাত খেয়ে, মানিব্যাগ খুললাম, দেখলাম ১১৫ টাকা আছে আর! রেডি হয়ে বের হলাম, কারো সাথে দেখা করা যাবে না! কারণ এফবি তে যেমন পোস্ট করেছি তা দেখে নিজের কাছেই মনে হচ্ছে বেঁচে আছি কেন? চলে গেলাম বিচে! রাতের বেলাটাতে এখন যেন মানুষ বেশী আসে! নিচে নেমে আবেগী মানুষের মত পা ভিজিয়ে হাঁটতে ইচ্ছা করছিলো! তবে সব ইচ্ছা পূরন হতে নেই! তাই গেলাম না, কানে হেডফোন দিলাম তারপর দেখলাম ফোনটা এখনো অফ! অন করার পর অনেকগুলো ম্যাসেজ আসলো! ঐশীর একটা ম্যাসেজ ছিলো- ফরহাদ আমি তোমাকে জোর করে ভালোবাসার অনেক চেষ্টা করেছি, তাও পারিনি! আমাকে ভুলে যেও আর মাফ করে দিও! 😶 তারপর একটা ফ্রেন্ডের ম্যাসেজ ছিলো- কিরে কাল রাতে একটা ব্রেকআপ করে, আজ সকালে আরেকটার সাথে ডেটিং করতে গেলি! 😶 তারপর ছিলো একটা বড় ভাইয়ের - ফরহাদ কি হয়েছে তোমার? রাতে আমার সাথে দেখা করো! আসলে গতকাল রাতে আমি সুইসাইড করার আগে এফবি তে পোস্ট করেছিলাম! তাও ছিলো খুবই ইমোশনাল! তবে পরবর্তীতে সাহসে কুলোয়নি! কারণ আগে একবার ইঁদুর মারার বিষ খেয়ে জীবনটা অর্ধেক মেরেছি! তাই সেই কথা চিন্তা করে আর কিছু করতে পারিনি! কেন যেন খুব কাঁদতে ইচ্ছা করছিলো! তখনই কল আসলো, সেই সকালের মেয়েটি! আমি রিসিভ করলাম! আপনার নাম্বার সকাল থেকে অফ কেন? আর আপনার গতকাল রাতের পোস্টটি আমি বাসায় এসে পেয়েছি! মেয়েটির গলাটা প্রায় ঐশীর মত মনে হচ্ছিলো! এতটুকু বুঝলাম যে সে আমার জন্য একটু চিন্তিত! সে আমাকে বললো আপনি ঠিক আছেন তো? আর সকালের কথাটার জন্য সরি! আমি বললাম কোনটা? ও বললো যাওয়ার সময় আপনাকে ফোন দিয়ে যেটা বলেছি! আমি বললাম কি বলেছিলে মনে নেই আবার বলো! সে বললো i love you.. আমি চুপ করে আছি, সেও আর কিছু বলছে না! আমি বললাম তুমি কি এখন বের হতে পারবে? সে বললো কোথায় যাবেন? আমি বললাম আমি এখন বীচে আছি! সে বললো ওকে আমি আসছি! ফোন কেটে গেলো! তখন রাত ৮টা, আর এই সময়ে কোনো মেয়েকে আসতে বলাটা ঠিক নয়! তাও আবার বীচের মত জায়গায়! তারপরও মানিয়ে নেওয়া যায়, এসব মানুষদের দেখে! এখন এখানে ফ্যামিলি ট্রিপ চলে প্রতিদিন, তাও রাত ১/২ টা পর্যন্ত! তাই হয়তো আগের চেয়ে অনেকটা উন্নত এই পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত! ৮ঃ৫০ বাজে, এতক্ষণ ওর কথাই চিন্তা করেছি! এতদিন পর তার সাথে কথা হচ্ছে, তাও আবার পজিটিভ ভাবে! এর আগে তো তার গালিও শুনেছি, থার্ড ক্লাস ছেলের মর্যাদাও পেয়েছিলাম! আর এখন তার পুরোই উল্টো! ভাবছি হয়তো আর আসবেনা! সে আসলো তখন ৯ঃ২০ বাজে! যদিও কেউ মেকাপ করলে আমার ভালো লাগে না! তবে তাকে খুব দারুণ লাগছিলো! তার দিক থেকে চোখ ফেরাতে পারলাম না! সে বললো এভাবে রাস্তার মাঝখানে বসে আছেন কেন? আমি বললাম এখানে এখনো গাড়ি চলার অনুমতি দেয়নি, তাই তুমিও বসতে পারবে! সেও বসে পড়লো! আমি তার দিকে তাকাতে চাচ্ছিলাম, তবে সে পাশে বসেছিলো বলে একটু অন্যরকম লাগছিলো! সামনে বসলে ভালোই হতো! আমি কি আসলেই সুখী মানুষ নাকি জানিনা! পরীর মতো একটি মেয়ের সাথে বসে আছি! তাও আবার মেয়েটি নিজেই চায়ছে আমার সাথে সম্পর্কে আসতে! জিজ্ঞাসা করলাম বাসায় কিছু বলবে না এখন যে বাইরে এসেছো? ও বললো না, কারন আমার একটা বিয়েতে যাওয়ার কথা! আর ওখান থেকে বাসায় যেতে যে দেরী হবে তা বাসায় জানে! এর পর ও আর আমি খুটিনাটি বিষয় নিয়ে অনেক কথা বললাম! হঠাং ঐশীর ফোন আসলো! স্ক্রিনে বড় করে ভেসে উঠলো "পৃথিবী" নামটি! ফোন কানে দিয়ে বললাম হুম! সে বললো আমি তোমার সাথে অনেক বড় অন্যায় করেছি, আমাকে মাফ করে দিও! আমার জীবনে কখনো কোনো ছেলে আসবে না! তবে তুমি সুন্দর দেখে একটা মেয়েকে বিয়ে করবে! আমাকে একদম মনে রাখবে না! ওর অনেক কথার মধ্যে আমি ওকে বললাম- ভালো থেকো! বলে ফোন কেটে দিলাম! পাশে তাকিয়ে দেখি মেয়েটি আমার দিকে তাকিয়ে মিটিমিটি হাসছে! তার হাসিতে আমার মনের কোথায় যেন একটু আঘাত লাগলো! কারন এরকম হাসিগুলো মুভিতে দেখি মাঝে মধ্য, যখন কোনো মেয়ে ছলনা করে তখন এরকম একটা হাসি দেয়! তাকে বললাম আমি জানি তুমি আমার সাথে ছলনা করার আশায় আমার সাথে কথা বলছো, আর আমার পাশে আসতে চাচ্ছো! তবে কেন করতে চাচ্ছো এমন? সে অনেকটা অবাক হয়ে বললো, মানে কি? আমি এই রাতে আপনার কাছে ছুটে এসেছি, আপনার সাথে ছলনা করতে? ভালোই বললেন, আচ্ছা থাকেন আপনি! বলে উঠে গেল! আমি আন্দাজে কি বুঝাতে গেলাম কে জানে, আসলেই কি কষ্ট দিয়ে দিলাম? বললাম- যেওনা! আরেকটু বসো! সে বসে পড়লো! কেন যেন এবার তার দিকে তাকানোর সাহস পেলাম! সামনে সমুদ্রের দিকে তাকিয়ে আছে, মনে হচ্ছে রাগ করে আছে! তবে আমিতো রাগ ভাঙাতে পারিনা! সেটা সবায় জানে, এই মেয়েটা কি জানে? আমার সারাজীবনে সবচেয়ে সুন্দর দেখা মেয়েটি আমার পাশে বসে আছে, তাও আমার সাথে রাগ করে! ভাবতেই অন্যরকম লাগে! তার নাম ধরে ডাকলাম! বললো শুনতেছি! আবার ডাকলাম! আবার বললো শুনতেছি! এবার আমি চুপ করে বসে আছি! সে বললো- ডাকছিলেন ভালোই লাগছিলো! তার দিকে তাকিয়ে দেখলাম তার চোখে মুখে কোনো রাগ নেয়! আমি কি তাহলে সত্যিই রাগ ভাঙাতে পারি? রাত ১০ঃ৩০ তার সাথে অনেক কথা হলো! তাকে যাওয়ার কথা বলবো ঐ সময়ে বললো - আমার না খিদে পেয়েছে! আমার পকেটে তখন ছিলো ৮০ টাকা! তাকে বললাম আমার কাছে টাকা নেই তোমাকে কিছু খাওয়ানোর মতো! সে বললো তাতে কি হয়েছে? টাকা আমার কাছে আছে, তবে আপনারও খেতে হবে নাহলে আমি খেতে পারবো না! তার খাওয়ার জন্য আমি এক কথায় রাজি হয়ে গেলাম! সে বললো এখানে না, আমার সাথে চলেন! আমি বললাম ওকে চলো! উঠে একসাথে হাঁটছি! আসলেই আমি দুনিয়ার সবথেকে সুখী মানুষ! তখন মনে হচ্ছিলো! সে বললো টাকাটা আপনার কাছে রাখেন, দরকারে খরচ করবেন! আমার হাতে ২টা ৫০০টাকার নোট দিলো! আমিও আর কি করবো, নিয়ে নিলাম! বললো সিএনজি নিতে! যে জায়গায় যাচ্ছি সেখানে কোন জায়গাটায় যেতে পারে সেটা সিএনজিতে বসে বসে ভাবছিলাম! যেটার চিন্তাও করিনি, সেটা হতে চলেছে, কমিউনিটি সেন্টারের সামনে রাখতে বললো! সে বললো চলেন! আমিতো বুঝেই গিয়েছি, তাই বললাম না আমি আসতে পারবো না! সে বললো সমস্যা নেই, আমার ফ্যামেলির কেউ থাকবে না! কয়েকজন মুখ চেনা মানুষ তাকিয়ে আছে আমাদের দিকে! আমি বাধ্য হয়ে নেমে ভাড়াটা দিলাম! তারপর ভিতরে ঢুকতে ঢুকতে তাকে বললাম আমি এভাবে আসলাম, তাতে তোমারই ওয়েট একটু কমে যেতে পারে! সে বললো আপনার মতো এমন নরমাল আর কেউ আছে বলে মনে হচ্ছে না, তাই আমার ওয়েট আরো বেড়ে যাচ্ছে! আমি মনে মনে ভাবছিলাম আমার পরিচিত কেউ যেন না দেখে! তার উল্টোটাই হলো! বন্ধুর গার্লফ্রেন্ড এসে সালাম দিলো, বললো ভাইয়া আপনার নাকি কি সমস্যা হয়েছে, আর ভাইয়া এখন কি আর কারো জন্য জীবন দেওয়ার যুগ আছে? একটা গেলে আরেকটা ধরবেন, না পেলে আমাকে বলবেন! আমি ম্যানেজ করে দিবো! মেয়েটা আমাকে ভালোই জ্ঞান দিয়ে গেলো! আমি বললাম ঠিক আছে পরে বলবো আপনাকে! মেয়েটি যাওয়ার পর সে বললো এটা কে ছিলো? বললাম আমার বন্ধুর প্রেমিকা! এরপর আমার জন্য এত্ত বড় একটা সারপ্রাইজ অপেক্ষা করতেছিলো, আমি তা কোনোদিন ভাবিনি! তার ফ্রেন্ড যারা ছিলো সবায় আসলো! আর তারা সবায় আমাকে খুব ভালো করেই চেনে! এদের পিছনেও কত ঘুরেছি, শুধু ওর সাথে কথা বলিয়ে দেওয়ার জন্য! প্রত্যেকের হাতে চিঠি দিতাম ওর কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য! এসব একসাথে মনে পড়তে লাগলো! আমার অনেক লজ্জা করছিলো! তার বান্ধবীরা এসে এক এক করে পরিচয় দিচ্ছিলো, আর আমাকে তো একসময়ের বখাটে বলেই সবায় চেনে ভালো করে! একজন বললো ভাইয়া আমি জানতাম আপনার রিলেশনটা যে হবে, কারন আপনি যেভাবে পড়ে ছিলেন, আরো কিছুদিন গেলেতো উল্টো আরো কয়েকজন আপনার প্রেমে পড়ে যেতো! একথা বলে সবায় হাসাহাসি করলো! আমি বললাম ওহ আচ্ছা! আমার ভালো লাগছিলো না! আমি ওকে বললাম আমি একটু ওয়াশরুম থেকে আসছি, সে বললো চলে যাবেন? কি ব্যাপার মেয়েটা মনের কথা বুঝলো কিভাবে? সে বললো আপনি দয়া করে আমাকে বাসার সামনে নামিয়ে দিয়ে তারপর যাবেন! আমি না করতে পারলাম না! রাত ১২ঃ১০ হেটে হেটে ওর বাসার সামনে পর্যন্ত গেলাম!